যে যায় লংকায় সে ই হয় রাবন !
সমরেশ বৈদ্য
‘যে যায় লংকায় সে ই হয় রাবন’ এমন একটি প্রবাদবাক্য প্রচলিত আছে আমাদের সমাজে। কিন্তু সেই প্রবাদবাক্যটি যে গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের বেলায় ঘটে যাবে তা বুঝতে একটু দেরি হয়েছে এদেশের জনগনের। ক্ষমতায় আসার আগে বিগত সরকারের সময়কালে যেসব অন্যায়, অবিচার, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনায় মুখর থাকে আমাদের দেশের প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু এসব বলে- কয়ে আমজনতাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ভোটটি নেয়ার পর যেন শুরু হয় ক্ষমতার আসল চেহারা। এসব দেখার জন্যই কি এদেশের জনগন বার বার ক্ষমতার পালাবদল করতে আন্দোলনে নামে, প্রান দেয় অকাতরে ?
তবে বর্তমান সরকারের কাছ থেকে সম্ভবত: ‘ রাবনের’ আচরণ আশা করেনি কেউ যারা তাদেরকে ভোটদিয়ে নির্কংুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। হিন্দু পৌরাণিক উপাখ্যান রামায়নে রাবনের যে বর্ননা আছে তা আর নতুন কওে ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। ভোটের আগে আওয়ামীলীগ র্যাবÑ– পুলিশ – সেনা বিডিআরসহ অন্য যেকোন বাহিনীর হাতে নির্বিচারে, বিনাবিচারে খুনের ঘটনাকে প্রচন্ড বিরোধীতা করেছে। শুধু বিরোধীতাই নয়, সরকার গঠন করতে পারলে সবধরনের বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড বন্ধসহ প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করারও আশ্বাস দিয়েছিল। আমাদের মত সাধারন বোকা মানুষরা তাতেই বিশ্বাস করেছিলাম। বর্তমান সরকারের প্রথম ৯ মাসেই তথাকথিত ‘ক্রসফায়ার, লাইন অফ ফায়ার, এনকাউন্টার’ সহ নানাবিধ নির্যাতনে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০৯ জন।ব্যাবহারিক প্রয়োগে সরকারি মন্ত্রী মহোদয় ও এসব ঘটনা যারা ঘটান সেসব কর্মকর্তাদের মুখনিসৃত নতুন নতুন শব্দভান্ডারের তোড়েই উবে যায় সবধরনের মানবাধিকার।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু’র দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতেই সংবিধানসম্মতভাবে আইন শৃ্খংলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে। পাখির মত মানুষকে এভাবে হত্যা করাটা নাকি সংবিধানসম্মত ! কিšতু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, আর কোনো ক্রসফায়েিরর ঘটনা ঘটবেনা। সেদিন মানণীয়া প্রধানমন্ত্রীর মুখে একথা শুনে আশ্বস্ত হয়েছিলাম এজন্য যে, তিনি সেদিন সংসদে অত্যন্ত জোরালো ভাষায় এসব বিচারবহি:ভুত হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেযা হবে। হা হতোস্মি ! বৃথা সে আশার বাণী। চরম করুণ বাস্তবতা হলো তথাকথিত ‘ক্রসফায়ার, লাইন অফ ফায়ার, এনকাউন্টার’ সহ নানাবিধ নির্যাতন চলছেই। কোন বাহিনীর হাতে কতজন মারা গেছে বেঘোরে তার হিসেব দিতে গেলে পরিসংখ্যানই ভাড়ি করা হবে ।শুধু এটুকু বলতে পারি কিছুদিন আগেও যেসব রাজনীতিবিদ, মন্ত্রীরা এসব বিচারবহি:র্ভুত হত্যাকান্ডকে মানবাধিকার লংঘন ও এর বিরুদ্ধে স্চ্চোর ছিলেন তারা এখন উল্টো সাফাই গাইছেন এর পক্ষে।
গত ৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, এর সবকিছুই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি বাহিনীর সাধারন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে। তাতে আইনের শাসনের ব্যাঘাত হওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠেনা এমন দাবি করে তিনি আরো বলেছেন, আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারি বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত এবং এটি চলমান প্রক্রিয়া যা চলতেই থাকবে।
এব্যাপারে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের কাছে সরকারের অবস্থানের ব্যপারে জানতে চাইলে এই মন্ত্রী দাবি করেছেন, আইন অমান্য করে কোন ঘটনা ঘটেনি। সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে থাকে, সন্ধ্যার পর তাদেও বিচরন বেশি, সেই কারনে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী যদি কাজ করতে গিয়ে বাঁধপ্রাপ্ত হয়, তখন তারা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিতেই পারে, এটা সংবিধান সম্মত এবং তারা হয়ত ২/১ টা ঘটনা ঘটাতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী গঠিত হয়েছে। তাদের দিক নির্দেশনা সরকার, সংবিধান দিয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করে এবং কাজ করবে। তবে পাশাপাশি তিনি বলেন, এরপরও যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
তবে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর চেয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে একই দিন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান দাবি করেন, ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারে কোন সন্ত্রাসী নিহত হলে আতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় না। প্রেম প্রীতি দিয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেযা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, আপনারা যে যেভাবেই মনে করেন না বন যে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, কিন্তু কোরআন হাদিসেও আছে, ১০ জনের শান্তিও জন্য একজনের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
আমাদের মন্ত্রী মহোদয়গন প্রায়শ: সংবিধানের দোহাই দেন এসব মানবাধিকার বিরোধী কর্মকান্ডকে সমর্থনের জন্য । কিন্তু গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেম সরকারের যে সংবিধানের দোহাই তারা দেন সে সংবিধান কি এসব বিচার বহি:র্ভুত হত্যাকান্ডকে সমর্থন করে? অথচ আমাদের সংবিধানেই বলা আছে আইন সব নাগরিকের জন্য সমান । সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত ৩১ অনুচ্ছেদে যা লেখা আছে তার দিকে একটু নজর দিতে অনুরোধ করি আমাদের মাননীয় মন্ত্রীদের। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষত: আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যাইবে না, যাহাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা , দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’
নাকি আমাদের মন্ত্রীবর্গ সংবিধানের এই ধারার মধ্যেও আইনের ফাঁকফোঁকর খুজতে থাকবেন? তা তারা খুঁজতেই পারেন। ক্ষমতায় না থাকলে এসব কর্মকান্ড অসাংবিধানিক, অবৈধ, অগনতান্ত্রিক, মানবাধিকার বিরোধী ইত্যাদি ইত্যাদি বিশেষনের তুবড়ি ওড়াবেন। কিন্তু এর সবকিছুই বেমালুম ভুলে যান তারা ক্ষমতার মসনদে বসে। আগে যা যা বলেছিলেন তার বিপরীত কথাই বলতে থাকেন সমস্বরে । কি অদ্ভুত বৈপরীত্য কথা আর কাজে। আমি যতটুকু জানি আমাদের যে দু’জন মন্ত্রী তথাকথিত ‘ক্রসফায়ার, লাইন অফ ফায়ার, এনকাউন্টার’ এর স্বপক্ষে এত সোচ্চার এখন তারা বা তাদের দলের বা তাদেও নিকটাত্মীয়দের কেউ যদি বিগত সরকারের আমলে এই তথাকথিত ‘ক্রসফায়ার, লাইন অফ ফায়ার, এনকাউন্টার’ এর শিকার হতেন তাহলে কি বলতেন ?
মন্ত্রীদের যুক্তিঅনুযায়ী এর সবই বৈধ। স্বাভাবিকভাবে এখন আতঙ্কিত থাকি কখন আবার আমাদের মত যারা এসব অবৈধ হত্যাকান্ডের বিরোধীতা করি তাদের কাউকে না কাউকে আবার এর শিকার হয়ে বেঘোরে প্রান দিতে হয় ! কারন স্বয়ং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু’র দাবিকৃত, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী যদি কাজ করতে গিয়ে বাঁধপ্রাপ্ত হয়, তখন তারা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিতেই পারে, এটা সংবিধান সম্মত এবং তারা হয়ত ২/১ টা ঘটনা ঘটাতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী গঠিত হয়েছে। তাদের দিক নির্দেশনা সরকার, সংবিধান দিয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করে এবং কাজ করবে।’ তাহলে তাদের পছন্দ না হলে যে কোন সময় যে কাউকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাদের ভাষ্যানুযায়ী ‘ আইনানুযায়ী ও সংবিধান অনুযায়ী’ এধরনের ব্যবস্থা নিলে কিছুই করার থাকবেনা !?
আমাদের মান্যবর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও নৌ পরিবহন মন্ত্রীর সুমধুর বাণী আমাদেরকে আবারো সেই বিগত অনির্বাচিত অগনতান্ত্রিক সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্বাবধায়ক সরকার ও বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময়কার বিভীষিকার কথাই স্মরন করিয়ে দেয়। তাহলে বর্তমান নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দিনবদলের অঙ্গীকার গনতন্ত্র মানবাধিকার রক্ষার যে আশার বাণী, প্রতিশ্র“তি দিয়ে সরকার নির্বাচিত হয়েছে তার আচরনও আগের দু’টি সরকারের মতোই হয় তাহলে আমাদের মতো সাধারন মানুষেরা কোথায় স্বস্তি খুঁজে পাবো জানিনা। কার কাছে আশ্রয় চাইবে মানুষ ?
# ১৩ অক্টোবর, ২০০৯ইং, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
*সমরেশ বৈদ্য –সংবাদকর্মী, email— [email protected]
যার নয়ে হয় না তার নব্বইতেও হয় না।
আগের প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের সাথে পার্থক্য আগের সরকার কোন অভিযোগ স্বীকার করত না, কেউ অভিযোগ করলেই দেশের, ইসলামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দালালদের ষড়যন্ত্র দেখত; আর এই সরকার প্রধান পত্রিকায় দেখে দূঃখ পান তবে কিছু করতে পারেন তেমন কোন লক্ষন দেখান না।
খুব সত্যি কথা!
এখন কথা, বাংলাদেশের সাংসদদের ও তাদের পুএদের এই রাক্ষসসভাব
কবে বন্ধ হবে? আর দলীও লোকদের টেণ্ডারবাজি!
নাকি সরকার ও প্রশাসন সব দেখেও না দেখার ভান করছেন!
দেশের পনেরকোটি অনেক আশায় দিন গুনছে!
প্রধানমন্ত্রি ও তারদল তা কি পূরণ করবেন!
আওয়ামিলীগের কাছে যারা অনেক কিছু আশা করেছিলেন তারা এখন প্রতারিত হবার মনবেদনায় ভুগতেই পারেন। কিন্তু ভাবুনতো এর কোন বিকল্প জনগনের সামনে ছিলো কিনা ? ছিলো না। একটি নিখূঁত প্রতারনার জালে জনগন আজকে বন্ধী। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগন কেবল নির্ধারন করতে পারে তারা বাঘের পেটে যাবে না কুমীরের পেটে যাবে। এই ব্যাবস্থাকেই গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা বলে চালিয়ে দেবার জন্য একটা প্রানান্ত প্রয়াস খুদখোর বুব্দিজিবী থেকে শুরু করে ভাড়াটিয়া বা বিবের বন্দকরাখা শিল্পী, সাহিত্যিকদের মধ্যেও দেখা যায়। গনতন্ত্র বলতে পাঁচ বছর অন্তর একটা নির্বাচনের আয়োজন করার মধ্যে দিয়ে জনগনকে ধর্ষণ প্রক্রিয়ার একটি নিয়ম মাফিক পালা বদল ঘটান হয়ে থাকে। নির্বাচিত সরকার হলেই যদি গনতান্ত্রিক সরকার হয়ে যায় তবে হিটলার, মুসোলিনির সরকারকেও গনতান্ত্রিক সরকার বলতে হবে। কিন্তু যে কারনে আমরা হিটলারদের গনতন্ত্রী বলি না সেই একই কারনে আমাদের নির্বাচিত সরকারগুলও গনতান্ত্রিক সরকার না। এখানে পার্থক্য কেবল মাত্রাগত।
বৃটিসরা তাদের ঔপনিবেশিক শাসণ ও শোষন অব্যাহত রাখার জন্য যে সব প্রশাসনিক ব্যাবস্থার অবতারনা করে গেছে আজ পর্যন্ত তার মৌ্লিক কোন পরিবর্তনের তাগিদ কোন নির্বাচিত সরকার অনুভব করেনি। কারনটা আপনি আপনার শিরনামেই বলেছেন- যে যায় লংকায়, সেই হয় রাবন। ক্ষমতার গদিতে বসামাত্র জনৈক ব্যাক্তি বা ব্যক্তিবর্গের চোখদিয়ে ততকালীন ইংরেজ শাসক গোষ্ঠির প্রতি কৃ্তজ্ঞতার অশ্রু লাগাতার গড়িয়ে পড়তে থাকে। কারন ইংরেজ গুরুরা এমন এক স্বর্গীয় বিধান করে রেখে গেছেন যা দিয়ে কোন জবাব দিহিতা ছাড়াই যা খুশি তাই করা যায়। কেবল সেনা বাহিনির বড় জেনারেলদের লুটের একটা অংশের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারলেই কূঞ্জবন। সাধারন সৈনিকরা শান্তি মিশনে যাবার জন্য এতটাই সুবোধ যে সাত চড়ে রা করেনা অবস্থা। এমন দেশটি কোথাও খুঁজ়ে পাবেনাকো তুমি, গানটা এখম আমাদের শাসকদের সবচেয়ে প্রিয় গান হবার কথা।
তবে সবচেয়ে আশংকার কথা এই হরি লুটের টাকা দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না। দুই ছিদ্র বিশিষ্ট চৌবাচ্চার পাটি গনিতের মত একদিক দিয়ে আমাদের মেহেনতি জনগন বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে আরেক দিকে শাসককূল দেশের টাকা পাঠাচ্ছে বিদেশে। পাটি গনিতের সমাধানে চাওয়া হয়ে ছিলো – কত ক্ষনে চৌবাচ্চাটি পূর্ন হবে। এভাবে চলতে থাকলে পাটি গনিতের বিন্যাস পরিবর্তন করে সমাধানে চাইতে হবে কত ক্ষনে দেশটি ছিবড়ে হবে ?