কবিতা অথবা রহস্য খোলার রেঞ্চ

১.
ঘোড়ার রোগ ব্যাধির তালিকা মুখস্ত করছে মুন। কোলে উপরে ক্লাশ নোট। মাথা নিচু। এখন তার ঘুম আসছে। কিন্তু ঘুমোবার সুযোগ নেই। কাল পরীক্ষা। পরীক্ষক যদি হেসে ওঠেন, তাহলে ফেল। রেগে গেলে পাশ।
পাশের চেয়ারে বসে কল্লোল কথা বলছেন আরেকটি মেয়ের সঙ্গে। মেয়েটির চোখে মুখে মুগ্ধ বিস্ময়। একজন মানুষ কী করে কবিতার মতো কথা বলে?

-খিদে পেয়েছে। মুন নোট থেকে মুখ তুলে বলল। কল্লোল একটু ভ্রু কোচকালেন। আরেকটি মেয়ে চেয়ার টেনে বসেছে। হাতে চায়ের কাপ। বলল, অমল কান্তি কবিতাটি বলুন না কল্লোল ভাই, প্লিজ।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে শুরু করল। মুন বলল, খিদে পেয়েছে।
থেমে গেলেন কল্লোল। মাথার চুল দুহাতে খামচে ধরলেন। কিছুক্ষণ থম মেরে থাকলেন। নতুন মেয়েটির হাত থেকে চায়ের কাপটি নিলেন। দাঁড়িয়ে পড়লেন। ক্যাফেটারিয়াতে অনেক ছেলেমেয়ে। গল্প করছে। চা খাচ্ছে। সিঙ্গাড়া খাচ্ছে। রাজনীতি করছে। অথবা ফিসফিস। কেউ কেউ একা।
-শুনুন। কল্লোল তার ঝংকৃত কণ্ঠে বলে উঠলেন। শুনুন আপনারা। একটি কবিতাকে বিব্রত করার প্রতিবাদে আমি আমার মাথায় গরম চা ঢেলে দিচ্ছি।
এবং সত্যি সত্যি তিনি সবাইকে অবাক করে গরম চা নিজের মাথায় ঢেলে দিলেন।
কেউ এগিয়ে আসেনি। সবাই দর্শক। অনেকেই কেটে পড়লেন। কেবল মুন নামের মেয়েটি তার নিজের চোখের জল নিয়ে এগিয়ে এসেছিল।
এই চোখের জল কি কবিতা? নাকি সেদিনের ঠোঁটের অমলকান্তি?

২.
চৈত্রমাস তখনো আসেনি। দুপুরে গরম। আমগাছের ছায়া ঘন হয়ে এসেছে।
সেলিম ভাই হাফাতে হাফাতে এসে বললেন, খাইছো কিছু?
উত্তরের অপেক্ষা না করে আবার ছুটে চলে গেলেন।
রিকশা থেকে একজন আধবয়েসী লোক নামলেন। কালো। টাক মাথা। কিছুক্ষণ মুক্তমঞ্চের দিকে তাকালেন। ওখানে লেখা স্বৈরাচার বিরোধী কবিতা পাঠ। কিন্তু কোনো লোক নেই। চারিদিকে ফুল ফুটে আছে।
সেলিম ভাই খাবার নিয়ে এলেন। বললেন, খেয়ে নাও।
দুজনে থেতে শুরু করব, এ সময় তিনি লোকটিকে দেখলেন। বললেন, একি, এ যে দেখছি কবি ফয়েজ আহমদ আইসা পড়ছেন।
তিনি ছুটে গিয়ে লোকটিকে ডেকে আনলেন রাস্তা থেকে। আমরা তিনজন ঘাসের উপরে বসে ভাগ করে মধ্যাহ্ণ ভোজন সারলাম। সেলিম ভাই খুব ডগোমগো। ঢাকার বিখ্যাত সাংবাদিক কবি এসে গেছেন। আমাদের সঙ্গে গাছের ছায়ায় বসে আছেন। এবং কবিতা পড়বেন। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম ঘাসের উপরে।
বেলা পড়ে এসেছে। চোখ মেলে দেখি, অনেক লোক জমে গেছে। কেউ কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কেউ কেউ বসে পড়েছে ঘাসে। ফুলের বাগানে। একজন মহিলা কবিতা পড়ছেন। শাদা শাড়ি। লালপাড়। ময়মনসিংহ শহর থেকে এসেছেন। তাকে মাঝে মাঝে দেখেছি ব্রহ্মপুত্রর পাড়ে একজন বয়স্ক লোক সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে চুপচাপ বসে আছেন। কখনো টিএসসির পাথুরে চেয়ারে- কোনোদিন শহীদ শামসুল হক হলের স্কুল অব থটে। সেলিম ভাই বললেন- ইনার নাম তসলিমা নাসরিন। কি একটা লিটিল ম্যাগাজিন বের করেন। তিনি কবিতা পড়লেন বিজ্ঞপ্তি পাঠের মতো। হাততালি পাওয়া গেল না। দর্শক উঠি উঠি করছে।
হাসানুজ্জামান কল্লোল কবিতা পড়লেন। কেউ কথা রাখেনি- তেত্রিশ বছর কাটলো। আহা, দর্শক হাততালিতে ফেটে পড়ল। তিনি পড়লেন নাজিম হিকমতের – প্রিয়তমা আমার, তোমার শেষ চিঠিতে তুমি লিখেছে..। স্বৈরাচার বিরোধী কবিতা উৎসব জমে গেল।
পুরনো আমগাছের তলায় ঘুমিয়েছিলেন সেলিম ভাইয়ের সেই ঢাকা থেকে আগত কবি। বেশ কয়েকটি পাতা তার গায়ে ঝরে পড়েছে। এতো কবিতা পাঠ আর হাততালির মধ্যেও তিনি অঘোরে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন। সেলিম ভাই করিৎকর্মা লোক। তিনি কবিকে ডেকে তুললেন। বললেন, চলেন, কবিতা পড়বেন।
-কী পড়বো?
-কবিতা।
-কি কবিতা?
-স্বৈরাচার বিরোধী কবিতা।
-হুম। বুঝসি। চলো। আমি কবিতা পড়বো। কবিতাই পড়বো।
তিনি দর্শকদের ভেদ করে চলে গেলেন মঞ্চে। চোখে এঁটে নিলেন চশমা। আর একটা প্যাকেট খুলে কী একটা মুখে পুরলেন। চিবুতে লাগলেন।
দেরী দেখে কোনো কোনো দর্শক উসখুস করছে। তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসি দিলেন। মাথাটা নাড়লেন। ডোন্ট ওরি। এখুনি কবিতা পড়া শুরু হবে। দর্শক রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছেন। চারিদিকে পিন পতন নীরবতা।
তিনি পড়লেন তার সদ্যোজাত কবিতা-

ওরে স্বৈরাচার
তুই বড়ো দুরাচার।
আমি খাই আমের আচার..

আরও কি সব। শোনা গেল। দর্শক তুমুল হর্ষ ধ্বনি করতে লাগল। এক সময় কবিকে মঞ্চ থেকে কাঁধে করে নামিয়ে আনল। দীর্ঘ মিছিল শুরু হল। নেচে গেয়ে অসাধারণ সে মিছিল। ওরে স্বৈরাচার/ তুই বড়ো দুরাচার।/ আমি খাই আমের আচার..
স্বৈরাচার এক কবিতা নিপাত গেল।
এরপর থেকে আমের আচারের বিক্রি হু হু করে বেড়ে গেল। আর বিখ্যাত হয়ে গেলেন সেদিনের সেলিম ভাইয়ের ফয়েজ আহমদ ওরফে সত্যিকারের আব্দুল জব্বার। প্রফেসর, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ। ইতি দ্বিতীয় সর্গ।

৩.
মাইকের সামনে একজন মানুষ এসে দাঁড়ালেন। গোলগাল মুখ। চোখে গোল চশমা। গাঢ় গোঁফ। প্রিন্টেড শার্ট। ঢলঢলে। পরনে জিন্স। ঠোট টিপে ধরলেন। তারপর শুরু করলেন তার কবিতা পাঠ। ছাট কাগজের মলাট। জলমগ্ন পাঠশালা। রেঞ্জ দিয়ে একটি একটি কবিতার রহস্য খুলে ধরলেন আমাদের সামনে।
কবিতার প্রতিটি সত্য শব্দ তিনি উচ্চারণ করছেন পূর্ণভাবে। ধীরে ধীরে। শব্দের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসছে শব্দের মর্ম। শব্দের অধিক অন্য কোনো শব্দ। তার অস্থি, মজ্জা- প্রাণ। একেই বলে শব্দ ব্রহ্ম। ব্রহ্মের শব্দ। ম্যাজিকের মতো এই শব্দপাপড়িগুলো আমাদের সামনে রচনা করছে রূপের জগৎ। রহস্যের প্রণয়। আর গুপ্ত ঘাতকের ছুরির ফলা। লাফিয়ে উঠছে আমাদের যাপিত জীবন, স্বপ্ন, সাধ, ব্যর্থতা আর শান্ত ঈর্ষা।
যে মেয়েটি ভালবাসতে শুরু করেছে- তার ভালবাসা গভীর হয়ে গেল। যে ছেলেটি ভালবাসেনি, সে ভালবাসা শুরু করল। যে লোকটি জেনেছে, বেঁচে থাকা মানে আসলে এক ধরনের দায়িত্ব, তিনি জানলেন , বেচে থাকা মানে বেদনা এবং ভালবাসার দ্বৈরথ। অপার বিস্ময়।
সেদিন এই কবিতা পাঠের আসরে আমার পাশ থেকে বৃদ্ধ আমগাছগুলো গুটিগুটি পায়ে হেঁটে কবির সামনে গিয়ে বসেছে। করিডোর থেকে বোগেন ভিলিয়ার ঝাড় আর এলামেন্ডাও চলে এসেছে দর্শকদের ভেতরে। গাদা আর হলিহক পরস্পরের দিকে তাকিয়ে রইল। দূর থেকে ঘাড় উঁচু করে কান খাড়া করছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র। জাফরান, মহুয়া আর চন্দনবন। তাদের সঙ্গে চুপচাপ লেপ্টে আছে একটি পাওয়ার টিলার। মানুষের মাঝখানে সেই প্রথম আমরা দেখলাম আকাশ থেকে একজন দেবদূত ঘোষণা করছেন আকাশ বানী। আর যারা শুনছেন সেই বানী- তারাও হয়ে গেলেন দেবদূত। শান্ত। সৌম্য। সুন্দর।
এই-ই কবিতা। এই-ই কবি। আমার কবি।

৪.
সন্ধ্যে হলেই খোকা ভাইয়ের মনে গান আসে। খোলা মাঠের মধ্যে বসেন ঠিক ঘাসের উপরে। হালকা বাতাস। পাশেই কয়েকটি আকন্দ গাছ। পাতা নড়ে। পাতা চড়ে।
সবার শেষে আসেন বাবুল ভাই। হাপাতে হাপাতে। কয়েকটি ডিম তিনি ইককিউবিটরে রেখে এসেছেন। ২১ দিন পরে ফুটবে। কয়েকটি শিশুমুরগী দানা খুটে খুটে খাবে। এই ভেবে তিনি সারাক্ষণ ইনকিউবিটরের সামনে বসে থাকেন। আর নিজেন ভেতরে অনুভব করেন আসন্ন মাতৃস্নেহ।

খোকা ভাই হারমোনিয়াম টিপে টিপে গাইছেন-

নিশিদিন মোর পরানে প্রিয়তম মম
কত-না বেদনা দিয়ে বারতা পাঠালে।।
ভরিলে চিত্ত মম নিত্য তুমি প্রেমে প্রাণে গানে হায়
থাকি আড়ালে।।

টেন টেনে গাইছেন খোকা ভাই- নিশিদিন মোর পরানে। ঘুরে ফিরে অনেকটা সময় নিয়ে। কতনা বারতা পাঠালে। বাতাস কেটে কেটে যাচ্ছে শব্দগুলো। গন্ধপথের মতো দূরে চলে যাচ্ছে। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আবার ফিরে আসছে। বারতা পৌঁছে যাচ্ছে। বারতা ফিরিয়ে আনছে। চিত্ত ভরে উঠছে। প্রেমে প্রাণে গানে। আবার এসবের বাইরে যে আড়ালে যে আমি আছি হাহাকার করে উঠছি। বারতার চেয়ে বেদনা কেঁদে কেঁদে উঠছে।
হালকা কুয়াশা ভেদ করে চাঁদ উঠেছে আকাশে। অনেকটা ঝুঁকে পড়েছে এই খোলা মাঠের দিকে। আর আকাশ থেকে ঝাঁক বেঁধে নেমে এসেছে পরীরা। ডানা মেলে ঘাসের উপরে কুয়াশার গায়ে ভর দিয়ে বসে পড়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে। দূরে ইউক্যালিপটাসের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে দূরাগত ট্রেন গেছে থেমে।

খোকা ভাই গাইছেন-
ভরিলে চিত্ত মম নিত্য তুমি প্রেমে প্রাণে গানে হায়
থাকি আড়ালে।।

একটি গানই গাইছেন খোকা ভাই। না থেমে, না থেমে। কখনো ধীরে- কখনো দীর্ঘলয়ে। আর নির্মাণ করছেন বেদনা, ভালবাসার ছবি- হাওয়া দিয়ে নির্মিত এই চিরন্তন ছবিটি।
কখন বাহাদূর এসে বসে পড়েছে আকন্দগাছের পাশে আমরা কেউ বুঝনি। আধো আলো আধো অন্ধকারে ঘাসের ভেতরে থুতনি রখে শুয়ে আছে বাহাদুর। দুচোখ বন্ধ। বাহাদুর যেন এই গানের পর্বে পর্বে আকন ফুলের গাছ ।
অনেক রাতে সেলিম ভাই উঠে দাঁড়ালেন। সোজা পরীদের ভেতর দিয়ে চলে গেলেন, মাঠের মধ্যে দিয়ে- কাউকে কিছু না বলে, না কয়ে বারতাকে বুকে করে। বাবুল ভাই ফিরে গেলেন তার মাতৃস্নেহের টানে ইনকিউবিটরের ঘরে। ভালবাসার ভার তার বুকে। যোয়েব কিছুটা বিহ্বল। খোকা ভাইয়ের হারমোনিয়ামটি কাঁধে নিয়ে হাঁটা শুরু করেছে কোথায় ঠিক নেই। বন থেকে বনান্তর। জীবন থেকে জীবনান্তরে।
আর সবশেষে আকন ফুলের মাঝখান থেকে উঠে দাঁড়াল বাহাদূর। অনেক কষ্ট করে থুতনিটা উঁচু করল। আকাশের দিকে তাকাল। সামনের দুপা আগে- পেছনের দুপা পরে একবেঁকে দাঁড়াতে পারল। একা একা। চারিদিকে আবার চোখ মেলল। একবারমাত্র। মেঘের ভেতরে যে চাঁদ ঢুকে পড়েছে তার দিকে তাকিয়ে কি ভেবে একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। তারপর এলোমেলো পায়ে হেঁটে গেল সামনে। মাঠ পেরিয়ে। গাছ পেরিয়ে। ট্রেন পেরিয়ে। আকাশ পেরিয়ে। মেঘ পেরিয়ে। গন্ধপথে। মন্দ্র পথে। যেখান থেকে ফিরে এসেছিল, সেইখানে। সেইখানে।
ডেকে বরলাম, বাহাদু..র।
কেউ শুনল না। কেউ শুনবে না। কেবল চোখে পড়ল, তার শীর্ণকায় লেজটা একেবারে মিলিয়ে গেছে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের আগে।

………………………….
কবি কাজল শাহনেওয়াজের দুটি কবিতা
……………………
বাহাদুর

প্রতি সন্ধ্যায় দেখি তাকে হেঁটে হেঁটে হারিয়ে যেতে, চলে যায় কোথায় যেন
লাল টানেলের করিডোর ঠেলে প্রেমিক প্রেমিকার মাঝ দিয়ে
লাইব্রেরীর কাঁচ ভেদ করে এলামন্ডার উজ্জ্বল হলুদ পাপ ছুঁয়ে
সে যেন কোনো এক অসীম বলবান শক্তিশরীর হয়ে
অদৃশ্য হয়ে যায় খোঁড়াতে খোঁড়াতে।
এইতো ছিলো সে এই অন্ধকারে, খুঁটে খাচ্ছিল
ভিটামিন, শর্করা, সেলুলোজ, খনিজ কিছু কিছু
পরক্ষণেই সিমেন্টের ঢেউ ভেদ করে অন্যদিকে রাজপথে
খুট খুট করে হাঁটছে একাকী একা একা
সারারাত মাঠময় ঘুরে ঘুরে হাঁটে, দু’এক কদম
থমকে দাঁড়ায় লেভেল ক্রসিংয়ে, দূর থেকে দেখে
নতুন স্টেডিয়ামের হংশবলাকা ছাদ, ধীরে ধীরে হাঁটে
হাঁটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের হাতে আহত করা
অপারেশন শেখার গিনিপিগ ঘোড়া
রাত শেষে পেরিয়ে যায় তুঁত গাছ, আকাশের তারাদের দিকে।

আরো একবার ফিরে আসে
যেন ভালোবাসার লোভ হয় অপারেশন ঘরে…

রহস্য খোলার রেঞ্চ

হাত থেকে পড়ে গেলো ইস্পাতের রেঞ্চ ঝনঝন শব্দ করে
মেঝে মেঘলাতে
এমন সময় সোনা গাভী এসে মুখ দিলো হীরের ঘাসে
ওয়ার্কশপে যন্ত্রপাতির কাছে
আমি ঘষে যাই লোহার কবিতা
একা একা

কবে থেকে
টুকটাক ধাতুখন্ডদের সাথে কথা বলি
গল্প বলি নেবুলার বড়ো হয়ে ওঠা
মহাকাশযানের আজীবন একা থাকা
চতুর্মাত্রায় অনন্ত জীবন
কোয়ার্ক নাম ধরে ডাকি, ওগো দরোজা খোলো, জানালা খোলো
আমার কথা শোনো
কিউব, ট্যাপার আর গিয়ারের ফুলেরা

আজ কি যে হলো আমার
হাত থেকে কেন যে পড়ে গেলো ঝনন করে
রহস্য খোলার রেঞ্চ
সোনার গাভী এসে মুখ দিলো আমার
বাগানের হীরের ঘাসে
অচেনা ধাতুর এক গাভী এসে।