httpv://www.youtube.com/watch?v=KMZ4nihvEng&feature=player_embedded
এইমাত্র ক্ষুধার্ত এক শিশু
কিংবা খসখসে চামড়ার পোশাক পরা একটা কংকাল-
মরে বেঁচে গেল, কিছু আগেই যে বেঁচে মরে ছিল।
হে ঈশ্বর,
তোমাকে পাঁচবার জপার আগেই
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি-
আরেকজনকে তুলে দেই তোমার হাতে
দিনে ষোল হাজার, হাজারে হাজার
মৃত্যুর মিছিলে তোমার স্বর্গ নরকে এখন দারুন কোলাহল।
তুমি বলেছিলে-
মানুষের রিজিকের দায় তোমার কাঁধে,
তোমার কাঁধ আর প্রশস্ত নয়?
৮৫৪ মিলিয়ন এর চিৎকার
খাবার না পাওয়ার যন্ত্রণা, কান্না-
তোমার কর্ণকুহরে প্রবেশ করে না?
আর কত জোরে চিৎকার করতে হবে? এই অপুষ্ট শরীর থেকে
কতই বা জোর আওয়াজ বের হয়- তুমিই বলো
মাছিরা পর্যন্ত দয়ার্ত, ফেলে যায় না
কুকুরেরা ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকে অপলক
পিঁপড়েরা সুরসুরি দেয়-
কিন্তু তুমি? দেখতে পাও না কিছুই?
শকুন অপেক্ষায় থাকে জমপেশ একটা ফিস্টের আশায়
শিশুটা এবার হুমড়ি খেয়ে পড়লো প্রায়,
কচি শরীরের চোখ-মগজ-নাড়িভুড়ি,
গায়ে তেমন মাংস না থাকলেও জমবে বেশ।
আসল শকুনেরা তো নৃত্য করে জমকালো আসরে
কচি শরীরের চোখ-মগজ-নাড়িভুড়ি নিংড়ে চলে পানাহার সঙ্গীত ও নৃত্য
কচি শরীরের চোখ-মগজ-নাড়িভুড়ি বিকিয়ে পাওয়া ডলারে
আজ কি তোমার হৃদয়টা কেনা যায়?
httpv://www.youtube.com/watch?v=zWXv_QPRHy0
httpv://www.youtube.com/watch?v=i22DvoyuCOc&feature=player_embedded
httpv://www.youtube.com/watch?v=Z82KlkAeqz0&feature=player_embedded
httpv://www.youtube.com/watch?v=993rZrfLBjg&feature=player_embedded
আকাশ মালিক,স্রষ্টার প্রতিনিধি শুধু আমি নই,আপনি ও।কারণ,আপনার ভেতরেও তাঁর অবস্থান রয়েছে।আপনি এবং মানব প্রজাতির বাকী প্রতিনিধিরা তা Realise করে স্রষ্টার নির্দেশ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে দেখুন পৃথিবীতে অনাহারে মানুষ মারা যাওয়া ঠেকানো যায় কি না।তারপর স্রষ্টাকে দোষ দিন।
@al murshed,
স্রষ্টার নির্দেশটা কি কোরান? যার ছত্রে ছত্রে প্যাগান আর অবিশ্বাসীদের কাঁচা খিস্তি দেওয়া আছে?
স্রষ্টার যদিও বা থাকার সম্ভবনা থেকে থাকে, স্রষ্টার নির্দেশ থাকার সম্ভাবনা ০। কোরান গীতার বালখিল্য এবং পরস্পর বিরোধি মানব রচিত মধ্যযুগীয় নীতিমালাকে স্রষ্টার ফিস ফিস নির্দেশ বলে বিশ্বাস করতে হলে কাঁধের ওপর গাধার মাথা থাকা দরকার। ঈশ্বরে বিশ্বাস অবশ্য বুদ্ধিমান লোকেদের ও থাকতে পারে-কিন্ত বাইবেল, কোরান গীতাকে ঈশ্বরের বানী হিসাবে বিশ্বাস করতে রীতিমত মাথামোটা হতে হয়।
@বিপ্লব পাল,
চমৎকার- :yes: :yes: :yes:
তবে-
গাধারা বুঝি এতই গাধা (বোকা) যে স্রষ্টার ফিস ফিস নির্দেশ আর নীতিমালা মেনে চলবে? :laugh: :laugh: :laugh:
@আকাশ মালিক,
:laugh::laugh::laugh::laugh::laugh::laugh:
@বিপ্লব পাল, নাস্তিকগণ তাদের সুচিক্কণ বুদ্ধি,তীর মার্কা যুক্তি আর অথৈ জ্ঞানের ভান্ডার দিয়ে দুই,চার খান জীবন বিধান রচনা করেন না কেন?মানব জাতি পড়ে ধন্য হউক।সমাজতান্ত্রিক নাস্তিকদের কম্যুনিষ্ট ধর্মের গুরু মার্ক্স আর এংগেলস সাহেবদের লেখা কিতাবগুলোতো এখন পরিত্যাক্ত হয়েছে।ওসবের সূরা,কালাম বা মন্ত্রগুলো প্রাক্তন কম্যুনিষ্টদের মুখে আর শোনা যায় না,তারা বড়ই শরমিন্দা হন।মার্ক্স-এংগেলস সাহেবরা কাহার ফিস ফিসানি শুনিয়া এইসব রচনা করিয়াছিলেন কে জানে?
যে স্রষ্টা মানুষকে এমন ক্ষমতাশালী মস্তিষ্ক, আর সবচে সংবেদনশীল মন এবং বিবেচনাবোধ দিতে পারেন, তার কি নিজের সৃষ্টি নিয়ে এমন সৃষ্টিছাড়া খেলা শোভা পায়? দুনিয়া জুড়ে হাজার হাজার শিশুকে না খাইয়ে রেখে, মেরে ফেলে কি ছাই পরীক্ষা করেন তিনি বুঝি না। আচ্ছা ক্ষুধার কারণে মৃত্যু না হয় আপনি মানুষের উপরে চাপালেন – কিন্তু বছর বছর এই যে বন্যা, সুনামি, ভুমিকম্প আর হাজারো প্রকৃতিক দুর্যোগে হাজার হাজার শিশু, নারী আর নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু তো আর মানুষের দ্বারা মানুষকে ঠকিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য জমা করে রাখার জন্য হচ্ছে না। হচ্ছে স্রষ্টার নিষ্ঠুরতার কারণে। আমার তো মনে হয় চারিদিকে স্রষ্টার এত নিষ্ঠুরতা দেখেও চোখে কানে তালা লাগিয়ে হৃদয়হীন স্রষ্টাকে নিয়ে নাচানাচি করাটা আর তাকে তোষামোদ করাটাই আত্মপ্রতারণা না?
@রাহাত খান,-বন্যা,সুনামি,ভূমিকম্প ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগ।এই বিশ্ব পরিচালনার জন্য স্রষ্টা প্রকৃতিতে কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন এবং সৃষ্টি করেছেন কিছু প্রাকৃতিক শক্তির।এই শক্তি এবং নিয়মের মিথস্ক্রিয়া(Interaction) এর জন্যই এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ এর উদ্ভব ঘটে।এসব দূর্যোগ মানুষ এবং অন্যান্য সৃষ্ট জীবের জন্য প্রাণহানিকর এবং কষ্টের কারণ।মানুষ স্রষ্টার অন্যতম সৃষ্টি হলেও শুধু তাকে কেন্দ্র করেই স্রষ্টার সৃষ্ট জগতের সকল কর্ম-কান্ড পরিচালিত হবে এমন কোনো অঙ্গীকার তিনি করেছেন বলে মনে পড়ছে না।মানুষ তার বুদ্ধি প্রয়োগ করে আস্তে আস্তে এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রযুক্তি আবিস্কার করবে ।আর স্রষ্টা যেমন করুণাময় তেমনি ধ্বংস ও করেন এবং এটা তিনি নিজেই বলেছেন।প্রকৃতপক্ষে ধ্বংস এবং সৃষ্টি এ জগতের-ই নিয়ম।নক্ষত্র এবং গ্যালাক্সিগুলো ও ধ্বংস হয়ে নূতন তারকা এবং গ্যালাক্সির জন্ম দিচ্ছে।আমাদের সূর্য ও পূর্বে ধ্বংস প্রাপ্ত তারকার মাল মসলা ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে-সূর্য হচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের তারকা।এটি ও একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে( ৫০০ কোটি বছর পরে)।মনুষ্য জাতি যদি তার আগে অন্য কোনো সৌর জগতে পাড়ি জমাতে না পারে তাহলে তারাও ধ্বংস হবে(যদি ততদিন টিকে থাকে)।আর একদিন তো সমগ্র ইউনিভার্স-ই ধ্বংস হয়ে যাবে।এবং আবার তৈরি হবে নূতন ইউনিভার্স,নতুন জীবন,( হয়তো আমাদেরই উপাদান ব্যবহার করে)।
@al murshed,
স্রষ্টাকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে আপনার অসহায় লেজে গোবরে অবস্থা টের পাচ্ছি। আপনি বলেছেন ‘এই বিশ্ব পরিচালনার জন্য স্রষ্টা প্রকৃতিতে কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন‘ – কিন্তু সর্বজ্ঞ এবং শক্তিশালী স্রষ্টার পক্ষে নিশ্চয় ইচ্ছে করলেই এমন নিয়ম তৈরি করা সম্ভব ছিলো যে তাতে করে সুনামী কিংবা মহামারী কিংবা জলোচ্ছ্বাসে এত নিরীহ নারী আর শিশু মারা পড়তো না। স্রষ্টার সৃষ্টি খুব উৎকৃষ্ট আর নিখুঁত বলে দাবী করবেন, আবার মহামারী প্লাবনে লাখ লাখ জীবনের মৃত্যু আর অপচয়ের ব্যাপারটাও সযত্নে এড়িয়েও যাবেন – তা তো হয় না।
যে নিয়মের দোহাই তুলে স্রষ্টার অপকর্মকে আপনি বৈধতা দিতে চান, অনেকে তো এরূপও বলতে পারে যে, মানুষের সমাজেও কিছু নিয়ম আছে যার কারণে কিছু লোক খেতে পায়, কিছু লোক পায় না। সে কথা বললেই আপনি নিশ্চয় বলবেন, আমরা বিবেক-বুদ্ধির দোরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। যে ব্যাপারটা মানুষের জন্য সহজেই বুঝতে পারেন, স্রষ্টার বেলায় যুক্তি টুক্তি সব পানিতে ভাসিয়ে দিলেন? স্রষ্টা তো মানুষের চেয়ে অনেক শক্তিশালী, তিনি ইচ্ছে করলেই অমানবীয় অপার্থিব সুন্দর নিয়ম কানুন দিয়ে পৃথিবীটা তৈরি করতে পারতেন। তার বদলে দেখা যাচ্ছে তার নিয়মগুলো মানুষের বানানো নিয়মের চেয়েও নিকৃষ্ট। নানা ধরণের ‘নিয়ম’ এর ব্যাখ্যা হাজির করে আপনাদের স্রষ্টার অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা করতে হয়, বড়ই আফসোস।
আল্লাহ যদি সত্যই থাকতেন, তবে তাকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে অসহায় বান্দাদের লেজে গোবরে অবস্থা দেখে সত্যই বিমর্ষ হয়ে পড়তেন আজকে। 🙂
@রাহাত খান,স্রষ্টাকে ডিফেন্ড করবো আমি আল মোর্শেদ এই মহাবিশ্বে যার অবস্থা একটি ধূলিকণাসম ও নয়?!!আমার উপরে বলা কথাগুলো শুধুই আমার নিজস্ব নয় এবং তা অনুধাবন করতে হলে বাম মস্তিষ্কের সাথে সাথে ডান সেরেব্রাল কর্টেক্স( Cerebral Cortex)এর নিউরনগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে যে?
@al murshed ,
আপনার উপরের উক্তিটি কিভাবে আমার জবাবের রিবিউটাল হল আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তবে একটি জিনিস বুঝতে পারি যে, ঝোলায় যখন আর কোন যুক্তি থাকে না তখন তা কুযুক্তি আর ব্যক্তি আক্রমণে রূপ নেয়।
আই এম সরি – কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, আর যারা ধার্মিক লোকজন এই সাইটে লিখছেন – যেমন আনাস, আদিল, আইভি, মুহাইমীন এমনকি ফুয়াদ সাহেবও আপনার চেয়ে অনেক সৎ। তারা জানেন ফালতু কথা বলার চেয়ে বরং থেমে যাওয়া ভাল। সেজন্য তাদের সাথে তর্ক চালানো যায়। আপনার সাথে যায় না। আপনার অতি পরিশিলীত সেরেব্রাল কর্টেক্স নিয়ে আপনি মহানন্দে থাকুন।
বিদায়।
@al murshed,
ধ্বংস করবেনা? পাগল যে! এমন পাগলের করুণার আমার দরকার নাই। :no:
স্রষ্টা মানুষকে দিয়েছেন সবচে ক্ষমতাশালী মস্তিষ্ক,সবচে সংবেদনশীল মন এবং বিবেচনাবোধ।সেই মানুষ যদি সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষকে ঠকিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য জমা করে এবং পৃথিবীর সমস্ত মানুষের ক্ষুধা নিবারণের মতো খাদ্য থাকা সত্বেও মানুষকে না খাইয়ে মেরে ফেলে বিবেক-বুদ্ধির দোরে তালা ঝুলিয়ে,তখন স্রষ্টাকে দায়ী করা কী আত্মপ্রতারণা নয়?মানুষ তো পৃথিবীতে ঈশ্বরের-ই প্রতিনিধি।
@al murshed,
মানুষকে না খাইয়ে মেরে ফেলে স্বয়ং ঈশ্বরের যখন কিছু যায় আসেনা, তখন ঈশ্বরের প্রতিনিধি মানুষতো কোন ছাড়্।
@ব্রাইট্ স্মাইল, ঈশ্বরের কিছু যায় আসে না কে বললো?মাত্র ৭০/৮০ বছরের বেশি(খুব বেশি হলে ১০০) পৃথিবীতে থাকবে না জেনেও যারা কয়েকশো বছর(বা তার চেয়েও বেশি) বেঁচে থাকার মতো সম্পদ পুঞ্জিভূত করে এবং খাদ্য ও সম্পদ মানব জাতির অন্য ভাই-বোনদের সাথে শেয়ার করার জন্য স্রষ্টা সুস্পষ্ট নির্দেশ প্রদান করার পরেও জেনেশুনে তা যারা অমান্য করে তাদের শাস্তি দেয়ার জন্য-ই তো দোযখের আগুন রাখা হয়েছে।স্রষ্টার কিছু ‘যায় আসে না’ হলে কী আর দোযখ থাকতো?
@al murshed,
দোজখের শাস্তি তো মৃত্যুর পরে। আগে বলুন আপনার আল্লাহ দুনিয়ায় এই শিশুটিকে এমন মর্মান্তিক শাস্তি কেন দিলেন, তার অপরাধটা কি? আপনি তো আল্লাহর প্রতিনিধি, এবার আপনিই উত্তর দিন। তবে রামায়ন, মহাভারত না টেনে শীবের গীত না গেয়ে সুজাসুজি উত্তর দেবেন-
মাছিরা পর্যন্ত দয়ার্ত, ফেলে যায় না
কুকুরেরা ছলছল চোখে তাকিয়ে থাকে অপলক
পিঁপড়েরা সুরসুরি দেয়-
কিন্তু তুমি? দেখতে পাও না কিছুই?
আল্লাহ শিশুটির দিকে তাকিয়ে দেখেছিল? তার চোখ বন্ধ ছিল, না কি সে চিরঅন্ধ?
তুমি বলেছিলে-
মানুষের রিজিকের দায় তোমার কাঁধে,
তোমার কাঁধ আর প্রশস্ত নয়?
শিশুটির রিজেকের মালিক কে? মানুষ না আল্লাহ?
শিশুটির জন্ম ও মৃত্যুর মালিক কে? মানুষ না আল্লাহ?
জন্মদাতা বনের একটা কুকুরিও তার বাচ্চাকে এভাবে না খেয়ে মরতে দেবেনা, আর আপনার আল্লাহ? তিনি কি এই শিশুর স্রস্টা?
সিদ্ধার্থ,
ঈশ্বর ভালো লোক! আত্মহত্যা করবেন? অতো বুকের পাটা তার নেই! ঐযে উপড়ে দেখুন, সৈকত চৌধুরী বলেছেন আর বলেছেন ফরহাদ। দুজনেই ঠিক বলেছেন। সৈকত চৌধুরী বলেছেন সাকার উপাসকদের ঈশ্বরের কথা! আর ফরহাদ আভাস দিয়েছেন নিরাকারবাদীদের ঈশ্বরের! চমৎকার সমন্বয়! আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন!
তবে আশ্বস্ত হওয়ার একটা বিষয় আছে, সাকার নিরাকার যেকোন ভাবে অতীতে ঈশ্বর থাকলেও এখন মনে হয় নেই! কেভিন কার্টারের থাপ্পর খেয়ে মনে হয় মুর্চ্ছা গেছেন!
কার কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছেন ।ইশ্বর নামে যে কেউ নেই,এর চেয়ে বড় প্রমান
আর কি হতে পারে ? তথাকথিত বিশ্বাশীরা বলে থাকে,ইশ্বর সমস্ত লোকের
“রিজিক” বন্টন করেন কোন বৈশম্য ছাড়া ।তথাকথিত ইশ্বর “এর” কথা ভূলে
গিয়েছিলেন ?
দুঃখ জনক…………..
ঈশ্বর ভাল লোক হয়ে থাকলে, শিশুটিকে রক্ষা করতে না পারার অপরাধবোধে তার কেভিন কার্টারের আগেই আত্নহত্যা করা উচিত ছিল।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, নাস্তিকের ধর্মকথা যে ছবিটি তার পোস্টে ব্যবহার করেছেন সেটি েক অখ্যাত ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টারের তোলা। সুদানে দুর্ভিক্ষের সময় কেভিন এ ছবিটি তলেন যা ১৯৯৪ সালে পুলিৎসার পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ক্ষুধা পীড়িত শিশু হামাগুড়ি দিয়ে জাতিসংঘের ত্রানশিবিরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর অন্যদিকে একটি শকুন অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কখন শিশুটি মারা যাবে।
এই ছবিটি প্রকাশের পর সাড়া বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিলো। কেউ জানে না শিশুটি আসলেই ত্রানশিবিরে পৌঁছুতে পেরেছিলো কিনা, নাকি শকুনটি তার আগেই তাকে বিনাশ করে ফেলেছিলো। কেভিনের ছবিটি পুরস্কৃত হলেও তিনি বিভিন্ন মহল থেকে পরে সমালোচিত হন কারণ তিনি শিশুটিকে সাহায্য না করে কেবল ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন।
এর তিন মাস পরে মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে কেভিন আত্মহত্যা করেন।
এ নিয়ে মুক্তমনায় ইংরেজীতে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলেম এখানে।
নাস্তিকের ধর্মকথার পোস্টটা আবার সেই দুঃখময় স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো।
ঐ শকুনটাই বোধহয় ইশ্বর।
@সৈকত চৌধুরী,
খাসা বলেছেন।
ইউটিউব ভিডিওগুলো লিংক আকারে না হয়ে- সরাসরি এখহানে যুক্ত করার সিস্টেমটা কি?
@নাস্তিকের ধর্মকথা, ভিডিওর ডান পাশে দেখুন Embed লিখা বাক্সে একটা কোড আছে(url এর নিচে),subscribe বাটন এর বাম পাশে নিচে।ঐ এমবেড কোডটা কপি করে পেস্ট করুন নির্দিষ্ট স্থানে তা হলে ভিডিওটি চলে আসার কথা।
চেষ্টা করে দেখুন হয় কিনা না হলে এডমিনতো আছেই।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
নীচে স্মাইলীগুলো যেখানে আছে, তার নীচে ইন্সট্রাকশন দেয়া আছে।
ইউটিউব থেকে ভিডিও সংযোগের জন্য ভিডিওর URL কপি করুন এবং লিঙ্কটি পোস্ট করার সময় http : // র বদলে httpv : // লিখুন ( ‘v’ character টি খেয়াল করুন)
আপনার একটি ভিডিও ঠিক করে দেয়া হয়েছে। আপনি কোড দেখে বাকিগুলো করে নিন।
@মুক্তমনা এডমিন,
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চেয়েছি এই ভিডিওগুলো সবাই দেখুক। সবার দেখা দরকার।