ছয় মাস পরের সম্ভাব্য কাল্পনিক দৃশ্য: জামাতের মুকুটহীন সম্রাট গোলাম আজম “ভি” চিহ্ন দেখিয়ে জেল গেট থেকে বের হলেন। মুখে মৃদু হাসি, নূরানী চেহারা, সফেদ দাড়িতে জেল্লা ছড়ায় চারপাশ। ভোর রাত থেকে “তাওহিদী জনতা” ব্যানারে অপেক্ষমান জামাত-শিবিরের কর্মীরা তাকে দেখামাত্র উল্লাসে ফেটে পড়েন। আকাশ বিদীর্ণ করে শ্লোগান ওঠে –“নারায়ে তাকবির! জেলের তালা ভেঙেছি, গোলাম আজমকে এনেছি!”

টিভি ক্যামেরা, স্টিল ক্যামেরা, রিপোর্টার আর পুলিশ্-ড়্যাবের মধ্যে খানিকটা হুড়োহুড়ি বাধে। বিএনপি-জামাত-হেফাজতের সিনিয়ার নেতারা সারিব্ধভাবে কারামুক্ত নেতাকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। মিষ্টিমুখ করার দৃশ্য ছবিতে ধারণ করেন তারা নানা ভঙ্গীমায়। খানিক পরে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় গোলাম আজমকে নিয়ে দামি গাড়ির বহর ছুটে চলে মগবাজারের বালাখানায়।

অন্যদিকে, এই ঘটনা টিভিতে লাইভ দেখে ভাটারা ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বীর প্রতীক তার সহযোদ্ধাদের ডেকে মৃদূ গলায় বললেন, ১৯৭১ এ আমরা ভুল করেছি, গোলাম আজম ভুল করে নাই। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে পাকিস্তান গভর্ণর মোনায়েম খানকে অপারেশন করাটাও ছিলো জীবনের বড়ো ভুল। …তোরা আমাকে ক্ষমা করিস।

* নিতান্তই কাল্পনিক দুই দৃশ্যকল্প। কিন্তু খুব কি অসম্ভব? বাংলাদেশ এখন সব অসম্ভবের দেশ।…
___
সংযুক্ত:

প্রাণদণ্ডাদেশ প্রত্যাশিত ছিল/ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

গোলাম আযমের মতো গণহত্যার সংগঠকের শেষ পর্যন্ত ফাঁসির রায় হল না, তাকে নব্বই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল। যদিও তার প্রাণদণ্ডাদেশ প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের কারাদণ্ডও চরম শাস্তিই । তিনি তো আর নব্বই বছর বাঁচবেন না । তবে এ রায়ের ফলে তিনি বেঁচে থাকার একটি সুযোগ পেলেন সেটা্ও সত্য । প্রাণদণ্ডাদেশ হলে সেটি কার্যকর করে তাকে অপরাধের জন্য প্রাপ্য শাস্তি দেয়া সহজ ছিল । তবে আপিলের সুযোগ আছে ।

[লিংক]

___
ছবি: ফেবু গ্রুপ Voice of 71 – ৭১ এর কন্ঠ