[৩১] নিশ্চই ঈশ্বরতত্ব সর্বকালের সর্ববিকশিত ভ্রান্ত মতবাদ।
[৩২] পৃথিবীর সব থেকে বড় সন্মোহন হল ‘ধর্ম’, আর সব চেয়ে সন্মোহিত জাতি ‘মুসোলমান’।
[৩৩] ভন্ডের কাছে কখনো প্রমান করার প্রয়োজন পরে না, যে সে ভন্ড।
[৩৪] কঁপটদার নির্বোধরা দেখতে অনেকটা বুদ্ধিমানদের মত।
[৩৫] বাঙ্গালি মুসলমানরা আরবি না জানলেও আরবী হরফের অন্ধ ভক্ত। ওই পেচানো হরফে একটি উচ্চমানের অশ্লীন বাক্য লেখা হলেও তারা সেটাকে ড্রইং রুমে স্রদ্ধার সাথে টানিয়ে রাখবে।
[৩৬] সুখের অপর নাম সফলতা।
[৩৭] মানুষ আবেগের কাছে অদৃশ্য শেকলে বন্দী।
[৩৮] মেয়েরা মায়ের জাত, সাথে সাথে বেশ্যার জাতও বটে।
[৩৯] বাঙ্গালি নারীরা সমধিকারের দাবি তুলতে গর্ব বোধ করে, অগ্রাধিকার ভোগ করতে স্বস্তি বোধ করে।
[৪০] দোয়া ও বদদোয়া– চারিত্রিক গুনে অভিন্ন, উভয়ই ‘বাস্তব প্রয়োগহীন’।
[৪১] ধর্ম হলো লোভ ও ভয়ের সমন্নয়ে কার্য সিদ্ধির এক অভাবনীয় কৌশল।
[৪২] বউ পেটাতে মাতাল নয়, লম্পট হওয়া প্রয়োজন।
[৪৩] মানুষ কেবল অভিন্ন স্বার্থে একতাবদ্ধ।
[৪৪] অপুর্ণতা ছাড়া জীবনের পুর্ণতা আসে না।
[৪৫] মানুষ তীব্র সৌন্দর্য গ্রহনে ব্যর্থ, তাইতো সর্বদা তা ঠেলে দেয় রহস্যকরনের দিকে নতুবা অশ্লীনতার দিকে।
[৪০] দোয়া ও বদদোয়া- চারিত্রিক গুনে অভিন্ন, উভয়ই ‘বাস্তব প্রয়োগহীন’।
এই কথাটা আগে ভেবে দেখিনি। ভালো লেগেছে।
বিপ্লব, কারো ব্যক্তিগত অভিমত বা আপত্তিকে বোধ হয় মুক্তমনার সাথে জড়ানো ঠিক হবে না। সামির মানবাদী, গীতা দাস, বিপ্লব পাল, স্বাধীন সবাই মুক্তমনার ব্লগ সদস্য। কাজেই ব্লগের সদস্যদের মধ্যে বিতর্ক কিংবা মতানৈক্য হতে পারে। এবং সেটা আমি মনে করি ব্লগারদের নিজস্ব বক্তব্যই। সেজন্যই দেখবে প্রতিটি লেখার নীচে সবুজ রঙের ব্যাকগ্রাউণ্ডে একটি ডিস্ক্লেমার থাকে – বক্তব্যের দায়ভার লেখক এবং মন্তব্যকারীদের নিজেদের।
এখন তোমার উপরের মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু মতামত দেই। তুমি খুব চমৎকারভাবেই রক্ষনশীল সমাজ টাইপের হাঁসজারুতার উদাহরণ দিয়েছ। সেগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। সেগুলো মেনে নিয়েও বলি, যতই সাহিত্যরসের কথা আমরা বলি না কেন, বেশ্যা, মাগী, খানকি – এ ধরনের শব্দগুলো মেয়েদের প্রতি তুচ্ছার্থেই আমাদের সমাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তারপরেও গল্প উপন্যাসে কোন চরিত্রের মুখ দিয়ে কোন সংলাপে বেশ্যা শব্দটি উচ্চারিত হলে সম্ভবত কেউই আপত্তি করতেন না, কিংবা করবেন না। কারণ ওই চরিত্রগুলো সামাজিক বাস্তবতার নিড়িখেই তখন বিশ্লেষিত হবে। সমরেশ, সুনীল, হুমায়ুন, মিলন সহ অনেকেই বাস্তব সম্মতভাবে চরিত্র তৈরির প্রয়োজনে এ ধরণের সংলাপ ব্যবহার করেন। সেটা আমরা দেখেছি। আপত্তি কিন্তু সেখানে নয়। ব্যাপারটা যদি স্রেফ সাহিত্যের চরিত্র চিত্রণ না করে কোন আলোচনায় যদি ঢালাওভাবে বলে দেয়া হয় ‘অমুক লেখিকা তো একটা বেশ্যা’ (উদাহরণ হিসেবে সমরেশ মজুমদার একটি আলোচনায় তসলিমাকে সোনাগাছির সন্ধ্যারানীর সাথে তুলনা করেছিলেন), সেটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত আক্রমণই, এবং সামগ্রিকভাবে নারীদের প্রতি অবমাননাকর বলেই অধিকাংশের কাছে প্রতিভাত হবে। এ ধরনের ঢালাও মন্তব্যে বোধ হয় তুমিও আপত্তি করবে, আপত্তি করবে মানবিক এবং রুচিবোধ সম্পন্ন সকলেই। এই জায়গাতেই আমি তোমার ফোকাস পয়েন্টটা নিতে বলি। সামির মানবাদী যদি কোন উপন্যাসের চরিত্রের মুখ দিয়ে এই কথাটা বলাতেন, তবে এর সাহিত্যরস কিংবা ভঙ্গিমা নিয়ে কেউই আপত্তি করতেন না। কিন্তু একটি প্রবন্ধে কিংবা আলোচনায় যখন ঢালাওভাবে মত দেয়া হয় – ‘বেশ্যার জাতও বটে’ তখন কি এটি কেবল সাহিত্য আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকে? তুমি হয়তো বুঝতে পারছ স্বাধীন কিংবা অন্যান্যদের আপত্তির জায়গাটা আসলে কোথায়। তবে কটুদ্বৃতি কিংবা প্রবচন গুচ্ছের মত লেখা আসলেই প্রবন্ধ/আলোচনা নাকি এটা গল্প উপ্ন্যাসের মত সাহিত্যের কোন শাখায় পড়বে সে বিষয়ে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই। হয়ত আদিল কিংবা অন্যান্যদের কথাই ঠিক – কটূদ্ধৃতি হেডিং দেওয়ায় আপত্তির খুব বেশি সুযোগ হয়তো নেই।
তবে সার্বিকভাবে আমি মুক্তমনা সদস্যদের কাছ থেকে জেন্ডার সচেতনতা অবশ্যই আশা করি। চিন্তা করে দেখো জাকির নায়েকের মত কেউ এ ধরনের কথা বললে এই মুক্তমনা থেকে কি পরিমাণ প্রতিক্রিয়া হতো। কিন্তু সেটা জাকির নায়েক না হয়ে অন্য কেউ হলেও আমাদের সেই সচেতনতার প্রকাশটুকু হওয়া বাঞ্ছনীয়, এড়িয়ে যাওয়া নয়। মেয়েরা আমাদের সমাজে এমনিতেই পিছিয়ে, এবং অহরহই রক্ষণশীল মানসিকতার মানুষদের কাছ থেকে বেশ্যা, মাগী জাতীয় গালাগালি তাদের হজম করতে হয় (এমন কি সময় সময় সমরেশের মত ‘প্রগতিশীল পুরুষেরাও’ এ ব্যাপারে কম যাননা)। কাজেই মুক্তমনা সদস্যরা ‘সাহিত্য রসের’ নামে যেন যে কোন অবমাননাকে প্রশ্রয় না দেন সেতাই হবে আমার চাওয়া।
আবারো বলছি – এটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত মতামত। মুক্তমনার পলিসির সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।
@অভিজিৎ,
প্রবাদ প্রবচন ত সাহিত্যে চর্চারই অংশ। এসব কবে থেকে সাহিত্য থেকে আলাদা হল?
তসলিমাকে ব্যাক্তিগত আক্রমনের জন্যে গালাগাল দেওয়ার সাথে সাহিত্যরসকে গুলিয়ে দিলে মুশকিল। যদিও করণ থাপারকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তসলিমা পরিস্কার ভাবেই জানিয়েছিলেন মেয়েরা নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত নারী মুক্তি সোনার পাথরবাটি। সতীত্বের জন্যে কাঙালীপনা আর নারীস্বাধীনতার জন্যে ভিজ্ঞাবৃত্তি একসাথে চলে কি না এই ব্যাপারে তসলিমার সন্দেহ আছে। আমারও আছে। তবে আমি মনে করি পরম স্বাধীনতা বলে কিছুরই অস্তিত্ব নেই-এবং আমরা সবাই একাধিক অর্থেই পরাধীন জীবন যাপন করি-এছাড়া হয়ত সৃষ্টিই টিকবে না। কিন্ত স্বাধীনতা আর অধীনতার এই ধোঁয়াশাটা না থাকলেও আবার সাহিত্যিক কি সৃষ্টি করবে? রামায়নের সীতার সতীত্ত্বের অগ্নি পরীক্ষা?
যেভাবে আলোচনা চলছে, তাতে মনে হচ্ছে সাহিত্যরস বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব মুক্তমোনাতে থাকবে না। কোন লেখকের কি মনে হতে পারে না, নারীর অবচেতন মনের কামনাকে বোঝাতে বেশ্যা শব্দটির ব্যাবহার করা যেতে পারে? আসল সমস্যা কোথায়? সেই সমস্যাটা হচ্ছে গণিকাবৃত্তির প্রতি ঘৃণা। তীব্র ঘৃণা। যা কাম্য না।
স্যার জর্জ বার্ণাড শ নারীর বিবাহকে আইনত বেশ্যাজীবিকা বা লিগ্যাল প্রস্টিটিউশন হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। সে উক্তিত সমাদৃত। তাহলে এটিই কটুক্তি হয় কোন যুক্তিতে? বাঙালী রক্ষ্ণণশীল বলে?
আর বিবর্তন মনোবিজ্ঞান এটাই বলে, নারী পুরুষ নির্বাচনে পকেটভারী পুরুষ খোঁজে-তাত বার্নাড শর উক্তিকেই স্বরণ করাচ্ছে! তাহলে এই নিয়ে এত রাখঢাক কেন? লিব্যারাল সমাজে এই ধরনের কথাকে সাহিত্যরসের মাধ্যমেই গ্রহন করতে হবে। নইলে যুক্তিবাদি রক্ষনশীল সমাজ টাইপের হাঁসজারুতা কি আমাদের কাম্য?
কি বুঝাতে চেয়েছেন পরিষ্কার নয়। আর পড়ে নিজে যা বুঝেছি তাতে এই উদ্ধৃতিটুকুর সাথে সহমত পোষন করি না।
বহুগামী হয়েও পুরুষ যদি বেশ্যা না হয় তবে বেঁচে থাকার জন্য যে মেয়ে বেশ্যা হয় তা একটি পেশা ভিন্ন আর কিছু নয়। তাই মেয়ে মাত্রেই বেশ্যরা জাত, এ ধরণের সাধারনীকরণের সাথে আমি সহমত পোষন করতে পারিনি।
@ বিপ্লব’দা
পুরুষের প্রতি আসক্তি কিভাবে বেশ্যা মনোভাবাপন্ন হয় আমি বুঝতে পারিনি। যারা পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে নিয়েছে তারা নিশ্চয়ই পুরুষের প্রতি আসক্তির জন্য সেটিকে পেশা হিসেবে নেয়নি। আর মেয়েদের অলংকার , সাজগোজ এগুলোকে আপনি যেভাবে সরলীকরণ করে নিজের সিদ্ধান্তে এসেছেন তার পর আসলেই মনে হয় বলার কিছু নেই।
@স্বাধীন,
স হ ম ত :lotpot: :yes:
বিপ্লব,
আমি পুরুষের প্রতি নারীর আসক্তিকে অস্বীকার করছি না। বরং নারী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে আমি নারীর যৌন অধিকারের জন্যে কথা বলি। শরীর আমার সিদ্ধান্ত আমার বলে শ্লোগান দেই। কিন্তু নারীর যৌনাধিকারকে বেশ্যার সাথে তুলনা করার তীব্র প্রতিবাদ করছি।
নিজেকে সাজাবার মনোবৃত্তিকে কী বেশ্যার চরিত্র্যের বৈশিষ্ট?
যাহোক, এ নিয়ে অযথা বিতর্ক করার পক্ষপাতি আমি নই।
দ্বিমত পোষণ করছি। নারীর প্রতি পুরুষের আসক্তি বললে মনে হয় সঠিক হতো।
@গীতা দাস, কেন নারীর পুরুষ আসক্তি নেই? তাহলে তাদের অলংকার, এত সাজগোজ, আইনাতে নিজেকে দেখার জন্যে? আসলে আমাদের রক্ষনশীল সমাজ মেয়েদের যৌনদাবী গুলোকে চেপে রাখে, জোর করে তার ওপর মাতৃত্ব চাপিয়ে।
দ্বিমত পোষন করছি। উ দ্ধৃতিটি একটু বেশী এগ্রেসিভ হলেও, এখানে বেশ্যা অর্থে পুরুষের প্রতি আসক্তি বোঝানো হয়েছে।
আসলে মেয়েদের মায়ের জাত বলে মাথায় তুলে হিন্দু এবং ইসলাম ধর্ম মেয়েদের যৌনতাকে পদপিষ্ট করেছে-যা নারী নির্যাতনের সহায়ক মাত্র। এবং নারী স্বাধীনতার পথের কাঁটা।
@বিপ্লব পাল,
বেশ্যারা সুধুমাত্র অর্থের জন্যই বেশ্যাবৃত্তি করে এমনটাই জানতাম। কোন নারী পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে বিছানায় গেলে সেখানে অর্থের প্রয়োজন বা ভুমিকাটা কি বলবেন ? পারিশ্রমিক ব্যাতীত কোন পতিতা কি শুধুমত্র পুরুষের প্রতি আসক্ত হয়ে বিছানায় যেতে রাজী হবে? যারা অর্থের জন্য দেহ বিক্রি করে তারাই তো বেশ্যা, পুরুষ আসক্ত নারীরা তো নয়। অনেক সময়ে তাদেরকে উল্টো মেল প্রসটিটিউটদের পে করতে দেখা যায়। তাই ‘বেশ্যা’ সংঙ্গার জন্য অর্থের উপস্থিতি থাকাটা খুবই আবশ্যক মনে করি।
@সামির মানবাদী,
নারী দুর্বল কোন পুরুষের প্রতি আসক্ত হয় বলে আমার জানা নেই। বিবর্তন মনোবিজ্ঞানের দিক দিয়ে অর্থের ভূমিকাটাকি? নিরাপত্তা? নারী পুরুষের মধ্যে কি কি খোঁজে? যে টাকা নিয়ে শুচ্ছে, আর যে টাকা নিচ্ছে না-তার মধ্যে পার্থক্যটাটি এতটাই বেশী, এই সাহিত্যরসটুকুও গ্রহনযোগ্য না?
তাছারা এটার আরো অর্থ আছে। এটাত বাংলা সাহিত্য সহ সব সাহিত্যেই আমরা দেখেছি -এবং নিজেদের অভিজ্ঞতাতেও দেখেছি মেয়েরা তাদের যৌন আবেদন কে ঘরে বাইরে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করে। নিজের স্বামীর কাছে কিছু আদায় করতেও তারা যৌনতাকে ব্যাবহার করে-এটাতে অন্যায় কিছু নেই। কারন বিবর্তনের পথে এটাই গড়ে উঠেছে। কোন সাহিত্যিক যদি এর জন্যে নারীর মধ্যে একজন অবচেতন বেশ্যাকে দেখতে পান-সেই রসাত্নক কথা বলার অধিকার তার আছে বলেই আমি মনে করি।
@সামির মানবাদী,
মেয়েরা মায়ের জাত, সাথে সাথে বেশ্যার জাতও বটে।
বিপ্লব দা সম্ভবত আপনার সমর্থনেই এখানে কি অর্থে বেশ্যা শব্দ ব্যবহার হয়েছে ব্যাখা করলেন-
তীব্র আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত আপনিও একটা ব্যাখা নিয়ে এলেন-
দুটো ব্যাখাই যদি সত্য বলে মেনে নেই, তাহলে বলবো- বাক্যটি ভুল যায়গায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সামির,
খুবই আপত্তিকর কটূদ্ধৃতি। যদিও কটূদ্ধৃতি শব্দটি ব্যবহার করে আপত্তি করার সুযোগটুকু বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবুও বলছি, মেয়েরা শুধু মায়ের জাত নয়, নারীরা মানুষ এবং কেউ কেউ পেশা হিসেবে বেশ্যাবৃত্তি করে মাত্র।
নিঃসন্দেহে বাঙ্গালি নারীরা অগ্রাধিকার ভোগ করার অধিকার রাখে, কারণ অন্য অনেক দেশ ও জাতির নারীদের মতো আমাদের জন্যে এখনও positive discriminstion প্রয়োজন।
@গীতা দাস,
খুব ভাল বলেছেন। আমারো প্রথমে এটা বেশ আপত্তিকর মনে হয়েছিল, তবে বুঝতে পারছি কটূদ্ধৃতি হেডিং দেওয়ায় আপত্তির সুযোগ নেই। ভাগ্যিশ আপত্তি করে বসিনি, তাহলে এখন বিপদে পড়তাম।
[৩৩]সহমত।
[৩৫] দারুণ, খাঁটি সত্যি কথা।
[৩৮] এটা পড়ে কস্ট পেলাম। মেয়েদের পতিতাবৃত্তির পেছনে ছেলেদের অবদানই কিন্তু বেশি। তাই এভাবে বলা টা সর্তথন করলাম না।
[৩৯] অনেকাংশে সত্যি। এটা আসলে সবার বেলাতেই সত্যি। অগ্রাধিকার পেতে কে না পছন্দ করে! 😀 সেটা যে ভাবেই হোক না কেন।
[৪০]পুরোপুরি সত্যি না। কারন অনেক সময়ই দোয়া বা অভিশাপ উভয় ক্ষেত্রেই মানুষের মনে এগুলোর একটা মনস্তাত্বিক প্রভাব সৃস্টি হয়,যা তার কাজেও প্রভাব ফেলে।
[৪১] সহমত।
[৪৩],[৪৪]- সহমত।
[৪৫]- দ্বিমত, তীব্র সৌন্দর্য বলে কিছু নেই। সৌন্দর্য সর্বদাই আপেক্ষিক। সৌন্দর্যের মধ্যে বহুলাংশেই অসৌন্দর্য বা অন্ধকার লুকিয়ে থাকে।
আগের পর্বগুলোও পড়া ছিল।দারুন লাগে। চালিয়ে যান। :yes:
@তানভী,
আর যদি দোয়া বা অভিশাপের কথা নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জানানো না হয় তবে………?
@সামির মানবাদী,
এজন্যই আমি একে পুরোপুরি মিথ্যাও বলিনি! 😀
@তানভী,
আমি কিন্ত কাশ্মীর বা সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য নিয়ে এখনো কাউকে দ্বিমত হতে শুনিনি। সবাই এসব স্থানকে জান্নাতের সাথে তুলনার মাধ্যমে নিয়ে যায় রহস্যকরনের দিকে। আর শারীরিক সৌন্দর্যের ব্যাপারে যার চোখে যে সুন্দর, তাকে সে ঠেলে দেয় অশ্লীনতা অথবা রহস্যকরনের দিকে।
@সামির মানবাদী,
ভাইয়া কাশ্মীর বা সুইজারল্যন্ডের সৌন্দর্যেও আপনি কিন্তু চাইলে প্রশ্ন তুলতে পারবেন।
একটা উদাহরন দেই। যেমন ধরেন বসুন্ধরা সিটি, দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মল(আমার জানা মতে) দেখতে বেশ ভালোই, আমার চোখে সুন্দরও বটে,এবং আমাদের জন্য গর্বেরও বটে।
কিন্তু আমাদের মত দেশে এরকম মল কি শুধুই বিলাসিতা না?
এই মল তৈরির পেছনে অনেক গরীব শ্রমিকের শ্রম আছে,যারা অত্যন্ত নিম্ন মানের জীবনযাপন করেন।
আমি আসলে সৌন্দর্যকে এই জন্যই আপেক্ষিক বলেছি।এখন আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কোনটা দেখতে চান। ভালোর পেছনে খারাপটা নাকি খারাপের সামনের ভালোটা, আলোর পেছনে অন্ধকারটা নাকি অন্ধকারের সামনের আলোটা।
@তানভী,
একমত। সৌন্দর্যও আপেক্ষি হতে পারে, অন্তত কিছু মাত্রায় হলেও।
আমি ২০০৬ সালে ইয়েলোষ্টোন ন্যাশনাল পার্কে কয়দিন কাটিয়ে এসেছিলাম। মনে হয়েছিল আমি কটাদিন স্বর্গের কাছাকাছি থেকে এসেছি।
আমার অফিসে সেখানকার ছবিগুলি দেখিয়েছিলাম, একজন মহিলার মন্তব্য ছিল; বুঝলাম খুব সুন্দর। তবে আমি তো ১০ মিনিট পরেই বোর হয়ে যাব। ওর মাঝে ৪ দিন থাকলে কেমন করে? পাহাড়,বন, ঝর্ণা, নদী, হরিন ভাল্লুক এসব কতক্ষন আর দেখা যায়???
@তানভী,
আদিল মাহমুদ মনে হয় কটুদ্ধৃতিটির যথার্থতা প্রমান করে দিয়েছেন ইয়েলোষ্টোনকে স্বর্গের সাথে তুলনা করে। স্বাধারণত এভাবেই মানুষ তার চোখের সবচেয়ে সুন্দর জিনিষটিকে ঠেলে দেয় রহস্যীকরনের দিকে।
@তানভী,
মেয়েদের মাতৃত্বের পেছনেও তো ছেলেদের অবদানটাই মুখ্য, তবে সেক্ষেত্রে গর্ব করা কেন? আসলে নিপীরিত নারীদের খুশি করতে, শুধুমাত্র মাতৃত্বের গন্ডির মধ্যে আটকে রাখতে নারীকে পুরুষতান্ত্রিক সমজের এই ভূষন।
অনেকটা ”নারীরা ঘরের সম্রাঙ্গী” – হদিসটির মতো।
ওয়াহ্! ওয়াহ্!
@ফরহাদ,
বমি??? নাকি বাহাবা দিলেন???
@সামির মানবাদী,
[৩৮] মেয়েরা মায়ের জাত, সাথে সাথে বেশ্যার জাতও বটে। :-XX
আপনি ধর্ম , ঈশ্বর,অতিমানবিকতা মানেন না ভালো কথা কিন্তু বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সভ্যতার বিকাশের ক্ষেত্রে মানুষ নামের প্রজাতিটির লিংগ ভেদাভেদে নারী কে দেখেছেন অতি জগন্য প্রানী হিসাবে যেটা পুরুষতন্ত্রের রক্ষীবাহিনীরা গত হাজার হাজার বছর ধরে ধর্মের ও সমাজবিকাশের সব তন্ত্রের নামে করেছে।সেক্ষেত্রে আপনি নিজেকে মানবতাবাদী দাবী করে ” মানবতাবাদ” কেই হেয়-অন্ধকারের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়েছেন। হায় মানবতাবাদ তোমার কপালে একি উলুধ্্বনি শুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
@মাহবুব সাঈদ মামুন, আমি মুলত নারীদের প্রতি সমাজের পরষ্পর বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরতে চেয়েছি। বিশেষ করে যে নারী একই সাথে মা ও বেশ্যা।
বেশ্যাবৃত্তিকে জিয়িয়ে রেখে কি ভবে মানবতাবাদী হওয়া যায় আমার সত্যিই ঠিক জানা নেই। আপনি যদি বলতেন… :-X
@সামির মানবাদী,
খুবই দুঃখিত আমার আগের কমেন্টসটি আপনাকে করার জন্য। হুস হলো আদিল মাহমুদের গীতা দাসকে জবাবটির মাধ্যমে।ভালো থাকুন সাথে আপনাকে ৫ টি গোলাফ ফুল দেওয়া হলো।
বেশ্যাবৃত্তিকে জিয়িয়ে রেখে কি ভবে মানবতাবাদী হওয়া যায় আমার সত্যিই ঠিক জানা নেই। আপনি যদি বলতেন… সামির মানবাদী@
এ প্রশ্ন তো আমার ও ???
বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সভ্যতার বিকাশের ক্ষেত্রে মানুষ নামের প্রজাতিটির লিংগ ভেদাভেদে নারী কে অতি জগন্য প্রানী হিসাবে পুরুষতন্ত্রের রক্ষীবাহিনীরা গত হাজার হাজার বছর ধরে ধর্মের ও সমাজবিকাশের সব তন্ত্রের নামে শোষন,নির্যাতন ও পংজ্ঞুত্তের শি্কল হাতে-পায়ে পরিয়ে রেখেছে।তাই সকল ধর্ম ও কুৎসিত,বর্বর ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক পাওয়ারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।সে-টাই মানবতাবাদের লড়াই এবং যারা লড়ে তারা-ই মানবতাবাদী।সেখানে লিংগভেদে নারী-পুরুষ সব সমান এবং সবকিছুর পরে আমরা সবাই শুধু মানুষ,অন্য কিছু নই।