কোথা থেকে মানুষ পেলো
ঐশ্বরিক অহংকার ?
দর্পণের সামনে দাঁড়ালে’
অক্ষরে ভেসে ওঠে
ঈশ্বরের মুখ।
মুখের পাহাড়ে কালশিটে দাগ
ঢাকা পড়ে প্রশংসার পাহাড়ে।
ঈশ্বরের মতই আনন্দে আত্মহারা মানুষ
তখন খুলে দেয় নিজস্ব স্বর্গের দুয়ার।
পেছনে ফেলে আসা অন্ধকার
একা, বড় একা।
আলো আর আঁধারে
প্রকৃতিও ফুটিয়েছিল সহস্র ফুল।
আঁধার আর নিন্দার কাঁটা থেকে বেরিয়ে,
শুধু আলো আর প্রশংসার পেছনে ছুটে,
প্রকৃতিও নেই, মানুষও নেই।
প্রশংসার পাহাড়ে চাপা পড়ে আছে প্রাণ ।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৬
দর্পণের সামনে দাঁড়ালে’
অক্ষরে ভেসে ওঠে
ঈশ্বরের মুখ।
মুখের পাহাড়ে কালশিটে দাগ
ঢাকা পড়ে প্রশংসার পাহাড়ে।
সবরেখে ঈশ্বরের মুখই দর্পণে দেখেন ? জানি তো ঈশ্বর প্রশংসা না পেলে গোস্বা করে । কবিতার শেষের লাইনটা ভাল লেগেছে।
@শিল্পী, আপনি কি সত্যি বুঝতে পারেননি ঈশ্বর বলতে লেখক কাদেরকে বোঝচ্চ্ছে??
চমৎকার একটা কবিতার জন্য ধন্যবাদ ।আরও কিছুর অপেক্ষায় থাকলাম ।
স্বপন মাঝি বেমক্কা ল্যাঙ মেরেছে।
সত্যি বলতে কি; প্রশংসা কে না ভালোবাসে? বেশ গ্রহণীয় মানুষও, আমার জানা মতে, এই ব্যাপারটা তিনিও আশা করেন। স্বাভাবিক একটা মানবিক একটা গুন বা দোষ বলে মনে করি ওটাকে আমি। সে যাহোক, আলোকিত হবার জন্য নিজকেই সচেষ্ট হতে হবে বৈকি।
আমি নিজে কিন্তু ভাই দোষী মানুষ, গুনের চেয়ে দোষ আমার অনেক অনেক বেশী। অনেক মজা এখানে। অথচ জানেন; সুখের চেয়ে তৃপ্তিই আমি বেশী ভালোবাসি।
রেগেমেগে কবিতা ছাড়লেন, ভালো স্বচ্ছ উত্তর দিতে না পেরে বিব্রত হলাম। তবে, ঐ যে; কবিতা পড়ে তৃপ্ত হলাম (D)
@কাজী রহমান,
নিন্দনীয় কাজের উপস্থিতি, প্রশংসার উপস্থিতিকে জরুরী করে তোলে। কিন্তু সেই প্রশংসা যখন ঈশ্বরের মত সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে চায়, সমস্যাটা হয় তখন। আমার সাধারণ ধারণায় এটাও মানুষের জানার পথে কাঁটা হয়ে ওঠে, কেননা আমরা তখন অনুসারী হয়ে উঠি।
এবং
ঠিক বোধগম্য হলো না।
পাঠ-প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
হুম!
প্রশংসার পাহাড়েই তো ঈশ্বর ( ?) এবং মানুষ দুই পক্ষই অহংকারী হয়ে উঠে। আর তখনই বাজে পতনের ঘন্টা।
@গীতা দাস,
ঠিক তাই। বিশ্বাসের জগতটা ছেড়ে এলেও, জাগতিক হয়েও আমরা ঈশ্বরের একটা ল্যাজ এখনো কেটে ফেলতে পারিনি।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
স্বপন ভাই,আপনার সুরচিত কবিতাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।আপনার কবিতা পড়ে, প্রশংসার পাহাড়ে চাপা পড়া প্রানে জাগে,’সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’……’প্রসংশিত মানুষ’নিয়ে একান্ত মনের কিছু ভাবনা অধম পাঠকের মনে উদয় হয় এভাবে……।
প্রশংসিত মানুষ
শামিম মিঠু
প্রশংসিত স্থানে থাকেন তিনি,
প্রশংসিত মানুষ যিনি।
প্রশংসিত স্তর…
মুক্ত স্বাধীন ধির,স্থির ও অচঞ্চল ।
নির্মোহ,অনাসক্ত ও বিষয়মোহ শুন্য…
বস্তুর মোহ বন্ধন মুক্ত,
কলুষ কালিমা,মোহাবিলতা মুক্ত ।
মুক্তমনের উচ্চতম স্তর,
সর্বোচ্চ প্রশংসার অধিকারী মর্যাদার স্তর।
ইহা ছাড়া নাই কোন মনুষ্য জাতির উন্নত স্তর।
সৃষ্টি রহস্যজ্ঞাপক, প্রতিষ্ঠিত প্রশংসিত মনুষ্য দেহ
বিশ্ব প্রকৃতির সামগ্রিক বিজ্ঞানময়ে
বিকাশে,প্রকাশে শ্রেষ্ঠতর…।।
আপনি ভাল থাকবেন ।
@শামিম মিঠু,
সর্বোচ্চ প্রশংসার স্তর, শ্রষ্ঠতর; বিশ্বাসীদের দুনিয়া থেকে এ অভিধাগুলো ঢুকে পড়েছে অবিশ্বাসীদের জগতেও।
অন্যান্য লেখায় আপনার মন্তব্যগুলো পড়ি, ভাল লাগছে, আর দশজন নবাগতের মত দু’দিনেই পিঠটান দেননি। চর্চ্চাটা নিরন্তর, থে মে গেলে, জানা-র ধারাটা মরে যায়। সামান্য বোধ-বুদ্ধি দিয়ে এইটুকু বুঝি।
নিয়মিত লেখা এবং বিভিন্ন লেখার উপর আলোচনার অনুরোধ থাকলো। আপনিও ভাল থাকবেন।
@স্বপন মাঝি,
“বিশ্বাসীদের দুনিয়া থেকে এ অভিধাগুলো ঢুকে পড়েছে অবিশ্বাসীদের জগতেও।”
বিশ্বাস একটি শব্দটি পরনির্ভরশীল।আস্থা,যুক্তি,প্রমান,সন্দেহ মুক্ত ইত্যাদি শব্দ ওপর নির্ভর করে একজন বিশ্বাসীর বিশ্বাস।তারপর যদি অন্ধ বিশ্বাসী হয় তাহলে তো কথায় নেই,সে তাঁর বিশ্বাসের জন্য সব কিছু করতে পারে!কেউ যদি যুক্তি,প্রমান দিয়ে তাঁর বিশ্বাসকে অপবিশ্বাস বা অন্ধবিশ্বাস চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও সে তাঁর অর্জিত পিতৃতান্ত্রিক অপবিশ্বাস বা অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা।এদের মধ্যে যারা বেরিয়ে আসে তাদেরকে সমাজ বলে অবিশ্বাসী।সমাজের অবিশ্বাসীর সংখ্যা খুবই কম ও বিরল।
“আর দশজন নবাগতের মত দু’দিনেই পিঠটান দেননি।”
মনে হয় না বেশি দিন বেশি দিন,পিঠ রাখতে পারব।ভালবাসার বিয়ে করা বউ বলে,”তোমার বিয়ে করা ঠিক হয় নাই?কাজ থেকে এসে,সময় পেলে বই বা কম্পিউটার নিয়ে বস।”
লিখতে পূর্বপ্রস্ততি সহ ধৈয্য গুণও জ্ঞান লাগে তা আমার নেই বল্লেই চলে।তাছাড়া অভ্যাস না থাকার কারনে বাংলা টাইপ করাও জামেলা।
উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ।