প্রথম পর্ব; দ্বিতীয় পর্ব
প্রথম পর্বে জানিয়েছিলাম আমার এক বিজ্ঞান পাগল কাকার কথা, যার মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্কতার শুরু। বিজ্ঞানকে দিন দিন আকড়ে ধরতে লাগলাম। বাসায় রাখা হতো দৈনিক সংবাদ, তার প্রতি মঙ্গলবার বেরুতো বিজ্ঞান পাতা (পরে তা দু পৃষ্ঠার করেছিল)। ঐ পাতাটি শুধু গোগ্রাসে গিলতাম না- সংগ্রহও করতাম, সংবাদের বিজ্ঞান পাতা দিয়ে সুটকেস ভরিয়ে ফেলেছিলাম। কত ক যে জানতে পেরেছিলাম ঐটুকু বয়সে! হয়তো অনেক কিছু বুঝিনি, তবে দুনিয়াটা যে আমার আগের জানা ছোট্ট গণ্ডির নয়, তার কত বৈচিত্র আছে- দুনিয়ার বা বিশ্ব জগতের সমস্ত কিছুর মধ্যেই একটা কার্যকরণ সম্পর্ক আছে- এটা বুঝতে শিখতে থাকি।
এসময় আরেকটি কাজও করতে থাকি- চোখের সামনে বিভিন্ন ঘটনার বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা বের করার চেষ্টা করা আরম্ভ করি। এবং একসময় নিশ্চিত হতে পারি যে, অলৌকিক বলে কিছু থাকতে পারে না। (এই সিদ্ধান্তে আসার পেছনে অবদান প্রথমত সেই কাকার, তারপরে সংবাদের বিজ্ঞান পাতার এবং আরেকটু পরে- মানে বড় হয়ে প্রবীর ঘোষের “অলৌকিক নয় লৌকিক” বই পড়ার পরে আর কোন সন্দেহই থাকে না)।
ফলে, এই সময়টাতে বিভিন্ন সময়ে দাদী-নানী প্রমুখদের কাছ থেকে শুনা এবং এক সময় বিশ্বাস করা ভূত-প্রেত-জ্বিন-পরীদের অবিশ্বাস করা আরম্ভ করি, আমাদের এলাকায় একটি বড় পেয়ারা গাছে জ্বিন/ভূতের গল্প প্রচলিত ছিল- ভর দুপুরে বা আযানের সময় গাছে উঠে থাকলে জ্বিন/ভূত এসে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, এটাও আমাদের বয়সী প্রায় সবাই বিশ্বাস করতাম, সাহস করে উঠে দেখলাম- কিছুই হলো না (প্রথমবার প্রচণ্ড ভয় অবশ্য পেয়েছিলাম)।
একবার সেই কাকা আরেকটা গল্প শোনালেন। গ্রামের একলোক নাকি গল্প করছিল- বিমান ক্রাশে জিয়াউল হকের শরীর টুকরা টুকরা হয়ে গিয়েছিল- কিন্তু তার পকেট-কোরআন অক্ষত ছিল, কোরআন কখনো নষ্ট হতে পারে না, আগুনে পুড়তে পারে না … ইত্যাদি। এটা শুনে তিনি আস্ত কোরআন নিয়ে এসে সেখানকার কয়েকপাতা ছিড়ে আগুন ধরিয়ে দেখিয়ে দেন- কোরআনও তো কাগজে ছাপা অক্ষর বিশেষ, এবং তা পুড়ানো যেতে পারে। কিন্তু কোরআন ছেড়া ও পুড়ানোয় গুনাহ হবে কি না জিজ্ঞেস করায় জানালেন- আল্লাহ যদি সত্যি থেকেই থাকেন- তিনি মানুষের তৈরী ঐ কাগজের চেয়ে সত্যের ধারক হওয়ার কথা। মনে গেথে যায়।
বিশ্বাস করতাম “সুরা এখলাস উল্টাদিক করে পড়লে” চাইলে ইঁদুর হওয়া যায়, বিজ্ঞানের বদৌলতে সেটাকে সন্দেহ করতে শিখলাম। প্রমাণের জন্য উল্টো করে পড়ে দেখলাম, গুনাহর ভয় কাটানোর জন্য কাকার সেই যুক্তির কথা ভাবলাম। দেখা গেল- ইঁদুর হইনি। এমন অনেক সংষ্কারই ধীরে ধীরে মাথা থেকে দূর হতে থাকে। অবশ্য এক্ষেত্রে “সংবাদ” এর বিজ্ঞান পাতার ভূমিকা ছিল- সেখানে প্রচলিত কুসংষ্কার নিয়ে সত্যিকার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি কি হতে পারে সেরকম লেখা নিয়মিত ছাপাতো। এই মুহুর্তে সাপ ও ওঝাদের নিয়ে একটা বিশাল লেখা এবং জ্যোতিশাস্ত্র ও রাশিফল নিয়ে বিশাল লেখার কথা মনে পড়ছে।
একদিনের কথা। প্রচণ্ড ঝড় উঠেছে, যথারীতি পাড়ার এক মাঝবয়স্ক ভদ্রলোক চিৎকার করে আযান দিতেছেন। আযান দিলে নাকি ঝড় থেমে যায়, ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি করার সম্ভাবনা কমে যায়। আগে বিশ্বাস করলে- তখন আমি ঝড়ের প্রকৃত কারণ জানি (ক্লাসের বিজ্ঞান বইয়েই ছিল), ঝড়ের সাথে যে আযানের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না এটাও নিশ্চিত। কিন্তু ঐ সময় আমার উপস্থিতি প্রতিবেশী হিন্দু পরিবারটির বাসায় ছিল। সেখানে এই কথা বলার সাথে সাথে আমাকে দিদি-কাকি দারুনভাবে সাপোর্ট করলেন- মনে মনে খুশী হলাম এই ভেবে যাক এনারা অনেক বিজ্ঞানমনস্ক। কিন্তু দুদিন পরেই তাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে দেখি তারা এক কালী মন্দিরের কথা বলছেন- যার চারদিকে সাত বার ঘুরলে নাকি কেউ বাঁচতে পারে না। যতই বিজ্ঞানের কথা বলি- ওনারা ততই তাদের বিশ্বাসের কথা বলতে থাকেন। মেজাজ-মুজাজ খারাপ করে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ জানাই- সেখানে যাবো। পরে অবশ্য আর যাওয়া হয়নি- আমার মায়ের জন্য; মায়ের যুক্তি- কালীর অলৌকিক ক্ষমতা না থাকুক- মানুষের ক্ষতি করার ক্ষমতা তো মানুষের থাকতে পারে! (আসলে ঐ সময়ে তখনও প্রবীর ঘোষ পড়া ছিল না- ফলে মায়ের কথায় সহজেই ভয় পেয়ে থেমে গিয়েছিলাম….)
সেদিন কালীর অলৌকিকত্ব নিয়ে কাজ করার সুযোগ না পেলেও, কিছুদিনের মধ্যেই দুটো ঘটনা কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাই। একটা মাংসে আল্লাহ লেখা, আরেকটা একজনের বাড়িতে বিগত এক পীর সাহেবের কবর জেগে উঠা। দুটি ঘটনাই হাজার হাজার মানুষের সাথে সাথে আমিও প্রত্যক্ষ করার জন্য ছুটে যাই, কিন্তু দুঃখের কথা, অন্য সকলের মত এতে আমার ঈমান পোক্ত হয়নি- বরং ধাপ্পাবাজিই মনে হয়েছে (আমি তখনও স্কুল পড়ুয়া, আমার কথায় কান দেয়ার মত কেউ ছিল না- ফলে আমার পক্ষে ধাপ্পাবাজিটা পুরো উন্মোচন করা সম্ভব হয়নি; কেবল কিছু বন্ধুবান্ধব, পাড়ার কিছু লোকের সাথে যুক্তি-তর্ক করেছি)।
ঐ মাংসে আল্লাহ লেখা দেখে তো এক বন্ধু মাংস খাওয়াই বাদ দিয়ে দিল- মাংস খেতে গেলেই নাকি তার মনে হতো- এখানে যদি আল্লাহ লেখা থাকে- তাহলে সেই আল্লাহ লেখাঅ’লা মাংস খেয়ে ফেললে কতই না গুনাহ হবে! তার সাথে তর্ক হলো। বললাম- “আল্লাহ লেখাটার দিকে ভালো করে খেয়াল করো। পাশাপাশি চারটা খাড়া দাগ বা লাইনের বামের তিনটার নিচের দিকে যদি কোনরকমে মিলে যায়- তবে সেটাকেই আল্লাহ বলে চালানো যায় কি-না?” মজার ব্যাপার হলো- অলৌকিক যে মাংস খণ্ডটি দেখতে গিয়েছিলাম- সেটাতে এরকমই ছিল- সর্ববামে ‘হা’ বা ‘হু’ ছিলই না। বন্ধুকে বললাম- “এবারে গরু-ছাগলের মাংসের দিকে খেয়াল করো- সেখানে আড়াআড়ি অনেক দাগ থাকে- ফলে এগুলো থেকে সহজেই যেকেউ চাইলেই আল্লাহ বানাতে পারবে। সে হিসাবে আমরা প্রতিবার মাংস ভক্ষণেই অনেকবার আল্লাহকে হজম করে ফেলছি”। তাকে আরো জানালাম- “ঐ একই নিয়মে চাইলে মাংসেখণ্ডে ‘লাইলাহা’ মানে ‘কোন মাবুদ নাই’ এটাও খুঁজে বের করা সম্ভব”। তর্কের আউটপুট হলো- বন্ধুটি নাস্তিক না হয়ে গেলেও (নাস্তিক হবে কি- তখনও তো আমি পুরো নাস্তিক নই)- আবার মাংস খাওয়া শুরু করে দেয়।
আর- পীর বাবার কবরের ঘটনাটি হলো- ঐ ঘরের পাশে এক বড় গাছের শিকড়ের কীর্তি (কবরটা ভেঙ্গে বা জায়গাটা খুড়তে পারলেই ভালো প্রমান হয়ে যেত- সেটা অ্যারেঞ্জ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না- আমি কেবল নিজের যুক্তির জায়গাটা পরিষ্কার করতে পেরেছিলাম)। এর সাথে ঐ বাড়ির এক বৃদ্ধা মহিলার স্বপ্নে পীরবাবার হাজির হওয়া ও নানান রকম নির্দেশনা দেয়াটাও আমার খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক মনে হয়েছে। কেননা- এরচেয়েও উদ্ভট টাইপের স্বপ্ন আমরা অনেকেই দেখি।
….
(চলবে)
আমার লেখার ভিতর যাদুবিদ্যা ছাড়া কি আর কোথাও আপনাদের চোখ পড়ে নাই? তর্কের খাতিরে শুধু এটি নিয়ে মন্তব্য করলেন। যদিও যাদুকরদের যাদু দেখানোয় বিজ্ঞানের বহু সফল প্রয়োগ রয়েছে তার পরেও কি এমন কোন যাদুই চোখে পড়েনা যাতে বিজ্ঞানের নিয়ম খাটে না। যাহোক এ বিষয়টি বাদ দিন, জীবনের বিষয়টি বলুন কিংবা বিগব্যাঙ ঘটার পূর্বের অবস্থার ব্যাক্ষা বিজ্ঞান কিভাবে দেয়? বিজ্ঞান এখনও যে অনেক কিছু পারে না তা মানতে আপনারা নারাজ কেন? তাছাড়া বিজ্ঞানে আজ যা সত্য কাল তার পরিবর্তন ঘটতেই পারে। জীন, ফেরেশতা, আত্মা প্রভৃতি বিষয়ে বিজ্ঞান কোনকিছু প্রমান করতে পারে নাই তার অর্থ আপনারা ধরে নিচ্ছেন কোনদিনও তা পারবে না, কিন্তু বিজ্ঞান দ্বারা তা সম্বভ তো হতেও পারে। বিজ্ঞানিরা কিন্তু Telepathy, Teleportation নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের আমি আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার কথা বলছি না, আপনারা নিজেদের প্রশ্নের উত্তর খুজুন যে আপনারা সত্যিই কি সঠিক পথে আছেন? আমি নিজেও সেটিই খুজেচলেছি, এবং আশা করছি খুজে পাব। ভালো থাকবেন।
বিজ্ঞানকে আমি কতটা পছন্দ করি তা নাই বলি কিন্তু নাস্তিক ভাইদের কাছে একটিই প্রশ্ন বিজ্ঞান কি সবকিছু বের করে ফেলেছে? বিজ্ঞনে প্রমানিত বিষয়গুলো কি অপরিবর্তনীয়? বিজ্ঞান কিভাবে বিগব্যাঙ তত্বে বিগব্যাঙ পূর্বের অবস্থা ব্যাক্ষা করে। বিজ্ঞান বিস্বাস করে আমরা 3rd dimension জগতে রয়েছি কিন্তু এটি ছাড়াও 4th dimension, 5th dimension, বা বহু dimension জগত থাকতে পারে যা আমাদের জগত হতে অন্য জগতের তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। এরকম বহু বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে যা আমাকে নাস্তিক হতে দেয় না। নাস্তিক ভাইয়েরা বিজ্ঞান ব্যাবহার করে শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করুন তাহলেই আমরা সকল সমস্যার সমাধান পেয়ে যাব, সেটি হচ্ছে – প্রান বিষয়টি কি? কিভাবে বিশেষ কিছু রাসায়নিক দ্বারা সৃষ্ট কোষে যার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি জীবন বা মৃত্যু ঘটায়। এটিতো বস্তু বা শক্তির ধারায় পড়ে না, এই দুটির একটি হলে বিজ্ঞান অনেক আগেই তা বের করে ফেলত। এখনও বিজ্ঞান অনেক প্রত্যক্ষ ঘটনার ব্যক্ষাই দিতে পারে না(যেমন যাদুবিদ্যা), তার উপর ভিত্তি করে কত সহজে আপনারা নাস্তিক্যবাদ গ্রহন করে নিলেন। নাস্তিক হওয়া কি এতোই সোজা? আমার জানা মতে নাস্তিক হওয়া আরোও অনেক কঠিন, আস্তিক হওয়ার চেয়ে। আপনাকে জানতে হবে বিভিন্ন ধর্মগুলো কোন ভিত্তিতে টিকে আছে, সেগুলোর মাঝে প্রচুর ভুল তথ্য ঢুকে পড়েছে ভুলগুলোকে আলাদা করে বাতিল করতে হবে, সঠিক বা জোড়ালো তথ্যগুলোর বিপরীতে সঠিক বৈজ্ঞানিকযুক্তি দাড় করাতে হবে, এছাড়া কিভাবে সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতিকে নাকচ করবেন। কোন জজ যদি একপক্ষের যুক্তি শুনেই রায় প্রদান করে তবে তা কি গ্রহনযোগ্য? আপনাকে কোন জ্ঞান দেয়া আমার উদ্দেশ্য নয় শুধু চাই সঠিক তথ্য সহযোগে ১০০% নাস্তিক হোন। আপনি যা বিস্বাস করেন তা যদি সত্য হয় তবে পৃথিবীর সকলে বেচে যাবে কিন্তু সকল ধর্মের মাঝে একটিও যদি সত্য হয় তবে কত লোক ফেঁসে যাবে। তাই কেন আপনি নাস্তিক তা সকলকে জানান হয়তোবা অনেকে আপনাকে সহযোগিতা করবে সঠিক তথ্য জানতে।আসলে উগ্রতা কোন ধর্মের অংশ নয়, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িও কাম্য নয়। কথায় আছে অল্পবিদ্যে ভয়ঙ্করি। আর আপনিতো সমাজেরই অংশ কোন ধর্মেই আপনার বিস্বাস না থাকলেও এই ধর্ম সমাজের একটি বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাজকে স্থিতিশীল রাখতে, কিন্তু বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে যেসকল বিশৃংখলা তা দুর হয়ে যেত যদি আমরা সকলে মিলে সঠিক ধর্ম খুজে নিয়ে সকলে এক ধর্মে চলে আসতাম। আশা থকবে আপনার নিকট এমন কিছু প্রকাশ করার আগে দ্বিতীয় বার চিন্তা করবেন যেন তা আমাদের এই সমস্যাজর্জরিত দেশটিকে আরোও সমস্যায় না ফেলে, আমি আসলেই আমার দেশটিকে ও এখানকার মানুষদেরকে খুব ভালোবাসি এবং আমি অকৃতজ্ঞ নই। সবশেষে শুভকামনা। :bye:
==>> ভাই এই যাদুবিদ্যা জিনিসটা বলতে আদতে কি বুঝাইতেছেন? যাদু করে বশে আনা, প্রেমে সফল হওয়া, কারো মাথা নষ্ট করে দেয়া- এইসব? নাকি- ডেভিড কপারফিল্ড যে- আস্ত ট্রেন নাই করে দেয়, ছুরির ডগায় সুন্দরী মেয়ে শুইয়ে ভনভন করে ঘুরায়- এগুলো … সেদিন ইউটিউবে আরেকটা দেখলাম- একটা মানুষরে পেট বরাবর কেটে ফেললো- তারপরে মানুষটার মাথার দিককার অর্ধেক অংশ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গেল … এই যাদু বিদ্যার কথা বলছেন কি?
এই ভিডিওতে একটা যাদুবিদ্যা আছে (অনেকে অবশ্য বলছে- সেটা জ্বিন, তবে কেউ কেউ বলে এটা মানুষই- কিন্তু সে যাদুবিদ্যা পারে) … আপনি এরকম যাদুবিদ্যার কথা বলছেন?
https://www.youtube.com/watch?v=eDqHYVYkZk8
আপনাদের বিজ্ঞান মানসিকতা ভাল লাগলো, কিন্তু শুধু ধর্মকে অসত্য প্রমান করার পেছনে আপনাদের সাহসিকতা বা এই মানসিকতা কাজে না লাগিয়ে সৃষ্টিশীল কিছু করার পেছনে তা খাটান। কিছু কি আবষ্কার করেছেন, কোন উদ্ভাবন কি করেছেন করলে জানাবেন আর না করলে তার ই চেষ্টা চালান। অনেক ধার্মিক বিজ্ঞানী ও পৃথিবীতে আছেন।
জানি এ মন্তব্য প্রকাশিত হবেনা। তারপরেও লিখছি এটা যাচাই করার জন্য যে আসলেই আপনারা মুক্ত মনের কিনা। প্রথমত কালি মন্দির নিয়ে হার মানা হয়েছে, সেটা যেভাবেই হোক কিন্তু “পীর” এবং “আল্লাহর নাম মাংসে পাওয়া” এদুটি বিষয়কে ঠিকই যুক্তির মধ্যে আনা হয়েছে।এখানে কিছুটা হলেও লেখাটা একপাক্ষিক। এর কারন হয়তবা লেখক জন্মগত বিশ্বাষে ইসলামে বিশ্বাষি, তাই সে শুধুমাত্র ইসলামেই এখন পর্যন্ত অবিশ্বাষী হতে পেরেছে।তাই সে সূরা উলটা করে পড়েছে কোরানের পৃষ্ঠা পুড়িয়েছে।কিন্তু কালি মন্দিরে চক্কর দেওার সাহস তখনো করে উঠেনি। আরে বাবা, বিজ্ঞানী হতে হবে, হতে হবে। কিন্তু তার জন্য ধর্মে অবিশ্বাষি হতে হবে এটা কেমন কথা!!! ইবনে-সিনা চিকিতষা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য কি কোরানের পৃষ্ঠা পুড়িয়েছিলেন? নাকি আইনষ্টাইন আর নিউটন মরার পরে, BBC সংবাদ বার্তায় এক বিবৃতিতে বলেছেন- “তোমরা যদি বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ দেখতে চাও তবে স্ব স্ব ধর্মে অবিশ্বাষি হও অন্যথায় আমার মরা মাথা খাও”
বিজ্ঞানকে তার স্থানে রখা হোক আর ধর্মকে তার স্থান থেকে না উঠানোই উচিত। কেউ বউ এর সাথে যে আচরন করে “মা” এর সাথে নিচ্চই তা করবেনা, আচরন ভিন্ন কিন্তু অস্তিত্ব অবস্যই আছে।
আর যারা এই সমস্ত লেখা প্রকাশ করেন তাদের একটা অনুরোধ করি, আপনারা please শুধু মাত্র কুসংস্কার কে তুলে আনবেননা, পাশাপাশি সংস্কারটুকুও তুলে ধরেন। কিন্তু আফসোস কি বাত- আপনারা কখনই তা পারবেননা। কারন আপনারা ধর্ম কে জানার চেষ্টা করেননি। আপনারা শুধু অধর্মকে জেনেছেন এবং ওটাকেই জয়ি বানাতে চেয়েছেন এবং চাচ্ছেন। so please আগে ইসলামকে ভালভাবে জানুন পরে মন্তব্য করুন। মাংস আর পীর ফকির ই প্রকৃত ইসলাম নয়। ইসলাম সত্য এবং অনেক গভিরে, সেখানে যাওার চেষ্টা করুন, ইনশাআল্লাহ মনের পাগলামি আর অশান্তি দূর হবে। :-*
এইজন্যই beckon বলেছিলেন “কেউ যদি শিক্ষিত হয় তবে সে স্বাভাবিক ভাবেই নাস্তিক হতে পারে, কিন্তু কেউ যদি সত্যিকার অর্থে মান সম্মত শিক্ষিত হয় তবে অবষ্যই সে স্রষ্ঠায় বিশ্বাষী হবে। :yes: :rose:
@Haitian citizen,
প্রকাশিত তো হলো। এ আশংকার কারণ কি?
এবার কি মনে হচ্ছে আমরা আসলেই মুক্ত মনের ? 🙂
বানান ঠিক ভাবে না লেখলে মুক্ত-মনায় মন্তব্য প্রকাশ নাও হতে পারে। যাই হোক, এখানে লেখক ঠিকই জন্মসূত্রে ইসলামে বিশ্বাসী ছিলেন। হিন্দু বা এরকম কোনো ধর্মে যেহেতু তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না তাই এগুলোতে নতুন ভাবে আবার অবিশ্বাসী হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।
কিভাবে বুঝলেন? আপনার মতে তাহলে কিভাবে ধর্মকে জানা যাবে? আপনি কিভাবে ধর্মকে জেনেছেন নাকি না জেনেই পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ধর্ম নিয়ে লাফিয়ে বেড়াচ্ছেন?
খাইছে! ইসলামের সত্যটা কি রকম আর ঠিক কত গভীরে বা কতটা খনন করলে এরে পাওয়া যাবে তা যদি বলতেন। আমার একটা লেখা আছে কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? – ১
। এখানে এটা দেখান তো কোরানকে ঠিক কি প্রমাণের ভিত্তিতে আল্লার বাণী বলে ধরে নিবেন (ওখানেই মন্তব্য করতে পারেন)। আর আল্লার অস্তিত্ব, মুহাম্মদের নবুয়তি এগুলো কিভাবে প্রমাণ করলেন?
এখানে প্রচুর লেখা আছে ধর্ম সম্পর্কে। ই-বই আছে বেশ কিছু। এগুলো ধীরে ধীরে পড়ুন তাহলে ধর্ম নামক কুসংস্কার থেকে অচিরেই মুক্তি পাবেন। ধন্যবাদ।
@Haitian citizen,
মৌলানা বেকন হুজুরের দু এখান ইসলামি বইয়ের লিংক দিবেন, পড়ে চেষ্টা করবো ইসলামের গভীরে প্রবেশ করতে পারি কি না।
ইসলাম সত্য এবং অনেক গভিরে, সেখানে যাওার চেষ্টা করুন, ইনশাআল্লাহ মনের পাগলামি আর অশান্তি দূর হবে।
@আকাশ মালিক,
মন্তব্য এডিট করার অপশনটা কি কোরবানির জন্যে রিজার্ভ হয়ে গেল? শয়তানের ধোঁকায় আঙ্গুল একটু এদিক সেদিক হলেই মন্তব্য জাহান্নামের আগুনে পুড়ে ছাই।
@Haitian citizen,
আপনার বাংলা বানানের এই দশা দেখার পর মনের অশান্তি দূর করি কী ভাবে ভাই? আল্লাহ আপনাকে ইসলাম শেখার আগে বাংলা ভাষা শেখার তৌফিক দান করুন, আমিন।
@আকাশ মালিক,
উনি কওমী মাদ্রাসাতে পড়েছেন নিশ্চয়ই। সেখানে তো খালি আরবী আর উর্দু ভাষা শেখানো হয়। বাংলা শেখাটাকে সেখানে নীচু মানের বিষয় বলে গন্য করা হয়।
লেখাটি পড়ে খুব ভাল লাগল। কিন্তু আমার মনে হয় এভাবে বিজ্ঞান চিন্তার প্রসার ঘটানো সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশের মানুষের ধর্ম চিন্তার পিছনে সবচেয় বেশি কাজ করে আমাদের সামন্তীয় চিন্তা নির্ভর সংস্কৃতি। এর খোলস থেকে বেড়িয়ে আসতে যে বিজ্ঞান নির্ভর আধুনিক সংস্কৃতির চর্চা দরকার তার রাষ্ট্রীয় কোন উদ্যেগ নেই। কারন বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেহেতু শোষনের উপর প্রতিষ্ঠিত তাই শাসক শ্রেণী কখনই আধুনিক চিন্তা বিকাশের পরিপুরক সংস্কৃতির চর্চা তো করবেই না বরং পশ্চাৎপদ চিন্তার মাঝেই জনগনকে আটকে রেখে শোষনের প্রক্রিয়া আরও সুসংহত করবে। তাই বিজ্ঞান চর্চার সংঙ্গে রাষ্ট্রীয় চরিত্র জরিত। কিন্তু আমরা এ বিষয়টিকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ধর্মীয় কুসংস্কার নিয়ে কথা বলে বিশেষ কোন গুনগত পরিবর্তন ঘটাতে না পারলেও সহজে যে জন বিচ্ছিন্ন হতে পারব তা নিশ্চত করে বলা যায়, যা আমাদের কাম্য হতে পারে না। এ বিষয়ে মওলানা ভাসানীর এক সহচরির কাছ থেকে শোনা একটা ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। ভাসানী অনেক সময়ই পাঁচবিবিতে থাকতেন। তখন তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় বসে থাকলে অনেকেই তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসতেন এবং টাকা দিয়ে যেতেন। একদিন এমন এক সময় গরীব এক লোক এক বাটি তেল নিয়ে ভাসানীর কাছে আসলেন। ভাসানী তাকে কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনে উত্তরে বললেন য়ে তার ছেলে খুব অসুস্থ তাই পানিপরা নিতে এসেছেন। পানিপরা খেলেই তার ছেলে সুস্থ হবে। ভাসানী ডাক্তার দেখানোর কথা জিজ্ঞাসা করলে তার উত্তরে তিনি বললেন যে তার টাকা নেই। তখন ভসানী পানিতে ফু দিলেন এবং হাতে থাকা ৮ টাকা লোক টিকে দিয়ে বললেন, ‘এই পানিপরা নিয়মিত খাওয়াবি, আর এই টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করাবি।’ লোকটি চলেগেলে ভাসানীর সহযোগী জিজ্ঞাসা করলেন যে কেন তিনি এমন কাজ করলেন। ভাসানী উত্তরে বললেন, ‘এরা সহজ সরল ভবে ধর্ম-সংস্কারে বিশ্বাসী। যদি সারাসরি এদের বিশ্বাসে আঘাত হান তাহলে এদের বিশ্বাস আরও প্রবল হবে এবং তোমার কাছ থেকে দুরে সরে জাবে। পানিপরাতে কাজ হবে না জেনেও তা দিলাম কারন সেটা বুঝানোর চেয়ে তার ছেলেকে ডাক্তার দেখানো টাই বেশী দরকার।’ আমার এত কথার মাধ্যমে শুধু একটি কথাই বুঝাতে চেয়েছি যে, রাষ্ট্রীয় চরিত্র জনগণের সামনে উম্মেচিত করে তার বিরুদ্ধে সমাজ প্রগতির পরিপূরক প্রকাশ্য এবং ভাবগত সংগ্রমের ক্ষেত্র তৈরী করে তার সঙ্গে সাধারণ মানুষদের যুক্ত করতে না পারলে সমাজথেকে কুসংস্কার দুর করা সম্ভব নয় বলে আমি মনে করি। এ পদ্ধতি অবলম্বন না করলে বিজ্ঞান চর্চা নিছক রোমান্টিকতায় পনিত হবে, নিজেকে আদালা করে জাহির করার বিষয়বস্তুতে পরিনত হবে। আমার বিষয়ে কারও কোন মতামত থাকলে [email protected] এই ঠিকানায় যোগাযোগ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
@Ranjan,
আপনার সাথে এ বিষয়ে সম্পূর্ণটাই একমত যে- রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ, রাষ্ট্রীয় চর্চা বা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন – এবং আধুনিক বিজ্ঞান চর্চার বিরোধী- কুপমণ্ডুকতার পৃষ্ঠপোষকতাকারী রাষ্ট্রের চরিত্র উন্মোচন করে জনগণকে সাথে নিয়ে লড়াই গড়ে তোলার বিকল্প কোন কিছুই হতে পারে না। কেননা- প্রকৃত আলোর পথ এটাই।
তবে, সম্পূর্ণ একাডেমিক- বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা যারা করছেন- তাদের অবদানকেও আমি অস্বীকার করতে পারি না। অনেক সময় এনারা জনবিচ্ছিন্ন, কখনো কখনো সমাজবিচ্ছিন্ন হয়েও যেতে পারেন- এমনকি এই বিচ্ছিন্নতা কখনো কখনো তাদের মধ্যে এক রকমের আভিজাত্য- অহমবোধ তৈরি করতে পারে, কখনো কখনো বিজ্ঞানকে সমস্ত কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার ফলে- একে ট্রু বিজ্ঞান আখ্যা দিয়ে একে আরেক ঈশ্বরের স্থলে স্থান দিতে গিয়ে নিজেকে প্রকারান্তরে বিজ্ঞান থেকেই সরিয়ে নিয়ে আসতে পারে….., তদুপরি- আমি এই চর্চাগুলোকে সমর্থন করি।
এবং একটাকে আরেকটার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না, রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ে কথা বলাটা অবশ্যই দরকার, কিন্তু তার মানে এই নয় যে- আর কোন কিছু নিয়ে কিছু বলা যাবে না বা করা যাবে না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
Start of my life same as.
কিছুটা এডিট করলাম, মানে এই পর্বটা আরেকটু বর্ধিত করলাম…
@নাস্তিকের ধর্মকথা, খুব ভাল। :yes:
Hi, how are you?
i was about 10, and i read that if you burn the koran, your hand will be burned too.
then I was scared, but still burned the Koran secretly, and nothing happened.
And after that it I found out it was all a bullshit. If you can stand over your fear, then you will see that God and religion doesn’t make sense.
Thanks
Adnan L.