আধুনিক মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হোমো স্যাপিয়েন্স (Homo sapiens) । অর্থাৎ, আধুনিক মানুষ ‘হোমো’ গন (genus) এর অন্তর্ভুক্ত।বিজ্ঞানীদের মতে এই গণের উদ্ভব/আবির্ভাব প্রায় ২৩ থেকে ২৪ লক্ষ বছর আগে(১)।এরা হোমিনিডিন পরিবারের একটা জেনাস অষ্ট্রালোপিথেকাস এর অন্তর্গত অষ্ট্রালোপিথেকাস গারহি নামক প্রজাতি থেকে আফ্রিকায় উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়।উল্লেখ্য অষ্ট্রালোপিথেকাস জেনাসের অন্য কোন প্রজাতির অস্তিত্ব এখন আর পৃ্থিবীতে নাই বলে মনে করা হয়।আজ অবধি আবিষ্কৃত হোমো গণের অন্যান্য প্রজাতিগুলোঃ হোমো হ্যাবিলিস, হোমো ইরেক্টাস, হোমো এন্টেসেসর, হোমো এরগাষ্টার, হোমো হেইডেলবার্জেন্সিস, হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেন্সিস, হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস এবং এখনো অনেক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
এই পর্যন্ত যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মানুষ ছাড়া হোমো গনের আর কোন প্রজাতির (spices) অস্তিত্ব এখন আর পৃথিবীতে নেই। এতদিন পর্যন্ত হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেন্সিস কে সর্বশেষ বিলুপ্ত প্রজাতি মনে করা হত। হোমো নিয়ান্ডিরথ্যালেন্সিস ২৪ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে বলে মনে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধারনার পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৩ সালে হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস আবিস্কৃত হয় যারা প্রায় ১২ হাজার বৎসর আগ পর্যন্ত বেঁচে ছিল বলে মনে করা হয়।এবং ২০১০ সালে প্রকাশ করা ডেনিসোভা হোমিনিন এখন পর্যন্ত এই গনের আপাততঃ সর্বশেষ সংযোজন।
আমি এখানে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া ফসিলের উপর ভিত্তি করে হোমো জেনাসের প্রজাতি গুলোর কথা বলার চেষ্টা করবো।
হোমো হ্যাবিলিস (Homo habilis): ফসিলের কার্বন ডেটিং করে পাওয়া হিসাব অনু্যায়ী এখন পর্যন্ত জানা মানুষ্য প্রজাতির মধ্যে এরা সব চেয়ে বয়স্ক। এরা হোমিনিন ফ্যামিলির জেনাস অষ্ট্রালোপিথেকাস এর একটা প্রজাতি অষ্ট্রালোপিথেকাস গারহি থেকে উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়।উল্লেখ্য অষ্ট্রালোপিথেকাস গারহি ২৫ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকায় বাস করতো বলে মনে করা হয়।
২০০৭ এর ৯ই আগষ্ট তারিখে নিউইয়র্ক টাইমস এ প্রকাশিত এক নিবন্ধ মতে হ্যাবিলিসরা প্রায় ২৩ থেকে ১৪ লক্ষ বছর আগে পৃ্থিবীতে বাস করতো (২)।ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ (archaeoloist) ও নৃতত্ত্ববিদ (Anthropologist) ম্যারি লীকি (Mary Leakey) এবং কেনিয়ার প্রত্নতত্ত্ববিদ ও প্রকৃ্তিবিজ্ঞানী (Naturalist) লুইস লিকী (Louis Leakey) যৌথ ভাবে ১৯৬২-৬৪ সালে পুর্ব আফ্রিকার তাঞ্জানিয়াতে এদের ফসিল খুঁজে পান।ধারনা করা হয় হোমো হ্যাবিলিসই হোমো গনের সবচেয়ে পুরাতন প্রজাতি।ফসিল থেকে ধারনা পাওয়া যায় যে হোমো হ্যাবিলিস’রা আধুনিক মানুষের তুলনায় খাট ছিল, পুর্ন বয়স্কের গড় উচ্চতা ছিল ৪ ফুট ৩ ইঞ্চির মত।এদের হাত শরীরের তুলনায় অসামঞ্জস্যা ভাবে বড় ছিল।মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ৩৬৩-৬০০ ঘন সে.মি.। মুখ মন্ডল এদের পুর্ব পুরুষ বলে ভাবা অষ্ট্রালোপিথেকাস গারহি এর চেয়ে কম সমনের দিকে বাড়ানো ছিল। এদের শারিরীক গড়ন এবং আকার আকৃতি এপ (ape) দের মত থাকা সত্বেও এরা পাথুরে যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করতো বলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করেন। কারন আফ্রিকায় এদের ফসিলের সাথে পাথুরে যন্ত্র পাওয়া গেছে (৩)।
হোমো জেনাসের অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে হোমো হ্যাবি্লিস এর আকার আকৃ্তিতে আধুনিক মানুষের সাথে মিল কম।হোমো হ্যাবিলিসকে হোমো এরগাষ্টার এর পুর্ব পুরুষ মনে করা হয় এবং এই এরগাষ্টার থেকেই আধুনিক মানুষের সাথে আকার আকৃ্তিতে মিল সম্পন্ন প্রজাতি হোমো ইরেক্টাকাস এর উদ্ভব হয়েছে বলেও মনে করা হয়। তবে এখনও হোমো হ্যাবিলিসরা সরাসরি আধুনিক মানুষের পুর্বপুরুষ কিনা অথবা যে সব ফসিল পাওয়া গেছে তা ঠিকভাবে শ্রেনীভুক্ত করা হয়েছে কিনা এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নাই। তবে নতুন গবেষনার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ২০০৭ সালে বলা হোমো হ্যাবিলিস এবং হোমো ইরেক্টাস একই সময়ে বাস করতো এবং সম্ভবত এরা পৃ্থক লিনিয়েজে একটা কমন এন্সেষ্টর থেকে আলাদা ভাবে উদ্ভব হয়েছে। এবং আরো মনে করা হয় যে হোমো ইরেক্টাকাস হোমো হ্যাবিলিস থেকে সরাসরি উদ্ভব হয় নি (৪)।
তবে এখন পর্যন্ত এদের জেনম সিকোয়েন্সিং এর মাধ্যমে অন্যান্য প্রজাতির সাথে এদের জেনেটক ডিস্ট্যান্স দেখা হয়েছে কিনা তা জানা যায় নি।
হোমো রুডোলফেন্সিস (Homo rudolfensis) ১৯৭২ সালে কেনিয়ার লেক টুরকানা এলাকায় এদের জিবাষ্ম পাওয়া যায়।খুজে পান প্রত্নতত্ত্ববিদ রিচার্ড লীকি (ইনি হোমো হ্যাবিলিস এর আবিস্কারক ম্যারি এবং লুইস লীকি’র ছেলে) ও প্রানী বিজ্ঞানী মেয়াভ লীকি’র টিমের সদস্য বার্নার্ড এনগেনো (৫)। প্রথমে এদেরকে হোমো হ্যাবিলিস বলে মনে করা হয়েছিলেন।তবে এখনও এটা সবচেয়ে বিতর্কিত একটা প্রজাতি। প্রথমে ভুল করে এদের খুলিকে ৩০ লক্ষ বছরের পুরনো বলেও মনে করা হয়েছিল। পরে হোমো হ্যাবিলিস এর সাথে এর মাথার খুলির পার্থক্যের কারনে এদেরকে অন্য প্রজাতি বলে ধরে নেয়া হয় এবং মনে করা হয় যে এরা হোমো হ্যাবিলিস এর সমসাময়িক।তবে এটা এখনও নিশ্চিত নয় যে হোমো রুডোলফেন্সিস নাকি হোমো হ্যাবিলিস নাকি অন্য কোন তৃতীয় প্রাজাতি থেকে পরবর্তী হোমো প্রজাতি সমুহ এবং হোমো সেপিয়েন্স এর উদ্ভব হয়েছে!
২০০৭ সালের মার্চে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এন্থ্রপলজিষ্ট টিমোথি ব্রোম্যাজ এদের একটা খুলির রিকনস্ট্রকশন করে দেখেন যে এরা দেখতে অনেকটা এপ (ape) দের মত এবং এদের মাথার খুলির আয়তন ৫২৬ ঘন সে. মি. বলে দাবী করেন যা আগে ৭৫২ ঘন সে. মি. বলে মনে করা হয়েছিল।তবে মাথার খুলির এই আয়তন নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালে টিমোথি ব্রোম্যাজ এদের মাথার খুলির আয়তন পুনরায় নতুন ভাবে হিসাব করে বলেন যে তা প্রায় ৭০০ ঘন সে. মি. (৬)।
অন্যান্য প্রজাতির সাথে সম্পর্ক নিরুপনের জন্য এদের কোন জিন সিকোয়েন্সিং হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায় নি।
তথ্য সুত্রঃ
১।McHenry, H.M (2009). “Human Evolution”. in Michael Ruse & Joseph Travis. Evolution: The First Four Billion Years. Cambridge, Massachusetts: The Belknap Press of Harvard University Press. p. 265.
২।http://www.nytimes.com/2007/08/09/science/08cnd-fossil.html?ref=science
৩।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_habilis#cite_note-2
৪।F. Spoor, M. G. Leakey, P. N. Gathogo, F. H. Brown, S. C. Antón, I. McDougall, C. Kiarie, F. K. Manthi & L. N. Leakey (9 August 2007). “Implications of new early Homo fossils from Ileret, east of Lake Turkana, Kenya”. Nature 448 (448): 688–691)
৫।http://en.wikipedia.org/wiki/H._rudolfensis
৬।Bromage TG, McMahon JM, Thackeray JF, et al. (2008). “Craniofacial architectural constraints and their importance for reconstructing the early Homo skull KNM-ER 1470”. The Journal of Clinical Pediatric Dentistry 33 (1): 43–54.
চলবে…
তারপর না পেরে তারা “এক্সট্রিমিস্ট” গালি দেয়। যত্তোসব।
@রায়হান আবীর,
:rotfl:
হা হা হা….ব্যাপক মজা হইতাছে? ওরে কে কে দেখবি আইসা দেইখা যা…. :rotfl: :lotpot:
ঋণগ্রস্ত
আপনি পরিষ্কারভাবে কতগুলো উত্তর দিবেন, আপনাকে বারবারই বিভিন্ন প্রশ্ন করা হচ্ছে আর আপনি তার আশে পাশে নাচানাচি করে হয় উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন, না হয় বলছেন পরে দেব অথবা আরও কত কিছু আবিষ্কার হওয়া বাকি ধরণের হাস্যকর সব উত্তর দিচ্ছেন। আপনি হয়তো এই ব্লগে হঠাৎ হঠাৎ আসেন, কিন্তু আমরা যারা এখানে লিখি তাদের কিছু দায়বদ্ধতা আছে। বাংলা ব্লগে যত বিজ্ঞানের লেখা হয় তার অধিকাংশটাই এখানে হয়, আমরা এটাকে বিজ্ঞান বিষয়ক ব্লগ বলতে পছন্দ করি। তাই আপনি যখন এখানে এসে বিজ্ঞানের কোন প্রতিষ্ঠিত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, অন্য ব্লগে হয়তো আপনি পার পেয়ে যেতে পারেন, এখানে তা পেতে হলে আপনাকে তার প্রমাণ দিতে হবে। আপনি বিজ্ঞানের লেখা যদি লেখেন এবং তাকে ভুল বলে প্রমাণ করতে চান তাহলে বিজ্ঞানের সেই শাখার জার্নাল থেকে রেফারেন্স দিবেন। হ্যা, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে যেমন প্রতিষ্ঠিত তত্ব ঠিক তেমন সব্রকম প্রাণের (মানুষ সহ) বিবর্তন হচ্ছে সেটাও প্রতিষ্ঠিত একটি তত্ত্ব। আপনি যদি সেটাকে ভুল বলে মনে করেন বা প্রমাণ করতে চান তাহলে আপনাকে বিজ্ঞানের জার্নাল থেকে রেফারেন্স দিয়ে বলতে হবে সেটা কিভাবে করছেন। এখানে যদি আপনি বিজ্ঞানের লেখা লিখতে চান তাহলে বৈজ্ঞানিকভাবেই এগুলোর উত্তর দিতে হবে আপনার ফিলিংস দিয়ে নয়। নেচার বা সাইন্স জার্নালে বা জীববিজ্ঞানের যে কোন টেক্সট বুক খুলে দেখুন, সেখানে কি লেখা আছে, যদি মনে করেন সেগুলো ভুল তা হয় বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে প্রমাণ করুন বা কে প্রমান করেছে তা দেখান, অথবা তা আপনি কোথায় কোন বৈজ্ঞানিক জার্নালে পড়েছেন বা নিজে লিখেছেন তা জানান।
আপনি রাহাত খানের প্রশ্নের উত্তর দেননি, আল্লাচালাইনার গুলোও নয়, আপনি এখানে অনেকদিন পর পর এসে এসে হঠাৎ করে মন্তব্যের ফ্লাডিং করার আগে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিন সঠিকভাবে। রাহাত খান আপনাকে বলেছে, “২)আপনি দেখলাম এক জায়গায় বলেছেন বিবর্তন কোন প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব নয়, এর উপরে লেখা লিখলে নাকি ডিস্ক্লেইমার দিতে হবে।” আপনি এখন আগে সোজা ভাষায় উত্তর দিন,
১)আপনি কি জীবজগতে বিবর্তন ঘটছে বলে মনে করেন, নাকি করেন না। আপনি একেক জায়গায় একেক কথা বলছেন, আপনার অবস্থানটা পরিষ্কার করুন।
২) একটা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক জার্নাল থেকে দেখান যে বিবর্তন বা মানব বিবর্তন ভুল।
৩) আবার কোথায় যেন লিখছেন দেখলাম, আপনি বিবর্তন মেনে নিয়েছেন, কিন্তু মানব বিবর্তন মেনে নিতে পারছেন না। এর মানে কি? আপনি কি মনে করেন মানুষ জীবজগতের বাইরে কোন ‘বিশেষ সৃষ্টি’? আপনি পরিষ্কারভাবে বলবেন, আপনি মানুষকে জীবজগতের একই নিয়মের মধ্যে ফেলেন কি ফেলেন না।
৪) আপনি বেশ কয়েক জায়গায় বলেছেন, শিম্পাঞ্জি থেকে নাকি মানুষের বিবর্তন ঘটেছে, আপনি কি জানেন এই তথ্যটা সম্পূর্ণভাবে ভুল?
৬)আপনি বলেছেন, ‘যেখানে এখন পর্যন্ত হোমো ফ্লোরিসিয়েন্স আধুনিক মানুষ নাকি অন্য প্রজাতি তাই বিজ্ঞানীদের মধ্যে ঠিক হয় নি। যেটা বিতর্কিত। সেটা নিয়ে ঢালাও ভাবে আমরা কি করে বলি!’ … আপনাকে অনুরোধ করবো যুক্তি দিয়ে কথা বলার।আপনি কি বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে সেটা বোঝেন? একটা প্রজাতি নিয়ে যদি বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রশ্ন থাকে তাহলে পুরো মানব বিবর্তন কি করে ভুল প্রমাণ হয়ে যায় সেটা বলবেন কি?
৭) আপনি নিজে এই সাইটে এসে বিতর্কিত অবৈজ্ঞানিক কথা বলে পোষ্ট বা মন্তব্য দিবেন, আপনার প্রতিটা পয়েন্টকে ধরে ধরে রিফিউট করার পর বহুদিন পরে এসে বলবেন মাঝে মাঝে এখানে ঘুরতে আসেন, আর সেই সাথে ব্যক্তিগত আক্রমণের ধুয়া তুলবেন। আপনি কি মনে করেন যে বিজ্ঞান বিষয়ে লিখতে হলে এর চেয়ে বেশী দায়বদ্ধতা লাগে?
সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদ নিয়ে তর্ক করা যেমন বেহুদ্দা কাজ আপনার সাথে বিবর্তন নিয়ে তর্ক করাকেও বেহুদ্দা সময় নষ্টই বলে মনে করি। আপনি বলছেন, ‘বিবর্তন সত্যি হলেও আমার কিছু যায় আসে না আর মিথ্যে হলেও কিছু যায় আসে না।’ আমাদের যায় আসে, আমরা এখানে বিজ্ঞান, যুক্তি, দর্শন নিয়ে আসলেই কেয়ার করি, মডারেটরদের জিজ্ঞেস করে দেখুন কেন তারা এই ব্লগ খুলে রেখেছেন। বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব নিয়ে লিখতে আসবেন, সে সম্পর্কে আধা খ্যাচড়া জ্ঞানের ভিত্তিতে তাকে ভুল বলবেন, আবার বলবেন আপনার তা তে কিছু যায় আসে না। আপনার আসলেই যদি এরকম অবস্থান হয়ে থাকে তাহলে এই ব্লগে আপনার না লেখাই বরং ভালো হবে, কারণ প্রমাণ দিতে না পারলে মানুষ আপনাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে, তা আপনার ব্যক্তিগত আক্রমণই মনে হোক আর অন্য কিছুই মনে হোক না কেন। যে সব ব্লগে আপনার মত করে মানুষ বিজ্ঞানকে দেখে সেখানেই লিখুন, আর এখানে লিখতে হলে বৈজ্ঞানিক মানসিকতা নিয়ে লিখুন, তথ্য প্রমাণ দিয়ে লিখুন।
@বন্যা আহমেদ, ও দিবে জার্নাল থেকে রেফরেন্স? পাবমডে সার্চ কোড কি করে লিখতে হয় ও জানে? ওকে জিজ্ঞেস করুন, ও আবার উধাউ হয়ে যাবে, তারপর মাস দেড়েক পর ফেরত এসে এমন ভাব ধরবে যেনো মাস দেড়েক আগে কিছুই ঘটেনি। ওর সাথে বিবর্তন নিয়ে কথা বলাটা অবান্তর। ওর সাথে কথা হতে পারে মেন্টাল হেলথ নিয়ে।
@আল্লাচালাইনা,
:lotpot: :yes:
@মিঠুন, অবশ্যই। আসুন। মেন্টাল হেলথের কি জানতে চান?
@ঋণগ্রস্ত,
ভাই ঋণগ্রস্ত, আপনি কিন্তু বাইন মাছের মত খালি পিছলাচ্ছেন। আপনার সমালোচনা করে কে কি বলল তার জবাব বা প্রতিবাদ করার মত সময় আপনি ঠিকই বের করতে পারছেন। অথচ বিজ্ঞানের বিষয়ে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রায় মাস খানেক আগে। মনে হচ্ছে এত দিনেও আপনি সে প্রশ্নগুলোর উত্তর খোজার মত সময় বের করতে পারেন নি। আর যদি উত্তর খোজার জন্য আপনাকে সময় বের করতেই হয়, তাহলে বলব আপনাকে কেন উত্তর খুজতে হবে, আপনার তো সব জানার কথা, আপনি না আনবিক জীববিজ্ঞানী, কলমের এক খোচাতেই তো সব লিখে দিতে পারেন। তা সেটা করছেন না কেন?
দয়া করে আর না পিছলে, এদিক ওদিক নাচানাচি না করে অযথা ব্যক্তি আক্রমনের ধূয়া তুলে জনগনের দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর চেষ্টা না করে, আসল বিষয়ে মনোনিবেশ করুন।
ধন্যবাদ।
@আল্লাচালাইনা, হ্যা, আসলে এখানে আমি আসি আমার ফ্রি টাইমে। তাই আপনাদের মত নিয়মিত নই।
ও দিবে জার্নাল থেকে রেফরেন্স? পাবমডে সার্চ কোড কি করে লিখতে হয় ও জানে?
এটা আপত্তিকর কথা। আপনি আপনার কথা উইথড্র করুন প্লিজ।
এতদিন জানতাম যারা ধর্ম নিয়ে বারাবাড়ি করে তাদের ক্ষেত্রে এক্সট্রিমিস্ট শব্দটা ব্যবহার করা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে যারা বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলে তারাও চরম্পন্থি। বাহ!!!
@বন্যা আহমেদ, রাহাত খানের কিছুটা উত্তর দিয়েছি।আমাকে সময় বের করতে হয়-তাই একটু দেরী হয়।
আপনার গুলোর উত্তরো দেবো।
ধ্ন্যবাদ
@ঋণগ্রস্ত,
আপনার এই লেখাটি ভাল লেগেছে, আমার মনে হচ্ছে আপনার সাথে আমার আলোচনা করা দরকার, আপনি কি আপনার ইমেইল টি আমাকে দিবেন। এখানে ঃ [email protected]
@ঋণগ্রস্ত,
আপনি কিন্তু “বন্যা আহমেদ ” এর প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গেলেন।যা মুক্তমনার নীতির পরিপন্থি কাজ বলেই জানি। আবার অনেক দিন পরে এসে বলবেন,ভুলে গিয়েছি।তা তো হয়না।
@আফরোজা আলম, ধন্যবাদ। আমি কারো প্রশ্নই এড়িয়ে যাই নি। আমি সবগুলো প্রশ্নের উত্তরই দেবো। এটা এখন আমার নৈতিক দায়িত্ব। শুধু একটা সময় দরকার। ধ্ন্যবাদ।
@বন্যা আহমেদ,
আল্লাচালাইন কে দেয়া আমার উত্তরগুলো দেখলে আপনি এই
১)আপনি কি জীবজগতে বিবর্তন ঘটছে বলে মনে করেন, নাকি করেন না। আপনি একেক জায়গায় একেক কথা বলছেন, আপনার অবস্থানটা পরিষ্কার করুন।
২) একটা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক জার্নাল থেকে দেখান যে বিবর্তন বা মানব বিবর্তন ভুল।
৩) আবার কোথায় যেন লিখছেন দেখলাম, আপনি বিবর্তন মেনে নিয়েছেন, কিন্তু মানব বিবর্তন মেনে নিতে পারছেন না। এর মানে কি? আপনি কি মনে করেন মানুষ জীবজগতের বাইরে কোন ‘বিশেষ সৃষ্টি’? আপনি পরিষ্কারভাবে বলবেন, আপনি মানুষকে জীবজগতের একই নিয়মের মধ্যে ফেলেন কি ফেলেন না।
প্রশ্নের উত্তরগুলো পাবেন।
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি আমি কোথাও মানব বিবর্তিনকে ভুল বলিনি। আমি বলেছি বিষয়টি যে ভাবে বলা হচ্ছে সে ভাবে নাও হতে পারে বা বিনা প্রশ্নে আমি মানি না।
এত মানুষের বিশ্বাসকে ভুল বলার মত ধৃষ্টতা আমার নেই।
আমি হয়ত আমার কথাগুলো আপনাকে বুঝাতে ব্যার্থ হয়েছি।
দয়া করে আমরা আধুনিক মানুষের পর্ব-২ দেখে নেবেন।
এখানে দিয়েছি। তবে পাব্লিশড হয় নি।
@ঋণগ্রস্ত, ধন্যবাদ ঋণগ্রস্থ, আপনার উত্তরগুলোর জন্য। এই পোষ্টে এত কিছু হয়ে গেছে যে আমার পক্ষে আর তা ফলো করা সম্ভব হচ্ছে না। বিবর্তন নিয়ে আপনার অবস্থানটা আমি এখনও বুঝতে পারিনি, এখনও মনে হচ্ছে আপনি বেসিক কিছু বিষয় নিয়ে কনফিউসড। আপনাকে অনুরোধ করবো বিবর্তনের উপর খুব বেসিক কোন একটা বই পরে ফেলতে। জেরি কোয়েনের ‘why evolution is True’ ধরণের কোন একটা বই পড়তে পারেন। আপনি কোথায় জানি বলেছিলেন প্রজাতির উদ্ভবের ব্যাপারটা এখনও ঠিকমত বোঝেন না, এটা বিবর্তনের খুব বেসিক ব্যাপার, এটা না বুঝলে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া সম্ভব নয়। বিবর্তন একটা অত্যন্ত চমকপ্রদ বিষয়, আশা করি আপনি এ নিয়ে যত পড়বেন ততই মুগ্ধ হবেন।
আরেকটা অনুরোধ করবো আপনাকে, বিজ্ঞানের লেখা লিখলে উইকি থেকে লেখা উচিত নয়, আপনি এখানে যে লেখাটা পেষ্ট করেছেন সেটাতে উইকির প্রচুর রেফারেন্স দেখা যাচ্ছে। উইকি কোন গ্রহণযোগ্য রেফারেন্স নয়, এমনকি এদেশের এলিমেন্টারি স্কুলের বাচ্চারাও কোন কিছু লিখলে উইকি থেকে রেফারেন্স দিতে নিষেধ করা হয়। বিজ্ঞানের লেখা লিখলে বিজ্ঞানীদের বই, বা বিজ্ঞানের জার্নাল থেকে রেফারেন্স দেওয়া উচিত। এসব বিষয়ে উইকি থেকে পড়ে জানলে কনফিউসড না হয়ে কোন উপায় নেই। নিয়ান্ডারথাল নিয়ে আপনি এই লেখায় অনেক কন্ট্রাডিকশানের কথা বলছেন, সেগুলোর উত্তর দিলাম না, আপনি নিজেই বলেছেন এ নিয়ে আরেকটু পড়তে চান। আপনাকে অনুরোধ করবো এ নিয়ে নেচার বা সাইন্স জাতীয় জার্নালগুলোতে প্রকাশিত রিসার্চ পেপারগুলো পড়ে নিতে, তাহলেই এই কনফিউশানগুলো দুর হয়ে যাবে।
আপনি মনে হয় আরেকটা লেখায় বলেছেন যে আমার বইতে ‘শিম্পাঞ্জি আমাদের নিকটতম পূর্বসুরী’ দেখে নাকি আপনি ভেবেছেন শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষ এসেছে। আপনি দয়া করে ওই চ্যপ্টারের বাকিটা পড়ুন, ১৮-১৯ পৃষ্ঠায় আমি পরিষ্কারভাবে এই ভুল ধারণাটি ( মানুষ যে শিম্পাঞ্জি থেকে আসে নি) নিয়ে আলোচনা করেছি, প্রায় এক পাতা জুড়ে। আর্ডিপিথেকাস র্যামিডাস নিয়েও গত বছরে বের হওয়া গবেষণাগুলোও ( আমিও দু’টো ব্লগ লিখেছিলাম এ নিয়ে) পড়তে পারেন। আপনাকে ধন্যবাদ এই কনফিউজিং শব্দটা (নিকটতম পূর্বসুরী’) ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, এখানে ‘নিকটতম আত্মীয়’ বলা উচিত। বইটার পরের সংস্করণে এটা সংশোধন করে দিব।
@বন্যা আহমেদ, আমাদের সবচেয়ে কাছের পুর্বসুরী শিম্পাঞ্জীদের এখানে পুর্বসুরী এবং সবচেয়ে কাছের শব্দ দুটির অর্থ ব্যাখ্যা করুন, প্লিজ।
@বন্যা আহমেদ, আপ্নি নিশ্চয় দেখছেন যে আমি আমার প্রথম লেখাতেই কমন এন্সেষ্টরদের নিয়ে কথা বলেছিলাম। সেখানে অবৈজ্ঞানিক কি ছিল সেটা দেখিয়ে দেয়া জরুরী।
উইকির রেফারেন্স দেয়ার কারন সাধারন সব পাঠকের জন্য সাইন্স অথবা নেচারের মত জার্নাল উন্মুক্ত নয় তাই। তবে আপ্নার কাছে প্রমান দাবী করছি আমি উইকি থেকে যে রেফারেন্স দিয়েছি তা ভুল।
@বন্যা আহমেদ, আপনার ৬ নং প্রশ্ন ছিলঃ
৬)আপনি বলেছেন, ‘যেখানে এখন পর্যন্ত হোমো ফ্লোরিসিয়েন্স আধুনিক মানুষ নাকি অন্য প্রজাতি তাই বিজ্ঞানীদের মধ্যে ঠিক হয় নি। যেটা বিতর্কিত। সেটা নিয়ে ঢালাও ভাবে আমরা কি করে বলি!’ … আপনাকে অনুরোধ করবো যুক্তি দিয়ে কথা বলার।আপনি কি বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে সেটা বোঝেন? একটা প্রজাতি নিয়ে যদি বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রশ্ন থাকে তাহলে পুরো মানব বিবর্তন কি করে ভুল প্রমাণ হয়ে যায় সেটা বলবেন কি?
আপনার প্রশ্নের উত্তর এখানে পাবেন। উত্তরটা একটু বড় হয়ে গেল বলে দুঃখিত।
আধুনিক মানুষ ও মনুষ্য প্রজাতিসমূহ-2
হোমো ইরেক্টাস (Homo erectus): প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে এরা প্রায় ১৮ থেকে ১৩ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকায় উৎপত্তি হয়ে চীন এবং জাভা অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছিল।গবেষকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এদের পুর্বপুরুষ, শ্রেনীবিন্যাস এবং বংশধরদের নিয়ে মতভেদ আছে।কারো কারো মতে এদেরই অন্য নাম হোমো এরগাস্টার, এবং এরা হোমো জেনাসের পরবর্তী প্রজাতি সমুহ যেমন হোমো হেইডেলবার্জেন্সিস, হোমো নিয়ান্ডা্থ্যালেন্সিস, এবং হোমো সেপিয়েন্স’দের সরাসরি পুর্বপুরুষ।অন্যদের মতে এরা এশিয়ান প্রজাতি। এবং এরা আফ্রিকান প্রজাতি বলে ভাবা হোমো এরগাস্টার এর চেয়ে সম্পুর্ন আলাদা (৭)।ফসিল থেকে পাওয়া তথ্য মতে এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ৮৫০-১১০০ ঘন সে.মি.।পুর্ন বয়স্কের উচ্চতা ছিল প্রায় ৫ ফুট সাড়ে ১০ ইঞ্চির মত এবং এদের শারিরীক গড়ন ছিল আধুনিক মানুষের চেয়ে বেশী শক্তিশালী (৮)।
১৮৯১ সালে একদল ডাচ এনাটমিষ্ট ইন্দোনেশিয়ার জাভা থেকে এদের ফসিল আবিস্কার করেন।এদের ফসিলের উপর ভিত্তি করে বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মনে করা হত যে আধুনিক মানুষের আবির্ভাব হয়েছে এশিয়ায়।তবে অন্যরা বিশেষতঃ চার্লস ডারউইন মনে করতেন যে, মানুষের আদি পুরুষের উৎপত্তি আফ্রিকায়। তিনি যুক্তি দেখান যে যেহেতু আধুনিক মানুষের বিবর্তন হয়েছে আফ্রিকান এপ (শিম্পাঞ্জি এবং গরিলা) থেকে তাই আদি মানুষের উৎপত্তি স্থান হচ্ছে আফ্রিকা (৯)। মানুষের উৎপত্তি স্থান এবং তাদের বিস্তার নিয়ে গবেষকদের মধ্যে দুই ধরনের বিশ্বাস আছে। এক দল মনে করেন আদি মানুষ আফ্রিকা উৎপত্তি লাভ করে আফ্রিকা থেকে অন্যান্য জায়গায় বিস্তার লাভ করেছে-এই হাইপোথেসিসকে বলে আউট অব আফ্রিকা অথবা রিসেন্ট আফ্রিকান অরিজিন অব মডার্ন হিউম্যান্স (১০)। অন্য মতবাদকে বলে মাল্টিরিজিওন্যাল অরিজিন অব মডার্ন হিউম্যান্স, এতে মনে করা হয় যে মানুষ প্রথমে আফ্রিকায় উৎপত্তি লাভ করে (আদি উৎস একটাই) এবং সে খান থেকে একই সাথে পৃ্থিবীর বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পরে এবং তাদের থেকেই আধুনিক মানুষের উদ্ভব ঘটেছে (১১)। নভেম্বর ২০০৯ তে নিউসাইন্টিস এর এক রিপোর্টে বলা হয় যে চীনের বেইজিং এর কাছে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার বছরের পুরনো মানুষের চোয়ালের হাড় পাওয়া গেছে। এবং মজার ব্যাপার হলো এর উপর ভিত্তি করে চাইনিজ গবেষকরা এই আউট অব আফ্রিকা হাইপোথেসিসকে প্রত্যাখান করেন (১১, ১৩)।
এখন পর্যন্ত এদেরও কোন জিন সিকোয়েন্সং হয়েছে কি না তা জানা যায় নি।
হোমো এরগাস্টার (Homo ergaster): এদের হোমো জেনাসের একটা ক্রোনোস্পিসিস বলে ধারনা করা হয় (১৪) (ক্রোনোস্পিসিস হল এক ধরনের স্পিসিস, সময়ের সাথে সাথে যাদের বাহ্যিক আকার আকৃ্তি, গঠন, কৌ্লিতাত্ত্বিক গঠন এবং স্বভাব এমন ভাবে পরিবর্তিত হয় যে আগের প্রজাতির সাথে নতুন পরিবর্তিত/বিবর্তিত প্রজাতির শ্রেনীগত কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এই পরিবর্তনের ফলে আগের প্রজাতির অস্তিত্ব সম্পুর্নভাবে বিলুপ্ত হয় অর্থাৎ এই দুই প্রজাতি একই সময়ে বাস করার সম্ভাবনা থাকে না। একটা বিবর্তিত হয়ে অন্যটার আবির্ভাব ঘটে। এটাকে লিনিয়েজ পরিবর্তনও বলা হয় এবং উতপন্ন প্রজাতিকে ক্রোনোস্পিসিস বলে)। বিজ্ঞানীদের মতে এরা প্রায় ১৮ থেকে ১৩ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকার পুর্ব দক্ষিন দিকে বাস করতো।এদের পুর্বপুরুষ, শ্রেনীবিন্যাস এবং বংশধর এর উপর মতভেদ আছে।কিন্তু বর্তমানে এটা ব্যাপক ভাবে চিন্তা করা হচ্ছে (কিন্তু সবাই একমত নয়) যে এরা এবং এশিয়ান প্রজাতি হোমো ইরেকটাস এক নয়, বরং এদেরকে হোমো হেইডেলবারজেন্সিস, হোমো সেপিয়েন্স এবং হোমো নিয়ান্ডাথ্যালেন্সিস এর সরাসরি পুর্বপুরুষ মনে করা হয়। এও মনে করা হয় যে এরা হোমো গনের প্রথমদিকের একটা প্রজাতি এবং সম্ভবত হোমো হ্যাবিলিস থেকে উদ্ভব হয়েছে অথবা এরাই হোমো হ্যাবিলিস এর পুর্বপুরুষ। সাউথ আফ্রিকার প্যালেয়ন্টোলজিষ্ট জন রবিন্সন ১৯৪৯ সালে সাউথ আফ্রিকায় প্রথম এদের চোয়ালের হাড় আবিস্কার করেন। এরপর ১৯৭৫ এ কেনিয়াতেও এদের ফসিল পাওয়া যায়।১৯৮৪ সালে কেনিয়ার টুরকানা হ্রদের কাছে ১৬ লক্ষ বছরের পুরাতন এদের একটা সম্পুর্ন কংকাল পাওয়া যায়।যায়।বিজ্ঞানী্রা একে ‘টুরকানা বয়’ নামে দিয়েছেন (১৫)।
অনেকে এদের হোমো ইরেক্টাস’র সরাসরি আফ্রিকান পুর্ব পুরুষ মনে করেন এবং বলেন যে এরা আফ্রিকায় উদ্ভব হয়ে এশিয়ার বিস্তার লাভ করেছে এবং তারপর অন্যদের চেয়ে আলাদা প্রজাতি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে ১৯২৩-২৭ সালে চীনের বেইজিং এর কাছে ঝুকুদিয়াং এ ও এদের ফসিল পাওয়া যায়। যদিও হোমো ইরেকটাস’কে আলাদা প্রজাতি মনে করা হয় তারপরও কেউ কেউ মনে করেন যে হোমো এরগাস্টার এবং হোমো ইরেক্টাস, এরা ইরেক্টাস প্রজাতি থেকে উদ্ভব হয়ে আলদা ভাবে এরগাস্টার আফ্রিকায় এবং ইরেক্টাস এশিয়ায় বিস্তার লাভ করেছে।
ফসিল থেকে ধারনা করা হয় যে এদের মাথার খুলির হাড় হোমো ইরেকটাস এর থেকে চিকন এবং ব্রেইন খাজবিহীন।হোমো হেইডেলবার্জেন্সিস এর চেয়ে এদের হাড় চিকন, মুখ মন্ডল বাইরের দিকে এবং কপাল নীচু।পুর্ববর্তী প্রজাতির সমুহের চেয়ে এদের পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে পার্থক্যও কম ছিল। ফসিল থেকে আরো ধারনা করা হয় যে এদের পুর্ন বয়স্কের উচ্চতা ছিল প্রায় ৬ ফুট ২ ইঞ্চির মত এবং প্রথম দিকে পাওয়া ফসিল থেকে এদের খুলির আয়তন ধারনা হয়েছিল ৭০০-৯০০ ঘন সে. মি. কিন্তু পরবর্তীতে পাওয়া ফসিল থেকে ধারনা করা হয় যে এদের খুলির আয়তন ছিল ৯০০-১১০০ ঘন সে. মি.।
এখন পর্যন্ত অন্যান্য প্রাজতির সাথে সম্পর্ক জানার জন্য এদের জিন সিকোয়েন্সিং হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
হোমো এন্টেসেসর (Homo antecessor): এটাও একটি বিপুপ্ত প্রজাতি বা উপপ্রজাতি। স্পেনিশ প্রত্নতত্ববিদ, নৃ্তত্ত্ববি এবং প্যালেয়েন্থোলজিষ্ট রাউরা ফেরেরাস এবং ক্যাষ্ট্রো ১৯৯৪-৯৫ সালে এদের ফসিল স্পেনের উত্তরাংশের একটি স্থান থেকে আবিস্কার করেন। মনে করা হয় যে এই প্রজাতি ১২ থেকে ৮ লক্ষ বছর আগে বাস করত।এরা ইউরোপের সবচেয়ে পুরাতন মানুষ্য প্রজাতি বলেও ধারনা করা হয়। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং নৃ্তত্ত্ববিদ প্রশ্ন তোলেন যে হোমো এন্টেসেসর রা কি ভাবে ইউরোপের হোমো সেপিয়েন্স এর সাথে সম্পর্কিত! এই সব বিজ্ঞানীরা বরং একে হোমো এরগাস্টার এবং হোমো হেইডেলবারজেন্সিস এর মধ্যে বিবর্তনীয় যোগসুত্র আছে বলে মনে করেন।অন্যদিকে রিচার্ড ক্লেইন (2009) তার বই “Hominin Disperals in the Old World” in The Human Past উল্লেখ্য করেন যে হোমো এন্টেসেসর একটা ভিন্ন প্রজাতি যারা হোমো এরগাস্টার থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।আরেক দল বিশ্বাস করেন যে হোমো এন্টেসেসর এবং হোমো হেইডেলবারজেন্সিস এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এবং এরা একই প্রজাতি। মনে করা হয় যে এরা ৬ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ বছর আগে ইউরোপে বাস করতো (১৬)।
ফসিল থেকে ধারনা করা হয় যে এদের পুর্ন বয়স্ক পুরুষের উচ্চতা ছিল সাড়ে ৫ থেকে ৬ ফুট।পুর্ন বয়স্ক পুরুষের ওজন ছিল প্রায় ৯০ কেজি। মাথার খুলির আয়তন প্রায় ১০০-১১৫০ ঘন সে. মি.। মাদ্রিদের এক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেয়ন্টোলজির প্রফেসর আরসুয়াগা এর মতে অন্যান্য এপ’দের মত এরা বা-হাতি ছিল না, এরা ছিল ডান-হাতি।তিনি এটা মনে করেন যে এদের শ্রবন শক্তিও ছিল আধুনিক মানুষের মত এবং এরা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করত।
প্রফেসর আরসুগা’র গবেষনাগারে এদের ডিএনএ ম্যা্পিং এর করার কাজ চলছে।
হোমো রোডেসিয়েন্সিস (Homo rhodesiensis): এদের জীবাশ্ম আফ্রিকাতে পাওয়া যায়। এবং মনে করা হয় এরা সম্ভবত হো্মিনিন ট্রাইবের কোন মানুষ(?)। এরা ৩ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার বছর আগ পর্যন্ত পৃথিবীতে বাসবাস করত বলে মনে করা হয়।১৯৭৬ সালে বিজ্ঞানী ক্লার্ক এদের হোমো ইরেক্টিকাস বলে মনে করেন। সাম্প্রতিক অনেক বিজ্ঞানীরা একে হোমো হেইডেলবার্জন্সিস বলে মনে করেন। যদিও অন্যরা এদের আধুনিক মা্নুষের একটা উপপ্রজাতি হোমো স্যাপিয়েন্স আরকাইকাস এবং হোমো স্যাপিয়েন্স রহডেসিয়েন্সিস বলে প্রস্তাব করেছেন। বিজ্ঞানী টিম হোয়াইট এর মতে এরা সম্ভবত হোমো স্যাপিয়েন্স ইডাল্টু এর পুর্বপুরুষ এবং যেখান থেকে হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্সের উদ্ভব ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত এই প্রজাতির সরাসরি কোন লিংকেজ পাওয়া যায় নি (১৭)।এদের খুলির আয়তন ১১০০ ঘন সে. মি. বলে ধারনা করা হয়।
এদেরো জিন সিকোয়েন্সিং হয়েছে কিনা এর কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
হোমো জর্জিকাস (Homo georgicus): ১৯৯৯ এবং ২০০১ সালে জর্জিয়ায় এদের জীবাশ্ম, মাথার খুলি এবং চোয়ালের হাড় পাওয়া যায়। কার্বন ডেটিং থেকে জানা যায় যা ছিল প্রায় ১৮ লক্ষ বছরের পুরনো। ২০০২ সালে এদের হোমো গনের একটি প্রজাতি মনে করা হয়।কারো কারো মতে এরা হোমো হ্যাবিলিস এবং হোমো এরগাস্টার এর মধ্যবর্তী অবস্থা (১৮)।
হোমো হেইডেলবার্জেন্সিস (Homo heidelbergensis): এটাও হো্মো গনের একটা বিলপ্ত প্রজাতি।এদেরকে ইউরোপের প্রজাতি হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেন্সিস এবং আধুনিক মানুষ, হোমো সেপিয়েন্স এর সরাসরি পুর্ব পুরুষ বলে মনে করা হয়।।এরা ৬ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে বসবাস করত বলেও দাবী করা হয়।এদের ব্যবহৃত পাথরের যন্ত্রপাতির সাথে হোমো ইরেক্টাকাস’র ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতির মিল পাওয়া গেছে বলে প্রকাশ করা হয়েছে।এখান থেকে ধারনা করা হয় যে এই দুই প্রজাতি মোটামুটি একই সময়ে বসবাস করত।হোমো হেইডেলবার্জেন্সিস এবং হোমো এন্টেসেসর এর আকৃ্তি এবং গঠন আফ্রিকার প্রজাতি হোমো এরগাস্টার সাথে মিল থাকায় কেউ কেউ মনে করেন যে এরা আফ্রিকার প্রজাতি হোমো এরগাস্টার’র বংশধর হতে পারে।কিন্তু এদের মাথার খুলির আয়তন প্রায় ১১০০-১৪০০ ঘন সে. মি. যা আধুনিক মানুষের খুলির আকারের প্রায় সমান (আধুনিক মানুষের সাইজ গড়ে ১৩৫০ ঘন সে. মি.) এবং এরা যে সব যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করতো তা বেশ উন্নত হওয়ায় এদেরকে একটা ভিন্ন প্রজাতি বলা হয়।এরা গড়ে প্রায় ৬ ফুটের মত লম্বা এবং এরা আধুনিক মানুষের চেয়ে বেশী শক্তিশালী পেশী সম্পন্ন ছিল বলেও ধারনা করা হয় (১৯)।এদের প্রথম সেট ফসিল পাওয়া যায় ১৯০৭ সালে জার্মানীতে এবং পরে আরো পাওয়া যায় ফ্রান্স, গ্রীস ও ইটালীতে।
অন্যান্য হোমো প্রজাতির সাথে জেনেটিক ডিস্ট্যান্স দেখা হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেন্সিস (Homo neanderthalensis): এরাও বিলুপ্ত প্রজাতি।এদের জীবাশ্ম ইউরোপ এবং পশ্চিম মধ্য এশিয়ায় পাওয়া গেছে।আমেরিকার ন্যচারাল হিষ্ট্রি মিউজিয়ামের এন্থ্রোপ্লজিষ্ট ট্যাটারসেল এবং শোয়ার্টজ ১৯৯৯ এর জুনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মত প্রকাশ করেন যে এরা আধুনিক মানুষ এর একটি উপপ্রজাতি (হোমো সেপিয়েন্স নিয়ান্ডারথালেন্সিস) (২০)।
সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আমেরিকা এবং স্পেনের একদল বিজ্ঞানী ২০০৩ এ মত প্রকাশ করেন যে পুরাতন হোমো নিয়ান্ডারথালেন্সিস এর বৈশিষ্টসমুহ ইউরোপে ৬ লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ বছর সময়ের মধ্যে প্রকাশ পায় (২১)। প্রথমে এদের হোমো হেইডেলবারজেন্সিস মনে করা হত এবং পরে হোমো রোডেসিয়েন্সিস থেকে মাইগ্রেট করা বলে মনে করা হত।এবং ২০০৮ এর ২৩ শে জুনে ডিস্কভারী নিউজে জেনিফার ভিয়েগাস বলেন যে প্রায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার বছর পুর্বে এদের সম্পুর্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। এবং এর মতে এরা এশিয়া থেকে ৫০ হাজার বছর আগে এবং ইউরোপ থেকে ৩০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যায় (২২)।
যুক্তরাজ্যে সর্বশেষীদের যে জিবাশ্ম পাওয়া যায় তা প্রায় ৩০ হাজার বছর বয়সী বলে মনে করা হয় এবং এর আগে ক্রোয়েশিয়া থেকে পাওয়া জীবাশ্ম ৩২-৩৩ হাজার বছরের বলে মনে করা হয় তবে জিব্রাল্টাতে ২৪ হাজার বছরের নিয়ান্ডাথেলস পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক ক্রোয়েশিয়া থেকে আবিস্কৃত হোমো নিয়ান্ডারথেলসের জীবাশ্ম থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে দুটো ভিন্ন পদ্ধতিতে জিন সিকোয়েন্সিং করা হয়।দুই পদ্ধতিতেই মোটামুটি একই রকম ফলাফল পাওয়া গেছে। ২০০৯ এ বায়োলজিক্যাল এন্থ্রপলজি জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয় যে নিয়ান্ডারথ্যালস এবং হোমো স্যপিয়েন্সের উৎপত্তি একই পুর্ব পুরুষ থেকে এবং এরা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ বছর আগে বিচ্ছিন হয়েছে।ডিএনএ এনালাইসিস (২৩ ,২৪) থেকে দেখা গেছে যে হোমো সেপিয়েন্স এবং নিয়ান্ডারথেলিসের প্রায় ৩০% এলিলের উৎপত্তির উৎস একই।এখান থেকে বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন যে আধুনিক মানুষ এবং হোমো নিয়ান্ডারথেলসের পুর্বপুরুষের মধ্যে জিনের আদান প্রদান হয়েছিল।তবে ২০০৭ সালে ক্যালিফোরনিয়া ইউনিভার্সিটির হিউম্যান জেনেটি রিসার্চ সেন্টেরর এই দল বিজ্ঞানী এই ফলাফলকেও চ্যালেঞ্জ করেন (২৫)।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালের নিয়ান্ডারথ্যালের জেনমের পুনরায় এনালাইসিসের ফলাফল থেকে বলা হয় যে আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথ্যালের মধ্যে জেনেটক ম্যাটেরিয়ালের কোন এক্সচেঞ্জ হয় নি। আগের এনালাইসের ফলাফলে যে মিল খুজে পাওয়া গেছিল তা ছিল আধুনিক মানুষের ডিএনএ এর সাথে নিয়ান্ডারথ্যালের ডিএনএ’র কন্টামিনেশন এবং ফাইলোজেনেটিক এর ভুল এজাম্পশনের জন্য (২৬, ২৭).
প্রায় একই সময়ে বিবিসি এর এক খবরে বলা হয় যে নিয়ান্ডারথ্যালদের সাথে আধুনিক মানুষের কোন রকম ইন্টারব্রিডং হয় নি অর্থাত যদিও আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথ্যালরা পাশাপাশি সময়ে বাস করতো তবুও তাদের মধ্যে কোন ধরনের জিন ফ্লো’র প্রমান পাওয়া যায় নি তবে এইও ধারনারও বিরুদ্ধ মত আছে
(এদের সাথে যদি মানুষের সরাসরি সম্পর্ক পাওয়া যায় তাহলে আধুনিক মানুষের উৎপত্তি আফ্রিকায়/out of Africa থিওরী প্রশ্ন বিদ্ধ হবে)!
নিয়ান্ডারথ্যাল জেনম প্রজেক্টের বিজ্ঞানী প্রফেসর পাবো বলেন যে এই জেনমের প্রায় ৬০% সিকোন্সিং শেষ হয়েছে।তবে তিনি মনে করেন যে তারা মানুষের মত কথা বলতে পারতো।কারন তাদের মানুষের মত FOXP2 জিন আছে যা শিম্পাঞ্জীর নেই।
সর্বশেষ ২০১০ এর মে ৭ তারিখে সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মান, রাশিয়া স্পেইনের প্রায় ৫৬ জন বিজ্ঞানী দাবী করেন যে নিয়ান্ডারথ্যালের জেনোমের ড্রাফট সিকোয়েন্সিং সম্পুর্ন করা হয়েছে। এবং আরও দাবী করেন যে এর সাথে বিশ্বের ভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জেনোমের তুলনা করে দেখা গেছে যে আফ্রিকা ছাড়া অন্যন্য এলাকার মানুষ যেমন ইউরোপ ও এশিয়ার মানুষের সাথে নিয়ান্ডারথ্যালের জেনোমের মিল খুজে পাওয়া গেছে (২৮)। একই সময়ে এবিসি এর এক খবরে বলা হয় যে নিয়ান্ডারথ্যাল জেনোমের সাথে আফ্রিকা্র মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য এলাকার মানুষের জেনোমের মিল ৪% (২৯)।এবং ওই একই রিপোর্টে আরো বলা হয় যে আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডরথ্যালের জেনোমের এই মিলের কারন সম্ভবত কোন এক সময় হোমো সেপিয়েন্সের সাথে নিয়ান্ডরথ্যালের সেক্সুয়ালি জেনেটিক মেটেরিয়ালের বিনিময় হয়ে থাকতে পারে।
এখন স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রশ্ন সামনে আসে তা হল ভিন্ন দুই প্রজাতি (হোমো সেপিয়েন্স এবং হোমো নিয়ান্ডারথ্যাল) এর মধ্যে যদি যৌন মিলনের ফলে জেনেটিক মেটেরিয়ালের বিনিময় হয়েই থাকে তা হলে কি সেটা আর নিয়ান্ডারথ্যাল বা সেপিয়েন্স থাকার কথা? অর্থাত জেনেটিক্সের সাধারন নিয়মে নতুন কোন প্রজাতি (যেমন বাঘ এবং সিংহের মধ্যে যৌন মিলনে উৎপন্ন টাইগন বা লিগার) হওয়ার কথা। আর দুই প্রজাতির মিলনে উতপন্ন নতুন প্রজাতির টিকে থাকার সম্ভাবনার কথা বাদ দিয়েই বলা যায় যদি যৌন মিলন ঘটে থাকে তা হলে নিশ্চয় এমন নয় যে একটা নিয়ান্ডারথ্যাল মাত্র একজন হোমো সেপিয়েন্সের সাথে মিলিত হয়েছে আর তাতেই বর্তমানে সারা বিশ্বের (আফ্রিকা ছাড়া) মানুষের মধ্যে ৪% জেনম চলে এসেছে এমনটাও হয়ত নয়! তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমেই যেটা মনে হয় তা হল নিয়ান্ডারথ্যালরা আসলেই অন্য প্রজাতি নাকি একই প্রজাতি আধুনিক মানুষের পুর্ব পুরুষ অর্থাৎ নিয়ান্ডারথ্যাল এবং সেপিয়েন্স একই প্রজাতির ভিন্ন নাম!
এখানে আরও একটি প্রশ্ন প্রাসাংগিক মনে হতে পারে তা হল নিয়ান্ডারথ্যালের সাথে আধুনিক মানুষের জেনোমের ৪% মিল হলে শিম্পাঞ্জীর সাথে আধুনিক মানুষের জেনোম ৯৯.৪% মিল হয় কি করে? যেখানে একই স্পিসিজের নিয়ান্ডথ্যালের সাথেই অমিল ৯৬%!
আবার অন্য এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বর্তমান পৃথিবীর মানুষের বিভিন্ন রেস এর মধ্যে এ পার্থক্য হল প্রায় ১২% (৩০) অর্থাৎ মিল হল ৮৮%। কি করে সম্ভব! কেমন যেন গোলমেলে মনে হচ্ছে সব কিছু।
দেখা যাক পরবর্তি গবেষনায় বিজ্ঞানীরা কি বলেন!
হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস (Homo floresiensis): ২০০৩ সালে অষ্ট্রেলিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপে প্রথম এদের জীবশ্ম খুঁজে পান।এই দলের উদ্দেশ্য ছিল কি ভাবে আধুনিক মানুষ এশিয়া থেকে অষ্ট্রেলিয়ায় গেছে তার প্রমান খুঁজে বের করা।মনে করা হয় যে ফ্লোরেসিয়েন্সিস’রা প্রায় ৩৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার বছর আগ পর্যন্ত পৃথিবীতে বসবাস করতো এবং তারপর বিলুপ্ত হয়ে যায় (৩১)।এদেরকে “হবিট” নামে ডাকা হয়।এখনও এটা নিশ্চিত নয় যে এরা আধুনিক মানুষ্য প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত কিনা! কারন এদের শারীরিক কাঠামো, ব্রেইনের আকার আধুনিক মানুষের চেয়ে অনেক ছোট এবং এরা সম্ভবত ১২ হাজার বছর আগেও বেঁচে ছিল, অর্থাৎ এ সময় এরা আধুনিক মানুষের পাশাপাশি বাস করত।প্রত্নতত্ত্ববিদ মাইক মোরউড এবং তার সহকর্মীরা (যারা এর ফসিল খুঁজে পান এবং গবেষনা করেন) একে হোমিনিন ট্রাইব এর একটা নতুন প্রজাতি বলে মনে করেন।[ট্রাইব হল ট্যাক্সোনমিক শ্রেনীবিন্যাসে ফ্যামিলি এবং জেনাস এর মাঝের ধাপ। আধুনিক মানুষের সুপারফ্যামিলি হল হোমিনোইডিয়্যা। এই ফ্যামিলির আন্তর্ভুক্ত সবাইকে গ্রেইট এপ ও বলা। হোমিনিডাই হল সুপারফ্যামিলি হল হোমিনোইডিয়্যা এর একটা ফ্যালিমি। এই ফ্যামিলিকে দুটো সাব-ফ্যামিলিতে ভাগ করা হয়েছে। একটা হল পঞ্জিন্যাই এবং অন্যটা হল হো্মিনিন্যাই। পঞ্জিন্যাই সাব ফ্যামিলির একটা জেনাস হল পঞ্জো, ওরাঙ্গওটাং (ক্রোমোজম সংখ্যা ৪৮) হল পঞ্জো জেনাসের একটা পরিচিত স্পিসিস। এবং সাব ফ্যামিলি হোমিনিন্যাই কে দুটো ট্রাইবে ভাগ করা হয়েছে। একটা হোমিনিন এবং অন্যটা গরিলিন। গরিলিন ট্রাইবের জেনাস হল গরিলা (ক্রোমজোম সংখ্যা ৪৮) আর হোমিনিন ট্রাইবের জেনাস হল দুটো। একটা হোমো {মানুষ (ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৬) এবং মানুষ্য প্রজাতি সমুহ এবং এদের পুর্ব পুরুষ} এবং অন্যটা প্যান {এর পরিচিত প্রানী হল বোনবো ও শিম্পাঞ্জীর (ক্রোমোজোম সংখ্যা ৪৮) প্রজাতি সমুহ এবং এদের পুর্ব পুরুষ}। এখানে লক্ষ্যনীয় যে অষ্ট্রেলিয়ান এন্থ্রপলজিষ্ট মোরউড হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস কে প্রথম দিকে সম্ভবত হোমো জেনাসের অন্তর্ভুক্ত করেন নি বরং একে হোমিনিন ট্রাইবের কোন স্পিসিস বলে মনে করেছিলেন। গবেষনায় দেখা গেছে যে এরা এবং আধুনিক মানুষ প্রায় একই সময় বাস করতো অর্থাৎ এরা বিলুপ্ত হওয়ার আগে কিছু সময় আধুনিক মানুষের সাথে সহবস্থান করেছে এবং তারপর কোন এক সময়ে বিলুপ্ত হয়েছে।
এ দিকে ইন্দোনেশিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ টেউকু জ্যাকব একে আলাদা প্রজাতি বলেই মানতে চাইলেন না বরং তিনি একে মাইক্রোসেফালি রোগাক্রান্ত আধুনিক মানুষের ফসিল ছিল বলে মনে করলেন (৩২)।মাইক্রোসেফালি হল একটা স্নায়ুর রোগ যাতে আক্রান্ত ব্যাক্তির মাথার আয়তন তার বয়সী স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক ছোট হয়ে থাকে এবং এটা মায়ের পেট থেকেই হতে পারে অথবা শিশু বয়সেও হতে পারে।এতে আক্রান্ত শিশুর ব্রেইনের ডেভেলপমেন্ট কম হয়। অন্যদিকে ফ্লোরিডা উনিভার্সিটির এন্থ্রোপলজিষ্ট, ডীন ফ্যাল্ক এবং তার সহকর্মীরা (৩৩,৩৪) জ্যাকব এর এই মতামতকে নাকচ করে দেন। আবার শিকাগোর ফিল্ড মিউজিয়ামে বায়োলজিক্যাল এন্থ্রপোলজির কিউরেট মার্টিন এবং তার সহকর্মীরা ২০০৬ সালে সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে একে মাইক্রোসেফালিক আধুনিক মানুষ বলে দাবী করেন (৩৫)। যা আগে জ্যাকব ও অন্যান্যরাও করেছিলেন। ২০০৬ এ অষ্ট্রেলিয়ান এন্থ্রোপলজিষ্ট আর্গু এবং তার সহকর্মীরা (৩৬) ডীন ফ্যাল্ককে কে সাপোর্ট করেন। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য (ডীন ফ্ল্যাক এবং অন্যান, ২০০৯ এ সাইন্স জার্নালে এবং হিউম্যান ইভোল্যুশন জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধ) মতে এটা মাইক্রোসেফালিক আধুনিক মানুষ নয় এবং এরা আধুনিক মানুষের পুর্বের কোন প্রজাতি (৩৭)। এবং একই বছর অষ্ট্রেলিয়ান এন্থ্রোপলজিষ্ট আর্গু এবং তার সহকর্মীরা হিউম্যান ইভোলিউশন জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধেও একই দাবী করেন। তবে ২০০৮ এ রয়েল সোসাইটি বি এর এক প্রসেডিংস এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে রয়েল মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনলজির এপ্লাইড সাইন্স ডিপার্টমেন্টের গবেষক পিটার ওবেন্ডরফ এবং তার সহকর্মীরা দাবী করেন যে এরা আধুনিক মানুষই তবে এরা থাইরয়েড গ্লান্ডের রোগ (মাইজোএডেমাটাস এন্ডেমিক) এ আক্রান্ত ছিল (৩৮)। পরবর্তিতে জ্যাকবের অনুসারীরা (জ্যাকব ১৭ অক্টোবর, ২০০৭ এ মারা যান) কি ভাবছেন তা এখনো জানা যায় নি অর্থাৎ এখন পর্যন্ত এটা একটা বিতর্কিত প্রজাতি।
এদের ফসিল থেকে পাওয়া তথ্যমতে এদের পুর্ন বয়স্কের উচ্চতা ছিল প্রায় এক মিটার বা সাড়ে ৩ ফুট এবং ওজন প্রায় ২৫ কেজি্র মত। এদের মাথার খুলির আয়তন ছিল প্রায় ৩৮০ ঘন সে.মি. এদের হাত এবং পায়ের হাড়ের গড়ন আধুনিক মানুষের চেয়ে শিম্পাঞ্জী এবং আদি হোমিনিনদের সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ন ছিল। তবে এদের বুদ্ধিমত্তা আধুনিক মানুষের মতই ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এরা মোটামুটি আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতো।
কোন জিন সিকোয়েন্সং হয়েছে কিনা জানা নেই।
হোমো স্যাপিয়েন্স ইডাল্টু (Homo sapiens idaltu): একে হোমো সেপিয়েন্সে একটা বিলুপ্ত উপপ্রজাতি বলে মনে করা হয়।জানা মতে এদের জীবাশ্মকে আধুনিক মানুষের সবচেয়ে পুরনো জীবাশ্ম মনে করা হয়েছে (৩৯)। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলী এর ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির প্রফেসর এবং প্যালেয়েন্থোলজিস্ট টিম হোয়াইট এবং দল ১৯৯৭ সালে ইথোপিয়া থেকে এদের জীবাশ্ম আবিস্কার করেন এবং ২০০৩ সালে জন সম্মুখে এদের অস্তিত্বের কথা ঘোষনা দেয়া হয়। টিম এবং তার সহকর্মীদের মতে এরা এক লক্ষ ৬০ হাজার বছর আগে আফ্রিকায় বাস করতো (৪০)। এদের তিনটা মাথার খুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এদের খুলির গড় আয়তন ছিল প্রায় ১৪৫০ ঘন সে. মি. যা আধুনিক মানুষের গড় খুলির আয়তনের চেয়ে কিছুটা বেশী তবে অন্য অনেক বৈশিষ্ট্য নাকি আধুনিক মানুষের মত ছিল যেমন এদের চোখের উপরের ভ্রুর স্থান প্রিমিটিভদের মত অতটা উচু ছিল না। এদের ফসিলের সাথে অন্যান্য প্রানীর হাড় এবং প্রচুর পরিমানে পাথুরে যন্ত্রপাতি পাওয়া যায় এমনকি কুঠারের মত দেখতে কিছু আধুনিক যন্ত্রও নাকি ছিল! এ থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে তারা অন্যান্য প্রানী শিকার করে খেতো (৪১)। প্রফেসর হোয়াইট এবং তার সহকর্মীরা এই ফসিলের আবিস্কার আধুনিক মানুষের উৎপত্তি আফ্রিকায় এই মতামতকে আরো শক্ত করে বলে মতামত দিয়েছেন। এবং তিনি নিয়ান্ডারথ্যালের থেকে আধুনিক মানুষের উৎপত্তি এই ধারনার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।
এদেরও কোন জেনেটিক বিশ্লেষন হয়েছে কিনা জানা নেই।
ডেনিসোভা হোমিনিন (Denisova hominin): ২০০৮ এ একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ সাইবেরিয়ার আলটাই মাউন্টেন এর ডেনিসোভা গুহায় এক অল্প বয়স্ক হোমিনিনের ৫ম আংগুলের ছোট্ট একটা টুকরার জীবাশ্ম খুঁজে পান।মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ সিকোন্সিং এর উপর ভিত্তি করে মার্চ ২০১০ এ এদেরকে হোমো গনের আর একটা ভিন্ন প্রজাতি বলে ঘোষনা করা হয়।কার্বন ডেটিং করে পাওয়া তথ্য মতে এই জীবাশ্মটা ছিল ৪১ হাজার বছর আগের এক তরুন/তরুনীর। এই ফসিলের সাথে মেয়েদের হাতের ব্রেসলেটেরও ফসিল পাওয়া যায় যার বয়সও জীবাশ্মের সমান হওয়ায় গবেষকরা জীবাশ্মটিকে একটি নারীর জীবাশ্ম বলে মনে করেন এবং এদের ‘এক্স উম্যান’ নাম দেন।
এদের ফসিল সাইবেরীয়ার শীতল গুহায় ছিল বলে তুলনামুলক ভাল ভাবে এদের ডিএনএ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। জার্মানির প্লাঙ্ক ইনষ্টিটিউট ফর এভোলেশনারী এন্থ্রোপলজি এর সুইডিশ বায়োলজিস্ট স্ভেন্ত পাবো এর দল এদের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ বিশ্লেষন করে দাবী করেন যে এরা, আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথ্যাল এর সাথে সম্পর্কিত এবং প্রায় ১০ লক্ষ বছর আগে একই পুর্ব পুরুষ থেকে আলাদা হয়েছে। আবার অন্যান্য গবেষনা থেকে জানা গেছে যে নিয়ান্ডারথ্যাল এবং আধুনিক মানুষ ইউরোপে একই সময়ে বাস করতো। এই আবিস্কারের মাধ্যমে এই সম্ভাবনার কথা বলা যায় যে নিয়ান্ডারথ্যাল, আধুনিক মানুষ এবং ডেনিসোভা হোমিনিন একই সময় পাশাপাশি বাস করতো (৪২)। আরো মনে করছে যে এরা আফ্রিকা থেকে মাইগ্রেটেড কোন আদি প্রজাতির বংশধর যারা হোমো ইরেক্টাস’র চেয়ে আলাদা। এদের নিউক্লিয়াস ডিএনএ এর সিকোন্সিং এখন চলছে। এই ফলাফল পেলে বোঝা যাবে আধুনিক মানুষের সাথে এদের জেনেটিক ডিস্ট্যান্স কতটুকু।
আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথ্যালের বিবর্তনীয় লাইন প্রায় ৫ লক্ষ বছর আগে আলাদা হয়েছে বলে মনে করা হয়।এতে বোঝা যায় যে ডেনিসোভারা এ পর্যন্ত চিহ্নিত হয়নি এমন প্রজাতি থেকে উদ্ভব হয়েছে এবং এদের পুর্বপুরুষ কবে আফ্রিকা থেকে এশিয়ায় মাইগ্রেট করেছে তা এখনো অজানাই। এরা যেহেতু ১০ লক্ষ বছর আগে আলাদা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে এরা হোমো ইরেক্টাসের বংশধর নয় কারন হোমো ইরেক্টাস প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা থেকে এশিয়ায় মাইগ্রেট করেছে বলে দাবী করা হয়।আবার এরা হোমো হেইডেলবার্জেন্সিসও নয় কারন হেইডেলবার্জেন্সিস প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ বছর আগে আলাদা হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই এরা আলাদা প্রজাতি হিসেবেই আফ্রিকা থেকে এশিয়ায় মাইগ্রেট করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।ডেনিসোভা হোমনিনদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সাথে আধুনিক ইউরোপীয়ানদের ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতির অনেক মিল আছে বলে বলেছেন এদের নিয়ে গবেষনা করছেন এমন একজন বিজ্ঞানী ড. ক্রাউস।
এদের প্রায় ১৬৫০০ মাইটোকন্ডিয়াল ডিএনএ এর মধ্যে ৩৮৫ বেইস পেয়ার (নিউক্লওটাইড) আধুনিক মানুষের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ থেকে আলাদা। আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথ্যালের মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ বেইস পেয়ারের মধ্যে পার্থক্য হল ২০২ বেইস পেয়ার এবং শিম্পাঞ্জীর সাথে তা হল ১৪৬২ মাইটোকন্ড্রিয়াল বেইস পেয়ার।মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ সব সময় মা থেকে পরবর্তী জেনারেশনে যায়।
এ পর্যন্ত আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে হোম হ্যাবিলিস, হোমো রুডোলফেন্সিস, হোমো ইরগাষ্টার, হোমো জর্জিকাস, হোমো এন্টেসেসর, হোমো সেপ্রানেন্সিস, হোমো রোহডেসিয়েন্সিসন এবং হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস এই প্রজাতিগুলো আলাদা প্রজাতি নাকি একই প্রজাতি তা এখনো বিতর্কিত।হোমো হেইডেলবারজেন্সিস এবং হোমো নিয়ান্ডারথালেন্সিস ঘনিষ্ট ভাবে সম্পর্কিত মনে করা এবং এরাই আধুনিক মানুষের পুর্বপুরুষ মনে করা হয় আবার এদেরকেও কেউ কেউ হোমো সেপিয়েন্সের উপপ্রজাতিও মনে করেন।
উপরোল্লিখিত তথ্য সমুহ বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে যে মানুষের পুর্ব পুরুষ, এদের উৎপত্তি স্থান এবং বিস্তার নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্য প্রচুর মতভেদ আছে। তাই আধুনিক মানুষের পুর্ব পুরুষ কে, এদের উৎপত্তি কি আফ্রিকা না অন্য কোথাও এবং এরা আফ্রিকা থেকেই এশিয়া বা ইউরোপে বিস্তার লাভ করেছে কিনা এ সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে বলার জন্য আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে আশা করছি গবেষনার মাধ্যমে এই সব প্রশ্নে সুরাহা হবে।
তবে একটি বিষয় বিশেষ ভাবে লক্ষ্যনীয় যে, মানুষের পুর্বপুরুষ বলে চিন্তা করা সব প্রজাতিগুলো বিলুপ্ত কেন? আসলে এগুলো কি অন্য প্রজাতি নাকি একই প্রজাতি? অর্থাৎ সবাই কি একই মানুষ, হোমো সেপিয়েন্স!
তথ্য সূত্রঃ
৭।Hazarika, Manji (16-30 June, 2007). “Homo erectus/ergaster and Out of Africa: Recent Developments in Paleoanthropology and Prehistoric Archaeology”
৮।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_erectus
৯।Darwin, Charles R. (1871). The Descent of Man and Selection in Relation to Sex. John Murray
১০।Hua Liu, et al. A Geographically Explicit Genetic Model of Worldwide Human-Settlement History. The American Journal of Human Genetics, volume 79 (2006), pages 230–237
১১।Wolpoff, MH; Hawks J, Caspari R (2000). “Multiregional, not multiple origins”. Am J Phys Anthropol 112 (1): 129–36.
১২।http://www.newscientist.com/article/dn18093-chinese-challenge-to-out-of-africa-theory.html
১৩।http://www.nature.com/scitable/topicpage/Human-Evolutionary-Tree-417।
১৪।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_ergaster
১৫।http://en.wikipedia.org/wiki/Turkana_Boy
১৬।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_antecessor
১৭।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_rudolfensis
১৮।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_georgicus
১৯।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_heidelbergensis
২০।http://en.wikipedia.org/wiki/Neanderthal
২১।http://www.sciencedirect.com/science?_ob=ArticleURL&_udi=B6WH8-47MHSJ5-2&_user=10&_coverDate=03%2F31%2F2003&_rdoc=1&_fmt=high&_orig=search&_sort=d&_docanchor=&view=c&_acct=C000050221&_version=1&_urlVersion=0&_userid=10&md5=a2add996b43811a4c2579178b0301375
২২।http://dsc.discovery.com/news/2008/06/23/neanderthal-tools.html
২৩।Noonan, James P.; et al. (17 November 2006). “Sequencing and Analysis of Neanderthal Genomic DNA”. Science 314 (5802): 1113–1118.,,
২৪। Green, Richard E.; et al. (16 November 2006). “Analysis of one million base pairs of Neanderthal DNA”. Nature 444 (7117): 330–336.
২৫।Wall JD, Kim SK (October 2007). “Inconsistencies in Neanderthal genomic DNA sequences”. PLoS Genet. 3 (10): 1862–6.
২৬।http://en.wikipedia.org/wiki/Neanderthal_genome
২৭।http://news.bbc.co.uk/2/hi/science/nature/7886477.stm
২৮।http://www.sciencemag.org/cgi/content/full/328/5979/710#R1
২৯।http://abcnews.go.com/WN/neanderthals-humans-share-dna-study-reveals/story?id=10587532&page=2
৩০।http://news.softpedia.com/news/12-of-the-DNA-Differs-Amongst-Human-Races-and-Populations-40872.shtml
৩১।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_floresiensis
৩২।http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC1552106/?tool=pmcentrez
৩৩।http://www.sciencemag.org/cgi/content/abstract/sci;308/5719/242
৩৪।http://www.pnas.org/content/104/7/2513.abstract
৩৫।http://www.sciencemag.org/cgi/content/abstract/312/5776/999b
৩৬।http://www.sciencedirect.com/science?_ob=ArticleURL&_udi=B6WJS-4KBD4SS-1&_user=10&_coverDate=10%2F31%2F2006&_rdoc=1&_fmt=high&_orig=search&_sort=d&_docanchor=&view=c&_acct=C000050221&_version=1&_urlVersion=0&_userid=10&md5=09f60bdce6554f1353514e868a7200fc,
৩৭।http://www.anthro.fsu.edu/people/faculty/falk/HobbitJHEspecial.pdf
৩৮। http://rspb.royalsocietypublishing.org/content/275/1640/1287
৩৯।http://en.wikipedia.org/wiki/Homo_sapiens_idaltu
৪০।http://www.berkeley.edu/news/media/releases/2003/06/11_idaltu.shtml
৪১।White, Tim D.; Asfaw, B.; DeGusta, D.; Gilbert, H.; Richards, G. D.; Suwa, G.; Howell, F. C. (2003), “Pleistocene Homo sapiens from Middle Awash, Ethiopia”, Nature 423 (6491): 742–747
৪২।http://en.wikipedia.org/wiki/Denisova_hominin
@বন্যা আহমেদ, দয়া করে আমার কমেন্টের এখানে আরও একটি প্রশ্ন প্রাসাংগিক মনে হতে পারে তা হল নিয়ান্ডারথ্যালের সাথে আধুনিক মানুষের জেনোমের ৪% মিল হলে শিম্পাঞ্জীর সাথে আধুনিক মানুষের জেনোম ৯৯.৪% মিল হয় কি করে? যেখানে একই স্পিসিজের নিয়ান্ডথ্যালের সাথেই অমিল ৯৬%! এই অংশটুকু ইগ্নোর করুন।
আমি আরো একটু পড়াশুনা করে দেখবো নিয়ান্ডথ্যালের সাথে হোমো সেপিয়েন্সের জেনোমের মিল কতটুকু।
সর্বশেষ ২০১০ এর মে ৭ তারিখে সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মান, রাশিয়া স্পেইনের প্রায় ৫৬ জন বিজ্ঞানী দাবী করেন যে নিয়ান্ডারথ্যালের জেনোমের ড্রাফট সিকোয়েন্সিং সম্পুর্ন করা হয়েছে। এবং আরও দাবী করেন যে এর সাথে বিশ্বের ভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জেনোমের তুলনা করে দেখা গেছে যে আফ্রিকা ছাড়া অন্যন্য এলাকার মানুষ যেমন ইউরোপ ও এশিয়ার মানুষের সাথে নিয়ান্ডারথ্যালের জেনোমের মিল খুজে পাওয়া গেছে (২৮)। একই সময়ে এবিসি এর এক খবরে বলা হয় যে নিয়ান্ডারথ্যাল জেনোমের সাথে আফ্রিকা্র মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য এলাকার মানুষের জেনোমের মিল ৪% (২৯)।
আসলে এই ৪% বলতে গবেষকরা কি বুঝিয়েছেন। তা আমার আর একটাউ ভাল ভাবে বুঝতে হবে।
সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ
@বন্যা আহমেদ, আপনার চার নম্বর প্রশ্ন ছিলঃ
৪) আপনি বেশ কয়েক জায়গায় বলেছেন, শিম্পাঞ্জি থেকে নাকি মানুষের বিবর্তন ঘটেছে, আপনি কি জানেন এই তথ্যটা সম্পূর্ণভাবে ভুল?
আপা আপনার লেখা বই, যার লিঙ্ক আমাকে অভিজিৎ দা দিয়েছিলেন, সেই বইয়ের নবম অধ্যায়ের প্রথম পাতার একদম নিচের দিকে আপনি মানুষের ব্রেনের আকার বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে লিখতে গিয়ে লিখেছে, আমাদের সবচেয়ে কাছের পুর্বসুরী শিম্পাঞ্জীদের সেরিব্রাল কর্টেক্স নেবে মাত্র এক পাতার সমান জায়গা।
ভুলটা কোথায়?
“সবচেয়ে কাছে পুর্বসুরী” এর মানে কি আমি ভুল বুঝেছি?
@ঋণগ্রস্ত,
দুঃখিত!
আপনি ভুল বুঝেছেন।
@বন্যা আহমেদ, আপনার ৭ ন্নগ প্রশ্নের উত্তরঃ
৭) আপনি নিজে এই সাইটে এসে বিতর্কিত অবৈজ্ঞানিক কথা বলে পোষ্ট বা মন্তব্য দিবেন, আপনার প্রতিটা পয়েন্টকে ধরে ধরে রিফিউট করার পর বহুদিন পরে এসে বলবেন মাঝে মাঝে এখানে ঘুরতে আসেন, আর সেই সাথে ব্যক্তিগত আক্রমণের ধুয়া তুলবেন। আপনি কি মনে করেন যে বিজ্ঞান বিষয়ে লিখতে হলে এর চেয়ে বেশী দায়বদ্ধতা লাগে?
আমি এই মুক্তমনায় এ পর্যন্ত তিনটা লেখা দিয়েছি।দুটো ব্লগে পাব্লিশড হয়েছে এবং একটা হয়নি। আপনি কি বলবেন এর মধ্য কোন লেখাটা অবৈজ্ঞানিক?
আপনি কি বলবেন আমার কোন কমেন্টা অবৈজ্ঞানিক?
হ্যা প্রথম লেখা দেয়ার পর আমি কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। আসতে পারিনি। সেটা কি কোন সমস্যা? এই ব্লগে লিখলে কি প্রতিদিন আসতে হবে? আমি শুধুই জানতে চাচ্ছি।
আমি ব্যাক্তিগত আক্রমনে ধুয়া তুলেছি আপনি কি প্রমান করতে পারবেন যে আমি বিনা করনে কাউকে কিছু বলেছি?
হ্যা বিজ্ঞানের লেখা লিখতে গেলে দায়বদ্ধতা লাগে বলে জানতাম বলেই তো জানি!ধন্যবাদ।
আমি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিলাম এবং সাথে সাথে একটা বলি আপ্নারা অকারনে আমাকে ভুল বিঝছেন। আমি আপনাদের ব্লগে কোন মিথ্যা বা কুৎসা করার জন্য আসিনি।
@ঋণগ্রস্ত, আপনি কি বলবেন প্লিজ আমার এই লেখায় ক’জন রিলেভেন্ট প্রশ্ন করেছিল?
তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। কিন্তু একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে গিয়ে আমরা সাধারণত বৈজ্ঞানিত তত্ত্ব এবং অনুকল্প গুলো ভালভাবে উপস্থাপন করি। নতুন কোন অনুকল্প বা তত্ত্ব হাজির করি না। নিজের ভাবনা নতুন কোন অনুকল্প হিসেবে উপস্থাপনের জায়গা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক জার্নাল। জার্নালে না করে সাধারণের জন্য লেখা রচনায় এগুলো উপস্থাপন করাটা মিসলিডিং। কারণ কেউ ভেবে দেখে না যে আপনার অনুমিতিগুলো পিয়ার রিভিউড নয়, এগুলোর বৈজ্ঞানিক মূল্য নেই বললেই চলে। বিজ্ঞানসাহিত্যে বৈজ্ঞানিক মূল্য আছে এমন বিষয় নিয়েই বেশি লেখা উচিত।
@শিক্ষানবিস, ধন্যবাদ এই প্রসংগটা উল্লেখ করার জন্য। যেমন একটা উদাহরণ দেই,
এ ধরণের মন্তব্য বিজ্ঞানের লেখায় করাটা মনে হয় না সঠিক। ‘জানা যায়নি’ মানে কি? লেখক জানেন না, লেখক তার রিসার্চ ঠিকমত করেন নি, নাকি বিজ্ঞানীরা এখনও জানেন না। পাঠক এখান থেকে কি বুঝবে? অথচ এই তথ্যটা জানতে বৈজ্ঞানিক জার্নাল পর্যন্তও যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। গুগলে একটা সার্চ দিলেই বেরিয়ে আসতো যে, নিয়ান্ডারথালদের সাথে আমাদের জিনোমের তুলনার কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালে। আর অন্যান্য প্রজাতির মানুষের জিন সিকোয়েন্সিং এখনও সম্ভব হয়নি কারণ তাদের জিনের কোন অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি।
@বন্যা আহমেদ, পর্ব -২ দিয়েছি। দেখে নেবেন প্লিজ।
@বন্যা আহমেদ, আসলে আমার সমস্যাটা শিক্ষানবীশ খুব ভালভাবেই ধরতে পেরেছেন। আমরা যখন কোন বিজ্ঞান বিষয়ক আর্টিকেল লিখি তখন আমরা conlusion এ it could be/might be লিখি। অর্থাত আমি ই এটা প্রথম করেছি এই দাবীটা সাধারন ভাবে করি না। কারন যতই রিভিউ করি না কেন সবগুলোই যে আমি জেনে গেছি এমন নাও হতে পারে।
আর সেই ধারনা থেকে আমি বলেছি “জানা যায়নি”। এখানে জানা যায় নি এর অর্থ খুব স্পষ্ট এবং তা হল আমি যতটুকু তথ্য খুজেছি তাতে পাইনি। অথবা আসলেই কোথাও কেউ এর উপর কোন কাজ করেন নি।
তবে আমি ঢালাও ভাবে বলতে চাইনি যে কাজ হয়নি। ইনফ্যাক্ট কোন ল্যাব এখন করছে কিনা আমি তাও নিশ্চিত নই।
হু, আমার সমস্যাটা এবার ধরতে পেরেছি।
ধন্যবাদ।
@শিক্ষানবিস, ধন্যবাদ।
শিরোনামে বানান ভুল গ্রহণীয় নয়।
‘মানুষ্য’ বলে কোন শব্দ বাংলায় নেই। শব্দটি মনুষ্য। খুব তাড়াতাড়ি লেখককে এটি ঠিক করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এছাড়া লেখার ভিতরেও বেশ কিছু বানান ভুল আছে। সেগুলোও সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
@মুক্তমনা এডমিন, বানানের কি বিবর্তন হয় না?
@মুক্তমনা এডমিন, আমি এর আগে আমার পোষ্ট এডিট করতে পেরেছি। কিন্তু এবার এসে আমি এডিট লেখাটা খুজে পাচ্ছি না। কি করবো। একটু হেল্প করুন প্লিজ।
লেখায় :yes: । কিন্তু, শুধু বিবরণ না দিয়ে মতামত দিলে আরো সুখপাঠ্য হয়।
তবে, প্রচুর বানান ভুল। :no:
@ব্লাডি সিভিলিয়ান, ধন্যবাদ পড়ার জন্য। এটার আরো কয়েকটা পর্ব আছে। তাই এখানে কনক্লুশন দেয়া হয় নি।
তবে লক্ষ্যনীয় যে, কিছুদিন আগ পর্যন্ত নিয়ান্ডারথ্যালদের মনে করা হত সর্বশেষ বিলুপ্ত প্রজাতি। এখন সেটা বদলে গেছে। সামনে যে আরো বদলাবে না তার গ্রান্টি কে দিচ্ছে!
হোমো রুডোলফেন্সিস এর ফসিল পেয়েছে ১৯৭২ সালে। এদের মাথার খুলির হিসাবের বিতর্কের প্রেক্ষিতে বার বার আয়তন পরিবর্তন হচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৮ এ এসে ঠেকেছে। তা হলে এরপর যে এদের সম্পর্কে আর কোন নতুন তথ্য যোগ হবে না তা কি বলা যায়!
হো্মো জেনাসের পুর্বসুরী অষ্ট্রালোপিথেকাস গারহি শুধু নয় অষ্ট্রালোপিথেকাস জেনাসের অন্যান্য সব প্রজাতি বিলুপ্ত! হোমো জেনাসের একমাত্র হোমো সেপিয়েন্স সেপিয়েন্স উপপ্রজাতি বেচে আছে অন্য সব প্রজাতি উপপ্রজাতি বিলুপ্ত অথচ হোমিনিন ট্রাইবের অন্যটা জেনাস প্যান(Pan) এর শিম্পঞ্জীসহ অনেক স্পিসিজ বেচে আছে!
ন্যাচারাল সিলেকশন সব হোমো জেনাসের উপর দিয়ে গেল কেনো!
@ঋণগ্রস্ত, ও হ্যা, বানানের কথা বলছেন। চেষ্টা করবো ঠিক করতে। ধন্যবাদ।
@ঋণগ্রস্ত,
চেষ্টাটা কখন শুরু করবেন? শিরোনামের দৃষ্টিকটু বানান ভুলটাও ঠিক করেননি দেখতে পাচ্ছি।
শুধু মানুষ্য বানানটাই ভুল নয়, প্রজাতি সমুহ বানানটাও ভুল। হবে প্রজাতিসমূহ।
@ফরিদ আহমেদ,
বানানটা কি প্রজাতিসমূহ হবে না?
@রনবীর,
সেটাইতো লিখেছি আমি। আপনি মনে হয় খেয়াল করেননি।
@ফরিদ আহমেদ,
দুঃখিত। আসলে ঊ-কারকে উ-কার হিসেবে মনে হচ্ছিল।পরে zoom করার পর দেখলাম আসলে ঊ-কার ই।
@ফরিদ আহমেদ, পোষ্ট এডিট করতে পারছি না। বলবেন কি কি ভাবে এডিট করবো। ধন্যবাদ
@ঋণগ্রস্ত,
আপনার নিজের নামে লগ ইন করলে এডিট না করতে পারার কোন কারণই দেখছি না। লগ ইন করলে আপনার আর্টিকেলের নীচে Edit শব্দটি দেখতে পাবেন। ওটাতে ক্লিক করুন। এডিট উইন্ডো খুলে যাবে। যে শব্দগুলো সংশোধন করতে চান করুন। তারপর ডানপাশে Update post বাটনে ক্লিক করুন। আপনার সম্পাদিত অংশগুলো সুরক্ষিত হয়ে যাবে।
@ঋণগ্রস্ত,
মুক্তমনায় আপনার দুটো প্রবন্ধ পড়ে মনে হল যেন, বিজ্ঞানীদের ভুল খোঁজে বের করা বা মানুষের কাছে বিজ্ঞানের ব্যর্থতা তুলে ধরাই আপনার লেখার মূল উদ্দেশ্য। অন্যভাবে বলা যায়, ইনটেলিজ্যান্ট ডিজাইনার তথা হেকমতওয়ালা আল্লহর অস্থিত্ব প্রমাণের লক্ষ্যে আপনার এসব লেখা। প্রবন্ধ পড়ে তা স্পষ্ট ধরা যায়না, তবে আপনার মন্তব্যে তা প্রকট হয়ে ধরা দেয়। উভয় প্রবন্ধে এ পর্যন্ত যা মন্তব্য করেছেন, তা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণ করে, বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান লেখার মধ্যে নিহিত আপনার উদ্দেশ্যটা কী? বিবর্তন সত্য প্রমাণিত হলেও আমার কিছু যায় আসেনা, আবার মিথ্যা প্রমাণিত হলেও কিছু যায় আসেনা, এটা একটা অসৎ ফাঁকিবাজি কথা। তা’ই যদি না হতো, তাহলে মানুষ শিম্পাঞ্জী থেকে বিবর্তিত হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি এ কথা বলায় আপনার স্বার্থটা কী? মানব বিবর্তন নিয়ে আপনি লিখছেনই বা কেন?
আপনি বলেছেন, পৃথিবীতে আবিস্কারের অনেক কিছু বাকী আছে। অপেক্ষায় থাকুন। আবার কোন নতুন খবর আসে!
কী কী এখনও আবিস্কারের বাকী আছে তাদের নামগুলো একটু বলবেন প্লীজ।
অভিজিৎকে আপনি বলেছেন, আপনি কে তা আমি জানি না। তবে এমন অনাকাংক্ষিত ইন্টারফেয়ারেন্স শোভন নয়।
এ জন্যেই তো এর নাম ব্লগ। আপনি আমাকে প্রশ্ন করলে, নিজের থেকে বা আমার হয়ে অন্য কেউ সেই প্রশ্নের উত্তর দিলে বা আলোচনায় অংশগ্রহন করলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?
একবাক্যে বলে দিলেন যে, এখানে দেখি (মুক্তমনার) সকলেই আক্রমনাত্বক।
বলেন দাদা, মন্তব্যগুলো আক্রমনাত্বক হলো কী ভাবে?
আর হ্যাঁ, জানতে পারি কি, এতদিন পরেও বানান ঠিক করেন নি কেন?
@ঋণগ্রস্ত,
ভাই ঋণগ্রস্ত, আমি খুবই অবাক হচ্ছি এই দেখে যে বারবার বলা সত্ত্বেও আপনি পোস্টের শিরোনামের বানান এখনও ঠিক করেন নি। আপনি বারবার বলছেন যে এডিট করতে পারছিনা, যেটা করতে না পারার কোন কারনই আমি দেখছিনা, আবার ফরিদ ভাইকে বলছেন যে, বানানের কি বিবর্তন হয়না? আপনি কি এখানে কৌতুক করতে এসেছেন?
আপনি এই পোস্টে আর্টিফিসিয়াল লাইফ নিয়ে তর্কের সুচনা করতে চেয়েছেন। আমি জানতে চাচ্ছি এই তর্ক কি এই পোস্টে প্রাসঙ্গিক? আর্টিফিসিয়াল লাইফ নিয়ে অভিজিৎ দার একটি আর্টিক্যাল ছিল। ওখানে ইতিমধ্যে ফারুক ভাইয়ের সাথে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হয়ে গেছে।আপনার যদি সত্যিই তর্ক করার ইচ্ছা থাকত তাহলে ওখানের আলোচনার সাথে কোন দ্বিমত থাকলে ওখানেই তা প্রকাশ করতে পারতেন। ব্লগে তর্ক করেন খুব ভাল কথা, কিন্তু যে তর্ক হয় বিক্ষিপ্ত, বিশৃঙ্খল আর অপ্রাসংগিক তার কোন মূল্য থাকেনা। জানিনা আপনার সেই চেতনা আছে কি না। ভাল ব্লগার হবার জন্য আপনার এসব বেসিক বিষয়গুলো জানা দরকার। আপনি ব্লগে এসে অনাকাংখিত ইনটারফেয়ারের অভিযোগ করেন। ভাইযান কি নতুন ব্লগিং করছেন না কি? ইন্টারফেয়ার কোথায় শোভন জানতে চাচ্ছি আপনার কাছে। আপনি ব্যক্তিআক্রমনের ধুয়া তুলেছেন। কেন তুলেছেন? আপনাকে করা কার কোন মন্তব্য কিভাবে আপনার ব্যক্তিসত্ত্বাকে আক্রমন করেছে তার ব্যাখ্যা দিন।
আরেকটি বিষয় লক্ষ করলাম, আপনি শুধুমাত্র আপনার নিজের পোস্ট ছাড়া অন্য কোন পোস্টে মন্তব্য করেন না। এজন্যই কি আর্টিফিসিয়াল লাইফ নিয়ে তর্কটা এই পোস্টেই শুরু করতে চেয়েছেন? দয়া করে শুধুমাত্র্র নিজের পোস্টে মন্তব্য না করে অন্য পোস্টেও মন্তব্য করা শুরু করুন। আশা করি অনেক বিষয়ে অনেক নতুন কিছু শিখতে পারবেন। আপনার কথায় মনে হয় যে, আপনি জানেন না, তাই জানার জন্য এখানে আসেন। কিন্তু আপনার কথার সাথে কাজের মিল আমি কখনো খুজে পাইনা।
জনাব ঋণগ্রস্ত, আপনাকে দেখে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, ব্লগিং এর সাধারন সেন্সটুকুই আপনার নেই। এটা অন্যসাধারন বাংলা ব্লগের মত নয় যে এখানে আপনি যখন খুশী এলেন, এলোমেলো যেখানে খুশী মন্তব্য করলেন আর বারবার বলা সত্ত্বেও শিরোনামের বানান ভূলগুলো ঠিক করলেন না। এই ছন্নছাড়ামি এখানে চলবে না। মুক্তমনার একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। আপনার এই উশৃঙ্খল কার্যকলাপে মুক্তমনার মানের অবনতি হচ্ছে। আশা করব এসব বিষয়ের গভীরতা আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন। তাই এসব কৌতুক বাদ দিন আর ব্লগিং এর সাধারন নিয়মকানুন সম্পর্কে জানুন, জেনে তারপর ব্লগিং করতে আসুন।
ধন্যবাদ।
@মিঠুন, তাই নরমাল সেন্সই দেখি হারিয়ে গেল। তা আপনি কি দেখেছেন বেশ ক’দিন আমার পোষ্টের লেখকের নামের জায়গায় লেখাছিল ‘মডারেটর’। এবং সে পোষ্টে আমি ক’দিন ঢুকতেই পারিনি!
কমন সেন্স আসলেই হারিয়ে ফেলেছি। কি করি বলুন তো!
@মিঠুন, এবার বলুন আপ্নারা এই পর্যন্ত কেউ কি পোষ্ট আমার সম্পর্কে কেউ কোন প্রশ্ন করেছেন কিনা!
@আকাশ মালিক,
আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে আমার লেখা পড়ে আপ্নারা বিভ্রান্ত হয়েছেন।তবে কি জানেন বিজ্ঞানের লেখায় যেমন মৌলিক (নিজস্ব, যেমন ধরুন আপনি কোন গবেষনা করে যে রেজাল্ট পেলেন) গবেষনা নিবন্ধ থাকে তেমন রিভিউ আর্টিকেল নামেও এক ধরনের নিবন্ধ লেখা হয়। রিভিউ আর্টিকেল হল একটা নির্দৃষ্ট বিষয় (যেমন এখানে আমার লেখায় হোমো জেনাস) এর উপর সম্ভাব্য যত ধরনের গবেষনা কাজ হয়েছে তার আলোচনা করা হয়। সেখানে কোনো গবেষনার পজেটিভ রেজাল্টও যেমন থাকে তেমনি নেগেটিভ রেজাল্টও থাকে। এমনি কি কেউ সমালোচলনা করলে তাও থাকে।
এখন কোন রিভিউ আর্টিকেল দেখে আপনার যদি ধারনা হয় যে লেখক শুধু বিজ্ঞানীদের দোষ খুজে বেড়াচ্ছেন! তা হলে আমি আবারো সমস্ত রিভিউ আর্টিকেল লেখকদের পক্ষ হয়ে আপনার কাছে ক্ষমা চাইলাম।
আপনি বলেছেন, পৃথিবীতে আবিস্কারের অনেক কিছু বাকী আছে। অপেক্ষায় থাকুন। আবার কোন নতুন খবর আসে!
আমি এটা বলেছি এ জন্য যে মানুষের বিবর্তনের উপর নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক ব্যাখা আসছে। আপনি যদি খেয়াল করেন তা হলে দেখবেন গত কয়েক বছরে হোমো নিয়ান্ডারথ্যালদের কথা বলার উপর কত রকম মতামত বা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটা বলার মানে বিজ্ঞানীদের দোষ খুজে বের করা না।
দেখুনঃ
আমেরিকার ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কগনিটিভ এন্ড লিঙ্গুইষ্টিক সাইন্সেস এর প্রফেসর ফিলিপ লিবারম্যান এবং তার সহকর্মী ১৯৭১ সালে লিঙ্গুয়াস্টিক ইনকোয়ারী জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মত প্রকাশ করেন যে Neanderthals lacked complex language.
আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেটের ডিউক মেডিকেল সেন্টারের বায়োলজিক্যাল এন্থ্রপলজি এন্ড এনাটমির গবেষক রিচার্ড এফ কেই এবং তার সহকর্মীরা ১৯৯৮ সালে আমেরিকার ন্যশন্যাল একাডেমী অব সাইন্স এর প্রসেডিংস এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেন যে নিয়ান্ডথ্যালদের মাথার খুলির পিছন দিকে hypoglossal canal এর আকৃতি নির্দেশ করে যে নিনিয়ান্ডথ্যালরা কথা বলতে পারতো।কারন নিয়ান্ডারথ্যালদের hypoglossal canal এর আকৃতি শিম্পাঞ্জী এবং অষ্ট্রালোপিথেকাসদের চেয়ে বড় ছিল।
আবার পরের বছর অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯ এ ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে এর ল্যাবোরেটরি অব হিউম্যান ইভোলুশনারী স্ট্যাডিজ, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি এবং এনাটমি ডিপার্টমেন্টের গবেষকরা আমেরিকার ন্যশন্যাল একাডেমী অব সাইন্স এর প্রসেডিংস এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেন যে hypoglossal canal এর সাইজ দিয়েই কোন প্রানী কথা বলে কি না তা প্রমান করে না।তাই নিয়ান্ডারথ্যালরা কথা বলতে পারতো কি এটা নিশ্চিত নয়।
সর্বশেষ ২০০৭ এ নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয় নিয়ান্ডারথ্যালের ডিএনএ এনালাইসিস করে নিয়ান্ডারথ্যাল জেনোমে FOXP2 জিনের উপ্সথিতির প্রমান পাওয়া গেছে।যেটা আধুনিক মানুষের কথা বলার সাথে সংশ্লিষ্ট জিন বলে মনে করা হয় এবং এ থেকে বোঝা যায় নিয়ান্ডথ্যাল্রা সম্ভবত আধুনিক মানুষের মত কথা বলতে পারতো।
আবার দেখুনঃ
নিয়ান্ডারথ্যালের সাথে হোম সেপিয়েন্সের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কত ধরনের মতামত আছে।
২০০৯ এ বায়োলজিক্যাল এন্থ্রপলজি জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয় যে নিয়ান্ডারথ্যালস এবং হোমো স্যপিয়েন্সের উৎপত্তি একই পুর্ব পুরুষ থেকে এবং এরা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ বছর আগে বিচ্ছিন হয়েছে।ডিএনএ এনালাইসিস থেকে দেখা গেছে যে হোমো সেপিয়েন্স এবং নিয়ান্ডারথেলিসের প্রায় ৩০% এলিলের উৎপত্তির উৎস একই। এখান থেকে বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন যে আধুনিক মানুষ এবং হোমো নিয়ান্ডারথেলসের পুর্বপুরুষের মধ্যে জিনের আদান প্রদান হয়েছিল।তবে ২০০৭ সালে ক্যালিফোরনিয়া ইউনিভার্সিটির হিউম্যান জেনেটি রিসার্চ সেন্টেরর এই দল বিজ্ঞানী এই ফলাফলকেও চ্যালেঞ্জ করেন ।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালের নিয়ান্ডারথ্যালের জেনমের পুনরায় এনালাইসিসের ফলাফল থেকে বলা হয় যে আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথ্যালের মধ্যে জেনেটক ম্যাটেরিয়ালের কোন এক্সচেঞ্জ হয় নি। আগের এনালাইসের ফলাফলে যে মিল খুজে পাওয়া গেছিল তা ছিল আধুনিক মানুষের ডিএনএ এর সাথে নিয়ান্ডারথ্যালের ডিএনএ’র কন্টামিনেশন এবং ফাইলোজেনেটিক এর ভুল এজাম্পশনের জন্য .
প্রায় একই সময়ে বিবিসি এর এক খবরে বলা হয় যে নিয়ান্ডারথ্যালদের সাথে আধুনিক মানুষের কোন রকম ইন্টারব্রিডং হয় নি অর্থাত যদিও আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডারথ্যালরা পাশাপাশি সময়ে বাস করতো তবুও তাদের মধ্যে কোন ধরনের জিন ফ্লো’র প্রমান পাওয়া যায় নি।
সর্বশেষ ২০১০ এর মে ৭ তারিখে সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মান, রাশিয়া স্পেইনের প্রায় ৫৬ জন বিজ্ঞানী দাবী করেন যে নিয়ান্ডারথ্যালের জেনোমের ড্রাফট সিকোয়েন্সিং সম্পুর্ন করা হয়েছে। এবং আরও দাবী করেন যে এর সাথে বিশ্বের ভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জেনোমের তুলনা করে দেখা গেছে যে আফ্রিকা ছাড়া অন্যন্য এলাকার মানুষ যেমন ইউরোপ ও এশিয়ার মানুষের সাথে নিয়ান্ডারথ্যালের জেনোমের মিল খুজে পাওয়া গেছে । একই সময়ে এবিসি এর এক খবরে বলা হয় যে নিয়ান্ডারথ্যাল জেনোমের সাথে আফ্রিকা্র মানুষ ছাড়া পৃথিবীর অন্য এলাকার মানুষের জেনোমের মিল ৪% ।এবং ওই একই রিপোর্টে আরো বলা হয় যে আধুনিক মানুষ এবং নিয়ান্ডরথ্যালের জেনোমের এই মিলের কারন সম্ভবত কোন এক সময় হোমো সেপিয়েন্সের সাথে নিয়ান্ডরথ্যালের সেক্সুয়ালি জেনেটিক মেটেরিয়ালের বিনিময় হয়ে থাকতে পারে।
না ভাই, আমার আপনাদের বিবর্তনে বিশ্বাসে আঘাত করার নুন্যতম কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আমি এখানে আসিনি। এবং এখানে প্রথম লেখা দেয়ার আগে কোন দিন জানতামও না আপ্নারা এখানে কি লিখছেন বা কি করছেন। আমি সত্যি দুঃখিত যে না বুঝে আপনাদের বিশ্বাসে বিরাট আঘাত দিয়ে ফেলেছি।
এ জন্যেই তো এর নাম ব্লগ। আপনি আমাকে প্রশ্ন করলে, নিজের থেকে বা আমার হয়ে অন্য কেউ সেই প্রশ্নের উত্তর দিলে বা আলোচনায় অংশগ্রহন করলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?
মজার ব্যাপার হল ওটা কোন আলোচনাই ছিল না এবং আমি সেখানে কাউকে কোন প্রশ্নও করেছিলাম না। তবে এটা অবশ্যই আমার ভুল যিনি এই ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা তার সাথে এমন বেয়াদবী করা উচিত হয় নি।
হ্যা আমি আবারো বলছি এন্থ্রপোজেনেসিস (মানব বিবর্তন) ভুল বা সত্যি প্রমানিত হলে আমার কিছু যায় আসে না। তবে বিজ্ঞানের বিষয়ে অতিরঞ্জিত লেখা চোখে পড়লেই থেমে যাই।
তাই চোখ বন্ধ করে হাটাই উত্তম মনে করছি।
ধ্ন্যবাদ।
@ঋণগ্রস্ত,
ব্লাডি সিভিলিয়ানের মন্তব্যের জবাবে আপনার নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর কোন মানে খুঁজে পেলাম না।
কে কাকে গ্যারান্টি দেবে? বিজ্ঞানীরা কখনো গ্যারান্টি দেয় না, খতমে নবুওয়াত টাইপের ক্লেইম শুধু ধর্মেই পাবেন, বিজ্ঞানে দয়া করে খুঁজতে আসবেন না।
মোটেই বলা যায় না। বরঞ্চ গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় যে, আরো নতুন তথ্য যোগ হবে ।
আপনাকে কে বললো, ন্যাচারাল সিলেকশন সব হোমো জেনাসের উপর দিয়ে গেছে? যে বলেছে তাকে বলবেন, ন্যাচারাল সিলেকশন তার মাথার উপর দিয়ে গেছে 😀 ।
@ইরতিশাদ, আপনি কি হোমো জেনাসের অন্য কোন প্রজাতির অস্তিত্ব দেখাতে পারবেন? আমি বলতে চেয়েছিলাম মানুষের অন্য সব প্রজাতি সমুহ বিলুপ্ত কেন?
এখানে আমি শুধু মানুষের বিবির্তন নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি।
@ঋণগ্রস্ত,
আমি এই কয়েকদিন ধরেই আপনার লেখা আর বিশেষতঃ মন্তব্যগুলো পড়ছি। ঠিক বুঝতে পারছি না আপনার অবস্থান এবং উদ্দেশ্য টা কি। আমি নিজে খুব টেকনিক্যাল মানুষ নই, বিবর্তন নিজে পড়েই বোঝার চেষ্টা করেছি, মুক্তমনার বিভিন্ন লেখাও সহযোগিতা করেছে। আপনি ঘোষণা দিয়েই বলেছেন আপনি আইডিতে বিশ্বাস করেন, বিবর্তনকে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব হিসেবে মনে করেন না , আবার লিখছেন মানব বিবর্তনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এই লেখার ক্যাটাগরিও দিয়েছেন বিবর্তন এবং মানব বিবর্তন। যিনি বিবর্তনেই বিশ্বাস করেন না তিনি বিবর্তন এবং মানব বিবর্তনের উপর লেখা লিখছেন কেন? আর আপনি মানুষের বিভিন্ন প্রজাতিগুলো নিয়ে লিখেছেন সেগুলো তো বিবর্তনেরই সাক্ষ্য, এবং বিবর্তনবাদের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত ফসিলবিদ্যার বিজ্ঞানীরাই এগুলো বের করেছেন। আপনি একদিকে বলবেন বিবর্তনবিদরা তো বিবর্তনকে সঠিক বলবেই, তা তে কি প্রমাণ হল? আবার বিবর্তনবাদী ফসিলেবিদদের গবেষণা থেকে পাওয়া ফসিল নিয়ে প্রবন্ধ লিখে ফেলবেন তা কি করে সম্ভব বুঝতে পারছিনা। আপনি এখানে যে সব বিজ্ঞানীদের কথা উল্লখে করেছেন তারা সবাই কিন্তু বিবর্তনবাদী।
আপনার প্রশ্নগুলো আবার আপনার লেখার চেয়েও ইন্টারেস্টিং। যেমন আপনি প্রশ্ন করেছেন, ‘ন্যাচারাল সিলেকশন সব হোমো জেনাসের উপর দিয়ে গেল কেনো’। এ ধরণের প্রশ্ন তো ক্রিয়েশনিস্টরা অহরহ করে। পাখির ডানা থাকলে আমাদের থাকলো না কেন? ন্যাচারাল সিলেকশন কেবল পাখির উপর দিয়ে গেল কেন? কি বলেন? এগুলো প্রশ্নের উত্তর এই ব্লগে বহুবার দেয়া হয়েছে, এমনকি মুক্তমনা যে আর্কাইভের কাজ শুরু করেছে সেখানেও আছে। আর তাছাড়া আপনিও রিলেটেড বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। পাখির ডানা থাকলে আমার থাকল না কেন, জিরাফের গলা লম্বা হলে আমারটা হল না কেন – আপনি কি মনে করেন, এগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়নি, নাকি আপনি জানেন না? বিবর্তন তত্ত্ব তো এর উত্তর অনেক আগেই দিয়েছে, আপনি কি সেগুলো পড়ে দেখেছেন? আর আপনি লিখছেন বিজ্ঞান নিয়ে, কিন্তু আপনার প্রশ্নগুলো কিন্তু আমার কাছে সবই অবৈজ্ঞানিক মনে হচ্ছে।
আচ্ছা আপনি তো আইডিতে বিশ্বাস করেন, এবার আপনাকে কিছু প্রশ্ন করি ? আপনিই কেবল প্রশ্ন করে মজা নিবেন, তা তো হতে পারে না, কি বলেন?
১) আচ্ছা এই যে আমাদের দেহে এপেন্ডিক্স বলে একটা অংগ আছে যেটা থেকে এপেন্ডিসাইটিস হয়, সেইটা আমাদের দেহে আছে কেন? সেইটা না থাকলেও তো কোন ক্ষতি হত না। আপনি বলেন পুরুষদের নিপলই বা কি কাজে লাগে? কার কি ঠেকা পড়ল যে তিনি মেয়েদের মত পুরুষদের বুকেও নিপল জুড়ে দিলেন, কিংবা পশ্চাৎদেশে লেজের হাড়? পুরুষের নিপলের ব্যাপারটা আসলেই আপনাকে পরিস্কার করতে হবে। এটা কিরকম ডিজাইন?
২) আপনি দেখলাম এক জায়গায় বলেছেন বিবর্তন কোন প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব নয়, এর উপরে লেখা লিখলে নাকি ডিস্ক্লেইমার দিতে হবে। আল্লাচালাইনা এতগুলো এভুলেশনের পিয়ার রিভিউড লেখার আর টেক্সট বইয়ের উদাহরণ দিল, তার পরেও বিবর্তন প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব হয় না কিভাবে? আপনি বিবর্তন যে মিথ্যা সেটা প্রমাণ করে এর উপর কয়েকটা পিয়ার রিভিউড জার্নালের উদাহরণ দিন দেখি এই ব্লগে।
৩) আপনি ক্লোনিংকে বিবর্তনের অংশ মনে করেন না, কিন্তু আবার দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা জীব কোষ বানাতে পারলে বিবর্তন মেনে নেবেন। ক্লোনিং করা বিবর্তন না হলে জীব কোষ বানানো কিভাবে বিবর্তনের অংশ হয়?
৪) আচ্ছা প্রি ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে আমরা কোন খরগোশ বা শিয়ালের ফসিল পাই না কেন বলেন তো? কেন ৫ কোটি বছর আগেকার মানুষের ফসিল পাওয়া যায় না?
৫) বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা যে ধারা দিয়েছেন, কেন একটা ফসিলও তার বাইরে পাওয়া যায় নাই কেন?
৬) কেন জেনেটিক্স, হোমলজি, মলিকিউলার বায়োলজি, ফসিলবিদ্যার মত এতগুলো শাখা থেকে পাওয়া তথ্য বিবর্তন তত্ত্বের সাথে মিলে যায়? এতগুলো শাখা একসাথে কি করে ভুল তথ্য দেয়?
৭) আপনি বিবর্তন নিয়ে লেখার আগে কয়টা বিবর্তনের বই পড়েছেন? আল্লাচালাইনা যে বইগুলোর উল্লেখ করেছেন সেটা তো আপনার সিলেবাসেরই। সেগুলো কি আপনি পড়েন নাই? না পড়লে পড়েন নাই কেন বলেন। আর পড়ে থাকলে বলেন যে, আপনি কেন বললেন যে আপনাদের ওখানে এগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয় না।
আপাততঃ এই কয়টারই জবাব দেন। পরে আরো প্রশ্ন করা যাবে।
@রাহাত খান, ঠিক বুঝতে পারছি না আপনার অবস্থান এবং উদ্দেশ্য টা কি।
আমার উদ্দেশ্য পরিস্কার। যেখানে এখন পর্যন্ত হোমো ফ্লোরিসিয়েন্স আধুনিক মানুষ নাকি অন্য প্রজাতি তাই বিজ্ঞানীদের মধ্যে ঠিক হয় নি। যেটা বিতর্কিত। সেটা নিয়ে ঢালাও ভাবে আমরা কি করে বলি!
আপনি ঘোষণা দিয়েই বলেছেন আপনি আইডিতে বিশ্বাস করেন, বিবর্তনকে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব হিসেবে মনে করেন না , আবার লিখছেন মানব বিবর্তনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
এটা আপনার বোঝার ভুল। আমি কোথাও ঘোষনা দিয়ে বলি নি যে আমি আইডিতে বিশ্বাসী। আমি বলেছিলাম হতে পারে আইডি। আমি বলেছি, যে ভাবে মানুষের বিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে তা এখনো এ ভাবে বলার সময় আসে নি। হোমো স্পিসিস নিয়ে লেখা আমার পরবর্তি পার্ট (এই লেখার ২ য় অংশ) দেখলেই বুঝতে পারবেন।
বিবর্তনকে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব হিসেবে মনে করেন না , আবার লিখছেন মানব বিবর্তনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
আমি এখন পর্যন্ত মানুষের বিবর্তনের যে ধারাবাহিকতার কথা বলা হয়েছে তা আমি বিনা প্রশ্নে মেনে নেই না। আমি বোঝার চেষ্টা করি। বিবর্তন জেনেটিক্সের টার্মের কথা যদি বলেন অর্থা লিটারেলি বিবর্তনের কথা যদি বলেন তা আমি মানি। কিন্তু মানুষের বিবর্তনকে যে ভাবে বলা হয়ে তা আমি বিনা প্রশ্নে মানি না। তবে বলছি যে হতে পারে না। হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তাই বিজ্ঞানীরা মানুষের বিবর্তন নিয়ে কি বলছেন তা এখানে লিখতে চাচ্ছি।
ক’দিন আগে আর্টফিশিয়াল লাইফ ক্রিয়েশন নিয়ে বিবিসি সহ অনেক কথা হল। আসলে ওটা আর্টিফিসিয়াল লাইফ নয় তা জীব বিজ্ঞানের যে কোন মানুষই বুঝবে। আমি যেমন ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করার বিপক্ষে ঠিক সেই এক ভাবেই বিজ্ঞানের নামে ভুল তথ্য দেয়াটাকেও নিরুতসাহিত করতে চাই।
@ঋণগ্রস্ত,
প্রকৃতিতে পানি পাওয়া যায় যেটাকে আমরা প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত পানি বলব। এখন গবেষণাগারে হাইড্রজেন ও অক্সিজেনের সাহায্য যে পানি তৈরী করা হয় একে কি আমরা কৃত্রিম পানি বলব না? নাকি শূন্য থেকে প্রস্তুত করা হয়নি এবং প্রকৃতিতে আগে থেকে বিদ্যমান হাইড্রজেন ও অক্সিজেনের সাহায্যে প্রস্তুত এই অজুহাত দেখিয়ে একে কৃত্রিম বলে মানব না??
@সৈকত চৌধুরী,
দেখুন আমার কমেন্টঃ
ঋণগ্রস্ত মে ২১, ২০১০ @ ৯:৩৪ পুর্বাহ্ন ১৩
“Is it really an artificial life form?
The inventors call it the world’s first synthetic cell, although this initial step is more a re-creation of existing life — changing one simple type of bacterium into another — than a built-from-scratch kind”. সাইন্স নিউজ
এখানে যেটা করা হয়েছে তা হল একটা ব্যাকটেরিয়া্র জেনমকে কপি করে অন্য একটা ব্যাকটেরিয়াতে দিয়েছে।
একে কি ট্রু লাইফ বলা যায়! দেখা যাক বড় বড় বিজ্ঞানীরা কি বলেন।
তবে এখানে ক্রেইগ’র ল্যাবে শুধু ডিএনএ কে সিকোয়েন্সিয়ালী সাজিয়ে তাদের ইচ্ছে মত ক্যারেক্টার প্রকাশ করে এমন জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল দিয়ে একটা জেনম তৈরী করেন। তারা এই নতুন জেনমটা অন্য একটা ব্যাকটেরিয়ার জেনমকে রিপ্লেস করে। কিন্তু সেখানে নতুন জেনম ছাড়া কোষের অন্য সব কিছুই ঐ হোষ্ট ব্যাকটেরিয়া কোষের। একে কি নতুন প্রান বলা যায়!
অবশ্যই একটা ভাল আবিস্কার ক্লোন্ড ডলির জন্মের মতোই চাঞ্চল্যকর।
একে কি নতুন প্রান বলা হবে নাকি সিন্থেটিক ব্যাক্টেরিয়া বলা হবে শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। এটা অনেকটা আর্টিফিসিয়াল ব্লাড এবং আর্টিফিসিয়াল হার্ট তৈ্রীর মতোই। কিম্বা আর একটু এডভান্সড।
অনেক ধন্যবাদ। খবরটা শেয়ের করার জন্য।
দেখুন আর একটা কমেন্টঃ
কেচকি মাছ মে ২১, ২০১০ @ ১০:০৮ পুর্বাহ্ন ১৬
আমরা ল্যাবে হরদম জিন ট্র্যান্সফার টেকনলজি ব্যবহার করি। এতদিন পর্যন্ত মাত্র কয়েক কিলো বেস পেয়ার ট্রান্সফার করতে পারতাম। এই বিজ্ঞ্যানীদের কৃতিত্ব দুই যাগায়।
১। তারা বড় সাইজের ডি এন এ সিকোয়েন্স সফলভাবে তৈরী করেছে (যে্টার মেশিনটা পয়সা থাকলেই একটা ল্যাব কিনতে পারে, সব ল্যাবের এই বিশাল পরিমান ফান্ডিং থাকেনা),
এবং ২। তারা সফলভাবে একটা বিশাল আকারের জিন ট্রান্সফার করতে পেরেছে।
তাদের নীট সাফল্যঃ হয়তবা একটা নতুন মলিকুলার টেকনিক ডেভেলপমেন্ট।
একে কোনভাবেই “ক্রিয়েশন অফ নিউ লাইফ’ বলা চলেনা। সমস্ত ফাঙ্কশনাল মেশিনারী থাকার পর সেখানে ডি এন এ ট্রান্সফার যদি রেপিডলি করা যায়, যে কোন ব্যাকটেরিয়ামের মাঝেই জিন/জেনম ইত্যাদি ট্রান্সফার করা যায়। বিবিসি’র টাইটেলটা যাচ্ছেতাই। নো হোয়ার নিয়ার দ্যা রিয়ালিটি।
এবার বলবো জানুন জীন কি? আর্টিফিসিয়াল লাইফ মানে কি? আর বিজ্ঞানীরা কি করেছে আর আপ্নারা কি বুঝছেন। চাইলে অরিজিন্যাল সাইন্স জার্নালের রেফারন্সও দিতে পারি।
এগুলোর সবগুলো উত্তরই দেয়া হয়েছে মুক্তমনায় লেখায় ফারুক সাহেবের সাথে আলোচনায়। আবারো পুনরাবৃত্তির কোন মানে নেই।
@অভিজিৎ, আমি খুবই দুঃখিত। আমি তো আপনার কাছে এর কোন উত্তর চাই নি। আমি জানি বিজ্ঞানী ক্রেইগ’র ল্যাবে কি করা হয়েছে। এখানে সৈ্কত সাহেবের সাথে আমার আলাপ হচ্ছে। আপনি এসে বলা শুরু করলেন এ আলোচনা আগে হয়েছে!
আগে হয়ে থাকলে সেটা আপনি আমাকে বলছেন কেন? আপনি সৈ্কত সাহেবকে বলতে পারতেন প্রশ্ন না করার জন্য।
আপনি কে তা আমি জানি না। তবে এমন অনাকাংক্ষিত ইন্টারফেয়ারেন্স শোভন নয়।
ধন্যবাদ
@ঋণগ্রস্ত,
আমি সাধারণতঃ এসব লেখা পড়ে যাই,মন্তব্য করিনা। কিন্তু একটা লেখায় আমার দৃষ্টি আটকে গেলো। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম,
”
আপনি কে তা আমি জানি না। তবে এমন অনাকাংক্ষিত ইন্টারফেয়ারেন্স শোভন নয়।
অবাক করলেন ভাই, মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা কে বলছেন”আপনি কে?
এখন বলবেন জানি” আপনি কে?” আপনাকে তো কথা বলতে ডাকিনি। মুক্তমনায় আপনার মত এমন বুদ্ধিজীবি লেখক এই প্রথম দেখলাম। সুখে থাকুন।
@অভিজিৎ, হ্যা রাহাত খানের প্রশ্নের উত্তর দেবো। সময় করে। আসলে আমি এখানে আসি আমার সুবিধা মত জাষ্ট দেখতে আপ্নারা কি করছেন! আর তেমন কিছু নয়। বিবর্তন সত্যি হলেও আমার কিছু যায় আসে না আর মিথ্যে হলেও কিছু যায় আসে না। আমি শুধু বলতে চাই এখন পর্যন্ত এটা প্রমানিত নয় যে শিম্পাজী থেকে মানুষের উতপত্তি। আমি এটা শুধু তথ্য উপাত্তের জন্য বলছি।যদি প্রমানিত হয়ও তাতেও আমার কিছু না। আমার এ ব্যাপারে কন প্রিজুডিস নেই। আপ্নারা ধরে নেন এ ববর্তন নিয়ে নেগেটিভ কথা বলছে তার মানে এ ক্রিয়েশনিষ্ট। আরে ভাই পৃথিবীতে আবিস্কারের অনেক কিছু বাকী আছে। অপেক্ষায় থাকুন। আবার কোন নতুন খবর আসে!
@ঋণগ্রস্ত,
ব্লগ আলোচনার জন্য উন্মুক্ত জায়গা। আপনি সৈকতকেই উত্তর দেন আর যাকেই দেন, সবারই অধিকার আছে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনায় অংশ নেয়ার। শোভন অশোভনের প্রসঙ্গটাই অবান্তর।
বোঝাই যাচ্ছে আপনার বিবর্তন নিয়ে পড়াশোনা নেই। শিম্পাজী থেকে মানুষ বিবর্তিত হয়নি, হয়েছে কমন পূর্বপুরুষ থেকে।
পড়াশোনা করে এসে মন্তব্য করলে খুশি হব।
@অভিজিৎ, অবশ্যই মুক্ত আলোচনার জায়গা বলেই তো এখানে এসেছি। কিন্তু আমি যেখানে কোন প্রশ্ন করিনি সেখানে আপনি আমাকে উত্তর দিলেন যে ওতা আগে কোথায় আগে আলোচনা। এ উত্তরটা আপনি সৈ্কত সাহেবকে দিতে পারতেন।এখানে যদি আমি কাউকে প্রশ্ন করতাম তাহলে অবশ্যই আপনি আমাকে বলতে পারতেন আগের আলোচনা দেখার জন্য।
যা হোক ভুল বুঝাবুঝি না হোক তা চাইব। ধন্যবাদ।
@ঋণগ্রস্ত, আপনার এই প্রশ্নের উত্তর বন্যা আহমেদের ওখানে দিয়েছি।ধন্যবাদ
@ঋণগ্রস্ত,
রাহাত খান উপরে আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু আপনি একটিরও উত্তর দেননি । আসলে উত্তরগুলো দিতে গেলেই দেখতেন বিবর্তন ছাড়া আপনি সেগুলো ব্যাখ্যাই করতে পারছেন না। যেমন শরীরে এপেন্ডিক্সের অস্তিত্ব, কিংবা পুরুষের দেহে স্তনবৃন্তের অস্তিত্ব ইত্যাদি। এগুলো বিবর্তনের দৃষ্টিতে দেখলে বিলুপ্তপ্রায় অঙ্গের প্রমাণ। এরকম হাজারো প্রমাণ আছে বিবর্তনের, দেখুন এখানে কিংবা এখানে। এ ছাড়া, বৈজ্ঞানিক জার্নালে এবং টেক্সটবইগুলোতে বিবর্তনের বহু ধরণের প্রমাণ লিপিবদ্ধ আছে।
যা হোক, আপনাকে রাহাতের করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে আমরা বুঝতে পারতাম আপনি কি মানেন আর কি মানেন না। শুধু ‘বিবর্তন বিনা প্রশ্নে মানেন না’ বললে তো কোন কিছুর অর্থ হল হল না। কেউ বলতে পারে “আমি নিউটের গতিসূত্র বিনা প্রশ্নে মানি না” কিংবা “আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি বিনা প্রশ্নে মানি না”। এগুলোর তো কোন অর্থ হয় না। বিজ্ঞানে কোন কিছুই আসলে বিনা প্রশ্নে মানা হয় না, তা নিশ্চয়ই আপনি জানেন।
কিন্তু বিজ্ঞানের অন্য কোন তত্ত্ব নিয়ে আপনার সমস্যা নেই, কিন্তু বিবর্তনের সময় “বিনা প্রশ্নে মানিনা” মনোভাব নিঃসন্দেহে কৌতুহলোদ্দীপক।
@অভিজিৎ, এই বিরিঞ্চি-বাবাটির সাথে আপনার সময় নষ্ট করা দেখে কষ্ট পাচ্ছি। চম্পট যখন সে দিয়েছিলো তখন অন্তত এটা মনে হয়েছিলো যে তার অ্যাড্রেনালিন ফ্লো ঠিক আছে, সে ফ্লাইট অর ফাইট রেসপন্স বেশ ভালোই বুঝে। এখন দেখা যাচ্ছে তার হাইপারঅ্যাকটিভ থাইরয়েড। আমি মুক্তমনাতে প্রথম মন্তব্য করারও অনেক আগে থেকেই নিয়মিত আসতাম। কখনও মন্তব্য করার প্রয়োজন বোধ করিনি কারণ মতোবিরোধ কোথাও দেখিনি। তার পোস্টে অনেক সময় নিয়ে আমি মন্তব্য করেছিলাম শুধুমাত্র এটা দেখে যে সে নিজেকে বায়োলজিস্ট দাবি করছে শুধুমাত্র এটার উপর নির্ভর করে যে আর কেউ বোধহয় এই ফোরামে নেই যে কিনা তার ফটকাবাজী ধরে ফেলতে পারবে। নিজের হোকাস-পোকাস যুক্তি আর সেই সাথে বোগাস ক্রেডেন্সিয়াল দেখিয়ে আজগুবি কথা সে বলে চললে আমার কোন সমস্যাই ছিলো না, সমস্যা দেখা দিলো যখন কিনা এই প্রক্রিয়ায় সে আর সব মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে হেয় করা শুরু করলো। তারপরের যা ঘটনা সেটা দেখে যে কেউই বুঝবে সে কতোটা বায়োলজিস্ট, মনে হয় এটা সে নিজেও জানে। আমার ধারণা আজ সে এসেছে যার উপর পারা যায় কিছু ডেরোগেটোরি কথা বলে কিছু প্রতিশোধ উসুলের জন্য। এই সুযোগ না দিয়ে তাকে ইগ্নোর করাটাই বোধহয় সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। তারমানে কিন্তু এই নয় যে তাকে উদেশ্য করে একচোট হেসে নিতে আমাদের কোন বাধা আছে। আর ঋণগ্রস্থকে উদ্দেশ্য করে একটা কথাই বলবো- আমি ইডিয়ট সনাক্ত করার একটি খুব সহজ অ্যাসে আবিষ্কার করেছি, সেটা হলো নির্ণয় করা কে নিজেকে কতোটা স্মার্ট মনে করে।
@অভিজিৎ, evolution এবং anthropogenesis এর পার্থক্য কি?
@রাহাত খান, আপনার প্রথম প্রশ্ন ছিল
১) আচ্ছা এই যে আমাদের দেহে এপেন্ডিক্স বলে একটা অংগ আছে যেটা থেকে এপেন্ডিসাইটিস হয়, সেইটা আমাদের দেহে আছে কেন? সেইটা না থাকলেও তো কোন ক্ষতি হত না। আপনি বলেন পুরুষদের নিপলই বা কি কাজে লাগে? কার কি ঠেকা পড়ল যে তিনি মেয়েদের মত পুরুষদের বুকেও নিপল জুড়ে দিলেন, কিংবা পশ্চাৎদেশে লেজের হাড়? পুরুষের নিপলের ব্যাপারটা আসলেই আপনাকে পরিস্কার করতে হবে। এটা কিরকম ডিজাইন?
দেখুন, আমি বার বার বলে আসছি যে, এখন যে ভাবে বিবর্তনকে বলা হচ্ছে সে ভাবে নাও হতে পারে।দেখুন বিবর্তন তত্ত্বের প্রথম দিকে এপেন্ডিক্স সহ আরো অনেক অংগকে ভেস্টিজিয়াল এবং অপ্রয়োজনীয় মনে করা হত।কিন্তু এখন আর সে গুলোকে তেমন করে বলা হচ্ছে না। আমেরিকার ওহাইও স্টেটের নর্থওয়েষ্ট কলেজের এক সময়ের বায়োলজির প্রফেসর এবং পরবর্তিতে ওহাইও মেডিক্যাল স্কুলের ডাক্তার জেরি বার্গম্যানের মতে (এখানে) ১৮৯০ সালে ১৮০ টা ভেস্টজিয়াল অর্গানের লিষ্ট ছিল আর ১৯৯৯ সালে তার সংখ্যা এসে দাড়িয়েছে 0 (শুন্য)।
মার্চ ১১, ২০০৯ এ এপির বরাত দিয়ে বলা হয় যে আরো অনেক অংগের মত বলা হচ্ছে যে এপেন্ডিক্স মানুষের শরীরের কোলনের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া ধারন করে (এখানে দেখুন) ।
আমেরিকার এরিজোনা স্টেটের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সার্জারী ডিপার্টমেন্টে এবং ইমিউনোলজি ডিপার্টমেন্টের বিজ্ঞানীরা জার্নাল অভ থিওরিটিক্যাল বায়োলজিতে ২০০৭ এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলেন যে, এপেন্ডিক্স মানুষের ইমিউন সিস্টেমে কর্যকরী ভুমিকা রাখে।
ওকলাহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর লরেন মার্টিন এই মত পোষন করেন যে এপেন্ডিক্স অপ্রয়োজনীয় নয় বরং ফিটাস এবং পুর্ন বয়স্ক মানুষের শরীরে এপেন্ডিক্সের কার্যকরী ভুমিকা আছে (এখানে)।
তিনি বলেন, ১১ সপ্তাহ বয়সি ফিটাসের এপেন্ডিক্সে এন্ডোক্রাইন কোষ পাওয়া গেছে যেটা ফিটাসে হোমিওস্টাসিস ভুমিকা রাখে। তিনি আরো বলেন যে, পুর্ন বয়স্ক মানুষে এপেন্ডিক্স লিম্ফাটিক অর্গান হিসাবে কাজ করে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এপেন্ডিক্স ইনফেকশনে বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ভুমিকা পালন করে।
২০০৪ এ জার্নাল অব কলেজ অফ ফিজিসিয়ান এন্ড সার্জারি পাকিস্তানে প্রকাশিত এক নিবন্ধের লেখক এনাটমি ডিপার্টমেন্টের ডাক্তার আলিয়া জাহিদ বলেন যে এপেন্ডিক্স ফিটাস ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন উতপাদন করে এবং শরীরকে এন্টিজে্নের সান্নিধ্যে এনে এন্টিবডি উতপাদনে উদ্দীপ্ত করে ইমিউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রন করে (এখানে)
আপনি পুরুষের নিপলের কথা বলে কি বলতে চাচ্ছেন আমি স্পষ্ট বুঝিনি। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে এটা একটা অপ্রয়োজনীয় অংগ? এটা কি মানুষের বিবর্তনের প্রমান দেয়? নাকি ডারউইন বলে গেছেন বলেই মানেন, আমি বুঝিনি।
এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হল পুরুষের নিপল যৌন উদ্দীপক অংগ হিসাবে কাজ করে। এর অন্য কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি না তা এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। পুরুষের নিপলেও নারীর নিপলের মত প্রচুর স্নায়ু কোষ আছে এবং উভয়ের নিপলই একই ভাবে সেন্সিটভ।এই স্নায়ু কোষের উপস্থিতি এটাই ইন্ডিকেট করে যে এটা অকার্যকরী বা অপ্রয়োজনীয় নয়।
আপনি কি বলতে পারবেন আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের শরীরের জৈব রসায়ন কতটুকু জানি?
এখন পর্যন্ত এত টুকুই পেলাম আরো পেলে আপনাকে জানিয়ে দেবো।
এবার একটু বলবেন কি পুরুষ নিপল কি ভাবে বিবর্তনের প্রমান করে?
ধন্যবাদ। বাকীগুলোর উত্তর ধীরে ধীরে দিচ্ছি।
অ টঃ য়াধুনি মানুষের দ্বিতীয় পর্ব দিয়ে ছিলাম। কিন্তু দেখলাম প্রকাশিত হয় নি।
@রাহাত খান, আপনার দুই নং প্রশ্ন ছিলঃ
২) আপনি দেখলাম এক জায়গায় বলেছেন বিবর্তন কোন প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব নয়, এর উপরে লেখা লিখলে নাকি ডিস্ক্লেইমার দিতে হবে। আল্লাচালাইনা এতগুলো এভুলেশনের পিয়ার রিভিউড লেখার আর টেক্সট বইয়ের উদাহরণ দিল, তার পরেও বিবর্তন প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব হয় না কিভাবে? আপনি বিবর্তন যে মিথ্যা সেটা প্রমাণ করে এর উপর কয়েকটা পিয়ার রিভিউড জার্নালের উদাহরণ দিন দেখি এই ব্লগে।
আপনাকে একটা কথা বলতে চাই। দেখুন কেউ যদি ঐতিহাসিক চরিত্র সিরাজুদ্দৌলা নিয়ে নাটক লেখে, সে সেখানে দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোর সাথে কাল্পনিক কিছু ভাড়, কিছু নাচ এবং গানও জুড়ে দিতে পারেন। তাতে কেউ কিছু বলবে না। কিন্তু কেউ যদি সিরাজুদ্দৌলাকে নিয়ে ইতিহাস লিখতে চায় তা হলে তাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন দিন তারিখ ঘটনা এবং চরিত্র ঠিক থাকে। কারন ইতিহাসের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় তা ইচ্ছে বা অনিচ্ছেকৃত যা ই হোক না কেন।
কারন ঐতিহাসিক নাটকে পুরো ইতিহাস থাকবে তা কেউ আশা করে না কিন্তু ইতিহাসের ভুল হলে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
আপনি কি দেখেছেন এই ব্লগের কারো লেখায় আমি ডিস্ক্লেইমার দিতে বলেছি?
দেখুন মুক্তমনা শিক্ষানবীশ “নিয়ানডার্থাল: কিছু মানুষের হেরে যাওয়ার কাহিনী” নিয়ে যা লিখেছে সেখানে কিন্তু আমি কোন ডিস্ক্লেইমার দিতে বলিনি।
আমি যে লেখায় ডিস্ক্লেইমার দিতে বলেছিলাম আপনি কি সেটা পড়েছেন?
আর বোল্ড অংশটুকুতে বলতে চাই আমি কোথায় বলেছি যদি একটু বলে দিতেন!
ভাল থাকুন। অন্য প্রশ্নের উত্তরও খুব তাড়াতাড়ি দেবো।
@রাহাত খান, আপনার তিন নং প্রশ্ন ছিলঃ
৩) আপনি ক্লোনিংকে বিবর্তনের অংশ মনে করেন না, কিন্তু আবার দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা জীব কোষ বানাতে পারলে বিবর্তন মেনে নেবেন। ক্লোনিং করা বিবর্তন না হলে জীব কোষ বানানো কিভাবে বিবর্তনের অংশ হয়?
আমি তো এখন বিপদেই পড়ে গেলাম! খুব সহজ ভাষায় ক্লোনিং হল একটা জীবের (উদ্ভিদ/প্রানী) হুবহু অন্য একটা কপি তৈ্রী করা। যেমন ধরুন টিস্যু কালচার হল ক্লোনিং করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। এখানে একটা সিংগেল কোষকে আর্টিফিসিয়াল মিডিয়াতে জন্মানো হয়। সেখান থেকে যে জীব হবে তা হুবহু যার শরীর থেকে কোষ নেয়া হয়েছিল তার মত। এখানে জেনেটিক মেটেরিয়ালের কোন পরিবর্তন ঘটে না।এটা হল বায়োটেকনোলজির একটা পার্ট।প্লান্টে খুব বেশী ক্লোনিং করা হয়। এমনকি গাছে যে কলম করা হয় সেটাও একধরনের ক্লোন।এভাবে ডিএনএ ক্লোনিং হয় অর্থাৎ এক টুকরা ডিনএনএ তে যে সিকোয়েন্সে নিউক্লিওটাইড থাকে নতুন ডিএনএ শুধু সংখ্যায় বৃদ্ধি পারে।কিন্তু নিউক্লিওটাইডের সিকোয়েন্সের কোন পরিবর্তন হবে না।
এবার আসি আপ্নার পরবর্তী অংশে।
এখানে জীব কোষ বানানোটা ক্লোনিং নয়। আমি বলেছি এবায়োজেনেসিস এর কথা।জড় বা প্রানহীন (Inanimate) বস্তু থেকে পৃথিবীতে কি ভাবে প্রানের উৎপত্তি’ এই থিওরী বা তত্ত্ব হল এবায়োজেনেসিস (abiogenesis)। এখানে অজৈব যৌগ থেকে এক কোষী জীবের সৃষ্টির কথা বলা হয়।
ক্লোনিং এবং এবায়োজেনেসিস এক নয়। আশা করি বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ।
@রাহাত খান, আপনার চার ং প্রশ্ন ছিলঃ
৪) আচ্ছা প্রি ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে আমরা কোন খরগোশ বা শিয়ালের ফসিল পাই না কেন বলেন তো? কেন ৫ কোটি বছর আগেকার মানুষের ফসিল পাওয়া যায় না?
পায় নি বলে যে পাবে না-তা কি আমি/আপনি বলতে পারি?
আমার এই পোষ্টের একটা অংশে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি এই পর্যন্ত যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মানুষ ছাড়া হোমো গনের আর কোন প্রজাতির অস্তিত্ব এখন আর পৃথিবীতে নেই। এতদিন পর্যন্ত হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেন্সিস কে সর্বশেষ বিলুপ্ত প্রজাতি মনে করা হত। হোমো নিয়ান্ডিরথ্যালেন্সিস ২৪ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে বলে মনে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধারনার পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৩ সালে হোমো ফ্লোরেসিয়েন্সিস আবিস্কৃত হয় যারা প্রায় ১২ হাজার বৎসর আগ পর্যন্ত বেঁচে ছিল বলে মনে করা হয়।এবং ২০১০ সালে প্রকাশ করা ডেনিসোভা হোমিনিন এখন পর্যন্ত এই গনের আপাততঃ সর্বশেষ সংযোজন।
এখন লক্ষ্য করুন সময়ের ব্যবধানে ফসিলের প্রাপ্তির উপর নির্ভর করে হোমো স্পিসিজের সংখ্যা বাড়ছে।এক সময় এই হোমো জেনাসে হোমো সেপিয়েন্স ছাড়া আর কারো, নাম ছিল না। অথচ দেখুন ডেনিসোভা হোমিনিন এ বছরের মার্চ মাসে ডিক্লায় করা হয়। এখন আগামী বছর বা তার পর আর কোন ফসিল পাওয়া যাবে না। কিম্বা আগে কেন পাওয়া যায়নি তার উত্তর দেয়া কি আদৌ সম্ভব? আপনার কি মনে হয়?
এবার আর একটা কথা বলি এখন পর্যন্ত হোমো জেনাসের হোমো সেপিয়েন্স ছাড়া অন্যদের (যারা বিলুপ্ত) তাদের কার কয়টা করে ফসিল পাওয়া গেছে বলতে পারবেন?
আমি ইচ্ছে করলে অনেক কথাই বলতে পারি, তবে সত্যি কথা এর ব্যাখা অনেকই হতে পারে।
আপনার ৫ নং প্রশ্ন ছিলঃ
৫) বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা যে ধারা দিয়েছেন, কেন একটা ফসিলও তার বাইরে পাওয়া যায় নাই কেন?
এটাই ইন্টারেস্টিং।অপেক্ষায় আছি-দেখি আর কতো ফসিল পাওয়া যায়, আর কত স্পিসিজ আবিস্কৃত হয় দেখার জন্য। আপনি তো বোধ হয় জানেন হাজার হাজার সাইন্টিফিক এক্সপেরিমেন্টের রেজাল্ট যা আশা করা হয় তার চেয়ে ভিন্ন হয় এবং হতে পারে এবং সেখানে আরো অনেক অজানা তথ্য আবিস্কৃত হতে পারে।
কিন্তু আপনার কথা মত “বিবর্তনবাদী বিজ্ঞানীরা যে ধারা দিয়েছেন, কেন একটা ফসিলও তার বাইরে পাওয়া যায় নাই” আমার কাছে এটাই বিষ্ময়করক।
আপনার কি মনে হয়? কেন পাওয়া যায় নি? বিবর্তনবাদীরা আর কি বলেছেন যা অব্যর্থ ভাবে ফলে যাবে? বললে ভাল হত। অনেক কিছুই জানা নেই।
ধন্যবাদ।
@রাহাত খান, আপনার ৭ নং প্রশ্ন ছিলঃ
৭) আপনি বিবর্তন নিয়ে লেখার আগে কয়টা বিবর্তনের বই পড়েছেন? আল্লাচালাইনা যে বইগুলোর উল্লেখ করেছেন সেটা তো আপনার সিলেবাসেরই। সেগুলো কি আপনি পড়েন নাই? না পড়লে পড়েন নাই কেন বলেন। আর পড়ে থাকলে বলেন যে, আপনি কেন বললেন যে আপনাদের ওখানে এগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয় না।
কয়টা বই পড়েছি বলতে পারবো না। আমি আগেই বলেছি আমি এপ্লাইড বায়োলজিক্যাল সাইন্সের।
দয়া করে বলবেন কি আল্লাচালাইনের আর আমার সিলেবাস কি ভাবে এক হবে? আমরা কি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সাবজেক্টে পড়ি নাকি? বাহ বেশ মজা তো? আর বায়োলজিক্যাল সাইন্সের সব ব্রাঞ্চের জন্য anthropogenesis পড়াটা বাধ্যতামুলক কি বাধ্যতামুলক নাকি?
@ঋণগ্রস্ত,
দাদা আপনি ইচ্ছে করলে এক মন্তব্যের কলামে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন, যেমনটি আবিদ সাহেব করেছেন। একসাথে ৯টি মন্তব্য করেছেন, প্রথম পাতায় অন্যদের কমেন্ট দেখার সুযোগই থাকছেনা। একটু খেয়াল করবেন প্লীজ।