ছয় মাস পরের সম্ভাব্য কাল্পনিক দৃশ্য: জামাতের মুকুটহীন সম্রাট গোলাম আজম “ভি” চিহ্ন দেখিয়ে জেল গেট থেকে বের হলেন। মুখে মৃদু হাসি, নূরানী চেহারা, সফেদ দাড়িতে জেল্লা ছড়ায় চারপাশ। ভোর রাত থেকে “তাওহিদী জনতা” ব্যানারে অপেক্ষমান জামাত-শিবিরের কর্মীরা তাকে দেখামাত্র উল্লাসে ফেটে পড়েন। আকাশ বিদীর্ণ করে শ্লোগান ওঠে –“নারায়ে তাকবির! জেলের তালা ভেঙেছি, গোলাম আজমকে এনেছি!”
টিভি ক্যামেরা, স্টিল ক্যামেরা, রিপোর্টার আর পুলিশ্-ড়্যাবের মধ্যে খানিকটা হুড়োহুড়ি বাধে। বিএনপি-জামাত-হেফাজতের সিনিয়ার নেতারা সারিব্ধভাবে কারামুক্ত নেতাকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। মিষ্টিমুখ করার দৃশ্য ছবিতে ধারণ করেন তারা নানা ভঙ্গীমায়। খানিক পরে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় গোলাম আজমকে নিয়ে দামি গাড়ির বহর ছুটে চলে মগবাজারের বালাখানায়।
অন্যদিকে, এই ঘটনা টিভিতে লাইভ দেখে ভাটারা ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বীর প্রতীক তার সহযোদ্ধাদের ডেকে মৃদূ গলায় বললেন, ১৯৭১ এ আমরা ভুল করেছি, গোলাম আজম ভুল করে নাই। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে পাকিস্তান গভর্ণর মোনায়েম খানকে অপারেশন করাটাও ছিলো জীবনের বড়ো ভুল। …তোরা আমাকে ক্ষমা করিস।
* নিতান্তই কাল্পনিক দুই দৃশ্যকল্প। কিন্তু খুব কি অসম্ভব? বাংলাদেশ এখন সব অসম্ভবের দেশ।…
___
সংযুক্ত:
প্রাণদণ্ডাদেশ প্রত্যাশিত ছিল/ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
গোলাম আযমের মতো গণহত্যার সংগঠকের শেষ পর্যন্ত ফাঁসির রায় হল না, তাকে নব্বই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল। যদিও তার প্রাণদণ্ডাদেশ প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের কারাদণ্ডও চরম শাস্তিই । তিনি তো আর নব্বই বছর বাঁচবেন না । তবে এ রায়ের ফলে তিনি বেঁচে থাকার একটি সুযোগ পেলেন সেটা্ও সত্য । প্রাণদণ্ডাদেশ হলে সেটি কার্যকর করে তাকে অপরাধের জন্য প্রাপ্য শাস্তি দেয়া সহজ ছিল । তবে আপিলের সুযোগ আছে ।
___
ছবি: ফেবু গ্রুপ Voice of 71 – ৭১ এর কন্ঠ
পনেরো বছর আগে জুন মাসের এক রোদ্দুর মাখা দিনে আমি আমেরিকায় আসবো করে যাত্রা করেছিলাম। বাইরে রোদের খরতাপ আর আমার সারাটা ভেতর জুড়ে আষাঢ়ের মাতম ছিলো।আশংকা ছিলো অনিদৃষ্টকে ঘিরে, ফিরে আসবো তো আবার? আমিও মোহাচ্ছন্ন হবো না তো? আমার জন্যে দেশে থাকাটাও তেমন সুবিধের ছিলো না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আর দশ জন শিক্ষকের মত নির্লিপ্ততাকে প্রশ্রয় দেবার মহড়া আমার ছিলো। আমি স্মৃতির জাবর কাটি, দেশে ফেরার আশাবৃক্ষে জল দেই , দেশের প্রতিটি ধুলোকণার জন্যে উচাটন হই।
স্মৃতির সাথে আরো একটা জিনিস বয়ে নিয়ে এসেছি তা’হোল একটা গ্লানি। অর্জনের উল্টো পিঠে অঙ্গীকার থাকে তাই গ্লানি আমায় নিত্য সঙ্গী। দেশে আমি অর্জন করেছি তাই কথা ছিলো আমিও অনাবাদী শস্য ক্ষেত্রে বীজ বুনবো, মাচায় লতিয়ে দেবো পুঁইএর চারা। নিজেকেই নিজে কথা দিয়েছিলাম। আমার একটু সময় দরকার ছিলো প্রস্তুতির।
সময়কে গ্রাস করেছে রাহূ, রাজনৈতিক লোভের কাছে হেরে গেছে আমার দেশের প্রতি ভালোবাসা। হাত রাখতে পারি এমন কোন বিশ্বস্ত করতল আমি আর খুঁজে পাচ্ছি না।
আজ আমি গ্লানি মুক্ত। আমি সকল দায় থেকে মুক্ত। আমি পরম মমতায় আমার জন্মভুমি কে পাশে সরিয়ে রেখে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিলাম।
@কেয়া রোজারিও,
কি সর্বনাশ! এমনিতেই মুক্তমনায় আপনার দেখা পাই না। তাও এতোদিন পরে এসব কি বলছেন? এতো অল্পে মাঠ ছাড়লে হবে? খেল তো মাত্র শুরু হলো। শেষটা না হোক, অন্তত মাঝপথের ক্লাইমেক্সটুকু দেশে এসেই একবার দেখে যাবেন নিশ্চয়ই।
মুক্তমনায় নিয়মিত আপনার পদচারণা চাই। লেখায়, মন্তব্যে। বিনীত অনুরোধ। (Y)
পনেরো বছর আগে জুন মাসের এক রোদ্দুর মাখা দিনে আমি আমেরিকায় আসবো করে যাত্রা করেছিলাম। বাইরে রোদের খরতাপ আর আমার সারাটা ভেতর জুড়ে আষাঢ়ের মাতম ছিলো।আশংকা ছিলো অনিদৃষ্টকে ঘিরে, ফিরে আসবো তো আবার? আমিও মোহাচ্ছন্ন হবো না তো? আমার জন্যে দেশে থাকাটাও তেমন সুবিধের ছিলো না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আর দশ জন শিক্ষকের মত নির্লিপ্ততাকে প্রশ্রয় দেবার মহড়া আমার ছিলো। আমি স্মৃতির জাবর কাটি, দেশে ফেরার আশাবৃক্ষে জল দেই , দেশের প্রতিটি ধুলোকণার জন্যে উচাটন হই।
স্মৃতির সাথে আরো একটা জিনিস বয়ে নিয়ে এসেছি তা’হোল একটা গ্লানি। অর্জনের উল্টো পিঠে অঙ্গীকার থাকে তাই গ্লানি আমায় নিত্য সঙ্গী। দেশে আমি অর্জন করেছি তাই কথা ছিলো আমিও অনাবাদী শস্য ক্ষেত্রে বীজ বুনবো, মাচায় লতিয়ে দেবো পুঁইএর চারা। নিজেকেই নিজে কথা দিয়েছিলাম। আমার একটু সময় দরকার ছিলো প্রস্তুতির।
সময়কে গ্রাস করেছে রাহূ, রাজনৈতিক লোভের কাছে হেরে গেছে আমার দেশের প্রতি ভালোবাসা। হাত রাখতে পারি এমন কোন বিশ্বস্ত করতল আমি আর খুঁজে পাচ্ছি না।
আজ আমি গ্লানি মুক্ত। আমি সকল দায় থেকে মুক্ত। আমি পরম মমতায় আমার জন্মভুমি কে পাশে সরিয়ে রেখে পথ চলার সিধান্ত নিলাম।
লেখার নামটা খুব খুব ভালো লেগেছে।
একটা জিনিস অবশ্য বুঝতে পারছি না, গোলাম আজম (দয়া করে কেউ গুগল ট্রানস্লেটে অনুবাদ করে দেখবেন না) জেল থেকে বের হয়ে নাফারমানদের মতো ভি চিহ্ন দেখবে কেন?
@আলসে কুড়ে,
এটি কফিল আহমেদের গানের একটি পংতি। আমার খুব প্রিয়। গানের কথাগুলো এ রকম:
(Y)
এটাই তো হয়ে আসছে এতদিন, পরবর্তিতেও হবে। কিছুই করার নাই
অতি বিশ্বস্ত সুত্রে জানিতে পারিলাম, বিশ্বের স্বনামধন্য পশু অধিকার সংস্থা সমূহ বাংলাদেশকে বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পশু সংরক্ষকের পুরস্কার প্রদানের পরিকল্পনা করিতেছে।এই মর্মে উহারা নিম্নে উল্লেখিত বিবৃতি প্রদান করিয়াছে।
‘আপন দেশের লাখো মানব শিশু অপুষ্টিতে ভুগিলেও, এক বৃদ্ধ পাকিস্থানি কুকুরকে জনগনের ট্যাক্সের টাকায় দীর্ঘদিন যাবত দুধ,ডিম,মাছ,মাংস খাওয়াইয়া অতি যত্ন আত্তির সাথে রাখা হইয়াছে। ইহা পশু অধিকারের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকিবে।‘
মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের আসমি কে মানবতার খাতির দেখানো রায় দেয়া হয়- এটা বোধ হয় এই শতাব্দীর সবচেয়ে নির্মম কৌতুক। আসলেই রাজনীতিবিদ দের কখনোই বিশ্বাস করা উচিত না। এরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিজের মা বোন কেও বিক্রি করতে পারে।
গো আজম কে জামাই আদর দিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত কারাগারে রাখা হবে, এরপর পরবর্তী সরকার (বিএনপি) এসে এই রায় কে ভুল ঘোষণা করবে আর গো আজম কে একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রমাণ করে সসম্মানে মুক্তি দেবে। কি চমৎকার!!!!!!!!!!!
“বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে
রাজনীতিবীদের ধমনী শিরায় সুবিধাবাদের পাপ
বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে
বুদ্ধিজীবির রক্তে স্নায়ুতে সচেতন অপরাধ ”
– রুদ্র মুহাম্মাদ শহিদুল্লাহ
[img]https://fbcdn-sphotos-d-a.akamaihd.net/hphotos-ak-frc1/1013153_10151576690753165_1443582252_n.jpg[/img]
“স্বপ্নের বদলে আমি বিভীষিকা দেখতে শুরু করি- ধারাবাহিক, পথে পথে বিভীষিকা, দেখি আমি আগুন লাগিয়ে চলেছি গ্রামের পর গ্রামে, সেই আগুনের নরকের আগুনের থেকেও প্রচণ্ড, শহরের পর শহরে, সমস্ত ধানক্ষেতে, পাটখেতে, সরষেক্ষেতে, শিউলিগাছে আগুন জ্বলছে, গন্ধরাজে আগুন জ্বলছে; ছুটে চলছে আমার জামাঈ জিহাদে ইছলামের জিহাদিরা; তারা দখলের পর দখল করছে, চুরমার করছে, কতল করছে, আওয়াজ তুলছে আকাশ দীর্ণজীর্ণ করে, টেনে এনে ছহবতের পর ছহবত ক’রে চলেছে ঘরে, আঙ্গিনায়, রাস্তায়, মাঠে, ইস্কুলের পথে, আমি আর জামাঈ জিহাদিরা আগুন লাগাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিদ্যালয়ে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, লা সূর্যের পতাকায়, গেয়ে চলছি পাক সার জমিন সাদ বাদ, আর গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, পুকুরে মাছ ম’রে ভেসে উঠছে, নারীরা মৃত সন্তান প্রসব করছে, আকাশ থেকে আগুন ঝ’রে পড়ছে, পাখিরা লুটিয়ে পড়ছে; রক্তে ভিজে উঠছে মাটি, পুকুরে পানির বদলে রক্ত, নদীতে রক্তের ঢেউ, আকাশ থেকে রক্তবৃষ্টি হচ্ছে, গাভীদের ওলান থেকে রক্ত ঝরছে; কবিতা থেকে রক্ত ঝরছে, সব নর্তকী খোঁড়া হয়ে যাচ্ছে, চিত্রকরের আঙুলে কুষ্ঠরোগ দেখা দিচ্ছে।
আমি দেখি আমার দেশ জেনায়- জেনায়- জেনায়- মূর্ছিতা হয়ে রাস্তার পাশে প’ড়ে আছে।
তার নাম পাক স্তান; তার গান পাক সার জমিন সাদ বাদ।”
–হুমায়ুন আজাদ
_______
ছবি: ফেবু পেজ- প্রজন্ম চত্বর।
পেয়ারে গোলাম মুগ্ধ তব ক্ষমতায়।বাকী জীবন বহত আরামে আয়েশে যেন কাটাতে পারেন সেই প্রার্থনা করি।বাঙালী জাতী আপনাকে উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করতে পারে নাই।আপনাকে প্রিজন সেলে রেখে কষ্ট দিয়েছে,আপনার দিকে জুতা নিক্ষেপ করেছে,এই মূর্খ জাতিকে আপনি পরিত্যাগ করুন।হে আল্লাহ. আমাদের সবার উপর পাকিস্থান ভর করুক।
আফনেরা কি হযরত আল্লামা শফি হুজুরের চেয়ে বেশি ইসলাম বুঝেন? কাদের দিদ্দিকীর চেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধ বুঝেন? হযরত গো. আযম (রাদিআল্লাহু আনহু) চেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক? হযরত শেখ হাসিনা ওয়াজেদ (রা:) চেয়ে বেশি রাজনীতি বুঝেন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি আপনার তার চেয়ে বেশি? গত ৪২ বছর তিনি ও তার দল এই বটিকা বেচে আসছেন। আমরাও সেই বটিকা খেয়ে এতকাল বগল বাজিয়ে আসছি। কালকের হুজুরে আলা হযরত গো. আযম (রা:) যে রায় হলো তাতে সরকার বাহাদুর জব্বর খুশি হইছে! কাজেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের বটিকা সেবীরাও খুশিতে বগল বাজাবো। নিশ্চয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আপনার আমার তাদের থেকে বেশি না?
শুনেছি বিচার নাকি থাকে অন্ধ, কোন ধরনের আবেগ অনুভুতি তাকে স্পর্শ করতে পারে না। আবার এও শুনেছি রাষ্ট্র একটি শ্রেণীকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং সেই রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা সেই রাষ্ট্র তথা সেই শ্রেণীরই অধীন। সুতরাং গোলাম আজমের অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড তুল্য হলেও সেই রায়ে আবেগের সংযোগ ঘটিয়ে তাকে নমনীয় করা হয়েছে। এখানে আবেগ কাজ করেছে দুটো। এক, এই দেশে ইসলামিক রাজনীতির স্থপতি বৃদ্ধ নেতার প্রতি সহানুভুতি; দুই, ইসলামিক রাজনীতির প্রতি সাংবিধানিক সহানুভুতি। সাধারণ জনগনের আবেগ, অনুভুতি, অপমান এখানে কাজ করেনি। কাজ করেনি অসংখ্য শহীদ পরিবারের সুবিচার পাওয়ার নীরব কান্না।
শাসন ক্ষমতায় অধীন অথবা প্রধান বিরোধী দল উভয়ই সেই শ্রেণীরই প্রতিনিধি যাদের ইসলামিক রাজনীতির সাথে কোন বিরোধিতা নেই। বরং শ্রেণী হিসেবে উভয়ই ইসলামিক রাজনীতির পেছনের দেশী বিদেশী শক্তিগুলোর মদদ পেতে আগ্রহী। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যপারে উভয় দলেরই অবস্থান এক।
আমাদের দেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এখনো একটা নস্টালজিয়া কাজ করছে যে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মধ্যে এখনো কিছু প্রগতিশীলতা রয়েছে। তাই তারা এখনো এই দলের অনেক গণবিরোধী পদক্ষেপের প্রতি নীরব সায় দিয়ে যাচ্ছেন। এবং বুদ্ধিজীবীদের এই সমর্থনের ফলেই জনগণ এখনো বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তারা প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি বিকাশে জোড় দেয়ার বিপরীতে আওয়ামী লীগের অনুকূলে মিথ্যা আশায় জোট বাঁধছেন।
জনগণের রাজনৈতিক শক্তির দূর্বলতাই আজ সবকিছু জনগণের প্রতিকূলে নিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ চলে যাচ্ছে নষ্টদের হাতে।
কার্ল মার্কস সেই কত আগে বলেছিলেন ধর্ম নামক সেই আফিমের কথা – আজ তার সেই জ্বলন্ত প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি সেলুকাসের সেই মহাবিচিত্র বাংলাদেশে – যে দেশে সেই ধর্ম আফিমে বুদ হয়ে আছে কোটি কোটি মানুষ ! তাদের প্রতিটি শিরায়, উপশিরায়, প্রতিটি দেহকোষের পরতে পরতে ধর্ম নামক সেই আফিম প্রতি পলে পলে কেবল বিষাক্ত নির্যাস ছড়িয়ে যাচ্ছে ! সেই ধর্ম নামক তেজস্ক্রিয় বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এই একবিংশ শতাব্দীতেও এক মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্মগুরু আল্লামা শফির নিকৃষ্ট, জঘন্যতম-অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ বয়ান শুনতে যে দেশে এখনো মাঠে-ময়দানে লাখো লাখো মানুষ সমবেত হয়, সেই দেশে আর এক ধর্ম নেতা, আল্লার খাস বান্দা, বেহেস্তের লক্ষ- কোটি অনন্ত- যৌবনা হুর-পরীদের জিম্মাদার, ইসলামের মহারক্ষক মহা-মুসলমান গোলাম আজমের ফাঁসি দিবে ????????? কার এত বড় হিম্মত ????????????????
বিচারক ভাল রায় দিয়েছেন, জামাত-বিম্পি-হেফাজতকে আবার গোলাম আজমের খেদমত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। :clap :clap :clap
ছদ্মবেশী জনপ্রতিনিধি, ভন্ড, রাজ ঠিকাদার, ঘৃনাবাদ।
ঘৃণাবাদ তোমাদের, অন্তর থেকে, শ্বাশত ঘৃনাবাদ।
সুপ্রভাতের বদলে তোমাদের জানাই অসীম ঘৃনাবাদ।
স্বাধীনতার চেতনার অপমানের চতুর ঠিকাদার, দুগ্ধাপরাধী।
যে দেশে দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধারা রিক্সা চালায়, ১ ব্যাগ রক্তের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বিক্রি করে দিতে চায়;
অপর দিকে দেশবিরোধী রাজাকাররা দেশ শাসন করে
সে দেশে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করা কি হাস্যকর নয়???
ভাগ্য ভালো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার জন্ম হয়নি।
তাহলে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার লজ্জা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হতো আমাকে।
অন্তত একবার আমি রাজাকারদের অপরাধের বিচারক হতে চাই।
সেটা সম্ভব না হলে অন্তত তাদের জল্লাদ হতে চাই।
যাদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে অন্তত তাদের নিজ হাতে ফাঁসি দিতে চাই।
কাদের মোল্লা মিরপুরের কসাই হয়েও যখন নাম মাত্র শাস্তি পায়
তাহলে আশা করি ১৩ টা (আপাতত) #শূয়োর হত্যার জন্য আমার ফাঁসি হবে না
এই রায় মানি না। শূয়োরটার বয়স বেশী হইসে বইলাই তো কালকেই ওরে ফাঁসিতে ঝুলানো উচিৎ; একটা রাজাকারেরও যদি স্বাভাবিক ভাবে বুড়া হইয়া মৃত্যু হয় তবে বাঙালি হিসেবে আমি আমার পোলা-মাইয়া-নাতি-নাতনিরে মুখ দেখামু ক্যামনে ???
— আমি জল্লাদ হতে চাই.
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু আমার হৃদয়ে তীব্র রক্তক্ষরণ হচ্ছে! জানি না, যারা স্বচক্ষে দেখেছেন একাত্তরের বিভীষিকা, রাজাকারি তাণ্ডব, তাদের কেমন লাগছে!
হ্যাঁ, বয়স আজ ক্ষমা করেছে গোলাম আযমকে! কিন্তু সেদিন ক্ষমা করেনি অসংখ্য মুক্তিকামী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। গোয়ার রক্তপিপাসা রেহাই দেয়নি এমনকি অবোধ শিশুকে, গর্ভবতী নারীকে! হায়রে বয়স!
একাত্তরে যদি গোআ গং জিতে যেত, তাহলে কি হত? মুক্তিযোদ্ধাসকলকে কতল করতে কত সময় নিত তারা? কত ঘণ্টা, কত মিনিট, কত সেকেন্ড? আর আমরা চল্লিশ বছর পরে বিচারে নেমে মানবতার নদীতে গোসল করি, বয়োবৃদ্ধ একজন রোগীর জন্য আমাদের দরদের কালি আকাশ ছোঁয়, নিমিষেই সাফসুতরো করে তিরিশ লাখ মানুষের রক্তের দাগ!
যেকেউ আহত হলে হতে পারেন, কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার গা ঘিন ঘিন করছে! পাপের গন্ধে এ দেশের বাতাসে এখন নিঃশ্বাস নেয়াই দায় হয়ে পড়েছে!
আমাদের সামনে আজ ধুকে ধুকে মরাই একমাত্র নিয়তি! যেন এক অতিকায় দানব আমাদের গ্রাস করতে এগিয়ে আসছে! আমাদের জাতিসত্তাকে!
[img]https://lh5.googleusercontent.com/-pAXhv2xB7zI/UeQKoki8ggI/AAAAAAAAA0M/oPXU7UMw3bo/w421-h585-no/GolamAzam_Justifying_Albodor_Activities-724337.PNG[/img]
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে…
@বিপ্লব রহমান,
সবই তো চলে গেছে,আরো কিছু বাকি আছে নাকি? 🙂
আমি সরাসরি বলতে চাই-> যারা প্রাতিষ্ঠানিক আইনের শাসন যার ভিত্তি জুরিসপ্রুডেন্স, এর উপর বিশ্বাস করেন – তাদের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করা উচিত যদি রায়টি পছন্দ না হয়। আর যাদের এটাতে বিশ্বাস নাই – তাদের উচিত প্রফেশনাল অ্যাসাসিন ভাড়া করা যে তার কাজ পালন করতে সিদ্ধহস্ত কিংবা ধরে এনে গণপিটুনি।
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাস্তা ঘাটে লম্ফঝম্প করার কোন মানেই নাই – গণ ইচ্ছার উপর কোন মত দেওয়া বিচার বিভাগের কাজ না, ওটা সংসদের কাজ !!!!!!!!
পুনশ্চঃ সবার অগোচরে আরেকটি ছোট্ট ঘটনা ঘটে গেল- আমাদের দেশের বিচারপতিদের যে এখনো হুঁশ আসেনি যে তারা “হার/হিজ মেজেস্টি দি কুইন/কিং” এর অনুগত জাজ নন, তারা একটি সাধারণতন্ত্রের/প্রজাতন্ত্রের জাজ তথা আইনের ব্যাখ্যাদানকারী এবং এর জনগণের কর্মচারী এবং সেবক এই ঘটনা এর প্রমান। খুবই ছোট ইন্সিডেন্ট কিন্তু এর অন্তর্গত ব্যাপারটি বহু সুদূর প্রসারী। র্যাবের অন্যায় আচরণের স্বীকার লিমনের ঘটনার মতই (যদিও এর মত প্রানঘাতী নয়) এ টিও আইনের শাসনের সাথে তামাশা হয়ে থাকবে, আরও দুঃখ জনক এর মূল কুশীলব র্যাবের জুনিয়র কর্মকর্তা কিংবা সল্প শিক্ষিত এন সি ও স্টাফ নয়। একজন বিচারপতি!!!!!
-> বঙ্গবন্ধু সেতুর সেই টোলকর্মীকে অব্যাহতি
@সংবাদিকা,
আপীল করেই বা কি লাভ যদি রায়টি হয় সাজানো?
ভুলই। শুনলাম শাহবাগে নাকি শ্লোগান হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার গালে গালে/জুতা মারো তালে তালে? গত কয়দিনের ঘটনাপ্রবাহ দেখে আমি আজ নিশ্চিত হয়ে গেছি, আদর্শ ও চেতনায় বর্তমান আওয়ামী লীগ আর জামাত বি এন পি হেফাজত ও অন্যান্য সাম্প্রদায়িক দলের মাঝে পার্থক্য খুবই সামান্য। সকলে মিলে সংসদকে বানিয়েছে ইসলামি মালজোড়ার আসর। তবে হ্যাঁ, ইসলাম যখন সংসদে ঢুকেছে আখেরে সেই জিতবে। এর পর, সাকা, নিজামী, গোলাম, সাঈদীরা কারাগার থেকে বের হবে, হাওয়া ভবন, ১৭ আগষ্ট, ২১ আগষ্ট ফিরে আসবে, জজ মিয়া নাটক হবে, পাহাড় দখল হবে, কাদিয়ানীদের মসজিদ ভাঙ্গবে, মন্দির পুড়বে, মাজার-মূর্তি, ভাষ্কর্য ধ্বংস হবে। এখন শুধু সেই দিনের অপেক্ষা, চুড়ান্ত ধ্বংসের শেষ পরিণতিটা দেখার। আজ আর আক্ষেপ-হতাশ ছাড়া কিছু করার নেই বলার নেই।
হেরে গেলাম মা, তোমার এ অকৃতজ্ঞ, ভীরু, অপদার্থ সন্তানটা কে ক্ষমা করে দিও-
@আকাশ মালিক,
এটা সত্যি নাকি?????
বি এন পি বলে থাকে যে,হাসিনা নাকি নিজেই গুলি খাবার জন্য স্নাইপার সেট করেছিল;এই কথা এখন আর উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।আশা রাখি সামনে জামাত আর আওয়ামী জোট দেখব ইনশাল্লাহ।
দুর, আপনি আহাজারি করেন কেন এতদিনে? আমরা তো সেই কবেই হেরে বসে আছি, যেদিন রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়েছে।
শাহবাগ কিছুটা আশা দেখিয়েছিল, কিন্তু আজ বুঝলাম যে সবই হুজুগ। মনে আছে এর পরের কান্ডে জাতীয় পতাকাকে পায়ে পিষে ফেলার দৃশ্য?
বিপ্লব রহমান,
ছবিতে যে শ্লোগান লেখা হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে, ‘মীর জাফর’ বলে যে গালিটা বাংলায় আছে; খোঁজ নিয়ে যতদূর জানা গেল, সেটা শুধুমাত্র বাংলাদেশে এবং বাংলা ভাষায় আছে!
:-Y
ধন্যবাদ আপনাকে।
যদি গোলাম আজমের নাগরিকত্বের দাবিতে সোচ্চার কোন ব্যাক্তি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হতে পারেন তাহলে এ আর এমন কি অবাস্তব কল্পনা? আসিতেছে সকল খুনির পুরষ্কার, নগদে যা হবে কোটি কোটি ডলার।
@জসীম আহমেদ,
কি সাংঘাতিক! এ যে দেখি সাক্ষাত বিভিষণ! না জেনে এই নেতার পেছনেই সেদিন সাগর-রুণি হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিলে গলা তুলেছি!! 😛
@বিপ্লব রহমান, আরো শুনেন তার কালকের বয়ান,
একাত্তর টিভিতে কাল রাতে গোলাম আজমের মামলার রায় নিয়ে মিথিলা ফারজানার সাথে কথা বলছিলেন শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ। বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান থেকে শওকত মাহমুদ সরে আসবেননা এটা স্বাভাবিক। কিন্তু গোলাম আজমের প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে কথা বলছিলেন শেখ হাসিনার উপদেষ্টা। যেখানে সারাদেশের মানুষ গোলাম আজমকে যোদ্ধাপরাধি, নরঘাতকসহ নানা বিশেষণ দিচ্ছে সেখানে বার বার ইকবাল সোবহান চৌধুরী তাকে প্রফেসর গোলাম আজম সাহেব বলে শ্রদ্ধার সাথে সম্বোদন করছিলেন।
গোলাম আজমের ৯০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে আদালতের রায়ের পর কারো কোন দ্ধিমত থাকতে পারেনা যে গোলাম আজম অপরাধী। তার পরও জনাব ইকবাল সোবহান চৌধুরীর এমন শ্রদ্ধা প্রদর্শন কি গু আজমের সাথে তার পুরনো প্রেমের সাক্ষ্য বহন করেনা?
একসময় অবজারভার এ কাজ করা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সাবেক সহকর্মী অদিতি ফাল্গুনী একটি মন্তব্যে জানিয়েছেন, মতিউর রহমান নিজামির সাথে হজ্ব করতে গিয়েছিলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, যা অদিতি অবজারভার থেকেই শুনেছেন।
@জসীম আহমেদ,
ইকবাল সোবহানের গুনকীর্তি যতোই শুনছি, ততোই ভীমড়ি খাওয়ার দশা। তার দফারফা একদিন সাংবাদিক সমাজই করে ছাড়বে, আম-জনতার প্রয়োজন পড়বে না, এটি প্রায় নিশ্চিত।
কিন্তু বন্ধু, ডিডিটি নামক, ছোট গল্পকারকে বিশ্বাস না করাই বোধহয় ভালো । তিনি আমাদের নব্য শর্মিলা বসু। খুব খেয়াল করে। 😛
@জসীম আহমেদ, সংবাদের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।এই দেশে আরো কত কিছু দেখব বিধাতাই ভাল জানেন।