আমি আসবই, এটাই আমার নিয়তি
আমি আসব বিশ্বাসের চীনের প্রাচীর সম বাধা পেরিয়ে, কেননা
আমাকে যে আসতেই হবে
বিশ্বাসের শ্যাওলা পড়া দেয়াল আকড়ে যারা থাকতে চায়
যারা বিশ্বাসের ঘুনে ধরা রোদে ওম পেতে চায়
আমার উদ্ভাসিত আলোয় ওরা খসে পড়বে
ওরা আমার আলোর বন্যায় ভেসে যাবে
ওদের আনুগত্যের সূর্য
আমার আলোতে অমাবস্যায় পরিনত হবে
ভাবছি এখনও কেন প্রশ্ন করছ না আমি কে
ভাবছি এখনও আমার কথায় কেন সন্দেহ করছ না
যদি প্রশ্ন না করো, যদি সন্দেহ না করো
তবে আমাকে চিনবে কি করে
প্রশ্ন করো, সন্দেহ করো, করো অবিশ্বাস
তবেই আমাকে চিনতে পারবে
হ্যা, আমিই সত্য,
সত্য চিরন্তন।
আমিই তোমাদের লক্ষ
মেনে নিও না
জানতে হলে, বুঝতে হলে, নিশ্চিন্ত হতে হলে
আবার প্রশ্ন করো।
সন্দেহ জাগ্রত হোক
অবিশ্বাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক
তাহলেই আমাকে পাবে তোমরা
পাবে আলোকিত অনিবার্য সত্যকে।।
আমি পুরোপুরি বিভ্রান্ত। কিছুক্ষন আগে মামুন ভাইয়ের কমেন্ট দেখলাম। আমি রিপ্লাইও করলাম। কিন্তু এখন দেখছিনা। বুঝতে পারছিনা সমস্যাটা কি। 😕 :-/ 🙁
@সাইফুল ইসলাম,
সম্ভবতঃ উনি নিজের কমেন্ট পরে এডিট করেছিলেন। প্রকাশিত কমেন্ট এডিট করলে মডারেটরের এপ্রুভালের জন্য পড়ে থাকে। এক্ষেত্রে সম্ভবতঃ তাই হয়ছিলে। এপ্রুভ করে দেয়া হয়েছে। এখন দেখতে পাবার কথা।
@মুক্তমনা এডমিন,
এখন দেখা যাচ্ছে।ধন্যবাদ এডমিনকে সাহায্যের জন্য।
অবিশ্বাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক
তাহলেই আমাকে পাবে তোমরা
পাবে আলোকিত অনিবার্য সত্যকে।। :clap2:
সাইফুল ইসলাম ,
যেখানে বিশ্বাস এর ভূত ভর করে সেখানেই তো যত গন্ডগোলের কারখানা।এই বিশ্বাস আর নৈতিকতার তথাকথিত ধর্মীয় দাওয়াইগুলি বংশ পরম্পরায়,যুগ যুগ,হাজার হাজার বছর ধরে খেতে খেতে আমাদের মস্তিষ্ক এখন আর কোন কিছুকে সংশয়বাদী দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করে না।শুধু যত পারো অন্যকে ঠকাও, খাও,দাও, ফর্তি কর এই পৃথিবীতে আবার বিশ্বাস ও নৈতিকতার দোহাই দিয়ে পরকালের মনবাসনার জন্য তো হুর-গেলমানরা অনন্ত কাল ধরে থাকবে এ রকম অলীক বিশ্বাস নিয়ে আমাদের জীবন যাত্রা চলছে আর চলছে। সেক্ষেত্রে অনন্ত কাল ধরে পাওয়া সুখের,আরাম-বিলাশের জীবন-এর কথা বাদ দিয়ে অন্য কিছুকে অবিশ্বাস করার ক্ষমতা কয় জনের আছে বলুন ??
আপনার কবিতাটি উচ্চমার্গের কবিতা।
ভালো থাকুন।
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনিও ভাল থাকবেন।
অসাধারণ ক’টি লাইন!!! আপনার মত দার্শনিক কবিকে পেয়ে সত্যিই আনন্দিত (আবার ভাববেন না মশকরা করছি 😉 )। আপানার আর আগন্তুকের এ ধরণের দার্শনিক কবিতাগুলো সত্যই ভাল লাগে, আমাদের ব্লগের জন্য একেবারে মানানসই 🙂 । এগুলোর কি আলাদা কোন নাম আছে? না থাকলে চলেন একটা নাম দেই – নিরীশ্বর গাঁথা।
বাংলাদেশে কি এরকম আরো কোন কবি আছেন যারা এ ধরণের বিষয় নিয়ে লেখেন, কিংবা বেশ কিছু কবিতা লিখেছেন?
@অভিজিৎ দা,
অনেক ধন্যবাদ অভিজিৎ দা আপনার মন্তব্যের জন্যে। প্রেরনা হিসেবে কাজ করবে ভবিষ্যতে।
আমি ঠিক জানিনা এই ধরনের কবিতার কোন আলাদা নাম আছে নাকি।
তবে আপনার দেয়া নামটা নিতে কোনই আপত্তি নাই। 🙂
কবিতার রস আস্বাদন করার মত যোগ্যতা আমার নেই। তাই কবিতা থেকে সাধারণত দূরেই থাকি আমি। কিন্তু কী কারণে যেন আপনার কবিতাগুলো ভালই লাগে আমার।
@ফরিদ ভাই,
আমি সত্যি আনন্দিত আপনার ভাল লাগা জানতে পেরে। নিজের লেখা কবিতা(জানিনা কবিতা বলা যায় কিনা) যখন কারো ভাল লাগে তখন বাস্তবিকই অনেক ভাল লাগে। 🙂
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।
আমার মন্তব্যটা ফরিদ ভাই ই করে দিয়েছেন। @সাইফুল:- :yes:
@শাফায়েত,
কি মিয়া হেব্বি হাওয়া মারতে শিখছ না? 😀