সম্প্রতি দুটি ঘটনা দুনিয়াতে বেশ সাড়া ফেলেছে আর বলা বাহুল্য দুটোই শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিয়ে। একটা হলো – পাকিস্তানে এক খৃষ্টান বালিকার কথিত কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও তা নিয়ে তুল কালাম কান্ড এবং মোহাম্মদকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে লিবিয়াতে মার্কিন দুতাবাস আক্রমন ও তাতে একজন মার্কিন কুটনীতিক ও আরও কয় জন কর্মচারীর হত্যাকান্ড।এ ছাড়াও মিশর ও ইয়েমেনে মার্কিন দুতাবাস আক্রমনের খবর পাওয়া গেছে। সামনে হয়ত বিভিন্ন দেশে এ ধরনের আক্রমনের আরও খবর পাওয়া যাবে। বলা বাহুল্য দুটো ঘটনাই ইসলামি বিধান অনুযায়ী অমার্জনীয় অপরাধ- প্রথমটি কোরান পোড়ানো ও দ্বিতীয়টি মোহাম্মদের কথিত চরিত্র হনন।
কোরান পোড়ানো কিভাবে অপরাধ হতে পারে তা ঠিক বোধ গম্য নয়। কারন আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছে-
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক । কোরান, আল হিজর- ১৫:০৯
যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরান নাজিল করে তা সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে সেখানে দুনিয়াতে দু’চারজন এমন কি হাজার হাজার লাখ লাখ কাফির মুশরিক যদি লক্ষ লক্ষ কোরান গাটের পয়সা খরচ করে পুড়িয়ে ফেলে, তাহলে কোরান তো দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কথা নয় কারন যা স্বয়ং আল্লাহ সংরক্ষন করবে তা কিভাবে কিছু কাফের মুশরিক নিশ্চিহ্ন করতে পারে। তাছাড়া কিভাবে তা অপরাধ হয় তাও বোঝা মুশকিল।কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোরান পোড়ায় তাহলে মুসলমানরাই বা উন্মত্ত হয়ে কেন হত্যা খুন লুট তরাজ রাহাজানিতে লিপ্ত হয়ে পড়বে ? মুসলমানরা যদি খৃষ্টানদের বাইবেল পোড়ায় তাহলে খৃষ্টানরা কি এভাবে মুসলমানদেরকে খুন করার জন্য পাগল হয়ে যাবে ? প্রশ্নটা একারনে যে – যেহেতু কোরান সংরক্ষনের দায় দায়িত্ব পুরোটাই আল্লাহর হাতে তাহলে মুসলমানরা কেন সে কোরান রক্ষার জন্য খুন খারাবিতে লিপ্ত হবে ? আল্লাহ কি তাহলে কোরান সংরক্ষন করতে অক্ষম ? আর সেকারনেই মুসলমানরা এ ধরনের কোরান পোড়ানোর ঘটনায় ভীত এই ভেবে যে কোন একদিন দুনিয়ার সব কাফির এক জোট হয়ে দুনিয়ার সব কোরান পুড়িয়ে শেষ করে কোরানকে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে ?
এবার আসা যাক, দ্বিতীয় ঘটনায়।আমেরিকাতে কোন এক কপ্টিক খৃষ্টাণ একটা চলচ্চিত্র তৈরী করেছে যাতে মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে।উক্ত চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে মোহাম্মদ নারী আসক্ত ছিলেন। তো এ চলচ্চিত্র দেখে লিবিয়ার কিছু ধর্মপ্রান মুসলমান প্রচন্ড খেপে গিয়ে মার্কিন দুতাবাস আক্রমন করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং একজন কুটনীতিককে হত্যা ছাড়াও কয়েকজন কর্মচারীকে হত্যা করেছে। এখন বিষয় হলো মোহাম্মদ কি সত্যি নারী আসক্ত ছিলেন? দেখা যাক হাদিস কি বলে।
কাতাদা বর্ণিত: আনাস বিন মালিক বলেছিলেন., “ রাত ও দিন ব্যপী নবী তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে মিলিত হতেন আর তাদের সংখ্যা ছিল এগার। আমি আনাস কে জিজ্ঞেস করলাম, “ নবীর কি এত শক্তি ছিল ?” আনাস উত্তর দিলেন, “ আমাদেরকে বলা হয়েছিল ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি ছিল নবীর”।সহি বুখারি, ভলিউম-১,বই-৫, হাদিস-২৬৮
উক্ত হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে দিন ও রাতে মোহাম্মদ যে তাঁর সকল স্ত্রীর সাথে দেখা সাক্ষাত করতেন বিষয়টি মোটেও সৌজন্যমূলক দেখা সাক্ষাতের বিষয় ছিল না। তাহলে এ প্রশ্ন আসত না যে তার সে শক্তি ছিল কি না। সৌজন্যমূলক দেখা সাক্ষাত করার জন্য নিশ্চয়ই ত্রিশ জন পুরুষের সমান শক্তি দরকার পড়ে না। যে লোক তার এগারজন স্ত্রীর সাথে নিত্যদিন দেখা করে তাদের সাথে মিলিত হতেন , প্রশ্ন হলো, তাকে নারী আসক্ত বলা যায়, কি যায় না।
সুন্দরী নারী দেখলে মোহাম্মদের শরীরে কি প্রতিক্রিয়া হতো তা দেখা যায় নীচের হাদিসে-
জাবির বর্ণিত:আল্লাহর নবী রাস্তায় একজন নারী দেখলেন এবং তাকে দেখেই তাড়াতাড়ি তার স্ত্রী জয়নাবের ঘরে চলে গেলেন যে তখন একটা চামড়া রং করছিল এবং নবী তার সাথে যৌন ক্রিড়া করলেন।তারপর তিনি তার সাহাবীদের কাছে গেলেন এবং তাদেরকে বললেন: স্ত্রীলোকটি অগ্রসর হয়ে একটা শয়তানের রূপ ধারন করল, তাই তোমরা যখন কোন নারীকে দেখবে তখন তোমাদের উচিত তোমাদের স্ত্রীদের কাছে যাওয়া, তাহলে তার মনে যে কামনার উদ্রেক করেছিল তার প্রশমন হবে। সহি মুসলিম, বই-৮ হাদিস-৩২৪০
ইসলামে যাকে বলা হচ্ছে শ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ যাকে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত অনুসরণ করতে হবে, তিনি রাস্তায় একটা সুন্দরী নারী দেখে সাথে সাথে দৌড়ে তার স্ত্রী জয়নাবের কাছে গেলেন ও তার সাথে যৌন ক্রিড়া করলেন।দৃশ্য কল্পটা কি অদ্ভুত! তাহলে রাস্তায় নারী দেখার পর তার দেহ ও মনে কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল যে কারনে তাকে দৌড়ে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে যৌন ক্রিড়া করতে হলো? একজন আদর্শ মানবের সাথে এ দৃশ্য কল্পটা কি মানানসই ? ঠিক একই আচরন যদি এখন কেউ করে তাকে কি বলে আখ্যায়িত করা হবে ? তাকে কি সবাই নারী লিপ্সু বলবে না ? যুক্তি হিসাবে বলা যেতে পারে যে- যৌন কাজটা তো স্ত্রীর সাথেই করা হয়েছে তাই সেটা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু বিষয়টা হলো একজন আদর্শ মানুষের মানসিকতা ও সংযমের। একজন আদর্শ মানুষ রাস্তায় বেরুলে যদি কোন নারীর সাথে তার দেখা হয়ে যায়, তাহলেই সে উত্তেজিত হয়ে পড়বে? তার কি কোন রকম সংযম নেই ? যদি সংযম না-ই থাকে তাহলে সে কিভাবে আদর্শ মানুষ? আর তা ছাড়া নারী দেখলেই উত্তেজিত হয়ে পড়তে হবে, এটা কোন্ ধরনের সভ্য আচরন? আর যে লোক নারী দেখলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে তাকে কি নারী আসক্ত বলা যায় না ?
এখন একজন কোরান পুড়িয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে ধর্ম দ্রোহের অপরাধ আনা হয়েছে, ধরে জেলে পোরা হয়েছে, বর্তমানে জামিনে আছে, কিন্তু আশ পাশের মুসলমানরা তাদের পরিবার শুদ্ধ পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছে। অন্য একজন মোহাম্মদের জীবনের সত্য ঘটনাকে নিয়ে একটা চলচ্চিত্র তৈরী করেছে কিন্তু তাকে হাতের কাছে না পাওয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস আক্রমন করে তাতে আগুন লাগানো হচ্ছে ও মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। অপরাধ হলো – ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে, ইসলামকে অপমান করা হয়েছে, মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে।কিন্তু আসলেই কি ইসলামকে অপমান করা হয়েছে , মোহাম্মদের চরিত্র হনন করা হয়েছে? উপরে কোরান ও হাদিস থেকে যে উদাহরণ দেয়া হলো তা কি প্রমান করে যে সত্যি সত্যি ইসলাম ও মোহাম্মদকে অবমাননা করা হয়েছে? কোন ব্যক্তি সম্পর্কে সত্য ঘটনা জানা বা প্রকাশ করা কি তাকে অবমাননা করা ?
এখন ইসলাম বা মোহাম্মদকে অবমাননা করার কি শাস্তি সেগুলো দেখা যাক।
ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলেঃ আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন। যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াত সমূহ থেকে অহংকার করতে।কোরান, সূরা- আল আনাম ০৬:৯৩ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৫৭
মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬০
অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং প্রাণে বধ করা হবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬১
উপরের আয়াত সমূহ থেকে দেখা যাচ্ছে যে যারাই আল্লাহ ও তার রসুল মোহাম্মদকে কষ্ট দেবে, তার বিরুদ্ধে গুজব রটনা করবে তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে ধরতে হবে ও হত্যা করে ফেলতে হবে। বলা বাহুল্য, মোহাম্মদকে অবমাননা করা আল্লাহকে কষ্ট দেয়ার শামিল। কারন মোহাম্মদ তো আর বর্তমানে জীবিত নেই, তাই তাকে অবমাননা করে তাকে কষ্ট দেয়া সম্ভব নয়। আর তাই এমতাবস্থায় মুমিন মুসলমানদের কর্তব্য হলো জিহাদী জোস নিয়ে বেরিয়ে পড়ে অবমাননাকারীদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে ছারখার করে দেয়া।আর ঠিক সেটাই করছে লিবিয়া, মিশর, ইয়েমেনের মুমিন মুসলমানরা যা বস্তুত তাদের পবিত্র ইমানি দায়িত্ব।কিন্তু কথা হলো- সত্য কথা বলাটা কিভাবে অবমাননা করা হয়, সত্য কথা বললে কেন মোহাম্মদের আল্লাহ কষ্ট পাবে ও রাগান্বিত হবে ? মোহাম্মদের নারী প্রীতি ছিল সেই আরব সমাজে সর্বজন বিদিত।আর তার নারী প্রীতিকে বৈধ করতে তিনি তার ওহীর নামে নিচের আয়াত পর্যন্ত নাজিল করে নেন-
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫০
উক্ত আয়াত দ্বারা তো এটাই বুঝায় যে নবীর নারী প্রীতিকে বৈধ করাই ছিল এর নাজিলের একমাত্র উদ্দেশ্য।তাই কোন রাখ ঢাক ছাড়াই বলা হচ্ছে- অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে।যদি ধরা হয় যে নীচের আয়াত দ্বারা সেটা রদ করা হয়েছে-
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫১
তাহলেও দেখা যাচ্ছে যে যেমন ইচ্ছা খুশী বৈচিত্রপূর্ণ নারী সঙ্গ যাতে মোহাম্মদ পেতে পারেন তার জন্য তার আল্লাহ বিশেষ সুবিধা বলবত রেখেছে এই বলে যে- তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে মোহাম্মদ মূলত: আল্লাহর এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খায়বার বিজয়ের পর সাফিয়াকে বিয়ে করেন, আর সেটা করেন শুধুমাত্র সাফিয়ার রূপ গুণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যা সুন্দরভাবে বর্ণিত আছে হাদিসে।অর্থাৎ দরকার বোধে মোহাম্মদ উক্ত নিষেধাজ্ঞার আয়াত নাজিল করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু যখন তার বিরুদ্ধে টু শব্দ করার কেউ ছিল না ( মদিনা জীবনের শেষ দিকে )তখন তিনি আর উক্ত নিষেধাজ্ঞা মানার দরকার মনে করেন নি। এত ঘটনার পর যদি কোন লোক মোহাম্মদকে নারী লোলুপ বলে তাহলে সেটা কি ভুল বা অসত্য বলা হয় ? আর সত্য কথা বললে তা অবমাননাকর হয় কিভাবে? তবে তার চাইতে বড় প্রশ্ন হলো- সত্য বলার অপরাধে কিভাবে মানুষকে খুন করতে বলে আল্লাহ? কোরানের বানী ছাড়াও হাদিসে আছে কিভাবে মোহাম্মদের সমালোচনাকারীদের সাথে আচরণ করতে হবে। যেমন-
বুখারি, বই-৫৯, হাদিস-৩৬৯
জাবির বিন আব্দুল্লাহ বর্ণিত: আল্লাহর রসুল বললেন, “ কে কা’ব বিন আল আশরাফকে হত্যা করতে পারবে যে আল্লাহ ও তার রসুলকে কষ্ট দিয়েছে? মোহাম্মদ বিন মুসায়লামা উঠে দাড়িয়ে বলল, “ হে রসুল, আপনি কি তাকে হত্যা করার জন্য আমাকে পছন্দ করেন ?” নবী বললেন, “ হ্যা”। মুসায়লামা বলল, “ তাহলে আমাকে প্রতারনা করার জন্য কিছু বলার অনুমতি দিন”।———————–এর পরের কাহিনী হলো ছল চাতুরির কথা বলে মাসায়লামা রাতের বেলা কা’ব বিন আল- আশরাফকে ঘর থেকে বের করে হত্যা করে।পূরো ঘটনা নিচে দেয়া হলো-
Bukhari,Volume 5, Book 59, Number 369: Narrated Jabir bin ‘Abdullah:Allah’s Apostle said, “Who is willing to kill Ka’b bin Al-Ashraf who has hurt Allah and His Apostle?” Thereupon Muhammad bin Maslama got up saying, “O Allah’s Apostle! Would you like that I kill him?” The Prophet said, “Yes,” Muhammad bin Maslama said, “Then allow me to say a (false) thing (i.e. to deceive Kab). “The Prophet said, “You may say it.” Then Muhammad bin Maslama went to Kab and said, “That man (i.e. Muhammad demands Sadaqa (i.e. Zakat) from us, and he has troubled us, and I have come to borrow something from you.” On that, Kab said, “By Allah, you will get tired of him!” Muhammad bin Maslama said, “Now as we have followed him, we do not want to leave him unless and until we see how his end is going to be. Now we want you to lend us a camel load or two of food.” (Some difference between narrators about a camel load or two.) Kab said, “Yes, (I will lend you), but you should mortgage something to me.” Muhammad bin Mas-lama and his companion said, “What do you want?” Ka’b replied, “Mortgage your women to me.” They said, “How can we mortgage our women to you and you are the most handsome of the ‘Arabs?” Ka’b said, “Then mortgage your sons to me.” They said, “How can we mortgage our sons to you? Later they would be abused by the people’s saying that so-and-so has been mortgaged for a camel load of food. That would cause us great disgrace, but we will mortgage our arms to you.” Muhammad bin Maslama and his companion promised Kab that Muhammad would return to him. He came to Kab at night along with Kab’s foster brother, Abu Na’ila. Kab invited them to come into his fort, and then he went down to them. His wife asked him, “Where are you going at this time?” Kab replied, “None but Muhammad bin Maslama and my (foster) brother Abu Na’ila have come.” His wife said, “I hear a voice as if dropping blood is from him, Ka’b said. “They are none but my brother Muhammad bin Maslama and my foster brother Abu Naila. A generous man should respond to a call at night even if invited to be killed.” Muhammad bin Maslama went with two men. (Some narrators mention the men as ‘Abu bin Jabr. Al Harith bin Aus and Abbad bin Bishr). So Muhammad bin Maslama went in together with two men, and sail to them, “When Ka’b comes, I will touch his hair and smell it, and when you see that I have got hold of his head, strip him. I will let you smell his head.” Kab bin Al-Ashraf came down to them wrapped in his clothes, and diffusing perfume. Muhammad bin Maslama said. ” have never smelt a better scent than this. Ka’b replied. “I have got the best ‘Arab women who know how to use the high class of perfume.” Muhammad bin Maslama requested Ka’b “Will you allow me to smell your head?” Ka’b said, “Yes.” Muhammad smelt it and made his companions smell it as well. Then he requested Ka’b again, “Will you let me (smell your head)?” Ka’b said, “Yes.” When Muhammad got a strong hold of him, he said (to his companions), “Get at him!” So they killed him and went to the Prophet and informed him. (Abu Rafi) was killed after Ka’b bin Al-Ashraf.”
প্রশ্ন হলো- কা’ব বিন আশরাফ কিভাবে আল্লাহ ও তার রসুলকে কষ্ট দিল? আসলে কা’ব ছিল একজন কবি ও মোহাম্মদের আল্লাহর ওহী নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করত, কারন সে বুঝতে পেরেছিল যে মোহাম্মদের এসব ওহী আসলে সব বোগাস। আর তাই তাকে হত্যা করা। কা’বের কর্তিত মুন্ডু নিয়ে কি উল্লাস মোহাম্মদ প্রকাশ করেছিলেন তার নমূনা নিচে-
আমরা কা’ব এর কর্তিত মাথা রাতের বেলা মোহাম্মদের নিকট উপস্থিত করলাম। আমরা তাকে স্যলুট করলাম যখন তিনি নামাজের জন্য দাড়িয়ে ছিলেন ও বললাম যে আল্লাহর শত্রুকে আমরা হত্যা করেছি।যখন তিনি বের হলেন আমরা তার সামনে কা’ব আশরাফের কাটা মুন্ডু তার সামনে পেশ করলাম। নবী আল্লাহর নিকট এই বলে প্রশংসা করলেন যে কবিকে কতল করা হয়েছে ও আমরা আল্লাহর নিমিত্তে একটা ভাল কাজ করেছি। আল্লাহর শত্রুদের ওপর আমাদের আক্রমন ইহুদিদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে এবং মদিনায় এমন কোন ইহুদি নেই যারা তার জীবনের ভয়ে ভীত নয়।Al-Tabari, Vol. 7, p. 97
একই বর্ণনা পাওয়া যায় ইবনে ইসহাকের বর্ণনায়।
তখন তারা সা’দ এর কর্তিত মাথা এনে মোহাম্মদের সামনে রাখল। মোহাম্মদ তাকে হত্যা করার জন্য আল্লাহর নিকট প্রশংসা করলেন। Ibn Sa’d, Vol. 1, P. 37
আল্লাহর নবীর সামনে একজন কবির কাটা মুন্ডু রাখা হয়েছে, আর নবী মহা আনন্দে তার আল্লাহর নিকট তার প্রশংসা করছেন। দৃশ্যকল্পটা কল্পনা করলেও গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে।
বুখারি, বই-৮৪, হাদিস-৫৭
ইকরিমা বর্ণিত:কতিপয় নাস্তিককে আলির নিকট আনা হলো এবং আলি তাদেরকে পুড়িয়ে মেরে ফেললেন।এ ঘটনা ইবনে আব্বাসের কাছে পৌছলে তিনি বললেন, “ যদি আমি উক্ত যায়গায় থাকতাম তাহলে আমি তাদেরকে পোড়াতাম না কারন আল্লাহর নবী এটা নিষেধ করেছেন ও বলেছেন, ‘ আল্লাহর শাস্তির দ্বারা কাউকে শাস্তি দিও না’ ও ‘আল্লাহর নবীর বিধান অনুযায়ী আমি শাস্তি দিতাম, ‘ যে কেউ ইসলাম ত্যাগ করবে তাকে হত্যা কর”।
বুখারি,বই-২৯, হাদিস-৭২
আনাস বিন মালিক বর্ণিত: মক্কা বিজয়ের বছর আল্লাহর রসুল মাথায় হেলমেট পরিহিত অবস্থায় মক্কায় উপস্থিত হলেন। যখন তিনি তার হেলমেট খুলে ফেললেন এক লোক তার কাছে এসে বলল- ইবনে খাতাল কাবা ঘরের গিলাফ ধরে দাড়িয়ে আছে। নবী বললেন- তাকে হত্যা কর।
একই হাদিস সহি মুসলিম বই-৭, হাদিস-৩১৪৫ এ বর্ণিত আছে। মক্কা তখন মোহাম্মদের ১০,০০০ সৈন্য দখল করে ফেলেছে। একটা মাত্র লোক খাতাল কাবা ঘরের গিলাফ ( পর্দা ) ধরে দাড়িয়ে আছে। তাকে হত্যা করার তো কোন কারনই দেখা যায় না। তবে হ্যা একটা কারন আছে। তা হলো – এ ঘটনা দিয়ে মক্কাবাসীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করা যাতে তারা বুঝতে পারে, মোহাম্মদের বিরুদ্ধাচরনের শাস্তি কি ভয়াবহ হতে পারে। মক্কা বিজয়ের দিন অন্তত: দশ জন নিরস্ত্র মানুষকে মোহাম্মদের নির্দেশে খুন করা হয়, যেমন-
The apostle of Allah entered through Adhakhir, [into Mecca], and prohibited fighting. He ordered six men and four women to be killed, they were (1) Ikrimah Ibn Abi Jahl, (2) Habbar Ibn al-Aswad, (3) Abd Allah Ibn Sa`d In Abi Sarh, (4) Miqyas Ibn Sababah al-Laythi, (5) al-Huwayrith Ibn Nuqaydh, (6) Abd Abbah Ibn Hilal Ibn Khatal al-Adrami, (7) Hind Bint Utbah, (8) Sarah, the mawlat (enfranchised girl) of Amr Ibn Hashim, (9) Fartana and (10) Qaribah. Ibn Sa`d, Vol. 2, p. 168
মোহাম্মদ তার জীবনে নিরস্ত্র মানুষদেরকে যত খুন করেছেন তার বিস্তারিত তালিকা পাওয়া যাবে এখানে- নিহতের তালিকা ।
প্রচার করা হয় মক্কা বিজয়ের সময় নবী মক্কাবাসীদের কিছুই বলেন নি। আর এটা তার অতুলনীয় ক্ষমার উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু বিষয়টি কি আসলে তাই ? উক্ত ১০ জনকে নিরস্ত্র অবস্থায় নির্মমভাবে খুন করা হয় শুধুমাত্র আতংক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে যাতে মক্কাবাসীরা মনের ভুলেও মোহাম্মদের বিরুদ্ধাচরন না করে। আর বলা বাহুল্য, এরা কেউই মোহাম্মদের নবুয়ত্ব বিশ্বাস করে নি। আর এর ঠিক মাস ছয়েক পরেই মোহাম্মদ মক্কা ও তার আশ পাশ থেকে সকল ইহুদি ও খৃষ্টানদেরকে তাদের শত শত বছরের বসত ভিটা থেকে বিতাড়িত করেন। অর্থাৎ মক্কা বিজয় করার পর যে মহানুভবতার পরিচয় তুলে ধরেছিলেন তা টিকে ছিল মাত্র ছয়মাস।
শুধু তাই নয়, যদি কেউ নামাজ পড়তে না আসে তাদের জন্য কি হুকুম তিনি জারী করেছিলেন তা দেখা যায় নিচের হাদিসে-
বুখারি, বই-১১, হাদিস-৬২৬
আবু হুরায়রা বর্ণিত: নবী বলেছেন-ভন্ডদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক কঠিন নামাজ আর নেই এবং যদি তারা সঠিক সময়ে এ দুটি নামাজ পড়ার পুরস্কার কি তা জানত, তারা এমন কি হামা গুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে নামাজ পড়তে আসত। নবী আরও যোগ করলেন- আমি নিশ্চিতভাবেই একজনকে আযান দেয়ার ও একজন কে ইমামতি করার হুকুম দিচ্ছি এবং হুকুম দিচ্ছি একটা আগুনের শিখা নিয়ে তাদের ঘরে আগুন দিতে যারা নামাজ পড়ার জন্য তাদের ঘর ত্যাগ করে নি।
উক্ত হাদিসের বর্ণনাকে আমরা উপমা হিসাবে গ্রহণ করলেও এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে – মোহাম্মদ তার অনুসারীদের জন্য ন্যুনতম কোন স্বাধীনতা রেখে যান নি। শয়নে স্বপনে জাগরনে একটাই নাম জপ করতে হবে মোহাম্মদ ও তার আল্লাহকে। এ ছাড়া আর কিছু করা যাবে না। আর কেউ কোথাও মোহাম্মদ ও তার আল্লাহকে অবমাননা করলে মরন পণ লড়াই শুরু করে হয় শহিদ হতে হবে, না হয় হতে হবে গাজী। এ ছাড়া একজন মুসলমানের আর কোন আদর্শ জীবন নেই। আর সেই মোহাম্মদ তাঁর নিজ জীবনে কি আদর্শ তুলে ধরেছেনে মানুষের কাছে?
মোহাম্মদ ও তাঁর আল্লাহকে অবমাননা করলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড কিন্তু মোহাম্মদ ও তার অনুসারীরা যদি অন্যদের ধর্মকে অবমাননা করে , তার শাস্তি কি ? না, তার কোন শাস্তি নেই। এটা মোহাম্মদ ও তার অনুসারীদের একক এক্তিয়ার যে তারা যেমন খুশী অন্য ধর্ম ও তার অনুসারীদেরকে অপমান, গালি ও অসম্মান করতে পারবে এবং এজন্য তাদেরকে কিছুই বলা যাবে না। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে দেখা যাক কোরান কি বলছে-
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।সূরা আল ইমরান, ০৩:১১০(মদিনায় অবতীর্ণ)
যারা অমুসলিম তারা সবাই পাপাচারী , যারা মোহাম্মদকে অনুসরণ করবে তারা সবাই পূণ্যবান।
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।সূরা, বাইয়িনাহ,৯৮:০৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।সূরা আনফাল, ৮:৫৫(মদিনায় অবতীর্ণ)
অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে।সূরা আল আরাফ, ০৭:১৭৬
অমুসলিমরা সব সৃষ্টির অধম অর্থাৎ নীচ সম্প্রদায়, মোহাম্মদের অনুসারীরা হলো শ্রেষ্ট সম্প্রদায়।মোহাম্মদের মত শিশু বিয়ে না করলে, কাবা ঘরের পাথরের কাছে মাথা নত না করলে বা চুমু না খেলে, দাসী বা বন্দী নারীদের সাথে সেক্স না করলে সবাই নিকৃষ্ট মানুষ আর সেসব করলে তারা হলো শ্রেষ্ট মানুষ।শুধু তাই নয়, তারা কুকুর সদৃশ।
বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।সূরা মায়দাহ, ০৫:৬০
এখানে বলা হচ্ছে- ইহুদিদেরকে মোহাম্মদের আল্লাহ বানর ও শুকরে পরিণত করেছে। এছাড়া যারা মোহাম্মদের অনুসারী নয় তারা শয়তানের অনুসারী ও তারা নিকৃষ্টতর প্রজাতির মানুষ।
বুখারি, বই-৫৪, হাদিস-৫২৪
আবু হুরায়রা বর্ণিত: নবী বললেন, “ ইসরাইলিদের একটা গোত্র হারিয়ে গেছিল, কেউ জানে না তারা কি করেছিল। তাদেরকে অভিসম্পাত করা হয়েছিল আর এর ফলে তারা ইদুরে পরিণত হয়ে গেছিল।
অর্থাৎ বর্তমানে যে ইদুর আমরা দেখি তাদের অনেকেই সেই ইসরাইলি তথা ইহুদিদের বংশধর।
তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭২
নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরে অটল থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭৩
সুতরাং খৃষ্টানরা হলো কাফের আর তাই তারা সবাই জাহান্নামে যাবে মরার পর আর বেঁচে থাকতে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে, তাদেরকে বশ্যতা স্বীকার করিয়ে তাদের কাছ থেকে জিজিয়া কর নিতে হবে ও তাদের মর্যাদা হবে মুসলমানদের নীচে।তারা করজোড়ে জিজিয়া কর প্রদান করে মুসলমানদের বশ্যতা স্বীকার করবে। যা দেখা যায় নিচের আয়াতে-
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।সূরা আত তাওবা-৯:২৯
যেহেতু খৃষ্টান ও ইহুদিরা মুসলমানদের অধীনে মর্যাদাহীন হয়ে থাকবে তাই তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না কারন তারা বন্ধু হওয়ার মত যোগ্যতা রাখে না, যেমন-
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।সূরা আল মায়েদা-৫:৫১
এ পর্যন্ত হলেও চলত মোহাম্মদ ঘোষণা করছেন যদি কোন লোক ইসলাম অনুসরণ না করে , সে যদি পিতা, মাতা, ভাই, বোন , পূত্র , কন্যাও হয় তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখা চলবে না, যেমন-
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।সূরা আল মুজাদালাহ, ৫৮:২২
আর বলা বাহুল্য, তাদেরকে মোহাম্মদের হুকুম মতো হত্যা করতে হবে ,যা দেখা যাচ্ছে নীচে-
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা আত তাওবা-৯:৫
সেই প্রাথমিক যুগে মোহাম্মদের অনেক অনুসারীরই আত্মীয় স্বজন ভাই বোন পিতা মাতা ছিল তথাকথিক মুশরিক বা খৃষ্টান বা ইহুদি। আর এসব ক্ষেত্রে কোন মায়া দয়া দেখানো চলবে না, তাদেরকে অকাতরে হত্যা করতে হবে।সেটাই মোহাম্মদের হুকুম।এছাড়াও মোহাম্মদের হুকুম-কুরাইশরা আর শত শত বছর ধরে তাদের অধিকারে থাকা মন্দির কাবা ঘরে ঢুকতে পারবে না। কারন সেটা নাকি মোহাম্মদের আল্লাহর প্রথম ঘর যা ইব্রাহিম ও ইসমাইল সংস্কার করেছিল। অথচ নিরপেক্ষ কোন ঐতিহাসিক সূত্র নেই যা মোহাম্মদের এ দাবী সমর্থন করে। দুনিয়ার সকল প্রাচীন মন্দির বা স্থাপনার একটা নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক সূত্র আছে কাদের দ্বারা সেসব তৈরী হয়েছিল।কাবা ঘরের যে ঐতিহাসিক সূত্র পাওয়া যায় তাতে অন্তত কোন কালে কথিত ইব্রাহিম নবী আর তার পূত্র ইসমাইল কোন কালে মক্কায় এসে কাবা ঘর সংস্কার করেছিল তার কোন সাক্ষ্য প্রমান নেই। একমাত্র সাক্ষ্য হলো মোহাম্মদ আর তার কথিত কিচ্ছা। আর সেটার ওপর ভিত্তি করেই মোহাম্মদ হুংকার দিয়ে ঘোষণা দিচ্ছেন অত:পর সেখানে কুরাইশরা আর আসতে পারবে না।যদি আসে তাহলে তাদেরকে কচু কাটা করে হত্যা করা হবে।
অর্থাৎ খোদ কোরান অমুসলিমদেরকে চরমভাবে অপমান করেছে, অসম্মান করেছে অথচ এ ব্যপারে টু শব্দটি করা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি মোহাম্মদ ও তার ইসলামকে সমালোচনা করে তাহলে আর রক্ষা নেই, বিচার সোজা- তার কল্লা কাটা চাই।
বর্তমান কালের নিরিখে বিচার করলে, মোহাম্মদ অসংখ্য সভ্যতা, নৈতিকতা, মানবতা বহির্ভুত কাজ করেছেন , এমনকি অপরাধ মূলক কাজও করেছেন, যেমন-
-তিনি ১৩ টা বিয়ে করা ছাড়াও অসংখ্য দাসীদের সাথে সেক্স করেছেন অথচ তাকে নারী লোলুপ বলা যাবে না,বলতে হবে সংযমী এক মহান আদর্শ পুরুষ,
-তিনি ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করেছেন ৫১ বছর বয়েসে আর তার বয়স যখন ৯ তখন ৫৪ বছরের প্রৌড় মোহাম্মদ সেক্স করেছেন আয়শার সাথে অথচ তাকে শিশু নির্যাতনকারী বলা যাবে না,বলতে হবে তিনি শিশুদেরকে খুব ভালবাসতেন,
– তিনি তার পালিত পূত্র বধু যয়নবকে বিয়ে করেছেন অথচ তাকে অসামাজিক বা অনৈতিক কাজ বলা যাবে না,বলতে হবে বৈপ্লবিক এক সমাজ সংস্কার
– তিনি নিজের কন্যা ফাতিমাকে তার আপন চাচাত ভাই আলীর সাথে বিয়ে দিয়েছেন( অর্থাৎ আলী তার ভাইঝিকে বিয়ে করেছে) অথচ এটাকেও কোন অসামাজিক অনৈতিক কাজ বলা যাবে না , বলতে হবে সমাজ সংস্কার
-মোহাম্মদ ও তার দল বল মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া নিরাপরাধ বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদের মালামাল লুট পাট করেছে, অথচ তাকে ডাকাতি বলা যাবে না , বলতে হবে আত্মরক্ষামূলক আক্রমন,
– মোহাম্মদ আগ বাড়িয়ে একের পর এক ইহুদি বসতি আক্রমন করে তাদেরকে মেরে কেটে সাফ করে , তাদের ধন সম্পদ ও নারীদেরকে গণিমতের মাল হিসাবে ভাগ ভাগি করে নিয়েছেন কিন্তু তাকে আক্রমনাত্মক যুদ্ধ বলা যাবে না , বলতে হবে আত্ম রক্ষামূলক যুদ্ধ,
-মোহাম্মদ বিয়ে করা ছাড়াই দাসী ও বন্দী নারীদের সাথে সেক্স করার জন্য অনুমতি দিচ্ছেন আল্লাহর বানীর নামে অথচ এটাকে অমানবিক বলা যাবে না, বলতে হবে আল্লাহর অশেষ রহমতের বিধান (সূরা নিসা-০৪:২৪)
-মোহাম্মদ নারীকে টাকা বা সম্পদ দিয়ে সাময়িক বিয়ে করে সেক্স করে তার পর তাদেরকে তালাক দিতে বলছেন , অথচ এটাকে বলা যাবে বেশ্যাবৃত্তি, বলতে হবে আল্লাহর রহমতের বিধান( সূরা নিসা,০৪:২৪)
উপরোক্ত ঘটনার প্রতিটি সত্য ঘটনা যা কোরান, হাদিস ও মোহাম্মদের জীবনী দ্বারা সমর্থিত, সেসব কোন ইহুদি বা কাফেরের লেখা বিকৃত বক্তব্য নয়, কিন্তু এত কিছুর পরও মোহাম্মদের সমালোচনা করা যাবে না , যাবে না তার চরিত্র বিচার। যদি কেউ করে সাথে সাথে তার মাথা কাটা যাবে। অথচ মোহাম্মদের অনুসারীরা সারা দুনিয়াতে যখন কোরান পাঠ করে , নামাজ পড়ে, হাদিস পড়ে তখন তারা চরমভাবে অমুসলিমদেরকে অপমান করে , অসম্মান করে, শুকর , বানর , ইদুর,নিকৃষ্ট জীব বলে গালি দেয়, অভিশাপ দেয় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার , অথচ তাদেরকে কিছুই বলা যাবে না। কিছু বললেই মাথা কাটা যাবে। মোহাম্মদের আদর্শ অনুসারীরা ঠিক সেটাই করে যাচ্ছে বর্তমানে দেশে দেশে। চলচ্চিত্র বানাল এক কপ্টিক খৃষ্টান, নিশ্চয়ই মার্কিন সরকার তাকে বলেনি সেটা বানাতে। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হলো ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতার দেশ। যে কেউ যে কোন কিছু বলতে পারে , করতে পারে তাদের মত প্রকাশ। ঠিক সেটাই করেছে এক কপ্টিক খৃষ্টাণ আর সেটা করতে যেয়ে সে যে কোন মনগড়া বা বানান তথ্য পরিবেশন করেছে তাও নয়, তার প্রতিটি তথ্যই কোরান, হাদিস ও সিরাত দ্বারা সমর্থিত। হতে পারে তারা চলচ্চিত্রটা কাঁচা হাতের হয়েছে।কিন্তু তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দায়ী নয়। অথচ সেটার জন্য প্রান দিতে হচ্ছে মার্কিন কুটনীতিককে, মুসলিম অধ্যুষিত দেশে দেশে মার্কিন দুতাবাস হচ্ছে আক্রান্ত। আর বলা বাহুল্য, এটাও মহানবী মোহাম্মদের নির্দেশ ও শিক্ষা, তাঁর অনুসারীদের জন্য। তাঁর আদর্শ অনুসারীরা ঠিক সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে এ মোহাম্মদ হলেন আল্লাহ প্রেরিত একজন সর্বশেষ নবী যার শিক্ষা চলবে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত যার আদর্শ অনুসরণীয় হবে কেয়ামত পর্যন্ত। আর তার প্রধান শিক্ষাই হলো- যে তার সমালোচনা করবে তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই কতল করতে হবে। কি মহান শিক্ষা! তার আল্লাহ এতটাই অসহায় যে- খুন খারাবি ছাড়া সে তার বানী মানুষের কাছে প্রচার ও প্রসার করতে অক্ষম। অসহায় আল্লাহর কাজটাই বর্তমানে মোহাম্মদের আদর্শ অনুসারীরা পালন করে যাচ্ছে দেশে দেশে। এখন দেখার বিষয় কখন তথাকথিত ইসলামি পন্ডিতরা বলে যে এসব হলো কিছু উচ্ছৃংখল ও বিপথগামী মুসলমানদের কাজ, প্রকৃত মুসলমানের কাজ নয়। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।
এই ব্লগে অনেক আগে একবার কোন একটা post এর reply এ কিছু লিখেছিলাম । তারপর আর কখনো কিছু লিখিনি । কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে অধিকাংশ আস্তিক যেমন ধর্মান্ধ , তেমনি অধিকাংশ নাস্তিকও ধর্মহীনতায় অন্ধ । তাই যে যার বিশ্বাস নিয়ে থাকুক আমি নিজের চরকায় তেল দেই – এটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
যাইহোক আমি এখানে কোন argument এ জড়াবো না , তবে ইসলামিক knowledge এর উৎস হিসেবে যে গ্রন্থটিকে absolutely correct হিসেবে ধরা হয় তার কিছু উদ্ধৃতি এখানে উপস্থাপন করবো , যারা বিতর্কে জড়িয়ে আছেন তাদের জন্য । উপরের লেখায় পবিত্র গ্রন্থ কুরআন থেকে অনেক উদ্ধৃতি করা হয়েছে । হাদিসের ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না , কারণ আল্লাহ সেটা সংরক্ষণের দায়িত্ব নেন নি । আর হাদিস লেখা হয়েছে মহানবী (সঃ) এর মৃত্যুর প্রায় ৩০০ বছর পর । আরেকটা ব্যাপার – হাদিস কখনই word for word সংরক্ষণ করা হয় নি , যেমনটা কুরআনের ক্ষেত্রে হয়েছে ।
তো যাইহোক , আলোচনায় কুরআনের অসংখ্য আয়াত ব্যবহার করা হয়েছে যার অনেকগুলাই আমার জানা কুরআনের সাথে মিল খায় না । তাই আমি এখানে উধৃত আয়াত গুলোর বিকল্প অনুবাদ উপস্থাপন করলাম । কেউ যেন এটা বলতে না পারে যে আমি সকল অনুবাদ নিজের সুবিধামত জায়গা থেকে জড়ো করে নিয়ে এসেছি , তাই সকল আয়াতের অনুবাদ আমি মুহাম্মাদ আসাদ এর “The Message of The Qur’an” থেকে গ্রহণ করলাম । এই অনুবাদ টা কুরআনের উৎকৃষ্টতর ইংরেজি অনুবাদসমুহের মধ্যে একটি আর এটি কুরআনের আক্ষরিক আর ভাবানুবাদের মধ্যে নিপুণ সমন্বয় হিসেবে সমাদৃত ।
মুহাম্মাদ আসাদ জন্মগতভাবে একজন ইহুদি ছিলেন এবং Leopold Weiss হিসেবে পরিচিত ছিলেন । পরবর্তীতে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন , আর মুহাম্মাদ আসাদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন । যেহেতু মুহাম্মাদ আসাদের অনুবাদটা ছিল ইংরেজিতে তাই সেটা হুবহু উধৃত করা জরুরী । মডারেটরকে আমার লেখার ইংরেজি অংশটুকু মার্জনা করতে অনুরোধ করবো ।
কুরআনের অনুবাদ একটি দুরূহ ও জটিল কাজ , মহানবী (সঃ) এর নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু নির্দেশ এসেছে তার সবকিছুই কুরআনে সংকলিত হয়েছে । এখন এই নির্দেশগুলো এসেছে তাঁর জীবনে ২২ বছর সময়কালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে । স্বাভাবিক ভাবেই নির্দেশ গুলো relative. এই সত্যটা আমাদের বুঝতে হবে । তার মানে আমরা কুরআন থেকে শিক্ষা নিবো কিন্তু “word for word” নয় , বরং পুরা ঘটনা পরিক্রমাটা বুঝতে হবে । নয়তো সুপথপ্রাপ্ত হওয়ার থেকে বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ।
আসলে logical অথবা scientific যেকোনো জ্ঞান অর্জনের জন্য যে ability গুলো দরকার তা সৃষ্টিকর্তা আমাদের built-in structure এর মধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন । সৃষ্টিকর্তার নিজের সম্পর্কিত তথ্য সমূহ scientific পদ্ধতিতে আহরণ করা সম্ভব নয় । তাই মানুষকে সাহায্য করার জন্য সৃষ্টিকর্তার এই চিরন্তন প্রচেষ্টা । নিন্দুকেরা বলবেন তা বাবা দরকার কি আল্লাহর এত ঝামেলা করার । এর উত্তরে তর্কবিতর্ক করতে থাকলে একটা বই রচনা হয়ে যাবে – আমার সেটা লক্ষ নয় । আমার সমস্যা হল উপরের লেখায় কুরআনের আয়াত-সমূহ এমনভাবে অনুবাদ করা হয়েছে যেন মনে কুরআন হচ্ছে “A message of hatred !” আমি লেখককে দোষ দিই না পুরোপুরি । কুরআনের এরূপ ভয়ংকর অনুবাদই মনে হয় বেশি popular আমাদের সৌদি ওয়াহাবী মুসলমানদের দৌরাত্যে ।
যাইহোক যারা নিজেদের বিজ্ঞানমনষ্ক দাবি করেন তাদের কাছ থেকে আসলে আমি আশা করবো তারা মুদ্রার অপর পিঠটা ভালভাবে দেখবেন । কারণ একজন ধর্মান্ধ মানুষের কাছ থেকে অবৈজ্ঞানিক কথা শুনলে যত না খারাপ লাগে তার থেকে অনেক বেশি হতাশ লাগে একজন বিজ্ঞানমনষ্ক দাবীদার মানুষের অসম্পূর্ণ চিন্তাধারা দেখলে । অনেক ক্ষেত্রেই লেখায় ব্যবহৃত অনুবাদ সমূহ মূল অর্থ থেকে বিচ্যুত – অনেক ক্ষেত্রে অর্থ ঠিক থাকলেও ভাবগতভাবে অনেক বেশি রূঢ় , কোন কোন ক্ষেত্রে পুরোপুরিই ভুল অনুবাদ ব্যবহৃত হয়েছে কিছু আয়াতের ।
১.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতের অনুবাদঃ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক । কোরান, আল হিজর- ১৫:০৯
মুহাম্মাদ আসাদ এর একই আয়াতের অনুবাদঃ
(15:9) Behold, it is We Ourselves who have bestowed from on high, step by step, this reminder and behold, it is We who shall truly guard it [from all corruption].
২.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলেঃ আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন। যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াত সমূহ থেকে অহংকার করতে।কোরান, সূরা- আল আনাম ০৬:৯৩ ( মক্কায় অবতীর্ণ)
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(6:93) And who could be more wicked than he who invents a lie about God, or says, “This has been revealed unto me” the while nothing has been revealed to him? Or he who says, “I, too, can bestow from high the like of what God has bestowed”?
If thou couldst but see [how it will be] when these evildoers find themselves in the agonies of death, and the angels stretch forth their hands [and call]: “Give up your souls! Today you shall be requited with the suffering of humiliation for having attributed to God something that is not true, and for having persistently scorned His messages in your arrogance!”
মজার ব্যাপার হল , সবাই কুরআনের এই সব আয়াতের মধ্যে শুধুমাত্র অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা খুঁজে পায় কিন্তু আল্লাহ এই আয়াতে শুধু তাদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করছেন যারা নিজের ইচ্ছামত মিথ্যা ধর্ম প্রবর্তন করে অথবা জেনেশুনে কুরআন অস্বীকার করে । আরও দুঃখজনক হল এর আগের আয়াতেই আল্লাহ পূর্ববর্তী যত ধর্মের মধ্যে কোনরূপ সত্যতা আছে সকল ধর্মের প্রতি শুধু সহনশীলতাই প্রকাশ করেন না , বরং সেগুলোকে সত্যয়নও করেছেন , কিন্তু সমালচনাকারীরা কখনো সেইসব আয়াতের উধৃতি দেয় না । কাজেই সত্যানুসন্ধানকারীদের জন্য আমি এর আগের ৯২ নম্বর আয়াতটিও এখানে উল্লেখ করলাম –
(6:92) And this, too, is a divine writ which We have bestowed from high – blessed, confirming the truth of whatever there still remains [of earlier revelations] and [this] in order that thou mayest warn the foremost of all cities and all who dwell around it. And those who believe in the life to come do believe in this [warning]; and it is they who are ever-mindful of their prayers.
৩.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৫৭
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(33:57) Verily, as for those who (knowingly] affront God and His Apostle – God will reject them in this world and in the life to come; and shameful suffering will He ready for them.
মজার ব্যাপার হল আল্লাহর এই preference শুধু মহানবী (সঃ) এর উপরই নয় , সকল বিশ্বাসী মানুষের জন্যই প্রযোজ্য যেটা আল্লাহ পরবর্তী আয়াতে ব্যক্ত করেন –
(33:58) And as for those who malign believing men and believing women without their having done any wrong – they surely burden themselves with the guilt of calumny, and [thus] with a flagrant sin!
শত বছরের লালিত বিশ্বাসকে উপেক্ষা করে যারা নতুন একটা অজানা ধর্মকে আপন করে নিতে যাচ্ছেন তাদের প্রতি সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এতটুকু আশার বাণী অথবা reassurance থাকবে না সেটা কি করে হয় ? কেউ কি আমাকে বুঝিয়ে দিবেন , please !
৪.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে উত্তেজিত করব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬০
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(33:60) THUS IT IS: if the hypocrites, and they in whose hearts is disease and they who, by spreading false rumours, would cause disturbances in the City [of the Prophet] desist not [from their hostile doings], We shall indeed give thee mastery over them, [O Muhammad] – and then they will not remain thy neighbours in this [city] for more than a little while:
ভাই এখানে সমস্যাটা কি ? এটা ইসলামের মাঝের দিকে নাযিল হওয়া একটা আয়াত । যখন মহানবী (সঃ) আর ইসলাম গ্রহণকারী অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ অবিশ্বাসীদের হত্যা অপপ্রচার আর অকথ্য নির্যাতনের শিকার , আর পুরোপুরি হতবিহবল একটা সম্প্রদায় । আর এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত একটা আশ্বাস বিশ্বাসীদের জন্য যে , আশা ছেড়ো না , আজ যেখানে তোমরা সংখ্যালঘু সামনে সেখানেই তোমরাই শ্রেষ্ঠত্ত্বের আসনে আসীন হবে ।
৫.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং প্রাণে বধ করা হবে।কোরান, সূরা আহযাব-৩৩:৬১
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(33:61) bereft of God’s grace, they shall be seized wherever they may be found, and slain one and all.
ভাই এককভাবে ৬১ নম্বর আয়াত নিয়ে টানাটানি না করে , ৬০ , ৬১ আর নিচের ৬২ নম্বর আয়াত একত্রিত করে পড়ুন –
(33:62) Such has been God’s way with those who [sinned in like manner and] passed away aforetime – and never wilt thou find any change in God’s way!
কি অর্থ দাঁড়ায় ? আল্লাহ বলছেন যে , তোমরা অবিশ্বাসীদের সাথে প্রতিবেশী হিসেবে থাকো অথছ তারা প্রতিনিয়ত তোমাদের বিরুদ্ধে হত্যা নির্যাতন আর অপপ্রচার চালায়ে যাবে আর তোমরাও তা চোখ বন্ধ করে হজম করবা তা হবে না । এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় তোমরা আর তাদের প্রতিবেশী হিসেবে থাকবা না , বরং তাদের সাথে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হবা , আর তখন কিন্তু তাদের জীবিত পালায়ে যাওয়া আর সম্ভব হবে না । এমনই আসলে আল্লাহর নিয়ম সবার জন্য , যেমন এটা ছিল তোমাদের পূর্ববর্তী সকলের জন্য । আল্লাহর নিয়ম পরিবর্তনযোগ্য নয় । সত্যিই পৃথিবীর পূর্বতন সব ধর্মগ্রন্থতেই একই রকম ঘটনার repeatation পাওয়া যায় ।
৬.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫০
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(30:50) O PROPHET! Behold, We have made lawful to thee thy wives unto whom thou hast paid their dowers, as well as those whom thy right hand has come to possess from among the captives of war whom God has bestowed upon thee: And [We have made lawful to thee] the daughters of
thy paternal uncles and aunts, and the daughters of thy maternal uncles and aunts, who have migrated with thee [to Yathrib]; and any believing woman who offers herself freely to the Prophet and whom the Prophet might be willing to wed: [this latter being but] a privilege for thee, and not for other believers – [seeing that] We have already made known what We have enjoined upon them with regard to their wives and those whom their right hands may possess. [And] in order that thou be not burdened with [undue] anxiety – for God is indeed much-forgiving, a dispenser of grace –
এই আয়াতটা বেশ দীর্ঘ , বুঝতে ভুল হওয়া স্বাভাবিক , এখানে যা বর্ণনা করা হয়েছে তা সাধারন মানুষের জন্য আর মহানবী (সঃ) এর জন্য একেবারে সমান । যে অতিরিক্ত সুবিধা মহানবী (সঃ) কে দেওয়া হয়েছে বলে এই আয়াতে বলা হয়েছে তা হল যেকোনো ইসলামিক বিয়ের পূর্বশর্ত হল মোহর (dower) যেটা বিয়ের পূর্বে স্বামীর পক্ষ থেকে স্ত্রীকে প্রদান করতে হয় । এক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই । কেবলমাত্র যদি কোন নারী মহানবী (সঃ) কে ভালবেসে তাঁর স্ত্রী হতে চায় মোহর ছাড়াও তাহলে তিনি তাকে বিয়ে করতে পারবেন । নবীজী কিন্তু দরিদ্র ছিলেন , নবী হওয়ার পরও তিনি দরিদ্র ছিলেন , আর আল্লাহ তাঁর প্রতি এতোটুকু অনুগ্রহ করেছেন যে কোন নারী যদি স্বেচ্ছায় চায় তাহলে তিনি তাকে মোহর ছাড়াও গ্রহণ করতে পারবেন – এতে মনে হয় না আমাদের হিংসায় জ্বলেপুড়ে মরার কিছু আছে ।
৭.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫১
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(33:51) [know that] thou mayest put off for a time whichever of them thou pleasest, and mayest take unto thee whichever thou pleasest; and [that,] if thou seek out any from whom thou hast kept away [for a time], thou wilt incur no sin [thereby]: this will make it more likely that their eyes are gladdened [whenever they see thee], and that they do not grieve [whenever they are overlooked], and that all of them may find contentment in whatever thou hast to give them: for God [alone] knows what is in your hearts – and God is indeed all-knowing, forbearing.
ভাই এইবার আপনার অনুবাদটা পুরাই ভুলে ভরা । আল্লাহর পুরা নির্দেশটাই ভুল ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে আপনার অনুবাদে । এখানে যে ব্যাপারটার দিকে আল্লাহ নির্দেশ করেছেন তা হল – মহানবী (সঃ) এর তাঁর স্ত্রীগণের সাথে রাত্রিযাপনের ক্ষেত্রে আল্লাহ কিছুটা সহজ হতে বলেছেন রাসুলকে । আমরা জানি কুরআনই একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যেটা ছেলেদের একটা বিয়েতে উৎসাহিত করে । যদি কেউ একাধিক স্ত্রী (সর্বোচ্চ ৪ টি) গ্রহণ করে তাহলে তাদের মধ্যে সর্বক্ষেত্রে সমান ব্যবহার করতে হবে । এখন যেভাবেই হোক মহানবী (সঃ) এর একই সাথে একাধিক স্ত্রী ছিল , শেষ বয়সে যা ৪ টিরও বেশি । এখন আমরা ১৪০০ বছর পূর্বের আরব ছেলেদের physical fitness সম্পর্কে জানি না , কিন্তু মহানবী (সঃ) তাঁর সহজাত equality আর justice এর কারনে সকল স্ত্রীগণের সাথে একই রাতে পরপর রাত্রিযাপন করতেন । স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উপর প্রচণ্ড চাপ পরত এ ব্যাপারে । তাই আল্লাহ এই আয়াতের মাধ্যমে মহানবী (সঃ) কে তাঁর এই অসম্ভব কঠিন নিয়ম থেকে কিছুটা হলেও বের হয়ে আসতে বলেছেন , অথবা তিনি যদি নিয়ম পালনে কিছুটা ব্যর্থও হোন তারপরেও আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিবেন এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন ।
৮.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।সূরা আল ইমরান, ০৩:১১০(মদিনায় অবতীর্ণ)
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(3:110) YOU ARE indeed the best community that has ever been brought forth for [the good of] mankind: you enjoin the doing of what is right and forbid the doing of what is wrong, and you believe in God. Now if the followers of earlier revelation had attained to [this kind of] faith, it would have been for their own good; [but only few] among them are believers, while most of them are iniquitous:
৯.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম।সূরা, বাইয়িনাহ,৯৮:০৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(98:6) Verily, those who [despite all evidence] are bent on denying the truth – [be they] from among the followers of earlier revelation or from among those who ascribe divinity to aught beside God – will find themselves in the fire of hell, therein to abide: they are the worst of all creatures.
১০.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।সূরা আনফাল, ৮:৫৫(মদিনায় অবতীর্ণ)
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(8:55) Verily, the vilest creatures in the sight of God are those who are bent on denying the truth and therefore do not believe.
১১.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে। কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে । সূরা আল আরাফ, ৭:১৭৬
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(7:176) Now had We so willed, We could indeed have exalted him by means of those [messages]: but he always clung to the earth and followed but his own desires.
Thus, his parable is that of an [excited] dog: if thou approach him threateningly, he will pant with his tongue lolling; and if thou leave him alone, he will pant with his tongue lolling. Such is the parable of those who are bent on giving the lie to Our messages. Tell [them], then, this story, so that they might take thought.
১২.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।সূরা মায়দাহ, ০৫:৬০
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(5:60) Say: “Shall I tell you who, in the sight of God, deserves a yet worse retribution than these? They whom God has rejected and whom He has condemned, and whom He has turned into apes and swine because they worshipped the powers of evil: these are yet worse in station, and farther astray from the right path [than the mockers].
১৩.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭২
নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই। যদি তারা স্বীয় উক্তি থেকে নিবৃত্ত না হয়, তবে তাদের মধ্যে যারা কুফরে অটল থাকবে, তাদের উপর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি পতিত হবে।নেই।সূরা মায়েদা-৫:৭৩
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(5:72) Indeed, the truth deny they who say, “Behold, God is the Christ, son of Mary” – seeing that the Christ [himself] said, “O children of Israel! Worship God [alone], who is my Sustainer as well as your Sustainer.” Behold, whoever ascribes divinity to any being beside God, unto him will God deny paradise, and his goal shall be the fire: and such evildoers will have none to succour them!
(5:73) Indeed, the truth deny they who say, “Behold, God is the third of a trinity” – seeing that there is no deity whatever save the One God. And unless they desist from this their assertion, grievous suffering is bound to befall such of them as are bent on denying the truth.
ভাই সব ঘৃণার লাইন গুলা তো বললেন , আল্লাহর ক্ষমাশীলতার লাইনটা বলবেন না ? –
(5:74) Will they not, then, turn towards God in repentance, and ask His forgiveness? For God is much-forgiving, a dispenser of grace.
১৪.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।সূরা আত তাওবা-৯:২৯
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(9:29) [And] fight against those who – despite having been vouchsafed revelation [aforetime]- do not [truly] believe either in God or the Last Day, and do not consider forbidden that which God and His Apostle have forbidden, and do not follow the religion of truth [which God has enjoined upon them] till they [agree to] pay the exemption tax with a willing hand, after having been humbled [in war].
আপনি এক সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অবর্ণনীয় আর নির্মম নির্যাতন করলেন তারপর তাদের দেশছাড়া করলেন (মক্বা থেকে মদিনায় হিজরত) তারপর তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও গোপনে ষড়যন্ত্র করলেন চুক্তি ভঙ্গ করে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন , কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনি পরাজিতও হলেন – এরপর আপনি কি প্রত্যাশা করেন ?
১৫.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।সূরা আল মায়েদা-৫:৫১
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(5:51) O YOU who have attained to faith! Do not take the Jews and the Christians for your allies: they are but allies of one another- and whoever of you allies himself with them becomes, verily, one of them; behold, God does not guide such evildoers.
১৬.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।সূরা আল মুজাদালাহ, ৫৮:২২
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(58:22) Thou canst not find people who [truly] believe in God and the Last Day and [at the same time) love anyone who contends against God and His Apostle – even though they be their fathers, or their sons, or their brothers, or [others of] their kindred.
(As for the true believers,] it is they in whose hearts He has inscribed faith, and whom He has strengthened with inspiration from Himself, and whom [in time] He will admit into gardens through which running waters flow, therein to abide. Well-pleased is God with them, and well-pleased are they with Him. They are God’s partisans: oh, verily, it is they, the partisans of God, who shall attain to a happy state!
১৭.
উপরের লেখায় ব্যবহৃত কুরআনের আয়াতঃ
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা আত তাওবা-৯:৫
মুহাম্মাদ আসাদ এর অনুবাদঃ
(9:5) And so, when the sacred months are over, slay those who ascribe divinity to aught beside God wherever you may come upon them, and take them captive, and besiege them, and lie in wait for them at every conceivable place! Yet if they repent, and take to prayer, and render the purifying dues, let them go their way: for, behold, God is much-forgiving, a dispenser of grace.
@রক্তিম,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মামূন সাহেব তো আমাকে আমার কিছু ক্ষুদ্র প্রশ্নের ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষায় রেখে চলে গেলেন। উনি তো আর ফিরেন না।
আবার আফসোস সাহেবকেও কিছু কিছু ক্ষুদ্র প্রশ্ন রেখেছি। উনিও আর ফিরবেন কিনা বুঝতে পারছিনা।
আর কতক্ষন ই বা তাদের অপেক্ষায় বসে থাকা যায়?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সব চেয়ে অদ্ভুত বেপার হচ্ছে আপ্নি আফসস সাহেবের নাম নেবা মাত্র উনার আবিরভাব
@প্রত্যয়,
আমার মনে হয় আফসোস সাহেব স্বয়ং আল্লাহ আর আ: হাকিম চাকলাদারকে তিনি খুব ভালবাসেন। তাই ভক্তের ডাকে সাথে সাথেই ভগবানের আবির্ভাব।
@প্রত্যয়,
উপরে লক্ষ করুন, আফছোছ সাহেবের সংগে আমাদের আবার কোরান হাদিছের আলোচনা আরম্ভ হল।
তবে উনি আবার উধাও হয়ে যাবেন নাতো?
আলোচনাটি অসম্ভব সত্য কথার মধ্য দিয়ে বর্ণিত। তাই সত্য কথা সহ্য করার ক্ষমতা যাদের নেই তারা গালাগালি দেবেই।
দুটি কথা ——-
১ পৃথিবীর সমস্ত ধর্মে যৌনতা আছে
২ পুরুষ শাসিত সমাজ
তাই বলেতে পারি – যে ধর্ম পুরুষকে বেশি যৌনতার সুযোগ করে দেয় সেই ধর্মের বিস্তার সব থেকে বেশি ও দ্রুত।
ইসলাম নবীনতম ধর্ম এবং দ্রুত বর্ধনশীল পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম।(জনসংখ্যার বিচারে) ।
সব থেকে কম সময়ে ,দ্রুত বর্ধনশীন ধর্মের দিক থেকে ইসলাম প্রথম স্থানে।
unar hadis gula purai vul..sohi bukhari ami porechi…sohi muslim o ami porechi…emon kono lekhai nai…
প্রথমবার বলে আপনার মন্তব্য ছাড় দেওয়া হল। পরের বার বাংরেজিতে লেখা কোন মন্তব্য আর ছাড় পাবে না।
মুক্তমনা মডারেটর।
সত্যিই ভালো লিখেছেন। আমার মতে মুসলমান নামধারীদের কোরানটি ভাল করে পড়া দরকার। পড়লে মোহাম্মদ ও ইসলামের অসারতা ভালভাবে বুঝতে পারবে।
@নিজাম, apni age poren…and..sohi bukhari and sohi muslim poren…bujhben…ekhane quran ke kharap vasay banao hocche…protteke poche morbe…
@tanvir,
ভাইজান আপনে কষ্ট করে কোরআন আর হাদিস এর সঠিক ব্যাখ্যা দেন না।?যারা কোরান হাদিস সম্পর্কে কম জানে তারাই কোরআন আর হাদিস কে এক বাক্যে সহি বলে। আর যদি কোরান হাদিস সম্পর্কে বেশি জানেন তাহলে আলচনায় আসেন দেখেন কি উত্তর পাওয়া যায়।
মুক্তমনা ব্লগটা হ্যাক করা দরকার।আমি আজকেই প্রথম দেখলাম।সবগুলোই তো দেখি গরু। কমিঊনিস্টদের ব্লগ নিশ্বয় এটা।বিশেষ মিশন বাস্তবায়নই লক্ষ্য মনে হচ্ছে। রাস্তায় আবার এরা গরু হয়ে চলে।এই লেখক ও সেই গরুই ঘাস খেয়ে চোখে ভাল দেখে কিন্তু মাথা গরুর মাথা হয়ে গেছে।
@আরিফ হাসনাত, অ্যা দাদা। এখানে ল্যাদানো নিষেধ। এর চে চলুন ২ রাকাত নফল সালাত আদায় করি। জুরে বলেন আমিন। :guru:
@আরিফ হাসনাত,
লাইক। তবে খেয়েল রাইখেন, নিজেই আবার হ্যাক হয়েন না।
হ, মানিকে মানিক চেনে। নিজের দোষ সবার ঘারে কেন চাপান? ভাইজান আপনার ল্যেদায় অনেক গন্ধ। :rotfl:
পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায়, গাধাকে যত পেটাও গাধা কি ঘোড়া হয়। :)) 😀 :lotpot: :hahahee: :rotfl:
নিজের নাম কেন যে সবার উপর চাপিয়ে দেন বুঝি না। আশা করি এই বার কোরবানির ঈদে অনেক দাম পাব। দাম-৮০০০০/= :rotfl: :rotfl: :rotfl:
@আরিফ হাসনাত,
একদম হক কথা কইছেন ভাই। একটা গরু বা পাগল বা ছাগল তার আশ পাশের সবাইকে তার নিজের জাতের মনে করে।
@আরিফ হাসনাত, আপ্নের কমেন্ট টা দাদা পুরাই খিস্তি।
কমিউনিস্ট নিয়া আইলেন যে দাদা। কমিউনিস্ট মানে বুঝেন? মাউ সে তুং এর জীবনী তে পড়ছি তিনি দেশের ডানপন্থী গাধা গুলোকে ফাসি দিয়েছিলেন। বেশি ডর দেখিয়েন না, চায়না পাডায় দিমুনে।
:ban:
@Arif Hasnat, wanna hack Muktomona!? Give it a try, we’re waiting.
[Apologies for English, can’t type in Bangla here :(. We’re switching our host for FaithFreedom, that’s why it’s not available. Hope to get it back up soon.]
@আরিফ হাসনাত,
ভাইজান যে গরুদের ওয়েবসাইট হ্যাক করতে চায় সে নিশ্চই গরু থেকে নিচের কোন প্রানী হবে। নিজেকে এতটা নিচে না নামালেও পারতেন!!!!!!!!!!! :lotpot: 😀 :rotfl:
সেদিন T-20 খেলা দেখছিলাম। হঠাৎ ব্যাটসম্যান ছক্কামারার পর দেখলাম কতগুলো মেয়ে অর্ধনগ্ন হয়ে নাচানাচি করছে। তখন ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করলে বলে এরা নাকি চিয়ার্স গার্ল। আমার প্রশ্নহলো ছক্কা মারা সাথে ওদের সম্পর্ক কি ? ওদের এভাবে নাচানোর কি উদ্দেশ্য? এটাকি নারী জাতির অধিকার বৃদ্ধির কোনো ব্যাবস্থা !না সম্মান হানি করার কোনো ব্যবস্থা। তা শুধু নারীজাতিকেই কেন অর্ধনগ্ন হয়ে নাচতে হবে? যে কোনো অফিসে ফ্রন্ট ডেস্কে কোন সুন্দরী রমনি না থাকলে তো আমাদের নাস্তিক লুচ্চাদের মনই ভরে না। একটা গাড়ি বিক্রি করবে সেখানেও একটা অর্ধনগ্ন নারী থাকতে হবে। কেন? আমিতো গাড়ি কিনবো নারী কিনবো না। তাহলে সেই নারীওখানে কি করছে? আসলে গাড়ি কোম্পানি জানে এ সমাজটা লুইচ্চাতে ভরে গিয়েছে। নারী দাঁড় না করালে তাদের গাড়ির দিকে কেউ তাকাবে না।
অথছ ধর্মদ্রোহীরা বলে ইসলাম নাকি নারীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে। আসলে তারা একশ্রেণির পাগল, মাতাল, উন্মাদ। এদের চোখ আছে কিন্তুদেখেনা।
একমাত্র ইসলামই নারীদের সম্মান দিয়েছে। যা আর কোনো ধর্ম বা সমাজ দেয়নি।
আমার মন্তব্য বিষয় বহির্ভুত। তবে যেসব ব্লগে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে সেখানে ভিজিটর বেশি আসে। তাই এখানে লিখা। সব লেখকরা ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে তাদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য। যে যত বেশি ইসলামের বিরুদ্ধে লিখেছে সে দেখছি ততো বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে।
@রাসেল,
আচ্ছা ভাইজান লুচ্চামি এর সংজ্ঞা কি ? একটু খোলাসা করে বলবেন ?
ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ লেখে না। আপনারা মনগড়া ইসলাম প্রচার করেন , আমরা সেটাই দেখিয়ে দেই ও প্রকৃত ইসলাম কি জিনিস সেটা প্রচার করি। যেমন- আপনাদের মতই লোকজন বলেন যে ওসামা বিন লাদেন, বাংলা ভাই, সায়খ আব্দুর রহমান, তালিবান এরা ইসলামকে হাইজ্যাক করে ইসলামের নামে খুন সন্ত্রাস করে ইসলামের ক্ষতি করছে। অথচ কোরান হাদিস পড়লে দেখা যায় তারাই ১০০% খাটি মুসলিম ও ইসলাম অনুসরণ করছে। সুতরাং আমরা বরং ইসলামকে রক্ষা করার চেষ্টা করছি যেখানে আপনাদের মত মানুষ তালে আছেন ইসলামের ক্ষতি করার। আপনারা নিত্যদিন মনগড়া ইসলাম তৈরী করছেন, কোরানের নতুন নতুন ব্যখ্যা হাজির করছেন ( যা আবার কঠিন গুনাহ কারন আল্লাহর বানীর অর্থ নিত্য নিত্য পরিবর্তন হয় না), হাদিসকে অস্বীকার করছেন যা ইসলামের বারোটা বাজাচ্ছে।
@ভবঘুরে,
জনাব, আপনার অবস্থাটা শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো হয়ে গেল! আপনি করছেন ইসলাম রক্ষা :lotpot: এটা কিভাবে সম্ভব! :-O
কিভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করতেছেন ব্যাখ্যা করুন। আমরা কিভাবে ইসলামের ক্ষতি করছি ব্যাখ্যা করুন।
আপনাদের মতো ভবঘুরেরা ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে শুধুমাত্র নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার জন্য। অসংখ্য নাস্তিকের বাহবা পাওয়ার জন্য। আপনি নিজেইতো কোরআন হাদীস বুঝেননা । কোরআন হাদীসের ব্যাখ্যা দিবেন কি? আমিও একসময় আপনার মতো ছিলাম। তসলিমা নাসরিনের বইগুলো আমার খুব ভালো লাগতো। কারন তিনি নারীদের নিয়ে খুব ভালো ভালো লিখা লিখতেন। পরে দেখি সে একটা পাগল, উন্মাদ, কামুক।
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। আপনি কোন হসপিটালে গেলেন চিকিৎসা নিতে । গিয়ে দেখলেন সেখানে জনাব ইঞ্জিনিয়ার ( যে কোন নাম) রোগী দেখবেন। আচ্ছা আপনি কি ঐ হসপিটালে চিকিৎসা নিবেন?
যদি আপনি বেওকুফ হন তবে নিবেন। ইঞ্জিনিয়ার যতো জ্ঞানীই হোক মেডিকেল সাইন্স সম্পর্কে সে কিছুই জানেনা।
যারা কোরআন হাদীস নিয়ে সারা দিন পড়ে থাকে তাদের ব্যাখ্যাকে আপনি বলছেন ভুল। আর আপনি কোথাকার কোন x,y,z এসে কোরআনে তাফসির করছেন। আপনি করছেন সঠিক তাফসির ! সবাইকে কি নিজের মতো বেওকুফ মনে করেন নাকি?
আরে মিয়া বাজারে অনেক ডাক্তারি বই পাওয়া যায়, অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং বই পাওয়া যায় । এগুলো পড়ে আপনি ডাক্তার হন। দেখি কেউ আপনার কাছে চিকিৎসা নিতে আসে কিনা। আসবে যেগুলো আপনাদের মতো অন্ধ।
ভাই মনে হয় লুচ্চা শব্দটা প্রথম শুনেছেন। শুনেও না শুনার ভান করলে কিছুই করার নেই। নিচে দেখুন-
noun
cad লুচ্চা, লোচ্চা, ইতর ব্যক্তি
adjective
lewd কামুক, ডেকরা, ঢেমনা, লুচ্চা, বাজে, অসচ্চরিত্র
cad/kad/
definition of cad: A man who behaves dishonorably, esp. toward a woman.
@রাসেল,
একজন মানুষ যদি বিয়ে পাগল হয় , একের পর এক বিয়ে করে, যেমন মোট ১৩ টা বিয়ে করে , এ ছাড়াও চান্স পেলে কাজের বেটির সাথে সেক্স করে , তাকে কি কামুক বলা যাবে, ভাইজান ?
@ভবঘুরে ভাই,
আমার মনে হয় উনাকে মুহাম্মাদুর কামাসুত্রা আলা রাসুলুল্লাহ বলা যাবে। নবী হতে গেলে ওই গুন গুলি খুব জরুরী কিনা। 🙂 ।
@রাসেল,
এখানে বই পড়ে ডাক্তার হবার প্রশ্ন আসে কেন? আচ্ছা আপনিই বলেন, কি করলে আপনাদের মত মহা জ্ঞানী হওয়া সম্ভব? যাকির নায়েকের বোলচাল শুনে আর সেগুলোকে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করে?
ডাক্তার হতে হলে মেডিক্যাল কলেজে পড়তে হয় এটা ঠিক তো হাদিস কোরানের সঠিক অর্থ বুঝার জন্য কি ভাইজানেরা কোন কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে বসেছেন নাকি? খুলে থাকলে বিজ্ঞাপন দিয়ে দিন, এইখানে জোকার নায়েক তৈরি করা হয়, এই টাইপের বিজ্ঞাপন।মাঝে মাঝে আপনাদের এইসব কথাবার্তা গোটা লেখাটার আমেজটাই কমিয়ে দেয়।যদিও এন্টারটেইন আপনারা ভালই করেন কিন্তু ঐ জিনিস সব সময় ভাল লাগে না।
আপনি উনার মত কি ছিলেন? নাস্তিক? হ্যাঁ আমিও কিছু মানুষকে চিনি যারা টিন এজ এ নাস্তিক ছিলেন আজ পাক্কা মুসল্লি। কেউ কেউ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরেন, কেউ কেউ জুমার নামাজ পড়েন না, কিন্তু দাবি করে থাকেন যে তাঁরা পাক্কা মুসল্লি। এই সব লোক বলে বেড়ায় যে তারা নাস্তিক ছিল আর পরে বুঝল যে কোরানেই সব কিছু সার আছে, যা নাকি আগে বুঝত না তারা, এখন বুঝে। এই নির্লজ্জগুলোকে জিজ্ঞেস করে উত্তর পাইনা যে কোরানে কি সার আছে। প্রত্যেক বারেই পিছলে বেরিয়ে যায়।অনেকটা কচু পাতার মত, যেখানে থুতু দিলেও লাগে না।আসলে এরা হল প্রথম শ্রেণীর ভণ্ড, “যারা নিজেরা নাস্তিক ছিলাম আর পরে কোরআন বুঝে মুসলিম হয়েছি” টাইপ সস্তা দরের ইসলাম প্রচারক , যাদের যুগ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তারা যে বাতিল মাল এটা নিজেরাও বুঝে না। আপনিও কি সেই দলেই পড়েন?
@ভবঘুরে, সহমত দাদা। প্লাছ
অথচ ছাগুরা কুনুদিনও প্লাছাইবে না , শুধু রিপ্লাই তে ল্যাদাবে।
:guru:
:guli:
হাসি মুখে :)) 😀 সব মেনে নেয়াই ইসলাম। জুরে বল আমিন। চুভ্যান্যাল্লা।
:-X মাথা খাউজাইয়া চিন্তা করবি, সন্দেহ করবি :-s আর প্রশ্ন করবি 😕 ঃ তাইলে টুমি কাফির। আস্তাগফিরুল্লাহ ।
@রাসেল, লুইচ্চামি যে ইল্লিগাল তাই বা কে বলল? আসো মুমিন নবী করিম সাল্লাল্লাহুর জিন্দেগি তে আমল করি। তাহা হইলেই বুঝিতে পারিবা চিয়ার্স গার্ল ভালা না মন্দ?
আমি চিয়ার্স গার্ল প্রথার সম্পূর্ণ বিরোধী, কিন্তু মন্তব্য টি সমর্থন করিনা সব টুকু।
আপনি কি জানেন, মক্কার মানুষের প্রধান পেশা কি ছিল নবির আমলে ? বেলি ড্যান্স আর বেশ্যা বৃত্তি। কারণ নানা প্রদেশের ব্যবসায়ী রা মক্কা হয়ে যাবার সময় হালকা মজা করত। মক্কার জনগণ ছিল এমনই চরিত্রের। মুহাম্মাদ বেশ্যা বৃত্তি দূর করেছিলেন শোনা যায়, কিন্তু বেলি ড্যান্স তাদের জীবিকা, তাকে তিনি কুনুদিনও না বলেন নি। চিয়ার্স গার্ল আর বেলি ড্যান্স এর মধ্যে পার্থক্য কি ভাই? জীবিকার জন্য নৃত্য। অথচ নবীজি আজিবছা চিজ, গান নিষিদ্ধ করছে, ছবি আঁকা নিষিদ্ধ করছে, আর বলিয়াছেন, ইন্দুরে ঘরে আগুন লাগাইব, সে কাফের। জুরে বলেন আমিন।
চিয়ার্স গার্ল কিংবা নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার সবসময় অসমর্থন করেছি, সাথে সাথে করেছি অই মক্কা মদিনার বেলি ড্যান্স। আপনি কুন সাইডে দাদা?
@রাসেল,
অনেকদিন পর আপনাকে দেখতে পেলাম।
আমারও একি কথা আল্লাহ যদি থেকেই থাকেন আর তিনি যদি সত্যি কুরানের রক্ষাকর্তা হোন তাহলে এর গায়ে হাত দেওয়া কার সাধ্য?আর যার জন্য মুসলমানরা নিরপরাধ মানুষ হত্যা করছে তার চরিত্রটা কি একবারো নিরপেক্ষভাবে বিচার করেছে?আর আমি চলচিত্রটকে বাহবা দিতে রাজি এ কারণে যে তারা বর্তমান মুসলমানদের প্রকৃত চেহারা তুলে ধরতে পেরেছে।কাউকে যদি মুভিটা দেখানোর পরপরই মুভি পরবর্তী তাদের কর্মকান্ড দেখানো হয় তাহলে কেউ কি বলবে দুটি ভিন্ন স্বত্তা?
ভবগুরে অসাধারণ লেগেছে আপনার লেখাটি।যুক্তি বা প্রমাণের কমতি ছিল না কোথাও।
Innocence of muslims চলচ্চিত্র টি আমি দেখেছি। চলচ্চিত্রটির ভিত্তি হচ্ছে কিছু কোরানের আয়াত ও বেশ কিছু হাদিস। হাদিস গুলোর প্রায় ই সহিহ হাদিস গ্রন্থ গুলি থেকে নেয়া, যার অর্থ অবশ্য সত্য। তবে এখানে সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়েছে যেগুলো সাধারণের দৃষ্টিতে অন্যায় ও কুরুচিপূর্ণ ( মুহাম্মদের চরিত্রের ) এবং মুসলিম বোদ্ধারা যা সবসময় ঢেকে রাখতে চান। আমার মনে হয় এই মুভিটি অইসব মুসলিম চিন্তাবিদদের একটি সমূহ জবাব দেবার জন্যই। কিন্তু অভিনেতাদের অভিনয় শক্তি সামান্যই ছিল, যে কারণে মুভিটি তার বক্তব্য থেকে দূরে সরে গেছে আর অনেকের মনে হয়েছে এটি মুসলিম বিরোধী ষড়যন্ত্র। মুসলিম বিশ্বে তাদের নবি নিয়ে কোনরকম সমালোচনাকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। এমনকি মুসলিম নয় এমন রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক ও বিশিষ্ট নাগরিকরাও এই দমন নীতির বাইরে নয়। যেমনঃ টুইন টাওয়ার হামলায় ৩০০০ এর বেশি সাধারণ নাগরিক মারা গেছে। আর ব্রিটেনের নাগরিক সাল্মান রুশদি কে ইরানের গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ দেন মৃত্যুর হুলিয়া। টুইন টাওয়ারের মৃতদের অপরাধ কি? নিরপরাধ মানুষ হত্যা হয়েছে এমন ক্ষেত্রে যেখানে মুহাম্মাদ বা আল্লাহ্র সমালোচনার মতো ব্যাপারই নেই। টুইন টাওয়ারের হত্যায় বেশ কিছু মুসলমানও মারা গেছে। যারা হয়তো মুহাম্মাদ ও আল্লাহকে ভীষণ সমর্থন করতেন। মোদ্দাকথা, বিশ্বের যে দেশটি জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অবকাঠামো, গণতন্ত্র ইত্যাদির নেতৃত্ব দিচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করছে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিমনাশক হিসেবে প্রচার করে ফায়দা লুটছে কারা? আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
টুইনটাওয়ার মুসলিমরা ধংস করেছে এটার কি কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান আছে? ইসরাইল এর পক্ষেই জোড়ালো মতবাদ পাওয়া যায়।
@আরিফ হাসনাত, আপনি আনোয়ার আল আউলাকির নাম শুনেছেন? তিনি ভার্জিনিয়ার সেন্ট্রাল মসজিদের ইমাম ছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক গুলি চোরাগুপ্তা জঙ্গি হামলার রিং লিডার। ৯/১১ কে একক হামলা হিসেবে দ্যাখা ঠিক না। ২০০৪ এর স্পেন হামলায় ২০০র বেশি লোক মারা যায়। এর পর লন্ডনে পাতাল রেলের হামলায় ৫৪ জন নিহত। ব্রিটেনগামী অ্যামেরিকান ৭ বিমানে একসাথে হামলার পরিকল্পনা ( যা হত ৯/১১ এর চেয়েও বেশি মারাত্মক, ঠিক আগ মুহূর্তে আল কায়দা জঙ্গিদের ধরে ফেলা হয়), নিদাল হাসানের আমেরিকার সেনা ছাউনিতে হামলা সহ আরও অনেক হামলার মূল পরিকল্পনা কারী আল কায়দার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এবং আধ্যাত্মিক নেতা। তাকে ২০১১ এর অক্টোবরে ইয়েমেনে দ্রোণ হামলায় মেরে ফেলা হয়েছে। ৯/১১ হামলার রিপোর্টে তার স্বীকারোক্তি আছে, তার আরও স্বীকারোক্তি নিরাপত্তার স্বার্থে এখনো প্রকাশ করা হয় নি। ইস্রায়েল কে এই হামলায় জড়ানো একটি রাজনৈতিক কৌশল, এবং সেখানে কয়েকটি যুক্তি দেয়া হয়েছে কোন প্রমাণ নেই। আজকের দুনিয়ায় ইসরায়েল কে ৯/১১ এর সাথে জড়ানো শুধু বোকারাই বিশ্বাস করবে, এটি একটি টেররিষ্ট আইওয়াস। আমারিকা বাক স্বাধীনতার দেশ, তাই এটাকে দমন করা হয়নি। যেমন করা হয়নি ইনছেন্স অব মুস্লিমস কে। এবিষয়ে বলার জন্য আস্ত ব্লগ লিখতে হবে। আপাতত এইটুকুই লিখছি।
অ্যামেরিকান রা যাই করুক কখনো তাদের জনগণের প্রাণহানি হয় সে কাজ করেও নি, সহ্য ও করেনি। তাই ইসরায়েল তথা অ্যামেরিকাকে এখানে জড়ানো পাগলের প্রলাপ।
জাইগা জুহরের :guru: পইরা লই।
@আর্যভট্ট,
আজকের দুনিয়ার মানুষ এত বোকা নাকি যে ফালতু প্রোপাগান্ডা করল আর তাই মানুষ বিশ্বাস করে বসে থাকল? যদি সাময়িক ভাবে মানুষকে বোকা বানান যায়ও , আজকের মিডিয়ার যুগে আসল সত্যকে বেশীক্ষন লুকিয়ে রাখা যায় না। অথচ কিছু ইসলামিস্ট বিশ্বাস করে হাজার বার একটা মিথ্যা কথাকে সত্য বলে প্রচার করলে সেটা মানুষ সত্য বলে গ্রহণ করবে।
@ভবঘুরে, আপ্নে দাদা কি জানেন ইসরায়েলের ৯/১১ আক্রমণ সম্পর্কে জানাবেন। আমি বলছি, এটা একটা আইডিয়া যে, তাদের সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা এটা ঘটিয়েছে তার কোন ক্ষুদ্র প্রমাণ নাই। আমি বিষয় টি নিয়ে ভাবিত হয়ে অল্প বিস্তর খোঁজ নিয়েছি। একজন মার্কিন সাংবাদিক বিশ্লেষণ করে বলেছেন যে, অ্যামেরিকার ঘনিস্ত কেউ না হলে এ কাজ করা অসম্ভব , আর ঘনিস্ত আর কে আছে বেশি ইসরায়েল ছাড়া। কিন্তু দাদা, আপনাকে মনে রাখতে হবে, ২০০১ এর ৯/১১ এর আগের অ্যামেরিকা আর ৯/১১ এর পরের অ্যামেরিকা পুরো আলাদা। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভূত পরিবর্তন। তার পরেও ২০০৯ সালে অ্যামেরিকার ছেন্ত্রাল সেনা সদরে একজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তা নিদাল মালিক হাসান ১৩ জন হত্যা করলো আর ৫২ জনকে আহত করলো, ১৭৭ রাউন্দ গুলিও ছুঁড়ছে। সে আল কায়েদার আধ্যাত্মিক নেতা আউলাকির এজেন্ট। আপনি মার্কিন আল-কায়েদা কি কিভাবে কি করবেন? দুর্ঘটনা ঘটবেই। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলতে বাস্তবে কিছু নাই। , ,
লিঙ্ক গুলি পড়লেই বুঝবেন। কিভাবে বিমান হাইজ্যাক করা হয়েছে এবং হাইজ্যাক কারী কারা টা এখন প্রমাণিত। ন্যাশনাল জিওগ্রাফী তে প্রথম বারের মতো ভিডিও গুলি দেখানো হয়েছে কয়েকদিন আগে।
আর ইসরায়েলের খবর টা টি ভি তে আসার কারণ টা হলঃ অনেক সময় কেউ অসম্ভব সব উক্তি করে আলোচনায় আসে। যেমন সেদিন এক ৪৯ বছর বয়স্ক তামিল হিরো বলেছেন যে, তিনি শাহ্ রুখের চেয়ে বেশি বিখ্যাত, তার কোটি কোটি ফ্যান। তিনি মাত্র ৭ টা সিনেমা করছেন, আমিতো নামই জানিনা। কিন্তু উক্তিটা হেয়ালি তাই এদেশের টি ভি তেও সেই খবর দেখলাম। আর অই মার্কিন সাংবাদিকের একই অবস্থা। আর আপ্নেরা সেই কথা গুরুত্ব দিয়ে বসে আছেন, হায়রে মুসলিম জনতা। কিন্তু অই সাংবাদিক দাবি করেন নাই, ইসরায়েল হামলা করেছে, তিনি বলেছেন সুযোগ ছিল। আর মুসলিম বিশ্বে এসে কাহিনী পুরাই চেঞ্জ। একজন শুনছে রাজার ছেলে কালো হইছে, আরেকজন কে বলছে, রাণীর পেট থেকে কাক হইছে। ঘটনা টা এমন। তারপরেও যদি আপনার জানা কোন এভিডেন্স থাকে, নির্ভরযোগ্য, তাহলে জানাবেন আর ব্যাখ্যা করবেন মতামত।
অই সাংবাদিকের লেখা পড়ে নাকি ওবামা হেসেই খুন।
এশার সালাত আদায় করিগা। :guru:
@ভবঘুরে,
@ভবঘুরে, .
মুক্ত মনায় নতুন তাই লিঙ্ক কিভাবে দেয় বুঝতে পারিনি। ৩ টা লিঙ্ক দিয়েছিলাম, একটাও যায়নি। এখন দেখেন তো লিঙ্ক পাচ্ছেন কিনা। লিঙ্ক গুলো পড়লে ভালো জানতে পারবেন। ইউটিউব চালু থাকলে আরও ভিডিও লিঙ্ক দিতে পারতাম।
@আরিফ হাসনাত,
জি ঠিক কইসেন ভাইজান। অতএব আসেন শালার ইহুদীর বাচ্চাগোরে ধইরা মুসলমানি করায়ে দেই।
{থুক্কু কি শর্বনাশ এদের মুসলমানি দেখি আগে থেকেই আছে কাজেই খাসি করা হউক}
মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী হলেও একটি বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে নির্বোধ, তাহলো ধর্ম। কারণ এখানে বেশিরভাগ মানুষই প্রশ্নহীন। অথচ মহাবিশ্বের সবকিছু নিয়েই মানুষের প্রশ্নের অন্ত নেই। যতোই সে প্রশ্ন করছে ততোই তার জ্ঞান বিস্তৃত হচ্ছে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে প্রশ্নহীন বলেই ধর্মজ্ঞান একস্থানেই সীমাবব্ধ রয়ে গেছে আজও। ফলে আত্মাহুতি দিচ্ছে ধর্মরার্থে, এমনকি আপন সন্তানকেও হত্যা করছে (মাতা-পিতা মিলে) শুধু ধর্ম রার জন্য! যা পশুরাও করে না। পশু কখনো মানুষ হয় না কিন্তু মানুষ প্রায়ই বিভিন্ন কারণে পশু হয় কিন্তু ধর্মের কারণে যেরূপ পশু হয় তা বোধকরি পশুদেরও লজ্জা দেয়।
তাহলে প্রতারণা করাও আল্লার ও রসুলের কাছে কোন অন্যায় নয়? যে কোনভাবেই খুন করাই একমাত্র সমাধান নয় কি? তাহলে বর্তমানকালের আল্লা ও রসুলের উম্মতরা দোষের কিছুই তো করছে না!
মনে তো হয় না। এই তো দেখুন না যীশু বিয়ে করেছিলো বলে আবার রব উঠিয়েছে একজন। তাকে খুন করার জন্য কোন ফতোয়া এখনো কোন খ্রীস্টান দূরে থাকে খ্রীস্টাব ধর্মজীবি পাদ্রিরাও দেয়নি। অথব ইসলামের বেলায় হলো খুনের হুমকি দেওয়ার সাথে সাথে তাকে না পেলেও অন্য দু’দশটা লাশ এতোণে পড়ে যেতো। বাবা কেন এরূপ প্রতিশোধ নেওয়া, ওরা মুহাম্মদের নামে ব্যাঙ করছে, তোরাও কর। খুন-খারাপির প্রয়োজনটা কি, পারিস যতো লেখালেখি করা, খুন করা, জ্বালাও পোড়াও করা, খুনের হুমকিসহ ল ল ডলার পুরস্কারের প্রয়োজনটা কি? রুশদির দাম তো আরো বেড়ে গেলো লাভটা কি একটা রুশদি হত্যা করলেই কি সব থেমে যাবে? ৯/১১ কে ইসলামিস্টরা যতোই বড় মনে করুক এটা তাদের জন্য চরম অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। ৯/১১ না ঘটলে হয়তো এতো বেশি বেশি ভবঘুরে, আঃ হাকিম চাকলাদার তৈরি হতো না। এম.এ খানও সেকথাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, ৯/১১-এর পরে যখন মুসলমানদের সমালোচনায় সকলেই সরব তখন কোরান ও হাদিস হাতে নিয়ে সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি…। যাহোক খৃস্টান-ইহুদি নাছাড়রা দু’চারটা কোরান পোড়লো মুসলমানের শ’খানেক পোড়াক মিছিল-মিটিং, হুমকি ধামকি, হত্যা-লুণ্ঠন বন্ধ করে এরূপ প্রতিবাদ করলে তি কি? ধন্যবাদ ভবঘুরে ভাই আবার একটি চমকপ্রদ তথ্যবহুল লেখার জন্য। আল্লা আপনারে দোযখবাসী না করেই ছাড়বে না।
@কামালউদ্দিন আহমেদ,
মনপুতঃ যুক্তি। চালিয়ে যান। এদের উপর এখনি চাপের সৃষ্টি না করতে পারলে এরা এই মানব সভ্যতাকে মুহুর্তের মধ্যে বর্বর যুগে ঠেলে দিতে সামান্যতমও দ্বিধা বোধ করবেনা।
তার প্রকৃষ্ট উদাহরন ৯/১১ ও আরো অনেক কিছু। যার ফলাফল আজ আমরা হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করতে পারছি।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমার ধারনা মুসলমানরা এরকম ফ্যানাটিক হওয়ার কারনটা হলো ঈর্ষা। তারা বিশ্বাস করে তাদের ধর্ম সেরা, তাদের নবী শ্রেষ্ট, অথচ বাস্তবে তারা অতি দীন হীন জাতি, যেখানে কাফির মুশরিকরা অনেক বেশী উন্নত, ধনে মানে জ্ঞানে বিজ্ঞানে। এটাই মুসলিমরা মাঝে মাঝে সহ্য করতে পারে না , আর এটা তার মনে প্রচন্ড হতাশা ও ঈর্ষার সৃষ্টি করে , যার বহি:প্রকাশ তারা ঘটায় নানা রকম সন্ত্রাসী ও বিধ্বংসী ঘটনার মাধ্যমে।
@ভবঘুরে,
একেবারে ঠিক কথাই বলেছেন।
এই মাত্র আমি বাংলাদেশে আমার এক বন্ধুর সংগে আলাপ করতেছিলাম। যিনি বিএসি পাস,হাই স্কুল হেড মাস্টার,হাজী, এবং বর্তমানে একটি বিরাট সময় তাবলীগে কাটান। এবং বলতেছিলেন এই মাত্রই তাবলীগের “গাশত” (অর্থাৎ লোকদের ধর্মের দাওয়াত) করে ঘরে ফিরলেন।
আমি বল্লাম তিন দিন আগেই এখানে একটা তাবলীগ দল এসেছিলেন এবং আমিও তাদের সংগে হাদিছ আলোচনায় বসেছিলাম।
আমাকে উনি জিজ্ঞাসা করলেন , তাদের আলোচনা কি রকম লাগল?
আমি বল্লাম, তারা খুব সুন্দর সুন্দর কথাবার্তা বলেন।
উনি বল্লেন,হ্যাঁ ঠিকই ।
আমি তখন তাকে বল্লাম, আমি তাদের কিছু কিছু পশ্ন রেখেছিলাম,
যেমন, আপনারা ত ৯/১১ ঘটান মসজিদে ও জানাজায় আক্রমন করে করে শহিদ ও হন।এবং এটাই বিশ্বাষ করেন যে এই পৃথিবীতে মুসলমান ছাড়া কোনই অমুসলিম জাতি থাকা বাঞ্ছনীয় নয়,
কিন্তু হজে যাওয়ার সময় তো তাদেরই আবিস্কৃত প্লেনটা ব্যবহার করার সময় একটুও বলেননা যে কাফেরদের আবিস্কৃত প্লেনে চড়ে আমরা হজে যাইবনা।
এইমাত্র মসজিদে আজান দেওয়া সময়ও তো ঐ কাফেরদেরই আবিস্কৃত মাইকটা ঠিকই ব্যবহার করলেন।
আর আপনার ফোন কম্পিউটার টাও কাফেরদের আবিস্কৃত বস্তু ব্যবহার করলেন।
তাদের আবিস্কৃত বস্তুগুলী হালাল বলে চোখ বুজে গ্রহন করবেন, আবার তাদেরকে এই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন ও করে দিতে চান? এটা কি রকম ধরনের নীতি হইল?
আমার বন্ধু স্বীকার করলেন আমার পশ্ন ঠিক হয়েছে।
ধন্যবাদ
@কামালউদ্দিন আহমেদ, খ্রিস্টান ইহুদীরা এখন না করলেও এক কালে বেশ করেছে। উইচহান্ট নাম দিয়ে মধ্যযুগে লক্ষাধিক মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। জ্ঞানবিজ্ঞানে উন্নতির সাথে সাথে ওদের মধ্য থেকে ধর্মের কুপ্রভাব কমে গেছে। ক্ষমতা চার্চ থেকে পার্লামেন্টে চলে গেছে। এখন নখদন্তহীন বাঘের মতন অবস্থা ওদের। চার্চগুলো প্রতিবাদ যে করে না এমন না। কিন্তু তাতে সাড়া দিয়ে হইহই করার মত ধার্মিকের বড্ড অভাব। সভ্য সমাজে ওসবের বেইল নাই। আগের মত হুমকি ধামকি দিতে পারে না, তাহলে যারা কোনরকম ধর্ম পালন করছে তারাও ভাগবে। ভদ্রভাবে প্রতিবাদ করেই সারা। তাই আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় ওরা না জানি কত শান্তিপ্রিয়!
কিন্তু মুসলিমরা একে শিক্ষায় পিছিয়ে, তার উপর ধর্মপ্রবর্তক নিজেই যুদ্ধবাজ। আছে নানারকম ঘৃণার বাণী। ‘ধর্ম গেল’ বলে হাক দিলেই এরা দা বটি নিয়ে নেমে পড়ে।
@নাজমুল,
ঠিক বলেছেন, কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতির সাথে সাথে মুসলমানদের মন মানসিকতায় বিশেষ উন্নতি হয় নি। এটার কারন কি বলে মনে করেন আপনি ?
@কামালউদ্দিন আহমেদ,
এটাই তো তাজ্জব ঘটনা যে যীশুকে নিয়ে নেতি বাচক কিছু বললে মুমিন বান্দারা কিছুই বলে না, এটা কি তাদের স্ববিরোধীতা নয় ? কারন তারা তো যীশুকে একজন নবী বলে বিশ্বাস করে, আর এটাও বিশ্বাস করে যে পিতা ছাড়া তার জন্ম ও তার বিয়ে হয়নি। তো এখন এ নবীর অপমান করা অর্থ ইসলামেরও অপমান করা, তাই নয় কি ? কিন্তু এ সময় মুসলমানরা চুপ কেন ?
ভালো লেগেছে… (Y)
লেখাটা দারুন হয়েছে। মুসলমানরা নিজেরা যখন অন্য ধর্মকে মিথ্যা/ভুয়া/নিকৃষ্ট বলে তখন সেটা ধর্মীয় শান্তির বাণী। ওদের ব্যাপারে কেউ কিছু বললে ধর্মাবমাননা!
বর্তমানে মডারেট ধার্মিকরা মিন মিন করে বলে, সব ধর্মকে সম্মান করা উচিত। কিন্তু এক ধর্মের কাছে আরেক ধর্ম মিথ্যা/ভুয়া/জালিয়াতি। যা মিথ্যা/ভুয়া/জালিয়াতি তা সম্মান করে কিভাবে? এটা স্রেফ লোক দেখানো আর গা বাঁচানো কথা।
কোরানের আয়াতের অর্থ আর হাদিসের অর্থ যুগে যুগে পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে নৈতিকতার ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে কোরানের আয়াতের অর্থ পালটে একটা ভদ্রস্থ রূপ দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। বর্বর হাদিস জাল বলে চালানো হচ্ছে। যেসব নতুন ব্যাখ্যার বই আসছে সেগুলো বড় জোর গত দুই শতকের। এতদিন এসব ব্যাখ্যা কই ছিল? একই আয়াত ভিন্ন ভিন্ন যুগে কোন ভিন্ন অর্থে নেয়া হয়েছে, বিভিন্ন তাফসীর এবং কোন ব্যাখ্যা কে কত সালে প্রথম আমদানী করছে এর উপর একটা লেখার অনুরোধ রইল আপনার প্রতি।
আরেকটু জানার ছিল।
‘মুহম্মদ সৃষ্টি না হলে পৃথিবী সৃষ্টি হত না’
‘প্রথমে মুহম্মদের নূর সৃষ্টি করা হয়’
‘জ্ঞানীর কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে দামী’
‘জ্ঞান আহরনের জন্য সুদূর চীনে যাও’
এই ধরণের তৈলাক্ত হাদিসগুলি জাল/ভুয়া হাদিস হিসেবে জানি। রাস্তার পাশের চটি বইতে এই হাদিসগুলো উল্লেখ দেখেছি। পাশে ব্রাকেটে লেখা (আল হাদিস)। সহিহ সিত্তাহর কোন বই কত নাম্বার এসব উল্লেখ নাই। ইংলিশ হাদিস অনুবাদে খুজেছি কিন্তু পাই নাই। এগুলোর কোন রেফারেন্স দিতে পারেন?
@নাজমুল,
মিন মিন করে বলে অবস্থার ফেরে পড়ে, কিন্তু তাদের মনে থাকে অন্য কথা। আপনি যথার্থই বলেছেন, অন্য ধর্মগুলো যদি ভুয়া বা জাল হয়, তাকে কিভাবে সম্মান করে ? সত্যি সত্যি কোন মুসলমান যদি অন্য ধর্মকে সম্মান করে সেটা হলো আসলে – আত্ম প্রবঞ্চনা বা আত্ম প্রতারণা । আর সেটা সে করে ইসলাম সম্পর্কে তার কোন জ্ঞান না থাকার কারনে।
@নাজমুল,
এ বইটিতে দেখতে পারেন, আপনার প্রথম হাদিস বইটির ৫ নম্বর, শেষটি ১৭ নম্বর, বাকিদুটোও সম্ভবতঃ পাবেন, কষ্ট করে খুঁজে দেখতে হবে। (I)
@সফ্টডক,
জ্ঞানীর কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে দামী’- এটাও জাল হাদিসের মধ্যে পেলাম। বইয়ের ৭৩ নম্বরে আছে। অথচ এই হাদিস নিয়ে কত মুমিনকে লাফাইতে দেখেছি।
এর ব্যাখ্যা তো রীতিমত আতঙ্কজনক।
দাওয়ার চেয়ে জিহাদ ভাল। মুহম্মদ দাওয়া দিয়ে মাত্র ১০০ জনকে বাগে এনেছিল। ওদিকে ২০০০ শহিদ একদিনে রক্ত দিয়ে পুরো মক্কা দখল করে নেয়।
অতএব, দাওয়ার (E) চেয়ে জিহাদ :guli: উত্তম পন্থা।
[img]http://i.imgur.com/9wJjo.jpg[/img]
মুহম্মদ আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি এই নিয়া স্কলারদের মধ্যে বহু বিতর্ক। এখনো সিদ্ধান্তে আসতে পারে নাই। :-s
@নাজমুল,
বোঝা যাচ্ছে ভাল হাতেই বইটি পড়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে। (F)
@ভবঘুরে
আপনার এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার। এব্যাপারে আরো কিছু জানতে পারলে পোষ্টে দিবেন।
এই তো মাত্র কয়েকদিন আগেই লিবিয়ায় সালাফী গোষ্ঠি সুফি গোষ্ঠিদের মসজিদ গুড়িয়ে দিল।
সম্ভবতঃ এরা সেখানে যথেষ্ট শক্তিশালী ও প্রভাব শালী।
প্রশ্নটা একেবারে সঠিক প্রশ্ন।
অর্থটা তাহলে এরকমই দাড়ায় “কে ইহুদি নাছারাদের ঘরে জন্মাইল কে মুসলমানের ঘরে জন্মাইল এটা কেমন যেন আল্লাহর নিয়ন্ত্রনের বাইরে। বরং যার যে ঘরে জন্মানোর ইচ্ছা হয়েছে,সে সেই ঘর বেছে বেছে লয়ে জন্মিয়েছে।”
আর আল্লাহ এখন সেই ভূলটা টের পেয়ে স্বয়ং,, নবী, ঘোড়া ও তলোয়ার লয়ে তাদের যেখানেই পাওয়া যায় সেখানেই পেয়ে ধরে ধরে হত্যা করতে নেমে পড়েছেন।
তা এত যুদ্ধ বিগ্রহের ই বা কি দরকার ছিল?
আল্লাহ তো সামান্য একটু ইচ্ছা প্রকাশ করলেই সারা পৃথিবীর কাফের মুশরেকগন নিমেষেই ধংস হয়ে যেতে পারত এবং এখনো সেটা করতে পারেন।
কিন্তু আল্লাহ সে সহজ এবং শান্তিপূর্ণ পথে না গিয়ে মুসলমানদের ঘাড়ে অনন্তকাল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিলেন কেন?
আর মুসলমানরা তা এখনো ঠিকই ভাবে পালন করে যাচ্ছে।হয়তো কেয়ামত পর্যন্তও এভাবে পালন করে ও যাবে।
ভাইজান, ঠিক এ প্রশ্নটাই আমি তাবলীগ জামাতের ঐ পন্ডিত সাহেবের কাছেও করেছিলাম ,যে আমরা মুসলমানেরা তো ৯/১১ ঘটাই.মসজিদ ও জানাজায় আক্রমন করে করে শহীদের মর্যাদা লাভকরতেছি , কি বলেন?
পন্ডিত সাহেব কী উত্তর দিল জানেন?
বল্লেন যে ওরা তো মুসলমানই নয়।
আর আমি বল্লাম কি বল্লেন ওরা মুসলমানই নয়, আপনি কী কোরান হাদিছ কখনো বুঝে পড়েছেন? ওরাই তো কোরান হাদিছ এর নির্দেশ আরো সঠিক ভাবে পালন করতেছে।
এর পর আমাদের ইমাম সাহেব সঠিক অবস্থাটা বুঝতে পেরে কথাবার্তার মোড় ঘুরিয়ে অন্য দিকে লয়ে গেলেন।
(Y)
@ভক্ত,
(Y)
@ভবঘুরে,
উপরের আয়াত দুইটিতে বলার ভঙ্গীমার দিকে লক্ষ করলে এরুপ মনে হয় নয় কি যে মহাবিশ্বের সৃষ্টি কর্তা নবী কে সংগে লইয়ে তারই সৃষ্ট অন্য বান্দাদের উপর পরম শক্তি লয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেছেন?
কী মারাত্মক কথা!! এটা পড়লে তো দুর্বল চিত্ত লোকদের হৃদপিন্ডের ক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে!!
এটা তো এই ধরনের মনে হচ্ছে যে এই সমস্ত মানুষ গুলী অন্য কোন স্রষ্টার সৃষ্ট সৈনিক।
আর তাই আল্লাহ তার নিজ সৃষ্ট সৈনিক বান্দাদের সংগে লয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য জয় লাভের লক্ষে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেছেন।
মহান স্রষ্টার যুদ্ধে জয় লাভ করতে আবার সৈনিকের দরকায় হতে পারে নাকি?
তিনি তো শুধু মাত্র একটু ইচ্ছা প্রকাশ করলেই সমগ্র বিশ্ব ভ্রমান্ডই মুহুর্তের মধ্যেই ধংশ হয়ে যেতে পারে।
তার আবার তারই সৃষ্ট অতি ক্ষুদ্র ,অসহায় দুর্বল বান্দাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে হত্যা করার দরকার হয় নাকি?
আমি কিন্তু এর অর্থ কিছুই বুঝতে পারলামনা, ভাইজান।
মহান স্রষ্টা তার সৃষ্ট বান্দাদের প্রতি কখনোই এরুপ নির্দয় ও নিষঠুর হতে পারেনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মোহাম্মদের আল্লাহ বড়ই দুর্বল আল্লাহ , তাই তার দরকার পড়ে অবিশ্বাসীদেরকে ধ্বংস করতে মোহাম্মদ ও তার ঠেঙ্গাড়ে বাহিনীর। সে শক্তিশালি হলে তো এক নিমিষেই সব অবিশ্বাসীদেরকে ধ্বংস করে দিতে পারত। তবে এর একটা যুক্তি আছে- আল্লাহ এক নিমিষেই সবাইতে ধ্বংস করে দিলে মোহাম্মদের কোন কারিশমা থাকত না। মনে হয় একারনে আল্লাহ মোহাম্মদের সাহায্য নিয়েছে। তবে আসল প্রশ্ন হলো- আল্লাহ নিজেই বান্দাদেরকে ইহুদি নাসারা কাফেরদের ঘরে বান্দাদেরকে সৃষ্টি করে কেন তাদেরকে নির্মমভাবে খুন করতে চায় ? নাকি মোহাম্মদ সেটা চায় বলে আল্লাও সেটা চায় ? কি জানি হতেও পারে , যাকে সৃষ্টি না করলে সারা বিশ্ব আল্লাহ সৃষ্টি করত না, তার চাওয়া বলে কথা !
এ ঘটনার জন্য কোরানে কোন আয়াতে বলা হয়েছে, এরুপ তো এ পর্যন্ত শুনা যায় নাই।
তাহলে নবী এটা কী ভাবে জানতে পারলেন? তার কি কোন ব্যাখ্যা বা সূত্র পাওয়া যায়?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই , মোহাম্মদ হলেন আল্লাহর রসুল , আল্লাহ সরাসরি সব কিছু তাকে জানিয়ে দিতেন এটাও বোঝেন না।
@ভবঘুরে,
এভাবে নবীর সমস্ত কথাবার্তা আল্লাহর বরাত দিয়ে হলে তো তা হলে অযৌক্তিক কথা গুলীর দায় ভার টাও তো স্বাভাবিক ভাবেই আল্লাহর উপর বর্তিয়ে আল্লাহকেই অযোগ্য বানিয়ে দেওয়া হয়।
তখন না হয় বিজ্ঞান এত উন্নত ছিলনা, কিন্তু এখন তো মানুষের কাছে বিজ্ঞানের বদৌলতে প্রকৃতির অনেক রহস্য প্রকাশ হয়ে গেছে।
নবী পৃথিবীতে শীত ও গ্রীস্ম কালের কারণ বলে গেছেন জাহান্নামের শ্বাষ প্রস্বাশ এর ফলাফল(নীচে বোখারীর হাদিছ টা দেখুন)। এর অর্থ আল্লাহর কাছ থেকে জেনে শুনেই তিনি এ কথা বলেছেন।
তা হলে কথাটার দায় টাও বর্তায় তার নিজের উপর নয় বরং সরাসরি আল্লাহর উপর।
তাহলে আল্লাহ এটা কি জানতেননা যে এই গ্রহে শীত গ্রীস্মের কারণ গ্রহের বার্ষিক গতির ফলাফল?
আল্লাহ কে তাহলে তো অজ্ঞ বানিয়ে ফেলা হল।
ঠিক এই প্রশ্নটাই আমি ২ দিন আগে তাবলীগ জামাতীদের করেছিলাম যে শীত গ্রস্ম যদি জাহান্নামের শ্বাষ প্রস্বাসের কারনে হয় তাহলে জাহান্নামের প্রস্বাষের উত্তাপটা মেরু অঞ্চল কে তাপ দিতে কেন ব্যর্থ হয়?
জানেন? এই পশ্ন শুনে আমীর সহ অন্য সবাই নিরুত্তর থাকলেও একজন পন্ডিতের মাথা খারাপ হয়ে যায়।
তিনি উঠে এসে বলেন “নবিজী হলেন সৃষ্টির সেরা, তাকে সৃষ্টি না করলে এই বিশ্ব ভ্রমান্ড কিছুই সৃষ্টি হইতোনা। অতএব তিনি যা কিছু বলে গেছেন কোন প্রমাণ থাক আর নাই থাক আমাদের চোখ বুজে বিশ্বাষ করে নিতে হবে।”
দেখুন তো ভাজান, কী ধরণের যুক্তি?
BOKHARI BOOK 54#482
482 Narrated Abu Huraira: Allah’s Apostle said, “The (Hell) Fire complained to its Lord saying, ‘O my Lord! My different parts eat up each other.’ So, He allowed it to take two breaths, one in the winter and the other in summer, and this is the reason for the severe heat and the bitter cold you find (in weather).”
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এজন্যই তো কোন মওলানার সাথে ইসলাম নিয়ে জানতে চাইলে দ্রুতই তাদের যুক্তির ভান্ডার শেষ হয়ে যায়, অত:পর সব ঘটনার দায়ভার আল্লাহর উপর বর্তায়। যেমন আপনি যদি প্রশ্ন করেন- মোহাম্মদ যে ৫১ বছর বয়েসে ৬ বছরের আয়শাকে বিয়ে করলেন এর কারন বা যুক্তি কি ? কিছুকাল আগে হলেও ভিন্ন রকম উত্তর দিত, কিন্তু বর্তমানে উত্তর দেয় এই বলে যে – ওটা ছিল আল্লাহর ইচ্ছা। যদি প্রশ্ন করেন – একজন মহাবনীর এত স্ত্রী ও দাসী থাকার কি দরকার ছিল? উত্তরে বলবে- প্রতিটি বিয়ের পেছনে যুক্তি সঙ্গত কারন ছিল যা ইসলাম প্রচারে সহায়ক ছিল। তখন যদি আপনি উল্লেখ করেন যে খাদিজা, সওদা এ দুজনকে বিয়ের যুক্তি সঙ্গত কারন থাকতে পারে কিন্তু বাকিগুলো কি কারনে বিয়ে করলেন? ওরা নানা রকম আজে বাজে কথা বলে অবশেষে বলবে সেটাও আল্লাহর ইচ্ছা। যদি বলেন- দাসীর সাথে যে নবী সেক্স করতেন একজন আদর্শ মানুষ ও নবী হিসাবে এটা কতটুকু নৈতিক? বলবে- এটাও আল্লাহর ইচ্ছা। তবে হঠাৎ আবিষ্কার করলাম- সালাফি বলে যে একটা গ্রুপ আছে তারা আয়শার অস্তিত্বই স্বীকার করতে চায় না। তাজ্জব কান্ড!
@ভবঘুরে
দুই দিন পূর্বে আমাদের মসজিদে ৮/৯ জন সদশ্য বিশিষ্ট একটি তাবলীগ জামাতের দল এসেছে। এরা সবাই বাংগালী।
আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম কখন এদের সংগে হাদিছ আলোচনায় অংশ গ্রহন করতে পারি।
গত কাল বিকালে হঠাৎ করে সে সুযোগটা হাতে এসে গেল। কারণ গত কাল বিকালে তারা আমার দরজায় এসে আমার লাক্ষাৎ চাইল। আমার স্ত্রী ও ছেলেটা বল্ল যে আমরা বলে দেই যে আপনি এখন বাসায় নাই। আমি বল্লাম না না ,এদেরকে আমার দরকার।
আমি বাইরে এলে বল্ল যে আমরা তো আগামী কাল চলে যাচ্ছি, আজ মগরেবের পর আমাদের হাদিছ বয়ান হবে, এজন্য আমরা আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি।
আমি বল্লাম এটা তো খুবই ভাল কথা,আমিও হাদিছ পড়াশুনা করে থাকি। আমি অবশ্যই আসতেছি ও অংস গ্রহন করতেছি।
তবে আমারও কিছু কিছু হাদিছ থাকবে সেগুলীও একটু ব্যাখা দিবেন?
আমি নিম্নোক্ত তিনটি হাদিছের কয়েকটা PRINT কপি লয়ে মগরেবের পর পর হাদিছ আলোচনায় অংশ গ্রহণ করলাম।
আমি নিম্নোক্ত হাদিছ তিনটির কয়েকটা কপি তাদেরকে পড়তে দিলাম।
তাদের পড়ার পর আমি বল্লাম , দেখুন হাদিছ গুলী সম্পূর্ণ বিজ্ঞান বিরোধী। এটা কী ভাবে ব্যাখ্যা করতে চান?
তাদের প্রতিক্রিয়া:
১। একজন পাকা ইমান্দার ব্যাখ্যা দিলেন- যে নবীজী কে আল্লাহ সৃষ্টি না করলে এই বিশ্ব ভ্রমান্ড ও সৃষ্টি হইতোনা, অতএব তার বাণী বিজ্ঞানের উর্দ্ধে। তার বানীকেই বিজ্ঞানের উপরে রাখতে হবে।
২। আর একজনে বল্লেন কোরান হাদিছ জটিল বিষয় এটা ঘরে বসে বসে পড়ে বোঝা যায়না।
এটা বিশদ ভাবে বুঝনোনোর জন্যবিভিন্ন মজহাবের ইমাম গনের বই কিতাব পড়তে হবে।
৩। আমাদের ইমাম সাহেব (যিনি এখন আমার একজন বন্ধুর মতই হয়ে গেছেন) তিনি তাদেরকে বল্লেন ,আমার কথা যে, উনি তো এটাই বলতে চাচ্ছেন যেমন (এখানে৩নং হাদিছ)এই মুহুর্তে সূর্যটা এখানে অস্ত যাচ্ছে ,কিন্তু এই সূর্যই এখনই বাংলা দেশে উদয় হচ্ছে। আর সূর্য তো মাত্র একটাই। দুইটা তো আর নয়। তাহলে এই একই সূর্যটা যদি এখন আর্শের নীচে গিয়ে বিশ্রাম লইতে থাকে তাহলে বাংলা দেশে এখন কোন সূর্য টা উদয় হচ্ছে।
তোমরা এটুকুই বুঝতে পারতেছনা কেন?
ইমাম সাহেবের সংগে তারা কোন বিতর্ক করিতে পারে নাই।
ভাইজান, আমি যথেষ্ট আনন্দিত যে অন্ততঃ একজন ও আমার সমস্যাটা হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছে ও আমাকে সমর্থন দিয়েছে এবং তাও একজন মওলানা ও মসজিদের ইমাম।
কী বলেন ভাইজান?
১।BOKHARI BOOK 54#482
482 Narrated Abu Huraira: Allah’s Apostle said, “The (Hell) Fire complained to its Lord saying, ‘O my Lord! My different parts eat up each other.’ So, He allowed it to take two breaths, one in the winter and the other in summer, and this is the reason for the severe heat and the bitter cold you find (in weather).”
২।
BOKHARI BOOK 54
494 Narrated Ibn Umar: Allah’s Apostle said, “When the (upper) edge of the sun appears (in the morning), don’t perform a prayer till the sun appears in full, and when the lower edge of the sun sets, don’t perform a prayer till it sets completely. And you should not seek to pray at sunrise or sunset for the sun rises between two sides of the head of the devil (or Satan).”
৩।অনুবাদ করেছেন মাওলানা আজিজুল হক।
৬.১৯১৭ আবুজর গেফারী (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, একদা আমি সূর্য্য অস্ত যাওয়াকালে হযরত রসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের সংগে মসজিদে ছিলাম। হযরত (দঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আবুজর! জান কি, সূর্য্য কোথায় যাইতেছে? আমি আরজ করিলাম, একমাত্র আল্লাহ এবং আল্লার রসুলই তাহা জানেন। হযরত (দঃ) বলিলেন, সূর্য্য চলিতে চলিতে আরশের নীচে যাইয়া সেজ্দা করিবে এবং (সম্মুখপানে চলিয়া উদিত হওয়ার) অনুমতি প্রার্থনা করিবে। তাহাকে অনুমতি দেওয়া হইবে। কিন্তু এমন একটি দিন নিশ্চয় আসিবে যে দিন সে এইরূপ সেজদা কবুল হইবে না (তথা তাহার সেজদার উদ্দেশ্য পূরণ করা হইবে না)। অনুমতি চাহিবে, কিন্তু তাহাকে ঐ অনুমতি দেওয়া হইবে না। তাহাকে আদেশ করা হইবে—যেই পথে আসিয়াছ সেই পথে ফিরিয়া যাও। যাহার ফলে সূর্য্য অস্তমিত হওয়ার দিক হইতে উদিত হইবে। ইহাই তাৎপর্য্য এই আয়াতের–
“(ইহাও মহান আল্লাহ তায়ালার তৌহীদ ও একত্বের একটি প্রমাণ যে,) সুর্য্য তাহার নির্দ্ধারিত ঠিকানার দিকে চলিতে থাকে; ইহা সর্ব্বশক্তিমান সর্ব্বজ্ঞ আল্লাহ তায়ালারই নির্দ্ধারিত সুশৃঙ্খল নিয়ম।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান, আপনারে হাদিস শিখায়ে কিছু ইমামদেরকে বড় বিপদে ফেলে দিয়েছি বলে মনে হয়। সূর্যাস্তের হাদিস নিয়ে আপনি যে বড় দুশ্চিন্তায় আছেন তা বেশ বোঝা যায়। যে মুসল্লিরে সামনে পান, তারেই জিজ্ঞেস করেন। আপনার এ দুশ্চিন্তা সৃষ্টির জন্য আমি বড়ই ব্যথিত ভাইজান। তবে আপনি যাই বলুন না কেন আমার কিন্তু নিচের উত্তর দুটি মনোমত হয়েছে, কারন সেটাই হলো উক্ত হাদিসের যুক্তি যুক্ত উত্তর-
১। একজন পাকা ইমান্দার ব্যাখ্যা দিলেন- যে নবীজী কে আল্লাহ সৃষ্টি না করলে এই বিশ্ব ভ্রমান্ড ও সৃষ্টি হইতোনা, অতএব তার বাণী বিজ্ঞানের উর্দ্ধে। তার বানীকেই বিজ্ঞানের উপরে রাখতে হবে।
২। আর একজনে বল্লেন কোরান হাদিছ জটিল বিষয় এটা ঘরে বসে বসে পড়ে বোঝা যায়না।
এটা বিশদ ভাবে বুঝনোনোর জন্যবিভিন্ন মজহাবের ইমাম গনের বই কিতাব পড়তে হবে।
আপনাকে সহানুভূতি জানাই এই সব আবর্জনা এতখানি শ্রম আর মেধার অপচয় ঘটিয়ে গিলেছেন তার জন্যে এবং তার সফল উদগীরণের জন্যে অভিনন্দন. তাই অপচয় বলাটা বোধ করি ঠিক হলনা. যে ভয়ঙ্কর, হিংস্র, অবিবেচক ইশ্বরকে জন্ম মাত্রই আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাকে পরম ঘেন্নায় নীরবে ত্যাগ করেছিলাম ১৩ বছর বয়েসে. ভাই গিরিশ সেন অনুদিত সুরা তাওবা আর নিসা পড়ে. এখন ৩২. যেটা বলতে চাইছি তা হলো আপনি সাবধানে থাকবেন. মুশকিল হয় ওদের ভাষায় কথা বলতে আমাদের সংস্কারে বাঁধে. তাই লড়াইটা অনেক সময় বড্ড অকিঞ্চিত্কর আর অসম হয়ে পড়ে. তবে ভালো লাগছে এবং আশা জাগছে কয়েকজন মুমিন পাঠকের মন্তব্যে এখনো তাদের দাঁত আর নখ স্পষ্ট নয়. যা হোক ভালো থাকবেন, আর সাবধানে. আরো লিখুন. শুভ কামনা.
@নিবেদিতা,
সহানুভূতি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রথমত:
মি: আপনার বন্ধুকে আপনি অনেক মিস করেন আর তাকে যদি কেউ কিছু বলে তাহলে কি আপনি চুপ থাকবেন? তেমনি আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসা আস্তিক লোকদের ঈমানের অন্যতম অংশ। তাই তাদের জন্য এহেন মুহুর্তে চুপ থাকার সুযোগ থাকেনা যেমনটি আপনারা আপনাদের বন্ধুদের বিপদের বেলায় করে থাকেন।যদি ও আপনার বন্ধু আপনাকেএ শর্তে বন্ধুত্ব করে নি যে আপনি তার বিপদে তাকেরক্ষা করবেন।
দ্বিতীয়ত:
কোরআনের একটি আয়াত চোখে পড়ল আর বাকী সবএড়িয়ে গেলেন কেন?
আল্লাহ বলেন, তোমরা দারিদ্রতার ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করনা আমি তোমাদের ও তাদের কে রিযিক দিয়ে থাকি।সুরা আনয়াম-১৫১
রিযিকের দায়িত্বতো আল্লাহ নিয়েছেন তাহলে আবার রিযিকের জন্য আপনি এদিক সেদিক ছুটছেন কেন? খাটের উপর বসেথাকেন এমনিতে ই রিযিক চলে আসবে।এক্ষেত্রেপুরোটাই বুঝেছেন যে খা রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর এ অজুহাতে খাটের উপর বসে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে তাই রযিকের সন্ধানে হন্ন হারা হয়ে ছুটছেন।
তৃতীয়ত:
হয়তো বলবেন যে আল্লাহকে ই তো বিশ্বাস করিনা । তাই যদি হয় তাহলে আবার আল্লাহর বানী দিয়ে প্রমান উপস্থান করার অধিকার আপনাকে কে দিল?
চতুর্থ:
হয়তো বলবেন যে না দেখে কিছু বিশ্বাস করি না। তাহলে বলুনতো আপনার বাবা যে আপনার বাবা তা কি আপনি দেখেছিলেন না জন্মের পর আপনার মায়ের কথা বিশ্বাস করে বাবাকে বাবা হিসেবে মেনে নিয়েছেন।
পঞ্চম:
লেখা বিহীন যেমন বইহয় না , ছাত্র শিক্ষক ছাড়া যেমন কলেজ হয় না, তেমনি স্রাষ্টা ছাড়া এ বিশাল পৃথীবি নয়।
এ কথাগুলো আপনার প্রথম টপিকের বিপক্ষে
রাসুল সা: এর উপর যে টপিক তার বিপক্ষে অচিরেই লিখব ইনশাআল্লাহ………
@mamun,
ভাইজান ,
আপনার উল্লেখিত আয়াতগুলো আমাদের নজরে পড়ে না কে বলল আপনাকে ? কিন্তু আপনি তো নিবন্ধের আসল বিষয়ে কিছুই বললেন না। ভাল কথা , নবীকে নিয়ে আজে বাজে কিছু বললে মুমিন বান্দারা তেড়ে আসবে। এ অধিকার তাদের আছে। কিন্তু ভাইজান, গোটা কোরান ও হাদিস জুড়ে যে ইহুদি , খৃষ্টান ও অন্যান্য ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদেরকে হেয় করা হয়েছে, তাদেরকে ইদুর , কুকুর, নিকৃষ্ট প্রানী, পাপী বলে গাল দেয়া হয়েছে , তার কি হবে ? এখন তারা যদি সব একযোগ হয়ে মুসলমানদেরকে ব্লাসফেমির অভিযোগে অভিযুক্ত করে আক্রমন করে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ণ করে দিতে চায়, তাহলে কি তাদেরকে দোষারোপ করা যায় ? এবং একই কারনে ইসলাম ও মোহাম্মদকে নিয়ে যৌক্তিক ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে , তাহলে তাদেরকে কি দোষ দেয়া যায়? কথিত চলচ্চিত্রে নাকি মোহাম্মদকে নারী লিপ্সু বলে ব্যঙ্গ করা হয়েছে, হাদিস থেকে মোহাম্মদের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, সেসব তো মোহাম্মদের নারী লিপ্সাকেই সমর্থন করে। একেবারে বিনা কারনে উস্কানিমূলকভাবে তো ওরা কিছু করেছে বলে তো মনে হয় না। মোহাম্মদ কোরানের নামে অমুসলিমদেরকে অপমান ও গাল দিয়েছে, পাল্টা হিসাবে ওরাও এখন মোহাম্মদকে নিয়ে যৌক্তিক ব্যঙ্গ করছে। আপনি ইটটি মারবেন , কিন্তু পাটকেলটি খাবেন না , তা তো হয় না।
ভাইজান, আসল ব্যপারটি হলো মুমিন বান্দারা মনে করে অমুসলিমদেরকে গাল দেয়া ও অভিশাপ দেয়া তাদের এক চেটিয়া অধিকার। সুতরাং সমস্যাটি আগে বুঝতে হবে ও সেটা স্বীকার করতে হবে। তাহলেই সমাধান পাওয়া যাবে ও তখন দেখবেন ধর্ম নিয়ে কেউ আর মারা মারি কাটা কাটি করবে না।
ভাইজান, লোকটি নারী লিপ্সু কিনা তার বাস্তব সাক্ষ্য দিতে পারে তার সাথীরা বা তার সমাজের লোকেরা।একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন তো যেখানে প্রমান আছে যে রাসুল সা: এর সাথীদের কেহ বা তার সমাজের কোন একটা লোক তাকে একথা বলেছে। বরং তার বিরুদ্ধবাদীরা তৎকালীন সময়ে তাকে যাদুকর পাগল কবি ইত্যাদির মতু অনেক অপবাদ দিয়েছে কিন্ত নারী লিপ্সু বলতে পারেনি বরং তার চরিত্রের সার্টিফিকেট দিয়েছে আল- আমিন বলে। নারী লিপ্সু ব্যাক্তি রা বিধবা বিয়ে করেনা। তিনি ১১ জনকে বিয়ে করেছেন তার মধ্যে একজন কেবল কুমারী ছিলেন বাকীরা সকলে বিধবা ছিলেন। জীবনের প্রথম স্ত্রীর বয়স ৪০ বছর ইতিপূর্বে দুই বিয়ে হয়েছিল যার সন্তান হয়েছিল একাধিক যার জীবন কালে অন্য কোন স্ত্রী গ্রহণ করেন নি এ গুলো কি নারী লিপ্সু র গুন। সত্য কে সত্য বলুন আপনাদের মত মিথ্যা আরবের সেই কাফিরেরা ও বলেনি যারা রাসুলকে হত্যার জন্য ১০০ উট পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।তাছাড়া আপনি হাদীসগুলোর যে অনুবাদ উল্লেখ করেছেন সেখানে অর্থগুলো আপনার মত করেই উপস্থাপনের প্রায়াস করেছেন।রাসুল সা: ক্ষুধার জালায় পেটে পাথর বাধতেন, রুজীর জন্য ইয়াহুদীরদিনমুজুরীরর কাজ করতেন, মাঠে ছাগল চড়াতেন, বৃদ্ধার কাঠের বোঝা পৌছে দিতেন,যদ্ধের ময়দানে রক্ত জরাতেন,রাত জেগে ইবাদাত করতে গিয়ে তার পা ফুলে যেতো এ হাদীগুলো কি আপনি একটু ভাবতে পারেন নি।
দ্বিতীয় যে ব্যাপারটি উল্লেখ করেছেন সে ক্ষেত্রেও সত্যবাদী হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। মুসলমানরা কখনোই বিদ্বষ পরায়ন নয়।সবত্রই তারা উদারতার পরিচয় দেয়। কিন্তু যখন তার জীবনের উপর তার ধর্মের উপর তার বিশ্বাসের উপর আঘাত আসের তখন সে তার প্রতিবাদ করবে এটাই বিবেকবানের ধর্ম।রক্তপাতহীন মক্কা বিজয় এবং নি:শর্ত ক্ষমা ঘোষনা এর জলন্ত প্রমান। ৭০ জন সাহাবীকে নির্মম ভাবে খুন করা হয়েছিল কোন কারণ ছাড়া। ইয়াহুদী মহিলা বিষ মিশ্রিত গোশত খাওয়েছিল রাসুল কে তিনি কোন প্রতিশোধ নেননি । এরকম হাজারো প্রমাণ আছে। কোরআনে ও হাদীসে কোথাও বিধর্মীদের বিরুদ্ধ বিদ্বেষ ছড়াতে বলা হয়নি বরং তা থেকে বারন করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন,” যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকে তোমরা তাদের কে গালি দিও না তাহলে শত্রুতা ও অজ্ঞতা বশত তারা আল্লাহ কে গালি দিবে” সুরা আনয়াম- ১০৮
বরং অনেক ক্ষেত্রে তাদের চরিত্র বর্ণনা করে মুসলমানদের সতর্ক করা হয়েছে।
@mamun,
জীবনের প্রতি হুমকি হলে রক্তপাত হতে পারে, কিন্তু ধর্ম বা বিশ্বাসের উপর আঘাত আসলে রক্তপাতের মাধ্যমে তার প্রতিবাদ করা কোন বিবেকবানের ধর্ম? ধর্মকে না মানা বা কটাক্ষ করার শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান কোরানে রাখা আছে বলেই ধর্মপ্রান মুমিন মুসলমানগন সম্পুর্ন বিবেক বর্জিত হয়ে রক্তপাত ঘটাতে দ্বিধা করেনা বরং সেটা করা ধর্ম পালন করার একটা অংগ বলে বিবেচনা করে।
দয়া করে বলবেন কি মায়েনমারের মুসলমানরা বৌদ্ধ ধর্মের উপর বা তাদের কারো জীবনের উপর এমন কি মন্তব্য করেছিল যার কারনে প্রায় দশ হাজার নিরিহ মুসলিমকে খুন করা হয়েছে।
কোরআনের কোন আয়াতে ধর্ম না মানা আর কটাক্ষ করার শাস্তি মৃত্যু দন্ড দেয়া হয়েছে বল্লে খুশী হব।
ধর্মান্তরিতের বিধান ওটা। আর না হয় জালিমের জুলুমের বিচার।
ধরা যাক আপনার বন্ধুকে কেউ কোন কারণ ছাড়া খুন করল এবং তার বিচারে যদি খুনীকে ফাঁসী দেয় হয় তাহলে তাকি অবিচার হবে?
@mamun,
মায়েনমারের মুসলমানরা কিন্তু ধর্মীয় কারনে খুন হচ্ছেনা, খুন হচ্ছে সামাজিক বা রাজনৈতিক কারনে।
ধর্মান্তরের কারনে মৃত্যুদন্ড কোন বর্বর সমাজের জালিমদের দ্বারাই সম্পন্ন হতে পারে। আর আপনার কথিত জালিমেরা কোন ধরনের জুলুম করেছে বলে আপনার ধারনা যে তার বিচারে শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে?
খুনিকে ফাঁসী দিবে কি যাবজ্জীবন দিবে তা বিচার সাপেক্ষে আদালত নির্ধারন করবে, সেখানে নিজ হাতে আইন তুলে নিবার অধিকার কারো থাকা উচিৎ নয়। আর ধর্মান্তর হওয়া আর খুন করা কি এক জিনিষ হলো?
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার সাথে একমত। আসলে এই তথাকথিত ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসলমানগণ ধর্মীয় মূল্যবোধের লালনের প্রতি যতটা না শ্রদ্ধাশীল, অমানবিক ও পাশবিক আচরণের মাধ্যমে ধর্ম রক্ষার্থে তার চেয়ে বহু-বহু গুণ বেশী সচেতন।
@mamun,
ভাইজান কি অন্ধ নাকি? নিবন্ধে যে সব উদ্ধৃতি দেয়া আছে সেসব কি ইহুদি নাসারাদের লেখা নাকি ? আর কে বলল তার আশ পাশের লোক তার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করত না ? নিচের আয়াতের অর্থ কি ?
কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫০
লোকজন বিরূপ ধারনা করত বলেই সে না আল্লাহর কাছ থেকে ওহী আমদানি। নবী একের পর এক বিয়ে করে যাচ্ছেন, যা নিয়ে ইহুদি খৃষ্টানরা সমালোচনা শুরু করে দেয়। যা শুনে মোহাম্মদের সঙ্গী সাথীরাও সন্দিগ্ধ হয়ে ওঠে , ঠিক তখনই নবী উক্ত আয়াত অর্ডার মোতাবেক আমদানী করেন। নইলে যত ইচ্ছা খুশী বিয়ে করার লাইসেন্স দেয়ার আর কি অর্থ থাকতে পারে , ভাইজান ? নবী তো দুনিয়াতে খালি বিয়ে করতে আসেন নাই, তার মূল লক্ষ্য সত্য প্রচার করা, তাই নয় কি ? তো সেটাই যদি হয় , তার এত বিয়ের দরকারটা কি ? বিধবা বিয়ে করেছেন ঠিকই কিন্তু তারা কি সব বৃদ্ধা ছিল নাকি ? আপনি কি জানেন তাদের বয়স কত ছিল?দয়া করে কি আমাদেরকে জানান যায় সেসব বিধবাদের বয়স কত ছিল ? আমরা যা জানি তা মিথ্য হতে পারে , আপনিই একটু বলুন না আপনার যথার্থ সুত্র থেকে।
মি: ওহী আমদানী করার জিনিস নয়। যেমনটি আপনি করছেন। ওহী আল্লাহ প্রদত্ত এ ক মহা সত্য বাণী। কেবল মাত্র ইনশাআল্লাহ না বলার কারণে ৪০ দিন যাবত ওহী আসা বন্ধ ছিল তা কি আপনি জানেন না। ওহী যদি নবীর ইচ্ছায়ই আসত তাহলে ওহুদ যুদ্ধের প্রাক কালে যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা সমপর্কে কেন ওহী আমদানী হলনা? হুনাইন যুদ্ধের প্রাক কালে কেন আমদানী হল না। এ রকম হাজার ও ঘটনা কি আপনার চোখে পড়ে না? আল্লাহ বলেন: সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত তাহলে আমি তার দক্ষিন হস্ত ধরে ফেলতাম অতপর আমি তার গ্রীবা কেটে দিতাম ” সুরা হাক্কা ৪৪-৪৬
“যে যা খুজে সে তা পায়” একজন নারী লিপ্সু ই আর একজন কে নারী লিপ্সু ভাবেত পারে।তিনি যদি সারাদিন নারীর পিছনেই ঘুর ঘুর করতেন তাহলে তার জীবনের যে এক দীর্ঘ ইতিহাস তা কে করেছে।একিধিক স্রী ্ থাকার পরও জেন শুনে তিনি এক চুল পরিমান অবিচার তার কোন স্রী ের উপর করেন। আর আপনি তো একটারই খবর রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাসলীমা নাসরীন এতদিন পুরুষের মত মহিলাদের যৌন স্বাধীনতার বুলি তুলে বেড়িয়েছে আর এখন আবার কে তার গায়ে হাত দিয়েছিল আর কে তাকে ব্যাবহার করতে চেয়েছিল এ নিয় যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলছে।
এবার জেনে নিন তার স্রীযোগনের বয়স
১। খাদিজা রা: ৪০বছর
২।সওদা রা: ৬৫ বছর
৩।আয়শা রা: ১০ বছর
৪।হাফসা রা: ২১বছর
৫।যয়নবরা: ২৯ বছর
৬। উম্মে সালামা রা: ৩৪বছর
@mamun,
মিঃ খুব মূল্যবান কথা বলেছেন। তবে কোরানের নিম্নোক্ত আয়াতটি একটু পড়ে দেখেন।
ঐ আয়াতটি এই “অহী”এর মাধ্যমে অবতীর্ণ করতে গিয়ে কী ঘটিয়েছেন আল্লাহ পাক,সেটা কি আপনার জানা আছে?
আল্লাহ প্রথমে ভূল করে ফেলেছিলেন এবং এর মধ্যে যে “غَيْرُ أُوْلِي الضَّرَرِ ” যার অর্থ এখানে বাংলায় করা হয়েছে “যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই” করা হয়েছে ,এটা বলতে ভূলে গিয়েছিলেন।
কিন্তু রসুলুল্লাহর পিছনে বসা একজন অন্ধ ব্যক্তি জেহাদে যাওয়ায় তার সম্পর্কের মতামত জানতে চাইলেন , তৎক্ষনাৎ আল্লাহ পাক غَيْرُ أُوْلِي الضَّ (যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই ) এই ব।ক্যাংস যোগ করে পুনরায় পূর্ণ নিম্নোক্ত আয়াত যা বর্তমানে কোরানে আমরা পড়ে থাকি অবতীর্ণ করেন।
আর খবরটি আল্লাহর ও নবীর কোন শত্রু ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসে নাই বরং এসেছে নবীর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাদিছ “বোখারী” হতে।
আপনি কী বোখারীর হাদিছ বিশ্বাষ করেন?
কী সর্বনেসে কথা এই অহীর দ্বারা আল্লাহ পাক কে কী এমন একটি সত্বায় পরিণত করা হয়নাই যিনি মাঝে মাঝে অসম্পূর্ণ, বা ভূল কথা বার্তা বলেন? তার কথা বা সিদ্ধান্তের কোন স্থিরতা নাই?কখনো কখনো আমাদের মত কিছু কিছু বলতে ভূলে যান?
বিশ্বস্রষটা কি কখনো এরুপ দুর্বলতা গুন সম্পন্ন হতে পারেন? তাহলে তিনি এতবড় বিশ্বভ্রমান্ড কি করে চালাবেন?
নীচে কোরানের আয়াত ও হাদিছটা দেওয়া হল।
এবার তাহলে আপনি বিষয়টির একটা সুরাহা করে দিন ?
4;95
لاَّ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُوْلِي الضَّرَرِ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فَضَّلَ اللّهُ الْمُجَاهِدِينَ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ عَلَى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً وَكُـلاًّ وَعَدَ اللّهُ الْحُسْنَى وَفَضَّلَ اللّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا 95
গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জেহাদ করে,-সমান নয়। যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন।
BOKHARI
Volume 6, Book 61, Number 512:
Narrated Al-Bara:
There was revealed: ‘Not equal are those believers who sit (at home) and those who strive and fight in the Cause of Allah.’ (4.95)
The Prophet said, “Call Zaid for me and let him bring the board, the inkpot and the scapula bone (or the scapula bone and the ink pot).”‘ Then he said, “Write: ‘Not equal are those Believers who sit..”, and at that time ‘Amr bin Um Maktum, the blind man was sitting behind the Prophet . He said, “O Allah’s Apostle! What is your order For me (as regards the above Verse) as I am a blind man?” So, instead of the above Verse, the following Verse was revealed:
‘Not equal are those believers who sit (at home) except those who are disabled (by injury or are blind or lame etc.) and those who strive and fight in the cause of Allah.’ (4.95)
ধন্যবাদ আপনাকে এই আলোচনায় যোগদানের জন্য
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান, মামুন ভাই হচ্ছেন ইসলাম মুহাম্মদ পর্ব-১৮ এঁর নায়ক। উনি “আফসোস” নামে পরিচিত ছিল। তবে উনি খোলা মাঠে একাই গোল দিছেন। ভাই উনি অনেক মজার পাবলিক। আমরা সবাই উনার মজা কে উপভোগ করতেছি,চালিয়ে জান।
ভাল থাকবেন। (F)
@network,
আপনি তাহলে ১৮ পর্বের আফসোস সাহেব কে চিনে ফেলেছেন? আমি কিন্তু চিনতে পারিনাই।
তবে আমি বড় আশান্বীত যে উনি আমার পশ্ন গুলীর উত্তর দিয়ে আমাদেরকে তৃপ্ত করিবেন।
দেখা যাক উনি কখন উত্তর গুলী লয়ে হাজির হন।
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জনাব আমি আফসোস আফসোই আছি । মামুন হয়ে যাই নি। আমি আপনাদের ১৮ পর্বটাই একটু ভালো করে পড়েছি। জনান চাকরি করে আর পড়াশুনা করে এসব পাগলামি পড়ার সময় থাকে না। কোরআন হাদীসের উপর আপনাদের যা জ্ঞান আফসোস করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বুঝতে পারছি যে আপনারা কোরআন হাদীস নিয়ে খুব মসিবতেই আছেন। খুব অচিরেই আপনাদের মসিবত দূর হয়ে যাবে। যদিও তখন আরেকটা মসিবতে পড়বেন। ঐ মসিবত থেকে উদ্ধার হওয়ার আর কোন উপায় থাকবে না।
জনাব আমার জানা নেই কত প্রশ্নের জবাব দিলে আপনারা বুঝতে পারবেন। কারন আল্লাহর রাসূল (স) কাফেরদের এমন অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তাঁদের সামনে চাঁদ দ্বিখন্ডিত করে দেখিয়েছেন। পরক্ষনে তাঁরা বলেছে এটা যাদু।
আপনারা কোরআন হাদীস অনেক পড়েছেন। আপনাদের এগুলো জানার কথা। তবে আফসোস আপনারা পড়েছেন কিন্তু কিছুই বুঝেননি। আমি যতটুকু পড়েছি ততটুকু বুঝেছি।
আপনারা কোরআন পড়েছেন। কিন্তু কোরআন আপনাদেরকে পথ দেখাচ্ছে না। কারণ আল্লাহ বলেছেন কেন পথদেখাচ্ছে না।
মোহাম্মদ ও ইসলাম পর্ব ১৮ তে আপনাদের কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলাম । কিন্তু সঠিক কোনো কমেন্ট পাইনি।
আপনারা আল্লাহর কোরআনের আয়াতগুলো বুঝতে পারেন না। এটাতো আল্লাহর দোষ না।
আপনারা কোরআনের তাফসির করতে হলে করার পূর্বে ভালো করে গ্রামার শেখা দরকার । আপনাদের কমেন্ট পড়ে মনে হয়েছে আপনারা গ্রামার বুঝতে পারেননি। আপনারা Voice, Narration, parts of speech ইত্যাদিতে অনেক ভুল করেছেন ।
তবে জনাব সবশেষে একটি কথা আল্লাহ বলেছেনঃ
তবে না পারলে কি হবে পরের আয়াতে জেনে নিবেন। আপনারা তাড়াতাড়ি এ কাজটা করেন। কারন তাহলে আমাদের আর কষ্ট করে নামায পড়তে হবে না। আমরা নামায ছেড়ে দিবো। রোযা ছেড়ে দিবো। নিরক্ষর মোহাম্মদ (স) যদি এরকম গ্রন্থ বানাতে পারে। তাহলে আপনাদের মতো শিক্ষিতরা কেন পারবে না। এতো বড় বড় জ্ঞানীরা পৃথিবীতে আসতেছে। এতো কিছু আবিষ্কার করতেছে। আর একটা কোরআনের আয়াত আবিষ্কার করতে পারবে না এটা কি হয়?
এই কথাটা ভুল প্রমাণ করে দেন। তাহলে আর কোনো যুক্তির দরকার হয় না। কোনো তর্কের দরকার হয়না। আপনিও বেঁচে গেলেন, আমিও বেঁচে গেলাম।
@আফসোস,
অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে আগে ধন্যবাদ টা জানিয়ে লই।
এটা কোথা থেকে পেয়েছেন সেটাও একটু দেখে নিন।
৫৪ নং সুরা কমর এর প্রথম আয়াত। এটাইতো সবচেয়ে বড় প্রমান তাইতো বলতে চান?
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
01
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।
বাক্যটির বলার ভাব ও অর্থের দিকে একটু লক্ষ করুন।
“কেয়ামত নিকট বর্তি হয়ে গেছে চন্দ্রও বিদির্ণ হয়ে গেছে।”
আপনার আরবী ভাষায় অন্ততঃ কিছুটা জ্ঞ্যান থাকলে এটা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এখানে চন্দ্রকে কেহই বিদির্ণ করে নাই। انشَقَّ (এনসাক্কা) এর অর্থ আরবী গ্রামার অনুসারে নিজে নিজেই কোন কিছু বিদির্ণ হওয়া বা ফেটে যাওয়া । এটা এখানে একটি অকর্মক ক্রিয়া পদ আর এর কর্তা পদ হল الْقَمَرُ (কামারু) অর্থ চন্দ্র।
অর্থাৎ চন্দ্র নিজে নিজেই বিদীর্ণ হয়েছে। যদি চন্দ্রকে অন্য কেহ অর্থাত নবীর দ্বারা বিদির্ণ হত তাহলে الْقَمَرُ (কামারু) শব্দটি কর্মপদ হিসাবে আসত ও কর্তা উল্লেখ থাকতো এবং الْقَمَرُ (কামারু) এর উপর “পেশ” না বসিয়া “জবর” বসিত।
আর বাক্যের দ্বিতীয় অংশটি এর বাখ্যা হিসাবে আসতেছে যে চন্দ্র ফেটে গিয়েছে তার কারণ হিসাবে আললাহ বলতেছেন যে কারণ কেয়ামত নিকটে এসে গেছে। অর্থাৎ এটা কেয়ামত নিকটবর্তি হওয়ার একটি আলামত, যার একই বাক্যের মধ্যে জুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখানে আপনার আরো পরিস্কার হবে লক্ষ করুন قْتَرَبَتِ (একতারাবাত) শব্দটিও একটি অকর্মক ক্রিয়া পদ আর এর কর্তা পদ হল السَّاعَةُ কেয়ামত)।
অর্থাৎ নবীজী যে চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করেছেন আল্লাহ তা মোটেই বলতেছেননা।
বরং আল্লাহর এটা একটা বিচ্ছিন্ন বাক্য যেটা কেয়ামত আসার একটা লক্ষন হিসাবে ব্যক্ত করতেছেন।
আল্লাহ পাক কোথাও কোরানে উল্লেখ করেন নাই যে নবিজী কখনো চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করেছেন।
যদি এর দ্বারা নবীর চন্দ্র দ্বিখন্ডনের কথা বলতে চাইতেন তা হলে আল্লাহ পাক এভাবে এটাকে কেয়ামতের সন্নিকবর্তি হওয়ার সংগে সম্পর্কিত করতেননা।
একেবারে সরাসরি ডাক হাক ছেড়ে দিয়ে আললাহ পাক জলদ গম্ভীরস্বরে ঘোষনা দিতেন “তোমরা কি লক্ষ কর নাই আমার প্রেরিত রাসুল তোমাদেরকে চন্দ্র দ্বিখন্ডন ও করিয়ে দেখিয়েছেন?”
কিন্তু দুখের বিষয় আল্লাহ পাক এধরনের.কথা কোথাও বলেন নাই। বলে থাকলে তাহলে দেখাতে পারবেন?
আমার কথা বিশ্বাষ না হলে আপনি
ডঃমুজিবুর রহমানের বংগানুবাদ তাফছীর ইবনে কাছীর এর ১৭ শ খন্ডের ১৭৯ পৃষ্ঠায় এই আয়াতের ব্যাখ্যা টা ভাল করে পড়ে দেখুন?
উনি এটাই আরো পরিস্কার ভাবে বিভিন্ন হাদিছ দ্বারা বুঝিয়েছেন।
আপনি কি তাফছীর ইবনে কাছীর মানেন?
এতবড় একটা নৈসর্গিক ঘটনা যেটা আল্লাহ নিজেও স্বীকার করতেছেননা,
তাহলে আপনি এটা কোথা হতে আমদানী করলেন একটু দেখাবেন কি?
আর এই আয়াতটির ও কি একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা বুঝাইবেন ? এখানে তাহলে কবে কোথায় কেয়ামত সন্নিকবর্তি হওয়ার কারনে চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়ে গিয়েছিল যেটা আল্লাহ বলতেছেন।
এই সেই ঘটনাটারও একটু বাখ্যা দিন?
আপনার সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হবে। তবে একটা একটা করে পরিস্কার হওয়া ভাল নয়কি?
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করার জন্য। আপনি যদি কোন কিছু যুক্তি সহকারে আলোচনায় না আসেন তাহলে তো জ্ঞ্যান অগ্রসর হইবেনা। তখন একটা ভূল ধারনার মধ্যেও থেকে যেতে পারেন।
আবার হারিয়ে যাবেন নাতো?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি ডঃমুজিবুর রহমানের বংগানুবাদ তাফছীর ইবনে কাছীর এর ১৭ শ খন্ডের ১৮১ নং পৃষ্ঠাটাকি পড়েছেন?
এখান থেকে তাফসির মাআরেফুল কোরআন ডাউনলোড করে ১৩১২ নং পৃষ্ঠাটা পড়ুন। ১৩১১ থেকে পড়তে পারলে ভালো হবে।
আর আপনি যে শব্দটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এটা আমি গুগল ট্রান্সলেটরে দেখলাম এর অর্থ বিভক্ত করা অর্থাৎ কেউ বিভক্ত করেছে। যেমন ধরেনঃ ট্রেনটি স্টেশন ত্যাগ করল। এখন ট্রেনটি কি নিজে নিজে করল, না কেউ তাকে করালো?
@আফসোস,
আপনি যে কোরানের আয়াত সঠিক বুঝতে পারেন তার গ্যারান্টি কি ? নাকি নিজেকেই একমাত্র মহা পন্ডিত মনে করেন ?
যেসব তাফসির আমরা পড়ি তা মূলত ইংরেজী ও বাংলা, যারা সেগুলো অনুবাদ করেছে তারা কেউ নিশ্চয়ই মুর্খ বা কাফের নয়। তো মনে হচ্ছে আপনি একজন বিশাল আরবী জানা পন্ডিত , ভাল কথা আপনি নিজেই এখন নতুন তাফসির লেখা শুরু করে দিন।
তার মানে আমরা যে বিপথে রয়েছি এটা আমাদের দোষ না, আল্লাহ নিজেই আমাদেরকে বিপথে চালিত করছে, তাহলে আর আমাদেরকে দোষ দিয়ে লাভ কি ? স্বয়ং আল্লাহই নিশ্চয় চাচ্ছে না যে মানুষজন আর কোরান হাদিস মেনে ৭ম শতকের আরব সমাজ ফিরে যাক, একারনে আল্লাহ আমাদেরকে নিয়োগ করেছে যাতে মানুষ আমাদের লেখা পড়ে কোরান হাদিস বাদ নিয়ে নতুন চিন্তা চেতনায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, কি বলেন ?
@ভবঘুরে,
আমিতো বললামই যে আপনারা কোরআন বুঝেন না। দেখুন আল্লাহ বলেছেন কেন হেদায়েত দিচ্ছেন না। আপনি আল্লাহকে ভয় করেন না, তাই আল্লাহ আপনাকে পথ দেখাচ্ছেন না/ হেদায়েত দিচ্ছেন না। এখানে কি আপনার দোষ না আল্লাহর দোষ। আপনি আপনার বাবাকে গিয়ে বললেন, আপনাকে বাবা বলে স্বীকার করি না। এখন আপনার বাবা আপনাকে কি করবে। আদর করে কোলে তুলে নিবে! নাকি আপনাকে ঘর থেকে বের করে দিবে। তখন যদি বলেন আমার বাবাইতো আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে । আমার কি দোষ? তাহলে আপনাকে আমরা কিইবা বলতে পারি বলেন?
@আফসোস,
আর একটা মসিবতে আমরা পড়ব নাকি আপনারা পড়বেন তাকি একটু গভীর ভাবে তলিয়ে দেখেছেন?
কেয়মতের দিন আল্লাহ আপনাদের কে যদি জিজ্ঞাসা করিয়া বসেন যে “আমি তোমাদেরকে অমুল্য সম্পদ মস্তিস্ক দিয়েছিলাম এই জন্য যে তোমরা জ্ঞ্যান বিজ্ঞান চর্চা করতে থাকবে ও একের পর এক আমার সৃষ্টি রহস্য উন্মোচন করে করে আমার সৃষ্টি রহস্য দেখে দেখে তোমাদের চোখ জুড়াতে থাকবে।
কিন্তু তোমরা তা না করে কেন তোমাদের চিন্তা ও উদভাবন ক্ষমতাকে বর্বর যুগের মধ্যে আবদ্ধ করিয়া রাখিলে?”
তখন কিন্তু আপনাদের কোনই উত্তর থাকিবেনা এবং আল্লাহ আপনাদেরকে আটকিয়ে ফেলবেন,
এবং যারা আল্লাহর সৃষ্ট বস্তু গবেষনা করিয়া করিয়া তার ই সৃষ্ট মানুষের সত্যিকারের উপকারের জন্য প্লেন,কম্পিউটার,টেলি যোগাযোগ, এমনকি বেচে থাকার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানটাও উদভাবন করিয়াছেন,যারা মানুষকে সত্যিকারের আলোর পথে আহবান করেছেন, আল্লাহ তাদের পরেই বেশী সন্তুষ্ট হইবেন।
কাজেই এখন থেকে সতর্ক না হলে পরে আর কোনই সুযোগ পাইবেননা।
আরো পরিস্কার প্রমান দেখুন এদের এই সমস্ত আবিস্কৃত বস্তুর উপর সমস্ত ধার্মিকেরাই পুরাপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
কৈ এই সমস্ত ধর্মিকেরাতো এ কথা কখনোই বলেনা যে আল্লাহ ও নবীর শত্রুদের আবিস্কৃত বস্তু আমরা কখনোই ব্যবহার করিবনা।
এটাকি একটা মস্তবড় ভন্ডামি নয় যে এক মুখে বলব ওরা আল্লাহ ও নবীর শত্রু অন্যদিকে আবার তদেরই আবিস্কৃত বস্তু দ্বরা মসজিদের আজানের জন্য ব্যবহার করব মক্কায় হজ করতেও যাব আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ই আবস্কৃত চিকিৎসা বিজ্ঞানের আশ্রয় গ্রহন করিব, তাদেরই আবিস্কৃত বস্তু দ্বারা দুরের স্বজনদের সংগে মন ভরে কথাবার্তা বলব।
এতবড় ভন্ডামী কেন?
যারা আল্লাহ ও নবীয় শত্রু তাদের তো সব কিছুই পরিহার্য হতে হবে।
কাজেই এখন থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
‘আমি জ্বীন ও ইনসান জাতিকে কেবল মাত্র আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি’’ । আল্লাহ পাকের এই ঘোষনাটাকি আপনি পাননি জনাব? আপনারাতো কোরআন শরীফ অনেক পড়েছেন। তো জানার কথা। কাফের মোশরেকদের তৈরি করা প্লেনে চড়ে হজ্জে যায় । তা মোসলমানরা কি তাদের কাছ থেকে চুরি করে এনেছে না ভিক্ষা করে এনেছে। আমরাতো সকল পন্য কিনে ব্যবহার করি। যে যাই উদ্ভাবন করুন তা সেতো বিক্রয় করে মুনাফা অর্জনের চিন্তা করে । আল্লাহ তো ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদ কে হারাম করেছেন। আমি যদি কষ্ট না করে দু পয়সা খরচ করে ব্যবহার করতে পারি তো আর কষ্ট করার দরকার কি?
আল্লাহ কাহারো শ্রমকেই বৃথা ফেলে দেননা। কাফেররা দুনিয়া লাভের জন্য চেষ্টা করছে তাই তারা দুনিয়াতে অনেক কিছু পাচ্ছে। মোসলমানরা আখিরাতের জন্য কষ্ট করে তাই আল্লাহ তাদেরকে আখিরাত দান করবেন।
@আফসোস
“যেখানেই বন্ধুত্বই করা নিষেধ, সেখানে আবার প্লেন ভারা করতে যায়? ” :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee: :rotfl: লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছে। ভাই এই মুসলিম জাতি এত বড় নির্বোধ জাতি, কখন কি বলে ঠিক নাই। এই জাতিটা অন্ধের মত কোরআন হাদিস বিশ্বাস করে। :rotfl:
খালি মুসলিম দের শ্রম বৃথা দেন। :lotpot:
@আফসোস,
৫৪ নং সুরা কমর এর প্রথম আয়াত। এটাইতো সবচেয়ে বড় প্রমান তাইতো বলতে চান?
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
01
কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।
এখানে আল্লাহ পাক চন্দ্র দ্বিখন্ডনের সংগে নবীর নাম গন্ধটুকুও উল্লেখ করেননাই
বরং এই অবতীর্ণ প্রেক্ষিত বিখ্যাত ও মর্যাদাপূর্ণ হযরত আনাছ (রাঃ) এর নিজ মুখে শুনুন।
ডঃমুজিবুর রহমানের বংগানুবাদ তাফছীর ইবনে কাছীর এর ১৭ শ খন্ডের ১৮১ পৃষ্ঠায় এই এই হাদিছটা আছে।
তাহলে লক্ষ করুন হাদিছ অনুসারেই ঐ আয়াৎ গুলী অবতীর্ণ হয়েছিল যে তৎকালের মানুষেরা
চন্দ্র গ্রহনের বৈজ্ঞানিক কারন জানতোনা।
একারণে তাদের “চন্দ্রের উপর কেহ যাদু করেছে” এই কথা বলা ছাড়া আর কিই বা এর ব্যাখ্যা খুজে বের করতে পারে?
বলুন?
আর যেহেতু সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী সেখানে তাদের মধ্যে শুধু একমাত্রই জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন।
যিনি যে কোন সময়ে যে কোন প্রশ্নের উত্তর তৎক্ষনাৎ ই আল্লাহর কাছ থেকে আনতে সক্ষম ছিলেন, তাই সেটা ওহীর মাধ্যমেই হোক অথবা অহী ছাড়াই হোক।
এক কথায় তিনি মুখ দিয়ে যেটাই বের করতেন সেই টাই মহান স্রষ্টারই বক্তব্য বলে পরগনিত হত।
তাই আল্লাহ পাক তৎক্ষনাত সেই তৎকালীন অজ্ঞ লোকদের চন্দ্র গ্রহনের একেবারে সঠিক কারণটা জানিয়ে দিলেন যে ওটা কারো কোনই যাদুর ফলাফল নয়।
কারন কেয়ামত নিকটে এসে গিয়েছিল, “,আর তাই চন্দ্রও দ্বিখন্ডিত হয়ে গিয়েছিল”
আপনার যদি আরবী ভাষায় সামান্য কিছুটাও দখল থাকে তাহলে ধরতে পারবেন,
ওখানে
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
এর মধ্যে اقْتَرَبَتِ (একতারাবাত) এটা আরবী ভাষার একটি পরিস্কার “অতিত কালের ক্রিয়া পদ” এটা কোন ভাবেই “বিশেষন” পদের নয়।
তাই আরবী গ্রামার অনুসারেই এর অনুবাদ টাও হতে হবে ” কেয়ামত নিকটে এসে গিয়েছিল”
এবং চন্দ্র ও দ্বিখন্ডিত হয়ে গিয়েছিল। এখানে উভয় টাই অতীত কালের ক্রীয়া।
অর্থাত দুইটা ক্রীয়াই ১৪০০ বছর পূর্বে গত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রথম অতীত ক্রীয়া আজও ঘটেনাই অথচ দ্বীতিয় অতিত ক্রীয়াটা আগে আগেই ঘটে গেল?
তাহলে হাদিছ দ্বারা এটাই প্রমানিত হল যে এখানে আল্লাহ পাক চন্দ্র গ্রহনের কারন সম্পর্কে নবীর মাধ্যমে আমদেরকে জানিয়ে দিচ্ছেন যে যেহেতু”কেয়ামত নিকটে এসে গিয়েছিল, “,আর তাই চন্দ্রও দ্বিখন্ডিত হয়ে গিয়েছিল”
আপনি কি বোখারীর হাদিছ বিশ্বাষ করেন? তাহলে কি আপনি বিশ্বাষ করেন যে সূর্য প্রতিদিন পূর্বদিক হইতে উদয় হয়ে পশ্চিমে গিয়ে ডুবে গিয়ে আর সারাটা রাত্র আল্লাহর আরশের নীচে গিয়ে বিশ্রাম লয়ে পরবর্তি দিন সকালে পুনরায় পূর্ব দিক হতে উদয় হয়?
তাহলে অর্থ দাড়াচ্ছে সূর্য দিনের বেলায় বিশ্রাম নিচ্ছেনা, কিন্তু এটা তো তখন কার সমতল স্থির পৃথিবীতে ধরে লইলাম কিছুটা খাটে। কিন্ত এখন তো পৃথিবী হয়ে গিয়েছে গোলাকার ও ঘূর্নায়মান। এখনতো সূর্যকে সব সময়ই দিনের আলো দিতে হয়। এখন তো সূর্য আর ডুবে গিয়ে বিশ্রাম লইতে পারেনা।
চন্দ্রের ঘটনা হল আমরা দুর্ভাগ্য বসত অতিত কালে ঘটার কারণে দেখার সৌভাগ্য হয়নাই।
কিন্তু সূর্যের ঘটনাটা তো আল্লাহ পাক দয়া করে আমাদের দেখার সৌভাগ্য করে দিয়েছেন।
এর পরেও কি আপনি বিশ্বাষ করেন যে পৃথিবীর দিবারাত্র পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলাফল নয়,বরং এটা সূর্য উদয় অস্তের ফলাফল?
কি বলেন?
নীচে তাহলে হাদিছটি স্বচক্ষে দেখে নিন।
মওলানা আজিজুল হকের বোখারীর বঙ্গানুবাদ হতে গৃহিত।
ধন্যবাদ আপনাকে আলোচনায় অংস গ্রহন করার জন্য। ভাল থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি তথ্য গোপন রেখে উদ্বৃতি দিচ্ছেন। যা মোটেও ঠিক নয়। আপনি কোন তাফসির ইবনে কাসীর পড়েন আমি জানি না।
তবে ছবিতে দেখে নিনঃ
আপনি তাফসির ইবনে কাসীর পড়েন, কিন্তু মানেন না । আপনি আপনার তাফসীর দিয়ে থাকেন। জনাব আপনি কোরআনের কয়টা ভুল ধরেন । আমি আপনার চাইতে বেশি ভুল ধরতে পারবো। কিন্তু এগুলো কোনো ভুল নয়। কোরআনের অনেক আয়াত আপনার কাছে মনে হবে ভুল। আপনার আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনেই এটা হয়।
আপনি সূরা বাকারার প্রথম আয়াতের কি তর্জমা করবেন। এর কি তাফসীর করবেন আপনি। না পেরে বলবেন অযথা অর্থহীন কথা কোরআনে আল্লাহ বলেছেন। [img]http://s1357.photobucket.com/albums/q754/faysalahamed/[/img]
আপনারা বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের মূল্যায়ন করেন। অথছ বিজ্ঞান কোরআনের কাছেও পৌছাতে পারবেনা। আপানারা এমন বিজ্ঞান দিয়ে কোরআনের মূল্যায়ন করেন যে বিজ্ঞান প্রায় ছাড়া কথাই বলতে পারে না।
আল্লাহ সপ্ত আকাশ তৈরি করার কথা বলেছেন । বিজ্ঞানতো এক আসমানের কাছেই পৌছাতে পারে নাই। সপ্ত আকাশের খবর কোথা থেকে পাবে। এখন কুলকিনার না পেয়ে বলবেন কোরআন ভুল বলেছে।
আপনি রাসূল (স) মেরাজ বিশ্বাস করেন। যেটা বলা আছে সূরা বনী ইসরাঈলে।
বিজ্ঞানতো এটা প্রমাণ করতে পারবে না কোনদিনও । না মোসলমানরা আপনাদেরকে চোখে দেখাতে পারবে। তো বলেন এটা ভুল বলা হয়েছে।
@আফসোস,
এটা তো খুবই ভাল কথা। তাহলে তো মানব জাতির আর কোনই ঝামেলা ঝুক্কিই থাকলনা।
সারাদিন মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়লেই সবচেয়ে ভাল ইবাদাত হয়।
আল্লাহ ৫০ অক্ত নামাজ দিয়েছিলেন, কেন যে কমাতে কমাতে মাত্র ৫ অক্তে আনলেন? এটা করা বোধ হয় ঠিক হয় নাই।
তাহলে মানব জাতি আজ মসজিদ তৈরী করে করে দিন রাত সেখাতে এবাদতে লিপ্ত থাকলে আর কোন ঝামেলা ঝুক্কিও পোহাতে হতনা আর কোন পাপ কাজেও লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতোনা।
আপনি কি মনে করেন যে আল্লাহ পাকের প্রথমে ৫০ অক্ত নামাজের নির্দেশ টাই সঠিক ছিল?
কারণ তিনিই তো তার সৃষ্ট মানব জাতির প্রকৃতি বেশী ভাল জানেন আর তাই তার জন্য কোনটা বেশী ভাল আর কোনটা বেশী মন্দ তাও তিনি জানেন।
আল্লাহর চেয়ে কি নবী মানুষের ভাল মন্দ বেশী বুঝেন? যে তিনি আল্লাহর নির্দেশ নিজের খুশীমত পরিবর্তণ করিয়ে আনলেন?
আপনি কি বলেন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি ইবাদত বলতে কি বুঝেন? ৫০ ওয়াক্ত নামায পড়লেই ইবাদাত হয়ে যাবে? নামায পড়া যেমন ইবাদাত, নামায না পড়াও তেমনি ইবাদাত। রোযা রাখা যেমন ইবাদাত, রোযা না রাখাও তেমনি ইবাদাত। সূর্য ওঠার সময় নামায পড়লে নেকি না হয়ে গুনাহ হবে। ইদের দিন রোযা রাখলে নেকী না হয়ে গুণাহ হবে। আল্লাহর হুকুম মানার নামই হলো ইবাদাত। যখন আল্লাহর যে আদেশ সে আদেশ মেনে চললেই নাযাত পাওয়া যাবে। মানুষের জীবনের প্রতিটি স্থানেই আল্লাহর হুকুম রয়েছে।
আপনার কি মনে হয় আপনার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আল্লাহ কাজ করবেন।
@আফসোস,
ডঃ মুজিবুর রহমানের ইবনে কাছীরের তাফছীর পাইবেন এখানে।
এর ১৭দশ খন্ডের ১৮২ পৃষ্ঠায় চলে যান (দুখিত,আমার পূর্বের তথ্যটা একটু ভুল হয়ে গিয়েছিল)।
ওখানে গেলেই প্রথমেই পাইবেন
আর দেখতেই তো পাচ্ছেন চন্দ্র দ্বিখন্ডনের সংগে আল্লাহ পাক নবীর নাম বা সর্বনাম কোন কিছুরই সংশ্রব ই রাখেন নাই।
তাহলে আপনারা এই চন্দ্র দ্বিখন্ডনের আয়াতের সংগে কি করে নবীর চন্দ্র দ্বিখন্ডনের কথা ঘোষনা দিয়া আল্লাহ পাকের বানী কোরানের একটা অপব্যাখ্যা খাড়া করিলেন?
এটা কি আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন মনে করেন? আমার তো বিশ্বাষ হয়না এতবড় অপরাধ আল্লাহ ক্ষমা করবেন।
আরো লক্ষ করুন
ওখানে
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
এর মধ্যে اقْتَرَبَتِ (একতারাবাত) এটা আরবী ভাষার একটি পরিস্কার “অতিত কালের ক্রিয়া পদ” এটা কোন ভাবেই “বিশেষন” পদের নয়।
انشَقَّ (এনসাক্কা)ও আরবী ভাষার একটা পরিস্কার অতীত ক্রীয়াপদ। এবং ক্রীয়া পদটির পরেই আরবী গ্রামার অনুসারে তারই কর্তা পদ হিসাবেالْقَمَر (আল কামারু) বসেছে।
এখানে এই ক্রিয়াটির কর্মপদ নাই।
এর তো একেবারেই পরিস্কার অর্থ “চন্দ্র বিদির্ণ হইল”
এর মধ্যে আপনি “নবী চন্দ্র বিদীর্ণ করেছেন” এ আজগুবী কথা এর সংগে কি করে যুক্ত করে কোরানের ভূল অনুবাদ করিলেন?
এর দ্বারা নবীর চন্দ্র দ্বিখন্ডন বুঝাইতে চাহিলে, আপনার আরবী ভাষায় যদি কিছুটা জ্ঞ্যান থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন,
বাক্যটি এরপ হওয়া লাগে– اشقق محممد القمر (এনসাক্কা মুহাম্মাদুন আলকামারা)-
এর পরিস্কার অর্থ দাড়ায় “মুহাম্মদ চন্দ্র বিদীর্ণ করিয়াছেন”
আর তাছাড়া লক্ষ করুন কোন অনুবাদকই ঐ রকম অনুবাদ করেন নাই।
আর তো দেখালামই ছাহাবা এবনে আব্বাছ এই আয়াত গুলী অবতীর্ণ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত সম্পর্কে নিজেই কি সাক্ষ দিচ্ছেন ।
ওটা ওখানে ঢুকে একটু দেখে নিন।
নাকি আপনি ছাহাবী ইবনে আববাছকেও মানেননা।
আপনার কোরান হাদিছ সম্পর্কে এধরনের আজগুবী আজগুবী মন গড়া অনুবাদ আর কি কি আছে, আমাদেরকে একটু জানাবেন?
আপনাকে ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ গ্রহন করার জন্য।
আবার আসুন।
হারিয়ে যাবেন নাতো?
@আফসোস,
তথ্য টি পাইবেনএখানে
ডঃ মুজিবুর রহমানের তাফছীর ইবনে কাছীরের বংগানুবাদ,১৭দশ খন্ড ১৮২ পৃষ্ঠা। ওখানে পাইবেন এই আয়াৎ গুলীর অবতীর্ণ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত (দুখিত পূর্বের সূত্রটি একটু ভূল হয় গিয়েছিল।
ওখানে আছে
লক্ষ করুন নবী চন্দ্র বিদীর্ণ করিয়াছিলেন তার জন্য এই আয়াৎ অবতীর্ণ হওয়ার কথা বলতেছেন না।
নাকি আপনি ছাহাবা ইবনে আব্বাছকেও মান্য করেননা?
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ
কোন অনুবাদেও নবীর বিদির্ণ করার কথা বলতেছেনা।
এখানে انشَقَّ (এনসাক্কা) অতীত কালের ক্রীয়া পদটির পরেই আরবী গ্রামারের রীতি অনুসারে
এর কর্তা لْقَمَرُc বসেছে।
বাক্যটির একেবারেই সোজা অর্থ “কেয়ামত আসিয়াছিল এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হইয়াছিল”
এর সংগে নবীর নাম অথবা সর্বনাম কিছুরই সংস্পর্ষ নাই।
মনে রাখবেন অনুবাদে নিজের ইচ্ছা মত কিছু বাড়ানো কমানো যায়না।
যদি এর সংগে নবীর চন্দ্র বিদির্ণ করার সম্পর্ক থাকিত তাহলে لْقَمَرُ (আল কামারু) এর স্থলে
محممد (মোহাম্মাদুন) বসিত।
এবং বাক্যটি এরুপ হইতো- انشقق محممد القمر (এনসাক্কা মুহাম্মাদুন আল কামারা)
আরবী ভাষায় যদি আপনার কিছুটা দখল থাকে তাহলে এটা আপনি সহজেই ধরতে পারবেন।
তাহলে ফলাফল এই দাড়ালো কোরানের একটি আয়াতের অনুবাদ আপনি নিজের আজগুবী চিন্তা ভাবনার উপর ভিত্তি করিয়া করিলেন।
যারা আল্লাহর কোরানের অনুবাদ বিকৃত করে তাদের জন্য কেয়ামতের দিনে কি ধরনের শাস্তির বিধান আছে তা কি আপনার জানা আছে?
এধরনের আর কত যায়গায় আপনি অনুবাদ বিকৃত করেছেন তাকি আমাদের জানাবেন?
ভাল থাকুন
আলোচনায় অংশ গ্রহনের জন্য ধন্যবাদ।
আবারো আসুন।
আমরা যুক্তি সহকারে আলোচনা করি।
@আফসোস,
হ্যাঁ ঠিকই মনে করতেছেন। আল্লাহর ওয়াস্তে যা করা যায় সেটাই ইবাদত। আর কিছুটা বাদ রাখলেন কেন? তাহলে আমিই বলে দিই শুনে নিন।
“আল্লাহর ওয়াস্তে যদি এই পৃথিবীর সমগ্র অমুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায় তাহলে সবচেয়ে বড় ইবাদত অন্ততঃ কোরান হাদিছের নির্দেশ অনুসারে।”
কী বলেন?
ধন্যবাদ, আবারো আলোচনায় আসুন।
@আফসোস,
আপনারই উদ্ধৃতি-
আল্লাহ পাক আমাদেরকে আসমান কে দেখতে বলছেন। এবং শুধু তাই নয় ওটাকে চোখ দ্বারা দেখে পরীক্ষাও করতে বলছেন যে তে কোন ফাটল দেখা যায় কিনা। কিন্তু আমরা দেখতে পাব এটা এত নিখুত সূষ্টি যে এই আসমানে আমরা একটা ছিদ্র ও দেখতে পাবনা।
আল্ল্লাহর এ কথার দ্বারা এটাও প্রমানিত যে আমরা আছমান কে দেখবার ক্ষমতা রাখি।
আপনার কাছে এ কথাটি কি রকম ধরনের মনে হয়? সতিই কি মানুষের পক্ষে কখনো আসমান বস্তুটাকে দেখা সম্ভব। আসমান কোন বস্তুটি কে বোঝায়?
আপনি কি কখনো এ পর্যন্ত আছমানকে দেখতে পেয়েছেন?
আছমান কে কি আপনি সত্যিই নিরেট ও নিশ্ছিদ্র দেখতে পান নাকি?
আমরা কিন্তু কিছুই দেখতে পাইনা।
যে আসমান নামক বস্তুটি মানুষের দৃষ্টি বহির্ভূত ,যা মানুষ দেখতে সক্ষম নয় ,এবং আল্লাহ সেটা খুব ভাল করেই জানেন, সেই আল্লাহ কি করে বল্লেন মানুষকে আসমানে কোন ছিদ্র আছে কিনা দেখ? বা এত নিখুত সৃষ্টি যে কোন ছিদ্রই দেখা যাবেনা,একেবারে একটি নিরেট পদার্থ হিসাবে দেখা যাবে।
যে বস্তুর অস্তিত্বেরই সন্ধান পাওয়া যায়না তার আবার ছিদ্র দেখা যাবে কি করে?
এটা কি রকম ধরনের কথা হল একটু ব্যাখ্যা করিয়া বুঝাইয়া না দিলে এটা তো একটা নিরর্থক কথায় পরিণত হয়ে যাবে?
আপনি কি চান আল্লাহর বাণী নিরর্থক হয়ে যাক?
@৭।জুয়াইরিয়া রা: ২১ বছর
৮। সফিয়্যাহ ১০৮ বছর
৯।রমলা রা: ৩৭ বছর
১০। মাইমুনা রা: ১৩ বছর
১১। মারিয়া রা:…..
যিনি আরবেদের ভোগের সামগ্রী নারীর মানুষের মর্যদা দিলেন তিনি যদি হয় নারী লিপ্সু তাহলে আমাদের সমাজের যারা নারী অধিকারের নামে নারীকে ধর্ষন করে সেঞ্চুরী করে তাদের পরিচয় টি কি হতে পারে বলবেন কি?
@mamun,
ভাই, কোরান হাদীসে কোন ভাল কথা নেই এমন দাবী কি কেউ করেছে? কোরান হাদীস অন্ধবিশ্বাসের আবেশের বাইরে থেকে বিবেচনা করে বাছলে অনেক ভাল ভাল কথা, জীবন দর্শন পাওয়া অবশ্যই সম্ভব। যে কোন ধর্মগ্রন্থ থেকেই সেটা পাওয়া সম্ভব।
আপনাকে সামান্য চিন্তার খোরাক দেই। ধরা যাক জাতীয় পর্যায়ের একজন দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী বা নেতা, যে বহু টাকা লোপাট করেছে। সে কিন্তু তার নির্বাচনী এলাকায় গেলে দেখবেন যে হয়ত বহু লোককে অর্থ সাহায্য করেছে। এমন উদাহরন আমাদের দেশে অতি সাধারন। এখন এই লোকের যথাযথ মূল্যায়ন কেমন হতে পারে? তার নির্বাচনী এলাকার সাহায্য পাওয়া লোকে যদি বলে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ সবই বিদ্বেষীদের অপপ্রচার তাহলে সেটা কতটা গ্রহনযোগ্য মনে হবে?
আরেকটু স্পেসিফিকে যাই। আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লেজেহোমো এরশাদ সাহেব লাম্পট্যের কারনে অতি কুখ্যাত। উনি কিন্তু অন্যদিকে বেশ কিছু কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাকে অর্থ সাহায্য করেছেন সন্তানদের বিবাহের ব্যাবস্থা করে দিয়ে। এখন সেসব সাহায্য পাওয়া লোকে এরশাদ সাহেবকে ফেরেশতার মত ভালমানুষ সার্টিফিকেট দিলেই কি তা সত্য হয়ে যায়, লাম্পট্যের দায় কেটে যায়?
এসব লোকে সাহায্য যে সব সময় ভোটের কারনে করে তা কিন্তু নয়। দয়া করেই সাহায্য করে।
বটম লাইন হল প্রতিটা মানুষেরই ভিন্ন ভিন্ন রূপ থাকতে পারে, একদম নিখুত আদর্শবাদী হিরো বা শয়তানের মত ভিলেন সিনেমা বই ছাড়া কোথাও নেই, ধর্মগ্রন্থগুলিতেও নেই যদি নিরপেক্ষ চোখে পড়া যায়।
@mamun,
মিঃ
নীচে লক্ষ করুন ছুরা তারিক,৮৬:১-৬
وَالسَّمَاء
এটা হতে উদ্ভূত নিম্ন বর্ণিত কিছু প্রশ্নের ব্যাখ্যা আমাদেরকে দিবেন কি?
১। আল্লাহ পাক কী এতই নীচ ও হীন হয়ে গেলেন, যে তার মূল্যবান বক্তব্যগুলী তারই সৃষ্ট বান্দাদের বিশ্বাষ ধরানোর উদ্দেশ্যে একটার পর একটা কছম খাওয়ার দরকার হয়ে পড়েছে, তাও আবার তারই সৃষ্ট জড় পদার্থের উপর?
২।তার পর এত বার বার কছম খাওয়ার পর কত খানি মূল্য বান কথা গুলি বান্দাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন সেটা কি একটু লক্ষ করবেন?
এত কছম খাইয়া তিনি নবী কে তথা তার বান্দা দেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন:
ক) রাত্রে অন্ধকার আকাশে আসে ওটা “উজ্জল নক্ষত্র”
এর দ্বারা এটা মনে হয় নাকি যে আল্লাহ পাক মনে করতেছেন বিশ্বনবী তথা তার বান্দাগন রাত্রের আকাশের তারকা চিনেনা? এটা আল্লাহ কী করে মনে করতে পারলেন?
আল্লাহ পাকের এই শিক্ষা দেওয়ার পূর্বে কী তার বান্দাগন “তারকা” কি তা জনতোনা?
মনে হচ্ছে নাকি তার বান্দাদেরকে আকাশ সম্পর্কে এর চেয়ে অধিক কিছু জ্ঞ্যানের বিষয় বলবার ছিলনা?
বরং এরোপ্লেন বানিয়ে কী করে আকাশে উড়া যায় সেটা যো বলতেছেননা? অন্ততঃ বিভিন্ন দেশ হতে হজ করতে মক্কায় যওয়ার জন্যও তো এ জ্ঞ্যানটি দিতে পারতেন।
তাহলে আজ মুসলমানদের আল্লাহর শত্রুদের আবিস্কৃত প্লেন চড়ে লক্ষ লক্ষ মুসলমনদে হজে যাওয়ার উপর নির্ভরশীল হওয়া লাগতোনা।
কী বলেন?
খ) এরপর ৬ নং ও ৭ নং আয়াতে কী শিক্ষা দিচ্ছেন একটু লক্ষ করুন ?
‘সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।”
এটাও মনে হচ্ছে মানুষেরা কোরানে আল্লাহ পাক বলবার পূর্ব পর্যন্ত জানতে পারে নাই।
সত্যিই কি তাই?
মানুষের জন্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে এর চাইতে অধিক জ্ঞ্যানের কোন বিষয় বস্তু কি বলবার ছিলনা? জন্মের পৃতৃ ও মাতৃর DNA এর প্রত্যক্ষ সম্পর্কটা কি আল্লাহ বান্দাদের কে অগ্রিম জানিয়ে দিতে পারতেননা?
শুধু তাই নয় ,মাত এই কয়েকটি আয়াতের বর্ণনার মধ্যে আরো প্রকট সমস্যা এসে গেছে। গ
এবার সেটাই লক্ষ করূন-
يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ”
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।”
মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য দিয়ে কী নির্গত হয় বলতে পারেন?
এর একটিই মাত্র উত্তর আছে তাহল “মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য দিয়ে কিছুই নির্গত হয়না, অন্ততঃ মানুষের জন্মের জন্য”
এটাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডঃ মুজিবুর রহমান তার বাংলায় অনুদিত তাফছীর ইবনে কাছীরের ১৮ তম খন্ডের ১২৫ পৃষ্ঠায় ঊল্লেখ করেছেন এখানে পৃষ্ঠদেশ হতে পুরুষের, এবং মেয়ের বীর্জ বক্ষদেশ হতে বাহির হওয়ার কথা বুঝানো হয়েছে।
কিন্ত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে পুরুষের বীর্জ বের হয় testis বা অন্ডকোষ হতে,পৃষ্ঠ দেশ হতে বীর্জ বাহির হওয়ার কোন জায়গাই তো নাই। কী করে তা হলে পুরুষের বীর্জ তার পৃষ্ঠদেশ থেকে বের হয়?
বলুন?
আর জন্মের জন্য মেয়েদের বীর্জ নয় বরং ovum বা ডিম্ব আসে মেয়েদের ovary নামক একটি অর্গান থেকে, যেটা কখনই বক্ষ পিঞ্জরের মধ্যে অবস্থান করেনা,যেটা থাকে তল পেটে।
তাহলে বলুন কী করে জন্মের জন্য মেয়েদের হতে বক্ষপিঞ্জর হতে বীর্জ আসতে পারল?
তাহলে এবার আপনিই একটু ব্যাখ্য করে আমাদেরকে তৃপ্ত করুন।
আপনাকে আমরা পেয়ে ধন্যবাদ।
দয়া করে অপেক্ষা করুন…………
@mamun,
“আল ইন্তেজারুন আসাদ্দু মিনাল মাউত!” অপেক্ষার যন্ত্রণা মৃত্যু থেকেও কঠিন।(আরবি বচন)
কতকাল অপেক্ষা করবো মামুন সাহেব?
আমাদের অপেক্ষায় রেখে আবার পালিয়ে যাবেন না যেন!
@সফ্টডক,
উনি জাকির নায়েকের কাছে জাবেন, কিন্তু ভারতিয় ভিসা যোগার করতে অনেক জামেলা, তাই আর কি ১ টু দেরি হচ্ছে। সবুর করেন, সবুরে মেউ ফলে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজানের কোরান হাদিসে জ্ঞান সত্যি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইবনে কাথিরের তাফসির আপনাকে করে তুলছে অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু ভাইজান, মামুন সাহেব তো আপনাকে চ্যলেঞ্জ দিয়ে রাখল। এখন দেখার বিষয় আপনার প্রশ্নের কি উত্তর উনি দেন। ভাবলাম, মামুন সাহেবকে মোকাবেলা করতে আপনিই যথেষ্ট, তাই কোন প্রতি উত্তর দিতে বিরত থাকলাম।
@ভবঘুরে,
আপনি এটা যোগাড় করে এনেছেন। কোরানের ব্যাখ্যা বুঝার জন্য এটা অত্যন্ত কার্যকরী ও একটা রেফারেন্স দেওয়ার মত উপযুক্ত গ্রন্থ।
দেখা যাক মামুন সাহেব কী ভাবে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।
সম্পূর্ণ একমত। চাকলাদার ভাই অতি অল্প সময়ে “কুরানে বিগ্যান” এর অনেক প্যাঁচ রপ্ত করেছেন। আমি তার মন্তব্য মনোযোগের সাথে পড়ি।
@গোলাপ,
ভাইজান, চাকলাদার ভাই উদারমনা মানুষ হওয়াতে খুব দ্রুতই কোরানিক বিজ্ঞানের জারি জুরি খুব তাড়াতাড়ি ধরে ফেলেছেন। এছাড়া তার পর্যবেক্ষন ও বিবেচনা শক্তিও খুব প্রখর। তার ওপর আরবি ভাষায় ভাল দখল থাকাতে কোরানের আসল ফাক ফোকর ধরা তার জন্য সহজ হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে আমি তাকে কাথিরের তাফসির দেয়াতে উনি বর্তমানে এমন মওলানায় পরিণত হয়েছেন যে অন্য মওলানা দেখা মাত্রই নিজের জ্ঞান টা একটু ঝালিয়ে নেন। তাই তাবলিগ জামাতের পাবলিক দেখা মাত্র বিরক্ত না হয়ে মহা উৎসাহে তাদের সাথে বিতর্ক শুরু করে দেন।
ভবঘুরে ভাই, আপনার লেখা এলেই কপাকপ করে গিলে ফেলি | এই লেখাটি ভালোই লাগলো |যারা হইচই রইরই করছে এক ভাগ লোক জানে না তাদের নবীকে কিভাবে কিসে অপমান করা হয়েছে | যারা ছবি বানায় তারা আলোচনায় এসে আরও হিট হবেন, আর যারা কিছু না বুঝেই লাফালাফি করছে তাদের ব্যবহার করে ইসলামী দলগুলোর ধর্ম ব্যবসা আরও রমরমা হবে |কিছু দিন আগে যিশুকে কটাক্ষ করে ছবি বানানো হয়েছিল |সেখানে যিশুকে গে দেখানো হয়েছিল |খ্রিস্টানরা কিছুদিন হাঁকডাক করে চুপ মেরে যায় |ঈমানদার মুসলিমগন কত দূর যায় কে জানে|তাদের কল্পিত আল্লা তো নিজের কোরান আর দোস্তের সম্মান কিছুই রক্ষা করতে পারলেন না ……
ভাই আপনি রেগুলার লেখেন না কেন? আপনার লেখায় আলাদা ঝাঁঝ আছে
@অর্বাচীন,
যীশুকে নিয়ে বাজে কিছু বললে বা করলে সেটাতেও তো মুমিন বান্দাদের প্রতিবাদ করা উচিত কারন ইসলামে যীশুও তো একজন সম্মানিত নবি। সেক্ষেত্রে তাকে অপমান করলে সেটা তো ইসলামেরও অপমান , তাই নয় কি ? সে ক্ষেত্রে মুমিন বান্দার নীরব কেন?
মুসলমানরা নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করবে এই ভাবনা ভাবাটাও ভুল। তারা যদি নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করতে পারতো, অন্যদের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকত, অন্য ধর্মকে সম্মান করত, সমানাধিকারের মর্যাদা বুঝতো, তাহলে আজকে তাদের কোন অস্তিত্বই থাকত না। শতাধিক বছর আগেই মানুষ ইসলাম ধর্মকে থুথু দিয়ে ভাসিয়ে দিত।
আমেরিকাতে কমিক বইয়ের সুপারম্যান হিসেবে যখন মুসলিম চরিত্রের আমদানী হল, তখন তারা কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল? এ বিষয়ে মুসলিমদের কোন বক্তব্য আমি অবশ্য পাইনি। কেউ যদি একটা লিংক দিতেন, তাহলে পড়তে পারতাম।
@ভবঘুরে
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ডঃ মুজিবুর রহমান সাহেব তার ইবনে কাথিরের বংগানুবাদে ১১দশ খন্ডের ৬৪৩ পৃষ্ঠায় নিম্নরুপ বর্ণনা করিয়াছেন।
“সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে রসুলুল্লাহ বলেছেন {আমি এই মর্মে আদিষ্ট হয়েছি যে আমি লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকব যে পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাশ্য নেই ও মোহাম্মদ (ছঃ) আল্লাহর রসুল এবং তারা ছালাৎ প্রতিষ্ঠিত করে ও জাকাত দেয়।}”
কোরান এবং হাদিছ মিলে মোদ্দা কথাতো এইটাই দাড়াইল যে পৃথিবীতে যতদিন পর্যন্ত অমুসলিম রা বিদ্যমান থাকবে তারা নিশ্চিহ্ন না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সংগে মুসলমানদের যুদ্ধে লিপ্ত থাকিতে হইবে।
এর ফলাফল স্বাভাবিক ভাবে এটাও এসে যায় যে অমুসলিমেরাও যতক্ষন মুসলমানেরা নিশ্চিহ্ন না হয়ে যাইবে তাদের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ করতে থাকবে।
তাহলে বিশ্বে আর শান্তি থাকল কিভাবে। আর অমুসলিমেরা মুসলমানদের আক্রমন করলে তাদের ও বা দোষ দেওয়া যাবে কী করে?
কারন মুসলিমেরা তো ১৪০০ বছর পূর্বেই তাদের বিরুদ্ধে পাকাপোক্ত লিখিত দলিল সহ যুদ্ধ আরম্ভ করিয়া দিয়াছে।
তাহলে ইসলাম যে শান্তির বানী লয়ে আগমন করেছিল দাবী করা হয়ে থাকে সে শান্তি কোথায়?
এতো আরো বেশী অশান্তির সৃষ্টি হয়ে গেল।
ভাইজান, এ সম্পর্কে কিছু বলবেন?
কোরাণ হাদিস থেকে সব রেফারেন্স দিয়ে এরপর আপনি যখন বলবেন মুহাম্মদ ছিল একটা ‘লম্পট’, সবাই ছুটে আসবে তাদের অনুভূতির বাহানা নিয়ে। এখন বলেন, কিছু লোক কেন এই অযৌক্তিক পাবলিকদের ব্যঙ্গ করে মুভি বানাবেনা, কার্টুন আঁকবে না। যে মেসেজ আপনি যুক্তি দিয়ে তাদের কাছে নিতে পারবেননা সেটা অনেক সময় ভিন্ন মিডিয়ামে প্রকাশ করলে বেশী কাজের হবে। আর আপনি যখনই লেখা-লেখির বাইরের মিডিয়াম ওপেন করবেন কিছু রুচিহীন কার্টুন, ভিডিও বানানো হবে। মুসলিমরা যদি বই পড়ে যুক্তির কথা শুনে এতদিনে লাইনে আসত আমরা হয়ত এই ধরণের ভিডিও দেখতামনা। ইনসেনটিভটাই চলে যেত এইসব বানানোর। পুরো সমস্যাটার জন্য তারাই দায়ী, তাদেরকেই এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। মুহাম্মদ সবার দেবতা না, জোর করে তারা এটা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেনা। এটা খুব তাড়াতাড়ি তাদের বোঝা দরকার।
এরপর আপনার জন্যে কোন নারী হালাল নয় এবং তাদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয় যদিও তাদের রূপলাবণ্য আপনাকে মুগ্ধ করে, তবে দাসীর ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন। কোরান, সূরা আল আহযাব-৩৩:৫১
এই সুরাটা কি 33:52 হবে না।
মুভিটি দেখিনি তবে অনেকের কথা শুনে মোটামুটি ধারনা হয়েছে জিনিসটি কী। যে মুভির তারকাগনকে ধোঁকা দিয়ে একটিং করিয়ে মুখের কথা ডাব করে পরিবর্তন করা হয় সেটার পেছনে ধর্ম সংস্কার জাতীয় মহত কোন উদ্দেশ্য আছে মানা যায় না।
সত্য কথা প্রকাশ করতেও রুচির ব্যাপার আসে, আসে ফেয়ারনেসের প্রতি শ্রদ্ধা। সত্য কথা হলেও সেটা কুরুচিপূর্ন ভাবে বা ভাওতাবাজি করে প্রকাশ করলে সত্য প্রকাশ থেকে পেছনের উদ্দেশ্য বড় আলোচনার জন্ম দেয়। নবী মোহাম্মদের চরিত্র নিরপেক্ষ চোখে ইতিহাস ও নানান ইসলামী সূত্র পাঠ করলে এক একজনের কাছে এক একভাবে ফুটবে, সেটাই স্বাভাবিক। সেটা প্রকাশ করার অধিকার তার আছে। তেমনি যে সেই মূল্যায়নে একমত নয় সেটাও তার প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে। দুই পক্ষেরই উচিত রুচি, ফেয়ারনেস এসবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। এখানে কোন পক্ষই সেটা রাখেনি। তবে ক্ষতির দিক চিন্তা করলে ক্ষতি হচ্ছে চরম প্রতিক্রিয়া দেখানো দেশগুলিরই। দাংগা হাংগামা, নিজেদের সম্পদ ধ্বংস এসব ছাড়াও আমেরিকা ইতোমধ্যেই লিবিয়া, মিশর, পাকিস্তানে অর্থ সাহায্য বন্ধ ঘোষনা করেছে।
তবে ইসলামে বিশ্বাসীদের এটা পারলে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করা উচিত তারা বা তাদের ধর্ম অপর ধর্মবিশ্বাসের প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধাশীল, অপরের শ্রদ্ধা পেতে অপরকেও শ্রদ্ধা করতে হয়। অমূকের বিশ্বাস বাতিল, অমুকের মুশরিক তার পরকালে ভয়াবহ শাস্তি, তমূকের পবিত্র গ্রন্থ বিকৃত, কেউ অভিশপ্ত জাতি এসব প্রচার করে যাবেন আর অন্যরা নীরবে হজম করবে এটা আশা করা ঠিক না। অপরের ধর্মবিশ্বাস বাতিল বিকৃত ঘোষনা করা নিজেদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় পড়লে নিজেদের বিশ্বাসের নবী নিয়ে মশকরা ফাজলামি অপরের স্বাধীনতাতে কেন পড়তে পারে না তার গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দরকার।
@আদিল মাহমুদ,
যথার্থ বলেছেন। ইসলামি বিশ্বাসীরা চিন্তা ভাবনা করে না বলেই তো আমাদের লেখালেখি। মুসলমানরা ছোট থেকে বড়ই হয় এ রকম ধারনা নিয়ে যে তারা অন্য ধর্ম গুলোকে যথেচ্ছ সমালোচনা করা যাবে কিন্ত ইসলাম বা মোহাম্মদের সমালোচনা করা যাবে না।সেটা করলেই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়ে যায়। কিন্ত কোরান হাদিস যে অন্য ধর্মগুলোর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধা করে দেয়, সেটাকে তারা অন্য ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত মনে করে না। এর সমাধান কিভাবে করা যায়, সে ব্যপারে কিছু পরামর্শ দিলে ভাল হতো।
@ভবঘুরে,
সমাধান একই ভাবে সহজ, আবার অনেক কঠিন, প্রায় অসম্ভব।
মূল সমস্যা কোথায় সে সম্পর্কে আমার ভাবনা এ বিষয়ে বিপ্লবের পোষ্টে বলেছি। সমস্যা সমাধানের আগে সমস্যা যে আছে সেটা তো স্বীকার করতে হবে, নাকি? সেটা স্বীকার না করে ডবল গেম চালাতে থাকলে সমাধান আসবে কোথা থেকে?
একদিকে বিদ্বেষীরা অভিযোগ করলে চড়া গলায় চেঁচাতে থাকবেন আমাদের বিশ্বাসে অপর বিশ্বাসের কিছু বা কাউকে হেয় করা হয় না আবার নিজেদের আলেম স্কলাররা অপরের বিশ্বাস নিয়ে নানান কটূ কথা বললে তাদের মাথায় তুলে রাখবেন এমন ডবল গেম চালাতে থাকলে কার সমাধান কে করবে। এসবের সুবিধে নেবে অন্য বিশ্বাসের উগ্রবাদীরা, তার ফল কারো জন্যই ভাল হবে না।
দৃষ্টিভংগীর প্রসারতা দরকার সকলের আগে। এবারের মুভি বিষয়ে কিছু ইসলাম প্রিয় ভাইদের কথা পড়লাম, দৃষ্টিভংগী যথারীতি চরমপন্থা থেকে নরমপন্থায় বিভাজিত হলেও একটি বিষয় কেউই আমলে আনেন না। সেটা হল পশ্চীমের বাক স্বাধীনতায় নবী রসূল নিয়ে অবমাননাকর বিষয় বস্তু শুধু ইসলাম টার্গেট করে করা হয় না। হাবভাব দেখলে মনে হয় যে কেবল ইসলাম টার্গেট ভিন্ন পশ্চীমে আর কিছু বানানো হয় না। যীশু খৃষ্টকে নিয়েও খৃষ্ট দৃষ্টিভংগী থেকে যথেষ্ট আপত্তিকর অনেক কিছুই এখানে বানানো হয়। পশ্চীমের আইনে এসব বন্ধ করা যায় না। অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সুযোগ সন্ধানীদের উদ্দেশ্য পূরনের সুযোগ দিলে নিজেদেরই ক্ষতি।
@আদিল মাহমুদ,
দুর্দান্ত মন্তব্য করেছেন। আসলে এটাই সমস্যা প্রথমে সমস্যা চিহ্নিত করে তা স্বীকার করতে হবে তবেই সমাধান পাওয়া যাবে। কিন্তু কাউকে তো সমস্যাকে সমস্যা হিসেবে দেখতেই রাজী না। তাহলে>? সামনে কি মহা প্রলয় অপেক্ষা করছে>? সামনে কি একটা হলোকস্ট অপেক্ষা করছে?
@ভবঘুরে,
সামনে কি ধরনের প্রলয় আছে জানি না, তবে আশংকা হয় যে বড় ধরনের গোলযোগ হয়তবা অপেক্ষা করছে।
ভুলও হতে পারে, কারন অন্য দিক থেকে চিন্তা করলে আমাদের দেশের মত আরো অনেক দেশেই ধর্মের অনেক অমানবিক/প্রাচীনপন্থী কালাকানুন বলতে গেলে আপনা থেকেই বাতিল হয়ে গেছে, কোন রকমের আন্দোলন করতে হয়নি, সেসব নিয়ে গোলযোগও হয়নি। তবে মুশকিল হল বাতিল হলেও অনেকে আবার গোপনে হলেও সেসব কায়েমের স্বপ্ন দেখে, অন্তত বড় সংখ্যক লোকে ধর্মের প্রতি জন্মগতভাবে মোহাচ্ছন্ন হবার কারনে যারা কায়েমের স্বপ্ন দেখে তাদের মুখের ওপর কথা বলতে পারে না, নিজেরা যদিও সমর্থন করে না। এভাবে ধর্মের সাথে কতটা আপোষ করা যায় সেটা কেন্দ্র করে নিজেদের ভেতরেই তৈরী হয়েছে নানান গ্রুপ। কট্টরপন্থী বা মৌলবাদী বলে যারা পরিচিত তারা ধর্মের সাথে কোনরকম আপোষে রাজী না, তারা আবার নরমপন্থীদের সাচ্চা মুসলমান মনে করে না, তাদের মুসলমানিত্ব নিয়েই প্রশ্ন করে। ঈমান্দার ভাইদের বিচরনক্ষেত্রে গেলেও এর প্রমান দেখা যায়। কেউ সামান্য আত্মসমালোচনা করার টোনে গেলেই অমনি তার বিশ্বাসের অথেন্টিসিটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ কারনেই আশংকা হয় যে অবিশ্বাসীরা নিকেশ হয়ে গেলে তখন শুরু হবে নিজেদের ভেতর কাটাকাটি হানাহানি যেমনটা আমরা পাকিস্তানে আজকের দিনে দেখি। মসজিদের ভেতর রক্তের হোলি খেলা।
সহজ সমাধান হল নরমপন্থী বা মডারেট বলে যারা পরিচিত তারাও যদি অন্তত স্বীকার করে নিতেন যে ধর্ম কেন্দ্রিক সব বিধিবিধান সব যুগে মানা যায় না, যুগের সাথে অনেক কিছুই বাতিল হয়ে যায় তাহলে আর মৌলবাদী গ্রুপ সংখ্যায় কম হলেও টিকতে পারত না। মুশকিল হল নরমপন্থীরা এভাবে কথা বলতে রাজী নন, কারন তাহলে আবার স্বীকার করে নিতে হয় যে কোরানের সব বিধিবিধান পালন করা যায় না। এটা কিভাবে করা যায়? তাহলে তো মুসলমান ষ্ট্যাটাস নিয়েই টান পড়বে, পরকালে ভয়াবহ শাস্তি তো আছেই, কোরান অস্বীকার করে পরকালে কিভাবে পার পাওয়া যাবে? অদ্ভূত ও হাস্যকর ব্যাপার হল যে কার্যক্ষেত্রে তারা নিজেরাও কোরানিক বহু বিধান নিজ সমাজে কায়েমের চিন্তা করেন না সহজবোধ্য কারনে। কিন্তু শিশুসূলভ মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সেটা সরাসরি আবার স্বীকার করবেন না। এ এক অদ্ভূত সমস্যা। সোজাসুজি স্বীকার করতেই হবে এমনও না। তবে সরাসরি ধর্মবিশ্বাসের সাথে সমাজ চালনার সম্পর্ক আলাদা করার মত মানসিকতা দেখাতেই হবে, নইলে সামনে কপালে বিস্তর খারাপী আছে।
@আদিল মাহমুদ,
ভাই আপনার উপলব্ধি চমৎকার। অন্তত: সমস্যা সম্পর্কে আপনার ধারনা স্বচ্ছ। কিন্তু সমাধানের বিষয়ে এখনো সংশয়ে আছেন বোঝা যায়। আপনি যাদেরকে নরমপন্থী বা মডারেট বলছেন আসলে তারা ইসলাম ও তার স্থপতি মোহাম্মদ সম্পর্কে খুব বেশী জ্ঞাত নন। তাদের ইসলাম ও মোহাম্মদ সম্পর্কিত জ্ঞান মসজিদের ইমামের বয়ান বা ওয়াজ থেকে আহরিত। তার অর্থ তারা প্রকৃত অর্থেই ইসলাম ও মোহাম্মদ সম্পর্কে গভীর অন্ধকারে আছেন। সমাধানের রাস্তা তাই প্রকৃত ইসলাম ও প্রকৃত মোহাম্মদের স্বরূপকে তুলে ধরা। তাহলেই আস্তে আস্তে তাদের মোহ ভঙ্গ হবে। আর এ স্বরূপকে তুলে ধরতে গেলেই এমন কিছু বিষয় চলে আসে যা প্রকাশ করলে ইসলাম বিদ্বেষী মনে হতে পারে, কিন্তু সত্য প্রকাশ যদি বিদ্বেষ হয় তাহলে তো করার কিছু নেই। এভাবেই শক্তভাবে আঘাত হানতে হবে। শুধুমাত্র বাজার ব্যবস্থা বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মানুষের মন থেকে এ অন্ধকার দুর করতে পারবে না। আমরা সে চেষ্টাই করছি। আমাদের বক্তব্য সোজা , আমরা ইসলামকে অপছন্দ করি , মুসলিমকে নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে ইসলাম ও মুসলমান সমার্থক হয়ে পড়ে , তখন যে কেউ ভুল বুঝতে পারে। আর ইসলামকে অপছন্দ করার কারন , গত ১৪০০ বছরে ইসলাম কোন দেশ বা জাতিকে এমন কোন সমাজ ব্যবস্থা উপহার দিতে পারে নি যার মাধ্যমে মানুষ প্রকৃত অর্থে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পেরেছে বা পেরেছে নিজের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রেখে জীবন যাপন করতে। ইসলাম মানেই হলো আত্ম সমর্পন, মোহাম্মদের কাছে আত্ম সমর্পন। একুশ শতকের কোন সমাজের মানুষ যদি ৭ম শতাব্দির এক গোষ্ঠি নেতার কাছে আধ্যাত্মিক ভাবে আত্মসমর্পন করে বসে থাকে , তাহলে সে সমাজ ৭ম শতাব্দিতেই পড়ে থাকতে বাধ্য, কোন মতেই একুশ শতকের সমাজ ব্যবস্থা তা থেকে সৃষ্টি হতে পারে না। দুনিয়ার মুসলিম দেশ গুলোর দিকে তাকালে সেটা পরিস্কার বোঝা যায়।
@ভবঘুরে,
কে মৌলবাদী আর কে মডারেট সেটার কোন সুনির্ধারিত স্কেল নেই, সবই আপেক্ষিক। মাত্রা ভেদে এই স্কেলে এক এক ধার্মিকের অবস্থান এক এক স্বতন্ত্র পর্যায়। আমাদের দেশে শরিয়া আইন কায়েমের কথা ধর্ম পূঁজি করে চলা দল বিএনপিই মুখের বার করে না। এমনকি যেসব দেশ শরিয়া আইন কায়েম করেছে দাবী করে সেসব দেশেরও শরিয়া আইনের বিধিবিধান মাত্রা এক নয়, কারন আসলে সকলেই শরিয়া+সেক্যুলার জগাখিচুড়ী। যদিও সেক্যুলার শব্দটা এই জগতের সকলের কাছে ঘৃনিত। তবে সুগার কোটিং এর মাধ্যমে এসব ‘অপপ্রচার’ বন্ধ করারও উপায় বার হচ্ছে, যেমন সুদ নিষিদ্ধ এত বছর খবর হয়নি, এখন গবেষনা চলছে কিভাবে সুদের ভিন্ন নাম দিয়ে ইসলামাইজ করা যায়, তাতে সফলতাও আসছে। এক আধুনিক ইসলামি সাইটে দেখলাম হালাল ডেটিং এর ওপরেও বিশাল গবেষনামূলক আর্টিকেল বেরিয়েছে। আপনার কাছে যাদের মৌলবাদী মনে হয় তাদের মাঝেও মাত্রাগত বড় ধরনের বিভাজন আছে। ঈমান্দার ভাইদের সাইটে সামান্য ঘোরাঘুরি করলেই দেখা যায় তাদের মাঝেও পরিষ্কার নানান পন্থী আছে, পরিষ্কার ভাবেই ইসলামের প্রয়োগ এক এক জনের কাছে এক এক মাত্রায়। কারন অত্যন্ত পরিষ্কার, বাস্তবতার প্রয়োযনে কে কতটা আপোষ করতে পারে সেখানে, যদিও সেটা তো আবার স্বীকার করা যাবে না, এর সমাধানও নাই। তাই নিজেদের ভেতর গোলযোগ বাঁধলে তখন আবার আমরা মৌলবাদী মডারেট শিয়া সুন্নী হানাফি সালাফি বলে কিছু নেই, সকলেই মুসলমান বলে বুদ্ধিমান কেউ সমস্যার সমাধান বাতলে দেন। এভাবে সাময়িক সমাধান হলেও স্থায়ী বিভাজন থেকেই যায় এবং হাজার বছর ধরেই আছে। এর মাশুল নিজেদেরই দিতে হয়েছে সবচেয়ে বেশী, উদাহরন এত বেশী যে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও সেই শিশুসূলভ মানসিকতার কারনে মূল কারন স্বীকার করা যাবে না, কিছু আলেম মোল্লা অশিক্ষিত কাঠমোল্লা এসব বলে দায় সারা হবে।
লেখালেখি অবশ্যই চালাতে হবে, সাধারন ধার্মিকদের অলৌকিকতার মোহ না কাটলে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে সরাসরি ষ্ট্যান্ড নিতে পারবে না যেটা আমাদের মত মডারেট খ্যাত দেশগুলির মৌলিক সমস্যা। এসব দেশে মডারেটরাই সংখ্যায় অনেক বেশী, কিন্তু অলৌকিক শাস্তির ভয়, সামাজিক চাপ এসব নানান কারনে তারা মৌলবাদীদের মোটামুটি নীরবে হজম করে যায়। তবে অধৈর্য হয়ে কূটচাল, নোংরামী এসব করলে ফল খারাপ হবে। বুঝতে হবে যে খাঁচায় বন্দী পাখীকেও হঠাত ছেড়ে দিলে সে রাতারাতি উড়ে যেতে পারে না, সে খাঁচার পাশেই ঘোরাঘুরি করতে চাইবে।
এই মুভিটির বিরোধিতা আর কোরানের বিরোধিতা ত একই কথা। কোরানের কাহিনি অনুসারেই মুভি বানান হয়েছে। তোলপাড়কারীরা কি সেটা জানে না?
@তামান্না ঝুমু,
এই মুভিটির বিরোধিতা আর কোরানের বিরোধিতা ত একই কথা। কোরানের কাহিনি অনুসারেই মুভি বানান হয়েছে। তোলপাড়কারীরা কি সেটা জানে না?
(Y)
নুতুন আয়াত নাজিল হয়েছে. সুবানাল্লাহ.
@তামান্না ঝুমু,
না তারা কখনও জানবেনা বা জানার চেষ্টাও করবেনা।চোখ থাকিতে অন্ধ যে জন কিই বা তারে বলি?????????কোরান হাদিস বোঝার থেকে নারকীয় উল্লাসে মানুষ হত্যা অনেক সহজ ও আনন্দময়(ঐ ধর্মান্ধ পশুগূলোর কাছে)।একটু ভালো করে রাষ্ট্রদূত হত্যার ঘটনাটি খেয়াল করুন।দুতাবাস আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রানের ভয়ে ঐ চারজন লোক(রাষ্ট্রদূতসহ) একটি গাড়িতে করে পালাচ্ছিলো ঠিক তখন রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে আমাদের জিহাদি ভাইয়েরা ঐ চার হতভাগাকে হত্যা করতে সফল হল।এ ব্যাপারটিকে কখনইতো খামখেয়ালীপনা বলে মনে হয়না বরং এটা পূর্বপরিকল্পিত বলেই মনে হয়।ইয়ামেনের রাষ্ট্রীয়দূতাবাসের ওপর ও হামলা হয়েছে ভাব খানা এমন আমেরিকা সরকার ঐ ইহুদীদিকে ছবিটি বানানোর জন্য অনুদান দিয়েছে।আমেরিকাতে ছবিটি তৈরী হয়েছে বলেই আমেরিকার রাষ্ট্রদুতাবাসগুলো ধ্ববংস করতে হবে, কি অদ্ভুত যুক্তি!!!!!!!!আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে এই তোল্পাড়ের ভিতর থেকে কোন একটি বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধা আদায় করছে।
গতকাল জুম্মার পরে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব সবাইকে জিহাদি ডাক দিলেন।ধর্ম এখন যায় যায় অবস্থা সুত্রাং আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব এই জীহাদী মিছিলে যোগ দিয়ে মার্কিন পতাকা পোড়াতে হবে।যাইহক বেশীরভাগ সাধারন মুসল্লীদের জিহাদি হবার কোন আগ্রহ দেখা গেলোনা।কিছু মাদ্রাসা পড়ুয়া বালক এবং পাড়ার কিছু বখাটে ছেলে যারা মেয়েদের স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে অফুরন্ত আড্ডা মারে তাদের কিয়দাংশকে দেখলাম চরম উৎসাহে মিছিলে চলে গেলো।আমি যতদুর জানতে পেরেছি মিছিলে তাদের দাবি ছিলো আমেরিকাকে ছবীটার জন্য লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। হায়রে কপাল দোষ কলো কে আর ক্ষমা চাইতে হবে কার!!!!!!!! :-Y
ভাইজান,
কোরান হাদিছের চমৎকার সম্মেলন হয়েছে।
তবে এটা বোধগম্য হওয়া বোধ হয় দুস্কর হয়ে পড়ল,
যেমন নীচের আয়াৎ দ্বয়টি লক্ষ করুন।
এখানে বিশ্ব স্রষ্টা বিশ্বনবীর দাম্পত্য জীবন লয়ে কেন এত বেশী উদ্বীগ্ন?,কেন এত বেশী ঘাটা
করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন? কেন এত বেশী করে সারা বিশ্ববাসীর নিকট প্রচার করে দিচ্ছেন?
এর চাইতে বিশ্ববাশীর মঙ্গলার্থে আর অধিক গুরুত্বের কি কিছু আল্লাহর নিকট থেকে আনবার ছিলনা?
যেখানে বিশ্বে মুসলমানেরা দারিদ্র ও জ্ঞানে সর্বনিম্নস্তরে।
সারাবিশ্বে মুসলমানেরা শহীদ হওয়ার ধোকায় আক্রমন করে করে মার খাচ্ছে এবং নিজেরাও যুদ্ধ করে করে মরতেছে-আর সেখানে কিনা সারা বিস্ববাসির জন্য বিশ্বনবীর একটা অগ্রহনযোগ্য দাম্পত্য জীবনের বিষয় গুলী ঢাক পিটিয়ে বর্ণনা দেওয়াটা অত্যধিক জ্ঞানের ও উপকারী বিষয় বস্তু হয়ে দাড়াল?
নবী তো বরং সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে জেনে,কী করে কম্পিউটার তেরী করা যায়,কী করে টলিভিষন,টেলিফোন তৈরী করা যায়,কী করে চাঁদে ও মঙ্গল গ্রহে যাওয়া যায়, কীকরে লেজার- চিকিৎসা করা যায় এগুলী খুব সহজেই বিশ্ব মানবের মজ্ঞলের জন্য রেখে যেতে পারতেন।
কিন্তু আমাদের নবিজী আমাদের জন্য সেসব কিছুই করে যান নাই, বড় দুখের বিষয় ভাইজান।
আর আজ আমরা সেই গুলী ইহুদী নাছারাদের আবিস্কার করা বিষয় বস্তু গুলী গিলতেছি আর তারাই আমাদের চরম শত্রু।
আর তাদের বিরুদ্ধে নবী আমাদের আজীবন যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে বলেছেন?
বরং যুদ্ধ ঘোষনা করা উচিৎ তো তাদের বিরুদ্ধে যারা মানব জাতিকে বর্বরতা ও অন্ধকারের মধ্যে রাখতে চায় ও ঠেলে দিচ্ছে—ব্যপারটা সম্পূর্ণ উল্টো হয়ে যাচ্ছেনা?
ব্যক্তিগত দাম্পত্য জীবন তো আরো বেশী গোপন রাখার কথা। তারপরে আবার বিশ্বনবীর গোপনীয় দাম্পত্য জীবন।
অন্যদিকে তার নিজ প্রদর্শিত দাম্পত্য জীবন যে তার অনুসারীদের জন্য অনুকরনীয় হবে ,তাও তো হচ্ছেনা।
দাম্পত্য জীবন ই সমস্ত সৃষ্টির মূল। তার সেইটাই যদি অনুসারীদের জন্য চরম ভাবে অগ্রহনযোগ্য হয়ে যায় তাহলে অন্যান্য আনুসঙ্গিক নিয়ম কানুন গুলী কি করে বাধ্যতা মূলক হতে পারে?
যিনি আদর্শবান হবেন,তারপরে আবার কেয়ামত হওয়ার আগ পর্যন্ত সারা বিশ্বের মানবের আদর্শ, তার তো জন্ম লগ্ন হতে আমৃত্যু সব কিছুই অনুকরনের যোগ্য হতে হবে।
তার কিছু রীতি নীতির গ্রহনযোগীতা থাকবে আবার আর কিছু রীতি নীতির অনুসারীদের জন্য গ্রহনযোগিতা থাকবেনা——এটা কী রকম ধরনের আদর্শ হইল?
তাহলে এটাও ব্যাখ্যা করুন?
আপনারই প্রবন্ধের আয়াৎ দ্বয়–
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মক্কা ছেড়ে মদিনায় যাওয়ার পর মোহাম্মদ ক্ষমতার আস্বাদ পান। তখন তার চাহিদাও বেড়ে যায়। বিশেষ করে যৌন বিষয়ে। এর কারন মনে হয় ২৫ বছর বয়েসে ৪০ বছরের খাদিজাকে বিয়ে। মোহাম্মদের বয়স ৫০ যখন তখন খাদিজার বয়স ৬৫,বোঝাই যায় মোহাম্মদের অবস্থা। যাহোক সে তাড়াতাড়ি মরে গিয়ে মোহাম্মদের রাস্তা পরিস্কার করে যায়। তখন শুরু হয় তার একের পর এক বিয়ে। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি সকলের বিশেষ করে ইহুদী খৃষ্টাণদের কাছে দারুন বিসদৃশ ঠেকে। তাদের মুখ বন্দ করতেই কোরানে মোহাম্মদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এত মাতামাতি। বিষয়টাকে ইসলামি পন্ডিতরা দেখে এভাবে যে – এটা ছিল আল্লাহর সাথে মোহাম্মদের বিশেষ সম্পর্কের উদাহরণ।
তারা শুধু চরম শত্রুই নয়, তাদেরকে উঠতে বসতে শাপ শাপান্ত করা হয় যেন তারা অতি দ্রুত গুষ্টি শুদ্ধ ধ্বংস হয়ে যায়।
@ভবঘুরে,
আচ্ছা, তাহলে কি নবি মোহাম্মদ (আঃ) ৫০ বছর পর্যন্ত একাধিক বিবাহ করেন নাই? ২৫ বছর বয়সে হজরত খাদিজা (আঃ) কে বিবাহ করার পর দীর্ঘ সময় তিনি যে হেরাগুহা ধ্যান সাধন করেছিলেন এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?
@শ্যাম সুন্দর,
ভাই আপনাকে একটা প্রশ্ন করি , ইমানে উত্তর দিবেন প্লিজ।
আপনি যদি বেকার হয়ে আপনার চাকুরিজীবি স্ত্রীর আয়ের উপর জীবন যাপন করেন, আপনি কি কল্পনাতেও আর একটা বিয়ে করে আপনার স্ত্রীর ঘরে তোলার সাহস পাবেন ? তো খাদিজা যতদিন জীবিত ছিল, মোহাম্মদের কোন আয় উপার্জন ছিল, বলতে পারেন ? মোহাম্মদ তো খাদিজার অর্থে পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে বসে বসে দিন কাটাতেন, মাঝে মাঝে হেরা গুহায় গিয়ে নির্জনে বসে থাকতেন আর নানা রকম আকাশ কুসুম চিন্তাভাবনা ও কল্পনা করতেন। কথায় বলে না – অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা ? মোহাম্মদের অবস্থাও ছিল অনেকটা সেরকম।
এখন বিষয়টা বিবেচনা করুন। যারা মোহাম্মদের জীবনের এ ঘটনার কথা জানেন না , তারা কিন্তু খুব সহজেই আপনি যেভাবে মোহাম্মদের মহিমা তুলে ধরলেন তাতে অভিভূত হয়ে পড়বেন। আর আপনার মতই বলতে থাকবেন- মোহাম্মদ নারী লিপ্সু হলে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি কেন দ্বিতীয় বিয়ে করলেন না ? দেখুন মোহাম্মদের জীবনের বাস্তব ঘটনা জানা লোকের কাছে এটা বরং তাকে নারী লিপ্সু প্রমান করার জন্য সবচেয়ে বড় প্রমান, আর ঈমানদার বান্দাদের কাছে এটা মোহাম্মদের বিশাল মহত্বের লক্ষন। এখন আপনি কোনটা গ্রহন করবেন ? ওহ হ্যা, মোহাম্মদের বয়স যখন ৫০, খাদিজার তখন ৬৫ আর তখন খাদিজা মারা যায়, আর মোহাম্মদের বিয়ের শুরুটাও এর পর থেকে। আগে নয়। বুঝাতে পারলাম ? ভাইজান একটু মুক্ত মন নিয়ে কোরান হাদিস পড়ুন , আপনি নিজেই সব কিছু জানতে ও বুঝতে পারবেন।
@ভবঘুরে,
বিয়ে না করেও নারী সঙ্গ করা যায়, তার জন্য বিয়ে করে ঘরে তোলার সাহসের প্রয়োজন পরে না, বাস্তবে অনেক কে দেখেছি! পরনির্ভরশীলতার কারণে কি নিজের মধ্যকার প্রবল কাম তৃষ্ণা, নারী-মোহ স্থিতিমিত থাকে? কাম সহজাত প্রবৃত্তি। আর যৌবনকালে যে এর দুর্বার আকর্ষণ কে না টের পাই? যে লম্পট কামুক, সে কি ১ম জীবনে বা যৌবন কালে পরনির্ভরশীলতার কারণে তার মধ্যকার কামকে সংযম করে রাখে?
নবি মোহাম্মদ (আঃ) হাসেমি গোত্রে সম্ভ্রান্ত কোরাইয়াশ বংশীয়, আর তারা ধনবান না দরিদ্র সেটা জানার আগ্রহ রইল? আর তাঁর নবুয়ত্ব প্রকাশের পূর্ববর্তী জীবন সম্পর্কেও ( ০ থেকে ২৫বছর, ২৫ থেকে৪০ বছর)
কি করে সেটা সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল? অধমের বোধগম্য হল না বলে দুঃখিত! অনুগ্রহ করে বুঝিয়ে বললে বাধিত হবো।
মুক্ত মন নিয়ে কোরান হাদিস পড়তে গিয়ে পরি ধাঁধায়! আর মন গেয়ে উঠে লালনের সেই গান “এসব দেখি কানার হাট বাজার” http://www.youtube.com/watch?v=Iv6OGKWA8kQ
মুক্ত মন নিয়ে কোরান হাদিস সঙ্কলন করা হয় নাই। তাই তো নজরুলের মত বলতে ইচ্ছে করে,
“পেটে পিঠে কাঁধে মগজে যা-খুশি পুঁথি ও কেতাব বও,
কোরান-পুরাণ-বেদ-বেদান্ত-বাইবেল-ত্রিপিটক-
জেন্তাবেস্তা-গ্রন্থসাহেব প’ড়ে যাও, যত সখ,-
কিন্তু কেন এ পণ্ডশ্রম, মগজে হানিছ শূল?”
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
@শ্যাম সুন্দর,
আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ঘুর প্যাচ করার অর্থ কি ? আপনি আপনার স্ত্রীর উপার্জনে জীবন যাপন করলে ও তার বাড়ীতে বাস করলে , অন্য একটি বিয়ে করে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে সেই একই ঘরে তোলার সাহস আপনার আছে ? তাই খাদিজা বেচেঁ থাকতে মোহাম্মদেরও সে সাহস ছিল না। অতি সহজ হিসাব।
ধান ভানতে এখানে শিবের গীত গেয়ে লাভ নাই এখানে। কথা হচ্ছে , কোরান হাদিস মোহাম্মদ নিয়ে , পয়েন্টেই থাকেন প্লিজ।
ওই যে আপনি বললেন ৫০ বছর পর্যন্ত বিয়ে করেন নি , এর অর্থ উনি নারী লিপ্সু ছিলেন না । যারা মোহাম্মদের জীবন ইতিহাস জানে না , তারা বিষয়টিকে বিশাল মহত্ব হিসাবে গ্রহণ করবে। কিন্তু যারা জানে তারা বুঝতে পারবে কেন বিয়ে করেন নি , তাদের কাছে এটা একটা বিরাট প্রামান্য ব্যখ্যা হিসাবে গণ্য হবে। বোঝা গেছে? আমাদের কাছে লালন নজরুলের গীত গেয়ে লাভ নেই।
@ভবঘুরে,
কিন্তু কোথায় মুক্ত-মন? মননশীলতায় ‘মুক্ত’ হওয়া কি সহজ বিষয়? মুক্ত মন নিয়ে কোরান হাদিস সঙ্কলন করা হয় নাই।
যে কোন বিষয়ে কিংবা ‘কোরান-হাদিস’ বিষয়ে ‘কোরান-হাদিস’ বলতে আমরা একদল অজ্ঞান, আর অন্যদল বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব; আমাদের বিষয়/বস্তুর মোহের ঊর্ধ্বে উঠে মোহবন্ধন মুক্ত, মোহশূন্য হয়ে নির্মোহ-নিরপেক্ষ-মুক্ত হয়ে চিন্তাভাবনা ও কর্ম করা হয়ে ওঠে না।
ভাইজান, সব কিছুতে লাভ লোকসানের হিসেব করে কি মানুষ চলে? শিবের গীত গাইতে গাইতে ধান ভানতে কারোর কারোর ভাল লাগলে, তো কি করা?
এবার কোরান হাদিস মোহাম্মদ প্রাসঙ্গিক ২/১ টা পয়েন্টে আসছিঃ- এ প্রসঙ্গে আলোচনার পূর্বে বলে নেওয়া ভাল আমার ভাষা জ্ঞান (বাংলা/ইংরেজি/আরবি)খুব সামন্য ও সীমাবদ্ধ আর তা নিয়ে কতটুকু যৌক্তিক আলোচনা করা যায় তা-ই দেখার বিষয়?
কোরানের এ বাক্যটি “ইন্না নাহনু নাজজালনাজ জিকরা অইন্না-লাহু লাহা-ফিজুন-(১৫:০৯)” ‘আনা’ শব্দের অর্থ ‘আমি’ ‘আনা’ শব্দের বহুবচন ‘নাহনু’ যার অর্থ ‘আমরা’ বাংলায় দু’একজন ছাড়া ইংরেজিতে যারা কোরান অনুবাদ করেছেন তারা প্রায়াই সবাই ‘নাহনু’ অর্থ ‘আমরা’ লেখেছেন এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী, এম এস সাকি, মোহাম্মদ পিতথল প্রভৃতি্র নাম উল্লেখযোগ্য।
‘জিকির’ অর্থ স্মরণ-সংযোগ, এর অর্থ ‘কোরান’/ ‘উপদেশ গ্রন্থ’ নয়। ‘কোরান’ বুঝাতে ‘জিকির’ শব্দ ব্যবহার কোরানে কোথাও নাই। কাজেই আপনার উল্লেখিত ভুলানুবাদ আমাদের কাছে গ্রহণীয় নয়। সুতারাং কাগজের কোরান কে আল্লাহ্ যে সংরক্ষণ বা রক্ষা করবেন এ কথা ভিত্তিহীন। আর বাস্তবতাও তাই…।
উপরে উল্লেখিত বুখারির কথা কি বিশ্বাসযোগ্য/গ্রহণযোগ্য? বরং তা অবৈজ্ঞানিক, অবিশ্বাস্য, হাস্যপ্রদ, উদ্ভট, অবাস্তব এবং অসম্ভব কথা!!! ৫০ ঊর্ধ্ব কোন ব্যক্তির পক্ষে রাত ও দিন ব্যপি ১১ জন স্ত্রী সাথে মিলিত হওয়া বা সম্ভোগ করা কি সম্ভব? তাদের কোন কাজকর্ম নাই শুধু সঙ্গম ছাড়া?? ৫০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তির যৌন শক্তি ৩০ জন পুরুষের সমান আবার কি করে হয়? এমন বাস্তব নজির জগতে কি আছে? এটা স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক?
আপনি আপনার ‘ইসলাম ও নারীর মর্যাদা’ নাম নিবন্ধে উল্লেখ করছেন, “তিনি
একাধারে ১৩ টির বেশী বিয়ে করেছিলেন,” অথচ উপরে উল্লেখ্য ১১ জন, কোনটা সত্য?
বর্তমান সমাজের বাস্তবতা দিয়ে যদিও অতীত জীবনকে হয়তো পুরোপুরি নির্ণয় সম্ভব না তবে আংশিক বা সামান্য তো উপলব্ধি করা যায় বটে। কাজেই মিথ্যা দ্বারা কোন দিন কোন সত্য প্রতিষ্ঠিত করা যায় না।
আপনার ধারণা,
বাস্তবে এমন একজন নারী লিপ্সা যৌন পিপাসু লোক দেখাতে পারবেন যে কিনা ৫০ বছর পর্যন্ত একজন স্ত্রী নিয়ে থাকে কিন্তু স্ত্রী মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার হঠাৎ করে যৌনাচার শুরু হয়ে যায়। আপনার ধারণা, “হজরত খাদিজা (আঃ) ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁর জীবিত থাকাকালিন নবীজি(নবীজির ৫০ বছর পর্যন্ত) একাধিক বিবাহ করেন নাই কারণ তিনি তাঁর স্ত্রী খাদিজা (আঃ) উপর নির্ভরশীল ছিলেন যারপরনাই তাঁর সে সাহসও ছিল না।” অথচ আপনি উল্লেখ করেছেন,
যে ব্যক্তি রাস্তায় নারী দেখে নিজেকে সংবরণ করতে পারে না সে ৫০ বছর একজন স্ত্রী নিয়ে কি করে থাকলেন?
‘কুতর্কের দোকান’ খোলা আপনার, আমার এবং আমাদের কারোর কাম্য নয় এবং ইচ্ছে নেই কিন্তু আপনি যে কঠিন সত্য প্রকাশনায় হাত দিয়েছেন তা মিথ্যা ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা…
এবং যেহেতু আপনী নবির জীবন ইতিহাস সম্পর্কে পরিজ্ঞাত সেহেতু যদি সম্ভব হয় আপনি আমাদেরকে বিশেষ করে আমাকে(আমার ই-মেইল ঠিকানাঃ [email protected]) নবীজির (যা আমি ইতিমধ্যে উল্লেখ করেছি) নবুয়ত্ব প্রকাশের পূর্ববর্তী জীবন ( ০ থেকে ২৫বছর ও ২৫ থেকে৪০ বছর ) সম্পর্কে অনুগ্রহ করে প্রকাশ / সুপরিজ্ঞাত করলে কৃতার্থ হবো।
ধন্যবাদ, আপনি ভাল থাকবেন।
@শ্যাম সুন্দর,
আপনার কথা বলার ভঙ্গিমাটা চেনাচেনা মনে হয়। যাক, লেখক তো আর নিজে অনুবাদ করেন নি, নিচে দেখুন-
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
Verily We: It is We Who have sent down the the Qur’ân and surely, We will guard it (from corruption). (কুরান শারীফ)
Indeed, it is We who sent down the Qur’an and indeed, We will be its guardian.
(সহীহ ইন্টারনেশন্যাল)
Verily We: It is We Who have sent down the Dhikr (i.e. the Quran) and surely, We will guard it (from corruption). (মহসীন খান)
উর্দু-ফার্সি কিতাব সমুহেও জিকর শব্দের অর্থ (এই কন্টেক্সটে) কোরান বলা হয়েছে কারণ, এর পূর্বের শব্দ ‘নাজজালনা’ আমি নাজিল করেছি। ‘জিকির’ অর্থ স্মরণ ঠিকই আছে কিন্তু স্মরণ- নাজিল করার কোন অর্থ হয়না। তাই এখানে ‘ইন্না নাহনু নাজজালনাজ জিকরা’ অর্থ ‘ নিশ্চয় আমরাই কোরান নাজিল করেছি’ বুঝানো হয়েছে।
@আকাশ মালিক,
মালিক ভাই, তর্ক খাতিরে বিতর্ক করা উদ্দেশ্য নয় বরং জানার প্রয়োজনে…. আর এক্ষেত্রে আমি দুগ্ধপুশ্য শিশুর মতন।
‘নাজেল’ শব্দ থাকার কারণে ‘জিকির’ শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে ‘কোরান’ হবে কোন যুক্তিতে এটা বোধগম্য হল না? কারণ কোরানে আর কোথাও এ রূপ পরিলক্ষিত হয় কিনা তা আমার অজ্ঞাত।
আপনি উল্লেখ করেছেন, ‘ইন্না নাহনু নাজজালনাজ জিকরা’ অর্থ ‘নিশ্চয় আমরাই কোরান নাজিল করেছি’ এখানে ‘আমরা’ বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?অনুগ্রহ করে ব্যাখ্যা করবেন কি?
ধন্যবাদ, আপনি ভাল থাকবেন।
@শ্যাম সুন্দর,
এটা কি আমাদের দোষ? যারা কোরান হাদিস সংগ্রহ করেছে তারা নিশ্চয়ই আপনার চেয়ে কম ইমানদার নয়। কি বলেন ? আর তারা নিশ্চয়ই ইসলামের ক্ষতি করার জন্য কোরান হাদিস বিকৃত করে যায় নি।
আবেগপূর্ণ উদ্ভট মন্তব্য। আমরা ইসলাম চর্চা করি আবেগ বা অন্ধ বিশ্বাস দিয়ে নয়। আমরা এর চর্চা করি কোরান হাদিসের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ করে, আমাদের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ ভূল হতে পারে স্বীকার করি, সেক্ষেত্রে সঠিক ব্যখ্যা কি হবে তা প্রকাশ করার জন্য তো অপশন খোলা আছে। আপনাদের মত মানুষ সে সুযোগ নিয়ে তো সঠিক ব্যখ্যা করে না। ব্যখ্যা না করে যেটা করে তা হলো – আমাদের উদ্দেশ্যে আবেগপূর্ণ নেতিবাচক মন্তব্য। আমরাও চাই জানতে কোথায় ভুল করলাম সেটা আপনারা ধরিয়ে দিন। ভুল হলে ক্ষমা প্রার্থনা করব। পক্ষান্তরে , আপনারা মনে করেন আপনাদের কোন ভুল হয় না, যেমন হয় নি মোহাম্মদের। অথচ কোরানের পাতায় পাতায় ভুল , উদ্ভট কথাবার্তার ছড়াছড়ি, দেখিয়ে দিলেও আপনার সেটাকে স্বীকার করেন না , কারন আপনাদের বিশ্বাস মোহাম্মদ ভুল করতে পারেন না।
তো সে কথাগুলো কি আমার নিজের কথা ? আপনি বুখারির কথা বিশ্বাস করছেন না , অথচ দাবি করছেন বিশাল ইমানদার। বুখারি তো আর মন গড়া কথা বার্তা লিখে যায় নি। নাকি বুখারি ইহুদি ছিল ? আর বুখারির কথা তথা হাদিস বিশ্বাস না করলে আপনারা যে কোরানটা পড়েন সেটা কিভাবে কোথা থেকে পেলেন তার ইতিহাসটা দয়া করে জানালে বাধিত হবো।
আকাশ মালিক ভাই দেখিয়ে দিয়েছেন যে ভুল অনুবাদ অন্যরা নাকি আপনি করছেন। ধরা যাক আপনার অনুবাদ ঠিক তাহলে আয়াতটি দাড়ায় এরকম-
আমি স্বয়ং এ স্মরণ-সংযোগ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক । কোরান, আল হিজর- ১৫:০৯
তাহলে উক্ত আয়াতটি কি অর্থ প্রকাশ করে , দয়া করে একটু জানাবেন ?
আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে উল্টা উদ্ভট একটা প্রশ্ন করেছেন। আমার প্রশ্নটি নিম্নরূপ, দয়া করে উত্তর দিবেন –
আপনি যদি আপনার স্ত্রীর উপার্জনের ওপর নির্ভর করে তার বাড়ীতেই বসবাস ও জীবনধারন করতে থাকেন, আপনার কি কোনদিন সাহস হবে অন্য একটা নারীকে বিয়ে করে সেই বাড়ীতে উপস্থিত হওয়ার ?
@ভবঘুরে,
এটা তাদের দোষ; যারা কোরান হাদিস সংগ্রহের নামে বিকৃতি আনিছে। আপনার কাছে ‘ইমান’ পরিমাপ করার কোন যন্ত্র আছে, তাহলে মেপে দেখতে পারেন? নজরুল বলেছেন, “নিজের পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি” যদিও আপনার পানে নজরুলের গীত গেয়ে লাভ নেই।
বিকৃতিকারীরা ‘ইসলাম’ নামক বৃক্ষের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢেলেছে।
আপনি নিজে কি বুখারির কথা বিশ্বাস করেন? যা অন্যকে বিশ্বাস করতে বলছেন!
কোরান সঙ্কলনের ইতিহাস মুক্তমনায় আপনি সহ অনেকই তা আলোচনা করছেন সেখানে বুখারি সাথে তার কোন সম্বন্ধ নেই।
আমরা মনে করি, কোরান মানুষকে শ্রেণীবদ্ধ বা ভাগ করেছে দোষগুণ বা ভালমন্দের ভিত্তির উপর যেমন উত্তম পর্যায়ঃ- নবি, রসুল, উলিল আমর, ইমাম, মোমিন, মুসল্লি, আমানু, সাবের, মুসলিম ইত্যাদি । আবার অধম পর্যায়ঃ- মোনাফেক, কাফের, ফাসেক, মোশরেক, জালেম প্রভৃতি এখন বুখারি সাহেব কোন পর্যায় পরে সেটা স্বভাব ধর্মের উপর নির্ভর করবে।
‘কোরান দর্শন’ গ্রন্থে কোরান গবেষক সদর উদ্দিন আহ্মদ চিশতীর মতে,
বর্তমান সময়ের দুই আলোচিত বিষয়ের উপর আপনার এই বিষদ লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।আমি মুক্তমনার নতুন পাঠক,ফেইছবুকে বা বন্দুদের সাথে এসব আলোচনার সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে মন্তব্য করতে পারতামনা ।আপনার লেখা পড়ে অনেক সাহস পেলাম ।এজন্য ধন্যবাদ । (Y)
@নিগ্রো,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য, স্বাগতম আপনাকে মুক্তমনাতে। একটু পড়াশুনা করুন ফাকে ফাকে অনেক অজানা জানতে পারবেন।
@নিগ্রো, যদি কিছু মনে না করেন ভাই, এই নিকটা দয়া করে ব্যবহার করবেন না। অকারণে একটা রেসিস্ট শব্দ ব্যবহার করার কি দরকার বলেন।
@পাভেল মাহমুদ, এই নিকটা আপনার মন্তব্যতেও উপস্থিত 🙂
@****, দুঃক্ষিত। রিপ্লাই দেয়ার সময় খেয়াল করি নাই যে @ র পরে শব্দটা আছে। যাই হোক, আপনার ব্যাপার আপনি কি শব্দ ব্যবহার করবেন।
@পাভেল মাহমুদ, আমি দুঃক্ষিত আপনার কথার অর্থ না বুঝার জন্য । আসলে এই নিক নেমের পিছনে আমার মনে যে জিনিষটি কাজ করেছে তা হলো,আমি আজ প্রায় দশ বছর ধরে সাউথ আফ্রিকাতে আছি ।এখানে সাদাদের ধারা কালোদের উপর নির্মম অত্যাচারের যে কাহিনী শুনেছি এবং এখনও সাদারা কালোদের যে অবহেলার চোখে দেখে তা খুবই বেদনা দায়ক ।স্বাধীনতার আগে এদেশের কালোরা এতোই অবহেলিত ছিল যে,বিকেল পাঁচটার পর তাদের শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । ক্ষেত-খামার সম্পূর্ণ শেতাঙ্গতের দখলেই ছিল ,কালোরা হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও পারিশ্রমিক মিলত খুব নগণ্য ।তাছারা শাররিক নির্যাতনের স্বীকার হতো তুচ্ছ কুনো ভুলের জন্যও। স্বল্প পরিসরে এর চিত্র তুলে ধরা সম্ভব নয় ।ম্যান্ডেলা দেশের জন্য যে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাতো সবারই জানা ।আফ্রিকাতে লক্ষ বাঙ্গালী আজ স্বাধীন ভাবে ব্যাবসা-বানিজ্য,কাজ করে যাচ্ছে ।আপনি বিশ্বাস করবেন না কালোরা আমাদের যে সম্মান দেয়,আমরা আমাদের স্বজাতিকেও হয়তো এত সম্মান দেইনা ।৯০ এর দশকে যারা সাউথ আফ্রিকাতে এসেছিলেন তাদের মুখ থেকে শুনিছি সাদারা বহিরাগতদের সাথে খুবই খারাপ ব্যাবহার করতো ।তখন বিদেশীদের ব্যাবসা করা খুবই দুঃসাধ্য ছিল ,সাধারনত রাস্তায় ফেরী করাই ছিল আয়ের উৎস । আফ্রিকা হতে মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে যাচ্ছে তার বদলউত এই নিগ্রোরাই (কাল)।শেতাঙ্গরা কালে-বদ্রে আমাদের দোকান হতে কেনাকাটা করে ।যদি আবার কখনো শেতাঙ্গরা এ দেশের ক্ষমতায় আসে তাহলে লক্ষ বাঙ্গালির কপালে কি হবে ভাবতেই ভয় লাগছে ।মোট কথা কৃষ্ণাঙ্গের সাথে আমার একধরনের শক্যতা হয়ে গেছে ।তবে আমার নাম প্রথমে কালা রাখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমার এক বড় ভাই যিনি মুক্তমনা সহ মুক্তচিন্তার আমার পথ প্রদর্শক তাঁর পরামর্শেই নিগ্রো নাম করণ ।ভবিষ্যতে মুক্ত মনায় সাউথ আফ্রিকার বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকদের নিয়ে কিছু লেখার আগ্রহ আছে ।সবশেষে আপনাদের ছুঁয়ায় এসে নিজেকে ধন্য মনে করছি ।ধন্যবাদ (Y)
যেই আমেরিকার উপর এত রাগ, সেই আমেরিকার ভিসা পাইলে এইসব মুমিন রা এখনি নাচতে নাচতে চলে আসবে. ঢাকায় মাইকে কখনো ওয়াজ শুনেছেন? ঐসব ওয়াজের অর্ধেক তা থাকে অন্য ধর্মের গালি-গালাজ. তখন ঐসব মুমিন রা বলে এটা নাকি তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা..
@প্রত্যয়,
এটাই হলো মুমিন বান্দাদের স্ব বিরোধীতা। এদের কোন লজ্জা শরম মান ইজ্জত বোধ নেই। মোহাম্মদের কাছে তারা এসব জমা করে রেখেছে।