আলতারঙা পায়ের নূপুর ঝনঝনে
-দিদি, এনেছি পাটিসাপটা পিঠে।
সুখ উপচে পড়া মেয়েটিকে দেখি
-বড় মায়াবী ছায়াগো তোর চোখে।

শ্যামলা মুখে মিষ্টি হাসি ঝরে
-জবা ফুল নিয়ে আসি গিয়ে।
ধূপ-ধুনো সাজায় মেঘলা মেয়ে-
নির্জীব প্রতিমার তরে।

আরতির থাল উল্টে পড়ে গায়ে।
চমকে ওঠে জনাদশেক লোকে।
হঠাৎ আমি গভীর চোখে দেখি
আগুনের আঁচে বীভৎস এক মেয়ে।

সুতোর বুনন লালপেড়ে সেই শাড়ি-
আগুন লেগে জমে আছে গায়ে।
যে প্রতিমা ধ্যান নিল কেড়ে,
সে প্রতিমা স্তব্ধই যায় থেকে।

বোকা মেয়ের নিথর দেহ কি জানে –
মাটির পুতুল পারেনা জীবন দিতে।
জনাদশেক মানুষের কাঁধে চড়ে-
মেয়েটি চলে দাহ্য বস্তু হতে।

১৭/১২/২০০৯