আজকের সংবাদপত্র নিশ্চয় সবাই দেখেছেন। রক্তের বন্যা বয়ে গেছে রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে। ফারুক হোসেন নামের এক মেধাবী ছাত্র মারা গেছে। আহত হয়েছে আরো পঞ্চাশ জন। কয় দিন আগে মৃত্যুবরণ করা আবু বকরের মতোই ফারুকও খুব  গরীব ঘরের ছাত্র। বেড়ার ঘরে বসবাস তার বাবা মার। কি হচ্ছে এই ক্যাম্পাস গুলোতে? এ রকম ভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্যই কি বাবা মারা তাদের প্রিয় সন্তানকে ইউনিভার্সিটিতে প্রেরণ করেন?  আমি বুঝিও না আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও শিবিরের দল এরকম সাহস করে কিভাবে?  অবশ্য এইটা বলেই বা কি লাভ? ছাত্রলীগের নিজেদের গ্যাঞ্জামেই তো মারা গেলো আবু বকর। আর আমাদের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী তো বলেই দিলেন – এটা কোন ব্যাপার নয়, এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। এখন ফারুকের মৃত্যুও কি সেরকম কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা? সাহারা ম্যাডাম কি বলবেন?

যা হোক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে পত্রিকার কিছু লিঙ্ক পাঠালাম।

শিবিরের বর্বরতা (সমকাল) 

শিবিরের তান্ডবে রক্তাক্ত রাজশাহী (প্রথম আলো)

পেপারে পড়লাম আগের দিন নিজামীর রাজশাহীতে মিটিং করে গিয়েছিলো। মিটিং এ অংশগ্রহণকারীদের একাংশই নাকি এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তাহলে কি এটা একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পণার ফসল?  হুমায়ূন আজাদ স্যারের কথা মনে পড়ছে। চাপাতি দিয়ে বইমেলায় কোপানোর আগের দিন দেলোয়ার হসেন সাইদী সংসদে আজাদ স্যারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন। ব্লাস্ফেমী আইনী তাকে হত্যা করার দাবী তুলেছিলেন। রাজশাহীর ঘটনাও কি তেমন একটা কিছু?

জামাত শিবিরকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা কি আমরা হারিয়ে ফেলেছি? যদিও ক্ষমতা কস্মিনকালেও ছিল না বলেই জানি।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে পোস্ট দিলাম। আশা করি মডারেটরেরা এটাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।  মুক্তমনায় এটাই আমার প্রথম পোস্ট।

রাহাত।