আজকের এই লেখায় কিছু অর্থহীন অদরকারী কথাবার্তা সবার সাথে ভাগবাটোয়ারা করব। অর্থহীন বলছি এই কারনে যে, এসব কথাবার্তা এই ব্লগে প্রতিনিয়ত এত এত উঠে আসছে যে নতুন করে বলার মত কিছু আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবুও বলি, নিজের কথা গুলো নিজের মত করে বলার চেষ্টা করি।
আমি কেন অবিশ্বাসী? অবিশ্বাসী হবার পর থেকে এ প্রশ্ন অনেকবার মাথার ভেতর দিয়ে আসা যাওয়া করেছে। প্রশ্নটা উলটো করে বললে হয় যে- আমি কেন বিশ্বাসী না? এ প্রশ্নের পেছনে অনেকের অনেক রকম চিন্তা ভাবনা ও অনেক রকম উত্তর থাকতে পারে। আমার উত্তর খুব সহজ। তবে উত্তর জানার আগে আসুন ইকটু আমার অতীত ঘুরে আসি। অর্থাৎ অবিশ্বাসী হবার অতীতকথন।
ছোটবেলায় আমি খুব একটা চঞ্চল ছিলাম না। এখন নই। ছোট বেলা থেকেই নিজের মত নিজে চিন্তা ভাবনা করতে আর যুক্তি তর্কে আসতে আমার ভালো লাগত। ছোট থেকেই কম বেশি বই পড়তাম। ধর্মকর্ম এত বেশি না করলেও ক্লাস ৫ এ এসে চার ওয়াক্ত করে নামাজ পরা ধরি হঠাৎই। তবে তখন বেহেশত দোজখ এত কিছু চিন্তা করে পড়তাম না। পড়াশোনা করার মত নামাজও পড়তে হয় এ ধরনের ভাবনা থেকেই পড়তাম। বেহেশত দোজখের ভয় বা ভাবনা আমার পরিবার থেকে তখনো মাথাইয় দেয়া হয় নি। এই ক্লাস ৫-৬ টার্মটা অন্য কারনে গুরুত্ব পূর্ন। এসময় আমার বড় খালার বাসায় বেড়াতে গিয়ে বেশ কিছু ধর্ম মূলক বই আমি নিজে থেকে নিয়েই ঘেটে পড়ে দেখি। এরপর প্রায় এ ধরনের বেশ কিছু বই টানা আমি পড়ি। বইগুলোর নাম ধাম এখন পুরো পুরি মনে নেই। কিছু কিছু মনে আছে- বেহেশত দোজখের বর্ননা,আদম ও শয়তান, ইসলামের অতি আশ্চর্য জনক ঘটনা সমূহ এবং আরো বেশ কিছু বই। তখন ওগুলো পড়ে কোন কোন ক্ষেত্রে মজা পেলেও প্রায় সরল মনে সব গুলো ঘটনা আর কথা্বার্তাই বিশ্বাস করে নিয়েছিলাম। তবে তখন সেগুলো পড়ে কোন লাভ না হলেও পরবর্তি সময়ের টার্নিং পয়েন্টে ঐ বই গুলোর ভেতরের কথাবার্তা আমার রাস্তা অনেক পরিস্কার করে দিয়েছিল। কারন আগে থেকেই যদি আমি ব্যপারগুলোর সম্পর্কে ভালোভাবে না জানতাম তবে সময়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হত। যা হোক, ক্লাস সিক্সের শেষের দিকে সম্ভবত আমার প্রথম বারের মত হঠাৎ চিন্তা করতে করতে প্রশ্ন জাগে মাথায় যে, আমাদের যদি সৃষ্টিকর্তা থেকে থাকে তবে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা নেই কেন? এটা ছিল ক্ষুদ্র একটা চিন্তা, যেটা আমি কাউকে জিজ্ঞাসা করতে সাহস পাইনি এবং নিজে থেকেও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। এরপর ক্লাস ৭ কি ৮ এ ইসলাম শিক্ষা স্যারের কিছু কথা আবার আমার মাথায় টোকা দেয়। তিনি বলেছিলেন যে, “তোমরা কি মনে কর মাদার তেরেসা মহত্মা গান্ধী ইনারা বেহেশতে যাবেন?” আমরা কয়েকজন বললাম,” হ্যাঁ তারা যেতে পারেন। কারন তারাতো সারা জীবন ভালো কাজ করেছেন।” স্যার বললেন,” না তারা কখনোই বেহেশতে যাবে না। কারন তারা কাফের!!! তারা ঈমান আনে নাই। তাই তারা কখনোই বেহেশতে যাবে না। নবীর উম্মাতরা দোজখে গেলেও একটা নির্দিষ্ট সময়কাল শাস্তি ভোগ করার পর তাদের বেহেশতে স্থান দেয়া হবে। কিন্তু কাফেররা অনন্তকাল দোজখের আগুনে জ্বলবে।” এই কথা তখন আবার আমার মাথায় টোকা দিয়ে যায়। আমরা তিন বেলা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আর কিছু না করেই বেহেশতে যাবো, খুন খারাবি করে হজ্জ করে এসে শিশুর মত নিস্পাপ হয়ে যাবো!!!! আর তারা এত এত ভালো কাজ করেও বিনিময়ে শাস্তি ভোগ করবেন!! আগে ভাবতাম সব ধর্মের ঈশ্বরই এক, শুধুমাত্র প্রার্থনার ধরন ভিন্ন। এই ঘটনার পরে ধরতে পারলাম যে সব ধর্মের ঈশ্বরও ভিন্ন ভিন্ন এবং ইসলাম ছাড়া বাকি ধর্ম গুলা ভূয়া!!! আর আরো মজা পেলাম যে এই ভেবে, আমি কিছু না করেই বেহেশতে যাবার অধিকার রাখি!! ক্লাস ৮,৯,১০ আমি যে স্যারের কাছে বিজ্ঞানের বিষয় গুলো পড়েছি ঐ স্যার ধর্ম কর্ম করতেন কম। এসব নিয়ে তার খুব একটা আগ্রহ ছিল না। তাকে যদি কোন ছাত্র কখনো এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করত তখন তিনি মজা করে বলতেন,
“দোজখ কয়টা? ৭ টা। আর বেহেশত কয়টা? ৮ টা। পৃথিবীতে কাফের বেশি না মুসলমান বেশি? কাফের বেশি। তাহলে এত এত কাফের কে এই ৭ টা দোজখে রাখতে গেলে তো দোজখ ভরে যাবে!! তাই সব মুসলমান বেহেশতে যাবেই!!!”
এ কথা শুনে তখন মজা পেলেও কথাটা যে ধর্মের দিক থেকে খুব একটা মিথ্যা না তা বুঝে আনন্দ পেতাম খুব!!
ক্লাস ৭,৮,৯,১০ এই বিশাল সময়ে আউট বই পড়া হয়নি খুব একটা। কিন্তু এস এস সি পরীক্ষার পরের বন্ধে আবার পুরো দমে আউট বই পড়া শুরু করি। দম বন্ধ করে পড়া যাকে বলে! ঐ আড়াই কি তিন মাসের বন্ধে আমি প্রায় ১০০ এর উপরে বই পড়েছিলাম। এরপর শুরু হয় আমার বই কেনা আর পড়ার খেলা। কলেজে ভর্তির প্রথম দিকে আমি আবার নানা কারনে নিয়মিত নামাজ পড়া ধরি। এরকম করতে করতে বেশ কিছু সময় যায়। এরই মাঝে কলেজের প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে প্রথম আমি আমার বাসার কম্পিউটারে অভিজিৎ ভাইয়ার ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ বইটা পাই এবং পড়া শুরু করি। পড়তে পড়তে মজা পেয়ে একটানে প্রায় পুরোটা পড়ে ফেলি। এই বইটাই প্রথম আমাকে নাড়া দেয়। এই বইটা যখন কম্পিউটারে পড়ছি সেই সময়েই কম্পিউটারে আরো দুটো বই পেয়ে যাই। একটা হচ্ছে প্রবীর ঘোষের ‘যুক্তিবাদীদের চ্যালেঞ্জাররা’ আরেকটা হচ্ছে আরজ আলি মাতুব্বারের প্রথম খন্ড। মজার ব্যপার হচ্ছে যে আমি যেখান থেকে নিয়মিত বই কিনতাম সেখানে এই দু লেখকের বই অনেক চলত! কিন্তু আমি কখনো এই বই গুলো ধরেও দেখিনি! আমার এক বন্ধু তার প্রাইভেট টিউটরের কাছ থেকে শুনে আমাকে আরজ আলির কথা বলেছিল (যদিও সে জানতো না যে, বইটার ভেতরে কি লেখা আছে!)। তখন আমি তাকে দূর দূর করে বলেছিলাম,”ধুর! এগুলা কেউ পড়ে নাকি!” এরপর যখন আমি কম্পিউটারে এ দুটা বই পাই পরের দিনই বইয়ের দোকানে গিয়ে আমি আরজ আলির এই বই আর প্রবীর ঘোষের অলৌকিক নয় লৌকিক সিরিজের প্রথম বই কিনে নিয়ে আসি। অভি ভাইয়ার বই টা কম্পুতে শেষ করার পর আমি বিভিন্ন বইয়ের দোকানে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু পাইনি। তার পর একটা বইয়ের দোকানে অর্ডার দিয়ে প্রায় ৬ কি ৭ মাস ঘোরাঘুরি করার পর বইটা এইচ এস সি সেকেন্ড ইয়ারের মাঝামাঝি সময়ে হাতে পাই!! (অভি ভাইয়ার ই-বুকটা পড়ার পর আমি প্রথম ওখানে মুক্তমনার ঠিকানা পাই। এবং তখন থেকে নিয়মিত অভি ভাইয়াকে হাবি জাবি প্রশ্ন করে বিরক্ত করতে থাকি!! প্রথম প্রথম অভি ভাইয়াকে প্রচুর জ্বালাইসি!)
যা হোক, ঘটনা সেখানে না। আসল ঘটনা ঘটে আরজ আলির বইয়ের অতি সাধারন কিছু প্রশ্ন পড়ে। প্রশ্ন গুলো এত এত সাধারন! পুরো মাথা আমার এক ধাক্কায় এলোমেলো করে দেয়। এই ঘটনার পড় আমার পড়া্লেখার পুরো বারোটা বেজে যায়। আমার নিজের মাথায় হাজারো যুক্তি খেলতে থাকে। এই সময়েই সেই ছোটকালে পড়া বই গুলোর কথাবার্তা আমার মাথার রাস্তা পরিস্কার করে দেয়। কারন বই গুলোতে পরিস্কার বিভাজনের কথা লেখা ছিল। আগে থেকেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানাথাকায় আরজ আলির প্রতিটা কথার মর্ম বুঝতে আমার মোটেও কষ্ট হয় নি। বিবর্তন তত্ত্বের কথাও আগে থেকে হালকা পাতলা জানতাম। যদিও সেটা ছিল ল্যমার্কিয় চিন্তা ভাবনা। তবুও সেটাও আমার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সহায়তা করেছে।
সবচেয়ে যে ব্যপারটা আমাকে প্রভাবিত করেছে সেটা হল প্রার্থনা। ঈশ্বর যেই হোন না কেন, পুরস্কার পেতে হলে তার তোষামদি করতে হবে কেন? প্রার্থনা ব্যপারটা তো পুরোই তোষামদি ছাড়া আর কিছুই না! আমাদের ধর্ম বইয়ে হাদিস ছিল,” তোষামদ কারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না” কিন্তু আসল ঘটনা কি দাঁড়ালো!! যে যত বেশি মাত্রায় নামাজ কালাম রোজা রাখবে, অর্থাৎ যে যত বেশি মাত্রায় আল্লার তোষামদ করবে সে তত বেশি পুরস্কৃত হবে!!! যার যত বেশি পয়সা, যে যত বেশি ঘুষ দিতে পারবে খোদার নামে (মসজিদ বানানো, হজ্জে যাওয়া, যাকাত দেয়া) তার পুরস্কার তত বেশি!! একজন কাফের হওয়ার কারনে সারা জীবন ভালো কাজ করেও শাস্তি পাবে! তো জীবনে আর ভালো কাজের মূল্য রইল কি?
আরো বেশি দুঃখ জনক এই যে, একজন মাদার তেরেসা বা একজন মহাত্মা গান্ধীর জন্য কি কোন নবী পয়দা হয়েছে এ যুগে? তারা তো শুধু মাত্র অন্ধ ভাবে তাদের পরিবারকে অনুসরন করেই এসেছে। তো এখানে তাদের দোষ কই? তাদের চৌদ্দ গুষ্টির দায়ভার কেন তাদের বহন করতে হবে? কই, একজন মুসলমান তো কখনো খৃষ্টান ধর্মের বা হিন্দু ধর্মের বই পড়ে দেখেন না। তাহলে তিনি কিভাবে সিদ্ধান্ত দেন যে আমার ধর্মই সেরা , আমার ধর্মই সত্য? আরজ আলির একটা কথা মনে পরে খুব,” সব মিষ্টির দোকানদারই বলে যে আমার দোকানের মিষ্টিই সেরা।” একথা আবার কোন মুসলমানকে বললে সে বলবে যে তুমি টেষ্ট করে দেখ যে কোন দোকানের মিষ্টি সেরা, তাহলেই তো হয়!! আরে ভাই, আপনি নিজে কি অন্য দোকানের মিষ্টি খেয়ে দেখেছেন কোন দিন? আপনি যে আপনার টা সেরা বলে ধরে বসে আছেন?
ভালো যদি কোন ধর্মকে বলতেই হয় তবে আমি বলব যে ৪টা ধর্মের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মই সেরা। যদিও আমি যতটুকু জানি বৌদ্ধ ধর্ম মূলত কোন ধর্ম নয়। অন্যান্য ধর্ম গুলোর মত তাদের কোন ঈশ্বর নেই, ঈশ্বরে পুজো দেবার ব্যপারও নেই। অন্তত গৌতম বুদ্ধ সেভাবেই ধর্মটা তৈরি করেছেন, তারপর তার অনুসারীরা ধীরে ধীরে প্রার্থনার ব্যপারটা চালু করে। সে হিসাবে বৌদ্ধ ধর্ম মূলত একটা জীবন বিধান।
তাই শেষ পর্যন্ত বলতে হয় যে, বিজ্ঞান বা দর্শন নয়। ঈশ্বর নিজেই আমার ঈশ্বরে বিশ্বাস ভেঙে দেয়ার পিছনে মূলত দায়ী!! অবিবেচক ঈশ্বরের তা্মাশাই আমার বিবেচনা বোধের কারন!! বাকি সব সাহায্যকারী মাত্র!!
এই সব ঘটনার পেছনে সবচেয়ে দুঃখজনক অংশ হচ্ছে যে, আরেকটু হলে এইসব হাবিজাবি আমার এইচ এস সি পরীক্ষার বারোটা বাজায়ে দিচ্ছিল! জীবনের এখন পর্যন্ত কোন পরীক্ষা এত বাজে প্রিপারেশন নিয়ে আমি দেইনি, যতটা বাজে প্রিপারেশন আমার এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছি। তবুও ভাগ্য (!!!) ভালো যে ভালয় ভালয় সব পার করে আসতে পেরেছি!
এ ঘটনার পর আরেকটা সমস্যা দেখা দেয় যে, জীবনটা অর্থহীন মনে হতে থাকে। আগে তো জানতাম যে মরে গেলে বেহেশত নাহয় দোজখ কিছু একটা কপালে আছে!! এবং এক সময় না এক সময় আমি ৭০টা হুরের দেখা পাবই!! 😉 কিন্তু এখন জানি যে, আমার জীবন আর একটা মুরগীর জীবনের মধ্যে বস্তুত কোন পার্থক্য নাই!!! 🙁 তাই মাঝে মধ্য চিন্তা হয়, হুদাই বাইচ্যা থাকনের লাইগা ক্যন এত কষ্ট করা? বয়া বয়া খাইলেই তো জীবন পার হয়া যায়!!
এ মন্তব্যের পর এ আলোচনা আর চলতে পারে না।আপনি এ বাক্সে এখন হাতি ঘোড়া দৈত্য দানো আরশোলা টিকটিকি সবকিছু ফিট করে দিতে পারবেন।
@ তানভী,
হাবিজাবি শব্দটির বিপরীত শব্দ কী হবে?
আমার মনে হয় বিপরীত শব্দটিই এখানে প্রযোজ্য।
@মাহফুজ,
যে পরিমান হাবিজাবি শুরু হয়েছে!! তাতে মনে হয় না নামে কোন ভূল ছিল!! 😉
@তানভী,
এই মিয়া, নিজে বুঝো না বইলাই হাবিজাবি?
@আদিল মাহমুদ,
কি আর বলি মামু!! পোস্ট শেষ করলাম কি প্রশ্ন দিয়া! আর ফারুক ভাই ক্যাচাল করে কি প্রশ্ন নিয়া!! হায়রে কপাল! হাবিজাবি পোস্টে হাবিজাবি ঝগড়া!!
@তানভী,শেষ পর্যন্ত ক্যাচাল করার দোষটা আমার ঘাড়েই চাপালেন?
আসলেই কি ইসলামের সাথে অন্যান্য ধর্মের মূলগত কোন পার্থক্য আছে ? পার্থক্য যা আছে তা মানুষের-ই সৃষ্টি।
42:13] He decreed for you the same religion decreed for Noah, and what we inspired to you, and what we decreed for Abraham, Moses, and Jesus: “You shall uphold this one religion, and do not divide it.” The idol worshipers will greatly resent what you invite them to do. GOD redeems to Himself whomever He wills; He guides to Himself only those who totally submit. সুঃ আশ-শুরা , আঃ ১৩
তিনি তোমাদের জন্য সেই একই দ্বীণ (ধর্ম) নির্ধারন করেছেন, যা নূহ আঃ এর জন্য করেছিলেন এবং যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি ও যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম আঃ, মূসা আঃ ও ঈসা আঃ কে এই মর্মে যে , “তোমরা দ্বীণকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না।”
41:43] What is said to you is precisely what was said to the previous messengers. Your Lord possesses forgiveness, and He also possesses painful retribution. সুঃ হা-মীম , আঃ ৪৩
আপনাকে ঠিক ঠিক তাই বলা হয় , যা বলা হতো পূর্ববর্তী রসুলগণকে।
21:25] We did not send any messenger before you except with the inspiration: “There is no god except Me; you shall worship Me alone.”
সুঃ আম্বিয়া , আঃ ২৫
আপনার পূর্বে আমি যে রসুলই প্রেরন করেছি , তাকে একই অহী পাঠিয়েছি: “আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই , সুতরাং আমারই উপাসনা কর।”
মুসলমান হওয়া কি জরুরী ?
[2:62] Surely, those who believe, those who are Jewish, the Christians, and the converts(Sabains); anyone who (1) believes in GOD, and (2) believes in the Last Day, and (3) leads a righteous life, will receive their recompense from their Lord. They have nothing to fear, nor will they grieve. সুঃ বাকারা আঃ ৬২
নিঃসন্দেহে যারা বিশ্বাসী , যারা ইহুদী , খৃষ্টান ও সাবেঈন , এদের মধ্যে যারা আল্লাহ ই বিশ্বাস করে , পরকালে বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে , তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার তার পালনকর্তার কাছে।তাদের কোন ভয় ও নেই এবং তাদের দুঃখ ও করা লাগবে না।
একই আয়াত কোরানের আরো এক জায়গায় আছে , সুরা আল মায়দাহ(৫) আয়াত ৬৯
অমুসলিমদের মুসলিম হওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়ার প্রয়োজন আছে কি ? যেখানে আল্লাহ চাননি সকল মানুষ একই ধর্মের আনুসারী হোক।
16:93] Had GOD willed, He could have made you one congregation. But He sends astray whoever chooses to go astray, and He guides whoever wishes to be guided. You will surely be asked about everything you have done. সুঃ নাহল আঃ ৯৩
যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তোমাদের সবাইকে এক জাতি করে দিতে পারতেন।
12:103] Most people, no matter what you do, will not believe.
সুঃ ইউসুফ আঃ ১০৩
আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেনো , বেশিরভাগ লোক বিশ্বাস আনবে না।
11:118] Had your Lord willed, all the people would have been one congregation (of believers). But they will always dispute (the truth).
10:99] Had your Lord willed, all the people on earth would have believed. Do you want to force the people to become believers?
সুঃ ইউনুস আঃ ৯৯
আপনার প্রভু চাইলে দুনিয়ায় যত লোক আছে প্রত্যেকেই বিশ্বাসী হতো। তুমি কি মানুষকে জবরদস্তী করে বিশ্বাসী বানাতে চাও ?
5:48] Then we revealed to you this scripture, truthfully, confirming previous scriptures, and superseding them. You shall rule among them in accordance with GOD’s revelations, and do not follow their wishes if they differ from the truth that came to you. For each of you, we have decreed laws and different rites. Had GOD willed, He could have made you one congregation. But He thus puts you to the test through the revelations He has given each of you. You shall compete in righteousness. To GOD is your final destiny – all of you – then He will inform you of everything you had disputed.
আমি তোমাদের প্রত্যেককের জন্য আইন ও পথ নির্দেশ করেছি। ….. তোমরা ভালো সৎ কাজে প্রতিযোগিতা কর।
উপরের আয়াতগুলো থেকে কি এটাই প্রমানিত হয় না যে , আল্লাহ চান বিভিন্ন ধর্মের মানুষ হিংসা দ্বেষ ভুলে একে অপরের সাথে সৎ কাজে , ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করে।
@ফারুক,
ভাই, আমি আপনার সাথে তর্কে যাব না। আপনার এধরনের ভাল উক্তির পেছনে ১০১টা খারাপ আয়াত দেখানো এই ব্লগের অনেকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু এই কোরআন নিয়ে ঝগড়া করা আমার এখন অতি বিরক্তি কর একটা টপিক বলে মনে হয়। আর আমি কোরানের হাফেজও না যে যখন চাইব তখনই আমার মাথার ভেতর থেকে ঠাশ ঠাশ আয়াত বের হবে। তাই এত কষ্ট করে আমি কোরানকে অফেন্ড করতে যাই না আজকাল। তবে অপেক্ষা করুন। আশা করছি আপনি জবাব সময় মতই পাবেন।
আর আপনার কোরানের তুলনায় রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বা কাহলিল জিবরানের দি প্রফেট বইতে অনেক অনেক বেশি সুন্দর সুন্দর বাণী আছে। তো জীবন বিধান হিসাবে যদি কোন গ্রন্থকে আমার মানতেই হয়, তবে আমি রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বা কাহলিল জিবরানে দি প্রফেট কেই মানব। কোরানকে নয়।
আর কোরান বা ধর্ম বিদ্বেষ বাদ দিয়েও আমার ধর্মে অবিশ্বাসের পেছনে আরো বেশ কিছু কারন আছে। ২-৩ দিনের মধ্যে সামনের পোস্ট দেয়ার সুযোগ হলে সব জেনে যাবেন।
@তানভী,
এক্কেবারে খাঁটি কথা বলেছেন। এগুলোও আমার মনের কথা, প্রাণের কথা। আজকাল একটা বিজ্ঞান দেখা যায়- “মাদককে না বলুন।” আসুন আজ থেকে আমরা সবাই বলি- “কোরানকে না বলুন।”
ধন্যবাদ তানভী, আমার মনের কথাগুলো বলে দেবার জন্য।
@ফারুক,
যতগুলো কথা, বাক্য এই মন্তব্যে লিখেছেন, যতগুলো প্রশ্ন করেছেন, সব কথার উত্তর এবং এ সকল বাক্যের সম্পূর্ণ বিপরীত বাক্যসমুহ এই কোরান থেকেই সহস্রবার দেখানো হয়েছে। শুধুমাত্র সুরা আনফাল (৮) ও সুরা তাওবাহ (৯) এর উপর একটিবার চোখ বুলিয়ে দেখুন, মুহাম্মদ অন্য ধর্মানুসারীদেরকে কতবার কাফের, মুশরিক, মুনাফিক, ইহুদী, নাসারা, কানা, মূক, বধির, অজ্ঞান, মূর্খ বলে গালি দিয়েছেন। আপনি নিজেই উল্লেখ করেছেন যে আল্লাহর ইচ্ছে নেই পৃথিবীর সকল মানুষ বিশ্বাসী হউক। অর্থাৎ আল্লাহ চান কিছু মানুষ অবিশ্বাসী হউক, কাফির থাকুক, আল্লাহ চান পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্ম থাকুক।
আমি সেদিকে না গিয়ে আপনার উল্লেখিত সুরার কিছু বাক্যের প্রতি আপনার দৃস্টি আকর্ষণ করছি। সুরাটির ১০ নং বাক্য দিয়ে শুরু করা যাক। বাক্যটি হচ্ছে-
وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِن شَيْءٍ فَحُكْمُهُ إِلَى
اللَّهِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبِّي عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ
তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে সোপর্দ। ইনিই আল্লাহ আমার পালনকর্তা আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তাঁরই অভিমুখী হই। (সুরা আশ-শোয়ারা ৪২, আয়াত ১০)
আপনার আল্লাহর কসম নিজেকে ধোকা দিবেন না, আপন বিবেকের সাথে প্রতারণা করবেন না, বলুন বাক্যটি কার লেখা?
চলুন প্রথম থেকে শুরু করি-
(৩) এমনিভাবে পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ আপনার প্রতি ও আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেন।
(৪) নভোমন্ডলে যা কিছু আছে এবং ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সমস্তই তাঁর। তিনি সমুন্নত, মহান।
(৫) আকাশ উপর থেকে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় আর তখন ফেরেশতাগণ তাদের পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং পৃথিবীবাসীদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। শুনে রাখ, আল্লাহই ক্ষমাশীল, পরম করুনাময়।
(৬) যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে অভিভাবক হিসাবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন। আপনার উপর তাদের দায়-দায়ীত্ব নয়।
(এ পর্যন্ত বাক্যগুলোর বক্তা কে?)
(৭) এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (এই বাক্যে আমি কে?)
আবার-
(৮) আল্লাহ ইচ্ছা করলে সমস্ত লোককে এক দলে পরিণত করতে পারেন। কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমতে দাখিল করেন। আর যালেমদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।
(৯) তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অপরকে অভিভাবক স্থির করেছে? পরন্তু আল্লাহই তো একমাত্র অভিভাবক। তিনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান।
(১০) তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে সোপর্দ। ইনিই আল্লাহ আমার পালনকর্তা আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তাঁরই অভিমুখী হই। (এখানে আমার আর আমি কে?)
(১১) তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।
(১২) তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নিধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, (বাক্যের এই অংশে তিনি কে?) যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না (আর এই অংশে আমি কে?) আপনি মূশরেকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি আমন্ত্রণ জানান, তা তাদের কাছে দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং যে তাঁর অভিমুখী হয়, তাকে পথ প্রদর্শন করেন।
হয়তো আমার বুঝার ভুল হতে পারে, তাই বাক্যটি আবার দেখে নিই-
তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি—-
আমি কিছু বঝি নাই প্লীজ হেল্প মি।
আপনি লিখেছেন-
41:43] What is said to you is precisely what was said to the previous messengers. Your Lord possesses forgiveness, and He also possesses painful retribution. সুঃ হা-মীম , আঃ ৪৩
আপনাকে ঠিক ঠিক তাই বলা হয় , যা বলা হতো পূর্ববর্তী রসুলগণকে।
তা’ই যদি হয় তাহলে নতুন বই লিখা কেন? নতুন আরেকটি ধর্ম, নতুন একজন নবী কেন?
উত্তরটা কোরানেই দেয়া আছে- পূর্ববর্তীরা তাদের কাছে পাঠানো সেই বই বিকৃত করে ফেলেছিল তা’ই নতুন এই বইয়ের প্রয়োজন। তাহলে সেইটা বিকৃত হওয়ার আগে এইটা লাওহে মাহফুজে আগে থেকে লিখে রেখেছিলেন কেন?
আরো একটি বাক্য আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিদায় নেব-
ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে মসীহ আল্লাহর পুত্র। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে। (সুরা তাওবাহ ৯, আয়াত নং ৩০)
‘আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন’ কথাটা কার?
এমন আজগুবী ভাষায় আজব একখানি বই মুহাম্মদের মত শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই লিখা সম্ভব।
@আকাশ মালিক,
ধ্বংস হোউক আকাশ মালিকের দুই হাত, যে হাত দিয়া হেয় পবিত্র কোরানরে বিকৃতভাবে অনুবাদ ও উপস্থাপন কইরেছে। নিশ্চই হেতে ভুল ফতে রহিয়াছে, তাহার জইন্যে রহিয়াছে সীমাহীন শাস্তি। আল-কোরান, সুরা মালিকি, আয়াত, ৪২০।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনাকে শীঘ্রই নবুয়তি দেয়া হোক, আমিন।
আল-কোরান, সুরা মালিকি, আয়াত, ৪২০। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
:lotpot: :hahahee: :hahahee:
@আকাশ মালিক,
যখনই আপনি লাইন বাই লাইন তাদের কাছে ব্যাখ্যা করতে যাবেন তখন বলা হবে এগুলো সব রূপক, আপনাদের বুঝার সাধ্য নাই। গভীর চিন্তা শক্তির অধিকারী না হলে এসব বোঝা যায়না।
@আকাশ মালিক,
এ শব্দগুলো যে গালি , তা প্রথম শুনলাম। তা এখন কাফের, মুশরিক, মুনাফিক, ইহুদী, নাসারা, কানা, মূক, বধির, অজ্ঞান, মূর্খ কে কি বল্লে গালি হবে না?
ভাল করেছেন আগের ও পরের আয়াতগুলোর অনুবাদ দিয়ে। এর থেকে বোঝা যায় প্রতিটি আয়াতি আল্লাহ রসূলের মুখ দিয়ে বলাচ্ছেন। কোরান কিন্তু রসূলের মুখ নিঃসৃতবানী। পুরা কোরানটাই রসূলের বলা বানী। কোরান কোন বই আকারে নাযিল হয়নি। আয়াতটি লক্ষ করুন ।
42:10 AND ON WHATEVER you may differ, [O believers,] the verdict thereon rests with God.8 [Say, therefore:] “Such is God, my Sustainer: in Him have I placed my trust, and unto Him do I always turn!”
[Say, therefore] কথাটি উহ্য আছে যেমন [O believers,] উহ্য আছে। পরো কোরানে এইরুপ অনেক শব্দই উহ্য আছে। এগুলো আয়াতের ভাবার্থ থেকে বুঝে নিতে হয়।
@ফারুক,
আপাত চোখে নিরীহ শব্দও কিন্তু ব্যাবহার ভেদে বা বলার সুরের কারনে ব্যাংগাত্মক বা গালি হিসেবেও ব্যাবহার হতে পারে।
যেমন, আমরা স্যার সম্মানার্থে ব্যাবহার করি। কিন্তু আবার কাউকে অতি মূর্খ বোঝাতেও ব্যাবহার করি।
রাজাকার শব্দটাও ছিল স্রেফ একটা নিরীহ শব্দ মাত্র। আজ তা হয়েছে গালি। কেউ আর ব্যাবহারও করে না। কাউকে রাজাকার বলা মানে তাকে অপমান করা।
আজকের দিনেও বহু শিক্ষিত লোকে “কাফের নাসারা” এগুলি হরদম ব্যাবহার করে। এগুলি কি স্রেফ সম্মানার্থে নাকি গালি দিতে ব্যাবহার করা হয়, খোলা মনে বলেন তো? এর অনুপ্রেরনা কি তারা কোরান থেকে পায়নি?
কাফের নাসারা বলে যাদের অভিহিত করা হয় তারা নিজেরা কি নিজেদের ধর্মীয় আইডেন্টিটি বোঝাতে এসব শব্দ ব্যাবহার করে? মুশরিক মুরতাদ কাউকে বলা হলে তার প্রতি মুসলমান সমাজ কি ধারনা করে নেয়? সম্মান নাকি ঘৃণা?
আর অন্ধ, মুক, বধির এগুলি যারা আসলেই শারীরিকভাবে অন্ধ, মুক ও বধির তাদেরকে বলা মানে চরম একটা অসভ্য আচরন। আর যারা আসলেই শারীরিকভাবে তা নন তাদের বলা মানে ব্যাংগ করা বা গালি দেওয়া। যেমন চোখ থাকিতেও অন্ধ। কাফের নাসারা নাহয় কিছুটা ব্যাখ্যার দাবী রাখে, তবে আপনি এইটা নিয়েও সন্দেহে ভোগেন আমি জানতাম না।
@আদিল মাহমুদ,বুঝলাম। তা এখন ঢালাও ভাবে দোষারোপ না করে , নির্দিষ্ট কিছু আয়াতের নং উল্লেখ করেন , যেখানে এই আপাতনিরিহ শব্দগুলো গালি হিসাবে ব্যাবহৃত হয়েছে।
@ফারুক,
কোরানের যাবতীয় আয়াত আমার ঠোটস্থ নয়, তাই এ মুহুর্তে পারছি না, ঘাটার সময় নেই। যদিও মালিক ভাই কিছু দিয়েছেন।
নিতান্তই স্মৃতি এবং কমন সেন্স থেকে বলছি ঃ
ইহুদী এবং খৃষ্টানেররা তোমাদের বন্ধু নয়, তারা পরস্পরের বন্ধু। এ থেকে কি ইহুদী এবং খৃষ্ঠানদের সম্পর্কে আমার ভাল ধারনা হওয়া সম্ভব? এটাকে কি জাত ধরে অপমান করা বললে আমার ভুল হবে?
আমি আজ আমার অফিসের লোকজন যাদের সাথে নিত্যই আমার সামাজিকতা করতে হয় যদি বলি, ও হে তোমাদের সাথে আমি তোমাদের দেশের ডলার ও উন্নত জীবনের লোভে ঠিকই গলাগলি করছি তবে জেনে রাখো আমি তোমাদের কোনদিনই বন্ধু হিসেবে নিতে পারব না। কারন আমার ধর্মে নিষেধ আছে? মুখে স্বীকার না করলেও অনেকেই এই নীতি মনে মনে পালন করেন ঠিকই, সে প্রসংগ ভিন্ন।
আচ্ছা ধরেন আমি দেশেই আছি, দেশের প্রধানমন্ত্রী। কোন খৃষ্টান প্রধান দেশের খৃষ্টান রাষ্ট্রনায়কের কাছ থেকে অনুদানের টাকা নিচ্ছি। তাদেরও এই আয়াত ধরে স্মরন করিয়ে দিলাম যে, বাবা , বন্ধুত্বের কপট হাত বাড়িয়ে পেটের দায়ে তোমার টাকা নিচ্ছি ঠিকই তবে তুমি কোনদিনই আমার বন্ধু না।
আমি কি আসলে একজন বড় ধরনের হিপোক্রিট না?
এর ব্যাখ্যা আজকাল দেখি অনেকেই দিচ্ছেন। মূল কথা কন্টেক্সট চিন্তা করতে হবে। যদিও সেই কন্টেক্সট আবার বিভিন্ন জনের মতে বিভিন্ন।
১। সে সময় ইহুদী এবং খৃষ্টানদের সাথে নিয়ত যুদ্ধ হত (কথা সত্য), তাই এই আয়াত সেই সময়কার জন্যই প্রযোজ্য।
২। কিছু ইহুদী/খৃষ্টান নাকি মুসলমান ছদ্মবেশে মুসলমানদের মাঝে প্রবেশ করে ইসলামের ক্ষতির চেষ্টা করছিল।
৩। এই ব্যাখ্যা আরো সরল, এই আয়াত কেবলমাত্র বদ প্রকৃতির ইহুদী/খৃষ্টানদের জন্য প্রযোজ্যই।
৩ নং ব্যাখ্যা মোটামুটি ভাল শোনায়। তবে প্রশ্ন থাকে যে কেউ খারাপ প্রকৃতির লোক হলে সে আমার বন্ধু হতে পারে না এই সরল জিনিস বোঝার জন্য কোরানের বানীর প্রয়োযন আছে? না হলে আমি বুঝতে পারতাম যা একজন খারাপ লোক আমার বন্ধু না?
দ্বিতীয়তঃ মন্দ লোক কেবলমাত্র ইহুদী বা খৃষ্টান হলেই সে আমার বন্ধু না। মুসলমান লোক বদ হলেও সে আমার বন্ধু?
১ আর ২ নং ব্যাখ্যা সত্য হলে আমার কিছুই বলার নেই। অন্তত লোকজন আজকাল স্বীকার করছেন যে কোরানের বহু আদেশ উপদেশই সে যুগের জন্যই সীমাবদ্ধ। সেগুলি নিয়ে আজকের দিনের জীবন দর্শন বানানো হবে সভ্যতার চাকা উলটা দিকে ঘুরানো।
কাফের নাস্তিকদের প্রতি আল্লাহর জাতিগত ঘৃণা বিদ্বেষে কি কোন গোপনীয়তা আছে বলে আপনার কাছে মনে হয়? এবং তার প্রতিফলন কি সাধারন মুসলমানদের কথাবার্তায় নিত্য ফুটে ওঠে না?
@আদিল মাহমুদ,
এখানেতো জেনারেল টার্ম ব্যাবহৃত হয়েছে। এখানে গালির কি দেখলেন? আমাদের দেশে কিছু লোকের বিশ্বাস পাকিস্তানিরা আমাদের শত্রু এবং কিছু লোকের বিশ্বাস ভারতীয়রা আমাদের বন্ধুনা। এটা কি গালি নাকি সকল পাকিস্তানিই আমাদের শত্রু বা সকল ভারতীয়ই আমাদের বন্ধু না। এখন দেখার দরকার বক্তব্যটি সত্য কিনা? আমেরিকা ও ইস্রায়েলের বন্ধুত্ব দেখার পরে “তারা পরস্পরের বন্ধু” , স্টেটমেন্টটি যে সত্য , তা কি বলার অপেক্ষা রাখে? বুশের বক্তব্য ও কার্যকলাপের পরে , ক্রুসেড দেখার পরে , প্যালেস্টাইনে ইস্রায়েলের কার্যকলাপ দেখার পরে , যদি আপনার সন্দেহ থাকে ” ইহুদী এবং খৃষ্টানেররা তোমাদের বন্ধু নয়,” স্টেটমেন্টটি ভুল , তাহলে আমার বলার কিছু নেই।
অন্যধর্মের লোকের সাথে ব্যাক্তিগত সম্পর্কের গাইডলাইন ও দেয়া আছে। কোথাও ঘৃনা বা লেনদেন করতে নিষেধ করা হয়নি।
কোরানের শিক্ষা ও time bound আয়াতগুলো ছাড়া কোরানের সকল নির্দেশ , সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য।
আপনার কাছে কাছে অনুরোধ ক্যাটাগরিক্যাল স্টেটমেন্ট না দিয়ে আল্লাহর জাতিগত ঘৃণা বিদ্বেষের কিছু আয়াত উল্লেখ করুন। সাধারন মুসলমানদের কথাবার্তায় নিত্য ফুটে ওঠলেও এটা প্রমান হয় না যে , আল্লাহ এটা করতে বলেছেন। সাধারন মুসলমানদের কথাবার্তায় নিত্য ফুটে ওঠা অনেক বক্তব্যই কোরান বিরোধী।
@ফারুক,
কোরানে আমেরিকা বা ইসরাইল লেখা থাকলে আমার বলার কিছু ছিল না। খৃষ্টান আমেরিকা-ইসরাইল ছাড়াও আরো অনেক আছে।
দাবী করছেন যে টাইম বাউন্ড আয়াত ছাড়া সব আয়াতই সব সময়ের জন্য সত্য। এখন বলেন,
ইসরাইল আমেরিকা বন্ধু এটা কবে থেকে শুরু হয়েছে? আমার জানামতে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মই হয়েছে এই মাত্র সেদিন। আমেরিকার সাথে তার বন্ধুত্বের প্রশ্ন তার আগে ছিল না। কোরান নাজিলের সময় আমেরিকার অস্তিত্বও ছিল না। কাজেই এই আয়াতে ইসরাইল-আমেরিকার ইংগিত দেওয়া হয়েছে তা কি ১৯৫০ সালের পর থেকে প্রযোজ্য?
বিশ্ব রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সবই সময়ের সাথে বদলায়। আজকে আমেরিকা ইসরাইল ভাল সম্পর্ক থাকলেও ১০০ বছর পর কি হবে তা আপনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারেন? তখন কি ব্যখ্যা দেবেন? সাফ বলে দেবেন সেটা কেয়ামত পর্যন্তই সম্ভব নয়? বিশ্ব ইতিহাস বলে যে বদলানোটাই স্বাভাবিক।
আজকের দুনিয়ায় আমেরিকা-ইসরাইল জোট শক্ত বলে এই উদাহরন দারুনভাবে টানতে পেরেছেন। নবীজির মৃত্যুর পর থেকে পরের বেশ কয়েক শতাব্দী এমন কোন শক্তিশালী খৃঃ-ইহুদী জোট ছিল? ধর্মগতভাবে ইসলাম আধা দুনিয়া শাসন করেছিল। তখন এই আয়াত প্রযোজ্য ছিল না? এই আয়াত কিছু সময় প্রযোজ্য হয় আবার কিছু সময় সুপ্ত থাকে?
যাক,আমার পয়েন্ট সেটা ছিলনা। প্যালেনষ্টাইন সমস্যা নিয়ে এখানে বিস্তারিত যাবার সময় নেই। বর্তমানে ইসরাইল অত্যন্ত অন্যায় করে চললেও অন্যায় শুধু যে এক তরফা ইতিহাস তেমনও বলে না। সে কথা ভিন্ন। আপনি আমার মূল পয়েন্ট মেনে নিয়েছেন যে জাতিগতভাবেই খৃষ্টান এবং ইহুদীরা (খেয়াল করুন, আমেরিকাএবং ইসরাইল নয় কিন্তু, ইহুদী এমনকি ইসলামী ইরানেও আছে এবং বেশ ভালভাবেই আছে) মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না এমন কথা আপনি মেনে নিচ্ছেন।
আমার অভিযোগ ছিল এখানেই। জাতিগতভাবে (স্রেফ জন্মসূত্রে) কেউ আমার বন্ধু হতে পারে না এমন ধারনা হল রেসিজমের অংশ। আর যাকে আমি কোনদিন বন্ধু ভাবতে পারি না তার সাথে বন্ধুত্বের ভাব করা হল ভন্ডামী। আপনার কথায় আমেরিকা মুসলমানদের জাতিগতভাবে বন্ধু হতে না পারলে তার সাথে কেন অধিকাংশ মুসলমান দেশই বন্ধুত্বের ভান করে যাচ্ছে? বুঝলাম তেলওয়ালা দেশগুলির সাথে বন্ধুত্বের ব্যাপার নেই, স্রেফ ব্যাবসার সম্পর্ক। বাংলাদেশের মত গরীব দেশগুলির ক্ষেত্রে তো তা নয়। জাতিগতভাবে যারা আমাদের বন্ধু নয় তাদের কাছ থেকে আমরা জাতিগতভাবেই কোন মুখে সাহায্য চাই? ভণ্ডামীটা মাত্রাছাড়া হয় না? খেয়াল করেন, আপনার কথামত সাধারন জাতিগতভাবেই কিন্তু ব্যাপারটা ঘটছে। ব্যাক্তি হাসিনা ব্যাক্তি ওবামার কাছে সাহায্য চায় না।
আবার দাবী করছেন যে ব্যাক্তিগতভাবে সম্পর্ক করা যায় তেমন কোরানিক নির্দেশনা আছে। কোথাও ঘৃনা করার কথা বলা নেই দাবী করছেন। কারো সাথে আমার জাতিগত ভাবেই বন্ধুত্ব করা যাবে না, কিন্তু ব্যাক্তিগত ভাবে কিভাবে সম্পর্ক করা যায় তা আপনিই ভাল বলতে পারেন। কেউ জাতিগতভাবে আমার বন্ধু নয়, এমন কথা জানলে সে জাতিভুক্ত কোন লোকের প্রতি কিভাবে ব্যাক্তিগত শ্রদ্ধা বা বন্ধুভাব আনা সম্ভব তা আমার সীল মারা হৃদয়ে আসে না। আপনি তেমন আয়াত দেখাতে পারবেন জানি,এবং বলতে হবে যে এটাও কোরানের দুই ধরনের চেতনার প্রকাশ।
আপনার মতে বিভিন্ন খৃষ্টান দেশে ঘাটি গেড়ে বসা লোকদের কি বলা যায়? এমনও নির্দেশনাও নিশ্চয়ই বের করতে পারবেন যে তাদের জাতিগতভাবে বন্ধু ভাবা যায় না, কিন্তু তাদের দেশের উন্মাদের মত থানা গেড়ে বসার ব্যাপার সমস্যা নেই।
এই মহান আয়াত কয়জন লোকে সেসব দেশে তো দুরের কথা, বাংলাদেশে বসেও আজকের দিনে আমল করে? সত্য কথা কথনে লুকোছাপা কিসের? খৃষ্টান দেশে বসবাসরত লোকদের বলেন না এইসব আয়াত প্রকাশ্যে বলতে। তারা কোনদিন বলবে?
“আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়| অত:পর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)| ২-১৯৩
কোরানে বিশ্বাস অনুযায়ী আল্লাহর মনোনিত একমাত্র দ্বীন ইসলাম। মূর্তিপূজকদের তো কথাই নেই। এমনকি আগেকার আহলে কিতাবধারীরাও বাতিল। কাজেই এই আয়াতের মানে তো আমি বুঝি যে পর্যন্ত না কোন দেশ ইসলাম গ্রহন করে সে পর্যন্ত সেসব দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে হবে। খুব শান্তিময় কোন নির্দেশনা বলে আপনার মনে হয়? আশা করি জোর করে ইসলাম কায়েম করতে হবে এমন বলা নাই, দ্বীন বলতে ন্যায় বোঝানো হয়েছে বা লড়াই মানে আসল যুদ্ধ না রূপক এমন হাস্যকর কথাবার্তা শুরু করবেন না।
– অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই| ৩-৫৬
-খারাপ লোকদের আল্লাহ শাস্তি দেবেন বললে আমি বলতাম না যে এতে জাতিগত বিদ্বেষ দেখি। খারাপ কাজের জন্য শাস্তি দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাই বলে খারাপ কাজ ভাল কাজ চিন্তা না করে শুধু কাফের হবার জন্যই শাস্তি? কাফেরদের ভাল কাজের ফলাফল শূন্য? কাফের যে কেউ সাধ করে হয় তা নয়,কে কাফের কে মুসলমান তা অতি সামান্য কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া জন্মের সাথেই নির্ধারন হয়। আপনি এর মাঝে জাতিগত বিদ্বেষের কিছুই দেখেন না? আবার হাজির করবেন যে ভাল কাজের পুরুষ্কারের কথাও আছে?
এ জাতীয় আরো আয়াতঃ
-খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো| কারণ, ওরা আল্লাহ্র সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি| আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন| বস্তুত: জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট| ৩-১৫১
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও| অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করে চলে আসে| অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর| তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। ৪-৮৯
যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে| এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি| ৫-৩৩
এই আয়াতের আওতায় কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ ধারা লোকদের গন্য করা যায়। কারন তারা দেশে আল্লাহ রসূল প্রনীত কোরান হাদীসের আইন চালাতে দিচ্ছে না, কাজেই সোজা কথায় তারা আল্লাহ রাসূলের বিরুদ্ধাচরন করছে। ধর্মনিরপেক্ষ ব্যাবস্থার কথা বললে কেন ইসলামী লাইনের লোকজন এত ক্ষেপে যান তা বুঝতে বাকি থাকে?
– যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ| আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব| কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়| ৮-১২
সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়| ৮-৫৭
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে| ৯-২৯
-ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’| এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা| এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে| আল্লাহ্ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে| ৯-৩০
– আল্লাহ নিজেই তাদের ধ্বংস কামনা করেন? এটা কেমন হল? কামনা করা প্রার্থনা করা এগুলি করে মানুষ। যদিও দেখা যাচ্ছে যে এখনো তারা বহাল তবিয়তেই দুনিয়া দাবড়ে যাচ্ছে।
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন| তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা|৯-৭৩
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন| ৯-১২৩
অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল| অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও| তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে| আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন| কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান| যারা আল্লাহ্র পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না| ৪৭-৪
কাফের জাতির প্রতি এমন ভালাবাসায় অভিভূত না হয়ে পারা যায় না। আর কিছু কোট করতে ইচ্ছে করছে না।
আপনার কাছে শেষ প্রশ্ন। অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে কি মুসলমান বা অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপারে এত মারদাংগা হিংসাত্মক কথাবার্তা আছে? সব ধর্মেই কিছু না কিছু আছে জানি,তাই বলে এত খোলামেলাভাবে গর্দান নেবার,কেটে ফেলার মাছালা আছে?
@আদিল মাহমুদ,যুদ্ধের আয়াতগুলো নিয়ে আপনার সাথে , আগে অনেক বিতর্ক হয়েছে। লাভ কিছু কি হয়েছে? এই সুযোগে আগের কমেন্টগুলো আবার পড়লাম। আপনিও আবার পড়ে দেখতে পারেন।
কোরানে যুদ্ধের আয়াতসমূহ। (উৎসর্গ- রাখাল ছেলে)
কোরানে শুধুমাত্র আক্রমনকারী ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রথমত – অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে কি মুসলমান বা অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপারে এত মারদাংগা হিংসাত্মক কথাবার্তা আছে? এই বক্তব্যের সাথে একমত নই।
২য়ত- সকল ধর্মের উৎস যখন একি , তখন যুদ্ধের নির্দেশনা থাকার কথা বলেই আমার মনে হয়। আমি বাইবেল ও গীতার বাইরে অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ ভাল করে পড়িনি। বাইবেল ও গীতাতে যুদ্ধ সংক্রান্ত অনেক আয়াত পাবেন।
@ফারুক,
কারো সাথে যুদ্ধ বাধলে সেক্ষেত্রে হত্যা করতেই হয়, দূঃখজনক হলেও বাস্তব সত্য। এতে দোষের কিছু নেই। এই সোজা জান বাচানো ফরয নীতি বুঝতে কোরানের আয়াত লাগে? আর জাত ধরে এমন বিশেষ নির্দেশনা দেবার মানে কি?
কোরানের নির্দেশ না পেলে মুসলমানেরা যুদ্ধক্ষেত্রে কাফেরদের হত্যা করছিল না, তাই এইসব আয়াত জরুরী হয়ে পড়েছিল?
মুসলমানদের সাথে মুসলমানদের যুদ্ধ বাধে না? সেক্ষেত্রে তাহলে হত্যা করা নিষেধ, কারন যুদ্ধ বাধলে কাফেরদেরই হত্যা করার ব্যাপারে কোরান কেবল নির্দেশ দেয়? মুসলমানদের আন্তঃ যুদ্ধের ব্যাপারে এমন কিছু নেই কেন? তার অভাবে কি মুসলমানেরা মুসলমানদের যুদ্ধক্ষেত্রে পেলে ছেড়ে দিচ্ছে?
কাফেরদের কথা এত বিশেষভাবে বলার মানে কি এই সোজা প্রশ্ন আপনার মনে কোন রেখাপাত করে না?
আরেকটা জিনিস চিন্তা করেন। মুসলমানেরা নামাজ পড়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। সাথে সাথে মানসিক শান্তিও পায়। নামাজে যে কোন সূরার তিনটি আয়াত পড়া যায়। এ জাতীয় সূরা্র আয়াত বুঝে বুঝে পড়লে মনে কোন শান্তিভাব আসা সম্ভব?
হত্যা কর, কাফের জাতিকে অনন্তকাল দোজখে পোড়ানোর হুমকি, আল্লাহর দ্বীন কায়েম না হওয়া পর্যন্ত কাফেরদের সাথে লড়াই চালানোর নির্দেশ; এ ধরনের আয়াত পড়লে শান্তিভাব কোন সূস্থ মানুষের আসা সম্ভব? হোক এসব আয়াত আপনার দাবীমত প্রতিরক্ষামূলক। এইসব আয়াত পাঠ করে নামাজ পড়া কোন ধরনের ইবাদত হতে পারে?
প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধ করতে হয়, তাতে হত্যা করতে হলেও করতে হয়। খুবই সোজা কথা, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। ক্ষিধে পেলে খেতে হয় এমন কথার জন্য আপনার কোন ঐশ্বীগ্রন্থ পাঠ করতে হয়?
এসবের যায়গায় অহিংসা পরম ধর্ম, জীবে দয়া দানো এ জাতীয় কথাবার্তায় মনে কি আসল শান্তি আসে না (আসবেই এমন কথা নেই)?
আমি বাইবেল গীতার কিছুই পড়িনি। কেউ কেউ দাবী করেন যে সেগুলোতেও কোরানের মতই বিধর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক বানী আছে। আবার কেউ কেউ দাবী করেন যে থাকলেও কোরানের মত এত বেশী নেই। তাই আপনার মত জানতে চাচ্ছিলাম।
@ফারুক,
আপনার এই আয়াত অনুযায়ী হজরত আয়েশা, আলী, মুয়াবিয়া, উসমান, তালহা, জুবায়ের সহ লক্ষ লক্ষ সাহাবী সকলেই কোরান অবমাননাকারী, না কাফির?
সাক্ষী দিতে পারবেন উসমান হত্যায় কাফির জড়িত ছিল? আয়েশা ও আলির মধ্যকার জামাল যুদ্ধে ১০ হাজার, আলী ও মুয়াবিয়ার মধ্যকার সিফফিন যুদ্ধে ১২০ হাজার মুসলমান হত্যা যারা করেছিল তারা কাফির ছিল?
কেন দাদা ১৫ শো বছরের পুরনো এক অসভ্য জাতিকে আমরা অনুসরণ করতে যাবো? কোরান ছাড়া কি আপনি আমি ভাল মানুষ হতে পারিনা, আমাদের সন্তানাদিকে ভাল মানুষ করে গড়ে তুলতে পারিনা? বিশ্বাস থাকুক কোন অসুবিধে নেই, কিন্তু বিশ্বাসকে যুক্তি বা বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্যে সর্বনাশ ডেকে আনবেন না।
@আকাশ মালিক,
ইতিহাসের চরিত্রগুলো নিয়ে সীদ্ধান্ত দেয়া কি যুক্তি সঙ্গত? যেখানে আমরা জানিই না ঠিক ঠিক কি ঘটেছিল।
নারে ভাই আমি সাক্ষী দিতে পারবনা। ঐ সময়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলামনা বিধায় , কিভাবে সাক্ষ্য দিব? যদি কোন সাক্ষী দেই , সেটা কি court of law তে কি গ্রহনযোগ্য হবে?
কোরান কি কোথাও বলেছে , কোরান ছাড়া আপনি ভাল মানুষ হতে পারবেন না? নাকি কোরান না মানলেই , সকলে ভাল মানুষ হয়ে যাবে?
@ফারুক,
ভাইজান আদিল সাহেবকে যে লিংক দিয়েছেন কৌতুহল বশত দেখলাম। আদিল সাহেব তার উত্তরও অবশ্য দিয়েছন। দুই পক্ষ যুদ্ধ বাধলে সেখানে কারো উপদেশ দেয়া লাগে না কি করতে হবে। কোরান আসার বহু আগে থেকেই মানুষ তা জানত কি করতে হবে আর তা করতও। তাহলে এ ধরনের অতি সাধারন বিষয়ে কথা বলাতে কোরানের বিশেষত্ব টা কি সেটাই বুঝলাম না। তবে আপনার লিংকে মাত্র ২ঃ১৯০-১৯২ আয়াত দেখিয়েছেন। অথচ আদিল সাহেব প্রায় ডজন খানেক আয়াত উল্লেখ করেছেন। আপনার উচিত প্রতিটি আয়াতের শানে নুযুল ব্যখ্যা করা। নীচের আয়াতটি দেখুন=
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও| অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করে চলে আসে| অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর| তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। ৪-৮৯
উক্ত আয়াত পড়ে বোঝা যায় এটা কোন আত্মরক্ষার আয়াত না। এটা একটা অধিকার ও স্বাধিনতার ব্যপার। আপনি মুসলমান আপনার কাছে ইসলাম একমাত্র সত্য ও শ্রেষ্ট ধর্ম । তেমনি যিনি খৃষ্টান তার কাছে তার ধর্ম সত্য ও শ্রেষ্ট। একজন মুসলমান যদি একজন অমুসলমানের কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যেতে পারে , একজন খৃষ্টানও তার ধর্মের দাওয়াত অ-খৃষ্টানের কাছে নিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখে। যার যেটা ভাল লাগবে সেটা সে গ্রহন করবে। কারন সেটাও তো কোরানে বলা আছে-
দ্বীনের ব্যপারে জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নাই। ২ ঃ২৫৬
অথচ এর পর পরই নির্দেশ হচ্ছে = একজন খৃষ্টান তার ধর্মের দাওয়াত আপনার কাছে নিয়ে গেলে আপনি তাকে পাকড়াও করবেন বা খুন করবেন । আর এর পরেও আপনি বলছেন কোরানে সব যুদ্ধই আত্মরক্ষার জন্য? উল্লেখ্য , উপরোক্ত আয়াতের প্রকৃতি দেখে মনে হয় না , তা কোন যুদ্ধ ক্ষেত্রের কথা বলছে। বরং আল্লাহ মুসলমানকে ঠান্ডা মাথায় অমুসলিমকে হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এখন ধরা যাক, অমুসলিম গোষ্ঠী পৃথিবী ব্যপী একত্রিত হয়ে , কোরানের বানীর নিহিতার্থ অনুধাবন করে মুসলমান নিধনে ব্যপৃত হলো। কারন মুসলমানরা সুযোগ পেলেই কিন্তু ঠান্ডা মাথায় অমুসলিমদের হত্যা করবে। তাই মুসলমান হত্যার সে অভিযান তাদের কাছে আত্মরক্ষার লড়াই। তখন আপনি কি বলবেন? বতর্মানে আমেরিকা ইরাক বা আফগানিস্তানে যা করছে আপনার যুক্তিতে তাকে অন্যায় কাজ বলা যায় না কারন সেটা তাদের আত্মরক্ষার লড়াই। এর কিছুকাল পর আমেরিকা বা ইসরাইল গোটা আরবদেশ গুলিকে পারমানবিক বোমা দিয়ে ধ্বংস করে দিলেও কিন্ত তাদেরকে দোষ দেয়া যাবে না, এ বিষয়টা ভেবে দেখেছেন কখনও ? অর্থাৎ ইসলামের আইন মুসলমানদের উপর যদি অমুসলিমরা প্রয়োগ করে কি অবস্থা হবে ? অমুসলিমরা নিতান্তই উদার ও মানবীয় গুন সম্পন্ন তাই আপনারা এখনও বেচে আছেন। তবে যা শুরু হয়েছে তাতে কতদিন তারা উদার থাকবে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
@ফারুক,
এই আয়াতগুলি শুনেছিলাম, তারপর ধরেন সেই হৃদয়ে সীল মেরে দেবার আয়াত এগুলি পড়ে আমার ধারনা হত যে আল্লাহ নিজেই চান না সব অবিশ্বাসী ইসলামে ঈমান আনুক, যাদের তিনি চান না তাদের হৃদইয়ে তিনি আগেই সীল মেরে দেন যাতে নবী মুহম্মদ বা এই যুগের তাবলীগি ভাইয়েরা যতই তাদের দাওয়াত দিন না কেন তারা যেন ঈমান আনতে না পারে।
আমার এই মুক্তমনা সহ যাবতীয় নাস্তিক বিধর্মীদের পরকালের ভয়াবহ চিরন্তন আগুনে পোড়ার কথা মনে হলেই ভয় লাগে। এদের সাথে যাই হোক, কিছুটা ব্যাক্তিগত সম্পর্কের মত হয়েছিল। তাই এনারা সবাই অমন ভয়াবহ আগুনে অন্ততকাল আগুনে পুড়বেন ভাবলেই মনটা খারাপ হত।
আপনার এসব আয়াতে নিশ্চিন্ত হলাম যে এদের নিয়ে চিন্তিত হবার তেমন কিছু নেই। কারন আল্লাহ নিজেই এদের জিম্মাদার। তিনি সব অবিশ্বাসী ঈমান আনুক এটা চান না বলেই না আজ তারা কিছুতেই ঈমান আনছেন না। কাজেই এরা আসলে নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর ইচ্ছা বা আদেশই পালন করে যাচ্ছেন। এদের নিয়ে আর কেন চিন্তা করি?
তাবলীগি ভাইয়েরা ও অন্য সমমনারা যারা ইসলাম প্রচার করতে জীবনের কত অমূল্য সময় ব্যায় করছেন তারা যে সময়ের কত বড় অপচয় করছেন তাও নিশ্চিত হলাম।
@আদিল মাহমুদ,
হেঃ হেঃ হেঃ…হুদাই আশস্ত হইলেন। সুরা হিজর পড়েন টাইম পাইলে।
@আদিল মাহমুদ,
তাদের হৃদয়ে তিনি আগেই সীল মারেন , নাকি নিজ দায়িত্ব অবিশ্বাসী হওয়ার পরে সীল মারেন , সেটা কিভাবে শিওর হলেন?
একবার অবিশ্বাসী হলেই যে আর বিশ্বাসী হবে না বা হওয়ার চান্স শুন্য , তা কিন্তু আমার মনে হয় না। আমি ঘোর নাস্তিককে ঘোর আস্তিক হতে দেখেছি। সীল মারা মানে ব্রান্ডিং নয় তো?
আমার তো মনে হয় ফাউ মন খারাপ করছেন। কে যে আগুনে পুড়বে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা , এবং অনন্তকালেরো শেষ আছে , আল্লাহ যদি চান।
2:284
এই কনক্লুশনে কেমনে আসলেন? আমি তো জানি আল্লাহ সকলকেই স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী করেছেন।
@ফারুক,
এ আয়াতগুলোর মানে কি?
আর আপনি তাদেরকে শুনিয়ে দিন, সে লোকের অবস্থা, যাকে আমি নিজের নিদর্শনসমূহ দান করেছিলাম, অথচ সে তা পরিহার করে বেরিয়ে গেছে। আর তার পেছনে লেগেছে শয়তান, ফলে সে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়েছে।
অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে।
তাদের উদাহরণ অতি নিকৃষ্ট, যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার আয়াত সমূহকে এবং তারা নিজেদেরই ক্ষতি সাধন করেছে।
যাকে আল্লাহ পথ দেখাবেন, সেই পথপ্রাপ্ত হবে। আর যাকে তিনি পথ ভ্রষ্ট করবেন, সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
আর আমি “সৃষ্টি” করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা “চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর”। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ। (আরাফ ১৭৬-১৭৯)
আরেকটা প্রশ্ন আমার মাথা ঘুর ঘুর করে। কুরানে উট, ঘোড়া, ও আরবের প্রচলিত ইতিহাসের সুস্পষ্ট বর্ণনা, ইত্যাদি আছে। কিন্তু গাড়ি প্লেন ও নবী যুগের পরের কোন ঘটনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ নাই কেন? রাসুলের আগের যামানার অনেক কাহিনি তাদের যুগের মানুষদের জন্যে উদাহরন সরুপ। আমাদের জন্য কিছু রিসেন্ট উদাহরণ দেয়া উচিত ছিল না? আল্লাহ তো ভবিষ্যত জানেন। সেটা জেনেই লৌহে মাহফুজে কুরান লিখে রেখেছিলেন। এবং যথা সময়ে সে স্ক্রিপ্ট মঞ্চায়িত হল। পরের কিছু স্ক্রিপ্ট পাঠিয়ে দিলে আমাদের জন্যে একটু সুবিধা হত না?
@আনাস,
লওহে মাহফুজে কোরানের মাষ্টার কপি সংরক্ষিত রাখার অর্থ আমার কাছে পরিষ্কার হয় না।
আল্লাহর কি নিজের স্মরন শক্তির উপর ভরসা নেই? তাই তাকে সযত্নে সেই মাষ্টার কপি সংরক্ষন করতে হয়েছে (হতে পারে সফট কপি বা সফট পেপার কপি)? যাতে সন্দেহ দেখা দিলে মিলিয়ে দেখা যায়?
@আদিল মাহমুদ,
লওহে মাহফুজ বলতে আসলে আল্লাহ তায়ালা হার্ড ডিস্ক বুঝাতে চেয়েছেন। বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় লওহে মাহফুজ একটা শক্ত জিনিস। হার্ড ডিস্ক শক্ত জিনিস। লওহে মাহফুজে জিনিস পত্র সংরক্ষিত থাকে। হার্ড ডিস্কেও তথ্য সংরক্ষিত থাকে। বিজ্ঞানীরা এমন একটা জিনিস আবিস্কার করবেন এটা আল্লাহ তায়ালা ১৪০০ বছর আগে কুরানে উল্লেখ করে দিয়েছেন। সুতরাং ইহা মানুষের জন্যে ইশারা। তবে ভবিষ্যতের সকল ইশারাই অপরিস্কার। আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন। 😀
@আনাস,
তাহলে পেপার কপি নয়, ডিজিটাল কপিই রাখা হয়েছে?
তবে কপি রাখার দরকার কি তা পরিষ্কার হল না।
আল্লাহ কি সময়ের সাথে নিজের লেখা কোরান ভুলে যেতে পারেন এমন আশংকা করেছিলেন?
@আদিল মাহমুদ,
লওহে মাহফুজ কোন জায়গার নাম নয়। মাহফুজ মানে সংরক্ষিত। মাহফুজ এসেছে হেফ্জ/হাফেজ শব্দ থেকে । বাংলায় এর অর্থ হেফাজত করা , সংরক্ষন করা। লওহে মানে ট্যবলেট/পাতা , যার উপরে লেখা হয়, এটা পাথর হতে পারে , প্যপিরাস হতে পারে বা কাগজ ও হতে পারে। ফি মানে in/ভিতরে। ফি লওহে মাহফুজের অর্থ , আজকের পৃথিবীতে যে অসংখ্য কোরানের বই আছে , তার পাতায় পাতায় কোরান সংরক্ষিত এমন মানে ও করা যায়।
@আনাস,আয়াতগুলোতে না বোঝার মতো কিছু পেলাম না। আপনার কাছে কেন দুর্বোধ্য মনে হচ্ছে একটু খোলাসা করুন প্লিজ।
কোরানে এমন অনেক কিছুই আছে যা রসূলের জমানায় বোঝা অসম্ভব ছিল , এখন আমরা সেগুলো বুঝতে পারি । নেটে একটু ঘাটাঘাটি করেন , এমন অনেক তথ্যই জানতে পারবেন।
@ফারুক,
এই নিয়ে আপনার সাথে আগেও আমার কথা হয়েছে।
এই ব্যাপারটা আমার কাছে কোরানিক মূল দর্শনের একটা পরস্পরবিরোধীতা বলেই সবসময় মনে হয়।
আল্লাহ সবাইকে স্বাধীন স্বত্তা দেন, খুবই ভাল কথা। মানুষের ব্রেন আছে, সে তা খাটিয়ে বুঝবে। এটাই পরীক্ষা। খুবই সুন্দর কথা। যদিও সূক্ষ্ম কিছু প্রশ্ন আসে যে কাউকে ব্রেন দিলেও সে ব্রেন খাটাবার মত পরিবেশ পরিস্থিতি দেন না, বৈজ্ঞানিকভাবেও দেখা যায় যে মানুষের ব্রেনের পরিমান বা ক্ষমতাও কারো কম কারো বেশী। যাক, এসব কূট প্রশ্ন বাদ দেই।
ধরে নিলাম আল্লাহ সবাইকে স্বাধীন চিন্তা শক্তি দিয়েই পাঠিয়েছেন। অতএব, প্রত্যেকের কাজের জিম্মাদার সে সে। ঈমান না আনার দায়ও তারই, আল্লাহর নয়।
সূক্ষ্ম সমস্যাগুলি বাদ দিলে আল্লাহর তত্ত্ব শুধু এইখানে থেকে গেলে জোড়াতালি দিয়ে মন বুঝ দেওয়া যেত।
বড় ধরনের সমস্যা হয় যা এই তত্ত্ব পুরোই বাতিল করে দেয় তা হল যে কোরানে আবার আল্লাহই নবীজিকে বলছেন যে (আমার নিজের স্মরন, হুবহু অনুবাদ নয়) তাদের তুমি যতই বোঝাও না কেন তারা কিছুতেই ঈমান আনবে না। কারন (এখানে লক্ষ্য করুন) আমি হৃদয়ে সীল গালা মেরে দিয়েছি।
As for the faithless, it is the same to them whether you warn them or do not warn them, they will not have faith. Allah has set a seal on their hearts and
এখন এই আয়াত পড়ে এসব লোকের ঈমান না আনার কারন কি বলে আপনার মনে হয়? একটা ক্লাস ফাইভের বাচ্চাকেও তো প্রশ্ন করলে সে জবাব দেবে যে আল্লাহ যেহেতু সীল মেরেছেন তাই তারা ঈমান আনছে না। আপনি কি বলেন? এটা কি অবিশ্বাসীরা বেঈমান হবার পর সীল মেরেছেন, নাকি আগেই সীল মেরে পাঠিয়েছেন? এটা কিন্তু মোটেও চিকেন এগ আর্গুমেন্ট নয়। অত্যন্ত পরিষ্কার।
আপনি নিজেই তো মনে হয় দুয়েকদিন আগেই এখানেই কোথায় বলেছিলেন যে সবাই বিশ্বাসী হোক তা আল্লাহই চান না। আল্লাহ না চাইলে কোন বাপের ব্যাটার ক্ষমতা আছে? স্বাধীন বিচার বুদ্ধির আর কি মানে রইল?
আমি একটা বাক্স বানিয়ে আপনাকে দিলাম। আপনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেই বাক্স খুলতে, পারছেন না। আমি হাসি দিয়ে বললাম যে, ফারুক, তুমি যতই চেষ্টা কর না কেন বাক্স কোনদিন খুলতে পারবে না। কারন আমি বাক্সের মেকার তাতে তালা মেরে রেখেছি।
এখন প্রশ্ন করা হল, ফারুক সাহেবের বাক্স না খুলতে পারার জন্য দায়ী বা কৃতিত্ব কার?
বাক্সের মেকারের নয় কি? সে এমন তালা মেরে দিয়েছে যা খোলা সম্ভব নয়, তাই তো ফারুক ব্যার্থ।
এও পালটা যুক্তি আপনার কি হতে পারে? বাক্স বন্ধ হয়ে যাবার পর আমি বাকসের মেকার তাতে তালা মেরেছি? হাস্যকর শোনায় না?
আর নাস্তিক ভাইবোনদের জন্য মন খারাপের সংগত কারন আছে। কোরানেই তাদের অনন্তকাল আগুনে পোড়ার শাস্তির কথা বেশ কয়েক যায়গায় আছে। একটি বলি।
“”But those who reject Faith and belie Our Signs, they shall be Companions of the Fire; they shall abide therein.” ২-৩৯
আপনি যতই আল্লাহ যাকে খুশী তাকেই বেহেশতে দেবেন এসব বলেন না কেন তার বিপরীতে এসব আয়াত থেকেই যাচ্ছে।
@আদিল মাহমুদ,
@আদিল মাহমুদ, correction “কারন আল্লাহ কারো হৃদয় জন্মের আগে বা সময় থেকে সীলগালা করেছেন বলে আমার মনে হয়না”
@ফারুক,
সেটাই বা কিভাবে বলেন?
তিনি অনেক মানুষকে বাহ্যিকভাবেই ত্রুটিপূর্ন করে দুনিয়ায় পাঠান। কথাটা আসলে হৃদয় না, ব্রেইন বলা যুক্তিযুক্ত। কারন হৃদয় বা হার্ট দিয়ে কেউ চিন্তা করে না, ব্রেন দিয়ে করে।
সে যাই হোক, শারীরিকভাবেই তিনি মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন পরিমান ও গুনগত মানের ব্রেন দিয়ে দুনিয়ায় পাঠান। কাউকে আবার কোন ব্রেনই দেন না, মানে জন্ম থেকেই মানসিকভাবে বিকল। এদের বিনা পরীক্ষায়ই ফুল মার্কসসহ পাশ। আর আমার আপনার বেলায় চুলচেরা হিসেব।
এখন আমি যদি বলি যে আল্লাহ আসলে আমাকে সেই মানসিক বিকলের যায়গায় না পাঠিয়ে আমার প্রতি অবিচার করেছেন তাহলে কি বলবেন? বিনা বিচারে বেহেশতে যাবার মজা থেকে আমি কেন বঞ্চিত হচ্ছি? এখানে কি মানুষের জন্ম যাতে তার কোনই হাত নেই সেটাই নির্ধারক হচ্ছে না?
যেসব শিশু জন্ম হবার আগেই বা পাপ পূণ্যের হিসেব শুরুর আগেই মারা গেল তারাও তো জন্মগতভাবেই আমার থেকে অনেক বেশী ভাগ্যবান। দুই দিনের দুনিয়া তো অনন্ত পরকালের তূলনায় কিছুই নয়।
@আদিল মাহমুদ, আপনি ওনার ব্ক্তব্য দেখুন
বুঝতেই পারছেন উনি কত অন্ধ বিশ্বাসে ডুবে আছেন। আল্লাহ বা কোরানের মতো ওনার কাছ থেকেও আপনি যে কোন ব্ক্তব্য আশা করতে পারেন সেটা যতই ridiculous শোনাক না কেন। ওনার সাথে তর্ক করা বৃথা।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আসলে প্রথাগত ধর্ম মানতে গেলে একসময় না একসময়ে এখানে এসে ঠেকতেই হবে। এটাই সবাই মানতে চান না। খামোখা যুক্তির ফাঁদে পা দেন।
তবে ধর্মীয় নানান বিতর্কিতায়াত সম্পর্কে এই ফারুক ভাই এর কাছ থেকেই আমি কিছুটা হলেও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পেয়েছি। ওনার ব্যাখ্যা সত্য মিথ্যা জানি না, তবে সব মুসলমান ওভাবে চিন্তা করলে এত সমস্যা হত না।
@ফারুক,
“নিয়েছেন/এনেছেন” আর “নেন/আনেন” এর মধ্যে তফাৎ কি? আয়াতে তো স্পষ্ট বলা হচ্ছে আল্লাহ যাকে খুশি বিপথে নেন (leaves straying) আর যাকে খুশি সৎপথে আনেন (guides whom He pleases)। তাহলে কি যুক্তিতে (যেন যুক্তি আশা করছি আপনার কাছ থেকে) প্রশ্ন করছেন যে আল্লাহ কাউকে বিপথে কি নিয়েছেন ? অতীতে না নিলেও ভবিষ্যতে যে নেবেন না তার ক্লি গ্যারান্টি এই আয়াত দিচ্ছে?। বরং এই আয়াত তো এটাই বোঝাচ্ছে যে তিনি বিপথগামী করেছেন বা করতে পারেন ভবিষ্যতে (কোরান নাজিল হয়ার সময়ের আপেক্ষে ভবিষ্যৎ (এর মধ্য হয়ত সেটা করেও ফেলেছেন আল্লাহ। যেমন আমরা আপনার দৃষ্টিতে বিপথগামী হয়েছি (আল্লাহ বিপথে নিয়েছেন)।
বেড়ে বলেছেন। ভাল কাজ করার জন্য পুরস্কার সৎপথে আনা? বাহ। তেলা মাথায় তেল দেয়া আর কি। ভাল কাজ করা তো সৎপথে যাওয়ারই উদাহরণ। যে ভাল কাজ করছে না (অর্থাৎ বিপথগামী) তাকেই না সৎপথে আনার একটা মানে হয়(যেন কোরানের আয়াতের মানে হবে এটা আশা করছি আর কি!)।
আচ্ছা না হয় মেনে তর্কের খাতিরে এই হাস্যকর যুক্তি মেনে নিলাম যে, যে স্বাধীন চিন্তার দ্বারা ভাল কাজ করবে তাকেই আল্লাহ সৎপথে আনবেন আর আর যে ভাল কাজ করবে না তাকে বিপথগামী করবেন। কিন্তু স্বাধীন চিন্তাটা আসে কোত্থেকে? মন/মস্তিষ্ক থেকে নয় কি? আপনারা তো বিশ্বাস করেন মানুষের দেহ মন সবই আল্লাহর সৃষ্টী। মন বা মস্তিষ্ক কে বানায় বা কার দ্বারা চালিত?। আমার/আপনার দ্বারা? আরে আমি/আপনি এগুলো তো মন/মস্তিষ্কেরই ডাকনাম। তাহলে কার মন অর্থাৎ স্বাধীন চিন্তাটা কার কেমন হবে সেটাও তো আল্লাহর সিদ্ধান্ত বা প্ল্যাণ অনুযায়ী তৈরী। তাহলে কেন আল্লাহ নিজের কাজের দায়িত্ব মানুষের ঘাড়ে চাপান ? হে হে যেন আপনার কাছ থেকে সুযুক্তিপূর্ণ উত্তর আশা করছি।
@আদিল মাহমুদ,
কূট প্রশ্ন বাদ দিবেন কেন? মনে সন্দেহ রেখে বিশ্বাসের ভিত্তি দৃঢ় হতে পারেনা। একারনেই এককালে বিশ্বাসী ছিল , এমন অনেকেই পরে অবিশ্বাসী হয়ে যায়। আল্লাহ যখন সুবিচারক , তখন আল্লাহ বিচারের সময় এগুলো মাথায় রাখবেন , এটাই তো স্বাভাবিক। নাকি আপনি কোরানের কোথাও পেয়েছেন , যেখানে আল্লাহ বলেছেন এগুলো গুরুত্বহীন?
(আপনিও লক্ষ্য করুন) এই সীল গালা কি আল্লাহ জন্মের সময় থেকেই মেরে দিয়েছেন , নাকি কোরানের বানী শোনার পরে অস্বীকার করার পরে (নিজ স্বীদ্ধান্তে ফেইথলেস হওয়ার পরে) মেরেছেন , তা কি এই আয়াত থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়? “তাদের তুমি যতই বোঝাও না কেন” এটা এই ইন্ডিকেট করে যে রসূল অনেক বোঝানোর পরেও যখন তারা ঈমান আনলো না , তখনি আল্লাহ রসূলকে আর বোঝাতে নিষেধ করছেন রসূলকে অহেতুক কষ্ট থেকে বাচানোর জন্য। বার বার বোঝানোর পরে যখন নিশ্চিত হওয়া গেল ( রসূলের পক্ষে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় , কারন তিনি ভবিষ্যত জানেন না ) তারা ঈমান আনবে না , তখনি আল্লাহ সীলগালা করার কথা বলে রসূলকে নিবৃত করলেন। আল্লাহ যদি জন্মথেকেই তাদের হৃদয় সীল গালা করে দিতেন , তাহলে প্রথম থেকেই রসূলকে কাউকে মোটেই না বোঝানোর কথা বলাই যুক্তি সঙ্গত ছিল। বাক্সের উদাহরনের সাথে সীল গালার কোন মিল নেই সেটা নিশ্চয় উপরের ব্যাখ্যা পড়লে বুঝবেন। কারন আল্লাহ কারো হৃদয় জন্মের আগে বা সময় থেকে সীলগালা করেছেন বলে আমার মনে হয়। আল্লাহই ভালো জানেন তিনি কি করেছেন। আমি কেবল যুক্তি খাটাতে পারি , তবে সেটা যে সত্য তার গ্যারান্টি দিতে পারিনা।
আল্লাহ কি করবেন , তা আল্লাহ-ই ভালো জানেন। আমি জানি , তিনি রাহমানুর রহিম ও আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর- দাতা ও দয়ালু এবং সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং anything can be expected from Him , how ridiculous it may sound.
@ফারুক,
নবী বা ধর্ম প্রচারকরা কোন পর্যায়ে বুঝবেন যে ঠিক এরপর আর কিছু বলা অর্থহীন কারন আল্লাহ এই মাত্র সীল মেরে দিলেন (এতক্ষন খোলা ছিল)? কারো কাছে আল্লাহর বানী কয়বার পৌছানোর পর বলা যেতে পারে যে এইবারই শেষ দান? হয় গ্রহন কর, নয়ত সীল গালা মারা হবে?
কেউ বিশ্বাসী হচ্ছে না ধরে নিলাম তার নিজের দোষে। তাহলে আবার আল্লাহর ঘোষনা করে সীল মারার মানে কি?
তাহলে কিছু কিছু ঘোর অবিশ্বাসীও হঠাত করে বিশ্বাসী হয়ে যায় কেমন করে?
আল্লাহ হঠাত হঠাত র্যান্ডমলী কোন কোন সীল গালা খুলে নেন? আর বাকিদের যাদের তিনি দয়া করেন না তাদের কোনমতেই সীল খোলা নেই?
এ সংক্রান্ত কোন আয়াত আছে, যেখানে আল্লাহ বলছেন যে আমি যাদের সীল গালা লাগিয়েছিলাম, তাদের কারো কারো সীল আবার খুলে দেই? কেউ নিজ থেকে বিশ্বাসী হয়ে গেলে তার সীল আর আল্লাহর খোলার অপেক্ষা করে কিভাবে?
আমার মনে হয় আপনাকে এইবার সেই আল্লাহর ইচ্ছা আমরা কেবল যুক্তি দিতে পারি, তবে চূড়ান্ত সত্য তিনিই জানেন এমন কথা বলতে হবে।
anything can be expected from Him , how ridiculous it may sound.
আমি আল্লাহর কাছ থেকে ridiculous কিছু আশা করি না, rational আশা করি। তিনি মানুষ, জগত, স্বর্গ-নরক সবই সৃষ্টি করেছেন কোন না কোন কারনে, মানে যুক্তির কারনে। ইচ্ছের বশত নয়। সেজন্যই ridiculous কিছু শুনলেই আমার পাপ মনে সন্দেহ জাগে।
@আদিল মাহমুদ,
আমরা মনে হয় এমন একটি বিষয় নিয়ে তর্ক করছি যার ধরন সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই , যেটা আগেই বলেছি। সকলেই বলছে সীল গালা করে দেয়া অর্থ , সে আর কোন দিন বিশ্বাসী হবে না। এই অর্থ যে সঠিক নয় , তার প্রমান পাই , যখন অনেক ঘোর নাস্তিককে আস্তিক হতে দেখি। একারনেই বলেছিলাম , এর অর্থ ব্রান্ডিং নয় তো? সীলগালার অর্থ সম্বন্ধে একমত না হয়ে এই তর্ক কতটা যুক্তিপূর্ন?
“কারো কাছে আল্লাহর বানী কয়বার পৌছানোর পর বলা যেতে পারে যে এইবারই শেষ দান?” সেটা আল্লাহর ওহী পাওয়ার পরেই বলা সম্ভব , যেমনটি মুহম্মদ ওহী পেয়ে জেনেছিলেন।
দেখুন ridiculous বা rational এগুলো আপেক্ষিক , ব্যাক্তি নির্ভর। আমার ধর্মবিশ্বাসকে এই ব্লগের অনেকের কাছে ridiculous মনে হয় , আমার কাছে কিন্তু rational-ই মনে হয়। নাস্তিককে ক্ষমা করে বেহেশ্তে পাঠানোকে অনেক আস্তিকের কাছে ridiculous মনে হতে পারে , আমার কাছে কিন্তু আল্লাহর এই বিচারকে rational মনে হয়। কারন তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এই কারনেই বলেছিলাম ridiculous it may sound। শোনায় (sound) ridiculous , আসলে ridiculous না। খুবি rational।
@ফারুক,
আমি ভেবেছিলাম এটা ফুয়াদ ভাইয়ের মন্তব্য। উপরে চেক করে দেখি আপনার নাম।
আতিক ভাই যথার্থই বলেছিলেন- দেখবেন একটু চাপাচাপি করলেই তাদের ভিতর থেকে একটি করে ফুয়াদ ভাই বেরিয়ে আসবে।
@আকাশ মালিক,ফুয়াদ কোথাও কি এই একি মন্তব্য করেছিলেন বা এরুপ কোন মন্তব্য করেছিলেন একি ধরনের কোন মন্তব্যের জবাবে? যদি করে থাকেন , তাহলে তার লিঙ্ক দিন। অন্যথায় আপনার এই মন্তব্য অনেকটা এই রকম-
” ফারুক , আপনি পাগল।”
কেন?
” আমি বল্লাম তাই।”
এর কোন জবাব কি আছে?
@আকাশ মালিক,
কোরানের কোথায় যেন দেখেছিলাম, আল্লাহ বলছেন- তারা শুনবেনা, কারণ তাদের পূর্বপুরুষরাও ছিল অভিশপ্ত বা এই জাতীয় কিছু একটা। আপনি ভাল বলতে পারবেন। মানে বংশ পরম্পরায় সীল গালা করার ব্যাপার আছে। এটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার, কিন্তু সুনিদৃষ্ট আয়াতটা খুঁজে পাবার জন্য আপনার সাহায্য চাচ্ছি।
@ফারুক,
আল্লাহ যাকে খুশী ক্ষমা করার কথা বলেন ঠিকই, আবার শিরকের কোন ক্ষমা নাই তাও বলেন, অবিশ্বাসীরও ক্ষমা নাই সেটাও বলেন। কাজেই নাস্তিক কূলের অন্তত আমি কোন গতি দেখি না।
যাক, সীল গালা প্রসংগে আরেক্টি আয়াতের কথা মনে হল।
“014.004
YUSUFALI: We sent not a messenger except (to teach) in the language of his (own) people, in order to make (things) clear to them. Now Allah leaves straying those whom He pleases and guides whom He pleases: and He is Exalted in power, full of Wisdom
– এ আয়াত থেকে বলেন, কেউ বিপথে গেলে তার জিম্মাদার কে? সে নিজে নাকি আল্লাহ?
@আদিল মাহমুদ,
কেউ বিপথে গেলে তার জিম্মাদারসে নিজে। আল্লাহ যে কাউকে বিপথে নিয়েছেন , তা কি এই আয়াতে বলা হয়েছে? বিপথগামী কাউকে কাউকে সৎপথে আনবেন। কেন? হয়তো বা তাদের মধ্যে ভালো হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখেছেন বা তাদের কেউ এমন কোন ভালো কাজ করেছেন , যার পুরস্কার হিসাবে সৎপথে আনবেন।
আল্লাহ-ই ভাল জানেন কেন। তবে এটা পরিস্কার , বিপথে আ্ল্লাহ কাউকে নেন নি।
@ফারুক,
আপনি সেই গতবাধা কথাই বললেন।
“Now Allah leaves straying those whom He pleases and guides whom He pleases”
– এখানে সুপথ বা কুপথের যাবার ড্রাইভিং ফোর্স কি বোঝা যায়? মানুষের স্বাধীন বিবেক, নাকি আল্লাহতালার ইচ্ছা?
এই আয়াতের সরল অর্থ আমি বা আর যে কারোই মনে হবার কথা যে আল্লাহ প্রত্যেকের জন্য তার নিজ ভাষার বার্তাবাহক পাঠিয়েছেন, যাতে তারা সহজে বুঝতে পারে (এখানে কোরান যে আরবী ভাষীদের জন্য, নন আরবীদের জন্য নয় সে বিতর্ক করা যায়, সেটা এখন বাদ থাক)।
এরপরের গুরুত্বপূর্ন অংশ হল যে; এখন আল্লাহ ইচ্ছে সুপথে পরিচালিত করেন যাকে ইচ্ছে বিপথে নেন। এত ষ্পষ্টভাবে আল্লাহ বলে দিচ্ছেন যে তিনিই যাকে খুশী সুপথ বা কুপথ দেখান আর আপনি তার কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে স্বাধীন বিবেকের কথা আনছেন।
যদি এমন থাকত যে; যারা বার্তাবাহকের বার্তা ইচ্ছে করে বোঝে না তাদেরই আল্লাহ কুপথে নেন। তাহলে আপনার কথা মানার প্রশ্ন উঠত। তাহলে বুঝতাম যে যেহেতু কেউ কেউ ইচ্ছে করে সুপথের বার্তা গ্রহন করছে না সেহেতু আল্লাহ তাদের কুপথে নিচ্ছেন (যদিও তেমন ভাল শোনায় না)।
@আদিল মাহমুদ,
আমি যতদূর বুঝি অধিকাংশ ধর্মমতে ঈশ্বর হচ্ছেন একমাত্র আদি কারণ বা prime mover। তাহলে সবকিছুর জন্য তিনিই দায়ী। এটা কিভাবে এড়ানো সম্ভব আমার তো মাথায় আসে না।
@রৌরব,
ফারুক ভাই তো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আমার মতে দায় এড়াতে পারেন মাত্র একভাবে; তিনি সৃষ্টির পর আর দুনিয়াদারির কোন ব্যাপার নিয়েই মাথা ঘামান না এটা মেনে নিলে।
@আদিল মাহমুদ,
মানুষের দো’য়ার জবাব তিনি দেন , যদি দো’য়াকারীর জন্য ক্ষতিকারক না হয়।
আল্লাহ দুনিয়াদারির কোন ব্যাপার নিয়েই মাথা ঘামালে সমস্যা কোথায়? একটু ব্যাখ্যা করবেন প্লিজ।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যাঁ, deist রা পার পেলেও পেতে পারেন, তবে আমি তো বলব এক্ষেত্রেও assumption গুলো খতিয়ে দেখলে সমস্যা দেখা দেবে।
মাথা ঘামান না, একথার অর্থ কি? মডেলটা মানুষের ক্ষেত্রে খাটে, ঈশ্বরের ক্ষেত্রে নয়। আমি একটা দালান বানালাম, দালান কিভাবে ঠিকঠাক পরিচর্যা করা যাবে তার একটা ম্যানুয়াল বানিয়ে দালানে যারা থাকবেন তাঁদের হাতে দিয়ে দিলাম, তারপর আর মাথা ঘামালাম না। এটা চলে, কারণ, দালানের ইট, কাঠ, সিমেন্ট; সেটা দাঁড়িয়া থাকবার জন্য প্রয়োজনীয় পদার্থবিদ্যার আইন, যাঁরা ম্যানুয়াল পড়বেন তাঁদের বুদ্ধি বা নির্বুদ্ধিতা — এসব অামার আয়ত্ব এবং দায়িত্ব দুটোরই বাইরে। আমি চলে যাবার পরে দালান যে দাঁড়িয়ে থাকবে, ধপাস করে পড়ে যাবে না, তার কারণ পদার্থবিদ্যার নিয়ম আমার উপর নির্ভরশীল নয়। আমি ঈশ্বরিক অর্থে স্রষ্টা নই, অস্তিত্ববান কিছু জিনিস ব্যবহার করেছি মাত্র।
কিন্তু স্রষ্টা ঈশ্বরের যে সাধারণ মডেল, সেখানে তিনি সবকিছুর স্রষ্টা এবং sustainer। তাঁকে ছাড়া “এমনি এমনি” তো কিছু চলতে পারেনা, কারণ “এমনি এমনি” বা default বলতে যা বোঝায়, এটাও তো তাঁরই সৃষ্টি, তাই না?
@আদিল মাহমুদ,
যাকে ইচ্ছে বিপথে নেন বা তিনিই যাকে খুশী কুপথ দেখান , এটা কোথায় পেলেন? একটু বল্বেন কি? Now Allah leaves straying those whom He pleases এর অর্থ যে বিপথে আছে , সেখানেই তাকে থাক্তে দেয়া বা রেখে দেয়া। leave অর্থ রেখে দেয়া in a condition , in which he is. কোনমতেই এর অর্থ বিপথে নেওয়া বা কুপথ দেখান নয়। ( এখন কিন্তু ভাবতে বাধ্য হচ্ছি আপনার হৃদয় সীল্ড হয়ে গেছে)
@ফারুক,
আমারো মনে হয় যে আমার হৃদয়ের সীল মারা আছে, নইলে আপনার সাথে এই নিয়ে তর্কের আর কোন মানে দেখি না।
Now Allah leaves straying those whom He pleases and guides whom He pleases
– He pleases (এখানে আল্লাহর ইচ্ছা) এর মানে যে মানুষের স্বাধীন কর্মফল তা আমার সীল মারা হৃদয়ে কিছুতেই ঢুকছে না। ঢুকবে তেমন সম্ভাবনাও দেখি না।
কেউ নিজ দোষে কুপথে যাবার পর তার ব্যাপারে আবার আল্লাহকে ইচ্ছা প্রকাশ করতে হবে কেন তা আপনিই ভাল বলতে জানেন। আপনার কথামত তো ঘটনা বান্দার ইচ্ছায় আগেই ঘটেই গেছে, আল্লাহ এর পরে ইচ্ছা করে খারাপ পথে রেখে দেন এর মানে কি?
@আদিল মাহমুদ,
দোষ আপনার না , সীল্ড হয়ে যাওয়ার কথাটা জোক করেই বলেছিলাম। মনে কিছু নিয়েন না।
দোষ আমার। আমার বক্তব্য ঠিকমতো উপস্থাপন করতে আমি ব্যার্থ।
আমি যেটা বুঝি , আল্লাহ সাধারনত মানুষের স্বাধীন কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ করেন না। কিন্তু তিনি ইচ্ছা করলে যখন ইচ্ছা হস্তক্ষেপ করে ফাইনাল রেজাল্ট বদলে দিতে পারেন , যেহেতু তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। অনেকটা এই রকম। ধরুন আমি একজন প্রগ্রামার। ভিডিও গেম বানাই। আমি খেটে খুটে একটি গেম বানালাম। আমার বস গেমটি approve করলে গেমটি আলোর মুখ দেখবে , মানে বাজারজাত হবে , অন্যথায় নয়। এমনকি গেম তৈরির সময়ে ও বস গেমটির কিছু রদবদল করতে পারেন। এখন বস যেহেতু গেমটি approve করেছেন , তাহলে গেম তৈরির কৃতিত্বটা কার ? আমার নাকি বসের? approve না করলে বাজে গেম তৈরির দোষটা কার ? আমার নাকি বসের? কিছু কি বোঝাতে পারলাম!!
@আদিল মাহমুদ,
আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ও তাঁহার রাসূলের আদেশ অমান্য করিবে এবং তাঁহার আহকাম লঙ্ঘন করিবে, আল্লাহ তাহাকে অগ্নির মধ্যে দাখিল করিবেন। সে উহাতে অনন্তকাল থাকিবে এবং তাহার লাঞ্ছনাময় শাস্তি হইবে। ( সূরা নিছা, ৪:১৪)
আর যাহারা কুফুরী করিবে এবং মিথ্যা সাব্যস্ত করিবে আমার হুকুম সমূহকে, তাহারা দোযখী হইবে, উহাতে তাহারা অনন্তকাল থাকিবে। ( সূরা বাক্বারা, ২ : ৩৯)
তানভীর লেখার একটা নিজস্ব ভঙ্গি আছে, বেশ ভাল লাগে পড়তে।
তুমি যে শেষ পর্যন্ত ধর্মের আবর্জনা থেকে বের হতে পেরেছ সে জন্য :rose2: :rose2: । এটা নিঃসন্দেহে একটা বিরাট ব্যাপার যা খুব কম লোকেই পারে।
@সৈকত চৌধুরী,
কি কারবার!! আমি ধর্ম ছাড়সি সেইটা য্যান আজকের কথা!!!
@তানভী,
ঠিকাছে, তুমি পুরনো মুরতাদ, এবার হইছে?
লেখাটা ভাল হয়েছে। সকলের জবানবন্দী বেশ কাছাকাছি, এবং সেটাই হওয়া স্বাভাবিক।
আবার জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে হতাশাটাও সকলের শুরুতে ধরে বলে মনে হয়। আমার নিজেরও হয়েছে। এখন আপাতত এটার যা সমাধান করেছি সেটা বলি।
ডেনেট এর ব্রেকিং দ্যা স্পেল পড়ে শেষ করলাম কিছুদিন আগে। ওখানে শুরুতেই একটি কাহিনী ছিল পিপঁড়ে কেন ঘাসের ডগায় উঠার চেষ্টা করে বারবার। পিপড়ের মাথায় একটি পোঁকা রয়েছে যা পিঁপড়েকে বাধ্য করে সেই ঘাসের চুড়ায় উঠতে যেন পোঁকাটি কোন গবাদিপশুর পাকস্থলিতে যেতে পারে এবং নিজের বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এখন পিঁপড়েটি যদি চুড়ায় উঠে তবে একধরনের ভাললাগার অনুভুতি পায়, সেই ভালো লাগার লোভেই সে নিজের মরণ জেনেও ঘাসের আগায় উঠবে, ভালো লাগাটি দেয় পোঁকাটি। একই কথা খাটে আমাদের ক্ষেত্রেও। সেক্সের মাঝে যে আনন্দের অনুভুতি পাওয়া যায়, সেটার লোভেই মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীরা সেক্স এর জন্য তাড়িত হয় যা বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আমার মনে হয়, আমাদের মস্তিষ্কেও সেরকম কিছু আছে যার কারণে নির্দিষ্ট কাজের ফলে একধরনের সুখানুভুতি হয়। এখন কে কিসে সেই তৃপ্তি লাভ করবে সেটা নানান বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। অভি’দা বিবর্তন বা বিজ্ঞানের উপর একটি লেখা দিলে বা লেখা পড়লে সেই অনুভুত পাবে আর ফুয়াদ ভাই পাবে কোরানের বাণী পড়ে বা ধর্মের পক্ষে একটি লেখা দিয়ে। কেউ অন্যের উপকার করে সেই তৃপ্তি লাভ করবে কেউবা শুধু নিজের উন্নয়ন করে। কেউ প্রার্থনা করে সেই শান্তি পায়, আর কেউ সঙ্গীতে সেই শান্তি পায়। কিন্তু সকলের উদ্দেশ্য একই, সেটা হল নিজের মস্তিষ্কের মাঝে সেই সুখানুভুতি অনুভব করা বা আত্মতৃপ্তি লাভ করা।
তাই আমার কাছে জীবনের উদ্দেশ্য সেই তৃপ্তিকে ম্যাক্সিমাইজ করা । সমস্যা হল যে সব কাজ করলে ভাল লাগে সেগুলো করে রুজিরোজগারের ব্যবস্থ হয় না 😥 । তাই রুজির জন্য কোন একটি কাজ করতে হয়, সেটাই করি, আর বাকি সময় নিজের পছন্দের কাজগুলো করি। পছন্দের কাজের মধ্যে হচ্ছে বই পড়া, ব্লগ পড়া, ব্লগ লেখা, মুভি দেখা, কার্ড খেলা, ফুটবল খেলা ইত্যাদী। অপছন্দের কাজ হচ্ছে, কাজের জন্য পড়া, বাজার করা, বাচ্চাদের খাওয়ানো, ইত্যাদী।
@স্বাধীন,
আসলে জীবনের তৃপ্তি আদৌ আমাদের মত ছা-পোষা মানুষদের কাছে আসবে কিনা কে জানে!! কিছু করার আগেই ফ্যামিলি নিয়া চিন্তা করা লাগে!! ফ্যামিলি ছাইড়া যদি পালাইতে পারতাম!
এইতো, মাত্র কালকে রাত্রেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে ডাইনোসরের ফসিল নিয়ে একটা ডকু দেখছিলাম। কিভাবে এক একটা ফসিল খুঁজে আনে। কিভাবে ফসিলের আসল রূপ খুঁড়ে বের করে। কিভাবে সেই হাড়ের ফসিল থেকে কম্পুতে থ্রিডি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ডাইনোসরের জীবন্ত রূপ দেয়া হয়!! এক কথায় অসাধারন!! এগুলা দেখলে মনে হয়, সব ছেড়ে ছুড়ে পালাই!
তানভীর এই লেখাটা এত ভাল লাগলো। কি ভাবে যে ভাল লাগাকে প্রকাশ করব বু্ঝতে পারছিনা। এদিকে ইন্দনেসিআন টি পি আই ছানেলে বেহেস্তের ৭০ হুরেরা নাছচে খুল্লাম খুলা । তাও দেখছি। মনে হয় দেশ টা নামেই শধু মুস্লিম দেশ।
যাক আসল কথায় আসা যাক।
কমেন্ট গুলি পড়তে পড়তে হাসি চেপে রাখতে পারলাম না।ঘুম ভাল হবে। সকালে অফিসে যেতে লেট হতে পারে। তা হোক।এখন আসল কথায় আসি। সৃষ্টিকর্তা। ছোট বেলায় একবার আমিও তানভী্র মত কোন সিনিঅর কে জিজ্ঞেশ করেছিলাম যদি সব সৃষ্টির পেছনে সৃষ্টিকর্তা থাকে তবে ঈশ্বরের সৃষ্টিকর্তা কে?
উনি উত্তর দিয়েছিলেন – ধুর বলদা, ঈশ্বর ত ঈশ্বর, তা ওনাকে আবার কে সৃষ্টি করবে।চুপ হয়ে ছিলাম, কিন্তু যেন উত্তরে খুশি হতে পেরেছিলাম না। আজ ৩৫ বছর পর এটা উপলব্ধ হয়েছে এই ঈশ্বরের সৃষ্টিকর্তা আমরা।
কেই কি বেহেশতে গিয়ে দেখেছে ওটা কেমন? যদি বিজ্ঞান কিছু একটা বের করত যে ওখানে না গিয়ে এই ধরা ধামে বসেই তা দেখা যায়।কেই হয়ত
বলবে বেহেশত হচছে একটা ভাল কাজের ভাল সুখানুভুতি যা মানুষ এখানে বসে পেতে পারে। আমার মনে হয় এটাই বেহেশতের আসল ভাব যা অনেক কিতাব হয়ত মানবে না।
্ধন্যবাদ তানভী, লিখে যান।
চমৎকার জবানবন্দী! :yes:
শাবাশ আরজ আলী মাতুব্বর, প্রবীর ঘোষ, অভিজিৎ রায়! :rose:
@বিপ্লব রহমান,
মচেৎকার!! কোন হিসাবে! 😕
এইটা ঠিকাছে। 😀 :yes:
@তানভী,
বলবো? বলবো? নাহ্, থাক! 😀
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তো তুমু ফুল নাস্তিক না, সংশয়বাদী ছিলা বলে জানতাম।
– খুবই ভাল হত, আমারও প্রায়ই মনে হয় আহারে একটা মাল্টি মিলিয়ন ডলারের লটারি যদি কোনমতে জিততে পারতাম। তারপর কে আর এত কষ্ট করে কাম কাজ করে। প্রত্যেকদিন অফিস আসা, কোন মানে হয়!
তোমার মত বুইড়া ধামড়ারে বয়ায় বয়ায় খাওয়াইবো কেঠা? অবশ্য কোথাও যখন এখনো বাইজ্জা যাও নাই তো ঘর জামাই অপশন চিন্তা করতে পারো। তবে সেক্ষেত্রে মনে হয় আস্তিকের ভেক ধরাটাই উত্তম।
তবে পরকাল না থাকলেই জীবন অর্থহীন এমন ভাবনা মানুষের কেমন হয় জানি না। প্রায়ই নাস্তিকদের প্রতি এই প্রশ্ন দেখি, আপনি কেন বেঁচে থাকেন, আপনার জীবনের লক্ষ্য কি, কেন ভাল কাজ করেন…? আমি পরকালে বিশ্বাসী হলেও আমার মনে হয় না যে পরকাল না থাকলেও জীবন অর্থহীন হয়ে যাবে। জগতে কত কিছু করার আছে, দেখার আছে; সেই তূলনায় জীবন কাল খুবই অল্প।
@আদিল মাহমুদ,
সংশয়বাদী ঠিকাছে, সেইটা শুধু সৃষ্টিকর্তার বেলায়। ধর্মের বেলায় আমি ফুলটাইম নাস্তিক। কোন প্রকার ধর্মের প্রতি বিন্দু মাত্র আগ্রহ নাই।
আর ঈশ্বরের বেলায় আমার দর্শন হচ্ছে এই যে। ঈশ্বর থাকিলেও থাকিতে পারেন!! তবে তিনি বোবা,কালা, আন্ধা!! আর বয়া বয়া ভেরেন্ডা ভাজা ছাড়া তার আর কুনো রকম কাম কাজ নাই!!
তিনি বলিলেন,”হও।” অতঃপর হইয়া গেল!! এবং এরপর তিনি অনন্তকাল যাবৎ বসিয়া বসিয়া ভেরেন্ডা ভাজিতে লাগিলেন!!!
যদিও না থাকার সম্ভাবনাকেই আমি বেশি সমর্থন করি।
আহা!! আহা!!
“এই খেদ মোর মনে
ভালোবেসে মিটল না আশ, কুলাল না এ জীবনে।
হায়! জীবন এত ছোট কেনে,
এ ভূবনে! 😀
দেখার তো অনেক কিছুই আছে! কিন্তু ট্যাকে যে হুইসা নাই মামু!! 😛
@তানভী,
ওহ হো।
সাধারনত কেউ নিজেকে অবিশ্বাসীর দলে ভুক্ত করলে ধরে নেওয়া হয় যে সে ফুল নাস্তিক। প্রচলিত ধর্মে অবিশ্বাস বোঝায় না।
আসো, তুমি আমি মিলা নুতন ধর্ম বানাই, নাম দেওয়া যেতে পারে মামু-ভাগিনা ধর্ম। নামের মধ্যেই বেশ একটা কোমলতা/আহ্লাদের ছাপ আছে। এই ধর্মের অনুসারীরা অতি অবশ্যই প্রচলিত ধর্মগুলির বাজে দিক এড়াতে পারবে।
কোন ইউইনিভার্সিটি/সাব্জেক্টে ভর্তি হইলা? এখানে ডর খাইলে ই-বার্তায় জানাইতে পারো।
@আদিল মাহমুদ,
ঝা কিচ্চু বালু, তার লগে ফর্তম আলু!!
ধর্মের ভালো ব্যপারগুলাও আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যায়! বৌদ্ধ ধর্মের কথাই ধরেন, এ ধর্মে প্রার্থনার কোন ব্যপার ছিল না, ঈশ্বরও ছিল না। কিন্তু পরবর্তি অনুসারীরা এসব হাবিজাবি ব্যপার বৌদ্ধ ধর্মে প্রবেশ করায়!
ইনিবার্সিটিতে ভুর্তি হইছি এইডা তো ৮মাসের পুরান খবর!! এখন জিগান ক্যা? জাউক, ডর না খাইলেও ই-বার্তায়ই জানাইতেসি।
@তানভী,
সকল ধর্মের অনুসারীরা যে এই একি কাজ করেনি , তা কেমনে বুঝলেন। আমার তো মনে হয় সকল ধর্মের জন্য এই একি কথা প্রযোজ্য।
@ফারুক,
বৌদ্ধ ধর্মের কথা বার বার বলছি কারন বেসিকালি বৌদ্ধ ধর্ম আসলে কোন ধর্ম না। কারন ওদের ধর্ম বিশ্বাসের কোথাও ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই। এমনকি কোন প্রার্থনার ব্যপারও নেই। পরবর্তি অনুসারীরা কোত্থেকে যে এসব আমদানি করেছে কে যানে!! তাও আবার ঈশ্বর পুজা হলে এক কথা ছিল! তারা বুদ্ধের মূর্তি পুজা করে!
@আদিল মাহমুদ,
চাচা-ভাতিজা ধর্ম কি আরো ভালো হইতো না? আরে তানভীটারে দিয়ে কিছু হবেনা, কি করতে হবে আমাকে বলেন।
অফ-টপিক: লিনাক্স ইনস্টলের কি খবর??
@রামগড়ুড়ের ছানা,
তানভীরে দিয়ে আসলেই কিছু হবে না, ষাঁড়ের মত মুশকো জোয়ান ছেলে, অথচ এখনো কোন ললনার হৃদয় জয় করতে পারল না।
চাচা-ভাতিজা ধর্মে সামান্য টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। মামা ভাগিনার মত চাচা ভাতিজা সম্পর্কে অত মধুর না। আমাদের দেশে সম্পত্তি ঘটিত ব্যাপারে প্রায়ই চাচা ভাতিজার খুনাখুনি হয়, মামা ভাগিনায় হয় না। এই জন্যই মামা ভাগিনা সম্পর্কে অনেকটা ক্লীন। তবে তোমার সাথে খুনাখুনি হবে এইটা হজম করাও শক্ত। দেখি, ভবিষ্যতে কি হয়।
লাইনাক্স এখনো ট্রাই করি নাই। আমার ল্যাপ টপ এর সিডি ড্রাইভ সমস্যা করছে। অনেক সিডি/ডিভিডি রিড করতে পারছে না।
@আদিল মাহমুদ,
সমস্যা হলো চাচা-ভাতিজা ধর্মের পবিত্র খাবার সিঙ্গারা হবে নাকি পুরি হবে এই নিয়ে ব্যপক মতবিরোধের সম্ভাবনা আছে।
আহা কষ্টে মন ভরে গেল :-Y :-Y ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
হে হে! ভাগিনারে দিয়া কিছু হয়না বইলাই না মামার দরকার!! চাচা ভাতিজা দুইটাই অতি চালাক!! এক বনে দুই বাঘ কেউ হজম করতে পারবে না!! 😀
আমার এসব কথা আগে মনে হইত। রাতে বেলা জীবনরে অর্থহীন মনে হইত, দিনের বেলা কম্পিউটারের সামনে বসলে জীবনটা অর্থে পরিপূর্ণ হয়ে উঠত। আসলে জীবনের কোন অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য নাই, নিজে থেকে একটা উদ্দেশ্য বানিয়ে নিতে হয়।
আপাতত জীবন ফালায়া প্র্যাকটিকাল ক্লাস নিয়া চিন্তা করতাছি। নটরডেমে ঢুকে যে আনন্দ হয়েছিল, প্রথম সপ্তাহেই তা বিলীন হয়ে গিয়েছে।
@পৃথিবী,
হি হি!! নটরডেম যে কি পরিমান নটরিয়াস যায়গা!! ছিবড়া বানায়া ছাইরা দিবে! :laugh: তাও একদিকে ভালো, হাবিজাবি চিন্তাভাবনা করার টাইম পাইবা না! আমার কলেজে তো আমি বইসা বইসা মাছি মারতাম! এইজন্য টাইমের অভাবও হয়নাই, আর হাবিজাবি চিন্তাও শেষ হয় নাই! আরেকটু হলেই ইন্টারে চরম ধরা খাইতাম!!
@তানভী,
আমার কাছে জীবনকে একটুও অর্থহীন মনে হয়না। আমার পড়ালেখার বিষয়,যেসব কাজ করি সেগুলো আমি খুবই উপভোগ করি। আমার মনে হয় সব মানুষেরই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পৃথিবীর জন্য কিছু করা, মানুষের জন্য কিছু করা। যখন মনে আমি যে কাজ করছি তা ভাল করে করতে পারলে কিছু মানুষের উপকার হবে তখন আর সেটাকে অর্থহীন, বোরিং এসব মনে হয়না।
ধর্মের গাল-গপ্পো গুলো আমার কখনই বিশ্বাস হয়নি। ছোটোবেলায়ও যখন এসব শুনতাম কিছুতেই বিশ্বাস হতনা, সাথে বাবার সাপোর্ট পাবার কারণে বেশ কম বয়সেই আমি ধর্মে বিশ্বাস হারাই। আরজ আলী, হুমায়ুন আজাদ এদের লেখা পড়েছি অনেক পরে। আমার মনে হয় মুক্তমনে কেও চিন্তা করলে কিছুতেই ধর্মে আস্থা রাখতে পারবেনা,কিন্তু মুক্তমনে কয়জন চিন্তা করতে পারে?
প্রবীর ঘোষের ই-বই কারো কাছে থাকলে আওয়াজ দেন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
জীবনের কোন অর্থ আছে কি নেই এই প্রশ্নটাই আসলে সবচেয়ে অর্থহীন। হুমায়ুন আহমেদের একটা উক্তি আমার খুবই পছন্দ,
” জীবন সহজ না জীবন জটিলও না, জীবন জীবনের মতই। আমরাই একে সহজ করি, আমরাই একে জটিল করি।”
তাই একেক জনের কাছে জীবনের অর্থ একেক রকম।
এ ব্যপারটা অনেকটা ভূত প্রেতের গল্পের মত। ভূতের গল্প শুনতে কিন্তু সবসময়ই ইন্টারেস্টিং! কিন্তু নতুন নতুন ভূতের গল্প শোনার ফলে ছোট বেলা থেকেই ভূত আছে বলে কেমন একটা বিশ্বাস মনে তৈরি হয়ে যায়, তাই রাতের অন্ধকারে বাচ্চারা এমনকি অনেক বড় মানুষও ভূতের ভয় পায়। ছোট বেলায় কানে ময়লা হয় কেন একথা আম্মাকে জিজ্ঞাসা করলে আম্মা দুষ্টুমি করে বলত যে দুই কাঁধে দুইটা ফেরেশতা আছে যারা কানের ভেতরে গিয়ে তাদের প্রাকৃতিক কর্ম সারে!!! এই কথা শুনে মজা পেলেও একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত কিন্তু এই কথাটা অবিশ্বাস করি নি!! 😛
@রামগড়ুড়ের ছানা, অফটপিক- বিবর্তনের পৃষ্ঠায় নতুন যেসব প্রশ্ন যোগ হচ্ছে, সেগুলোকে কি কোনভাবে নীড়পাতায় প্রদর্শন করা যায়? প্রত্যেকদিন বিবর্তন পাতাটা চেক করা অনেকের পক্ষেই হয়ত সম্ভব না, তাই নীড়পাতায় এর জন্য একটা আপডেট পেইজ রাখতে পারলে ভাল হত।
@পৃথিবী,
ভালো কথা বলেছেন। আপডেট প্রদর্শনের ব্যবস্থা হয়তো করা যাবে কিন্তু আপডেটতো হতে হবে। বিবর্তন পৃষ্ঠার কাজ কি চলছে নাকি থমকে আছে ?
@রামগড়ুড়ের ছানা, হুম মাঝখান দিয়ে থেমে গিয়েছিল, তবে এখন আবার এডিটরদের ঘুম ভাঙতে শুরু করেছে। আসলে সবাই এত ব্যস্ত যে এক টানে সব প্রশ্নের উত্তর লিখে ফেলাটা কষ্টকর। আপডেট হচ্ছে ঠিকই, বিবর্তনের গতিতেই হচ্ছে 😉
@পৃথিবী,
খেয়াল করেন সাম্প্রতিক পোস্টের নিচে আপডেট যোগ করা হয়েছে। আমি আপাতত দুটি লিংক দিয়েছি, ওখানে কি ধরণের কনটেন্ট চান সেটা আমাকে জানান। আর্কাইভের সাথে জড়িত অন্যদের সাথে আলাপ করে নিতে পারেন। আর নতুন যেসব লেখা যোগ হবে সেগুলোর লিংক আমাকে পাঠিয়ে দিবেন।
এ রকম একটা লেখা ব্লগে দেয়ার আদৌ কোন অর্থ আছে কিনা কে জানে!! এধরনের লেখা দিতে এবং ব্লগে দেখতে আমার নিজেরই বিরক্ত লাগে। তারপরও কেন দিলাম, কি বুঝে দিলাম জানিনা! কেউ বিরক্ত হলে তার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী :-X ।
@তানভী,
জীবনটা খালি হুদা হুদা লাগে না ? হুম ! :-/
বয়স, বয়স, সব বয়সের ব্যাপার। এই বয়সে প্রেমে না পড়লে এমনই লাগে।
তানহা ! তানহা ! হিয়াপে জিনা, এ কই বাত হ্যায় ?
@আতিক রাঢ়ী,
পিরিতি! তাও আমার কপালে!! হইবেনা হইবেনা! এই বদনা মার্কা নিরস টাইপের নাস্তিক মুরতাদ ছেলেরে কুন গাধী পছন্দ করিবে! সবই কপালের দুষ!
আমার বড় ভাইদের ইয়ে রা ওদের কে বলে,” এখন যত নাস্তিক নাস্তিক ফাল পারার পাইরা নাও, বিয়ার পরে ইস্ক্রুপ টাইট দিমুনে” (সরাসরি না বললেও কথাটা আমার কানে এসেছে!) এই ডরে এখন ভূলেও মেয়েদের দিকে তাকাই না!! :-X
@আতিক রাঢ়ী, :laugh: :laugh: :laugh: