এর আগের পর্বে নারীর যোগ্যতা ও সাফল্যের মহিমাকীর্তন করেছিলাম। এই পর্বে নারীর যোগ্যতা ও সাফল্যের অন্য এক দিকের উপর আলোকপাত করব। মার্কিন কথ্য ভাষায় “BAD” এর এক নতুন মানের চলন ইদানিং দেখা যায় । যে সব কাজ সচরাচর আমরা বাঁকা চোখে দেখি সেটা করাও যে একরকম কৃতিত্বের ব্যাপার এই “BAD” এর নতুন মানে তারই ইঙ্গিত দেয়। মেয়েরাও যে ছেলেদের মত “BAD” হতে পারে সেটা এই লেখা পড়লে পরিস্কার হয়ে যাবে। আর সেখানেই নারীরা সব পারে কথাটার সার্থকতা। আর এর দ্বারা এই সত্যটাও প্রমাণিত হবে যে নারী ও পুরুষের মধ্য মৌলিক কোন তফাৎ নেই। এই লেখায় আমি নারী, নারীবাদ ও লিংগ বিষয়ে নারীদেরই লেখা ও ধারণা তুলে ধরব। বিভিন্ন লেখা থেকে উদ্ধৃতি, সংবাদপত্রের টুকরো খবর এগুলোকে সূত্র করেই এই লেখা । নারীদের বিরুদ্ধে নারীদেরই সমালোচনা, নারীদের বিষয়ে নারীদেরই কোন কোন মন্তব্য বা মানসিকতা যা সাধারনত পুরুষদের বলেই অভিযোগ করা হয় এগুলি নিয়ে আলোচনা করব। এতে একটা সত্য বেরিয়ে আসবে যে যে সব ধারণা বা চিন্তাকে সচরাচর পুরুষদেরই বলে মনে করা হয়, আসলে অনেক নারীরাও সেই একই ধারণা ও চিন্তা পোষণ করে। আরও প্রমাণিত হবে নারীদের বিরুদ্ধে লিংগবাদী ধারণা শুধু পুরুষদের একচেটিয়া নয়, মেয়েরাও নারীদের ব্যাপারে লিংগবাদী ধারণা পোষন করে। লেখাটি একটু দীর্ঘ হয়ে গেল কারণ প্রায় সব নারীদের উদ্ধৃতিরই বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজীটাও অন্তর্ভুক্ত করেছি পাছে অনুবাদের ভুল বা প্রসঙ্গ বিচার না করে উদ্ধৃতি দিয়েছি এই অভিযোগ ওঠে।
নারীবাদ শব্দটি আমাদের মনে নারীদের প্রতি লিংগভিত্তিক বৈষম্য, অন্যায়, অবিচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারীর সংগ্রামের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সেই অর্থে পুরুষ নারী নির্বিশেষে যে কোন মানবতাবাদী মানুষই নারীবাদী। কারণ বৈষম্য, অন্যায়, অবিচার সেটা লিংগ, ধর্ম, ভাষা বা জাতীয়তা যার উপর ভিত্তি করেই হোক না কেন তা অবশ্যই মানবতা বিরুদ্ধ। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৭ সালের এক জরীপে দেখা গিয়েছিল ৭০% নারীরাই নিজেদের নারীবাদী বলে বিবেচনা করতে নারাজ ছিল, যদিও তাদের অধিকাংশই নারীবাদীদের মূল অবস্থানের সঙ্গে একমত। এর কারণ কি? নারীবাদ এখন আর খুব সরল ধারণা নয়, অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নারীবাদের অনেক রূপ আছে। সমসাময়িক নারীবাদের এমন কিছু দিক আছে যার সাথে অনেক নারী একাত্ম হতে পারে না। আর তাই তারা নিজেকে ঢালাও অর্থে নারীবাদী বলতে অনিচ্ছুক কারণ তাহলে তারা সেই দিককেও সমর্থন করে বলে মনে করা হতে পারে।
যদিও নারীবাদের বিভিন্ন শ্রেণী বা প্রকার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে (যেমন alt.feminism গ্রুপের প্রায়স জিজ্ঞাস্য পাতায় ) , শিক্ষায়তনের আলোচনা বা বিতর্কে নারীবাদের দুটি প্রধান সংজ্ঞাকেই বেছে নেয়ঃ (১) সমতা নারীবাদ (Equity feminism), (২) লিংগ নারীবাদ (Gender Feminism), যার প্রথম অবতারণা করেন ক্রিস্টিনা হফ সমার্স্ তাঁর “Who Stole Feminism: How Women Have Betrayed Women”(নারীবাদ বেদখল করল কারা?ঃ কেমন করে নারীরা নারীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল) নামক বইয়ে। প্রথম সংজ্ঞগায় নারীদের প্রতি বৈষম্য , অবিচার ও নিপীড়ন অবসানে এবং পুরুষ ও নারীদের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামকেই বোঝান হয়েছে। এটাকে বৃহত্তর অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এর বিশেষ অংশ হিসেবে দেখা যায়। দ্বিতীয় সংজ্ঞার দ্বারা সমতা প্রতিষ্ঠার গণ্ডি পেরিয়ে নারীদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকেই বোঝায়। এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুধু যে নারীর শ্রেষ্ঠত্বের দাবী করা হয় তাই নয়, পুরুষ শ্রেণী যে অন্তর্নিহিতভাবেই নিচু বা মন্দ সেটাও বোঝান হয়। এই নারীবাদীদের সঙ্গে শেতাংগ KKK বর্ণবাদীদের বা ষাট দশকের কোন কোন কৃষ্ণাংগ বর্ণবাদী গোষ্ঠীর (যেমন Black Panther) তুলনা করা চলে। যেহেতু নারীবাদের সংজ্ঞা খুব প্রশস্ত হয়ায় লিংগ নারীবাদকেও অন্তর্ভুক্ত করে সেহেতু অনেক নারীরা নিজেদের নারীবাদী বলতে অনিচ্ছুক। যাহোক এবার মূল বক্তব্যে আসি। আমি উদ্ধৃতি ও টুকরো খবরগুলি তিনটি ভিন্ন শ্রেণীতে(ক -গ) বিভক্ত করে নীচে লিপিবদ্ধ করছিঃ
ক। লিংগ ও নারীবাদের বিষয়ে নারীদের বক্তব্য।
খ। কিছু খবর ও নারীদের কিছু ধারণা যা নারীদের নিরীহতা অপ্রমাণিত করে।
গ। নারীযৌনতার(Female Sexuality) উপরে নারীদের বক্তব্য
ক। লিংগ ও নারীবাদের বিষয়ে নারীদের বক্তব্যঃ
১। Sarah Boxer NY Times এর ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সংখ্যায় “নারী আন্দোলনের এক হতাহতঃ নারীবাদ” (One casualty of the women’s movement: Feminism) নামে তাঁর এক প্রবন্ধে বলেন যে অধিকাংশ নারীই নিজেকে নারীবাদী বলে মনে করেন না,যদিও তাঁরা নারীবাদীদের সব মূল অবস্থানের সঙ্গে একমত।
২। Simon De Beauvoir ১৯৭৫ এ এক মন্তব্যে বলেছিলেন “মেয়েদের ঘরে থেকে বাচ্চা মানুষ করার অধিকার বেছে নিতে দেয়া ঠিক হবে না। কারণ তাদেরকে সেটা বেছে নেয়ার অধিকার দেয়া হলে অধিকাংশই সেটা বেছে নেবে। (“No women should be authorized to stay at home to raise her children, women should not have that choice, precisely because if there is such a choice, too many women will make that choice.”)।
(স্টিভেন পিঙ্কারের “Blank Slate: The Modern Denial of Human Nature” বইএর ১৭১ পৃঃ থেকে উদ্ধৃত)
৩। Wendy Shalitt তাঁর বই “A return to Modesty: Discovering the lost virtue” (শিষ্টতায় প্রত্যাবর্তনঃ হারান মূল্যবোধ খুঁজে পাওয়া) আর Danielle Crittendon তাঁর বই “What our mothers didn’t tell us: Why happiness eludes modern women”, (আমাদের মারা যা আমাদের বলেননিঃ কেন আধুনিক নারীদের কাছ থেকে সুখ পালিয়ে বেড়াচ্ছে) তে উভয়েই মেয়েদের এই বলে উপদেশ দেন যে তারা যেন তরুণ বয়সে বিয়ে করে, পেশাকে স্থগিত রাখে এবং প্রথামত বিয়ের মধ্যে থেকে বাচ্চা মানুষ করে। (স্টিভেন পিঙ্কারের ২ এ বর্ণিত বইএর ৩৩৯ পৃঃ থেকে উদ্ধৃত)।
৪। F. Carolyn Graglia তাঁর বই “Domestic tranquility: A brief against Feminism” তে বলেছেন যে মেয়েদের মাতৃত্বের ও যৌনতার প্রবৃত্তি খর্বিত হচ্ছে তাদের দৃঢ় মনোভাব আর বিশ্লেষাত্মক মনের জন্য, যা আধুনিক পেশা তাদের কাছ থেকে দাবী করে। মজার ব্যাপার কারলিন তাঁর বইয়ে পুরুষদের উদেশ্য করে বলেছেন, তারা কোথায়? কেন তারা নারীবাদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলছেনা?
৫। ওয়াশিংটন টাইম্স ও ক্রনিক্ল পত্রিকার লেখিকা Marian Kester Combs তাঁর Chronicle এর মে, ১৯৯৭ সংখ্যায় প্রকাশিত “Estrogen Poisoning” প্রবন্ধে বলেন যে নারীবাদীরা নারীত্ব আর মাতৃত্ব ধ্বংসের কাজে নেমেছে । তিন আরও বলেন যে নারীবাদকে পৌরুষবাদ ই বলা উচিৎ, কারণ সেটাই তারা অর্জন করতে চাচ্ছে, যেমন আধিপত্য, আগ্রাসন অশ্লীলতা এইসব। (feminism should be called masculinism as thats what the feminists are trying to acquire, traits like dominance, aggression, profanity etc)
৬। Suzanne Fields তাঁর ওয়াশিংটন টাইম্স এর ১৯ মে ১৯৯৭ সঙ্খ্যায় প্রকাশিত “Warriors or Damsels in Distress?” প্রবন্ধে মেয়েদের সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণের বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেনঃ “মেয়দের এই ভুমিকায় অংশ নেয়ার সুপারিশ করাটা নারীবাদীদের এক হঠকারিতা, কারণ তারা(নারীবাদীরা) পুরুষ উর্ধ্বতন সামরিক অফিসারের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানর ব্যাপারে মেয়ে সৈনিকদের দুর্বল বলে মনে করে, কিন্তু আবার যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মোকাবিলা করতে যথেষ্ঠ শক্তিশালী মনে করে। কোন মেয়ে সৈনিক যদি তার যৌনহয়রানকারী অফিসারকে তার দুর্বল জায়গায় লাথি মারতে না পারে, আমরা কেমন করে সেই মেয়ে সৈনিকের উপর নির্ভর করব নিজেকে আর তার সহকর্মীদের শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে?”
৭। ১৯৯৬ সালে American Enterprise এর প্রকাশিত “Women’s Figures: The Economic Progress of Women in America” নামক প্রতিবেদনে Diana Furchtgott-Roth এবং Christine Stolba ব্যাপক লিংগ বৈষম্যের অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং তথ্য উপাত্ত দিয়ে তাঁদের এই সন্দেহকে সমর্থন করেন। তাঁরা এই বৈষম্যের অভিযোগকে শিকার মানসিকতার এক উদাহরন হিসেবেও চিহ্ণিত করেন ।
৮। “Ceasefire!: Why Women and Men Must Join Forces to Achieve True Equality” (যুদ্ধবিরতিঃ কেন নারীদের উচিৎ পুরুষদের সাথে হাত মিলিয়ে সত্যিকার সমতা অর্জন করা) বইএ Cathy Young সমতা নারীবাদের পক্ষে আর লিঙ্গনারীবাদের বিপক্ষে জোরাল ভাষায় লিখেছেন। তাঁর বইয়ে তিনি নারীবাদীদের নারী সমাজকে এক বিশেষ স্বার্থ গোষ্ঠী হিসেবে দেখার সমালোচনা করেন আর নারীদের দাবী ও অধিকারকে পুরুষদের দাবী ও অধিকারের উপরে স্থান দেয়ারও বিরোধিতা করেন। সম অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে অজুহাত করে নারীব্দীদের পুরুষ শ্রেনীকে অন্তর্নিহিতভাবে নীচু বলে চিত্রিত করার সমালোচনাও করেন বইটিতে।
৯। ক্রিস্টিনা হফ সমার্স্ এর লেখা বই “The War Against Boys: How Misguided Feminism Is Harming Our Young Men” (ছেলেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধঃ কেমন করে বিপথগামী নারীবাদ আমাদের তরুন ছেলেদের ক্ষতি করছে) এর শিরোনামই বলে দেয় কি বলতে চেয়েছেন লেখিকা।
১০। Daphne Patai তাঁর “Heterophobia: Sexual Harassment and the Future of Feminism” বই এর “Redefining the World” নামক অধ্যায়ে লিখেছেনঃ
“Women claim to be equal partners when that suits them, and claim to be entitled to special consideration when that suits them.”
(নারীরা সমান অংশীদার বলে নিজেদের দাবী করে, যখন সেটা সুবিধাজনক হয়, আবার বিশেষ সুবিধার দাবীও করে, যখন সেটা সুবিধাজনক হয়)
“They insist on autonomy in maintaining or aborting pregnancies, but at the same time they determine the fathers’ duties — and rights, if any. Women claim child support. They can either demand or impede fathers’ continuing involvement with their offspring, as the women see fit. [Do men have any reproductive rights?] The result is that women have advantages over men in child custody suits, having learned to use the legal system to readily get protection orders against men (on the flimsiest provocation) when that suits their purposes, just as they have learned to use charges of child sexual abuse and domestic violence.”
(তারা গর্ভপাতের ব্যাপারে নিজেদের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবী করে আবার একই সাথে তারা পিতার অধিকার ও দাবী, যদি সেটা থেকে থাকে, সেটাও নির্ধারণ করে। তারা সন্তানের জন্য সহায়তা দাবী করে। তারা সন্তানের সাথে পিতার সংশ্লিষ্ট হওয়ার দাবীও করতে পারে আবার তাতে বাধাও দিতে পারে, যখন যেটা তাদের সুবিধা হয়। [পুরুষদের কি কোন প্রজননগত অধিকার আছে?] পরিণতিতে সন্তান অভিভাবকত্বের মামলায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশী সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে, কিভাবে আইন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে চট্ করে পুরুষদের বিরুদ্ধে আইনী রক্ষার আদেশ আদায় করা যায় সেটা রপ্ত করে (সামান্যতম অজুহাতে), যখন সেটা তাদের জন্য সুবিধা হয়, ঠিক যেমনটি তারা শিখেছে শিশু যৌননির্যাতন ও গার্হস্ত্য সহিংসতার অভিযোগ ব্যবহার করার।)
১১। জোন এলিসন রজার্স্ তাঁর বই “Sex: A Natural History” (যৌনতার প্রাকৃতিক ইতিহাস) এর ৪০৯-৪১০ পৃঃ এ লিখেছেনঃ
“For one thing most men do not rape or beat their wives. For another, women under certain – but rarely sexual circumstances are equally or more violent toward spouses that are men. “But the facts are that half of all spousal murders in US are committed by wives and not all of them are in response to physical abuse by men. The 1985 National Family Violence Survey supported by the National Institute of mental health shows that women and men are physically abusing each other in roughly equal numbers, and that women often use weapons to make up for their relative physical advantage. A study on family violence published in 1986 in the Journal of Marriage and Family found that 1.8 million women assaulted by husbands and boyfriends, but 2 million men were assaulted by wife or girlfriend. The study also found that mothers abuse their children twice as often as do fathers in some surveys, and one reason this seems so shocking is because men who are taught to be manly are terrified to admit they have been abused by women, so their numbers are vastly underrated.”
(একটা ব্যাপার হল যে অধিকাংশ পুরুষই তাদের স্ত্রীদের ধর্ষণ বা প্রহার করে না। কিন্তু বাস্তব ঘটনা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবাহসঙ্গী হত্যার অর্ধেকই ঘটে স্ত্রীদের দ্বারা, এবং এর সবগুলি স্বামীর দৈহিক নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘটে না। পারিবারিক সহিংসতা সঙ্ক্রান্ত একটি সমীক্ষায়, যা ১৯৮৫ সালে বিবাহ ও পরিবার পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাতে দেখা যায় যে ১৮ লাখ নারী তাদের স্বামী বা ছেলে বন্ধুদের দ্বারা প্রহৃত হয়, কিন্তু ২০ লাখ পুরুষ প্রহৃত হয় তাদের স্ত্রী বা মেয়ে বন্ধুদের দ্বারা। এই সমীক্ষায় আরো জানান হয়েছে যে কোন কোন জরীপে দেখা যায় যে মায়েদের সন্তান নির্যাতনের হার পিতাদের চেয়ে দ্বিগুন, এবং এতে আঁত্কে ওঠার একটা কারণ হল যে সব ছেলেদেরকে পৌরুষসুলভ হতে শেখান হয়, তারা মেয়েদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে এটা স্বীকার করতে ভীতি বোধ করে, কাজেই তাদের সঙ্খ্যা বিরাটভাবে কমিয়ে দেখা হচ্ছে।)
১২। Elinor Buckett তাঁর ১৯৯৮ সালের “The Right Women”(যথার্থ নারী) বইয়ে লিখেছেন যে নারীবাদী আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে(কারন তা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে) এবং আরও বলেন যে অধিকাংশ নারীদের কাছে এই আন্দোলন আর আবেদন করে না । নারীরা নির্যাতিত নয়, যেমনটা নারীবাদীরা চেঁচামেচি করে বলে । তিনি আরও লেখেন যে নারীদের বিজয়ের চিহ্ণ চারিদিকে, পত্রিকার পাতায়..। নারীদের নারীবাদ প্রত্যখ্যানকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে না দেখে বরং উৎসবের কারণ হিসেবে দেখা উচিৎ।
১৩। পরিহাসের ব্যাপার এই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রে আনা সম অধিকার সংশোধনী বা ERA এখনো পাস হয়নি অনেক নারীদের বিরোধিতার কারণেই, যদিও পুরুষপ্রধান কংগ্রেস তা পাস করেছে অনেক আগেই। উচু পেশায় নিয়োজিত এবং উচ্চশিক্ষিত নারীরা এর সমর্থক হলেও নিম্নজীবী, বিশেষ করে নারী শ্রমিক ইউনিয়নের বিরোধিতার কারণে এটা আটকে থাকছে। কারণ তাদের ভয় যে এটা পাস হলে প্রচলিত শ্রম আইনে নারীরা যে বিশেষ সুবিধা ও আশ্রয় পায় সেটা তারা হারাবে। আরেকটা কারণে অনেক নারীরা এটার বিরোধিতা করে সেটা হল যে এটা পাস হলে মেয়েরাও ছেলেদের মত সশস্ত্রবাহিনীতে বলপূর্বক নিয়োগ (Draft) করা হবে ও সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হবে। একজন নারী রাজনৈতিক কর্মী ফিলিস শ্ল্যাফ্লী (Phyllis Schlafly) এই কারণেই ই.আর.এ থামাও নামে এক সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি তাঁর বই “The Power of Positive Woman” (যথার্থ নারীর শক্তি) এ এই যুক্তি দেন যে নারীরা পুরুষের সমান শক্তিধর নয়, তারা পুরুষদের সমান দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত নয়, এবং শ্রম আইনে তাদের জন্য রক্ষামূলক বিধানগুলি হারানর সমর্থ তাদের নেই, যা কিনা ই.আর.এ পাস হলে ঘটবে। আরেকটা পরিহাসের বিষয় হল, ১৯২০ সালের নারী ভোটাধিকার সংশোধনী(যা পাস হয়) এর সক্রিয় বিরোধিতা একজন নারী করেছিলেন , যার নাম Phyllis Bissell, যদিও তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক ও বক্তা।
১৪। মারিয়ান উইলিয়ামসন (Marianne Williamson), তাঁর বই “নারীর মূল্য”(Woman’s Worth) এর ৬৩ পৃষ্ঠায় বলেনঃ
“Most of us want a masculine man, but there’s no way to have one unless we become feminine woman”
(আমাদের অধিকাংশই চাই বীর্যবান পুরুষ। কিন্তু তা আমরা কি করে পাব, যদি আমরা নিজেরাই নারীসুলভ কোমলতা না দেখাতে পারি?)
একই বইএর ৮৯ পৃষ্ঠায় লেখিকা বলেনঃ
“We don’t think about being kind and caring, we think about how we can hook a man. We don’t think about his fears and problems, we think of our own and how we can get him to solve them. We don’t think about him period – but about his money, his job, or his connections.”
(আমরা দয়াবতী আর সেবাপরায়না হবার চিন্তা করিনা, আমরা চিন্তা করি কি করে পুরুষ শিকার করব। আমরা তাদের শঙ্কা বা সমস্যার চিন্তা করি না, আমরা কেবল আমাদেরটা নিয়েই চিন্তা করি আর চিন্তা করি কি করে তাদের দিয়ে এর সমাধান করব এটা নিয়ে। এক কথায় আমরা তাদের কোন কথাই চিন্তা করি না, তাদের টাকা, পেশা ও যোগাযোগ ছাড়া।)
১৫। কিছু কিছু নারী আছেন যারা বাইবেলের দ্বারা অণুপ্রাণিত হয়ে অতিশয় পতিভক্তিতে বিশ্বাসী হয়ে পড়েন, এবং এটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন যে বিবাহে সুখ আনতে হলে স্ত্রীদের তাদের স্বামীদের উপর নিজেদের সম্পূর্ণ সমর্পন করা উচিৎ। Christina McClelland মুডি (Moody) পত্রিকার জুলাই/আগস্ট ১৯৯৮ সালের সংখ্যার “The Ugly ‘S’ word” নামক লেখায় বাইবেলের বিভিন্ন শ্লোক উদ্ধৃত করে এবং নিজের সুখী বিবাহিত জীবনের উদাহরণ দিয়ে এই যুক্তিই দেন যে বিবাহিত জীবনে সুখের শ্রেষ্ঠ গ্যারান্টি হল স্বামীর প্রতি স্ত্রীর সমর্পন।
১৬। নিউজউইক পত্রিকার ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সংখ্যার পাঠকদের চিঠির কলামে প্রকাশিত এক চিঠিঃ
“I AM TIRED OF HEARING WOMEN IN THE sciences whine, I am a Ph.D precandidate in atmospheric oceanic and space sciences fully funded with tuition and a stipend at the University of Michigan, while my husband is struggling financially to acquire his master’s degree in mechanical engineering, course by course, because no one will fund him. I am the one being handed opportunities, in part because I am a woman. Many women who feel victimized by sexism in the sciences could use my circumstances as evidence that some women are given a break in order to get ahead, But by this rationale, my credibility will be challenged by those who assume I receive funding because I am a woman, not because of any measure of intelligence. I have worked. very hard to get where I am, and am continuing to work harder than I ever thought I could as I proceed with my research and work toward my goal of achieving tenure at a prominent unversity. I do not find and have not ever found my gender to be a reason to whine. “
– Emily Mae Chistianson,Ann Arbor,Michigan
(আমি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মেয়েদের অনুযোগ শুনতে শুনতে ক্লান্ত । আমি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়নে বেতন ও স্টাইপেন্ড ভোগী আবহাওয়া, সমুদ্র ও মহাকাশ বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রীর একজন প্রি ক্যান্ডিডেট, আর ওদিকে আমার স্বামী যন্ত্রপ্রকৌশলে মাস্টারস্ ডিগ্রী করার জন্য আর্থিকভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছে, একের পর এক পাঠ নিয়ে, কারণ কেউ তাকে আর্থিক সহায়তা দেবে না। আমাকেই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, এর এক কারণ হল আমি নারী। অনেক মেয়েরা, যারা বিজ্ঞানে লিংগবাদের শিকার হয়েছে বলে মনে করছে, তারা আমার অভিজ্ঞতাকে সাক্ষ্য করে এটা প্রমাণ করতে পারবে যে কিছু মেয়েদেরকে সুবিধা দেয়া হয় যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে। কিন্তু এই যুক্তিতে যারা ধরে নিয়েছে যে আমি আর্থিক সাহায্য পাচ্ছি কারণ আমি মেয়ে, আমার বুদ্ধিমত্তার জন্য নয়, তারা আমার বিশ্বাসযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু আমি অনেক খেটেছি, অনেক খাটা খাটুনির পরেই আজ যেখানে আছি সে পর্যন্ত আসতে পেরেছি, এবং আরও খেটে যাচ্ছি আমার গবেষণায় এগিয়ে যাবার জন্য, যাতে এক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়িত্ব (টেনিওর) পাওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারি। আমি কখনই আমার লিংগকে অভিযোগ করার কারণ হিসেবে দেখিনি এবং দেখিনা)
১৭। হেলেন ফিশার তাঁর “প্রেমের বিশ্লেষণ” (Anatomy of Love) বই এর ১২৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ
“Women are more interested in the status of a potential lover than his physical appearance.”
(মেয়েরা তাদের সম্ভাব্য প্রেমিকদের শারীরিক গঠনের চেয়ে তাদের মর্যাদার প্রতি বেশী আগ্রহী)
১৮। লস এঞ্জেলেসএ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুপাকতন্ত্রের অধ্যাপিকা ডঃ লরা এলেন বলেন “মেয়েরা চায় টাকা, আর ছেলেরা চায় তারুন্য ও সৌন্দর্য। (এর উদ্ধৃতি পাওয়া যাবে Phyllis Burke এর লেখা “Gender Shock” বইএর ২০৯ পৃষ্ঠায়)
১৯। Esther Vilar তাঁর “The Manipulated Man” (বাংলা করলে বোকা বানান হয়েছে এমন পুরুষ) বইএর ২৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন “টাকা ছাড়া আর কি আছে যা মেয়দেরকে পুরুষের সংগে বাঁধতে পারে?”(What besides money, can bind a woman to a man?”)
একই বইএর ১৭ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেনঃ “এটা ঠিক যে মেয়েরা ক্রমাণ্বয়ে আরও মার্জিত, পরিশীলিত, বিদগ্ধ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু জীবনে তার চাহিদা সর্বদাই থাকবে বস্তুতান্ত্রিক, কখনই বৌদ্ধিক নয়” (“It is true that women gets progressively more elegant, more well-groomed, more “cultured”, but her demands on life will always be material, never intellectual.”)
বইএর ৪৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন “মেয়েরা নির্বোধ” (Women are stupid)
১৮ পৃষ্ঠায়ঃ
“But In our time women are no longer subject to the will of men. Quite the contrary. They have been given every opportunity to win their independence and if, after all this time, they have not liberated themselves and thrown off their shackles, we can only arrive at one conclusion; there are no shackles to throw off.”
(কিন্তু আমাদের সময়ে মেয়েরা আর ছেলেদের খেয়াল খুশি মত চলেনা। বরং তাদেরকে সব সুযোগ সুবিধাই দেয়া হয়েছে তাদের স্বাধিকার অর্জনের জন্য। আর এত দিন পরেও যদি তারা নিজদেরকে মুক্ত করে শিকল ফেলে দিতে পারেনি, তাহলে আমরা একটা সিদ্ধান্তেই আসতে পারি, আর সেটা হল যে শিকলটা কখনই ছিলনা।)
২০। জোন এলিসন রজার্স্ তাঁর উপরের ১১ তে বর্ণিত বইএর ১১৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ
“মেয়েদের মস্তিষ্কের বিন্যাস ছড়ান, ভাষার অংশের কিছুটা মস্তিষ্কের ডান দিকেও বিস্তৃত, যার ফলে তাদের অনুভূতি সহজেই তাদের কথায় ব্যক্ত হয়। ছেলেদের ভাষার অংশটি পুরোটাই মস্তিষ্কের বাম দিকে জমাট হয়ে আবদ্ধ । তাই যদিও তারা মেয়েদের মত একই অনুভূতি অনুভব করে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা তাদের জন্য সহজ নয়”
২১। Deborah Blum তাঁর “Sex in the Brain” বইএর ২৫৫ পৃষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্বব্দ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী লরী রীডম্যান (Laurie Reidman) এর উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের দ্বারাই অন্য মেয়েদের সর্বনাশ করার সম্ভাবনা বেশী।
২২। Heather Roscoe(American Partisan পত্রিকার ভূতপূর্ব সাপ্তাহিক কলামনিস্ট) তাঁর বই “In Defense of Man” (পুরুষদের সমর্থনে) এ লিখেছেনঃ
“Why men would ever want to live with most women the way they’ve been acting these last few decades is beyond me.”
(গত কয়েক দশক ধরে মেয়েরা যেভাবে আচরণ করছে, তাতে আমার বুঝতে কষ্ট হয় কেন ছেলেরা তাদের সাথে একসাথে বসবাস করতে চাইবে)
খ। কিছু খবর ও নারীদের কিছু মতামত যা নারীদের নিরীহতার ধারণাকে অপ্রমাণিত করে।
১। Patricia Pearson তাঁর “When She Was Bad : Violent Women & the Myth of Innocence” বইতে নারীদের নিরীহ চিত্রকে ভুল প্রমাণ করেন ও নারীদের অন্ধকার দিক তুলে ধরেন। নীচে এর উপর আমাযন এর সম্পাদকীয়র থেকে উদ্ধৃতি দেয়া হলঃ
“Women commit the majority of child homicides in the United States; more than 80 percent of neonaticides; an equal or greater share of severe physical child abuse; an equal rate of spousal assault; about a quarter of child sexual molestations; and a large proportion of elder abuse…The rate at which infants are murdered by women in the U.S. is higher than the rate at which women are murdered by men.” With carefully researched facts, fascinating case histories, and incisive argument, Patricia Pearson succeeds in demolishing the myth that women are not naturally violent.”
(“যুক্তরাষ্ট্রে শিশুহত্যার অধিকাংশই নারীদের দ্বারা সংঘটিত হয়; ৮০% শতাংশের অধিক সদ্যজাত শিশু হত্যা; সমান বা তার অধিক হারে শিশুদের অত্যধিক দৈহিক নির্যাতন; সমান হারে বিবাহসংগী প্রহার; ২৫% হারে শিশু যৌন নির্যাতন; এবং অধিকা হারে বয়স্কদের নির্যাতন। যুক্তরাষ্ট্রে যে হারে নারীদের দ্বারা অল্প বয়সী শিশু হত্যার হার পুরুষ দ্বারা নারী হত্যার হারের চেয়ে বেশী। “ যত্ন সহকারে গবেষণা, বিস্ময়কর বাস্তব ঘটনা আর তীক্ষ্ণ যুক্তি দিয়ে প্যাট্রিশিয়া পিয়ারসন “নারীরা নিরীহ “ , এই ধারণা যে ভ্রান্ত সেটা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন ।)
এই বই ও প্যাট্রিশিয়া পিয়ারসন এর উপর Larissa MacFarquhar নিউ ইয়র্কার পত্রিকায় এক পর্যালোচনা কালে বলেনঃ
She is a good reporter, and–no doubt in anticipation of conventional feminist objections–she has done the work necessary to back up even her most inflammatory ideas.
(তিনি একজন ভাল প্রতিবেদক। এবং সন্দেহ নেই যে প্রচলিত নারীবাদীদের আপত্তির সম্ভাবনাকে মেন রেখেই তাঁর সব অপ্রীতিকর মতামত ও ধারণার সমর্থনে যা কিছু করণীয় কাজ সবই করেছেন ।)
পরিশেষে বই থেকে কিছু উদ্ধৃতিঃ
“Women can operate the system to their advantage. Donning the feminine mask, they can manipulate the biases of family and community … in order to set men up. If he tries to leave, or fight back, a fateful moment comes when she reaches for the phone, dials 911, and has him arrested on the strength of her word: “Officer, he hit me.” (p.142)
(নারীরা সিস্টেমকে তাদের জন্য সুবিধাজনক দিকে চালিত করতে পারে। নারীবাদের মুখোশ পরে তারা পরিবার ও সমাজের পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিকে কাজে লাগাতে পারে,পুরুষদের ফাঁদে ফেলার জন্য । যদি সে(পুরুষ) চলে যেতে উদ্যত হয় বা আত্মরক্ষার জন্য চেষ্টা করে, এক বিশেষ মুহুর্তে সে (নারী) ফোনের দিকে হাত বাড়ায়, ৯১১ ডায়াল করে, এবং তাকে(পুরুষ) গ্রেপ্তার করায়, শুধু নিজের কথার উপর ভর করেঃ “অফিসার, ও আমাকে আঘাত করেছিল”) – (পৃঃ ১৪২)
২। সাংবাদিক কেটি ফিলিয়ন (Katie Fillion) দুটো বই লিখেছেন যাতে তিনি অনেক বিষয়ে নারীদের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করেন। তাঁর বই “Lip Service: The Truth About Women’s Darker Side in Love, Sex and Friendship” সর্বাধিক বিক্রীত বইএর তালিকায় ছিল। বইএর সম্পাদকীয় পর্যালোচনায় বলা হয়ঃ
“Most of us are so accustomed to thinking of women and men as psychological opposites that we don’t even notice that our actual experiences contradict our beliefs.” With this powerful introduction, Kate Fillion launches Lip Service, the #1 bestseller that explodes the myth of female virtue. Women are not morally superior to men, she argues, nor should they want to be.”
(আমাদের অনেকেই মেয়েদের ও ছেলেদেরকে মনস্তাত্বিকভাবে বিপরীত ভাবতে এতটাই অভ্যস্ত যে আমাদের প্রকৃত অভিজ্ঞতা যে সেই বিশ্বাসের বিপরীতে যায় সেটা লক্ষ্য করিনা। এরকম জোরাল ভূমিকা দিয়ে শুরু করে কেট ফিলিয়ন এক নম্বর শ্রেষ্ঠ বিক্রীত বই লেখেন যার দ্বারা তিনি মেয়েদের গুণের ভ্রান্ত ধারণাকে অপ্রমাণ করেন। নারীরা পুরুষদের চেয়ে নৈতিকভাবে উৎকৃষ্টতর নয়, বা হতে চাওয়া উচিৎও নয়)
তাঁর অন্য বই “Lip Service: The Myth of Female Virtue in Love, Sex, and Friendship” তে তিন্তি আরও কিছু ভ্রান্ত ধারণা অপ্রমাণ করেন। ঐ বইএর সম্পাদকীয় পর্যালোচনায় ডনা সীম্যান (Donna Seaman) লেখেনঃ
“Journalist Fillion believes that we would all be much better off emotionally and culturally if we would stop paying lip service to that stale old myth about men and women being psychological opposites. According to our society’s “sexual script,” women are the “intimacy experts,” adept at communicating and at love, hence morally superior. Men, by contrast, are reticent to a fault and reluctant to forge relationships. These absurd generalizations, Fillion argues, have become “barriers to equality.” In an attempt to dismantle them, Fillion interviewed more than 100 women and men about everything from friendships to relationships, fantasies, sexual harassment, and the difference between rape and unwanted sex…This dose of reality is a healthy alternative to books, for instance, that describe men and women as creatures from different planets. As far as we know, we’re all earthlings, splendid in our diversity.”
(“সাংবাদিক ফিলিয়ন মনে করেন যে নারী ও পুরুষদের মনস্তাত্বিক ভাবে বিপরীত ভাবার সেকেলে ধারণাকে পরিত্যাগ করলে আমরা সবাই মানসিকভাবে অ সাংস্কৃতিকভাবে উন্নতর হব।আমাদের সমাজের অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী নারীরা ঘনিষ্টতায় পারদর্শী, যোগাযোগ ও ভালবাসার ব্যাপারে দক্ষ, আর সেকারণে নৈতিকভাবে উন্নততর। পুরুষেরা অন্যদিকে অত্যধিকভাবে নির্বাক, এবং সম্পর্ক গড়ার ব্যাপারে অপারগ। ফিলিয়ন যুক্তি দেন যে এই সব অবাস্তব সামান্যীকরণই নারী পুরুষের সমতা আনয়নে বাধা হিসেবে কাজ করে। এই ধারণাকে অপ্রমাণ করার লক্ষ্যে ফিলিয়ন ১০০ এর অধিক নারী এবং পুরুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক, কল্পনা, যৌন হয়রানি, অনাকাংখিত সংগম ও ধর্ষণের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদির উপর প্রশ্ন করেন। যে সব বই নারী ও পুরুষদের ভিন্ন গ্রহের বাসিন্দা হিসেবে বর্ণণা করে, বাস্তবতার এই কড়া ওষুধ তার বিপরীতে এক সুস্থ বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। আমরা যতদূর জানি আমরা সবাই পৃথিবীর বাসিন্দা, আমাদের মধ্যে সুন্দর এক প্রভেদ নিয়ে)
৩। Deborah Blum তাঁর “Sex on the Brain” বইএর ১৮২ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ
“Women can be violent too! A women shot her husband because he was on the phone too long and refused to hang up.”
(মেয়েরাও সহিংস হতে পারে। এক মেয়ে তার স্বামীকে গুলি করে , কারণ ্তার স্বামী ফোনে অনেক ক্ষণ ধরে কথা বলছিল এবং ফোন রেখে দিতে অস্বীকার করে!)
৪। ইরাক যুদ্ধের সময় আর্মি স্পেশালিস্ট Megan Ambuhl ইরাকী যুদ্ধ বন্দীদের নির্যাতন করার জন্য অভিযুক্ত হয়। একই কারণে Lisa Girman কে বরখাস্ত করা হয়।
৫। ডিস্কভারি চ্যানেলের সেপ্টেম্বর ৪, ২০০৩ এ প্রচারিত “Science of the Sexes” প্রোগ্রামে বিবর্তনী মনোবিজ্ঞানী/নৃতত্ববিদ হেলেন ফিশার বলেনঃ
“Women stab you in the back, men hit you on the face”
(মেয়েরা তোমাদের পেছনে ছুরি মারে, ছেলেরা তোমাদের মুখে আঘাত করে)
পরকীয়া প্রেমের সমর্থন কারী নারীঃ
৬। লেখিকা Judith E. Brandt, যাঁর বই “The 50-Mile Rule: “Your Guide to Infidelity and Extramarital Etiquette.” সি.এন.এন টিভি চ্যানেলে ২০০৩ সালের ডিসেম্বর ২০ -২১ তারিখে প্রচারিত CNN Presents “Fidelity” নামক সিরিজের আলোচ্য বিষয় ছিল, সেই বইএর কিছু উদ্ধৃতিঃ
“unless you have zero self-esteem or are just plain odd, you don’t want to have sex with the same person forever and ever, you just don’t”
(তুমি কখনই একই মানুষের সাথে চিরকাল সহবাস করবে না, করবেই না, যদি না তুমি অদ্ভূত হও, নতুবা তোমার আত্মমর্যাদাবোধ শূন্য হয়)
“It is better to stay married while cheating than to walk out of marriage”
(বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসার চেয়ে বিবাহিত থেকে প্রতারণা করাই বেশী ভাল)
৭। এই খবরটি বেরিয়েছিল আমাদেরই মুক্তমনা গ্রুপেঃ (http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/message/18494)
“While African women in Darfur were being raped by the Janjaweed militiamen, Arab women stood nearby and sang for joy”
(জাঞ্জাভিদ মিলিশিয়ারা যখন দারফুরের আফ্রিকান নারীদের ধর্ষণ করছিল তখন আরব মহিলারা পাশে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছিল)
৮। প্রেম রক্ষার জন্য নারীর নিজের সন্তানকে হত্যা করার কিছু ঘটনাঃ
ক। http://www.pantagraph.com/news/article_bcfe7efe-42ff-5193-9c6c-ef9e2615bb52.html
(আমান্ডা হ্যাম ও তার ছেলে বন্ধুকে আমান্ডার তিন সন্তানকে পানিতে ডুবিয়ে মারার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়)
খ। http://www.trutv.com/library/crime/notorious_murders/famous/downs/index_1.html
(Diane Downs তার তিন সন্তানকে হত্যা করে, তার প্রেমে বাধ সাধার জন্য)
গ। http://www.trutv.com/library/crime/notorious_murders/women/routier/1.html
“In 1997, a court found Darlie Lynn Routier guilty of probably the worst of human crimes: killing two of her natural children in cold-blood. Motive is still a mystery, but the prosecution painted her as a shrewish, materialistic young woman who, sensing her lavish lifestyle crumbling, slew her two sons Damon and Devon in a mad attempt to resuscitate her and her husband’s personal economy.”
( ১৯৯৭ সালে আদালত ডার্লি রুটিয়ারকে এক জঘন্যতম অপরাধ- নিজ গর্ভজাত দু সন্তানকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। উদ্দেশ্য রহস্যাবৃত হলেও বাদী তাকে এক সুচতুর, বস্তুলোভী কম বয়সী মহিলা বলে চিত্রিত করে। তার বিলাসী জীবন শেষ হতে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তার ও তার স্বামীর আর্থিক অবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজের দুই ছেলে ড্যামন ও ডেভনকে হত্যা করে)
বাংলাদেশেও অনুরূপ একটি ঘটনার খবরঃ
ঘ। ১৯শে মার্চ, ২০০৪ সালের ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে জানা যায় যে এক মহিলা তার দেবরের সাথে সংগমে লিপ্ত হবার সময় তার দুই ছেলে তা দেখে ফেলায় তাদের দুজনকে হত্যা করে।
(সূত্রঃ http://www.thedailystar.net/2004/03/19/d40319012222.htm )
ঙ। (এটা নিজ সন্তান হত্যার ঘটনা যদিও নয়, প্রেমের জন্য শিশু হত্যার ঘটনা) ২০০৩ সালের ২০শে আগস্টের জনকন্ঠ কাগজে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায় যে ইয়াসমিন বেগম নামে এক মহিলা জ্যোতি নামে ৭ বছরের এক বালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, জ্যোতির মা জ্যোতির চাচার সঙ্গে ইয়াসমিনের প্রেমে বাধা দেয়ার প্রতিশোধ হিসেবে।
৯। ধর্ষণে সহায়তা কারী নারী! :
ক। ১৯৯৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখের ডেইলি স্টার পত্রিকায় “Land of rapists?”(ধর্ষকদের দেশ?) শিরোনামে সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয় যে একজন নারী পৌর কর্মকর্তার সহায়তায় ব্যাঙ্কের এক অফিসার এক মহিলা ঋণ গ্রহীতাকে ধর্ষণ করে।
খ। ২১ শে আগস্ট ২০০৩ সালের নিউ এজ পত্রিকার এক খবরে বলা হয় যে ১২ বছরে এক বালিকাকে তার জামাতে ইসলাম কর্মী চাচার দ্বারা ধর্ষিত হবার তার স্ত্রী (অর্থাৎ বালিকার চাচী) স্বমীকে সহায়তা করে!।
১০। শিশু যৌন নিপীড়নকারী নারীঃ শিশুদের যৌন নিপীড়নেও মেয়েরা পিছিয়ে নেই। এই সাইটে অনেক শিশু যৌন নিপীড়নকারী নারীর ছবিসহ বর্ণনা পাওয়া যাবে।
http://crime.about.com/od/sex/ig/female_pedophiles/
গ। নারীযৌনতার(Female Sexuality) উপরে নারীদের বক্তব্যঃ
১। হেলেন ফিশার তাঁর “প্রেমের বিশ্লেষণ” (Anatomy of Love) বই এর ১২৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ
“All these data certainly lead one to suspect that women avail themselves of illicit lovers with relish, perhaps even as avidly as men”
(এই সব উপাত্ত নিশ্চিতভাবে এই সন্দেহেরই উদ্রেক করে যে নারীরা পরম তৃপ্তির সাথেই অবৈধ প্রেমিকদের ভোগ করে।)
একই বইএর ৯৪ পৃষ্ঠায়ঃ
“You may wish to argue that these women (and women in many other cultures) all engaged in prostitution for purely economic reasons. But many say they like the sexual variety. And the women who pursue this vocation are not alone. The animal kingdom is rife with loose females.”
(তুমি হয়ত এই যুক্তি দিতে পার যে এই নারীরা (এবং অন্য অনেক সংস্কৃতির নারীরা) বেশ্যাবৃত্তিতে নিয়োজিত হয় স্রেফ দারিদ্র্যের কারণে। কিন্তু তাদের অনেকে বলে তারা বিভিন্ন যৌন অভিজ্ঞতা পছন্দ করে। আর এই পেশায় নিয়োজিত নারীরা একা নয়। প্রাণিজগৎ ভ্রষ্টা মেয়েতে ভরপুর)
৯৫ পৃষ্ঠায়ঃ
” There is no evidence whatsoever that women are sexually shy or that they shun clandestine sexual adventures. Instead both men and women seem to exhibit a mixed reproductive strategy: Monogamy and adultery are our fare ”
(এমন কোন সাক্ষ্য প্রমাণ নেই যে মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে লাজুক বা তারা গোপন যৌন অভিযান এড়িয়ে চলে । বরং পুরুষ ও নারী উভয়েই এক মিশ্র প্রজনন কৌশল প্রদর্শন করেঃ একগামিতা অ বহুগামিতা দুটোই আমাদের স্বভাবজাত অভ্যাস)
২। Meredith Small তাঁর “What’s Love got to do with it?” বইএর ১২২ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ
“The difference between men and women in sexuality is not natural, i.e it is not true that men are genetically coded to have more sex than women, but simply a product of sexual repression by males, a policy that developed to control paternity ; without repression women would presumably have sex as often and with as many partners as men”
(ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য স্বাভাবিক নয়। এটা সত্যি নয় যে ছেলেরা বংশাণুগত কারণে মেয়েদের চেয়ে বেশী যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। এর কারণ হল পুরুষদের যৌনদমন, যা পিতৃত্ব নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই সৃষ্ট। এই দমন উনুপস্থিত থাকলে নারীরাও পুরুষদের মত যখন ও যত খুশী সঙ্গীর সাথে রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হত)
একই বইএর অন্যত্র লিখেছেনঃ “Women would be as interested in sex had they not had to fear a male stranger.” (যদি অচেনা পুরুষ কে ভয় করতে না হত তাহলে নারীরাও যৌনক্রিয়ায় একই ভাবে উৎসাহী হত)
১৫৭ পৃষ্ঠায়ঃ
“In the short term, when women have the opportunity and freedom, I maintain that women are just as interested in sexual partners, and frequent sex, as men”. “both men and women compromise between two conflicting impulses.”
(আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে স্বল্প মেয়াদে, যখন সুযোগ ও স্বাধীনতা আসে, মেয়েরা পুরুষদের মতই একই হারে যৌনসঙ্গীতে উৎসাহী হয়। )
৩। Daylle Deanna Schwartz তাঁর “All men are Jerks until proven otherwise” বই এর ৯৩ পৃষ্ঠায় বলেনঃ
“Although women may hesitate to admit it, many of us love sex far more than just the emotional gratification. Our reluctance to acknowledge the basic natural pleasure is related to messages that have taught us that its unladylike to enjoy sex too much”
(যদিও নারীরা এটা স্বীকার করতে অস্বস্তি বোধ করতে পারে, বাস্তবে আমাদের অধিকাংশই যৌনসম্ভোগকে ভালবাসি, এবং তা শুধু মানসিক তৃপ্তির জন্যই নয়। আমরা যে এই মৌলিক আনন্দকে অস্বীকার করি তার কারণ আমাদের এই বার্তাই শেখান হয় যে অধিক যৌনসম্ভোগ নারীসুলভ নয়)
৪। Joan Rodgers তাঁর “Sex: A natural History” বইএর ৩৫২ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ
“Every sexual anthropologist, from Alfred Kinsey to Helen Fisher, has concluded that given a level social playing field and absence of severe punishment, women, not men are the promiscuous sex, seeking variety.”
(প্রত্যেক যৌন নৃতত্ববিদ, আলফ্রেড কিন্সলী থেকে শুরু করে হেলেন ফিশার, সবাই এ সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছেন যে, যদি সামাজিক খেলার মাঠটা সমতল হত (অর্থাৎ সবার প্রতি একই নিয়ম কানুন প্রযোজ্য হত) ও কঠোর শাস্তি বিধান না থাক্ত, তাহলে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশী নির্বিচার যৌনতায় লিপ্ত হত, ভিন্ন স্বাদের খোঁজে)
৫। উপরের বইএর ৩৮১ পৃষ্ঠা থেকেঃ
“April Gorry of UCSB conducted studies of female white tourists (sex tourism) in Carribbean found that women were more promiscuous there, choosing men of lower status than themselves, prioritizing male appearance etc”.
(সান্টা বারবারায় অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের April Gorry ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমনকারী শ্বেতাংগ নারী ট্যুরিস্টদের (যৌন ভ্রমণ) উপর এক সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে মেয়েরাই সেখানে নির্বিচার যৌনতায় বেশী আগ্রহী, তারা নিজেদের চেয়ে নীচের স্তরের পুরুষদের বেছে নেয়, তাদের দৈহিক দিককেই প্রাধান্য দিয়ে)
৬। Marie Bonaparte তাঁর “Female Sexuality”(নারী যৌনতা) বইএর ১৭৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেনঃ
“there is a slight masochism in women, which impels her to welcome and to value some measure of brutality on the man’s part.”
(মেয়েদের মধ্যে কিছুটা আত্মনিগ্রহের প্রবৃত্তি (Masochism) কাজ করে, যা তাকে পুরুষদের মধ্যে কিছুটা পাশবিকতা আশা করতে উদ্বুদ্ধ করে)
৭। Helene Deutsch তাঁর বই “The Psychology of Women”(নারী মনস্তত্ব, দুই খন্ডে) লিখেছেনঃ
“Masochism, narcissism, and passivity are the three key characteristics of the female personality.”
(আত্মনিগ্রহ,আত্মপ্রেম,নিষ্ক্রিয়তা, এগুলি হল নারী ব্যক্তিত্বের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য)*
* এর উপর তিনি এক পুরো অধ্যায় নিয়োজিত করেছেন।
৮। Joan Rodgers তাঁর “Sex: A natural History” বইএর ৭৯-৮০ পৃষ্ঠা থেকেঃ
“Survey shows that women disapproves casual sex far more than men, but still participate in it, a double standard that belies the biological roots of our stone age ancestors and is perhaps a frustrated bow to social conventions and male dominated social structures.”
(জরীপে এটা দেখা গেছে যে , নারীরা যদিও দৈবাৎ যৌনক্রিয়াকে পুরুষদের চেয়ে অনেক কম সমর্থন করে, কিন্তু আবার এতে লিপ্তও হয়। এটা একটা কপটাচারই বটে। এর কারণ দৈবাৎ যৌনক্রিয়া আমাদের প্রস্তর যুগীয় পূর্বপুরুষদের জীববৈজ্ঞানিক শিকড়ে নিহিত হলেও, সামাজিক বিধিনিষেধ ও পুরুষ আধিপত্যের কাছে সমর্পনই এই দৈবাৎ যৌনক্রিয়া অসমর্থন এর কারণ)
৯। Naomi Wolf এর লেখা “Promiscuities” বই থেকে কিছু উদ্ধৃতঃ
p–xxvi :
“But anatomists and sex educators over the last 30 years have found more and more evidence that women are not only designed anatomically to be at least as sexually intense as men – but even that women’s capacity for pleasure is extreme in a way we have yet to accept”
“That the male gender is more driven by lust – is a fairly recent historical invention. For most of recorded history, women’s status as the more carnal sex was pretty much granted, so much so that women’s presumed carnality was used to justify their persecution”
(শারীরস্থানবিদ ও যৌনশিক্ষা বিশারদেরা কিন্তু গত তিরিশ বছর এই সাক্ষ্য প্রমাণই পেয়েছেন যে মেয়েরা যে ছেলেদের মতই শারীরিকভাবে যৌনক্রিয়ার জন্য তৈরী তাই নয়, এর মাত্রা যে অনেক চরমও হতে পারে সেটা এখনো আমরা মানতে পারিনি।
ছেলেরা যে যৌনলালস্রা দ্বারা অধিক চালিত হয় সেটা এক আধুনিক ঐতিহাসিক আবিষ্কার। লিখিত ইতিহাসের অধিকাংশ সময়েই কামতাড়িত যৌনতায় নারীদের স্থ্যান যে অনেক উপরে, সেটা ধরেই নেয়া হত, এবং এতটাই ধরে নেয়া হত যে নারীর এই কথিত কামুকতার কারণকেই নারী নির্যাতনের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে)
১৮৭ পৃঃ Hopi (Pueblos of N. Arizona) women dance naked ceremony. Clay phalluses then inciting men to passion and then to love making.
Refers to Gutirrez: “When Jesus came, the corn mothers ran away”
(উত্তর আরিজনা অংগরাজ্যের হোপী নামক পুয়েব্লো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের নারীরা উলংগ হয়ে নৃত্য করত মাটির তৈরী লিংগ নিয়ে আর পুরুষদের কামে লিপ্ত হতে প্রলুব্ধ করত। )
গুটিররেজ এর উদ্ধৃতি দিয়ে লেখিকা বলেন যে “যখন যীশু খ্রীষ্ট এলেন, তখন ভুট্টা মায়েরা পালিয়ে গেল)। অর্থাৎ নাওমি বলতে চাইছেন যে খ্রীশ্চান ধর্মযাজকেরা এসে রক্ষনশীল ধর্মবোধ প্রচার করতে শুরু করলে খ্রীশ্চান মূল্যবোধের বিরোধী হওয়ায় হোপী নারীদের সেই কামনৃত্যের অবসান ঘটে।
এই সাইটে একটা ই বুক এ যে পড়লাম মেয়েরা নিজেদের চেয়ে নীচের স্তরের পুরুষদের প্রতি আকরষিত হয়না ঐ পুরুশ যতোই সুনদর হোকনা কেন!!!!!!
তাহলে সাহিতিকদের মাঝে কেন পুরুশের সংখা বেশি??
এই পর্বে এসে এবার সত্যি সত্যি জটিল হয়ে গেলো সবকিছু !
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।