সঙ্গিনী
এই গল্পটা বন্যার জন্য। এর পিছনে দুটো কারণ আছে। একটা কারণ এখানে বলবো, আরেকটা বলবো না। গল্প শেষ হলে পাঠকেরা এমনিতেই বুঝতে পারবেন যে সেই অন্য কারণটা কী।
স্বল্প যে কয়েকজন মেয়ের মেধাকে আমি রীতিমত ঈর্ষা করি তাঁদের মধ্যে বন্যা অন্যতম। অসাধারণ লেখে বললেও কম বলা হয়। ও যে বিষয় নিয়ে লিখছে, সেই বিষয় নিয়েই বাংলায় এর আগে কেউ ঠিকমত লেখেই নি। বিবর্তন নিয়ে এই পরিশ্রমসাধ্য কাজের জন্য বন্যা একদিন যে বরণীয় হবে সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহই নেই। অবশ্য ওর বেশিরভাগ লেখাই আমি বুঝতে পারি না বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে। তারপরেও পড়ে যাই শুধুমাত্র ভাষার লালিত্য আর সহজবোধ্যতার কারণে। বুঝতে না পেরেও মাঝে মাঝে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করি ওকে রাগানোর জন্য। আমার উল্টাপাল্টা মন্তব্য যে লক্ষ্যভেদ করে সেটা টের পাই ওর আউলাঝাউলা মার্কা উত্তর দেওয়া থেকেই।
আমার সাহিত্য প্রতিভার প্রতি আরো অনেকের মতই তার কোন উচ্চ ধারণা নেই। আমার কোন গল্পেই সে কোন মন্তব্য করে নি এখন পর্যন্ত। একারণে এটা তাকে উৎসর্গ করলাম। এইবার মন্তব্য না করে আর কোন উপায় থাকবে না তার।
তবে শুধু একা বন্যাকেই উৎসর্গ করছি না। অভিকেও যুক্ত করে দিলাম এর সাথে। এর পিছনেও দুইটা কারণ রয়েছে। প্রথমত, পারিবারিক ক্যাচাল লাগাতে চাই না আমি। এমনিতে কোন্দলবাজ লোক হিসাবে যথেষ্ট কুখ্যাতি এর মধ্যেই জুটিয়ে ফেলেছি। এই বোঝাকে আর বাড়াতে চাই না। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, অভি যাতে এটাকেও আমার তলানি ধরনের লেখা বলতে না পারে সেই রাস্তা বন্ধ করা।
আগের লেখাটা শুধু গীতাদিকে উৎসর্গ করেছিলাম। আমার উচিত ছিল গীতাদি এবং ইরতিশাদ ভাই দুজনকেই উৎসর্গ করা। তাহলে আর ইরতিশাদ ভাইয়ের কাছ থেকে ছাইপাশ লেখার তকমাটা আমার কপালে জুটতো না।
এখন থেকে বুদ্ধিমান হয়ে গিয়েছি। এর পর থেকে যত লেখা লিখবো তার সবগুলোই মুক্তমনার সব সদস্যদের উৎসর্গ করে দেবো। ফলে, কেউ আর আমার লেখার কোনো সমালোচনা করতে পারবে না।
ঝুঁকিটা মনে হয় একটু বেশিই নিয়ে ফেলেছি আমি। হঠাৎ করে মনে হলো আমার।
দলের লোকজনের কাছ থেকে বেশ কিছুটা দূরেই সরে এসেছি। চোখে পড়ছে না তাদের। কোলাহল শুনতে পাচ্ছি শুধু। আমাদের গোষ্ঠীর লোকজন যে এত হইহট্টগোল করতে পারে তা না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না। এরকম বিপদসঙ্কুল জীবন যাপন করেও যে এরকম হাসিখুশি থাকা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে তারা।
ভুল করে যে সবার কাছ থেকে দূরে সরে এসেছি তা কিন্তু নয়। ইচ্ছা করেই একটু দূরে দূরে থাকি আমি সবার কাছ থেকে। অবশ্য অন্যেরাও আমাকে দূরে রাখতে পারলেই খুশি হয়। আমার আলাদা ধরনের ভাবনা-চিন্তা সবার সাথে মেলে না। তাদের জন্য বড় ধরনের লজ্জা হয়ে জন্মেছি আমি।
শুধু চিন্তাভাবনাতে যে আলাদা তা নয়, শারীরিকভাবে বিকৃত হয়েও জন্মেছি আমি। আমার কদাকার চেহারা দেখে আমার জন্মদাত্রী মাও পর্যন্ত চমকে উঠেছিল। আমাদের সভ্য সমাজে সন্তানকে মেরে ফেলা যায় না বলেই হয়তো বাঁচিয়ে রেখেছিল আমার মা। তা না হলে বোধহয় জন্মের পরেই মৃত্যু ভাগ্যে লেখা ছিল আমার। আমাকে নিয়ে বিব্রত জননী বিচ্ছিরি একটা নামও বরাদ্দ করেছিল আমার জন্য। কাউকে সেই নাম বলতে গেলেও লজ্জা লাগে আমার।
এই জঙ্গলে কোথা থেকে যে এসেছি আমরা তাও এক রহস্য। শ্বাপদসঙ্কুল এই বনভূমিতে চারপাশে মৃত্যুর ফাঁদ পাতা। সেকারণে আমাদের সকলকেই বেশিরভাগ সময়ে গাছের ডালেই বসে থাকতে হয়। অবতার সিনেমার নাভিদের মত গাছের ডালই আমাদের বসতবাটি হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে কারো কোনো ক্ষোভই দেখি না। বেশ ফূর্তিতেই আছে সবাই। খাদ্যের এতই প্রাচূর্য এখানে যে, বিপদ নিয়ে কেউ-ই মাথা ঘামায় না। আমি অবশ্য মাটিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। মাটি দিয়ে তৈরি বলেই হয়তো। ফলে, বিপদকে তোয়াক্কা করে বেশিরভাগ সময়ই মাটিতে কাটাই আমি।
পুরো গোত্রের মধ্যে সবুজই আমার একমাত্র বন্ধু। তার সাথেই যা টুকটাক আলাপ করা যায়। বাকিরা সবাই-ই আমাকে ঘেন্না করে। একদিন সবুজকে জিজ্ঞেস করেছিলাম।
‘দোস্ত, এই যে ঘেরাটোপে ঘেরা আমাদের জীবন। এই জঙ্গলের বাইরে কী আছে কিছুইতো জানি না আমরা। এমনকি ওই যে, সূর্য, চন্দ্র, তারা ওগুলোর আড়ালেই বা কী আছে তাও জানি না আমরা। এগুলো নিয়ে আমাদের কি ভাবা উচিত না বল?’
আমার কথা শুনে পেট চেপে ধরে খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠেছিল সবুজ। বলে, ‘আরে বাহ! তুইতো দেখি একেবারে দার্শনিক হয়ে গেছিস। বড় হয়ে অভিজিৎ রায় হতে চাস নাকিরে ব্যাটা?’
‘কোথা থেকে এলাম আমরা, মহাবিশ্বের অন্য কোনো স্থানে বুদ্ধিমান প্রাণী আছে কি না সেগুলোর খোঁজ নেওয়া কি আমাদের প্রয়োজন না?’ আমি যুক্তি দেখাই।
লুকিয়ে লুকিয়ে বন্যা আহমেদ, অভিজিত রায় আর ফরিদ আহমেদদের বইগুলো যে পড়ে ফেলেছি আমি সেটা আর বলি না সবুজকে। এমনিতেই আমাকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে। আরো হাসির পাত্র হতে চাই না।
‘আরে ইয়ার, এই সব মুক্তমনা মার্কা ভাবনা-চিন্তা বাদ দে। এর চেয়ে আয়, খাই-দাই আর ফূর্তি করি। দুনিয়াতেতো আর ফুর্তির কমতি নাই।‘
আমাকে এড়াতে চায় সবুজ। তার চোখ পড়ে রয়েছে বীথির দিকে। একটু দূরেই কোমর বাঁকা করে বিপদজনক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে বীথি। উদ্ভিন্নযৌবনা তরুণী। ঠোঁটের কোণায় হাসি। চোখে সুস্পষ্ট আমন্ত্রণের দৃষ্টি। সেই আমন্ত্রণকে উপেক্ষা করার শক্তি সবুজের নেই। আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বীথির দিকে ছুটে যায় সবুজ। সবুজকে দৌড়ে তার দিকে আসতে দেখে খিলখিল করে হেসে উঠে বীথি। তারপর সেও উল্টোদিকে ঘুরে ছুট লাগায়। সবুজ আর বীথির এই রঙ-তামাশা দেখে হতাশায় মাথা নাড়ি আমি। শাখামৃগই হয়ে থাকবে এগুলো চিরদিন, মানুষ আর হতে পারবে না কোনোদিনও।
আমাদের গোত্রের মেয়েগুলো সবই এরকম। নির্লজ্জ, বেহায়া, ছেনাল ধরনের। ছেলে দেখলেই ছোঁক ছোঁক করে উঠে একেকটা। কী কারণে যেন আমাকেও ওদের বেশ পছন্দ। আমার সমতল ললাট, খাঁড়া নাক, ঋজু শরীর, এবং বৃদ্ধাঙ্গুলির বিকৃতিও তাদেরকে দূরে সরাতে পারে নি। বরং প্রবল আকর্ষণই বোধ করে এরা তাতে। সুমী, নীতা, পারুদের মত দুর্দান্ত সুন্দরীগুলো সহ গোত্রের প্রায় অর্ধেক যুবতী মেয়েই এর মধ্যে সরাসরি প্রেম নিবেদন করে ফেলেছে আমাকে। সবগুলোকেই প্রত্যাখান করেছি আমি। মেয়েদের এরকম নির্লজ্জভাব, বেহায়া স্বভাব আর ছেনালপনা একদমই পছন্দ না আমার। তাছাড়া কেন যেন ওদের প্রতি কোন আকর্ষণই বোধ করি না আমি। হয়তো সবার থেকে আলাদা হবার কারণেই এই সমস্যা হয়েছে আমার। আমার প্রত্যাখানে রুষ্ট হয়ে দুই একজনতো আমার পুরুষত্ব নিয়েই সন্দেহ পোষণ করেছে। হাবলু বলে ডাকে আমাকে তারা। আমাকে দেখলেই মেয়েগুলো এ ওকে ঠেলা দেয়, আর হাসিতে গড়িয়ে পড়ে। শুনিয়ে শুনিয়ে বলে, ‘ওটাতো মরদ না, হিজড়া।’ কী করে ওদের বোঝাই যে, এ নিয়ে আমার কোনো সমস্যাই নেই। গোপনে গোপনে গুপ্তবাবুর সব বই-ই পড়ে ফেলেছি আমি।
হঠাৎ করেই সামনের ঝোপটা একটু নড়ে উঠে। ভয়ের হিমস্রোত বয়ে যায় আমার সারা শরীরে। মাটি থেকে বড়সড় এক টুকরো পাথর তুলে নেই হাতে। প্রস্তুত। বুড়ো আঙুলের বিকৃতির কারণে এই জিনিষটা বেশ সহজেই করতে পারি আমি। আমার গোত্রের আর কারোরই এরকম নমনীয় বুড়ো আঙুল নেই।
ঝোপের ভিতরের আলোড়্ন আরো বেড়ে গিয়েছে। কিছু একটা বেরিয়ে আসছে ঝোপ থেকে সশব্দে। আমি পাথর ধরা ডান হাতটাকে একটু পিছনে নিয়ে তৈরি হয়ে যাই ছুঁড়ে মারার জন্য।
আমাকে অবাক করে দিয়ে ঝোপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে একটা মেয়ে। পাথর হাতে আমাকে রণমূর্তিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভয়ে চিৎকার করে উঠে সে। মেয়েটাকে দেখেই হাত নামিয়ে নেই আমি। পাথরটাকে ফেলে দিই মাটিতে। ভয়ে তখনও কাঁপছে মেয়েটা। অনেকটা আমার মতই দেখতে। সমতল কপাল, উন্নত নাসিকা, ঋজু শরীর। তবে বুকটা বেশ উঁচু মেয়েটার। ঠিক আমাদের গোত্রের মেয়েদের মতন নয়।
সম্মোহিতের মত মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকি আমি। বুকের মধ্যে অদ্ভুত এক ধরনের অনুভূতি টের পাই। একেই কি বলে প্রেম? কে জানে? সুমী, নীতা, পারুরা হাজার চেষ্টা করেও যে অনুভূতি আমার মধ্যে জন্ম দিতে পারে নি। মাত্র এক লহমার দেখাতেই এই মেয়েটা সেই অনুভূতি জন্ম দিয়ে ফেলেছে আমার বুকের মধ্যে।
কোমল গলায় বলি, ‘ভয় নেই, মারবো না তোমাকে আমি।‘
আমার কোমল গলা শুনে কাঁপুনি কিছুটা বন্ধ হয় মেয়েটার। তার বদলে একরাশ লজ্জা এসে গ্রাস করে তাকে। গাল দুটো পাকা চেরির মত লাল হয়ে উঠেছে। একটানে পাশের গাছ থেকে বড়বড় দুটো গোলপাতা ছিড়ে নেয় সে। একটা দিয়ে উন্নত বুক ঢাকে, আর অন্যটা দিয়ে উরুসন্ধিকে আড়াল করে সে। এরকম অদ্ভুত কাজ আমাদের গোত্রের কোন মেয়েকে কখনো করতে দেখি নি আমি। আমিও বোকার মত মেয়েটাকে অনুসরণ করি। একটা পাতা ছিড়ে নিয়ে নিজের পুরুষত্বকে ঢাকি।
সলজ্জভঙ্গিতে নীচের ঠোঁট কামড়ে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা। আড়চোখে দেখছে আমাকে।
মেয়েটাকে নিজের পরিচয় দেওয়াটা প্রয়োজনবোধ করি আমি। বুকে তর্জনী ঠেকিয়ে মোলায়েম কণ্ঠে বলি, ‘আমি আদম।’
এই প্রথম নিজের বিদঘুটে নামটা বলতে বিন্দুমাত্র সংকোচ হয় না আমার।
‘তোমার নাম কী?’ জিজ্ঞেস করি আমি।
‘হাওয়া।‘ রিনরিন কণ্ঠে উত্তর দেয় মেয়েটা।
মেয়েটার নাম কানে যেতেই প্রবল আলোড়ন টের পাই শরীরের কোষে কোষে। লক্ষ লক্ষ বছর ঘুমিয়ে থাকা হার না মানা জিনগুলো ঘুম থেকে জেগে উঠে বিপুল বিক্রমে আমার ভিতরে। রক্তনদীর প্রবল ঢেউয়ে তথ্যের বিপুল প্রবাহ পৌঁছে যায় মস্তিষ্কের নিউরনে নিউরনে। কোটি কোটি বছর আগে শোনা ঈশ্বরের বাণী ধ্বণিত-প্রতিধ্বণিত হতে থাকে আমার মাথার ভিতরে। গুরুগম্ভীর স্বরে তিনি বলছেন, ‘আদম, এই যে তোমার শস্যক্ষেত্র। চাষবাস করো মনের সুখে। ছড়িয়ে দাও তোমার জিনগুলোকে চারিদিকে। ধাবিত হও অমরত্বের দিকে।‘
হাসিমুখে আমি তাকাই হাওয়ার দিকে। এইতো আমার হাজার বছর ধরে হারিয়ে যাওয়া সঙ্গিনী। যে বুড়ো আঙুলকে বিকৃত ভেবে সবসময় লুকিয়ে রাখতাম আমি, সেটা বের করে দেখাই হাওয়াকে। ডান হাতটাকে এগিয়ে দেই ওর দিকে। হাওয়াও বুকের উপরের পাতাটাকে থুতনি দিয়ে আটকে তার বাঁ হাতটাকে মেলে দেয় আমার দিকে। ওর হাতের বুড়ো আঙুলটা অবিকল আমার মতন। আমার মতই বিকৃত বুড়ো আঙুল নিয়ে জন্মেছে সেও।
গভীর ভালবাসায় হাওয়ার হাত ধরি আমি। গাঢ় স্বরে বলি, ‘এসো প্রিয়ে, ফুলে-ফলে ভরে ফেলি এই বসুন্ধরাকে আমরা। আমাদের জিনকে ছড়িয়ে দেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।‘
আমার হাতের ভিতরে কেঁপে কেঁপে উঠে হাওয়ার ঘামে ভেজা পিচ্ছিল হাত। কিছু বলে না সে। আরক্ত মুখটাকে নীচু করে আড়াল করার বৃথা চেষ্টা করে। ঠোঁটের কোণায় লেপ্টে আছে সলজ্জ হাসি।
ডান পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মাটি খুঁড়তে থাকে সে।
হাহ হাহ হা। গল্পটা আমার ভাল লেগেছে। বেকশ ভাল। তবে গল্পের আলোচনার কারনে এই হাসি :lotpot: আর মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে এর মাজেজা হ্য়ত আমি ঠিক ধরতে পারি নাই 🙂 শুভেচ্ছা রইল।
কোন এক পোস্টে একবার বিবর্তন সাহিত্য নিয়ে আলোচনা উঠে এসেছিল। এই গল্পটাও, কিছু লাইন বাদ দিলে, একটা সাহিত্যমানসম্পন্ন ভালো গল্প হতে পারে।
আপনার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখির জন্যে আগাম শুভেচ্ছা রইলো। আপনার মেল আইডিটা জানাবেন দয়া করে?
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
আপনার বিবেচনার উপর আমার অগাধ আস্থা। কিছু লাইন আছে যেগুলো ফাজলেমি করে লিখেছি লোকজনকে আনন্দ দেবার জন্য। হয়তো সেগুলোর কথাই বলছেন আপনি। তারপরও আপনার কাছ থেকেই জানতে চাই। আপনি চিহ্নিত করে দিলেই, ওগুলো বাদ দিয়ে দেবো আমি।
আমার ইমেইল এড্রেস হচ্ছে [email protected].
গল্প লেখা বন্ধ করবেন কেন ? এত জোস গল্প লিখছেন এখন আর লিখবেন না বললে তো সেক্সিষ্টরা মাইন্ড করবে… 🙁
আর আমার ধারনা এখানে অনেক সেক্সিষ্ট আছে, তাই সমগোত্রীয়দের প্রতি সহানুভূতি আশা করছি। নইলে :guli:
@অনন্ত নির্বাণ,
ভাইরে, এতদিন কোথায় ছিলেন?
মুক্তমনায় আমি-ই একমাত্র স্বঘোষিত পুরুষবাদী, আর সবাই হয় নারীবাদী না হয়তো নির্লিঙ্গবাদী। এ কারণে নিষ্ঠুর নারীবাদীদের হাতে কম নাজেহাল হইনি আমি। নিয়মিতই নাকানিচুবানি খাওয়ায় তারা আমাকে এখানে। আপনাকে পেয়ে বুকে বল পেলাম। 🙂
সুন্দর। অতি সুন্দর।
লেখনিতে সসীম অসীম হয়ে উঠেছে।
আর্টিস্টিক ও বেশ আদি রসাত্বক।
@সেণ্টূ টিকাদার,
রৌরব অভিযোগ করলো আদিরসের অভাব দেখে, আবার আপনি বলছেন বেশ আদি রসাত্মক। এখনতো আমিই বিভ্রান্ত। :-/
পাঠোত্তর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
লুকিয়ে লুকিয়ে গুপ্ত বাবুর বই পড়েই-
প্রবল আলোড়ন টের পান শরীরের কোষে কোষে। :hahahee: :lotpot:
@রাজেশ তালুকদার,
😀
হওয়ার ইচ্ছা ছিল অভিজিৎ রায়, হয়ে গেল আদম। বিধাতার লীলা বোঝার সাধ্য কার!
মজা পেলাম।
ফরিদ,
বন্যাকে সমর্থন করছি আর তোমার কাছে এ বিষয়ে জোর দাবি জানাচ্ছি।
@গীতাদি,
বন্যাকে সমর্থন করা লাগবে না। গল্প আর লিখবো না। বন্যাকে দেওয়া উত্তরেই দেখতে পাবেন বলেছি।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি কিন্তু এখনকার মত গল্প লেখায় ক্ষ্যামা দেওয়া নয়,
মুক্তিযুদ্ধের উপর বাকি লেখাগুলোর কাজটা শেষ করে ফেলায় গুরুত্ব দিচ্ছি।
বাহ!
ফরিদ ভাই গত কিছুদিন ধরে বেশ ভাল ভাল সাহিত্য উপহার দিচ্ছেন। নিঃসন্দেহে বিনে পয়সায় উচ্চমানের সাহিত্য চর্চার উপকরন ব্যাপক মাত্রায় পাচ্ছেন 🙂 ।
যারা ওনার উচ্চমানের সাহিত্য চর্চার রহস্য জানেন না তারা এই লেখার কমেন্টে ওনার নিজ মুখ থেকেই রহস্য জেনে নিতে পারেন। এই রহস্য অন্যের মুখে শুনলে কেন যেন ফরিদ ভাই রাগ করেন, তাই আমি আর ভেঙ্গে বলছি না।
@আদিল মাহমুদ,
তাইতো মনে হয়। খালি শিশু মন লেখার সময় সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। সে কারণেই ছাইপাশ বিশেষণ জুটেছিল কপালে। 😀
ভাঙতে আর বাকি রাখলেন কী? লিংক টিংক সবইতো উদার হস্তে বিলোলেন দেখছি। 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
আপনি তো আর চিরদিন বেচে থাকবেন না, দূঃখজনক হলেও সত্য। তাই ভবিষ্যতের উদীয়মান সাহিত্যিকদের সাহায্যার্থে গুপ্ত রহস্য জানানো পবিত্র দায়িত্ব মনে করি।
সরবরাহে ঘাটতি হলে এবার থেকে ভ্রাতঃ বিপ্লবের সংগে যোগাযোগ করবেন। ওনার সন্ধানে আসল জিনিস আছে, যাতে কোন ব্যাটারীর এসিড জাতীয় ভেজাল নেই।
আপনার এই গল্পটি নিতান্তই অখাদ্য। গল্পটি তেতে উঠতে না উঠতেই শেষ, আদিরসের অত্যন্তাভাব। আপনার আগের গল্প পড়ে মনে হয়নি, আদম-হাওয়ার শৃঙ্গার পা দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়িতে সীমাবদ্ধ রাখবেন :-D। আপনার ডিটেইলের চোখেও যেন ছানি পড়েছে
এসময় হাওয়ার হাতে যে একটি আধখাওয়া আপেল ছিল, এটার উল্লেখ আপনার মত শক্তিমান লেখকের কাছে আমরা আশা করি। শিশু মন গল্পের এক কাঁদি কলার কথা আজও স্মৃতিতে ভাস্বর।
আশা করি পরের গল্প উৎসর্গের সময় অধমকে স্মরণে রাখবেন :rotfl:
@রৌরব,
ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। আগের গল্পটাতে আদিরস একটু বেশি ঢেলে ফেলায় কী রকম ধোলাই খেয়েছি সেটা দেখলেন না। তারপর থেকেই সতর্ক আছি। সেন্সরের কাঁচিতে যাতে না আটকাই সেকারণে এই রকম শিশুতোষ কাহিনি লিখলাম। 🙁
আপেলতো খাইছিল ভূমধ্যসাগরীয় আদম। আমাগো এই আদমতো হাবলু (হোমো হাবিলিস)। নিরক্ষীয় অঞ্চলে জন্ম তার। ওইখানে ওই যুগে আপেল গাছ ছিল কি না কে জানে। বন্যারে জিগাইতে হইবো দেখছি। 😀
তা আর বলতে দাদা। গণিত নিয়েই পরের গল্পটা লিখবো বলে আশা রাখি। 🙂
ফরিদ ভাই, খামাখাই আমার পিছনে লাগছেন ক্যান বুঝলাম না কিন্তু। আপনার আউল ফাউল গল্পে মন্তব্য না করতে পারি, কিন্তু ভালো লেখাগুলাতে তো করি :-Y । আপনার নামে সুযোগ পাইলে দুই একটা ভালো কথাও বলি, কিন্তু তা তে তো কোন লাভ হইলো বলে মনে হইতেসে না। বাঁশ দেওয়ার জন্য এমন ঘুরায় ফিরায় গল্প ফাঁদার কি দরকার ছিল? ও হ্যা, বন্যার মেধাকে ঈর্ষা করি। ওর লেখা পড়ি, কিন্তু কিসসু বুঝিনা… ওহ থ্যাঙ্কস! আর একমাত্র আপনারে উত্তর দেওয়ার সময়েই আমার চিন্তা করতে হয়, বাকিরা তো টেকনিকাল প্রশ্ন করে তাই উত্তর দেওয়া সহজ, আর তার উত্তরে আপনি কি কইলেন? না আমি নাকি আউলাঝাউলা উত্তর দেই…… হুমম, নাইস কম্পলিমেন্টস, অনেক অনেক ধন্যবাদ……
আপনি যে কত সেক্সিষ্ট একটা মানুষ তা আবারো বোঝা গেল 🙂 । বোল্ড মেয়েরা ভালো না, নরমসরম, লজ্জাবনত মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের শুধু পছন্দ…… বুঝলাম…
এই যদি হয় কোন ছেলের প্রেম নিবেদনের নমুনা তাইলে তারে যে কি করা উচিত তা ভেবে পাচ্ছি না। সেক্সুয়াল সিলেকশানে তো এই গাধাটা প্রথমেই বাদ হয়ে যাবে। তয় আপনার হাবলু আর হার এর লিঙ্কগুলা খুবই হাসির ছিল।
আপনি এক কাজ করেন ফরিদ ভাই, এখনকার মত গল্প লেখায় ক্ষ্যামা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর বাকিলেখাগুলোর কাজটা শেষ করে ফেলেন।
@বন্যা আহমেদ,
এতে বোঝার কী আছে? ঘোষণা দিয়েইতো বলা আছে। তার জন্য না নারীবাদী একজন আমারে কত কিছু বইলা গালি পাড়লো। 🙁
আদম ব্যাটা যে সেক্সুয়াল সিলেকশনে বাদ পড়ে নাই তার প্রমানতো চারপাশেই ছড়ানো। আদমপুত্রদের জয়গানেই মুখরিত এই পৃথিবী।
এখনকার মত না, গল্প লেখা আসলেই বন্ধ করে দেবো পুরোপুরি। সিরিয়াস। এটা আমার লাইন না।
@বন্যা আহমেদ,
ইনতেকাম- ইনতেকাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম। আপনি জানেন আমরা বাখের ভাইয়ের জন্যে রাজপথে মিছিল করতে পারি, আমরা ফরিদ ভাইয়ের জন্যেও সংগ্রাম করবো।
ফরিদ ভাইয়ের গল্প লেখা / চলবে চলবে। গল্প লেখা বন্ধ করা / মানিনা মানিনা।
প্রয়োজনে আপনার মন্তব্য মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসার জন্যে সকলে মিলে পিটিশন করবো।
ফরিদ ভাই, আপনি ভয় পাবেন না, আমরা আপনার সাথে আছি। শুধু এই লাইনটায় একটা শব্দ যোগ করে দিবেন।
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ আকাশ ভাই। ঠিক করে দিলাম।
লেখাটা একটানে লেখা। বাইরে যাবার তাড়া ছিল বলে দ্রুত পোস্ট করেছি। কিছু কিছু জায়গায় সংযোজন-বিয়োজনের ইচ্ছে আছে আজ রাতেই।