মুক্তমনা লেখকদের ২০১০ সালের বই এবং ম্যাগাজিনগুলো
দেখতে দেখতে এসে পড়লো ২০১০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এবারের বইমেলা উপলক্ষে মুক্তমনার বিভিন্ন লেখক তাদের বই প্রকাশ করছেন। আমরা এই পোস্টে এবারকার বইমেলায় প্রকাশিত তাদের নতুন বইগুলো সম্বন্ধে তথ্য সন্নিবেশিত করে রাখবো। ব্লগারদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন নিজ নিজ বইগুলো সম্বন্ধে পর্যাপ্ত তথ্য ( বইয়ের নাম, লেখকের নাম, বইটির বিষয়বস্তু, প্রকাশকের নাম, মূদ্রিত মূল্য, পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং প্রচ্ছদকারের নাম) [email protected] – এই ইমেইলে পাঠিয়ে দিন।
বইমেলার আগামী একমাস ধরে পোস্টটি মুক্তমনায় আপডেট করা হবে।
:line:
সমকামিতা : একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজমনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান (২০১০, শুদ্ধস্বর) অভিজিৎ রায় গবেষণা গ্রন্থ |
|
যুক্তি : তৃতীয় সংখ্যা (২০১০, বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিল, সিলেট) সংকলন গ্রন্থ |
|
মুক্তান্বেষা : পঞ্চম সংখ্যা (২০১০, শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ এবং মুক্তমনা): ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে মুক্তান্বেষার আরেকটি সংখ্যা (ষষ্ঠ সংখ্যা) প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ম্যাগাজিন
|
|
|
|
‘ইয়োগা, সুস্থতায় যোগচর্চা’ (২০১০, শুদ্ধস্বর) রণদীপম বসু গবেষণা গ্রন্থ
|
|
|
|
গণিত ও বিজ্ঞানই মহাজাগতিক ভাষা (২০০৯, ঐতিহ্য) আসিফ বিজ্ঞান গ্রন্থ |
|
|
|
বিজ্ঞান ও ধর্ম: সংঘাত নাকি সমন্বয়? (প্রথম খন্ড): খুব তাড়াতাড়িই সংকলনটি বাংলাদেশ থেকে বই আকারে তিন খন্ডে বেরুচ্ছে। এ বছর বেরুতে চলেছে বইটির প্রথম খন্ড। বিজ্ঞান গ্রন্থ |
|
|
|
রং দিয়ে যায় চেনা (২০১০, অনুপম প্রকাশনী) আব্দুর রহমান আবিদ ছোট গল্প সংকলন |
|
|
|
জলের উপর জলছাপ (২০১০, শুদ্ধস্বর) অঞ্জন আচার্য কবিতা গ্রন্থ |
|
|
|
আফ্রোদিতির তিনশ দিন (২০১০, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র) লাইজু মান নাহার প্রবাস জীবনের ওপর ছোট গল্প |
|
|
|
:line:
বইমেলায় আমাদের লেখা ক’টি বই (২০০৮)
একটি জনপ্রিয় বাংলা ব্লগে এক লেখকের প্রথম বই প্রকাশের বেক্কল মুহূর্ত নামে একটি লেখা পড়বার পর থেকেই ভাবছিলাম আমারো এ কিছু লেখা দরকার। সত্যি বলতে কি এক ধরনের ঈর্ষাই হচ্ছিল তার ব্যাক্কল হওয়ার বর্ণনা পড়ে। ভাবছিলাম – তাও তো ভাইজান ‘ব্যাক্কল হওনের’ সুযোগটুকু পাইছিলেন। আমাদের মত বিদেশ-বিভূইয়ে পড়ে থাকলে বইমেলার স্টলে ‘মোড়ক উন্মোচনের’ পর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার অনুভূতি কিংবা বুকের ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগার স্বাদ আর পাওয়া হত না। ১৯৯৮ সাল থেকেই পড়ে রয়েছি দেশের বাইরে। এর মধ্যে বেশ ক’বারই দেশে যাওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু কোন বারই বইমেলার সময়টাতে নয়। শালার – ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই কোত্থেকে যেন অফিসের সব ঝুট ঝামেলা এসে এমনভাবে কাঁধে ভর করে নাওয়া খাওয়া তখন শিকোয় উঠে। আটটা-পাঁচটা অফিস করতে করতেই শরীরের সমস্ত রস কর্পুরের মত উড়ে যায়। বইমেলার খবর নেওয়া হয় তখন অফিসের কাজ-কাম সামলিয়ে বিরস বদনে পত্র-পত্রিকা পড়ে – দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতই আর কি! এর মধ্যে সচলায়তনে দেখলাম শুধু মাহবুব লীলেন নন, অমিত আহমেদ, তীরন্দাজ সহ অনেকেই তাদের প্রকাশিত বইয়ের কথা জানিয়েছেন। ভাবছি, ভয়ে ভয়ে আমার বইগুলোর কথাও পাঠকদের জানিয়ে যাই এবারে। যদিও আমার দৃঢ় ধারণা, ভালবাসা দিবসের এই সরস দিনে আমার নিরস লেখা সমৃদ্ধ বইগুলো নিয়ে আলোচনা অনেককেই নিরাশ করে দেবে।
২০০৫ সালের বই মেলায় বের হয় আমার প্রথম বই ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ । আসলে বইটাকে আমার দেশ ছারার পরবর্তী বছর গুলোতে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখলিখির সংকলন বলা যেতে পারে। ইন্টারনেট আর বর্ণসফটের কল্যাণে আমি তখন একটু আধটু লিখতে টিখতে শুরু করেছি। উৎসাহ আমার তখন অদম্য। |
সীমিত জ্ঞান পুঁজি করে বিজ্ঞান আর দর্শনের উচ্চমার্গীয় বিষয়েও সেঁদিয়ে যেতাম – তা সে মহাবিশ্বের উৎপত্তিই হোক, আর ঈশ্বরের অস্তিত্ব-এর দার্শনিক দ্বন্দ্বই হোক। একটা সময় মুক্তমনা সহ ইন্টারনেটের কয়েকটা বাংলা সাইটের জন্য ধারাবাহিকভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর্যায়ক্রমিক ইতিহাস ভিত্তিক একটি সিরিজ লিখতে শুরু করলাম।
সিরিজটার নাম দিলাম রবি ঠাকুরের বিখ্যাত গান – ‘তুমি কি কেবই ছবি শুধু পটে লিখা’ থেকে একটি কলি চুরি করে। পাঠকদের থেকে প্রচুর ইমেইল পেয়েছিলাম সেসময়। অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন সিরিজটাকে গ্রন্থে রূপ দিতে। আমিও ভাবলাম সিরিজটাকে একটু গুছিয়ে গাছিয়ে হয়ত গ্রন্থাকারে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ভুমিকা লিখতে গিয়ে নিজেকে ‘কার্ল স্যাগান’ –এর মত মনে হচ্ছিল। তাই বইয়ের ভুমিকায় ‘মনের মাধুরী মিশাইয়া’ লিখলাম গালভরা কতগুলো হাবিজাবি কথা –
‘বিজ্ঞানের অবদান কি কেবল বড় বড় যন্ত্রপাতি বানিয়ে মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনা? আমাদের স্কুল কলেজে যেভাবে বিজ্ঞান পড়ানো হয় তাতে এমনটিই মনে হওয়া স্বাভাবিক। ব্যপারটা কিন্তু আসলে ঠিক তেমনটি নয়। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে মানুষ বড় বড় যন্ত্রপাতি বানায় বটে; তবে সেগুলো স্রেফ প্রযুক্তিবিদ্যা আর প্রকৌশলবিদ্যার আওতাধীন; বিজ্ঞানলব্ধ জ্ঞানের অভিযোজন মাত্র। আসলে বিজ্ঞানের একটি মহান নজ কাজ হচ্ছে প্রকৃতিকে বোঝা, প্রকৃতিতে ঘটনলীর ব্যখ্যা খঁজে বের করা। বিজ্ঞানের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য্য এখানেই। হ্যাঁ, জ্যোৎস্না রাত কিংবা পাখীর কুজনের মত বিজ্ঞানেরও একটি নান্দনিক সৌন্দর্য্য আছে, সৌকর্য্য আছে- যার রসাস্বাদন কেবল বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব। বিজ্ঞানসনস্ক বা বিজ্ঞানের অন্তর্নির্হিত মর্ম্মকথা বুঝতে হলে বিজ্ঞানীই হতে হবে এমন কোন কথা নেই, তবে বিজ্ঞান-প্রেমিক হতে হবে বলাই বাহুল্য। বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ কার্ল স্যাগান তাঁর বিখ্যাত ‘The Demon-Haunted World’ বইয়ের ভূমিকায় এ কারণেই হয়তো বলেছিলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলি সঠিকভাবে ব্যাখ্যা না করাকে এক ধরণের বিকৃত মনোভাব বলেই আমার মনে হয়। যখন মানুষ প্রেমে পড়ে, তখন সারা পৃথিবীর কাছে সে তার প্রেমের কথা প্রচার করতে চায়। এ বইটি আমার প্রেমের একটি ব্যক্তিগত স্বীকারোক্তি, বিজ্ঞানের সাথে আমার সারা জীবনের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ইতিকথা’।
আমার বইয়ের ভূমিকা লিখতে গিয়ে কার্ল স্যাগানের উপরের লাইনগুলির চাইতে আর মানানসই কোন কথা খুঁজে পেলাম না। এ বইয়ের প্রতিটি লাইন লিখতে গিয়ে আমি নতুন করে খুঁজে পেয়েছি আমার ‘আমি’কে; বিজ্ঞানের সাথে গড়ে ওঠা আমার নিবির সম্পর্ককে। আমার এ বইটি আসলে হাটি হাটি পা পা করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্য সমাধানে নিমগ্ন যাত্রীদের পথ চলার একটি সংক্ষিপ্ত দলিল; শতাব্দী প্রাচীন বিশ্বাসের অঢ়লায়তন ভেঙে যাঁরা বিজ্ঞানমনস্ক সভ্যতা বিনির্মাণে আলোর মশাল জ্বালিয়েছেন নিকষ কালো আঁধারে পথ দেখাতে, এ বই সেই সব যাত্রীদের বর্ণিল জীবনালেখ্য। …’
বইটা বেরুনোর কথা ছিল সে বছরের (২০০৫) বই মেলায়। ঢাকার এক নামকরা প্রকাশক – অঙ্কুর প্রকাশনী। অঙ্কুরের সত্ত্বাধিকারী মেসবাহ উদ্দিন কথা দিলেন আমার প্রথম বই তার প্রকাশনী থেকে সেই বছরের বই মেলায় বের করে আমাকে ‘ব্যাক্কল হওনের’ সুযোগ করে দেবেন। তবে যেহেতু আমি নতুন লেখক- বই চলবে কি চলবে না – তার নাই ঠিক – কাজেই তিনি লেখক হিসবে কোন সম্মানী ফম্মানী দেবেন না। তবে পরে যদি দেখা যায় বই ভাল চলছে তিনি একটা লাম সাম রয়্যালিটি দেবেন – এমন ধরনের কিছু একটা মৌখিকভাবে ওয়াদা করলেন। অন্ততঃ তখন আমার তাই মনে হয়েছিল। আমিও ভেবে টেবে দেখলাম মন্দ কি! আমি তো আর হুমায়ুন কিংবা জাফর ইকবাল নই। আমার লেখা ছাই-পাশ আর গিলবে কে! আর তা ছাড়া বই মেলায় আমার মত অর্বাচীনের একটা বই বেরুবে – এই তো ঢের। আর তাছাড়া মেসবাহ উদ্দিনের অঙ্কুর তখন আমার কাছে যেন সাক্ষাৎ আসমানের চাঁদ। দাপিয়ে দুপিয়ে তসলিমা নাসরীন, আকিমুন রহমান, হাসান আজিজুল হকদের বই দেদারসে বের করে চলেছেন। তিনি যে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি আমার বইটিও চিপা দিয়ে বইমেলায় বের করবেন, তাতেই আমি যার পর নাই খুশি। পাক্কা পাঁচ ছ মাস হাতে রেখে পান্ডুলিপি দেওয়া হল। মাঝে খবর নিয়ে জানলাম ছাপা প্রায় কম্পলিট। নির্ঘাত বইমেলার আগে কিংবা প্রথমেই বইটা বেরিয়ে যাবে। তবে আমি শালা এমনই ব্যাক্কল তখন বুঝি নি – প্রকাশকের মূলো কি জিনিস!
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাস এসে গেল। আমি হাত কামড়িয়ে অপেক্ষা করছি। নিশ্চয়ই প্রকাশক সাহেব ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিকেই বইটা প্রকাশ করবেন। ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ চলে গেল। বইয়ের দেখা নেই। প্রকাশককে ইমেইল করলাম। জানলাম খুব শিগগীরই বেরুচ্ছে। তা খুব শিগগীরটা কত শিগগীর? আমি ব্যাক্কল, তাই ভেবে নিলাম নিশ্চয়ই এর পরের সপ্তাহেই বেরুচ্ছে। তা সেই পরের সপ্তাহ গেল, এমনকি তার পরের সপ্তাহও। বইয়ের দেখা আর মিলিলো না। এবারে আমার মেজাজ বিগরেছে। প্রকাশকের ফোন নম্বর যোগার করে ফোন করে দিলাম অঙ্কুরের অফিসে। বিদেশ বিভুই থেকে ফোন করার নানা হ্যাপো। কার্ড যোগার করো রে, বাংলাদেশের টাইম আর আমদের টাইম মিলিয়ে ফোন করো রে, তারপর চোদ্দবার কল করার পর একবার লাইন পাওরে। তা লাইন পেলে আর কি হবে, কথা বোঝা মুশকিল। ফোনের লাইনে ঘ্যারঘ্যারানি। এ পাশ থেকে আমি চীৎকার করে গেলাম। ও পাশ থেকে মেসবাহউদ্দিন। কেউ কারো কথা বুঝলাম না। শুধু মাঝখানে ‘একুশ’ ‘একুশ’ শুনে ধারনা করে নিলাম বোধ হয় সামনের একুশে ফেব্রুয়ারীর দিনই বেরুচ্ছে।
অমর একুশে চলে এল। আমার ঢাকার বন্ধুদের বলে রেখেছি – শহীদ মিনারে যাওয়ার পরে কোন এক সময় একাডেমীতে একবার অঙ্কুরে ঢু মেরে যাস রে। দেখিস আমার বইটা কেমন চলছে। আমার বাসার লোকজনও তুমুল উচ্ছ্বসিত – বই একখান বেরুচ্ছে। আইজক্যা এস্পার কি ওস্পার। কবি কবি ভাব নিয়ে চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে উদাস ভঙ্গিতে গোধুলী বেলায় আকাশ পানে চেয়ে পাখিদের নীড়ে ফেরা দেখছি। বিকালের দিকে এক বন্ধুর এস এম এস পেলাম – কই অঙ্কুরে তো তোর বই দেখা যাচ্ছে না। স্টল তো খালি হ্যারি পটারে সয়লাব।
– কি বলিস? ঠিক মত খুঁজে দেখেছিস তো?
– আরে কি বালের কথা কস। খুঁজছি মানে পারলে টেবিল চেয়ার হাত্রাইয়া, উল্টাইয়া পাল্টাইয়া খুঁজছি। তোর কোন বই নাই।
– স্টলে কাউরে জিগাইছস?
-হ এক কালা আবুল মত লোক বইয়া আছিল। হেই ব্যাডায় কইছে – বইটা পুরা কম্পলিট হয় নাই। আরো অনেকদিন লাগব।
– কি কস এইগুলা? মেসবাহ উদ্দিনে তো কইলো আইজক্যা – একুশ তারিখেই বাইর হইতাছে।
-তাইলে তুই তোর মেসবাহউদ্দিনরে জিগা গা। তোর বই স্টলে নাই- হেইডা আমি কইবার পারি।
আমি ফোন রেখে গোমড়া মুখে টিভি ছেরে দিয়ে সিএনএন দেখতে বসে গেলাম।
তো আমার সেই বহুল প্রত্যাশিত বই ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ সেই ২০০৫ এর ফেব্রুয়ারীর বইমেলায় আর আলোর মুখ দেখলো না, আঁধারেই থেকে গেল। সে বই বেরুলো বই-মেলা পার করে মার্চ-এর ২৩ তারিখে। প্রকাশকের একখানা ‘দাঁত ক্যালানো’ ইমেইল পেয়ে জানলাম বই বেরিয়ে গেছে। ভাবলাম, বই মেলাতে হয়নি তো কি হয়েছে, বের তো হয়েছে শেষ পর্যন্ত। এখন থেকে শাহবাগের বইয়ের দোকানের শেলফে আমার বই তো থাকবে – এতেই আমি ব্যাক্কলে খুশি। কী আনন্দ। আমি তাহলে য়াজ থেকে দেশের একজন তালিকাভূক্ত লেখক! ৩২ পাটি দাঁত কেলিয়ে মাঝরাতে সেলিব্রেশন করতে ক্লেমেন্টির ফুড স্টলে চলে গেলাম। কিন্তু সেই আনন্দ বিষাদে পরিণত হতে তিলমাত্র দেরী হল না, যখন দু’ সপ্তাহ পর বইয়ের একটা কপি আমার হাতে এল। বই খুলে দেখি পাতায় পাতায় শুধু ভুল আর ভুল। বানান ভুলের ছিরি দেখে আক্কেল গুড়ুম । ঢাকার নীলক্ষেতে ‘বেহেস্তী জওহের’ কিংবা ‘মকসদুল মোমেনিন’ মার্কা বই হাতে নিলে যেমন লাইনে লাইনে হোঁচট খেতে হয়, তেমনই দশা হল আমার । যদিও আমার বন্ধু বান্ধবেরা বই দেখে বলল, কই -বই-এর চেহারা সুরৎ আর বাঁধাই তো বেশ হয়েছে। ছাপাও তো ভাল, আর ভিতরে দেখি আবার ‘চাইর-রঙা কালার ছবিও দিছে’। কিন্তু আমার খুঁতখুঁতে মন তাতে মোটেই সন্তুষ্ট হল না। আমি ঠিক করে ফেললাম যা থাকুক কপালে – এর পরের বই অঙ্কুরকে দিয়ে বের করা যাবে না। কোভি নেহি। এই মেসবাহ উদ্দিন এক বছরেই আমার হাড্ডি কালা কালা করে ফেলেছে।
এর মধ্যে একটি বছর পার হয়ে গেল। হাড্ডি কালা হয়ে গেলেও মনের জ্বালা ততদিনে একটু কমেছে। কারণ, ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ বেশ ভাল চলেছে। এক বছরেই এর প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে পরিবর্তিত এবং পরিবর্ধিত সংস্করণ বের করতে চাচ্ছেন প্রকাশক। নীলক্ষেতের চটি-বই মার্কা ভুল ভাল বানান গুলোও ভদ্রলোক ঠিক করে দিয়েছেন। ড. শাব্বির আহমেদ, ড. বিপ্লব পাল, ড. হিরন্ময় সেনগুপ্ত, ড. শহিদুল ইসলাম, ড.বিনয় মজুমদারের মত বরেন্য লেখক এবং শিক্ষাবিদেরা বইটির রিভিউ করেছেন । সে সব রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে এনএফবি, অবজারভার, হলিডে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ডেইলি স্টার, মৃদুভাষণ, ভোরের কাগজ সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল কালি ও কলমের একটি সংখ্যায় গ্যালিলিওকে নিয়ে লিখতে গিয়ে আমার বইয়ের রেফারেন্স দিলেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বইটির বেশ বড়সড় প্রকাশনা উৎসব হল। সে উৎসবে যোগ দিয়ে বইটির ঢালাও প্রশংসা করেছেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাহিত্যিক বশীর আল হেলাল, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত, লেখক ও সংকলক মীজানুর রহমান (মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা খ্যাত) সহ অনেকেই। এগুলো খবর আমি পাই দেশের বাইরে বসে পত্র-পত্রিকা থেকে নয়ত বন্ধুদের মারফৎ। মনটাই বিষন্ন হয়ে যায়। তসলিমার কবিতার দুচরণ মনে পড়ে তখন – ‘দেশ তুমি কেমন আছো? কেমন আছো দেশ তুমি?’ কিংবা মাহমুদুজ্জামান বাবুর গানের লাইন – ‘তুমি আসবে এখানে আসবে -এই মানচিত্র তোমাকে ডাকছে’।
তা মানচিত্রের টানে মাঝে একবার দেশে যাওয়া হল। ভাবলাম, বিদেশ বিভুঁই থেকে নানা কিসিমের কথাবার্তা শুনি, এবারে আমার বইয়ের হাল সরোজমিনে দেখা যাবে। আমার মাঝে মধ্যেই সন্দেহ হত, আদৌ আমার বই কি কেউ পড়ে? আমার বদ্ধমূল ধারনা ছিল আমার শ্রদ্ধেয় পিতা এই অধম সন্তানের বই লুকিয়ে লুকিয়ে দোকান থেকে কিনে নেয়, আমাকে খুশি করার জন্য। যদিও যখনই হাল্কা চালে গুতা দিতে বাবাকে যতবারই জিজ্ঞাসা করি – ততবারই তিনি কখনোই একটি কপিও কিনেনি বলে জোর দাবি করেন। আমি আসলেই অবাক হই- আমার বই তাহলে পড়ে কে? একদিন শাহবাগের বইপত্র স্টলে গেছি। স্টলের সেলস্ম্যান আমাকে দেখেই বললেন – আপনি একটা বই লিখেছেন না? আমি আড়ষ্ট ভঙ্গীতে বলি – কই আপনার দোকানে তো তার নমুনা দেখি না। এর মধ্যে আড় চোখে পাশের শেলফগুলোয় দেখে নিয়েছি – আমার কোন বই ওতে নেই। সেলসম্যান সাহেব মৃদু হেসে নিজের দেহকে একটু কাৎ করে তার পেছনের বইগুলো দেখিয়ে বললেন – এই দেখুন। আমি লজ্জিত হই। আমার বই এত সামনে থাকবে আশা করিনি। সেলসম্যান আবারো বললেন, সেদিন অস্ট্রেলিয়ার থেকে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন – আপনার বইটার এমন প্রশংসা শুরু করলেন…। আমার চোয়াল ততক্ষনে বিঘৎখানেক ঝুলে গেছে। মাথা ঝিম ঝিম করছে। সেলস্ম্যান-এর কোন কথা আর কানে যাচ্ছে না। হতভম্ভ অবস্থাতেই দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম। এখন আবছাভাবে মনে পড়ছে সেলসম্যান নাম ছিল বোধ হয় জয়ন্ত বা এই জাতীয় কিছু।
আরেকদিন অঙ্কুরের অফিসে গেছি। দেখি আকিমুন রহমান। আমি সবেমাত্র উনার ‘বিবি থেকে বেগম’ নামের অসামান্য বইটা পড়ে শেষ করেছি। উনার বাংলা পড়লে আমার সত্য সত্যই লেখা ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে। একটু এগিয়ে গিয়ে আমার পরিচয় দিয়ে বলতে শুরু করলাম- আপনার বইটা এত চমৎকার লেগেছে…। উনি তার আগেই হর বর করে বললেন, ‘আরে আপনাকেই খুঁজছি। আপনার বইটা খুবই ভাল লেগেছে। শুধু আমারই না আমার আমেরিকা প্রবাসী দুই ভাই (একজন বোধ হয় পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক) এমন প্রশংসা …’। আমি ততক্ষণে মাটিতে মিশে যেতে শুরু করেছি। আকিমুন রহমানের মত লেখিকা যদি ভর দুপুরে আমার লেখার প্রশংসা শুরু করেন, তবে চামচিকার পাখিতে পরিণত হতে দেরী নেই।
আমার পরের বই ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’, মুক্তমনার ফরিদ ভাইয়ের সাথে যৌথভাবে লেখা। এবারে আমার বইয়ের প্রকাশক হলেন অবসর প্রকাশনার আলমগীর রহমান। ঢাকার এক নামজাদা বণেদী প্রকাশক। থাকেন ধানমন্ডির এক আলিশান ফ্ল্যাটে। তার নীচের ফ্ল্যাটেই সপরিবারে থাকেন হূমায়ুন আহমেদ। |
এই আলমগীর সাহেব সাংস্কৃতিক অংগনে ‘খ্যারখ্যারা পাবলিক’ হিসবে জগদ্বিখ্যাত। দুনিয়ার সবাইকে রাখেন বকার উপরে। কারো সাথে ভাল করে দু-দন্ড কথা বলতে পারেন বলে মনে হয় না। তবে যারা অনেকদিন ধরে আলমগীর ভাইকে চেনেন তারা জানেন আলমগীর ভাইয়ের স্বভাব আসলে নারকেলের মত। উপরটাই কেবল শক্তপোক্ত, ভিতরটা নাকি নরম শাসে তৈরি। তো এই ‘নারকেল’ আলমগীর ভাই আমার মহাবিশ্বে প্রাণ আর বন্যার ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইদুটো বইমেলায় বের করবেন বলে কথা দিলেন। এর আগের বইমেলায় তার প্রকাশিত বই ‘হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি’ (লেখক গোলাম মুর্শিদ) বাংলা একাডেমীর বইমেলায় শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। তিনি যে কেন আমার বইখানা প্রকাশ করার জন্য ছ’ মাস আগে থেকেই হুড়াহুড়ি শুরু করে দিলেন তিনিই জানেন।
তা এই বইটা প্রকাশের সময় এক মজার ব্যাপার হল। আলমগীর ভাই ওয়াদা করেছিলেন যে তারিখে, বইটা বেরিয়ে গেল তার দু দিন আগে। ভদ্রলোক আবারো প্রমাণ করলেন, উনিই সত্যই করিৎকর্মা। আমাদের এবং আমাদের প্রকাশকের প্রত্যাশাকে পূর্ণ করে বইদুটি পাঠকপ্রিয়তায় ধন্য হয়েছে। দ্বিজেন শর্মার মত জনপ্রিয় সর্বজনশ্রদ্ধেয় লেখক এবং গবেষক আমাদের বইগুলো পড়ে নিকে থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে বইগুলো পর্যালোচনা করেছেন পত্রিকার প্রথম আলোর পাতায় (ডারউইন : বিশ্বে ও মহাবিশ্বে দ্রষ্টব্য)। এছাড়া আমাদের বইয়ের রিভিউ বেরিয়েছে সমকাল, সায়েন্স ওয়ার্ল্ড সহ অনেক পত্র-পত্রিকাতেই। আমাদের বই দুটো নিয়ে ঢাকায় সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়। ‘প্রাণের উন্মেষ ও বিবর্তন’ বিষয়ক এই সেমিনারটির উদ্যোক্তা ছিল শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ। সে সেমিনারে প্রাণের উৎপত্তি এবং বিবর্তনের রহস্যকে প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরেছিলেন আসিফ, ড. ম. আখতারুজ্জামান, ড. অজয় রায়, দ্বিজেন শর্মা, ড. শহিদুল ইসলাম, ড. এইচ কে এস আরেফিনের মত বরেণ্য ব্যক্তিরা। সব মিলিয়ে নিরাশ হবার কোন সঙ্গত কারণ নেই।
পুরোন কাসুন্দি অনেক ঘাটা হল। এবার এ বই মেলায় কি বেরুচ্ছে সে প্রসঙ্গে আসি। প্রথমেই বলা দরকার মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে আর বিবর্তনের পথ ধরে বইদুটোর নতুন সংস্করণ বেরিয়ে গেছে অবসর প্রকাশনা থেকে। গতবারের পুরোন ভুল-ত্রুটি যা কিছু ছিল তা শুদ্ধ করে ফেলেছেন আলমগীর ভাই। গতকাল ফোন করেছিলাম তার সেল ফোনে। একটাই দুঃখ তার – নতুন সংস্করণ ছাপানোর পর গতবারের মত নাকি বই চলছে না। আমি বললাম – কি আর করবেন – সবই কপাল! মনে মনে ভাবলাম – এইটাই স্বাভাবিক। ব্যাক্কলের লিখা আবার পড়ে ক্যাডা। গতবার চিপা দিইয়া ক্যামনে ক্যামনে যে বইগুলা ভাল চলছে কে জানে!
অঙ্কুরকে দিয়ে আর বই বের করব না – প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। রাগ কমে যাওয়ায় প্রতীজ্ঞা রাখতে পারলাম না। অঙ্কুর থেকে আমার আর সাদ কামালীর সম্পাদনায় একটি বই বেরুচ্ছে এ বারের বই মেলায় – স্বতন্ত্র ভাবনা নামে। ‘স্বতন্ত্র ভাবনা’ বইটি মুক্তমনা-লেখকদের নির্বাচিত প্রবন্ধের একটি সংকলন। অন্ধ বিশ্বাস, ধর্মীয় মৌলবাদ, কুপমুন্ডুকতা, প্রতিক্রিয়াশিলতা, আলৌকিকতা ও কুসংস্কারকে উসকে দেওয়া নিবর্তনমূলক ধ্যান ধারণার বিপরীতে আমাদের যে আদর্শিক সংগ্রাম শুরু হয়েছিল আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, এ বইয়ের লেখাগুলো তারই নিদর্শন বহন করছে। প্রচলিত ধ্যান ধারণার গডডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো লেখা নয় এগুলো, নয় প্রচলিত বিশ্বাস এবং সিস্টেমের আনত স্তব। এ বইটি বিশ্বাস ভাঙ্গার, নির্মোহ দৃষ্টিতে সমাজ ও ব্যক্তিকে দেখার। সে হিসেবে এ বইয়ের লেখকদের ভাবনাগুলো স্বতন্ত্র; অনেকটাই আলাদা সমাজে বিদ্যমান পশ্চাৎপদ ধ্যান ধারণাগুলো থেকে। তাই এ বইয়ের নাম ‘স্বতন্ত্র ভাবনা’। আমার ধারনা বইটা এই পাথর সময়ে যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পাবে। এছাড়া ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সহাবস্থান?’ নামেও একটি আমাদের একটি প্রবন্ধ সংকলন বের হওয়ার কথা আছে।
আমদের মুক্তমনা এবং সমমনা লেখকদের আগে বের হওয়া বেশ কিছু বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে আমার প্রিয় একজন লেখক প্রদীপ দেবের ‘আইনস্টাইনের কাল’ (মীরা প্রকাশন, ২০০৬) বইটির কথা আলাদা বলতেই হবে। বইটি বেরিয়েছিল ২০০৬ সালের বই মেলায়। প্রদীপ দেবের লেখা নিয়ে আমার আলাদা করে বলবার কিছু নেই। মক্তমনার সদস্যরা এর মধ্যেই প্রদীপের স্বচ্ছ, যৌক্তিক এবং প্রাঞ্জল লেখার সাথে পরিচিত হয়ে গেছেন। আমি মুক্তমনায় যে ক’জন লেখকের লেখা সব সময় মন দিয়ে পড়ি, প্রদীপ রয়েছেন সে তালিকার একদম প্রথম দিকে (আমার এই লেখাটি প্রকাশের পর প্রদীপ দেবের একটি চমৎকার প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে মুক্তমনায় – প্রকাশিত বইয়ের অপ্রকাশিত কথা শিরোনামে। তরুন লেখকেরা যারা ভবিষ্যতে নিজেদের বই প্রকাশ করবেন, তারা প্রদীপ দেবের এই লেখাটি থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন)। |
বাংলাদেশে আমার আরো ক’য়েকজন প্রিয় লেখক আছেন। এরা ইন্টারনেটে বা ফোরামে না লিখলেও মুক্তমনার আন্দোলনের সাথে নিবিড়ভাবে সংহতি প্রকাশ করেন। তারা পত্র-পত্রিকায় লিখেন, আমাদের মত মুক্তমনাদের কথা, মুক্তবুদ্ধি এবং মুক্তচিন্তার কথা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড.শহিদুল ইসলামের ‘বিজ্ঞানের দর্শন’ (শিক্ষাবার্তা, ২০০৬) বইটি আমার অন্যতম প্রিয় বইগুলোর একটি। সম্প্রতি বইটির ২য় খন্ড বের হয়েছে।
আমার প্রিয় বিজ্ঞান লেখক এবং বিজ্ঞান বক্তা আসিফের ‘মহাজাগতিক আলোয় ফিরে দেখা’ (সময় প্রকাশন) খুব পছন্দের একটি বই। আসিফ নিজে সায়েন্স ওয়ার্ল্ডের সম্পাদক এবং বাংলাদেশে বিজ্ঞান আন্দোলনকে তরুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার একজন অগ্রগামী কান্ডারী। আমার পছন্দের লেখকের তালিকায় রয়েছে রুশো তাহেরেও বেশ ক’টি বই। এর মধ্যে ‘মানুষের মহাজাগতিক ঠিকানা’ (ঐতিহ্য), বিজ্ঞান, অপবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান সংস্কৃতি’ (স্ট্রেড পাব্লিকেশনস), ‘বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং কিছু দার্শনিক প্রসঙ্গ’ (স্ট্রেড পাব্লিকেশনস) প্রভৃতি বইগুলো আমার বুক শেলফে আছে নিজ মহিমায় ভাস্বর হয়ে। |
|
শিক্ষাবার্তা, অঙ্কুর আর অবসরের স্টলে আমাদের ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন ‘মুক্তান্বেষা’ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চ এবং মুক্তমনার একটি যৌথ প্রয়াস হিসেবে ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির লক্ষ্য হচ্ছে সমাজে যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনস্কতা এবং মানবকল্যানবোধ প্রতিষ্ঠা। পত্রিকাটির মর্মবানী ‘শিক্ষা-যুক্তি-বিজ্ঞান-মানবতা হোক আমাদের আলোকবর্তিকা’ – হয়ত অনেককেই বিশের দশকের প্রগতিশীল শিখা গোষ্ঠির কথা স্মরণ করিয়ে দিবে যাদের শ্লোগান ছিল –
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ
যুক্তি যেখানে আরষ্ট
মুক্তি সেখানে অসম্ভব।
২০০৭ সালের জুলাই মাসে মুক্তান্বেষার প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার নিমেষ মধ্যে এর প্রথম সংস্করণ নিঃশেষিত হয়ে যায় (অনলাইনে সম্পূর্ণ প্রথম সংখ্যাটি পড়ুন)। পাঠকপ্রিয় এ পত্রিকাটিকে অনেকেই চিহ্নিত করেছেন একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রকাশনা হিসবে, যা নতুন প্রজন্মকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেবে বলে তারা মনে করছেন। এ বই মেলায় ম্যাগাজিনটির ২য় সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। মুক্তান্বেষা পত্রিকাটির মত সিলেটের বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের প্রকাশনা যুক্তি ম্যাগাজিনটিরও ২য় সখ্যা বেরিয়ে গেছে। মুক্তান্বেষার মত যুক্তির প্রথম সংখ্যাটিও যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। |
|
যুক্তিবাদ, সংশয়বাদ, মানবতাবাদ, কিংবা ইহজাগতিকতার মত আধুনিক ধারনাগুলো সমাজ সচেতন মানুষের কাছে ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ম্যাগাজিন দুটো হয়ত তারই পরিচয় বহন করে। তারপরও বলতে হয় এ ধরনের বইপত্র লিখবার বিপদ আছে। সত্য কথা বলবার বিপদ আনেক। আজকের বাংলাদেশে তো এটি আরো প্রকটভাবে সত্য।
তসলিমা নাসরিন, হূমায়ুন আজাদ কিংবা আহমেদ শরীফদের পরিণতি দেখলেই তা বোঝা যায়। হ্যা, প্রতিক্রিয়াশীলদের ভয় পাওয়ার যথেষ্ট করাণ আছে। তারপরও বলতে হয় – জগৎ জুড়ে চিন্তাশীল ব্যক্তিরা স্বাধীন ভাবে তাদের মত ও বক্তব্য প্রকাশ করতে চান; স্বাধীনভাবে মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে তারা দ্বিধান্নিত হন না। তাদের সেই বিবেকের তাগিদই প্রকাশ পেয়েছে প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিসের (৪৮০ -৪০৬ খ্রী.পূ) একটি বাণীতে – ‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। চিন্তারাজিকে প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরণের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভাল’। মুক্তান্বেষা আর যুক্তি ইউরিপিডিসের সেই অবরুদ্ধ বিবেকের তাগিদেরই বাস্তব প্রতিফলন যেন, সত্যিকারের শিকল ভাঙ্গার ডাক। সত্যিকারের মুক্তমনারা তাই মনে করে – নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই।
(১) প্রবীর ঘোষ, ‘অলৌকিক নয় লৌকিক’ (১ম থেকে ৫ম খণ্ড), ‘আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না’, ‘যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা’ (১ম-২য় খণ্ড), প্রবীর ঘোষের সম্পাদিত গ্রন্থ ‘যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’, ওয়াহিদ রেজার সাথে যৌথভাবে সম্পাদিত ‘দুই বাংলার যুক্তিবাদীদের চোখে ধর্ম’। |
সবাইকে ডারউইন ডে এবং ভ্যালেন্টাইন্স ডের শুভেচ্ছা।
ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০০৮
এই বই মেলায় শুদ্ধস্বর থেকে ‘প্রেস জোকস’ নামে আমারও একটি রম্যরচনা বেড়িয়েছিল। 🙂
এমন তালিকা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। যুক্তি পত্রিকা আমাকে অনন্ত ভাই পাঠিয়েছেন। ধন্যবাদ অনন্ত ভাইকে। ইসলাম ও শরিয়া বইটি কেনার জন্য ছোট ভাইকে পাঠিয়েছিলাম আজিজ সুপার মার্কেটে কিন্তু পাওয়া গেলো না। ইফতেখার আমিনকে ফোন করেছিলাম, তিনি বলেছেন বইটি শেষ। আর সব বই একই লাইব্রেবীতে পাওয়া যায় না। সবচেয়ে ভালো হতো যদি মুক্তমনার সমস্ত বই একটি লাইব্রেবীতে পাওয়া যেতো। এমন লাইব্রেরী কি গড়ে তোলা সম্ভব?
রণদীপম বসু এবং লাইজু নাহারের বইয়ের তথ্যগুলো হালনাগাদ করে দেয়া হল।
@মুক্তমনা এডমিন,
ধন্যবাদ মুক্তমনাকে।
@ তানভী, চট্টগ্রামের “বিশদ বাঙলা”র (মেহেদিবাগ) গ্রন্থাগারে বইমেলার বই খুঁজে দেখতে পারেন। যতদূর জানি ওখানে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলার বই নিয়ে ছোটখাট মেলার আয়োজন করা হয়। কোনো বই না পেলে বিশদ বাঙলার সত্বাধিকারী আলম খোরশেদ ভাইকে বললে তিনি যোগাড় করে রাখেন। তাছাড়া আলম ভাই মুক্তমনাদেরও চেনেন।
ও আচ্ছা! অভিজিৎ ভাইয়ার বই নিয়ে তো আমার মজার ঘটনা টা বলাই হলো না!!
আমি প্রথম ধাক্কায় ই-বুকটা পড়ে অনেক উৎসাহ পেয়েছিলাম, এই বইটা আমার পুরোনো ছিদ্রগুলোকে বড় করে আলো ঢোকার ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু কম্পিউটারের স্ক্রীনে বই বা লেখা পড়ে আমি কখনই পুরো তৃপ্তি পাই না, তাই খুঁজে পেতে হার্ডকভার কিনে আবার পড়ি।
চট্টগ্রামের এক মোটামুটি বিখ্যাত বইয়ের দোকান(বাতিঘর)এ আমি প্রায়ই যাই। ওখানে গিয়ে আমি একদিন অভিজিৎ ভাইয়ার বইটার খোঁজ করলাম, নাম বললাম “আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারেরও যাত্রী”। নাম শুনে যে ছিল সে এমন ভাব করল যেন আমি রবীন্দ্রসঙ্গীতের বই খুঁজছি (এই লোক মালিকের ভাই, সবসময় দোকানে থাকে কিন্তু বইয়ের সম্পর্কে জ্ঞান নাই, ভাব নিয়া সারাদিন দোকানের ল্যান্ডফোনে খাজুইরা আলাপ করে)। সেদিন হাল ছেড়ে দিলাম। :guli:
বেশ কিছু দিন পরে অন্য আরেক দিন আসলাম। দোকানের আসল মালিক সেদিন ছিলেন। তাকেই জিজ্ঞাসা করলাম এবার। তিনি শুধু মাত্র নাম শুনেই বলে উঠলেন-“অভিজিৎ, অভিজিৎ?” আমিও সজোরে মাথা নেড়ে বললাম- হ হ অভিজিৎ!! উনি ডাইনে বামে উপ্রে নিচে বহু খোজাখুজির পর ফ্যাকাশে মুখে বললেন নাই!! আবার খুশি হয়া উঠলেন, আর “স্বতন্ত্র ভাবনা” বাইর কইরা বললেন “এইটাও অভিজিতের”~(!!)। আমি উল্টায়া পাল্টায়া বইটা দেখলাম, তারপর আবার ফেরত দিয়া বললাম,”এইটা নিয়া লাভ নাই 🙁 ।” সেদিনও বাইর হয়া গেলাম।
এরপর আরো বেশ অনেক বার দোকানটা তে গিয়েছি, প্রতি বারেই আমি তাদের এই বইয়ের জন্য বিরক্ত করে ছেড়ে দিয়েছি, লাভ হয় নাই। এইভাবে প্রায় ৫-৬ মাস পার হয়া গেল! এরপর আমি জোর করেই তাদের কাছে বইটার অর্ডার লেখালাম(আসলে চট্টগ্রামে আর তেমন কোন ভালো দোকানও নাই,সব গুলাতেই আমি খুঁজে ফেলেছি, লাভ হয় নাই!!)।
অর্ডার লেখানোর পরও প্রায় আরো দুই মাস তাদের দোকানে ধর্না দিতে দিতে আমার মাথা খারাপ হবার দশা!! :-Y তারা কয়,”প্রিন্ট নাই! নতুন কইরা প্রিন্ট কইরা তারপর দেওন লাগবো!! তাই দেরি হয়!!” এর মধ্যে বিরক্ত হয়া আমি অভিজিৎ ভাইয়ারে ঝাড়ি দিয়া (ধুর মিয়া অর্ডার দিয়াও আপনের বই পাইনা ক্যা?!!?) কয়েকটা মেইলও করে ফেলসি! উনি কয় বহুত পুরান বইতো তাই দিতে একটু সময় লাগে(তিন বছরও হয় নাই!!) একটু সবুর কর! ( আমি মনে মনে কই সবুর করতে করতে তো বুড়া হয়া গেলাম!!)। এর পর ,
এত কিছুর শেষে অর্ডার দেয়ার তিন মাসের মাথায় বইটা দোকানে আসল, আর আমাকে ফোন দেয়া হল যে বই এসেছে। ছোট খাট কাজের কারনে ফোন করার পর দু তিন দিনের মধ্যে ওই দোকানে যেতে পারি নাই। তিন দিন পরে দোকানে যায়া উলটা আমি ঝাড়ি খাই!! তারা কয়, ভাই যেদিন ফোন দিছি সেইদিন আসতে পারেন নাই? তিনটা কপি আনছি দুইটা অলরেডি বেচা শ্যাষ! আপনের জন্য কোনমতে এক কপি তুইলা রাখছি! ওইটা নিয়াও টান পড়ছিল!!
কোন রকম টাকা নিয়া বইটা কিনে বাড়িতে আসলাম। বই উলটানো শুরু করলাম, ভূমিকা পড়ি আর পড়ি শ্যাষ হয় না! ঘটনা কি? ভালো মত খেয়াল কইরা দেখি আমার কপিতে ভূমিকা দুইবার ছাপা হইসে!!! :-X
@তানভী,
আপনার অসীম ধৈর্য্য আর অধ্যাবসায়ের পুরষ্কার হিসেবেই আপনার বইতে বিশেষভাবেই দুইবার ভূমিকা ছাপা হয়েছে।
এর মধ্য মজার কি দেখলেন!
@আদিল মাহমুদ,
“বিবর্তনের পথ ধরে” নিয়াও মজা হয়েছিল। চিটাগাঙের নিলক্ষেত হিসাবে পরিচিত নুপুর মার্কেট(যদিও সেখানে পুরান বই আর ভার্সিটির বইই বেশি পাওয়া যায়) এ বইটা আমি প্রথম দেখি। একদম নতুন তরতাজা বই(ঐ দোকানে নতুন বইও রাখে,বইমেলার বইও পাওয়া যায়)। প্রথম দিন উল্টায়া পাল্টায়া দেখলাম, তারপর ভাবলাম “বিবর্তন!! ঝামেলা! আইজকা রাইখ্যা যাই, কয়দিন পরে বেচা না হইলে কিনা লয়া যামুনে।” এরপর একমাস মাঝেমধ্যে এসে ঘুরে গেছি, তাও দেখি বিক্রি হয় নাই! শেষমেষ কি আর করা, আমিই কিনলাম!!
তবে বন্যাপু আবার ভাইবেন না যে আপনার বই চলে নাই,সেই জন্য কেউ নেয় নাই। চিন্তা কইরা দেখেন যে আপনার বই চিপা চাপার ভিতরে পুরান বইয়ের দোকানেও চলে গেছে। কিন্তু অভিজিৎ ভাইয়ার বই পাইতে আমাকে শহরের নামকরা দোকানে প্রায় এক বছর ধর্না দিতে হয়েছে!!! তাইলে ভাবেন, কে বেশি জনপ্রিয়!!আর ভালো ব্যপার হচ্ছে এই যে আমি আপনার বইটা কেনার পরপর কয় দিন পরেই দেখি যে ঐ দোকানে আরেকটা কপি চলে এসেছে। এখনো আসছে। কিন্তু অভিজিৎ ভাইয়ার বই আমি কেনার পর আর একবারের জন্যও ঐ দোকানে দেখি নাই!! অঙ্কুর এমনই খাইশটা!
@তানভী,
বই এর ব্যাপারে অভিজ্ঞরা বলে থাকেন যে কোন বই যদি আসলেই জনপ্রিয় হয় তবে সেটাকে পুরনো বই এর বাজারে পাওয়া যায়।
@তানভী,
আমি কিন্তু এটাকে কম্পলিমেন্ট হিসেবেই নিলাম। 🙂
আদিলের মত আমিও বলি – একটা বইয়ের পয়সায় বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত একটা ভূমিকাও পেয়ে গেছেন। আপনার আসলে খুশিই হওয়া উচিৎ। 🙂
অঞ্জন আচার্যের নতুন কবিতার বইটা সংযোজন করে দেয়া হল। সম্ভবতঃ বইটা শুদ্ধস্বর থেকে। অঞ্জন কেবল ই-মেইলে কভারপেজটা পাঠিয়েছে। বাকি তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
‘বিজ্ঞান ও ধর্ম, সংঘাত নাকি সমন্বয়’ কি এবার বেরুচ্ছে?
@রাহাত খান,
ইহা জানে অঙ্কুর আর ঈশ্বর 🙂
@অভিজিৎ,
ঈশ্বরে বিশ্বাস তো করতেই হল!
বৃথা ধানাই পানাই ছেড়ে ঈশ্বরে বিশ্বাস স্বীকার করে নিলেই তো হয়।
@আদিল মাহমুদ,
আরে ধানাই পানাই তো বহু আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
আপনার ‘আলু পুরির থেকে ঈশ্বর উত্তম’ ।
@অভিজিৎ,
হেঃ হেঃ।
এতদিনে এত হাজার হাজার লোক, ওয়েব সাইট, স্বঘোষিত বিজ্ঞানী কাম আলেম মোল্লাদের অশ্রাব্য গালিগালাজে যা সম্ভব হয় নাই তা আমার আলুর মহিমায় কি সহজেই হয়ে গেল। সদালাপে জম্পেশ একটা লেখা দিচ্ছি এ নিয়ে! রামগড়ুড়ের ছানা বেচারার তো আর মুখ দেখানোর জো রইল না।
শুভ কাজে আর দেরী করে লাভ কি? সামারে এইদিকে চলে আসেন, তবলীগে নিয়া যাব। একবার গেছিলাম কলোরাডো তে। ব্যাবস্থা অতি উত্তম। সকালবেলা ক্রীম চীজ, মধু আর রুটি দিয়ে নাস্তা, বেলায় বেলায় ভাই ব্রাদারদের বাড়ি থেকে পোলাউ বিরানী সহ নানান রকম শাহী খানা। ঘোর বেদ্বীনেরও দ্বীনের পথে আসতে দেরী হবার কথা না।
চমৎকার পোস্ট !
আগের প্রকাশনার মধ্যে আসিফ ভাই’র বই দুটো কালেকশানে নেই; এবার আর ভুল করা যাবে না ! আসলে গতমেলায়ও আমার চোখে পড়েনি।
‘বিজ্ঞান ও ধর্ম, সংঘাত নাকি সমন্বয়’ প্রথম খণ্ডটা অঙ্কুর প্রকাশনী সত্যি কি এবার নামাবে ! গত মেলায় সারা মাস জুড়ে ঢুঁ মেরেছিলাম। তাদের হাবভাবে কোন তাড়া দেখিনি তখন। যাক, এবার তাহলে পাচ্ছি !
@রণদীপম বসু,
আশা নিয়ে ঘর করি, আশায় পকেট ভরি, আশা রাখি পেয়ে যাব বাকি দু’ আনা। 🙂
বিশাল পান্ডুলিপি দেখে মনে হয় ঘাবরায় গ্যাছে। আর তা ছাড়া অঙ্কুর এরকমই। এক বইমেলা টার্গেট করে যদি পান্ডুলিপি দেন, তো সেটা ভাগ্য ভাল হলে বের হবে পরের বই মেলায়, নাইলে আরো পরে। এবার বই মেলায় গিয়া অঙ্কুররে চাইপা ধরেন, দেখেন বের করতে পারেন কিনা তাড়াতাড়ি …
আরেকটা কথা, আপনার বইদুটোর প্রচ্ছদ পাঠায় দিয়েন সাথে অনুষঙ্গিক তথ্য। আপডেটেড করে রেখে দিব।
@অভিজিৎ,
ইয়োগা বইটার তথ্য ও ছবি পাঠানো হয়েছে।
বইয়ের নাম: ইয়োগা, সুস্থতায় যোগচর্চা
বইয়ের ধরন: স্বাস্থ্য ও গবেষণা
লেখকের নাম: রণদীপম বসু
প্রকাশক: শুদ্ধস্বর
মুদ্রিত মূল্য: ৩৭৫ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৪০
প্রচ্ছদ শিল্পী: সব্যসাচী হাজরা
[img]http://photos-a.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-snc3/hs163.snc3/19044_1332179577429_1019208663_984593_1963475_n.jpg[/img]
@রণদীপম বসু,
অভিনন্দন!
আপনি তো সিরিজ়টা মুক্তমনায় মনে হয় মনে হয় শুরু করেও আর এগুলেন না।
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই, আমার ওই পোস্টটাতে কিন্তু আমার পূর্ণাঙ্গ বাংলা ইয়োগা সাইটের বিভিন্ন বিষয়গুলোর হাইপার লিঙ্ক করে দিয়েছিলাম। তাই আর সিরিজ চালাইনি।
ধন্যবাদ।
@রণদীপম বসু,
কংগ্রাটস রণদীপমদা। আমি বাসায় গিয়ে মূল পোস্টে আপডেট করে দেব।
সাথে লাইজু নাহারের নতুন বইটাও।
আবারো ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।
মুক্তমনার বই গুলো যে মানুষকে কতটা প্রভাবিত করছে তার বড় প্রমাণ আমি নিজেই।বন্যা আহমেদ এর ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটা পড়েই আমার জীবনের গতিপথ ঘুরে যায়।আমার চারদিকে এমন আরো অনেকজনকেই দেখতে পাই,যারা মুক্তমনার সংস্পর্শে এসে যে বিষয়গুলোকে আগে প্রশ্নাতীত ও তর্কাতীত বলে মনে করত সে সব বিষয়ে প্রশ্ন করতে ও ভাবতে শুরু করেছে।আমার মনে হয় এটাই মুক্তমনার বড় সফলতা।
@পথিক,
খুব ভাল লাগলো শুনে। আপনিও আমাদের জন্য লিখতে থাকুন। এবারে বাংলাদেশ গিয়ে বুঝলাম, এ ধরণের বইয়ের বিরাট একটা চাহিদা আছে, সে তুলননায় লেখক কম। আমরা বহুদিনের চেষ্টায় যে প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছি, সেটাকে ভিত্তি ধরেই এগিয়ে যান। আর অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করুন। নিশ্চয় আমরা করবো জয় … একদিন!
আমার পোড়া কপাল, এবার আর হয়ত বই মেলায় যাওয়া হবে না। তবে বাপ যদি বই কিনে দিতে রাজি হয় তবে আর কিছু না কিনলেও অবশ্যই “বিবর্তনের পথ ধরে” এবং “স্বতন্ত্র্য ভাবনা” কিনব। “বিবর্তনের পথ ধরে” বইটা পড়েই আমার বিজ্ঞান-চেতনা জাগ্রত হয় এবং চিন্তা-চেতনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। বন্যাদিকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করলাম না।
এই পোস্টে এবারকার বইমেলায় প্রকাশিত নতুন বইগুলো সম্বন্ধে তথ্য সন্নিবেশিত করে রাখা হচ্ছে। ব্লগারদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন নিজ নিজ বইগুলো সম্বন্ধে পর্যাপ্ত তথ্য ( বইয়ের নাম, লেখকের নাম, বইটির বিষয়বস্তু, প্রকাশকের নাম, মূদ্রিত মূল্য, পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং প্রচ্ছদকারের নাম) [email protected] – এই ইমেইলে পাঠিয়ে দিন, অথবা এই পোস্টে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেন।
ভাগ্নের এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ হয়েছে, গতকাল আজিজ সুপার মার্কেটের তক্ষশিলা থেকে তাকে কিনে দিলাম ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ আর ‘বিবর্তনের পথ ধরে’। দেখা যাক…। বিবর্তনবাদের ওপর তাকে আগ্রহী মনে হল…।
অভিজিৎদা,
আপনার উৎসাহ আমার প্রেরণা হউক, এই প্রত্যাশার প্রদীপখানি জ্বালিয়ে রাখলুম স্বযত্নে । আর বল্লেন না যে আপনাদের সাথে থাকতে, আপনাদের ছেড়ে কি যাওয়া যায় ? নাকি সম্ভব ? এতোদিন আমার ভাবনা গুলোকে চাপা দিয়ে রেখেছিলুম, ইদানিং খানিক হালকা লাগছে, একটা মুক্তি মুক্তি ভাব জেগেছে, আলগা হয়ে যাওয়ায় স্তুপ থেকেই একবারেই সব বেরিয়ে আসতে চাইছে! তাতেই যা হবার, আটকে গেলো সব, বেরোতে পারছেনা কিছুতেই …….(!)
আপনাদের সবাইকে আবারো অভিনন্দন ।
অভিজিৎদা’র বর্ণনা পড়েতো দারুন লেগেছেই, এমনকি মনে হচ্ছিল যেন সদ্য সুনাম খ্যাত কোন বন্ধুর কাছে তাঁর সাফল্যের গল্প শুনছি । আর তা নেহাতই গল্প নয়, যেনো কোন অভিযানের দুঃসাহসিক কাহিনী, এক প্রণোদনার সফল প্রয়াস । সত্যি অতি সাধারন কথাগুলোর অসাধারন হৃদয়বিদ্ধ উচ্চারণ । বাঙ্ময় !
পড়েছি এক নিঃশ্বাসে ! সেই অনেকদিন থেকেই মানুষ খুঁজছিলাম, কথা বলবো বলে । বলার চাইতে শুনতেই আমি পছন্দ করি বেশী । আসলে বলতে গেলেতো ঘটে কিছু থাকতে হয়, ওখানেই ঘাটতি আরকি । তাই শুধুই শুনি আর শুনি । এমনি সময় আবিষ্কার মুক্তমনাকে । কিভাবে জানেন? মনেহয়, নিজের বসতঘর, পড়ার ঘর, আত্মচিন্তা, মনন আর আত্মজিঙ্গাসা কে কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ল্যাবরেটরীর ডিসেক্সন ট্রেতে নিয়ে বিশ্লেষন সংশ্লেষনের একান্ত আপন কুঠরী !
আমি এখানে কাউকেই হয়তো সরাসরি চিনিনে । সরাসরি যাঁকে চিনি তিনি অধ্যাপক অজয় রায় । অসংখ্য গুনগ্রাহী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আমার মতো অখ্যাত কোন ছাত্রকে ওনার মনে থাকবে এমন প্রত্যাশা আমার একেবারেই নেই । উপরে যাঁরা লিখেছেন, আলোচনা করেছেন, তাঁদের সাবলীলতা আর মনন আমাকে ছুঁয়েছে । আমি জানিনা কি বলে আপনাদের আমার সম্বোধণ করা উচিত । শিখ্খকতা পেশা বলে মনটা বোধ হয় বুড়িয়ে যায়নি, বয়েস যদিও অর্ধশতকের কোঠা ছুঁই ছুঁই করছে । তাই নাম ধরেই একটু কথা হোক ।
প্রাণের এই স্পন্দনটা আজকাল আমি খুঁজে পাইনে সহজে । এইযে উপরের কথা চালাচালি, কি এক নৈকট্য সবার ! সবার কথা গুলো পড়তে পড়তে নিজেকে হাড়িয়ে ফেলেছিলেম । মনে হচ্ছিলো, আমি আমার আপন ভূবনে আছি । এখানে যেনো আমার ভাই-বোন, দাদা-দিদি, কাকা-মামা, শিক্খক –বন্ধু সবাই রয়েছেন । যেন আমি আমারই আলয়ে বসে সবার হৈ চৈ শুনছি, শুনছি জয়ের সাফল্যে উচ্চকিত গৌরব । যেহেতু শুনতে ভালোবাসি তাই শুধু দেখছি আর অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে আছি । কি যে এক হৃদয় মথিত মায়া! আমি উদ্বেলিত! এই যে সুমন ও বন্যাদি’র কথা চালাচালি, মামুন-অভিজিতদা’র কথোপকথন, রায়হান আবীরের ইচ্ছে, ফরিদের ফোড়ন, অমিত ও মানসের প্রশংসা ! কি যে মধুর সম্পর্ক, মনে হচ্ছিলো একই ড্রইং রুমের ছাদের তলায় সবাই! আর সবাই আপনারা আমার আজন্ম চেনা !
এতো আপন কেনো মনে হলো আপনাদের, যাদের সত্যিই আমি চিনিনে একবিন্দুও! এতো উদ্বেলিত আর উৎফুল্লইবা কেন আমি? তবেকি এটি আপন জগতের সন্ধান লাভ ? নাহ্ ওতে যেন তবুও কেমন সূখ্ম কমিউনিটির গন্ধ আছে । মনে হয় এটি মানুষের সাথে মনুষের মতো মিশতে পারার আনন্দ ! আপন চির জগৎটাকে মুক্ত-চিন্তার অপার বলয়ে ছড়িয়ে দেবার আনন্দ!
@Keshab K. Adhikary,
আমার প্রবন্ধের চেয়ে আপনার মন্তব্যই অনেক বেশী প্রাঞ্জল। আপনাকে আমাদের মাঝে পেয়ে সত্যই আমরাও আনন্দিত। আসলে সত্যি বলতে কি আপনি যাদের মুক্তমনায় লেখালিখি করতে দেখেন, তাদের অনেকেই হয়ত কখনো কাউকে দেখেনি, আপনার মতই হয়ত বলবেন। ‘সত্যিই আমি চিনিনে একবিন্দুও’, কিন্তু আমি জানি এই না দেখা সদস্যরা সবাই মিলে মুক্তমনায় তৈরি করেছে এক আপন পরিবার। তাদের বন্ধন যেন রক্তের বধনের চেয়েও বেশি কিছু। ডারউইন দিবসে আপনার সুলিখিত প্রবন্ধ পেয়ে এবং তারপর মুক্তমনায় নিয়মিত মন্তব্য করতে দেখে সত্যি আমার ভাল লাগছে। আপনি থাকুন আমাদের সাথে সবসময়।
বণ্যাদি
দেবী দূর্গা দশ হাতে দশ অস্ত্র ধারণ করেন (বিশ্বাসীদের জন্য)।আমি বিশ্বাস করি এটা নারীর শক্তি।কিন্তূ পুরূষের পেশি(পশু) শক্তির কাছে নিগৃহিত হতে হতে ভূলেই গেছে কতো শক্তি(সৃষ্টির) তারা ধারণ করে।আপনাদের মতো কিছু মানুষ কে দেখে আশান্বিত হই আগামীর পৃথিবী নিশ্চয়ই সুন্দর হবে।তার জন্য অবশ্য আর ও অনেক মানুষকে(নারী) এগিয়ে আসতে হবে।জাগিয়ে দিতে হবে এই মানুষদের(নারী) যাতে তারা আবার অনুভব করে তাদের মধ্যে থাকা সুন্দরের সৃষ্টির অপার শক্তি। এই কাজ আপনাদেরই করতে হবে।সতিত্ব পরীক্ষার জন্য সীতাকে আগুণে নিক্ষেপকারী রাম/পাথর মেরে হত্যাকারী মোহাম্মদের রক্ত বহনকারী পুরূষ(অধিকাংশ) কখনোই তা করবেনা(যেখানে নারীকে মানুষই মনে করেনা)।তাই আপনার কাছে চাই আরও অনেক লেখা যা জাগাবে আরও অনেক মানুষ(নারী)কে যারা মাথা উঁচু করে ঘোষণা(দাবী নয়) করবে তারাও মানুষ।সৃষ্টি-হোক সাহিত্যে,সংগীতে,বিগ্যানে,কৃষিতে,শিল্পে কোথায় তারা নেই।সংখ্যায় কম, তবে এই অকৃতিত্ব তাদের নয় বরং গরিষ্ট পুরুষের।আজ শুধু প্রয়োজন সাহস করে পুরুষের তৈরী অবগুন্ঠন ভেঙে বেরিয়ে আসা।আর এই সাহস আপনি এবং আপনারাই পারেন তাদের জোগাতে।আমাদের মতো ভোঁতা কলম ধারীদের সাধ্য নেই তা করার।তাই অনুরোধ আবার লিখতে শুরু করুন এবং অনেক অনেক পরিমানে। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।
মানস
🙂 🙂
দুর্দান্ত তথ্যবহুল লেখা। “মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে” ও “বিবর্তনের পথ ধরে” বই দু’টো সংগ্রহে আছে। এই পোস্ট থেকে আরো কিছু বইয়ের নাম পেলাম – যেগুলো মা-বাবাকে বইমেলা থেকে কিনে পাঠাতে বলতে হবে।
তালিকাতে আমার নতুন বইয়ের নামও চলে এসেছে – এতে প্রচন্ড গর্ব বোধ করছি। ধন্যবাদ।
অভিজিত দা, আপনার লেখা পড়ে বন্যা নামের একজন লেখকের নাম মনে পড়ে গেল। উনি কি এখন লেখা টেখা ছেড়ে দিয়েছেন। যদি না ছাইড়া থাকে তয় উনারে এই অধম ভক্তের আওয়াজ পৌছায়া দিয়েন। আহ! কতদিন তার লেখা পড়িনা। মাইয়াডা বড় ভালা লিখতো।
@suman,
নাহ, মরি নাই, আওয়াজ দিলে এখনও শুনতে পাই… যাক আপনার মন্তব্যটা পইড়াই শেষ পর্যন্ত আবার লেখার বৌনি করলাম! আপনার ‘মাইয়াডা’ সম্বোধন শুইনা বুঝতে পারতেসিলাম না বয়স্ক ব্যাক্তিকে অশ্রদ্ধা করার কারনে রাগ করা উচিত নাকি, আমাকে ‘মাইয়াডা’ ভাবার কারনে ভীষণভাবে ‘ডিনায়ালে’ চইলা গিয়া খুশি হয়ে যাওয়া উচিত। তবে একটা কাজের কাজ হইল, অভিজিত বহুদিন ধরে বলেও এই ব্লগে আমাকে লিখাতে পারেনি, আপনি পারলেন। লিখব লিখব আবার লিখব…… ধন্যবাদ আমাকে স্মরণ করার জন্য। ডারঊইন দিবস উপলক্ষে একটা কিছু লেখার চেষ্টা করছি কিন্তু বহুদিনের অনভ্যাসে কারনে ‘আউটপুট’ এখনও শূণ্য 🙂
@বন্যা,
অভিজিত ছাড়াও আরো কেউ কেউও চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাজ হয়নি কোন। স্বেচ্ছায় কেউ যদি তার প্রতিভাকে হনন করতে চায় তাহলে আর কার কি করার আছে।
তবুও ভাল যে, সুমনের ‘মাইয়াডা’ ডাক শুইনা শীতনিদ্রা ভাঙ্গলো শ্রীমতির। দেখা যাক আরেকটা বিবর্তনের পথ ধরে বের হয় কিনা।
ধন্যবাদ সুমন।
@বন্যাদি,
দিদি, পরেরটা, পরেরটা ঠিক। দুষ্টুমির জন্যে দুঃখিত তবে আপনার লেখা সত্যি খুব মিস করছি। নতুন লেখার আশায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
@বন্যা,কী যে ভালো লাগছে আমাদের একালের হাইপোশিয়া আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসছে। প্রানঢালা অভিনন্দন ও স্বাগতম । :evilgrin:
মামুন,
ষ্টকহোম।
স্বতন্ত্র ভাবনা কিনলাম গতকাল। বইটা পড়তে পড়তে একটু মুক্তমনায় ঢুকে দেখলাম এই লেখা। শুধুতেই বলে রাখি, বইটার পূন মুদ্রণ হওয়াতে বেশ ভালো হয়েছে। আমার মতো পাঠকরা গতবার মিস কর্ছিল।
আর আপনার আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রীর কথা কি বললো। এই বইয়ের খোঁজ পেয়েছিলাম শিক্ষানবিসের মাধ্যমে। ও একদিন আপনার দুইটা বই কিনে এনে বললো, এই লেখক খুব ভালো লেখে। দুইটা বই সাথে সাথে পড়ে ফেলেছি। তখন বিরাট অবসর ছিল। তারপর সচলে এসে আপনারে দেখে আমি তো পুরাই তাব্দা। নিজেরে বস বস লাগতেছিল। পোলাপানকে বলেছিলাম- অভিজিৎ যেখানে লেখে আমিও সেইখানে লিখি। কী লিখি সেটা পরের কথা।
লাস্ট কথা। আপনার বিজ্ঞানময় কিতাব বইটাই আমার জীবন বদলে দিয়েছে। সবকিছুকেই চ্যালেঞ্জ করতে শিখিয়েছে। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করলাম না।
আকাশ মালিকের বইটার জন্য আমি অপেক্ষা করতেছি। টাকা পয়সা থাকলে ১০০ কপি কিনতাম বইটার। তারপর জুমার নামাজের পর মসজিদে লিফলেটের মতো বিতরণ করতাম।
@রায়হান আবীর,
আপনি আমাকে লজ্জায় ফেললেন। সত্যই সম্মানিত বোধ করছি। আমার কিছু অতি সাধারন লেখা যে আপনাদের মত তরুণ মনকে আন্দোলিত করেছে, উজ্জীবিত করেছে, সেজন্য সত্যই ভাল লাগছে।
আমি চাই আপনারা মুক্তমনার জন্য লিখুন। বইমেলায় মুক্তমনার অন্য বইটই গুলো কি চলছে?
আপনারা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান, জনসচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করুন।
যদি কখনো সম্ভব হয় মুক্তমনা-বইগুলোর রিভিউ করবেন। স্বতন্ত্র ভাবনা দিয়েই শুরু করুন না 🙂
@রায়হান আবীর,
সত্যি পারবেন? আপনার ইচ্ছেটাকে অভিনন্দন জানাই, সাহসের প্রশংসা করি। প্রস্তুত থাকুন, আরো সাহসী লোক তৈরি করুন, একদিন তা’ই হবে, আমরা সকলে মিলে আমাদের পৃথিবীটাকে আরো একধাপ এগিয়ে নেবো। তবে প্রকাশের আগে বইটিতে ভাষাগত পরিবর্তন ও নতুন কিছু তত্ত্ব তথ্য সংযোজন হচ্ছে।
@আকাশ মালিক,
ভাই, আপনার বইটা যে কবে বেরুবে?????
এবারো কি বের হয় নাই??????????
@রায়হান আবীর, আপনার বই বিতরণের আইডিয়াটা চরম লাগল :yes: , কিন্তু যাওয়ার আগে রোমান সৈনিকদের মত যুদ্ধস্ত্রাণ পরে নেওয়ার দরকার হতে পারে 😉 জিওগ্রাফিতে তো দেখি, বুদ্ধিহীন প্রাণীদের চিকিৎসা করতে গেলে উল্টো কামড় দিতে চায় … :guli:
Thanks avijit da for your all books list.I will try to buy all.
ড মীজান রহমানের নতুন বই দুটোর নাম পাওয়া গেছে –
শুধু মাটি নই (ঢাকা)
ভাবনার আত্মপ্রকাশ (কলকাতা)
ধন্যবাদ
প্রিয় অভিজিত,
মামুন এর মত ভাগ্যবান নই- এবার দেশে যাওয়া হচ্ছে না। তবে পরিচিতজন দের মাধ্যমে কিছু বই কিনব। বই গুলোর সাথে প্রকাশকের নাম থাকলে খুজে পেতে সুবিধা হবে।
শুভেচ্ছা
সাঈদ
@Sayeed Chaklader,
আমাদের বইগুলোর প্রকাশনার নাম কিন্তু প্রবন্ধেই জানানো আছে। তবুও আর একবার দিচ্ছি
স্বতন্ত্র ভাবনা (চারদিক/অঙ্কুর)
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী (অঙ্কুর)
বিবর্তনের পথ ধরে (অবসর/প্রতীক)
মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (অবসর/প্রতীক)
আইন্সটাইনের কাল (মিরা প্রকাশন)
বিজ্ঞানের দর্শন (শিক্ষাবার্তা)
মহাজাগতিক আলোয় ফিরে দেখা (সময় প্রকাশন)
ইত্যাদি।
@অভিজিৎ,
এখানের অবসর প্রকাশনী কি পুরনো অবসর? যারা ৮৬ সালের দিকে সেবার মত পেপারব্যাক বের করা শুরু করা করে?
প্রিয় অভিজিত রায়,
আগামী ১৫ ই ফেব্রুয়ারী দেশে যাবো।যাওয়ার আগে আজ মুক্তমনায় এবারের ২১শের বই মেলার নতুন ও পুরান বই এর একটি চম্যকার রিভিউ করার জন্য অশেষ আন্তরিক ধন্যবাদ রলো। কম জামেলা নিয়ে মজা করে সময় বাঁছিয়ে আপনার দেয় লিষ্ট অনুযায়ী বই কিনতে পারবো।
ভালো থাকবেন্।
মামুন,
ষ্টকহোম।
@মামুন,
জানাবেন আমাদের কেমন লাগলো বাংলাদেশ গিয়ে। আর আমাদের বইটইগুলা কেমন চলছে তাও জানাবেন।
আপনার দেশ যাত্রা শুভ হোক।