আমরা আগের প্রবন্ধে কি কি করতে হবে-সেই নিয়ে আলোচনা করেছি। এবার সেগুলোকে বাস্তবায়িত করার পন্থা নিয়ে ভাবতে হবে।
আদর্শকে বাস্তবায়িত করার উপায় জনসংগঠন। ইসলাম, হিন্দুত্ববাদি এবং কমিনিউস্ট-এরা সবাই জন সংগঠন গড়তে ওস্তাদ। এটাই এদের শক্তির ভিত্তি। সুতরাং তার পালটা জবাব দিতে গেলে আমাদের ও জনসংগঠন গড়তেই হবে। এবং যেহেতু আমদের গাইডিং প্রিন্সিপল গণতন্ত্র এবং বিজ্ঞান-সেহেতু প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আরো উন্নত গণসংগঠন গড়তে হবে। শুধু ব্লগ লিখে এর ওর পিঠ চাপড়ালে হবে না। আজকাল ফেসবুকের যুগে কোন একটা ইস্যুতে লোকজন জড় করাও সোজা-এদিকে সেদিকে মিডিয়াতে দু চারটে প্রতিবাদ পত্র ও পাঠানো যায়-কিন্ত এসবই বিন্দুতে সিন্ধু যদ্দিন না আমরা গ্রামে গ্রামে শহরে শহরে সংগঠন না গড়তে পারব।
সুতরাং কি উপায়ে সংগঠন গড়া যায় তাই নিয়ে ভাবতে হবে।
সাধারণত দুই উপায়ে সংগঠন তৈরী করা যায়। একটি হচ্ছে নিজেদের গ্রুপে করে এনজিও বা ফাউন্ডেশন টাইপের। নন প্রফিট কর্পরেশন । এখানে একটি প্রাইভেট বোর্ড থাকে। মুক্তমনা ও অনেকটা এই টাইপের সংগঠন। আমি অবশ্য সম্পূর্ন ব্যাবসায়িক ভিত্তিতেই সিটিজেন সাংবাদিকতার মিডিয়া সংগঠন চালিয়ে থাকি। এই ধরনের সংগঠন থেকে প্রকাশনা, অর্থ সংগ্রহ বা সেবা মূলক কাজ ভাল হয়। অন্য আরেক ধরনের সংগঠন হল গণ সংগঠন। যেখানে তৃণমূল থেকে গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে বিরাট সংগঠন গড়ে তোলা যায়। সেখানে প্রাইভেট বোর্ডের বদলে নির্বাচিত সংগঠকরা থাকবেন। নির্বাচিত সংবিধান থাকবে দলের। সংবিধানই হবে সেই দলের মেরুদন্ড। রাজনৈতিক শক্তির উৎস হতে গেলে এই ধরনের সংগঠন গড়ার বিকল্প নেই।
নিজের অভিজ্ঞতায় যেটুকু বামপন্থী সংগঠন দেখেছি-তার থেকে এটুকু বুঝেছি সংগঠনের সংবিধান এবং নেতাদের ভিত্তি গণতান্ত্রিক না হলে, আজকে না হলে কালকে আরো দলে ভাংবেই। সুতরাং বৈধ একটি সংগঠন করে সবাইকে নিয়ে চলতে গেলে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি গুলিকে অনুসরন করতে হবে।
আমার ব্যাক্তিগত মতে মুক্তমনা বা আরো অনেক বিজ্ঞান সংগঠন নানান গঠন মূলক কাজে এগিয়ে আসতেই পারে। কিন্ত জন সংগঠন গড়ার প্রথম ধাপ হিসাবে, একটি শক্তিশালী সংবিধান গড়া দরকার, যা হবে এর মেরুদন্ড এবং তা স্বল্প পরিসরে হলেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই পাশ করাতে হবে মেম্বারদের মধ্যে। সেই সংবিধানেই নির্দেশ থাকবে, এর গঠন কাঠামো কি হবে-কি কি অপরিবর্তনীয় ধারা থাকবে। কি কি পরিবর্তনীয় ধারা থাকবে। কিভাবে নির্বাচন হবে। মেম্বারশিপ ফিস। কাজের কাঠামো ইত্যাদি। এটি পাশ হওয়ার পরে, আমাদের সাংগঠনিক নির্বাচন করতে হবে।
সুতরাং আমাদের প্রাথমিক কাজগুলি হল [ যা আমরা এই ব্লগের মাধ্যমেই করতে পারি]
[১] একটি নাম ঠিক করা
[২] সংবিধানের খসরা বানানো
[৩] একটি সংবিধান কমিটি বানানো যারা এই নতুন গণ সংবিধানের সংবিধানটি তৈরী করবে।
আসুন এই ব্লগে আমরা আলোচনা করতে পারি, সংবিধানের ভিত্তি কি হবে।
* অপরিবর্তনীয় ধারা কি কি হবে ? অপরিবর্তনীয় ধারা হচ্ছে মূল ভিত্তি। এখানে মূল ভিত্তি হওয়া উচিত [ আমি অবশ্য সবার ইনপুট চাইছি ] বিজ্ঞান চেতনা, বিজ্ঞান প্রয়োগ এবং পরিবেশ রক্ষক। বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত জার্নালে যে জ্ঞান আহরিত হয়েছে প্রকৃতি এবং সমাজবিজ্ঞানে তাই একমাত্র গ্রহনযোগ্য জ্ঞান হিসাবে বিবেচিত হবে। রাজনীতি, ধর্ম, রাষ্ট্র ইত্যাদি ক্ষেত্রে দৃষ্টিভংগী হবে, বিজ্ঞান মুখী। অর্থাৎ নৃতত্ত্ব বিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানে ধর্ম, রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে যে ধারনা আমরা গবেষনার মাধ্যমে জানতে পারছি-সেই রামধেনু রঙেই রাঙা হোক এর চেতনা যার ভিত্তি হবে গবেষনা। এছারাও আমাদের দৈন্যন্দিন সমস্যাগুলি সমাধানের জন্যে স্থানীয় এবং রাষ্ট্রীয় স্তরে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যাবহারের মাধ্যমে বিদ্যুত , দূষন , খাদ্য , জ্বালানী এবং দুর্নীতি সমস্যার সমাধানের পথে কাজ করতে হবে। এই ব্যাপারে আমাদের নানান ফিল্ডে এক্সপার্ট প্যানেল থাকা উচিত-যারা নানান বিষয় নিয়ে গবেষনা করবে, যার মূল উদ্দেশ্য হবে আমাদের উপমহাদেশে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আরো বেশী কি করে ব্যাবহার করা যায় রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারী উদ্যোগে। এছারাও বিজ্ঞান প্রসারের এবং ধর্মের ক্ষতিকর দিকগুলি নিয়ে আলোচনার জন্যে আমাদের নিজস্ব প্রিন্ট, কেবল, এফ এম এবং ইন্টারনেট মিডিয়া থাকতেই হবে। এগুলো অপরিবর্তনীয় ধারাতে থাকা উচিত।
* পরিবর্তনীয় ধারা কি কি হবে? সাংগঠনিক কাঠামো, আশু উদ্দেশ্য-রাজনৈতিক স্ট্রাটেজি, ভোটিং কাঠামো-এগুলি পরিবর্তনীয় ধারাতে রাখা উচিত।
* কারা মেম্বার হবার যোগ্য? যারা বিজ্ঞানের গবেষনা লদ্ধ জ্ঞানকে, সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্যে একমাত্র পথ বলে মনে করেন। তিনি আস্তিক, নাস্তিক, কমিনিউস্ট যে কেওই হতে পারেন। কিন্ত রাষ্ট্র ও সমাজের ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তকেই সেরা সিদ্ধান্ত বলে মানতে হবে।
* সামাজিক আইন নিয়ে অবস্থানঃ সব ধরনের ধর্মীয় আইন রাষ্ট্র থেকে বাতিল করে, সমাজ বিজ্ঞানকে ভিত্তি করে সামাজিক গবেষনার মাধ্যমে নতুন আইন আনার দাবী জানাতে হবে।-যার ভিত্তি হবে নারী-পুরুষের সমানাধিকার, দূষম মুক্ত সমাজ এবং পশুপাখিদের মানুষের সাথে বেঁচে থাকার সমানাধিকার।
* জাতীয়তাবাদ বনাম আন্তর্জাতিকতাবাদঃ আন্তর্জাতিকতাবাদ ই একমাত্র বৈজ্ঞানিক পথ এটা যেমন ঠিক-ঠিক তেমনই প্রতিটি ভাষা এবং সংস্কৃতির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ও তাদের শ্রীবৃদ্ধি আমাদের কাম্য।
* পুঁজিবাদ না সমাজতন্ত্র? বাস্তব হচ্ছে পৃথিবীতে সব রাষ্ট্রকেই বাজার এবং সামাজিক দ্বায়িত্ববোধ -এই দুই নিয়েই চলতে হয়। তার কম বেশী তারতম্য থাকে। বাজারহীন রাষ্ট্র বা সমাজতান্ত্রিক কাঠামোহীন রাষ্ট্র বাস্তবে হয় না। সুতরাং মিশ্র অর্থনীতির রূপরেখা নিয়ে আরো ভাবার আছে।
* গণতন্ত্র না ডিজিটাল গণতন্ত্র? আমাদের বর্তমানের গণতন্ত্র প্রতিনিধিত্ব মূলক পার্টি ভিত্তিক গণতন্ত্র। যা সত্যিই অসংখ্য ত্রুটিপূর্ন। সাধারন জনগনের কন্ঠশ্বর এখানে রুদ্ধ। এই ডিজিটাল যুগে চোর ডাকাত প্রতিনিধিদের রাষ্ট্র চালানোর জন্যে পাঠানোর আদৌ কোন দরকার আছে কি না তাই নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। পার্টি ভিত্তিক গণতন্ত্রের ও দরকার নেই । দরকার প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে সরাসরি জনগনের গণতন্ত্র।
এই পয়েন্ট গুলো নিয়ে সবাই ভেবে আপনাদের চিন্তা নিয়ে লিখুন। চিন্তা এবং মত বিনিময় হোক-এক বিংশ শতাব্দির উপযোগি একটি সংগঠন কিভাবে গড়া যেতে পারে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের বিজ্ঞান সংগঠনগুলি ধর্মীয় রাজনীতির উত্থান ঠেকাতে ব্যার্থ হচ্ছে কেন?
বিজ্ঞান সংগঠন বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গে বেশ কিছু আছে। কিন্ত তাদের চেষ্টা সিন্ধুতে বিন্দু-যা মৌলবাদ ঠেকাতে ১% ও কার্যকর না। এদের অর্থবল, জনবল , জনভিত্তি কিছুই গড়ে ওঠে নি। তার অনেক কারন আছে-আমার বিশ্লেষন বলে
[১] এরা বিজ্ঞানকে কিছু পুঁথির জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছেন-সামাজিক আইন, রাজনীতি, রাষ্ট্রীয় নীতির মধ্যে বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যাবহার নিয়ে ভাবেন নি। এদের কার্যকলাপ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বড়জোর বিশুদ্ধ পানীয় জলের মধ্যে আটকে আছে।
[২] আধুনিক মিডিয়াকে ব্যাবহার করার চেষ্টা করেন নি-পুরানো প্রিন্ট মিডিয়াতে বছরে দু একটা পাবলিকেশন করছেন। এতে ভাল কিছু লেখা আমরা পেতে পারি-কিন্ত তাতে জনভিত্তি হবে না। জনভিত্তির জন্যে চাই কেবল মিডিয়া বা নিজেদের দৈনিক পেপার।
[৩] এরা বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেন-কিন্ত অধিকাংশ মেম্বার বামপন্থী দলের সাথে যুক্ত। ফলে বিজ্ঞান সংগঠন গুলি রাজনীতি থেকে দূরেই থেকেছে। এতে তিনটে ক্ষতি হয়েছে। প্রথমত কোন বামপন্থী দলেই রাজনীতি নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তা নেই বা ধর্মের বিরুদ্ধে কোন প্রোগ্রাম নেই। দ্বিতীয়ত সমাজবিজ্ঞানের আধুনিক চিন্তাগুলি রাষ্ট্র এবং সমাজে আসতে পারছে না-কারন পার্টিগুলির মধ্যে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক কোন চেতনা নেই। তৃতীয়ত এই কারনেই ইনারা ব্যাপকভাবে মিডিয়া প্রচারের কথা ভাবেন না। এই ট্রেন্ড চললে বিজ্ঞান সংগঠন করে কিস্যুই লাভ হবে না। আমাদের সেই বিজ্ঞান সংগঠন চাই যা আধুনিক সমাজ বিজ্ঞানের ভিত্তিতেই নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে জন্ম নেবে। নইলে এসব করে লাভ নেই।
[৪] আরো একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার আছে-সেটা হল সামাজিক শক্তি হিসাবে জন্ম নিতে গেলে অর্থনীতির কাঠামোর মধ্যেও গভীর ভাবে ঢুকতে হয়। আমাদের দেশে এত শিক্ষিত বেকার। তাদেরকে বিজ্ঞান ভিত্তিক উৎপাদন প্রকল্পের সাথে ব্যাবসায়িক ভিত্তিতেই জুড়তে হবে। যেমন গ্রামে গ্রামে বায়োগ্যাস বা সোলার ইউনিট ইত্যাদি গড়ার ছোট ব্যাবসার জন্যে যে টাকা লাগবে, সেসব লজিস্টিক প্রবাসী সদস্য এবং ব্যাঙ্কের সহায়তায় গড়ে তুলতে হবে।
আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল। বাকীরা এই ব্যাপারে লিখুন।
আমি জানি এতদিন আমাদের দুই বাংলার বামপন্থীরাই বিজ্ঞান সংগঠন করেছেন-কিছুটা হলেও মৌলবাদের বিরুদ্ধে ইনারাই সামান্য হলেও লড়াই করেছেন। কিন্ত সেটা মৌলবাদিদের শক্তিবৃদ্ধির তুলনায় কিছুই না। পশ্চিম বঙ্গে বিজেপি ভোট পায় না বলে ভাবার কোন কারন নেই-এখানে মৌলবাদ নেই। ইসলামিক এবং হিন্দু মৌলবাদ খুব ভালভাবেই আছে-যেদিন রাজনীতিতে সিপিএম বনাম এন্টি সিপিএম থাকবে না, সেদিন এদের শক্তি সামনে আসবে। আর বাংলাদেশে মৌলবাদ ঠেকাতে সেদেশের বামপন্থী এবং বিজ্ঞান সংগঠনগুলো সম্পূর্ন ভাবে ব্যার্থ হয়েছে-যদিও তারা একটি ধর্ম নিরেপেক্ষ চেতনাকে ধরে রাখতে পেরেছেন। কিন্ত তা মৌলবাদের পেট্রোডলারের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ না।
সুতরাং একটি নতুন ধরনের বিজ্ঞানমুখী গণসংগঠন গড়ার বিকল্প আমি দেখতে পাচ্ছি না।
লোকে আসবে কেন? কি হবে এজেন্ডা? কে ঠিক করবে? কারা নেতৃত্বে থাকবে? এগুলোর ভিত্তিই ঠিক করে দেয় সংবিধান। সেটা না করলে কালকে দলটা অনেক গুলো দলে ভাংবে। বৃহত্তর কিছু সম্ভব না।
আর মমতা যেখানে পৌঁছেছেন, সেখানে পৌছানোর কোন ইচ্ছা আমার নেই। তৃণমূল কংগ্রেস একটি ফাসিস্ট সংগঠন-যার জন্ম লাল ফাসিজমের বিরোধিতা করতে। সেখানে গণতন্ত্র কোথায়? যেখানে মমতার কথাই আইন, সেখানে অবশ্ই সংবিধান লাগে না। ফলটা কি? পশ্চিম বঙ্গে রাজনৈতিক খুনে মানুষ মরে কাষ্মীরের উগ্রপন্থার থেকে বেশী।
হিন্দু মৌলবাদের উৎস ভারতে ইসলামিক মৌলবাদ। কিন্ত তা ভালোভাবেই বিদ্যমান। মুসলমানদের প্রতি হিন্দুদের ঘৃণা -গোটা ভারতে । এই ধরনের সাম্প্রদায়িক মনোভাব নেই বলছেন? হাস্যকর।
মৌলবাদের উৎস হচ্ছে এই সাম্প্রদায়িক মনোভাব যা প্রায় প্রতিটা হিন্দু বা মুসলিমের মধ্যে আমি দেখি।
@বিপ্লব পাল,
সারা পৃথিবীময় হিন্দু ও মুসলমানদের মৌলবাদী কার্য্যকলাপ গুলোর তুলনামুলক হিসাব নিকাশ করলে পরিষ্কারভাবেই ধরা পড়ে যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব কাদের মধ্যে কতটা তীব্র।
হিন্দুদের ঘৃণা-বিদ্বেষতো শুধু মুসলমানদের প্রতি, আর মুসলমানদের ঘৃণা-বিদ্বেষ হলো গোটা মানবজাতি যাদের ধর্ম ইসলাম নয় তাদের প্রতি যেটা পৃথিবীর জন্য একটা হুমকী স্বরুপ।
@ব্রাইট স্মাইল্,
হ্যা, মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভাব বেশী কারন কোরান ভীষন ভাবেই একটি সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ–ঠিক যেমনই হিন্দুদের মধ্যে এক সময় বর্নভেদের প্রভাব ছিল তীব্র। কিন্ত তা আস্তে আস্তে কমেছে-কারন হিন্দুরাই এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। কোরানে যে তীব্র সাম্প্রদায়িক ভাষা, সেটাও আস্তে আস্তে মুসলিমরা অনুমোদন করবে না। আবার বর্নভেদ মানছে না বলেই যেমন হিন্দু ধর্ম উঠে যায় নি, তার কিছুটা সমায়োপযোগী বিবর্তন হয়েছে-ইসলামের ও সেই রকম পজিটিভ বিবর্তন হবে। আস্তে আস্তে মুসলিমরাও তাদের ধর্মের সাম্প্রদায়িক আয়াতগুলো মানবে না। হতেই হবে। নইলে ইসলামের সাথে সমগ্র বিশ্বের সংঘাত আসন্ন। এটা ধর্মের বিবর্তনের প্রশ্ন।
আচ্ছা। জানতাম না। নতুন করে জানলাম। ২০০৮, ২০০৯ সালে ভারতের সব থেকে বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কাদের মধ্যে হয়েছে? হিন্দু মুসলিম না হিন্দু খ্রীষ্ঠান? গত দু বছরে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সব থেকে বেশী হয়েছে হিন্দু
খ্রীষ্ঠানদের মধ্যে। আর এস এস মুখপাত্র অর্গানাইজার পড়েন কি?
হিন্দুত্ববাদিরা খৃষ্ঠানদের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশী শব্দ খরচ করেছে।
আরে বাবা-এসব হিন্দু মুসলিম খৃষ্ঠান আলাদা কি করে হবে? এদের জিন কি আলাদা? সোজা কথায় লোক বসতি বেড়েছে-সম্পদ নিয়ে কাড়াকারি-বৈজ্ঞানিক কোন পন্থা জানা নেই সেই সমস্যার কি করে সমাধান হবে। এবার দল বেঁধে দাঙ্গা বাঁধিয়ে অন্য দলের সম্পতি সম্পদ কেড়ে নাও।
@বিপ্লব পাল,
আর মুসলমানরা খৃষ্ঠানদের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশী বোমা খরচ করেছে, আর খৃষ্ঠানরাও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশী অস্ত্র খরচ করেছে। শব্দ খরচেতো লোক মরেনা, কিন্তু বোমা-অস্ত্র খরচে লোকের মৃত্যু হচ্ছে। কঠিন সমস্যাতো সেখানে।
না এদের জিন আলাদা নয়, সবাই আমরা মানুষ, সেই মনুষ্যত্ববাদের দিক্ষাটাই সবার কাম্য। কিন্তু আলাদা করার শিক্ষাটা কে দিচ্ছে? আলাদা করার শিক্ষাটা সব ধর্মই দেয় কিন্তু তার তিব্রতাটা কোথায় বেশী সেটা নির্ধারন করতে না পারলে সমস্যার সমাধান কি করে সম্ভব?
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনি কি ভারতের ব্যাপারে কোন খবরই রাখেন না? খৃষ্টান হিন্দু দাঙ্গায় প্রচুর খ্রীষ্টান মারা গেছে, ঘরবারি পোড়ানো হয়েছে। এগুলো শব্দ খরচের নমুনা না। হিংস্র হিন্দুত্ববাদের প্রকাশ। বালি থেকে চোখ তুলে সোজা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলুন আকাশের রঙ নীল-কারন আমি সেই রঙই দেখি।
@বিপ্লব পাল,
হিংস্র হিন্দুত্ববাদের প্রকাশ শুধু ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ব, আর হিংস্র মুসলমানিত্ববাদের প্রকাশ গোটা পৃথিবী জুড়ে। পার্থক্যটা এখানেই।
@ব্রাইট স্মাইল্,
১০০% সহমত-
:yes: :yes: :yes:
@ব্রাইট স্মাইল্,
ঠিক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল হিংস্র মুসলমানিত্ববাদের প্রকাশ কোরাণের আয়াত ও মুহম্মদের জীবনী থেকে অণুপ্রাণিত, দুটোতেই উগ্র এবং মডেরেট ইসলামপন্থীরা পুরোপুরি বিশ্বাস করে। আর হিংস্র হিন্দুত্ববাদের প্রকাশ হয়েছে ঐতিহাসিক কারণে মুসলমানদের ভারত আক্রমণ ও লুন্ঠনের জন্য। এর পেছনে গীতা বা বেদের কোন শ্লোকের দ্বারা অণুপ্রাণিত নয়।
জন সংগঠন করার প্রথম সরত হল জন ভিত্তি গঠন। সংবিধানে কি লেখা আছে দেখে মানুষ সংগঠনে যোগ দেয় না, যেমন নিরবাচনী ম্যানিফেস্টো দেখে মানুষ ভোট দেয় না। জন ভিত্তি করতে হলে ‘জন’-এর কাছে যেতে হয়। শুধু ব্লগে লিখে নয়। এবং উদ্দেশ্য ভাল হলেই লোক জুটবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। যেমন তসলিমা বিতারণের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি মাত্র সংগঠন রাস্তায় নামার সাহস দেখালেও জনা কুড়ির বেশি লোক জমা করতে পারেন নি। ব্লগে বা ফোনে অনেকে সমরথন জানালেও রাস্তায় নামার সাহস করে উঠতে পারেন নি।
অতএব সংবিধানে কি লেখা হবে সেই কচকচিতে বেশি সময় নস্ট না করে, কারযসূচী তৈরী করে সেই কারযসূচী বাস্তবায়নের জন্য লোক জোগাড়ের চেস্টা চালানো যেতে পারে। লোক জোগাড় হলে অরথ জোগাড়ে খুব অসুবিধা হয় না। তবে এক দিনে কিছু হবে না ধৈরয্য ধরে থাকতে হবে। মমতা ব্যানারজি কুড়ি বছ্র লেগে থেকে এক জায়গায় পৌছেছেন।
দ্বিতীয়তঃ, ভাবের ঘরে চুরি করবেন না। ইস্লামী মৌলবাদ কে রুখতে জবরদস্তি হিন্দু মৌলবাদ কে আবিস্কার করার ব্যালেন্সিং এক্ট বন্ধ করুন। হিন্দু কুসংস্কার কে হিংস্র ইস্লামী মৌলবাদের সঙ্গে তুলনা করার অরথ ইস্লামী মৌলবাদের সপক্ষে একধরণের সাফাই গাওয়া যেটা ভারতীয় বামপন্থীরা করে থাকেন।
তৃতীয়তঃ মৌলবাদ বিরোধী সংগঠন মানে ধরমহীন বা ধরমবিরোধী মানুষের সংগঠন নয়। ধরমের নামে জবরদস্তি ও অত্যাচার বিরোধী সংগঠন । ধরমভীরু (এমনকি কুসংস্কারে বিশ্বাসী) তাতে অনায়াসে যোগ দিতে পারেন, এবং তাদের যোগদান কাম্য।
@মিয়া সাহেব,
:yes:
ভালো চিন্তাভাবনা। আস্তিক-নাস্তিক সবাইকে নেওয়াই ভালো। আফটারওল কে আস্তিক আর এক নাস্তিক এটা তো আর প্রমাণ সাপেক্ষ না। তবে ধর্ম ভীরু আর ধর্মপ্রাণ মানুষ যারা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন তারা মনে হয় এমনিতেই বাদ যাবেন।
@Atiqur Rahman,
বাদ যাবার তো কোন কারন দেখিনা, কারন ধর্মীয় অনুশাসন যাঁরা মেনে চলেন তাঁরা নিজেদেরকে মৌলবাদি হিসাবে চিন্তা নাও করতে পারেন। তাঁরাও বিজ্ঞান চর্চা করেন এবং বিজ্ঞান সাধনায় নিয়োজিত থাকতে পারেন।
নাস্তিক হওয়াটা বিজ্ঞান ভিত্তিক সংগঠনে বাধ্যতামূলক কি না-সেটা নিয়ে বিতর্ক হৌক। তাহলে সবার কাছে পরিস্কার হবে। আমি এই অবস্থানের বিপক্ষে-কারন
[১] সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেই অন্যদের কাফের বা বিধর্মী ঘোষণার মতনই বৈষম্যমূলক হবে। আমরা নিজেরাই যেখানে দাবী করি , মানুষের ব্যাক্তিগত বিশ্বাস এবং সেক্সুয়াল অরিয়েন্টশনের কারনে, রাষ্ট্র তাদের বৈষম্য করতে পারবে না-সেখানে নিজেদের অর্গানাইজেশনে কিভাবে আমরা সেই একই বৈষম্য অনুমোদন করব?
[২] দক্ষিন এশিয়াতে অধিকাংশ মানুষ ধার্মিক। প্রগ্রেসিভ বিজ্ঞানমুখী ধার্মিকদের সাথে না নিলে এটির জনভিত্তি তৈরী হবে না।
তবে সমস্যাও আছে। মার্কস এঙ্গেলেস একদিন এই ভেবেই ধার্মিকদের কমিনিউস্ট হতে এলাও করেছিলেন। তাতে ফল খুব ভাল হয় নি। আবার এটাও দেখার বিষয় যে, কমিনিযউস্ট দর্শন মানুষের ধর্মের প্রয়োজনীয়তা গুলি নিয়ে একদম কোন বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তা করে নি।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব দা, ঠিক বলেছেন। সংবিধান মেনে কাজ করতে চাইলে কাওকে মানা করা যাবেনা। গৌতম বুদ্ধের সংগঠনের মূল ভিত্তি ছিল সংঘগুলো। এই সংঘগুলোকে কেন্দ্র করেই তার আন্দোলন টিকে ছিল প্রায় ৫০০ বছর। আমাদেরকেও অনুরূপভাবে পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। এই পাঠাগার গুলোকে কেন্দ্র করেই আমাদের যাবতীয় তৎপরতা চালান যেতে পারে। আব্দুল্লা আবু সাঈদ স্যার তার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরকম অসংখ্য চেষ্টার যোগ ফলেই কোন সমাজে গুনগত পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
তবে সফল হবার জন্য আমাদেরও একজন গৌতম দরকার। আসুবিধা নেই, চেষ্টার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা গেলে আমরা তাকে পেয়ে যাব।
@আতিক রাঢ়ী,
শুধু লাইব্রেরী কেন-কর্মকান্ড সংগঠিত হতে পারে বায়োগাস, সোলার পাওয়ার স্টেশন, বিশুদ্ধ পানীয় জল ইউনিট-অনেক কিছুকে কেন্দ্র করে। আমি আবার বলছি ব্যাবহারের মধ্যে বিজ্ঞানকে না ছড়ালে, বইএর মধ্যে শুধু রাখলে, এ আমাদের উপমহাদেশে কোন কাজে আসবে না।
@বিপ্লব পাল,
বিপ্লব দা, শুধু লাইব্রেরির কথা আমি বলিনি, বলেছি এটিকে ঘীরে যাবতীয় কর্মকান্ড চালানোর কথা। ধরুন প্রতিটি লাইব্রেরির জন্য যে পরিচালনা পরিষদ থাকবে সেটাই হবে সংগঠনের ভ্রুন। বায়োগাস, সোলার পাওয়ার স্টেশন, বিশুদ্ধ পানীয় জল ইউনিট এসব করার জন্য যে লোকবল লাগবে তা ঐ পরিচালনা পরিষদই করবে।
আমি এরকম উদ্যোগের ব্যাপারে জানি যারা তাদের পাঠাগার থেকে বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক দিবসে নানা কর্মসূচী পালন করে। কিছুদিন আগে তারা জাফর ইকবাল স্যার কে প্রধান অতিথীকরে ডেকে এনেছিল ঐরকম এক কর্মসূচীতে ,স্কুল ছাত্রদের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা বিষয়ে কিছু বলার জন্য। এই ঘটনায় ছোট্ট মফস্সল শহড়টি জুড়ে দারুন আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।
আমার মনে হয় আমাদেরকে কোন এক জায়গা থেকে শুরু করতে হবে। সেটা যদি পাঠাগারের মাধ্যমে হয় তবে শুরুতেই আমরা একেবারে তৃনমূল পর্যায়ে একদল কর্মী বাহিনী জড়ো করতে পারবো। যেটা একটা সংগঠনের প্রান।
@আতিক রাঢ়ী, একমত। খুব ছোট থেকেই শুরু করতে হয়। স্বপ্নটা বড় থাকলেই হল। দেখী স্বাধীন কদিন বাদে সংবিধানের খসরা জমা দিতে পারে।
@আতিক রাঢ়ী,
মানে এখন টিকে নেই? আমেরিকাতে মুসলিমরা যতই নিজেদের প্রচার চালাক না কেন, এখানে বুদ্ধিস্ট স্টাডি সার্কল অনেক বেশী আছে। শুধু দক্ষিন ক্যালিফোর্নিয়াতেই আছে ৫০০ র বেশী বৌদ্ধ স্টাডি সার্কল। কিন্ত নয়া বৌদ্ধরা ত আর মুসলিম বা হিন্দুদের মতন নিজেদের ধর্ম নিয়ে বেশী নাচানাচি করে না-তাই তাদের উৎপাত ইউ টিউবে সহ্য করতে হয় না। তার মানে এই নয়, তারা নেই-তারা আরো বেশী সংখ্যাতেই আমেরিকাতে আছে।
@বিপ্লব পাল,
আপনি বলার আগে আমি নিজে ১০ বছর উত্তর আমেরিকায় থাকি টের পাইনি।
@বিপ্লব পাল,
এটাকে বোধহয় আর প্রগতিশী্ল অন্দোলন বলা ঠিক হবে না। আমি যে ৫০০ বছরের কথা বলেছি, তখন এটা প্রগতিশীল আন্দোলন হিসাবেই টিকে ছিলো। এর সংগ্রাম ছিলো ব্রাক্ষ্মন্যবাদের বিরুদ্ধে। যজ্ঞর নামে পশু কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে। হিন্দুদের বর্নভেদ নীতির বিরুদ্ধে।
কিন্তু জন্মান্তরবাদকে তো বৌ্দ্ধ ধর্ম অস্বীকার করছে না। এরকি কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে ? আমারতো মনে হয় ভারতবর্ষের অধঃপতনের পেছনে সম্রাট অশোকের বৌ্দ্ধ ধর্ম গ্রহন অনেকাংশে দায়ী। কয়ের পুরুষ আগে যেখানে চন্দগুপ্তর সময়ে আলেকজান্ডার আক্রমনের সাহস করলোনা অথচ যুদ্ধ ত্যাগ করে, অহিংসা চর্চা করতে গিয়ে আফগান, তুর্কিদের প্রতিহত করতে পারলো না ভারত।
ঐতিহাসিক ফিরিস্তার বর্ননায় আমরা দেখি হিন্দুরা বাড়িতে পড়ার পোষাক পড়ে যুদ্ধের ময়দানে চলে আসতো। তাদের তীর গভীর ক্ষত তৈ্রী করতে পারতোনা। এসবই চর্চার অভাবের দিকটা তুলে ধরে। বৌ্দ্ধ দর্শন ও আমার কাছে একপেশে দর্শন মনে হয়। এটাও একধরনের চড়মপন্থা। যা মানূষকে বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।এদের ব্যাপারে আশাবাদী হবার কোন কারন দেখিনা।
@আতিক রাঢ়ী,
নিও বুদ্ধিস্টরা জেন বুদ্ধিস্টরা জন্মান্তরবাদ মানে না। বুদ্ধিজমে ওই ধরনের ফিক্সড আইন নেই। বুদ্ধ সব ধরনের তত্ত্বের বিরোধি ছিলেন যার প্রত্যক্ষ প্রমান নেই।
যেকোন দর্শনের সব থেকে শক্তিশালী দিকই তার দুর্বলতম দিক। এটা হিন্দু, ইসলাম, বৌদ্ধ সবার জন্যে সত্য। একথা ঠিক বৌদ্ধ দর্শনের রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস কম। কিন্ত দুটো জিনিস এখানে ভুললে চলবে না
১) বর্তমান ভারতের রাজনৈতিক এবং সামাজিক দর্শন সম্রাট আশোকের অহিংসাতে বিশ্বাস করে-ভারত বলতে যা বোঝায় তার অনেকটাই অশোকের দান।
২) রোমান সম্রাজ্যে অশোক জন্মান নি-তাও রোম পদানত হয়েছে বারবার।
সাম্রাজ্য চিরকাল থাকে না।
৩) এশিয়াতে বৌদ্ধ ধর্মে মার্শাল আর্ট খুব ভালো ভাবে ছিল। ভারতের বৌদ্ধ ধর্মে ছিল না। কিন্ত চীন বা কোরিয়া বা জাপানের বৌদ্ধ সন্নাসীরা ছিলেন ্মল্লযুদ্ধে দক্ষ। সুতরাং ঢালাও ভাবে বৌদ্ধ ধর্মকে দোষ না দিয়ে বলা যায়, সব সমাজেরই একটি ক্ষয়িষ্ণু ধারা আছে।
বৌদ্ধ দর্শন ও যে অবৈজ্ঞানিক-সেটা নিয়ে আমার একটা ব্লগ আছে।
হিন্দু ধর্ম কিন্ত যুদ্ধ বিরোধি দর্শন না-বরং সব থেকে যুদ্ধং দেহী ধর্ম। এই ধর্মের ভিত্তি থেকে সব মূল ধর্মগ্রন্থ ই দাঁড়িয়ে আছে যুদ্ধের ওপরে-দেব দেবীদের হাতেও সব সময় অস্ত্র। এটা ঠিক না যে বৌদ্ধ ধর্মের সাথে সাথেই হিন্দুদের মিলিটারি শক্তি পতন হয়। ধর্মপাল বা পাল রাজারা বর্মা পর্যন্ত জিতেছেন-চোল রা ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত্ জিতে এসেছিল।
ইসলামের সাথে হিন্দুদের পরাজয়ের ্মূল কারন ঐক্যের অভাব। প্শ্চিম দিকে যখন ইসলাম ইউরোপে ঢুকেছে, প্রায় ২০০ বছর পশ্চি্মের হিন্দু সভ্যতা ইসলামের সাথে যুদ্ধ করেছে, ইসলামের আগমন ভারতে হতে হতে দশম শতাব্দি লেগেছে। এই দুশো বছর আটকাতে পারলো-তার পরে পারলো না কেন?
এখানেই ইসলামের মহত্ত্ব যে একেশ্বর বাদি ধর্ম হিসাবে তারা সমস্ত সামাজিক শক্তিগুলিকে একত্রিত করেছে। যার জন্যে তারা ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে
আর হিন্দু রাজাদের শক্তি ক্ষয় হতে থাকে। হিন্দুদের আর্মিতে নানান বর্নের নানান সৈন্য থাকত-ফলে রাজাদের মধ্যে একতা এবং সৈন্যদের মধ্যে একতা ছিল না, কিন্ত সৈন্যদের ব্যক্তিগত নৈপুন্যের অভাব হয় নি কখনো।
আপনার সাথে অনেকাংশেই একমত। সাথে আছি, এবং যে কোন কাজে প্রয়োজনবোধ করলে জানাবেন। সংবিধানের খসড়াতেও কাজ করতে পারি।
@স্বাধীন,
জিজ্ঞাসা করার কি আছে। তুমি রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করছে। একটা সংবিধান নামিয়ে দাও এখানে। সেটাকে আমরা সবাই কাঁটা ছেঁড়া করে ঠিক করব। এগুলো হয়ে থাকলে সংগঠনের কাজ অনেকটাই এগোবে।
কেও ভূত বা মরিচ না। আমি মনে করিনা বিজ্ঞানের সাথে কাজ করতে হলে সবাইকে নাস্তিক হতে হবে। তাছারা প্রতিষ্ঠানের সংবিধান এর রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করবে।
এটাকে সফলতা বললে ব্যার্থতা টা কি? সাম্প্রদায়িকতা, টিভিতে ধর্মের প্রগ্রাম, বাবা রামদেব, গ্রামে গ্রামে মন্দির-সবই বেড়ে চলেছে। কিসের সফল ইনারা??
রাজনৈতিক ক্ষমতা, অর্থনীতিকে নিজের হাতে আনা এবং মিডিয়াতে প্রচার ছারা, এই অবস্থা বদলাবে না।
@বিপ্লব পাল,
আমার মনে হয় কাজ করা উচিত এভাবে যে এই বিজ্ঞান আন্দোলন মানুষকে বিজ্ঞান সম্পর্কে একটা সচ্ছ ধারনা দেবে। বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষকে উৎসাহিত করবে। কিন্তু সদস্য হতে হলে তাকে অবশ্যই নিদেনপক্ষে ধর্মে অবিশ্বাসী থাকতে হবে।
আমার একটা প্রশ্নের জবাব দিন। তাহলেই আমি যা জানতে চাচ্ছি তা জানা হয়ে যাবে। জাকির নায়েক যদি এই বিজ্ঞান আন্দোলনে যোগ দিতে চায় তাহলে আপনার মতামত সে ক্ষেত্রে কি হবে?
যারা মনে করেন আস্তিক নাস্তিক একযোগেই বিজ্ঞান আন্দোলন বা আমরা যা চাচ্ছি সে মৌলবাদের ধ্বংস তা সম্ভব তারাও আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, যেহেতু এখানে খোলামেলা আলোচনা হচ্ছে।
@সাইফুল ইসলাম,
সে যদি সংগঠনের সংবিধান মেনে নিয়ে যোগ দেয়, তাকে আইনত না করতে পার না।
কিন্ত মেম্বার হওয়ার পরে যদি ধর্মীয় আইন এর পক্ষে বা বিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রচার চালায়, সে বহিস্কৃত হবে। কারন সংগঠবনের আইন মোতাবেক
( যে বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য এবং রাষ্ট্র নীতিতে ধর্মর সম্পূর্ন বর্জন) সেটাই এই সংগঠনের সংবিধানে থাকা উচিত।
এই জন্যেই নতুন ধরনের সংবিধান খুব গুরুত্বপূর্ন।
@বিপ্লব পাল,
আসলে হয় কি, আমরা কেউ কিন্তু নিজেদের অবৈজ্ঞানিক বলি না যতই না আমরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন হই না কেন। জাকির নায়েক বলেন কিংবা পাশের বাড়ির আবুল ব্যাটা বলেন সবাই কিন্তু নিজেকে যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনষ্ক হিসেবে দাবী করবে। এখন আমাদের বুঝতে হবে যে কারা প্রকৃত বিজ্ঞানমনষ্ক। একজন ধর্মে বিশ্বাসী ব্যক্তি সে যতই বিজ্ঞানমনষ্ক বলে নিজেকে দাবী করুক না কেন আপনি আমি এবং আমরা সবাই জানি যখনই ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের বিরোধের ব্যাপার আসবে নিঃসন্দেহে সে ধর্মের পক্ষে চলে যাবে। তার মানে মোট ফলাফল হবে শুন্য।
সে জন্যই আমি বলছি, সদস্য হওয়ার জন্যে তাকে অবশ্যই নাস্তিক নিদেন পক্ষে ধর্মে অবিশ্বাসী হতে হবে। নাহলে আজকে আপনি যাকে সদস্য করে নিলেন কালকে দেখলেন সে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আপনাকে কি করতে হবে? তাকে বাদ দিতে হবে। আর এভাবে যদি হতে থাকে আমার মনে হয় না এই আন্দোলন কোন কালেই আলোর মুখ দেখবে।
প্রবীর ঘোষের কুসংস্কার বিরোধী আন্দোলনের ফলে কলাকাতার কত হুজুর বুজুর্গের ব্যাবসা লাটে উঠেছে বিপ্লব দা? 🙂
আমি জানি না আসল সংখ্যাটা কত হবে কিন্তু তার এই আন্দোলনের সাথে জড়িত কর্মীর সংখ্যা নেহায়েতই কম নয় বলেই আমার ধারনা। এত গুলো মানুষকে কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করাটাকে আমি আন্দোলনের ব্যর্থতা অন্তত মনে করি না।
@সাইফুল ইসলাম,
বিজ্ঞান মনস্ক হওয়ার সংজ্ঞা আমি আগেই নির্ধারন করে দিয়েছি-যা বিজ্ঞানের জার্নালে প্রকাশিত তথ্য এবং সত্য-সেটা যখন সংবিধান মানবে -সংগঠন বিরোধি কার্যের জন্যে সে বাদ যাবে। কিন্ত সদস্য নেওয়ার ব্যাপারে ধর্ম বিস্বাসের ব্যাপারে বৈষম্য করাটা হবে অমানবিক। যারা ধার্মিক, তারাও এসে বুঝবে, বিজ্ঞান আসলে কি-এবং ধর্মের লোকেরা কি করে অপবিজ্ঞান চালু রাখে। তারা না এলে বুঝবে কি করে?
আমি পশ্চিম বঙ্গে কুসংস্কার কিছু কমেছে বা মন্দিরের সংখ্যা কমেছে এমন কিছু দেখি নি-এগুলো বেড়েই চলেছে। এই ভাবে কিছু হবে না-কারন রাজনীতি এবং সামাজিক শক্তিকেন্দ্র হতে গেলে, জনভিত্তি বাড়াতে হবে।
@সাইফুল ইসলাম,
প্রবীর ঘোষদের সফলতা অবশ্যই আছে। আমি নিজেও অবাক বিস্ময়ে পড়েছি তাদের হাতে কিভাবে কত বাবাজী মাতাজিরা আক্ষরিক অর্থেই নাকাল হয়েছে, বাহবা দিয়েছি প্রবীর বাবুদের।
একে কি সফলতা দাবী করা যায় না? অবশ্যই যায়।
তবে সামগ্রিক সফলতা বলতে কি শুধু কিছু বাবাজি মাতাজিত মুখোশ উন্মোচন দিয়ে হবে? বাবাজি মাতাজিদের কোন অভাব এই দুনিয়ায় নেই, কোনদিন হবে ও না। এক সাধু বাবা গেলে আরো দশ বিরিঞ্চি বাবার আবির্ভাব হবে। ভন্ড বাবা মাতাদের কি কোন প্রথাগত ধর্ম সমর্থন করে? কাজেই কোন ধার্মিকের তো শুধু এই ধরনের কাজে অংশগ্রহনে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
এসব বাবাজি মাতাজিদের টার্গেট যারা তাদের মানসিকতার পরিবর্তন কতটা ঘটছে? আসল টার্গেট হওয়া উচিত এটা, শুধু কিছু লোকের ভণ্ডামী উন্মোচন নয়। মানুষ বুঝল যে সে যার ভক্ত ছিল সেই বাবা আসলে ভন্ড। কিন্তু সব বাবাই যে ভন্ড, কোন মানুষেরই যে এই ধরনের কেরামতি থাকতে পারে না এটা না বুঝলে তো তেমন লাভ হবে না। সে খালি বাবা বদলই করবে। আমার তো মনে হয় যে এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রগতিশীল শক্তির হারই হচ্ছে। কিছু ভন্ড লোকের মুখোশ খুলে পড়লেও আমাদের অঞ্চলে কুসংস্কার বাড়া ছাড়া কমছে তার তেমন নজির দেখি না।
প্রথাগত ধর্মের বিরুদ্ধে আসলেই চুড়ান্তভাবে কিছু করতে গেলে রাষ্ট্রীয় নিদেনপক্ষে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা অবশ্যই দরকার।
বিপ্লব দা,
আপনার উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছি।
আপনার কেন মনে হচ্ছে না যে মরিচ দিয়ে ভুত তাড়াবেন সেই মরিচেই ভুত থাকলে ভুত কখনও যাবে না?
কলকাতার প্রবীর ঘোষের ” ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি” আমার জানা অনুযায়ী একটি সফল বিজ্ঞান আন্দোলন, একটি সফল কুসংস্কার বিরোধী আন্দোলনের নাম। সেখানে কিন্তু সদস্য হওয়ার জন্য ঈশ্বরে বিশ্বাসহীনতা প্রথম শর্ত। আমার প্রশ্ন, আপনি যদি বিজ্ঞান আন্দোলন করতে চান, যদি মৌলবাদ নির্মূল করতে চান তাহলে আপনার কি মনে হয় আস্তিক সদস্য নিয়ে তা সম্ভব? আমি এখানে আস্তিক বলতে ধর্মে বিশ্বাসীদেরকে বুঝাচ্ছি। যদি মনে করেন সম্ভব তাহলে কেন তা ব্যাখ্যা করবেন কি?
আপনার থেকে প্রায়ই শুনি বিজ্ঞানের দর্শনই হল আদর্শ দর্শন। আপনার মত যা বুঝে তাতে মনে হয় বিজ্ঞানের দর্শন নিশ্চিত করা গেলেই ধর্মীয় ফ্যানাটিসিজম বা প্রথাগত ধর্মের বাজে দিকগুলি আপনিই বিলীন হয়ে যাবে।
বিজ্ঞানের দর্শন ব্যাপারটা আসলে কি? আমি যা বুঝি তা হল বিজ্ঞানের প্রয়োযন জাগতিক বা বস্তুজগতের কল্যানে। আর ধর্মের প্রয়োযন অনেকটা মনোজগতের সমস্যা বা আকাংখা মেটাতে। এই দুইয়ের মিল কিভাবে করা যায়?
আর মানুষ বিজ্ঞান মনষ্ক বা বিজ্ঞান নিয়ে নিয়মিত চর্চা বা পড়াশুনা করলেই কি ধর্মীয় গোড়ামী কাটিয়ে ওঠা যাবে? জগতে অসংখ্য বড় বড় বিজ্ঞানী আছেন যারা নানান প্রাচীন ধর্মের নানান সেকেলে রিচুয়ালে বিশ্বাস করেন। নিশ্চিতভাবে বিজ্ঞান চর্চার সাথে সাথে ওন্য আরো কিছু দরকার।
@আদিল মাহমুদ,
হ্যা। এর কারন হল বিজ্ঞানের দর্শনের ভিত্তি হচ্ছে ত্রুটিকে মিনিমাইজ করা০-আর সেটা করতে তত্ত্ব বা সূত্রের মধ্যে ভুলের সন্ধান করা। মৌলবাদের উৎস হচ্ছে ক্রিটিক্যাল দৃষ্টিভংগীর অভাব-সেটাই এনে দেয় বিজ্ঞান মনস্ক মন। সবকিছুর ভুল এবং নেগেটিভ দিকটা জান। সেই মুসলমান মোটেও সভ্যতার জন্যে ভয়ংকর নয়, যে ইসলামের নেগেটিভ দিকগুলি নিয়ে অবগত-এটা অন্য ধর্মের জন্যেও সত্য।
মিল নয়। ধর্ম মানুষকে যা যা দিয়ে থাকে, বিজ্ঞান তা সবই দিতে সক্ষম, আরো উন্নত ভাবে সক্ষম। এই নিয়ে আমি আগে লিখেছিলাম।
না। অধিকাংশ বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের দর্শনের গভীরে না গিয়ে শুধু পাবলিকেশনের জন্যে বিজ্ঞান করে-তাদের কাছে এটা একট চাকরী।
এই তথ্যটা ঠিক না। আমেরিকার ৯২% বিজ্ঞানী নাস্তিক, ভারতের ৪৫% বিজ্ঞানী নাস্তিক আর মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে মোটে ৫% নাস্তিক। অর্থাৎ
এই বিশ্বাস করার ব্যাপারটা তারা সামাজিক সূত্রে পেয়েছে।
সুতরাং যেটা দরকার, সেটা হচ্ছে বিজ্ঞানের চেতনায় উদ্ভাসিত সমাজ।
তবে বড় বড় বিজ্ঞানী কাকে বলে আমি জানি না। অধিকাংশ বড় বিজ্ঞানী আবিস্কার করার আনন্দেই আবিস্কার করেন। সমাজ এবং নৃ বিজ্ঞান -যা আসলে ধর্মের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান চেতনার জন্ম দিয়ে থাকে, তা অধিকাংশ বিজ্ঞানীই পড়েন নি বা জানেন না। ফলে দর্শন এবং সমাজ বিজ্ঞানের দুর্ব ল থাকার কারনে, ধর্ম সম্মন্ধে তাদের অধিকাংশের চিন্তা সাধারন মানুষের থেকে খুব বেশী আলাদা না।
@আদিল মাহমুদ,
প্রবীর বাবুদের ধারনা ছিল এই কাজটি সিপিএম করবে। আসলে হল কি?
সেই সিপিএম এখন দিকে দিকে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করছে আর ইসলামিক বিদ্যালয় স্থাপন করছে। লালগড়ে আদিবাসিদের ধরে পুলিশ দিয়ে পেটাচ্ছে। ফলে প্রবীর বাবু এখন সিপিএমের বি্রুদ্ধে লিখছেন। তাছারা আমি প্রবীর বাবু রাজনৈতিক প্রজ্ঞার খুব একটা ভক্ত নই-রাজনৈতিক দর্শনে উনার বুৎপত্তি আর পাঁচজন বামপন্থী নেতার বেশী না।
আমি আমার আগের প্রবন্ধে এবং এখানেই সেই একই কথা বলেছি। বিজ্ঞান কর্মীরা রাজনীতির কাজটা তাদের বামপন্থী পার্টির ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। ইহা ্ভুল ছিল। দরকার ছিল বিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নতুন রাজনৈতিক দর্শনের-যে কাজ কার্ল মার্কস শুরু করেছিলেন কিন্ত লেনিন সেটিকে আরেকটি ধর্মীয় মতবাদে পরিণত করেন। লেনিনবাদ সম্পূর্ন অবৈজ্ঞানিক-অথ্চ আমাদের বামপন্থী লোকেরা সেটাকেই বৈজ্ঞানিক মার্কসবাদের আসল রূপ বলে জানে। এটা দুর্ভাগ্য। এটা প্রবীর বাবুরা আগে জানলে লেনিনবাদের ওপর ভরসা করতেন না।
বড় বেশী আশাবাদী মনে হচ্ছে।
আমি খিচুড়ির গন্ধ পাচ্ছি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি আলোচনা করার জন্যেই এই ব্লগ লিখেছি। বিজ্ঞান চেতনায় বিশ্বাস করার প্রথম ধাপ হল, মেনে নেওয়া, আমার অনুমান বা অনুকল্পগুলি ভুল হতে পারে। সুতরাং সমালোচনা কাম্য। কিন্ত যুক্তি চাই।
আমার মতে কেও চিরকাল একটি দর্শনে বিশ্বাস করে না। সবার মনের বিবর্তন হয়, মানসিক দ্বন্দের মধ্যে দিয়ে। সেটিই আসলে কাম্য। যে আজ আস্তিক কাল নাও থাকতে পারে। আর কত কমিনিউস্ট এখন ক্যাপিটালিস্ট সেসব নিজের চোখেই দেখা। সব থেকে বড় কথা সব কমিনিউস্ট বা সব আস্তিক মোটেও এক না। তাদের মধ্যে উদার লোকের খুব কম অভাব নেই।