ধর্ম, নৈতিকতা এবং রাজনীতিতে সুনীতি
মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
মানব জীবনের অনেক নৈতিকতা বোধই ধর্ম থেকে উৎসারিত এবং ধর্মশাস্ত্রে সংজ্ঞায়িত। এই নৈতিকতার মূল লক্ষ্য হলো সমাজ জীবনে শৃঙ্খলা আনয়ন। উদাহরণস্বরূপ ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে অবাধ যৌন উশৃঙ্খলা থেকে সমাজ জীবনে শৃঙ্খলা আনয়নে পরিবার প্রথা-র উদ্ভব । বিবাহ বর্হিভূত যৌনাচার অনৈতিক, এ চেতনার মূল প্রোথিত রয়েছে ধর্মশাস্ত্রে। শুধুমাত্র যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, বরং সামাজিক জীবনের সার্বজনীন নৈতিকতা, যেমন-মিথ্যা না বলা, চুরী না করা, ঘুষ না খাওয়া, মানুষ হত্যা না করা ইত্যাদি পৃথিবীর তাবদ ধর্মগ্রন্থ আত্মস্থ করে পাপ-পুণ্যের আলোতে ধর্মীয় অনুশাসনে রূপান্তরিত করেছে পৃথিবীতে একটি আদর্শ, নৈতিক সমাজ বির্নিমাণের প্রচেষ্টায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ধর্মীয় অনুশাসন মানব মনে নৈতিকতাবোধ উজ্জীবনে কতোটুকু সমর্থ? পাশ্চাত্য সমাজে ধর্মীয় অনুশাসন কার্য্যত অনুপস্থিত এবং গড়পড়তা ব্যক্তি মানসে ধর্মীয় চেতনাও ম্রিয়মান। সেখানকার সমাজ জীবন আবর্তিত হচ্ছে ইহজাগতিকতায়, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকে কেন্দ্র করে। কিন্তু প্রাচ্যে, যেখানে ধর্ম দৃশ্যমানভাবে এখনো সমাজ নিয়ন্তা, সেখানে কি মানুষের মাঝে সার্বজনীন নৈতিকতাবোধ অত্যন্ত প্রবল? মুসলমান প্রধান দেশগুলোতে আলোকপাত করলে এ বিষয়ে আশান্বিত হওয়ার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে শুরু করে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ পর্য্যন্ত র্নৈব্যক্তিক দৃষ্টিতে সমাজ নীরিক্ষণে এই সব দেশ যে নৈতিক অবক্ষয়ে ক্যান্সারাগ্রস্ত তা নিঃসন্দেহে প্রতিভাস। অথচ এই সব দেশগুলোতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কমতি নেই। নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত তথা ইসলাম নির্দেশিত অবশ্যপালনীয় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও বাড়ছে ক্রমাগত। এই যেমন বাংলাদেশে শুক্রবারে জুম্মার নামাজে মসজিদ উপচে রাস্তায় নামে নামাজীদের ঢল, রমজান মাসে রোজাদারদের উৎসাহ উদ্দীপনা, তারাবী নামাজে অংশগ্রহনের তাগিদ দেখে মনে হতে পারে দেশটি যেন নৈতিকতার ভিতেই প্রতিষ্ঠিত। কারণ নৈতিকতা বিরোধী কার্য্যক্রম, যেগুলো হাদীস-কোরানে নিষিদ্ধ তা তো মুসলমানের করতে পারে না। কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষিত সম্পূর্ণ উল্টো। ঘুষ, র্দূনীতি, মিথ্যাচার, অনাচারে আজ আমাদের সমাজ রন্ধ্রে রন্ধ্রে জর্জরিত। হাতে গোনা দুচারজন বাদে খোদ রাষ্ট্রযন্ত্রের উপরিভাগের ক্ষমতাসীন এবং প্রাশাসনিক ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সমাজের অপরাপর ক্ষমতাবান ব্যক্তিবর্গ নিজ নিজ বৈষয়িক অবস্থা উত্তরণে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করছে অবলীলাক্রমে। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্য্যন্ত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনকারীদের সংখ্যা বাড়লেও ধর্ম তার মূল উদ্দেশ্য, মানব মনে নৈতিকতাবোধ স্থাপনে আজ ব্যর্থ।
ধর্মের এ ব্যর্থতার কার্য্যকারণ বিশ্লেষনে ফ্রয়েডের অবচেতন মনকে স্মরণ করতে হয়। বর্তমান সময়ে সংখ্যাগুরু মুসলমান সচেতন মনে বিশ্বাসী হলেও এদের অবচেতন মনে ধর্মবিশ্বাস ততোটা প্রবল নয়। বিশেষ করে, ধর্মবিশ্বাসের মূল চালিকা শক্তি পরলোকে শাস্তির ভীতি কিংবা পুরস্কারের প্রলোভন মানুষের অবচেতন মনে আগের মতোন ক্রিয়াশীল নয়। ক্রমবিকাশের ধারাবাহিকতায় মানুষ আগের চেয়ে অনেক যুক্তিবাদী। ধর্ম হচ্ছে পরিপূর্ণ বিশ্বাসে ইশ্বর তথা ঐশীবানীতে আত্মসমর্úন যা বর্তমান যুক্তিনির্ভর মানুষের অবচেতন মন গ্রহন করতে দ্বিধাগ্রস্থ। তাই সচেতন মনের প্রভাবে মানুষ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে উৎসাহী হলেও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে মানব মনে নৈতিকতা বোধ জাগ্রত হচ্ছে না। সত্যিকার অর্থেই ধর্ম হয়ে পড়ছে আচার সর্বস্ব-আমাদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস কিংবা সংস্কার, অনেকটা আজান পড়লে বাঙ্গালী মুসলমান মহিলাদের মাথায় ঘোমটা টানার মতোন।
ধর্ম এবং রাজনীতির উদ্দেশ্যের মাঝে সাদৃশ্য রয়েছে। ধর্মের পারলৌকিকতা কিংবা আধ্যাতিœকতা বাদ দিলে ইহজাগতিক সমাজ নিয়ন্ত্রণ করাই এর মূল উদ্দেশ্য। রাজনীতিরও মূল উদ্দেশ্য সমাজ নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা। হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে শুধুমাত্র একজন প্রেরিত পুরুষ কিংবা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ভাবলে তাঁকে অবমূল্যায়ন করা হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি মধ্যযুগে মক্কাকেন্দ্রিক একটি প্রাগ্রসর রাষ্ট্র স্থাপনে কৃতিত্ব রেখেছেন। এ রাষ্ট্র স্থাপনে তাকে প্রয়োগ করতে হয়েছিল রাষ্ট্রনীতি, সমরনীতি এবং কূটনীতির নানা ক্রিয়া কৌশল। তাই বলা চলে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) একজন রাজনীতিকও ছিলেন বটে।
ধর্ম মানব মনে নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করতে পারলৌকিক জীবনে শাস্তি কিংবা পুরস্কারের কথা বলে থাকে। এ ছাড়াও নৈতিকতা বিরোধী কার্য্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে ধর্মে রয়েছে ইহলৌকিক শাস্তির বিধান। সম্ভবতঃ ধর্মবেত্তাগন সচেতন ছিলেন, শুধুমাত্র পারলৌকিক শাস্তি কিংবা পুরস্কারের কথা বলে সমাজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অন্যদিক রাজনীতি ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা চালায়। সুস্থ রাজনীতিতে এই আইনের শাসনের ভিত হচ্ছে সুনীতি, যা সার্বজনীন নৈতিকতাবোধ থেকেই উৎসারিত।
বর্তমান সময়ের রাজনীতি সুনীতিকে অবজ্ঞা করে দূর্নীতিকে আশ্রয় করেছে। শুধুমাত্র আমাদের দেশে নয়, মাত্রার তারতম্যে উন্নতবিশ্বেও। উন্নতবিশ্বের রাজনীতির নিয়ন্তা এখন বহুজাতিক কোম্পানী, যাদের মূল উদ্দেশ্য সমাজকে ভোগবাদী দর্শনে আপ্লুত করে নীতিহীনভাবে পূঁজির স্ফীতি ঘটানো। বহুজাতিক কোম্পানীর প্ররোচনায় উন্নতবিশ্বের রাজনীতি মানবতা বিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে দ্বিধাবোধ করে না। উদাহরণস্বরূপ ইরাকে সাদ্দাম বিরোধী অন্যায্য, অমানবিক যুদ্ধের কথা উল্লেখ করা যায়, যার নেপথ্য নায়ক ছিলো বহুজাতিক কোম্পানীগুলোই। এই যুদ্ধে বহুজাতিক কোম্পানীগুলো সমরাস্ত্র বিক্রি করা ছাড়াও ইরাকের তেলক্ষেত্রগুলো গ্রাস করার সুযোগও পেয়েছে।
হ্যা, উন্নত বিশ্বের রাজনীতি তবুও বহুলাংশে আইনের শাসনে প্রতিষ্ঠিত। অন্ততঃ তাদের নিজস্ব জনগোষ্ঠীর জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ সহ তৃতীয়বিশ্বের অনেক দেশেই আজ আইনের শাসন অনুপস্থিত। রাষ্ট্রযন্ত্রের প্ররোচনায় দূর্নীতি, রাষ্ট্রীয়সম্পদ লুটপাট, অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষন-নির্যাতন যেন আজ আমাদের ভাগ্যলিপি। দুঃখের বিষয় যারা আজ দেশের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যতিক্রমী দুচারজন বাদে কেউই দেশের এই অধঃপতনের জন্য ভাবিত নয়। বরং এদের বৈষয়িক স্বার্থের কারণেই রাজনীতি আজ রাহুগ্রস্থ। ক্ষমতালোভী, দূর্নীতিবাজ রাজনীতিকেরা সমাজের বিত্তবান লুম্পেন ধনিকগোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিকে করেছে নৈতিকতাবিহীন, র্দূবৃত্তায়নগ্রস্ত।
রাজনীতিকে র্দূনীতিমুক্ত করে সুনীতির ভিতে দাঁড় করানোর কোনই উপায় নেই? অবশ্যই আছে। এজন্য গণমানুষকে, যাদের নৈতিকতাবোধ প্রবল তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। নেতা কিংবা সংগঠনের জন্য অপেক্ষা করলে মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়ে যাবে। র্দূনীতিবাজ ক্ষমতালোভীদের বিরূদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে শনির আখড়া কিংবা কানসাটের মতোনই গণমানুষকে ফুঁসে ওঠতে হবে। ঐক্যবদ্ধ গণজোয়ারেই স্থানীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনীতিতে সুনীতি এবং জন্ম নিবে গণমানুষের নেতা। এইভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে স্থানীয় রাজনীতিতে সুনীতি প্রতিষ্ঠিত হলে অনির্বায্য ভাবে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সুনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে এ কথা সুনিশ্চিত।
লেখক: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক। ইমেইল – [email protected]
ফুয়াদ,
একবার ভেবেছিলাম আপনার কথার কোনো উত্তর দেবনা।কারন আপনার পাগলামির জবাব শুধু নিরবতাই হতে পারে।আপনার বুদ্ধিদীপ্ত শানিত যুক্তি শুনে আমি ইদুরের গর্তে লুকিয়েছি এটা যদি আবার ভেবে বসেন তাই আবার লিখলাম।আশা করি আপনার সাথে আর কোনো অর্থহীন বাতচিত করতে হবে না।
আচ্ছা আপনি আমার আগের লেখার কোথাও কি দেখাতে পারবেন যে আমি “দাস”কথাটা একবারও উল্লেখ করেছি?আমি যে কথা একবারও উচ্চারনও করলাম না তা নিয়ে আপনি প্রায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ব বাধিয়ে বসে আছেন।আপনি আমার লেখার যে অংশটুকু নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে করে গলার রগ ফুলিয়ে
টয়লেট এর পাইপ বানিয়ে ফেলেছেন তার কোথাও কি দাস নিয়ে কোনো কথা আছে?নাই। তাহলে কেন এই লাফালাফি?আমি যা বলেছি তা হল ইসলাম এ কি যুদ্ধলব্ধ নারিদের সাথে সেক্স করার নিয়ম আছে কিনা?আপনি আমার কথা প্রথমে টেনে নিয়ে গেলেন মুহাম্মদ কি এরকম কোনো কাজ করেছে কিনা?আপনার কথার জন্য আমি হাদিস গুলোর রেফারেন্স দিলাম।এখানে এই ব্যাপারে তো কোনো প্রকার কমেন্টস করতে দেখলাম না।শুধু দাস দাস করে সারা বাংলার মানুষকে এক করে ফেলেছেন।আর দাস কি মুহাম্মদ রাখেন নি?সে কথা তো আপনিই স্বীকার করেছেন।বাহ সব কথা আপনিই বলছেন।একবার বলছেন কই মক্কা বিজয়ের পরে তো তাকে দাস বানাতে দেখলাম না?আবারা আপনিই যায়েদ,আনাসদের উদাহরন দিয়ে বলছেন তার দাস ছিল ভাল কথা।একটি লেখার ভেতরে কত ধরনের মত আপনি দিলেন? আপনি আসলে কি বলতে চান?
যেহেতু মুহাম্মদ এর সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে কিছু বলেননি তাই ধরে নিচ্ছি ঐ ব্যাপারে আপনি একমত।
এবার আসি দাস প্রথার ব্যাপারে,আচ্ছা আমি যদি একটি বাচ্চাকে ছোট বেলায় কিডন্যাপ করে মা বাবার মমতা ভালবাসা দিয়ে বড় করি আমি কি মহৎ হয়ে ্যাবো?কখোনই না।দাস প্রথাটাই হল একটি অমানবিক প্রথা।এর সাথে যতই আদর ভালবাসা জড়িয়ে থাকুক না কেন।
আপনাকে বোঝানোর সাধ্য কারো নাই তারপরও লিখলাম।
ধন্যবাদ
সাইফুল ইসলাম
@সাইফুল ইসলাম,
আপনিও আমার কথা বুঝতে পারেন নাই । বা বুঝাতে পাড়ি নাই । তবে আপনার কোন কথার সাথে একমত না……………………………
আইভির এই তত্ত্ব আজকাল আধুনিক ইসলামিষ্টদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। সদালাপের রায়হান সাহেব ও এটা বিশ্বাস ও প্রচার করেন, তিনি একবার একটা বই এর লিংক ও দিয়েছিলেন কিভাবে ইসলামকে হাইজ্যাক করে একটি রিচুয়ালিষ্টিক ধর্মে পরিণত করা হয়েছে সে বিষয়ে। দূঃজনকভাবে সেই লিঙ্কটা এখন আর পাচ্ছি না।
তবে মোসলমানরা নামাজ রোজা নামে এখন যে রীতি পালন করে তা নিয়ে সন্দেহ করার খুব কম কারনই আছে। নবী সাহাবাদের নামাজ পড়ার উপর অসংখ্য হাদীস/ ঐতিহাসিক বিবরন আছে। নবী মোহাম্মদ প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নামাজ পড়তেন না তা এটা বিশ্বাস করা খুবই কষ্টকর। যারা তেমন বিশ্বাস করেন তাদের দেখাতে হবে যে সালাত বলতে তিনি ঠিক কি পালন করতেন। আমি হাদীস মানি না বললেই নামাজ রোজার রীতিকে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। সাইফুল যেমন বললেন, হাদীস না মানলে অর্থাৎ শুধু কোরানের উপর ভিত্তি করলে তো মহা নবীর জীবনী জানাই অসাধ্য হয়ে যাবে। মহানবীর বিদায় হজ্জের সেই ঐতিহাসিক নির্দেশাবলী কি কোরানে আছে?
মুশকিল হল, নামায রোজা এইগুলিকে বলা হয় ইসলামের পিলার। সেই পিলারগুলি নিয়ে যদি এতবড় ভুল বোঝাবুঝি মোসলমানদের মাঝে হাজার বছর ধরে চলতে হয় তবে বলতে হবে যে পৃথিবীর কোন বৃহত মানব গোষ্ঠীর এভাবে ভুল পথে যাওয়ার উদাহরন মনে হয় আর দুইটি নেই। বিস্ময়কর হল এত বড় ভুল কিভাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে সেটা। এখন ওয়েবে একটু ঘোরাঘুরি করে দেখতে পাচ্ছি যে এমন না যে এ ভুল সম্পর্কে মাত্র একজন দুজন জানেন বা এই ভুল হঠাত করেই আবিষ্কার হয়েছে।
ইসলামের যেকোন সমালোচনামুলক (সবচেয়ে কমন সমালোচনা সাধারণতঃ নারী অধিকার, বিজ্ঞানের সাথে সঙ্ঘাত, তালেবান বা জেহাদী সন্ত্রাসী তৈরী ইত্যাদী) লেখার জবাবে অবধারিতভাবে অত্যাধুনিক ইসলাম ডিফেন্ডাররা প্রায়ই এই তত্ত্ব নিয়ে আসেন। হতেও পারে। সে বিচার করার মত জ্ঞান বুদ্ধি আমার নেই, তাই ওই চেষ্টা করছি না। আমার খটকা অন্যখানে।
ধরে নিলাম আসলে ব্যাপারটা তাই। তবে এরপর আরো মারাত্মক প্রশ্ন জাগে (আইভিকে আগে বেশ কয়েকবার এই প্রশ্ন করে গেছি) যে এই ভুল সংশোধনের দায়িত্ব কার? যারা এই ভুল বের করছেন তারা এই ভুল প্রচারের কি কি ব্যাবস্থা নিয়েছেন? তাদের কি এটা পবিত্র দায়িত্ব না? তারা মুখে স্বীকার না করলেও আসলে তারা জানেন যে এই ভুলের শিকড় এতো গভীর যে সংশোধন আসলে সম্ভব নয়। এই তত্ত্বের ধারক বাহকদের একটা অন্যতম প্রিয় উপসংহার হাদীস বলে কিছু নেই, সব ভূয়া। ওইদিকে তাদের নিজ সম্প্রদায়ের প্রায় ১০০ ভাগ মানুষ উঠতে বসতে সেই ভূয়া হাদীস দিয়ে তাদের জীবন নিয়ন্ত্রন করে। আমি কিছুতেই বুঝি না যে তারা এতো বড় তথ্য কেন শুধু ওয়েব পেজ এ মাত্র কিছু ফোরামে সীমাবদ্ধ রাখছেন? তাদের কি উচিত না নিজ দেশে গিয়ে বড় বড় মসজিদে দাড়িয়ে প্রকাশ্যে আহবান জানানোর যে সব হাদীস ভূয়া বা নামাজ রোজার নামে আমরা যা করি তা ইসলাম সম্মত নয়? না করতে পারলে আর এত গলাবাজীর মানে কি?
যা ভেজাল বলে নিজেরাই সার্টিফাই করছেন তার সমালোচনা নাস্তিক বা আর কেউ করলে আর তাদের আক্রমন করা কোন যুক্তিতে?
@আদিল মাহমুদ,
সহি হাদিস গুলোর মধ্যে হয়ত কিছু ভুল হাদিস ডুকে পড়েছে অথবা না । হাদিস শাস্র সমপর্কে বিশাল বক্তব্য আছে । হাদিস নাই বা ভুল, এই রখম, উল্টা পাল্টা তত্বের সাথে, ami নাই । আমি হাদিস কে আল কুরান দ্বারা বিবেচনা করি । যেটা বুঝিনা বা খটকা লাগে ওইটা ওই ভাবেই রেখে দেই । ফল করি না । এটাই নিয়ম ।
যদি মুক্তমনারা ইসলাম না বুঝে, নাবুঝুক, এই জন্য এই তত্বের দরকার নাই । ivy আপা বা অন্যরা হাজারো বক্তিতা দিলে ও তারা বুঝবে না । আর যে বুঝার সে এমনিতেই বুঝবে । যুক্তি খাতিরে ভাল অবস্থান থেকে যুক্তি দেন । ইসলাম সম্পর্কে ভাল ভাবে বুজতে হলে আল কুরান সাথে তফসির পরতে হবে । হুজুর দের তফসির বিশ্বাস না হলে,
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রঃ তফসির অথবা আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের, অথবা হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রঃ ব্যাক্ষা পড়তে পারেন ।
রাসূল সঃ নিজের আপন মায়ার চাচা কেই, মসুলমান বানাইতে পারেন নাই ।
{মুশকিল হল, নামায রোজা এইগুলিকে বলা হয় ইসলামের পিলার। সেই পিলারগুলি নিয়ে যদি এতবড় ভুল বোঝাবুঝি মোসলমানদের মাঝে হাজার বছর ধরে চলতে হয় তবে বলতে হবে যে পৃথিবীর কোন বৃহত মানব গোষ্ঠীর এভাবে ভুল পথে যাওয়ার উদাহরন মনে হয় আর দুইটি নেই}
এটাই কারান; কেন আমরা রাসূল সঃ কে রাজনিতিক বলি না । রাজনিতিক ব্যবসায়ী বল্লেই সেকুলারের ভিত্তিতে ইসলাম কে বিবেচনা শুরু হবে যার ভয়ংকর পরিনিতি এই ধরনের ফিলসফি আবিষ্কার হবে । মহমুদ ভাই, আপনি আমার কথা বুঝতে পারেন নাই ।
আল্লাহ সুবাহানাতালা আমাকে বুঝার জ্ঞান দিয়েছেন ।ছোটবেলায় দুর্বল অসুস্থ আমাকে class mate রা পচন্দ করত না; তাই খেলায় নিত না, সবাই খেলত আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম ।এটার কি কষ্ঠ… টিককারী সুনতাম; বৃহষ্পতীবারে তার কি আর ভাল কাপর নাই; একই কাপর পড়ে আসতাম. যেদিন different dress আনতে হত .তাই। এ জন্য বড়হলাম একা একা নিজের সাথে কথা বলে আর চিন্তা করে।
সত্যি কারভাবেই আমার লেখা শিশুদের মত । আমি জানি । এটা আমার দুর্বলতা । সবাই হাসা হাসী করে । এটা নুতুন নয়, class a ও হইতো । but আমি আমার ব্যাপারে সত্য । আমার একটি কথা, এই পৃথিবীর মালিক একজন ।
এটা কতই আশ্চর্য একজন আল্লাহ কে বিশ্বাস করতে পারল, আবার উনার কথায় logic খুজল । এটা কেন বুঝেন না, আমরা কেউ উনারে না ডাকলেও উনার কিছু হবেনা । আল্লাহ Metalinguistic না । যে আমরা কি কি করলাম, কত টাক রুজি করলাম । আল্লাহ এক, তাই উনার ধর্ম ও এক, কুরান একটিই । উনার শেষ ধর্ম যদি দুই তিন ভাষায় করেন নাই । উনি রাসূলকে পৃথিবীর মধ্যে অবস্থানে দিয়েছেন যাতে সহজেই উনার্ ধর্ম সমগ্র পৃথিবীতে পৈছে যায় । উনি সকল মসুলমান এক কাবার দিকে মুখ কর্তে বলছেন ।
আমি উনার কথার মধ্যে logic বিরোধী পাই না ।হয়ত বলবেন আমি অন্ধ । কিন্তু এত অস্থির কেন হন আপনারা যে আল্লাহ সুবাহানাতালা নারীদের প্রতি অন্যায় করেছেন বলে। আল্লাহ কিভাবে উনার বান্দীর প্রতি আন্যায় করবেন । যাকে তিনি মনুষের মাতাপিতার থেকে অনেক গুন ভালবাসে ।আপনারা বলেন, কোরানের বিজ্ঞানের সঙ্গাত, মানব অধিকার । মানব অধিকার, কি আল্লাহর swt চেয়ে ভাল বোঝেন । আরযদি বলেন আমি যা যানি তাতে পরে না, তাইলে কি মানুষ সব কিছুই জানে নারি বা মনব আধিকার আথবা বিজ্ঞান । আর যদি চিন্তিত হন হিন্দু,Christan, jew কেন দুজকে যাবে । but It’s also true যে বিচার হবে, তার পারিপার্ষিক অবস্থা অনুষারে । কেন সময় এক ঊয়াক্ত নামাজের জন্য দুজক যাবে, আবার কোন সময় এক ঊয়াক্ত নামাজ পড়লে বেহেস্থ যাবে । কারো প্রতি অন্যয় হবে না ।
রাসূলকে হাদিসের আলোকে অন্যায়কারি সাব্যস্থ করেন, আবার ঐই হাদিসে উনাকে আলআমীন বলা হয় সেটা দেখন না । একজন আলামিন কিভাবে অন্যায় করবেন । কার জন্য করবন ? কিসের জন্য করবেন ? যেখানে উনার নিজের মেয়ে ফাতীমা রঃ ঘরে খাবার নাই । যেখানে হাসান হোসায়ীন খেলার খেজুরের বিচি চিবাইতেছেন । হজরত আলী রঃ বল্লেন কিছু আনার জন্য । তাই, ফাতিমা রঃ রাসূল সঃ ঘরে গেলেন, দরজায় নক করলেন । রাসূল সঃ বল্লেন, দরজা খুলও, আমি জানি এটা কে এসেছে তার তো এই সময় আসার কথা না । ফাতিমা রঃ ঢুকে সব খুলে বল্লেন, রাসূল বল্লেন : আমার কাছে হাদিয়ার তিনটা {অথবা ৫ টা} ছাগল আছে, আর জিব্রাঈল এইমাএ আমাকে পাচটা কলিমা শিখায়াছেন তুমি কোনটি চাও ? ফাতিমা রঃ ৫টা কলিমাই নিলেন । আলি রঃ বল্লন, ভাল জিনিস নিয়া আসচ । আল্লাহ কে পেয়ে খুশি ছিলেন ।
ইসলাম কি অহংকারহীন দুনিয়ার কথা বেলে নি । রাশিয়া শ্রেষ্ঠ , না আমেরিকা, ইংলেন্ড না ফ্রান্চ, জার্মানী না অন্ন কেউ । আপনারা ধর্ম উৎপত্তি নিয়ে ধর্মনাকি এবিষয়ে কিছু বলে নাই আর বলেন : যীশুখ্রীষ্টের অনেক আগেই লেভিটিকাস বলে গেছেন, ‘নিজেকে যেমন ভালবাস, তেমনি ভালবাসবে তোমার প্রতিবেশীদের।’ বাইবেল এবং কোরানে যে সহনশীলতার কথা বলা আছে, সেগুলোর অনেক আগেই (খ্রীষ্টের জন্মের পাঁচশ বছর আগে) কনফুসিয়াস একইরকমভাবে বলেছিলেন – ‘অন্যের প্রতি সেরকম ব্যবহার কোর না, যা তুমি নিজে পেতে চাও না’।
হায়রে মানুষ মুসা আঃ কে ভুলে গেলেন, কই ইতিহাস তো এখনও মনে রাখছে । ১০ কমান্ড দেখেন নাই , ধর্ম যে বলে আদমই প্রথম নবী , তাইলে ধর্ম কি তার উৎপত্তি বলেনেই । না হ আপনারা দেখেন না । মূসা আঃ কে তার অনুষারীরা বল্ল তোমার কাছে নাজিল হয়, তাহলে আল্লাহ র কথা শুনতে চাই । তিনি তাদের নেতৃত্ত স্থানিয় ব্যাক্তিদের পাহারের ঊপর নিয়ে গিয়ে শুনালেন । এখন তারা বলতেছে সয়ং আল্লাহ কেই দেখতে চাই । আপনারাও ঠিকতেমন ই । হয়ত আপনারা আমাদের চেয়ে আনেক আনেক জ্ঞানী যে আমাদের চোখে পরে না । আপনারা খুশি হন নির্বান পরম শান্তি তে । বুঝতে পারেন না ধর্ম কারও ধার ধারি নয় । এটা ফিলসফী নয়; এটা কারো তোয়াক্কা করে না ।
আপনারা ধর্মের বিবর্তনের কথা বলেন । but এরিয়েজান ধর্মের মূল কে; যা এখন একই রয়েছে মানুষ ভুলে গেছে উল্টা পাল্টা করছে । ভাল করে দেখুন ত ten commends :
I am the Lord your God
You shall have no other gods before me
You shall not make for yourself an idol
You shall not make wrongful use of the name of your God
Remember the Sabbath and keep it holy
Honor your father and mother
You shall not murder*
You shall not commit adultery
You shall not steal***
You shall not bear false witness against your neighbor
You shall not covet your neighbor’s wife
You shall not covet anything that belongs to your neighbor
এটাকি ইসলামের মূল শিক্ষার সাথে মিলেগেল না যদি সত্যবাদি হন। তাহলে কিসের ধর্মে র বিবতর্তন । পৃথিবীর কষ্ঠ দেখে আল্লাহ swt কে অস্বীকার করেন । আর দেখেন্ না ইশ্বরের মুখের দিকে তাকিয়ে লাক লাক লাক মানুষ হাজার বৎসর বেচে আছে । বেচে থাকার শক্তি পাইতেছে । জীবনে সংগ্রাম করতেছে । নাহ এসব ছোখে পড়ে না । কিভাবে পড়বে, ধার্মিকরা ত মুর্খ বদীর অন্দ এদের খোজ নিয়ে লাভ কি ?
@ফুয়াদ,
যে কাতর আহবানটা আমি বার বার ধরে করে যাছি ঠিক সেটিই আপনি আবারো করলেন। আমি এখানে খুব স্পেসিফিক কিছু প্রশ্ন করে যাচ্ছি, তার সোজাসুজি কোন জবাব যদি জানেন তো দেন, অপ্রাসংগিক কিছু আমাকে অন্তত এখানে জিজ্ঞাসা করবেন না। আমি এখানে ইসলাম বা ধর্মের সামগ্রীক মূল্যায়ন করতে বসিনি।
আপনি যা যা বললেন তা মোটামুটিভাবে একটু গুছিয়ে একটী পূর্নাংগ লেখার আকারে বের করতে পারেন। একটু মান সম্পন্ন হলে মুক্তমণা অবশ্যই ছাপবে। সেখানে আপনি যা যা বললেন সে সব সম্পর্কে আমার মত বলতে পারব। সব যে আপনার বিরুদ্ধে যাবে তা কিন্তু নয়।
সব হাদীস বাতিল বা ভুল এ জাতীয় তত্ত্ব আমার নয়। দয়া করে আমাকে দোষ দেবেন না। অনেক বড় বড় আধুনিক ইস্লামী পন্ডিতরা এহেন থীয়োরি দিচ্ছেন, আপনার পয়েন্ট থাকলে তাদের বলেন। রায়হান এবং জামিলুল বাশার সাহেব সদালাপে এ বিষয়ে অনেক লেখেন। তাদের সাথে তর্কে যেতে পারেন। এখানে তাদের লেখা দেখতে পারেন।
http://www.shodalap.com/_Raihan_1.htm
http://www.shodalap.com/_RELIGION_1.htm
আর আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে আপনি না জেনে শুনে অনেক অনুমান নির্ভর অবান্তর মন্তব্য করে গেছেন (আমি মানুষের কষ্ট দেখে আল্লাহকে ভুলে গেছি…।। আমি মানবাধিকার আল্লাহর চেয়ে ভাল বুঝি জাতীয়)। এটা ঠিক নয়। আবারো বলছি যে, আমি শুধুই কিছু প্রশ্ন করেছি, আল্লাহর সামগ্রীক মূল্যায়ন এখানে করিনি। ধর্ম বিষয়ক যেকোন তর্কে এক পর্যায়ে অবধারিতভাবে এমন হয়, দ্রূত ব্যক্তিগত আক্রমনের দিকে যাওয়া। এ পথ ছাড়তে না পারলে তো ভাই আপনার সাথে কথা চালানো যাবে না।
@আদিল মাহমুদ,
আসলে এ তত্ত্বটা নতুন কিছু না, বরং এটাই ইসলামের মূল তত্ত্ব ছিল যা কতিপয় ব্যক্তির আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রচারিত হচ্ছে। আপনাকে বা আপনাদের আমরা দাবী করলেই যে বিশ্বাস করতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি ইসলামিক যুগের প্রথম দিকের ইতিহাস পড়ুন, বিশেষকরে আব্বাসীয় যুগের, দেখবেন ইসলামিক সিস্টেমকে তারা কিভাবে manipulate করেছে। একটা প্রবাদ আছে না, অসির চেয়ে মসি বড়। পারসীয়ানরা আরবদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হলেও তাদের জ্ঞান ও বিদ্যার দ্বারা ঠিকই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়েছিল।
আপনি কি বিদায় হজ্জের ভাষনটি পড়েছেন? ভাষনটি তো হাজার হাজার মানুষের সন্মুখে দেয়া হয়েছিল, তাও হাদীস বর্ননাকারীরা কেন তা সঠিক, একই রকমভাবে লিপিবব্ধ করতে পারেনি। একেকজন একেক ভাবে কিছু অংশের বর্ননা করেছেন। যেখানে এত বড় ঘটনার এই অবস্হা, সেখানে বাকী হাদীসগুলো সত্যতা সম্বন্ধে প্রশ্ন আসবে না কেন? এমনকি কয়েকটি হাদীস এক করলেও কোথাও পুরো নামজ পড়ার নির্দেশাবলী খুঁজে পাওয়া যাবেনা। আর এমন একটা বিষয় আমাদের নবী কি করে ভুলে গেলেন!! ভাবলেননা, তার চলে যাবার পর দূর-দূরান্তের দেশের লোকজন কি ভাবে নামাজ পড়বে, সেই শিক্ষা কিভাবে গ্রহণ করবে? তখন তো মানুষ অনেক দূর-দূরান্তে বাস করত, যোগাযোগের ব্যবস্হা ভাল ছিল না; কোন প্রিন্টিং সিস্টেমও ছিল না। তবে কি শুধু মুখে মুখে শিখার উপর বিষয়টা রেখে গেলেন? আর নামাজে যে দরুদ পাঠ করা হয়, সেটাতো কোরানে নেই। আমাদের নবী নিজেই কি শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন কিভাবে নামাজে আল্লাহর পাশা-পাশি তাঁরও গুনগান করতে হবে? মানুষের কত ধৃষ্ঠতা যে কোরান বাদ দিয়ে হাদীস দিয়ে জীবন পরিচালনা করে। বর্তমান খ্রীস্টানধর্ম যেমন সেন্ট পলের দেওয়া রুপ যেখানের ঈসার কোন ভূমিকা নেই; তেমনি বর্তমান ইসলাম তাবারী, বোখারীর প্রচারিত ধর্ম যেখানে মুহম্মদের প্রচারিত ইসলাম অনুপস্হিত। হাদীসে এত বেশী সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণ যে, ঠগ বাছতে গাঁ উজার করার অবস্হা। আর নামাজ পড়ার রীতি নিয়ে বলছেন—এমনকি কোরানের যে অংশটি দেখিয়ে বলবেন বর্ননা করা আছে, সেটিও সম্পূর্ণ কিছু নয়। দাঁড়িয়ে, বসে, সিজদায় যে দো’য়া পড়া হয় তার বর্ননা এল কোথা থেকে? আর একেক sect এর মুসলমানরা একেকভাবে নামাজ পড়ে। কারটা ঠিক? নবী কিভাবে নামাজ পড়তেন? আমরা সবাই সেভাবে অনুসরন না করে sect অনুযায়ী পড়ছি কেন? জালালউদ্দীন রুমি বলেছেন তার Mathnavi তে, “These four (Abu Hanifa, Malik, Hanbal, and Shafi’i) have carved four religions out of one Islam. They have created irreconcilable divisions in the Deen of Nabi (S).”
মানুষ যে কোন ritual অনুসরন করতে পছন্দ (পীর ধরা, মানত করা, তাবিজ-কবজ, মাজার যিয়ারত, শবে-কদর, মুহররম, শবে-মেরাজ —এগুলোর একটাও কি ঠিক? তাও কিছু শিক্ষিত লোক কয়েকশ’ বছর যাবৎ পালন করে যাচ্ছে।) করে। সেই যুগে মুহম্মদ যদি আরবের মূর্তি পূজার পাশা-পাশি এই নামজ প্রচলন শুরু করতেন তবে তো সমাজের হর্তা-কর্তাদের তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা ছিল না। হয়তো প্রথমে কিছুদিন সামাজিক বাঁধা থাকত, কিন্তু তা বলে প্রায় ২২ বছর লেগে গেল কিছু রীতি-নীতি প্রতিষ্ঠা করতে!! সে যুগের আরব এলিট গ্রুপ বা ট্রাইবের নেতারা তোমার গড, আমার গড বলত কেন? কারন মুহম্মদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন একজন সার্বভৌম সৃস্টিকর্তার, যার কাছে সব মানুষ সমান, যেখানে ক্ষমতাবল বা বাহুবলের অন্যায় অধিকার খর্ব করা যাবে। আর এটা তো সমাজের ক্ষমতাধরদের পছন্দ হবার কথা না। শুধুমাত্র কয়েকটা রীতি-নীতি পালন যা আমরা শত বছর ধরে পালন করে আসছি, তার জন্য তো এত সংগ্রাম করার দরকার ছিল না। এর কতগুলো তো তখন এমনি পালন করা হতো, যেমন –হজ্জ।
যারা ইসলামকে ধর্ম হিসেবে না ভেবে দ্বীন হিসেবে গবেষণা করছেন, তারা কিন্তু বসে নেই। হয়তোবা সংখ্যায় কম। তারা ওয়েব ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনেও প্রচারের চেষ্টা করছেন যার খোঁজ হয়ত আপনি জানেন না। আর ইন্টারনেট তো ইনফরমেশন আদান-প্রদানের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। শিক্ষিত সমাজকেই তো এ বিষয়ে বোঝান যায় না সে ক্ষেত্রে সাধারন মানুষ আরও দূরের লক্ষ্য বস্তু। আর আপনি প্রায়ই বলেন, “তাদের কি উচিত না নিজ দেশে গিয়ে বড় বড় মসজিদে দাড়িয়ে প্রকাশ্যে আহবান জানানোর যে সব হাদীস ভূয়া বা নামাজ রোজার নামে আমরা যা করি তা ইসলাম সম্মত নয়? না করতে পারলে আর এত গলাবাজীর মানে কি?”
–প্রচার কাজটি কি এতই সোজা? এই ওয়েবে ব্যপারটা লিখে যেভাবে মুক্তমনাদের কাছে গলাবাজ হয়ে যাচ্ছি, আর সমাজে প্রচারের কোন ব্যাক-গ্রাউন্ড তৈরী না করেই প্রচার করতে যাওয়া তো নিজেকে মৃত্যর হাতে সঁপে দেয়া। এত বছরের বিশ্বাসের বুকে আঘাত হানা কোন প্রস্তু্তি ছাড়াই? আবেগ নিয়ে কথাটা বলাই যায়।
আরো বলেছেন,“যা ভেজাল বলে নিজেরাই সার্টিফাই করছেন তার সমালোচনা নাস্তিক বা আর কেউ করলে আর তাদের আক্রমন করা কোন যুক্তিতে? “
–একটাই যুক্তি, নাস্তিকদের সমালোচনার পূর্বে অনন্ত বক্তব্যর অপর আংশটিও যাচাই করা উচিত।
ধন্যবাদ
আইভি
@ivy,
আইভি,
সময় করে দীর্ঘ যুক্তিপূর্ণ জবাব দেবার জন্য অনেক ধণ্যবাদ। আপনার কথায় শক্ত যুক্তি আছে, আপনি বিভিন্ন প্রচলিত রিচূয়ালের বিরুদ্ধে যেসব যুক্তি দিলেন তার প্রায় সবই আমি মানি। মুশকিল হল, রিচূয়ালগুলি যারা হাজার বছর ধরে মনে প্রানে মানে তারাও তো একই ভাষায় বলতে পারে আমরাই ঠিক। যেহেতূ সার্বজনীন প্রামাণ্য বলতে কিছু কোনদিনই যেখানে পাওয়া যাবে না। হাদীস বাছা মানে ঠক বাছতে গা উজাড় ঠিকই, কিন্তু তার মানে কি এই যে আপনি শুধু কোরান ছাড়া আর কিছুই গ্রহন করবেন না? তাহলে তো খোদ নবীর সম্পর্কেই কিছুই জানা যাবে না, কারন কোরান শরীফে তার কথা এসেছে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটিবার। বিদায় হজ্জের ভাষনের কথাও কি কোরানে আছে?
আগেই বলেছি, কোরানের নানারকম ব্যাখ্যা নিয়ে আমি যেমন চিন্তিত নই তেমনি এই রিচুয়াল বিতর্ক নিয়েও নই। আমি আগেই কয়েকবার বলেছি যে আমি নিজের স্বাধীন বিবেকবোধকে গুরুত্ত্ব দেই, নৈতিকতাবোধও সেখান থেকে পাই। কি করা উচিত আর উচিত না তার জন্য ধর্মগ্রন্থের দিকে তাকানো খুব দরকার বলে মনে করি না। আল্টিমেটলি আপনি যদি রিচুয়ালে বিশ্বাস না করেন তো প্র্যাকটিকেলি আমার সাথে আপনার মত অনেকটা মিলবে। পাচ ওয়াক্ত নিয়ম নামাজ পড়া বা এ মাস ঢাক ঢোল পিটিয়ে রোজা রাখার ভেতর যে খুব বড় কোন প্রাপ্তি নেই তা বুঝতে আমার কোন ওয়েব সাইট বা বুজুর্গ গবেষক কারোই দরকার হয়নি। তবে জেনে খুশী হলাম যে ব্যাপারটা আসলেই তাই। আমি যখন কঠিন ধার্মিক ছিলাম তখন ও এই প্রশ্ন প্রায়ই আমাকে ভাবাতো। সব সময় মনে হত যে ইসলাম বা বলা ভাল সনাতন মোল্লারা নামাজ রোজা হজ্জের উপর যত গুরুত্ত্ব দেন, মানুষের মৌলিক সততা জাতীয় বিষয়গুলিকে ততটা গুরুত্ত্ব দেন না কে? এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করার শাস্তির ভয় আমরা যতটা পাই ঘুষ খাওয়ার শাস্তির ততটা ভয় কি আমরা পাই? কেউ নামাজ না পড়লে, রোজা না রাখলে বলা হয় সে ইসলাম থেকে দূরে সরে গেছে। সে ব্যক্তি জীবনে নিপাট ভাল মানূষ হলেও মাফ নেই। অথচ কোন বদলোক হাজার কুকর্কম করে নিয়ম মত মসজিদে গেলে সে ইসলাম থেকে সরে গেছে কেঊ বলবে না। এর কোন মানে হয়? ধর্ম যুক্তির জিনিস না ঠিকি, তাই বলে এতটা অযৌক্তিক হলে হয়? কাফের নাসারা নাস্তিক দুনিয়ায় যত ভাল কাজই করুক সব দোজখে যাবে আর যে কিনা ইসলামে ঈমান এনেছে অর্থাৎ (যার সংজ্ঞা অনেকের মতে জীবনে একবার হলেও লা-ইলাহা পড়া) সে হাজার পাপ করলেও একদিন না একদিন ঠিক দোজখে যাবে এ জাতীয় ত্তত্ব কোনদিন গডের বাণী হতে পারে না। একবার এক তবলীগি ক্লাসমেটকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে মাদার টেরেসা শুধু খ্রীষ্টান বলে দোজখে যাবে, এত ভাল কাজ সব বৃথা, এটা কেমন হল? সে বেহেশতী হাসি দিয়ে আমাকে যুক্তি দিয়েছিল; তুমিও তো মাঝে মাঝে কোন পরীক্ষায় খুব ভাল প্রিপারেশন নেওয়ার পরও ফল খারাপ করো। এটা হল অনেকটা এমন।
একবার তবলীগে গেছিলাম, এই আমেরিকাতেই। সেখানে আমাদের আমীর সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি এই সনাতনী নিয়মকেই সমর্থন করে বলেছিলেন যে তুমি যদি নামাজ মন থেকে খাস দিলে পড় তাহলে নিজেই ভাল হবে, অন্য কোন খারাপ কাজ করতেই পারবে না। তাই নামাজ পড়াই বেশী গুরুত্বপূর্ণ, বলা বাহুল্য, তার এই সুপারফিসিয়াল যুক্তি আমার তেমন মনে ধরেনি।
অবশেষে আপনি আমার প্রশ্নের সোজাসুজি কিছু জবাব দিয়েছেন। আমি এ বিষয়ে একমত নই। হতে পারে এ তত্ত্ব নূতন নয়, তবে আমার কাছে আনকোরা নতুন। আমাদের দেশের টিভি তে, খবরের কাগজে ইসলামী আলোচনার তো রমরমা, কই কখনো তো এই তত্ত্ব দেখলাম না। প্রচারের কাজ কতটা হচ্ছে তাতে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। জীবনে বহু ইসলমী পন্ডিতের থেকে হেদায়েত পেয়েছি, তার মধ্যে মধ্যযুগীয় থেকে অত্যাধুনিক সবই আছেন, কই কেউ তো কোনদিন এমন তত্ত্ব দেননি, কেউ ঘুনাক্ষরেও বলেননি যে হাদীস বলে কিছু মানতে নেই।। হচ্ছে ত বরং উলটা। এখন ঊচ্চশিক্ষিত মানুষও সপরিবারে নানা পীর হুজুরের শিষ্যত্ত্ব গ্রহন করে হাদীস চর্চা, জিকি্ হালাকা (এ বস্তু কি আমিও জানি না) জাতীয় জিনিসে মন দিচ্ছেন। অনলাইন হাদীস শিক্ষার সদস্য হতেও আমন্ত্রন জানানো হয়। এই প্রবণতা আমাদের ছোটবেলাতেও দেখিনি। ধর্ম তো মানুষে ইন্টারনেট থেকে দীক্ষা নেয় না। বড়জোর কিছু শেখে, তাও বিপ্লাবত্মক কিছু ইন্টারনেট থেকে কেউ নেবে না। অভিজিত বা আকাশ মালিক এরা যতই শক্ত যুক্তি প্রমান দেখান কোন ধার্মিক কি শুধু এদের কথায় নাস্তিক হয়ে যাবে? বা জাকির নায়েকের ইউটিউব লেকচার দেখে কোন নাস্তিক ধার্মিক হয়ে যাবে? ছোট বেলা থেকেই পরিবার ও সমাজ থেকে মানুহ এই ধর্মীয় দীক্ষা পায়, পরবর্তী জীবনে এই ধর্মমত পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। ঈন্টারনেটে মানুষে বড়জোড় আলোচনা করে, তাও মোট জনসংখ্যার খুব সামান্য অংশ। বিশেষ করে অনগ্রসর মুসলিম সমাজে তো এই হার আরো অনেক কম। আপনি ইন্টারনেট এ প্রচার করে প্রচলিত ইসলাম সংস্কার করার আশা করতে পারেন, করেন, তবে মনে হয় কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রচারের কাজ সোজা না হলেও শুধু ইন্টারনেটে লেকচার দিলে কিছুই হবে না। আমি “গলাবাজী” টার্মটা ব্যাবহার করেছি কিছুটা হাতাশার সাথে। কারন যাদের থেকে প্রথম এই তত্ত্ব শুনেছি তাদের আমার মনে হয়নি যে তাদের আসলে কোন রকম সংস্কারমুলক উদ্দেশ্য আছে। এই তত্ত্ব তারা ব্যাবহার করেন নাস্তিকদের সাথে যুক্তি তর্কের একটা পর্যায়ে, সমালোচনার জবাবে। তাদের নিজ থেকে মোসলমানদের উদ্দেশ্য করে কোন কলাম লিখতে দেখিনি। নিজেরা যদি অতটাই বিশ্বাস করেন যে তারা প্রকৃত ইসলাম জানেন যেই সেই ইসলাম ছাড়া জীবন অর্থহীন, আর সবাই ভুল জানে তাহলে প্রকাশ্যে বলতে অত ভয় সংকোচ কিসের? যেখানে মোসলমানদের গোড়া বা অসহিষ্ণু বলা হলে তারা অত্যন্ত রাগ করেন?
মোদ্দা কথা, নিজেরা ঠিক না হলে মা অন্তত ঐক্যমতে পৌছার আগ পর্যন্ত সমালোচনাকারীদের গালিগালাজ করাটা হল হিপোক্রেসী। নাস্তিকদের থেকে ইসলামের বহু ইতিহাস জানতে হচ্ছে যা ইসলাম দরদীরা কোনদিন এমনি এমনি জানাতেন না। সব যে বিতর্কিত বা মিথ্যা তা না, বেশ কিছুকে ইসলামিষ্টরা মেনেও নিচ্ছেন। ছোটবেলা থেকে শোনা কাহিনী যেমন মহানবীর বোরাকের পিঠে করে বেহেশতে গমন, কবরের মানকির নকির জাতীয় কিচ্ছা কাহিনীও আজকাল অনেকেই ভুয়া বলে রায় দিচ্ছেন। ইসলামের একটা মৌলিক অহংকার হল কোরান, এতে অন্য ধর্মের মত কোন ম্যালিপুলেশন হয়নি। এই আধা বুড়া বয়সে এসে এই বিশ্বাসেও চিড় ধরেছে। কোরানের বর্ত্তমান ভার্ষন নিয়ে যে খোদ মোসলমান্দের মাঝে গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার প্রান ঝরেছে তাও এদের কল্যানে জানতে পারলাম। হযরত ওসমানের সেই কোরান সঙ্কলন টীমের মুল্যায়ন আর এখন কে করতে পারে? কোরানের কিছু আয়াত যার যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না যে মানুষে বসায়নি তার গ্যারান্টি কে দিতে পারে? শুধু বিশ্বাস? বিতর্কের অবকাশ থেকেই যায়। কই, দেশে বিদেশে ইসলামের হাজার হাজার বই দেখেছি, এসব ঐতিহাসিক সত্য তো কোন পন্ডিত লেখেন না। স্কুলে বদর, অহুদ, খন্দক কত গৌরবজ্জ্বল যুদ্ধের বর্ণ্না পড়ানো হয়েছে, কই গালামের যুদ্ধ, সিফকিনের যুদ্ধ, ২ খলিফার নিজ মুসলিম ভাইদের হাতে নিহত হওয়ার কাহিনী তো পড়ানো হয়নি। সত্য জানাতে এত ভয় কেন? আর এত গুরুত্ত্বপূর্ণ কোরান যা কিনা একমত্র পূর্ণাংগ জীবন বিধান তা শুধু এক আরবীতেই কেন এল তারই বা ব্যাখ্যা দিবে কে? আরবী জানা পন্ডিতদেরই মাঝে বিতর্ক লেগে যায়, আর তো যারা আরবীর কিছুই জানে না তাদের কথা।
আইভি,
আপনাকে আগে ধর্মের defition বলি।Oxford dictionary অনুযায়ী ধর্ম হল The belief in the existence of god or god’s and the activities that are connected with the worship of them.এখন আপনি ইচ্ছে করলে আরও অনেক জায়গায় অর্থ খুজতে পারেন।কথা ভিন্ন হতে পারে কিন্তু অর্থ একই।এখন প্রশ্ন হল যে ইসলাম কি এই criteriaগুলো fulfil করে কিনা।
ইসলাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। আপনার কথায় ইসলাম এ নাকি ritual নাই।কোরান কিন্তু অন্য কথা বলে।যেমন সুরা নিসা আয়াত ৪৩,মায়িদা আয়াত ৬,আ’রাফ,য়ায়াত ৩১,হুদ আয়াত ১১৪,বনী ইস্রাইল আয়াত ৭৮ ও ১১০,সুরা ত্বাহাতে স্পস্ট ভাবে বলা আছে “আমার স্বরনে নামায আদায় কর”
এবং ১৩২ নম্বর আয়াত এ আছে “পরিবেরকে নামাযের নির্দেশ দিন এবং তাতে অটল থাকুন”।আরও আছে সুরা নুর আয়াত ৩৭,সুরা মুমিনুন আয়াত ৯ ও ২ ইত্তাদি।এরকম আরো অনেক রেফারেন্স দেয়া যায় যা আমার দাবি কে সাপোর্ট করবে।আপনি কি আমাকে আপনার দাবিকে সাপোর্ট করে এমন কোনো রেফারেন্স দিতে পারবেন?
তারপর যদি আপনি সুরা বাকারার ১৮৩-১৮৭ নম্বর আয়াত দেখেন তাহলে দেখবেন যে ঐখানে রোযাকে ফরয করা হয়েছে।
তারপর বলেছেন যে ইসলাম হল সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের পন্হা।সমাজ বলতে আমরা কি বুঝি?আমরা আমাদের আশেপাশে যে সকল মানুষদের নিয়ে বসবাস করি সহজ ভাষায় তাই আমাদের
সমাজ।এখন আমাদের সমাজে মুসলমান,হিন্দু,ক্রিশ্চিয়ান সবাই থাকবে।যদি একটি muslim রাষ্ট্রে
মুসল্মানদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে হয় তাহলে অন্য ধর্মের লোকেদের উন্নয়ন সম্ভব নয়।ভাবছেন বানিয়ে বলছি।না বানাচ্ছি না।সুরা মায়িদার ৮২ নম্বর আয়াতটি যদি একটু কষ্ট করে দেখেন তাহলেই বুঝবেন।ঐখানে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে যে “আপনি নিশ্চই সমগ্র মানব জাতির মধ্যে ইহুদি,মুশরিকদের
মুসলমানদের সর্বাধিক শত্রু হিসেবে পাবেন……।”আবার সুরা মুমতাহিনাতে স্পষ্ট করে বলা আছে
১ নম্বর আয়াতে যে “হে মুমিনগন তোমরা আমার ও আমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহন কোরোনা ………।”এখন একজন আল্লাহভীরু লোক কিভাবে একজন অমুস্লিমের সাথে সম্পর্ক রাখে?
তারপর আপনি বলেছেন তালেবানরা যা করছে তা নাকি ইসলামিক পথ নয় সেটা নাকি “ক্ষমতাবানদের তৈ্রী দুই নম্বর, ভেজাল ইসলাম”।
ইসলাম এর শরিয়া ল’ই এইরকম।আপনি তো আর মুখের কথায় ইসলাম এর আইনকে অস্বীকার করতে পারবেন না।একটা ঘটনা বলি,কিছুদিন আগে সোমালিয়াতে একটা ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।ঐখানকার শরিয়া ল কি শাস্তি দিয়াছিল জানেন?কয়েকশ দররা।মজাটা হল সেই ছেলেটি হাসি হাসি মুখে সেই শাস্তি হজম করেছিল।আরও মজা কি জানেন ছেলেটির সাথে সেই মেয়েটিরও শাস্তি হয়েছিল।এই হল ইসলাম এর ল।
সৌদি আরব এর মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারেনা।কেন? ইসলাম জন্মস্থান এর ছাপ মারা জায়গার এই লোকেরা নিশ্চই আপনার আমার থেকে ইসলাম সম্পর্কে কম জানে না।Infact অনেক বেশিই জানে।
আর জানে বলেই এগুলো হচ্ছে।জানে বলেই আফগানিস্তান,সোমালিয়া সহ খোদ আমাদের বাংলাদেশই দররা
মারার মত ঘটনা এখনও ঘটছে।
“কিছু ক্ষমতালিপ্সু, মুষ্টিমেয় শিক্ষিত মানুষের হাতে পড়ে এর(ইসলাম) পুরো চেহারাটাই পালটে গেছে–”।হ্যা পাল্টেছে,পাল্টেছে আমাদের মুল্যবোধ,আমাদের নৈতিকতা।কিন্তু ইসলাম পালটায়নি।ইসলাম সেই ১৪০০ বছর আগেই পড়ে আছে।
“মুহম্মদের জীবন কাহিনী আমরা যতটুকু জানি, তার মধ্যে কিন্তু তিনি একজন ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ, সমরনীতিবিদ হিসেবেই অবদান রেখেছেন। কতিপয় হাদীস লেখকরাই তাকে পবিত্র, পীর, আউলিয়া, সাধক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।”এই সব হাদিস লেখকরা না থাকলে আপনি তার জীবনের “যতটুকু”জানলেন কি ভাবে?যদি বিভিন্ন জীবনিকারের মাধ্যমে জেনে থাকেন তাহলে তো মহাম্মদকে মহামানব তো দুরের কথা তাকে ঘৃনা করা উচিত।তারপরও কথা থাকে আপনি যেই সব গুনের কথা বললেন সেগুলো কিন্তু ঐ সব হাদিস লেখকদেরই কথা। আপনি মহাম্মাদ এর মহা গুন গুলো
বিশ্বাস করছেন কিন্তু ritual গুলোর কথা বিশ্বাস করছেন না।এতো স্পষ্ট স্ববিরোধিতা।
শুধু ইসলাম নয় যে কোনো কিছু নিয়ে গবেষনা করতে গেলেই আমাদের খোলা মন নিয়ে করা উচিত।
ধন্যবাদ
সাইফুল ইসলাম
@সাইফুল ইসলাম,
আপনাকে শুধু একটা কথাই আবার বলছি, ইসলামে আল্লাহকে খুশী করার জন্য আসলেই ritual system নেই। আর আমার জানামতে নামায ও সালাত একনয়। কোরানে সালাত বলতে নামায বোঝায় নি। নামায কথাটি এসেছে নিমায্ থেকে, যা পারসিয়ান যরোস্ট্রিয়ান ধর্ম এ পালন করা হতো এবং এখনো পালন করা হয়। এবং আমরা কথার সপক্ষে অবশ্যি প্রমান দেখাব।
আর আপনার কথা ঠিক, ইসলাম পালটায় নি। এটা শুধুমাত্র মিথ্যের নিচেই হারিয়ে গেছে নবীর মৃত্যূর শত বছর পর। রাজনীতি, মানুষের ক্ষমতালোভ যে কি বাংলাদেশের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। মাত্র ৩৭ বছরের বাংলাদেশ। তাতেই সঠিক ইতিহাসটা প্রতিষ্ঠা করতে হিমসিম খাচ্ছে, আর সেই ১৪০০ বছর আগের সব ঘটনা কি সুন্দর কোন নথিপত্র ছাড়াই প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে।
আর আপনি সূরার যে আয়াতগুলো উপস্হাপন করেছেন সেগুলোর ব্যাখ্যা দেয়া সমব্ভ। শুধু মাত্র সমায়ের ব্যপার। আমি তো এ বিষয়ে একজন student মাত্র। তবুও উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ।
আইভি
@সাইফুল ইসলাম,
আমি আপনাকে অনুরোধ করবো মুক্তমনার এই লিংকটিতে যেতে। এখানে পাঠকের মন্তব্য অংশের শেষ দিকে আমি নামায সম্বন্ধে একটি অংশ তুলে ধরেছিলাম।লিংকটি বেশ দীর্ঘ। আমি যদি সেটা কাট-পেষ্ট করে আনি মুক্ত-মনা এডমিন হয়তো নাও খুশী হতে পারে।
http://blog.mukto-mona.com/?p=1322
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
সালাত কি এই বিষয়টা আলোচনার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। তবে রেফারেন্স হিসেবে আমি আপনাকে একটা লেখার লিঙ্ক উল্লেখ করতে পারি। লেখাটি আল্লামা পারভেজের। লেখাটি বেশ দীর্ঘ এবং সময় নিয়ে পড়া প্রয়োজন। G A Parvez তার এই লেখায় দ্বীন, সালাত, এবং যাকাত সম্বন্ধে বলেছেন এবং কোরানের আয়াত ব্যখ্যা করেছেন।
http://www.parvez-video.com/articles_show.asp?id=394649684&title=Meaning+of+Salat+and+Zakat
এই আর্টিকেলে তিনি ব্যখ্যা করেছেন সালাতের মানে কি? তার মতে সালাত হচ্ছে congregational prayer এবং personal prayer নয়।, তিনি নামাযকে সামাজিক রীতি হিসেবে বুঝেছেন যা সামাজিক বন্ধন হিসেবে congregational prayer পূর্বে পালন করা হয়, আল্লাহকে সন্তুষ্ট বা salvation এর জন্য নয়। পারভেজ, পাকিস্তানী মুল্লাদের কাছে একটা বড় challenge। তারা তাঁকে কাফির এবং মুরতাদ হিসেবে ঘোষনা করেছিল। যারা পারভেজের কোরান গবেষনা নিয়ে কাজ করছেন তারা challenge করেছিল PTV তে তার গবেষনা লব্ধ কোরানের ভিডিওগুলোর কিছু প্রচার করা হোক।
পড়ে দেখেন কি মনে হয়!
ধন্যবাদ।
ধর্মই কি একমাত্র নৈতিকতার উতস? আমার এ বিষয়ে কোন পুথিগত বিদ্যা নেই, নেহায়েত আমি যা বুঝি তা বলছি।
প্রশ্নটার উত্তর হবে, কোনভাবেই না। ধর্ম নৈতিকতার উতস হতে পারে, তবে কোনভাবেই একমাত্র না। খুব সহজ উদাহারন আমাদের ধার্মিক ভারতীয় উপমহাদেশ আর নাস্তিক বা কম ধার্মিক পাশাত্যের মানুষের সাধারণবাহবে নৈতিকতাবোধের তূলনা।
তার মানে কিন্তু এও না যে ধর্ম থেকে মানুষ কোন নৈতিকতা পায় না, শুধুই সাম্প্রদায়িকতা আর ঘৃণার শিক্ষা পায়। এ ধারনাও হবে আরেকটি অন্ধবিশ্বাস।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি; আমি অন্তত ইসলাম ধর্মের কাছে নৈতিকতার জন্য কৃতজ্ঞ। যখন আমি কৈশোর/যৌবনের সন্ধিক্ষনে সেই সময়ে আর দশটা ছেলের মত আমারো বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষন তীব্র ছিল। এটা আমার কোন দোষ না, আমার ধারণা কেউ মিথ্যা না বললে সবারই এ কাম তাড়না সে বয়সে অত্যন্ত তীব্র হয়। সে সময় আমি ইসলামে ভয়াবহ শাস্তির ভয়েই শুধু খারাপ পথে যাইনি। আমার নিজের যে নৈতিকতা বোধ তখন ছিল তাতে আমি অই কুপথে যাওয়াটা খুব খারাপ চোখে দেখতাম না। অনিবার্য ফলাফল হিসেবে হয়ত আমি আজকে যে একটা সুন্দর সূস্থ জীবন উপভগ করছি তা পেতাম না।
জানি, উদাহারনটা খুব সাধারণ আরে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হল, তাই স্বীকার না করে পারলাম না।
@আদিল মাহমুদ,
প্রথম কথা হলো, পথটা যে খারাপ তা সর্বপ্রথম জানলেন ধর্ম থেকে না সমাজ থেকে? সমাজের কোন ভয় সত্যিই কি ছিল না?
এখানেও দেশ পরিবেশ সমাজব্যবস্থা কি আগে শেখায় নি যে এটা একটি কুপথ? পশ্চিমা দেশের নৈতিকতার উদাহরণ টেনে আপনার দেয়া বিভিন্ন বক্তব্যের সাথে এ বক্তব্যটি সাংঘর্ষিক।
@আকাশ মালিক,
” খারাপ তা সর্বপ্রথম জানলেন ধর্ম থেকে না সমাজ থেকে? সমাজের কোন ভয় সত্যিই কি ছিল না?”
প্রতিটা দেশে সুপথ আর কুপথের সংগায় কিছুতা পার্থক্য আছে। আমাদের দেশে সুপথ কুপথের সংজ্ঞা কিন্তু ধর্ম কে রেফার করে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যেমনঃ চুরি করা খারাপ, এটা প্রায় প্রতিটা মানুষ বুদ্দি হবার পর থেকে নিজে থেকেই জানে। কিন্তু এটাকে ধর্মের লেবাসে বলা হয় ধর্মে আছে চুরি করা মহাপাপ…।শাস্তি হাত কাটা।
একটু বুদ্ধিমান হলে ঐ জাতিয় কার্যকলাপ চালিয়েও সমাজের চোখে নিজেকে ভাল রাখা যায়। আমাদের দেশে এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুরুষ বহুগামী (সম্প্রতি কোথায় যেন পড়লাম ৬০%!), সমাজকে কলা দেখানোর পদ্ধুতি তারা ভালই জানেন। আমার নিজের পরিবারেই অনেকে গৃহকর্মীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বছরের পর বছর ধরে। এমন না যে তারা গোপনে করছেন, ব্যাপারটা সবাই জানে কিন্তু আমাদের অদ্ভূত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন। যাই হোক, আমি যা বলতে চাচ্ছি যে আমি আসলেই সমাএর ভয়কে তেমন পাত্তা দেইনি। আমি ইসলামে জেনার ভয়াবহ শাস্তির ভয়কেই প্রাধাণ্য দিয়েছি।
“এখানেও দেশ পরিবেশ সমাজব্যবস্থা কি আগে শেখায় নি যে এটা একটি কুপথ? পশ্চিমা দেশের নৈতিকতার উদাহরণ টেনে আপনার দেয়া বিভিন্ন বক্তব্যের সাথে এ বক্তব্যটি সাংঘর্ষিক। ”
নৈতিকতার সংজ্ঞা ক্ষেত্র বিশেষে সমাজ থেকে সমাজে ভ্যারি করতে পারে। পশ্চীমা সমাজে প্রি-ম্যারেজ় সেক্স সম্পূর্ণ বৈধ, বরং কেউ না করলেই তার কোন সমস্যা আছে বলে ধরে নেওয়া হবে, অন্যদিকে আমাদের সমাজে এটা মহাপাপ (সব ধর্মের জন্যই)। আমরা সবাই কি সবসময় ১০০% বিশুদ্ধ কাজ করি? বা ১০০% নৈতিকতাপূর্ণ কাজ করি? আমার তো মনে হয় না। আমরা প্রায় সবাই জেনেশুনেও প্রায়ই কিছু না কিছু অনূচিত বা অনৈতিক কাজ করে থাকি। ব্যক্তিভেদে মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। যেমন এই পার্টিকুলার বিষয়ে সেসময় আমার নিজের নৈতিকতাবোধ ছিল এমন যে আমি যদি কাউকে জোরাজুরি বা ধর্ষন না করি তবে সমস্যা কোথায়? তাই এটা কুপথ এটা পরিবেশ বা সমাজ থেকে আগে জানলেও খুব একটা মহাভারত অশুদ্ধ হবে জাতীয় কিছু অন্তত তখন আমার মনে হত না। একমাত্র ভয় ছিল ধর্মীয় ভয়াবহ শাস্তির।
হুমম। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ কথা খুবই ঠিক আছে। কারণ ছোটবেলা থেকে ধর্ম আর নৈতিকতার খিঁচুরি এমনভাবে মিশ্রিত করে উপাদেয়ভাবে পরিবেশন করা হয় যে, ধর্মা ছাড়া যে নৈতিকতার অস্তিত্ব থাকতে পারে – এটা বুঝতে অনেকটা সময় লেগে যায়। ছোটবেলা থেকেই চারপাশে শুনে শুনে ছেলেরা বড় হয় ‘ এই বাবু এটা করে না -আল্লাহ গুনা দেবে’। ‘আল্লাহর গুনা’ থেকে নৈতিকতাকে পৃথক করাটাই মুশকিল হয়ে যায়। আমি নিশ্চিত আদিল মাহমুদ সেই সময়টায় ধর্ম দিয়ে নৈতিকতাকে মূল্যায়ন করতেন আর দশ জনের মতই, আজ হয়ত ওভাবে করেন না, বিশেষতঃ ধর্মপ্রচারকদের নৈতিকতার উপাখ্যানগুলো জানবার পর ।
বাংলাদেশে আরেকটা ব্যাপার প্রকট – সেক্স করাটাই পাপ! একজনের সাথেই হোক বহুজনের সাথেই হোক! অনেকে আবার সুযোগের অভাবে ‘চরিত্রবান’ সাজেন 🙂 । আমি অবশ্য বলছি না আদিল মাহমুদ সেরকম ‘চরিত্রবান’, কিন্তু যে ছেলেগুলো ধর্মকে সাক্ষীগোপাল রেখে সেক্সের ব্যাপারে সচ্চরিত্র সাজেন, তাদেরই আবার বড় একটা অংশ ঘুষ খায়, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। দেখুন ধর্ম দিয়েই যদি নৈতিকতা ত্বরান্বিত করা যেত তাহলে বাংলাদেশ কখনোই দুর্নীতিতে ডবল হ্যাট্রিক করতো না। বাংলাদেশের তো নিরানব্বই ভাগ মানুষ ধর্মভীরু, আল্লাহ খোদা মানেন। তাহলে দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান অধিকারের ডবল হ্যাট্রিক করা ঠেকানো গেল না কেন? দৈনিক পত্রিকা খুললেই খুন খারাবী ধর্ষণ দুর্নীতির খবরে পাতা সয়লাব থাকে। এই জায়গাটাতেই ধর্মকে আমি খুব অসহায় দেখি। আল্লাহর ভয়েই যদি মানুষ পাপ কাজ বিরত থাকতো তাহলে কি আর পুলিশ দারোগার প্রইয়োজন পড়তো? দরকার হত পার্থিব আইন-কানুন প্রয়োগের?
আদিল মাহমুদ যে ব্যাপারগুলোর জন্য গর্ববোধ করেন, ঠিক একই গুনাবলীর চর্চার জন্য আমিও করেছি। আমিও তার মতই গর্ববোধ করতে পারি – এবং সেগুলোর চর্চা আমিও করেছি কোন রকম ধর্ম না মেনেই। হয়ত সু্যোগের অভাবেই চরিত্রবাণ ছিলাম, কে জানে :)। কিন্তু যে কারণেই করি না কেন, ধর্ম যে নৈতিকতার মনোপলি ব্যাবসা দাবী করতে পারে না, তা আমি আমার জীবন থেকেই দৃষ্টান্ত হাজির করে দেখাতে পারবো।
আরেকটি পরিসংখ্যান কিন্তু না বললেই নয়। ভারত সহ পৃথিবীর যে সমস্ত জায়গায় জেলখানার দাগী আসামীদের উপর জরিপ চালানো হয়েছে – সব জায়গাতেই দেখা গেছে আসামীদের শতকরা প্রায় ১০০ জনই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আমি আমার ‘নৈতিকতা কি শুধুই বেহেস্তে যাওয়ার পাসপোর্ট?’ লেখাটিতে আমি বহু পরিসংখ্যান হাজির করেছি। ধর্ম যদি সত্যি মানুষকে পাপ থেকে বিরত রাখতে সফল হত, তাহলে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন এসে যায় – তাদের বড় একটা অংশ কেন ঈশ্বরের ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকলো না?
যাহোক শেষ করি আইনস্টাইনের একটি চমৎকার উক্তি দিয়ে –
“মানুষের নৈতিকতার জন্য তো ধর্মের কোনো দরকারই নেই, দরকার মানবিকতা, সহমর্মিতা, শিক্ষা আর সামাজিকতার। মানুষ যদি পরকালের শাস্তির কথা ভেবে নৈতিক হয়, সেই নৈতিকতার মধ্যে মহত্ত্ব কোথায় থাকে?” – Albert Einstein, Religion and Science, New York Times Magazine, 9 November 1930
@আভিজিত,
আমি কিন্তু ওই ব্যাপারে বিরাট কোন কৃতিত্ত্বপূর্ণ কিছু করেছি বলে গর্ববোধ বা আত্মপ্রসাদ বোধ করি না। আপনি কোন ধর্মীয় ভয় ভীতি না, নিজের নৈতিকতা বোধ থেকে ওই পথে জাননি, খুবই ভাল কথা, আমিও বিশ্বাস করি যে শুধু আপনি কেন অমনটা আরো অনেকেরই হয়। আমি আমার কথা শুধু বলেছি যে নৈতিকতার দায় থেকে অই ব্যাপারে তখন আমি মুক্ত ছিলাম, শুধুমাত্র ধর্মীয় ভয়াবহ শাস্তির ভয়ই কাজ করেছিল।
আমিও বিশ্বাস করি যে ধর্ম কোনভাবেই নৈতিকতার একমাত্র উতস নয়। পাশ্চাত্য দেশে প্রথম এসে আমি প্রথম যাতে মুগ্ধ হয়েছিলাম তা হল সাধারণ মানুষের সততার নমুনা দেখে। সাথে সাথে তূলনা করতাম আমার নিজ দশে ধার্মিক মানুষদের। আমি নিজেই দেশে থাকতে কতবার ঘূষ দিয়েছি (সৌভাগ্যক্রমে খেতে হয়নি কারন দেশে চাকরী করিনি)। কঠিন ধার্মিক, পাজামা পাঞ্জামী ছাড়া কিছু পরেন না এমন লোককেও ঘূষ দিতে হয়েছে, যাক সে অনইয় কাহিনী।
আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে ধর্ম নৈতিকতার একমাত্র উতস নয়, কিন্তু তার মানে এইও না যে ধর্ম কোনভাবেই মানুষকে কোন নৈতিকতা শিখাতে পারে না। এ ধরনের ভাবনাও হবে আরেক একষ্ট্রীম। ভয় ভীতি বা বেহেশতের লোভ যেভাবেই হোক বা যত কম সংখ্যক মানুষকেই হোক ধর্ম অবশ্যই কিছুটা হলেও নৈতিকতা সৃষ্টি করতেই পারে।
কিছুটা আপ্রাংগিক হলেও ভারতের ১০০% ধার্মিক দাগীদের প্রসংগে আমার ভাবনা কিছুটা বলি। ১০০% ধার্মিক দাগী নিশ্চই এই না যে তারা ধার্মিক বলেই অপরাধ করেছে। তবে আমি মনে করি এই ষ্ট্যাট খুবই সম্ভব। কারন, মানুষের ধর্মে মন দেবার একটা অন্যতম সেরা সময় হল তার জীবনের ক্রাইসিস পিরিয়ড। বহু উদাহরন আমি নিজে জানি যেখানে ঘোর নাস্তিক আলৌকিকভাবে জীবন রক্ষা পেয়ে কঠিন তবলীগি হয়ে গেছেন। জেলে গেলে স্বভাবতই মানুষের মন দূর্বল হয়। মানুষ ভবিষ্যতে কিছুর আশা দেখতে চায় যা তাকে বেচে থাকতে প্রেরণা জোগায়। এ ছাড়া নিজের অতীত জীবনের পাপের অনুশোচনা থেকেও এটা হতে পারে।
আসিক নাস্তিক ডিবেটে ইসলামিষ্টদের থেকে প্রায়ই শুনি আমেরিকায় প্রতি বছর কত হাজার বা লাখ লোক মোসলমান হয়ে যাচ্ছে, আবার ক্রীটিকরা বলেন যে তাদের বেশীরভাগই নাকি আসলে জ়েল খাটা দাগী আসামী। আমি এখনো পুরো নিশ্চিত না আসলেই ব্যাপারটা কি। আপনার জানা থাকলে বলতে পারেন।
mukto-monaর সাথে পরিচয় অনেক দিনের,কিন্তু কখনও কিছু লেখা হয়নি।
লেখা হয়নি তার একটা কারন্ও আছে।আসলে এই ধরনের একটা ফোরাম এ লিখতে যে পরিমান সাহস দরকার আমার তা নেই।তবুও আজকে সাহস করে লিখে ফেললাম।”মানব জীবনের অনেক নৈতিকতা বোধই ধর্ম থেকে উৎসারিত ”এই কথার উপরে অনেক আলোচনা করা যায়(যদিও আমি একমত নই) ,কিন্তু ”এবং ধর্মশাস্ত্রে সংজ্ঞায়িত” এই কথার সাথে কোন ভাবেই একমত হওয়া যায়না।কারন,নৈতিকতা এমন হওয়া উচিত যার মাধমে সমগ্র মানব জাতির মানুষের মঙ্গল্ব হবে।এখন লেখক এর কথা অনুযায়ী যদি আমরা ধর্ম গ্রন্থ এর নৈতিকতা দেখি তাহলে আমরা দেখব যে বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থতে নৈতিকতা বিভিন্ন রকম।যেমন ইসলাম ধর্মে যুদ্ধলব্ধ সকল নারীর সাথে সেক্স করাই নৈতিকতা,কোনো প্রকার বিবাহের দরকার নেই।that means এটা বিবাহ বহির্ভুত যৌনাচার।এখানে উল্লেখ করাটা বোধকরি অযোক্তিক হবে না যে যুদ্ধলব্ধ সকল নারীর সাথে সেক্স পুরুষরা করতে পারলেও নারীরা কিন্তু তা যুদ্ধবন্দি সৈনিকদের সাথে করতে পারবে না।এই হল ইসলামই নৈতিকতা।এখন যদি ভারত এর সাথে আমাদের যুদ্ধ লাগে আর অলৌকিক ভাবে যদি আমরা জিতেও যাই তাহলে কিন্তু আপনি বলিউড এর যে কোন নায়িকার সেক্স করতে পারবেন তাদের কোন প্রকার অনুমুতি ছাড়াই।এটাই ইসলাম এর নৈতিকতা।এবার আসি
সনাতন ধর্মের কথায়।সনাতন ধর্মের সতিদাহ,সহমরন হল চরম নৈতিকতা।ক্রিশ্চিয়ান
ধর্মের ডাইনি হত্তার কথা সবাই জানে।এই হল আমাদের প্রধান ধর্ম গুলোর নৈতিকতার অবস্থা।এখন আপনি যেটাকে implement করতে চান।
তারপর আপনি লিখেছেন যে “প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ধর্মীয় অনুশাসন মানব মনে নৈতিকতাবোধ উজ্জীবনে কতোটুকু সমর্থ?”আসল প্রশ্ন এটি নয়,আসল প্রশ্ন হল অতীতে ধর্মীয় অনুশাসন কি নৈতিকতাবোধ উজ্জীবনে সমর্থ হয়েছিল?আগে অতীত তো দেখি তারপর
বর্তমান।তাহলেই বোঝা যাবে ধর্মীয় নৈতিকতার দৌড় কতটুকু।আমরা যদি ইসলাম এর কথা আলোচনা করি তাহলে দেখব যে ইসলাম এর অতীত ইতিহাস বলতে আমরা শুধু কয়েকটি
শব্দ পাবো তা হল-শত শত বিয়ে,ক্ষমতাদখল আর যুদ্ধ।এই যদি হয় ইসলাম এর নৈতিকতা
তাহলে আমার মত পেঞ্চিল খোকাদের অবস্থা হবে “ছেরে দে মা কেদে বাচি।হিন্দুদের একই
অবস্থা।আর ক্রিশ্চিয়ানদের ক্রুসেডের কথা কেউ নিশ্চই ভোলেন নি।তারমানে অতীতে ব্যর্থ
আর বর্তমানে,তাতো আপনিই ভাল জানেন।সুতরাং যা আমাদের কোনো প্রকার সুফল দেয় নি তা যে ব্যর্থ তা বলাই বাহুল্য।সে জন্য ধর্ম গ্রন্থকে নৈতিকতার উৎস বলাটা ভুল।জানি
আপনি বলবেন যে আপনি বলেছেন “অনেক” নৈতিকতার উৎস।সেটাও ভুল।কারন ধর্ম গ্রন্থ
আসার পুর্বে নিশ্চই সবাই চুরি করত না,সবাই মিথ্যা বলত না।আর এই সব নৈতিকতার
লোকজন যদি রাজনীতিতে আসে তাহলে দেশের কি হবে তা সহজেই অনমেয়।
Fuad,আমার মনে হয় এখানে মন্তব্য করার আগে জানা উচিত এটা মসজিদ না।অই
সব emotional কথা এখানে না বললেই ভাল হয়।
@সাইফুল ইসলাম,
Fuad,আমার মনে হয় এখানে মন্তব্য করার আগে জানা উচিত এটা মসজিদ না।অই
সব emotional কথা এখানে না বললেই ভাল হয় ।
পরামর্শর জন্য ধন্যবাদ । এটা মসজিদ না তা আমিও জানি আপনিও জানেন । কিন্তু এটা এমন কোন পূজনীয় কিছু না । আমার ইচ্্ছা তাই লেখি ।
@ফুয়াদ,
জ্বি ফুয়াদ ভাইয়া আপোনার ইচ্ছা হইয়াছে আপোনি লিখিয়াছেন ইহা আর মন্দ কি।ইহা হইল যেমন খুশি তেমন সাজ ধরনের “যেমন খুশি তেমন লিখ” লিখার ফোরাম। আপোনার যাহা ইচ্ছা হয় তাহাই লিখিবেন কিন্তু অনুগ্রহ করিয়া ইকটুকু খেয়াল রাখিবেন যেন তাহাতে কিঞ্চিত পরিমানে হইলেও যুক্তির ছোয়া থাকে।
অপরাধ হইয়া থাকিলে মার্জনা করিবেন জনাব।
আপোনার বিনিত
সাইফুল ইসলাম
@সাইফুল ইসলাম,জম্ফেশ লেখা।চালিয়ে যান।আপনাকে সাগতম।ভালো থাকবেন।
মামুন।
০৩ ০৭ ২০০৯।
@mamun,
ধন্যাবাদ মামুন ভাই
@সাইফুল ইসলাম,
আমিও স্বাগতম জানালাম। আপনার মন্তব্য পড়তে ভালোই লাগছে। লিখতে থাকুন দু-হাত খুলে 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
{ইসলাম ধর্মে যুদ্ধলব্ধ সকল নারীর সাথে সেক্স করাই নৈতিকতা,কোনো প্রকার বিবাহের দরকার নেই।that means এটা বিবাহ বহির্ভুত যৌনাচার।এখানে উল্লেখ করাটা বোধকরি অযোক্তিক হবে না যে যুদ্ধলব্ধ সকল নারীর সাথে সেক্স পুরুষরা করতে পারলেও নারীরা কিন্তু তা যুদ্ধবন্দি সৈনিকদের সাথে করতে পারবে না।এই হল ইসলামই নৈতিকতা।এখন যদি ভারত এর সাথে আমাদের যুদ্ধ লাগে আর অলৌকিক ভাবে যদি আমরা জিতেও যাই তাহলে কিন্তু আপনি বলিউড এর যে কোন নায়িকার সেক্স করতে পারবেন তাদের কোন প্রকার অনুমুতি ছাড়াই।এটাই ইসলাম এর নৈতিকতা।}
বাহ, দারুন বললেন, কই আমরা তো রাসূল কে মক্কা বিজয়ে দেখলাম, কাকে তিনি দাস বানালেন ? জেরুজালেম এ এউসেডার আত্মসমর্পন করল কই কাওরে তো সালাডিন দাস বানাই ল না । তারপর তালেবান রা তো অনেক রে বন্দি মহিলা সহ করল, কই কাওরে তো দাস বানাই লো না ।
মুসলিম শাষক তার প্রয়োজন ভিত্তিতে সময় অনুষারে শুধুমাএ যারা অস্র ধরে তাদের কেই দাস বানাইতে পারে । তারা বাদে সবাই নিষিদ্ধ । দাসের সাথে কিরূপ আচরন তাও বলা হয়েছে । তারপর মুক্তির কথাও বলা হয়েছে ।
আরও কথা আছে
দাস বিষয়ক আইন গুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ করার আইন সবার শেষে এসেছে । এর, ভিত্তিতে ইমাম আবু হানীফার একটা মত, দাসবানানো নিষিদ্ধ । উনার নিজের ভিন্ন মত আছে অবশ্য ।
সবচেয়ে ভয়াব হ হচ্ছে আপনাদের মত জালিমরা, যারা মুহাম্মদ বিন কাসিম রে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে খুন করে, মুসা রে জেল দেয়, আবার কোন সময় তারা ই হালুকু খানরে বাগদাদ আক্রমনের সুযোগ করে দেয় । ইসলাম রে ধ্বংস করার জন্য, আপনার মত লাখ লাখ মানুষ দারিয়ে আছে, ইসলামের ভিতর আর বাহীরে ।
নিজের নাম রাখেন ইসলামের তরবারী, কেন অন্যকিছু করতে পারলেন না । বুঝতে পারি কেন মুনাফিকের স্তর জাহান্নামের সর্বনিম্নে, কেন হাদিস বিকৃত কারিরা উচ্চ শাস্তি পাবে ।
যারা হিন্দু,Christan, Judaism ধর্মকে বিকৃত করে, ধ্বংস করেছে । তাদের ও ধ্বংসহ হোক , তাদেরও ধ্বংসহোক যারা ইসলাম কে নষ্ট কর্তে চায় । জানি এখন কিছু controversial হাদিস দিভুল প্রমান করতে চাইবেন ।
@ফুয়াদ,
নিচের হাদিস গুলো দেখুন।
1. “Narrated Ibn Aun:
I wrote a letter to Nafi and Nafi wrote in reply to my letter that the Prophet had suddenly attacked Bani Mustaliq without warning while they were heedless and their cattle were being watered at the places of water. Their fighting men were killed and their women and children were taken as captives; the Prophet got Juwairiya on that day. Nafi said that Ibn ‘Umar had told him the above narration and that Ibn ‘Umar was in that army.#Volume 3, Book 46, Number 717
2. Ibn ‘Aun reported: I wrote to Nafi’ inquiring from him whether it was necessary to extend (to the disbelievers) an invitation to accept (Islam) before meeting them in fight. He wrote (in reply) to me that it was necessary in the early days of Islam. The Messenger of Allah (may peace be upon him) made a raid upon Banu Mustaliq while they were unaware and their cattle were having a drink at the water. He killed those who fought and imprisoned others. On that very day, he captured Juwairiya bint al-Harith. Nafi’ said that this tradition was related to him by Abdullah b. Umar who (himself) was among the raiding troops.#Muslim, Book 019, Number 4292
3. Bukhari Volume 3, Book 43, Number 648
এই হাদিসটা সাইজে অনেক বড় তাই তুলে দিলাম না।একটু কষ্ট করে পড়ে নিয়েন।
4. Narrated ‘Abdul ‘Aziz:
Anas said, ‘When Allah’s Apostle invaded Khaibar, we offered the Fajr prayer there yearly in the morning) when it was still dark. The Prophet rode and Abu Talha rode too and I was riding behind Abu Talha. The Prophet passed through the lane of Khaibar quickly and my knee was touching the thigh of the Prophet . He uncovered his thigh and I saw the whiteness of the thigh of the Prophet. When he entered the town, he said, ‘Allahu Akbar! Khaibar is ruined. Whenever we approach near a (hostile) nation (to fight) then evil will be the morning of those who have been warned.’ He repeated this thrice. The people came out for their jobs and some of them said, ‘Muhammad (has come).’ (Some of our companions added, “With his army.”) We conquered Khaibar, took the captives, and the booty was collected. Dihya came and said, ‘O Allah’s Prophet! Give me a slave girl from the captives.’ The Prophet said, ‘Go and take any slave girl.’ He took Safiya bint Huyai. A man came to the Prophet and said, ‘O Allah’s Apostles! You gave Safiya bint Huyai to Dihya and she is the chief mistress of the tribes of Quraiza and An-Nadir and she befits none but you.’ So the Prophet said, ‘Bring him along with her.’ So Dihya came with her and when the Prophet saw her, he said to Dihya, ‘Take any slave girl other than her from the captives.’ Anas added: The Prophet then manumitted her and married her.”
Thabit asked Anas, “O Abu Hamza! What did the Prophet pay her (as Mahr)?” He said, “Her self was her Mahr for he manumitted her and then married her.” Anas added, “While on the way, Um Sulaim dressed her for marriage (ceremony) and at night she sent her as a bride to the Prophet .#Bukhari Volume 1, Book 8, Number 367
5. Narrated Anas:
The Prophet offered the Fajr Prayer near Khaibar when it was still dark and then said, “Allahu-Akbar! Khaibar is destroyed, for whenever we approach a (hostile) nation (to fight), then evil will be the morning for those who have been warned.” Then the inhabitants of Khaibar came out running on the roads. The Prophet had their warriors killed, their offspring and woman taken as captives. Safiya was amongst the captives, She first came in the share of Dahya Alkali but later on she belonged to the Prophet . The Prophet made her manumission as her ‘Mahr’.#Sahih Bukhari V.5 B.59 N.512
আপনি হয়তবা জানেন যে সহী বুখারি এবং সহী মুসলিম নিয়ে কোনো ইসলামিক
স্কলার এর কোনো প্রকার সন্ধেহ নাই।
এরা ছাড়াও মহাম্মদ এর রায়হানা নামে একজন দাসী ছিল,বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল আরো ৪ জনের সাথে।
ভাই ফুয়াদ কারো সাথে কথা বলার প্রথম শর্ত হল ভদ্রতা।বিশেষ করে এই ধরনের একটি জায়গায়,আপনার ভেতরে যা খুবই কম পরিমানে আছে।
যখন যুক্তিতে পারছেন না তখন ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমন করছেন যা দুর্বলরা সাধারনত করে থাকে।সত্যকে গ্রহন করতে শিখুন।যুক্তিবাদী হন।
ধন্যবাদ
সাইফুল ইসলাম
@সাইফুল ইসলাম,
1 জানি এখন কিছু controversial হাদিস দিভুল প্রমান করতে চাইবেন ।
আপনি তো আসল জিনিস ই জানেন না । বুখারি মুসলিম শরিফ ও পরীক্ষা করা হয় । যেমন ঃ মওলানা হোসেন আহমেদ মাদানী রঃ হাদিস বলার আগে মুনাকাবা করে বর্ননা করতেন ।
কই ইমাম আবু হানিফা অনেক সিদ্ধান্ত হাদিস ছাড়াই করেছেন ।
আমি কি বলছি তিনি কাওরে দাস করেন নাই, কিছু ইহুদি গোএ অন্য কিছুকে দাস করা হইছিল। ইহুদির ষড়যন্ত্রে কয়েক বার আক্রমন খাইছেন তিনি । রাষ্ঠ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব তার ছিল ।
আমি বলছি রাসূল কে মক্কা বিজয়ে দেখলাম, কাকে তিনি দাস বানালেন ? জেরুজালেম এ এউসেডার আত্মসমর্পন করল কই কাওরে তো সালাডিন দাস বানাই ল না । তারপর তালেবান রা তো অনেক রে বন্দি মহিলা সহ করল, কই কাওরে তো দাস বানাই লো না ।……………..
ঊনার দাস ছিল, ভাল কথা, তাইলে যায়েদ রঃ এবং আনাস রঃ কে ভুলে গেলেন কেন ? উনার একজন তো পিতা আসার পর পিতার সাথেও যান নাই । কই তখন তো বললেনা এক ব্যক্তি র দাস তার পিতার থেকেও মুনিবরে ভালবাসে । দেখলেন না ।
এইখানে
Bani Mustaliq এর বিষয় বিস্তারিত দেখেন :
http://www.witness-pioneer.org/vil/Books/SM_tsn/ch4s12.html
আমি মনে করি ধর্ম থেকে নৈতিকতা বোধ উৎসরিত নয়,বরং মানুষই নিজের নৈতিকতা বোধ থেকেই ধর্মের সৃস্টি করেছে। মানুষের ন্যায় নীতির ভাবনা,অন্যায় থেকে শাস্তি ইত্যাদি সামাজিক নিয়মগুলোকে জোরালো করার উদ্দেশ্যে মানুষ ধর্ম কে ঢাল রূপে ব্যবহার করে নৈতিকতার পথ কে সহজ করতে চেয়েছে।
এটা সুস্পষ্ট যে, এখন আর কোনভাবেই দেশকে সুস্থ করা সম্ভব নয় চলমান রাজনৈতিক পদ্ধতিতে। আমার মনে হয়, দেশের এই সামগ্রিক দূরাবস্থা দূর করতে হলে সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যাবস্থা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। আমি বুঝতে পারছি না মুক্তমনার মেধাবী মস্তিস্কগণ কেন সমাজতন্ত্র নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবছেন না?
@মুরতাদুল্লা খান,
“সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যাবস্থা” বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন তা প্রথমে clarify করতে হবে। সমাজতন্ত্র নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে। সমাজতন্ত্রও কোন pure system নয়। সমাজতন্ত্রের সবকিছুই ভাল নয়। সমাজতন্ত্রে সমাজের সর্বত্র সমতা নিশ্চিত করতে গিয়ে মানুষের অনেক মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়। আর বাংলাদেশের মত দেশে আমার মনে হয় সমাজতন্ত্র মুখ থুবড়ে পরবে। কারণ এদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের কোম্পানি গুলো এমনিতেই লুটপাট,দুর্ণীতির আখড়া। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ব্যক্তিমালিকানার বিলোপ ঘটিয়ে সবকিছুর উপর উপর সরকারী মালিকানা প্রতিষ্ঠা করলে লুটপাটের রাজত্ব আরো বিস্তৃত হবে। সব system সবদেশের জন্য কার্যকরী নয়। তাছাড়া সমাজতন্ত্রে আপনি ধর্মের ব্যাপারটা কিভাবে দেখবেন সেটিও একটি প্রশ্ন। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু। তাদের উপর সমাজতন্ত্র চাপিয়ে দেয়াটা অত সহজ হবে না।
@Talat,
‘সমাজতন্ত্রে আপনি ধর্মের ব্যাপারটা কিভাবে দেখবেন সেটিও একটি প্রশ্ন। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মভীরু’।
কোন্ ধর্ম? হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টানদের সমাজতন্ত্রে আপত্তি করতে শুনিনি। এদেশ কি তাদের নয়? যে ধর্মের ইঙ্গিত দিচ্ছেন সে ধর্মে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম-নিরপেক্ষতা কোনটাই গ্রহনযোগ্য নয়। আসল কথা হলো সকল ধর্মের মানুষের একটি রাস্ট্র থাকতে পারে, রাস্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারে না।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে শুধুমাত্র একজন প্রেরিত পুরুষ কিংবা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ভাবলে তাঁকে অবমূল্যায়ন করা হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি মধ্যযুগে মক্কাকেন্দ্রিক একটি প্রাগ্রসর রাষ্ট্র স্থাপনে কৃতিত্ব রেখেছেন। এ রাষ্ট্র স্থাপনে তাকে প্রয়োগ করতে হয়েছিল রাষ্ট্রনীতি, সমরনীতি এবং কূটনীতির নানা ক্রিয়া কৌশল। তাই বলা চলে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) একজন রাজনীতিকও ছিলেন বটে………..
You Know the game, saying Rasul (s:) as politician, well, You are using Muslim’s emotion AND INTRODUCING BIG FITNA………………….
Hz Muhammod S was Prophet of ALLAH, He was Not politician , He was not political leader. He is only messenger of God, He is only salve of God……….
@Fuad,মিয়া, কথা বোঝেন না হুদাই চিল্লান! মন্তব্য করার আগে ভাল করে লেখকের বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করবেন, তারপর চিল্লাফাল্লা করবেন। অরাজক মক্কা নগরিতে সেই সময়ের নিরিখে সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা ও সুশৃংখল রাজনৈতীক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন মহম্মদ, তাই তাকে আমরা অবশ্যই একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ বলতে পারি।
@মুরতাদুল্লা খান,
vai dekhen apni jodi hz k Rasul na bole rajnitik bolen taile unare oshomman korben, Oni khokon o e rajnitibid non, Uni ALLAH swt rasul, Koi shahabi ra tto unake rajniti bid boltona….Bidat mane bujen ? …………………………………………………………………………….
@Fuad,
রাজনীতিবিদ শব্দটায় আপনার এতো আপত্তি কেন? রাজনীতি মানেই কি আমাদের দেশের লালু ভুলু, ফালু সালু গোছের কোন চরিত্র? রাজনীতিক ভাল বা খারাপ দুই হতে পারে।
অনেক ব্যাবসায়ীই কোনরক্ম নৈতিকতার ধার ধারে না, যেকোন উপায় অর্থ উপার্জনই তাদের নীতি। এখন কি বলা যায় যে ব্যাবসায়ী মানেই সব শাইলক? নবী মোহাম্মদ তো ব্যাবসায়ী অবশ্যই ছিলেন, বলা যায় তার সতগুনের কারনে বেশ জনপ্রিয় সফল ব্যাবসায়ীই ছিলেন, এখন তাকে ব্যাবসায়ী বলায় কি আপনি আপত্তি করবেন? নাকি গড এর সার্ভেন্ট বলে তাকে ব্যাবসায়ী বলা যাবে না? তিনি গড এর সার্ভেন্ট বলেই গড তাকে আকাশ দিতে খাদ্যদ্রব্য বা নিত্য জীবনের প্রয়োযনীয় সব সামগ্রী দিতেন না, সেসেব তাকে দুনিয়া থেকে তার নিজ গুন খাটিয়েই অর্জন করতে হত।
নবী মোহাম্মাদ রাজনীতিবিদ অবশ্যই ছিলেন; তাকে রাজনীতির চর্চা করেই ক্ষমতা পেতে হয়েছিল, তারপরও তাকে দক্ষ রাজনীতিবিদের মতই অনেক আভ্যন্তিরন সমস্যা সামাল দিতে হয়েছিল (সাহাবীদের অন্তর্দন্ড…)।
তাই তাকে রাজনীতিবিদ বলায় কড়া আপত্তি হীনমণ্যতার লক্ষন।
@আদিল মাহমুদ,
না ভাই আমি মানতে পারলাম না । Sorry
@ফুয়াদ,
ভাই, আমার আপনার মানা না মানায় কী কিছূ এসে যাবে? আইভির লেখা তো পড়েছেন নিশ্চই? নবী মোহাম্মদ একাধারে সেনাপতি, রাজনীতিক, ব্যাবসায়ী, অনেক কিছুই ছিলেন। আবার তিনি আর দশটা মানুশের মতই বাবা, স্বামী, নানা সবই ছিলেন। সে যুগের পারিবারিক মূল্যবোধ অনুযায়ী সংসার করেছেন। নিজেকে আল্লাহর মেসেঞ্জার ছাড়া তিনি আর কেউ বিশেষ কেউ বা কোন রকম অলৌকিক ক্ষ্মতার অধিকারী তেমন দাবী কোনদিন করেন নি। এ নিয়ে তর্ক করার কোনই কারন নেই। এটা নিয়ে আস্তিক নাস্তিক কারোই মতভেদ নেই। অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই যে এই বহুবিধ গুন একজন মানুষের মধ্যে থাকাটা খুব বিরল। তিনি অবশ্যই এর জন্য প্রসংশা পেতে পারেন। আপনি কেন হীনমন্যতায় ভুগছেন তা আপনিই ভাল জানেন
ইসলাম অনুযায়ি প্রতিটা মানুষই তো আল্লাহর সার্ভেন্ট। আমি আচ করি আপনি পেশায় নিশ্চয়ই একজন ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার, ব্যাবাসায়ী…।বা এখন ছাত্র হলে একদিন সেসব কোন পেশা নেবেন, তাই না?
এখন কেউ যদি আপনাকে প্রশ্ন করে যে ভাই আপনি কি করেন? তখন আপনি কি তাকে বুক ফুলিয়ে জবাব দেবেন যে আমি আল্লাহর সার্ভেন্ট নাকি আপনার পেশা যেটি সেটি বলবেন?
@Fuad,
যদি ইসলাম সম্বন্ধে ভালভাবে গবেষনা করেন, তবে দেখবেন যে এটা কোন ধর্ম না, এটা সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের পন্হা– যা অনুসরন করলে উন্নয়ন সাধন সম্ভব (তালেবেনরা যা অনুসরন করছে সেটা কিন্তু ইসলামিক পথ নয়, সেটা ক্ষমতাবানদের তৈ্রী দুই নম্বর, ভেজাল ইসলাম)। কিন্তু কিছু ক্ষমতালিপ্সু, মুষ্টিমেয় শিক্ষিত মানুষের হাতে পড়ে এর পুরো চেহারাটাই পালটে গেছে–ইসলাম দ্বীন থেকে ধর্মে পরিনত হয়েছে। মুহম্মদের জীবন কাহিনী আমরা যতটুকু জানি, তার মধ্যে কিন্তু তিনি একজন ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ, সমরনীতিবিদ হিসেবেই অবদান রেখেছেন। কতিপয় হাদীস লেখকরাই তাকে পবিত্র, পীর, আউলিয়া, সাধক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। অবশ্যই তিনি অসাধারন গুনসম্পন্ন মানুষ ছিলেন, নইলে এতগুলো চরিত্র পালন করতে পারতেন না এবং ইসলামের সঠিক রুপটা দেখিয়ে যেতে পারতেন না। ইসলাম তার সঠিক রুপটি হারাতে শুরু করে তাঁর মৃত্যূর শতবছর পর থেকে। এরও অনেক সামাজিক কারন ছিল। কোরানে, আল্লাহ্র সবজায়গায় বিরাজমানতার কথা বলা আছে, কিন্তু তাঁকে ritualistic way -তে পালন করতে বলেনি (আমরা নিজেদের স্বার্থে তা তৈরী করেছি, অজ্ঞানতা থেকে)। একটা শক্তিকে অনুভব করা, একজন সর্বশক্তিমান যে সব সৃস্টির পেছনে সে কথাটাই কোরানে বলা আছে। মুহম্মদকে অতি পবিত্র, শুধু আল্লাহর চাকর বানিয়ে কি হবে বলুন?
ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy,
এখানে দেখেন
Sahih Hadith (a Hadith that has been transmitted by people known for their uprightness and exactitude; free from eccentricity and blemish): “My Ummah will split up into seventy-three sects, all of them will be in the Fire except one sect.” They asked: “Which one, O Messenger of Allah? He replied: “Al-Jama`ah (the true followers of the Prophet).”
In another narration, the Prophet’s reply was: It is the one (sect) that follows what I and my Companions are upon now. Hence, whatever practice, deed, or act of worship people invent as a means of drawing nearer to Allah thinking that they will be rewarded while in fact it contradicts Shari`ah, it is considered a Bid`ah (rejected innovation in religion) that falls under this dispraise and censure stated by Allah’s Messenger (peace be upon him).
@ফুয়াদ,
বর্তমানে আমার জানামতে ১৯৩-টা sect ইসলামে। আমাদের নবী কোন sect-এ ছিলেন?
আর দয়া করে হাদীস টেনে আনবেন না। এককালে হাদীস নিয়ে অনেক মাতামাতি করেছি এবং যত পড়েছি, তত জর্জরিত হয়েছি। তাই, উঠে-পড়ে লেগেছিলাম হাদীসের উৎস খুঁজতে। ইতিহাস ঘাটলে, বিভিন্ন ইমামদের পরস্পর বিরোধী বই গুলো পড়লে দেখা যাবে হাদীসগুলো কেন তৈরী হয়েছে। নবীর নাম করে কিছু বললেই আমরা দুর্বল হয়ে যাই। কোরানে তো সব কিছুই যাচাই-বাছাই করে গ্রহন করতে বলা হয়েছে, হাদীস গ্রহনের বেলায় সেটা হচ্ছে না কেন? ইমাম তাবারী, বোখারী, হানাফী, সাফী, মুসলিম, তিরমিযী–এবং অন্যান্যরা একজন আরেকজনের প্রতি যে ঘৃণ্য বাক্যবান ছেড়েছে, তারপরও এদের কথা এত মূল্য পায় কি করে? এ ক্ষেত্রে আপনার মত আস্তিকরা এবং কতিপয় নাস্তিকরা সমান। আপনি হাদীস ব্যবহার করছেন ইসলাম রক্ষার জন্য আর নাস্তিকরা ব্যবহার করছে ইসলামকে বাঁশ দেয়ার জন্য। কেউ কিন্তু এগুলো মিথ্যা-বানানো বলে ক্ষান্ত হচ্ছেন না। যান চালিয়ে যান।
@ivy,
{আপনি হাদীস ব্যবহার করছেন ইসলাম রক্ষার জন্য আর নাস্তিকরা ব্যবহার করছে ইসলামকে বাঁশ দেয়ার জন্য। কেউ কিন্তু এগুলো মিথ্যা-বানানো বলে ক্ষান্ত হচ্ছেন না। যান চালিয়ে যান।}
আপনি কেন আমার উপর রাগ করলেন বুঝতে পারলাম না । আপনি কি জানেন না মুসলিম জাতির ধ্বংস তথক্ষন পর্যন্ত হবে না যতক্ষন পরবতর্ীরা পূর্ববর্তীদের বিরোধিতা করবে ।
হ্যা । হয়ত মিথ্যা হাদিস, হাদিস সাছ্র মধ্যে ডুকে গেছে । এখন আমরা কি করব বলেন ?
যদি সব হাদিস বাতিল করে দেই, তাহলে আনেক সহি হাদিস এর সাথে বাতিল হয়ে যাবে । আপনার যে হাদিস কে সন্দেহ হয়, সে হাদিস ফল কইরেন না ।
হয়ত আমার জ্ঞান কম হতে পারে আমায় মাফ করবেন ।
মানব জীবনের অনেক নৈতিকতা বোধই ধর্ম থেকে উৎসারিত
ঠিক না-ধর্ম কখনোই নৈতিকতার উৎস না। বরং ধর্মকে ঢাল করে লোকে নিজেদের নৈতিক প্রমানের চেষ্টা করে। নৈতিকতার উৎস সোশ্যাল ইউটিলিটি। মানে আপনার সামাজিক মূল্য। যেমন ধরুন আপনি অর্নগল মিথ্যে বলে গেলে কেও আপনার কথা শুনবে না-ব্যাবসা করতে চাইবে না-সামাজিক লেনদেন বন্ধ করে দেবে। অর্থাৎ আপনি একটি ‘সামাজিক ইমেজ’ তৈরী করতে চাইছেন। যাতে আপনার ব্যাক্তি্গত লাভ হয়।
যৌনতার ব্যাপারেও এটা সত্য। আমেরিকার মতন দেশে ডেটিং এর সময় কেও ধর্ম মানে না। তাও দেখবেন, যে সব ছেলে বা মেয়েদের একাধিক যৌন সঙ্গী বা সঙ্গিনী আছে বা ছিল (যারা নির্ভরযোগ্য না), তাদেরকে কেও এখানেও বিয়ে করতে চাই না। এটা ধর্মের ব্যাপার না-শেফ নিজের র্যাশানাল।
@বিপ্লব পাল,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আদি সাম্যবাদ সমাজে কিংবা তারো আগে, যখন প্রাতিষ্ঠানিক র্ধমের উদ্ভব হয়নি সে সময়ও মানব সমাজে এক ধরণের নৈতিকতাবোধ কাজ করত এ কথাও বলা যায়। কিন্তূ ধর্ম নৈতিকতাকে ইশ্বরের “প্রেরিত বাণী” হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়। তাই আমি প্রবন্ধে বলেছি, ধর্ম “সামাজিক জীবনের সার্বজনীন নৈতিকতা, যেমন-মিথ্যা না বলা, চুরী না করা, ঘুষ না খাওয়া, মানুষ হত্যা না করা ইত্যাদি পৃথিবীর তাবদ ধর্মগ্রন্থ আত্মস্থ করে পাপ-পুণ্যের আলোতে ধর্মীয় অনুশাসনে রূপান্তরিত করেছে পৃথিবীতে একটি আদর্শ, নৈতিক সমাজ বির্নিমাণের প্রচেষ্টায়।” সূতরাং “মানব জীবনের অনেক নৈতিকতা বোধই ধর্ম থেকে উৎসারিত”, এ দাবি করা অসংগত নয়। উল্লেখ্য আমি কিন্তু মানব জীবনের ‘সকল নৈতিকতা বোধ’ নয় বরং বলেছি অনেক নৈতিকতা বোধ ধর্ম থেকে উৎসারিত কিংবা ধর্মশাস্ত্রে সংজ্ঞায়িত । আপনি প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত বাক্যে ‘ধর্মশাস্ত্রে সংজ্ঞায়িত’ শব্দদুটো বাদ দিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সম্ভবত: ভুলবশত:।
মো. আ. ক
@Md. Anwarul Kabir,
সুন্দর লেখা। তবে ধর্মই কি নৈতিকতার মূল উৎস কিনা কিংবা ‘বলেছি অনেক নৈতিকতা বোধ ধর্ম থেকে উৎসারিত কিংবা ধর্মশাস্ত্রে সংজ্ঞায়িত’ কিনা এ ব্যাপারটায় আমার সন্দেহ আছে। বিপ্লব-এর কথার সাথে আমি কিন্তু একমত – মানুষ বোধ হয় নৈতিকতার চর্চা শুরু করেছে সমাজবিবর্তনের ফলশ্রুতিতে, ধর্মের কারণে নয়। দেখুন ইসলাম, খ্রিস্টানিটি প্রভৃতি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলো আসার অনেক আগে থেকেই মানুষ কিন্তু নৈতিকতার চর্চা করেছে। যেমন, যীশুখ্রীষ্টের অনেক আগেই লেভিটিকাস বলে গেছেন, ‘নিজেকে যেমন ভালবাস, তেমনি ভালবাসবে তোমার প্রতিবেশীদের।’ বাইবেল এবং কোরানে যে সহনশীলতার কথা বলা আছে, সেগুলোর অনেক আগেই (খ্রীষ্টের জন্মের পাঁচশ বছর আগে) কনফুসিয়াস একইরকমভাবে বলেছিলেন – ‘অন্যের প্রতি সেরকম ব্যবহার কোর না, যা তুমি নিজে পেতে চাও না’। আইসোক্রেটস খ্রীষ্টের জন্মের ৩৭৫ বছর আগে বলে গিয়েছিলেন, ‘অন্যের যে কাজে তুমি রাগান্নিত বোধ কর, তেমন কিছু তুমি অন্যদের প্রতি কোর না’। এমনকি শত্রুদের ভালবাসতে বলার কথা তাওইজমে রয়েছে, কিংবা বুদ্ধের বাণীতে, সেও কিন্তু যীশু বা মুহম্মদের অনেক আগেই। নৈতিকতার যে উপকরণগুলোকে ধর্মানুসারীরা তাদের স্ব স্ব ধর্মের ‘পৈত্রিক সম্পত্তি’ বলে ভাবছেন, সেগুলো কোনটাই কিন্তু আসলে ধর্ম থেকে উদ্ভুত হয়নি, বরং বিকশিত হয়েছে সমাজবিবর্তনের অবশ্যাম্ভাবী ফল হিসেবে। সমাজব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই সৃষ্টির প্রারম্ভ থেকে মানুষ কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যকে ‘নৈতিক গুনাবলী’ হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে; কারণ ও ভাবে গ্রহণ না করলে সমাজব্যবস্থা অচীরেই ধ্বসে পড়ত। বিখ্যাত নৃতাত্ত্বিক সলোমন আ্যাশ বলেন,
এমন ধরনের সমাজের কথা আমরা জানিনা কারণ অমন সমাজ টিকে থাকতে পারে না। খুব সাদা চোখে দেখলেও, একটি সমাজে চুরি করা যে অন্যায়, এটি বুঝবার জন্য করার জন্য কোন স্বর্গীয় ওহি নাজিল হওয়ার দরকার পরে না। কারণ যে সমাজে চুরি করাকে না ঠেকিয়ে মহিমান্নিত করা হবে, সে সমাজের অস্তিত্ব লোপ পাবে অচীরেই। ঠিক একই ভাবে আমরা বুঝি, সত্যি কথা বলার বদলে যদি মিথ্যা বলাকে উৎসাহিত করা হয়, তবে মানুষে মানুষে যোগাযোগ রক্ষা করাই দূরূহ হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারগুলো উপলব্ধির জন্য কোন ধর্মশিক্ষা লাগে না। আবার এমনও দেখা গেছে যে, শতাব্দীপ্রাচীন কোন চলমান ব্যবস্থার পরিবর্তন মানুষ নিজে থেকেই করেছে পরিবর্তিত মূল্যবধের কষ্ঠিপাথরে মানবতাকে যাচাই করে, এবং অনেকক্ষেত্রেই ধর্ম কি বলছে না বলছে তার তোয়াক্কা না করেই। দাসত্বপ্রথার উচ্ছেদ এমনি একটি ঘটনা। বলা বাহুল্য, কোন ধর্মগ্রন্থেই দাসত্ব উচ্ছেদের আহবান জানানো হয় নি। বাইবেলের নতুন কিংবা পুরাতন নিয়ম, কিংবা কোরান, অথবা বেদ, উপনিষদ, মনুসংহিতা- কোথাওই দাসত্ব প্রথাকে নির্মুল করার কথা বলা হয়নি, বরং সংরক্ষিত করার কথাই বলা হয়েছে প্রকারন্তরে। কিন্তু মানুষ সমাজিক প্রয়োজনেই একটা সময় দাসত্ব উচ্ছেদ করেছে, যেমনিভাবে হিন্দু সমাজ করেছে সতীদাহ নির্মুল বা খ্রীষ্ট সমাজ করেছে ডাইনী পোড়ানো বন্ধ। সতীত্ব সম্পর্কে প্রাচীন ধারণা, কিংবা সমকামিতা বা গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গীরও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে সারা পৃথিবী জুড়ে এ কয় দশকে। এ পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গীর অনেকগুলোই ধর্ম কর্তৃক অনুমোদিত নয়। যেমন, বিবাহ বর্হিভূত যৌনাচার অনৈতিক, বলে লেখক যে ঢালাও মন্তব্য করেছেন তাও কিন্তু তর্ক সাপেক্ষ। আজকের দুনিয়ায় বহু দম্পতি এক সাথে বাস করেন বিয়ে করা ছাড়াই। এই যে ফারা ফাসেট মারা গেলেন, তিনি ২২ বছর ধরে তার প্রেমিকার সাথে বাস করেছেন বিয়ে করা ছারাই। এ ব্যাপারগুলো লেখকের কাছে ‘অনৈতিক’ মনে হলেও অনেকের কাছেই হবে না। সমস্যাটা ‘বিবাহ বহির্ভুত’ সম্পর্কে নয়, সমস্যাটা অন্যত্র। একজনের সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অন্যজনের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুললে পার্টনারের প্রতি অবিশ্বস্ততা প্রকাশ পায়। সবাই যদি এ কাজ করতে শুরু করে, এ ধরনের সমাজ হয়ত বিলীন হয়ে যাবে অচীরেই। সমাজ বিবর্তনের নিরিখেই আসলে বিশ্বস্ততার এ মূল্যবোধগুলো তৈরি হয়েছে, ধর্মের কারনে নয়।
ধর্ম ও নৈতিকতার উপর আমাদের ইবুক ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?‘ -এ আলাদা একটি অধ্যায় রাখা হয়েছে। অধ্যায়টি পড়বার অনুরোধ করছি। অধ্যায়টি থেকে কিছু লেখার লিঙ্ক এখানে উল্লেখ করা হল –
নৈতিকতা কি শুধুই বেহেস্তে যাওয়ার পাসপোর্ট?
ধর্মই কি নৈতিকতার উৎস?
আমাদের মূল্যবোধ কি ঈশ্বর হতে আগত?
বিবর্তনের দৃষ্টিতে নৈতিকতার উদ্ভব
‘স্বার্থপর জিন’ -এর আলোকে সহযোগিতা এবং আত্মত্যাগ ইত্যাদি।
আসলে নীতি নৈতিকতার উদ্ভবকে বুঝতে হলে আধুনিক বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের রিসার্চগুলো বুঝতে হবে। এ বিষয়ে আধুনিক গবেষনা কিন্তু অনেক এগিয়ে গিয়েছে। ম্যাট রীডলীর একটা ভাল বই আছে এপ্রসঙ্গে –
The Origins of Virtue: Human Instincts and the Evolution of Cooperation
আধুনিক রিসার্চ বাদ দিয়ে কেবল ধর্ম দিয়ে নীতি নৈতিকতাকে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা অনেকটা মহাকর্ষ না বুঝে ভবানের লীলা খেলা দিয়ে পৃথিবীর ঘূর্ণন ব্যাখ্যা করার মতই শোনাবে অনেকটা।
@অভিজিৎ,
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
প্রবন্ধটি কিন্তু আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষন করে না। “সামাজিক জীবনের সার্বজনীন নৈতিকতা, যেমন-মিথ্যা না বলা, চুরী না করা, ঘুষ না খাওয়া, মানুষ হত্যা না করা ইত্যাদি পৃথিবীর তাবদ ধর্মগ্রন্থ আত্মস্থ করে পাপ-পুণ্যের আলোতে ধর্মীয় অনুশাসনে রূপান্তরিত করেছে পৃথিবীতে একটি আদর্শ, নৈতিক সমাজ বির্নিমাণের প্রচেষ্টায়।”– প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত এ বাক্য কিন্তু আপনার দেওয়া যুক্তির সাথে সাজুয্যপূর্ণ। কিন্তু ধর্ম যে নৈতিকতাকে ‘ইশ্বরের বাণী’ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে এ কথা নিশ্চয়ই বলা যায়। আরেকটি বিষয়, ধর্মবেত্তাগণ সমাজ ক্রমবিকাশের ধারায় ধর্মের উদ্ভাবন কিন্তু সমাজে শৃঙ্খলা আনার উদ্দেশেই করেছেন – কোন ঐশ্বিরিক প্রেরণায় নয়। এ যুগে মানব সমাজে ঐশ্বিরিক ধর্ম প্রযোজ্য কি না সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু সে যুগে ধর্ম বহুলাংশে সমাজ প্রগতিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে এ কথা অস্বীকার করা যায় না।
প্রসংগ: বিবাহিত বিবাহ বর্হিভূত যৌনাচার অনৈতিক – হ্যা, স্বীকার করছি, এ নৈতিকতা বোধ এখন আর সার্বজনীন নয়। কিন্তু, খুব বেশীদিন আগে নয় এই গত শতকের শুরুতেও পাশ্চাত্য সমাজেও বিবাহ বর্হিভূত যৌনাচারকে চরম গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচিত হতো। বাংলাদেশ সহ প্রাচ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে এটি এখনো গর্হিত কাজ, এ কথা কি অস্বীকার করবেন অভিজিৎ দা? আমি হলপ করে বলতে পারি এমন কি এই মুক্তমনার বেশীর ভাগ সদস্যই তাদের জীবন সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীর তৃতীয় কারো সাথে যৌন সম্পর্ক সহজে মেনে নেবেন না।