আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, একটি বিশেষ মহল মুক্তমনা সাইটের উপর আগ্রাসণ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক মাস আগে পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ থেকে আমাদের সাইটে ক্ষতিকর স্ত্রিপ্ট চালিয়ে আমাদের সাইটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করা হয়। আমরা বেশ কিছু সময় ব্যয় করে সাইটকে পুনরায় সচল করে তুলতে সমর্থ হই। গতকাল এসেছিলো আরেক দফা আক্রমণ। এর ফলে আমাদের পাঠক এবং সদস্যরা দীর্ঘক্ষণ আমাদের ব্লগে ঢুকতে পারেননি। আমরা আবারো শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে খুব কম সময়ের মধ্যেই বাংলা ব্লগটিকে আগের অবস্থায় নিয়ে এসেছি। এডমিনের পক্ষ থেকে আরো কিছু কাজ বাকী। আমরা এ ব্যাপারে পাঠকদের ধৈর্য কামনা করছি। আমরা এবারো অতি কম সময়ের মধ্যে আমাদের সাইটকে আগের জায়গায় নিয়ে আসবো বলে মনে করি। অনেকেই আমাদের ব্লগে ঢুকতে না পেরে ইমেইল করে আমাদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শঙ্কা জানিয়েছেন। আমরা আমাদের পাঠক এবং সদস্যদের আশ্বস্ত করতে চাই এই বলে যে কোন মূল্যে আমরা মুক্তমনার আদর্শ উপরে তুলে ধরতে বদ্ধ পরিকর। যে কোন হুমকি ধামকি, কিংবা কাপুরুষোচিত আক্রমণ প্রতিহত করে সামনে এগিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। কাপুরুষোচিতভাবে মুক্তমনার গতি স্তব্ধ করা যাবে না, বরং আমরা হব আরো সঙ্ঘবদ্ধ, আরো গতিশীল। মুক্তমনারাই করবে ভবিষ্যতের ইতিহাস রচনা, সেজন্যই তাদের এত ভয় মুক্তমনাকে! আমরা আমাদের সিস্টেম থেকে ট্র্যাক করতে পেরেছি এবারকার আক্রমণের উৎস বিন্দু। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সহ নিরাপত্তাজনিত সকল কথাই আমরা ভাবছি, এবং শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মুক্তমনার সাথে থাকার আহবান জানাচ্ছি সবাইকে। মুক্তমনা পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের শুভান্যুধায়ীদের ধন্যবাদ।
মুক্তমনা এডমিন
আতিক রাঢ়ী,লালন বাউল ছিলেন।বাউলরা এক বিশেষ ধরণের আধ্যাত্মিক সাধক গোষ্ঠি(esoteric society) যাদের নিজস্ব সাধন পদ্ধতি রয়েছে, বাউল হিসেবে দীক্ষা(initiation) না নিলে যা আপনি কখনো-ই জানতে পারবেন না।যতোটুকু জানি বাউলরা নিজেদেরকে জ়ীবন্মৃত মনে করে।এ সম্পর্কিত তাদের একটি আচার(Initiation ceremony) আছে যেখানে তাকে প্রতীকী মৃত্যুবরণ(Symbolic death) করতে হয় এবং তাকে আবার পুনরুথথিত(Resurrected) করা হয়।বাউলদের সাধন পদ্ধতি-ও কঠোর।প্রচলিত অর্থে তাদের কোনো সংসার থাকে না এবং তাদের সন্তান নিতে ও উতসাহিত করা হয় না, যদিও ঘটনা চক্রে তাদের কারো কারো সন্তান হয়ে যায়।তাই বাউল হওয়া কম সংখ্যক মানুষের পক্ষে-ই সম্ভব।সে কারণেই লালন ধর্ম বলে কোনো কিছু গড়ে উঠেনি,লালন নিজেও তা দাবি বা প্রচার করেন নি।এখন আপনি-ই বলুন সমগ্র মানব গোষ্ঠির ব্যক্তিগত,সামাজিক এবং রাষ্ট্রিক দায় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে লালন চেতনাকে আপনি কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
@al murshed,
আপনাদের আলোচনা থেকে বেশ কিছু শিখছি। চালিয়ে যান।
@আদিল মাহমুদ,ধন্যবাদ encouraged করার জন্য।হ্যাঁ,মুক্তমনায় এসে আলোচনায় অংশ নেয়া এখোন প্রতিদিনের চা,কফি খাওয়ার মতো-ই একটা ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে।
@al murshed,
এই তো মজাটা পেয়ে গেছেন। আরে ভাই কে আস্তিক কে নাস্তিক কে কার বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে এসব ঝেড়ে ফেলে মুক্তমণায় মুক্তকন্ঠে বাকচিত চালিয়ে গেলে মজা পেতেই হবে। অনেক কিছুই শেখার আছে, জ্ঞান বিজ্ঞান।।সাহিত্য… সাথে যুক্তি তর্কের কি নিখুত ও ম্যাচিউরড মারপ্যাচ, এত কিছুর সমাবেশ একসাথে কোথায় পাওয়া যাবে বলেন?
@al murshed,
>> সমগ্র মানব গোষ্ঠির ব্যক্তিগত,সামাজিক এবং রাষ্ট্রিক দায় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে লালন চেতনাকে আপনি কী ভাবে ব্যবহার করবেন?>>
লালন, কবির, চৈতন্য,বাউল, সহজিয়া, সুফি,হিন্দু, বৌ্দ্ব, মুসলিম ইত্যাদি মতবাদের কোন একটার কাছে মানবগোষ্ঠীর সমস্ত দায়-দায়িত্ত্বের ভার আশাকরাটা আমার কাছে বাস্তব সম্মত মনে হয় না।
লালনের কাছ থেকে মানবতা, প্রেম, উদারতা, পরমত সহিস্নুতা ও জ্ঞান পিপাসা এগুলো আমরা নিতে পারি। কিন্তু মরার পূর্বে মরে গিয়ে, সন্তান জন্ম না দিয়ে, ভিক্ষা করতে শুরু করলে কিন্তু বিপদ। এটা এসেছে বৌ্দ্ধ ধর্মের হীনযান শাখা থেকে। নির্বান লাভের থিওরী। মূলত জীবন যে কেবল দুঃখময় না তা এই অঞ্চলের মানুষ শত শত বছর ধরে বৌ্দ্ধ ধর্ম চর্চা করেই সীদ্ধান্তে এসেছে এবং বাতিল করেছে।
লালনের মতবাদের বেলায় যা সত্য, অন্যান্ন মতবাদের বেলায়ও তাই। কোন মতবাদই কালউত্তীর্ন না। তাই কোন একটাকে দিয়ে মানব জাতীর পুরো সমস্য কাভার করা সম্ভব না।
কোন মতবাদ, দেখা যাবে অর্থনিতীর প্রশ্নে বেশ অগ্রসর আবার লিংগ প্রশ্নে খুবি কঠোর।
কেউ সমাজ জীবনের উপরে বেশী জোর দিতে গিয়ে ব্যাক্তির কথা ভুলে যাচ্ছে।
তাহলে আমদের কি করনীয়ঃ
এক দলের জন্য সমাধানঃ একতেদায়িতু বেহাজাল ঈমাম।
আরেক দলঃ তারাশংকরের কবির কথা মনে আছে ? তার সংগী সেই পতিতা নারীর মৃত্যুরপর সে তাকে অগুনে পুড়িয়ে সৎকার করেছিল বলে- অন্যন্নরা যখন তাকে জেরাকরা শুরু করেছিল, এই বলে যে- তুমি কি কাজটা ঠিক করলা ? ভগবানের কাছে তুমি কি জবাব দিবা ? কবি বলেছিল, কোন জবাব দিব না। মাথাটা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবো।
মান্ কবি নিশ্চিৎ যে সে কোন অন্যায় করেনি। কিন্তু ভগবান যদি অন্যায় করেন তবে মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া তার আর কি করার আছে।
যারা কবি কে জেরা করেছিল তারা হচ্ছে ঈশ্ব্রেরর সাস্ত্রের পাহারাদার। আর কবি এখানে
সাস্ত্রের উর্ধেউঠা চীর স্বাধীন মানব প্রকৃ্তি। যে সত্যকে গ্রহন করে অন্তরের উপলব্ধি থেকে, কোন ঈমাম বা সাস্ত্রের সাক্ষীর কারনে নয়।
বরাবরই মানুষের মধ্যে এই দুই অংশ বিদ্যমান। একদল প্রতিক্রায়াশীল আরেকদল প্রগতিশীল। প্রতিক্রিয়ার ধর্ম পুরন ও বাতিল যা তাকেই অকড়ে থাকা আর প্রগতি মানে নতুনকে পরখ করে দেখা।
আতিক রাঢ়ী,গানটি যে লালনের তা বুঝতে পেরেছিলাম।লালন ফকির যে ঘোরতর আস্তিক ছিলেন সে বিষয়ে আমার কোনো-ই সন্দেহ নেই।মানুষের মধ্যকার পরমাত্মাকে জানা এবং তার মাধ্যমে স্রষ্টাকে পাওয়ার সাধনাই ছিল তাঁর জ়ীবনের মূল লক্ষ্য।তবে তাঁর Unique Background-এর কারণে তিনি মুসলমানদের প্রচলিত ধর্মীয় আচারগুলো(নামাজ,রোজা ইত্যাদি)র বাইরে থেকে স্রষ্টাকে অনুসন্ধান করেছেন এবং তাঁর গানে তা প্রকাশ করেছেন।ধর্মচ্যূত হয়ে(স্বেচ্ছায়) যখন সাহিত্য,শিল্প,চলচ্চিত্র,সংগীত,বিজ্ঞান ইত্যাদির মধ্যে জ়ীবনের মানে খোঁজার চেষ্টা করছিলাম তখন কিছু রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত এবং বিশেষভাবে লালনগীতি সম্ভবত অবচেতন মনে আস্তিকতার আলোক রশ্মিটিকে কোনো ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছিল।অথচ না জেনে আমাকে-ই মুক্তমনার জনৈক নাস্তিক,” লালনকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন” বলে নসিহত করেছিলেন(বা ধমক দিয়েছিলেন)।
@al murshed,
ভাইজান আপনি লালনকে জোর করে আস্তিক পদবি দিয়ে দিলেন?
আমি বলব লালন নাস্তিক আস্তিক কিছুই ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রশ্নবাদী এবং যুক্তিবাদি। কিন্তু তার প্রশ্নের উত্তর খুজে নেবার মত সুযোগ তার হাতে খুব কম ছিল। তাই তিনি সবসময় একটা দোটানার মধ্যে থাক্তেন। যা তার গান গুলো শুনলে বা পড়লে বোঝা যায়।
কিন্তু বেসিকালি তিনি মানব ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। সাথে ঈশ্বর তত্ত্ব ও নিজের মত করেই গরে নিয়ে ছিলেন।
তাই তিনি গেয়ে উঠেছিলেন,
“এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে,
যেদিন হিন্দু,মুসলমান,বৌদ্ধ, খৃস্টান
জাতি গোত্র নাহি রবে।”
@তানভী,আমি লালন ফকিরকে জোর করে আস্তিক উপাধি দেওয়ার কে?লালন ফকির স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন,তাই তিনি আস্তিক।জ়ীবন ভর এই স্রষ্টাকে পাওয়ার সাধনা করেছেন এবং তা প্রকাশ করেছেন গানে।স্রষ্টাকে খুঁজে পাওয়ার এ প্রচেষ্টায় প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের অন্যান্য অনেক Esoteric Society’র মতো-ই প্রচলিত ধর্মের বাইরে থেকে মানুষের ভেতরের ‘অচিন পাখি’ বা পরমাত্মাকে বশ করে তার মাধ্যমে স্রষ্টার সন্ধান করেছেন।লালন ফকির হযরত মুহম্মদ(সঃ) কে মনে করতেন,”মানব রূপী আল্লাহ” যদিও মুসলমানগণ এ বিষয়ে একমত হবেন না।আমাদের দেশে অনেকে-ই লালন সম্পর্কে ভালোমতো না জেনে-ই তাকে হাইজ্যাক করার বা লেবেল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
@al murshed,
কি কালাম পাঠাইলেন আমার শাহী দয়াময়!
একেক দেশের একেক ভাষা কয় খোদা পাঠায়?
এক যুগে যা পাঠায় কালাম,
অন্য যুগে হয় কেন হারাম!
এমনি দেখি ভিন্ন তামাম! ভিন্ন দেখা যায়!
যদি একই খোদার হয় রচনা, তাতে তো ভিন্ন থাকে না!
মানুষের সকল রচনা, তাই যে ভিন্ন হয়!
কি কালাম পাঠাইলেন আমার শাহী দয়াময়!
একেক দেশের একেক বাণী,
পাঠান কি শায়-গুণমণি?
মানুষে রচিত জানি, মানুষে রচিত জানি লালন ফকির কয়!
ও হায়রে, লালন ফকির কয়!
কি কালাম পাঠাইলেন আমার শাহী দয়াময়!
সংরক্ষিত আছে এখানে
লালন আস্তিক ছিলেন!? হাস্যকর!!
@নিশাচর,
এতদিন পর আল-মুরশেদ এর লালন সম্পর্কিত কথার জবাব আপনি গান দিয়ে দিচ্ছেন। চমৎকার! আল মুরশেদ কি এই মন্তব্য পাবে? পেলে কী জবাব দেবে তাও জানতে ইচ্ছে করে। আপনাদের দুজনের একটা ডিবেট হলে খুবই ভালো হতো।
বাউল তত্ব এমনই যে, ইচ্ছা করলেই নাস্তিক বানানো যায় আবার ইচ্ছা করলে আস্তিকও বানানো যায়।
লালনপন্থী যারা- বিশেষ করে কুষ্টিয়ায় লালনের আখরায় যারা থাকে, গান করে। তারা অদৃশ্য প্রভুকে বিশ্বাস করে।
আমার মতে লালন কখনো আস্তিক, কখনো নাস্তিক। অর্থাৎ সংশয়বাদী (স্কেপটিক) ছিলেন।
ভালো লাগলো আপনার চোখে এমন কিছু পড়ার জন্য।
@মাহফুজ,
আপনার কথায় যুক্তি আছে। হাস্যকর বলার জন্য দু:খিত।
🙁 :hugright:
আমরাও সেটাই চাই। আপনি এখানে লিখুন। কেবল অর্থহীন বানানো অভিযোগ করার আগে আরেকবার চিন্তা করবেন আর সবকিছু খতিয়ে দেখবেন সেইটুকুই প্রত্যাশা।
অভিজিত,মুক্তমনায় প্রকাশিত আমার সব চিঠিগুলো দেখলে পাঠক বুঝতে পারবে আমি প্রতিপক্ষকে অপমানজনক,অশালীন ভাষায় অযৌক্তিক ভাবে উত্তর দিই না।মুক্তমনার প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নেই,প্রত্যোকের নিজস্ব মতামত প্রকাশের অধিকার আছে।তাই আপনার কলামিষ্ট-লেখকদের অনেক কথার বিপরীত যুক্তি আছে বলে আমি তা প্রকাশ করার জন্য-ই মুক্তমনায় আসি।আমার অভিযোগগুলো মস্তিষ্ক সঞ্জাত বলার স্বাধীনতা আপনার আছে।But I know what I experience and had to experience.তবে শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ।
P.Patraput, আপনি আস্তিক মানুষকে পাগল, অসুস্থ ইত্যাদি মনে করেন,এমন কি মানুষ বলে স্বীকৃতি ও দিতে চান না।সক্রেটিস,প্লেটো,নিউটন,বয়েল,পাস্কাল এসব মনীষীদের ও ধর্ম বিশ্বাস ছিল।নিজেকে আপনি কি মনে করেন?
বেদ, বিধী, পদ, সাস্ত্র কানা,
আরেক কানা মোন আমার,
এতো দেখি কানার হাট-বাজার।।
এক কানা কয় আরেক কানারে,
চল এবার ভব পারে,
নিজে কানা, পথ চেনেনা,
পরকে ডাকে বারং বার,
এতো দেখি কানার হাট-বাজার।।
ওরা আলো সজ্য করতে পারেনা। তাই বিচিলিত হয়, ভয় পায়।
তবে এটা খুবি আশাপ্রদ ব্যাপার যে মুক্তমনার আলো আন্ধকারের
জীবদের বিচলিত করতে পারছে। ওরা ভয় পাচ্ছে।।
@আতিক রাঢ়ী, আপনাদের এই নিজেদের আলোক ধারী এবং আস্তিকদের অন্ধকারের জীব ইত্যাদি বিশেষণগুলো এতোবার শুনেছি যে তা এখোন Cliche,র মতো লাগে।এই আলো এবং অন্ধকারের বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করবেন কী?
@al murshed, আচ্ছা ব্যাখ্যা করি। যে গানটা লিখলাম সেটা লালনের। লালন কে আপনি কি মনে করেন জানিনা। কিন্তু আমি তাকে আস্তিক মনে করি। প্রচলিত ধর্মের লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যাপারে তিনি তার সময়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারই এক গানে পাই,সুন্নত দিলে হয় মোসলমান, নারীর তবে কি হয় বিধান ? বামন চিনি পৈ্তে প্রমান, বামনী চিনি কি প্রকারে ? বেহেস্তে গেলে পুরুষরা হুরের বহর পাবে, কিন্তু নারী কি পাবে ? এই প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন। আবার সেই লালনই আরেক গানে বলছেন – আমি অপার হয়ে বসে আছি, ওহে দয়াময়, পারে লয়ে যাও আমায়। আমাদের চলতি ব্যাখ্যা অনুযায়ী দয়াময়ের স্বরনাপন্ন এই মানুষটি অবশ্যই আস্তিক। কিন্তু নিজের বিবেক বা বিচার বুদ্ধিকে তিনি কোন সাস্ত্রের কাছে বন্ধক রাখেন নি। তাই তিনি আস্তিক হয়েও আলোকিত মানুষ ছিলেন।
আশাকরি বোঝাতে পেরেছি। সুতরাং আলোকিত মানুষ হবার জন্য আস্তিক বা নাস্তিক হওয়াটা কোন পূর্বশর্ত না। পূর্বশর্ত হচ্ছে স্বাধীন বিচার বোধকে বাঁচিয়ে রাখা। কোন সাস্ত্রের বা গ্রন্থের কাছে নিজের বিবেক, বিচার, বুদ্ধিকে বন্ধক না রাখা।
আঘাত আসবেÑ এটাই স্বাভাবিক। কারণ মুক্তমনা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে এবং মিথ্যার থলেটা খুলে দেয়। যারা মিথ্যাকে ভিত্তি করে জীবন-যাপন ও ব্যবসা করে, তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই মরিয়া হয়ে উঠবে এবং আঘাত হানবেÑ এটাই স্বাভাবিক। আর এ আঘাতকে চিরকাল রুখে দিয়েছে অপ্রতিরোধ্য সত্য। ভবিষ্যতেও দেবে। আমরা এ রুখে দেওয়ার লড়াই করে যাবো।
Ñ আবুল হোসেন খোকন, ঢাকা।
অভিজিত
উত্তেজিত হয়ে লাভ নেই। যুদ্ধে নামলে, বিরোধি পক্ষ ছেড়ে দেবে, এমন ভাবাডটা ঠিক না।
সম্ভবত, সার্ভার যেখান থেকে হোস্ট করছ, সেটা পেশাদারি সার্ভার না-তা ছাড়া আরো অনেক সমাধান আছে এসব এটাক থেকে বাঁচানোর জন্যে। আমি ইমেল করে জানিয়ে দিচ্ছি।
@বিপ্লব,
ইমেইল পেয়েছি। সিকিউরিটি বাড়ানোর অনেক পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। আপাততঃ খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। দেখা যাক।
মুক্তমনাদের এভাবে রুখতে চাওয়ার অর্থ হলো আরো অনেক মুক্তমনা জন্ম নেয়া। যুক্তি দিয়ে টিকতে না পারলে পেশীশক্তি ব্যবহার করাটা ধর্মাশ্রয়ীদের অনেক পুরনো অভ্যাস। তাদের আস্ফালনকে ভয় পেলে আমরা নিজেদেরকে মুক্তমনা ভাবতাম না। বরং একটা ব্যাপার তো তাদের কাছেও পরিষ্কার যে – হ্যাকিং করতে যৌক্তিক সফ্টঅয়ার লিখতে হয় – কোন ধরনের অলৌকিক সুরা পড়ে ফুঁ দিলে কাজ হয় না।
@প্রদীপ দেব, কম্যুনিষ্টদের বন্দুকের নল-ই সকল ক্ষমতার Source উক্তি এবং রক্তাক্ত বিপ্লবগুলোর কথা মনে পড়ছে।
মুক্তমনার ওয়েবসাইটে ঢুকতে মহাঝঞ্ঝাট পোহাতে হয়।আমার ছোট ভাই ই,ই -র ছাত্র।ও বলল তাবলিগের বড় ভাইরা নাকি সব নাপসন্দ ওয়েবসাইট ডাউন করে রাখে!কাজেই বাংলাদেশের সমস্যা শুধু ধীরগতির ইন্টারনেটই নয় বরং গোঁড়া প্রোগ্রামাররাও।এদের ট্র্যাকিং করার জন্য মডারেটরবৃন্দকে অনুরোধ করছি।তবে করেই কি হবে।সরকার এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা তো নেবেই না বরং মুক্তমনাকে ব্যান করে দেবার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।ধর্মের ব্যাপারে আওয়ামি লীগও আসলে ছদ্ম-উদার।
@আগন্তুক, ব্যান করলে হিতে বিপরীত হবে। এমনিতেই কেমনে কেমনে জানি অনেক সাইটে মুক্তমনার নাম ছড়িয়ে পড়েছে, আজকেই আমি একটা টিনএজারদের ফোরামে মুক্তমনার নাম দেখলাম(“নেটে উইকিইসলাম ও মুক্তমনার মত অনেক খারাপ খারাপ সাইট আছে, আমাদেরকে অবশ্যই বেশি বেশি কোরান পড়তে হবে”- সাইটের এক ১৯ বছর বয়সের সদস্যের মন্তব্য)। মুক্তমনাকে ব্যান করলে পত্রিকায় নাম উঠবে, লোকজন কৌতূহলী হয়ে প্রক্সি দিয়ে মুক্তমনা ভিজিট করবে।
মুক্তমনার বিরুদ্ধে এই আক্রমন খুবই স্বাভাবিক। মুক্তমনা কেন, অনেক সাধারণ ব্লগ সাইটকেও আমি প্রতিপক্ষের দ্বারা হ্যাকিংয়ের স্বীকার হতে দেখেছি। হ্যাকিং এখন অনেকটা মুরতাদ হত্যার ডিজিটাল সংস্করণ হয়ে গিয়েছে।
তবে আমি মনে করি শালীন-অশালীন সব মন্তব্যই ছাপানো উচিত। ধার্মিকদের অশালীন মন্তব্যগুলো ছাপানো হলে মুক্তমনার ইররেগুলার ভিজিটররা বুঝতে পারবে মুক্তমনা আর ধার্মিকের মধ্যে পার্থক্য কি। নাহলে মুক্তমনার বিরুদ্ধে এরকম ছড়ানো চলতেই থাকবে, ই-জার্নালের জগতে নতুনরা মুক্তমনায় আসতে চাইবে না। কর্তৃপক্ষের এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
@পৃথিবী,
মুক্তমনায় প্রায় সব মন্তব্যই প্রকাশ করা হয়, কেবল ভায়াগ্রার এড মার্কা স্প্যামিং এবং মা বাবা তুলে গালিগালাজ ছাড়া। হয়তো বা আপনার কথা ঠিক – ধার্মিকদের অশালীন মন্তব্যগুলো ছাপানো হলে মুক্তমনার ইররেগুলার ভিজিটররা বুঝতে পারবে মুক্তমনা আর ধার্মিকের মধ্যে পার্থক্য কি। কিন্তু তারপরেও অশ্লীল গালিগালাজগুলো প্রকাশ করা হতে থাকলে ভাল রীডারশিপের বড় একটা অংশ হারাবো বলেই আমি মনে করি। আমি জানি আমাদের নিয়ে কুৎসার কোন শেষ হবে না, কিন্তু এর মধ্যে থেকেও আমি উন্নত সংস্কৃতির আশা করি। অন্যদের নিয়ে এত না ভেবে আমাদের ব্যবহারেই বরং প্রকাশিত হোক আমাদের অভিরুচি। সেটাই হোক আলোকবর্তিকা
ধর্মের ওকালতি যারা করেন, সুস্থ মস্তিষ্কের কিংবা মুক্তমনের মানুষ তারা নন। সুতরাং তাদের সাথে যুদ্ধ করতে যাওয়াটাই এক ধরনের বোকামী বলে আমার মনে হয়।এরা মানুষ হিসেবে নিজেদের দাবী করতে পারে কিনা আমার সন্দেহ আছে।যেমন, গরুর একটা ধর্ম আছে, সে নিরীহ এবং ভালবেসেই(?) হোক আর হিংসেতেই হোক শিং বাগিয়ে গুতোতে যাওয়া তার ধর্ম, তাই গরু। তেমনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ কিংবা খৃষ্টানের একটা করে ধর্ম আছে, কেউ রাম রাজ্যে সতী দাহে ওস্তাদ তো আরেকজন নাঙ্গা তলোয়ারে আপনার মুন্ডুচ্ছেদে সিদ্ধহস্ত!কেউবা চার্চের আঙ্গিনায় মানুষ জ্বালাবে তো কেউ আবার আত্মহত্যায় প্রোরোচিত করবে। এসব-ই এদের নির্দ্দিষ্ট ধর্ম। তাই এরা হিন্দু কিংবা মুসলমান কিংবা ………ইত্যাদি। আবার যেমন, এ বলে আমি হিন্দু কিংবা মুসলমান সে আসলে হিন্দুই অথমা মুসলমান-ই, মানুষ নয়। মানুষ হতে হলে তাকে হিন্দুত্ত্বের কিংবা মুসলমানিত্ত্বের উপরে উঠে আসতেই হবে।এই কথাটি অন্য সব গুলো ধর্ম-বিশ্বাসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।আর স্থান এবং কালভেদে যুক্তিনির্ভর মানবতাই হলো মানুষের একমাত্র ধর্ম।কারন যুগ যুগের বিবর্তিত সংস্কৃতি ভৌগলিক অবস্থান এবং কালের প্রভাবে বিশ্বের জাতিগোষ্ঠী গুলোর মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
আজ যারা মুক্তমনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তারা সময় এবং স্থানের পরিক্রমায় ঐ সীমার বাইরে এসে বৃহত্তর মানবজাতির ঐক্যতানে সামিল হতে পারেনি। এরা বিচ্ছিন্ন।এরা মানব জাতির ভেতরে থেকেই মানব জাতির বিরুদ্ধে নেমেছে। ঘরভেদী বিভিষন যাকে বলে। এরা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে লড়ছে। লড়ছে নিজেদের ছাঁয়ার সাথে!সেই ছাঁয়াকে ধ্বংস করতেই একসময় এরা যদের কায়ার ধ্বংস অনিবার্য করে তুলবে। হাড়িয়ে যাবে এই গোলক থেকে।মানবতাই থাকবে চির জাগরুক।তবে সতর্ক থাকতে হবে। কারন এরা মরিয়া হয়ে উঠেছে! আমরা স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি সব।
@P. Patraput,
সহমত। :-))
Thanks to the Modarator(s) to save our HOLY site from SATAN. Its prove that…..its burning someone and they can’t face the truth in open eye’s, so they try the dark part.
This is the latest version of 2000+ yesrs old strategy to stop the truth…….
“……You can’t make everyone fool for always…..”
Again special thanks to Modarator(s) from Mukto Mona’s living in Bangladesh.
মুক্তমনা একটি আলোকবর্তিকার নাম। আমরা একে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করি।
আমাদেরকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে পেছনের দরজা দিয়ে তাদের এই চিরাচরিত হীন চেষ্টা। একে রুখতেই হবে। এজন্য আমাদেরকে একটু বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া দরকার বলে মনে হয়।
মুক্তমনায় অত্যন্ত উদারভাবে এমনকি কখনো কখনো অতিমাত্রায় ভিন্নমতকে আশ্রয় দেয়া হয়। তারপরও যারা মুক্তমনার বিরুদ্ধে এধরণের অপচেষ্টায় মেতে উটেন তাদের প্রতি ঘৃণা নয় কেমন যেন করূণা হয়।
আমার মনে হয় কে বা কারা দায়ী তা পরিষ্কার করে প্রমান সমেত উল্লেখ করা না হলে আমাদের কারোই উত্তেজিত হওয়া উচিত না, বিশেষ করে কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে দায়ী করা কোনমতেই উচিত না।
তবে সবার উদ্দেশ্যে বলছি যে মুক্তমনার বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে তা এখানেই প্রথম বলুন, একটু ধৈর্য্য ধরে কিছু সময় দিন ছাপা হয় কিনা দেখতে। অনেক সময় মডারেটর ব্যাস্ত থাকেন বা কিছু আজেবাজে কমেন্টস এর মাঝে পোষ্ট হারিয়ে যেতে পারে, তাই দরকার হয় দুবার পাঠান। তারপরেও ক্ষোভ থাকলে অন্য সাইটে উল্লেখ করতে পারেন, তবে অবশ্যই খন্ডিত আকারে নয়। পূর্নাংগভাবে বিস্তারিত লিখবেন। বিশেষ করে মুক্তমনার পক্ষ থেকে কিছু স্পেসিফিক্যালী বলা হলে অভিযোগের সাথে তা চেপে যাওয়াটা নৈতিকতা বিরোধী।
কিন্তু কেন? সত্যকে গ্রহন করতে কষ্ট হচ্ছে? এ যে মিথ্যের পরাজয় স্বীকার। মুক্তমনার ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়ে, তার অগণিত সত্যের সৈ্নিক, আলোর পথের যাত্রী নতুন প্রজন্মকে থামানো যাবেনা। আমরা জেগে উঠেছি, আমরা জাগাবো, জেগে উঠবে সারা বিশ্ব। তোদের এই ন্যাক্কারজনক আচরণ, কাপুরুষোচিত আক্রমনে তোদের প্রতি নতুন প্রজন্ম আজীবন ধিক্কার ও ঘৃণাভরে থুথু ফেলবে।
জয় মুক্ত-মনা-
জয় হউক সত্যের।
আকাশ-
@আকাশ মালিক,
আপনার কথার সত্যতা টের পাচ্ছি। তবে মানুষের ক্ষুদ্রতা দেখলে নিজেকেও খুবই ক্ষুদ্র লাগে। মুক্তমণায় নিয়মিত আসার একটা কারন এখানে আমি সম্পূর্ণ ভিন্নমত হলেও কিভাবে যেন মূল কন্ট্রিবিউটরদের সাথে যৌক্তিক আলাপ বেশ উপভোগ্য হয়। যুক্তিপূর্ন আর সৌহার্দপুর্ন এমন পরিবেশ মনে হয় না কোন বাংলা ফোরামে আছে।
গল্প কবিতায় অংশগ্রহনের পরামর্শ আসলেই ভেবে দেখার মত।
@আদিল মাহমুদ,
মত ও আদর্শগত ভিন্নতা নিয়েই আমাদের সমাজ ও পারিবারিক জীবন। বিপত্তিটা তখনই আসে যখন কোন মতাদর্শ জোরপুর্বক কারো উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। মানুষের বিশ্বাস তার চরিত্রের মাপকাটি হতে পারেনা। চরিত্রই ভাল মন্দের মাপকাটি, তাই বিশ্বাসীদের চরিত্র দেখেই অনেক সময় তুলনামুলকভাবে বলা হয়ে থাকে- আস্তিকের চেয়ে নাস্তিক ভাল। কোন একটি বিষয়ে আপনার সাথে মতানৈক্য পোষন করতে পারি, তাই বলে আপনাকে আঘাত করার আমার কোন অধিকার নেই।
এখানেই মুক্তমনার স্বার্থকতা।
@আকাশ মালিক,
সম্পূর্ণ একমত। হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আস্তিক কেন নাস্তিকে পরিণত হয় এ বিষয়ে আমার খব আগ্রহ আছে। আমার ব্যক্তিগত ধারনা এর কারন হিসেবে আশেপাশের কিছু বিশ্বাসী মানুষে যাদের সাথে অহঃনিশি ওঠাবসা তাদের মানসিকতা এ ব্যাপারে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখে।
কিছু মানুষ যে শুধুমাত্র বিশ্বাসের পার্থক্যের কারনে কিভাবে একজন সম্পূর্ণ অচেনা মানুষকে ঘৃণা করতে পারেন তা আমার অকল্পনীয়। ভাবছি একজন আস্তিকের দৃষ্টিতে মুক্তমণায় বিচরন অভিজ্ঞতা জাতীয় কিছু লিখে ফেলব।
খুব আগ্রহ নিয়ে লেখাটির জন্য অপেক্ষা করব। মুক্তমনায় অজস্র কমেন্ট করলেও এখনো আপনার কাছ থেকে কোন পূর্ণাঙ্গ লেখা পাওয়া যায়নি। সেই খেদটুকু তো আছেই।
মুক্তমনাকে কেউ হ্যাকিং বা হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে থাকলে তা হতে বিরত থাকুন।যুক্তির জবাব যুক্তির মাধ্যমে-ই দিতে হয়।অন্য কোনো ভাবে নয়।আর দূর্বল ঈমানের মুসলমানদের এ সাইটে না আসা-ই উচিত।ইসলামের উপর এসব আক্রমণ অতীতে ও হয়েছিল।কিন্তু ইসলাম টিকে আছে।এবং নাস্তিকতা প্রচারকারী কম্যূনিজম-ই দুনিয়া হতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।কাজেই, মুক্তমনা এডমিনের অভিযোগ অনুযায়ী সত্য-ই কেউ হ্যাক বা হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে থাকলে তা বাদ দিন।
@al murshed,
মুর্শেদ সাহেব,
এতো মিথ্যাচার ভাল নয়। আপনাদের ঘরের আগুন আমাদের উঠোনে ছড়াবেন না প্লীজ। যে আগুন ও-পাড়ায় ধাউধাউ করে জ্বলছে আমরা দেখছি কিন্তু কিছু করার নেই। আমাদের গণ্যমান্য উচ্চশিক্ষিত শ্রদ্ধ্যেয় ভদ্র লেখকদের নাম অশ্লীল ভাষায় মন্তব্যে, প্রতিবেদনে, প্রবন্ধে রচনায় উল্লেখ করা হচ্ছে। সম্পাদক সাহেবের কাছে আমাদের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিচয়, বাড়ি ঘরের ঠিকানা খোঁজা হচ্ছে, আমরা তা দেখছি কিন্তু কিছু বলিনা। আমরা বলেছি, সকল ধর্মই ভন্ডামী আর মিথ্যায় লালিত, সকল ধর্মই মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ ঘৃণা ছড়ায়, আপনাদের বিদ্বেষী আচরণ আমাদের কথার সত্যতার জ্বলন্ত প্রমান নয় কি? ওসব ভালমানুষের কাজ নয়। মানুষকে ভালবাসতে শিখুন নিজেও ভালবাসা পাবেন, মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন নিজেও শান্তিতে থাকুন। এরই নাম মানব-ধর্ম, এরই নাম মানবতা।
@আকাশ মালিক,মিথ্যাচারের অভিযোগ কার প্রতি করছেন?আমি মুক্ত-মনার সাথে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছি ।আর অন্যের কাজের দায়-ভাগ আমার উপর চাপাতে চাইছেন কেনো?আর বিদ্বেষী আচরণের অভিযোগের বা ভিত্তি কী?জ্বী,আপনারা ও মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন এবং ধর্ম বিশ্বাসীদের ভালো বাসতে শিখুন।আর ইসলাম শব্দের মানে হচ্ছে,Peace,জানেন নিশ্চয়-ই?
@al murshed,
এটা যদি সত্যি হয় তবে শুধু মুখে নয়, কাজেও আপনাকে প্রমাণ করতে হবে। নইলে দুর্মুখেরা কিন্তু বলবে ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’। আপনি মুক্তমনার সাথে ‘তিক্ত অভিজ্ঞতার’ উল্লেখ করেছেন কিন্তু আমি অন্ততঃ বলতে পারি আপনার অভিজ্ঞতাগুলো আসলে আপনার নিজের মস্তিস্কসঞ্জাত। আপনি আরেকটু ভাল ভাবে ব্যাপারগুলো বিশ্লেষণ করুন। একবার এসে বললেন, যে আপনার লেখায় নাকি বাধা দেয়া হয়েছিলো। আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো যে এভাবে আসলে কাউকে বাধা দেয়া যায় না। আরেকবার বললেন আপনার মন্তব্য প্রকাশিত হয়নি, অথচ যেখানে মন্তব্য করেছিলেন তার উপরেই সেই মন্তব্যটি ছিলো। আমি অন্ততঃ বলতে পারি – আসলে আপনার কোন মন্তব্যই কখনো বাদ দেয়া বা মুছে দেয়া হয়নি। কখনো প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে, কিন্তু প্রকাশিত হয়েছে। অথচ আমাদের এই খোলা হাওয়ার সুযোগ নিয়ে আপনি যা সত্য নয় তাই বলে বেড়াচ্ছেন, শুধু এখানে নয় অন্যত্রও। আসলে আপনার মন্তব্য দেখে যে কেউ বুঝবে যে, আসলে আপনিই বিদ্বেষ নিয়ে আমাদের সাইটে আসেন, আর ক্রোধের বশঃবর্তী হয়ে চিন্তা না করেই মন্তব্য করেন। একটু চিন্তা করে দেখুন – বাংলাদেশ থেকে অনেক ব্লগারই অনেক সময় মুক্তমনায় ঢুকতে পারেন না – বিভিন্ন কারণে। নেট স্লো হওয়া তার মধ্যে একটি। আমাদের ব্লগার আগন্তুক তো প্রায়ই বলেন তিনি ৩ দিনের চেষ্টায় অবশেষে একদিন তিনি মুক্তমনায় ঢুকতে পারেন। কই তিনি তো ভাবছেন না যে তাকে মুক্তমনায় ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে? আপনার ক্ষেত্রে একটু পান থেকে চুন খসলেই মুখিয়ে যান কেন? এটি কি আপনার ধারণাপ্রসূত বিদ্বেষের ফল নয়? আপনি যদি সত্যই শান্তি চান, তবে আপনার ব্যবহারেও তা প্রকাশ পাওয়া বাঞ্ছনীয়। হ্যা আমরা হয়ত অনেক কিছুর সমালোচনা করি – যা আপনার মনঃপুত নয়। কিন্তু আমরা মনে করি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকাটা প্রয়োজন। সভ্যতার এগুনোর প্রয়োজনেই। কিন্তু তা বলে আপনি ভেবে নেবেন না যে আপনার প্রতি কোন বিশেষ বিদ্বেষ আছে। বরং আর দশজন মানুষের প্রতি আমার যে শ্রদ্ধা, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা আমার কোন অংশে কম নেই। আমি আশা করব আপনি সেটা এখন থেকে বুঝবেন, আর জানবেন যে আমরা বিশ্বাস বা কোন বিষয়ের সমালোচনাকে মানুষের প্রতি ঘৃণার সমার্থক মনে করি না।
ভাল থাকবেন।
@আকাশ মালিক, আপনার বই কি বেরিয়েছে?
@সামির মানবাদী,
জ্বি না, তবে বেরুবে এবং বেরুলে অবশ্যই জানতে পারবেন।
@আকাশ মালিক,
আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা আপনার একটা কমেন্ট এই হ্যাকিং জালিয়াতির সময় দেখেছিলাম। ডামাডোলে আর জবাব দিতে পারিনি।
আশা করি আপনি এটা দেখবেন।
যা মনে পড়ছে মনে হয় সদালাপে প্রকাশিত আমার টিপাইমুখ বিষয়ক লেখা আপনার ভাল লেগেছে, ধণ্যবাদ। ওটা আমি মূক্তমণায় না দিয়ে সদালাপে দিয়েছিলাম দুটি কারনে; এক, আমি খুব অলস প্রকৃতির লোক, আমার হাকডাক কমেন্ট করাতেই সার। ধৈর্য্য ধরে পূর্নাংগ লেখার মত উত্তাপ পাই নাই। দ্বিতিয়তঃ, অই লেখা আসলে নিজের থেকে লিখিনি। টিপাইমুখ নিয়ে অনেকে অন্ধ আবেগের বশবর্তী হয়ে যা মনে আসে তাই লিখে যাচ্ছিলেন, এক ভদ্রলোকের লেখায় মনে হয়েছিল অন্ধ হবারও যে একটা সীমা আছে সেটা জানানো। তাই নেহায়েত বাধ্য হয়ে বিতর্কে নামতে হয়েছিল। ঘরের খেয়ে বনের মোষ হয়ত তাড়ানো মানা যায়, তবে মোষের গুতো খেতে আর কাহাতক ভাল লাগে? তাই এক পর্যায়ে নিজেই হার মেনে বিদায় নিয়েছি।
তবে মনে হচ্ছে আমার শিক্ষা পুরো হয়নি। গুতো খাওয়া আরো কিছু বাকি আছে।
@আদিল মাহমুদ,
উত্তর না পেয়ে আস্বস্থ হতে পারছিলাম না, পরবর্তি কমেন্ট করবো কি না। আমি স্পষ্টই দেখছি আপনার ডানে বামে দুই হাইনা (Hyena) বিষাক্ত নখ-দন্ত বের করে অস্ট্রপ্রহর দাঁড়িয়ে আছে। মানসিক ভাবে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত হওয়ার আগে বেরিয়ে আসুন।
মুক্তমনায় এবার গল্প-কবিতার আসর বেশ জমে উঠেছে। ভালই লাগছে। এ জন্যে কেয়া, নিবেদিতা ও ফরিদ সাহেবকে অশেষ ধন্যবাদ। ফরিদ সাহেবের গল্পে-
তার কোন বয়সে এই কথাটা লিখেছেন, তা আপাতত আমার জানার আগ্রহ নেই। উনি ঘোষনাই করে দিয়েছেন আগামীতে আরো আসছে আমরা যেন অশ্লীলতার অভিযোগ না আনি। বেশ আমরা অপেক্ষায় রইলাম। আমার জানতে ইচ্ছে হয়, রবীন্দ্রনাথ কত বয়সে লিখেছিলেন- কুঞ্জবনে মোর মকুল যত, আবরণ বন্ধন ছিড়িতে চাহে—
মুক্তমনায় যৌক্তিক, বৌ্দ্বিক, উপভোগ্য আলোচনার আসরে অংশ গ্রহন করে জীবনটাকে উপভোগ করুন।
@আদিল মাহমুদ,
উত্তর না পেয়ে আস্বস্থ হতে পারছিলাম না, পরবর্তি কমেন্ট করবো কি না। আমি স্পষ্টই দেখছি আপনার ডানে বামে দুই হাইনা (Hyena) বিষাক্ত নখ-দন্ত বের করে অস্ট্রপ্রহর দাঁড়িয়ে আছে। মানসিক ভাবে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত হওয়ার আগে বেরিয়ে আসুন।
মুক্তমনায় এবার গল্প-কবিতার আসর বেশ জমে উঠেছে। ভালই লাগছে। এ জন্যে কেয়া, নিবেদিতা ও ফরিদ সাহেবকে অশেষ ধন্যবাদ। ফরিদ সাহেবের গল্পে- আর ঠোট দুটো নিয়ে যা করতো না, সেটা ভাবতেই গাল লাল হয়ে যেতো কবিতার- তার কোন বয়সে এই কথাটা লিখেছেন, তা আপাতত আমার জানার আগ্রহ নেই। উনি ঘোষনাই করে দিয়েছেন আগামীতে আরো আসছে আমরা যেন অশ্লীলতার অভিযোগ না আনি। বেশ আমরা অপেক্ষায় রইলাম। আমার জানতে ইচ্ছে হয়, রবীন্দ্রনাথ কত বয়সে লিখেছিলেন- কুঞ্জবনে মোর মকুল যত, আবরণ বন্ধন ছিড়িতে চাহে—
মুক্তমনায় যৌক্তিক, বৌ্দ্বিক, উপভোগ্য আলোচনার আসরে অংশ গ্রহন করে জীবনটাকে উপভোগ করুন।
@al murshed,
বা বাহ্। আপনাকেতো ধন্যবাদ জানাতে হয়।
Dear MM Admin
I tried yesterday to post a comment on Farid Ahmed’s Neel Nirjoney but I could not keep the page open till I fininish my writing; the page suddenly turns into blank one while I write three or four sentences.Couple of times I tried to finish to the last but I could not. Today the same problem has occured just now. Just I let you know.
Thank you.
salam MM Reader
Mon OCT 12,2009 5:07 PM
I could not access the English blog for the last two days.
I suspected some hijacking.
AK