ভ্রান্তি
দূর হতে মনে হয় ফুল,
কাছে এলে ভুল;
হাত বাড়ালে, জল হয়ে,
গলে গলে পড়ে।
পথ
বিকালের বাতাস ছুঁয়ে যায়
সকালের সুখ।
রৌদ্রের বুকে জমে ক্ষত।
আর কত বিক্ষত হলে নদী,
তুমি দেবে সমুদ্রের ঠিকানা।
নোনাজল
কোথা থেকে আসে মেঘ,
কোথায় যায় চলে;
ভালবাসার এ পোড়ামাটি,
ডুবে যায় নোনাজলে।
সূর্যসেন
এখনো সূর্যসেন লন্ঠন উঁচিয়ে,
হেঁটে যায় মহাশূন্যে, নির্ভীক।
জলোচ্ছ্বাসের নীরব প্রস্তুতি চলে,
বাঙলার খন্ডিত শরীরে।
প্রমান্ধ
দিক ভেসে যায়
নোনাজলে।
এক চোখে হেঁটে যায়,
প্রমান্ধ প্রভু মন।
নির্মাণ কাল ১৯৯৫ থেকে ২০০৭
এটা কার দুর্ভাগ্য, নির্ধারণ করা কঠিন। তবুও অনুমান করা যায় আমার, কেননা টাইপ করার পর দেখলাম, পুরো মন্তব্যটাই উধাও, অনেকটা আপনার মত।
মতিন বৈরাগীকে আপনার কথা বললাম, সময় সুযোগ পেলে ঢু মারতে পারেন।
…
সেদিন নদীর ধাঁরে
দেখলেম আড়ে
তোমার খোলা চুল..
আমার মস্তবড় ভুল!
…
@অরণ্য,
হয়তো তাই। লেখাগুলো ঠিকঠাক মত হয়ে ওঠে না, খোলা চুলের ভুলের পাঁকে পড়ে, হারিয়ে যায়। তবুও হারিয়ে যেতে যেতে , একটুখানি কথা বলানো, এই যেমন আপনি নীরবতার আসমুদ্র হিমাচল থেকে ওঠে এলেন।
মতিন বৈরাগীর কবিতা আপনার ভাল লেগেছ, উনাকে জানিয়েছি। সময় পেলে মাঝে মধ্যে ঢু মারতে পারেন, নিজেও দু’একখানা কবিতা, মন্তব্য, চাইলে প্রসব করতে পারেন।
সবগুলিই সুন্দর। (Y)
@তামান্না ঝুমু,
কি ব্যাপার আপনি উধাও আকাশ কেন, বুঝতে পারছি না। মন্তব্যের ঘরে প্রবেশ না হলেও, লেখা তো পড়া হয়।
মুক্তমনায় নিয়মিত উপস্থিতি কামনা করছি।
ভাল থাকবেন।
বাহ্, বেশ অন্যরকম মজা পেলাম। নামকরণ ‘অল্পকথন’ সার্থক মনে হচ্ছে।
আগামী লেখাগুলোও কি মুক্তি পাবার আগে এই রকম দীর্ঘ ৬ থেকে ১৮ বছর কারাভোগ করবে?
@কাজী রহমান,
আপনি মজা পেয়েছেন, জেনে আমিও মৌজে আছি।
একটা গান মনে পড়ে গেল, ‘আমি বন্দি কারাগারে’
আসলে, অধিকাংশ মানুষ, বেঁচে থাকার নানারকম কারাগারে বন্দি। আমিও তাদের একজন। আপনি সেই কারাগার থেকে বের হয়ে আসার যে মন্ত্রণা দিচ্ছেন, ধন্যবাদ দিতেই হয়,তাই ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন।
দূর হতে মনে হয় ফুল,
কাছে এলে ভুল;
হাত বাড়ালে, জল হয়ে,
গলে গলে পড়ে।
কবি আপ্নি ত জানেন না, হাত বাড়ালেই বন্ধু ,পা বাড়ালেই পথ। তাই ভুল হয়।কবি যদি আরও কবিতা দিতেন তাহলে অনেকেই উপক্রিত হত। সুন্দর !
@িশল্পভবন,
কবিতায় কি কারো কোন উপকার হয়? জানা নেই। তবে প্রসংশা যেহেতু স্রষ্টারও খুব প্রিয়,
তার ছায়া আমার উপরও কিছুটা পড়বে, অর্থাৎ পড়েছে।
ধন্যবাদ।
শেষের দুইটা জোস! বিশেষ করে,
এক কথায় অনবদ্য, অভূতপূর্ব!
আর
মনে করিয়ে দেয় অনেককে।
পরিশিষ্টঃ আমার প্রথম লেখার প্রথম মন্তব্য আপনার। অথচ সেই আপনি বহুদিন যাবত নিখোঁজ। এখন আপনাকে স্বকাব্য পেয়ে দারূন লাগছে, মাঝি ভাই।
@কাজি মামুন,
আপনার ভাল লেগেছে জেনে, আমারও ভাল লাগা একটু বেড়ে গেল।
আপনার স্মরণশক্তি প্রসংশনীয়। সবগুলো লেখা পড়া হয়, সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনা।
মুক্তচিন্তা আর শুভবুদ্ধির মিছিলে, আপনাদের যাত্রা অব্যাহত থাকুক।
ভাল থাকবেন।
অণু-ছড়া গুচ্ছটি সুখপাঠ্য 🙂
@সংবাদিকা,
এগুলো অণু কবিতা/ছড়া/ হাইকু হবে, কী হবে না; এই নিয়ে ঘোর সংশয়ে।
পাঠ করে সুখ পেয়েছেন, জেনে; আমিও যারপরনাই সুখি।
ধন্যবাদ।
এক যুগের ফসল ৫টি কবিতা! ভাল না লেগে পারে?
মনে রাখার মত পংক্তি।
@গীতা দাস,
হা হা হা… আপনার রসবোধের প্রসংশা না করে পারছি না।
সারাজীবনের লেখায় ঐ একটা বা দু’টা লাইন যদি কারো মনে গেঁথে যায়, ব্যস। আর চাই কি?
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
সত্যিই অসাধারন। (Y)
@আধুনিক নরবানর,
একটুখানি ভাল-মন্দ মিলে-মিশে গেলেই, আমার অনেকখানি আনন্দ হয়। এর অধিক দে’য়াটা আমায় বানে না-ভাসিয়ে নিয়ে গেলেই বাঁচি। খোদ স্রষ্টাই যেখানে প্রসংশার পাগল, আমি তো কোন ছাড়…।
ধন্যবাদ।