এবার গাছে এত বোঁল কেন?
ভাবিছি, এ বৃক্ষেরই কোন খেল্ যেন।
এবারই দানিবে সে সব-
জীবনের তরে রসাল মোদের বঞ্চিবে তাঁর বিত্ত-বৈভব।
আরে না… এ আমার অথর্ব কল্পনা,
ওঁরা কি মানুষ যে হইবে কৃপণমনা?
ছিঃ ছিঃ করিতেছি কি আমি হায়!
মহান বৃক্ষরে তুলনা করিছি তুচ্ছ মানব সাঁয়?
এ কল্পন্ না করিয়া উপায় কি কিছু ছিল?
যে হারে মানব(?) বাড় বাড়িছে…
এই হল উপযুক্ত কর্মফল।
কারণ…
রসাল তাঁর প্রাণভরে দান করে রতন যত
তাঁর তরে সমান সকলে;বলেঃ
‘করিওনা ভুলেও কারেও বঞ্চিত।’
বৃক্ষ-লাভী থোরাই শোনে সেই মহা ফরমান,
বলেঃ
‘আগে মোর পেট পুঁজো হবে, কিসের করিব রে দান?’
…ভাবিলাম অবিচার এ না সহে কাঁদিয়া বৃক্ষ মশাই
স্থির করিছে আর কখনো দানিবে না রসাল তাই।
কিন্তু চিত্ত তাঁর এত বিরাট মহান-যেন আসমান হার মানে,
শেষবারের মত দিতেছে অসীম ভরাইয়া রসাল ধনে।
তাই মার্জনা আমি প্রার্থিব তব সকলের কাছে,
অথর্ব কল্পন্ সত্য হলে মন হাসিবে তৃপ্ত লাজে।
আপনার কবিতা গুলা ভালোই লাগে চালিয়ে যান। :clap2:
মানে এবার দেখলাম প্রতিটা আম গাছে প্রচুর মুকুল গজিয়েছে। সন্দেহবাদী এই আমার মনে তাই সন্দেহের সঞ্চারণ ততক্ষনাৎই হলঃ মনে মনে ভাবলাম আল্লা বুঝি মানুষকে একটা শিক্ষা দিতে কোনো খেল্ এর আয়োজন করেছেন; সিদ্ধান্ত তারঃ এই বারের মত বাম্পার ফলন দিয়ে আর কখনো অকৃতজ্ঞ মানুষকে রসালের স্বাদ দেবেন না। এই কল্পনা থেকেই উপরক্ত ছাঁই ভষ্মের জন্ম।
…মানে এই কল্পনা সত্যি হলে আমি মনে মনে খুউব খুশি হই…যাক মানুষকে একটা শিক্ষা দেওয়া গেল। :rotfl: :guli: