বেশ কিছুদিন ব্যস্ত ছিলাম , লেখা হয়ে ওঠেনি। একটু ফুরসত পেলাম তাই লিখতে বসলাম। আমি খেয়াল করেছি বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে ৯৫% এর ও বেশী মানুষ কোরানকে নিজের মাতৃভাষায় কোনদিন পড়েনি, পড়ার দরকারও মনে করে না। তারা নামাজ পড়ার জন্য যে কয়টি সূরা দরকার সেগুলোই আরবীতে মুখস্ত করে চালিয়ে যায়, নিজের মাতৃভাষায় কোরান পড়াকে তারা তেমন গুরুত্বপূর্ন মনে করে না। রোজা রমজানে তারা আরবী কোরান তোতা পাখীর মত অন্ধের মত না বুঝে আউড়ে গিয়ে ছোয়াব অর্জনের প্রানান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যায়। অথচ আপনি যদি কোরানের কোন নির্দিষ্ট আয়াত উল্লেখ করে তার অসঙ্গতি সম্পর্কে কোন একজন শিক্ষিত লোককে জিজ্ঞেস করেন সে অকাতরে প্রমান করার চেষ্টা করবে যা লেখা আছে তা সঠিক ও যথার্থ। যদি জিজ্ঞেস করেন- কোরান সে নিজ ভাষায় পড়েছে কিনা বলবে- অল্প স্বল্প পড়েছে বা একেবারেই পড়েনি। তার মানে সম্পুর্নই না জেনে না বুঝে সে খুব দৃঢ়তা ও আস্থার সাথে প্রমান করার চেষ্টা করবে কোরানে যা লেখা আছে তা অভ্রান্ত। এর পরও যদি আপনি কোরানের নানা আয়াত উল্লেখ করে আপনি তার কথাকে খন্ডন করার চেষ্টা করেন ও যদি সে কুলিয়ে উঠতে না পারে, তাহলে সোজা একটা উত্তর দেবে-কোরানে বলা হয়েছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে ও বেশী তর্ক না করতে। এবারে বুঝলেন তো মুসলিম মানসিকতা ? কোরানে কি লেখা আছে না আছে তা না জেনেই সাচ্চা মুসলমান, কোরান ও হাদিসে তাদের অগাধ বিশ্বাস। এর কারন হলো- ইসলাম, কোরান, মোহাম্মদ এদেরকে নিয়ে একশ্রেনীর মানুষের বিরামহীন গোয়েবলসীয় প্রোপাগান্ডা। হিটলারের প্রচার মন্ত্রী গোয়েবলসের ফর্মূলা ছিল- একটা মিথ্যাকে একশ বার সত্য বলে প্রচার কর, ওটাকে মানুষ সত্য বলে বিশ্বাস করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে নাজি জার্মানীতে ঘটেছিলও তাই। সেখানে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা অহর্নিশ প্রচার করা হতো- জার্মানরা হলো আর্য জাতি, পৃথিবীর শ্রেষ্ট জাতি, জার্মানদেরই একমাত্র অধিকার পৃথিবীকে শাসন করা। সাধারন জার্মানরা বুঝে না বুঝে তা অকাতরে বিশ্বাস করেছিল। আর তার ফলাফল কি হয়েছিল সবাই জানেন। প্রায় ৫ কোটি মানুষকে অকাতরে প্রান হারাতে হয়েছিল হিটলারের শ্রেষ্ট জাতিতত্বের বলি হয়ে। ঠিক সেরকমই ঘটনা ঘটে চলেছে মুসলিম বিশ্বে। এক শ্রেনীর মোল্লারা যাদের মধ্যে কিছু তথাকথিত পন্ডিত ও ছদ্মবিজ্ঞানী আছে, খুবই উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে বর্তমানে সৌদি পেট্রোডলারের আশির্বাদে রেডিও টিভি পত্র পত্রিকা ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদির মাধ্যমে রাত দিন চব্বিশ ঘন্টা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে- কোরান হলো ঐশি কিতাব, স্বয়ং আল্লাহর বানী, তার পাতায় পাতায় বিজ্ঞানের নানা আবিস্কার ও তত্ত্বের ছড়াছড়ি, মোহাম্মদ হলো আল্লাহ প্রেরিত পুরুষ, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট মহামানব, মহাবিজ্ঞানী ইত্যাদি। এসবের মধ্যে ইদানিং কালে ডাঃ জাকির নায়েক নামের এক জোকার সদৃশ লোক খুবই অগ্রগন্য। টেলিভিশন খুললেই তার জোকার মার্কা চেহারা দেখা যায়, অনর্গল তার ফালতু পেচাল প্রচার করে চলেছে ইসলামিক টি ভি নামধারী কিছু চ্যানেল। মজার বিষয় হলো লোকটা সাধারন একজন এম বি বি এস পাশ করা ডাক্তার, বর্তমানে ইসলামী মহাপন্ডিত হিসাবে নাম লিখিয়েছে। এ লোকটা কোরানের পাতায় পাতায় বিজ্ঞানের সব তত্ত্ব খুজে পায়। সেই সাথে আছে হারুন ইয়াহিয়া নামের আর এক মহা ইসলামী পন্ডিত। আর আমাদের উপমহাদেশের মুসলমান ভাই বোনেরা তাদের কথা গোগ্রাসে গিলছে, ওরা যা বলছে তা পরীক্ষা না করেই অন্ধভাবে বিশ্বাস করে ফেলছে আর নিজেদের চোখ, কান ও বুদ্ধিকে একেবারে অন্ধ করে ফেলছে। কোন মানব গোষ্ঠির এ ধরনের গণ অন্ধকার প্রীতি পৃথিবীর ইতিহাসে আগে কোন দিন দেখা যায় নি যা ইদানিং মুসলমান জাতি গোষ্ঠির মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এরা একবারও চিন্তা করে না যে- ওদের মুখ থেকে নয়, বরং সোজা কোরান পাঠ করলেই সব কিছু জানা যায়। কারন আল্লাহ বার বার কোরানে বলেছেন-
আমি কোরানকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য। ৫৪ঃ১৭
এর পরেও যদি মুসলমান ভাই ও বোনেরা কোরান পাঠ না করে ধান্ধাবাজ মানুষের উদ্দেশ্যমূলক কথাবার্তা বিশ্বাস করে বসে থাকে তাহলে এর চাইতে দুঃখজনক আর কি হতে পারে। আর ধান্ধাবাজ তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা বলে থাকে যে কোরানের কিছু কিছু আয়াত আছে যা মানুষের বোঝার অসাধ্য। যেখানে আল্লাহই বলছেন তিনি কোরানকে সহজ করে বর্ননা করেছেন সবাই যাতে বুঝতে পারে সেখানে তারা সম্পূর্ন তার বিপরীত কথা বলে খোদ আল্লাহ ও কোরানেরই বিরুদ্ধাচরন করছে। তারপরেও যদি কিছু আয়াত থাকে যার অর্থ মানুষ বুঝতে পারবে না তাহলে কিছু প্রশ্নের উদ্রেক ঘটে, তা হলো-
(১) যা মানুষের বোঝার ক্ষমতার বাইরে তা আল্লাহ খামোখা বলতে গেলেন কেন?
(২) মানুষের পক্ষে বোঝাই যদি দুঃসাধ্য হয়, তাহলে তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতরা তার অর্থ বোঝে কিভাবে? তারা কি তাহলে অমানুষ ? নাকি আল্লাহ প্রেরিত ফেরেস্তা বা প্রেরিত পুরুষ?
গন-অন্ধকারচ্ছনতা বলতে যা বোঝায় মুসলমানরা পন করেছে তারা তার শিকার হবেই। অর্থাৎ মুসলমানরা পন করেছে তারা অন্ধকারের মধ্যে থাকবেই , কোনকিছুই তাদেরকে আলোর পথে নিয়ে যেতে পারবে না। তারা আলোর চাইতে অন্ধকারকেই বেশী ভালবেসে ফেলেছে। গোট মুসলিম জাতির জন্য এর চাইতে খারাপ খবর আর কি হতে পারে। আল্লাহ কোরানে বলছেনÑ
আল্লাহ তাদের অন্তঃকরন ও কান সমূহ বন্দ করে দিয়েছেন, তাদের চোখ সমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। ২ঃ ৭
সত্যি সত্যিই আমাদের মুসলমান ভাই বোনদের অন্তঃকরন ও কান এখন বন্দ আর চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। তারা এখন আর তাদের অন্তঃকরন খুলতে চায় না, চোখ মেলে তাকাতে চায় না। পাছে যদি তারা জাহান্নামের আগুনের মধ্যে গিয়ে পড়ে !
এবার আসল কথায় আসা যাক, কোরান যদি আল্লাহ প্রেরিত কোন ঐশি গ্রন্থ হয়ে থাকে তার মধ্যে একটিমাত্রও বা সামান্যতমও ভূল থাকবে না। একটা মাত্র ভুল বা অসঙ্গতিই যথেষ্ট কোরান ঐশি কিতাব না প্রমান করার জন্য। ইতোপূর্বে আমি বিজ্ঞানময় আসমানী কিতাব-১ম, ২য় ও ৩য় পর্বে উল্লেখ করেছি কোরানে কি পরিমান বিজ্ঞান গত অসঙ্গতি বা ভুল বিদ্যমান। আমি কোরান প্রচারকারী বিভিন্ন ওয়েব সাইটে দেখেছি তারা নিজেরাও সে অসঙ্গতি বা ভুলগুলো সম্পর্কে বেশ সচেতন ও তা খন্ডনের প্রানান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে ইদানিং। আর তা করতে গিয়ে নানা রকম হাস্যকর ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছে। সেটাই স্বাভাবিক। কারন কোরান হাদিস নিয়ে এতো চুল চেরা বিশ্লেষণ আগে কোনদিন হয়নি। যে কারনে তাদের এত মাথাও ঘামাতে হয়নি। নিউইয়র্কের বিশ্ব বানিজ্যকেন্দ্র ধ্বংসের পরই গোটা বিশ্ব ইসলামের ব্যাপারে খোজ খবর নেয়া শুরু করল। তাদের জানার একটাই কৌতুহল- ইসলাম ও তার কোরানে এমন কি আছে যার দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে ২১ টি তাজা তরুন তাদের জীবন উৎসর্গ করে এ ধ্বংস যজ্ঞ চালালো? তো চুল চেরা বিশ্লেষণে আস্তে আস্তে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, থলের বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। তার ফলে বের হচ্ছে কোরানে অজস্র ব্যকারনগত ভুল, ভাষাগত ভুল, ইতিহাসগত ভুল, বিজ্ঞানগত ভুল। ভুলের মাত্রা ও পরিমান এত বেশী যে, ইসলামী পন্ডিতদের এখন মাথা খারাপ হয়ে গেছে এত সব ভুলকে তারা কিভাবে সামাল দেবে। তাই এখন তারা আবোল তাবোল বকছে সবাই। যেমন, কয়দিন আগে ইসলামিক টি ভি তে হারুন ইয়াহিয়ার একটা জলসা প্রচার হচ্ছিল। সেখানে এক ব্যাক্তি( হিন্দু হবেন মনে হয় ভদ্রলোক) প্রশ্ন করলেন, অত্যন্ত সাদা মাটা ও সহজ প্রশ্ন- ঈশ্বর কোথায় থাকেন, কোন নির্দিষ্ট স্থানে , নাকি বিশ্বের সর্বত্র? প্রশ্নের উত্তরে হারুন ইয়াহিয়া প্রায় আধা ঘন্টা বক্তৃতা দিয়ে গেলেন, কিন্তু আসল প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে বলে গেলেন- আল্লাহ শব্দের অর্থ কি, কোথা থেকে আল্লাহ শব্দ আসল, আল্লাহ নামের সাথে অন্যান্য ধর্মের ইশ্বর, গড বা ভগবান ইত্যাদির কি মৌলিক তফাৎ, কেন তাই আল্লাহ নামের মাহাত্ম অন্য সবার চাইতে অপরিসীম। এত কথা বললেও আল্লাহ কোথায় থাকেন তার কোন সদুত্তর উনি দিলেন না। কোরানে আছে আল্লাহ তার সৃষ্টি কাজের পর সাত আসমানের ওপর আল্লাহর আরশে সিংহাসনে আসীন হয়েছেন। এ উত্তর দিলে তখন পাল্টা প্রশ্ন হতে পারত- তাহলে আল্লাহর একটা আসন বা সিংহাসন আছে যার উপর তাকে বসতে হয়, তার মানে আল্লাহ সাকার, কারন একমাত্র সাকার কাউকেই তো সিংহাসনে বসতে হয়, নিরাকার হলে তো বসার জন্য সিংহাসন দরকার নাই। কিন্তু ইসলাম তো আল্লাহর সাকারত্বে বিশ্বাস করে না। খেয়াল করলাম, হারুন ইয়াহিয়া বিষয়টি সম্পর্কে বেশ ভালই অবগত ছিলেন, তাই খুব সতর্কভাবে বিষয়টি পাশ কেটে চলে গেলেন। তবে তার একটা যুক্তি বেশ হাস্যকর, তা হলো আল্লাহ শব্দকে উল্টালেও একই থাকে তাই তার এই নামের মাহাত্ম অন্য ধর্মের ঈশ্বর বা গড এর চেয়ে অনন্য। তো নানা, চাচা, দাদা, দিদি, বাবা, নতুন -ইত্যাদি শব্দও ( এরকম শব্দ বহু আছে) তো উল্টালে অবিকৃত থাকে তাহলে এসব শব্দও আল্লাহ নামের মত অনন্য মাহাত্মের অধিকারী হবে, কি বলেন? গাজাখুরি কথা বার্তার একটা সীমা থাকা উচিত। এভাবেই ইদানিং ইসলামী পন্ডিতরা গাজাখুরী ও অসংলগ্ন কথা বার্তা প্রলাপের মত বকে যাচ্ছেন, মজার ব্যপার হলো- মুসলমানদের মধ্যে এ নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তারা বরং তাদের এসব প্রোপাগান্ডায় যার পর নাই আনন্দিত এই ভেবে যে, ইসলাম হলো একমাত্র সত্য ধর্ম, কোরান হলো আল্লাহর কিতাব যার মধ্যে বিজ্ঞান, দর্শন, অর্থনীতি, সমাজনীতির সব খনি মজুত হয়ে আছে, মোহাম্মদ হলো আল্লাহর প্রেরিত নবী। আজকের আলোচনা আমি একটি ব্যকারন গত অসঙ্গতির কথা বলেই নিবন্ধ শেষ করব। এ সমস্যাটা গোটা কোরান শরিফের পাতায় পাতায় বিদ্যমান, জানিনা কেন সেটা ইসলামি চিন্তাবিদদের বা সাধারন মানুষের চোখ এড়িয়ে যায়।
বিষয়টা হলো-কোরানে আল্লাহ হলেন বক্তা মানে ১ম পুরুষ বা First Person, শ্রোতা হলেন মোহাম্মদ মানে ২য় পুরুষ বা Second Person আর জিব্রাইল ফেরেস্তা হলেন বাহক মানে ৩য় পুরুষ বা Third Person । এখন কোরান কে জিব্রাইল দুই ভাবে মোহাম্মদের কাছে পেশ করতে পারে, প্রথম-আল্লাহর বক্তব্যকে আজকালকার মত একটা ডিভিডি তে কপি করে তা সে বয়ে এনে মোহাম্মদের কাছে একটা প্লেয়ার চালিয়ে শুনাতে পারে যেখানে সব কথাই হবে প্রত্যক্ষ বাক্য বা উরৎবপঃ ঝঢ়ববপয, দ্বিতীয়- আল্লাহর বক্তব্য সে শুনে মুখস্ত করে মোহাম্মদের নিকট পরোক্ষ বাক্য( ওহফরৎবপঃ ঝঢ়ববপয) ব্যবহার করে বর্ননা করতে পারে। যারা ব্যাকারন ভাল বোঝেন তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন । তার পরেও আমি একটু ব্যাখ্যা দেই।
প্রথম পদ্ধতি অনুযায়ী-
জিব্রাইল, মোহাম্মদের এর নিকট ডিভিডি রেকর্ড বাজিয়ে শোনাল, যাতে বলা হয়েছিল- ”হে মোহাম্মদ, তুমি আমার বান্দাগনকে বলে দেও, আমি আল্লাহ, সারা দুনিয়ার পালন কর্তা, আমি দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছি আবার কেয়ামতের দিন আমি সব কিছু ধ্বংস করব। আমি তোমাকে দুনিয়ায় প্রেরন করেছি শেষ নবী হিসেবে। তুমি তাদেরকে সতর্ক করে দেও। ”
সুতরাং মোহাম্মদ যে বক্তব্যটা শুনতে পাবেন তা হবে শুধুই এরকমÑ
হে মোহাম্মদ, তুমি আমার বান্দাগনকে বলে দেও, আমি আল্লাহ, সারা দুনিয়ার পালন কর্তা, আমি দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছি আবার কেয়ামতের দিন আমিই সব কিছু ধ্বংস করব। আমি তোমাকে দুনিয়ায় প্রেরন করেছি শেষ নবী হিসেবে। তুমি তাদেরকে সতর্ক করে দেও।
খেয়াল করুন এখানে আল্লাহ সব সময় নিজেকে আমি এভাবেই উল্লেখ করবেন। কোথাও যদি আল্লাহ তার নিজের নামটা উল্লেখও করেন তাহলেও তিনি বলবেন- আমি আল্লাহ। আর মোহাম্মদকে আল্লাহ সর্বদাই হয় – হে মোহাম্মদ বা তুমি এভাবেই সম্বোধন করবেন। এটাই হলো প্রত্যক্ষ বাক্য রচনার শুদ্ধ ব্যাকরনগত নীতি। যেমন – আমি রহিম সাক্ষ্য দিচ্ছি , আমি করিম সাক্ষ্য দিচ্ছি ইত্যাদি।
দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুযায়ী-জিব্রাইল মোহাম্মদকে বললেন যে আল্লাহ তাকে (মোহাম্মদ) তার(আল্লাহ) বান্দা গনকে বলে দিতে বলেছেন যে তিনি সারা দুনিয়ার পালনকর্তা এবং তিনি দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ও তিনিই আবার কেয়ামতের দিন সব কিছু ধ্বংস করবেন। তিনি আরও বলেছেন তিনি তাকে( মোহাম্মদ) দুনিয়ায় প্রেরন করেছেন শেষ নবী হিসাবে তাদেরকে ( বান্দাগন) সতর্ক করে দিতে।
তাহলে জিব্রাইল ও মোহাম্মদের নিজস্ব কথোপথনের বক্তব্য বাদ দিলে আসল বক্তব্য দাড়াবে নিম্নরূপঃ
আল্লাহ তাকে (মোহাম্মদ) তার(আল্লাহ) বান্দা গনকে বলে দিতে বলেছেন যে তিনি সারা দুনিয়ার পালনকর্তা এবং তিনি দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ও তিনিই আবার কেয়ামতের দিন সব কিছু ধ্বংস করবেন। তিনি আরও বলেছেন তিনি তাকে( মোহাম্মদ) দুনিয়ায় প্রেরন করেছেন শেষ নবী হিসাবে তাদেরকে ( বান্দাগন) সতর্ক করে দিতে।
এটাই হবে পরোক্ষ বাক্যে প্রকাশের শুদ্ধ ব্যাকরন গত নীতি।
খেয়াল করুন, এখানে আল্লাহ সর্বদাই আল্লাহ বা তিনি বা তার এভাবে অর্থাৎ ৩য় পুরুষ হিসাবে বর্নিত হবেন। এখানে মোহাম্মদও ৩য় পুরুষ হিসাবে উল্লেখিত হবে। এটা হবে যদি আল্লাহ জিব্রাইলকে বলে দেন যে তিনি যা বলেছেন হুবহু তাই যেন পরোক্ষ বাক্যে মোহাম্মদকে বলা হয় তবেই। কিন্ত আল্লাহ যদি বলে দেন বক্তব্যের মূল অর্থ ঠিক রেখে জিব্রাইল মোহাম্মদের কাছে তার বক্তব্য নিজের মত করে বলতে পারে তাহলে জিব্রাইল নিম্ন আকারেও সে বক্তব্য পেশ করতে পারে ঃ
হে মোহাম্মদ, আল্লাহ তোমাকে তার (আল্লাহ) বান্দা গনকে বলে দিতে বলেছেন যে তিনি সারা দুনিয়ার পালনকর্তা, তিনি দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ও তিনিই আবার কেয়ামতের দিন সব কিছু ধ্বংস করবেন। তিনি আরও বলেছেন তিনি তোমাকে ( মোহাম্মদ) দুনিয়ায় প্রেরন করেছেন শেষ নবী হিসাবে তাদেরকে ( বান্দাগন) সতর্ক করে দিতে।
এখানে খেয়াল করুন , জিব্রাইল যদি উপরোক্ত আকারে আল্লাহর বক্তব্য মোহাম্মদের কাছে পেশ করে তাহলে- হে মোহাম্মদ -এ কথাটি হবে প্রত্যেকবারেই জিব্রাইলের , আল্লাহর নয়। এ ছাড়াও জিব্রাইলের আরও কিছু বক্তব্য যোগ হবে প্রত্যেকটি বাক্য চয়নে। তার অর্থ এ ফরমাটে যদি জিব্রাইল তার বক্তব্য মোহাম্মদের নিকট বর্ননা করে থাকে তাহলে গোটা কোরানে আল্লাহর কথা ছাড়াও জিব্রাইলের অনেক নিজস্ব কথা যোগ হবে যদিও তা খুব গুরুত্বপূর্ন না বা তাতে কোরানের মূল সুরেরও কোন ঘাটতি হবে না। কিন্তু প্রথম পদ্ধতি অনুযায়ী হে মোহাম্মদ- শব্দগুলি হবে সব সময়ই আল্লাহর। কিন্তু তার পরেও দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুযায়ী কোথাও আল্লাহ বুঝাতে এখানে আমি শব্দটি ব্যবহৃত হবে না । আল্লাহ এখানে সব সময় ৩য় পুরুষই থাকবেন ও তাকে বোঝাতে সব সময় আল্লাহ বা তিনি বা তার এ শব্দগুলোই ব্যবহৃত হবে। ১ম পুরুষ হবেন জিব্রাইল ও ২য় পুরুষ হবেন মোহাম্মদ। যে কারনে হে মোহাম্মদ বা তুমি এভাবেই মোহাম্মদকে চিহ্নিত করা হবে প্রত্যেকবার।
উপরোক্ত ব্যকারনগত নীতির আলোকে আমরা এবার কোরানের আয়াত কিভাবে লেখা হয়েছে দেখিঃ
সূরা ফাতিহা:
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়,অতি দয়ালু। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহতালার যিনি সকল জগতের পালন কর্তা। যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। ১-৪
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি ও শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও। সে সমস্ত লোকের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয় যাদের ওপর তুমি গযব নাজিল করেছ ও যারা পথ ভ্রুষ্ট হয়েছে। ৫-৭
পাঠক গন, ১ থেকে ৪ পর্যন্ত আয়াতগুলো দেখুন, এখানে কে শুরু করছেন আল্লাহর নামে ? যদি জিব্রাইল নিজের মত করে বর্ননা করে তাহলে ঠিক আছে। সে মোহাম্মদকে বলছে ওভাবে বলার জন্য। কারন আল্লাহ নিশ্চয়ই নিজেই নিজের নামে শুরু করবেন না ও নিজেই নিজের ইবাদত করবেন না বা তাকে নিজেকেই পথ দেখাতে বলবেন না। এ ক্ষেত্রে দেখুন আল্লাহ ৩য় পুরুষে বর্নিত হচ্ছে যা সঠিক। তাহলে পরের বর্ননা গুলোতে আল্লাহ সর্বদাই ৩য় পুরুষে বর্নিত হবে যা পূর্বে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ব্যখ্যা করা হয়েছে। এর পর ৫ থেকে ৭ নং পর্যন্ত আয়াতে আল্লাহ হঠাৎ করে তোমার ,তুমি হয়ে গেছে মানে ২য় পুরুষে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যদি আগের ব্যাকরন গত রীতি অনুসরন করা হতো তাহলে আয়াতগুলো হতো নিম্নরূপঃ
আমরা একমাত্র তারই ইবাদত করি ও শুধুমাত্র তারই সাহায্য প্রার্থনা করি। তিনি আমাদেরকে সরল পথ দেখাউন। সে সমস্ত লোকের পথ যাদেরকে তিনি নেয়ামত দান করেছেন। তাদের পথ নয় যাদের ওপর তিনি গযব নাজিল করেছেন ও যারা পথ ভ্রুষ্ট হয়েছে।অথবা যদি ১- ৪ যদি এরকম হতো ঃ
শুরু করছি হে আল্লাহ তোমার নামে , তুমি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু। যাবতীয় প্রশংসা তোমার , তুমি সকল জগতের পালন কর্তা। তুমি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।তুমি বিচার দিনের কর্তা।
আর তার পর যদি ৫-৭ হতো যা আছে সেরকম অর্থাৎ
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি ও শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল পথ দেখাও। সে সমস্ত লোকের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয় যাদের ওপর তুমি গযব নাজিল করেছ ও যারা পথ ভ্রুষ্ট হয়েছে।
তাহলেই সূরাটি হতো সর্বাঙ্গ সুন্দর ও ব্যাকরনগত ত্র“টি মুক্ত। যদি ধরেও নেই যে আল্লাহ জিব্রাইলকে ঠিক ওভাবেই মোহাম্মদকে বলার জন্য বলে দিয়েছেন তাহলে কোন সমস্যা থাকে না। যদিও উপরোক্ত কথাগুলো কখনোই হুবহু আল্লাহর হতে পারে না যার কারন আগেই বলেছি যে আল্লাহ নিজেই নিজের ইবাদত করবেন না বা নিজেই নিজেকে পথ দেখাবেন না।
আলোচ্য সূরাটিতে পুরোপুরিভাবে না প্রত্যক্ষ বাক্য রীতি ব্যবহার করা হয়েছে , না পরোক্ষ বাক্য রীতি ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে ব্যাকরনগত কোন রীতিই অনুসরন করা হয়নি সূরাটিতে । যা ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো- জগাখিচুড়ি বাক্য রীতি। ইসলামি পন্ডিতরা বলতে পারেন- আরবী ভাষাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বাক্যের কোন তফাৎ নেই। ওটা কোন কথা না। মূলতঃ অর্থের দিক দিয়ে কোন ভাষাতেই তো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাষার মধ্যে পার্থক্য নেই। কিন্তু গঠনের দিক দিয়ে তো বহু তফাৎ। আরবী ভাষাতে যদি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাক্য রীতি আলাদাভাবে না থাকে তাহলে তো বলতে হবে আরবী ভাষা অন্যান্য ভাষা থেকে অনেক অনুন্নত। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকে-আল্লাহ কেন সেরকম একটা অনুন্নত ভাষায় কোরান নাজিল করতে গেলেন?
এবারে অন্যান্য কয়েকটি সূরার প্রতি নজর দেয়া যাক।
সূরা বাক্কারা ঃ
আয়াত ১ থেকে ২২ পর্যন্ত মোটামুটি ভাবে সূরা ফাতিহার রীতি অনুসরন করা হয়েছে , ব্যতিক্রম শুধু ৩ নং আয়াতে যা নিম্নরূপঃ
যারা অদেখা বস্তুর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে ও নামাজ আদায় করে। আর আমি তাদেরকে যে রুজি দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে।
এখানে আল্লাহ স্বয়ং নিজেই আবির্ভূত হলেন অবশেষে। কারন তিনি এবার আমি শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তবে ২৩ নম্বর আয়াতের পর থেকে শুরু হয়েছে আমি এর ব্যপক ব্যবহার । এতক্ষন আল্লাহ একবার ৩য় পুরুষ , একবার ২য় পুরুষ হিসাবে হাজির ছিলেন এবার ১ম পুরুষেও হাজির হলেন। দেখুন সেটা কেমনঃ
যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ন করেছি——। ২৩, তাহলে সে দোজখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর–।২৪, এর পর ২৫ থেকে সূরা বাক্কারার শেষ পর্যন্ত একবার আমি , একবার তুমি একবার সে অর্থাৎ ১ম , ২য় ও ৩য় পুরুষের ছড়াছড়ি। এরপর গোটা কোরানের মধ্যে এ সমস্যাটা বিদ্যমান। এর পর বোঝা মুসকিল কোন আয়াত স্বয়ং আল্লাহ বলছেন আর কোন আয়াত জিব্রাইল এসে বলছে আর কোনটাই বা মোহাম্মদ নিজে বলছেন। এত জগাখিচুড়ী মার্কা ব্যাকরনগত বাক্য যে কিতাবে তা কিভাবে আল্লাহর কিতাব হয় বোঝা মুশকিল। সে বিচারের ভার আমি পাঠক/পাঠিকাদের ওপরেই ছেড়ে দিলাম। দয়া করে অনলাইন এর কোরান খুলে রেখে একটু চোখ বুলিয়ে যান, সহজেই নজরে পড়বে। এত বেশী উদ্ধৃতি দেয়া সম্ভব হলো না। অনলাইন কোরান শরিফের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম:
www.quraanshareef.org
হে মানবসমাজ, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন। ৪ঃ ১
এখানে কে বলছেন হে মানব সমাজ? আল্লাহ নাকি মোহাম্মদ? আল্লাহ বলরে তো সূরাটা হতো এরকমঃ
হে মানব সমাজ, আমি তোমাদের পালন কর্তা, আমাকে ভয় কর। আমি তোমাকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছি ও তার দেহ থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছি।
আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেন, একজন পুরুষের অংশ দুইজন নারীর সমান। ৪ঃ ১১
এখানে কে বলছেন আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের সম্পক্যে আদেশ করেন? আল্লাহ নাকি মোহাম্মদ? আল্লাহ বললে তো তা হতো নিম্ন রূপঃ
আমি তোমাদের সম্পর্কে আদেশ করছি, একজন পুরুষের অংশ দুই জন নারীর অংশের সমান হবে।
যে কেউ আল্লাহ ও রসুলের অবাধ্যতা করে ও তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন । ৪ঃ ১৪
কার কথা এটা ? আল্লাহর কথা হলে হতো নিম্নরূপঃ
যে কেউ আমার ও আমার রসুলের অবাধ্যতা করে ও সীমা অতিক্রম করে আমি তাকে আগুনে প্রবেশ করাব।
এবার দেখুন নিচের আয়াত গুলো—
যেগুলো সম্পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গুনাহ থেকে বেচে থাকতে পার, তবে আমি তোমাদের ত্র“টি বিচ্যুতি গুলোকে ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব। ৪ঃ ৩১
এখানে আমি টা কে ? মোহাম্মদ নাকি আল্লাহ ? কোরানের বক্তা আল্লাহ হলে তা আমি টা হবে আল্লাহ।
অথচ এর পরের সূরাটাতেই লক্ষ্য করুন–
আর তোমরা আকাংক্ষা করো না এমন বিষয়ে যাতে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের একের ওপর অন্যের শ্রেষ্টত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ, নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। ৪ঃ ৩২
দেখুন কি বিরাট তফাৎ ! এটা আল্লাহর বক্তব্য মনে হয় ? আল্লাহর বক্তব্য হলে তো হতো এরকম-
আর তোমরা আকাংক্ষা করো না এমন বিষয়ে যাতে আমি তোমাদের একের ওপর অন্যের শ্রেষ্টত্ব দান করেছি। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ, নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আমার কাছে অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আমি সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত
আবার এর পরের সূরাতেই দেখুন—
পিতা মাতা ও নিকটাত্মীয় গন যা ত্যাগ করে যান সে সবের জন্যই আমি উত্তরাধিকারী নির্ধারন করে দিয়েছি। ৪ঃ ৩৩
এখানে আমি টা কে ? কোরান আল্লাহর বক্তব্য হলে আমিটা হলো আল্লাহ।
আরও কিছু উদাহরন দিলাম নিম্নেঃ
বলে দিন, যদি আখেরাতের বাসস্থান একমাত্র তোমাদের জন্যই হয়ে থাকে অন্যদের বাদ দিয়ে তবে মৃত্যু কামনা কর, যদি সত্যবাদী হয়ে থাক। ২ঃ ৯৪
আপনি বলে দিন , যে কেউ জিব্রাইলের শত্র“ হয় যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে আপনার কালাম আপনার অন্তরে নাজিল করেছেন, যা সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ কালামের এবং মুমিনের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা। ২ঃ ৯৭
লক্ষ্য করুন, -আপনি বলে দিন- বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ন। কে কাকে বলছেন আপনি বলে দিন? আমরা ধরে নিলাম আল্লাহ মোহাম্মদকে বলছেন তিনি যেন কাফির মুনাফেককে বলে দেন। এখন আমরা যদি ধরে নেই কোরানের প্রতিটি বাক্যের আগেই -আপনি বলে দিন- কথাগুলো থাকবে এবং তাই ই হওয়ার কথা কারন কোরান তো আল্লাহর বানী যা তিনি মোহাম্মদকে বলছেন। এরকম হলে প্রতিটি বাক্যের ভিতর আল্লাহ ও মোহাম্মদ কোন পুরুষে(person) ব্যবহৃত হবে সেটাই আসল। শুরুতে যে পুরুষ ব্যবহৃত হবে , শেষ পর্যন্ত সেই পুরুষই ব্যবহৃত হবে তাহলে তা হবে ব্যকরনগত ভাবে শুদ্ধ।
নিচের আয়াতটি লক্ষ্য করুনঃ
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সত্য ধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোজখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না। ২ঃ ১১৯
যদি আয়াতটির আগে -আপনি বলে দিন- শব্দ যোগ করি তাহলে আয়াতটি হবে নিম্নরূপঃ
আপনি বলে দিন, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সত্য ধর্মসহ সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রূপে পাঠিয়েছি। আপনি দোজখবাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না।
এখানে আল্লাহ নিজেকে -আমি- এ সর্বনাম অর্থাৎ 1st person এ এবং মোহাম্মদ কে –আপনি- অর্থাৎ 2nd person এ বর্নিত হচ্ছে। তাহলে আমরা ধরে নেব কোরানের সমস্ত জায়গাতেই আল্লাহ নিজে 1st person এ বর্নিত হবে আর মোহাম্মদ 2nd person এ বর্নিত হবে। তাহলেই হবে সঠিক ব্যকরন গত। কিন্তু উপরের ২ঃ ৯৭ আয়াতটি দেখেন সেখানে আল্লাহ ব্যবহৃত হয়েছে 3rd Person এ। আরও কিছু উদারহরন দেয়া যাক-
আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি তারা তা যথাযথ ভাবে পাঠ করে। ২ঃ ১২১
হে বনী ইসরাইল আমার কথা স্মরন কর যা আমি তোমাদেরকে দিয়েছি। আমি তোমাদেরকে বিশ্ববাসীর ওপর শ্রেষ্টত্ব দিয়েছি।২ঃ ১২২
আল্লাহ এখানে নিজেকে 1st person এ বর্ননা করছেন।
অথচ এর পরেই দেখুন-
যখন ইব্রাহীমকে তার পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূরন করলেন, তখন পালনকর্তা বললেন আমি তোমাকে মানব জাতির নেতা করব। তিনি বললেন, আমার বংশধর থেকেও। তিনি বললেন আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌছবে না ।২ ঃ ১২৪
এখানে বক্তা আল্লাহ ও শ্রোতা ইব্রাহীম। কিন্তু পুরো ঘটনাটি আল্লাহ মোহাম্মদকে বলছেন। যাহোক, তার পালনকর্তা টি এখানে কে ? নিশ্চয়ই আল্লাহ , তাই না ? এখানে আল্লাহ নিজে ৩ৎফ চবৎংড়হ এ বর্নিত হচ্ছেন। কেন ? এটা কি আল্লাহর বানী মনে হয় ? বক্তা যদি আল্লাহ হন তাহলে তিনি কি বলবেন যে তিনি তার পালনকর্তা? কারন পালনকর্তা তো তিনি নিজেই। তাহলে আয়াতটা কেমন হবে ? তা হবে নিম্নরূপঃ
আল্লাহ মোহাম্মদকে বলছেন, বলিয়া দিন (উহ্য),যখন ইব্রাহীমকে আমি কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলাম, অতঃপর তিনি তা পূরন করলেন, তখন আমি বললাম আমি,তোমাকে মানব জাতির নেতা করব। আমি বললাম , তোমার বংশধর থেকেও। আমি বললাম ,আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌছবে না ।
যারা কোরানকে ঐশি কিতাব বলে বিশ্বাস করেন, তারা যখন কোরান পড়েন তখন মনে রাখেন না যে , কোরানের বিষয় বস্তু স্বয়ং আল্লাহর নিজের মুখের বানী আর জিব্রাইল বানীর বাহক মাত্র। তারা শুধু এটুকুই মনে রাখেন যে কোরান আল্লাহ প্রেরিত, কিন্তু কিভাবে প্রেরিত, আর প্রেরিত হলে তা কোন ব্যকরন রীতি অনুসরন করে বর্নিত হবে এ বিষয়টি মনে রাখেন না। এ বিষয়টি মনে রাখলেই সর্বনাম সম্পর্কিত ব্যকরনের এ ত্র“টিটি সব সময় নজরে পড়বে। কেউ বলতে পারেন , কোরানের বক্তব্যটাই আসল। ওটা একটা ধান্ধাবাজি উত্তর। কারন যেহেতু আল্লাহ কোন ভূল করতে পারেন না , তাই তার কোরান বর্ননাতেও কোন ত্র“টি থাকতে পারে না । শুধু তাই নয়, তা এমন ভাবে বর্নিত হবে যা বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন হয়ে থাকবে ও তারা সেই ভাষা ও ব্যকরনরীতি অনুসরন করবে। কিন্তু কোরানের বর্ননা রীতি ব্যকরনের কোন শুদ্ধ রীতিতেই পড়ে না , পড়লে মনে হয় আনাড়ী কিছু লোক জন যাদের ব্যকরন সম্পর্কে তেমন ধারনা ছিল না তাদের দ্বারাই এটা লেখা। বিষয়টি অধিকাংশ মুসলমান জানে না কারন তারা কোরান আসলে পড়ে না। যদি পড়ত তাহলে বুঝত।
পর পর সূরাগুলোতেই এ ধরনের সর্বনামগত ভুল। গোটা কোরান ব্যাপি পাতায় পাতায় এ ভুলটা শত শত । আশা করি এতোক্ষনে পাঠক/পাঠিকা বৃন্দ বুঝতে পেরেছেন, কোরান আসলে কার লেখা। মোহাম্মদের ভাষাজ্ঞান ভাল না থাকায় মাঝে মাঝে ভুলে গেছেন যে সরাসরি আল্লাহর বানী প্রকাশ করতে হলে সেখানে আল্লাহর স্থানে আমি বা আমার এ সর্বনাম পদটি বসবে। আবার যখন খেয়াল হয়েছে যে এটা তো আল্লাহর বানী তখন আবার আল্লাহকে তিনি আমি এ সর্বনাম পদে প্রকাশ করেছেন। তাহলে পরবর্তীতে কেন সংশোধন করা হয়নি? আসলে একবার বলে ফেলার পর তো তা পাল্টালে মানুষ সন্দেহ করত যে তা সত্যি সত্যি আল্লাহর বানী কিনা । এর পর মোহাম্মদ মারা যাবার অনেক পরে যখন কোরান লিখিত আকারে সংরক্ষন করা হয় তখন আর এটাকে সংশোধন করা যায় নি তার কারন তখন শত শত সাহাবী এটা মুখস্ত করে ফেলেছিল, সংশোধন করে লিখলে তাতে বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হতো। তাই সংশোধন আর করা হয় নি । তাছাড়া এ ধরনের ব্যাকরনগত ভুল ধরিয়ে কোরানকে চ্যালেঞ্জ করার মত সাহসী সেখানে কেউ না থাকাতে কোরান সংরক্ষক গন এটাকে তেমন আমলে নেয়নি। পাঠক/পাঠিকা গন, আমি আপনাদেরকে একটু ইঙ্গিত দিলাম ব্যাকরনগত ভুল সম্পর্কে এখন আপনারা দয়া করে নিজেরা একটু কোরানটা খুলে চোখ বুলিয়ে যান অন লাইন থেকেই , দেখবেন কি সব ভানুমতির খেলা গোটা কোরানের মধ্যে আছে।
বাক্য রচনার ব্যাকরনগত এ ত্র“টি দৃষ্টে সহজেই বোঝা যায়, কোরান বর্ননা করতে গিয়ে মোহাম্মদ উল্টো পাল্টা করে ফেলেছেন কারন বাইবেলের বা তোরার ঘটনা শুনলেই মনে রাখা যায় কিন্তু তাই বলে ব্যাকরন ঠিক রেখে শুদ্ধ ভাবে বাক্য রচনা করা যায় না। এটা প্রাকটিসের ব্যাপার। অনেকটা গাড়ী চালানোর দক্ষতা অর্জনের মত। আর যাই হোক মোহাম্মদ তো আর লেখা পড়া তেমন শিখেন নাই । তাই বাক্য বিন্যাসটা ঠিক মতো করতে পারেন নি।
পরিশেষে আমি হিন্দু দের ধর্মীয় গ্রন্থ গীতার উল্লেখ করতে পারি যা হলো স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তার শিষ্য অর্জুনের কথোপথন। সেখানে দেখা যাবে এ ধরনের কোন ব্যাকরনগত ভুল নেই। সেখানে শ্রীকৃষ্ণ সর্বদাই নিজেকে- আমি, আমার এভাবেই বর্ননা করেছেন অর্থাৎ ১ম পুরুষেই বর্ননা করেছেন।
যেমন শ্রীকৃষ্ণ বলছেন- আমি মহাকাল, আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি, আমি পালন কর্তা, আমি বিনাশ কর্তা এই সব। সব কিছুই আমি । তুমি বা সে নেই। এর কারন হিসাবে মনে হয়- গীতার রচয়িতারা উচ্চ মার্গের শিক্ষিত লোক ছিল তাই ব্যাকরনগত ভুলটা তারা করে নি, পক্ষান্তরে মরুভুমির আরবদেশে ১৪০০ বছর আগে হাতে গোনা মাত্র কয়জন শিক্ষিত লোক ছিল তাও তাদের দৌড় বেশী দুর ছিল না , অল্প জ্ঞানের ওপর পুজি করে কত আর শুদ্ধ করে লেখা যায়।
আরবী নিয়ে পরে আলোচনা করবো। বাংলা ভাষা ও ব্যায়াকরণ বুঝো এমন কেউ কি এখানে আছো?
যদি থেকে থাকো তাহলে নিচের বাক্যটির অর্থ বলো :
“হিমাংশুর হিন্দোল হর্ম্য হিমাদ্রির “।
তারপর অর্থগত ও ব্যায়াকরণগত কোন ত্রুটি থাকলে তাও ব্যখ্যা করো।
এত হাস্যকর ।একটা ভুলো ধরতে পারেন নি
@মুরাদ,
যে ব্যাপারটি পরিস্কার রাখা দরকার, যে ওয়া এর সংযুক্তকারী বৈশিষ্ট নিয়ে দ্বিমত নেই। তবে এর ব্যাবহারিক পার্থক্য নিয়ে অনেক রকম মতবাদ আছে। এবং আরবী ভাষায় বাক্যে এর ব্যবাহারের উপর এর অর্থ নির্ভর করে এবং এর অন্যান্য বৈশিষ্ট (সংযুক্তকারী বৈশিষ্ট ছাড়া) প্রকাশ পায়।
বাচ্চা মেয়ে হবে 😀
@আনাস,
এতোদিন কোথায় ছিলে ভাইয়া? তুমি আরবী জানো বলে এই ফোরামে ঘোষণা দিয়ে আমি যে ভুল করি নাই তা স্বগর্বে প্রমাণ করে দিলে। :yes:
তর্কে সময় নষ্ট না করে তুমি বরং এ নিয়ে একটা প্রবন্ধই লিখে ফেল।
@আকাশ মালিক,
ইদানিং তেমন একটা বসতে পাড়ছি না! তবে সেমিস্টার শুরুর আগে যদি পারি কিছু লিখব। ফুয়াদ ভাইয়ের পরীক্ষার কারণ আমি অবশ্য কিছু বুঝি নাই। উনি সহজ একটা প্যাসেজ দিসিলেন। এইটা বুঝিনি যে উনি বুঝে দিলেন নাকি না বুঝে দিলেন!
আপনি ভাল একটা পরামর্শ দিলেন! আসলেই তর্কে অনেক সময় নষ্ট করেছি।
@মুরাদ।
আরবীতে আমার জ্ঞান বাংলা ব্যাকরণের মতই। ক্লাস ফাইভ থেকে পড়লেও এখন সব ভুলে গেছি! তারপরো যতটা মনে আছে, তা থেকে আপনার সাথে কিছু আলোচনা করি। আপনি বলেছেন আরবীতে ওয়া মানে এবং যা একটি কঞ্জাংশন ঠিক আছে, তবে আপনা হয়ত জানা আছে যে এই “ওয়া” হরফটা অন্যান্য হরফ থেকে আলাদা, এবং এর প্রায় চৌদ্দ পনের রকম ব্যাবহার আছে। ব্যাকরণবীদের ব্যাবহার করা ভিন্ন রকম কয়েকটি অর্থ দেখা যাক। যেমনঃ
কসম অর্থেঃ শপথ- গ্রহ নক্ষত শোভিত আকাশের। (সুরা বুরুজ) সুরা নাযিয়াতের প্রথম তিন আয়াতে দেখেন, আগের আয়াতের সাথে সম্পর্ক নয়। শপথ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট করণ অর্থেঃ (ওয়া লিল্লাহি) আসমান ও পৃথিবীতে যা আছে তা আল্লাহর জন্য। (২ ঃ ১১৫
অনির্দিষ্ট সময় বুঝাতেঃ খারাজতু ওয়া মুরাদু জালিসুন। আমি বের হয়েছি যখন মুরাদ বসছিল। অর্থাৎ যখন মুরাদ বসছিল আমি তখন (বাসা থেকে) বের হয়েছি।
সুতরাং, কিন্তু এসব অর্থেও ব্যাবহার আছেঃ ২ ঃ ১১৩, ২ ঃ২৫, ৮২
অতিরিক্ত বা অব্যবহ্যত হিসেবেঃ ইন্নাল্লাজিনা কাফারু “ওয়া” সুদ্দুনা আন সাবিলিল্লাহিঃ অবিশ্বাসী যারা অপরকে আল্লাহর পথ থেকে সরিয়ে নেয়। এখানে ওয়া শব্দটি যুক্ত করা নয়, বরং অতিরিক্ত বা রিডান্ডেন্ট হিসাবে ব্যাবহার হয়েছে।
তাহলে আপনি দেখতেই পাচ্ছেন যে ওয়া সবসময় বা শুধুমাত্র “এবং” বা পুর্ববর্তী আয়াত সংযুক্তকারী হিসেবে ব্যাবহার হয় না। এমনকি এর ব্যবহারের ভিন্নতা থেকে শাফেয়ী এবং হানাফী মাজহাব সম্পুর্ণ ভিন্ন রকম সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এবার আসুন আপনি যে আয়াত সমুহের কথা বলেছেন সেখানে ওয়া এর ব্যবহার প্রসঙ্গে। আরবীতে “ওয়া” এর আরেকটি ব্যবহার হল দৃষ্টি আকর্ষণ অর্থে। ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ যেমন ওয়া মুরাদ, ও মুরাদ! এবং কোন ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ অর্থেও ব্যবহার হয়। যেমন আমি যদি বলিঃ ওয়া জাহাবতু ফিল মাসজিদি বা’দা আদ রুসুল কিতাবঃ এবং আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বই পড়ার পর। এখানে ওয়া অতিরিক্ত হরফ হলেও মুলত ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যুক্ত করা হয়েছে অনেকটা ওহ! এর মত। আগের কোন বাক্যের সাথে যুক্ত করা অর্থে নয়। আপনি যদি বার বার এবং ই ব্যাবহার করতে থাকেন, তাহলে আপনি বাক্যের মুল অর্থ এবং উদ্দেশ্য এবং গুরুত্ব থেকে দূরে সরে যাবেন।
যেমনটা আপনি করেছেন ২ঃ ১২২ আয়াতের ক্ষেত্রে। জানিনা আপনি কোন অনুবাদ ব্যাবহার করেছেন। আয়াতে ওয়া এবং অর্থে নয়, অতএব অর্থে ব্যাবহার হয়েছে। পুর্ববর্তী আয়াতে যে নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, পরের আয়াতে বলা হচ্ছে যেহেতু তোমরা এসব আমার কাছ থেকে পেয়েছো, অতএব ভয় কর… এখানে এবং ব্যবহারে বাক্যের ভারটা অনেকটাই কমে যায়।
এর পরের আয়াতের অর্থ খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে মুহাম্মাদ নতুন একটা ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, শব্দে শব্দে অনুবাদ পড়ে দেখেন, “ওয়া ইযা, এবং স্মরণ কর, ইবতালা পরীক্ষা করল, ইব্রাহীম, রব, “হু” তার” অর্থাৎ “যখন এব্রাহীমের রব(আল্লাহ) তাকে পরীক্ষা করল” এটা আল্লাহর কথা হলে তিনি বলতেন। “স্মরন কর যখন আমি ইব্রাহীম কে পরীক্ষা করলাম/করেছি। যেমনটা তিনি ব্যবহার করেছেন
“স্মরণ কর যখন “আমি/আমরা” মুসাকে কিতাব এবং সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী বিধান দান করেছি/করেছিলাম” ২ঃ৫৩ (৪৮ থেকে ৫৪ পর্যন্ত কথোপকথন গুল পড়লেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন ১১৪ আর সাথে)
বাংলায় সউদি কতৃক অনুবাদকৃত কুরান বা ইউসুফ আলীর অনুবাদ পড়লেই আপনি দেখতে পাবেন যে তিনি ২ঃ১১, ১৩, ১৪ ১২৫ (ঠিক পরের আয়াত) ওয়া বলতে এবং ব্যাবহার করেননি। কারন এসব যায়গায় আয়াত সমুহ পরস্পর যুক্ত নয়, বরং ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির বর্ণনা মাত্র। ২ নং সুরার ১৩ থেকে ১৪ আয়াত পড়ে আপনি বলতে পারবেন না যে ঘটনা গুল পরস্পর সংযুক্ত এবং একটার পর একটা ঘটেছে। আগে পরেও ঘটতে পারে অথবা কিছু নাও ঘটতে পারে। এখানে “ওয়া” আয়াতের প্রতি বা ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যবহার হয়েছে।
আপনি বলেছেন কুরান জানার জন্য আমাকে আরবী শিখতে হবে, শিখলাম। তারপর যদি বলি আরবীতে “ফা” “সুম্মা”, “ওয়া” ইত্যাদি ব্যকরণ থেকে ব্যবহার করে; যে কুরানে ভুল আছে (এ হরফ গুলোর উপর বিস্তারিত এবং আলাদা আলাদা অধ্যায় ই আছে)। আপনি কি তা মানবেন? না মানেন। যদি আমি মানতে চাই এবং প্রচার করতে চাই, তাহলে সে সুযোগ কি আপনি আমাকে দিবেন? ইংরেজীর এ যুগে ইংরেজীতে দক্ষ হতে যেখানে জান বের হয়ে যায়, সেখানে আরবী কি একটা বোঝা না? তারপর যদি আরবী ভাষায় সব বই অনুবাদ হত বা আজকে আরবী জ্ঞান বিজ্ঞানে নেতৃত দানকারী ভাষা হত। তবে ভেবে দেখা যেত। আমি দুঃখিত যে ভবঘুরের পুরো পোস্ট আমি পড়িনি। তাই উনি ২ঃ১২৪ কে মুহম্মাদের বক্তব্য বলেছেন কিনা আমি জানিনা। তবে এ আয়াত আল্লাহর বক্তব্য না। মুহাম্মাদ আল্লাহ, এবং ইব্রাহীমকে কোট করেছেন ইতিহাস থেকে। ব্যাকরণে এটা ভুল কিনা আমি তা ঘেটে দেখিনি।
একটা ঘটনা বলি।আমার ছোট খালার মেয়েটা খুবি পাকনা। কিছুদিন আগে বেড়াতে আসার পর ওকে একটা ধাঁধা ধরেছিলাম। বলত, একথাল সুপারী, গুনতে পারেনা কোন বেপারী? ও উলটো আমাকে বলল। সুপারী গুণার দরকার কি? অনর্থক সময় নষ্ট না? ওজন করে দিলেই হল। তারপরও যদি গুণতে না পারে, তাহলে সে বেপারী অশিক্ষীত! আমি বললাম, নানা, এটা একটা ধাঁধা। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ায় ও শব্দটা বুঝতে পাড়ল না। জিজ্ঞেস করল ধাঁধা কি জিনিস। আমি বললাম, ধাঁধা হল যেখানে সত্যটা আড়ালে থাকে এবং সত্যের কাছাকাছি কোন কিছুর সাথে তুলনা করা হয় অথবা হিন্ট দেয়া থাকে। ও বলল, পারিনা। তুমি বলে দাও। হিহি করে হেসে বললাম। এটা হচ্ছে আকাশের তারা। ও আমাকে বলল, ভাইয়া, তোমার ধাঁধাই হয়নাই। কারণ তুমি কোন সঠিক হিন্ট দাও নাই। আকাশ বলতে কিছুই নাই, সেখানে এটা থালা হয় কিভবে? আর তারা তো সুপারীর কাছাকাছি কিছুই না এবং সুপারী গুণা যায়। আমি বললাম, না এটা তুলনা মাত্র, এবং রুপক। ও বলল, তুমি ভুল তুলনা করলেতো হবে না। আর রুপক কোন কিছু থেকে যা ইচ্ছা তা বের করে নেয়া যায়। যে ধাঁধা ধরেছে, সে কি মিন করছে তা শুধু সেই জানবে, বাকীরা শুধু ধারনা করতে পারে মাত্র। এই দেখ আমি তোমার ধাঁধা থেকে শুধুমাত্র এটা ধারনা করতে পারি যে বেপারী পড়ালেখা জানেনা। অথচ তুমি সম্পুর্ণ অন্য কিছু মিন করেছ।
একটা বাচ্চা ছেলেও বুঝে ধাধার গ্রন্থ থেকে সঠিক কোন কিছু বের করা যায় না। আর অনেক মুসলমান কুরান থেকে মানুষ মারার, সত্যিকার হলোকাস্ট করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে! যারা এমন বলে তারা কি মানুষ?
ভাই ফুয়াদ ,
আপনি আসল বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে বড় বেশী হাজি জাবি কথা বলছেন। আপনি কি মনে করেছেন মুক্ত-মনা সাইটের লোক জন জাকির নায়েকের সামনে বসে থাকা কিছু মোটিভেটেড পাবলিক ? যাহোক,
পৃথিবীর যে কোন উন্নত ভাষায় সর্বনামের উন্নত ব্যবহার থাকবে। তাই যে কোন উন্নত কোন ভাষাকে অন্য উন্নত ভাষাতে রুপান্তরিত করলে সর্বনাম ব্যবহারের রীতিতে কোন পার্থক্য থাকবে না। সর্বনামের এ ব্যবহার সঠিক হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য আপনাকে পূর্ববর্তী ভাষার ব্যকরণবিদ হতে হবে না। এই সহজ সত্য বিষয়টিই আমি আমার প্রবন্ধে দেখাতে চেষ্টা করেছি কিন্ত দেখলাম আপনি সুকৌশলে বিষয়টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে আবার নিজের কথার ফাদে নিজেই আটকে গেছেন। একেই বলে অতি চালাকের গলায় দড়ি। যাহোক ফুয়াদ ভাই নিচের আয়াত গুলো একটু মনযোগ আর চোখ খোলা রেখে পড়েন প্লীজ —
সূরা বাকারা থেকে ———-
আলিফ লাম মীম| ১
এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই| পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, ২
যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্খাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে| আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে ৩
এবং যারা বিশ্বাস স্খাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে| আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে| ৪
তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম| ৫
নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না| ৬
আল্লাহ্ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন| আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি| ৭
আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ্ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়| ৮
তারা আল্লাহ্ এবং ঈমানদারগণকে ধোঁকা দেয়| অথচ এতে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না অথচ তারা তা অনুভব করতে পারে না| ৯
তাদের অন্ত:করণ ব্যধিগ্রস্ত আর আল্লাহ্ তাদের ব্যধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন| বস্তুত: তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ভয়াবহ আযাব, তাদের মিথ্যাচারের দরুন| ১০
উপরের সূরাগুলো ভাল করে পাঠ করুন। প্রথমেই ১ নং আয়াত এ বলা হচ্ছে – আলিফ লাম মীম যা নিতান্তই অর্থহীন কিছু কথা অনেকটা যাদুকরেরা যেমন যাদু দেখানোর সময় মানুষকে সম্মোহিত করার জন্য এরকম বলে থাকে। ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ নিজেই বলছেন – আমি তাদেরকে রুযী দান করেছি-। বক্তা হিসাবে আল্লাহ সঠিকভাবেই নিজেকে এখানে উপস্থাপন করছেন আর তা হলো- আমি -। ৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মোহাম্মদকে বলছেন- যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছু যায় আসে না, তারা ঈমান আনবে না। এখানে আল্লাহ মোহাম্মদকে সম্মোধান করছেন-আপনি– যা সঠিক কারন এখানে আল্রাহ বক্তা ও মোহাম্মদ শ্রোতার ভুমিকায়। ঠিক এর পরেই ৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলছেন- আল্লাহ তাদের অন্তকরন ও তাদের কান সমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা কেমন কথা ? আল্লাহ তো বলবেন –আমি তাদের অন্তকরন্ ও তাদের কান সমূহ বন্ধ করে দিয়েছি- কারন সূরার প্রথম দিকে ৩ নম্বর আয়াতে উনি নিজেকে বক্তা হিসাবে উপস্থাপিত করে – আমি– এই সর্বনামে বর্ননা করছেন। তাহলে একই সূরার ঠিক পরের আয়াতে আল্লাহ নিজেকে আল্লাহ বা থার্ড পারসনে উল্লেথ করেন কেমনে? আর ফূয়াদ গংরা বলছেন এটাই সঠিক ব্যকরন রীতি? একটা উদাহরন দেই, ধরা যাক ফুয়াদ সাহেব ভবঘুরেকে বলছেন-
আমি আল্লার কাছ থেকে ওহি নিয়ে এসেছি। তুমি নাস্তিক হয়ে গেছ। তুমি ফুয়াদের কথা শোনো, না হলে তোমাকে অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়ে যন্ত্রনা পেতে হবে। ফুয়াদ তোমাকে সঠিক পথ দেখাতে দুনিয়াতে নবী হিসাবে আগমন করেছেন।
ফুয়াদ সাহেব , আপনার বর্ননায় আপনি শুরু করেছিলেন –আমি– দিয়ে , তিন নম্বর বাক্যে গিয়ে বললেন –ফুয়াদের কথা শোনো -। চার নম্বর বাক্যে বললেন- ফুয়াদ তোমাকে সঠিক পথ দেখাতে ——এখন আপনিই বিচার করুন , বাক্যটি সঠিক ব্যকরন সম্মত হলো কি না। আসলে সঠিক বাক্য বিন্যাস কি হবে ? এরকম নাকি যেমন-
আমি আল্লার কাছ থেকে ওহি নিয়ে এসেছি। তুমি নাস্তিক হয়ে গেছ। তুমি আমার কথা শোনো, না হলে তোমাকে অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়ে যন্ত্রনা পেতে হবে। আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখাতে দুনিয়াতে নবী হিসাবে আগমন করেছি।
আপনি যদি কোরান ছাড়া অন্য কোন বইতে এ ধরনের বাক্য বিন্যাস রীতি দেখেন, তাহলে কি মন্তব্য করবেন ? কোরানে এ ধরনের দুর্বল বাক্য রীতি আছে আর যেহেতু তা আল্লাহর প্রেরিত কিতাব তাই তা সঠিক হবে না কি ? নাকি হবে , আসলে কোরান আদৌ কোন আসমানী কিতাব নয়,? আসমানী কিতাব হলে সবজান্তা আল্লাহ কি এত সাধারন ভূল করবেন , কি বলেন ফুয়াদ সাহেব ?
ও আরেকটি কথা। কোরানের একটি নোক্তা পর্যন্ত বিকৃত করা যেখানে বিরাট বড় অপরাধ, সেখানে এত সব ভুল ভাল অনুবাদ পড়ে আছে। ইমানদার বান্দারা একটা টু শব্দটি পর্যন্ত করছেনা। বিষয়টা আশ্চর্যজনকই বটে। মোহাম্মদের কার্টুন আঁকাতে মানুষ পর্যন্ত মরে গেল, অথচ ইউসুফ আলী, শাকির, পিকথাল, আব্দুর রহীমের মত স্বয়ং কোরান বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলা হচ্ছে না কেন ইমানদার মোমিন মুসলমানদের কাছে জবাব চাই।
সমস্ত অনুবাদ নিপাত যাক। সব অনুবাদ বিকৃত। অনুবাদকারীদের ফাঁসী চাওয়া হোক। (অনেকে অবশ্য মরে গেছে)। কোনটা বেশি ক্ষতিকর? নাস্তিকতা নাকি কোরানের বিকৃতি?
ধর্মবাদীদের কাছে আমার একটি মাত্র জিজ্ঞাসা। আজ পর্যন্ত কোরানের কোন সঠিক ইংরেজি অনুবাদ বের হয়েছে কি? এমন কোন ইংরেজি বা বাংলা অনুবাদ আছে কি যাকে আপনারা সঠিক, প্রকৃত আরবী অনুসরণ করে ও কোরানিক আরবীকে অবিকৃত রেখে করা হয়েছে? হয়ে থাকলে সেটি কোনটি? আমরা তাহলে সেটাই পড়ব।
আর যদি সেরকম কিছু না হয়ে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে পৃথিবীর সব অনুবাদই ভুল। খাঁটি মুসলমানদের উচিত নয় কি এই ভুল অনুবাদগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া? এই ভুল অনুবাদগুলো তো মানুষকে কোরানের ব্যপারে মিস লিড করবে। কাজেই কোরানের সব অনুবাদ নিষিদ্ধ করার দাবী জানানোটাই কি উচিত হবে না যেহেতু এগুলো প্রকারান্তরে কোরানকে বিকৃত করছে?
ইউসুফ আলী, শাকির, পিকথাল, মওদুদী, আব্দুর রহীম এরা সবাই নিশ্চয়ই ভুল করেছেন। মুমিনদের উচিত নাস্তিকদের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে এসব ভুল ব্যাখ্যাকারীদের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়া। কারন এরা অনুবাদের ছলে কোরান বিকৃত করছে।
আর যারা এখানে কোরানের অনুবাদের ভুলের কথা বলে তর্ক করছেন ধরে নিচ্ছি যে তারা কোরান প্রাচীন আরবীতেই পড়েন এবং জানেন। যদি না জানেন তাহলে আপনারা আরেকজনকে নিশ্চয়ই শুধু শুধু প্রকৃত আরবী জানার জন্য উপদেশ দিচ্ছেন না?
@বকলম,
ধন্যবাদ। আরবীতে অনেক শব্দ আছে যার অনেকগুলো অর্থ হয় যেমন দাহাহা……..মানে বর্ধিত করা, ছড়ানো, মোড়ানো,ডিম্বাকৃতি করা। তাই এক এক জন অনুবাদক তাদের পছন্দমত শব্দ নিয়ে অনুবাদ করেছে।
আসলে কোনটা যে সঠিক তা কেউ বলতে পারে না।
@MURAD,
ভাই, তাহলে কি এটি কোরানের দূর্বলতা হয়ে গেল না? কারটা আসলে সঠিক এই ফয়সালা কে করবেন?
যেখানে কোরানের সব বানী কেয়ামত পর্যন্ত সব দেশের সব মানুষের অবশ্য পালনীয় (অন্তত মুসলমানদের), সেখানে অর্থ সম্পর্কে সংশয় থাকলে কিভাবে সঠিকভাবে কোরানিক আদেশ নির্দেশ মানা সম্ভব?
কোরান মানা নিশ্চয়ই শুধুই আরবীতে সুর করে তেলাওয়াত করা না। অর্থ বুঝে সেসব আদেশ নির্দেশ মানা, তাই না? অর্থই যদি পরিষ্কার নাহল তাহলে আমি মানব কিভাবে? সর্বজন স্বীকৃত কোন তরজমা আছে কি?
থেকে থাকলে সেটা বাদে আর সব অনুবাদ/তরজমা বাতিল করা হচ্ছে না কেন? কেন ভুল ভাল অনুবাদ প্রচার করে মানুষকে খামোখা কনফিউশনে ফেলা হচ্ছে?
@MURAD,
কেউ জানেনা? বলেন কি? তাহলে এর অর্থ কি হবে? ধরুন আমি অর্থ করলাম দাহাহা মানে ছড়ানো। আপনার আপত্তি আছে? কেন?
জোকার নায়েককেই দেখলাম এর অর্থ ডিম্বাকৃতি করতে। কারন তাহলে পৃথিবীর গোলত্বের বিষয়টা ব্যখ্যা করা যায়।
এরকম মনগড়া অনুবাদ করে কেউ যদি কিছু বলে অন্যরা কিসের ভিত্তিতে তাকে ভুল ধরবে?
তাহলে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, সঠিক অনুবাদ বলে কিছু নাই। যে যেভাবে বুঝে সেটাই ঠিক। কি বলেন?
স্বয়ং আল্লাকেই বোধহয় আসতে হবে এই কনফিউশন দূর করতে।
@বকলম,
আমাকে কি বলতে পারবেন ইউসুফ আলী, শাকির, পিকথাল, মওদুদী, আব্দুর রহীম কার মাতৃভাষা ছিল আরবী!!!!!!
আর খলিফা রাশিদ এর মাতৃভাষা কি ছিল!!!!
যেমন একজন ব্রিটিশরে বলেন এইটা অনুবাদ করতে
আমি তোমাকে চিনি।
I sugger you.
কিন্তু আপনি তো ঠিক বুঝছেন এই চিনি মানে কি!!
@MURAD,
তার মানে কি এদের অনুবাদ গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা, এরা আরবী জানেন না? বুঝা গেল, আপনি জানেন না যে, কোরানের ব্যাকরণ ও ভাষাগত ভুল তারাই প্রথম লিখে রেখেছিলেন, যাদের মাতৃ্ভাষা আরবী। তারা অনেকেই মুহাম্মদের নিকটতম মানুষ ছিলেন। কোরানের ভুল-ভ্রান্তি সম্পর্কে অবগত হয়েছি আরবীভাষী লেখক ইতিহাসবিদদের লেখা বই পড়ে। আমি এ নিয়ে আপনার সাথে তর্কে যেতে চাইনা।
কোন লেখকের লেখার প্রত্যুত্তরে আপনি একটি সমালোচনামূলক লেখা বা গঠনমূলক, যৌক্তিক আলোচনা এখানেও করতে পারতেন। অন্যব্লগে মানুষের পেছনে ঘৃণা বা শ্লেষাত্বক কথা বলাকে গীবত বলা হয়। আপনার নীচের বাক্যগুলো সেটাই প্রমাণ করে ঠিক না?
অনেক দিন থেকে ইচ্ছা ছিল মুক্তমনার ভন্ডামী সর্ম্পকে কিছু লিখার। এখন আমার প্রশ্ন ভন্ডর কাছে, এইটা কার বাণী? তাই ভন্ড, আয়াত ২:১২২ ও ২:১২৩ উল্লেখ না করে সরাসরি ২:১২৪ উল্লেখ করেছে। যাতে ভন্ডর ভন্ডামী না ধরা পড়ে! আমি মুক্তমনাতে এটা পেষ্ট করছি কিন্তু কেউ কোন উত্তর দেয় নাই। আর উত্তর কি দিবে!!!!!!!!!!!!!!! আগে তো উনাকে আরবী conjunction শিখতে হবে।
@আকাশ মালিক,
বাহ, ভালই তো বললেন, এই ব্লগে দিনের পর দিন মৃত মানুষের চোদ্দো গুস্টি উদ্ধার করা হয়, তখন আপনি গীবতের প্রসংগ আনেন না। যাইহোক, আপনারা অপেন ফোরাম, তারাও । আপনারা কিছু লিখলে ঐখানেও জবাব দিতে পারে।
অনুবাদ সব সময় মূল ভাষা থেকে কিছু না কিছু হারায়, তা আপনার মত যিনি ইবনে রুশদ খেতাব প্রাপ্ত ব্যাক্তি বুঝল না, সেটাই আশ্চার্যজনক। তবে আসল এমন ই হবার কথা, (কু)যুক্তিবাদ(নিজেদের মন মত) আফিমের চেয়ে ভয়ানক নেশায় যারা আক্রান্ত, তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী কি আশা করা যেতে পারে।
@ফুয়াদ,
“বাহ, ভালই তো বললেন, এই ব্লগে দিনের পর দিন মৃত মানুষের চোদ্দো গুস্টি উদ্ধার করা হয়।”
ভাই আপনাকে বিনীত অনুরোধ, আপনি এই ব্লগে একটা সিঙ্গেল পোস্ট দেখান তো পারলে যেখানে সরাসরি সদালাপ বা অন্যান্য বাংলা সাইটকে সরাসরি আক্রমন করে চোদ্দো গুস্টি উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ সদালাপে কিন্তু প্রতিদিনই এই মুক্তমনাকে আক্রমন করে পোস্ট দেয়া হয়। যদি আক্রমন করতেই হয় তবে পেছনে না করে সামনাসামনি করা শ্র্রেয় নয় কি? না কি সেই সাহস নেই? আপনাদের ওখানে আল মুর্শেদ সাহেবের মত কুরুচি পূর্ন লোক মুক্ত মনার সমালোচনা করে (কুরুচি পূর্ন এই কারনে বলছি যে এই মুক্তমনাতেই তার কতগুলো তথাকথিত কৌতুক শোনার পর তার নাম শুনলেও আমার গায়ে ঘিন ঘিন করে) আর আপনারা সেই কথায় নাচেন। কেন এইখানে এসে নাচতে পারেন না? আল মুরশেদ সহ আপনারা সবাই পেছনে পেছনে লাফাতে ওস্তাদ অথচ এখানে এসে লাফাতে গিয়ে পা ভেঙ্গে পড়ে যান বা নিজেদের অশ্লীল কুরুচি পূর্ন ভন্ডামীর প্রকাশ করে ফেলেন। এখানে এসে কিভাবে উনি তর্ক করবেন? সেই মর্যাদা কি উনি রেখেছেন? সেই মুখ কি আপনাদের আছে? না নেই…থাকলে নির্লজ্জের মত সামনে এসে তর্ক না করে পেছন পেছন গুষ্টি উদ্ধার করতে তার বিবেকে বাধতো। আপনার কোন বন্ধু যদি আপনার কোন কর্মকান্ডের সমালোচনা আপনার সাথে না করে আপনার অগোচরে আরেকজনের সাথে করে তাহলে আপনি তার সম্পর্কে কি ভাববেন?
যাই হোক আপনাদের মত তথাকথিত আস্তিকদের সাথে চলতে চলতে আপনাদের মন মানসিকতা আর চিন্তা চেতনার অলিগলি আমার বোঝা হয়ে গেছে। আপনারা দোজখের ভয়ে এমনই ভীতু আর বেহেস্তের লোভে এমনই লালায়িত যে এর জন্যে যদি নিজের আপন কাউকেও খুন করতে নির্দেশ দেয়া হয় তবে তাও আপনারা বিনা দ্বিধায় পরম পূন্য মনে করে করে নিবেন। এই হল আপনাদের আস্তিকতা।
আপনাদের মত এরকম পেছনে গিয়ে সমালোচনা করার মত নিচু মানসিকতা মুক্তমনার নেই।
ধন্যবাদ।
@মিঠুন,
দাড়ান, আপনার কৌশল আগে ধরে নিন।
=> আমি বলেছি কি? আর আপনি নিয়ে এসেছেন কি? আমি কি কোন সাইটের কথা বলেছি।
প্রমানঃ
=>(কুরুচি পূর্ন এই কারনে বলছি যে এই মুক্তমনাতেই তার কতগুলো তথাকথিত কৌতুক শোনার পর তার নাম শুনলেও আমার গায়ে ঘিন ঘিন করে) আর আপনারা সেই কথায় নাচেন।
আমাকে কি উদ্দোশ্যে দিলেন। আমি যদি নেচে থাকি তাহলে তার ভাল কৌতুক পূর্ন লেখায় নেচেছি। তার ঐ কৌতুক গুলির ব্যাপারে আমিও প্রতিবাদ করেছি, এসব কি দিলেন বলে, তারপর নাস্তিকতা সম্পর্কিত কৌতুক দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আপনি দেখেন নি, কিংবা দেখতে চান নি, কারন আমার মত মানুষের কোন মূল্য আপনার কাছে কখন ছিলনা, আজও নেই।
=> আপনি বললেনঃ
ভাল, আপনি আপনার বাড়িতে দাড়িয়ে আরেক মানুষের বাপ-দাদা থেকে সম্মানিত কাউর চৌদ্ধ গুস্টি উদ্ধার করবে, আর সে আইসা আপনার বাড়িতে, আপনার জবাব দিতে আসবে। এই হচ্ছে আপনাদের চেহারা। আপনারা অপেন ফোরামে লিখবেন, আর তারা লিখতে পারবেনা। আপনাদের ও চিনা হয়েগেছে, যাস্ট শব্দের খেলায় মেতে উঠেন, নিজের উঠানে লাফা লাফি করেন, চোদ্ধ গুস্টি উদ্ধারে নামেন নিজের উঠানে, আর বাকিরা তাদের উঠান থেকে কিছু কইলেই, হইল। এরা কি আন অপেন ফোরামে লিখতাছে নাকি? আপনাদের যেমন অপেন ফোরামে লিখছেন, তারাও তেমন। আপনারা কি করেন, তাদের শ্রদ্ধার পাত্রদের নাম ধরে ধরে(মুহাম্মদ সঃ উমর রঃ) বলেন, আর তারা আপনারা কি বলছেন তার ফটো তোলে, ঐখানে দেয়। তারা তো আপনাদের চেয়ে বহুগুন ভাল। আপনারা নিজেদের যুক্তিবাদী বলেন, আর অপেন ফোরামের লেখার সাথে বন্ধু দিয়ে তোলনা করেন। এটা কি ধরনের যুক্তিবাদ, এক বন্দুর সাথে কথা কয়জনে শুনতে পারে। অপেন ফোরাম মানে অপেন, যতজন ইচ্ছা তত জনেই পারে। আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি কি করতেছেন। আপনি মাইকে ভাষন দিবেন, আর অন্যরা খালি মুখে অওয়াজ দিব! বাহ মগের মুল্লক। আপনি অপেন ফোরামে একটি ধর্ম বা জাতিকে আক্রমন করতেছেন। এটা বন্দুর উদাহারনের সাথে কিভাবে মানায়। এই হচ্ছে আপনাদের আসল কাজ, কাছিমের ডিমকে যুক্তিবাদের আড়ালে মুরগির ডিম বলে চালিয়ে, সাধারন মানুষকে ধোকা দেওয়া। আর অন্যরা আপনাদের মত এই কাজটি পারেনা । কাদের মন মানষিকতা নিচু, এটা বুঝতে রকেট সাইন্টিস্ট হতে হয় না।
না পিছলাইয়া সোজাসুজি উত্তর দিন। মুক্তমনায় কে কবে কার বাপ দাদার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করেছে? অন্য কোন বাংলা ব্লগের গুস্টি উদ্ধার করে কবে কোন লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে? লিংক দেন। এই মুক্তমনার মত ব্যাক্তি আক্রমন বিহীন, অহেতুক কাদা ছোড়াছুড়ি বিহীন আর একটা বাংলা ব্লগ দেখান তো আপনি। এখানে কখনও কারও চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করা হয়না।যেটা করা হয় তা হল তথ্য উপাত্তের চুলচেরা বিশ্লেষন করে সামগ্র্রিক মূল্যায়ন করা হয়। তাতে যদি কারও আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে পড়ে তবে কার কি করার থাকতে পারে। আমার বাড়িতে দাড়িয়ে কেউ যদি আমার কাছ থেকে কথা শোনে তবে তার কি উচিত নয় অভিযোগ আমাকেই আমার বাড়িতেই জানানো? আপনি সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন আমার এই প্রশ্ন। পিছলাইয়া যাইয়া কি বললেন:
আমি যদি আমার বাড়িতে দাড়িয়ে অন্য কোন বাড়ির উদ্দেশ্যে গালি ছুড়ি তখন হয়ত সে আমার বাড়িতে আমাকে উত্তর না দিয়ে, তার যেখানে খুশী সেখানে বসেই তার উত্তর দিতে পারে। তাতে কারো কিছু বলার নাই। তবে এধরনের উস্কানি মুলক কাজ মুক্তমনা কখনও করেছে কিনা লিংক সহ তার প্রমান চাচ্ছি।
আপনার শ্রদ্ধার পাত্র্রটি আসলেই শ্রদ্ধার কিনা তা তো যে কেউ গবেষনা করে দেখতেই পারে আর তার ফলাফল হিসেবে কেউ যদি বিপরীত কোন উপসংহারে পৌছায় তবে এর প্রতিবাদে কিছু বললে তা সেই সাইটে সেই লেখাতেই বলা উচিত বলে আমি মনে করি। তার বদলে যদি অন্য কোন ব্লগে পুরো সাইটকে আক্রমন করে কিছু বলা হয় তবে তা শিষ্টাচার বহির্ভূত হয়। এই সাধারন বিষয়টি আপনার মন কথনই বুঝবে না। কারন আপনারা, শুধু আপনারা আস্তিকরাই হচ্ছন উন্নত মানসিকতার আধীকারী যাদের কাজই হচ্ছে ধরা খাইলে পিছলানো। আপনাদের মতে মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্মের (শুধু ইসলামের) কোন সমালোচনা করা যাবেনা। করলে তা আসলে চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করা হবে। আপনারা এই চৌদ্দগুস্টি উদ্ধারের কোন মোক্ষম জবাব তো দিতে পারেন ই না, উল্টো আরও নাকানি চুবানি খেয়ে, নিজেদের চিন্তা ভাবনাকে হাস্যকর প্রমান করে এখান থেকে পলায়ন করেন তারপর অন্য সাইটে গিয়ে পুরো ব্লগের ভন্ডামি ইত্যাদি শিরোনামে পোস্ট ছাপাতে থাকেন, নিজেদের ফাকা কলসি বাজাতে থাকেন। আর এসব নিয়ে কথা উঠলে উল্টো যুক্তির বাহারী পশরা সাজিয়ে নর্তন কুর্দন করতে থাকেন। এই না হলে উন্নত মানসিকতা, উন্নত যুক্তিবাদ।
ধন্য আপনাদের আস্তিকতা। ধন্য আপনাদের মানসিকতা।
@মিঠুন,
এটা তো নতুন কিছু নয়। সদালাপ এবং তার সদা-আলাপী লেখকদের কোন মৌলিকত্ব নেই, সেটা বহুবার প্রমাণিত হয়ে গেছে। তারা তাকিয়ে থাকে কোন মুক্তমনা লেখক কি লিখল তার দিকে, আর তারপর লেখদের উদ্দেশ্যে নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে বিশেষণ প্রয়োগে। মৌলিক বিষয়বস্তু নিয়ে লিখার চেষ্টা, ইচ্ছা, আগ্রহ বা ক্ষমতা কোনটাই নেই; তারা মূলতঃ প্যারাসাইটের মতো বেঁচে আছে। তারা তৎপর মুক্তমনা লেখকেরা নাকি শিবসেনা, কিংবা ইসরায়েল থেকে টাকা খায়, ভারতের দালাল … এগুলো ‘প্রমাণ’ করাতে। এছাড়া কিছু তারা কখনোই করতে পারেনি। করতে থাকুক। 🙂
@অভিজিৎ দা,
একদম ঠিক কথা বলেছেন। এসব সাইটের প্রথম পাতায় গেলেই দেখবেন মুক্তমনার ভন্ডামী শিরোনাম সংক্রান্ত পোস্টই সিংহভাগ। এদের আসলে নতুন মৌলিক কোন বিষয় নিয়ে লেখার ক্ষমতা নেই। পড়ে আছে শুধু ইসলাম নিয়ে। তাও অন্য ব্লগের ব্লগারদের লেখা আর্টিকেলে উপর ভর করে। তাও যদি গঠনমূলক যুক্তিশীল কোন আলোচনা হত তাহলেও কথা ছিল। সব হচ্ছে ভাংগা কলসির মত এক রেকর্ড- মুক্তমনার ভন্ডামী। আসলে এরা যে নিজেদের যুক্তির অসারতা বোঝেনা তা নয়, বরং সব বুঝেই ইসলামের আসল চেহারাটা মুখোশের আড়ালে লুকানোর প্রানপন চেষ্টায় রত আর নিয়তির কি নির্মম খেলা, তা করতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের আরও উলঙ্গ করে ফেলছে। :rotfl:
@ফুয়াদ,
মৃত মানুষের সমালোচনা তো সামনে পেছনের কোন ব্যাপার নেই। মৃত লোককে জ্যান্ত হাজির করে সমালোচনা কি সম্ভব? মৃত লোকের সমালোচনা নিষিদ্ধ হলে জিয়া, মুজিব, নিউটন, আইনষ্টাইন, ডারউইন কারোই সমালোচনা সম্ভব নয়। জীবিত বিখ্যাত লোকদেরও সমালোচনা অবশ্যই চলে। যেমন, হাসিনা খালেদার সমালোচনা আমরা সবাই করছি, করছি তাদের পেছনেই। তাদের এসে নিজেদের ডিফেন্ড করার উপায় কিন্তু নেই, এটা জেনে শুনেই করছি। একে কেউ গীবত করা বলে না।
ফোরামের সক্রিয় জীবিতলোক যাদের সাথে আপনি সহজেই আলোচনা করতে পারেন তাদের জন্য গীবত আইন অবশ্যই খাটে, বিশেষ করে যার সাথে আপনি এক যায়গায় কথা শুরু করার পর কোন কারন দেখানো ছাড়াই আরেক যায়গায় গালিগালাজ শুরু করবেন।
কিন্তু আপনি এক ফোরামে কারো সাথে আলোচনা শুরু করে তার ব্যাখ্যা শেষ হবার আগেই অন্য ফোরামে এত তরফা আপনার কথা শুরু করে দিলে সেটাকে কি উচিত বলা যায়? কারন আপনি ভাল করেই জানেন যে যাকে উদ্দেশ্য করে সেই পোষ্ট দেওয়া তিনি সেই ফোরামে যান না। ওনার বক্তব্য মুক্তমনায় তো প্রকাশ হচ্ছিল, ওনার বক্তব্য প্রকাশ হয়নি এমন অভিযোগ তিনি মুক্তমনা বা সদালাপ কোন যায়গাতেই এখনো করেননি। ওনার কি এটা উচিত হয়েছে? এক তরফা গালিগালাজ করার মধ্যে কৃতিত্ত্বের কিছু নেই। ওনাকে আমি সহ আরো অনেকেই আরো বেশ কিছু প্রশ্ন করেছি যেগুলির জবাব উনি এখনো এখানে দেননি। কিন্তু ভন্ড ফন্ড কি কি বলে আরেক যায়গায় লেখা শুরু করেছেন, প্রচুর বাহবাও পাচ্ছেন (পাবারই কথা)।
ধরা যাক, আপনি আজ সদালাপে একটি লেখা দিলেন, আপনার সাথে সেখানকার কমেন্টে সেকশনে কিছু আলাপ চালালাম। মতের মিল হবে এমন কথা নেই, তবে আলোচনা চলছিল। আলাপ চলা অবস্থায় আমি হঠাত মুক্তমনায় “মাথা মোটা ফুয়াদের গাধামী” গোছের কোন একটা লেখা ছাপালে আপনি আমার সম্বন্ধে কি ধারনা করবেন? এটা উদাহরন হিসেবে নেবেন, কোন ঘটনা নয়।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি মাইক দিয়ে একজাতি বা ধর্ম কে আঘাত করবেন, আর সে কিছু বলতে পারবে না। এটাই আপনার যুক্তিবাদ। এটা কি সাধারন কথা বার্তা? যদি ভবগুরে সাহেব কমেন্টে কিছু লিখতেন, আর সে যদি সে কমেন্টের আলোচনা থেকে থেমে যদি অন্য সাইটে কিছু আর্টিক্যাল লিখ দিল, তাহলে হইত। আপনি অপেন একটি ফোরামে আর্টিক্যল লিখেছেন, আর সে আরেকটি আর্টিক্যাল দিয়ে জবাব দিয়েছে। এখানে পুরাই সমান সমান। কিন্তু আপনাদের যুক্তিবাদে তা ধরা পরল না। আদিল ভাই, কোন দিন তো দেখলাম না, আমার এখানের সামান্য কমেন্ট উপর ভিত্তি করে অন্য ব্লগে আমার নামে আর্টিক্যল হয়ে গেল, কই তার কি কোন প্রতিবাদ করেছিলেন? বলুন। না-হ করেন নি। আমি আপনার কাছে ক্লিয়ার করে তুলে ধরার পরেও কি করেছিলেন? করেন নি। তাহলে কোন মুখে এসব বলেন? সে তো আর্টিক্যালের জবাবে আরেক আর্টিক্যাল লিখেছে। আর তেমন কিছু তো করে নি। আমারটা সামান্য কমেন্ট তাও সরল মনে করেছিলাম জনাব, আগে জানতাম না, আপনাদের মনের ভিতর কি আছে। আর এখানে আমি নিয়মিতই কমেন্ট করতাম। তাও আমার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তাও অন্য ব্লগে যেয়ে। গন্ডারের চামরা থেকে কি আমাকে বলা হয় নি, স্টুপিড, ছাগলের প্রলাপ, গর্দভেরে, রাম ছাগলের বাচ্চা , আরো আনেক কিছু (ঐগুলান একটু হালকা কিংবা না) খোজলেই পাওয়া যাবে। আদিল মাহমুদ ভাই, বাকি গুলিও আপনি দেখেছেন। এসব আমাকে বলে কোন লাভ নেই। সত্য সত্য-ই, কেউ তাকে মিথ্যা করতে পারবে না। ধন্যবাদ। আর আমি ব্যাতীত অন্য কাউরো কাজের জন্য আমি দায়ী নই।
একটি ঘোষনাঃ আমি মুক্তমনা সাইটে এজাবত কালে যত কমেন্ট করেছি, তাতে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমার এখানকার সকল কমেন্ট, আমার সাময়িক অনুভূতি যা আমার শেষ বক্তব্য নয়, এবং ভবিষতে এগুলোর দায় দায়িত্ব আমি নেব না। সবাইকে ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
আপনার ঘোষণার এই বক্তব্য আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই। একটু পরিষ্কার বাংলায় বুঝিয়ে দেবেন আশা করছি। আপনার কমেন্টের দায় দায়িত্ব কেন আপনি ভবিষ্যতে নেবেন না? যে কমেন্টের দায় দায়িত্ব আপনি নিতে অস্বীকার করছেন, মুক্তমনাই বা সেগুলোকে কোন দায় থেকে প্রকাশ করবে?
@ফরিদ আহমেদ,
আপনাকে ধন্যবাদ। মুক্তমনায় আমার করা কমেন্ট মিস ইয়ুজ হয়েছে, অন্য ব্লগে, মুক্তমনার লেখকের দ্বারাই। তাই আমি বুঝতে পেরেছি আমার সরল মনের করা কমেন্ট গুলি আমার বিরুদ্ধেই ব্যাবহার করা হতে পারে। আরো বুঝতে পেরেছি, আমার সকল কমেন্ট ভাষা গত যোগ্যতায় ভুল হয়েছে যা ভিন্ন অর্থতে চলে গেছে, এবং এ জন্য ও আমাকে দায়ী করা হইতে পারে। এবং প্রথম দিকের কমেন্ট গুলিতে ব্যায়াকরন সম্পর্কিত এবং বানান ভুল সম্পর্কিত অনেক ভুল হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমার মনের ভাব পুরোপুরি প্রকাশ-ও করতে পারি নি। এতে আমার বিরুদ্ধে আমার-ই কমেন্ট মিস ইয়ুজ করা খুবই সহজ। তাই, আমি বলে নিয়েছি, যে এগুলো আমার শেষ কথা নয়, যাতে ভবিষতে আমার বিরুদ্ধে এসব ব্যাবহার করা না হয়। কি লিখতে কি লিখেছি, কি বুঝাইতে গিয়ে কি বুঝায়েছি। আশাকরি আপনি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। যদি মনে করেন, আমার কমেন্ট গুলি যদি প্রকাশ হইবার যোগ্য নয়, তাহলে মুছে দিবেন, আমার সকল কমেন্ট। তাহলে অবশ্য-ই আমি আপনার নিকট কৃতজ্ঞ থাকব, কারন হয়ত আমি এটিই চাই। আমি তো আর আরক জনের নাম ধার করে লিখি নাই, নিজের পরিবার কর্তৃক দেওয়া নামে লিখেছি। যাইহোক, আপনাকে আরেকটি বিষয়ে ধন্যবাদ দিতেই হবে, যে যখন নববর্ষের খেতাব দেওয়া হয়েছিল তখন, আপনি আমার নামও এতে দিতে বলেছিলেন এটি আমার খুবই ভাল লেগেছিল, যা আপনাকে বুঝাতে পারব না, এটি এজন্য-ই ভাল লেগেছিল যে আপনি আমাকে মূল্য দিয়েছেন। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
এবং আমার কোন কথা বা কাজ আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকে, তাহলে ক্ষমা করে দিবেন। আমি আইডি পাবার আগে, আপনাকে মডারেশনের জন্য অনেক চাপে ফেলেছি, এজন্য ও দুঃখিত।
@ফুয়াদ,
আমি মুক্তমনার বাইরে শুধুমাত্র সচলায়তনই একমাত্র নিয়মিত পড়ি। অন্য কোন ব্লগে যাওয়া হয় না সেরকম। কাজেই, মুক্তমনার কোন লেখক অন্য কোন ব্লগে আপনার মুক্তমনায় করা কমেন্টকে ব্যবহার করে কি বলেছে সেটা জানি না। লিংক দিলে হয়তো বুঝতে পারতাম। আপনি যেহেতু স্বনামে লেখেন এবং আপনার অবস্থান সবসময়ই একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি সুস্পষ্ট, সেহেতু আপনার করা মুক্তমনার মন্তব্যকে ভিন্নভাবে ব্যবহারের সুযোগ খুব একটা আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা কেউই নিখুঁত নই। অনেক সময়ই হয়তো কোন বিশেষ সময়ে বা বিশেষ প্রেক্ষাপটে কোন একটা মন্তব্য করে ফেলতে পারি, পরে হয়তো দেখা গেলো যে আমি নিজেই আর সেই অবস্থানে নেই, সেক্ষেত্রেও বলে দেওয়া যায় যে, আমি এখন ওই অবস্থানে নেই। এতে লজ্জা বা দ্বিধারতো কিছু দেখি না। ভুল হলেও নিজে বলেছি বলেই আর সেটাকে স্বীকার করা যাবে না এটাতো একধরনের গোঁড়ামিই, তাই না? কাজেই আপনার আগের কোন মন্তব্যে যদি অস্পষ্টতা থেকেও থাকে, আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আপনার মনের ভাবগুলো ঠিকমত প্রকাশ করতে পারেননি তখন, এখন আপনি সেগুলোকে পরিষ্কার করে দিতে পারেন। এতে মনে হয় না কেউ কোন আপত্তি করবে।
আপনি যেহেতু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, সেহেতু ইসলাম, কোরআন বা নবীর সমালোচনাতে খুব সহজেই বিচলিত হয়ে পড়েন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভেবে দেখুন এগুলোর সমালোচনা শুধু মুক্তমনাতেই হচ্ছে না। আপনার এই ধর্মকে আরো ভয়ংকরভাবে আক্রমণ করার জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আন্তর্জালে। মুক্তমনা বরং কোন ধর্মের প্রতিই কোনরকমের পক্ষপাত দেখায় না। যদি ভেবে থাকেন যে, মুক্তমনা শুধু ইসলামের সমালোচনা করে থাকে, তবে আপনার ধারণাটা সম্পূর্ণ রকমের ভুল। মুক্তমনা সব ধর্মকেই অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করে, সব ধর্মকেই মানব সৃষ্ট বলে মনে করে, সব ধর্মকেই সমাজ প্রগতির জন্য অন্তরায় বলে মনে করে থাকে। কিন্তু, কোন ধর্মগোষ্ঠী বা জাতিগোষ্ঠীর প্রতি এর কোন বিদ্বেষ নেই। কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে বৌদ্ধ আর কে খৃষ্টান এটা নিয়ে মুক্তমনার কোন বাছবিচার নেই। সবাইকেই আমরা মানব জাতি হিসাবেই বিবেচনা করি।
আমি নিজে ধর্ম ত্যাগ করেছি সেই কৈশোরেই। জন্মেছিলাম মুসলিম পরিবারে। এখনো পরিবার বা আত্মীস্বজনের মধ্যে আমি ছাড়া আর কোন ধর্মহীন মানুষ নেই। ইসলামের প্রতি কোন অনুরাগ বা বিরাগ, আকর্ষণ বা বিকর্ষণ কোনটাই আমার নেই বহুবছর ধরেই। তা সত্ত্বেও খেয়াল করে দেখবেন যে, কেউ যখনই কোন কিছুর জন্যে শুধুমাত্র ইসলামকে দায়ি করে বা মুসলমানদের দায়ি করে (হয়তো তার জন্যে সব ধর্মই দায়ি, সব ধর্মালম্বী মানুষেরা দায়ি) আমি সাধারণত প্রতিবাদ করি। এই সেদিনও একা যখন নারীমুক্তির প্রতিবন্ধকতার জন্যে ইসলামকেই দায়ি করেছিল, একটা দুইটা হাদিসকে তুলে এনে সেগুলর কারণেই সারা পৃথিবীর নারীমুক্তির পথ রুদ্ধ হয়ে আছে বলেছিল, আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। এটা যে শুধু আমি একা করি তা কিন্তু নয়, মুক্তমনার প্রায় সব নিয়মিত সদস্যই এই কাজটি করে থাকে।
ধর্মবিশ্বাসী লোকজন মুক্তমনায় তর্কে মাতে খুবই কম। মাঝে মাঝে দুই একজন যে আসে না তা নয়। তবে তারা বেশিরভাগই আসে মনের মধ্যে জমানো একরাশ ঘৃণা নিয়ে। তারপর যা হয়, খুব একটা সুবিধা এখানে করতে না পেরে তারা বিদায় নেয় খুব তাড়াতাড়িই। আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যে দীর্ঘদিন টিকে আছেন মুক্তমনায়। আসলে ধর্ম নিয়ে তর্ক করা, এর স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া খুব কঠিন কাজ। আমার মতে, এটাকে বিশ্বাসের পর্যায়ে রেখে দেওয়াটাই সমীচিন। এর মানে এই না যে, আমি আপনাকে তর্ক-বিতর্ক করতে নিষেধ করছি। আপনি এখানে আছেন বলেই না তর্ক-বিতর্কগুলো প্রায়শই জমে উঠে। কাজেই, নিজেকে অত গুরুত্বহীন ভাবার কিছু নেই। মুক্তমনায় যারা আপনার সাথে তর্ক-বিতর্ক করে তারাও মনে হয় না কেউ আপনাকে অতখানি গুরুত্বহীনভাবে। তর্ক-বিতর্কে বিদ্রুপ করা হয়, হাসি-ঠাট্টা করা হয় ঠিকই, তবে সেগুলো সবই নির্দোষ ধরনের। ব্যক্তি আক্রমনের বা ব্যক্তি অপমানের সীমারেখা কেউই মনে হয় না অতিক্রম করে বা করতে চায়।
কাজেই, বিচলিত হবার কিছু নেই, উত্তেজিত হবারও কিছু নেই। কথায় কথায় ক্ষমা চাইবারও কিছু নেই। কেউ উত্তেজিত হয়ে পড়লে তাকে ঠান্ডা করার জন্য আপনি দেখেছি কফির নিমন্ত্রণ দেন বা গোলাপের শুভেচ্ছা পাঠান। এখন আপনাকেও আমি কফির নিমন্ত্রণ দিচ্ছি। কফি খান, মাথা ঠান্ডা করেন, তারপর আবার চক্রাকার যুক্তিতর্ক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন আদিল না হয় আকাশ মালিকের উপর।
আপনার মত এরকম নির্মল বিনোদন দেবার ক্ষমতা মুক্তমনায় আর কারো নেই। 😀
@ফুয়াদ,
প্রথমেই বলে নেই আপনি আপনার নামে ঠিক কোন লেখার কথা বলছেন এ মুহুর্তে মনে পড়ছে না। সত্যই বলছি। আর আমি যে কারোই লেখা দেখলে ঝাঁপ দিয়ে পড়ি সেটা ঠিক নয়, অনেক সময় হয়ত হাতে সময় থাকে না। তবে সেটা অন্য ব্লগে না হয়ে মুক্তমনায় হলে নির্ঘাত প্রতিবাদ করতাম। মুক্তমনার মত অন্য সাইট সিরিয়াসলি নেই না, আপনি আমার ব্লগে আমার অনেক কমেন্ট দেখবেন খুবই শস্তা দরের, গালিগালাজও আছে। কারন ওখানে অনেক সময় স্রেফ নির্দোষ মজা করার জন্য যাই। অনেক পোষ্টই সিরিয়াসলি নেই না। আবারো বলছি, সেটা অন্য ব্লগে না হয়ে মুক্তমনায় হলে নির্ঘাত প্রতিবাদ করতাম। আপনার প্রতি কিছু তীর্যক মন্তব্যের প্রতিবাদ কিন্তু মুক্তমনায় আমি ছাড়াও অন্য কেউ কেউ অতীতে করেছে।
আমার ব্লগে কিন্তু কিছুদিন আগে বিশিষ্ট সদালাপী লেখক সারোয়ার সাহেব জাফর ইকবালের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে মুক্তমনাদের টানাটানি জাতীয় কি এক লেখা লিখেছিলেন। তার অনেক কথাই যথেষ্ট আপত্তিকর ছিল, সত্যের অপলাপ আছে। সেখানে আরেক বিশিষ্ট মুক্তমনা হেটারও ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। সেই থ্রেডেও কিন্তু আমি একটি মন্তব্যও করিনি। চুপচাপ পরম ধার্মিকদের ধর্ম চর্চা দেখেছি আর হেসেছি। ঐ লেখাও সিরিয়াস কিছু মনে হয়নি (মজার কিছু মন্তব্য মনে হলে এখনো হাসি পায়)। ওনার সেই লেখা লেখার অধিকার আছে, কারন তিনি মুক্তমনায় আলোচনা শুরু করেননি। যদিও ভদ্রতার খাতিরে হলেও ওনার প্রথম চেষ্টা করা উচিত ছিল সেই লেখা মুক্তমনায় প্রকাশের চেষ্টা করা, তারপর অন্য যায়গায়। যে সাইটের মূল লেখা সে সাইটেই প্রথম প্রতিবাদ বা পালটা বক্তব্য আসা উচিত, সেটাই সাধারন নিয়ম।
আর, মনে দূঃখ পাবেন না, কথা যখন উঠলই তাই সত্যের খাতিরে বলতে হচ্ছে যে আপনার বেশীরভাগ কথাই আমি সিরিয়াসলি নেই না। হয়ত দোষ আমার। কি বলছেন, কি প্রসংগ তা বোঝা বেশীরভাগ সময়ই খুব কঠিন হয়।
প্রতিবাদ প্রসংগে আমাকে যেমন চার্জ করলেন, আপনাকেও অনেক কিছু নিয়েই করতে পারি। তার তেমন দরকার আমি দেখি না, কারন আপনাকে আমি বুঝি। ছোট একটি উদাহারনঃ, আল মুর্শেদ সাহেব মুক্তমনা নিয়ে প্রায়ই অনেক কিছুই লেখেন, ভন্ড নাস্তিক হেন তেন। খালি লেখেন না মুক্তমনার সাথে ওনার ব্যাক্তিগত সমস্যার ভিত্তি সেই অশ্লীল কৌতুকগুলির কথা। যা আপনিও জানেন। কোনদিন সদালাপে ঊনি যখন এক তরফা মুক্তমনা ভন্ড নাস্তিক বলে গালাগালি করেন তখন কোনদিন বলেছেন? কারো আড়ালে আপ ঝাপ গালিগালাজ দেওয়ার মাঝে বীরত্বের কিছু নেই। তাই আমি বা মুক্তমনার কেউ সদালাপে কি লেখা হল সেগুলি নিয়ে মাতামাতি করে সময় নষ্ট করি না, সে রূচি বা সময় আমাদের কারোই নেই। নইলে বাংলা সাহিত্য অনেক নির্মল বিনোদন পেত।
“আপনি মাইক দিয়ে একজাতি বা ধর্ম কে আঘাত করবেন, আর সে কিছু বলতে পারবে না। এটাই আপনার যুক্তিবাদ।“
– কে বলেছে কেউ কিছু বলতে পারবে না? সেই বলতে পারার নাম কি ভন্ড নাস্তিক হেন তেন?
–
– ধর্মের বিরুদ্ধে ভুল কিছু বললে সেটা যুক্তি দিয়ে প্রমান করেন। মিথ্যা প্রমান করে দেন। ব্যাক্তিগত আক্রমন কেন লাগবে? কারো কাছে কোরানে ব্যাকরন ভুল মনে হলে প্রমান করে দেন ভুল নেই। তার জন্য গালি কেন দিতে হবে? আপনার কাছে কোরান বা নবী পরম সম্মানের হলেও সবার কাছে তো তা না। আপনি যা অন্ধবিশ্বাসে মেনে নেবেন অবিশ্বাসীরা তা কেন মানবে? তারা ফাঁক বের করতে চেষ্টা করবেই। আজকে কেউ ইসলামেরই কোন সহি হাদীস রেফারেন্স দিয়ে নবী মোহাম্মদের চরিত্রের কোন দিক ব্যাখ্যা করলে তাকে ইসলাম বিদ্বেষী, কাফের নাসারার পেইড এজেন্ট এসব গালি শুরু করা সূস্থা মাথার কাজ, নাকি সেই হাদীস ভুল প্রমান করা সূস্থ যুক্তির কাজ?
–
জাতিগত মন্তব্য ঠিক গ্রহনযোগ্য না হলেও অনেক সময়ই আমরা সবাই করি, করতে হয়। যেমন, নিজেরা বাংগালী হয়েও বাঙ্গালী কু-অভ্যাস নিয়ে অনেক কথা বলি, হাসি ঠাট্টা করি। সেই হিসেবেই মুসলমানদেরও জাতিগত কিছু বৈষিষ্ট্য আছে, বাড়াবাড়ি বা মিথ্যা না হলেও তা আলোচনা করতে সমস্যা কোথায়? বাড়াবাড়ি হলেও আমরাই প্রতিবাদ করি। কিছুদিন আগেই এখানেই আমরা অনেকেই করেছি।
“আপনি অপেন একটি ফোরামে আর্টিক্যল লিখেছেন, আর সে আরেকটি আর্টিক্যাল দিয়ে জবাব দিয়েছে। এখানে পুরাই সমান সমান। কিন্তু আপনাদের যুক্তিবাদে তা ধরা পরল না।“
-আপনি ঠান্ডা মাথায় আবারো ভাবেন। আপনি সদালাপে একটি লেখা দিলেন, আমি সেখানে কোন প্রতিবাদ বা আলোচনায় না গিয়ে সোজা মুক্তমনায় আপনাকে গালি দিয়ে লেখা শুরু করলাম। এটা কি আমার উচিত? নাকি উচিত প্রতিবাদ প্রথম সদালাপে পাঠানো? সংবাদপত্র জগতেও এমন একটা নিয়ম আছে। মানহানির মামলা করতে গেলেও আগে সেই সংবাদপত্রে প্রতিবাদ পাঠাতে হয়, তারা না ছাপলে তারপর অন্য যায়গায়। আনাস জীবনে সদালাপে লেখেনি, সে সদালাপ হয়ত জীবনে নাও দেখতে পারে। মুক্তমনায় তার লেখার প্রতি কোন প্রশ্ন থাকলে আপনি মুক্তমনায় পাঠানোর চেষ্টা না করে সদালাপে প্রশ্ন/চ্যালেনজ় করে বসার কোন মানে আছে? আবার তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত টেনে ফেলা যে সে পালিয়েছে এগুলি সূস্থ মাথার লক্ষন?
আর আপনার মুরাদ সাহেব সাদালাপে এখানকার কমেন্টই লেখা আকারে দিয়েছেন, নুতন কিছুই লেখেননি। শুধু নাস্তিকদের প্রতি মনের জন্মগত ঘৃণা যা উনি এখানে উগরাতে পারছিলেন না তা ওখানে ঢেলেছেন। সাথে সাথে অনেক বাহবাও পেয়েছেন, যা উনি এখানে মিস করছিলেন। ওনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সেটাই।
@আকাশ মালিক,
“কোন লেখকের লেখার প্রত্যুত্তরে আপনি একটি সমালোচনামূলক লেখা বা গঠনমূলক, যৌক্তিক আলোচনা এখানেও করতে পারতেন। অন্যব্লগে মানুষের পেছনে ঘৃণা বা শ্লেষাত্বক কথা বলাকে গীবত বলা হয়।”
মুরাদ সাহেব এই পোস্টে ইতিমধ্যে তার যুক্তি ব্যাখ্যা করেছেন (ব্লাডি সিভিলিযানের করা ৫ নং কমেন্টের বিপরীতে করা সর্বশেষ জবাব টি) এবং এর বিপরীতে কোন উত্তর না পেয়ে সদালাপে গিয়ে তার বর্ননা করেছেন। আমার মনে হয় এই পোস্টে মুরাদ সাহেবের কমেন্টটা সবার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। আমি সে দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
@মিঠুন,
কোন চলমান আলোচনায় জবাব পেতে কিছু সময় দিতে হয়। আলোচনার মাঝখান থেকে, বিশেষ করে যেখানে তার কথা এখানে সবই প্রকাশ হচ্ছিল, প্রকাশ করা হয়নি এমন অভিযোগ উনি নিজেও করেননি সেখানে আরেক যায়গায় গিয়ে ব্যাক্তিগত বিদ্বেষ মূলক পোষ্ট ছাপানোর মানে কি?
ফোরামে তো কেউ ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা থাকে না। ব্যাস্ততা কম বেশী সবার আছে।
উনি যদি আগে অভিযোগ করতেন যে মুক্তমনায় ওনার বক্তব্য প্রকাশ হচ্ছে না তাহলে কথা ছিল।
@আদিল ভাই,
আস
আমারও একই কথা আদিল ভাই। মুক্তমনার কোন আর্টিকেলের জবাব, মুক্তমনার আলোচনায অংশগ্রহন না করে বা মুক্তমনায় না ছাপিয়ে অন্যব্লগে ছাপানো কোন ধরনের নৈতিকতার মধ্যে পড়ে তা বোধগম্য হচ্ছে না। আর নৈতিকতার স্বত্বাধীকারী আস্তিকদের চোখে এটা মোটেও অনৈতিক কাজ নয়- এটা ভেবে বুকের মধ্যে চিন চিন ব্যথা হচ্ছে।
@মিঠুন,
সদালাপের সম্পাদক সাহেব এধরনের কাজ করে অভ্যস্ত। এগুলো যে অনৈতিক কাজ সেই বিষয়টিই মনে হয় তিনি অনুধাবন করতে পারেন না।
অনেক আগে মুক্তমনায় প্রকাশিত আমার একটি লেখাকে টেনে এনে মোস্তফা কামাল নামে এক ভদ্রলোক আমাকে গালমন্দ করে একটি লেখা লিখেছিল। আমার গায়ের চামড়া গন্ডারের মতন। গালমন্দ করলেও চামড়া ভেদ করে গায়ে লাগে না। তারপরেও আমি সম্পাদক সাহেবকে অনুরোধ করেছিলাম লেখাটি সরিয়ে দিতে শুধুমাত্র নৈতিকতার খাতিরে। কারণ লেখাটি সদালাপে প্রকাশ হয়নি বা মোস্তফা কামাল সাহেবও আমার লেখার কোন লিংক তার লেখায় দেননি। বলাবাহুল্য সম্পাদক সাহেব আমার সেই অনুরোধ রাখেননি। পরে আমি আমার এক লেখায় সেই বিষয়টি উল্লেখ করলে সম্পাদক সাহেব ক্রোধান্বিত হয়ে একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠান। আমিও তার একটা পালটা জবাব দিয়েছিলাম তখন।
@মিঠুন,
এ প্রসংগে এটাই বলি যা আমাদের ফুয়াদ ভাই কিছুতেই বুঝতে পারছেন না, খালি “অপেন ফোরাম” বলে যাচ্ছেন। ওপেন ফোরামের যেকোন লেখাই অন্য যে কোন সাইটে আলোচিত সমালোচিত হতেই পারে। এটা তে কে দ্বি-মত করেছে? কারো ব্যাক্তিগত পছন্দ থাকতে পারে, অন্য কোন ব্যাক্তিগত সমস্যাও থাকতে পারে।
উনি যেটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তা হল যে সেই সমালোচনা প্রথম পাঠানো উচিত মূল লেখার সাইটে। কারন সেই লেখার সমালোচনার পালটা জবাব দেবার অধিকার সেই লেখকের থাকে। তাকে সেই সুযোগ দেবার জন্যই এই নীতি অনুসরন করা উচিত। এটা সংবাদপত্র জগতে সাধারনত পালন করা হয়।
তা না করে বিনা নোটিসে আরেক সাইটে লেখা শুরু করলে মনে হতেই পারে যে সমালোচনাকারী সেই লেখকের কোন মন্তব্য বা ডিফেন্স আমলে আনতে চান না। নিজের কথা বা ব্যাক্তি বিদ্বেষই শুধু বলে যেতে উনি আগ্রহী।
ফুয়াদ ভাই খালি ওপেন ফোরামের দোহাই দিচ্ছেন, কিন্তু মূল সাইটে লেখা পাঠানোর চেষ্টা না করার কারন কি সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র আলোকপাত করছেন না। উনি বলতে না চাইলেও বোঝা এমন কিছু কষ্টকর নয়। মূল সাইটে লেখা পাঠালে কি সমস্যা তা উনি আশা করি ব্যাখ্যা করবেন।
@MURAD,
আচ্ছা, আপনি বকলম সাহেবের সোজা কথার সোজা ও প্রাসংগিক উত্তর না দিয়ে যেগুলো কথা বলেন সেগুলো থেকে ঠিক বুঝা যায়না আসলে আপনি কি বলতে চান। :-/
নাকি কোরান শরিফের মতো আপনি ভাব নিয়ে আকারে ইংগিতে কথা বলেন যার অর্থ আমাদের মতো সাধারন লোকদের প্রানান্তকর প্রচেষ্টা করে বুঝে নিতে হ্য়, সে বুঝা ঠিক বা ভুল দুটোই হতে পারে। :-X
@বকলম,
আপনার উল্লোখিত বক্তব্য দিবার আগে আল কুরান খানা আগে পড়ে আসেন। আমি এই ফোরামে আগেও একবার দিয়েছি, এখন ও দিতেছি, কিন্তু আপনি যে কানে নিবেন না, তা ভাল করেই জানি। তিন খানা অনুবাদ ই দিতাছি। এই ফোরামের একজন বলেছিলেন যে ইউসুফ আলী, পিকথাল আধুনিক ইংরেজি শিক্ষিত মুসলমানরা যে মিথ্যাচার করেন নি,(তার প্রমান কি বা তারপর কি হাবি জাবি জানি কি বলেছিলেন)। যাইহোক, এই তিনি জনের মধ্যে পিকথাল সাহেবকে আরবি শিক্ষিত বলা যায়, উনার মার্তৃভাষা ইংরেজি কারন এনি একজন ইংরেজ, ইংরেজি শিক্ষিত মুসলমান না, তিনি আরবি শিক্ষিত মুসলমান। কাহিনী উনার ক্ষেত্রে উলটা। আবার ইউসুফ আলী ভারতীয় , শাকির আরব, ইংরেজি শিক্ষিত মুসলিম। তাই, তিন-পক্ষই হল।
এবার আয়াত খানা দেখেন, দেখলেও উলটা পালটা কইবেন জানি, কারন কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।
আমার প্রশ্নটি ছিল খুবই সোজা আর সরাসরি। না বুঝে থাকলে আবারো করছি? আজ পর্যন্ত এমন কোন ইংরেজি বা বাংলা অনুবাদ কি আছে যা প্রকৃত কোরানের অর্থকে প্রকাশ করে? হলে সেটি কোনটি? না হলে বিকৃত অনুবাদগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে না কেন?
উপরোক্ত অনুবাদগুলো যে দিলেন (ইউসুফ আলী, শাকির, পিকথাল) সেগুলো কি সঠিক অনুবাদ? কিভাবে বুঝলেন? এদের অনুবাদ সঠিক না হলে কেন শুধু শুধু এই বিকৃত অনুবাদগুলো ব্যবহার করছেন? এটা কি কোরান অবমাননার সমতুল্য হচ্ছেনা?
কোরানের অর্থ যদি একমাত্র আল্লাহই জানেন, তাহলে আপনি কিসের ভিত্তিতে তাকে মানছেন? কারন আল্লা ছাড়াতো কোরানের অর্থ আর কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। (উপরোক্ত আয়াত অনুসারে)। শুধু মাত্র জ্ঞানীরাই কোরান বুঝেন? তাহলে আপনি কি সেই জ্ঞান লাভ করেছেন?
কয়লা ধুইলে ময়লা টাইপের হাবিজাবি (অধিকাংশ মুসলমানরা যা করে। এধরনের কথাবার্তা যুক্তির ভাষা নয়, কিন্তু মুসলিমদের যুক্তিজ্ঞান নিয়ে কিছু বলতে চাইনা) না বলে দয়াকরে আমার জ্ঞানতৃষ্ণা নিবারণ করুন।
@বকলম,
প্রতিটি অনুবাদেই কিছু না কিছু ভুল থাকে, তা যদি না জানেন তাহলে আপনার শিক্ষা কে ধিক জানাই। আর কিছুই বলার নেই।
@ফুয়াদ,
ইংরেজি অনুবাদ কপি ও পেষ্ট না করে বকলমের সোজা কথার দয়া করে সোজা উত্তর দিলে বাধিত হবো। বকলমের প্রশ্ন ছিল:
আপনি বললেন:
“তাই, তিন-পক্ষই হল।” — মানে কি? শুধু বলুন পিকথাল, ইউসুফ আলী এবং শাকির তিনজনের মধ্যে কার অনুবাদ সঠিক বলে আপনি মনে করছেন? নাকি তিনজনের অনুবাদই সঠিক, হলে কারটা বেশী কারটা কম, অথবা অন্য কারও অনুবাদ সঠিক বলে আপনার দাবী। আর কেন আপনি কোন নির্দিষ্ট অনুবাদ সঠিক মনে করছেন সেটারও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা (কে আরবি শিক্ষিত মুসলমান, কে ইংরেজি শিক্ষিত মুসলিম এসব ব্যাখ্যা ঠিক কি অর্থ করে বোঝা মুশকিল) দয়া করে দিবেন কি?
কুরআনের শব্দবিন্যাস এত সুক্ষ অন্য ভাষার লোকদের পক্ষে সঠিক বুঝা সহজ না।
যারা সত্যিকার আরবি ভাষাভাষী লোক তারা কিন্তু কেউ বলতেছে না ভুল আছে।
কারন তারা যানে আসলে শব্দের ব্যবহার কোথায় কেমন।
তারা কিন্তু ঠিক ই বুঝতাছে আসল অর্থ কি।
বাংলায় আসলে অনেক শব্দের সঠিক অর্থ আসে না তবুও বুজানোর জন্য অনুবাদে শব্দ ব্যবহার করা হয়।
আরবী আরো শিখতে হবে আপনাকে। বাংলা ব্যকরন দিয়ে আরবী ব্যকরনের তুলনা করতেছেন।
@তামীম,
আপনি বলছেন মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কোন দ্বিধা নেই। ধর্মগ্রন্থে অবিশ্বাসীদেরই যত দ্বিধা ও প্রশ্ন। আবার বলছেন মানুষের জ্ঞানের সীমারেখা যখন অতিক্রম করে তখন তার মনে প্রশ্ন জাগে। তাহলে কি ধর্মগ্রন্থে অবিশ্বাসীগনই শুধু মানুষ, মুসলমানরা মানুষ নন? অথবা বলতে হয় মুসলমানদের জ্ঞানের সীমারেখা অতিক্রম করে যখন তাদের মনে প্রশ্ন জাগে তখন তারা আর মানুষ থাকতে পারেননা। 😕
@তামীম,
দুঃখিত, শেষের লাইনটি
হবে
“অথবা বলতে হয় মুসলমানদের জ্ঞানের সীমারেখা অতিক্রম করে যখন তাদের মনে প্রশ্ন জাগে তখন তারা আবার মানুষ হয়ে উঠেন।”
তামীম,
ধন্যবাদ অন্তত হাসাহাসির জগত থেকে বের হয়ে প্রাসংগিক কথা বলায়।
প্রথমেই বলি, আপনার বক্তব্য এখনো পরিষ্কার হল না। ফুয়াদ ভাই এর কথায় যতটুকু বুঝেছি যে কোরানের ব্যাকরনে কোন ভুল নেই কারন কোরানে যাইই লেখা আছে সেটাই আসল ব্যাকরন (ভুল বুঝলে ফুয়াদ ভাই সংশোধন করবেন, আগেও জিজ্ঞাসা করেছিলাম)।
আপনার কথায় যা বুঝলাম যে আপনি নিশ্চিত নন ব্যাকরনের ভুল আছে কি নেই এ ব্যাপারে। তবে আপনার কথা হল যে ব্যাকরনে ভুল থাকলেও তাতে কিছুই যায় আসে না। তাই না? ব্যাকরনে ভুল থাকলেও থাকতে পারে বলে আপনি সম্ভাবনার মধ্যে রেখেছেন। সে আলোকে নীচের প্যারা লিখছি।
আপনার কথায় যা বুঝলাম যে কোরানে যেকোন প্রকার ভুল ত্রুটি প্রমানিত হলেও আপনার অবস্থান একই থাকবে। আচ্ছা, আপনি অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ না মেনে শুধু কোরানই কেন মানেন? নিশ্চয়ই অন্য ধর্মগ্রন্থগুলিতে কিছু পরিমানে হলেও ভুল ত্রুটি আছে যা আপনাকে সেসব ধর্মগ্রন্থের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেনি। এখন সেসব ধর্মগ্রন্থের অনুসারীরাও যদি বলে যে তুমি যতই ভুল ত্রুটি দেখাও তাতে কিছু যায় আসে না। মানি যে ভুল আছে, তবে তারপরেও আমরা আমাদের গ্রন্থই সত্য বলে মানব। তুমি ব্যাকরনের ভুল কি বিজ্ঞানের ভুল যতই দেখাও না কেন আমি শুধু হাসি দিব। বিজ্ঞানের ভুল দেখাচ্ছো? বাইবেলে লেখা আছে পৃথিবীর বয়স ৬ হাজার আর তোমার বিজ্ঞানে বলে ৪০০ কোটি? কিচ্ছু যায় আসে না, কারন বিজ্ঞান ও সময়ের সাথে বদলে যায়। একদিন বিজ্ঞান অবশ্যই স্বীকার করবে তাদের ভুল, পৃথিবীর বয়স আসলেই ৬ হাজার। এদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি হবে?
আপনার ছোট ভাই এর উদাহরন পুরো ধরতে পারিনি। তবে এটা তো সত্য যে কোরানের বহু আয়াত, আদেশ নির্দেশ নিয়ে বাঘা বাঘা আরবী বিশেষজ্ঞদের মাঝেই সুষ্পষ্ট দ্বি-মত আছে। কাজেই কোরান ঘটিত ব্যাপারে মানুষের বোঝার যথেষ্ট সমস্যাই হচ্ছে বলতে হবে।
কেউ আমাকে long time no see মুখে বলতে পারে, ব্যাক্তিগত ই-মেল বা চিঠিতে লিখতে পারে। সেক্ষেত্রে কোন ভুল নেই। তবে আপনি যখন ফর্মাল কাউকে সম্বোধন করবেন তখন কি এমন গ্রামার ব্যাবহার করবেন? কিংবা ফর্মাল চিঠিতে?
কেউ যদি একটি বই লিখেন তবে সেই বইতে জেনে শুনে কি কোন পাগলেও এই ধরনের গ্রামার ব্যাবহার করবে? বিশেষ করে কেউ যদি আশা করেন যে তার লিখিত সেই বই বহুদিন ধরে বিশ্বের বহু কোটি মানুষে পড়বে?
তাই আপনার আপনার long time no see খুব ভাল উদাহরন হল না।
ব্যাকরন বা ভাষা সদা পরিবর্তনশীল, খুবই সত্য কথা। এক এক ভাষার জন্য এই পরিবর্তনের হার ভিন্ন, তবে পরিবর্তন অবশ্যই হয়। পরিবর্তন হলেও long time no see জাতীয় পরিবর্তন হয় না। আপনি নিশ্চয়ই আশা করবেন না যে ৫০০ বছর পর ইংরেজী ভাষা বিবর্তিত হয়ে এ ধরনের গ্রামার ব্যাবহার করবে, আর সেই আশায় আজকের দিনে তেমন ব্যাকরন ব্যাবহার করে রিরিয়াস একটা বই লিখে ফেলবেন। লিখবেন কি?
আল্লাহ নিজের কাছে কেন নিজে সাহায্য চান বা চাঁদ তারার শপথ নেন তার সাথে ব্যাকরনের পরিবর্তনের তেমন কোন সম্পর্কে আছে বলে মনে হয় না। অনুবাদকেরও ভূমিকা আছে বলে মনে হয় না।
ব্যাকরনের ভুল ভিন্ন প্রসংগ।
তবে আপনার কথায় খুব চমতকার একটি ভাব ফুটে উঠেছে যা কোরান সম্পর্কে আমিও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। ব্যাকরনের মতই জগতের কিছুই স্থির নয়, সময়ের সাথে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়। মানবিক মূল্যবোধ, আইন কানুন, সামাজিক রীতি সবই পরিবর্তন হয়। তাই কোরানের ভুল ত্রুটি নিয়ে আলোচনা মূল্যহীন। কারন যুগের সাথে কোরানের অনেক রীতি নীতিই আজকের যুগে চলে না, দূঃখজনক হলেও সত্য। কাজেই যারা আজকের দিনে চুরির শাস্তি হাত কাটা, জ্বীনার শাস্তি দোররা মারা বা মাটিতে পুতে ফেলা এ জাতীয় কোরানিক আইন কানুন চালু করার স্বপ্ন দেখেন তাদের প্রতি করুনা করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।
কোরান নিয়ে মুসলমানদের দ্বিধা সংশয় নেই। তেমনি গোড়া একজন হিন্দুর মাঝেও তার ধর্ম নিয়ে কোন সংশয় নেই। কাজেই কোন ধর্মই ভুল নয়। এই সিদ্ধান্তে আমরা উপনিত হতে পারি যে আল্লাহ, মা কালী, মহিষাষুর সবই একই সাথে সত্য।
আমরা যারা আরবি বুঝিনা, মানে আরবিতে অশিক্ষিত, তাদের জন্য কোরান বুঝার উপায় কি?আরবি শেখা? না অনূবাদের উপর ভরসা করা? আমাদের মনে করার যথেস্ঠ কারন রয়েছে, যারা কোরান অনূবাদ করেছেন তারা খুব ভাল ভাবেই আরবি জানেন এবং বুঝেন (ব্যাকরন সহ 😀 ) ।এখন ফুয়াদ সাহেবরা যত কথাই বলেন, আমাদের মত আরবিতে অশিক্ষিত লোকজন অনূবাদ ভরসা করেই কোরানের ভুলক্রটি তুলে ধরব, তাতে উনারা খুশি হোন বা না হোন।
উনারা এক কাজ করতে পারেন, সমস্হ অনূবাদকৃত কোরান নিশিদ্ধ করার আন্দোলন করতে পারেন অথবা উনারা নিজেরা একটি “সহি” অনূবাদ আমাদের উপহার দিতে পারেন। এটা না করা পর্যন্ত “just keep your mouth shut”
@ফরহাদ,
আপনার একই মন্তব্য দুবার প্রকাশ হয়েছে, একটা মুছে দিন আর শেষের ইংরেজী লাইনটাও প্লীজ।
বহুক্ষণ অপেক্ষার পরেও আমার এবং আদিল ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে আবার কিছু কথা লিখতে হলো। আসলেই আমি চাইনা অনর্থক একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নিস্ফল তর্ক করে মন্তব্য দিয়ে ফ্লাডিং করতে। মানব জীবনের আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী নিয়ে মুক্তমনায় আলোচনা হচ্ছে, আমাদের সেদিকেই দৃষ্টিপাত করা উচিৎ।
ফুয়াদ সাহেব যে বাক্যগুলো, নিজে পড়তে না পেরেও আমাদেরকে পরীক্ষা করতে কপি-পেস্ট করেছিলেন, তা আমি পড়তে পারি, অর্থও বুঝি। মুক্তমনায় হয়তো আরো অনেকেই আছেন যারা, জের, জবর, পেশ ইত্যাদি স্বরচিহ্ন ছাড়াও আরবী পড়তে পারেন। তন্মধ্যে সৈ্কত ও আনাস ভাইয়ের নাম উল্লেখযোগ্য। আরবের স্থানীয় মানুষ না হয়ে অথবা আরবী গ্রামার না জেনে, জের, জবর, পেশ ইত্যাদি স্বরচিহ্ন বিহীন আরবী লেখা অন্য কারো পক্ষে পড়া সম্ভব নয়। আজ যদি বাংলাদেশের সকল কোরান থেকে আরবী স্বরচিহ্ন (যদিও ওগুলো বাংলার পদ্ধতিতে ব্যবহার হয়না) উঠিয়ে দেয়া হয়, ১৪ কোটি মুসলমানের মধ্যে ১৩ কোটি মুসলমান কোরান পড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে, কারণ তারা আরবী গ্রামার জানেন না। ফুয়াদ ভাই এই ১৩ কোটির একজন। তিনি একটি আরবী টেক্সট দেখিয়ে আমার পরীক্ষা নিচ্ছেন, আমি তা শুদ্ধ করে পড়তে পারি কি না, অথচ তিনি নিজেই পড়তে জানেন না। এবার বুঝুন ঠেলা কারে কয়।
কোরানে এই স্বরচিহ্ন যোগ হয়েছে নবীর মৃত্যুর বহু পরে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, মুসলমানরা দাবী করেন যে, কোরানের একটা দাড়ি, কমা কেউ রদবদল, যোগ-বিয়োগ করতে পারবেনা, তাহলে কোরানের উপর এই টেইলারিং কাজটা কারা, কখন, কোন অধিকারে করলেন? আল্লাহই বা তার ওয়াদা অনুযায়ী কোরানকে অস্ত্রপাচার থেকে রক্ষা করলেন না কেন? আজব এই দুনিয়া, তার চেয়েও অধিক আজব দুনিয়ার মানুষ।
@আকাশ মালিক,
খুবই সত্য বলেছেন। এই ফালতু বিষয়ে সময় নষ্ট করার মানে দেখি না। ফুয়াদ ভাই কি যেন ধরে ফেলে খুব খুশী হয়েছিলেন বিধায় কৌতূহল বোধ করেছিলাম। যদিও উনি পরিষকার করেননি কি ধরে ফেলেছেন।
ওনারা যারা বেজায় ফূর্তিতে আছেন তাদের জিজ্ঞাসাও করেছিলাম যে কোরান এভাবে জের যবর, পেশ ছাড়াই লেখা কিনা। কেউ সে প্রশ্নের জবাব দেননি, তবে অট্টহাসি দিয়েছেন।
-এটার ভিত্তী কি? মানে কোথা থেকে জানলেন? এ সম্পর্কে ফুয়াদ ভাইরা কি বলেন? এটা তো খুবই গুরুতর কথা।
@আদিল মাহমুদ,
“কোরানে এই স্বরচিহ্ন যোগ হয়েছে নবীর মৃত্যুর বহু পরে”
-এটার ভিত্তী কি? মানে কোথা থেকে জানলেন? এ সম্পর্কে ফুয়াদ ভাইরা কি বলেন? এটা তো খুবই গুরুতর কথা।
আপনি যেহেতু বিষয়টা গুরুতর মনে করছেন এবং এ ব্যাপারে জানার আগ্রহ আছে তাই কিছু তথ্য দিলাম। জন্মের পর থেকে দেখে আসছেন এই অক্ষরগুলো, সুতরাং না চেনার কোন কারণ নেই। যদি মক্ষরগুলোর (ডট) বা বিন্দু বা নোখতা সরিয়ে দেই কেমন হবে? আপনি পারবেন কোরান পড়তে? ق ب ت ث ج ض এই নোখতাও একসময় ছিলনা, জের, জবর , পেশ, মোদ্দা, তাশদীদ ইত্যাদি তো দূরের কথা। এই দেখুন মূল কোরান।
এ হলো সুরা আরাফের ৬৬/৬৭ নম্বর দুটো আয়াত। ঐ আয়াতগুলো এবার এখানে পড়ুন।
বিবর্তনের পথে কোন্ কোন্ শাসনকর্তার হাত ধরে কোন কোন যুগে কোরান, কোথা থেকে কোথায় এসেছে, তা ফুয়াদ ভাইয়েরা না জানলেও আমরা ভালই জানি। সংকর জাতীয় বহু দেশী বিদেশী আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রনে মুহাম্মদ তার ব্যক্তিক, দৈশিক, পারিবারিক ও রাজনৈ্তিক স্বার্থ লক্ষ্য অর্জনে কিছু কথা বলেছিলেন, তা ঐশ্বরিক বাণী বা ত্রুটিহীন ভাষা হতে পারেনা। এর চেয়ে উন্নতমানের ভাষার সাহিত্য আরবে মুহাম্মদের জন্মের পূর্বেও ছিল। মুসলিম শাসকগণ তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে, রাজনৈতিক স্বার্থে কোরানকে বর্তমান রূপে আনতে ধাপে ধাপে সংকলন কমিটি করে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করেছেন। এতে মূল কোরান থেকে কতো অক্ষর, কতো শব্দ, এমন কি অনেক বাক্যও যে উধাও হয়েছে, তা আরবের ইতিহাসে লিখা আছে।
@আকাশ মালিক,
অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য। আমি নিজে আরবী পড়তে জানি না, তাই অনেকটা অসহায়ের মতই আপনাদের বাহাস দেখছিলাম। তবে আপনার গুরুতর অভিযোগ শুনে চমকে উঠেছিলাম। এখন মনে পড়ছে যে এসব চিহ্ন ছাড়াও আরবী লেখা ও পড়া যায় যদিও সবাই তা পারেন না।
মুসলিম মননে কোরানের অথেন্টিসিটি মনে হয় আল্লাহর অস্তিত্বের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার। কোরানের অথেন্টিসিটি নিয়ে অনেক লেখাই পড়েছি; সবচেয়ে প্রশ্নবোধক মনে হয়েছে খলিফা ঊসমানের সংকলন কমিটির ভূমিকা। তবে এই অতি প্রান্তিক যের যবর নোক্তা বিষয়ক সমালোচনা এই প্রথম শুনলাম, তাই আশ্চর্য লেগেছে। এত বেসিক একটি বিষয়ে কোন আলোচনা সমালোচনা নেই কেন? এটা সত্য হলে তো মূল কোরান আর আমরা এখন যে কোরান দেখি তা নি:সন্দেহে এক নয়। তর্ক করা যায় হয়ত যে তাতে অর্থের কোন পরিবর্তন ঘটেনি, অর্থই আসল প্রতিপাদ্য।
অর্থ কতটা বদল হয়েছে বলতে পারব না, তবে কোরানে বিন্দুমাত্র মানুষের কারিগরি নেই; নাজিল হবার পর থেকে ১০০% খাঁটি আছে এই দাবী তো টেকে না।
ফুয়াদ ভাই আশা করি ফলো করছেন। কিছু বলবেন কি (অবশ্যই যুক্তি ও তথ্যপূর্ন)?
@আদিল মাহমুদ,
এই লেখাটাও পড়িতে পারেন। ভালোই লেগেছিলো।
অ.ট.: আমি অবাক যে আপনি এই তথ্য জানতেন না। ব্যক্তিগত মতামত। 😀
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ধন্যবাদ। আমি নিজে ঘাটাঘাটি করে এসব বের করি না, নেহায়েত পরিচিত বাংলা সাইটে যেগুলি প্রকাশ হয় পড়ি। সব বাংলা সাইটেও নানান কারনে যাই না।
এ পর্যন্ত মালিক ভাই এর পয়েন্ট করা বিষয়ের উপর কোন আর্গুমেন্ট বা তার রিফিউটাল চোখে পড়েনি। বাংলা ভাষায় এসব বিতর্ক মন্দ লাগে না।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
পড়লাম, চমতকার লাগল। নাস্তিক ভাই এর পাল্টা আর কোন লেখা দেখলাম না, কৌতূহল হচ্ছে এর পালটা কি হতে পারে ভেবে।
আবারো ধন্যবাদ।
আমরা যারা আরবি বুঝিনা, মানে আরবিতে অশিক্ষিত, তাদের জন্য কোরান বুঝার উপায় কি?আরবি শেখা? না অনূবাদের উপর ভরসা করা? আমাদের মনে করার যথেস্ঠ কারন রয়েছে, যারা কোরান অনূবাদ করেছেন তারা খুব ভাল ভাবেই আরবি জানেন এবং বুঝেন (ব্যাকরন সহ 😀 ) ।এখন ফুয়াদ সাহেবরা যত কথাই বলেন, আমাদের মত আরবিতে অশিক্ষিত লোকজন অনূবাদ ভরসা করেই কোরানের ভুলক্রটি তুলে ধরব, তাতে উনারা খুশি হোন বা না হোন।
উনারা এক কাজ করতে পারেন, সমস্হ অনূবাদকৃত কোরান নিশিদ্ব করার আন্দোলন করতে পারেন অথবা উনারা নিজেরা একটি “সহি” অনূবাদ আমাদের উপহার দিতে পারেন। এটা না করা পর্যন্ত “just keep your mouth shut”
আমি বুঝলাম না আরবি ব্যাকরন নিয়ে এত কচকচানি কেন চলছে। নিবন্ধে শুধুমাত্র পুরুষ বা person এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা করতে ব্যাকরন বিশেষজ্ঞ হওয়ার কোন দরকার আছে বলে মনে করি না। অথচ দেখি আসল ব্যপার বাদ দিয়ে এখন নকল ব্যপার নিয়ে মাতামাতি বেশী চলছে। মনে হয় কেউ কেউ খুব সুকৌশলে আসল ব্যপারকে ধামা চাপা দেয়ার পায়তারায় আছে। আমি বিনীত ভাবে অনুরোধ করব, কোরানে যেভাবে পুরুষ বা person তা কোনভাবেই আমাদের জানা যে কোন ধরনের উন্নত ভাষার লেখ্য বা কথ্য কোন রীতিতেই মানান সই নয়। তাহলে খোদা এমন এক দুর্বল ভাষায় ও দুর্বল রীতিতে কেন কোরান লিখতে গেলেন?
@ ভবঘুরে:
আপনার লেখার নিহিতার্থ বুঝতে না পারার কোন কারণই ঘটে নি। কিন্তু, লেখার সময় ডিটেলের শুদ্ধতার দিকে নজর রাখা উচিত বলে মনে করি। আপনার লেখা শুধু মুক্তমনারাই পড়েন না, এর চেয়ে ঢের বেশি পড়েন যাঁরা এর বিরোধী, তাঁরা। সুতরাং, আপনার লেখায় এহেন ভুল পেলে মূল লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা না করে তাঁরা বলে বেড়াবেন, “ওঃ, এই লোক তো বাংলা ব্যাকরণই জানে না। আরবিও ব্যাকরণ তো কিছুই জানে না, সে আবার এসব নিয়ে লিখে বেড়ায়।”
তাদের প্রোপাগান্ডার সুযোগটা কি আপনিই করে দিলেন না? এবং, এভাবেই মুক্তমনা-বিদ্বেষ ছড়ায়।
এসব ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকা উচিত বলে বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ।
ভবঘুরে@ :- ” না আরবী ব্যকরন আমি একেবারেই জানিনা”
যে বিষয় সম্পকে আপনি যথেষ্ট অবগত নয় সে বিষয়ে আপনি মন্তব্য করে কি খুবই প্রসংশা পাওয়ার আশা করতে পারেন?
আকাশ মালিক@ :- “কোরান শুদ্ধ আরবী তো নয়ই, সম্পূর্ণ আরবী ভাষায়ও লিখা নয়”
পবিত্র কোরআন -এ ” উক্তী” এবং “নাম” অনারবী তথা عجم ।
পৃথিবীতে এমন কোন ব্যাকরণ আছে যে ” উক্তি এবং নাম” এর পরির্তন করতে পারে?
যেমন :- ابراحيم এই শব্দ কে আপনি যদি বাংলই লিখতে চান তবে- ইব্রাহিম,আরবীতেও তা এবং যে কোন ভাষাতেও তা কারণ এটি নাম যার কোন পরিবর্তন হয় না। একই ভাবে উক্তি…
” উক্তী” এবং “নাম” ছাড়া সতন্ত্র আরবী ভাষায় রচিত পবিত্র কোরআন শরিফ-এ যে কোন একটি আয়াত-এর ব্যাকরণ গত সমস্যার কথা যদি বলতেন তবে খুশি হতাম এবং আপনার সাথে একাত্ব হতাম।
হিমু ব্রাউন @ ভবঘুরে-এর উত্তর টা আপনার জন্যেও প্রযোয্য। তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন সমস্যা টা আপনার। ঈমানের নাকি সঠিক জ্ঞানের।
@Shahed,
এদের সাথে কি বলবেন। এরা পন করেছে না বুঝার। আরবি ভাষার পারফেক্ট বই হিসাবে আল কুরান কে বলা হয়, আর আরবি গ্রামার ও আল কুরান থেকে নেওয়া হয়। তারপর, যে কোন মূল্য মুসলিম দের হেয় করা যায় কি না এই চেষ্টায় রত। আরবি গ্রামারের সূত্রপাত ই হয়েছে কুরানের অর্থ বুঝতে যাতে মানুষের ভুল হয় না এই জন্য।
-الانباري
@ফুয়াদ,
বুঝছেন না আসলে আপনাদের মত লোক যাদের অন্তঃকরনকে আল্লাহ সিল মেরে দিয়েছেন আর চোখকে করে দিয়েছেন অন্ধ।
তার মানে আপনি বলতে চান কুরান লেখার আগে আরবীতে ব্যকরনই ছিল না ? তাহলে তো ভাই আপনি আর এক গ্যড়াকলে পড়লেন। যে ভাষার সঠিক ব্যকরন রীতি নেই তা কোন উন্নত ভাষা হতে পারে না। আল্লাহ সে ধরনের একটা অনুন্নত ভাষাতে কোরান নাজিল করতে গেলেন কেন ? তখন তো ল্যাটিন , গ্রীক, সংস্কৃত ইত্যাদি উন্নত ভাষা ছিল, তাহলে ?
@ভবঘুরে,
আপনার বিজ্ঞতা দেখে আমি যতেষ্ট অবাক!? কোন দৃষ্টিকোন থেকে আপনি আরবী ভাষাকে অনুন্নত বলে বেড়াচ্ছে? যে ভাষা সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নেই। পৃথিবীতে দু’ধরণের মানুষ উল্টা-পাল্টা কথা বলতে পারে ০১. যে অনেক বেশী জনে। ০২. যে মোটেও জানে না।
যদি আপনি নিজেকে ০১. নম্বর মনে করে থাকেন তাহলে ফুয়াদ-এর উল্লেখীত আরবী অংশ টুকুর তাহকিক, তারকীব, তারজুমা এবং তাফসীর করে প্রমাণ করেন যে কোরআন সম্পর্কে মন্তব্য করার মত যোগ্যতা আপনার আছে। আপনি ড যাকির নায়েক কে যোকার, গাজাখুর বলার যতেষ্ট অধিকার রাখেন। অতঃপর আমি আপনার কথার সাথে একমত হব যে, আপনি কোরআন সম্পর্কে বুঝে বলতেছেন যে, এটা একটা অনুন্নত ভাষা।
@ভবঘুরে,
এই জন্যই তো আপনাদের দেখা যায়, কাছিমের ডিমরে মুরগির ডিম বলে চালিয়ে দেন। এই ব্যাবসায় বেশী লাভবান হবেন এই আশা আপনাদের দূর আশা।
আল্লাহর কি আপ্পনার কাছ হতে পরামর্শ নেওয়া লাগবে নাকি? যাইহোক, আসল ব্যাপার তো কইলেন না, আপনি কি মেনে নিলেন, আল কুরান এর জন্য-ই আরবি ব্যায়াকরন তৈরি করা হয়েছে? মানে সহজ, আল কুরানে ব্যায়করন ঘটিত ভুল নেই। কারন এর থেকেই ব্যায়াকরন আসে।
আগের অংশের ইংরেজি অনুবাদ নেন
The early attempt to write the Arabic grammar began as early as the time of the fourth Well-Guided Caliphs, Ali Ibn Abi Taalib, when he commissioned a man named Abu Al-Aswad Al-Du’ali for the task. .In his book (نزهة الالبا في طبقات الادبا) Al-Anbari, الانباري reports the following anecdote .
@ফুয়াদ,
🙂
– বিশ্বাস করেন, আমি অপেক্ষা করছিলাম আপনি কখন এটা বলেন 🙂 ।
আমার মনে হয় ফুয়াদ ভাই কি বলতে চাচ্ছেন আমি বুঝেছি। ওনার মতে মনে হয় আল কোরানে যেই ব্যাকরন ব্যাবহৃত হয়েছে সেটাই সঠিক। বাকি প্রচলিত ব্যাকরন সব ভুল। ঠিক কিনা ফুয়াদ ভাই?
মনে হয় অনেকটা রবীন্দ্রনাথের মত; উনি কোন বানান লিখে থাকলে ধরে নিতে হবে যে ওটাই সঠিক।
@আদিল মাহমুদ,
ভাষায় ব্যায়করন নিয়ন্ত্রন করে, ব্যায়াকরন ভাষা নয়। এটি যদি না বুঝেন, তাহলে আমার কি করা? এটা তো ব্যায়াকরনের সাধারন ক্লাসেই শিখানো হয়। আর কোন ভাষার ব্যায়াকরন না থাকলেই প্রমান হয় না যে এটি আল কুরান নাজিলের উপযুক্ত নয়।
@ফুয়াদ,
আমার উপর ক্ষেপেন কেন রে ভাই? আমি তো নিরপেক্ষ চোখেই দুরফের কথাই শুনতে চাচ্ছি। দেখেন, আরো আগেই বলেছি; ব্যাকরন আমার অতি অপছন্দের বিষয়, কিছুতেই মাথায় ঢোকে না।
কিন্তু কোন ভাষার ব্যাকরন শক্ত না হলে কিন্তু সে ভাষা ভাব প্রকাশের জন্য খুব শক্তিশালী হয় না সেটা কিন্তু মানতে হবে। কোরানের আয়াতের মানে যে এক একজনের কাছে এক এক রকম হতে পারে তার একটা কারন মনে হয় এটা হতে পারে। কি বলেন? নি:সন্দেহে আল্লাহই মনে হয় চান যে তার প্রেরিত বানীর অর্থ নিয়ে মানুষে ঘোল খাক, সহজে বিনা সমস্যায় মানুষ বুঝে ফেলুক এটা উনি চান না তা বোঝাই যায়।
তবে এই লেখায় মূল আলোচনা আসলেই সরে গেছে। ব্যাকরন নিয়ে কচকচানি বেহুদাই এসেছে। আল্লাহ নিজেই নিজের কাছে কেন সাহায্য চাইবেন, নিজের শপথ নেবেন এ প্রশ্নগুলির জবাব খোজার জন্য ব্যাকরন টানার খুব বেশী দরকার নেই।
এই প্রশ্নগুলির জবাব একটু যুক্তিপূর্নভাবে চিন্তা করে দেন। নুতন কিছু শুনি।
@ফুয়াদ,
আপনি যে নীচের বাক্যগুলো উল্লেখ করেছেন, দয়া করে বাংলায় এর উচ্চারণ লিখে দিন। তরজমা পরে দিলেও হবে, তবে যখন দিবেন তা বাংলায় দিবেন প্লীজ। আমি এই বাক্যগুলোর অর্থ বুঝা তো দূরের কথা পড়তেই পারি নাই। তবে লক্ষ্য করছি এখানে জের, জবর, পেশ, নোখতা, তাশদিদ ব্যবহার করা হয় নাই। কোরান কি এভাবেই প্রথম লিখা হয়েছিল?
رقعة، فقلت ما هذه يا أمير المؤمنين؟ فقال: إنِّي تأملت کلام العرب فوجدته قد
فسُد بمخالطة هذه الحمراء –يعني الاعاجم- فأردت أن اضع شيئا يرجعون إليه، ويعتمدون عليه. ثمَّ القی إليَّ الرقعة وفيها مکتوب: ألکلام کله إسم وفعل وحرف. فالاسم ما أنبأ عن المُسمَّی، والفعل ما أُنبیءَ به، والحرف ما افاد معنی. وقال لي:
إنحَ هذا النحو، واضف إليه ما وقع إليك.
-الانباري
@আকাশ মালিক,
এই না হল মাদ্রাসায় পড়া মহা ভাষা বিজ্ঞানী। ধরা তো খাইলেন। এখন কি বলবেন?
@ফুয়াদ,
আরবীর আলিফ না জেনে, কোরান নিয়ে তর্ক করা ঠিক নয়। ইন্টারনেটের ইংলিশ অনুবাদ সম্বল করে কপি-পেস্ট মার্কা আলেম হওয়ার চেয়ে একজন অন্ধবিশ্বাসী মুসলমান হওয়া ভাল। আপনি এবং আপনার মত অনেকেই উল্লেখিত বাক্যগুলো যে পড়তে পারেন নাই, বুঝা তো অনেক দূরের কথা, শুধু মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার জন্যে কপি-পেস্ট করেছেন, যাতে মানুষ মনে করে আপনি আরবী বুঝেন, তা জেনেই আমি প্রশ্ন করেছিলাম। এবং যা ভেবেছিলাম তা’ই হয়েছে, আপনি উত্তর দিতে পারেন নি।
আমি অনুরুধ করেছিলাম, আয়াতগুলোর বাংলা উচ্চারণ দিতে, আর প্রশ্ন করেছিলাম এভাবেই কি কোরান প্রথমে লিখা হয়েছিল। আপনি উত্তর দিয়েছেন-
এই না হল মাদ্রাসায় পড়া মহা ভাষা বিজ্ঞানী। ধরা তো খাইলেন। এখন কি বলবেন?
ফুয়াদ সাহেব, মুক্তমনার লেখক পাঠকবৃন্দকে যে আপনি এখনও চিনতে পারলেন না, তা ভেবে আপনার প্রতি করুণাই হয়।
@আকাশ মালিক,
দাড়ান, আমি কি কইছি? আমি আরবি জানি। আমি আপনাদের দেখার জন্য-ই দিয়েছি। দেখলাম কেমন আরবি জানেন। ধরা খাইয়া মাথা আওলাইয়া গেলে :coffee: কফি খাইয়া মাথা ঠান্ডা করেন।
একজন আরবি বকলম হয়ে আল কুরানের ভুল ধরতে যান, আরেক জন আরবি মহা পন্ডিতের ভান করেন।
@ফুয়াদ,
মালিক ভাই কিভাবে ধরা খেলেন একটু ব্যাখ্যা করবেন কি? উনি তো আপনার কথিত ধরা দেবার আগেই প্রশ্ন জের, যবর, নক্তা এসব নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। বলেছিলেন যে উনি পড়তে পারছেন না।
আপনার মতে কি ওটাই আসল আরবী যা মালিক ভাই পড়তে জানেন না?
আর মূল লেখক আগেই স্বীকার করেছেন যে উনি আরবী জানেন না।
@আদিল মাহমুদ,
হাহাহাহাহা…. ফুয়াদ ভাই আপনি হাসছেন কিনা আমি যানি না। যারা বোকার মত প্রশ্ন করে তাদের সাথে আমরা পন্ড-শ্রমই দিয়ে যাচ্ছি মনে হল। আরবী পড়তে যাদের যের, যবর, পেশ এর দরকার হয়, কোরআন শরিফ সম্পর্কে যাদের বিন্দু মাত্র ধারণাই নেই। এই কথা পড়ার পরে মনে হচ্ছে তারা আরবী বর্ণমালাই চিনে না। তারা চলেছে তাহকীক, তারকীব, তারজুমা এবং তফসীর করতে। ঐ যে আপনি বললেন কাছিমের ডিম কে …… হাহাহাহা … ভাই আমার কিন্তু মারত্মক হাসি পাচ্ছে যে, এতক্ষন আমি শিক্ষীত মুর্খের সাথে পেছাল পারলাম।
“নিজের বাবা ঠিক নাই অন্যের বাবা নাম উদ্ধার করে চলেছে”
হিন্দু ধর্মের মত রূপকথা কিংবা বোদ্ধ ধর্মের মত জীবন ধর্ম আলাদা করা অথবা খৃষ্ট ধর্মের মত বিবর্তন-এর ধর্ম নই কিন্তু ইসলাম।
আপনাদের প্রতি আমার অনুরূধ থাকবে শুধু ইসলাম নই … যা জাননে না তা নিয়ে কোন দিন কথা বলে নিজেদের অজ্ঞতার প্রকাশ করবেন না। كلام رجل ميزان العقل অর্থাৎ – মানুষের কথা তার জ্ঞানের মাপ কাটি।
আশা করি সবাই ব্যপার টা বুঝতে পেরেছেন।
@Shahed,
অনেক কথাই বললেন, অট্টহাসি দিলেন কিন্তু কাজের কথা খুব কমই বললেন।
আমি নিজে আরবীর কিছুই জানি না তাই আপনার কথার মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। আপনার ভাষায় আরবী জগতে আমি শুধু বোকাই না, অবোধ শিশু এবং শিক্ষিত মূর্খ। আপনি ফ্রেঞ্চ বা তাহিতি না জানলে আপনাকেও আপনার হিসেবে অশিক্ষিত মূর্খ বলা যাবে।
পরিষ্কার করে বলেন যে আরবী পড়তে যের যবর পেশ নকতা এইগুলি লাগে কিনা?
কোরানে কি যের যবর পেশ নকতা এইগুলি নেই?
আমি আবার কোথা থেকে কাছিমের ডিম আমদানী করলাম সেও আপনিই ভাল জানেন।
আপনার মারাত্নক হাসি পেয়েছে সেটা না বললেও বোঝা যাচ্ছে, হাসি থামাতে পারলে একটু ব্যাখ্যা করেন।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি আর হাসাইয়েন না। যে ব্যক্তি আরবি পড়তেই পারে না, সে যদি কোরআনের ব্যকরনগত ত্রুটি নিয়ে কথা বলে, তো তাকে কি বলা যেতে পারে?
বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছেঃ ফাঁকা কলসি বাজে বেশী।
বেশ মজা পেলাম।
@তামীম,
হাসলে আয়ু বাড়ে জানেন তো। কাজেই প্রান ভরে হেসে নিন, বিনা প্রশ্নে সব কিছু মেনে নেওয়ার মাঝে পরকালে বেহেশতে প্রাপ্তি তো নিশ্চিতই, দুনিয়াতেই বা মজার ভাগ ছাড়বেন কেন।
ব্যাকরনের কচকচানিতে মূল সমস্যার কোন জবাব কারো থেকে পেলাম না, সবাই হাসতে হাসতে গড়িয়েই পড়ছেন।
আল্লাহ নিজেই নিজের কাছে কেন সাহায্য চান, চাঁদ তারা কিসের কিসের শপথ নেন, নিজেই সত পথের সন্ধান করেন? – এগুলি পড়লে যে কারোই মনে কোরানের লেখক কে সে প্রশ্ন আসতে বাধ্য। অট্টহাসির ফাঁকে এগুলি ব্যাকরনের ভুল নাকি অন্য কোন ব্যাখ্যা তার জবাব দেন।
@আদিল মাহমুদ,
বি.দ্র. আপনার কমেন্টের নিচে জবাব এর বাটন/লিঙ্ক না পেয়ে এখানেই দিচ্ছি।
মানুষের জ্ঞান সসীম। প্রতিনিয়ত এর পরিধি বাড়ছে, তবে যতই জ্ঞানের পরিধি বাড়ছে, ততোই সে এই আরো বড় অজানাকে চিহ্নিত করছে। আর যখন কোন কিছু তার জ্ঞানের সীমারেখা অতিক্রম করে, তার মনে প্রশ্ন জাগে।
মুসলমানরা তাদের ধর্মগ্রন্থ নিয়ে দ্বিধান্বিত নয়। দ্বিধা, প্রশ্ন, সবই সেই গ্রন্থের অবিশ্বাসীদের।
এখন ছোট্ট একটা গল্পঃ
মনে করুন, আমি আমার একমাত্র ছোট ভাইকে বলছিঃ
– রাস্তায় কেউ কিছু দিলে খেওনা।
-বাস থেকে নামার আগে ব্যাগগুলি ঠিকমত দেখে নিও
– আর মন খারাপ হলে ভাইয়ার [যেহেতু একমাত্র ভাই, তাই আমি নিজের কথাই বুঝাচ্ছি] কথা খেয়াল করে একটা ফোন দিও।
তাতে তার কি বুঝার কোন সমস্যা হবে?
অ.ট. – কেউ যদি আপনাকে বলে, Hi Adil, long time no see. এটাকে আপনি কিভাবে দেখবেন? অনেক কিছু ব্যকরনে থাকে না, চলতি ভাষা থেকে সেটা পরে ব্যাকরণ গ্রহণ করে, সুতরাং ব্যাকরণ নিজেই সর্বদা পরিবর্নশীল। আর সেই ব্যকরণ দিয়ে যে সৃষ্টিকর্তার ভুল ধরতে চায়, তার চিন্তা চেতনার সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকে।
যাই হোক, আজকে হয়ত আর অনলাইনে নাও আসতে পারি। আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে ইতি টানছি।
@Shahed,
আপনার কাছেও আমার সবিনয়ে অনুরোধ অন্যকে জ্ঞান দেবার আগে আপনার আল্লা প্রদত্ত মাথাটাকে পারলে একটু ব্যারহার করেন। ওখানে যদি কিঞ্চিৎ ঘিলু থেকে থাকে তাহলে আপানার নিজের লেখা মন্তব্যে নিজেরই হাসি পাবার কথা।
@Shahed,
বেশ সুন্দর বলেছেন। তো ভাই আপনি কি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংস্কৃত শিখেছেন, বাইবেল, তোরাহ ইত্যাদি মূল ভাষায় পড়েছেন? যদি না পড়ে থাকেন তবে কিভাবে বুঝলেন যে আপনার ইসলামই একমাত্র সঠিক ধর্ম আর অন্যগুলো মিথ্যে?
মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিয়েছে অনুবাদের মাধ্যমে, এক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা হতে শোনা যায় নি। শুধু আপনাদের কোরানের অনুবাদটা হয় না। বাংলায় তো হয় ই না, ইংরেজিতেও না, হিন্দিতেও না; এতে অনুবাদক যতই অভিজ্ঞ হোন না কেনো। বাংলা ও ইংরেজিতে কোরানের অনেকগুলো অনুবাদ রয়েছে। এদের যেকোনটা মানলেও কোনো সমস্যা নেই কিন্তু শুধু বিরূপ প্রশ্ন করলেই যত সমস্যা। আপনাদের ভাব দেখলে মনে হয় যে আরবি ভাষাভাষি কোনো অমুসলিম নেই আর আরবি ভাষাভাষি কেউ কোরান শুনলেই বুঝতে পারবে যে ওটা পৃথিবীতে প্রস্তুত হয় নাই একেবারে আকাশ থেকে নাযিল হয়েছে।
আপনাকে আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই।
১।আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে কোরান আল্লা নামক কারো দ্বারা প্রেরিত?
২।কোরান আরবি ভাষায় বোঝে-পড়ে আপনি নতুন কি জানতে পেরেছেন যা অন্য কোথাও থেকে জানা সম্ভব নয়?
এক বাক্য অসাধারণ……… :yes:
অট.আমি এক মওলানা কাছে জানতে চেয়ে ছিলাম বিসমিল্লা হির রাহমানির রহীম কি কোরানের আয়াত কিনা। তিনি ইতিবাচক জবাব দিলে আমি তাকে বাংলা অনুবাদ করে বললাম পরম করুনাময় আল্লার নামে শুরু করছি মানে আল্লা কি নিজের নামে নিজেই শুরু করতাছেন!তিনি একটু ভাবনার মধ্য পরে গেলেন। একটু ভেবে পরের দিন আসতে বললেন। আমি যথারীতি পরের দিন দেখা করতে গেলে আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়া বললেন যে আমার নাকি ঈমানে সমস্যা দেখা দিয়াছে এবং তিনি আমাকে তওবা করতে বললেন !! 😀
@হিমু ব্রাউন, 😀
ভাই এখানে তো আমি কোন ভুল দেখতে পাইতেছি না এখানে বলা আছে শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু তাহলে শুরুটা করতে কে নিশ্চয়ই এ কোরানটা মানুষ করতেছি না হলে জিন পরি তাহলে শুরুটাও করতেছে মানুষ আর জিন এখানে আপনাকে বুঝতে হবে যে শুরু শব্দটি সেই ব্যক্তিকে বোঝানো হচ্ছে যে ব্যক্তি এটা পড়বে অর্থাৎ কোরআন পড়বে আল্লাহ কোরআন পড়বে না তাহলে শুরু শব্দ দিয়ে আল্লাহকে বুঝানোর কোন প্রশ্নই আসে না এই বিষয়টা কি আপনার এত বড় মাথায় আসেনা
ব্যাকরনের এত কচকচানি বুঝি না, বুঝতে চাইও না, সারা জীবনই এই বিষয়টি আমার কাছে অকারনই মনে হয়ে এসেছে (শ্রদ্বেয় মডু সর্দার যতই চোখ রাংগান মনকে তো আর প্রবোধ দিতে পারি না)। ইন্টারমেডিয়েটে ইংরেজী ২য় পত্র হয়ে যাবারপর কি যে খুশী হয়েছিলাম সে আর বলার নয়। যাক সে কথা।
মূল বিষয় ব্যাকরনের নানান রকমের পুরুষের খেলা বাদ দিলেও ব্যাখ্যার দাবী রাখে। বিষয়টি নিয়ে এখানে আগেও বেশ কবার আলোচনা হয়েছে। Who Wrote Quran
নামে মনে হয় একটি লেখাও আছে আগের। কোরানের অনেক আয়াত পড়লেই মনে হয় যে আল্লাহ নিজেই নিজেকে নির্দেশ দিচ্ছেন, নিজের নামে শপথ নিচ্ছেন ইত্যাদী। কোরান ডিফেন্ডাররা কি বলেন জানতে আগ্রহ বোধ করছি।
লেখা ভালো এবং এর পেছনের শ্রমপ্রদান প্রশংসনীয়। এটা নিয়ে আগেও কিছু আলোচনা হয়েছে। মূল কথা হচ্ছে, আমি যখন তৃতীয় ব্যক্তিকে আমার কথার প্রতিভূ হিসেবে হাজির করি (আসলে বলছি আমিই), তখনই এই সমস্যা ঘটে, বিশেষত আমি যখন অতোটা শিক্ষিত নই।
যাহোক, এবার আপনার একটা বাংলা ব্যাকরণগত ভুল ধরি।
ইংরেজির 3rd person কিন্তু বাংলায় প্রথম পুরুষ। এটা নাম পুরুষ হিসেবেও চিহ্নিত। আর, ইংরেজি 1st person বাংলায় উত্তম পুরুষ এবং বাকিটি মধ্যম পুরুষ। আপনি বারবার ইংরেজির ব্যাকরণের অনুকরণ করতে গিয়ে নিজেই ভুল করে বসেছেন। আমার মন্তব্য বিশ্বাস না হলে যেকোন বাংলা ব্যাকরণ বই (বোর্ডের নবম-দশম শ্রেণীর বইটা দেখাই ভালো) দেখতে পারেন।
এই ছোট্ট ভুলের জন্যে কিন্তু আপনার এই পরিশ্রমী লেখাটা হাস্যকর হয়ে উঠতে পারে।
ধন্যবাদ।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
ইংরেজীর ৩য় পুরুষ বাংলাতে নাম পুরুষ হলেই বা সমস্যাটা কি হলো ? মূল নিহিতার্থ কি তাতে পাল্টে যায় নাকি ? যেটা দেখাতে চেয়েছি তা হলো – আমি , তুমি ও সে এ তিনটি সর্বনামের ব্যবহার। আর কিছু না। ভুলে যান আপনার ইংরেজী ও বাংলা ব্যকরন। আসল কথা হলো- কোরানে আল্লাহ সব সময় আমি এ সর্বনাম পদেই বর্নিত হবেন কারন তিনি বক্তা। বক্তা তার শ্রোতার সামনে সব সময় আমি/আমার এ সর্বনাম পদেই নিজেকে তুলে ধরবেন। কোরান পড়ার সময় মানুষ ভুলে যায় যে, আল্লাহ সেখানে বক্তার ভুমিকায় আছেন আর মোহাম্মদ আছেন শ্রোতার ভুমিকায় আর সেকারনেই তাদের কাছে সর্বনাম গত এ সমস্যাটি নজরে পড়ে না। আপনি নিজেই আল্লাহ ও নবীকে বক্তা ও শ্রোতার আসনে বসিয়ে কোরান পড়–ন, আপনি নিজেই সমস্যাটা ধরতে পারবেন , আমার আর কষ্ট করে নিবন্ধ লেখা লাগবে না, যে কেউই তা ধরতে পারবেন।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
সময়ের অভাবে মুক্তমনা ভালোভাবে পড়া হয়না। তবে ভবঘুরের লেখা সর্বদাই মনোযোগ দিয়ে পড়ি।
আসলে ব্যাপারটা ব্যকরণ নয়। কোরানে ভুল আছে প্রায় প্রত্যেক পাতায় পাতায়। কোনদিন সময় পেলে আমি এ ব্যাপারে দীর্ঘ লেখার ইচ্ছা রাখছি।
যাই, হোক এটা পুরুষের ব্যাপার নয়–এটা হছে সাধারণ জ্ঞানের ব্যাপার। বাংলা কোরান যদি একজন হাই স্কুলের ছাত্রও পড়ে সে পরিষ্কার এই সব কাণ্ডজ্ঞাণহীন আয়াতগুলো পড়ে অবাক হবে এতে কোন সন্দেহ নাই।
তাই, আমার মনে হয় ভবঘুরে যা লিখেছেন তা সম্পূর্ণ সত্যি। তবে রচনাটার টাইটিল মনে হয় হবেঃ
কোরানের কাণ্ডজ্ঞানহীন আয়াত।
আমার মনে হয় কোরানে কোন ব্যকরণই নাই—তাই আবার ব্যাকরণ ভুল কি? কোরান তো অর্থহীন প্রলাপ।
@আবুল কাশেম, ভাই
:yes:
@আবুল কাশেম,
– এমন সিদ্ধান্ত দেবার জন্য কি আরবী জানা আবশ্যক নয়? কারন কোরান তো মূল লেখা হয়েছে আরবীতে। আমি আপনি আমরা সবাই তো পাচ্ছি নানান ব্যাক্তির অনুবাদ; হয় বাংলায়, নয় ইংরেজীতে।
অবশ্য আরবী বিশেষজ্ঞদের যদি রেফার করতে পারেন তাহলে ভিন্ন কথা।
@আদিল মাহমুদ,
আমি আমার মিশরীয় সহকর্মীর সাথে এব্যাপারে আলাপ করলাম। তার মাতৃভাষা আরবী এবং সে আরবী ও ইংরেজী দুটি ভাষতেই পারদর্শি। সে বলল আরবী ভাষার ব্যাকরণ মোহাম্মদের জন্মেরও আগে থেকে আছে। বর্তমানে আরবী হরফের অনেক পরিবর্তন হয়েছে, তবে আরবী ব্যাকরণের তেমন পরিবর্তন হ্য় নাই। তার মতে কোরানের ব্যাকরণ ভুল।
আদিল ্মাহমুদ, আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এগুলো আমি শুনলাম যার মাতৃভাষা আরবী এবং যে দৈনিক পরিবারে আরবীতে কথা বলে ও আরবী পত্রিকা ্পড়ে।
আচ্ছা যাক, আমি না হয় আপনার কথা মেনে নিলাম—যে কোরানে প্রচুর সঠিক ব্যাকরণ আছে।
তা হলে কি দাঁড়াচ্ছে?
যারা ইংরেজিতে কোরান অনুবাদ করেছে তারা নিশ্চয় ইংরেজি ব্যাকরণ জানেনা, কারণ কোরানের ব্যাকরণ যদি খাঁটি হয়ে থাকে তবে তাদের অনুবাদ নিশ্চয় ভুল।
ঐ একই কারণে বলতে হয় যারা কোরানের বাংলা অনুবাদ করেছে তারা বাংলা ব্যাকরণ জানেনা। বাংলা কোরান তা হলে ভুল।
এখন বুলুন, এই ভাবে যদি আমরা ক্রমশঃই অগ্রসর হয় তা হলে স্বীকার করতে হবে কোরানের সব অনুবাদই ভুল—তা সে ভাষায়ই হোক না কেন।
এ বিষয়ে আপনি কি বলেন? দেখুন না আপনি মসজিদের ইমামের সাথে আলাপ করে।
@আবুল কাশেম,
আমি যা বলেছি তা কোরান বা নির্দিষ্ট বই না, সাধারনভাবে অজানা ভাষার যে কোন বই সম্পর্কেই খাটে। আর আমাকে টলষ্টয়ের মূল রাশিয়ান কোন বই এর দূর্বল বাংলা অনুবাদ কেউ ধরিয়ে দিলে আমি নিশ্চয়ই শুধু তার ভিত্তীতেই রায় দিয়ে দেব না যে টলষ্টয়ের রুশ ভাষাজ্ঞান খুবই দূর্বল। কি বলেন?
আমি কিন্তু দাবী করিনি যে কোরানের ব্যাকরন সঠিক। শুধু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বুঝতে চেয়েছি।
আপনার মিশরীয় সহকর্মীর যুক্তি অনেকটা ব্যাক্তিগত সূত্রের মত, তার পালটা হিসেবে নিশ্চয়ই আরবী জানা আরো বাঘা বাঘা পন্ডিত হাজির হবেন। তাই এক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত সূত্রের দিকে না তাকিয়ে ভাষা বিশেষজ্ঞদের সুলিখিত পূর্নাংগ লেখা রেফার করতে হবে।
তবে আপনার পরের যুক্তি আমি মেনে নিচ্ছি, এবং সবসময়ই মেনে নেই। বাংলা ব্লগের কোরান সম্পর্কিত সমালোচনার একটি বড় ডিফেন্স থাকে নিম্নরুপঃ
১। কোরানের আয়াত বিকৃত করা হয়েছে। সমালোচক নিজের স্বার্থে আয়াতের মাঝে উলটা পালটা শব্দ ঢুকিয়ে ম্যানিপুলেট করেছেন- সত্য হলে নি:সন্দেহে খুবই অনৈতিক কাজ। এ নিয়ে বিতর্কের তেমন কিছু নেই। বেশী তর্কাতর্কি না করে সহজেই ভেরিফাই করা যায়।
২। অমুকের অনুবাদ সঠিক নয়, আমি যার অনুবাদ কাউন্টার হিসেবে দিচ্ছি তারটাই সঠিক। এই যুক্তি অত্যন্ত দূর্বল। এ যুক্তিতে আসলেই কার অনুবাদ সঠিক কার অনুবাদ বেঠিক তা বাছতে গেলে এক এক করে কারো অনুবাদই আর বহাল থাকবে না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার দৃষ্টিভঙির প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
তবে কথা হল সবকিছুতেই নিরপেক্ষ থাকা কি সঠিক হবে?
কোরান কি নিরপেক্ষ?
@আবুল কাশেম,
হাঃ হাঃ, ভাল কথা বলেছেন।
তবে আপনারা যারা ধর্মের সমালোচনা করে নানান লেখা লেখেন তাদের আরো সতর্ক থাকা উচিত। আপনারা ৯৯ টা কথার পর যদি ১টা ভুল কথাও লেখেন তবেও সেটাকেই হাইলাইট করে বাকি কথাগুলোকেও উড়িয়ে দেওয়া হবে। পাবলিকেও যেহেতু নিজ ধর্মের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না তাই জনমতও সেইদিকেই যাবে, কারন তারা সেটাই শুনতে চায়।
@আদিল মাহমুদ,
:rotfl:
আপনি ঠিক ্বলেছেন। যারা ইসলামের সমালোচনা করে তার ভূল করতে পারবে না। তাদের লেখা ১০০% সঠিক হতে হবে।
সেজন্যে ইসলামের সমালোচনা করে লেখালেখি করা সহজ নয়।
@আবুল কাশেম,
আপনার কাছ থেকে এ ব্যপারে বিস্তারিত একটা প্রবন্ধ আশা করছি।
@ভবঘুরে,
>>>>যখন ইব্রাহীমকে তার পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূরন করলেন, তখন পালনকর্তা বললেন আমি তোমাকে মানব জাতির নেতা করব। তিনি বললেন, আমার বংশধর থেকেও। তিনি বললেন আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌছবে না ।২ ঃ ১২৪
এটা কি আল্লাহর বানী মনে হয় ?<<<<<
আরবীটা দেখুন
وَإِذِ ابْتَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ ۖ قَالَ إِنِّي
وَإِذِ ابْتَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ ۖ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا ۖ قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۖ قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ
২:২৪
ইংরেজিটা দেখুন
And when Abraham’s Lord tested (him) with words/expressions, so He completed them, (He) said: “That I am making you to the people a leader/example .” He (Abraham) said: “And from my descendants?” He said: “The unjust/oppressors do not receive/obtain My promise .”
২:২৪
আরবীতে وَ ওয়া মানে এবং ওয়া দিয়ে দুইটি বাক্যকে যোগ করা হয়ে যেমন বাংলাতে করা হয়ে। তারমানে ওয়া এর আগে আরো বাক্য আছে। তাই আয়াত ২:২৩ পড়ুন।
আরবীটা দেখুন وَاتَّقُوا يَوْمًا لَا تَجْزِي نَفْسٌ عَنْ نَفْسٍ شَيْئًا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلَا تَنْفَعُهَا شَفَاعَةٌ وَلَا هُمْ يُنْصَرُونَ
২:১২৩
ইংরেজিটা দেখুন
And fear a day/time, no self rewards/reimburses (removes) from a self a thing, and no redemption/ransom (is) to be accepted/received from it, and nor mediation benefits it, and nor they be given victory/aid.
২:১২৩
এখানেও শুরুতে وَ ওয়া আছে তার মানে এর সাথে ২:১২২ এই আয়াতটা যুক্ত। আসুন এবার ২:১২২ এ
يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اذْكُرُوا نِعْمَتِيَ الَّتِي أَنْعَمْتُ عَلَيْكُم
ْ وَأَنِّي فَضَّلْتُكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ
২:১২২
এখানে শুরুতে وَ ওয়া নাই। তাই বুঝতে পারছেন ২:১২৪টার শুরু কোথা থেকে।
২:১২২ এ কি বলছে!
O Children of Israel! Remember My favour wherewith I favoured you and how I preferred you to (all) creatures.
২:১২২
এইটা কার বাণী ? এইবার আপনি আমি টারে পাইছেন?
আগে আরবী ভাল করে জানুন তারপর লেখুন।
আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।
১২:২
আপনার লেখাটি পড়লাম আমার মনে হল, আপনি সহজ ভাবে বাংলা লেখার গুলুর ব্যাকরণগত সমস্যার নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি আপনার সাথে আলোচনাতে যাবার আগে অবশ্যই জিজ্ঞাস করব আপনি কি আরবী ব্যাকরণ সম্পর্কে অবগত আছেন? যেহেতু কোরআন সম্পর্ণ আরবী ভাষায় অবতীর্ণ। নইতো আমার কথাও আপনার কাছে গাজাখুরী কথা মনে হইতে পারে। আরবীতে একটা কথা আছে “المر يكيس على نفسى” অর্থাৎ মানুষ নিজের উপর ধারণা করে। খোলাসা করে বলতে হয় ” মানুষ যেমন অন্যকে তেমন ভাবে বিচার করে”
শাহেদ
ঢাকা
@Shahed,
না আরবী ব্যকরন আমি একেবারেই জানিনা । তবে আমি কিন্তু ব্যকরনের বিশদ বিষয় নিয়ে কথা বলিনি , শুধু বলেছি সর্বনাম ব্যবহার নিয়ে আর কিছু না । আর তা করতে গেলে আমাকে আরবী ব্যকরন বিশারদ হতে হবে তা আমি মনে করি না। উন্নত যে কোন ভাষারই সর্বনাম পদ সমৃদ্ধ হবে, তাই না ? রেড ইন্ডিয়ানদের কিছু ভাষায় সর্বনাম নেই, তাই তারা প্রত্যেকবার নাম উচ্চারন করে কথা বলে। নিশ্চয়ই আপনি সে ভাষাকে সমৃদ্ধ বলতে পারেন না । তো আরবীর ও যদি সেই সমস্যা থাকে তাহলে তাকে সমৃদ্ধ বলতে পারেন না । যে ভাষাতে ১ম . ২য় ও ৩য় পুরুষ সর্বনামের সমৃদ্ধ ব্যবহার নেই সে ভাষাকে আপনি সমৃদ্ধ বলবেন কিভাবে ? আর সে ধরনের একটি দুর্বল ভাষায় আল্লাহ কেন তার কোরান নাজিল করতে যাবেন তা আমার বোধগম্য নয়। একারনে আরও বোধগম্য নয় যে তখন আরবী ভাষার চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ ভাষা তখন ছিল যেমন গ্রীক, ল্যাটিন, সংস্কৃত ইত্যাদি। তাই না ?
@Shahed,
কোরান শুদ্ধ আরবী তো নয়ই, সম্পূর্ণ আরবী ভাষায়ও লিখা নয়। প্রাচীন মুসলিম তফসিরকারগণ প্রথম প্রথম কোরানে বিদেশি শব্দ আমদানি বা ঋণের কথা স্বীকার করেছেন তবে পরবর্তীতে বিশেষ করে ইমাম মুহাম্মদ আল শাফিইর (মৃত ৮২০) প্রভাবে কোরানে বিদেশি শব্দের উপস্থিতি আস্তে আস্তে চাপা দেওয়া হতে শুরু করে। বলা হয়, কোরানের প্রতিটি অক্ষর ও শব্দ আল্লাহ কর্তৃক রচিত এবং প্রেরিত; আরবী ভাষায় খাঁটি ও অবিকৃতভাবে লিখে রাখা হয়েছে। কোরানের ৯ থেকে ১০টি আয়াতেও এরকম দাবি রয়েছে। সুরা এবং আয়াতগুলি হচ্ছে : (১) সুরা ইউসুফ ১২, আয়াত ২; (২) সুরা নাহল ১৬, আয়াত ১০৩; (৩) সুরা তাহা ২০, আয়াত ১১৩; (৪) সুরা আশ শোআরা ২৬, আয়াত ১৯৫; (৫) সুরা জুমার ৩৯, আয়াত ২৮; (৬) সুরা হা-মিম সিজদা বা ফুস্সিলাত ৪১, আয়াত ৩, ৪৪; (৭) সুরা আশ-শুরা ৪২, আয়াত ৭; (৮) সুরা জুখরুফ ৪৩, আয়াত ৩; (৯) সুরা আহ্কাফ ৪৬, আয়াত ১২। কিন্তু কোরানের বিখ্যাত তফসিরকার জালাল আল-দ্বীন আল সুয়ুতি (মৃত ১৫০৫) ‘The Perfection in Quran’ Sciences’ গ্রন্থে আরবী কোরানে পাওয়া ১০৭টি বিদেশি শব্দের (অ-আরবী) তালিকা দিয়েছেন, যে শব্দগুলি কোরানের আগে আরবী ভাষায় রচিত অন্যান্য সাহিত্যে প্রচলিত ছিল না। তবে কোরানে বিদেশি শব্দের উপস্থিতি নির্ণয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সেমেটিক ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক Arthur Jeffery(১৮৯২-১৯৫৯)। তিনি ২৭৫টি বিদেশি শব্দের উপস্থিতি প্রাচীন আরবীয় কোরান থেকে চিহ্নিত করে দেখিয়েছেন, যেগুলোর উৎস ইউথোপিয়ান, আর্মেনিয়ান, হিব্রু, সিরিয়ান, সাবাতিয়ান, কপটিক, তার্কিশ, গ্রিক, ল্যাটিন, মধ্যপারস্য, ভারতীয় ইত্যাদি অ-আরবী ভাষা। হিব্রু ভাষায় রচিত ওল্ড টেস্টামেন্টের আরবীয় নামগুলি সরাসরি হিব্রু ভাষার পরিবর্তে কোরানে প্রধানত সিরিয়, ও গ্রীক ভাষায় ব্যবহৃত হয়েছে। মুহাম্মদ এবং তার সহযোগী সঙ্গী-সাথীরা কোরান রচনায়, যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা অবশ্যই নির্দিষ্ট আরবী ভাষায় রচিত নয়, বরং সংকর জাতীয়।
আরো জানতে মুক্তমনায় পড়ুন আবুল কাশেম রচিত- Who Authored the Qur’an? আকাশ মালিক রচিত- ‘যে সত্য বলা হয়নি’
@আকাশ মালিক,
আপনার গবেষণার ফলাফল বিস্তারিত বাংলাভাষাতে মুক্ত মনা সাইটে আশা করছি। বিষয়টা হলো- মুসলমানদেরকে মানুষ করতে হলে তাদের সামনে কোরান, হাদিস এর অসারতা ও মোহাম্মদের চরিত্রের আসল দিকটিই তুলে ধরতে হবে। একমাত্র তাহলেই যদি তাদের ভ্রান্তিবিলাসের অবসান হয়। অন্যথায় শত চেষ্টাতেও তা সম্ভব নয়। ঠিক একারনেই আমি কোরান হাদিস ও মোহাম্মদের ওপরই শুধু গুরুত্ব দেই। চোখের সামনে একটা গোটা জাতি যার একজন সামান্য সদস্য আমিও, অন্ধকারের তলে তলিয়ে যাবে এটা বসে বসে দেখি কিভাবে ? তাই আমার এ যথকিঞ্চিত প্রচেষ্টা।
আসলে বানানের ব্যপারে আমি সব সময়ই যতœবান থাকি। কিন্তু যখন অভ্রতে পরিবর্তন করি মুক্তোমনার সাইটে তখনই দেখি কি সব গন্ডগোল লেগে যায়। এডিট পেজে ফন্টগুলো এত ছোট দেখা যায় যে তখন খুজে বের করে বানান গুলো ঠিক করতে পারি না। এডিটের পেজে অক্ষর গুলো বড় বানানোর কোন রাস্তা আছে ?
@ভবঘুরে,
তিন লাইনের মন্তব্যে প্রত্যেকটাতেই একটা করে বানান ভুল আছে। এটা অজ্ঞতা নয় বরং অবহেলা জনিত ত্রুটি বলেই মনে করি। আপনি বিজয় থেকে অভ্রে পরিবর্তন করতে যাবেন কেন, সরাসরি অভ্র ব্যবহার করুন। যে কথাটা আমি আমার সকল সহকর্মী বন্ধু-বান্ধব ভাই বোনদেরকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে বলে থাকি অনুরুধ করি, প্লীজ প্লীজ আপনারা তাড়াহুড়া করে পৌস্ট দিবেন না। প্রকাশ করার আগে দু-একবার প্রিভিউ দেখে নিন, বারবার এডিট করুন, সময় নিন, প্রয়োজনে অন্য কাউকে দেখান। এতো কষ্ট করে, এতো মুল্যবান সময় ব্যয় করে একটা প্রবন্ধ লিখবেন আর তা ব্যাকরণগত বা বানানভুলের কারণে সুখপাঠ্য হয়ে উঠবেনা তা অবশ্যই কাম্য নয়। আপনার ইয়াহু ইমেইল জানা থাকলে এই মন্তব্যটা এখানে না করে সেখানেই জানাতাম।
@আকাশ মালিক,
প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে বলে থাকি অনুরুধ করি
অনুরোধ – হবে।
@ভবঘুরে,
আপনি অভ্র এর ইউনিবিজয় অপশন ব্যবহার করে বিজয় এর মত করে লেখতে পারেন। আর অভ্র এর ফনেটিক তো একেবারে সহজ, একটু ব্যবহার করেই দেখুন প্লিজ। এখান থেকে অভ্র ডাউনলোড করতে পারেন। কোনো সমস্যা হলে বলবেন।
@সৈকত চৌধুরী,
অভ্র ডাউনলোড করাই আছে কিন্তু বিজয়ের মত ব্যবহার তো করতে পারি না, তাহলে এখন কি করা ?
অস্তিত্বহীণের অস্তিত্ব প্রমান করতে যারা কোরানকে একমাত্র সঠিক ঐশী গ্রন্থ হিসাবে হাযির করে তাদের জন্য এই লেখাটি একটি মোক্ষম জবাব হয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি এটি কপি করে রাখলাম আমার মুসলমান বন্ধুদের জন্য। :rotfl:
@আব্দুল হক,
ব্যাক্ষাগুলো থেকে মনে হয়, মোহাম্মদ এবং আল্লাহ একই ব্যক্তি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনি বিষয়টা যথার্থ ধরেছেন। নিবন্ধের মূল ধাধা ছিল ওটাই। আপনি সেটা সমাধান করতে পেরেছেন। আপনার বুদ্ধির তারিফ করতে হয়।
বি: দ্র: মুক্তোমনায় যখন পেfষ্ট করতে যাই এডিট করার সময় এত ছোট হরফ দেখা যায় যে ভালো মতো ্এডিট করা দু:সাধ্য হয়ে দাড়ায় যে কারনে মূল লেখা থেকে ছাপা লেখাটা অনেকটাই ভিন্ন হয় যায় আর লেখার আকর্ষন অনেকটা কমে যায় বলে আমার ধারনা । এটার কি কোন সমাধান আছে?
@ভবঘুরে,
ঠিক বলেছেন। লেখা অস্পষ্ট হয়ে যায়। এখন দেখছি লেখা বোল্ড ফন্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটি মুক্তমনা এডমিনের নজরে আসা আবশ্যক।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
লেখাটি ঠিক করে দেয়া হয়েছে। লেখক তার লেখায় ট্যাগ ওপেন করে তা ক্লোজ না করার ফলে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিলো। এসমস্ত ব্যাপারে লেখকদেরই যত্নবান হতে হবে।
@ শুধু মূল লেখার সময়ই নয়, মন্তব্য লেখার সময়ও লেখকদের বানান নিয়ে যত্নবান হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপরের কয়েকটি মন্তব্যের মধ্যেই এতগুলো বানান ভুল দেখা যাচ্ছেঃ
অস্তিত্বহীণের
হাযির
প্রমান
ব্যাক্ষাগুলো
মুক্তোমনায়
@মুক্তমনা এডমিন,
ব্যাক্ষা –> “ব্যাখ্যা” হবে মনে হয়। (আমি লজ্জিত।)
মূল নিবন্ধে
“ব্যাকরন” পদটি দেখতে সঠিক মনে হচ্ছে না। এটি কি “ব্যকরণ” হবে নাকি বেহুদা নাক গলাচ্ছি?
@ভবঘুরে,
আগেই একটা কথা বলে নেয়া ভাল,আপনার লেখা প্রবন্ধে প্রচুর বানান ভুল আছে।ইতিমধ্যে আমিও এমন ভুলভাল করেছিলাম,মুক্ত-মনা এডমিনের চোখ রাঙ্গানিতে আমার পুরণো দিনের স্কুলের বাংলা ২পত্র টিচারের কথা মনে পড়েছিল।আর যা হয়,মনে হচ্ছিল,স্যর ছড়ি হাতে ব্যকরণ শিখাচ্ছেন,আর আমার মাথা থেকে বেমালুম গায়েব হয়ে যাচ্ছে, 😥 (আমি ভয় পেলে কিছু মনে রাখতে পারিনা)। তো যাই হোক।এখন আমি কিছু হলেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি “ব্যকরণ”বা বানান ভুল যেনো না হয়,তারপরেও দেখা যায় ,একই ভুল হয়ে যাচ্ছে। আবার এডিট,আবার ভুল। মুক্ত-মনা ও নাছোড়বান্দা। আমাকে মানুস করেই ছাড়বে। :-Y
সত্যি বলতে কি আমি এখানে আসার পর আমার অনেক উন্নতি(বানান,ব্যকরণ) হতে চলেছে।
@মুক্ত-মনা এডমিন আপনাকে (আপনিটা যে কে? আল্লাহ মিয়ারমতই ভয় ভয় লাগে) ধন্যবাদ। :rose2:
আমাদেরকে মানুস করে তোলার জন্য। রচনাটা বেশ দীর্ঘ। সাত সকালেই মুক্ত-মনায় হুমড়ি খাওয়া এক বদঅভ্যাস আমার। কিছু পরে কাজ কর্ম সেরে আয়েস করে পড়তে হবে।আজ দিনটা ভালোই যাবে মনে হচ্ছে । :guli:
@একা,
অনেক ধন্যবাদ বানানের ব্যাপারে লেখকদের যত্নবান হবার পরামর্শের জন্য। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে সাইটে বানান ভুলের মাত্রা কমবে।
তবে অনেকেই ব্যাকরণ বানানটি ভুল লিখছেন। শিরোনামের বানানটি ঠিক করে দেয়া হল।
আর মানুস বানানটি মানুষ লিখলে অনেকটাই মানুষের মতো দেখায়। 🙂
@মুক্তমনা এডমিন,
দুঃখিত,আমি মানু্স হতে পারছিনা,এইবার একটু মানূষ হলাম, 😛 অভিধান ঘেটে দেখে।
মুক্ত-মনার জয় হোক। 🙂
@একা,
উহু, আপনি কিন্তু মোটেও ‘মানুষ’ হতে পারেন নি, ‘মানূষ’ হয়েছেন। :rotfl: তবে আপনাকে বলব কি, এখানে প্রথম বানান ভুলের কৃতিত্ব কিন্তু আমার-ই। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
যা বলেছেন,২ নং মনে হয় আমি 😀 ।
এইবার আসি প্রবন্ধের বিষয়ে,বলার অপেক্ষা রাখেনা @ ভবঘুরে (কেনো যে এই নাম বেছে নিলেন 😉 ) আপনি যা লিখেছেন,তুলনাহীন।
এর চাইতে বেশী বলতে পারছিনা,ইতিমধ্যে বানান নিয়ে যা তামাশা করলাম।আমার পরিবারে এখন দেখে আমি মাধ্যমিকের ব্যাকরণ বই মুখে করে বসে আছি 😎 । কি মুশকিল লিখব নাকি ব্যাকরণ মনে রাখবো?
নাহলে যে মুক্ত-মনা এডমিন চোখ রাঙ্গাবেন :-Y ।
@একা,
একা ,
আমি প্রথম জীবনে বাউন্ডুলে হতে চেয়েছিলাম তাই ভবঘুরে নামটা বেছে নিয়েছি। তো আপনার নামটা একা কেন? আপনি কি একা একা জীবন অতিবাহিত করেন নাকি ?
@ভবঘুরে,
আমিও “একা” থাকতে পছন্দ করি,তবে এখন আপনারা মুক্তমনা আছে চিন্তা কি? 🙂
@একা,
হুম বুঝলাম এবার। আল্লায় আদমের জন্য হাওয়াকে তৈরী করেছিল কেন জানেন? আদমকে সঙ্গ দেয়ার জন্য। মনে হয় আপনার জন্য বিপরীত কিছু করতে হবে আল্লাহকে। মানে কোন আদমকে তৈরী করতে হবে আপনার জন্য, :-/
@একা,
অভিধান ঘেটে দেখেও মানুষ হতে পারলেন না বলেই মনে হচ্ছে, মানূষই থেকে গেলেন। 😀
@একা,
একা , আমি বিজয় ফন্ট ব্যবহার করি। যখন একে মুক্তমনার সাইট থেকে অভ্রতে পরিবর্তন করি তখনই কিন্তু সমস্যাটা ঘটে যায়। আমি কি করতে পারি বলেন? আমি আবার কম্পিউটারের এ বিষয়টাতে তেমন চালু না। তারপরেও যদি বানান ভুল হয় আমি দুঃখিত।
@ভবঘুরে,
আরে,আপনি কিযে বলেন।বানানের ব্যপারে আমি পূরাণ পাপী। 😛
“ভুল সবই ভুল
এই জীবনের পাতায় পাতায়
যা লেখা ,
সে ভুল”
আমি বানান ভুলের বিষয়ে আমি নাম করে ফেলেছি অনেক 😀 ।
বেশ ভালো লাগল। একদম অসাধারণ।
কোরানের অনেকগুলো ব্যাকরনগত সমস্যা রয়েছে। আপনাকে বাকিগুলো নিয়েও আলোচনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
কথাগুলোর সাথে সম্পূর্ণ একমত-
“গন-অন্ধকারচ্ছনতা বলতে যা বোঝায় মুসলমানরা পন করেছে তারা তার শিকার হবেই। অর্থাৎ মুসলমানরা পন করেছে তারা অন্ধকারের মধ্যে থাকবেই , কোনকিছুই তাদেরকে আলোর পথে নিয়ে যেতে পারবে না। তারা আলোর চাইতে অন্ধকারকেই বেশী ভালবেসে ফেলেছে। ”
“অল্প জ্ঞানের ওপর পুজি করে কত আর শুদ্ধ করে লেখা যায়।”
কিছু ফন্ট ভেঙ্গে গিয়েছে ও কিছু বানান ঠিক করা প্রয়োজন।