তোরঙ্গে যত্ন-পাটে রাখা অনেক দামি
রত্ন-ছোয়া পাবনা-তাতের ভাজ,
বিগত স্বামীর দেয়া শাড়ী-
ত্রস্ত-ত্রাসে অবশ করা হাতে
কোনমতে কোমরে গুঁজে
হাতে পায়ে উড়ে আসে মা।
কারবালার মাঠ!
তা সে যাই হোক-
খেটে খায় যারা রক্ত-ঘাম
সবই তাদের- ভিজিয়ে রাখে
সাভারের মাঠ- সে ঠিক কারবালাই।
ঠিক যেখানটায় চাপা খায়
অন্ধ দানবের পায়ের তলে- ঠিক পায়ের তলেই
মা হজেরার সুকন্যায়।
ভুত-প্রেতে বিশ্বাসী হাজেরার চাষা-মন
বার বার ফিরে যায়, ফিরে যায় আল্লা-রসুলে।
আমার কন্যারে খোদা আইনা দেও সালামতে-
ভিক্ষা করে দ্বারে দ্বারে মেঁগে
জোড়া খাসী দেবো তোমার দরগায়।
মা হাজেরা গোনাহগার।
শুধু পূণ্যবানেরাই ফিরে পায় জীবন্ত সুকন্যাদের।
এক রত্তি নেকী নেই, কিছু নেই ছাই ভস্ম
হাজেরার আমল নামায়।
সোনার ডিম সবাই পায় না।
তেজারতী করেছে যারা সেই সোনার
তারা আজ মহানেকীবান।
ক্ষোভ নেই কোন- ভাগ্যই সম্বল।
তবু কি যেন এক অচেনা আগুন
ধিকি ধিকি জ্বলে চলে মাথার কোটরে।
ভীড়ে যায় লাশের দৌড়ে
মা হজেরার ভারী দেহ-মন।
সাফা থেকে মারওয়ার চুঁড়া
হাজেরা মায়ের পায়ের তলায়-
তবু তারা দয়াবতী হয়ে খুজে ফেরে
তার সুকন্যার লাশ।
দৌড়-ক্লান্ত মানবীয় পা
স্বদেহ সাথে করে নিয়ে
সবশেষে-
রিক্ত হাতে ফিরে আসে ঘরে।
মা হাজেরার সেই দেহ মন
তখনো জড়িয়ে আছে আদরে
স্বামীর দেয়া পাবনা তাতের শাড়ী,
তার সাথে আরো আছে-
অনেক চেনা সেই ন্যপথলিনের স্বপ্ন-গন্ধ-স্বাদ।
বেঁচে থাকা আসলেই এখন খুব কঠিন কাজ।
কবিতাটি পড়ে এখন মাথা ঝিমঝিম করছে।
লিখে জান :clap