বিক্ষিপ্ত ভাবনা -১
তৃতীয় নয়ন
মুক্তমনা সমাজের মধ্যে যুক্তিবাদ ও মুক্তচিন্তা প্রচার ও প্রসারের জন্য অনেকদিন থেকেই চেষ্টা করে আসছে। নানা সময়ে নানা জনের বহু চিন্তা জাগানো লেখায় মুক্তমনা সমৃদ্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেই বা কত সংখ্যক মানুষ মুক্তমনা সাথে পরিচিত? আমরা যতই মুক্তচিন্তা বা যুক্তিবাদ বলে আস্ফালন করি না কেন বাস্তবতার কথা ভেবে দেখতে হবে। সেই বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এই মুক্তচিন্তা ও যুক্তিবাদ ব্যাপারটি একবারেই অনুপস্থিত। এর একটি কারণ হতে পারে বাংলাদেশে সিংহভাগ মানুষেরই যেখানে প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রাম করতে করতে, জীবনের নুন্যতম প্রয়োজ়ন মেটাতেই প্রানান্তকর অবস্থা সেখানে তাদের এইসব বিষয় ভেবে দেখার সময় ও সু্যোগ কোথায়? যে মানুষটির দিন শুরু হয় নানারকম চিন্তা দিয়ে, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের রুটি রুজির সন্ধানেই যার সংগ্রাম, বাড়ি ভাড়া পরিশোধের চিন্তা, ছেলে-মেয়ের আবদার রক্ষা, তাদের পড়ালেখার খরচ, তাদের জীবনের প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা, নিজের পেশাগত জীবনে নানা ব্যস্ততা, আনুষ্ঠানিকতা, সামাজিকতা, নিজের অবস্থান উন্নত করা- এতসব কিছু করে আর এসব আদর্শবাদি চিন্তা বা মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদ, সমাজ পরিবর্তন নিয়ে ভাবা বা ওয়েবসাইটের এই বিশাল বিশাল আর্টিকেলগুলো পড়া কি সম্ভব? একজন মানুষ একা কিই বা আর করতে পারে? জানি, এর কোন সমাধান নেই। সব কিছুর মধ্য দিয়েই সব কিছু চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তারপরও প্রশ্নগুলো রাখলাম। পারিপাশ্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষের উপর ব্যপক প্রভাব ফেলে। কম্পিউটারের সামনে বসে মুক্তমনা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে এর প্রতিদিনকার আর্টিকালগুলি পড়তে ভালই লাগে। মনে হয়, নাহ! সমাজ বদলাতে হবে। ঠিকই বলেছেন লেখক। কিন্তু বাস্তবে কম্পিউটারের সামনে থেকে উঠে গিয়ে ঘর থেকে বাইরে গেলে সবার সাথে interact করলে বোঝা যায় বাস্তবতা কত কঠিন। তখন আর মুক্তমনার লেখকদের সমমনা লোকদের টিকি ও দেখা যায় না। তাদের হয়তো মাইক্রোস্কপ দিয়ে খুজ়তে হবে। তখন মনে হয় অন্য গ্রহে চলে এসেছি। কেমন যেন একটা শুন্যতায় ভুগি ঐ মুহুর্তে। অবশ্য এটি শুধু মুক্তমনার ক্ষেত্রেই হয় না, অন্য অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই হয়। কতজন কত বইপত্র, আর্টিকেলই তো লিখেন ; কত বুদ্ধিজীবি কত প্রবন্ধই তো লিখেন পত্রিকার কলামে, কত আদর্শের কথাই তো শুনি চারদিকে, কত স্বপ্নের কথাই তো শুনি ও পড়ি। কিন্তু তার কত শতাংশ বাস্তবায়িত হয়? সাধারণ মানুষ এসব কতটুকুই বা পাত্তা দেয়? শেষমেশ দেখা যায় , সমাজ যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে; সমাজ তার নিজস্ব ঘুণেধরা সংস্কার অনু্যায়ীই চলছে। ঘুরেফিরে সেই একই চিত্রই দেখা যায়। মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদ এসব কেবল বইয়ের পাতা কিংবা ওয়েবসাইটের সার্ভারেই সংরক্ষিত হয়ে থাকে।
মুক্তমনা যতই ধর্মের বেড়াজাল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, বাস্তবতা হলো ধর্ম এখনো এদেশের সমাজে সাদরে গৃহিত। ধার্মিকেরা এখনো সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। ধর্ম মানলে সমাজে এখনো স্থুল বাহবা পাওয়া যায়। ধর্মকে এখনো সবাই ভয় পায়। ধর্ম প্রকৃতপক্ষে মেনে চলছে খুব কম মানুষ কিন্তু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, দুর্বলতা এখনো এই সমাজে প্রবলভাবে বিদ্যামান। প্রকাশ্যে ধর্ম নিয়ে সমালোচনামূলক আলোচনা এখনো দুঃসাধ্য। আমার আম্মু আমাকে প্রায়ই বলেন যে, “ নামাজ পড়োনা কেন? তোমাকে এত নামাজ পড়তে বলি, তুমি পড়ো না। নাস্তিক হয়ে যাচ্ছো।” আমি কি উত্তর দিব ভেবে পাই না। কারন আমার কাছে যুক্তি আছে কেন নামাজ পড়িনা। কিন্তু সেই যুক্তি দিয়ে আম্মুর সাথে তর্ক করতে গেলে তাঁর সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে। খুবই কঠিন একটা পরিস্থিতি। সবসময় এজন্য ভয়ে ভয়ে থাকি আম্মুর কাছে গেলে কখন আবার নামাজ পড়ার কথা বলেন! আমাদের দেশে যেকোন অনুষ্ঠানে বা সভা-সেমিনারের শুরুতে এখনো কোরান তেলওয়াত দিয়ে শুরু করা হয়। তখন মনে হয় , তাহলে এত মুক্তমনা, মুক্তচিন্তা, যুক্তিবাদের দরকার কি? আমরা তো ঘুরেফিরে সেই ধর্মের কাছেই আত্নসমর্পন করছি। আসলে কিইবা করার আছে আমাদের! আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে ঐ মুহুর্তে সভায় উপস্থিত একজন মুক্তমনা, যুক্তিবাদি ব্যক্তির – যিনি প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাস করেননা, যিনি মনে করেন ধর্মগ্রন্থের বিধি-নিষেধ, অনুশাসন মানব সভ্যতার প্রগতির পথে অন্তরায় – তার কি করা উচিত? তিনি কি উপস্থিত সভায় দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন “ আমরা ধর্মনিরপেক্ষ , অসাম্প্রদায়িক। কোরান তেলওয়াতের কোন প্রয়োজন নেই”? আমরা মুখে যতই ধর্মনিরপেক্ষতা আর অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলি না কেন বাস্তবে তো এদেশে বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ, প্রগতিশীল, অপ্রগতিশীল সকলে ইসলামকে খুব সমীহ করে চলে। ইসলামের সরাসরি বিরোধিতা করার সাহস এদেশে খুব কম লোকেরই রয়েছে। তসলিমা নাসরিন এক্ষেত্রে একজন কিংবদন্তী। যা হোক, এদেশে ইসলামের বিন্দুমাত্র সমালোচনা সহ্য করা হয় না। ইসলাম সম্পর্কে টু শব্দ করলে তার টুটি চেপে ধরা হয়। মাঝে মাঝে আমি yahoo chat room এ বাংলাদেশের রুমগুলোতে গিয়ে ইসলাম নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। ইসলামের বিভিন্ন অনুশাসন নিয়ে প্রশ্ন করি। ধর্মের অনেক কদর্য রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু বিধি বাম! খুব কম মানুষেরই সমর্থন পাই। সবাই আমাকে সতর্ক করে দেয় ইসলাম নিয়ে যেন আমি কোন কথা না বলি। Islam is the greatest and most scientific religion. ইসলামের কোন সমালোচনা নয়। যেন ইসলাম এক মহার্ঘ্য। তাকে ধরা যাবে না। ছোঁয়া যাবে না। তাকে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। অনেকে অকথ্য ও হিংস্র ভাষায় আমাকে আক্রমন করে।
আমরা প্রায়ই বলি আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি। বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার স্বর্ণ শিখরে আরোহন করেছি। আধুনিক যুগে বাস করছি। কিন্তু আমাদের মনমানসিকতা সত্যিই কতটুকু আধুনিক হয়েছে? কতটুকু সংস্কারমুক্ত হয়েছে? ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, থ্রিজি, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স, উইন্ডোজ ভিস্তা, আইফোন, আইপড, ম্যাকবুক প্রভৃতি বিজ্ঞানের সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যাবহার করেও আমরা মনের মধ্যে পুষে রাখি মধ্যযুগীয় সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামি। যার কারনে একদিন yahoo chat এ এক ব্যক্তিকে আপাদমস্তক বোরখা পরিহিতা (শুধু দুই চোখ খোলা) একজন নারীর ছবি দেখিয়ে বললাম, “কেমন লাগছে একে?” উত্তরে বললো, “ভাল। প্রত্যেক মুসলমান মেয়ের এরকম বোরখা পরা উচিত!” আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! প্রশ্ন করলাম “কেন?” বললো, “আল্লাহ বলেছেন। তার বিধান লংঘন করা যাবে না। অবশ্য অমুসলিম মেয়ে হলে বোরখা পরা লাগবে না” কি অবলিলায় বিনা যুক্তিতে কথাটি বলে দিল। আমি নিজে এ কথাটি বললে আমার নিজের মনেই প্রশ্ন জাগতো। কিন্তু তার মনে কোন প্রশ্ন জাগলোনা। সে শুধু বলে সে মুসলমান। মুসলমান হিসেবে আত্নপরিচয় তুলে ধরে সে এক ধরণের hallucination এ ভুগছে। ভাবখানা এমন যে ইসলাম যদি বলে গোবর খাওয়া ভাল, তাহলে সত্যিই সেটা ভাল। যেহেতু ধর্ম বলেছে। ধর্মের বিধানের বিরোধিতা করা যাবে না। কোন প্রশ্ন করা যাবে না। বিনা প্রশ্নে মেনে নিতে হবে পছন্দ না হলেও। অথচ ঐ ব্যক্তি নিজের জীবনাচারে মোটেই ধার্মিক নয়, ধর্ম নিয়ে সে গত এক বছর কিছু ভেবেও দেখে নি। সে বিশ্বের অনেক কিছুই দেখেছে, অনেক দেশ ভ্রমন করেছে, বিশ্ববাস্তবতা সম্পর্কে সে অবগত। কিন্তু তারপরও সে সংকীর্ণতা থেকে বের হতে পারছেনা। এই হচ্ছে আমাদের সংস্কারমুক্ত মানসিকতা (!) এতকাল শুনে এসেছি গ্রামের মানুষের অনেক কুসংস্কার থাকে। ঝাড়-ফূক, মজ়া পুকুড়ের আলো ভুতের আলো এইসব গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করে । কিন্তু আমরা তথাকথিত শহরবাসিরা কি খুব বিজ্ঞানমনস্ক? বিনা যুক্তিতে আমরা বলছি একদল মেয়েকে বোরখা পরতে হবে আরেক দল মেয়ের বোরখা পরা দরকার নাই। গায়ের উপর একটি বস্তা উল্টো করে চাপিয়ে রাখতে হবে! খোদার নির্দেশ! উপরোক্ত ঘটনাটি কি প্রমান করে না যে আমরা শহরবাসিরাও কুসংস্কারে গ্রামবাসীর মতই ষোল আনা? মজার ব্যাপার হলো ঐ ব্যক্তি yahoo chat এ এসেছে মেয়ে খুজতে। তার একজন গার্ল ফ্রেন্ড দরকার। ডেটিং করতে চায়। আমাকে জিজ্ঞাস করে আমি ছেলে নাকি মেয়ে। এই বলে আমাকে সে কিছু পর্নো ছবি সেন্ড করতে উদ্যত হয়। তো বলুন, এই ধরণের লোকদের কি বলবো? আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারিনা! এরকম মানুষ সমাজে একটা নয় দুইটা নয়, ভুড়ি ভুড়ি। এরা খুব ভাল করেই, জানে, বোঝে, উপলব্ধি করে যে ধর্ম অক্ষরে অক্ষরে মানতে গেলে জগৎ অচল হয়ে পরবে। তা সত্বেও এরা ধর্মকে অস্বীকার করতে চায় না। ধর্মকে এরা ভয় পায়। কিন্তু ভয় পেয়ে নিজেরা যে খুব ধর্ম মানে তাও নয়। এরা মনে করে ধর্ম নিয়ে ঘাটাঘাটি না করাই ভাল।
তৃতীয় নয়ন, বাংলাদেশ নিবাসী মুক্তমনা সদস্য; ইমেইল – [email protected]
প্রথম মত ঠিক হলে দ্বিমতের আর দরকার কি? দুইটা বিন্দুর মধ্যে একটা পথই সোজা, অন্যগুলো বাঁকা। বিশ্বাস না হলে এঁকে দেখ। :yahoo:
6:38 All creatures on earth and all the birds that fly on two wings are communities like you. We did not omit any knowledge from this Book that was essential to be given through Revelation. All these creatures are part of the Divine Plan and they are together working the Plan of their Lord.
@ivy,
কিছু মনে করবেন না, কোরানের আরবী ভাষার মারম্যাচের কচলাকচলী এত দেখেছি যে এখন আর কোরানের আয়াতের ট্রান্সলেশনে তেমন গুরুত্ত্ব দেই না। আমি নিশ্চিত যে আজ থেকে ৫০ বছর পর যদি মানুষ অন্যগ্রগে প্রানী বা আরো উন্নত প্রানীর নিশ্চিত সন্ধান পায় তবে অনেকেই এই আয়াতের পৃথিবীকে ( Earth) আরবীর মারম্যাচে মহাবিশ্ব বানিয়ে দিবেন। কারন মহাবিশ্ব হলেই শুধু পৃথিবী না, সব গ্রহ নক্ষত্রকে কাভার করা যায়। অর্থাৎ চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন যে কোরান আগেই বলেছে যে অন্যগ্রহে প্রাণ আছে।
@আদিল মাহমুদ,
তো এই সমস্যার সমাধান করবেন কিভাবে? কোরানকে যারা আমরা বিশ্বাস করি, ভাবি তাদের এখন কি করা উচিত?
@ivy,
কোন সমস্যা বলছেন ঠিক পরিষ্কার না। মনে হয় না ভিন গ্রহে প্রান আছে কি নেই তা আমাদের জন্য খুব বড় কোন প্রশ্ন, মানে কোরানের দৃষ্টিতে।
আর যদি বলেন ওভারআল কোরানকে বিকৃত করার কথা বলেন তো বলব এই সমস্যার খুব সহজ সমাধান নেই। অতি বিশ্বাস বা অন্ধবিশ্বাস থেকে এর উতপত্তি।
কিছু নাস্তিক হয়ত কোরান বিকৃত করছে হীন উদেশ্যে মানলাম, কিন্তু সাথে সাথে যে আমাদের নিজেদের পন্ডিত বুজুর্গ আলেমরাও ইসলামকে অতি মহিমান্বিত করতে কোরানের ভেতর ইচ্ছেমত বিজ্ঞান আবিষ্কার করছেন, নানান রকমের গালগল্প ছড়াচ্ছেন তাদের কি হবে? যেমন স্কুলে থাকতে আমাদের শোনানো হয়েছিল যে নীল আর্মষ্ট্রং নাকি চাদে নেমে কোরানের ধ্বণি শুনে মোসলমান হয়ে গিয়েছিলেন, এই বিশ্বাস আমার মাত্র কিছুদিন আগ পর্যন্তও ছিল। তারপর আমাদের ধর্ম স্যার একদিন দূঃখ করে বলছিলেন যে কাফের নাসারারা আমাদের কোরান থেকে কত কি আবিষ্কার করে ফেলল অথছ আমরা কিছুই করছি না, তার একটা উদাহরন নাকি লুই পাস্তুরের টীকা। আমি আজো জানি না তিনি কোথায় এর সূত্র পেয়েছিলেন, ভদ্রলোক এমনিতে খুব ভাল মানুষ, মৃদুভাষী। তিনিও কারো থেকে শুনেছিলেন এবং যথারীতি ধর্মের সাথে জড়িত যে কোন কিছুর মত অন্ধবিশ্বাসে শুধু গ্রহন না, প্রচার করাও শুরু করেছিলেন। এগুলোর কি কোন দরকার ছিল?
নাস্তিকদের চ্যালেনজ় করার অনেকে আছে, কিন্তু ঘরের শত্রূ বিভীষনদের চ্যালেঞ্জ করার ও কেউ নেই। আমাদের এমনই বদনসীব যে আমরা এদের মাথায় নিয়ে নাচি, হুজুর হুজুর করি। ছেলেবেলা থেকেই দোজখের ভয় এমনভাবে মনে গেড়ে দেওয়া হয় যে নিজেদের স্বাধীন বিবেক বুদ্ধি ব্যাবহারের সাধারণ সতসাহস আমাদের চমতকার ভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়। এর পরিবর্তন নাহলে কিছুতেই কিছু হবে না।
আমি নিজে অবশ্য তেমনভাবে চিন্তিত না। কারন আমার দেখামতে আমাদের জীবনে কোরানের প্রত্যক্ষ প্রয়োগ খুবই সামান্য, এর বেশ কিছু আয়াত উপদেশ নির্দেশ কালের আবর্তে অচল হয়ে গেছে ও যাচ্ছে।
মানুষ সবচেয়ে উচ্চশ্রেনীর জীব সন্দেহ নেই, তাই বলে মানুষের সব কিছুই শ্রেষ্ঠ তাও ঠিক নয়। নিম্ন শ্রেনীর অনেক প্রানীর অনেক গুন আছে যা মানুষের নেই, যেমন কিছু কিছু মাছ/প্রানী আগে থাকতে ভূমিকম্প টের পায়। এমন বহু উদাহরন আছে। আসলে শ্রেষ্ঠত্বর থেকেও বড় হল সব কিছুর একটা নির্দিষ্ট ভূমিকা বা ইউটিলিটি আছে।
মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রানীর মাঝে প্রেম হয় না, শুধুই বংশবৃদ্ধির কারনে দৈহিক মিলন হয় এ ধারনা পুরোপুরি ঠিক না। অনেক উদাহরন আছে যেখানে সংগী বা সংগিনীর মৃতুয়র পর কুকুর, বিড়াল, ঘোড়া, হাতি এমন কি পাখীও শোকে মারা গেছে। অন্য কোন সাথী দিয়ে তাদের তৃপ্ত করা যায় নি। বিবেক? পোষা কুকুরের যতটুকু বিবেক থাকে অনেক মানুষের বিবেক তার সিকি ভাগ ও থাকে না।
অন্য গ্রহে প্রানের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, বাতিল করা যাচ্ছে না, তবে যতদিন না আবিষ্কার করা যায় ততদিন ধরে নিতে হবে যে নেই। কোরানে অন্য গ্রহে প্রানী নেই এমন কোন কথা আছে বলে আমার জানা নেই।
Tanvy,
বুদ্ধিমান হলে কি আর বোকার মত ঠুস্-ঠাস্ প্রশ্ন করে বসতাম। আপানাদের আকার-ইঙ্গিতের কথাই বুঝে ফেলতে পারতাম। মৃত্যূর পরে বা পরকাল সম্বন্ধে বলার আগে মানুষের জীবনের আনিশ্চয়তার কথা বললেন একটা মুরগীর জীবনের সাথে তুলনা করে এবং আরও উপদেশ দিলেন যে এই প্রাণীর চেয়ে আমাদের জীবনটা বেশী মূল্যবান তা ভাবারও বিশেষ কারন নেই। সত্যিই কি আমরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারিনি? আমাদের সমাজের অন্যায়-অসামাজিকতার কারনে মানুষ প্রজাতিটাই অন্যান্য প্রাণীর সমতূল্য? আমরা মানুষরাই তো পশু পালন বা প্রয়োজনে প্রকৃতিকে পদানত করতে পারেছি। অন্যান্য প্রাণীরা কি মানুষ-পালন বা প্রকৃতিকে নিজ আয়ত্তে আনতে পেরেছ? পারলে অবশ্যই আমাদের চেয়ে তাদেরকে বেশি মূল্য দেব। যদি নাই পারে তবে মানুষের জীবনের মূল্য আর অন্যান্য প্রাণীর জীবনের মুল্য এক হতে পারেনা। আর অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে যে বুদ্ধিমত্তা ও দায়িত্ব, সন্তান বাৎসল্য দেখা যায় তা বেঁচে থাকা আর বংশবৃদ্ধির উপায় মাত্র। ভালবাসার অনুভূতিকে আপনি শুধু দৈহিক সম্পর্কের পর্যায়েই ফেলেছেন। তাহলে শুধু পশু-পাখি কেন, প্রতিটি পরিবারেই গন্ডায়-গন্ডায় বাচ্চা-কাচ্চার ভিতর দিয়েই ভালবাসা প্রকাশিত হচ্ছে।
মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার একটা প্রধান কারন হচ্ছে তার বিবেক, আমিত্ব বা নফ্স। আমরা এই জগতে বিভিন্ন প্রজাতির একটা অংশ। বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যেই অনেক গুনাবলী দেখা যায়। আপনার ভিতরের যে বিবেক বা আমিত্ব আপনি দেখেছেন, একটি কুকুর বা বিড়ালের ভেতরেও কি আপনি তা দেখেছেন? এই আমিত্বের কারনেই আমরা একজাতি হয়েও হাজার মত, হাজার পথ তৈরী হয়েছে। আপনার কি মনে হয় হিটলারের এত অত্যাচার, হুমায়ূন আজাদের হঠাৎ মৃত্যূ, জাকির নায়েকের মত জ্ঞান-পাপীদের কার্যকলাপ, সৌদি রাজ-পরিবারের অসামাজিক জী্বন-যাপন এই ভাবেই মৃত্যূর সাথে-সাথেই পরিসমাপ্তী। জবাব-দিহিতার কোথাও কিছু নেই। আমার বিজ্ঞান বিষয়ের জ্ঞান দিয়ে (আমার discipline সম্পূর্ণ ভিন্ন) আপনাকে আর বিরক্ত করতে চাই না। তবে বিবর্তনবাদ নিয়ে একটা প্রশ্ন। শুধু এই পৃথিবীতেই প্রাণের সৃস্টি কেন? পৃথিবীই কেন প্রাণ সৃস্টির সব উপাদান পেয়ে গেল? অন্য গ্রহে কি একটু পানি থাকা দরকার ছিলনা? সৃস্টি হলে তার শেষ আছে- এই শুরু-শেষের হিসেবটা কি নাস্তিকদের কাছে? মানুষ তো আমি, তাই অন্য প্রাণী কি ভাবছে জানিনা; তবে আমার ভাবনা হচ্ছে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কি?
ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy,
“শুধু এই পৃথিবীতেই প্রাণের সৃস্টি কেন? পৃথিবীই কেন প্রাণ সৃস্টির সব উপাদান পেয়ে গেল? অন্য গ্রহে কি একটু পানি থাকা দরকার ছিলনা?”
অন্য কোথাও যে পানি সৃষ্টি হয়নি সে ব্যপারে এখনই এতটা নিশ্চিত হওয়ার মত পর্যাপ্ত জ্ঞান কি মানুষ লাভ করেছে?? যেকোন একটি বিন্দু থেকে শুরু করলে তার সর্বদিকে দের হাজার কোটি আলোক বছর ব্যাপি বিস্তৃত এই বিশাল বপু মহাবিশ্বের কতটুকুই বা মানুষ আবিষ্কার করেছে?? এরকম ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মহাবিশ্ব নিয়ে গঠিত কসমসের অন্যান্য মহাবিশ্ব সম্পর্কেই বা আমরা কি জানি যেখানে নাকি কসমোলজিকাল কন্সট্যান্টের মান ভিন্ন হওয়ার কারনে কার্বন বেইসড প্রানের বিকাশ না হয়ে সিলিকন বেইসড প্রানের বিকাশ সম্ভব।
@Mithoon,
বেশি দূরে যাবার দরকার কি? এই যে সূর্যের নয়টি গ্রহ, পৃথিবী তার মধ্যে একটি। বাকী আটটির খবর তো কম-বেশি জানা। আমার প্রশ্ন, এইগুলোতে প্রাণের আভাস পাওয়া যাচ্ছেনা কেন? বিবর্তনবাদ শুধু পৃথিবী নামক গ্রহেই হোল কেন? কি দরকার ছিল? অন্য গ্রহে দরকার নেই কেন বা প্রয়োজনটা হচ্ছেনা কেন?
@ivy,
আপনি তর্ক করার খাতিরে তর্ক তরছেন। বিবর্তন শুধু পৃথিবীতেই হয় না। এটা এই ইউনিভার্সের সব জায়গায় ই হয়। আর শুধুমাত্র living creature নয়, সকল প্রানহীন বস্তুতেও সমভাবে হয়।
সৌরজগতের বাকি আটটি গ্রহের সবগুলোতে বা যেকোন একটিতেই যে প্রান সৃষ্টি হতে হবে, এই তত্ত্ব আপনি কোথা থেকে পেলেন? আর এখানে প্রান সৃষ্টি না হলে যে বাকি অনাবিষ্কৃত প্রায় ১০০% মহাবিশ্বের যে আর কোথাও প্রান সৃস্টি হতে পারবেনা এটাও বা আপনি probability and distribution এর কোন সুত্রবলে বলে দিলেন?
ইউনিভার্সের নিয়ম অনুযায়ী, বিবর্তনের ধারায় যেখানেই প্রান সৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ সৃস্টি হবে সেখানেই অবসম্ভাবী ভাবে প্রানের বিকাশ হবে। মহাবিশ্বটাকে যদি একটা মহাসমুদ্রের মত কল্পনা করা হয় তবে সেখানে জাল ফেলে কোন মাছ না পেলেই কি আমরা নিশ্চিত হয়ে যাব যে পুরো মহাসমুদ্রেই কোন মাছ নেই!! হ্যা বিজ্ঞান যতক্ষন পর্যন্ত না কোন তথ্য প্রমান হাতে পাচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত স্বীকার করেনা।
তবে তাই বলে অনস্বীকার্যটাকেই শেষ কথা বলে থেমে যায়না। প্রচলিত ধর্মগুলো মানুষকে যেন এই শেষ কথার যাদুমন্ত্রেই মোহাবিষ্ট করে রাখতে চায়। বুদ্ধিমান প্রানী হিসেবে মানুষ চিন্তা করে তার জীবনের উদ্দেশ্য।এই তাগিদ থেকই সে ছুটে চলে আবিস্কারের নেশায়, সৃস্টিতত্ত্বের রহস্য উদঘাটনে। আসলে এটাই মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য-জগতের এই বিশাল জ্ঞান ভান্ডারের যতটুকু সম্ভব জেনে নেওয়া।
আপনি নিজে একটু চিন্তা করুন তো…ধরুন আপনি কয়েকটা রবোট তৈরী করলেন যার ভিতর artificial intelligence আছে। এখন আপনার এই সৃস্টির উদ্দেশ্য কি হবে? ঐ রবোট গুলো কোন পথে কত ভাল ভাবে আপনার তোষামদী করতে পারল তা বাজিয়ে দেখা না কতটা সুচারু রুপে সে তার বুদ্ধি ব্যবহার করতে পারল তা পর্যবেক্ষন করা???সৃস্টিকর্তা নামে যদি কোন আলাদা সত্ত্বা থেকেও থাকে তার ও এই একই উদ্দেশ্যই ছিল, কোন ধর্মবই অনুযায়ী কে কিভাবে তার উপাসনা করল তা যাচাই বাছাই করা নয়। যদি আল্লাহ্ মানুষকে শুধু তার উপাসনা করার জন্যই সৃস্টি করে থাকে, তবে বুঝতে হবে মানুষের মত হতভাগ্য প্রানী দ্বিতীয়টি আর নাই।
@মিথুন,
আমিতো হতে হবে বলিনি, বলেছি, প্রশ্ন ছিল, আমাদের জানামতে শুধু পৃথিবীতে প্রাণ আছে, অন্য গ্রহে হচ্ছেনা কেন? আর প্রাণ সৃস্টি হতে পারবে না কখন বললাম? আমি তর্কের খাতিরে কিছুই বলছি না।
আর আপনি যদি আমার মতামতগুলি এই ওয়েবসাইটে পড়ে থাকেন তবে উপরের মন্তব্যটি আমাকে শোনাতে আসতেন না। আমার লব্ধ জ্ঞান থেকে আমি ইসলামকে ধর্ম হিসেবে জানিনা, জানি দ্বীন হিসেবে–a system, the way life should be. ঢিপ ঢিপ সেজদা করা, মেয়েদের মাথা ঢাকা, কাবার চারপাশে বন্ বন্ করে ঘোরা্, এবং আরো যে সব ritual পালন করা হয় তার কোনটাই ইসলামের অংশ নয়। অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষের আরও একটা পার্থক্য হলো “will power”. মানুষ ইচ্ছে করলে ভাল বা মন্দ পথে যেতে পারে (50-50 সম্ভাবনা)। শয়তান বলতে মানুষের মনের রিপুর তাড়নাকেই বুঝায়। কোন কিম্ভুত কিমাকার দৈহিক বা বায়বীয় অদৃশ্য কোন কিছু না, যা প্রচলিত ধর্মে শেখানো হয়। এই শয়তানই যখন জিতে তখনিই দ্বীন ধর্মে পরিনত হয়।
অন্যান্য প্রাণীর আমাদের চেয়ে বৈশিষ্টগত গুনাবলী আছে বলেই আমরা সবাই সমকক্ষ নই। “Humanity” কথাটা বোধ হয় এবার আমাদের বাদ দিতে হবে।!!
আইভি
@ivy,
আপনার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি আমার ভাল লাগে।
‘আমার লব্ধ জ্ঞান থেকে আমি ইসলামকে ধর্ম হিসেবে জানিনা, জানি দ্বীন হিসেবে–a system, the way life should be।’
জীবন বিধান এক এক যুগে এক এক জায়গায় এক এক রকম। আমার মতে সৃস্টিকর্তা মানুষের মধ্যে শুরুতেই বিবেকের সৃষ্টি করে দিয়েছেন যা দিয়ে মানুষ অবস্থান এবং সময় ভেদে ভাল মন্দ বিচার করতে পারে। মানুষ এই জ্ঞান জন্মগত ভাবেই অধীকার করে এসেছে। এর জন্য আলাদা করে একটা বই এর অবতারনার কোন দরকার ছিল না। কিছু নিয়ম কানুন বেধে দিয়ে একটি বই এর অবতারনা করা, আমার কাছে সৃস্টির শ্রেষ্ঠ জীব বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বিবেকের দরজায় তালা মেরে দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। কারন মানুষ ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করে নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে, চোখ কান বন্ধ রেখে কোন বই থেকে নয়। ওটার কোন দরকারই নেই আসলে। সত্যিই তো যদি ঐশ্বরিক বই এরই অবতারনার দরকার পরে তবে বিবেক দিয়ে মানুষ কে সৃস্টি করা কেন?? আর যদি মানুষকে বিবেক দিয়েই পাঠানো হয় তবে ঐশ্বরিক বই এর অবতারনা কেন??
@মিথুন,
আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার মত ক্ষুদ্র বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের পক্ষে বলা এ মূহুর্তে সম্ভব নয়। তবে আপনি কি মু’তাজিলা theology (8th century) সম্বন্ধে জানেন? এর অনুসারীরা ‘rationalists’ হিসেবে পরিচিত ছিল,এবং এরা importance of human reason in understanding the Quran এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে। তাদের মতে “ human reason is not sufficiently powerful to know everything and for this reason humans need revelation in order to reach conclusions concerning what is good and what is bad for them.”
তারা মানুষের আচরনকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করেছে। প্রথমটা হচ্ছে, “the intellect is competent on its own to discover its morality. For instance, the intellect, according to Mu’tazilis, can know, independently of revelation, that justice and telling the truth (sidq) are morally good. God is under an ethical obligation to order humanity to abide by these.”
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, “the intellect can discover their inherent evil and ugliness (qubh), such as injustice, mendacity, or, being in a state of ignorance of the Creator.”
তৃতীয়টি হচ্ছে, “the human intellect is incapable of assigning moral values to them. These are only known through revelation and they become known to be morally good if God orders them, or morally wrong if God forbids them. In short, the human intellect is capable of knowing what is right and what is wrong in a very general sense. Revelation comes from God to detail what the intellect summarizes, and to elaborate on the broad essentials. Revelation and reason complement each other and cannot dispense with one another.”
ধন্যবাদ।
tanvy,
Survival for the fittest খুবই ভ্যালিড। কিন্তু একটু চিন্তা করেন তো, এই নিয়ম কি১০০ ভাগ খাটছে? খুব সংক্ষেপে বলতে হয় যে এই নিয়ম ১০০% চললে দুনিয়ায় শুধু উচ্চশ্রেনীর জীবই দেখা যেতো। তার নিম্ন শ্রেনীর সবই বিলীন হইয়ে যেতো। তাই কি হচ্ছে? উচ্চশ্রেনীরা নিম্নদের ভভক্ষন করছে, তাও একটা নিয়ম মেনে। কি বলেন?
।”কিন্তু একজন এত কষ্ট করবে,আর একজন কিছু না করেই বসে বসে খাবে- ঈশ্বরের জন্য খুব বেশি অমানবিক নিষ্ঠুরতা নয় কি?” –
প্রকালে বিশ্বাস করলে হয়ত এর খুব সহজ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। আগেই বলেছি আমাদের বিস্বাস অনুযায়ী পরকালে প্রতিটা মানুষকে তার অবস্থান অনুযায়ী বিচার করা হবে। যে দুনিয়ায় যত বেশী ভুগেছে তার জন্য পরকাল ততো সোজা হবে। আমাদের মোসলমান বিশ্বাস অনুযায়ী পরকালের উপর জোর দেওয়া হইয়েছে অনেক অনেক বেশী, কারন সেই জীবন অনন্ত। পৃথিবীতে বড় বড় চোর বাটপাড় অপরাধীরা কিন্তু বেশ আরাম আয়েশে দিন কাটায়, কোন রকম অসুবিধায় পড়তে হয় না, পরকাল না থাকলে ধরে নিতে হবে তারা যা ইচ্ছে তাই করে দিব্বী আরাম আয়েশে দিন কাটিয়ে গেল। এটা কি মেনে নিতে মন সায় দেয়?
আসলে এই আলোচনা অর্থহীন। তবে আমাকে জিজ্ঞেস করে বসবেন না যে ঈষ্বরের এই সিলেকশন ক্রাইটেরিয়াটা কি? দুনিয়ায় কে ভুগবে আর কে আরামে থাকবে? তাহলে আমাকে বলতে হবে যে সবই তার ইচ্ছা, আমি সামান্য মানুষ তার কি বুঝি? আমার এই বিশ্বাসের ভিত্তি খুব সম্ভবত আমার শৈশব কালেই মনে গাথা হয়েছে। স্বীকার করতে হবে যে আমার নিজের কৃতিত্ত্ব খুব সামান্য। তবে পরকাল ত্তত্ব আমার কাছে সুপারফিসিয়াল যুক্তি হিসেবে খুবই যুক্তিসংগত মনে হয়।
শু
For women, I think what SHOULD NOT BE in the dress code are as follows:
1. BIKINI OR MINI SKIRT
2. BORKHA OR HEJAB.
Because both groups of people are wearing these kind of dresses for a common purpose, just to draw other people’s attentions.
The first group are doing this to display their physical appearance to express ‘look, how attractive I am’ though probably they aren’t.
The second groups are expressing in public ‘look, how innocent I am’ though probably they aren’t.
Both groups are suffering from Identity Crisis.
@Bright Smile,
এর পরও বাস্তবতা হচ্ছে , পৃথিবীর বহু সংখ্যক মেয়ে বিকিনি পরছে এবং পরবে। পৃথিবীর বহু সংখ্যক মেয়ে বোরখা পরছে এবং পরবে। এটাকে আপনি থামাতে পারবেননা। আর সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরাকে আমার খুব স্বাভাবিক অ মানানসই মনে হয়।
আপনার কি মনে হয় এগুলা আইন করে বন্ধ করা উচিৎ? স্বেচ্ছায় কোন মেয়ে বিকিনি বা বোরখা পরলে আসলেই তাকে কারো কিছু বলার নাই।
মিনি স্কার্ট পরলে এত আপত্তি কেন বুঝলাম না। এটি বহুল প্রচলিত পোশাক । আপনি ধর্মকে অপছন্দ করলেও আপনার মধ্যে স্বভাবসুলভ বাঙ্গালী রক্ষণশীলতা রয়েই গেছে। এটা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন । আমার মনে হয় প্রত্যেকের মধ্যে cosmopoliton mentality থাকা উচিৎ।
@তৃতীয় নয়ন, I agree with you that ‘আপনার মধ্যে স্বভাবসুলভ বাঙ্গালী রক্ষণশীলতা রয়েই গেছে।’. This is my inability to cross that limit and may be more time is needed to cross that limit. But my opinion was to point out that ‘extreme of anything is bad’. Here both groups (bikini and hejab) are the examples of extremism which if we see them in public not in exceptional cases like in sea beach for bikini or in religious places for hejab, because in exceptional cases purpose are served. Even I think hejab cases are more dangerous as they are disguising under borkha or hejab and people are more likely to be cheated easily.
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই মুক্তমনাদের যারা আমার প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছেন। তানভী আপনি বলেছেন পোশাক নির্বাচন হওয়া উচিত দেশীয় সংস্কৃতি ভিত্তিক। ভাল কথা। আমি আপনার লেখাটা আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সে প্রাচ্য হোক আর পাশ্চাত্যই হোক লজ্জাবোধটা আমাদের থাকা কিছুটা হলেও দরকার আছে কিনা? আমরা তো আর আদিবাসী বা পেছনে ফিরে যেতে পারব না বা সেই মানসিকতা আর নেই। সূর্যস্নানে অর্ধনগ্ন হোতে কেউ দ্বিধা করছে না কিন্তু অনেক দিন বিদেশে আছি তো তাই অভিজ্ঞতায় দেখেছি বুকখোলা পোশাক বা প্রায় উন্মুক্ত পা কিভাবে চাকরীতে উন্নতি নিয়ে আসে। মুক্ত সস্কৃতির এ এক আজব খেলা।
মিথুন, ড্রেস কোডের সংজ্ঞা বলতে আমি আক্ষরিক ভাবে কোন জামা, পাঞ্জাবী, টুপি, বোরখার কথা জানতে চাইনি। যেমন তানভী বলেছেন সংস্কৃতি ভিত্তিক পোষাকের কথা, আদিল মাহমুদ বলেছেন আবহাওয়া ভিত্তিক এবং শালীনতার কথা। আপনি আমার উত্তর পাবার আগেই আমার যাচাই-বাছাই এর উত্তরট দিয়ে ফেললেন। মুক্তমনা হতে হলে এ রকম অনেক প্রশ্নের সন্মুখীনই হতে হবে। কট্টরপ্নহীদের মত এত বিরক্ত হচ্ছেন কেন? আপনারা আলোকিত পথের মানুষ, অবজ্ঞা করে কতটুকু আলো দেখাবেন। আমার মন সত্যি বিচিত্র।
আমার অর্জিত জ্ঞান মতে কোরানে কোথাও বোরখা বা হিজাবের কথা বলা নেই। এমনকি মাথা ঢাকার কথাও বলা নেই। যে সব কোরানের ব্যখ্যাকারী হাদীসকে base করে কোরান তর্জমা করেছে (৯৮%) তারাই ‘শালীনতাকে’ ব্যাখ্যা করে তাদের সুবিধামত মাথা থেকে পা পর্যন্ত বোরখা পড়ানোর শরীয়া বানিয়েছে। যৌক্তিঅতার ধার ধারেনি। এই ফোরামে সবাই কোরান নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন, করেন—সে স্বাধীনতা আপনাদের আছে। মোল্লারা এইসব মিথ্যে বানিয়ে আমাদের জীবনটা অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে, আর আপনারা অবলীলায় তাদের বানানো নিয়মটাকে ইসলামের সঠিক রুপ ভেবে গাল-মন্দ করে যাচ্ছেন। কোরানে কোন নির্দস্ট ড্রেসের কথা বলা নেই। শুধুমাত্র, lower your gaze and cover your chest এবং অংগ-ভংগী করে না চলার জন্য সামাজিক নির্দেশ দেয়া আছে। এই কথাগুলো কি যে কোন সমাজের জন্য প্রযোজ্য নয়? এই যদি ইসলামের মূল কথা পর্দা প্রসঙ্গে তবে মিথ্যেবাদী মোল্লাদের কথাকে কোরানের বাণী ভেবে অকারন তর্ক করছি কেন? আমাদের তো উচিত তর্ক, ব্যঙ্গ না করে আসল বিষাক্ত শিকড় উৎপাটন করা। যেখানে কোরান মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলতে দিয়েছে, সেখানে হাজার বছর ধরে আরব সংস্কৃতিকে পুরুষতান্ত্রীক সমাজ ইসলামের মূল মন্ত্র হিসেবে ধরে শোষন করে যাচ্ছে, সেটা কি মুক্তমনাদের চোখে পড়ছেনা। শুধু বিদ্রুপ করে ডাল-পালা ধরে টানাটানি করলেই আমাদের মত আস্তিকদের মনকে তো আপনারা নাস্তিক করতে পারবেন না। আরো জোরালো যুক্তি চাই। শেষ কথা, কোরান মেয়েদের বোরখা পড়া, মাথা ঢাকার কথা বলেনি। এ নিয়মগুলো ক্রীশ্চান এবং ইহুদী ধর্মে খুব ভাল ভাবে ব্যখ্যা করা আছে। কালের চক্রে, এখন তারাই নিয়মগুলো মানছে না আর আমরা মুসলমানরা তাদের সেই নিয়মগুলো মেনে চলছি।
ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy, সত্যিই যদি আপনি কোরান পড়ে থাকেন(সরাসরি বাংলা অনুবাদ) তবে তার কোথায় আপনি মুক্ত স্বাধীনতার কথা পেয়েছেন তা আমি জানিনা(গরুর গলায় দড়ি বেঁধে তার অপর পাশ খুঁটিতে বেধে তাকে যতদুর ইচ্ছা ঘুরে বেড়াতে বলাটা মোটেও স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে না)। আপনি নিজে সরাসরি পড়ুন এবং আপনার কথার সাথে মিল আছে এরূপ আয়াত সবার সামনে তুলে ধরুন।
আর আমার জানামতে কোরানের ব্যাখ্যা হাদীস থেকেই নিতে হবে। কারন আরবী উচ্চারন ও অক্ষর বিন্যাসের নাকি সামান্য পার্থক্য হলেই অর্থের বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। যার কারনেই নবীজী হাদীস রেখে গেছেন। আর নবীজী নিজেই বলে গেছেন কোরান হল সংক্ষিপ্ত রূপে সর্বোচ্চ নির্দেশ, এবং হাদীস হল তার বিশ্লেষণ।
আর আপনি বলছেন যে কোরানে কোন বাধাধরা ড্রেস কোড নেই। হয়ত নেই। কিন্তু শুধু কোরান তো আর ইসলাম না। এর বাইরেও আরো হাজার খানেক নিয়ম কানুন আছে যা না মানলে আপনাকে কট্টর মুস্লিম সমাজ নাস্তিক ঘোষনা করতেও সময় নেবেনা।
আর লজ্জা বোধের কথা বলছেন, সেও তো আমাদেরই সৃস্টি। দেশ,সংস্কৃতি ভেদে লজ্জার প্রকারভেদও আলাদা। তাই আমি বলব পোষাক নির্বাচনে সংস্কৃতিই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। দেখুন, আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল হওয়ায় আমাদের দেশে গরম কালে প্রচুর ঘাম হয়, যা অস্বস্তিকর এবং পোশাক ভিজিয়ে জবজবে করে দেয়। কিন্তু তবুও তো আমাদের ছেলে মেয়েরা স্বল্প পোষাকে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছেনা। কারন আমাদের বাঙ্গালী পরিবার,পরিবেশ,সংস্কৃতি কোনটাই স্বল্পবসন পড়তে আমাদের শেখায় না।
এবং পাশ্চাত্যের দেশ গুলোতে সামান্য গরমেও তারা দৌড়ে কাপড়চোপড় সব খুলে ফেলছে। কিন্তু তাদের খোলার কথা না। তাদের সর্বত্রই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা আছে, তবুও তারা উক্ত আচরন করছে। কারন তাদের সংস্কৃতি তাদেরকে সেভাবেই শিক্ষা দেয়।
আদিল ভাইয়ের কথা থেকেই বলি” আজ আমাদের দেশে যদি রাস্তায় কোন হাফ প্যান্ট পরা বাংগালী মেয়ে দেখা যায় তাহলে প্রতিক্রিয়া হবে মারাত্মক, বলা হবে অশালীন, কিন্তু যদি এই ট্রেন্ড ৫০ বছর ধরে চলে তবে তাকে অশালীন বলার মানুষ খুব বেশী পাওয়া যাবে না।”
সুতরাং চোখ যখন অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন আর কোন কিছুতেই সমস্যা হয় না। যেমন আগের কালের মা বাবারা তাদের মেয়েরা যদি ছেলেদের সাথে শুধু সামান্য কথা বলত তাতেই রেগেমেগে ঝড় তুফান বইয়ে দিত। কিন্তু আজকের যুগে মেয়েদের ছেলেবন্ধু থাকাটা অনেকটা স্বাভাবিক ব্যপার ( অন্তত শহরের ক্ষেত্রে)। আগে আমাদের মেয়েরা জিন্স পড়ত না, এখন হামেশাই পড়ছে। এগুলো নিয়ে এখন কেউ প্রশ্নও তুলছে না।
@ivy,
“এই ফোরামে সবাই কোরান নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন, করেন—সে স্বাধীনতা আপনাদের আছে। মোল্লারা এইসব মিথ্যে বানিয়ে আমাদের জীবনটা অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে, আর আপনারা অবলীলায় তাদের বানানো নিয়মটাকে ইসলামের সঠিক রুপ ভেবে গাল-মন্দ করে যাচ্ছেন।”
– নাস্তিকদের কেন এহেন ব্যাংগ বিদ্রুপ করে যেতে হছে? ধর্মের নামে মোল্লারা এসব চালিয়েছেন, মানলাম। কিন্তু কিভাবে বা কোন যাদু মন্ত্রবলে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের কথা মেনে নিচ্ছে? ফোরামে ঘোরাঘুরি করে দেখছি আপনার মত অনেকেই এইসব মিথ্যা নিয়ে পুর্ণ অবগত আছেন। তারা এ সম্পর্কে কি অবদান রাখছেন? আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলছি না, তবে এ সব ধর্ম ডিফেন্ডারদের নিজ থেকে ধর্মের নামে হাজার বছর ধরে প্রচলিত এসব অত্যাচার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছু বলতে দেখি না। তারা সরব হন যখন অন্য কেউ এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেন শুধু তখনই। তারা তখন প্রমান করে ছাড়েন যে ধর্ম বিদ্বেষীরা কোন বিশেষ আক্রোশ বশত তাদের ধর্মের উপর কালিমা ছড়াচ্ছে। তাদের ধর্মে আসলে এসব কিছুই নাই। কই, আজ পর্যন্ত কোন কোরান তফসিরকারক বা জাকির নায়েক জাতীয় পন্ডিতদের সনাতন বোরখা প্রথার বিরুদ্ধে কিছু বলতে বা প্রচার করতে তো দেখি না, যা আপনি দাবী করেছেন। বোরখা তো অনেক দুরের ব্যাপার। ধর্মের নামে এখনো দেশে প্রকাশ্যে মহিলাদের দোররা মারা হয়, এ বিরুদ্ধে আমাদের মসজিদ থেকে কয়টা মিছিল বের হয়েছে বা আদৌ কোনদিন হবে? প্রতি বাদ জুম্মা মসজিদ থেকে নানা রকম জেহাদী শপথ নিয়ে জংগী মিছিল বের হওয়া অত্যন্ত সাধারন ঘটনা। কই, কোন দিন তো দেখলাম না কেউ নিজের ধর্ম জঞ্জালমুক্ত করার দাবীতে টু শব্দও করেন। দেখি তো ঊল্টা। মহিলাদের সমান অধিকারের কথা বললে জংগী মিছিল বের হয়, দেশ অচল করে দেবার হুমকি দেওয়া হয়। আধুনিক কোন ইসলাম ডিফেন্ডার পাকিস্তান বা সৌদী আরবে গিয়ে কোনদিন বলবেন যে শরীয়া আইন আসলে ইসলামিক নয়, মানবতা বিরোধী? না, তা তারা কোনদিন বলবেন না। নিজের মাথা হারাবার ভয় তো আছে। মজার ব্যাপার হল এদেরকে যদি কেউ বলে যে মুসলমানরা বেশ ইনটলারেট তখন তারা অত্যন্ত রাগ করেন। তাদের যত আষ্ফালন, জ্ঞানের বহর দেখা যায় অনলাইন ফোরামে, কোন কলাম লেখায়, বা বড়জোর শতশত ভক্ত পরিবেষ্টিত নিরাপদ আলোচনাসভায়। নিজ দেশের প্রকাশ্য সভা বা মসজিদে না।
তালেবানের সমালোচনাতেও এনাদের এখন অত্যন্ত সরব দেখা যায়। এ প্রসংগ আসলেই বড় গলায় বলে দিচ্ছেন, আরে ওরা ইসলামের কি জানে, ওরা আসলে তো মুসলমান ই না বা ভুল পথে যাওয়া মুসলমান। অদের সাথে ইসলামের কি যোগ! কিন্তু তালেবান উত্থানের স্বর্ণযুগে এদের কেউ টু শব্দটি করেন নি। এদের সমর্থনে মুসলিম বিশ্ব প্রকম্পিত হচ্ছিল, তখন এনারা ঘুমাচ্ছিলেন। এখোন মুসলিম বিশ্বে তালেবানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে।
এমন না যে জোর করে চাপানো বোরখা বা অন্য সব কালাকালনুন খুব অল্প বা নগন্য সংখ্যক মানুষে পালন করছে যে তাকের ইগনোর করা যায়। যে মিথায় আসরে বলা যায় পুরো জাতি আক্রান্ত তাকে সে ব্যাপারে কি ভাবে অন্ধ হওয়া যায়?
যে কাজ যাদের করার তারা করছেন না সে কাজে অন্য কেউ এগিয়ে আসলে কি তাদের গালাগাল দেওয়া উচিত হবে? গালাগাল তো আগে প্রাপ্য তাদের যারা যুগ যুগ ধরে এসব চাপিয়েছেন তাদের। আর সাধারণ মোসলমান, বিশেষ করে শিক্ষিতরা যারা অন্ধভাবে ধর্মের নামে এসব কালা কানুন মেনে নিয়ে মানসিক শান্তি পাচ্ছেন, তারাও সব সাধু? মানুষ বিজাতীয় ভাষায় লেখা কোরানে কি আছে তাই দিয়ে ধর্মের মান বিচার করবে নাকি যারা সেই গ্রন্থ অনুসরন করে জীবন চালাচ্ছে তাদের দেখে বিচার করবে? আমি রকেট কোন সুত্রে চলে সেই সুত্র খুজে পড়ে থাকব নাকি সেই সুত্রের কি প্রয়োগ হল তা দিয়ে অই সুত্রের উপকারীতা বুঝব? হিন্দু ধর্মের নামে এককালে কি আমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে তা আমরা সবাই জানি। এখন আধুনিক হিন্দুরা একই ভাষায় বলে থাকেন যে অ সবই ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা। আসলে তাদের ধর্মে তেমন কিছুই নাই। হিন্দু ধর্ম কি শুধু এ জাতীয় দায় এড়ানো ব্যখ্যায় সমালোচনা এড়াতে পারে?
বোরখা বিষয়ে অসংখ্য বিতর্ক আছে। কোরানের অনেক আআতের মতই যে যার মত ব্যাখ্যা করে যাছেন। আপনার মত লিবাড়েল ব্যাখ্যা আছে, আবার চরমপন্থী ব্যাখাও আছে। কারটা ভুল কারটা ঠিক তার সমাধান ধর্মের চোখে কোনদিন মনে হয় না সম্ভব। আমি তার ব্যক্তিগতভাবে তার কোন দরকার ও দেখি না। নিজের সূস্থ মানবীয় সত্ত্বাকে জিজ্ঞেস করলেই জবাব পাওয়া যায়।
ধর্মের নামেন অমানবিক কালাকানুন যতদিন চলবে নাস্তিকদের ব্যাংগ বিদ্রুপ ও সহ্য করে যেতে হবে, যা আমাদের প্রাপ্য।
@আদিল মাহমুদ, ভাইয়া শুধু কি ধর্মের ভিতরেই অনিয়ম? ধর্মের বাইরে আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক পৃথিবীর প্রতিটা কাজ, প্রতিটা ঘটনা যে অনিয়মে ভরা তা কি আপনার চোখে পরে না? যদি পরে তবে আমি আপনার এখন পর্যন্ত আস্তিক হয়ে থাকার কোন একটা ব্যখ্যা চাই। আপনি ধর্মের ভেতরের অনিয়মগুলো দেখে ধর্মের সমালোচনা করছেন,তাহলে ধর্মের বাইরে জগতের এত বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা দেখেও কেন সৃস্টিকর্তার দোষ খুঁজে পাচ্ছেন না?
ধরে নিলাম আপনি প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী নন,এবং এমন এক সত্তা কল্পনা করতে পছন্দ করেন যে কিনা মহান মহানুভব এবং সকল মানুষের জন্য সমান। আদৌ কি এরকম কেউ আছে যে সকল মানুষের জন্য সমান? মানিক বন্দোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপ্ন্যসে একটি দারুন উক্তি আছে, “ঈশ্বর থাকেন ঐ ভদ্রপল্লীতে, আমাদের জেলে পাড়ায় তার খোজ পাওয়া যাইবে না”। এটাই কি বাস্তব সত্য নয়? তবে কেন এই অকারন বিশ্বাস কে ধরে রাখা?
@tanvy,
খুব ভাল প্রশ্ন করেছেন, যদিও আপনার মূল প্রশ্নটা অনেকটা ব্যক্তিগত তাও আমি দিতে চেষ্টা করি। আগেই বলে রাখি যে আমি কেন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি তার কোন গাণিতিক ব্যাখ্যা দিতে পারব না, শুধু আমি কেন কোন ধর্মবাদীই পারবেন না। তাই আমি এখন যা বলব তা আপনার মনমত হবে না। ধর্ম বা ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রসংগে এক একজনের এক এক মতবাদ বা যুক্তি আছে। আমার নিজেরটা সংক্ষেপে বলি।
আমার মতে সব কিছুর শুরু আর শেষ আছে, জগতের সবকিছুই একটা নিয়মের মধ্যে পড়ে, কোন কিছুই মনে হয় র্যান্ডম না। এমনকি বহুল আলোচিত বা সমালোচিত ইভলুউশন ও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। এই সুশৃখল নিয়মের পেছনে কোন একটা বুদ্ধিমান সত্ত্বার অবশ্যই প্রয়োযন আছে। হ্যা, আপনি যেমন বললেন এর পরও পৃথিবীতে অনিয়ম কিছু দেখা যায়, কিন্তু জগত সংসার চলছে স্পষ্ট নিয়মের উপর।
“আপনি প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী নন,এবং এমন এক সত্তা কল্পনা করতে পছন্দ করেন যে কিনা মহান মহানুভব এবং সকল মানুষের জন্য সমান। আদৌ কি এরকম কেউ আছে যে সকল মানুষের জন্য সমান?” – আমি যে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি তিনি অনেকটা এমন। তিনি শুধুমাত্র কে কোন ধর্মালম্বী পরিবারে জন্মগ্রহন করল সেই বিচারে বা তাকে কে কতটা জোরে ডাকাডাকি করল সে বিচারে বেহেশত দোজখ নির্ধারন করেন না, তিনি মানুষের কর্মের ভিত্তিতে তা নির্ধারন করবেন। যাকে চোখে না দেখে তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করছি তাকে এতোটা মহত তো ভাবতেই পারি।
মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সেই উক্তি আমারও মনে আছে।
সনাতন ইসলামের বেশ কিছু কালাকানুন এ যুগে চলে না স্বীকার করলেও কিছু জিনিসের সাথে আমি একমত। তার একটি হল পরকাল তত্ত্ব, আবারো স্বীকার করছি এরও কোন যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারব না, আপনি অট্টহাসি দিতে পারেন, আমার কোন আপত্তি নেই। পরকাল তত্ত্ব অনুসারে প্রত্যেককে তার অবস্থান অনুযায়ী বিচার করা হবে। একটি ছোট উদাহরন; আমি আপনি ১০০ টাকা চুরি করলে যে শাস্তি একজন গরীব লোকে পেটের দায়ে তা চুরি করলে তার শাস্তি হবে অনেক কম। এ তত্বে বিশ্বাস করলে পৃথিবীতে কেন সব মানুষ সমান না তার কিছুটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। শুনতে বেশ নিষ্ঠুর হলেও সব মানুষ সমান হলে মনে হয় পৃথিবী চলত না।
আসলে কে স্বঘোষিত আস্তিক বা নাস্তিক তা আমার কাছে খুব একটা গুরুত্ত্বপূর্ণ না, গুরুত্ত্বপূর্ণ হল কে কেমন মানুষ বা কার কথায় কতটা যুক্তি আছে সেটা। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে আস্তিক হলেও মুক্তমনয়া নিয়মিত আসি। কারন আমি বিশ্বাস করি যে আমরা ধর্মবাদীরা গুনাহর ভয়ে বা হিনমণ্যাতাবশতঃ নিজ নিজ ধর্মের অনেক অমানবিক কালাকানুন স্বীকার করি না বা অন্ধভাবে সমর্থন করে যাই, যা আন্মপ্রতারনার মত। মুক্তমনার লেখক লেখিকারা অনেক কিছুই বলেন যা ধর্মবাদীদের নিজেদের বলা উচিত যদি ধর্মের প্রতি আসলেই তাদের মায়া থাকে। শুধু প্রয়োযন সামান্য একটু সতসাহস।
@ আদিল মাহমুদ
ভাইয়া আপনি বলেছেন,’আমার মতে সব কিছুর শুরু আর শেষ আছে, জগতের সবকিছুই একটা নিয়মের মধ্যে পড়ে, কোন কিছুই মনে হয় র্যান্ডম না। এমনকি বহুল আলোচিত বা সমালোচিত ইভলুউশন ও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। এই সুশৃখল নিয়মের পেছনে কোন একটা বুদ্ধিমান সত্ত্বার অবশ্যই প্রয়োযন আছে। হ্যা, আপনি যেমন বললেন এর পরও পৃথিবীতে অনিয়ম কিছু দেখা যায়, কিন্তু জগত সংসার চলছে স্পষ্ট নিয়মের উপর।’
দুর্বলরা ধ্বংস হয়ে যাবে,আর সবল রা টিকে থাকবে- এটাইতো জগতের সবচেয়ে পরিক্ষিত ও নির্দিষ্ট নিয়ম,তাইনা?(ডারউইনের বিবর্তনও তাই বলে)। এই নিয়মের(নাকি অনিয়ম?নীতি বিহীন নিয়ম কে আমরা তো তাই বলি।)জন্যও কি একজন ঈশ্বর লাগে? এর জন্যও যদি একজন ঈশ্বর লাগে তবে তার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু? আমাদের মত দুর্বল দেশ গুলোকে সবল দেশ গুলো ছিড়ে ছোবড়া বানিয়ে দিচ্ছে,কিন্তু আমরা তার প্রতিবাদও করতে পারছি না। কারন আমরা দুর্বল ! এটকেও কি আপনি ঈশ্বরের দয়া বলবেন?
আসলে সকলের জন্য সমান এমন ঈশ্বরের কল্পনা আমিও কম করিনি। কিন্তু কোনভাবেই মিলাতে পারিনা। ঐযে আপনার সুশৃংখলিত নিয়ম!! ঐটাই সব কিছু খারিজ করে দেয়।
” শুনতে বেশ নিষ্ঠুর হলেও সব মানুষ সমান হলে মনে হয় পৃথিবী চলত না।” ব্যপারটা কি এরকম? নাকি হবে যে আমরাই ঈর্ষা কাতর হয়ে পৃথিবী চলতে দিতাম না? অন্য প্রানীদের বেলায় তো ভালই চলছে। হ্যা ব্যপারটা ঝামেলার…।কিন্তু একজন এত কষ্ট করবে,আর একজন কিছু না করেই বসে বসে খাবে- ঈশ্বরের জন্য খুব বেশি অমানবিক নিষ্ঠুরতা নয় কি?
@ivy,
” কোরান মেয়েদের বোরখা পড়া, মাথা ঢাকার কথা বলেনি”
read the 24:31 and 33:59 verses of Quran carefully. Quran clearly indicates women to cover their head and wear veil or veil type clothes.
And there are many hadises which clearly indicate to limit women’s free movment outside home.
Now i’m in load shedding.. I will give u those hadises later .
@Talat, নতুন থিওরী!! ভালো!! আরো কত যে থিওরী আবিস্কৃত হবার বাকি আছে!! :laugh:
@tanvy,
তা হলে এই ওয়েব সাইটা একটু দেখতে পারেন।
http://static.rnw.nl/migratie/www.radionetherlands.nl/currentaffairs/080229-turkey-hadith-redirected
@Talat,
আমার পড়া কোরান অনুবাদগুলোর সবচেয়ে যুক্তি-যুক্ত অনুবাদ।
(24:31). And tell the believing women to lower their gaze, and to be mindful of their modesty. They should not let their charms be apparent beyond what may be decently and spontaneously apparent. Hence, let them cover their chests with a light covering. And let them not their charms be apparent to any but their —– And they should not strike their feet or swing their legs in walking so as to draw attention to their hidden charms. O You who have chosen to be graced with belief! Turn all of you together to God so that you may be successful (in establishing a benevolent society).
Jalbab = Loose-fitting garment = Modest dress = Outer garment = Overcoat = Lengthened dress = Chadar = Shawl.
(33:59) O Prophet! Tell your wives, your daughters, and women of the believers that they should draw loose fitting garments over their person (when in public) This is easy and proper, so that they may be recognized and not bothered. God is Absolver of imperfections, Merciful.
Thanks.
Ivy
@ivy,
“মিথুন, ড্রেস কোডের সংজ্ঞা বলতে আমি আক্ষরিক ভাবে কোন জামা, পাঞ্জাবী, টুপি, বোরখার কথা জানতে চাইনি। যেমন তানভী বলেছেন সংস্কৃতি ভিত্তিক পোষাকের কথা, আদিল মাহমুদ বলেছেন আবহাওয়া ভিত্তিক এবং শালীনতার কথা। আপনি আমার উত্তর পাবার আগেই আমার যাচাই-বাছাই এর উত্তরট দিয়ে ফেললেন। মুক্তমনা হতে হলে এ রকম অনেক প্রশ্নের সন্মুখীনই হতে হবে। কট্টরপ্নহীদের মত এত বিরক্ত হচ্ছেন কেন? আপনারা আলোকিত পথের মানুষ, অবজ্ঞা করে কতটুকু আলো দেখাবেন। আমার মন সত্যি বিচিত্র।”
ড্রেস কোড বলতে যে আমি আক্ষরিক ভাবে কোন জামা, পাঞ্জাবী, টুপি, বোরখার কথা জানতে চাইনি তা আমার আগের করা কমেন্টটি পড়লেই বুঝতে পারতেন। বুঝতে পারতেন যে আসলে ড্রেস কোড বলতে আমি, সময় এবং সংস্কৃতি ভেদে মানুষের মানুষের শালীনতা-অশালীনতা বোধের ভিন্নতাকেই বোঝাতে চেয়েছি। যাই হোক, আমার বক্তব্যে যদি কট্টরপন্থিদের মত বিরক্তভাব প্রকাশ হয়, তবে আমি আশা করব আপনি উদারপন্থিদের মত মনে কিছু নিবেন না।
আর আমার জ্ঞান খুব কম। এই স্বল্প জ্ঞানে একটি প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই খুজে পাইনা। তা হল- সৌদিআরব, ইরান ইত্যাদি ইসলাম প্রধান দেশে মেয়েদের বোরখা প্রথা খুব কড়াকড়ি ভাবে প্রচলিত। অথচ আপনি বললেন যে কোরানে বোরখা পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। আবার আমাদেরই আরেক বন্ধু মেহেদী বলল যে, শুধু মেয়ে নয়, ছেলেদেরও বোরখার মত কাপড় পড়তে বলা হয়েছে। তার মানে এই যে, যদি ধরে নেই আপনিই একমাত্র কোরানের সঠিক ব্যাখ্যা জানেন তাহলে, মেহেদী সহ বিশ্বের তাবত কট্টরপন্থি মুসলিম দেশ গুলো আসলে কোরানের ভুল ব্যখ্যা করছে!!!! তো আপনার কি উচিত নয় যে, কোরানের এসব ভুল ব্যাখ্যাকারীদের ভুল শুধরে দেয়া????
আইভি,
আমি স্বঘোষিত মুক্তমনা নই। তাও আপনার প্রশ্নের জবাব আমার মত দেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রশ্নের জবাব প্রশ্নে হয় না, তাও শুরুতে একটা প্রশ্ন করি। সভ্য সমাজে কি মানুষের প্রতিটা পদক্ষেপের সুষ্পষ্ট “কোড” লিখিত আকারে আছে বা থাকা সম্ভব? নেই, থাকা সম্ভব ও না, তার চেয়ে বড় কথা দরকার ও নেই। কারন মানুষ জন্মগত ভাবেই সুস্থ instinct হতে ভাল মন্দ, শিল অশ্লিল কি বোঝে (অল্প কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)। রোবটের মত তাকে সব কালা কানুন পড়ে বুঝতে হয় না। ড্রেস কোডের ব্যাপারটা তাই। আমার মতে ড্রেস কোড মানে শালিনতা বজায় রেখে যা পরা যায় তাই। এটা বুঝতে কোন ঐশী ধর্মগ্রন্থ বা সাংবিধানিক আইন কিছুরই প্রয়োযন নেই। সব সময়, সব দেশের জন্য ধরা বাধা কোন ড্রেস কোড করা যাবেও না, পরের প্যারায় ব্যাখ্যা করছি। এটা অনেকটা ব্যক্তিগত পছন্-অপছন্দের উপর ও নির্ভর করে। যে কারনে কেউ জীন্স পরলে আমার কিছু বলার নেই সে কারনেই কেউ স্বেচ্ছায় বোরখা পরলে আমার কিছু বলার নেই।
তর্ক হতে পারে শালিনতার সংজ্ঞা কি? মানতে হবে যে এটা অনেকটা আপেক্ষিক। স্থান কাল পাত্র মানসিকতা ভেদে এটা ভেরি করতে পারে। আরব দেশের মানুষদের সূর্যের তীব্র তাপ থেকে বাচতে গা হাত পা মুখ ঢাকা পোষাক ছাড়া উপায় নেই, কিন্তু সে পোষাক তুন্দ্রা অঞ্চলের এস্কিমোদের পরার কোন দরকার নেই। ঊল্টাটাও খাটে। পোষাক, খাদ্যাভাস এগুলি আসলে অনেকটা স্থানীয় কালচারের উপর ও অনেকটা ডিপেন্ড করে। আর অবধারিতভাবে কালচার সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। সাথে সাথে পোষাকের রুচিও বদলে যেতে পারে। ২০০/৩০০ বছর আগে পাশ্চাত্য সমাজের পুরুষরা কিন্তু অনেকটা এখনকার মহিলাদের স্কার্ট টাইপ পোষাক পরত। আজকাল কোন লোক সেই পোষাক পরবে? তবে মোদ্দা কথা, শালীনতা বজায় রাখতে হবে। আরেকটু বলি, আজ আমাদের দেশে যদি রাস্তায় কোন হাফ প্যান্ট পরা বাংগালী মেয়ে দেখা যায় তাহলে প্রতিক্রিয়া হবে মারাত্মক, বলা হবে অশালীন, কিন্তু যদি এই ট্রেন্ড ৫০ বছর ধরে চলে তবে তাকে অশালীন বলার মানুষ খুব বেশী পাওয়া যাবে না।
আমি বিশ্বাস করি না যে শুধু বোরখা বা ড্রেস কোডের জন্য নারীদের নিরাপত্তার কোন বিরাট পরিবর্তন হয়। যেমন, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা…এমনকি আমাদের দেশের ও অনেক উপজাতি আছে যাদের মহিলারা আধা নগ্ন বা অনেকটা দেহ প্রদর্শন করা খোলা পোষাক পরে। তাই বলে কি সে সব সমাজে পুরুষরা প্রতি নিয়ত মহিলাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ছে? আমার তো মনে হয় স্বল্প বসনা চাকমা সমাজে আমাদের বাঙ্গালী সমাজ থেকে ক্রাইম অনেক কম। অন্যদিকে বাধ্যতামূলক বোরখার দেশ আরবে অনেকের কাছে শুনেছি দিনের বেলায় পুরুষেরা কাজে যেতে মহিলাদের বাইরে দিয়ে তালা দিয়ে যেতে। কোন ফোরামে পড়েছিলাম কাতারের এক ডাক্তার ভদ্রলোক এক শেখ সাহেবের লোলুপ দৃষ্টি থেকে স্ত্রীকে বাচাতে ২ দিনের মধ্যে দেশে পালিয়ে এসেছিলেন। কয়েক বছর আগে এক পাকিস্তানি কুটনীতিকের স্ত্রীকে আরেক শেখ সাহেব তার হারেমে তুলে এনেছিলেন, সে ঘটনা শেষ পর্যন্ত গোপনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুরাহা করতে হয়েছিল।
কোরান বা অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে কি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপের নির্দেশনা আছে? নাকি থাকা সম্ভব? আমাদের নিজেদের কমন সেন্স থেকে অনেক কিছু এমনিই বুঝতে পারি। কোরানে চুরি চামারী পাপ বলা আছে বলেই কি আমরা শুধু ছুরি করি না, নাহলে করতাম? অপরাধ বা পাপের টাইপ ও কিন্তু সময়ের সাথে বদলায়। আমি জানি না কোরানে ঘূষ খাওয়া পাপ জাতীয় কোন আয়াত আছে কি না, তার মানে কি ঘূষ খাওয়া নো প্রব্লেম? গত কেয়ার টেকার সরকারের আমলে আমরা একটা নতুন অপরাধ আমাদের দেশে ব্যাপক মাত্রায় দেখলাম, সেটা হল মানি লন্ডারিং। আমি নিশ্চিত যে কোরানে এ সম্পর্কিত কোন আয়াত নেই। এখন যারা দেশে থেকে বিদেশে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তারা আদালতে দাড়িয়ে কি বলতে পারে, ও হে মানুষ বিচারক তুমি কে হে বট আমাকে শাস্তি দেবার, আমাদের কোরানেই তো এ বিষয়ে শাস্তির কোন বিধান নেই। এটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ হলে কেন কোরানে নেই? এ থেকে কি বুঝতে পারি? যে কোন কোড স্থান কাল পাত্র ভেদে constant না, মৌলবাদী ধার্মিকরা যা প্রতিষ্ঠা করতে চান। তবে constant হল ভাল মন্দের মোটা দাগে বিচার।
তবে আমার মতে এই বোরখা বিতর্কে সাধারণ ভাবে সমালোচক আর সমর্থক সবাই একটা ভূল করেন। সমালোচকরা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে বোরখা হল পশ্চাতপদতার প্রতীক। তাদের বুঝতে হবে যে শুধু বোরখা পরেই যেমন নিরাপত্তা হয় না, তেমনি বোরখা স্বেছায় পরাতেও পশ্চাতপদতা হয় না। অন্যদিকে সমর্থকরা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে বোরখা কতটা দরকার, বোরখা না পরার জন্যই পাশ্চাত্য সমাজের বেশীরভাগ মহিলা নাকি পতিতা হন জাতীয় উদ্ভট কথা। আমার মতে বোরখার সমালোচনা হওয়া উচিত অন্য দৃষ্টিভংগীতে, ভাল খারাপ সেই বিচারে না। তা হল, আমাদের সনাতন ইসলামী সমাজে বোরখা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা। ইসলাম না ধর্মের নামে জোর জবরদস্তি করতে কড়া ভাবে মানা করে?
প্রিও ত্রিত্রিয় নয়ন ভাই আপনার লেখা পড়ে আমি কেবল মুগ্ধ নই ….রীতীমত ভাষহীন, বাকহারা…। তবে আমি মুক্তমনা তে একেবারে নতুন পাঠক। একটা জিনিস খুব জানতে ইচ্ছা করতেছে। সেটা হল মরার পরে হিন্ডু ধর্মে পুনর্জীবন আর ইসলামে যেই অসীম জীবন এর কথা আছে এগুলো সম্পর্কে কিছু জানাবেন কি????
@খালেদ, ভাইয়ারে এগুলা খালি সাধারন মানুষদের বেকুব বানানোর একটা সোজা প্রসেস।
ধর্মপ্রচারকরা বলেন, “এখন সারা জীবন সৃস্টিকর্তার পূজো (আসলে আমার! 😀 )করে যাও, আর মুখবুজে সব সহ্য করে যাও (আমার বড়লোক কর্তারা যত অত্যাচারই করুক সব মেনে নাও) আর হুজুর হুজুর করে জীবন নাশ করে দাও। তবেই আমি পরকালে তোমাদের বেহেশতের জন্য সুপারিশ করব(এই ফাকে তোমাদের বেকুব বানায়ে আমি আখের গুছাবো)”।
বাংলাদেশের অবস্থাই ভালোমত লক্ষ্য করে দেখুন, তাহলেই আমার কথার সত্যতা খুজে পাবেন। দেখবেন সব হুজুর আর পুরুতরা মুরগীর রান খেয়ে খেয়ে বিশাল ভুঁড়ি বাগিয়েছে। কিন্তু তার মসজিদের পাশে যে এক ভুকা নাঙ্গা ভিকিরি সাত দিন না খেয়ে ঘুরে বেড়ায় তাতে তার খেয়াল নেই।
@tanvy,বুঝলাম , কিন্তু মরার পরে তাহলে আমাদের কি হবে??
@খালেদ, ভাইয়া মরার আগেই বা আমাদের এমন কি হয় যে আপনি মরার পরের কথা চিন্তা করছেন?
ধরেন একটা মুরগী মরে গেলে কি হয়? ভাগ্য বেশি ভালো হলে রোস্ট হয়ে মানুষের খাদ্য (ভালো ভাগ্যের নমুনা!!) আর খারাপ হলে শিয়াল,কুকুরের খাদ্য,আরোবেশি খারাপ হলে অসুস্থ হয়ে মরে তারপর ব্যক্টেরিয়া-ভাইরাসের খাদ্য। এর মধ্যে কোনটাকে আপনি বেহেশত বলবেন,কোনটাকেই বা দোজখ বলবেন?
তাহলে, আমি বলি আপনি নিজের জীবনকে মুরগীর জীবনথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ন মনে করে থাকলে তা ভুলে যান। কারন,বেশিরভাগ মুরগীর জীবন শুরু হয় একটা উদ্দেশ্য নিয়ে, মরনও হয় একটা উদ্দেশ্য নিয়ে (অন্যের খাদ্য হতে পারাটাও কম মহৎ সুযোগ নয় কিন্তু!! :laugh: )। সে তুলোনায় মানুষের অবস্থা দেখুন, মানুষ জন্মাচ্ছেও উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে, বেশিরভাগ মানুষ মরছেও উদ্দেশ্যহীন ভাবে (যুদ্ধে মরা, না খেয়ে মরা, রোগে মরা, রাস্তায় ছিনতাই কারীর গুলি খেয়ে লাশ হয়ে যাওয়া, রোড অ্যক্সিডেন্টে মরা,অপহরণকারির ধামার আঘাতে টূকরো টুকরো হয়ে মরা….এরূপ আরো অনেক….এভাবে মরাকে যদি আপনি যুক্তি যুক্ত ও বৈশিষ্টমন্ডিত বলে মনে করতে চান তাহলে আমার কিছু করার থাকবে না!!)
তাহলে আপনি বলুন, যেখানে আমাদের ইহকালই মুরগীর ইহকালের মত নিশ্চিন্ত ও সুন্দর নয়, সেখানে পরকালের আশা করা কি উচিৎ?(তাহলে মুরগীরাও পরকালের আশা করে বিদ্রোহ করতে পারে এবং আপনার আমার মুরগী খাওয়ার বারোটা বেজে যেতে পারে!!)
@খালেদ,
“কিন্তু মরার পরে তাহলে আমাদের কি হবে??”
স্বার্থান্বেষী ধর্ম প্রচারকগন সহজ সরল মানুষদের কে ফাদে ফেলার জন্য এই বহুল প্রচলিত প্রশ্নবান টি ব্যাবহার করে থাকে। কিন্তু এখানে এই প্রশ্নটির মধ্যে কিছু সমস্যা আছে বলে আমার মনে হয়। ব্যাখ্যা করে বলছি-
মানুষের মনে যে আমি নামক সত্ত্বাটির অস্তিত্ব বিদ্যমান, তাকে সে অবিনশ্বর মনে করে। ভাবে যে এই আমির কোন বিনাশ নেই। মৃত্যুর পরে এই আমি পড়ি জমাবে পরকালে (আখেরাত)। কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে যে, আসলে এই আমির অস্তিত্ব কোথায়? এই আমি কি আদি অনন্ত, নাকি এর শুরু এবং শেষ দুটোই আছে?
মানুষ চিন্তা করে মস্তিষ্ক দিয়ে। এই আমির বসবাস তার মস্তিষ্কে, তার প্রতি মুহুর্তের চিন্তায়। মানুষ জন্মানোর পরে পরিবেশ থেকে জ্ঞান আহরন করে। তার চেতনা বিকশিত হয়। তার প্রতি মুহুর্তের চিন্তা-ভাবনা, ক্রিয়া-প্রতিক্রয়া স্মৃতি হিসেবে রক্ষিত হয়ে যায় তার ব্রেইনের সেল গুলোতে। স্বাভাবিক ভাবেই এই স্মৃতি থেকে, এই কল্পনা করার ক্ষমতা থেকেই মানুষ তার আমি নামক সত্ত্বাটিকে আবিষ্কার করে। তারপর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই আমি কে মানুষ আরো ভাল ভাবে চিনতে বুঝতে শিখে।
তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে আমি বা আত্মার অস্তিত্ব আসলে মানুষের চিন্তায়। এটা কোন আলাদা কিছু নয় যা মানুষ নামক জৈবিক যন্ত্রটিকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বরং মানুষের দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সম্মিলিত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলে আমি ভাবটি তার মস্তিষ্কে দিব্যি সুখে-দুখে দিন পার করে যেতে পারছে। বলা হয়ে থাকে যে, আমি যখন দেহ ত্যগ করে তখনই মানুষের মৃত্যু হয়। আসলে এগুলো মানুষ কে বোকা বানানোর ফন্দি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারন মানুষের যখন মৃত্যু হয়, তখন তার ব্রেইনেরও মৃত্যু হয়। ব্রেইনের মৃত্যুর সাথে সাথে সমস্ত চিন্তা ভাবনা আর জমানো স্মৃতি সহ আমি ভাবটিরও বিনাশ ঘটে থাকে। একটি ছোট প্রশ্নের উত্তর খোজার মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরো বোধগম্য হবে-
আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকেন (স্বপ্ন দর্শন ব্যতিত) তখন আপনার মস্তিষ্ক তার সমস্ত চিন্তা ভাবনা সহ ঘুমিয়ে থাকে (এক প্রকারের মৃত)। তখন কি আপনি আপনার আমি নামক সত্ত্বাটির অস্তিত্ব অনুভব করতে পারেন???
সুতরাং বোঝা গেল যে আমি নামক আত্মাটির আসলে বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই। এটা মানুষের উর্বর মস্তিষ্কের চিন্তার ফসল। তাই এর বিনাশ নেই এটা ভাবা ভুল। মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথেই এর বিনাশ ঘটে। এই বিনাশের কথা চিন্তা করার সময় হঠাত করে আমার মাথায় একটি আজব চিন্তার উদয় ঘটে যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই-
কখনও যদি এমনটা হয়, যে এমন প্রযুক্তি আবিষ্কার হল যা ব্যবহার করে এক মানুষের মস্তিষ্কে রক্ষিত স্মৃতি তার মৃত্যুর আগেই আরেক মানুষের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে (কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে কাট পেস্টের মত) দেয়া হল, তখন তো এই আমিই আবার অবিনশ্বর হয়ে যাবে এই নশ্বর পৃথিবীতেই। তার তো তখন দেহ ত্যাগ করার পরে বেহেস্ত বা নরকে পাড়ি জমানোর কোন প্রয়োজনই হবেনা!! কি বলেন সবাই???
@খালেদ,
একটা লেখা পড়লাম, ইন্টারেস্টিং; দেখুন তো অংশটা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে কিনা?
ধন্যবাদ
আইভি
@tanvy,
তা হলে মানুষ এবং মুরগী দুই সমান? দারুন তো! মুরগী বা মোরগ কি মানুষের মত চিন্তা করতে পারে বা ভালবাসে লাইলী বা মজনু হতে পারে? আমার মত সাধারন মানুষের মত কি হাসতে বা কাঁদতে পারে? যদি পারে তো মানুষ আর অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আপনার থিওরী মেনে নেব। আর না পারলে তো আমাদের আরেকটা থিওরী শুনাতে হবে।
Thanks.
Ivy
@ivy, উউফ কেন বোকার মত না বুঝে কথা বলেন। আমি শুধু মানুষের জীবনের অনিশ্চয়তাকে তুলে ধরার জন্য সোজা ব্যঙ্গ করেছি। জন্ম,মৃত্যু নাকি আল্লার হাতে!! মানুষের অনিশ্চিত জন্ম ও অনিশ্চিত মশা মাছির মত মৃত্যু এই কথা কে তীব্র ভাবে প্রতিনিয়ত ব্যঙ্গ করছে, যা মানুষ বুঝেও বুঝছে না।
জন্মের কথাই ধরুন, পরকীয়ার ফলে জন্ম প্রাপ্ত যে শিশু, তাকে ধর্মের দৃষ্টিতে পাপের শিশু বা জারজ শিশু বলে। তার মা বাবা পরকীয়া করার দোষে হয় পাপীষ্ঠ। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, জন্ম মৃত্যু তো আল্লার হাতে তাই না,আর আল্লাহতো সর্বদ্রস্টা? তবে শিশুটা যে ঐ মায়ের পেটে ঐ বাবার ঔরসে জন্মাবে তা তো নিশ্চই আল্লাহ আগে থেকেই নির্ধারন করে রেখেছেন, আর একটা বাচ্চাতো এমনি এমনি জন্মায় না। তার পিছনে নর নারীর ইচ্ছা ও দৈহিক সম্পর্ক বিদ্যমান( অবশ্য অনেক সময়,নারীর ইচ্ছা ছাড়াও ধর্ষনের ফলে গর্ভে সন্তান দেখা দেয়)। তাহলে আমার প্রশ্ন হল বাচ্চাটার জন্ম যদি পূর্ব নির্ধারিত হয়, তবে তার পিতা মাতা কে হবে তাও পূর্ব নির্ধারিত? এই যদি দাঁড়ায় ফলাফল তবে, বিবাহকালিন সময়ে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিষিদ্ধ বা ধর্মের দৃষ্টিতে পাপ কেন? নাকি নতুন থিওরী এনে একেও হালাল করে দেবেন? এ গেল জন্মের কথা।
এবার আসুন মৃত্যু নিয়ে কথা বলি। অবশ্য মৃত্যু নিয়ে এত কথা বলতে হবে না। শুধু ইস্রায়েল ও ফিলিস্তিনের দিকে তাকালেই সুনির্ধারিত মৃত্যুর থিওরী ধরা খেয়ে যায়। যার ক্ষমতা (তা যে ধরনেরই হোক না কেন) যত বেশি সে তত বেশিদিন বেচে থাকবে,আর যার ক্ষমতা কম সে ক্ষমতাবানদের সাথে বেচে থাকার লড়াইয়ে হেরে বিদায় নেবে। এটাই বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রমানিত ব্যপার। আর এটাই ডারউইনের থিওরী।
এবার আসুন পশুপাখিদের কথায়। আপনি যদি সামান্য জ্ঞান আপনার মাথায় ধরে থাকেন তাহলেও আপনি বলতে পারেন না যে অন্য প্রাণীদের বোধশক্তি,আবেগ,ভালোবাসা নেই। আসলে মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মানুষ (শুধু আপনি না,আমিসহ অন্য সবাই)নিজেকে এত বেশি জ্ঞানী আর শ্রেষ্ঠ মনে করেযে তার অহংকার বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে,তাই সে অনেক কিছু দেখেও দেখেনা। যেমন দেখুন না,মানুষ তার বৈজ্ঞানিক নামও দিয়ে রেখেছে আমরা(homo) জ্ঞানী(sapience)। আর আমরা সাধারন মানুষরা তো আরো এক ধাপ এগিয়ে। অন্য প্রানীদের যে জ্ঞান বুদ্ধি থাকতে পারে তা আমরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনিনা।
এবার আসুন পশুপাখির জ্ঞান বুদ্ধির কথায়।
১- পশুপাখিরও নিজস্ব ভাষা আছে, যা আমরা বুঝতে পারি না। যেমন ধরুন আপনার চোখের সামনে থাকা কাকের কথায়। তারা কা কা করে, কিন্তু সব ডাকের ধরন এক না। আপনি যতই কা কা করুননা কেন,কাক আপনার দিকে ফিরেও তাকাবেনা।কিন্তু কাকদের একটা বিশেষ ডাক আছে যা দিলে সব কাক একত্রে এক জায়গায় চলে আসে।
২- এবার আসুন চিন্তা ভাবনা ও বোধশক্তির কথায়। যাদের নিজস্ব ভাষা আছে তাদেরকে নিশ্চই চিন্তাও করতে হয়?(মানুষের তূলনায় তাদের মস্তিস্কের বিকাশ সম্পুর্ন নয় বলে তাদের চিন্তার গন্ডীটা ছোট) দেখবেন পশুপাখির প্রাকৃতিক বোধ শক্তি মানুষের তুলনায় বেশি। যেমন, বড় ধরনের কোন ঝড়ের পূর্বের দিন ঐ স্থানের সব পাখিরা অন্যত্র উড়ে যায়,কাকেরা অদ্ভুত আচরন শুরু করে, অন্যান্য প্রানীদের মধ্যেও অস্থিরতা দেখাদেয়। বিজ্ঞানীরাও এ রহস্য ধরতে পারেন নি যে তারা কিভাবে আগে থেকে টের পেয়ে যায়।
৩- এবার আসুন ভালোবাসার কথায়। ভালোবাসা কি? দুটি মানুষের দৈহিক ও মানসিক আকর্ষনকেই তো আমরা ভালোবাসা বলি তাই না? এ যদি পশুপাখির মধ্যে নাই থাকে, তবে আপনি আমকে বলুন, মুরগীর পেটে মুরগীর ডিম আসে কোথা থেকে? আকাশ থেকে কি সোজা মুরগীর পেটে ডিম গিয়া জমা হয়? নিশ্চই না? মানুষ যেভাবে সন্তান ধারন করে, মুরগীওতো নিশ্চই সেভাবেই সন্তান ধারন করে তাই না?
আবার ধরুন বাবুই পাখির কথা, সে কত সুন্দর করে তার প্রেয়সীর জন্য ঘর বানায় তা দেখেছেন? (সম্রাট সাজাহান শুধু বানানোর হুকুম দিয়াই খালাস, বানাইসিলতো শ্রমিকরা। এখানে বাবুই পাখি নিজে দিন রাত খেটে বাসা বানায়।) কুকুরদেরও দেখবেন নিজেদের সন্তান ও প্রেয়সীদের সাথে খেলা করতে। একে আপনি কি বলবেন?
আবার আসুন মায়ের ভালোবাসার কথায়, প্রায় সব মেরুদন্ডী প্রানীই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তার সন্তান্দের আগলে রাখে। দেখবেন মা মুরগী তার সন্তানদের পালকের নিচে লুকিয়ে শীতে ওম দেয়, বিপদ হতে রক্ষা করে। তাহলে এগুলোকে আপনি কি বলবেন?
হ্যা, মানুষ ও অন্য প্রানীর বুদ্ধির বিকাশে বেশ তফাৎ আছে, তবে কোণ কোন ক্ষেত্রে অন্য প্রানীরা মানুষ থেকে এগিয়ে। যেমন আমরা বলিযে কুকুরে কুকুরের মাংস খায় না। আবার দেখবেন মুরগীরাও তাদের নিজেদের মধ্যে কলহ করে না(খুব কম ক্ষেত্রেই করে)।
এর পরেও আরো হাজার হাজার উদাহরন আপনার সামনে হাজির করা সম্ভব। তবে মনে হয় না আর প্রয়োজন হবে।
@Tanvy,
সত্যি, আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হলাম। খুটি নাটি বিষয় গুলো চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। মানুষ নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রানী ভাবে, অথচ এটুকু খেয়াল করে বোঝার জ্ঞান রাখেনা যে, বহু ক্ষেত্রে অন্যান্য নিম্ন শ্রেনীর প্রানীর তুলনায় মানুষের দৌড় সীমাবদ্ধ।
সামহোয়্যারইনব্লগ এ মানুষের এই সীমাবদ্ধতার উপর অনিকের লেখা অসাধারন একটি আর্টিকেল পড়েছিলাম। আর্টিকেলটি আমি এখানে কপি পেস্ট করে দিলাম-
“মস্তিস্ক নামক অঙ্গটি ১৫ সেন্টিমিটারের ব্যাসের একটা গোলকের চেয়েও ক্ষুদ্রাকার। সেই সীমাবদ্ধ যন্ত্রে অসীম জগত্ যে আঁটবেনা তা ধরে নেয়া সমীচিন । মহাবিশ্বের এক প্রান্তে অতিকায় গ্যালাক্সি, কৃষ্ণ গহ্বর আর অন্যদিকে অণুপরমাণু কোয়ার্কের ধারণায় আমাদের চিন্তা আটকে আছে।
Cosmic Voyage ফিল্মের ক্লিপ থেকে আমাদের জানার পরিধিটির ধারণা পাওয়া যায়।
যত সময় যায় জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সত্ত্বেও সীমাবদ্ধতার কথাটি প্রকট ভাবে উঠে আসে, আমরা ভাবি কতদুর আমাদের বোধক্ষমতার আওতায়।বিজ্ঞানী নিউটন একবার সমুদ্রেতটে নুড়ি কুড়ানোর কথা বলেছিলেন। বাস্তব যেন তাকেও হার মানায়।
শুধু মস্তিস্ক কেন ৫/৬ ফুট লম্বা মানুষ নামক এই দ্বিপদী জন্তুটির সীমাবদ্ধতা সব কিছুতেই। চোখের কথাই ধরি। অনেক মেঠো সাপ স্বল্পতরঙ্গের আলো দেখতে পায়। মানুষ দেখা দুরের কথা এর অস্তিত্বই টেরই পায়না । অনেক পতঙ্গ নিজের দেহের চারপাশ দেখতে পায়, আমরা দেখি একদিক। আলোর ওঠানামা পর্যবেক্ষণে আমরা অতিশয় দুর্বল। সেকেন্ডে ১০ টি বল চোখের সামনে উড়ে গেলে তাদের আলাদা করে দেখার ক্ষমতা আমাদের নেই । তিন পাখার সিলিং ফ্যান ঘুরছে উপরে । কিন্তু মনে হচ্ছে যেন গোল চাকতি। অবশ্য চিত্রপরিচালকেরা চোখের এই মধুর অক্ষমতার সুযোগ নিচ্ছেন। ঐশ্বরিয়ার যে নাচ দেখে শীষ দিয়ে উঠতি যুবক বেরিয়ে গেল সিনেমা হল থেকে সে আসলে কয়েক লক্ষ নির্জীব ছবি দেখেছে ঐশ্বরিয়ার, শুধু দ্রুত টেনে নেয়া হয়েছে এই যা। সামান্য আলোতে দেখায় আমাদের বদনাম অনেক। মাছির চোখ আমাদের চেয়ে অনেক বেশী স্মার্ট, নচ্ছার তেলাপোকাও সামান্য অন্ধকারে চোখের জ্যোতি হারায় না আমাদের মত।
শুধু তাই না, কান নামক যে শব্দযন্ত্রটির উপর এত আস্হা। তার ক্ষমতা তো আরো হাস্যকর। আমাদের কানে সেকেন্ডে ২০ বারের কম বাতাসের দোলা মানে নিরবতা। ঝিঁঝিঁ পোকার চেয়ে একটু কড়া আওয়াজ হলেও কর্ণকূহরের বেল নাই। অথচ অবলা বাদুর এক্সপার্টের মত সেসব শব্দ শুনছে। রেডারীয় পদ্ধতিতে পথও খু্ঁজে নিচ্ছে তা দিয়ে। এমন কি পায়ের ধারে লেজ নাড়ছে যে বিড়াল তার কানটিও আমাদের লজ্জা দেবে।
অন্যান্য প্রাণীর সঙ্গে দেহকাঠামোতে, শক্তিতে খুব গর্ব করার মত কিছু নেই। চিতাবাঘের এমন কি বুনো কুকুরের ক্ষিপ্রতার ধারে কাছে নেই মানুষ। আকারে হস্তীর সঙ্গেও পাল্লা দেয়ার উপায় নেই। পরিবেশে বদলে গেলে তেলাপোকারা টিকে থাকবে আমরা মরে যাব। জীবন কাল বা আয়ুতে কচ্ছপ বা কুমিরের সঙ্গে তুলনা করলে অসহায় মনে হবে । এমন কি প্রজনন ক্ষমতায়ও খরগোশ আমাদের লজ্জা দেবে।
সীমাবদ্ধতার মধ্যে অতিসীমিত পরিসরে আমাদের অবস্হান। গড়ে ৬০/৭০ বছরের এর ড্রাইসেল ব্যাটারীর মত ওয়ান টাইম চার্জের জীবনে, পুর্ণবয়স্ক হতেই লাগে ১৮/২০ বছর । তারপর ৩০ পেরোতে পেরোতে চোখ, কান, ত্বক, চিন্তাক্ষমতা, স্মরণ শক্তি লোপ পেতে থাকে। সুতরাং সীমায় পেরোনোর দৌড়ে খুব বেশী কিছু করার উপায় থাকে না।
কিন্তু তার পরও অন্য প্রাণীর চেয়ে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভেবে আত্মতুষ্টি লাভ করি। একমাত্র মস্তিস্কের কারণে।
২০ বিলিয়ন নিউরোকর্টিয়াল নিউরনের শক্তিশালী সিস্টেমের বদৌলতে সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাদের সান্ত্বনা যে, এটি সর্বাধিক শক্তিশালী কম্পিউটারের চেয়ে জটিলতর বিশ্লেষণী ক্ষমতার অধিকারী। ১.৩ কেজির এই ছোট মগজে পেচিয়ে রয়েছে ২.৫ বর্গমিটারের কর্টেক্স যা বিছিয়ে দিলে একটি টেনিস মাঠের কাছাকাছি এলাকা দখল করবে। শরীরকে সামলাতে, বাঁচিয়ে রাখতে আমৃত্য ব্যস্ত সে । চিন্তাকোষগুলোতে চলে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম আদান প্রদানের এক নিরবিচ্ছিন্ন খেলা। ২৫০ মাইল বেগে শরীরের এমাথা ওমাথা সঙ্কেত পৌছে দিতে প্রস্তুত থাকে এই অবিশ্বাস্য গতির স্নায়ুর নেটওয়ার্ক ।
বলাবাহুল্য মস্তিস্ক তথা স্নায়ুজালিকার জটিলতার প্রধান দুটো আদিম দায়িত্ব হলো আত্মরক্ষা এবং জীবন ধারণ। কিন্তু মানুষ এই মৌলিক চাহিদা অতিক্রম করে নিজেকে প্রশ্ন করে নানান প্রশ্ন। প্রশ্ন করা যেন মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য।
অবশ্য মগজের কম বেশী অস্তিত্ব পাওয়া যায় অন্যান্য অনেক প্রাণীতে। খাদ্যগ্রহণ এবং বংশবৃদ্ধিতে যখন অন্য সব প্রাণী তুষ্ট, তখন (সব না হলেও অন্তত: কিছু) হয়তো মানুষই প্রথম প্রাণী যারা জানতে চেয়েছে জগতের রহস্য? জানতে শেখার পর তার মৌলিক প্রশ্ন হলো, আমি কে? আমি কোথা থেকে এসেছি? আমি কোথায় যাব? ইত্যাদি? এ এক বড় বিরাট জিজ্ঞাসা কেন কোন কারণ ছাড়াই জ্ঞানার্জনের জন্য আগ্রহী হয় মানুষ? বৃষ্টি, বজ্রপাতের মধ্যে দাড়িয়ে প্রকৃতির বিদ্যুৎকে বন্দী করতে চায়? কেন রাতের পর রাত ঘষা লেন্সের দুরবীনে চেয়ে রয় আকাশের দিকে? কেন মৃত মানুষের দেহ কেটে দেখতো চায় দেহ রহস্য? কেন দিনের পর কেন সমাজ সংসার ধর্মের রীতিনীতি ভেঙে আবিষ্কারের নেশায় ছুটে চলে দেশ দেশান্তরে? সে যেন তার সীমাকে পেরিয়ে উঁকি দিতে চায় জটিলতম উত্তর জানতে।
প্রাচীন দার্শণিকরা এই নেশাটির এক সরল সংজ্ঞা দিয়েছিল, অন্ধকার ঘরে একটি অন্ধ মানুষ একটি কালো বেড়ালের সন্ধান পাওয়ার জন্য হাতড়িয়ে মরছে। কিন্তু কেন ধরে নিচ্ছে একটি বেড়াল আছে সেখানে? যদি অন্ধ হয় তবে এটি যে একটি ঘর তারই বা নিশ্চয়তা কী? বিড়ালই অন্ধ লোকের হাতের নাগালে থাকবে কেন? যদি হয় দেয়ালহীন অসীম মাঠ, তবে কী কোনদিন বেড়াল থাকলেও জানা যাবে?
সীমাবদ্ধ জ্ঞান সত্ত্বেও সমষ্টিগত জ্ঞান বংশ পরম্পরায় প্রবাহিত করার জন্য মানুষ জ্ঞানকে লিপিবদ্ধ করেছে। এই জ্ঞানের সমাহার কে সে নাম দিয়েছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান যেন একটি সাময়িক বিশ্বাস। চিরন্তন কিছুর জন্য অপেক্ষা না করে, যে সব তত্ত্ব দিয়ে চলমান ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা যায় তাকেই স্হান দেওয়া হয় বিজ্ঞানে। ধরেই নেয়া হয় সব তত্ত্ব পরিবর্তনশীল। ভুল না ধরা পড়লে ভুলেই চলতে থাকতে হবে এই যেন জ্ঞানের একমাত্র উপায়। যখন ভুল ধরা পড়বে ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে পুরনো তত্ত্ব এবং সাদরে গ্রহণ করা হবে নতুন তত্ত্ব।
জ্ঞানের অন্যতম সীমাবদ্ধতা হলো মানুষের ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য অভিজ্ঞতার বাইরে আমাদের চিন্তা করার উপায় নেই। এ বিষয়ে একটি মজার কাহিনী আছে। প্রথম যখন টেলিফোনের আবিস্কার হয় তখন অনেকে এর বিষয়ে নানান কথা তুলছিল। লোকজনকে বিশ্বাসই করানো যাচ্ছিল না যে যাদু টোনা ছাড়া অনেক মাইল দুরে শব্দ পৌছানো যাবে। তখন বলা হয়েছিল ধরুন, একট কুকুর পাওয়া গেছে যার লেজ বোষ্টনে আর মাথা নিউজার্সিতে । বোষ্টনে লেজে টান দিলে কুকুরটি নিউজার্সিতে ডেকে ওঠবে না? তখন সঙ্গে সঙ্গে সবাই সেটা সহজে বুঝতে পারলো। কিন্তু সমস্য বাধলো যখন ওয়্যারল্যাস ফোন এল। তখন আবারো বলা হল অবশেষে এমন একটি কুকুর পাওয়া গেছে যেটি অদৃশ্য।
অভিজ্ঞতালব্ধ সংস্কারের একটি উদাহরণ হলো শুরু এবং শেষ জানতে চাওয়া। আমরা জানি ১, ২, ৩, ৪, ৫.. এভাবে এক করে যোগ করতে থাকলে তা শেষ হয় না। আবার ০.১, ০.০১, ০.০১ এভাবে ছোট করতে থাকলে তারও শেষ নেই। তবুও প্রশ্ন জাগে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ছোট সংখ্যা কত। গণিত বলছে সংখ্যার কোন সীমা নেই। শেষ শুরু ভাবতে চাওয়ার মানে নেই। কিন্তু মন সায় দেয়না । তাই ইঞ্চি দিয়ে, মাইল দিয়ে, আলোক বর্ষ দিয়ে মেপে হলেও জগতের সীমা খুঁজতে থাকি, হয়তো অযথাই। (অবশ্য আফ্রিকার বুশম্যানরাই আরামে, তারা তিনটি সংখ্যা নিয়ে সন্তুষ্ট: ১,২ এবং অনেক। চিন্তা না করলে আসলেই আরাম।)।
“সৃষ্টি” শব্দটি আরেক অদ্ভুত টার্ম। জন্ম থেকেই দেখে আসছি আমরা বিদ্যমান এক বস্তুময় বিশ্বে। যদিও আমরা কাজের প্রয়োজনে গাছ কেটে আসবাব সৃষ্টি করেছি, খনির লোহা তুলে ইস্পাতের অস্ত্র সৃষ্টি করেছি। কিন্তু সবই এক বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে রূপান্তর ছাড়া কিছু না। আমরা নতুন কাঠামোয় রুপান্তরের কৃতিত্ব দিয়েছি নিজেদের। প্রকৃতির মধ্যে যখনই কিছু দেখি আমরা যেন নিজের অজান্তেই খুঁজে ফিরি কেউ না কেউ সেই সৃষ্টির জন্য দায়ী ।
সৃজনশীলতা আমাদের নিত্যসঙ্গী, হয়তো সৃষ্টির পিছনে কাউকে না পেলে মন ধাক্কা খায়। তবে কি এই কর্তা খোঁজার চেষ্টাটিও নিছক সংস্কার? নাকি সত্যিই সৃষ্টিকর্তা ছাড়া জগতের রহস্যের ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয়? যদি সৃষ্টিকর্তা শ্বাশ্বত একটি প্রশ্ন হয় তা কি স্পিনোজার মডেলের মত নিরীহ হবে যে সমগ্র বিশ্বকে নিজের অংশ বলে মনে করে কিন্তু শাস্তি বা পুরষ্কারের জন্য নিয়োজিত করে না। নাকি সেই সৃষ্টিকর্তাই সঠিক যার অস্বীকারে কঠোর শাস্তির বিধান, যার দাসত্বে অসীম চিরস্হায়ী দেহসুখের নিশ্চয়তা? নানান ভাবে মানুষ স্হান-কাল-পাত্র ভেদে নিজেদের কে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি নানান কায়দায়।
আইনস্টাইন বলতেন, I am deeply religious non-believer
কেউ বলবে এখনও উত্তর খু্ঁজছি, কোনদিন অবশ্যই পাবো । কেউ গভীরে না গিয়ে গোজামিল কোন তত্ত্বে বিশ্বাস করতে থাকবে। কেউ বলবে উত্তর কোনদিনই জানা সম্ভব হবে না – কেননা সীমিত মগজ, সীমিত জ্ঞান, সীমিত জীবনকাল।
পুনশ্চ: শৈশব থেকে একটি সরল প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেত, ধরা যাক সীমিত জ্ঞানের কারণে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে ব্যর্থ হই, যদি মনে বিশ্বাস আনতে চেয়েও বিশ্বাস খুঁজে না পাই তবে এর জন্য কি ভয়াবহ দন্ড প্রাপ্য হওয়া উচিত? যদি হয় তবে এ যেন কুকুরের মগজে ক্যালকুলাস ঢুকবেনা জেনেও কুকুরকে গণিত অকৃতকার্য বলে উত্তম মধ্যমের সিদ্ধান্ত! “
আপনাদের সবার মতামতই পড়লাম। বিবেকবান এবং বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে এই সমাজে বাস করতে হলে একজন নারী এবং একজন পুরুষের “ড্রেস কোড” কেমন হওয়া উচিত, তা কি আপনাদের মত মুক্তমনারা সংজ্ঞায়িত করতে পেরেছেন? পারলে একটু বলবেন কি?
ধন্যবাদ।
আইভি
@ivy,
আপনার বিবেক নাই? দেখতাছেন না আমরা কেমন বিবেকবাজী কইরা বেড়াইতেসি?
আপনার কি মনে হয়?> আপনার বিবেকে কি কয় আইভী, আমরা জানতে চাই।
জানইয়েন আমাদের
@ivy, for women absolutely NOT borkha or hejab. How is that?
@ivy,
সব কিছুকেই কেন সংগার মধ্যে ফেলতে হবে সেটাই বুঝছিনা। পছন্দ অপছন্দ এই সব বিষয়কে আপেক্ষিক ভাবতে পারেননা? ধরুন আপনার এক বোন আছে। এখন আপনার পছন্দ অপছন্দ আর আপনার বোনের পছন্দ অপছন্দকে কি আপনি এক সংগায় সংগায়িত করতে পারবেন কখনও? পারবেননা। সেক্ষেত্র্রে আপনি কি করবেন…..?? আপনি কোরান খুলে কোরানের সঙ্গার সাথে কার পোষাক খাপ খায় তাই যাচাই করবেন….তাই না?? সত্যিই বিচিত্র স্বাধীন আপনার এই মুক্ত মন।
@ivy, আমি এই লেখাটা উপরের একটা কমেন্টে দিয়েছিলাম, আপনার জন্য আবার দিলাম।
লজ্জার বোধটা সম্পুর্ন একটা সামাজিক বোধ,ব্যপারটা মোটেও মানসিক নয়। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যেকোন ১-২ বছরের বাচ্চাই নগ্ন থাকতে পছন্দ করে। আমরাই তাকে লজ্জার দোহাই দিয়ে কাপড় পরতে বাধ্য করি এবং তার মধ্যে লজ্জার বোধটা গড়ে তুলি। যেমন দেখবেন গ্রামের ছেলে শিশুরা ১২/১৫ বছর পর্যন্ত অবলীলায় সবার সামনে নগ্ন ঘুরে বেড়ায়। সে তুলোনায় শহরের বাচ্চাদের লজ্জা বোধ তৈরি হয় অনেক তারাতারি। কারন গ্রামের মানুষরা ছেলেদের বাচ্চা বয়সের এসব ব্যপার নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়না। এসব বিষয়ে আবার দেখবেন আদিবাসী গোষ্ঠির(যেমন, রেড ইন্ডিয়ান)লজ্জা বোধ কম, বাইরের মানুষের সামনেও তারা বিব্রত বোধ করে না। এমনকি ২-৩ বছরের বাচ্চাদের মধ্যেও যৌন বোধ বর্তমান থাকে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে বাচ্চা ছেলেরা প্রায়শই তাদের সেক্স অর্গানে হাত দিয়ে রাখে। কিন্তু মায়ের বকুনি ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তার মধ্যে ধীরে ধীরে লজ্জার বোধ গড়ে দেয় (ব্যপারটা আমার কাছেও প্রথমে কেমন ভুল ও অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। কিন্তু আমার এক কাজিনের ২ বছর বয়সের বাচ্চা ছেলেকে পর্যবেক্ষন করে আমি ব্যপারটা পরিস্কার হই।)
এই কথাগুলোর প্রধান সারমর্ম আমার না, ফ্রয়েডের। আমি শুধু আমার বোধ থেকে সম্প্রসারিত করলাম। যেমন দেখুন, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে মানুষরা এমনিতে সুন্দর পোশাক পড়ছে,কিন্তু সূর্যস্নানে গেলে শতশত মানুষের সামনেও নগ্ন হতে দ্বিধা করছে না। সুতরাং আমি বলব পোশাক নির্ধারনের বেলায় দেশীয় সাংস্কৃতিকে (ধর্মীয় নয়। কারন ধর্ম আপনাকে গড়ে তোলে না,আপনাকে গড়ে তোলে আপনার দেশের মানুষ,ভাষা,পরিবেশ,পারিপার্শ্বিকতা।) সর্বপ্রথম প্রাধান্য দেয়া উচিত। তারপর যার যার ব্যক্তিগত অভিরুচি, পছন্দ অপছন্দ, কর্মক্ষেত্রের সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি প্রাধান্য পাবে।
ভাইয়েরা বোনেরা, এততত্তওও…. কমেন্ট , এতততত্ত মত দ্বিমত, সাধারণ মানুষকে এগুলা কে বুঝাবে ? কে শুনাবে? তার scope কই? কতজন এই আলোচনা পড়বে?
ইসশশ! যদি এসব কমেন্টের কথাগুলোই যদি বিভিন্ন সামাজিক আলোচনায় বা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে খোলা মনে সবার সাথে আদানপ্রদান করতে পারতাম তাহলে আমাদের ভিতরকার অনেক confusion দূর হত। অনেকের বহুদিনের বহু ভুল ধারণা দূর হয়ে যেতল কিন্তু হায়! আমাদের হাত পা বাঁধা। আমরা সবকিছু যেনেও চেপে যাওয়ার চেষ্টা করি। একটা ভয় , জড়তা কাজ করে আমাদের মধ্য। আমাদের সবার মধ্যে বহু কথা জমে থাকে । কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা, জটিলতার কারণে তা আর প্রকাশ করা হয় না। অদ্ভুত এক সমাজে আমরা বাস করছি। সবকিছু বুঝেও আমরা না বুঝার ভান করছি!
@তৃতীয় নয়ন, ভাইয়া সত্যিই আমাদের হাত পা মোটামুটি বাধা। আমরা চাইলেও সরাসরি তর্ক করতে পারিনা। আসলে আমদের মানুষরা এত বেশি অসহায় যে ওই এক অবাস্তব সত্তা কল্পনা করা ছাড়া আমরা কারো কাছেই ভরসা পাইনা। আমাদের অসহায়ত্বই আমাদের বাধ্য করছে সব বুঝেও না বোঝার ভান করতে।
সামাজিক অনুষ্ঠানে এসব কথা!! মাইর খাওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা নাই!! 🙂
নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের সামনে তাও কিছু অন্তত বলা যায়।
আর এই confusion এত সহজে যাবেনা, কারন আমজনতা কখনো কোন বিষয় নিয়ে সুক্ষ ভাবে চিন্তা করেনা,করতে চায়ও না,শুধুমাত্র যখনই তারা তাদের জীবনের হিসাবে ধাক্কা খায় বা কেউ তার চিন্তাভাবনা গুলোকে নাড়া দেয় তখনই সে গভীরে প্রবেশ করে।
@tanvy,
তৃতীয় নয়নরে কিছু কথা কইছি। আমিও এই চেষটায় আছি
আপনার কি মনে হয়। ভালর পথে সমাজ সংস্কারকে সদা স্বাগত জানাই
বাট প্রিপারেশনটা ভাল হইতা হবে
ব্লগে ফাটাইয়া চরম তৃপ্তি পাইয়া গেলে তো সবাই সেফ হেহে
এই দুনিয়ায় এবং ঐটাতেও (আমার জন্য হেহে)
কথা হবে ক্ষন
@tanvy,
“আর এই confusion এত সহজে যাবেনা, কারন আমজনতা কখনো কোন বিষয় নিয়ে সুক্ষ ভাবে চিন্তা করেনা,করতে চায়ও না,শুধুমাত্র যখনই তারা তাদের জীবনের হিসাবে ধাক্কা খায় বা কেউ তার চিন্তাভাবনা গুলোকে নাড়া দেয় তখনই সে গভীরে প্রবেশ করে।”
চমত্কার বলেছেন।
@তৃতীয় নয়ন,আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে তআই না
আপনাদের চিন্তা ভাবনাকে আমি সবসম্যই স্বগত জানাই, আমাদের মাঝে সামান্যই অমিল আসে
প্রথম টার্গেট হবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা, আদারওয়াইজ আপনি পারবেন না
এই চেষ্টাই চালু থাকুক সবার জন্য
বেস্টাওফ লাক অন দিস
আই আ্যাম অলওয়েজ ইন টাচ
মনে পড়লে আওয়াজ দিয়েন
ভালর জন্য আছি
আমার ভাবনা হল যে- মেয়েদের উপর যদি পরপুরুষের নজর পরতে পারে,তবে ছেলেদের উপরও তো নিশ্চই পরনারীর দৃষ্টি পরে। তাহলে তো ছেলেদেরও বোরখা পরা উচিৎ। …..absolutely right.
@আদিল মাহমুদ
ভাইয়া আপনি ঠিক আমার মনের প্রশ্ন গুলাই তুলে দিয়েছেন। আমি ঠিক এই প্রশ্নগুলোই লিখে ফেলেছিলাম, কিন্তু পোস্ট করার আগেই কারেন্ট চলে যাওয়ায় আর পোস্ট করা হয় নি। প্রায় একই যুক্তিই আমার মাথায় এসেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া। এতো বেশি মিলে গেল কিভাবে আমি এখনো ভেবে পাচ্ছি না!!!
আমার ভাবনা হল যে- মেয়েদের উপর যদি পরপুরুষের নজর পরতে পারে,তবে ছেলেদের উপরও তো নিশ্চই পরনারীর দৃষ্টি পরে। তাহলে তো ছেলেদেরও বোরখা পরা উচিৎ। মেয়েদের সারা শরীর ঢেকে রাখতে হবে,আর ছেলেরা থ্রী-কোয়ার্টার প্যান্ট(নাভির উপর থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত কাপড় পরলেও পুরুষদের ইবাদত হয়) পরে ঘুরলে তাও জায়েজ হবে এ কেমন নিয়ম?
ধর্ম মানার প্রশ্নেও আমি আদিল ভাইয়ের সাথে একমত।
@tanvy,
আমি ব্যক্তিগতভাবে আস্তিক, আমি বিশ্বাসী কিন্তু অন্ধবিশ্বাসী না। তাই যা যুক্তিযুক্ত মনে হয় তাই খোলা মনে বলি। আমার ধারনা বেশীরভাগ ধর্ম্ বাদী মানুষ গুনাহর ভয়ে নিজের সাথে প্রতারণা না করলে একই কথাই বলবেন। আমি নিজেও একসময় তাই ছিলাম। কোটি বছর দোজখে পোড়ার ভয়ে নিজের স্বাভাবিক বুদ্ধি যা ভাল বা উচিত মনে করে না তাকেও অন্ধভাবে সমর্থন করে যেতাম। এখন সেই মানসিক অবস্থার কথা মনে হলে হাসি ই পায়।
ধর্ম কি মানুষ কে কখোন অসত হতে বলতে পারে? আমি বিশ্বাস করি পারে না, তাই আমি সে সব গুনাহর আতংক থেকে মুক্তি পেয়েছি।
আমি জানি টিপিক্যাল মুসলিম যারা বোরখা প্রথা সমর্থন করেন, মনে করেন কোরানে নারী পুরুষ কে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে তারা এইসব কোরানিক আইন অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থে বা অন্য ধর্মের লোকেরা পালন করে দেখলে প্রান ভরে তাদের গালিগালাজ করতেন।
বোরখা জাহেলিয়তের আমলে appropriate ছিল। কিন্তু এই যুগেও? রায়হান সাহেব একবার কোরানের একটা চমতকার আয়াত দিয়ে কোথায় যেন বলেছিলেন; যে কোরান অপরিবর্তনীয় এই কথা ঠিক না। আমার মনে হয় আমরা মোসলমানরা এই আয়াত অনুধাবন করলে এইসব বৃথা তর্কে নামার দরকার হয় না। আমরা মোসলমানদের জন্ম থেকে শিক্ষা দেওয়া হয় যে কোরানের প্রতিটা কথা মানতে হবে, সব যুগে , সব সময়ে, সব দেশে। এর কোন পরিবর্তন চিন্তাই করা যাবে না। এই ধারনার থেকেই যত সমস্যা।
@Adil Mahmood,
আপনার কথা খুবই যুক্তিযুক্ত, আমি সহমত
এই স্টেপটা নিতে পারলে কাম হয়
আপনার লেখাগুলান পড়ন লাগবো বুঝতাসি
@mehedi,
আপনি যে আমার মতামত অবশেষে বুঝতে পারছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমাদের ধর্মবাদীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আমরা নিজেদের গন্ডির বাইরে অন্য কারো কথা শুনতে চাই না। শিশুসূলভ গোয়ার্তুমী দেখিয়ে ধর্মের নামে ছোটবেলা থেকে আমাদের যা কিছু মগজে গেড়ে দেওয়া হইয় তা আকড়ে ধরতে চাই। নিজের স্বাধীন ব্যক্তিসত্ত্বা বা বিবেক কে একেবারে তালা চাবি মেরে রাখি। এর ফলে আমরা এক হাস্যকর dual personality র জগতে বাস করি। ফলাফল হল iedntity crisis. দুই একটা উদাহরন দেইঃ
আজকে যি আমি বাংলাদেশে দাড়িয়ে ঘোষনা দেই যে আসুন আমরা আমাদের মধ্যযুগীয় মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। ফলাফল হবে আমার কল্লার দাম ধরা হবে। যারা অমন কি অতটা করবেন না তারাও কিন্তু আমাকে বেশীরভাগই সমর্থন করবেন না, অন্তত প্রকাশ্যে। অথচ তারা কেউই কিন্তু নিজের ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় দিবেন না, আধুনিক স্কুল কলেজেই পাঠাবেন। বলতে পারেন এই মানসিকতার নাম কি?
স্বীকার করেন আর নাই করেন, কোরানে নাস্তিক, কাফের নাসারা এদের বিরুদ্ধে অনেক যায়গায় ঘৃণা ছড়ানো কথাবার্তা আছে। স্বাভাবিক ভাবে যাদের এত ঘৃণা করতে বলা হয়েছে তাদের থেকে আমাদের শতহাত দূরে থাকা উচিত, তাদের সব কিছুকেই এড়িয়ে চলা উচিত। বাস্তবে কি দেখি? আমরা আজ যে দৈনন্দিন জীবনে আরাম আয়েশে আছি তার মনে হয় ৯৫% আবদানই সেই অতি নিকৃষ্ট নাস্তিক, কাফের নাসারা এদের। যেই মোল্লা এদের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিচ্ছেন তিনি তাদের আবিষ্কার করা মাইক ব্যাবহার করছেন, নাসারা আমেরিকার M-16 বা নাস্তিক রাশিয়ার AK-47 নিয়েই তাকে জেহাদে নামতে হচ্ছে, মধ্যযুগীয় ঢাল-তলোয়ার নিয়ে নয়। এই মানসিকতা কি মতলববাজী না? এতো নাহয় গেল মোল্লা, নেতাদের কথা। সাধারণ মানুশের কথায় আসি। যাকে দেখবেন এই মোল্লাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিয়ে রাজপথ কাপাতে তাকেই কিন্তু দেখবেন আমেরিকান ভিসার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে। সে আইনি বে-আইনি যে উপায়েই হোক না।
এই মানসিকতা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। দায়ী আমরা আম জনতাই, লাদেন জাতীয় অল্প কিছু নেতা মোল্লা না। আমরাই চুপচাপ থেকে এসব নেতা/মোল্লা/মৌলানাদের ধর্মের নামে যা তা জিনিস চাপাতে আষ্কারা দেই। কারন সেই ছোটবেলা থেকে মাথায় গেড়ে দেওয়া গুনাহর ভয়। কি জানি দাড়িওয়ালা জোব্বা আচকান পরা মোল্লা মাওলানাদের মুখের উপর কথা বলে কত কোটি বছর দোজখে পুড়ি! উদাহরন গত দিন দিয়েছি। আজ তালেবানদের বড়ই দূর্দিন, তাই আমরা এ প্রসংগ আসলেই বড় গলায় বলে দিচ্ছি যে আরে ওরা ইসলামের কি জানে, ওরা আসলে তো মুসলমান ই না বা ভুল পথে যাওয়া মুসলমান। অদের সাথে ইসলামের কি যোগ! কিন্তু এককালে এদের সমর্থনেই রাজপথ কাপিয়েছি, সোনার বাংলাকে তালেবান বাংলা বানাবো বলে দৃপ্ত শপথ নিয়েছি।
যেমন ইসলাম বা শরিয়ার নামে কি অমানবিকভাবে মানুষকে নির্যাতন করা হয়, বর্ননা আর নাই দিলাম। এর বিরুদ্ধে কোন ইমাম/মৌলানা তফসিরকারক বা জাকির নায়েক জাতীয় আধুনিক ইসলাম ডিফেণ্ডাররা কোন সাড়া শব্দ করেন না। এদের কোনদিন শুনেছেন ধর্মের নামে প্রকাশ্যে কোন মেয়েকে দোররা মারা খুব বড় অন্যায় বলতে? কিন্তু কেউ এসব উদাহরন দিয়ে ইসলামের সমালোচনা করলেই তারা রে রে করে তেড়ে আসেন। প্রমান করে দেন এইসব ই কাফের নাসারা পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্র। পাশ্চাত্যের মানুষের আর কোনই কাজ নাই, একটাই কাজ, কি করে দুনিয়া থেকে ইসলাম মুছে ফেলা যায় সে ষড়যন্ত্র পাকানো।
এই মানসিকতা থেকে মুক্তি না পেলে নিজেদের অস্তিত্ত্ব নিয়েই টানাটানি পড়বে।
ধর্ম মানেন, কিন্তু কল্পিত বেহুদা গুনাহর ভয়ে না থেকে সাথে সাথে নিজের সুস্থ স্বাধীন বিবেক বিবেচনাবোধ ও ব্যাবহার করেন। তাহলে দেখবেন কোন সমস্যা হচ্ছে না, দ্বি-চারিতায় ভুগতে হচ্ছে না।
ধণ্যবাদ।
মা নামায পড়তে বললে অবশ্যই নামায পড়বেন। মা চোখের সামনে থেকে গেলে ১টা সেজদাহ দিয়েই চালিয়ে নিবেন। শুধু শুধু ধর্মের মত একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই, বাবা-মা আপনাকে ধর্মকর্ম করতে দেখে খুশি হলে তাদেরকে এভাবে খুশি করার চেষ্টা করুন।
আমি সাধারনত ধার্মিকদের সাথে ধার্মিকের বেশ ধরি এবং সমালোচনা সহ্য করতে পারে এমন লোকের সাথেই ধর্ম সংক্রান্ত আলাপ করি। এভাবে সব কূলই রক্ষা করা যায়।
Kreator, বলেছেন -এভাবে সব কূলই রক্ষা করা যায়।
ভাইরে সব কুল রক্ষা করার ইচ্ছা থাকলে তো মুক্তমনায় লেখালেখি করে মানুষের বিরাগভাজন হবার কোন মানে হয় না। সব কুল রক্ষা করেন রাজনৈতিক নেতারা …আমরা তাদের মত নই। তাই আমি বলি – হয়তো কট্ট্রপন্থিদের সাথে কথা বলে লাভ নেই। তবুও সে যদি আমায় আক্রমন করে তবে আমি ছেড়ে কথা বলব কেন? তাহলে সে ভাববে আমার যুক্তি দুর্বল। আর যারা সমালোচনা সহ্য করে তারা বস্তুত জড় পদার্থ। তারা জেনে শুনেও কোন আওয়াজ দেয় না। তাই তাদের সাথে কথা বলা,তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করা পুরোই বৃথা।
কথায় আছে – নির্বাক মিত্রের চেয়ে সবাক শত্রুও ভালো। আপনি যতই তোপের মুখে পড়বেন আপনার যুক্তি ততই ধারালো হবে।
@tanvy,
আমারে রাজনীতিবিদ কইলেন? মাইন্ড খাইলাম 😛
আমি মনে করি কথাটা পুরোপুরি ভুল। এইসব “জড় পদার্থ” এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ভবিষ্যতের নাস্তিক। আমি যখন আস্তিক ছিলাম, প্রথম প্রথম ধর্মের সমালোচনা সহ্য করতে পারতাম না এবং খুবই খেপে যেতাম। পরে সহনশীলতা বাড়াতে বাড়াতে এক বিকেলে আবিস্কার করলাম, স্রষ্টার প্রচলিত কন্সেপটা একদমই ভুয়ো।
একজন মুসলমানকে গিয়ে বলবেন “মোহাম্মদ একটা পিচ্চিকে বিয়ে করেছিলেন, সুতরাং তিনি শিশু-নিপীড়ক” আর মুসলমান সাহেব সাথে সাথে মুরতাদ হয়ে যাবেন, এটা আশা করতে পারেন না। সে সহনশীল হলে আপনার কথাটি মনযোগ দিয়ে ভাববে এবং এ নিয়ে অনেক চিন্তা করবে। পরে বিবেক-বুদ্ধি জাগ্রত হলে তার ভুল বুঝতে পারবে, নইলে তারা apologist রয়ে যাবে। হিযবুত তাহরীর কিংবা তালেবানের চেয়ে apologist রা অনেক ভাল, এরা আর যাই হোক আপনার ঘরের সামনে বোমা ফাটাবে না। তারা নিজেদেরকে মুসলমান মনে করলেও ইসলামের আলোকে তাদের ঈমান খুবই দুর্বল। এদেরকে “জড় পদার্থ” বলা উচিৎ না।
@tanvy,যেইটা বলতে চাচ্ছিলাম সেটা হইল, সমালোচনা আর কম গেনে কথা বলা কিন্তু আলাদা ব্যাপার
আমার লগে করেন না সমালোচনা, লেট্স সী…………
ভালো আসেন
আপনার এই থিওরীটা পসন্ হইছে
@mehedi,
i am posting out a link here 4 u and like to refute the logical argument made by Syed Kamran Mirza.
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=54
please proceed.
আপনি বললেন, খারাপ দিকগুলো তুলে ধরি কারণ আমি মনে করি এগুলো তুলে না ধরলে সমাজে তা বেশ পাকাপোক্ত ভাবে আসন করে নিবে।
কখনো মনে হয় না যে ভালো দিকটা তুলে ধরি, পাছে মানুষের অপকর্মের ভীড়ে ভালোটুকু হারিয়ে যায়? খারাপটাতো থাকবেই, আমাদেরকে সবসময় জ্বালাবে তাই না? খারাপ তাড়ানোর দায়িত্ব আপনার আমার আমাদের সবার। বাট ভালোটা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব কেন নিতে চান না? এইটা দয়িত্বের মধ্যে পড়ে না? নাকি কোন ভাল ছখে দেখেন না? অনেক কঠিন লাগে? কঠিন তো হবেই? এইটা তো স্বাস্হ্য, অসুখ না। ওষুধ খাইয়া সাইড এফেক্ট নেয়ার চেয়ে স্বাস্হ্যরক্ষার নিয়মগুলো মানতে আপনিও চাইবেন, সবাই চাইবে।
আমার কাছে বোরখা নামক পোশাকটি কেমন জানি একটা বন্দিত্ব বলে মনে হয়। এটি পুরুষতন্ত্রের প্রতীক ছাড়া আর কিছুই নয়।
চিন্তা কইরা দেখেন বোরখা খুইলা একজন মহিলা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধ কতখানি কি করতে পারসে
আর চিনতা করেন বোরখা থাকর কারনে মহিলারা কতখানি সুবিধা পাইসে। বোরখা বিরোধী আমরা হইসি কিন্তু মহিলারা চায় না পরতে এইজন্যে, কারণ তাতে কইরা পোলাগো টাংকি মারার সমস্যা হইব, সকালে গোসোলে লাইন দিবার পারবো না………
ধর্মকে পুঁজি করে মানুষ মন্দ কাজ করে” ব্যাপারটা ঠিক মানতে পারলাম না। এটি বহুল প্রচলিত একটি কথা। আসলে ধর্মই মানুষের মানসিকতাকে পুঁজি করে কিছু ফায়দা লোটার দিকে নিয়ে যায় । প্রকৃত ধর্ম কি জিনিষ? ধর্ম purely যদি মানাই না যায় তাহলে তাহলে তা মানুষের জন্য এসেছে কিজন্য?
ভু পুরনো কথা কিন্তু সত্য , অভেলা করতে পারবেন না
ধর্ম পিউরলী মানার জন্যই, মানুষ গাফিলতি কইরা আজকে আমার আপনার মত পাবলিক পয়দা করসে
পরে আরও আলাপ করুমনে, বসে ডাকতেসে
আমারে একটু সদস্য হইবার প্রক্রিটা যদি বলতেন খুব উপকার হইত
@ ভাই mehedi,
পৃথিবী তে ধার্মিক আর অধার্মিক বা নাস্তিক দুই শ্রেনীর মানুষই নানান অন্যায় অবিচার, পাইকারী গণহত্যা করেছে। নাস্তিকরা কিন্তু নাস্তিকতার স্বার্থে এসব করেনি। ধার্মিকরা ধর্মের নামে কিন্তু করেছে। ধর্মের নামে পৃথিবীতে কত মানুষের রক্ত ঝরেছে তার কোন হিসাব কেউ দিতে পারবে? ধর্মকে পুজি করে মন্দ কাজের উদাহারন অসংখ্য দেওয়া যায়। একাত্তরের ইসলাম রক্ষার বীর সেনানী পাক বাহিনী আর তাদের দোষর দেশীয় রাজাকার বাহিনীর কুকর্মের পিছে একটা বড় inspiration ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা, তেমনি গুজরাটে হাজার হাজার নীরিহ মোসল্মান হত্যার পিছেই ছিল একই কারন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে পাকিস্তান/সৌদী আরবে এই ডি।এন।এ র যুগেও ধর্ষিতা নারীকে ধর্ষন প্রমানে ৪ জন পুরুষ স্বাক্ষী হাজির করতে হয়, না পারলে উলটা তাদের নিজেদেরই দোররা, জেল হাজত এমনকি মুতুদন্ডও পেতে হতে পারে। এই জাতীয় উদাহরন দিতে গেলে মহাভারত হবে। এরপর ও কেউ ধর্মকে দায়ী করলে তাকে কতটা দোষ দেওয়া যায়?
ধর্মকে পুঁজি করে মানুষ মন্দ কাজ করে, এই সত্য অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বড়জোর তর্ক করা যেতে পারে যে মানুষ আসলে ধর্মে ব্যাবহার করে খারাপ কাজ হালাল করে। অনেকটা বিজ্ঞান খুব ভাল জিনিস, কিন্তু অপপ্রয়োগের ফলে বিজ্ঞান ও হয়ে উঠতে পারে মন্দ কাজের হাতিয়ার।
বোরখা ভাল না খারাপ তা ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ছেড়ে দেওয়াই ভাল, জোরারুরি না করে। পাশ্চাত্য দেশে বেশ কয়েক বছর আছি। এখানে বোরখা না পরার জন্য কোন নারীর নিরাপত্তার সমস্যা হচ্ছে কখোন মনে হয় নি। অসংখ্য অনুষ্ঠানে, বাসে ট্রেইনে দেখেছি মেয়েরা খোলামেলা বেশে যাচ্ছে, তাদের শরীরে কালো হাতের ছোয়া, শীষ দেওয়া, বা অশ্লীল কমেন্ট অনেকটা বিরল ব্যাপার। আমাদের দেশে নিজের চোখে দেখেছি এর উলটো চিত্র। নিজের বন্ধু যারা ভদ্র সুশিক্ষিত ধার্মিক পরিবারের তাদেরও দেখেছি এসব করতে, এমন কি পরে গর্বের সাথে ফলাও করে বলতেও। সুইডেন, নরওয়ে এসব দেশ ইউরোপিয়ান দেশগুলোর ভেতর ও আরো বেশী খোলামেলা। সেসব দেশে ধর্ষনের হার অনেক কম। তাই বোরখা পরলেও শুধু নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এই ধারনা নিতান্তই ভ্রান্ত। কেউ যদি নিজ থেকে পরতে চান, ভাল কথা, সেই অধিকার তার আছে। কিন্তু ধর্মের নামে তাকে জোর করে পরানোটা জবরদস্তীর পর্যায়ে, অন্যায়। আপ্নাকে কেউ ধর্মের নামে জোর করে বোরখা জাতীয় কিছু পরালে আপনি বাপারটা কিভাবে নিতেন? বিশেষ করে সেই ধর্ম গুরু যদি বলতেন যে, ও তোমার টাঙ্কিবাজীতে অসুবিধা হবে বলেই তুমি মুখ, গা, হাত পা চুল ঢেকে রেখে চলতে চাও না?
খুব চমতকার প্রশ্ন। আমি নিজে যেহেতে ধার্মিক, তাই এ প্রশ্ন বহুবার ভেবেছি, কারন নিজ ধর্মের (ইসলাম) একটু গভীরে যেতেই আবিষ্কার করেছি যে ধর্ম আসলে purely মানা যায় না। তাহলে আমাদের আধুনিক বাংলাদেশ বাদ দিয়ে তালেবানী আগানিস্তান বানাতে হবে। ধর্মবাদীরা যে সত্য কিছুতেই স্বীকার না করে অনেকটা আত্মপ্রতারনার আশ্রয় নেন, তা হল হাজার হাজার বছর আগে নাজিল হওয়া ধর্মের সব কালাকানুন এই যুগে মানা সম্ভব নয়। উদাহরন চাইলে অনেক দিতে পারি। কোরানে বেশ কিছু আয়াত, নিয়ম কানুন আছে যা হয়ত সে যুগে মানাতো কিন্তু আজকের দিনে শুনলে অমানবিক মনে হয়। এ সত্য অস্বীকার করে আমি নিজের সাথে প্রতারণা করতে পারি না।
ছোট বেলার থেকেই শুনে এসেছি যে কোরান শুধুই অন্য কোন ধর্মের মত একটা গ্রন্থ না, এটা পূর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থা। বলতে পারেন, বিশ্বে এমন কোন দেশ আছে যারা ১০০% কোরান মেনে চলে? এমনকি সৌদী, পাকিস্তান, ইরান এরাও? এর উত্তরে কি বলে বসবেন, যে তাইতো আমাদের এই বেহাল অবস্থা?
@আদিল মাহমুদ,পড়াশোনা করেন ভাই, পড়াশোনা করেন
আপনাকেও বোরখার মত কাপড় পরতে বলা হইছে
মানুষের শরীরের কোন ভাঁজ যেন দেখা না যায়
মানুষ, পউরুষ বা মহিলা নয়,
পুরুষদের জন্য শুঢু হাটুর নিচ পর্যন্ত ছাড় আর মুখ খোলা, আদারওয়াইজ কিন্তু সেইম
ইসলাম মাইনা কেউ তালিবান হয় না, ইসলামের ভুল প্রচার, ভুল ব্যাখ্যা করে হয়
ধর্ম মানা যায় না আপনি বললএন কারণ আপনি তা মানতে চান না।
নাইলে এই কথা বলতে পারতেন না
পরে আলাপ করবোনে
@mehedi,
ইসলাম মাইনা কেউ তালিবান হয় না, ইসলামের ভুল প্রচার, ভুল ব্যাখ্যা করে হয়
তালবিান রা ইসলাম এর কােন আয়াতটরি ভূল ব্যাখ্যা কর?ে? Reference সহ বুঝত েচাই।
@mehedi,
ভাইয়া ছেলেদেরকে নিশ্চই বিরাট বিরাট জোব্বা পড়তে বলা হয় নাই? আপনি বলছেন ধর্ম সম্পুর্ন মানা সম্ভব তাইনা?কিন্তু এই ইন্টারনেটের যুগে আপনি পুরা ধর্ম মানেন সেটা আমি বললেও বিশ্বাস করব না। আপনি যদি আপনার প্রতি মুহুর্তের জীবনের দিকে সুক্ষ ভাবে লক্ষ্য করেন তবে দেখবেন অনেক নিয়ম ছুটে যাচ্ছে বা অনেক নিয়ম প্রয়োজনে এড়িয়ে যেতে হচ্ছে।
আপনি কোরান পড়েছেন? মনে হয় না। যদি সত্যি সত্যিই কোরান পড়ে থাকেন তবে দেখবেন সেখানে এমন এমন সব নীতি দেয়া আছে যার অনেক গুলাই মানবিকতার সাথে যায় না(এক কথায় অমানবিক)। ওগুলো মানতে হলে আপনাকে তালেবানের মত ফ্যনাটিক হতে হবে বা সাইকোপ্যথ হতে হবে। বিশ্বাস না হলে কোরানের বাংলা অনুবাদ পড়ে দেখুন(গোঁড়া মন নিয়ে নয়, খোলা মন নিয়ে)।আর সাথে মুক্তমনার ই-বুক আকাশ মালিকের ‘যে সত্য বলা হয়নি’ পড়ে দেখুন।
আর কম যেনে জাকির নায়িকের মত উলটা পালটা থিওরী কপচানোর কোন ইচ্ছা আমার নাই। যারা কম যানে কিন্তু বেশি বলে তারা নিজেদের সুবিধার জন্য নিজেদের মত থিওরী বানায়। আমার সে ইচ্ছা নাই। আমি যা জানি তা বলব আর যা জানিনা তা সোজাসুজি স্বীকার করে নেব।
আর নাভি থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত কাপড় থাকলে নামাজ জায়েজ হয় এ কথা আমার ছোটবেলার হুজুরের কাছে শোনা।পড়ে আরো অনেকের কাছে আমি একই কথা শুনেছি।
আপনি বলেছেন’মানুষের শরীরের কোন ভাঁজ যেন দেখা না যায়’ তাইতো?
তবে আমি বলি,সে যুগে ছেলেদের আন্ডারঅয়্যার ছিলো তাতো জানতাম না?যদি তা নাই থাকে তবে ছেলেদের সব ভাঁজ সব সময় ঢাকা থাকা সম্ভব কি করে হত?
আর লজ্জার বোধটা সম্পুর্ন একটা সামাজিক বোধ,ব্যপারটা মোটেও মানসিক নয়। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যেকোন ১-২ বছরের বাচ্চাই নগ্ন থাকতে পছন্দ করে। আমরাই তাকে লজ্জার দোহাই দিয়ে কাপড় পরতে বাধ্য করি এবং তার মধ্যে লজ্জার বোধটা গড়ে তুলি। যেমন দেখবেন গ্রামের ছেলে শিশুরা ১২/১৫ বছর পর্যন্ত অবলীলায় সবার সামনে নগ্ন ঘুরে বেড়ায়। সে তুলোনায় শহরের বাচ্চাদের লজ্জা বোধ তৈরি হয় অনেক তারাতারি। কারন গ্রামের মানুষরা ছেলেদের বাচ্চা বয়সের এসব ব্যপার নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়না। এসব বিষয়ে আবার দেখবেন আদিবাসী গোষ্ঠির(যেমন, রেড ইন্ডিয়ান)লজ্জা বোধ কম, বাইরের মানুষের সামনেও তারা বিব্রত বোধ করে না।
@mehedi,
কােরানরে আয়াত গুলাে অক্ষর েঅক্ষর েমানত েগলে েয েকউে তালবিান হত েবাধ্য।তুম িনজি েকনে কােরান অক্ষর েঅক্ষর েপালন করনা? কারন তুম িভাল করইে জান, কােরান পুরােপুর িমানতে গলে েতুম ি১০০% রক্ষনশীল হয় েপরব।ে আসল েকােরান ১০০% মনে েচলা কখনই সম্ভব না। তাহল েজীবন স্থবরি হয় েপরব।েসভ্যতার বকিাশরে টুট িচাপা পড়ব।ে
@mehedi,
“পড়াশোনা করেন ভাই, পড়াশোনা করেন
আপনাকেও বোরখার মত কাপড় পরতে বলা হইছে
মানুষের শরীরের কোন ভাঁজ যেন দেখা না যায়
মানুষ, পউরুষ বা মহিলা নয়,”- তাহলে আপনি কি বোরখার মত কাপড় পরে অফিস করছেন? আপনি বলছেন ইসলাম মানলে কেউ তালেবান হয় না। তাহলে আপনি নিজে বোরখাকে সমর্থন করছেন কেন ?এ কি স্ববিরোধিতা নয় কি? তালেবানরাও কি মেয়েদের সেই বোরখাই পরায় নাই? আপনি নিজেই তালেবানদের একটি অনুশাসনকে ইসলামের বলে চালাচ্ছেন তাহলে আপনিই কেন আবার ইসলাম মানলে তালেবান হওয়াকে “ইসলামের ভুল প্রচার, ভুল ব্যাখ্যা ” বলছেন?
সাধারণ মুসলমানদেরই একটা ব্যধি হচ্ছে যখনই ইসলামকে তালেবান বা মৌলবাদি বা উগ্র বলে অভিযুক্ত করা হবে তখনই তারা তীব্র আপত্তি প্রকাশ করে বলবে ” না না! এটা অপপ্রচার , ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা , ইসলাম সম্পর্কে আপনার কোন knowledge নাই, পড়াশুনা করেন ইসলাম সস্পর্কে “। মজার ব্যাপার হচ্ছে পরক্ষনেই তারা নিজেরাই এমন কিছু অনুশাসনকে ইসলামের বলে সমর্থন করবে (যদিও তারা নিজেরা তা মানেনা, কিন্তু বলে ” হ্যা, মানা উচিৎ । মানিনা। গোণাহ হচ্ছে”) যার জন্যই ইসলাম উগ্র ও গোঁড়া হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছিল। এ যেন প্রত্যেক মুসলমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট!
ভাই, মেহেদি! পড়াশুনা করেই মুসলমান থেকে অমুসলিম হয়েছি। যত বেশী পড়াশুনা করবো তত বেশি ইসলামি জীবন ব্যবস্থা আমার নিকট একটি গোঁড়া, রক্ষণশীল, পশ্চাৎমুখি, অনাধুনিক জীবন ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিয়মান হবে। আপনি নিজেই বোরখা সমর্থন করার মাধ্যম প্রমান করেছেন যে ইসলাম গোঁড়া। so আমার আর কিছু বলার দরকার নাই।
ছোট্ট একটা প্রশ্ন, আমার university তে বহু মেয়ে আপনাদের কথিত ” অশালীন , উগ্র , অশ্লীল, ” পোশাক পরে আসে। আমার এখন ইসলামের দৃষ্টিতে কি করা উচিত বলুন তো। কেউ পর্দা প্রথা মানছেনা। আমি এখন ঐ মেয়েদের গিয়ে কি বলবো ” আই , পর্দা করো, বোরখা পরো”?? কেউ তো পর্দা মানছেনা। না মানাটাই আমার কাছে স্বাভাবিক লাগছে। এরপরও যদি অন্ধভাবে আপনার কথা মেনে পর্দা সমর্থন করি তাহলে ব্যাপারটি কি এমন দাঁড়ায় না যে – সারা বিশ্ববাসী জানে, দেখে, বোঝে যে সূর্য পূর্ব দিকে উঠে। কিন্তু আমি নিজেও তা জানা , বোঝা, দেখার পরও যদি বলি “না , সূর্য পশ্চিম দিকে উঠে। এটাই ঠিক। তাহলে কেমন দাঁড়ালো?
ইসলাম যদি ছেলেদেরও পর্দা করতে করতে বলে তাহলে আপনি ঢাকা শহরে বহু থ্রি কোয়ার্টার, হাফ প্যান্ট, শর্টস পরে ঘুরে বেড়ানো ২০-২৫ বছরের
ছেলেদের কেন গিয়ে বলছেননা যে ” ছি ছি কি বেহায়া” ” এসব কি পরেছো? শালীন পোশাক পরো!”?? আমি জানি আপনি কিন্তু ওই ছেলেদের স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই দেখছেন। ওদের কর্মকান্ড আপনার নিকট ইসলামবিরোধী মনে হচ্ছেনা, ওদের পোশাক দেখে আপনার মনে হচ্ছেনা যে ” ইসলাম গেল , ইসলাম গেল”। যতটা আপনার একটি বেপর্দা অথবা শর্টস, থ্রি কোয়ার্টার পরা ২০-২৫ বছরের মেয়ে দেখে মনে হয় ” ইসলাম গেল , ইসলাম গেল” , ” হায় হায় রে কি বেহায়া, কি অশ্লীল” !
@mehedi,
ভাই আপনি তো মহাব্যাস্ত মানুষ, কথা ঠিকমত না বলেই চলে যান। একটু সময় নিয়ে আমাদের জ্ঞান দেন।
ভাই, জানেন, যতদিন পড়াশুনা করিনি, শুধু ঈমাম মৌলানাদের কথা আর হাদীস কোরানের বই কোন মানে না বুঝে পড়েছি ততদিনা আম্র কোন সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছে একটু মানে বুঝে পড়াশুনা করতে গিয়ে।
আচ্ছা, আপনি তো বেশ ইসলাম বিষয়ে জানেন বলে মনে হয়, বলতে পারেন নারীর বোরখা বা পর্দা আসলেই কি? বা ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে? এ বিষয়ে বড় বড় ইসলামী পন্ডিতদের নিজেদের মাঝেই তর্ক বিতর্ক আছে, জানেন কি? আপনি চাইলে দেখতে পারেন। যে আইন আসলে কি তা নিয়ে নিজেদের ভেত্রেই বিস্ত্র মতভেদ আছে তা নিয়ে জোরাজুরি করাটা কতটা যুক্তি সংগত?
Pure ধর্ম আসলে কি? ইসলামের কতগুলি ভাগ আছে জানেন তো? এর কারন কি? কার টা ঠিক আর কারটা বেঠিক কে ঠিক করবে?
পুরুষের বোরখা আছে আমিও জানি। আমি তা সমর্থন ও করি। আমি মানসিক রোগী না যে নগ্ন হয়ে থাকা সমর্থন করব। আমার বিশ্বাস এমনকি ঘোর নাস্তিকরাও তা করবেন না। এর কারন ধর্মীয় না, স্রেফ মানবীয়। যেমন আপনাকে যদি ইসলাম না বলত যে চুরি করা খারাপ তাহলেই কি আপনি বিনা দ্বিধায় চুরি শুরু করতেন? বোরখা না পরার মানেই উলংগ হয়ে রাস্তায় ঘোরা না। শালীন পোষাক বোরখা ছাড়াও ভালভাবেই পরা যায়। আমার ধারনা আপনি নিজেও ভালই জানেন। কিন্তু গুনাহর ভয়ে স্বীকার করবেন না। পাশ্চাত্য বাদ দেন, আমাদের বাংলাদেশের ই বা কয়টা মেয়ে বোরখা পরে? তাদের সবাইকেই কি আপনার অশালীন মনে হয়?
মুশকিল হল, বোরখা প্রথায় নারী ও পুরুষে আকাশ পাতাল বিভেদ আছে। যেমন টি সনাতন ইসলামে আরো অনেক বিষয়ে আছে।
আপনি কিন্তু আমার কথার সরাসরি জবাব দেন নি। আপনাকে কেউ জ্জোর করে ধর্মের নামে কি শীত কি গ্রীষ্মে মুখ বন্ধ হাত পা ঢাকা শুধু চোখ খোলা বোরখা পরালে আপনি ব্যাপারটা কিভাবে নিতেন? দেখেন, আমিম কিন্তু বলছি না যে বোরখা খুবই খারাপ, পরা যাবেই না বা বোরখা পরা মানেই মহা ভারত অশুদ্ধ। আমি কিন্তু জোর দিচ্ছি ধর্মের নামে জোর করে বোরখা পরানোর কালচার টা কে। ধর্ম না জোর জবরদস্তি করতে কড়াভাবে মানা করে?
তালেবানরা ধর্ম বিরোধী হলে আমাদের ইসলামী দেশগুলোয় তাদের এত সমর্থন কেন? কোন ইসলামী দেশ তাদের শাসনের প্রতিবাদ করেছিল? কে কে? আমাদের দেশে কোন মোল্লা ঈমাম সাহেব যারা যে কোন ছূতায় জংগী মিছিল করেন তারা মিছিল দূরে থাক, সামান্য প্রতিবাদ করেছিলেন? একজনও বলেছিলেন যে তালেবান শাসন আসলে ইসলাম বিরোধী? হয়েছিল তো ঊল্টা। ঢাকার রাজপথ ওনারা হাজার হাজার মানুষের সাথে গরম করেছিলেন বাংলা হবে আফগান করার জ়েহাদী শপথ নিয়ে। দয়া করে অন্ধ সেজে নিজেকে হাসির পাত্রে পরিণত করবেন না।
ধর্ম মানতে আমার কোন অসুবিধা নেই। তবে আপনার কথাই ঠিক, আমি ধর্মের নামে নিজের বিবেকের বাইরে নামে যা তা মানি না। আল্লাহ মানুষ কে শ্রেষ্ঠ জীব করেছেন নিজের বিবেব বুদ্ধি খরচ করে চলার জন্য। অন্ধভাবে কোথায় কি লেখা আছে শুধু তাই পলান করতে না।
ভাল থাকবেন।
@তৃতীয় নয়ন ,
আমি তো বললামই, যে ইসলামের ভউল ব্যাখ্যা আর সুবিধাবাদী মানুষের অপকর্মই আজ আপনার আমার মত পাবলিক তইরি করছে। আমরা ইসলামের নলেজ নেই, নিয়া ভুল বুঝি এবং সবাইরে সেইটা বুঝাই। আপনার সমস্যা হইল আপনি ধর্ম মানেন না তাই মাইনষে কোনটা না মানলো সেইটা এবং কোনটা মানবতাবিরোধী সেইটা খুইজা বাইর করেন, এইটা স্বাভাবিক কারণ এইটা মানব ধর্ম, আমরা জোব্বা পরি না, মেয়েরা বোরখা না পড়লে চিল্লাই, জোব্বা না পড়ায় কি আমাদের পুণ্যি হইতাসে? তা কিন্তু না। ছেলেরা হাফ প্যান্ট পড়ে, আমরা কিছু বলি না, এতেও কিন্তু আমাগো বা ঐ ছ্যাড়াগো পুণ্যি হইতাছে না, পাপই হইতাছে।
আপনার ইউনিভার্সিটিতে যতগুলা মেয়ে আপনার কথিত অশালীন পোষাক পড়ে তার থেকে বেশী মেয়ে কিন্তু বোরখা অথবা ভদ্র পোষাকে আসে।
আপনি কেন গিয়া বলবেন যে বোরখা পড়?
আপনিই তো বললেন যে ইসলামে জোরজবরদস্তি মানা। আমাদের কাজ তাদের নলেজে দেয়া যে কোনটা করা উচিত আর কোনটা না।
বর্তমান যুগ আর আধুনিকতার সাথে চলার জন্য আমরা আমাদের শালীন লেবাস খুইলা ফেলসি। আপনি বলেন যে একটা মানুষকে (ছেলে বা মেয়ে) কম কাপড়ে বেশী ভাল লাগে না বেশী কাপড়ে?
পাশ্চাত্যে মেয়েরা কম কাপড়ে ঘুরে……….ভাই আমরা এই কথা এতো বেশী ক্যান বলি জানেন? কারণ আমরা এইটাই দেখতে চাই। ঐখানে কিন্তু মেয়েরা ভদ্র পোষাকেই বেশী ঘুরে। নট ইন দ্য মিনিজ।
মানুষ কি বলে সেইটা তো বাদ দিলাম, আপনি কি বলেন সেইটা ইমপরট্যান্ট
আপনি কি চিন্তা করেন সেইটা ইমপরট্যান্ট।
@adil mahmood
আপনার কথায় যুক্তি আছে। গোনাহের ভয় আমার নাই। যেটা সত্য বলে আমার বিবেক সায় দেয় সেটা মানতে আমি অপারগ না। এখন কথা হইতেসে বিবেকটা তো সামাজিক ও ভৌগলিক বেড়াজালে আটকানো তাই না?
বোরখা ছাড়াও অবশ্যি শালীনভাবে থাকা যায়, এইটা আমাদের বিবেক বলে, মানলাম কিন্তু ধর্ম তো সামজিক ভোউগলিক বেড়াজালের উর্দ্ধে। আজ আমি আপনি সৌদীতে পয়দা হইতাম,তাইলে বিবেক অন্য কথা বলত, আমেরিকায় পয়দা হইতাম তো বিবেক যে কি কথা বলত!!!
এইদেশে পয়দা হইছি তাই হয়ত এইগুলা বলি
ইসলামের উদ্দেশ্য তো এইটা ছিল না……….খেয়াল কইরেন।
সবখানে একই নয়ম থাকার কথা ছিল, আমারে তো এখন সবার গোঁয়ার মৌলবাদী মনে হইব। মৌলবাদ মানে জানেন? একদম মূলে যা আছে তাই খুইজা বাইর করা।
আমাদের কাছে তো মৌলবাদের ডেফিনিশান আলাদা। ইভেন মাঝে মাঝে আমার কাছেও।
আমার নলেজ আসলেই অনেক কম। আরও বাড়াইতে হবে বুঝতেসি।
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ, আমার মত একজনরে অনেক গুরুত্ব দিসেন, অনেক ভালো মন্দ কথা কইছেন।
Prio lekhok
Toronto te eakhon dirgho bikel, summer cholse, ami apanr lekha ta pore eaktu janala diea byre takalam. Apnar lekha valo monddo kotha na tule borong eata boli je apni khub shohoj kissu proshono tule doresen, ami nijeo onekdin MM te likhi, koekdin holo vabsi eaktu likhbo, apnar lekha eabong pathoker eatto monttobo pore vision valo laglo, mone holo eakhono tahole MM onekey pore. Ami MM er shate jorito manush der ke abar thanks dicci. Eabar apanr proshonge asi- apnar progotir kotha, mukttomoner kotha– asole ki mone hoy apnar je iccha korley manush mukttobudhir chorcha ta korte pare? Amra ki sottiy kono change ante chay? change er jonno to prothome apnar bortomna kathamo ta ignore korte hobe , eata ki eatto soja? Taslima kintu prothom kostto peasilo or baba/ ma /bahi/bon der kas thake, tar mane, amader khub kaser manushray kintu amader sobchey boro badha. Biswas koren apni? BD te jodi protita poribar prothome tar baba/bhai/chele o swami’r bishoygulo(valo+mondo) niea kotha bole,problem slove korte chay tahole ki social systemgulo tikbe? BD te eakta research e dekha gese je 60% marride person prostitution e asha jaoua kore, apnar ki mone hoy eay kotha jodi ami apni jore jore boli society amader ke fuler mala porabe?jodi eay sotto sikar kori tahole ki bola uchit je biea namok kono social system kaj kore somaje? earokom onek proshono kora jabe, kintu possitive dik hocce ajke society te kothagulo allchona kora jacce, mansuh issue gulo raise korse, apni kothagulo lekhar motto eakta site o peasen, tar maney sob poribesh e thekeo manush samne egguche, somaj evabey egube. Apni aro likhun, eabong practice ta apanr ghor theke suru korun, dekhben change asbey.
Apnar sabolil lekhar jonno thanks.
luna shirin
@luna shirin,@tanvi
পুরা লেখাটাই পড়লাম, কমেন্টস্গুলোও
আপনারা সবাই মানুষের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরেছেন, মানুষ এইটা করে, ঐটা করে….বুঝলাম
আপনারাও মানুষ………।আপনারা কিছু করেন না?
লেখক বললেন যে কোনো একজনের সাথে য়াহু চ্যাটে আলাপে তিনি শুনছেন যে মহিলারা বোরখা পরবে, মুসলিম মহিলারা বোরখা পরবে, এইটা তার ভালো লাগে নাই। মেয়ে মানুষের শরীর না দেখলে তার ভালো লাগে না, আর উনি বলতেসেন মুসলিমরা এই করে ঐ করে, আরে ভাই আপনি কি কোন দিন ডেটিং সাইটে ঢুকেন নাই, কোনো মাইয়ারে অফার দেন নাই, নাকি যুক্তিবাদ আপনার পুরুষভাব কমাইয়া দিসে, কোনটা। মাইনষেরে যেই দোষগুলা দিতেছেন এইগুলান তো আপনার আমার সবার মইধ্যে আসে রে ভাই। এইগউলান থাইকা তো মানুষের মুক্তি নাই।
আপনি যে ক্যটা ভালো কথা বলবেন ষেই কয়টা কথা যদি ইসলামে আগেই বলা থাকে খাকে তার পরেও ।
কেন আমাদের এইরাম চিল্লাচিল্লি এইটা বুঝি না
লেখক বললেন, “যেন ইসলাম এক মহার্ঘ্য। তাকে ধরা যাবে না। ছোঁয়া যাবে না। তাকে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। অনেকে অকথ্য ও হিংস্র ভাষায় আমাকে আক্রমন করে। ”
ইসলাম ডীপ ফ্রীজে রাখার জিনিস না, এইটা আপনিও জানেন আমিও জানি, কোন ধর্মই ডীপফ্রীজে রাখার জন্য তইরি হয় নাই। ধর্ম হইতেসে প্র্যাকটিস। আর যেহেতু ‘ব্যধিই সংক্রামক, স্বাস্হ্য ন্য়’,
আমরা কিসে বেশী আকৃষ্ট হই আর কি নি্যে চ্যচামেচি করি সেইটা আমাদের থেকে ভালো তো আর কেউ জানে না। মানুষ খারাপ, মানুষ ধর্মকে পুজি করে মন্দ কাজ করে, বাট ধর্মতো প্রতিষ্ঠিতই হইছে মানুষের কল্যাণে।
আপনাদের সব অভিযোগ সত্যি, কিন্তু অভিযোগ কইরা আর ধর্ম উঠাইয়া দাও এই কথা ফাটাইলেই কি সমাধান হবে?
যাদের এক্সপ্লয়টেশনের কারণে আপনারা ধর্মবিরোধী তারা কি ধর্মের সাথে শেষ হয়ে যাবে?
হলফ করে বলতে পারবেন?
পারবেন না। যে আপনারে ন্যুড ফডু পাঠায় সে চিরজীবনই মানুষএর সাথে এই কাজ করে যাবে, আপনার ধর্ম থাকা না থাকার সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই
মানুষ যা বিশ্বাস করে, সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সফল পরিবরতন আনা সম্ভব,যেমনটা আপনি চান, সেই বিশ্বাস ভেংগে দিয়ে আপনি কিছুই পাবেন না, এইটা আমি লিখে দিতে পারবো। ভালোটা দেখে ভালোটা বলতে হবে, খারাপটাই যদি সবসময় তুলে ধরেন তাহলে তো পারবেন না।
মানুষের মানা না মানার সাথে তো ধর্ম বদলাইয়া যাইব না। ধর্ম যা বলবে সেটা ঠিক, কারণ সেটা ঠিক, আপনিও জানেন, ইসলামের বিরুদ্ধে তো যাইতেই পারবেন না, বাকীগুলা নিয়ে আমার আগ্রহ নাই, ঐগুলানে অনেক কিসু আসে তর্ক করনের মত।
@mehedi,
খারাপ দিকগুলো তুলে ধরি কারণ আমি মনে করি এগুলো তুলে না ধরলে সমাজে তা বেশ পাকাপোক্ত ভাবে আসন করে নিবে।
“মেয়ে মানুষের শরীর না দেখলে তার ভাল লাগে না” – আসলে ব্যাপারটি তা নয়। আমার কাছে বোরখা নামক পোশাকটি কেমন জানি একটা বন্দিত্ব বলে মনে হয়। এটি পুরুষতন্ত্রের প্রতীক ছাড়া আর কিছুই নয়। আদমের বিবি হাওয়া নিষিদ্ধ ফল খেয়ে সেই যে আদি পাপ করেছিল, নারীরা বোরখা পরে তার যেন প্রায়শ্চিত্ত করছে। সে যেন এক নিষিদ্ধ প্রাণী। জন্মই তার আজন্ম পাপ। তাই আজন্ম তাকে অবরোধের মধ্যে থাকতে হয় !
আমি যার কথা উল্লেখ করেছি সে কোন মেয়েকে কি অফার দিল তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নাই। কিন্তু সেই আবার ধর্মের কাছে আপষ করবে ব্যাপারটি আমার কাছে ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি ।ডেটিংই যদি করবা তাহলে আবার বোরখার মত মধ্যযুগীয় একটা ব্যাপারকে কেন মেনে নিবা? একদিকে মডার্ন হবে আরেকদিকে প্রথাগত সংস্কার মনের মধ্যে পুষে রাখবে এটা আমার কাছে অসহ্য।
ইসলাম অবশ্যই ডিপ ফ্রিজে রাখার জিনিষ। অন্তত মুসলমানদের কাছে তাই। কারণ ইসলাম নিয়ে টু শব্দ উচ্চারণ করলে তারা গলা চেপে ধরে। গঠনমুলক সমালোচনা তারা সহ্য করতে পারে না।
“ধর্মকে পুঁজি করে মানুষ মন্দ কাজ করে” ব্যাপারটা ঠিক মানতে পারলাম না। এটি বহুল প্রচলিত একটি কথা। আসলে ধর্মই মানুষের মানসিকতাকে পুঁজি করে কিছু ফায়দা লোটার দিকে নিয়ে যায় । প্রকৃত ধর্ম কি জিনিষ? ধর্ম purely যদি মানাই না যায় তাহলে তাহলে তা মানুষের জন্য এসেছে কিজন্য?
ধর্ম মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি ব্যতীত আর কিছুই করতে পারেনি। ধর্মের ইতিহাস রক্তাক্ত। ধর্ম কখনোই মানুষের মনকে উদার করে না। ধর্ম সর্বদা সমাজকে রক্ষণশীলতা ও গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সমাজরাষ্ট্র তাই প্রমান করে।
@mehedi, ভাইরে আপনি শুধু ভালো মত চিন্তা করে দেখেন যে ধর্ম বদলাইসে না বদলায় নাই। আপনি আপনার প্রতিদিনকার জীবন যাপনের রীতি খেয়াল করলেও বুঝবেন যে বেচে থাকার জন্য আমাদের অনেক কিছুকেই সময়ের সাথে বদলাতে হয়েছে। আমরা বলি বদলায়নি। কিন্তু বদলানোর কাজ টুকু আমরা নিজেরাই করি,অগোচরে।
আর আপনি নিজেই ইসলামকে ডীপ ফ্রীজে রেখে দিয়েছেন। নয় কি? যে বস্তুর ভুল ভ্রান্তিতেও সমালোচনা করা যাবেনা তা একটা প্রস্তর খন্ড বৈ আর কিছু না। প্রস্তর খন্ডের গায়ে হাতুড়ি চালিয়ে তার রূপ পরিবর্তন করলে তারপর তা ব্যবহার করা যায়। এর আগে তা রীতিমত অপ্রয়োজনীয়।
বিশ্বাস ভাঙ্গা আর গড়া এটা সেকেন্ডের ব্যপার। আজকে যে বিশ্বাস আপনার আছে তা আর এক মুহূর্ত পরে যে থাকবে এর কোন গ্যারান্টি আদৌ কি আপনি দিতে পারবেন? সুতরাং ‘বিশ্বাস’ শব্দটাই আমার কাছে এক ধরনের প্রতারনা মনে হয়। হ্যা, তবু মানুষকেই বিশ্বাস করতে হয়। কারন মানুষের সাথেই আমাদের পথ চলতে হবে। তাই মানুষকে বিশ্বাস করে সুযোগ দিতে হয়। কিন্তু আমি কেন কোন অবাস্তব,অতিপ্রাকৃত সত্তায় বিশ্বাস করব? আমি কি ভূত-পেতনি বিশ্বাস করি? অবশ্যই না। হ্যা ভূত পেতনি ও বিশ্বাস করতাম এবং সেটা শুধু আমার অসহায়ত্বের জন্যই।
@mehedi,
‘ধর্মতো প্রতিষ্ঠিতই হইছে মানুষের কল্যাণে’
বিশ্বে যতগুলো ধর্ম প্রচলিত আছে সেগুলো কিন্তু একেক সময়ে একেক জায়গায় আবির্ভূত হয়েছে। ধর্মীয় বই গুলো একটু বিশ্লেষন করলেই বোঝা যাবে এই ধর্ম বই গুলো শুধুমাত্র স্ব স্ব উত্পত্তি স্থানের ততকালীন সংস্কৃতিকেই প্রতিপালন করছে। এখন দেখি ধর্ম মানুষের কিভাবে কল্যান সাধন করে? ইসলাম ধর্ম নিয়ে যেহেতু কথা হচ্ছে তাই এটা নিয়েই আলোচনা করা যাক। ১৪০০ বছর আগে ইসলামের জন্মের সময় তত্কালীন আরব সমাজ কেমন ছিল তা আমরা সবাই জানি। পুরুষরা মেয়েদের মনে করত সেক্স মেশিন। ব্যভিচার, ধর্ষন এসব ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তো এমনি সময়ে ইসলাম আবির্ভূত হয়ে মেয়েদের পর্দা করার নিয়ম করে দেয় যাতে করে মেয়েদের অঙ্গ দর্শনে পুরুষেদের খারাপ পথে যাবার কোন চান্সই না থাকে। অতি উত্তম ব্যাবস্থা।
কিন্তু সমাজ, সংস্কৃতি তো আর স্ট্যাটিক নয়। এটা ডাইন্যামিক। পরিবেশের পরিবর্তন আর মেধা এবং মননের নিবিড় অনুশীলনে ১৪০০ বছরের আগের সংস্কৃতি তিল তিল করে আজ আমুল বদলে গেছে। আল্লাহ্ বোধ হয় নিজেউ জানতেন না যে এই ইউনিভার্সের
living nonliving প্রত্যকটি ম্যাটার, প্রত্যকটি সমাজ ব্যবস্থা এবং তাদের সংস্কৃতি পরিবেশের সাথে কালের বিবর্তনে বিবর্তিত হয়। জানলে ইসলামকে মানব জাতির জন্য পূর্ণাংগ জীবন বিধান বলতেন না যা চিরন্তন। আর এ যেখানে জীবন কাঠামোই চিরন্তন নয় সেখানে জীবন বিধান কিভাবে চিরন্তন হবে? তাই ইসলামের যে আইন ১৪০০ বছর আগে ছিল মানুষের জন্য কল্যানকর তা আজ বোঝা স্বরূপ। হতেই হবে। কোন আইন ই চিরন্তন নয়। আরকটু খোলাসা করে নিচে বলছি-
মানুষের নৈতিকতার উত্স কোথায়?? আস্তিকরা অবধারিতভাবেই মনে করে যে, ধর্ম বই গুলো এর উত্স। িকন্তু ভূল। মানুষের নৈতিকতার উত্স হল তার বিবেক। মানুষের বিবেক কারো অধীন নয়। সে সম্পূর্ণ প্রভাব মুক্ত হয়ে চিন্তা করতে সক্ষম। সে যুক্তি দিয়ে তর্ক করে ভালো আর মন্দের মধ্য পার্থক্য করতে সক্ষম। আজকের এই যুগে যদি কোন মেয়ে মনে করে যে, বোরখা প্রথা তাদের জন্য একটা অবমাননাকর বোঝা বা শিকল স্বরুপ তাহলে কি তাকে দোষ দেয়া যাবে?? ইসলামে নিয়ম আছ েয,ে পায়রে পাতা থকে মাথার চুল অব্দ িঢকেে রাখত েহব।ে এখন বর্তমান যুগরে পুরুষ জাতরি প্রত িআমার প্রশ্ন- ময়েেদের পায়রে পাতা, হাতরে কব্জ,ি মাথার চুল এগুলা দখেেল ক িতাদরে বশিষে অংগ েসাড়া পড়?ে?
যদ িনা পড়,ে তব েয েপর্দা প্রথাট ি১৪০০ বছর আগ েছলি একট িউত্তম ব্যবস্থা, তাহাই আজ সময়রে ববির্তন েআস্তাকুড় েনক্ষিপেযােগ্য- তাই নয় ক?ি? আর সময়রে তো একটা প্রভাব আছইে। সাথ েআছ েস্থান ভদেে মানসকিতার ভন্নিতা। যদ িএকট িঅর্ধনগ্ন ময়েেকে বাংলাদশেের রাস্তায় এন েছড়েে দয়ো হয়, তব েচারদিক ের ের েপড় েযাব।ে আরও কত কছিু য েহব!ে! অথচ কাফরেদরে দশেে আমরেকিায় গলেে কন্তিু পরস্থিতি ভন্নি। সখোন েহরহামশোই রাস্তায় স্বল্পবসনা ময়েেরা ঘুড় েবড়োচ্ছ।ে অথচ ছলেেরা কন্তিু দ্বীতয়িবার তাদরে দকি েফরিওে তাকাচ্ছনো। আশ্চর্য ঐ কাফরেদরে দশে েকন্তিু ধর্ষনরে হার আমাদরে দশেের থকেে বহুলাংশ েকম।
এই যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য, এর জন্য বহুলাংশে ঐ আইন গুলো দায়ী যাকে চিরন্তন বলে ঘোষনা করা হয়েছে। এই আইন গুলোই তো আমাদের মত মুসিলম প্রধান দেশে মেয়েদেরকে এত হীন ভাবে দেখতে শিখিয়েছে। কিন্তু ট্র্যাজেডি হল, আমাদের দেশের মেয়েরা এই বাস্তবতা কে মেনে নিতে মানসিক ভাবে ভীত। বোরখা প্রথা মেনে না চললেও তারা এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভয় পায়। কারন ইসলামের মূলনীতি হল- প্রশ্নহীন বিশ্বাস। যে এর অমর্যাদা করবে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। এখানেও আমার কিছু কথা আছে-
মানুষ হল সৃষ্টরি শ্রষ্টে জীব যার যাত্রা অন্তহীন বকিাশরে পথ।ে ডারউইনরে বিবর্তন তত্ত্ব এর মূলনীতইি হল সারভাইভাল ফর দা ফটিস্টে। মানুষরে কল্পনা করার শক্ত িঅসীম কন্তিু তা একটা সীমাবদ্ধ গন্ডরি মধ্য থকেে। লক্ষ্য করল েদখো যাব েয েমানুষ নজিরে অভজ্ঞিতা লব্ধ জ্ঞানরে বাইর েআর কছিুই চন্তিা করতে পারনো। এই সীমার মধ্যেই স েযুক্ত িখোজ,ে প্রশ্ন কর,ে গ্রহনযোগ্য উত্তর না পলেে আবার প্রশ্ন কর-ে এভাবইে তার চন্তিা জগতক েবকিশতি কর।ে এখন যে ধর্ম গুলো মানুষক েপ্রশ্ন করার স্বাধীনতা দয়েনা, স্বরৈাচারীর মত চাপয়ি েদয়ে শুধু যুক্তহিীন অন্ধবশ্বিাস, সইে ধর্ম মানবজাতরি বকিাশ েকােনধরনরে ভূমকিা রাখত েপার েস েবষিয় েআমার কৌতুহলরে উদ্রকে অনবিার্য।
‘আপনি যে ক্যটা ভালো কথা বলবেন ষেই কয়টা কথা যদি ইসলামে আগেই বলা থাকে খাকে তার পরেও ।
কেন আমাদের এইরাম চিল্লাচিল্লি এইটা বুঝি না’
হ্যা, এটা অনস্বীকার্য য ধর্ম েভাল কথাও প্রচুর আছ।ে সগেেলা অবশ্যই অনুকরণীয়। কন্তিু তার মানে এই নয় যে কােনটা ভাল আর কােনটা মন্দ তা বােঝার জ্ঞান ধর্মই মানুষক েপ্রথম দয়িছেে। মানুষ সময়রে ববির্তন েনজিরে মধো আর মননরে পরচির্যার মাধ্যম েপ্রকৃত িথকেে এই জ্ঞান রপ্ত করছে।
“মানুষের মানা না মানার সাথে তো ধর্ম বদলাইয়া যাইব না।”
হুম, একদম ঠকি। ধর্ম কােনদনিও বদলাবনো। আর এ বশ্বিাস ই যদ িবদল েযায় তব েবশ্বিাসরে মর্যাদা কোথায়!! ধর্ম য অবস্থান েছলি আজও কুয়ার ব্যঙের মত সখোনইে আছ।ে মানুষ এগয়ি েযাব েহাজার হাজার বছর, আর ধর্ম পর েথাকব েসইে কুয়াতইে।
“ধর্ম যা বলবে সেটা ঠিক, কারণ সেটা ঠিক, আপনিও জানেন, ইসলামের বিরুদ্ধে তো যাইতেই পারবেন না”
ধর্ম যা বলব েতাই ঠকি-কোন যুক্তবিাদী মানুষ এই চরম illogical irrational nonsense কমন্টেট িহজম করত েপারনো। ইসলামরে ridiculous আয়াত গুলোর বরিুদ্ধ েসবাই যতেে ভয় পায় কারন একমাত্র দােজখরে অন্ধ ভয়। এ এমনই এক ভয় যা প্রায় ভূমষ্ঠি হবার পর থকেেই তলি েতলি েপ্রতটিি মুসলমানরে রক্ত েমগজ েঢুকয়ি েদয়ো হয়।
“আপনাদের সব অভিযোগ সত্যি, কিন্তু অভিযোগ কইরা আর ধর্ম উঠাইয়া দাও এই কথা ফাটাইলেই কি সমাধান হবে?
যাদের এক্সপ্লয়টেশনের কারণে আপনারা ধর্মবিরোধী তারা কি ধর্মের সাথে শেষ হয়ে যাবে?
হলফ করে বলতে পারবেন?”
আমারও তাে একই প্রশ্ন। ধর্ম তাে বহাল তবয়িত েএখনও আছ,ে আর সাথ েসাথ েএক্সপ্লয়টশেনস ও তাে চলছ।ে তো ধর্ম কােন ঘােড়ার আন্ডাটা পাড়ছ?ে?
“ধর্ম হচ্ছ প্র্যাকটসি”
হ্যা, এটা সইে ধরনরে প্র্যাকটসি যা একটা নর্দিিষ্ট সময়রে অধীন েএকটা নর্দিিষ্ট গন্ডরি culture এ মানুষক েআবদ্ধ রাখত েচায়।
“মানুষ যা বিশ্বাস করে, সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সফল পরিবরতন আনা সম্ভব,যেমনটা আপনি চান, সেই বিশ্বাস ভেংগে দিয়ে আপনি কিছুই পাবেন না, এইটা আমি লিখে দিতে পারবো।”
ধর্ম বইয়ে যেধরনরে বশ্বিাসরে কথা লখো থাক,ে সইে ধরনরে বশ্বিাসক েকাজ েলাগয়ি েআসলইে ক িকােন পরবির্তন সম্ভব?? ধর্ম বইয়ের বশ্বিাস তাে যুক্তবিাদী মানুষরে মনক েপ্রশ্ন করার নষিধোজ্ঞায় শৃঙ্খলতি কর েফলেে। এত েপরবির্তন তাে দূররে কথা, য েতমিির েবাস সইে তমিরিইে মাথা কুট েমরার মত হব।ে এই বশ্বিাস ভঙ্গেে দয়ি েয েকছিু পাওয়া যাবনো তা আমার মন েহয়না। অন্তত মানুষ তার সভ্যতার ইতহিাসরে সবথকেে ঘৃণ্যতম শৃঙ্খল থকেে মুক্ত িপাব।ে
ধর্ম হয়তবা প্রতষ্ঠিিত হয়ছেলি কল্যানরে নমিিত্তইে। কন্তিু হাজার হাজার বছর আগরে নয়িম যদ িআজও বহাল রাখার চষ্টো করা হয় তব সটো ক িধরনরে কল্যান বয় েআনব?ে?পরশিষেে আবারও বলত েচাই- মানুষরে ভাল মন্দ চতেনার উত্স তার ববিকে।
কোন ধর্ম বই নয়। তাই ধর্মক েআকড় েনা থকেেও সুস্থ, স্বাভাবকি, ন্যায়পরায়ন, ববিকেবান, রুচশিীল, মানবতাবাদী সত্তকিাররে মানুষ হসিবেে নজিকেে গড় েতােলা যায়।
sorry readers,
i m facing a problem with bangla type.
please read my comment with necessary correction.
@mehedi,
‘ধর্মতো প্রতিষ্ঠিতই হইছে মানুষের কল্যাণে’
বিশ্বে যতগুলো ধর্ম প্রচলিত আছে সেগুলো কিন্তু একেক সময়ে একেক জায়গায় আবির্ভূত হয়েছে। ধর্মীয় বই গুলো একটু বিশ্লেষন করলেই বোঝা যাবে এই ধর্ম বই গুলো শুধুমাত্র স্ব স্ব উত্পত্তি স্থানের ততকালীন সংস্কৃতিকেই প্রতিপালন করছে। এখন দেখি ধর্ম মানুষের কিভাবে কল্যান সাধন করে? ইসলাম ধর্ম নিয়ে যেহেতু কথা হচ্ছে তাই এটা নিয়েই আলোচনা করা যাক। ১৪০০ বছর আগে ইসলামের জন্মের সময় তত্কালীন আরব সমাজ কেমন ছিল তা আমরা সবাই জানি। পুরুষরা মেয়েদের মনে করত সেক্স মেশিন। ব্যভিচার, ধর্ষন এসব ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তো এমনি সময়ে ইসলাম আবির্ভূত হয়ে মেয়েদের পর্দা করার নিয়ম করে দেয় যাতে করে মেয়েদের অঙ্গ দর্শনে পুরুষেদের খারাপ পথে যাবার কোন চান্সই না থাকে। অতি উত্তম ব্যাবস্থা।
কিন্তু সমাজ, সংস্কৃতি তো আর স্ট্যাটিক নয়। এটা ডাইন্যামিক। পরিবেশের পরিবর্তন আর মেধা এবং মননের নিবিড় অনুশীলনে ১৪০০ বছরের আগের সংস্কৃতি তিল তিল করে আজ আমুল বদলে গেছে। আল্লাহ্ বোধ হয় নিজেউ জানতেন না যে এই ইউনিভার্সের
living nonliving প্রত্যকটি ম্যাটার, প্রত্যকটি সমাজ ব্যবস্থা এবং তাদের সংস্কৃতি পরিবেশের সাথে কালের বিবর্তনে বিবর্তিত হয়। জানলে ইসলামকে মানব জাতির জন্য পূর্ণাংগ জীবন বিধান বলতেন না যা চিরন্তন। আর এ যেখানে জীবন কাঠামোই চিরন্তন নয় সেখানে জীবন বিধান কিভাবে চিরন্তন হবে? তাই ইসলামের যে আইন ১৪০০ বছর আগে ছিল মানুষের জন্য কল্যানকর তা আজ বোঝা স্বরূপ। হতেই হবে। কোন আইন ই চিরন্তন নয়। আরকটু খোলাসা করে নিচে বলছি-
মানুষের নৈতিকতার উত্স কোথায়?? আস্তিকরা অবধারিতভাবেই মনে করে যে, ধর্ম বই গুলো এর উত্স। কিন্তু ভূল। মানুষের নৈতিকতার উত্স হল তার বিবেক। মানুষের বিবেক কারো অধীন নয়। সে সম্পূর্ণ প্রভাব মুক্ত হয়ে চিন্তা করতে সক্ষম। সে যুক্তি দিয়ে তর্ক করে ভালো আর মন্দের মধ্য পার্থক্য করতে সক্ষম। আজকের এই যুগে যদি কোন মেয়ে মনে করে যে, বোরখা প্রথা তাদের জন্য একটা অবমাননাকর বোঝা বা শিকল স্বরুপ তাহলে কি তাকে দোষ দেয়া যাবে?? ইসলামে নিয়ম আছে যে, পায়ের পাতা থকে মাথার চুল অবধি ঢেকে রাখতে হবে। এখন বর্তমান যুগের পুরুষ জাতির প্রতি আমার প্রশ্ন- মেয়েদের পায়ের পাতা, হাতের কব্জি, মাথার চুল এগুলো দেখলে কি তাদের বিশেষ অংগে সাড়া পড়ে?? যদি না পড়ে, তবে যে পর্দা প্রথাটি ১৪০০ বছর আগে শুধু অরব সমাজের জন্য ছিল একটি উত্তম ব্যবস্থা, তাহাই আজ সময়ের বিবর্তনে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপযোগ্য- তাই নয় কি?? আর সময়ের তো একটা প্রভাব আছেই। সাথে আছে স্থান ভেদে মানসকিতার ভিন্নতা। যদি একটি অর্ধনগ্ন মেয়েকে বাংলাদেশের রাস্তায় এনে ছেড়ে দেয়া হয়, তবে চারদিকে রে রে পড়ে যাবে। আরও কত কিছু যে হবে!! অথচ কাফেরদের দেশে আমেরিকায় গেলে কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে হরহামেশাই রাস্তায় স্বল্পবসনা মেয়েরা ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। অথচ ছেলেরা কিন্তু দ্বিতীয়বার তাদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেনা। আশ্চর্য, ঐ কাফেরদের দেশে কিন্তু ধর্ষনের হার বা রাস্তায় মেয়েদের প্রতি ছেলেদের অশালীন টিটকারীর হার বাংলাদেশের থেকে বহুলাংশে কম।
এই যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য, এর জন্য বহুলাংশে ঐ আইন গুলো দায়ী যাকে চিরন্তন বলে ঘোষনা করা হয়েছে। এই আইন গুলোই তো আমাদের মত মুসিলম প্রধান দেশে মেয়েদেরকে এত হীন ভাবে দেখতে শিখিয়েছে। কিন্তু ট্র্যাজেডি হল, আস্তিকেরা এই বাস্তবতা কে মেনে নিতে মানসিক ভাবে ভীত। বোরখা প্রথা মেনে না চললেও তারা এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভয় পায়। কারন ইসলামের মূলনীতি হল- প্রশ্নহীন বিশ্বাস। যে এর অমর্যাদা করবে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। এখানেও আমার কিছু কথা আছে-
মানুষ হল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব যার যাত্রা অন্তহীন বিকাশের পথে। ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব এর মূলনীতই হল সারভাইভাল ফর দা ফিটেস্ট। মানুষের কল্পনা করার শক্তি অসীম কিন্তু তা একটা সীমাবদ্ধ গন্ডির মধ্য থেকে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানের বাইরে আর কিছুই চিন্তা করতে পারেনা। এই সীমার মধ্যেই সে যুক্তি খোজে, প্রশ্ন করে, গ্রহনযোগ্য উত্তর না পেলে আবার প্রশ্ন করে- এভাবেই তার চিন্তা জগতকে বিকশিত করে। এখন যে ধর্ম গুলো মানুষকে প্রশ্ন করার স্বাধীনতা দেয়না, স্বৈরাচারীর মত চাপিয়ে দেয় শুধু যুক্তিহীন অন্ধবিশ্বাস, সেই ধর্ম মানবজাতির বিকাশে কোনধরনের ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আমার কৌতুহলের উদ্রেক হওয়া অনিবার্য।
‘আপনি যে ক্যটা ভালো কথা বলবেন ষেই কয়টা কথা যদি ইসলামে আগেই বলা থাকে খাকে তার পরেও ।
কেন আমাদের এইরাম চিল্লাচিল্লি এইটা বুঝি না’
হ্যা, এটা অনস্বীকার্য যে ধর্মে ভাল কথাও প্রচুর আছে। সেগুলো অবশ্যই অনুকরণীয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ তা বোঝার জ্ঞান ধর্মই মানুষকে প্রথম দিয়েছে। মানুষ সময়ের বিবর্তনে নিজের মেধা আর মননের পরিচর্যার মাধ্যম প্রকৃতি থেকে এই জ্ঞান রপ্ত করেছে। ইসলামে যে ভাল কথা গুলো আছে সেগুলো ইসলাম আবির্ভাবের হাজার হাজার বছর আগে বেদ, উপনিষদের যুগে, এমন কি তার ও আগে থেকেই মানুষ ভাল বলে জানত।
খারাপটাতো থাকবেই, আমাদেরকে সবসময় জ্বালাবে তাই না? খারাপ তাড়ানোর দায়িত্ব আপনার আমার আমাদের সবার। বাট ভালোটা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব কেন নিতে চান না? এইটা দয়িত্বের মধ্যে পড়ে না?
খারাপ টা থাকবেই, আর ভাল টাকে টিকে থাকার সংগ্রাম করতে হয়। ধারনাটা সম্পূর্ন ভূল। পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যে খারাপ কোনদিন ই জয়ী হতে পারেনি। প্রকৃতির নিয়মেই সেগুলো ধংস হয়েছে। ভাল টাকে কখনও ফলাও করে প্রচার করার দরকার পরেনা। কারন সেগুলো পাকাপাকি ভাবে মানুষের মনে আসন গেড়ে থাকে। কিন্তু উল্টোটা খুবই ঘটতে পারে।
খারাপটা মানুষের মনের ভিতর ঢুকতে চাইতে পারে। তখন সেটিকে ঢোল পিটিয়ে বিদেয় করতে হয়।
“মানুষের মানা না মানার সাথে তো ধর্ম বদলাইয়া যাইব না।”
হুম, একদম ঠিক। ধর্ম কোনিদনও বদলাবেনা। আর এ বিশ্বাসই যদি বদলে যায় তবে বিশ্বসের মর্যাদা কোথায়!! ধর্ম যে অবস্থানে ছিল আজও কুয়ার ব্যঙের মত সেখানেই আছে। মানুষ এগিয়ে যাবে হাজার হাজার বছর, আর ধর্ম পরে থাকবে সেই কুয়াতই।
“ধর্ম যা বলবে সেটা ঠিক, কারণ সেটা ঠিক, আপনিও জানেন, ইসলামের বিরুদ্ধে তো যাইতেই পারবেন না”
ধর্ম যা বলবে তাই ঠিক-কোন যুক্তিবাদী মানুষ এই চরম illogical irrational nonsense কমন্টেটি হজম করতে পারেনা। ইসলামের ridiculous, hilarious, irrational আয়াত গুলোর বিরুদ্ধে সবাই যেতে ভয় পায় কারন একমাত্র দোজখের অন্ধ ভয়। এ এমনই এক ভয় যা প্রায় ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকেই তিল তিল করে প্রতিটি মুসলমানের রক্তে মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
“আপনাদের সব অভিযোগ সত্যি, কিন্তু অভিযোগ কইরা আর ধর্ম উঠাইয়া দাও এই কথা ফাটাইলেই কি সমাধান হবে?
যাদের এক্সপ্লয়টেশনের কারণে আপনারা ধর্মবিরোধী তারা কি ধর্মের সাথে শেষ হয়ে যাবে?
হলফ করে বলতে পারবেন?”
আমারও তো একই প্রশ্ন। ধর্ম তো তার মনবের কল্যানে তার অশেষ কুদরত নিয়ে বহাল তবিয়তে এখনও আছে, আর সাথে সাথে এক্সপ্লয়টেশনস ও তো চলছে। তো ধর্ম কোন ঘোড়ার আন্ডাটা পাড়ছে??
“ধর্ম হচ্ছ প্র্যাকটিস”
হ্যা, এটা সেই ধরনের প্র্যাকটিস যা একটা নির্দিষ্ট সময়ের অধীনে একটা নির্দিষ্ট গন্ডির culture এ মানুষকে আবদ্ধ রাখতে চায়।
“মানুষ যা বিশ্বাস করে, সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সফল পরিবরতন আনা সম্ভব,যেমনটা আপনি চান, সেই বিশ্বাস ভেংগে দিয়ে আপনি কিছুই পাবেন না, এইটা আমি লিখে দিতে পারবো।”
ধর্ম বইয়ে যেধরনের বিশ্বাসের কথা লেখা থাকে, সেই ধরনের বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে আসলেই কি কোন পরবির্তন সম্ভব?? ধর্ম বইয়ের বিশ্বাস তো যুক্তিবাদী মানুষের মনকে প্রশ্ন করার নিষেধাজ্ঞায় শৃঙ্খলিত করে ফেলে। এতে পরবির্তন তো দূরের কথা, যে তিমিরে বাস সেই তিমিরেই মাথা কুটে মরার মত হবে। এই বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে যে কিছু পাওয়া যাবেনা তা আমার মনে হয়না। অন্তত মানুষ তার সভ্যতার ইতিহাসের ঘৃণ্যতম শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাবে।
ধর্ম হয়তবা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কল্যানের নিমিত্তেই। কিন্তু হাজার হাজার বছর আগের নিয়ম যদি আজও বহাল রাখার চেষ্টা করা হয় তবে সেটা কি ধরনের কল্যান বয়ে আনবে??পরিশেষে আবারও বলতে চাই- মানুষের ভাল মন্দ চেতনার উত্স তার বিবক।
কোন ধর্ম বই নয়। তাই ধর্মকে আকড়ে ধরে না থেকেও সুস্থ, স্বাভাবিক, ন্যায়পরায়ন, বিবিকবান, রুচিশীল, মানবতাবাদী সত্যিকারের মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়।
@Mithoon,
সুন্দর লেখা। আমি যা বলতে চাই তা বিস্তারিত লিখে দিয়েছেন। লেখাটা মেইন পেজ এ ছাপার মত।
আমি কিছুতেই বুঝি না যে ধার্মিক হলেই কেন গোয়াড়ের মত ধর্মের সব কিছুকেই ১০০% ডিফেন্ড করতে হবে। ছোট একটা উদাহরনঃ যুদ্ধবন্দীদের সাথে কি আচরন করতে হবে তা ইসলামের দৃষ্টিতে আমরা জানি, তাদের নারী/শিশুদের গনীমতের মাল হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে। ওইদিকে আধুনিক যুগের জ়েনেভা কনভেনশন আইন ও আমরা যানি। এই দুই ব্যাবস্থার কোনটা ভাল বা মানবিক তা নিয়ে কোন সুস্থ মাথার মানুষ তর্ক করতে পারে? দো্জগের ভয়ে বা বেহেশতের লোভে এভাবে নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে যেতে হবে? এটা কোন ধর্ম? যে কোন নিরপেক্ষ মানুষ এ ধরনের ধার্মিক বা ধর্ম থেকে শত হাত দূরে থাকবে।
@mehedi,
“ধর্ম যা বলবে সেটা ঠিক, কারণ সেটা ঠিক, আপনিও জানেন, ইসলামের বিরুদ্ধে তো যাইতেই পারবেন না, বাকীগুলা নিয়ে আমার আগ্রহ নাই, ঐগুলানে অনেক কিসু আসে তর্ক করনের মত।”
Please follow the link:
http://mukto-mona.com/wordpress/?p=54
if you think even after that whatever was written in Quran is absolute..then i have nothing left to debate with a blander like u. Because it is your belief…only personal belief…and i have no respect to show to your personal belief.
খুব সুন্দর একটা আত্তসমালচনা মূলক লেখা ।
tanvy বলেছেন: এটা নিয়ে আসলে আমাদের কিছু করার নেই।
মেরীলিনা বলেছেন: সেই অন্ধকার তিমিরে আমাদের সবাই কে মাথা খুটতে হয়। এ থেকে বের হবার কোন উপায় কি নেই?
অবশ্যই আছে, শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে অন্ধকার দুর করে দিন। মাথা খুটে মরার কোন প্রয়োজন নেই, বিবর্তন প্রক্রিয়ায় তা অতি ধীর-লয়ে অবশ্যই হচ্ছে যদিও আমাদের চোখে তা সহজে ধরা পড়ে না, তবে আমরা তা আরো ত্বরান্নিত করতে পারি যদি আমরা বেশী বেশী পড়ি ও অপরকে পড়তে দেই। আমার পূর্ব্ববর্তি চৌদ্দপুরুষ খোঁজে একজন অবিশ্বাসী পাবেন না, আর আমার থেকে পরবর্তি কোন প্রজন্মে আর একজন বিশ্বাসীও জন্মাবেনা কারণ আমার পাঁচ সন্তানের কেউই আল্লাহ বিশ্বাস করে না। ‘মুক্ত-মনায়’ যারা লেখালেখি করেন তাদের সংখ্যা ৬ বৎসর পূর্বে কত ছিল আর এখন কতো, আর এদের সন্তান ও তাদের পরবর্তি প্রজন্মের কথা ভেবে দেখুন। ‘পৃথিবী সূর্যের চতুর্দিকে ঘুরে’ এই সত্যটা জানতে সারা পৃথিবীর মানুষের যতদিন লেগেছে, ‘আল্লাহ-ভগবান-ঈশ্বর নেই’ জানতে হয়তো ততদিন লাগবে না।
@আকাশ মালিক, ভাইয়া যা লিখেছেন তা অবশ্য ঠিক। আমার নিজেরও ধারনা আগামী ১৫০ বছরের মধ্যে ধর্ম সম্পুর্ন বিলুপ্ত হবে।
@ Marylina Sarker
আসলে পরিবর্তন সম্ভব। কিন্তু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যত উন্নত সে দেশের মানুষ তত স্বনির্ভর এবং শঙ্কামুক্ত। আমাদের দেশে শিক্ষার নামে যা আছে তা আলোর মানুষদেরকেও অন্ধকারে নামাতে পারে। আসলে আমাদের দেশের ব্যবস্থাটা হল ইংরেজদের ছাপোষা কেরানি বানানোর শিক্ষাব্যবস্থা, যা দিন দিন আরো নিচে নামছে। এতে করে মানুষের বিভাজনটা দিন দিন স্পস্ট হচ্ছে। যা সামগ্রিক সমাজের উপর বিরাট প্রভাব ফেলছে।
They love religion because religion gives them a nice environment to commit the unacceptable things in the society, they are not afraid of religion which they are showing, they are using the religion.
তৃতীয় নয়নের মত হতাশ হতে আমি একদম রাজি নই। আমি বলছি, আমরা যাদেরকে আম জনতা বলি তারা, আমরা যারা মুক্তহতে চেষ্টিত, তাদের চাইতে অনেকাংশে বেশি মুক্ত।
অপ্নার পাশের যে লোকটি খাজা বাবা বা মাইজ ভান্ডারি গান শুনে রাত ভোর করেদেয় সে লোকটি কতটা উদার মনের তা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।যে জন্যে আমরা ৭১রে জয়ী হতে পেরেছিলাম।
সমস্যা যা তা ঐ মধ্যবিত্ত আংশটাকে নিয়ে।এরাই মূলত বিভ্রান্ত অংশ।যাদেরকে নিয়ে হতাশার
সত্যি আনেক কারন আছে। আমি লক্ষ্য করেছি, খাজা বাবার গানের আসরে লালন খুবি আগ্রহ সহকারে গাওয়া হয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্রোতাদের আনুরোধেই এটা করা হয়। আমাদের আম-জনতার মাঝে এখনও লালন যতটা চর্চা হয়, ততটা আমাদের শিক্ষিত সমাজে হয়না।
তারা বিজ্ঞান বোঝেনা, কিন্তু যুক্তি বোঝে।তারা মোল্লাতন্ত্রের ব্যাপার বোঝে। আমরা এটাকে জিইয়ে রেখেছি ওদেরকে বর্বর প্রতিপন্ন করার হাতিয়াত হিসাবে ব্যাবহার করার জন্য।শুক্রবারে যারা জুম্মা পড়তে যায়, খেয়াল করেছেন তাদের মধ্যে পিছিয়ে পড়া মানুষ কত জন? কজন শ্রমিক মসজিদে যায়? শতকরা ৫ জনও না। আমরা ভাল ও শ্রেষ্ঠ এটা প্রমান করতে মধ্যবিত্তরাই দলে দলে ছুটি মসজিদে। সমাজের সুবিধাজনক জায়গাতে অবস্থান হওয়াতে এদের কন্ঠটাই সোনা যায় বেশি। এই কোরাসের তাল কেটে দেবার কাজটাই মুক্তমনা ও এর সমমনারা করছে। এর গুরুত্ত্ব অনেক।কারন যিনি মূক্তমনা-তিনি যানেন কেন তিনি মুক্তমনা। কিন্তু এর বিপরীত যারা তারা বেশির ভাগই জানেনা কেন তারা এগুলো চর্চা করে।
ফলে গুনগত একটা ব্যাপক পার্থক্য এদের মধ্যে থেকেই যায়। তাই কেবল সংখ্যার বিচারে একে দেখাটা ঠিক না।
@Atiq, ভাইয়া আপনার কথাটা সত্য হলেও বর্তমানের ভন্ড মোল্লাদের কারনে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। ‘মধ্যম তিনিই যিনি চলেন তফাতে’- অর্থাৎ মধ্যবিত্তরা সবসময়ই জনবিচ্ছিন্ন। তাই মোল্লারা মধ্যবিত্তের নাগাল পায়না। সেকারনে মোল্লারা গরীব শ্রেনীকে টার্গেট করেছে এবং তাদের যথেস্ট ব্যবহারিক ও পুস্তকগত জ্ঞান না থাকায় সহজেই তাদের বিভ্রান্ত করছে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন ব্যপারটা দিন দিন ভয়ানক হচ্ছে। অবশ্য মোল্লারা এখন মধ্যবিত্ত সমাজকেও টার্গেট করেছে এবং তা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থায় – স্যটেলাইট চ্যনেলের মাধ্যমে। তবুও সেখানে চ্যনেল পাল্টানোর সু্যোগ থাকায় কোনমতে বেচে থাকা যায়।
আপনার অতি চমৎকার লেখা পড়ে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। অনেক চমৎকার চমৎকার লেখা পড়ে চমৎকৃত হই বটে। কিন্তু লেখা শুধু লেখাই থেকে যাই এ থেকে কোন পরিবর্তনের সূর্য উদিত হইনা। সেই অন্ধকার তিমিরে আমাদের সবাই কে মাথা খুটতে হয়।
এ থেকে বের হবার কোন উপায় কি নেই?
মেরীলিনা সরকার
ষংথংধৎশবৎ@ুধযড়ড়.পড়স
আসলে আমার মতে বেশিরভাগ মানুষ ঈশ্বর আছে কি নাই তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। মানুষ ঈশ্বরকে রাখে একটি তৃতীয় ব্যবস্থা রূপে। স্বাভাবিক জীবনে ঈশ্বরের কোন স্থান নেই। মানুষ প্রার্থনা করে বা ঈশ্বরকে ভয় করে – এই ব্যাপার গুলো স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। প্রধানত দুটি কারনে সাধারন মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়-
১- সাধারন মধ্যবিত্ত ও গরীবদের ক্ষমতা(সেটি আর্থিকই হোক বা সামাজিকই হোক) খুবই কম। তাদের বিপদের অবলম্বনও খুব সীমিত। তাই যখন তারা চরম বিপদে পরে যায়,তখন তাদের কাছে কোন উপায় থাকেনা। তারা চরম অসহায় বোধ করে। তাই সব কিছু হারানোর ভয়ে তারা নিজ নিজ ধর্মের ঈশ্বরের কাছে সর্বদা প্রার্থনা করতে থাকে। তাতে লাভ লোকসান কিছু না হোক,মনে এই প্রশান্তি আসে যে আমার জন্যও কেউ একজন আছে (অনেকটা বাংলা সিনেমার মত!নায়িকা সব সময় বিপদে পড়ে আর আশা করে বসে থাকেযে নায়ক তাকে বাচাতে আসবে!)ব্যাপারটা অনেকটা মেডিটেশনের মত,যদিও এতে প্রাপ্তির আশা থাকে বলে প্রশান্তি তুলনামূলক ভাবে বেশি আসে। আর ধনী সমাজ (গোঁড়ারা বাদে)সচরাচর খুব একটা প্রার্থনা করেনা। কারন তাদের অর্থবল ও লোকবল দুইই আছে। তাই বিপদ কাটাতে তাদের খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। কিন্তু হাতিকেও মাঝে মধ্যে গর্তে পড়তে হয়,আর তখন তার প্রয়োজন পরে একটা চরম শক্তিকে কল্পনা করার,যেকিনা তাকে গর্ত থেকে টেনে তুলবে। আর আরো একটা সুবিধা হচ্ছে যে বিপদের ফল খারাপ হোক আর ভালোই হোক তাকে ভাগ্য বলে চালিয়ে দেয়া যায় (কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ ভালো অংশটুকু ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে দেয় এবং খারাপটুকুর দায় নিজের ঘাড়ে তুলে নেয়!!এটা কি ধরনের যুক্তি আমি ঠিক বুঝে উঠি না।)
২ – ঈশ্বরে বিশ্বাস করার আরেকটি সুবিধা হল,মৃত্যুর পরেও কিছু একটা আছে বলে কল্পনা করা যায়। পরকালে বিশ্বাস না করলে সামাজিক মানুষের সামনে চরম শুন্যতা দেখা দেয়। তার জীবনের আগেও শুন্যতা এবং পরেও শুন্যতা দেখে তার কাছে জীবনকে চরম অর্থহীন মনে হয়,যা সাধারন ছাপোষা মানুষদের পক্ষে মেনে নেয়া প্রচন্ড কষ্টকর এবং এক বিরাট ধাক্কা।(যাদের অর্থবিত্ত আছে তারা ইহকাল নিয়েই এত ব্যস্ত যে পরকাল নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের হয়না। পরকাল নিয়ে চিন্তা করে প্রধানত গরীব ও মধ্যবিত্তরা,কারন সাধারন কাজের বাইরে তাদের এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় যথেষ্ট।) আর বিজ্ঞানের জ্ঞানহীন মানুষ চারপাশের এত সব আজব কান্ডকারখানা দেখে তার কোন ব্যখ্যা খুজে পায় না। তাই সে তার মনের ওই উত্তরহীন শূন্যস্থানগুলো ঈশ্বর নামের কল্পনা দিয়ে খুব সহজে পূর্ণ করে নেয়। আর সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তো মোল্লা পুরুতরা আছেই।
আরে আমি এই ঘটনা গুলোর পরিপেক্ষিতেই এই লেখাটা লিখেছিলামঃ
http://biplabpal2000.googlepages.com/ReligiousIdentity.pdf
এটা নিয়ে আসলে আমাদের কিছু করার নেই। আমি আমার এক খালার কথা বলি – তিনি ঢাকায় থাকেন স্বামী স্ত্রী দুজনেই ভালো চাকরী করেন,দুটি ছেলে আছে তাদের,ছোটটির ১০ এবং বড়টির ১২বছর বয়স,দুজনেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে,আবার সাথে সাথে হুজুরের কাছেও পড়ে। দুটি ছেলেই চটপটে,কিন্তু অল্পতেই ভয় পায়। বড় ছেলে রাত্রে ঘুমালে প্রায় রাত্রেই কোন কারন ছাড়া ঘুম থেকে উঠে অবচেতন মনে উলটা পালটা কথা বলে নাহয় বিছানা থেকে নেমে আজব আচরণ করে,যা সকালে উঠলে তার আর মনে থাকেনা। আমার খালা এ রোগের চিকিৎসা রূপে তাদের হুজুরকে ঝাড়ফুক করতে বলেন। হুজুরও মনের সুখে ছেলের উপর একপ্রকার অত্যাচার চালায় ( দোয়া লেখা কাগজ সরিষার তেলে ভিজিয়ে মোমবাতির আগুনে পুড়িয়ে প্রতিদিন ছেলের নাকের সামনে ধরে তাকে জোর করে শ্বাস নিতে বলেন,কারন রোগটা নাকি জ্বীনের আসর!!তাও ভাগ্য ভালোযে ঝাড়ু পেটা করেননা! এছাড়াও ঘরের প্রতি কোণে তাবিজ ঝুলিএ দেয়া হয়েছে) আমি তাদের কে বেশ কয়েক বার বলেছিলাম যে আপনাদের ছেলেটাকে মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। কে শোনে কার কথা! ঝাড়ফুক বন্ধ হয়নি! যদিও ঝাড়ফুকেও কোন লাভ হয়নি,তবুও তারা এখনো ডাক্তারের কাছে জাননি। ঢাকার মত শহরেই এখনো এই অবস্থা, অন্য জায়গার কথা না বললেই চলে। যদিও আমার খালা আগে এরকম ছিলেননা, হজ্ব করার পর তিনি পরহেজগার বান্দা হয়ে গেছেন। আগে তিনি একটি ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিসের ফ্রন্ট ডেস্কে চাকরি করতেন,আর হজ্ব করার পর তিনি ঐ ব্যাংকেরই ইসলামি ব্যাংকিং শাখায়(!!!)নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন!
@tanvy,
আপনার খালা কি কারণে ফ্রন্ট ডেস্ক ছেড়ে ইসলামি ব্যাংকিং শাখায় ট্রান্সফার করলেন? পর্দা করার জন্য, নিজেকে আড়াল করার জন্য? যাতে ফ্রন্ট ডেস্কের মত সবাই তাকে দেখতে না পায়। নাকি পরিপূর্ণ ইসলামি আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসলামি ব্যাংকিং শাখায় গেলেন?
@Talat, ভাইরে আমি কি করে বলব যে তিনি কেন ফ্রন্ট ডেস্ক ছেড়ে ইসলামি শাখায় গিয়েছেন। আমি কি তার অন্তরের খবর পড়তে পারি?