আমরা যখন কোন মহাপুরুষ বা সাধু সন্যাসীর কথা মনে করি তখন ধরে নেই যে তার জীবন হবে পুত পবিত্র ও সমস্ত রকম কলুষমুক্ত। এ যাবত ইসলামের যত পুস্তক আর নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সেখানে মোহাম্মদের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একজন মহা সত্যবাদী, আদর্শবান, ন্যয়পরায়নতার প্রতিমূর্তি হিসাবে। ছোটকাল থেকে এভাবে পড়তে পড়তে আমাদের ধারনাও ঠিক তাই হয়েছিল যে মোহাম্মদের মত মহান ও আদর্শবান মানুষ দুনিয়াতে আগে ছিল না , আর কোন দিনে জন্ম গ্রহনও করবে না। এক তরফা প্রোপাগান্ডার এটাই হলো মাজেজা। কিন্তু যখন পরে জানতে পারলাম মোহাম্মদ ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেছিল তখন কেমন যেন একটু খটকা লাগল। এটা কোন ধরনের পয়গম্বর যে ৫১ বছর বয়েসে তার নাতনীর বয়েসের একটা দুধের বাচ্চাকে বিয়ে করতে পারে ? আইয়ামে জাহিলিয়াত এর যুগেও আরবরা সম্ভবত: এ ধরনের কাজকে নিদারুন গর্হিত ও জঘণ্য কাজ বলেই মনে করত। আজকের যুগে এ ধরনের অসভ্য ও বর্বর কাজ করার কথা তো কেউ কল্পনাতেও আনে না। আর সেই কাজটাই কিনা করল সারা জাহানের ত্রাণকর্তা মহাপুরুষ আল্লাহর প্রেরিত পয়গম্বর মহানবী মোহাম্মদ ? আর তা করতে কি মহা অভিনয়টাই না তাকে করতে হলো ।
ভলুম-০৯, বই- ৮৭, হাদিস নং-১৪০
আয়েশা হতে বর্নিত- আল্লাহর নবী বললেন, তোমাকে বিয়ে করার আগে আমি স্বপ্নে তোমাকে দুই বার দেখেছি।এক ফিরিস্তা সিল্কে মোড়ানো একটা বস্তু এনে আমাকে বলল- এটা খুলুন ও গ্রহন করুন , এটা আপনার জন্য। আমি মনে মনে বললাম- যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় এটা অবশ্যই ঘটবে। তখন আমি সিল্কের আবরন উন্মোচন করলাম ও তোমাকে তার ভিতর দেখলাম। আমি আবার বললাম যদি এটা আল্লাহর ইচ্ছা হয় তাহলে এটা অবশ্যই ঘটবে।
ভাগ্য ভাল তবুও মোহাম্মদ সেটা স্বপ্নে দেখেছিলেন, নইলে আল্রাহ তো সরাসরি কোরানের আয়াত ও নাজিল করতে পারতেন আয়েশাকে বিয়ের ব্যপারে।
স্বপ্নে এটা দেখার পর, নবীজি হযরত আবু বকরের নিকট গেলেন ও তার স্বপ্নের কথা সেই সাথে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্চের কথা জানালেন।
সহি বুখারি, ভলুম-৭, বই- ৬২, হাদিস নং-১৮
উরসা থেকে বর্নিত- নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছের কথা জানালেন। আবু বকর বললেন- আমি তোমার ভাই , এটা কিভাবে সম্ভব? নবী উত্তর দিলেন- আল্লার ধর্ম ও কিতাব মোতাবেক আমি তোমার ভাই, রক্ত সম্পর্কিত ভাই না, তাই আয়শাকে আমি বিয়ে করতে পারি।
একটা দুধের শিশুকে বিয়ে করার জন্য কি সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করছেন মহানবী। পৃথিবীর কোন অসভ্য ও বর্বর মানুষটাও কি এ ধরনের যুক্তি তুলে ধরতে পারে কোন শিশুর পিতার কাছে ? উল্লেখ্য , মহানবীর বয়স তখন ৫১ আর আবু বকরের বয়স তখন ৫৩, প্রায় সমবয়সি তারা। তাছাড়া তারা সব সময় একসাথে চলা ফেরা করেন, কাজকর্ম করেন, মেলা মেশা করেন। তারা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মত।ধর্মের কথা বাদ দিলেও , কোন লোক কি তার সমবয়সী ঘনিষ্ঠ বন্দুর কাছে তার শিশু কন্যাকে বিয়ে করার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে ? কিন্তু মোহাম্মদ পেরেছিলেন। মোহাম্মদ জানতেন সরাসরি বিয়ের কথা বললে আবু বকর রাজি না ও হতে পারেন, তাই তাকে চাতুরীর আশ্রয় নিতে হলো, বলতে হলো স্বপ্নের কথা, তিনি জানতেন সহজ সরল সাদা সিদা প্রকৃতির মানুষ আবু বকরকে স্বপ্নের তথা আল্লাহর ইচ্ছার কথা বললে তিনি আর কিছুতেই না করতে পারবেন না। শিশু অবস্থা থেকেই আয়েশা দেখেতে সুন্দরী ছিলেন। কাজে অকাজে মোহাম্মদ প্রায়ই আবু বকরের বাড়ীতে যাতায়াত করতেন ও আয়েশাকে দেখতেন। তখন্ থেকেই তার মনে আয়েশার প্রতি আকর্ষন বোধ করতে থাকেন বোঝা যায়। একটা প্রৌঢ় লোক বন্ধুত্বের সূত্র ধরে তার প্রায় সমবয়সী বন্ধুর বাড়ীতে অহরহ যাচ্ছেন অথচ তার বাচ্চা মেয়েটার প্রতি নবী ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে তাকাচ্ছেন যা কিনা ভীষণ সমালোচনার যোগ্য। আর কি আশ্চর্য সকল মুসলমানরা বিষয়টিকে অতি সাধারন ঘটনার মতই দেখে আর ভাবে – সেটাই স্বাভাবিক ঘটনা।
সহি বুখারি, ভলুম-৭, বই -৬২, হাদিস নং- ৬৫
আয়েশা হতে বর্নিত- মহানবী তাকে ছয় বছর বয়েসে বিয়ে করেন, নয় বছর বছর বযেসে তাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। হিসাম জানিয়েছিল- আমি জেনেছি আয়েশা মহানবীর মূত্যুর আগ পর্যন্ত নয় বছর যাবত বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।
ছয় বছর বয়েসে অবশ্যই একটা মেয়ে স্বামীর ঘর করার মত উপযুক্ত নয় বিবেচনায় আয়শাকে তিন বছর পর্যন্ত পিতামাতার ঘরে থাকতে হয়। নয় বছর বয়েসে তিনি স্বামীর ঘর করতে যান। কিন্তু নয় বছর বয়সও কি স্বামীর ঘর করার মত উপযুক্ত বয়স নাকি ? খালি ঘর করা তো নয় আরও বিশেষ বিষয়ও তো আছে যা বলা বাহুল্য দৈহিক মিলন। নয় বছর বয়েসে কি একটা মেয়ে দৈহিক মিলনের জন্য উপযুক্ত হয় নাকি ? তা ছাড়া তখন মোহাম্মদের বয়স ৫৪ বছর তিনি কি ভাবে একটা ৯ বছর বয়েসের মেয়ের সাথে দৈহিক মিলন করার মানসিকতা রাখেন যেখানে তার চাইতে ঢের বড় একটা কন্যা সন্তান ফাতিমা আছেন। এরকম একটা পিতা তার সন্তানের সামনে কিভাবে একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে এক সাথে শয়ন করতে পারেন ? এটা কি কোন সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের কাজ ?
একটা সাইটে দেখলাম শিশু আয়শাকে বিয়ে করার পিছনে ইসলামপন্থীরা কিছু যুক্তির অবতারনা করেছেন। তাদের যুক্তি- মহানবী তাকে বিয়ে করেছিলেন হাদিস সংকলনের উদ্দেশ্যে। মানুষ যখন উন্মাদ , অন্ধ বিশ্বাসী ও বধির হয় তখন কু যুক্তিকেও তারা যুক্তি হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালায়, তা সে আদৌ মানুষ গ্রহন করুক বা না করুক। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, আবু বকর তার মেয়েকে লেখা পড়া শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ করেছিলেন্। কিন্ত মাত্র ছয় বছর বয়েসে কি তিনি মহাপন্তিত মহিলা হয়ে গিয়েছিলেন নাকি ? আয়েশা কিছু হাদিস সংকলন পরবর্তীতে করেছেন ঠিকই , কিন্তু তা অন্যান্য সাহাবাদের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। যদি আয়েশা কোন হাদিস সংকলন না ও করতেন তাহলে কি ইসলামের প্রচারে কোন হের ফের হতো ? বরং দেখা যায়- আয়েশা হাদিস সংকলন করাতে বরং ইদানিং ইসলামের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। নারী সম্পর্কিত তার একটা হাদিস যেখানে নারীদেরকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হয়েছে বর্তমানে অনেক ইসলামী পন্ডিত তাকে বাতিল বলে গন্য করার তালে আছে। এক মহা ইসলামি পন্ডিতের সাথে ইদানিং হালকা আলোচনা করার সুযোগ হয়েছিল্। তাকে যখন বুখারী শরিফের নানা হাদিস উল্লেখ করে তার ব্যখ্যা জানতে চাচ্ছিলাম তো তিনি সরাসরি বলে বসলেন তিনি হাদিস শরিফ মানেন না। কারনটা সহজেই বোধগম্য- কারন হাদিসে এমন অনেক বিষয় আছে যা আধুনিক যুগে মানা মানে বর্তমান জগতের সব সভ্য নিয়ম কানুন ও মানবিকতাকে অস্বীকার করা। সুতরাং সোজা রাস্তা হচ্ছে- হাদিসকে অস্বীকার করা। তার এ অস্বীকারের বিষয় অন্য একজন ইসলামি পন্ডিতের কাছে তুলে ধরতেই তিনি তাকে অমুসলিম হিসাবে আখ্যায়িত করলেন। তো এখন বুঝুন ঠেলা।
ইসলামপন্থিরা সব সময় প্রচার করে-ইসলাম পূর্ববর্তী যুগ মানে আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগে আরবরা নারী শিশুকে জীবন্ত কবর দিত, পরস্পর মারামারি কাটাকাটি করত, মদ জুয়ায় আসক্ত ছিল, নারীদের কোন সম্মান ছিল না ইত্যাদি। বিষয়টি যে কতটা মিথ্যে তা কিন্তু নবীর জীবন দেখেই বোঝা যায়। তার প্রথম বিবি খাদিজা ছিলেন তখনকার আরবের অন্যতম ধনাঢ্য মহিলা যিনি তার নিজের ব্যবসা নিজেই চালাতেন। সমাজে নারীদের সম্মান না থাকলে সেটা কি সম্ভব হতো ? এই ধনাঢ্য মহিলাটি যদি মোহাম্মদকে চাকরি না দিতেন, তাকে বিয়ে করে তার আর্থিক নিরাপত্তা বিধান না করতেন, তাহলে মোহাম্মদকে আর ইসলাম প্রচার করতে হতো না , সারা জীবন উট দুম্বা পালন করেই কাটাতে হতো। অথচ সেই মোহাম্মদ ইসলাম প্রচার করার পর কতটা অকৃতজ্ঞ যে , নারীদেরকে তিনি আল্লাহর বানীর নাম করে চার দেয়ালে আটকে ফেললেন। বলা হয়- নারী শিশুকে জীবন্ত পুড়ে মারা হতো। কিন্তু হাদিসের কোন ঘটনা বা আরবর ইতিহাসে আমরা এরকম কোন ঘটনাই আমরা দেখি না , কেন ? তাছাড়া এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর সব দেশে সব সময়ই কম বেশী হয়ে আসছে, এখনো হচ্ছে। ওটা খুব সাধারন ঘটনা সর্বকালের জন্য। মারামারি কাটাকাটি ? আমরা তো বরং দেখি ইসলাম প্রচারের পর থেকেই তা ব্যপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা আজো থামা তো দুরের কথা নতুন করে মাত্রা পেযেছে আত্মঘাতী বিমান বা বোমা হামলার মাধ্যমে। যাকে ইসলামের স্বর্নযুগ বলা হয়- সেই যুগের চারজন খলিফার মধ্যে এক আবু বকর ছাড়া বাকিগুলোই কিন্ত নিহত হয়েছে ঘাতকের হাতে তথা মুসলমানদেরই হাতে। যদিও মুসলমানরা প্রচার চালায় তারা নিহত হয়েছেন মুনাফিকদের হাতে, কিন্তু আসলে ওরা মুনাফিক ছিল না। কারন আমরা দেখেছি পরবর্তীতে সেই মোনাফেকরা ক্ষমতায় এসেই ইসলামের ঝান্ডা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিয়েছে ও অনেক দেশ দখল করে এক বিশাল সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। মুসলমানরা কি রকম নিমকহারাম যে, যখন খলিফাদের হত্যার কথা বলা হয় তখন তারা বলে হত্যাকারীরা মুনাফিক আর যখন ইসলামের বিজয়ের ইতিহাস নিয়ে কথা হয় তখন সেই মুনাফিকরা হয়ে যায় মহান মুসলিম বীর। ঠিক তেমনি একটা প্রোপাগান্ডা তারা চালায় বিশ্বখ্যাত নোবেল জয়ী পদার্থবিদ আব্দুস সালামকে নিয়ে। আব্দুস সালাম কিন্ত ধর্মীয় বিশ্বাসে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের যাদেরকে শিয়া বা সুন্নি কোন শ্রেনীর মুসলমানরাই মুসলমান হিসাবে গন্য করে না , বরং তাদেরকে অমুসলিম হিসাবে ঘোষনা ও তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে ফেলার চক্রান্ত আটে। অথচ যেই তিনি বিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার পেলেন্ ওমনি মুসলমানরা সবাই মাতম তুলল এই প্রচারে যে- মুসলমানরাও পারে ও তাকে নিয়ে মহা মাতামাতি শুরু করে দিল। মদ ও জুয়া ? ইসলাম প্রচারের পর মদ ও জুয়ার প্রকোপ কমেছে বলে তো শোনা যায় না । সৌদি আরবে মানুষ প্রকাশ্যে মদ পান ও জুয়া খেলে না , কিন্তু ওরা যে মদ খেয়ে কি পরিমান অসভ্যতা করতে পারে তা দেখতে চাইলে ব্যাংকক চলে যান দেখতে পাবেন। বাইরে যখন ওরকম মদ খায় তাহলে তারা তাদের ঘরের ভিতর খায় না, একথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারে ? ব্যাংককের পতিতাদের কাছে যদি জিজ্ঞেস করেন সব চাইতে অসভ্য ও বিকৃত রুচির খদ্দের কারা , তারা এক বাক্যে বলে দিবে- আরব রা। স্বয়ং নবীর দেশে জন্মগ্রহন করা ও ইসলামী ঝান্ডার একমাত্র দাবিদার দেশের লোকদেরই এই অবস্থা। তাহলে তো দেখি আইয়ামে জাহিলিয়াতের যুগ আসলে শুরু হয়েছে মোহাম্মদের ইসলাম প্রচার করার পর খেকেই। কারন ইসলাম পূর্ববর্তী আমলে আরবের গোত্ররা অন্তত কয়েকটি নীতি মেনে চলেত- তা হলো – নির্দিষ্ট কয়টি মাসকে পবিত্র মাস মনে করে যুদ্ধ বিগ্রহ করত না, কাবা শরিফকে পবিত্র স্থান মনে করত, কারো সাথে মৈত্রী চুক্তি হলে তার বরখেলাপ করত না, কেউ বিপদে আশ্রয় চাইলে আশ্রয় দিত ( স্বয়ং মোহাম্মদ সেরকম সুযোগ নিয়ে মদিনাতে আশ্রয় নেন ও পরে নিজেই আশ্রয়দাতার ঘর দখল করেন), পালিত পূত্র/কন্যাকে আপন পুত্র/কন্যার ন্যয় গণ্য করত ইত্যাদি। অথচ এই মোহাম্মদ নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যে তার পালিত পূত্র জায়িদের স্ত্রী জয়নবকে আল্লাহর বানীর নামে তালাক দিতে বাধ্য করে পরে তাকে বিয়ে করেন এবং পালিত পূত্র/কন্যা ও পিতা-মাতা সম্পর্কের মত একটা মহান মানবীয় সম্পর্ককে কলুষিত করেন। কোন পুরুষ মানুষ কি পারে একটা বাচ্ছা মেয়েকে পালিত কন্যা হিসাবে লালন পালন করে পরে যখন সে যৌবনবতী হয় তার সাথে যৌন লালসা পোষণ করতে ? যদি কেউ তা করে তাকে স্বাভাবিক মানুষ বলা যায় কি ?তাকে তো সবাই নরপশু , বদমাইস, অসভ্য আর লম্পট বলে গালি তো দেবেই সেই সাথে তাকে সবাই বয়কটও করবে । অথচ কি অবলীলায় আমাদের মহানবী সেই ঘটনাটা ঘটালেন আর তার সেই ঘটনাকে সঠিক প্রমান করতে আজকের তথাকথিত ব্রেইন ওয়াশড ইসলামী পন্ডিতদের কি প্রানপাত প্রচেষ্টা ! তো আইয়ামে জাহিলিয়াত কি ইসলামের আগে না পরে আমরা অবলোকন করছি ???
ইসলাম পন্থিরা নানা যায়গাতে প্রচার চালান মোহাম্মদ নাকি প্রতিটি বিয়েই করেছিলেন কোন না কোন উপযুক্ত কারনে , যেমন- গোত্র গত মিলন, অসহায় বিধবাদের আশ্রয়দান ইত্যাদি কারনে। এখন প্রশ্ন হলো- মহানবী আয়শার মত একটা দুধের বাচ্চাকে কেন বুড়ো বয়েসে বিয়ে করলেন , কি উদ্দেশ্যে? অনেক আগেই তো আবু বকর মোহাম্মদের দাস হয়ে গেছেন, মোহাম্মদ যা বলে তাই চোখ বুজে বিশ্বাস করে, কাউকে খুন করতে বললেও খুন করে চলে আসে। তার সাথে কোন গোত্রগত সমস্যাও নেই , তাহলে ? তিনি তার পালিত পূত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নাবকে কেন বিয়ে করেছিলেন সে কি আশ্রয়হীনা ছিল? হযরত ওমরের মেয়ে হাফসাকে কেন বিয়ে করেছিলেন , সেও কি আশ্রয়হীনা ছিল? এছাড়া মোহাম্মদ যে সব বিধবাদের বিয়ে করেছিলেন আশ্রয় দান করতে , তার তো বহু সাহাবা ছিল যারা তার কথায় জান দিয়ে দিত অকাতরে , উনি তো তাদেরকে বলতে পারতেন সেসব বিধবাদের বিয়ে করার জন্য।তাহলেই তাদের আশ্রয় হয়ে যেত। নিজেকেই একের পর এক বিয়ে করে আশ্রয়হীন নারীদেরকে আশ্রয় দিতে হচ্ছে , এটা খুব ঠুনকো অজুহাত মনে হয়। কোন কোন নারী নাকি তাদেরকে বিয়ে করার জন্য মোহাম্মদকে অনুরোধ করেছিল। তো অনুরোধ করলেই আল্লাহর নবীকে বিয়ে করতে হবে নাকি ? দেখা যাচ্ছে, উনি একটার পর একটা বিয়ে করে গেছেন, আল্লাহ কি ওনাকে দুনিয়াতে খালি বিয়ে করতেই পাঠিয়েছিলেন ? এমন ধরনের পরিস্থিতিতে কেউ যদি মোহাম্মদকে যৌন বিকার গ্রস্থ এক অস্বাভাবিক চরিত্রের মানুষ বলে অভিযোগ করে , সেটা কি খুব অন্যায় হবে ? এ রকম প্রশ্ন করলে কি তাকে ইসলাম বিদ্বেষী বলা যাবে ? সমস্যাটা কিন্তু আসলে সেখানে নয়। সেই আমলে বহু বিবাহ নি: সন্দেহে খারাপ কোন কাজ ছিল না, কিন্তু বলা হচ্ছে মোহাম্মদ হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানব, তাকে অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। তাহলে বর্তমানে কোন একজন খাটি ইমানদার বান্দা যদি এই্ আদর্শ অনুসরণ করে একের পর এক বিয়ে করতে থাকে , তাকে কি একজন ভাল মানুষ বলা হবে নাকি লম্পট বা বদমাশ বলা হবে ?
লেখাটিতে আর মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
সত্য সবসময়ই অপ্রিয় হয়। শুধু যে মুসলমানদের মধ্যেই সন্ত্রাসী কার্য্যকলাপ বিদ্যমান তা নয়, সব ধর্মের মধ্যেই আছে, কিন্তু এটুকু বলতে পারি, মুসলিমদের দ্বারা সংগঠিত সন্ত্রাস যেভাবে সারা দুনিয়াময় ব্যাপকতা লাভ করেছে তা অন্য কোন ধর্মের বেলায় প্রযোজ্য হয় কিনা আমার সন্দেহ আছে। এটা কেন হচ্ছে সেটাই শুধু জানতে ইচ্ছা করে। ইসলামের অন্যান্য প্রসংগ না হয় বাদই দিলাম।
আদিল মাহমুদ বলেছেন (মন্তব্য নং :৮)
চ র ম স হ ম ত। এর পরে আর কিচ্ছু বলার নেই। :rose:
@বিপ্লব রহমান,
আপনি সহমত হলেও অনেকে কথা ঘোরাচ্ছেন। তাদের মতে আমরা কেউ কেউ নাকি ধর্মবিরোধী বা ইসলাম বিরোধী লেখাই সহ্য করতে পারছি না। এই অভিযোগ যে কতটা হাস্যকর তা যে কারোরই বোঝার কথা।
নবীর সমালোচনা বা এই বিবি আয়েশা কাহিনীই কতবার কতভাবে এই মুক্তমনায় অসংখ্যবার এসেছে। কিন্তু এ ধরনের প্রতিবাদের ঝড় খোদ সদস্যদের থেকেই কোনদিন আসেনি। এর কারন কি তা ভাবার কোনই প্রয়োযন এনারা বোধ করছেন না। মাত্র গত মাসেই আকাশ মালিক বিবি আয়েশা নিয়ে রীতিমত রসালো সিরিজ লিখেছেন, তাতে কি এমন কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল নাকি?
@আদিল মাহমুদ,
তর্ক-বিতর্কে আপত্তির কিছু দেখি না। তবে লেখা ও কোনো কোনো মন্তব্যে আগ্রাসী ধর্মীয় উন্মাদনার সুস্পষ্ট আভাষ পাই। আমার আপত্তি এখানেই। :no:
ব্যাক্তিগতভাবে ধর্মে আমার বিশ্বাস নেই। আমি যুক্তি-তর্কে, বাস্তবতার নিরিখে এর অসাড়, কুসংস্কার ও অন্ধকার দিক উন্মোচিত করতে বলি। কিন্তু তাই বলে যুক্তি-তর্কের ছদ্মবেশে ধর্মীয় লোকদের নিপাত করার মনোভাব প্রকাশ করতে হবে কোন যুক্তিতে?
এ প্রসঙ্গে স্বঘোষিত নাস্তিক এবং মৌলবাদ কথিত মুরতাদ ড. আহমদ শরীফের নেওয়া একটি পুরনো সাক্ষাতকারের কথা মনে পড়ছে।
বিখ্যাত নকশাল নেতা আজিজুল হকের একটি লেখার সূত্র ধরে শরীফ স্যারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম:
জবাবে ড. আহমদ শরীফ বলেছিলেন:
আমারও কথা তাই, আমি হয়তো আপনাকে পছন্দ করছি না, কিন্তু তাই বলে আপনাকে চড় মারতে হবে কেনো? 😕
@বিপ্লব রহমান,
আহমেদ শরীফ জীবিত থাকতে আমি চরম ধার্মিক টাইপ মানুষ ছিলাম, তাই ওনার কথাবার্তা কোনদিন গুরুত্ব দিয়ে পড়িনি। এখন আফসোস হয়।
এই ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই ধর্মহীনতা জাতীয় অর্থহীন বিতর্ক যে বাংলা ব্লগগুলোতে কি পরিমান হতে পারে তা অবিশ্বাস্য লাগে।
@আদিল মাহমুদ,
হুমম…। মেধার কি মারাত্নক অপচয়! :-Y
আমার মনে হয় আমাদের আপত্তিটা আমরা পরিস্কার করতে পেরেছি। গঠনমূলক সমালোচনা এক জিনিস আর আবেগী সমালোচনা আরেক জিনিস। মুক্তমনায় ধর্মের সমালোচনাকারী লেখা অবশ্যই প্রকাশ করা হবে যতক্ষণ সেটা আবেগবিবর্জিত থাকছে। ধর্মবিরোধী লেখা নিষিদ্ধ করার প্রশ্নই আসে না, মুক্তমনার সর্বাধিক পঠিত লেখাগুলোর দিকেই দেখুন।
আমার মনে হয় এই পোষ্টে মন্তব্য গ্রহন বন্ধ করার সময় এসেছে। লেখকের প্রতি আবারও অনুরোধ, একজন সত্যান্বেষী মুসলমানের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে একবার একটু ভেবে দেখুন আপনার কাছে কোন লেখাগুলো যৌক্তিক মনে হবে এবং কোন লেখাগুলো বিদ্বেষ মনে হবে।
Excellent !
কোন অসুবিধা নাই। আপনার আর উত্তর দেবার দরকার নাই।
আপনার উপদেশের জন্যে ধন্যবাদ। আমি সব সময় অন্যের কাছে শিক্ষা নিতে প্রস্তুত। আপনি যেহেতু নবীজীকে অনুসরণ করেন না, তাই আপনি কি ঐ বিলিয়ন মুসলিমদের দলে পড়বেন?
ভালো কথা। আমাদের লেখা মুক্তমনার মানের নয়। কোন অসুবিধা নাই। আমাদের লেখা প্রকাশের কোন প্রয়োজন নাই। আমরা হেট মংগার—আর আপনারা নিষ্পাপ শিশু।
আপনি সংখ্যা নিয়ে আপনার যুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। এটা কি যুক্তিসংগত? উপরে উল্লিখিত ব্যক্তিগণ কি লিখেছে অথবা কি মনে করছে তাতে আমার কি যায় আসে। আমি কি তাদের মনোরঞ্জনের জন্য, অথবা মুক্তমনার পায়ে জয়গান করে, মন পূষিয়ে লিখব? আমি যা ভালো বুঝেছি তাই লিখেছি। ইচ্ছে করলে, মুক্তমনা যদি মনে করে আমার স্বাধীন মতবাদ তাদের নীতির পরপন্থি তবে আমার মন্তব্য মুছে দিতে পারে। আমার তাতে কোন আপত্তি নাই।
তা ভালো কথা। আচ্ছা হেট মংগার শব্দটা কী বিশেষন নয়? তা’হলে আমাদের বিরুদ্ধে আপনি এই ভাবে অপমানজনক উপাধি ব্যাবহার করবেন, আর আপনার সমর্থকরা তাই সমর্থন করবে, এতে মুক্তমনার নীতির কি প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে? আমরা কেমন করে যারা মুক্তমনার কর্ণধার তাদের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করতে পারি? আপনি কি জানেন কারা মক্তমনাকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে? এ কেমন মুক্তমনা যে দুইমুখী নীতি পালন করছে? এর জবাব আমি মুক্তমনার কাছে পেতে চাই।
আমি কেন অবান্তর প্রশ্নের উত্তর দিব? আপনি আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, জর্দান…ইত্যদি ইসলামী দেশ থেকে ঐ তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। আর আমি তো লিখেছিই নবীজীর উদাহরণ বিশ্বব্যাপি সমস্ত মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য। যাঁরা নবীজীকে মানছেন না তাদের এ ব্যাপারে এত ঊষ্মার কি প্রয়োজন? আপনি নবীজীকে মানবেনও না আবার তাঁর চরিত্রের আঁধারপূর্ন দিকটা প্রকাশ করলে আমাদেরকে হেট মংগার বলবেন—এটা কি ধরনের যুক্তি। এটাই কি মুক্তমনার উঁচু মাণের প্রমান?
আপনি আপনার নিজের কথা খেয়ে ফেলেছেন। একদিকে বলছেন আপনারা নবীজীর উদাহরণ মানেন না, অপরদিকে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই উঠেপড়ে লেগে যাচ্ছেন নবীজীকে সমর্থন করার জন্য। এই ধরণের যুক্তিই কি মুক্তমনায় চলে?
আগেই লিখেছি—আপনার দরকার নেই এই মন্তব্যের উত্তর দেবার। আমার মনে আমি যা ভালো বা ন্যায় সঙ্গত মনে করেছি তাই লিখেছি। মুক্তমনার সমস্ত সদশ্যও যদি ভবঘুরেকে হেট মংগার মনে করে করুক। আমি এখনও বলছি ভবঘুরে অন্যায় কিছু লিখে নাই। দেড় বিলিয়ন মুসলিম কি চিন্তা করবে, তাদেরকে কি ভাবে খুশী করে রচনা লিখতে হবে সেটা আমার কাছে ধার্তব্য নয়। আমি যা ন্যায় সঙ্গত মনে করেছি তাই লিখেছি, তাই-ই লিখব—মুক্তমনার ভালো লাগুক বা নাই লাগুক। এটাই আমার শেষ কথা। আমাদের জনপ্রিয়তার কোন প্রয়োজন নাই।
আপনার প্রতি আমার প্রচুর শ্রদ্ধা আছে। আমি সর্বদাই আপনার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসংশা করেছি এবং করব। আপনি আমার সমন্ধে যত খারাপ ধারণাই করুন, যতই হেট মংগার বলুন, আমি কিন্তু আপনাকে প্রচুর সম্মান করি এবং ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে আপনার কোন বিরোধ নাই।
@আবুল কাশেম,
আপনার কথাই মেনে নিচ্ছি, আপনার কথার কোন জবাব দেবার আমি কিছু দেখি না।
তবে আপনার কোন লেখার সমালোচনা এখানে আমি বা কেউ করেনি, আপনার সাথে যা আলোচনা হয়েছে তা হয়েছে আপনার কমেন্ট নিয়ে। তাই আমাদের বনাম আপনাদের এ ধরনের দলাদলি বা ঘেটো গঠনের কোন দরকার নেই।
আপনার যা খুশী বলুন, আমি কি আপনার মুখ চেপে ধরতে চেয়েছি নাকি লেখা বাদ দেবার কারো কাছে জানিয়েছি? নবীন প্রজন্মের উদাহরন দিয়েছি এই কারনে যে তাদের নিয়েই যুক্তিবাদ বা মানবতাবাদের আশা আমি বেশী দেখি। তাই বলে আপনার লেখা মুক্তমনার মানের নয়, আপনি হেট মংগার, আমি নিষ্পাপ শিশু এ ধরনের মন্তব্যের দায় আমার উপর অযাচিতভাবে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা শিশুসূলভ। আপনাকে তো দুরের কথা, এই প্রবন্ধের মূল লেখককেও আমি বা আর কেউ তেমন কিছু বলেননি। শুধু তার কিছু মন্তব্য নিয়ে যৌক্তিক সমালোচনা হয়েছে। যদিও মূল সমালোচনার কোন জবাব এখনো তিনি দেননি। বন্যা আহমেদের ২১ নম্বর কমেন্ট পড়লে বুঝতে পারার কথা।
আপনার লেখা থেকে আমি ইসলামের বহু ইতিহাস কাহিনী শিখেছি, তাতে কোন সন্দেহ নেই, সত্যের সন্ধান দেবার জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ বলতেই হবে। তবে তার মানেই আপনার সব বিশ্লেষনের সাথে একমত হতে হবে তেমন কোন কথা নেই।
আদিল মাহমুদ এবং আবুল কাশেম,
আমাদের সবারই বোধ হয় এখন একটু ঠান্ডা হবার সময় এসেছে। কোন লেখায় একতরফাভাবে কেবল ‘বিকৃত, অপ্রকৃতিস্ত, বিকৃতমনা, অস্বাভাবিক চরিত্রের মানুষ’ বলে স্থুল লেখা যেমন সমর্থনীয় নয়, ঠিক তেমনি কাউকে ‘হেট মংগার’ হিসেবে প্রতিপন্ন করাও শোভনীয় নয়। মতামতের ভিন্নতা থাকবেই। কিন্তু সেই ভিন্নতাটুকু মেনে নিয়েও বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করে লেখা যায়। কেবল একতরফাভাবে গালাগালি আর বিশেষণ প্রয়োগ করলে, এর প্রতিক্রিয়াও হয় সেরকম। মুক্তমনা সবসময়ই সমালোচনামূলক মনোবৃত্তিকে স্বাগত জানায়, কিন্তু সমালোচনা মানেই যদি কতকগুলো হাদিস কোট করে তারপর জাতি ধরে সবাইকে ‘বিকৃত, অপ্রকৃতিস্ত, বিকৃতমনা’ ইত্যকার বিশেষণ হাজির করে লেখা সম্পূর্ণ করে ফেলা হয়, তবে সে লেখা একদিকে যেমন বস্তুনিষ্ঠতা হারায় ঠিক তেমনি মানেও হয়ে উঠে স্থুল। ভবঘুরে নিঃসন্দেহে একজন শক্তিশালী লেখক। কিন্তু তার শক্তিকে তিনি এতো সস্তাভবে গালিগালাজের জন্য ব্যয় করবেন কেন? যারা তার লেখাকে সমর্থন করেছেন, তাদের দায়িত্ব কেবল লেখা আসলেই পিঠ না চাপড়িয়ে তার ভুলগুলোও ক্রমান্বয়ে ধরিয়ে দেয়া।
কেউ তার ভুল ধরিয়ে দিলে যেমন সাথে সাথে ‘আপনিও হয়তবা আত্মঘাতী বোমারু হতে দ্বিধা করবেন না’ কিংবা ‘তাঁদের মাঝে লুকিয়ে আছে ঐ ১০% মুসলিমদের মনোভাব যারা হাজার হাজার কাফের হত্যা করে ইসলামী বিশ্ব কায়েম করতে চায়’ বলে সবাইকে ইসলামী সন্ত্রাসের সমর্থক ভাবাটা যেমন যুক্তিনিষ্ঠ নয়, ঠিক তেমনি, আবার বিপরীতপক্ষকে ‘হেট মংগার’ বলে অভিষিক্ত করাটাও সমীচীন নয়। যাহোক আমি কিছু বক্তব্য নিয়ে কথা বলব, আশা করব ব্যাপারটিকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না।
কাশেমভাই, আপনি খুব যুক্তিসঙ্গতভাবেই আদিলকে প্রশ্ন করেছেন,
খুবই ঠিক কথা। নবীজীকে অনুসরণ না করলে এগুলো নিয়ে ব্যথিত হবার কিছু নেই। কিন্তু দেখুন আগের মন্তব্যেই কিন্তু আপনি বলেছিলেন, ‘আপনাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে সে আঘাত করেছে তাই আপনারা ক্ষেপে গেছেন, এটা কি সত্যি নয়?’ আপনি কি সত্যই মনে করেন, যারা যারা এ লেখাটিতে প্রতিবাদ করেছেন, তারা কেবল ‘ধর্মীয় অনুভূতি’তে আঘাত লেগেছে বলেই প্রতিবাদ করেছেন? লেকাটির ভাষগা, গুণ এবং মান নিয়ে যারা সন্তুষ্ট নন, তাদের কি হবে? তাদের সমালোচনা বস্তুনিষ্ঠ হলেও কি ‘মাডারেট মুসলিম’ কিংবা ‘আপনাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে’ বলে এড়িয়ে যাওয়া কি সঠিক এপ্রোচ?
না কাশেমভাই, মুক্তমনার পায়ে জয়গান করে, মন পূষিয়ে লিখার দরকার নেই। কিন্তু কখনো কখনো সমালোচনাগুলোকে গুরুত্ব না দিলে কেবল বৃত্তবন্দি থাকতে হয়। আপনি চিন্তা করে দেখুন – সবাই যদি ‘যা ভালো বুঝেছি তাই লিখেছি’ মনোভাব পোষণ করে লিখতে থাকেন আর গালিগালাজ করতে থাকেন, তবে মুক্তমনা কেবল কাদা ছোঁড়াছুড়ির স্থানে পরিণত হবে। এটাও তো কাম্য নয়। আমরা যখন সমাজে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে কথা বলি, কিংবা দ্বিমত করি, সেটা কিন্তু যতদূর সম্ভব ‘প্রফেশনালি’ করার চেষ্টা করি, অনেকক্ষেত্রেই ‘যা ভালো বুঝেছি তাই বলেছি’ কিংবা ‘যা ভালো বুঝেছি তাই লিখেছি’ বলে শেষ করে দেই না। এই ব্যাপারগুলোও আপনি একটু ভাববেন আশা করছি। মুক্তমনা ব্লগ কমিউনিটি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। আমাদের দায়িত্বও বাড়ছে। লেখার মান, ভাষা পারষ্পরিক আন্তঃসংযোগের ধরণ অনেকক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এগুলো মাথায় রাখতে হবে বোধ করি।
এই ব্যাপারটিতে আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। মতের ভিন্নতা থাকলেই কাউকে বিশেষণে বিশেষিত করার চেষ্টাটা খুবই স্থুল। ভবঘুরের যে ভাষার জন্য আমার লেখাটি ভাল লাগেনি, আদিল মাহমুদের বক্তব্যও পানসে হয়ে গেছে এই বিশেষণটির জন্য। আমি আদিলকে এ ব্যাপারটি চিন্তা করবার পরামর্শ দেই।
আপনাদের মত লেখকেরাই মুক্তমনার শক্তি কাশেম ভাই। আপনারা মুক্তমনার পুরোন লেখক। সেজন্যই আপনাদের প্রতিই আমাদের প্রত্যাশা সম্ভবতঃ বেশি। কোন লেখকের লেখার ভুল ধরা মানে কিন্তু ‘মুক্তমনার দুইমুখী নীতি’ নয়। আপনার উপর যে বিশেষণ প্রয়োগ করা হয়েছে, তার জন্য আদিল দুঃখ প্রকাশ করবে বলে আশা করছি। কিন্তু আবার বিপরীতপক্ষে ভবঘুরের লেখার সমালোচনাগুলোকেও আপনার গুরুত্ব দিয়ে বিচার করতে হবে, ‘মডারেট মুসলিমদের সমালোচনা’ বলে এড়িয়ে গেলে হবে না।
নবীজীর বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই উঠে পড়ে লেগে যাওয়ার কথাটা বোধ হয় ঠিক হল না, অন্ততঃ মুক্তমনায় তো নয়ই। মুহম্মদকে নিয়ে মুক্তমনায় বহু লেখা মুক্তমনায় হয়েছে, অতীতেও হবে। এ লেখাটিতে যারা আপত্তি জানিয়েছেন, তারা জানিয়েছেন সঙ্গত কারণেই। আপনারা নিজেরাই বলুন, আকাশ মালিক কয়েকদিন আগে যে মুহম্মদ এবং আয়েশাকে নিয়ে এমন চমৎকার একটি সিরিজ লিখলেন, সবাই তো সেটার প্রশংসাই করেছেন, অথচ এই লেখার ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছেন কেন? আমার নিজেরও ভবঘুরের লেখাটা ভাল লাগে নাই। আপনি নিশ্চয় বলবেন না যে, আমার মধ্যেও ‘আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী’ হবার আলামত লুকিয়ে আছে, সেজন্যই আমি এগুলো বলছি। 🙂
আমার মতে মুক্তমনায় চলে সেই যুক্তিই যা যুক্তির মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হবার যোগ্য, আবেগের বশে লেখা নয়।
কাশেম ভাই, বিনীত ভাবেই বলি – আপনার যেমন অধিকার রয়েছে যা ভালো বা ন্যায় সঙ্গত মনে করেছেন তা নিয়ে লেখার, তেমনি অন্যদেরও কিন্তু অধিকার আছে কোনকিছু খারাপ বা অসমীচীন মনে হলে সেটার প্রতিবাদ করার। দেড় বিলিয়ন মুসলিম কি চিন্তা করবে, তাদেরকে কি ভাবে খুশী করে রচনা লিখতে হবে সেটা যেমন ধার্তব্য নয়, ঠিক আবার লেখার মান থাকুক আর না থাকুক, ইসলামবিরোধী কোন লেখা আসলেই আগাপাশতলা পিঠ চাপরিয়ে সবসময় সাধুবাদ জানাতে থাকলে লেখক তার ভুলগুলো শুধরাবার প্রয়োজনবোধ করবেন না। (অবশ্য আপনি যদি মনে করেন, ইসলামের সমালোচনা করে যারা লেখা লেখেন, তাদের লেখায় কোন ভুল থাকে না, তাহলে ভিন্ন কথা)। আসলে পাঠকদের সামান্য কোন মতামত না নিলে লেখার উন্নতি হয়না বলেই আমি মনে করি। লক্ষ্য করুন – আমি কারো স্ট্যান্ড পরিবর্তন করতে বলছি না, স্ট্যান্ডের মধ্যে থেকেও কিন্তু নিজের লেখাকে ধীরে ধীরে শক্তিশালী এবং ক্ষুরধার করে তুলা যায়, যদি লেখার ছোট খাট সমস্যাগুলোকে ‘সমস্যা’ বলে মেনে নেয়া হয়।
যা হোক দুই পক্ষ থেকেই আমি একটু সহনশীলতা আশা করছি। আশা করি মুক্তমনার সদস্যরা সেই প্রত্যাশা পূরণ করবেন।
খুব সুন্দর একটা টপিক সাথে মন্তব্যগুলো আরও সুন্দর অসাধারন। বিজ্ঞ লেখক ভাই যা লিখেছেন তার মোটামোটি অনেক কিছুর সাথেই আমি একমত, তবে …তবে থেকেই যায়, যাইহোক বন্যা আহমেদ, ফরিদ ভাই,ধ্বংশ, আইভি ইনারা যেই মন্তব্য করেছেন- খুবই সুন্দর, তাদের কাছ থেকে এই সুযোগে আমিও অনেক কিছু শিখে নিলাম, ধন্যবাদ, সাথে আইভি- উনার যুক্তি অসাধারন লেগছে- ৯-১৬ বছর বয়সের এক মেয়ের দ্বারা এইরুপ নারী-নারীত্ব হাদিস দেয়া অসম্ভব, যুক্তিতে আসেনা।
যাইহোক লেখক ভাই অনেক কথাই আছে যা প্রকাশ করা যায়না, আবু হুরায়রা (রাঃ) এর মত আমিও বলতে চাই- তিনি বলেছিলেন – “আমি নবী (সাঃ) এর কাছ থেকে দুই ধরনের জ্ঞান নিয়েছি; এর একটি যা সবাইকে বলি, আর অপরটি যা আমি কাউরেই বলিনা, যদি বলি তাহলে আমার গর্দান কাটা যাবে”। তাই আর এই বিষয় আমিও মন্তব্য করলাম না। শুধু বলতে চাই এইরুপ মহামানব সম্পর্কে বুঝার অনেক অনেক অনেক বাকি আপনার…একটা দিক ভাল সেটা হল ঐ তথাকথিত মুসলিম স্কলারদের মত ভাবাবেগ, বাড়তি কুসংস্কার, অজ্ঞতার ভিতর নেই। নেগেটিভ ধরা অবশ্যই ভালো তবে তা হওয়া উচিত সত্য অনুসন্ধানের। এমন নয় যে আজীবন ঐ মিথ্যার আড়ালে থাকতে হবে।সত্য জানাটা একটা সাধনার বিষয়। এর জন্য বহু প্রতিক্ষা, ধৈর্য, প্রেম, ইচ্ছা, সেইরুপ গভির জ্ঞান প্রয়োজন।তথাকথিত বিদ্যান আলেম, সার্টিফিকেট ধারী মানুষ্রুপী জীবগুলীর দ্বারা প্রচারিত, প্রশারিত ধর্মের সত্য কতটূকুইবা আর পাওয়া যেতে পারে বলেন?
তারপরেও তার ঐ সকল বিভিন্ন কর্ম হয়ত আপনার ভালো নাও লাগতে পারে, এটা যে কারও হয়ত হতে পারে, তবে সেই ক্ষেত্রে আমি বলব সবার অজ্ঞতা। কেননা সেই জ্ঞান, সেই প্রেম সবার কপালে জুটেনা। যদিও আমার আগে আরও অনেকেই আপনাকে বলেছে লেখার মাধুর্যতা, বিভিন্ন দিক নিয়ে, তাই আমি আর বলছিনা, যদিও ছোট মুখে বড় অনেক কথাই বলে ফেললাম।
ধন্যবাদ
আমি আলাদা করে এই উত্তরটা দিচ্ছি কারণ দু-একজন এই আলোচনাটাকে ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। লেখক এবং আরও দু’একজন বলার চেষ্টা করছেন তাদের নাকি ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ কথাটা কে বলেছে তা কিন্তু খুঁজে পেলাম না। আলোচনা এভাবে না ঘুরাতে অনুরোধ করছি, এতে কুতর্ক হয়, সুস্থ বিতর্ক আর হয় না। এখানে যারাই সমালোচনা করেছেন তারা কেউই ধর্ম নিয়ে সমালোচনার বিরোধিতা করেন নি। তাদের প্রায় সবাই একটা কথাই বলার চেষ্টা করেছেন যে লেখাটায় গণহারে সব মুসলমানদের গালাগালি করা হয়েছে এবং লেখাটা জুড়ে লেখকের কতগুলো ব্যক্তিগত ঘৃণা এবং আবেগ প্রকাশ পেয়েছে, কিন্তু সেই অনুযায়ী বিশ্লেষণমূলক ব্যাখ্যা উঠে আসেনি। যার ফলে লেখার মান এবং এবং উপযোগিতা নষ্ট হয়েছে। ফরিদ ভাই এর মতই বলি আমি ব্যক্তিগতভাবে মোটামুটি সারাজীবন ধরেই নাস্তিক কিন্তু আমার চারপাশের খুব কাছের অনেকেই ধার্মিক এবং উদারপন্থী ধার্মিক। তাদের কাউকে আমি তাদের দেওয়া বর্ণণার সাথে একদমই মিলাতে পারলাম না। পৃথিবীর মুসলমানদের মধ্যে একটা ছোট্ট অংশ যে জঙ্গী হচ্ছে না তা নয়, কিন্তু সাবাইকে (জঙ্গী এবং যারা জন্মসূত্রে মুসলিম কিন্তু জঙ্গী নয়) পালের গরুর মত একসাথে করে দেখানোর প্রবণতাটা লেখকের বিশ্লেষণ ক্ষমতার অভাবকেই প্রকটভাবে ফুটিয়ে তোলে। আসলে এভাবে জাত ধরে সবাইকেকে গালাগালি করে একটা লেখা লিখে দিতে কষ্ট করতে হয় না, কতগুলো হাদিস বা আয়াত জোগাড় করে তার সাথে কতগুলো বিশেষণ জুড়ে দিলেই লেখা দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু যে কোন তথ্যকেই নিজের বিশ্লেষণসহ ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিচার করতে হলে কষ্ট করতে, গবেষণা করতে হয়। মুক্তমনার মান বজায় রাখতে হলে সেটা খুব প্রয়োজন, এভাবে বেধড়ক গালিগালাজ করে লেখা প্রকাশ করলে মুক্তমনার মত একটা ব্লগের মান রক্ষা করা সম্ভব হবে না, যারা মুক্তমনায় যুক্তি দিয়ে লেখা ভালো প্রবন্ধ পড়তে আসেন (হেলালের কিংবা আতিক রাঢ়ীর মন্তব্য দেখুন) তারা হতাশই হবেন। আজকে এই লেখাটায় মুক্তমনার বেশীরভাগ ব্লগারই আপত্তি জানিয়েছেন ( যাদের বেশীরভাগই প্রকাশ্যেই নাস্তিক বলেই পরিচিত, ‘মহান, উদারপন্থী, বিজ্ঞান মনোভাবাপন্ন বা মধ্যপন্থী’ নন), আশা করি আপনারা একতরফাভাবে সমালোচনাগুলোকে এড়িয়ে না গিয়ে একটু ভেবে দেখার চেষ্টা করবেন।
আদিল মাহমুদ;
আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনিই দিয়েছেন। আপনি বলছেন আপনি ঐ ১০% মুসলিমদের দলে যোগদান করতে রাজী। অর্থাৎ আপনার কাছে ইসলামের সমালোচনা খারাপ লাগলে অথবা নবীজীর প্রকৃত রূপ প্রকাশ করলে আপনিও মৌলবাদী হয়ে যাবেন। আমরা অনুমান করতে পারি আপনিও হয়তবা আত্মঘাতী বোমারু হতে দ্বিধা করবেন না।
আপনাকে ধন্যবাদ জানাই যে আপনি অত্যান্ত অভ্রান্ত ভাবে সৎ সাহসের সাথে মডারেট মুসলিমদের মনে কি আছে তা খোলাখুলি প্রকাশ করেছেন। মডারেট মুসলিমদের সম্পর্কে আমরাও তাই লিখে আসছি গত কয়েক বছর যাবত। অর্থাৎ মডারেট মুসলিমরা হচ্ছে একই টাকার অপর পিঠ।
তাহলে ভবঘুরে তো ঠিকই লিখেছে। তাকে এত দোষ দেবার কি দরকার? আপনাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে সে আঘাত করেছে তাই আপনারা ক্ষেপে গেছেন, এটা কি সত্যি নয়? তাই আমরা কি বুঝতে পারি? আসলে মুক্তমনাতে যারা নিজেদেরকে মহান, উদারপন্থী, বিজ্ঞান মনোভাবাপন্ন, মধ্যপন্থী…সহিষ্ণু…ইত্যদি বলে প্রায়শঃ দাবী করেন আসলে তাঁদের মাঝে লুকিয়ে আছে ঐ ১০% মুসলিমদের মনোভাব যারা ইসলামের, জন্যে নবীজীর জন্যে, হাজার হাজার কাফের হত্যা করে ইসলামী বিশ্ব কায়েম করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে যখন আত্মঘাতী বোমারুরা শত শত কাফের হত্যা করে তখন এইসব মডারেট মুসলিমরা উপরে নিন্দা করলেও মনে মনে বেজায় খুশী—ঐ সব মৌলবাদী ঘাতকদের সাহসের প্রশংসাও করা হয় নিভৃতে।
তা হলে ভবঘুরে তো ঠিকই লিখেছে। আপনারা তার লেখাকে একটুও সহ্য করতে পারছেন না যেহেতু সে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে।
যাই হোক, আমি আর আগুনে ঘৃতাহুতি দিতে চাইনা, শুধু বলব, কোন ব্যক্তিই সমালোচনার উর্ধে নয়—নবীজীও নন। কিন্তু যেহেতু নবীজী দাবী করেছেন তিনি সৃষ্টিকর্তার সেরা জীব—তাই তাঁর জীবনের প্রতিটি পার্শ্ব আমাদের খুঁটিনাটি দেখা দরকার।
আমি আগেই লিখছি—নবীজী ১৪০০ বছর আগে শিশু আয়েশার সাথে যা করেছেন তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হল যে নবীজীর ঐ আচরণ আজকের যুগেও প্রজোয্য। দেখুন না ইসলামী বিশ্বের নিয়ম কানুন, এ সবই তো করা হয়েছে কোরআন, হাদিস এবং নবীজীর সুন্নার উপর। এমনকি আমাদের দেশের পারিবারিক আইনও তো ইসলামী মতবাদের উপর প্রতিষ্টিত।
তাই বলতে হয় সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিমরা হয়ত নবীজীর উদাহরণ মানে না। তার অর্থ এই নয় যে ইসলামী নিয়ম কানুন অচল হয়ে গেছে। অনেকেই ট্রাফিক আইন মানেন না বা উপেক্ষা করেন। তার অর্থ এই নয় যে ট্রাফিক আইন বাতিল হয়ে গেছে।
@আবুল কাশেম,
এ লেখা নিয়ে বহু পানি গড়িয়েছে। অহেতুক আর বেহদা প্যাঁচাল পাড়ার কোন মানে দেখি না।
আপনাকে শুধু এই উপদেশই দেব যে ইসলামের সমালোচনা আর জাত ধরে বিলিয়ন মানুষকে উন্মাদ, অসূস্থ, বিকৃত রুচি এ ধরনের মন্তব্য করার পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করুন যদি পারেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, এ লেখাকে আমি সহ্য করতে পারছি না, কারন আমি যে মুক্তমনাকে চিনি সেই মুক্তমনার উপযোগি লেখা এটা নয়। আমি জেনে খুবই আনন্দিত যে শুধু আমি একা নই, আরো অনেকেই একই মনোভাব পোষন করছেন। আপনার ভাষায় অভিজিত, বন্যা, ফরিদ ভাই, আতিক রাঢ়ী, নৃপেণদা এরা কেউই সহ্য করতে পারছেন না। এদের সবার মাথা মনে হয় রাতারাতি আমার মত হিডেন ইসলামী সন্ত্রাসীর আছরে নষ্ট হয়ে গেছে। নইলে এমন মহান, মানবতাবাদী, উদার বিশ্লেষনে একই রকম আপত্তি কেন এরা সবাই করেন? এরা সবাই মনে হয় আপনার ভাষায় সহসাই হাজার হাজার কাফের হত্যা করার জিহাদে শরিক হবে। মন্দ হয় না, একটা মুক্তমনা সম্মেন করা যায় কিনা অনেকদিন ধরেই মাথায় ঘুরছিল।
এ লেখার একটি বড় স্বার্থকতা ফরিদ ভাই বলেছেন। আমিও বলছি যে এ লেখার মাধ্যমে আসল যুক্তিবাদী মানবতাবাদী কারা তাও বোঝা গেছে। পৃথিবী খুবই কম বয়সের ছেলে। পৃথিবী, রামগড়ুড়ের ছানা, তানহী এদের মত ছেলেরাই যুক্তিবাদকে এগিয়ে নেবে, মানবতার মুক্তি এদের থেকেই সম্ভব। হেট মংগারদের থেকে নয়।
নবী বিবি আয়েশার আদর্শে কয়জন মুসলমান বাল্য বিবাহ করেছে তার হিসেব আপনাকে দিতে বলেছিলাম, দেননি। আমি নবীজির যৌক্তিক তথ্যপূর্ন সমালোচনায় কোনদিন বাগড়া দিয়েছি তার হিসেব ভাবছিলাম চাইব। তারও দরকার দেখি আর দেখছি না।
সবাইকে ,
ধন্যবাদ আবারো আপনাদের মূল্যবান মতামতের জন্য।
অনেকের প্রশ্ন- ইসলাম আর মোহাম্মদ নিযে এত কথা কেন?
তাহলে আমার প্রশ্ন- দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে শরীরে বোমা বেধে ঘুরে বেড়াচ্ছে কারা ?
গাড়ীতে বোমা নিয়ে জনবহুল জায়গাতে রাখার পায়তারা করছে কারা ?
দেশে দেশে তালেবানী শাসন প্রতিষ্ঠার পায়তারা করছে কারা ?
পরিশেষে- কিছু তথাকথিত পন্ডিতরা কোন কিতাবকে বিজ্ঞানময় প্রচার করার জন্য মরনপন লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন?
রেনেসা আন্দোলনের মাধ্যমে খৃষ্টান ধর্মীয় গোড়ামি অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
বৌদ্ধদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোনকালেই তেমন দৃশ্যমান নয।
হিন্দুরা মাঝে মাঝে তেড়ে ওঠার চেষ্টা করলেই সুবিধা করতে পারে না।
তারপরেও আজকে বিভিন্ন ধর্মে যেটুকু উগ্রতা আর মৌলবাদিতা দেখা যায় তা মূলত: ইসলামের উগ্রবাদিতাকে প্রতিহত করার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরন স্বরূপ- ভারতে বি জে পির উত্থান তখনই হয়েছে যখন পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান ধর্ম নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি শুরু করেছে। জর্জ বুশ এর কথিত ধর্ম যুদ্ধ এর কথা তখনই শোনা গেছিল যখন ইসলামী মৌলবাদীরা দেশে দেশে এমন কি খোদ আমেরিকাকে আক্রমন করেছে।
তাই বর্তমান জগতের ধর্মীয় উন্মাদনার জন্য ইসলাম ও তার ধর্মোন্মাদরা দায়ী। অন্যেরা খালি আত্মরক্ষার জন্যে ধমোন্মাদ হচ্ছে। কিন্তু তার পরও তারা শরীরে বোমা বাধা অথবা গাড়ীতে বিস্ফোরক নিয়ে নিজেকে আত্মাহুতি দেয়ার মত অত মারাত্মক পর্যায়ে যায় নি। ঠিক একারনেই ইসলাম আর তার প্রবর্তক মোহাম্মদ নিয়ে এত কথা ।
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
কারন, মুহাম্মদ একজন আরব আর আরবের মরুর নীচে আছে তেল।
তেল না থাকলেও কথা হতো তবে ঐযে বললেন “এত কথা” সেটা হতোনা।
তেল ফুরিয়ে গেলে আর এতো কথা হবে না।
খুদিরামের কথা ভুলে গেলেন ? খুদিরাম ছিলো পরাধীন, আজকের আরব যুকটির দেশও পরাধীন।
বহুজাতিক বাহিনী যাদের দেশ, সম্পদ দখল করেছে তারা।
কিছু নির্বোধ যারা এটুকু জানেনা যে মানব সভ্যতার গতি কেবল মাত্র সামনের দিকে। অতীত আছে শিক্ষা নেয়ার জন্য, ফিরে যাবার জন্য না।
পেশাগত কারনে।
—————————————————————
মুসলমানরা যে কারনে আজকে একটি অধপতিত সম্প্রদায় তার বহু কারন আছে। একটু নিরপেক্ষ ভাবে বিশ্লেষন করলে আপনিও সেগুলি দেখতে পাবেন। এর মধ্য দর্শনগত ত্রুটি অন্যতম। মুসলমানরা কোরানের বিশুদ্ধতার প্রতি জোর দিত গিয়ে এর অধুনিকায়নের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। জ্ঞানের চূড়ান্ত বিন্দুর দেখা ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে বলে কোরানের বাইরে জ্ঞান চর্চায় তাদের অনীহা। আরবের তেল, যা তাদেরকে সমস্ত প্রকার উদ্ভাবনী প্রয়াস থেকে বিরত রেখেছে এবং নীজেদেরকে স্রষ্টার বিশেষ মনোনীত সম্প্রদায় ভাবার অলীক কল্পনাকে আরো বেগবান করেছে। আসলে অনেক কথাই এসে যায়, বলতে থাকলে এটা একটা সতন্ত্র পোষ্টই হয়ে যাতে পারে।
আচ্ছা, আপনিই বলুন- তাহলে নাৎসীজমের উৎস কোথায় ? আমার কথা হচ্ছে, কোরান ছাড়াও বহু উপাদান মানবজাতির কছে আছে। অস্ত্র বিক্রীর জন্য বা কোন দেশ দখল করার জন্য যখন যেটা উপযোগী সেই ইজমকেই বনিকরা সামনে আনে। এখন কোরানের বাজার ভাল।
আশাকরি এই ব্যাপার গুলি নিয়েও ভাববেন। অনেক প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবেন।
লেখাটি নিয়ে অনেক বাদানুবাদ চলছে। ব্যস্ত থাকায় আলোচনায় অংশ নিতে পারিনি। সংক্ষেপে আমার মতামত ব্যক্ত করছি এখানে। সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
এই লেখাটিতে আসলে আমি কোন নতুনত্ব খুঁজে পেলাম না। সেই একই বিষয়ের চর্বিত চর্বন। সহী বুখারী থেকে যে তিনটি হাদিস উদ্ধৃত করা হয়েছে, ঐ হাদিসগুলো এতোবার মুক্তমনায় দেয়া হয়েছে যে ওগুলো হয়তো এখানকার সদস্যদের একেবারে মুখস্ত হয়ে গেছে। ধর্ম নিয়ে যারা প্রথমেই লেখা শুরু করেন তারা অনেকেই সেই হাদিসগুলোই আর কোরানের কিছু আয়াত লেখার জন্য নির্বাচন করেন। আর তারপর ত্থাকে একগাদা বিশ্লেষণ প্রয়োগ – ‘বিকৃত, অপ্রকৃতিস্ত, বিকৃতমনা, অস্বাভাবিক চরিত্রের মানুষ’ ইত্যাদি।
কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে যে, এ ধরণের লেখা আসলে খুব সোজা। অন্ততঃ এখন সোজা হয়ে গিয়েছে। ইন্টারনেটের কল্যানে এখন কোরান হাদিসের এই ধরোনের আয়াতগুলো সবারই জানা। সেখান থেকে আয়াত সংগ্রহ করে এর আগে পরে কিছু বিশেষণসূচক বাক্য হাজির করেই প্রবন্ধ লিখে ফেলা যায়। কোন ধরণের বৈজ্ঞানিক, সামাজিক, নৃতাত্ত্বিক অর্থনৈতিক আলোচনা না করলেও কোন ঝামেলা নেই। এ ধরনের লেখা হয়তো প্রথম প্রথম যারা লেখালেখি করেন, তাদের জন্য ঠিক আছে, কিন্তু একটা সময় পরে আমরা আশা করি যে লেখায় একটু ম্যাচিউরিটি আসবে। ঐতিহাসিক, সামাজিক এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ হাজির করা হবে।
কিছু উদাহরণ হাজির করি। দেখুন একটা সময় আরব বিশ্ব কেন এই ভারতবর্ষেই বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিলো। এমনকি বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ সহ অনেকেই বাল্যবিবাহ করেছিলেন। আমি নিশ্চিত তারা মুসলিম হলে তাদেরকে ‘মুহম্মদের অনুসারী’ হিসেবে চিত্রিত করা হতো, আর উপরের হাদিসগুলো দিইয়ে বৈধতা দেয়া হত। কেউ কেউ হয়তো গলা ফাটিয়ে বলতেন ঐ হাদিসগুলোর জন্যই রবি ঠাকুর মৃণালিনীকে মাত্র ৯/১০ বছরে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এগুলো বিশ্লেষণ আসলে অসম্পূর্ণ শুধু নয় হাস্যকরও।
অনেকেই মুহম্মদ আর আয়েশার সম্পর্ক নিয়ে অনেক উচাটন। প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সে মুহম্মদের ৬ বছর বয়সী নাবালিকার সাথে পাণিগ্রহনের ঘটনা শুনে ‘বিকৃত যৌনসম্পন্ন’ মনে হবারই কথা। কিন্তু তারা যদি হিন্দু ধর্মের ‘মহত্ত্ব’সম্বন্ধে একটু আধটু জানতেন তাহলে বিচলিত না, রীতিমত অজ্ঞান হয়ে যেতেন। মুহম্মদের তার পুত্র বধু জয়নবের সাথে সম্পর্ককে যদি অনৈতিক ধরা হয়, তবে ব্রক্ষ্মার নিজ মেয়ে শতরূপার সাথে মিলনকে কিভাবে নেয়া যায়? মৎসপুরানে লেখা আছে ব্রক্ষ্মা নাকি একদিন তার নিজের মেয়ে শতরূপাকে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারেন নি। হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় ব্রহ্মা আর শতরূপার মিলন থেকেই। শুধু ব্রক্ষ্মা ই নয়, নিজ মেয়ের সাথে মিলনের কান্ড ঘটিয়েছে দেবতা প্রজাপতিও। উষা ছিলেন প্রজাপতি কন্যা। প্রজাপতি উষার রূপে কামাসক্ত হন, এবং মিলিত হতে চান। তখন উষা মৃগীরূপ ধারণ করেন। প্রজাপতি মৃগরূপ ধারণ করে তার সাথে মিলিত হন (মৈত্রায়ন সংহিতা ৪/২/২২)।
হিন্দুরা ভগবান ডেকে যাকে পুজো করেন – সেই ভগবান ব্যাপারটাই অশ্লীল। ‘ভগবান’ বলতে ঈশ্বরকে বোঝানো হলেও এটি আসলে হচ্ছে দেবরাজ ইন্দ্রের একটি কুখ্যাত উপাধি। তিনি তার গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব নষ্ট করায় গুরুর অভিশাপে তার সর্বাঙ্গে একহাজার ‘ভগ’ (স্ত্রী যোনি) উৎপন্ন হয় এবং তাতে ইন্দ্রের নাম ‘ভগবান’ (ভগযুক্ত) হয়। ‘ভগবান শব্দটি তাই ইন্দ্রের ব্যভিচারের একটি স্মারকলিপি, নিন্দনীয় বিশেষণ।
হিন্দু ধর্মের শ্রদ্ধেয় চরিত্রগুলো – ইন্দ্র থেকে কৃষ্ণ পর্যন্ত প্রত্যেকেই ছিলেন ব্যভিচারী। জলন্ধরের স্ত্রী বৃন্দা ও শঙ্খচূড়ের স্ত্রী তুলসীকে প্রতারিত করে বিষ্ণু তাদের সাথে মিলিত হয়ছেন। সপ্তর্ষির সাত স্ত্রীকে দেখে অগ্নি একসময় কামার্ত হয়ে পড়েন। আসলে ওই বিকৃত কল্পনাগুলো করেছিল বৈদিক যুগের পুরুষেরা। তারা নিজেরা ছিল কামাসক্ত, বহুপত্নিক এবং অজাচারী; তাই তাদের কল্পনায় তৈরী দেব-দেবীগুলোও ছিল তাদের মতই চরিত্রের। এজন্যই সমস্ত হিন্দু ধর্মের বই পুস্তক গুলোতে শুধু অযাচিত কাম আর মৈথুনের ছড়াছড়ি। পান থেকে চুন খসলে সে সময়কার মুনি ঋষিরা রাগে কাঁপতে কাঁপতে শাপ দিতেন। বিয়ে করতেন। তারপরও রাজাদের আমন্ত্রণে হাজির হতেন রানিদের গর্ভে সন্তান উৎপাদন করতে। সুন্দরী অপ্সরা আর বারবনিতা দেখলে এতই উত্তেজিত হয়ে যেতেন যে রেতঃপাত হয়ে যেতো। আর সেখান থেকেই নাকি সন্তান জন্মাতো (উদাহরণ – অগস্ত, বশিষ্ট, দ্রোন… ) ।
মুহম্মদের ২০/২২ জন স্ত্রী নিয়ে মুসলিমবিদ্বেষীরা নরকগুলজার করেন, কিন্তু তারা কি জানেন, পদ্মপুরান অনুসারে (৫/৩১/১৪) শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রীর সংখ্যা ষোল হাজার একশ? এদের সকলেই যে গোপবালা ছিলেন তা নয়, নানা দেশ থেকে সুন্দরীদের সংগ্রহ করে তার ‘হারেমে’ পুরেছিলেন কৃষ্ণ।
অশ্বমেধ যজ্ঞের কথা কিছু বলা যাক। বাজসনেয়ী সংহিতার ২২-২৩ অধ্যায় থেকে জানতে পারা যায়, অশ্বমেধ যজ্ঞে প্রধান জাদু পুরোহিত প্রধান রাণীর সঙ্গে প্রকাশ্যে যজ্ঞক্ষেত্রের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে মিলনে মেতে উঠতেন। অন্যান্য রানি পুরোহিতরা যৌন-মিলনের নানা উত্তেজক দৃশ্যের বর্ণনা দিতে থাকতেন উচ্চস্বরে। সব মিলিয়ে (অশ্বমেধ যজ্ঞের) পরিবেশটা হল জীবন্ত খিস্তি-খেউড় সহযোগে তা রিলে করে যজ্ঞে হাজির নারী-পুরুষের মধ্যে যৌন-উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়া। পরবর্তী যুগে অশ্বমেধ যজ্ঞে পুরোহিতের জায়গা নেয় যজ্ঞের অশ্বটি। যজ্ঞে নাকি প্রধানা রানি অশ্বের লিঙ্গটি নিয়ে নিজের যোনির সাথে স্পর্শ করাতেন। চমৎকার সব ব্যাপার স্যাপার না? কাজেই দেখাযাচ্ছে বিকৃত যৌনরুচির ব্যাপারগুলো কেবল মুহম্মদ আর আর তার অনুসারীদের মধ্যেই ছিলো বললে ভুল হবে।
যা হোক আমার বক্তব্য হল কেবল একতরফা ভাবে গালাগালি আর বিশেষণ প্রয়োগ না করে লেখায় বিশ্লেষণ এবং ঐতিহাসিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটগুলো হাজির করা হোক, না হলে লেখা অসম্পূর্ণই থেকে যায়। বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান সম্প্রতি খুব চমৎকার কিছু বিশ্লেষণ হাজির করেছে, কেন পুরুষেরা অর্থ বিত্ত বৈভবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে অনেক সময়ই জীবনের শেষ দিকে অপেক্ষাকৃত ‘ছোট’ বয়সের নারীতে আসক্ত হয়। জনপ্রিয় কথা শিল্পী হুমায়ুন আহামেদের জীবনালোচনা করলেও এর সত্যতা মিলবে। হুমায়ুন আহমেদ যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ‘সাধারণ ‘ শিক্ষক ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া ফ্ল্যাটে থাকতেন, এত পয়সা করি ছিলো না, তখন গুলতেকিনকে নিয়ে সংসারী ছিলেন তিনি। কিন্তু অর্থ বিত্ত বাড়ার সাথে সাথে তার চাহিদাও বদলে গিয়েছিলো। তার কন্যার বয়সী শাওনের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। মুহম্মদের জীবনী বিশ্লেষণ করলেও এর সত্যতা মিলবে। মুহম্মদ যখন প্রথম জীবনে দরিদ্র ছিলেন, প্রভাব প্রতিপত্তি তেমন ছিলো না, তিনি খাদিজার সাথে সংসার করেছিলেন। খাদিজা ছিলেন বয়সে মুহম্মদের ১৫ বছরের বড়। কিন্তু পরবর্তী জীবনে মুহম্মদ অর্থ, বৈভব এবং সমরাঙ্গনে অবিশ্বাস্য সফলতা অর্জন করার পর অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নারীর প্রতি আকৃষ্ট হন। আধুনিক পাশ্চাত্য বিশ্ব এর ‘ব্যতিক্রম’ হিসেবে অনেকের কাছে উঠে আসলেও একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, মাইলী সাইরাস, ব্রিটনী স্পিয়ার্স হিলারী ডাফ, লিঞ্জি লোহান প্রমুখের প্রতি ক্রেজ শুরু হয়, তারা বালিকা বয়স পেরুতে না পেরুতেই। এবং যারা আকর্ষণবোধ করেন তাদের বড় একটা অংশ কেবল টিনেজার নয়।
ধর্ম নিয়ে লেখালিখি করতে কাউকেই নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে না, যারা এই লেখাটির বিরোধিতা করছেন, তারাও যে খুব ধর্ম মানেন তা নয় বরং বেশীরভাগই পাঁড় নাস্তিক। কিন্তু লেখাটি আসলেই গুণে মানে উত্তীর্ণ হয়নি। ধর্মবিরোধী লেখা হোক, কিন্তু মুক্তমনায় যারা লেখেন তাদের কাছ থেকে বোধ হয় যৌক্তিকভাবে সামাজিক এবং বৈজ্ঞানিক বিশেষণমূলক লেখা আশা করা হয়, আর এটাই অন্য ব্লগের সাথে আমাদের পার্থক্য তৈরি করবে।
@অভিজিৎ,
বিশাল ভাষণ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
হাদীস ৩টিা সত্য আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন?
বিশেষ উপকৃত হব!!!!
@আর্বিভাব,
মুরাদ সাহেব,
বিভিন্ন নিকে মন্তব্য করা বন্ধ করেন প্লিজ। ধার্মিক দাবি করেন, মুক্তমনাদের ভন্ডামি নিয়ে সদালাপে মাতামাতি করেন, আর নিজেরাই ভন্ডদের মত আচরণ করেন সারাক্ষণ। লজ্জা করে না আপনাদের এই সমস্ত ইতরামি করতে।
@আর্বিভাব (কিংবা মুরাদ),
প্রাসঙ্গিক কথা বলুন। তিনটি হাদিসের সত্যতা নিয়ে আমার মন্তব্য নয়, সেটা বোধ হয় স্কুলের বাচ্চাও বুঝবে। মন্তব্যের কন্টেক্সট এবং প্রসঙ্গিকতা না বুঝতে পারলে এখানে মন্তব্য না করাই আপনার জন্য শ্রেয় হবে। অপ্রাসঙ্গিক লেখা আর মন্তব্যের জন্য আপনাদের সদালাপী সাইটে যেতে পারেন নির্দ্বিধায়।
@অভিজিৎ,
বাইবেলেও অসংখ্য অজাচার সম্পর্কের বর্ণনা আছে। সেই হিসেবে খ্রীস্টানদেরও সারাদিন অজাচারে লিপ্ত থাকার কথা।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ চমতকার একটি বিশ্লেষন দেবার জন্য।
আবারো মনে হচ্ছে সেই কথাটি, “……সব মাছেই খায়, দোষ হয় কেবল পোটকা মাছের”।
রবীন্দ্রনাথের উদাহরনটা দারুন হয়েছে। ভাগ্যক্রমে তিনি মুসলমান হননি, হলে খবরই ছিল।
আমার মনে হয় জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানো বিষয়ে মুক্তমনার নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগের সময় এসেছে।
@আদিল মাহমুদ,
একমত। মুক্তমনা সব ধর্মের উপযোগিতাকেই অস্বীকার করে। কিন্তু শুধুমাত্র একটা বিশেষ ধর্মকে অহেতুক আক্রমণ করা বা একটা বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকের প্রতি কারো কারো ব্যক্তিগত ক্ষোভ, ঘৃণাকে উগরে দেবার মাধ্যম মুক্তমনার হওয়া উচিত নয় কিছুতেই।
এই লেখার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে সব মুসলমান হেটারদের স্বরূপ উন্মোচিত হওয়া।
@ফরিদ আহমেদ,
এই লেখাটি পড়ে মন খারাপ হয়েছিল, মন খারাপ ভাব এই এক লাইনে কেটে গেল।
অনেকে মনে হয় যুক্তিবাদ ও বিদ্বেষবাদের পার্থক্য কি বোঝেন না।
@ফরিদ আহমেদ,
আশাকরি তাদের অবস্থানের পরিবর্তন হবে। মুসলমানদের এভাবে ঘৃ্না করতে গেলে আমাদের মানবাতাবাদ খন্ডিৎ হয়ে যায়। আসলে ‘সহ্যেরসীমা’ কথাটা অনেরবার শুনলাম। আরো শুনলাম ঝাড়ে-বংশে শেষ হয়ে যাবার কথা। ১০%, ৯০% এর পরিসংখ্যানগত তত্ত্ব শুনলাম। কিন্তু এদেরকে কিভাবে আলাদা করা হবে বা সে ব্যাপারে কারো কোন আগ্রহ আছে বলেও মনে হলো না। মানে হিটলার ইহুদীদেরকে যেটা করতে চেয়েছিল আরকি। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের তেলের সাথে আধুনিক ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে সম্পর্কীত করতে না পারলে আমরা চলমাণ মুসলিম বিদ্বেষী বিশাল প্রপাগান্ডার অংশ হয়ে যাব নীজের অজান্তেই। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে মধ্যপ্রাচ্যে থাবা বিস্তারের জন্য জনসমর্থন দরকার। একবার ভাবুনতো ৯০ এর আগে মুসলিম সন্ত্রাসবাদ কোথায় ছিল ?
শুধু বলবো সমালোচনা ঘৃ্না থেকে হতে পারে আবার সহানুভূতি থেকেও হতে পারে। ঘৃ্না কোন একক সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষীত বা বিশেষভাবে প্রাপ্য হওয়া উচিৎ না।
@অভিজিৎ দা,
অসাধারন লাগল আপনার বিশ্লেষন। ধর্মের পয়গম্বরদের চরিত্রের বিশ্লেষন অনেক ভাবেই হতে পারে। তবে সেই বিশ্লেষন অহেতুক কিছু বিশেষন প্রয়োগ আর গালিগালাজ এর মধ্য দিয়ে হলে তার আবেদন প্রায় পুরো অংশেই কমে যায়। আসলে মুহাম্মদ তো রক্ত মাংসের গড়া মানুষই ছিলেন। ভুল করাই তার পক্ষে স্বাভাবিক। আমরাও তো রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। আমরাও তো ভুল করে চলেছি অহরহ। তো সেই ভুলের সমালোচনায় শুধু বিশেষন প্রয়োগ, গালাগালি আর বিদ্বেষ ছড়ালে কার কি লাভ হবে? বরং যদি ভুলের কারন বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্লেষন করা যায় তাহলেই না আখেরে সবাই লাভবান হবেন। আর এটা করতে পারলেই না মুক্তমনা হবে অনন্য।
ভগবান শব্দের অর্থটা আমার আগেই জানা ছিল। আমি আমার এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী গোঁড়া বন্ধুকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলাম আর বললাম যে এর পেছনের কারন সে জানে না কি? জানলাম যে বিষয়টি সম্পর্কে সে আগেই অবগত আছে। তবে আশ্চর্য হলাম এই দেখে যে এরকম একটা নেতিবাচক কাহিনীও তার অটল ধর্ম বিশ্বাসে কোন বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারলনা। এমনকি দেবরাজ ইন্দ্র্র সম্পর্কেও তার কোন কনফিউশন নাই। এত বড় একটা ব্যাভিচারী কাজের পরও কেন তাকে আগের মতই শ্রদ্ধা করবি তা জানতে চাইলে অবশ্য সে সঠিক কোন জবাব না দিয়ে পিছলা খাইছে। আমার প্রশ্ন হল আমার বন্ধুটির এই ধরনের মানসিকতার বৈজ্ঞানিক কারন কি হতে পারে?
@অভিজিৎ,
আবহাওয়া ঠান্ডা করার জন্য মোক্ষম সময়ে একটি মোক্ষম উত্তর দিয়েছেন। আপনার পান্ডিত্যের তুলনা আপনি নিজেই। আপনি স্বল্প পরিসরে অনেক গুলো জঘন্য উদাহরণ দিয়েছেন। আসলে এই ব্যাপার গুলো মহাভারতের পাতায় পাতায়। কয়টি দেবেন? নানাবিধ “বিশেষণ” এখানে আরও বেশী প্রযোজ্য। তবে মহাভারত নিয়ে কে আর ঘাটাঘাটি করে আজকাল! এটি অবলুপ্ত। যেটি এখনও জোড়েসুরে বাজছে সেটি নিয়ে মানুষ তো কথা বলবেই।
তবে ভবঘুরের লেখার প্রক্ষিত আছে, উপাদান আছে। ম্যাটুরিটির অভাবে লেখায় রাগ প্রকাশ পেয়েছে। এক বিশাল জনগোষ্ঠির আহত হওয়ার যথেষ্ঠ উপাদানও লেখাটিতে আছে। তবে ভবঘুরে যে প্রশ্নগুলো রেখেছেন তার শেষ মন্তব্যে সেটিও ভেবে দেখা দরকার।
এতদসত্যেও সবাই সহিষ্ণুতার সাথে মন্তব্য করেছেন – এটাই মুক্তমনার শক্তি।
@অভিজিৎ,
‘ভগ’ শব্দটির মোটামুটি দশটি অর্থ আছে। এর মধ্যে আছে ‘সূর্য’, ‘চাঁদ’ ইত্যাদিও। তবে, ‘ভগ’ শব্দের সাথে ‘বতুপ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ‘ভগবান’ শব্দটি তৈরি হয়েছে, তার পেছনের ‘ভগ’ কিন্তু অন্য বস্তু।
‘ভগ’ অর্থ এখানে ছয়টি গুণের সমষ্টি। গুণগুলো হচ্ছে: ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য। এই ছয়টি গুণ যারই থাকবে, তিনিই পুরুষ হলে ‘ভগবান’ এবং স্ত্রী হলে ‘ভগবতী’। যে-কোন নারী বা পুরুষই এই ছয়টি গুণ থাকলে এই পদবাচ্য হতে পারেন। লক্ষ্য করুন, সব নারীরই জৈবিক যে-অঙ্গটি আছে, তার কারণেই সবাই ‘ভগবতী’ হতে পারেন। কিন্তু, তা বলা হয় কি?
তাই, আপনার এই উক্তিটি
অন্তত এখানে বোধহয় সুপ্রযুক্ত নয়।
লেখা নিয়ে অনেকেই বলেছেন। আমি এলাম শেষে।
প্রথমত, লেখাটি চর্বিতচর্বণ। এ-বিষয় নিয়ে লেখা মুক্তমনাতেই শুধু নয়, প্রায় সব বাংলা ব্লগেই (যেখানে এধরনের লেখা লেখার সুবিধে আছে) লেখা হয়েছে। তবে, অনেকেই বলেছেন বিষয়টা নিয়ে আরো যুক্তিঋদ্ধ লেখা তৈরি করা সম্ভব। নিঃসন্দেহে। মুক্তমনা অনেকের কাছেই একটি নাস্তিক্যবাদী এবং ইসলামবিরোধী সাইট হিসেবে প্রসিদ্ধ। এই লেখাটি তাতে এক বিন্দুর একটি সংযোজন মাত্র। খুব কমতি বাড়তি হবে বলে মনে করি না। তবে, যুক্তিযুক্ত এবং তথ্যসমৃদ্ধ লেখা অবশ্যই যে-কোন ব্লগের অলংকার। মুক্তমনায় এখনো মন্তব্যের শীর্ষে যেসব লেখা আছে বলে দেখা যায়, তার প্রতিটিই কিন্তু উপর্যুক্ত দুটি গুণসম্পন্ন। নাস্তিকের ধর্মকথা বা আকাশ মালিকের ইসলাম, আরবি জ্ঞান, আরবি সংস্কৃতি, কোরান, হাদিস ও প্রাসঙ্গিক অন্য গ্রন্থ এমনকি অন্য ধর্ম সম্পর্কেও জ্ঞান নিয়ে যে কেউ শ্লাঘা বোধ করতে পারেন। এবং, আবারো বলি, ভালো লেখার জন্যে কিন্তু ভালো জানাটাও পূর্বশর্ত।
দ্বিতীয়ত, অনেককেই বলতে শুনি ইসলাম নিয়ে কেন এতো লেখালেখি। এই উষ্মা প্রকাশ পেয়েছে নানান ব্লগে, নানান ধর্ম নিয়ে (মূলত ইসলাম) লেখার পর মন্তব্যে। এর একটা সহজ উত্তর কিন্তু সবাই আমরা জানি, কিন্তু, খেয়াল করি না।
যে-শিশু জন্ম নিলো মুসলিম পরিবারে, বড় হতে হতে দেখলো, শিখলো ইসলামি আচার, বিধি, নিষেধ ইত্যাদি সব কিছু, সে যখন বড় হয়ে আরো পড়লো, আরো জানলো নানা কিছু নিয়ে, নানা শাস্ত্র নিয়ে (শুধু ধর্মশাস্ত্র নয়) এবং যখন সে বুঝতে শিখলো তাকে যা জানানো হয়েছে, যা শেখানো হয়েছে, তা চিরায়ত নয়, তার সবটাই শ্রদ্ধেয় নয়, তার সবকিছু পালনীয় বা এমনকি মানবিকও নয়, তখন তার কর্তব্য কী?
দুটি।
হয় সেগুলো আরো মান্য করার জন্যে যুক্তি বা তথ্য আমদানি করা বা অন্যেরা আমদানি করলে সেগুলো বিশ্বাস করা, আর নয়তো,
সেগুলো সরাসরি অমান্য ও পরবর্তীক্রমে অবিশ্বাস করা। দ্বিতীয় দলের মধ্যে, যেমনটা প্রথম দলেও, কেউ কেউ তীব্রভাবে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। কারণ, তিনি অনুভব করেন যে, তিনি প্রতারিত এবং অন্ধকারে অন্য কর্তৃক ইচ্ছাক্রমেই প্রেরিত।
তাই, তাঁর প্রতিক্রিয়াও, অতএব, কিছুটা তীক্ষ্ণ হয়ই। আর এটা নিজের পৈত্রিক ধর্মের ক্ষেত্রেই ঘটে, এদেশের ক্ষেত্রে সেটা ইসলাম। সুতরাং, আক্রমণ বা সমালোচনা এই দেশের ব্লগে এই ধর্ম সম্পর্কেই বেশি ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক।
ধর্ম নিয়ে বাংলা ব্লগের লেখালেখি নিয়ে কেউ যদি গবেষণা করেন, তাহলে যে-সত্যটা প্রথমেই বেরিয়ে আসবে, সেটা হচ্ছে, ধর্মবিরোধিতার চাইতে ধর্মপ্রবণতার দিকে ঝুঁকে-থাকা লেখাই সংখ্যায় বেশি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ধর্মবিরোধী লেখাগুলোই হয় আলোচিত, অন্যগুলো নয়। এজন্যে ধর্মপালনকারীরাই ধন্যবাদার্হ।
তৃতীয়ত, মুক্তমনার মূল নীতিই কিন্তু বলছে,
(ভুল বানান আছে একাধিক, সেগুলো আর ঠিক করলাম না 😉 )
সুতরাং, আমরা ধর্মের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে যেন মানুষের প্রতি বা সম্প্রদায়ের প্রতি খড়্গহস্ত হয়ে না উঠি, এই কামনায়। কারণ, সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই।
মুক্তচিন্তার জয় হোক। :rose2:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
:yes: :rose2:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
চমতকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে আসলেই লাল গোলাপ সম্বর্ধনা দেওয়া যায়। আশা করি কথাগুলি সবাই মনে রাখবেন।
@ ভবঘুরে,
তুমি অপ্রিয় সততো কথা লিখেছ। কিছু মানুশ হয়ত তা পছন্দ করেনা। হয়ত অন্ন কোনভাবে যদি বলা যায় আরকি। Better alternative যদি কিছু থাকে।
@Truthseeker,
দারুণ বলেছেন, সত্য কথা শুনতে অনেকের ই খারাপ লাগে। আমার ও লাগে। 😀
@Truthseeker,
“অপ্রিয় সত্য” তো এইই প্রথম না, আরো বহুবার এসেছে। এই আয়েশা কাহিনী একবার দুবার নয়, বহুবার এসেছে।
অনেকের খারাপ শুধু এইবারই কেন লাগছে তা কি ভেবে দেখেছেন?
@আদিল মাহমুদ,
মংগল আর শান্তি কামনা। লিঙ্কটা কাজ করবে আশা করি। Have a wonderful day.
http://www.youtube.com/watch?v=Mng2S39CGQs&feature=related
@Truthseeker,
প্রাসংগিক কিছু বলুন।
আমার শান্তি কামনার জন্য কোন ধর্মীয় সংগীত বা ঐশীগ্রন্থের আয়াতের দ্বারস্থ হতে হয় না। এমনিতেই সূস্থ মানুষ হিসেবে শান্তিকামী।
ভবঘুরে,
আমি বন্যার সাথে সম্পূর্ণ একমত! আপনার লেখার উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে আপনি যা বিশ্বাস করেন এবং যেভাবে বিশ্বাস করেন সেটা ঠিক সেভাবেই ব্লগে প্রকাশ করা, অথবা কিছু বিশ্বাসীকে ক্ষেপিয়ে তোলা – তাহলে এই লেখা ঠিক আছে। কিন্তু, আপনার পোস্টের উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে ইসলামে বিশ্বাসী যারা না বুঝেই ইসলাম পালন করেন অথবা মুহাম্মদকে ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ ভেবে তাকে অনুসরণ করেন, তাদের নিজ ভাষায় পড়ে, বুঝে ইসলামের বিভিন্ন নিয়ম পালন/বর্জন/প্রশ্ন করতে উৎসাহী করা – তাহলে আমার মতে এই পোস্ট খুব সম্ভবত ব্যর্থ! যে আমি ইসলাম বা মুহম্মদকে নিয়ে একটুও মাথা ঘামাই না, বা এসব পছন্দও করি না সেই আমিই আপনার লেখা পড়ে (হলোই বা আপনার প্রকাশভঙ্গির, মূল বিষয়ের না) বিরুদ্ধাচারণ করছি, তাহলে যারা আসলেই ইসলামে বিশ্বাস করেন তাদের এই লেখা পড়ে ইসলামের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি?!
ইতোমধ্যেই বন্যা ছাড়াও ফরিদ আহমেদ, পৃথিবী বা আদিল মাহমুদ ইত্যাদি আপনার ঢালাও মন্ত বা অতি-সরলীকরণ নিয়ে তাদের আপত্তি বা দ্বিমত প্রকাশ করেছেন, কিন্তু আপনার প্রতিমন্তব্য বা কোথাও আপনাকে সে ব্যাপারটা নিয়ে একটুও সংশয়িত হতে দেখা গেল না। বরং, আপনি “অনেকেই মূল বিষয়টি ধরতে পারেন নি” বলে পুরো দায়টা পাঠকের ঘাড়েই চাপিয়ে দিলেন। ইসলামের অন্তর্নিহিত সমস্যা তুলে ধরতে গেলে যদি কাউকে
– এরকম কথা বলতে হয়, তাহলে ইসলাম সম্পর্কে বিদ্বিষ্ট হবার আগে পাঠক লেখকের ওপরই বিরক্ত হয়ে পড়তে পারে!
আপনি এই বিষয় নিয়েই লিখুন, এই মুহম্মদের শিশুপ্রীতি কিংবা দুরাচার নিয়েই, অথবা ইসলামের ভন্ডামি বা আর কিছু – সেসবই বলুন। শুধু এরকম ইসলাম বা মুহম্মদকে ‘গালি’ না দিয়ে যদি আরেকটু পরিণত ভঙ্গিতে, বিশ্লেষণমূলক কিছু লেখেন, আমার মতো অসংখ্য পাঠক উপকৃত হবেন, এটুকু বলতে পারি 🙂
আমি ভবঘুরের লেখায় কোন ব্যক্তিগত আক্রমণের কিছু দেখি নাই। আমার কাছে মনে হয়েছে উনি মুসলিমদেরকে একটু সজাগ হতে বলেছেন যাতে তারা বিশ্বব্যাপি যে ইসলামী সন্ত্রাশ চলছে যেন তার বলি না হ্য়। সব সহ্যের সীমা আছে—এটা কাফেরদের জন্যেও প্রজোয্য। এই ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে সাধারণ নি্রীহ মুসলিমরাই ভূক্তভোগী হবে।
যাই হোক যাঁরা মনে করছেন যে ইসলাম নিয়ে আলাপ আলোচনা কিংবা প্রবন্ধ লিখা সঠিক হবে না, তাঁরা মনে হয় বাস্তব থেকে বহুদুরে আছেন। আজকের বিশ্বের সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে ইসলাম—বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অংক, ইতিহাস , নৃতত্ব—- ইত্যাদি কোন কিছুই নয়।
দেখুন, মুক্তমনার সবচাইতে বেশী পঠিত লেখাগুলো কিন্তু ইসলামকে নিয়েই। বিশ্বাস না হলে আপনারা ্সব পরসঅংখ্যান পরীক্ষা করতে পারেন। এতে আমরা কি বুঝতে পারি?
পরিষ্কার বুঝা যায় ইসলামের সমালোচনা পাঠকেরা গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ে।
আচ্ছা এখন দেখা যাক, ইসলামী হবার জন্যে কি প্রয়োজন? যে মুসলমান নবীজীর আদর্শ পালন করবেনা সে তো মুসলিম নয়। নবীজী শিশু মেয়েদের সাথে যৌন কর্ম ্করেছেন—টিক আছে হয়তো ওটা তাঁর কাছে হয়্ত কোন বিবেকহীন মনে হয় নাই। আমরাও ব্যাপারটা হয়ত ইতিহাসের চক্ষে দেখতাম।
কিন্তু অসুবিধাটা হচ্ছে ঐ খানে যখন কোরান বলছে নবীজী যা করে গেছেন তা সর্বকালে সর্বশ্তানে মুসলিমদের জন্যে বাধ্যতামূলক।। ঊনি যে ভাবে পোষাক পরতেন, যে ভাবে দাড়ি, চুল, নখ, হাত পা—সব কিছু রাখতেন ঐ ভাবেই সব মূসলিম কে মানতে হবে। ঊনি যদি নাবালিকার সাথে যৌন কর্ম করছেন, সেটাও সব মুসলিমদের জন্য ওয়াজেব। ঊনি যে ভাবে সন্ত্রাস চালিয়েছেন, সেই ভাবেই সমস্ত মুসলিমদের সন্ত্রাস চালাতে হবে।।
এই জন্যেই ইসলাম সভ্যতার জন্য এক বিশাল হুমকি। দুনিয়ার শতকরা নব্বই ভাগ ্মুসলিম নিবীজীকে অনুসরণ করেন না। এটা সুখবর। কিন্তু শতকরা দশ ভাগ মুসলিম যারা নবীজীকে তাদের প্রাণের চাইতেও বেশী ভালোবাসে, তাদের ব্যাপারে আজকালকার মডারেট মুসলিমরা কি বলতে চান?
বলতেই হবে আজকের বিস্বে ৯০% ্মুসলিম গুরুত্বপূর্ণ নন। ঐ ১০% সত্যিকার মুসলিমরাই আজ বিস্বের জন্যে এক বিরাট সমস্যা।
আমার ধারণা ভবঘুরে যা লিখেছেন সত্যিই লিখছেন। অনেক ্মডারেট মুসলিমদের ভবঘুরেরে মন্তব্য পছন্দ হবেনা। কিন্ত্ বাস্তবকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
@আবুল কাশেম,
”
– তাদের ব্যাপারে বলতে চাই যে; জাতিগত বিদ্বেষ প্রসূত ঢালাও মন্তব্য করলে তারাও সেই ১০% এর দলে যোগ দিতে আগ্রহী হবে।
আচ্ছা, আপনার আশে পাশেই তো বহু মুসলমান নিঃসন্দেহে আছে। তাদের কয়জনকে দেখেছেন নবী মোহাম্মদের আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে বুড়ো বয়সে নাতনীর সমান মেয়ে বিয়ে করেছে? সন্ত্রাসে জড়িত, আশে পাশের সবাইকে মেরে কেটে সাফা করে দেবে এমনই বা কয়জনকে মনে হয়েছে?
মুসলমানেররা নবীর আদর্শ ১০০% মেনে চলার দাবী করে, যেমন করে কোরান ও অক্ষরে ক্ষরে ১০০ ভাগ মেনে চলার দাবী। এ ধরনের দাবী মুখে জোর গলায় ঈমানের খাতিরে করলেও বাস্তবে তারা নিজেরাই সেগুলো পালন করে না। যদিও স্বীকার করতে চায় না যে যুগের পরিপ্রেক্ষিতে সেসব কোরান হাদীসের অনেক বানীই আজকের দুনিয়ায় অচল, পালন করা সম্ভব নয়। একই কারনেই যত অথেন্টিক সূত্রেই বিবি আয়েশা এপিসোড থাকুক, এ যুগে কোন মুসলমান লোকে এ ধরনের কাজ করবে না।
সন্ত্রাসের ব্যাপারে শুধু এইটুকু বলছি যে খুজলে সন্ত্রাসের উপকরন কম বেশী সব ধর্মেই আছে। এই সব উপকরন অনেকটা জীব জগতের সুপ্ত ডিএনএ বৈশিষ্ট্যের মত। শত শত বছর হয়ত সুপ্ত আছে, বিকশিত হয়নি। তবে পরিবেশের প্রভাবের যেমন জীব জগত বিবর্তিত হয়, তেমনি আশেপাশের কিছু উপযুক্ত ফ্যাক্টরের প্রভাবে এই সমস্ত উপকরনও বিকশিত হয়। বর্তমান বিশ্বে ইসলামী সন্ত্রাসের মূল কারন রাজনৈতিক। ৮০ দশকের আগে কয়টি ইসলামী সন্ত্রাসের ঘটনা শোনা যেত? ইতিহাসে যা আছে তা ইতিহাস, তবে বর্তমান যুগে ইসলামী সন্ত্রাস মূল্যায়ন করতে গেলে রাজনৈতিক কারন বাদে এক তরফা ধর্মীয় কারন বের করতে গেলে সুবিচার হয় না।
আজকের দিনে ভারতকে হিন্দু মুসলমান দু শ্রেনীর জন্য পৃথক দুটি রাষ্ট্রে ভাগ করে দিলে, যাতে হিন্দুরা বঞ্চিত হয় এমন কিছু করলে ভেবেছেন হিন্দুরা শান্তিকামী বিবেকান্দের শীষ্য হবে নাকি দলে দলে বৈদিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবীতে আদভানী উমা ভারতীদের উগ্রবাদী দলে যোগ দেবে?
মুক্তমনার একটি অন্যতম আকর্ষন নি:সন্দেহে ধর্মীয় আর্টিকেলগুলি, এতে কি কারো সন্দেহ আছে নাকি? তার মানেই কি ধর্মের আলোচনা সমালোচনা শুনতে গেলে উদ্ভট নাজি টাইপের বিশ্লেষন শুনতে হবে? পৃথিবীর কমেন্ট লক্ষ্য করুন, সে স্বীকার করেছে যে এ ধরনের বিদ্বেষ প্রসূত লেখা প্রথম পড়লে সে গুরুত্ব দিত না। আমিও তাই। আমার ভাগ্য ভাল আমি প্রথম দিকে এমন লেখা পড়িনি। ইসলামী সন্ত্রাসের বিশ্লেষনের ওপর বিপ্লব পালের চমতকার কিছু লেখা আগে পড়েছি। সেগুলি পড়তে পারেন।
নবী মোহাম্মদের বিবি আয়েশাকে বিয়ে সংক্রান্ত লেখা বেশ কটিও পড়েছি। কিন্তু বেশীরভাগ লেখাতেই নবী মোহাম্মদকে এভাবে নানান চরিত্র দোষে দূষ্ট বিশেষনে আখ্যায়িত করা হয়নি। তার ফলোয়াররাও তার মত বাল্য বিবাহ শুরু করবে এমন হাস্যকর আশংকাও এউ করেনি।
একটি কথার জবাব দিন, মাত্র ২/৩ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে ভাই বোনের বিয়ে ছিল খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এখন কি আমরা সে যুগের মানুষদের ঢালাও ভাবে শুধু এই রীতির জন্য লম্পট, বিকৃত, যৌণ উণ্মাদ এসব বলে দেব? এমনকি আজকের আধুনিক ভারতেও দক্ষিন অঞ্চলে নাকি মামা এবং আপন ভাগ্নীর বিয়ে সামাজিক রীতি। এদের আমরা কি এসব গালিগালাজ দেব?
নবী মোহাম্মদ সম্পর্কে আয়েশা কাহিনীর ভিত্তীতে এসব অভিধান প্রয়োগ করতে গেলে দেখাতে হবে যে সে যুগেও আরব সমাজে এমন রীতি নীতি ছিল না। সে সমাজেও সে সময় এমন বিবাহ প্রচলিত ছিল না।
নবী নিঃসন্দেহে বেশ কিছু ব্যাপারেই তার যুগকে অতিক্রম করতে পারেননি, তা আগেই স্বীকার করেছি। এ ঘটনা তারই একটি।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার মন্তব্যের রেশ ধরে বলি আপনিও আবুল কাশেমের ই বুক গুলো পড়ে দেখতে পারেন।এই মুক্তমনাতেই আছে ।
@একা,
পড়েছি। ওনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জেনেছি সত্য, তবে সব অভিমতের ব্যাপারে একমত নই।
@আদিল মাহমুদ,
ভারতে অনেক খারাপ শামাজিক রিতিনিতি আছে, আগে আর ছিল। খারাপ শামাজিক রিতিনিতির সমালচনা করতে হবে এবঅং সমাজ সংস্কার করতে হবে। গালিগালাজ দিতেই পার 🙂
দোশের কিছুই নেই গুরু। ওটা তোমার গনতান্ত্রিক অধিকার। আমি আমার দক্ষিন ভারতিও বন্ধুদের সাথে এগুল নিয়ে আলচনা করেছি। কাজেই ইসলামের আর নবির সম্পকে আলচনা করা যেতেই পারে। সমালচনা থেকেই ভাল জিনিশ বেরিয়ে আসবে। সেই আশায় বুক বাধা।
মুসলমানদের সম্পর্কে ঢালাওভাবে করা মন্তব্য লেখাটার মূল্যকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। মুসলমানরা মোহাম্মদকে পূজো করলেও তারা কখনও মোহাম্মদকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করে না, তারা যেহেতু হোমো সেপিয়েন্স তাই বিবর্তনের কারণে তাদের মধ্যেও বিবেক আছে। যেই ধার্মিক লোক হুমায়ুন আহমেদের মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করার সমালোচনা করে, সেই একই লোক মোহাম্মদের শিশু নিপীড়নকে জায়েজ করার জন্য মোরাল রিলেটিভিটিজমের দোহাই দেয়। কারণটা কি আমি জানি না, তবে পর্যবেক্ষণ বলে যে মানুষ সানন্দের সাথেই স্ববিরোধীতার সাথে সহবাস করতে পারে। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে নৃত্যশিল্প, গানবাজনাকে কোনভাবেই হালাল করা যায় না, অথচ পয়লা বৈশাখ ও অন্য সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে বাঙ্গালী মুসলমান ঠিকই এসব বেলেল্লাপনার আয়োজন করে।
বন্যাপু ও ফরিদ ভাইয়ের মত আমিও বলব যে মোহাম্মদের চরিত্র বিশ্লেষণ করার সময় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা উচিত, বিশেষণ ব্যবহার যথাসম্ভব সীমিত রাখা উচিত। আমারব্লগে ব্লগার নাস্তিকের ধর্মকথার মোহাম্মদ ও আয়েশা সম্পর্কিত একটি পোষ্ট পড়েই আমার ধর্মচিন্তনে প্রথম পরিবর্তন আসে। পোষ্টটিতে যদি এই লেখাটার মত বিশেষণ ব্যবহার করা হত, আমি হয়ত ওটাকে বিদ্বেষ মনে করেই উড়িয়ে দিতাম।
একটা কথা মনে রাখতে হবে যে মোহাম্মদ একটা অশিক্ষিত ও বর্বর সমাজে জন্মগ্রহন করেছিলেন এবং তাঁর চিন্তাভাবনাও মূলস্রোতের খুব একটা বিপরীতে ছিল না। মোহাম্মদ মানবসভ্যতার এমন এক যুগে জন্মগ্রহন করেছিলেন যখন নিজেদেরকে পয়গম্বর দাবি করা ছিল হালের ফ্যাশন ও অন্ন জোটানোর সর্বোৎকৃষ্ট উপায়। আমাদের পূ্র্বপুরুষরাও একসময় পোলাপাইন বিয়ে করতেন, তাই বলে কি আমাদের চৌদ্দগুষ্টি শিশুনিপীড়ক হয়ে যাবে? মোহাম্মদের zeitgeist এর আলোকে মোহাম্মদকে দেখতে হবে। আমি বলছি না মোহাম্মদ কোন অপরাধ করেননি। আমি বলছি যে তিনি একজন গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়া ব্যক্তি ও আমাদের জন্য কোন রোল মডেল নন। আগামীতে তাই আরেকটু বিচক্ষণ হওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।
@পৃথিবী,
ধন্যবাদ আপনা সুচিন্তিত মতামতের জন্য। আসলে সত্য অনেক সময় এত নিষ্ঠুর হয় যে তা শুনতে বা দেখতে ভাল লাগে না । আচ্ছা, ধরুন মোহাম্মদ যে কাজটা করেছে বলে প্রবন্ধে উল্লখ করা হয়েছে, তা কি মিথ্যা ? যদি মিথ্যা না হয় , তাহলে ধরুন ঠিক সেই সব কাজ আমি বা আপনি করলাম তাহলে সমাজের লোকজন আমাদেরকে কি বলবে ? নিশ্চয়ই লম্পট, বদমাশ, উন্মাদ বা বিকৃতমস্তিষ্ক বলেই গালাগালি করবে , তাই না ? তো একই কাজের জন্য আমরা গালাগাল প্রাপ্য হলে, মোহাম্মদ তা প্রাপ্য হবে না কেন ?
কিন্তু তার পরেও আপনার মতামতকে আমি গুরুত্ব দেই। পরবর্তীতে লেখার সময় আপনার উপদেশ মনে রাখার চেষ্টা করব ।
@ভবঘুরে, মোহাম্মদের সময়ের লোকজন আমাদের সময়ের লোকজনের মত নৈ্তিক উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারেনি, একারণেই আমি তাঁকে খুব বেশি দোষারোপ করা সমর্থন করতে পারি না। আজকে কেউ যদি বলে পৃথিবী সমতল তবে আপনি তাকে অবশ্যই পাগল বলবেন, কিন্তু ওই একই লোক যদি দু’ হাজার বছর আগে একই কথা বলত, তখন আপনার প্রতিক্রিয়া কি হত?
@পৃথিবী,
সব জ্ঞানের শ্রেষ্ঠজ্ঞান বোধহয় মাত্রাজ্ঞান। লেখকের বিশ্লেষণ এখানেই হোঁচট খেয়েছে। ধর্মীয় বিদ্বেষ তো আছেই। :no:
আমাদের অনেক ভাগ্য সংখ্যাগরিস্ঠ মুসলমান আসল ইসলাম সম্পর্কে খুব বেশী জানেনা।সংখ্যাগরিস্ঠ মুসলমান জীবনে অর্থ সহ কোরান পড়েনি, হাদিসতো দুরের কথা।তাদের ইসলাম সম্পর্কে জানার দৌড় মসজিদের ইমাম সাহেবর “সুগার কোটেড” ভার্সান। সে জন্য এখনও বেশীর ভাগ মুসলমান “নম্র ভদ্র দয়ালু”।আমরা যারা ধর্ম মানিনা, তারা বুকে হাত দিয়ে বলুন, তাদের বাপ মা চাচা মামারা কতজন “উগ্র ইসলাম” পালন করেন? আমাদের একটাই চাওয়া তারা যেন ভূলেও আসল ইসলাম সম্পর্কে জেনে যায়।
@ফরহাদ,
আপনি হয়তো এও জানেন না মুক্তমনার লেখকরা আরবী ভাষায় কয়টা বর্ণমালা আছে জানে কি না ! আর ব্যাকরণ তো দূরের কথা। তারপরও তারা আরবী ব্যাকরণের ভুল খুজে বেড়ায়।
You are nof safe
@HACKER,
মুরাদ সাহেব, আপনি সদালাপে গিয়ে মুক্তমনার ভন্ডামি নিয়ে লেখেন, নিজের ভন্ডামির কি হবে?
মুরাদ সাহেব আপনি কখনো আবির্ভাব, আর কখনো বা HACKER নাম নিয়ে লেখেন কিন্তু, নিজের ইমেইলটা কিন্তু মুরাদেরই রেখে দিয়েছেন। শুধু ইমেইল নয়, আইপি এড্রেসও হবহু এক। আপনার ভাগ্য ভাল আইপি এড্রেসটি পাঠকদের জানানো হচ্ছে না, কিন্তু ভবিষ্যতে এর কোন গ্যারান্টি দেয়া যাচ্ছে না। হ্যাকার এবং মুরাদের ইমেইল যে এক তা নীচে কমেন্টের ডেটাবেস থেকে স্ক্রিন-শট দিয়ে দেখানো হল।
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2010/05/hacker_murad.jpg[/img]
আর মুরাদ সাহেব, হ্যাকার নামে এসে You are nof safe বলে যে আমাদের ব্লগ সদস্যদের থ্রেট করছেন তারই বা কি হবে, বলুন তো? জার্মানী থেকে এভাবে বিন লাদেনীয় কায়দায় ক্রমাগতভাবে থ্রেট করে চলেছেন, আমরা যদি এ নিয়ে উচ্চবাচ্য শুরু করি এর পরিণাম কি হবে ভেবে দেখেছেন? জার্মানীর আইন যে খুব বেশি এগুলোকে প্রশ্রয় দেয় তা কিন্তু নয়। এ নিয়ে চিন্তা করুন, পরে আবার মোলাকাৎ হবে। আর এর মধ্যে আপনার কমেন্টগুলো সংরক্ষিত করে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
@ফরহাদ, \
ভাই ভূল বললেন। ইসলামের আসল স্বরূপ সম্পর্কে জানেনা বলেই তারা প্রত্যেকে একটা করে সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মত। অনুকুল পরিবেশ পরিস্থিতি পেলেই অগ্নুতপাত ঘটাতে শুরু করবে। ধরুন যে সব কথা আমরা এই ইন্টারনেটে নির্দ্বিধায় বলে যাচ্ছি তা কি কোন পত্রিকায় ছাপাতে পারতাম বা কোন টিভি টক শোতে বলতে পারতাম ? বললে ঘাড়ে কি এখনো মাথা থাকত ? তারা সবাই আপাত নিরীহ ও ভদ্র, কিন্তু মনে কঠিন বিশ্বাস নিয়ে বসে আছে কোরান হাদিস আর মোহাম্মদ সম্পর্কে। তারা এর বিরুদ্ধে একটা কথাও শুনতে রাজি না। কারন তাদের দৃঢ় বিশ্বাস মোহাম্মদ আল্লাহর নবী, তার চরিত্রে কোন দোষ থাকতে পারে না, তার কার্যকলাপ কালোত্তীর্ন যা সর্বকালের জন্য প্রজোয্য। তিনি হয়ত সত্যবাদী ছিলেন, সবাই তাকে বিশ্বাস করতো কিন্তু সততাই তো একটা মানুষের চরিত্রের একমাত্র মাপকাঠি না। একজন প্রচন্ড সত্যবাদী প্রচন্ড রকম নারী লোলুপ বা লম্পট হতে পারে। তাহলে আপনি তাকে সচ্চরিত্র বলবেন না । হিটলার ছিলেন নাজী জার্মানীল অবিস্বম্বাদী নেতা সবাই তার হুকুম তামিল করত, অসত ছিলেন বলেও বদনাম নেই । কিন্তু ছিলেন প্রচন্ড বর্ণবাদী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী যার বলি হয়েছিল ৫ কোটি মানুষ। তাহলে হিটলারকে কি আপনি সচ্চরিত্রবান বলবেন ? তো যাদের আপনি নিরীহ মুসলমান বলছেন তারা যদি কোরান ও হাদিস পাঠ করত তাহলে তারা আর অন্তত সুপ্ত আগ্নেয়গিরি থাকত না বলেই আমার বিশ্বাস।তখন কোরান হাদিস ও তার রচয়িতা মোহাম্মদ নিযে তারা প্রশ্ন করার সাহস দেখাতো যা এখন করে না। প্রশ্ন করার এ কৌতুহল তাদেরকে সত্যিকার ভদ্র নিরীহ ও উদার মানুষ হিসাবে গড়ে তুলত । আর তাই আমি সবাইকে বলি, প্লিজ , নিজ মাতৃভাষায় কোরান আর হাদিস পাঠ করুন। অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজেই নিজের ধর্মকে জানার চেষ্টা করুন। তাতেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত।
সবাইকে যারা মন্তব্য করেছেন,
সকলের মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু মনে হচ্ছে- অনেকেই মূল বিষয়টি ধরতে পারেন নি। বিষয়টি খোলাসা করার জন্য লিখছি। ধর্ম , সমাজ , ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু মন্তব্য করতে পারেন, গবেষণামূলক ব্যখ্যাও দিতে পারেন। কিন্তু যাই বলা হোক না কেন-বিশ্বাসী, স্বল্প বিশ্বাসী, উদার ভাবাপন্ন মুসলমান যারা, তাদের কাছে ইসলামের কিছু কিছু বিষয় হয়তো বিতর্কিত মনে হলে হতেও পারে, তবে তারা প্রত্যেকেই একটা বিষয়ে কিন্তু খুবই কট্টর। যে বিষয়ে তারা ন্যূনতম ছাড় দেবে না। তা হলো- তারা প্রত্যেকেই খুব দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে যে – মোহাম্মদ হলেন সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত মহাপুরুষ যার চরিত্রে কোন কালিমা নেই ও যার আদর্শ সকল যুগে সব সময় অনুকরনীয় এবং কোরান হলো আসমানী তথা অলৌকিক কিতাব। তা হলে দেখেন যে লাউ সেই কদু হবে । আপাত কিছু মানুষ বাহ্যিক ভাবে উদার ভাব দেখাতে পারে কিন্তু মনের গহিন কোনে তার উক্ত বিশ্বাস সব সময় দৃঢ় ও যে কোন ক্রান্তিক সময়ে সে বিশ্বাসের বহি:প্রকাশ প্রবল বেগে বের হয়ে আসতে পারে ও তারা যে কোন সময়েই কট্টর মৌলবাদী ধর্মোন্মাদে পরিনত হয়ে যেতে পারে।তখন আল্লাহ আর তার রসুলের জন্য তারা জান কোরবান করে দিতে পারে। আপনি একই সাথে উক্ত বিষয় দুটিতে দৃঢ় বিশ্বাস রাখবেন ও উদার পন্থি মুসলমান হবেন তা পারবেন না । আপনি যদি উক্ত বিষয় দুটি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি ভাল মুসলমান আর সে কারনে আপনি আল্লাহ ও তার নবীর জন্য জান কোরবান করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকবেন। যদি আপনি বিশ্বাস না করেন তাহলে আপনি আদৌ মুসলমান নন। তার অর্থ- মাঝামাঝি কোন অবস্থান নেই। যারা নিজেদেরকে মডারেট বা উদারপন্থি মুসলমান হিসাবে পরিচয় দেয়, তারা আসলে কোরান হাদিস মোটেই পড়েনি ,তাই তারা মডারেট মুসলমানের ভাব দেখায়, কিন্তু তাই বলে কোরান হাদিসে বিশ্বাস তাদের অটুট, এমনকি কোরান যে বিজ্ঞানময় কিতাব সে বিষয়েও তাদের কোন সন্দেহ নেই। তাদের সাথে কোরান হাদিসের স্ববিরোধিতা নিয়ে আলাপ যদি করেন , তারা কিছু না জানা সত্ত্বেও প্রচন্ড বিশ্বাস নিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করবে কোরান ও মোহাম্মদের ওপর কোন অবিশ্বাস করা যাবে না, যুক্তিতে কুলাতে না পারলে বলবে- ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে। তার অর্থ পারিপার্শ্বিক কারনে তারা হয়ত কট্টর মনোভাব প্রদর্শন করে না, কিন্তু যদি সেরকম কোন সময় সুযোগ হয়- কট্টর হতে বিন্দুমাত্র সময় নেবে না কারন তার হৃদয়ে বিশ্বাস কিন্তু দৃঢ় ও অটুট।সুতরাং একই সাথে আপনি কোরানকে আসমানী কিতাব বলবেন, মোহাম্মদকে আল্লাহ প্রেরিত পুরুষ মানবেন ও তার জীবনাদর্শ তথা হাদিসকে আদর্শ বিধিবিধান হিসাবে মানবেন এবং উদারপন্থি মুসলমান হবেন তা অসম্ভব।অনেকেই এই বিষয়টা উপলব্ধি করেন না বলেই আমার ধারনা।
অনেকেই মুহাম্মদের শিশু আয়শাকে বিয়ে ও তার বহু বিবাহকে তখনকার প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার অংশ বলে রায় দিয়েছেন। যিনি কেয়ামতের দিন পর্যন্ত তার জীবন আদর্শ দিয়ে গোটা মানবজাতিকে পরিচালনা করবেন- তিনি কেন এমন আচরন করবেন যা কোন একটা নির্দিষ্ট সময়ের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার গন্ডিতে আবদ্ধ থাকবে? যারা এরকম যুক্তি দেন – তারা মনে হয় সাময়িক ভাবে ভুলে যান যে মোহাম্মদ কোন সাধারন মানুষ ছিলেন না , বরং তিনি ছিলেন আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ নবী । সুতরাং তার মত একজন আল্লাহ প্রেরিত পুরুষ অকাতরে অসভ্য আরব বেদুইনের মত যথেচ্ছ বিয়ে করে বেড়াবেন, আর সে বিয়ে আইনসিদ্ধ করতে কোরানে সূরা নাজিল করবেন, বুড়ো বয়েসে দুধের শিশুকে বিয়ে করবেন, পালিত পুত্রের স্ত্রীকে কৌশলে তালাক দিয়ে নিজেই বিয়ে করবেন- এটা কি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় ? এরকম ঘটনা যদি ঘটে তাকে কি সত্যি সত্যি আল্লাহ প্রেরিত পুরুষ বলে মানা যায় ? সেই সময় আরব দেশে হয়ত বহু বিবাহ আকছার ঘটত কিন্তু শিশু বিয়ে ছিল না , ছিল না পালিত পু্ত্রের স্ত্রীকে বিয়ে করার রীতি। তার অর্থ যে ঘটনাকে তখনকার প্রচলিত ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়, সেই সময়েও কিন্তু তার কিছু কিচু ঘটত না , যা মোহাম্মদ নিজের খায়েশ পুরনের জন্য ঘটিয়েছিলেন। তো তখন তাকে বিকৃত রুচির বা উন্মাদ ছাড়া কি বলা যায়? কেউ যদি বর্তমানে এ ধরনের ঘটনা ঘটায় তাকে আপনারা কি বলবেন ? উন্মাদ বলবেন না ? বিকৃত রুচির বলবেন না ? যিনি ভবিষ্যতে সারা মানব জাতির জন্য আদর্শ স্থাপন করছেন বলে বলা হচ্ছে- তার এ ধরনের ঘটনা সেই কালেও যেমন বিকৃত ছিল তা আজকের যুগেও তেমনি বিকৃত। উপসংহার হলো- মুসলমানদের উন্মাদনা প্রশমন করতে হলে- মোহাম্মদের যে কল্পিত চরিত্র আমাদের সামনে সব সময় প্রচার করা হয়- তা বাদ দিয়ে তার আসল ও প্রকৃত চরিত্র তুলে ধরতে হবে, কারন তিনি হলেন মুসলমানদের আইডল। আপনি সেই আইডলকে কল্পিত ভাবে অসাধারন মহান ও আদর্শবান এ বিশ্বাস করবেন ও তার আদর্শ অনুসরন করতে চাইবেন আবার একই সাথে উদারপন্থি মুসলমান হতে চাইবেন এটা অসম্ভব্ আমি আমার প্রবন্ধে ঠিক এ বিষয়টিই বুঝাতে চেয়েছি।
@ভবঘুরে,
আমি ইতিপূর্বে আমার মতামত জানিয়েছি।আপনি অনুগ্রহ করা দেখে নিন।
@একা,
দেখেছি আপনার মতামত । আগে খেয়াল করিনি। ধন্যবাদ।
তবে আমি আবার যে মতামত দিলাম সবার জন্যে যারা ভিন্ন মত পোষণ করবে। কান টানলে মাথা আসবে। তাই ইসলাম নিয়ে কথা বললে আগে আসবে মোহাম্মদের নাম সেই সাথে আসবে তার কাজ কর্ম, চরিত্র ইত্যাদির খুটি নাটি বিশ্লেষণ। তবেই সে না তা গ্রহনযোগ্য হবে। রহিম করিম এসে বলল- সে আল্লাহর থেকে ওহি নিয়ে হাজির হয়েছে। তাহলে তো আর হবে না । তাই না ? একটা মতবাদ ১৪০০ বছর ধরে চলে আসছে বলেই যে তা সত্য হবে তা তো নয়। সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে মতবাদটা হাজার হাজার বছর ধরে টিকে ছিল। কিন্তু তাই বলে তা তো সত্য ছিল না ।
@ভবঘুরে,
আপনার প্রবন্ধের পুরো অংশ নিয়ে আমার কোন আপত্তি ছিল না। কাজেই সেই বিষয়গুলোকে আবার বলার কোন মানে নেই। আমি যেটাতে আপত্তি করেছিলাম সেটা কিন্তু আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনি বলেছেন যে মোহাম্মদের অনুসারীরাও তার মত বিকৃত মস্তিষ্ক, অস্বাভাবিক, অসুস্থ ও উন্মাদ। এই বিশ্বে মোহাম্মদের অনুসারী আছে প্রায় এক বিলিওন লোক। এই এক বিলিওন লোক বিকৃত মস্তিষ্ক, অস্বাভাবিক, অসুস্থ ও উন্মাদ সেটা আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন? মোহাম্মদ অসুস্থ বলে তার অনুসারীরাও সব অসুস্থ। অতি সরলীকরণ বলে কি মনে হচ্ছে না বিষয়টা? অন্য মুসলমানদের কথা বাদই দিলাম, আমার আত্মীয় স্বজনের মধ্যে যারা খুব ধার্মিক তাদের কাউকেইতো আমার এরকম মনে হয়নি। অসংখ্য মুসলমানের সাথেইতো মিশেছি এই জীবনে। কই কাউকেতো সেরকম লাগেনি আমার। তাহলে, আপনি এরকম একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছুলেন কীভাবে?
তারপরেও তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে তারা সবাই বদ্ধ উন্মাদ। বদ্ধ উন্মাদ হলেই কি এই এক বিলিওন লোককে স্ববংশে ধ্বংস করে দিতে হবে? আপনিতো হুমকি দিয়ে রেখেছেন যে হয় তাদেরকে সুস্থ হতে হবে নতুবা আবু লাহাবের মত স্ববংশে ধ্বংস হতে হবে। মাঝামাঝি কোন পথই খোলা রাখেননি তাদের জন্য। হে মানবতাবাদী অমুসলিম ভ্রাতঃ আমার, আপনার কাছে আমার জিজ্ঞাস্য, এতগুলো লোককে হত্যা করবেন কীভাবে? ব্যথা দিয়ে নাকি ব্যথাহীন মানবতাবাদী মৃত্যু দিয়ে? গলায় ছুরি চালিয়ে নাকি আনবিক বোমা ফাটিয়ে?
আমরা সবাই আয়শার বয়স হাদিস থেকেই জানতে পেরেছি এবং আমরা প্রায় সকলেই তার বিবাহিত জীবনের কাহিণী এবং এই অযু, গোসল, পাক-পবিত্র হবার বিষয়গুলো হাদিস থেকেই জানতে পেরেছি। আমার প্রশ্ন কিন্তু এই হাদিসের সত্যতা বা মিথ্যা নিয়ে নয়। যদি মনে করি হাদিসগুলো সত্য কথাই বলছে, তবে একটু চিন্তা করে দেখবেন কি (সাধারন বুদ্ধি ব্যবহার করলেই যথেষ্ট) বিবাহিত জীবনের ঘটনা যে ভাবে বর্ণনা করেছে (যৌন জীবন, সতীন সাথে হিংসের ঘটনা) সেটা কি একটি ৯ থাকে ১৬ বছরের মেয়ের পক্ষে এভাবে বর্ণনা দেয়া সম্ভব? আপনাদের নিজেদের এই বয়সী মেয়ে বা বোনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা কি এত ছোটকালেই এই সব ঘটনার এত পরিপক্ক জবাব দিতে পারবে? কোন পূর্ণাঙ্গ নারী ছাড়া হাদিসের নর-নারী ঘটিত ঘটনাগুলোর এমন বর্ণনা দেয়া সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ।
@আইভি,
যতটুকু জানি যে এই হাদীস গুলি বিবি আয়েশা ৯ বা ১৬ বছর বয়সে বলেননি। এগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে মোহাম্মদের মৃত্যুর পর বলে শুনেছি। উনি হাদীস সাংগ্রাহকদের কাছে এত ডিটেল দাম্পত্য জীবনের কাহিনী কি করে বললেন সেটা প্রশ্ন হতে পারে।
ভাই ভবঘুরে, ১ নম্বর মন্তব্যে ফরিদ ভাই আপনার উল্লেখিত যে বাক্যগুলো তোলে ধরেছেন এগুলো একটু খেয়াল করেন। আপনি ঠিক কি বুঝাতে চেয়েছেন তা খুব একটা পরিষ্কার না। আমার মনে হয় আপনি অন্য কিছু বুঝাতে চেয়েছিলেন। যদি তাই হয় তবে ওই অংশ এডিট করে নেন। আর আপনি যা লেখা হয়েছে তা-ই বোঝাতে চাইলে বলব -ওটা ঠিক হয় নি এবং তা মুক্ত-মনার নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক। ( আগে অবশ্য এ অংশটা খেয়াল করিনি।)
আশা করব আপনি তা এডিট করে নিবেন। আপনাকে এমন করে বলায় দুঃখিত। মানুষ হিসেবে দু-একটি ভুল হতেই পারে তাই না?
অন্যান্য বাংলা সাইটের মত আমিও চাইনা মুক্তমনায় ঘৃণা,ব্যাক্তিগত আক্রমণমূলক কোন লেখা থাকুক। আমার অনেক ধামির্ক বন্ধুকে মুক্তমনা সমন্ধে জানানোর পর তারাও মুক্তমনা এই দিকটিকেই গুরুত্ব দেয় যে এখানে তথ্য ও যুক্তিকেই প্রধান্য দেয়া হয়।
ইতিহাসকে বিবেচনা করতে হয় তার সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। নৈতিকতা অনৈতিকতার সংজ্ঞা সময়ের সাথে সাথে বদলায়। নবী মোহাম্মদের যুগে এ ধরনের বিয়ে সমাজ স্বীকৃত ছিল, কেউ এতে খারাপ বা অনৈতিক মনে করত না। বড় জোর বলা যায় যে তিনি বেশ কিছু ব্যাপারে তার কালোত্তীর্ণ হতে পারেননি। যা একজন নবী যাকে আমাদের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ হিসেবে মেনে চলতে শিক্ষা দেওয়া হয় সে শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক। তাই বলে তাকে যৌন বিকৃত, অপ্রকৃস্থ, অসূস্থ, উন্মাদ এগুলি বলা যায়?
মোহাম্মদ তো বহু আগের কথা। মাত্র এই সেদিন হিন্দু ব্রাক্ষনেররা বুড়ো বয়সেও এক একজনে শয়ের উপরেও বিয়ে করত, যার বেশীরভাগই নাবালিকা। বিয়ে করার পর এমনকি বাকি জীবন হয়ত সেই পাত্রীর আর চেহারাও দেখত না। তাই বলে কি বলা যায় যে হিন্দু বা ব্রাক্ষনেররা সবাই যৌন উন্মাদ, বিকৃত?
জাতিগত বিদ্বেষ মূলক মন্তব্য লেখাটির মূল্য অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
তবে এ অভিযোগ সত্য যে তার অনুসারীরা ওনার চরিত্রের এ ধরনের বেশ কিছু বিতর্কিত কাজ কারবারই যথাসাধ্য গোপন রাখতে চেষ্টা করেন। আমাদের দেশে মসজিদে মজলিশে বহু সমাবেশে ছোটবেলা থেকেই বহু হাদীস শুনেছি। বেছে বেছে যেগুলি তার পক্ষে যায় সেগুলিই শোনানো হয়। বিতর্কিত হতে পারে যেগুলি সেগুলি কোনদিন শোনানো হয় না। এ ধরনের হাদীস বা ঘটনা আমি বুড়ো বয়সে ইন্টারনেটের কল্যানে জানতে পেরেছি, নাহলে হয়ত সারা জ়ীবনেও জানতাম না। বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষের মতই এত তরফা ধারনা নিয়েই থাকতাম।
আপনার উপরের মন্তব্য বেশ আপত্তিকর। বন্যা এবং ফরিদ ভাই যা বলার বলে দিয়েছেন। নবী মোহাম্মদের কোটি কোটি ফলোয়ার আছেন। তারা কেউ নবীর আদর্শে বাল্যবিবাহ করছেন না। সুইসাইড বোম্বার বা ইসলামী সন্ত্রাসী বলে যাদের আমরা জানি তাদের সংখ্যা মূল মুসলমানদের শতকরা কত ভাগ হবে? আর এই সন্ত্রাসের মূল কারন রাজনৈতিক। অবশ্য মোহাম্মদের অনুসারীরা কিভাবে সবাইকে মেরে কেটে সাফ করার তালে আছে এর অন্য ব্যাখ্যা হয়ত আপনি দিতে পারেন, তা শোনার অপেক্ষায় রইলাম। তবে সংখ্যা হিসেবে চিন্তা করলে বুশ সাহেবদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ফলে নীরিহ মানুষের জীবন গেছে অনেক অনেক বেশী। আমি আমেরিকার খুব বড় ভক্ত, এ দেশটির প্রতি আমার ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা অনেক বেশী; তারপরেও সত্য কথার খাতিরে এটা বলতে হল।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল চাচা বরাবরের মতই খুব গুছিয়ে কথাটা বলেছেন। এ লেখাটির অ্যাপ্রোচ আমারো পছন্দ হয়নি।
@আদিল মাহমুদ,
মূল নিবন্ধে ভবঘুরে মুহম্মদের কামুক দিকটির প্রতি দৃষ্টিপাত করেছেন, নাবালিকা আয়েশার সাথে তাঁর বিয়ের প্রেক্ষিত বর্ণনা করেছেন। তারপর পুত্রবধুসম জয়নবকে বিয়ের প্রেক্ষিত জুড়ে দিয়েছেন একই সাথে। কাজেই
হিন্দু ব্রাহ্মণদের শত শত বিয়ের তুলনা খুব একটি খাঁটে না এখানে। জিনিষটা এভাবে বলা যায় – অনেক ঘাটের মরা ব্রাহ্মণদেরকে বিয়ে করিয়ে দেওয়া হত। হিন্দু সমাজে একটা খাঁচড়া রীতি ছিল – মেয়েকে কুলীন পাত্রে দান করতে না পারলে সামাজিক ইজ্জত থাকে না। ব্রাহ্মণরা জন্মসুত্রে কুলীন। মৃত্যুপথযাত্রী ব্রাহ্মণ। মুখে গঙ্গাজল দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। মৃত্যুর আগ মুহুর্তে শেষ সমাজ সেবাটি করার জন্য পাজাকোলা করে তাকে বসিয়ে দেওয়া হল বিয়ের পিঁড়িতে। লক্ষ্য করে দেখুন, এখানে ব্রাহ্মণটি বিয়ে করছে শেষ আর একটি সমাজ সেবা (!) করার জন্য। যৌন সম্ভোগ বিষয়টি একবারে অনুপস্থিত এখানে। মেয়েটি বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগেই বিধবা হবে জেনেও এরকম বিয়ে হত। কি সাংঘাতিক। আজকাল ভাবাও যায় না। গা ঘিন ঘিন করে।
একটি হল ব্যক্তিগত কাম-লালসা আর একটি হল হিন্দু সমাজের একটি বিভতষতা, ব্যাভিচার, বর্বরতা, কদর্যতা। এই জিনিষটি নিয়ে অনেক নাটক-নভেল-ছবি হয়েছে। কিন্তু মুহম্মদের বিষয়গুলো নিয়ে কি ছবি বানানো চিন্তা করা যায়?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার যুক্তি বেশীরভাগই মেনে নিলাম। আসলেই উদাহরনটা পুরোপুরি খাটে না। অভিজিত/ফরিদ ভাই এর উদাহরঙ্গুলি অনেক বেশী প্রাসংগিক। তবে আমি যা বলতে চেয়েছিলাম মূল বক্তব্য মনে হয় একই থাকে।
নৈতিকতাবোধ, শীল অশ্লীতার সংজ্ঞা এগুলি সময়ের সাথে অনেক পালটে যেতে পারে। সমাজ সেবা বলুন আর যাই বলুন ব্যাপারটি তো পুরোই কদর্য, তাই না? সে যুগে যা ছিল সমাজ সেবা আজ আমি আপনি তাতেই নাক সিটকাচ্ছি। তবে যৌণ সম্ভোগের ব্যাপারটি যে একেবারেই ছিল না তাও মনে হয় বলা যায় না।
উদাহরন খুজতে গেলে সে যুগেই নয়, এ যুগেও প্রচুর আছে। মায়া নামের একটি হিন্দী ছবি দেখেছিলাম; তাতে দক্ষিন ভারতে এখনো প্রচলিত ভয়াবহ দেবদাসী প্রথা দেখানো হয়েছে। এই প্রথায় কিশোরী মেয়েদের যৌবনে পদার্পন করার পদক্ষেপ হিসেবে স্থানীয় মন্দিরের পুরুতদের হাতে তুলে দেয়া হয়; এরপর চলে পূজ়া আর্চা নানান অং ঢং এর নামে নির্লজ্জ শিশু ধর্ষন। ভারতে বর্তমানে আইনত এ প্রথা নিষিদ্ধ হলেও প্রতি বছর নাকি ১০ হাজারেরও বেশী এমন ঘটনা ঘটে।
– এ অভিযোগ ষোল আনাই সত্য। আমি নিজেই উদাহরন দিলাম। এই ছবি বানিয়েছে ভারতীয়রাই, খোদ ভারতে চলেছে। কিছু সমালোচনা পড়েছি হিন্দু সমাজের থেকেই। সেই গতবাঁধা…ধর্মকে হেয় করার ষড়যন্ত্র হেনতেন। তবে সমালোচনা কাগজ কলমেই থেকেছে।
তবে একটি কথা মনে হয় এ প্রসংগে বলা দরকার; সামাজিক প্রথার সমালোচনা হয়ত অতটা রিয়্যাক্ট করে না তবে; তবে স্পেসিফিক্যালী পূজনীয় ধর্মীয় চরিত্র যেমন অভিজিতের বলা ব্রক্ষ্মা শতরূপার লীলাখেলা নিয়ে ছবি করলে হয়ত ঘটনা অন্যরকম হতে পারে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
ওমা! তাই নাকি? কী ভয়ংকর কথা! জানতাম নাতো।
বীজ আর চারা এক না হলেও, উপযুক্ত পরিবেশে বীজ ঠিকই গজিয়ে উঠে।আমি মসজিদে যেহেতু যায়না,তাই সেখানে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু জানিনা, কিন্ত তাবলিগওয়ালারা রাস্তায় যখন এটাক করে তখন তাদের কথাগুলো এমন শোনায়-দুনিয়ার মুসলিম পদে পদে আক্রান্ত হচ্ছে,এখনই আল্লার রাস্তায় যাওয়া দরকার।নবী আমাদের এই দায়িত্ব দিয়ে গেছেন মুসলিমদের উদ্যারের জন্য। এখন নিরিহ শান্ত-শিষ্ট মুসলিমটি ধরলাম তাবলিগে গেল,ব্রেনওয়াশের ফলে তার ঈমান পাকা-পোক্ত হল।।এখন সে তৈরী হল গজিয়ে উঠার জন্য। তাকে দিয়ে ভয়ংকর কিছু করার জন্য বেগ পেতে হবেনা। এ অবস্থায় এমনকি আল্লাকে খুশি করতে নিজের শিশু সন্তান জবাই করতেও কেউ কেউ পরোয়া করেনা(সূত্র:২৬ ফেব্রয়ারী ২০০২)।
দুঃখিত ভবঘুরে, আপনার এই লেখাটা জুড়ে আমি শুধু ব্যাক্তিগত আক্রমণ এবং ঘৃণা দেখতে পাচ্ছি। আমি সাধারণত ধর্ম নিয়ে লেখা পড়িনা ( কারণ ধর্মের কোন উপযোগীতা নেই আমার জীবনে), কিন্তু ফরিদ ভাই এর মন্তব্য দেখে কেন জানি এইটা পড়লাম। এই বিবি আয়শাকে নিয়ে তো অনেক হল আর কত? আমার মতে শুধু ধর্ম কেন যে কোন বিষয়ে লেখার সময়েই এই ধরণের ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং রাগ প্রকাশ করলে লেখার মান এবং বিশ্বাসযোগ্যতা দুটোই নষ্ট হয়। ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করবেন, তা করুন না, কিন্তু এভাবে ব্যক্তিকে নিয়ে টানাটানি করার দরকার আছে বলে মনে করি না। ধর্মকে ঐতিহাসিক, সামাজিক প্রেক্ষাপট, নৃতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট থেকে না দেখলে আসলে আলোচনার কোন মূল্য থাকে না, অন্তত আমার কাছে থাকে না এইটুকু বলতে পারি। এমনকি ধর্মের উৎপত্তি এবং টিকে থাকা নিয়ে আজকাল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক/নৃতাত্ত্বিক গবেষণাও আছে, অনেকেই এগুলো নিয়ে কাজ করছেন।
আপনি যে শুধু মুহাম্মদের উপরই রাগ ঝেরেছেন তাও নয় বেশ কয়েক জায়গায় সমগ্র মুসলিমদের গালাগালি করেছেন। জাত তুলে এ ধরণের গালাগালি আমার কাছে একেবারেই গ্রণযোগ্য নয়। আপনার এই বিশ্লেষণ শুধু ভুলই নয় অত্যন্ত ক্ষতিকরও হতে পারে। আপনি কি গত দুই হাজার বছরের খ্রীষ্টান ধর্মের ইতিহাস পড়ে দেখেছেন? হিন্দু ধর্মের ইতিহাসেও তো আমি অনেক কিছুরই মিল দেখতে পাই। ধর্মীয় মৌলবাদ কিন্তু কম বেশী একই লেবাস পরেই দেখা দেয়। সাধারণ মানুষের ধর্ম মানা আর ধর্মীয় মৌলবাদের মধ্যে মনে হয় একটা পরিষ্কার লাইন টানা দরকার। আর আপনি আপনার মন্তব্যে গণহারে যে রকম ‘অমুসলিমদের উদারতা এবং গনতান্ত্রিকতা’ নিয়ে বলছেন তাতেও সন্দেহ হয় আপনি আসলেই এখনকার পৃথিবীর ডায়নামিক্সটা বোঝেন কিনা। আজকের পৃথিবীতে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির পিছনে সাম্রাজ্যবাদের ভূমিকা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, অর্থনৈতিক বা সামাজিক ভিত্তি, দারিদ্রতা ইত্যাদি সব কিছুকে একসাথে বিবেচনা না করলে পুরো বিশ্লেষণটাই ভুল হয়ে যেতে বাধ্য। এখানে অনেকেই হয়তো আমার সাথে একমত হবেন না, আপনার সাথে বিতর্ক করার উদ্দেশ্য নিয়েও আমি এই মন্তব্যটা লিখছি না, শুধু আমার আপত্তিটা এখানে জানিয়ে গেলাম। সময় নেই বলে খুব সংক্ষেপে লিখতে হচ্ছে, হয়তো একটু বেশী কাঠখখোট্টাভাবেও বলা হয়ে যাচ্ছে, আশা করি যা বলতে চাচ্ছি সেটা বুঝাতে পেরেছি।
(মন্তব্যটা পোষ্ট করার আগে আপনার শেষ মন্তব্যটা পড়লাম। আপনার মন্তব্যে যে বিশ্লেষণমূলক একটা মনোভঙ্গী প্রকাশ পেয়েছে সেটা কিন্তু মূল লেখাটায় দেখা যায়নি, আর সেখানেই বোধ হয় আমার আপত্তিটা।)
@বন্যা আহমেদ,
আপনার মন্তব্যকে শ্রদ্ধা জানিয়ে –
“আমি সাধারণত ধর্ম নিয়ে লেখা পড়িনা ( কারণ ধর্মের কোন উপযোগীতা নেই আমার জীবনে), কিন্তু ফরিদ ভাই এর মন্তব্য দেখে কেন জানি এইটা পড়লাম। এই বিবি আয়শাকে নিয়ে তো অনেক হল আর কত? আমার মতে শুধু ধর্ম কেন যে কোন বিষয়ে লেখার সময়েই এই ধরণের ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং রাগ প্রকাশ করলে লেখার মান এবং বিশ্বাসযোগ্যতা দুটোই নষ্ট হয়। ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করবেন, তা করুন না, কিন্তু এভাবে ব্যক্তিকে নিয়ে টানাটানি করার দরকার আছে বলে মনে করি না। ধর্মকে ঐতিহাসিক, সামাজিক প্রেক্ষাপট, নৃতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট থেকে না দেখলে আসলে আলোচনার কোন মূল্য থাকে না, অন্তত আমার কাছে থাকে না এইটুকু বলতে পারি। এমনকি ধর্মের উৎপত্তি এবং টিকে থাকা নিয়ে আজকাল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক/নৃতাত্ত্বিক গবেষণাও আছে, অনেকেই এগুলো নিয়ে কাজ করছেন।
আপনি বলেছেন ব্যক্তিকে নিয়ে টানাটানির কথা ।এই বিষয়ে কিছু কথা আছে । ব্যক্তিটি যখন যে( কোনো ধর্মের হোক) সেই ধর্মের ধারক বাহক হয় তখন তিনিই তো পর্দায় আসবেন। আসতেই হবে।মুসলিমরা যারা আমরা এই ধর্মের অনূ্সারি আমরা তাঁর ব্যক্তি জীবন ,সামাজিক জীবন, রাস্ট্রের প্রতি কর্তব্য তা তাঁকে অনূ্সরণ করেই চলতে থাকবে।কিন্তু ব্যক্তি যদি ভুল,ভ্রান্তিতে ভরা থাকে,তখন তিনি হন অজস্র প্রশ্নবানে বিদ্ধ,এবং তখনই তিনি সমালোচনা বা
আলোচনার পাত্র হয়ে পড়েন। ধর্ম মানে একএক জন ব্যক্তি চলার পথে বুদ্ধি বিবেচনা দ্বারা যিনি সঠিক মনে করেন সেই ভাবে চলা। কারো কোন প্রকার ক্ষতি না করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করে যাওয়া।
আমি অধিক কথা না গিয়ে একটা উদাহরণ দেই,
হাদিস-১২১ (বোখারী শরীফ) ১ খণ্ড
‘
এই যদি হয় ধর্মের বাহকের কথা তাহলে তাঁর যথার্থ অনূ্সারিরা আশা করব সেই নিয়ম মাফিক চলবেন।
আর তাই যদি চলেন তবে কী তা রাস্ত্র ,সমাজ ,তথা সামগ্রিক ভাবে হুমকি স্বরুপ নয় ? আজ বিশ্বে যতো রকম
ভয়াবহ ঘটনা আতঙ্ক,নৈ্রাজ্য এ সবই তো তার ঐ বানী দ্বারাই প্ররোচিত। নাহলে সে কোনদিন প্রকৃ্ত মুসলমান বলে দাবী করতে পারেনা। সে হবে ইসলাম ধর্মের ভাষায় “মুনাফিক” ।
আশা করি ক্ষুদ্র বিবেচনা দিয়ে আমার কাছে যেটুকু গ্রহনযোগ্য তাই বলে দিলাম। এইখানে ভবঘুরের কোন ব্যক্তিগত
আক্রোশ অন্ততঃ আমার নজরে এলোনা । এলো কেবল খারাপ কাজের প্রতি ঘৃ্নার বহিঃপ্রকাশ।
সবাইকে মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
আমি চিন্তা করে বের করলাম কেন মুসলমানদের কাছে নবীর কোন খুত ধরা পড়ে না। তার ১ম কারন- যখন আমরা মোহাম্মদের কথা চিন্তা করি তার তথাকথিত আল আমীন বিষয়টার কথা মনে পড়ে।
২য় কারন- তিনি যে তার ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেছিলেন তা আমরা মনে রাখি না আর কোন মিডিয়া বা মজলিসে তা সতর্কভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়।
৩য় কারন-তার স্ত্রী বিবি জয়নাব যে তার পূত্রবধূ (পালিত পূত্রের স্ত্রী) ছিলেন তা আমরা মনে রাখি না বা মিডিয়া ও ইসলামি মজলিসে সতর্কভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়।
৪র্থ কারন- তার ১৩ টি বিয়ের কথা সাধারনত উল্লেখ করা হয় না , হলেও সুন্দর ভাবে বলা হয় প্রত্যেকটি বিয়ের মহান কারন বিদ্যমান ছিল, আমরা খোজ নিতে যাই না যে সত্যি কোন মহান কারন ছিল কি না।
৫ম কারন- এটা খুব গুরুত্বপূর্ন। আমরা কখনই কোরান বা হাদিস নিজ ভাষায় পড়ে বোঝার চেষ্টা করি না তা আসলে আল্লাহর বানী হতে পারে কিনা। আপাত দৃষ্টিতে ইসলামকে হিন্দু বা খৃষ্টান বা বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মের চাইতে পরিশীলিত মনে হয়, যা আমাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে আপাত একটা উচ্চ ধারনা দেয় ও আমাদের এ বোধ জাগে যে ইসলাম হলো অন্য সব ধর্ম থেকে সেরা। যে কারনে আমরা কোরান হাদিস না পড়ে খালি কাঠমোল্লাদের ফালতু কথাকে আসল কথা মনে করে বিশ্বাস করি ও প্রতারিত হই। ঠিক একারনেই বহু শিক্ষিত মুসলমান পর্যন্ত কোরান হাদিস না পড়ে পাক্কা বিশ্বাসী মুসল্লী ও এক পর্যায়ে গোড়া পন্থী।
ভবঘুরে;
আপনার লেখাটি ভালো হয়েছে, এবং তথ্যপূর্ণ।
নবীজী যে শুধু আয়েশার মতো নাবালিকাকে বিবাহ করেই তাঁর শিশুযৌনআকর্ষণ চরিতার্থ করেছেন তা নয়। শিশু আয়েশার সাথে যৌন সংগম করার পরেও তিনি এক হামাগুড়ি দেওয়া কণ্যাশিশু দেখে ঐ শিশু কণ্যাকে বিবাহ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। এ ব্যাপারটি ইবন ইসহাক লিখেছেন নবীজীর জীবনীতে।
ইসলামী ইতিহাসের সর্বোচ্চ লেখক তাবারি লিখেছেন যে আবু বকর কে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়। তাবারি ভলুম ১১, পৃঃ ১২৯ লিখা হয়েছে ইহুদিরা চালে বিষ দিয়েছিল। ঐ খাদ্য খাবার পর আবু বকর মারা যান। মৃত্যু কালে আবু বকরের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
তা হলে আমরা দেখছি যে ইসলামের চার খলিফারই মৃত্যু হয়েছিল অস্বাভাবিক ভাবে। চার খলিফাদের কেউ শান্তিতে মরতে পারেন নাই।
অন্ধের দর্শন অদেখায়, ধর্মের দর্শন অজ্ঞতায়। অন্ধ কে যা বলা হয়, তা বিশ্বাস করা ছাড়া তার কোন উপায় নেই। কিন্তু সে একবার দৃষ্টি ফিরে পেলে তার অনেক বিশ্বাস ই পরিবর্তি্ত হবে। আর ধর্ম, এর বিশ্বাস অনেক গভিরে। অজ্ঞতা, বিশ্বাস, গোঁড়ামি, ভন্ডামি, শ্রেষ্ঠত্ত ইতাদি। শিক্ষিত দের জন্য ধর্ম হল ইগো, পন্ডিত দের জন্য ব্যাবসা। শিক্ষা বিস্তার করে হয়তোবা অজ্ঞতা, বিশ্বাস, গোঁড়ামি, ইতাদি পরিবর্তন করা যাবে এবং আইন প্রয়োগ করে ব্যাবসা (যদিও অসম্ভব)। কিন্তু ইগো এর কি হবে। শিশু কালেই, অবুঝ মনে যা গেঁথে গেছে, তা ই বড় হয়ে সত্তায় রুপান্তরিত হয়েছে। আর এই সত্তায় খোঁচা লাগলে, ইগো কেঁপে উঠে। আমরা আক্রমনাত্নক হয়ে উঠি। যে কোন কিছুই করতে পারি। ধর্মের জন্য। তো তাহলে, কখনও কি এই মোহাম্মদ দের অসুস্থ ধর্মের হাত থেকে রক্ষা উপায় নেই? আমাদের করনীয় কি? আমরা কি শুধু মুক্তমনায় এসে তাদেরকে সবংশে বিতাড়ন এর ইচ্ছা ব্যাক্ত করব এবং বাহিরে গিয়ে অভিনয় করব। তাই কি করনীয়? এখানে মুক্তমনায় যারা আসে তারা এমনিতে ই ধর্ম বিমুখী, আসল জঙ্গ তো বাইরে।
একটু ভেবে দেখেন, আধুনিক কালে কোনো সভ্য সমাজে এ অপরাধ করলে এর শাস্তি কি হবে?
এর পরও কুরানের সূত্র ধরে অন্ধবিশ্বাসীরা বলবে, মুহাম্মদ হলেন মানব জাতির জন্য ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’ বা সর্বোত্তম আদর্শ এবং ‘সিরাজাম মুনিরা’ বা জ্বলন্ত প্রদীপ।
মুসলমান পুরুষদের একসাথে সর্বোচ্চ চার বিয়ে করার অনুমতি থাকলেও মুহাম্মদ যথেচ্ছ তা করেছেন, আর এজন্য নিজের সমর্থনে কোরানের আয়াতও নাযিল করিয়েছেন!! ‘বিশ্ববেহায়া’ উনার কাছে এক’শ বার ফেল করবে সন্দেহ নাই।
@সৈকত চৌধুরী,
‘উসওয়াতুন হাসানাহ’ জানতাম, তবে ‘সিরাজাম মুনিরা’ !
মুহাম্মদের কদর্য কার্যকলাপ নিয়ে আপনার আলোচনা উপভোগই করেছি। যথেষ্ট তথ্যপূর্ণ এবং যুক্তিসঙ্গত আলোচনা। শেষের কয়েকটা লাইনই শুধু ভাল লাগলো না। মুহাম্মদের সাথে সাথে তার সব অনুসারিদেরই একই কাতারে ফেলে দেওয়াটাকে ঠিক মেনে নিতে পারলাম না। এটা অবশ্য নেহাহেতই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
কিছু কিছু জিনিষও ঠিক বুঝতে পারিনি আপনার শেষের কথাগুলোর। কেনই বা তাদের সবংশে দুনিয়া ছেড়ে যেতে হবে? কেনই বা আপনি অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ ও বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের কথা বললেন? ঠিক কী ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের আশংকা করছেন আপনি? মুসলমানরা সবাইকে মেরেকেটে শেষ করে দেবে বলে ভাবছেন?
@ফরিদ আহমেদ,
মুহম্মদের অনুসারী যারা তারা বলাবাহুল্য মুহাম্মদ যেসব কাজ কারবার করেছেন সেরকমই করতে চাইবে। যারা তা করতে চাইবে না , তারা বলাবাহুল্য মুহাম্মদের অনুসারী না।
মুহাম্মদের অনুসারীরা সবাইকে মেরে কেটে সাফ করার তালে ইতোমধ্যেই আছে। অমুসলিমরা স্রেফ মানবতা ও উদার গনতন্ত্রের খাতিরে সহ্য করে যাচ্ছে।কিন্তু তাদেরও একটা সহ্যের সীমা আছে।সীমা অতিক্রম করলেই ওরা পাল্টা আঘাত হানবে। আর তার পরিনতি কি হতে পারে -সেটাই আমি বুঝাতে চেষ্টা করেছি। সেই পাল্টা আঘাত খাওয়ার আগে মুসলমানদের বোধদয় যাতে ঘটে সে কথাই বলতে চেয়েছি।
@ভবঘুরে,
ওমা! তাই নাকি? কী ভয়ংকর কথা! জানতাম নাতো। আরতো মুসলমান কারো সাথেই মেলামেশা করা যাবে না দেখছি এখন থেকে। কবে না আবার গলাটাই কেটে ফেলে আমার।
হুম। বিরাট ভয়ের কথা। আমার মা ভাই-বোনদের এখন থেকেই অমুসলিম বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বেশ জোরেসোরে। কোনদিন না আবার মানবতাবাদী অমুসলিমদের সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যায়। তারা পালটা আঘাত হানলে যে পরিবারের সব সদস্যদের হারাবো আমি।
@ফরিদ আহমেদ, :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@ভবঘুরে,
কথাটা অদ্ভুত শোনালেও এটা ঠিক। মুহাম্মদের অনুসারীরা তালেবানি পন্থায় গোটা দুনিয়া রাজত্ব করার সপ্ন দেখে। সেই দুনিয়ায় যারাই তালেবানি পন্থার বাইরে চলবে তাদেরকে তারা মেরে কেটে সাফ করে আখেরাতে অশেষ পুণ্য অর্জন করার তালে আছে।