তসলিমা নাসরিন তাঁর দ্বিখণ্ডিত নামের আত্মজীবনীগ্রন্থে বলেছিলেন যে, তরুণ বয়সে তিনি দুজন মানুষের প্রেমে পড়েছিলেন একতরফাভাবে। এদের একজন হচ্ছে টেলিভিশনের প্রিয়মুখ আফজাল হোসেন এবং অন্যজন হচ্ছেন রূপালি পর্দার সুদর্শন নায়ক জাফর ইকবাল।
শুধু তসলিমাই নন, সত্তর এবং আশির দশকের বাংলাদেশের কিশোরী এবং তরুণীদের একটা বিরাট অংশই জাফর ইকবালের প্রেমে পড়েছিল। ওই সময়ের মেয়েদের এই গণহারে প্রেমে পড়াতে অবশ্য দোষ দেওয়া যায় না তাদের। এরকম অরূপ রূপবান, কার্তিকের মত কান্তিময়, কেতাদুরস্ত, পোশাকে আশাকে সুবেশী এবং হালনাগাদ নায়ক বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আর দ্বিতীয়টি ছিল না। আমাদের চলচ্চিত্র জগতের প্রথম অত্যাধুনিক, স্মার্ট, গ্লামারাস নায়ক তিনি। শেষও তিনিই। তাঁর সময়ে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের কারো গা থেকেই গাঁইয়া ক্ষ্যাত ক্ষ্যাত গন্ধ লুকোনো যায় নি। পরে যাঁরা এসেছেন তাঁদের অবস্থাতো আরো করুণ। না আছে ফ্যাশন, না আছে গ্লামার, না আছে চেহারা, না আছে শরীর। ওদের বদলে আমাকে নায়ক বানালেও বেশি বেশি করে তরুণীরা হলমুখো হতো। এ ব্যাপারে নিশ্চিত আমি। 🙂
শুধু সুদর্শন নায়কই ছিলেন না তিনি, ছিলেন প্রথম সারির একজন অন্যতম জনপ্রিয় গায়কও। গায়ক হিসাবেই তাঁর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রবেশ। সাংস্কৃতিক একটা পরিবারের সদস্য হবার কারণে গায়ক হওয়াটা তাঁর জন্য সহজসাধ্য ছিল। তাঁর বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ তখন অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়িকা, ভাই আনোয়ার পারভেজ বিখ্যাত সুরকার। এই সহজ কাজটাই আরো সহজ হয়ে গিয়েছিল জাফর ইকবালের অসাধারণ গানের গলা থাকার কারণে। স্কুলে থাকার সময় থেকেই গিটার বাজাতেন। ষাটের দশকের আরো অসংখ্য তরুণের মত এলভিস প্রিসলিকে ভালবেসে তুলে নিতেন গিটারে। স্কুলে কোনো অনুষ্ঠান হলেই গিটার বাজিয়ে এলভিস প্রিসলির গান গাইতেন। এরকম একটা অনুষ্ঠানেই খান আতার চোখে পড়েন তিনি। তাঁর সুদর্শন চেহারা মনে ধরে যায়। নিজের ঠিকানা হাতে গুঁজে দিয়ে বলেন যে, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা থাকলে যোগাযোগ করো। সেই যোগাযোগের ফলে নায়ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে জাফর ইকবালের।
চলচ্চিত্র জীবনে অনেক ছবিই করেছেন তিনি, তবে তাঁর মেধা এবং সৌন্দর্যের সঠিক ব্যবহার হয় নি কোনোটাতেই। এর জন্য অবশ্য অন্যদের চেয়ে তাঁর নিজের দোষই বেশি ছিল। অত্যন্ত খামখেয়ালী প্রকৃতির মানুষ ছিলেন তিনি। পোশাকে আশাকে কেতাদুরস্ত হয়ে অত্যন্ত দুরন্ত গতিময় একটা জীবন যাপন করতেন তিনি। পেশার প্রতি একনিষ্ঠতা ছিল না তাঁর। সে কারণেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হবার পরেও সঠিক জায়গায় পৌঁছোতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। নায়ক না হয়েও শুধু গায়ক হয়েও থাকলেও হতে পারতেন দেশের সেরা গায়ক। কিন্তু কোনোটাও পূর্ণভাবে হওয়া হয় নি তাঁর। না নায়ক, না গায়ক। অবশ্য এর জন্য কোনো আক্ষেপ তাঁর মনের মধ্যেও ছিল না বলেই মনে হয়। তাঁর এই খামখেয়ালীপনার কারণেই ববিতার প্রতি তাঁর একতরফা প্রেমটাও পূর্ণতা পায় নি। সত্তুর এবং আশির দশকের সিনে ম্যাগাজিনগুলোর কাছে বেশ উপাদেয় আচার ছিল জাফর ইকবালের এই ববিতার প্রতি একতরফা প্রেমটা।
রূপালি পর্দা এবং ছোটো পর্দার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে দুটোতে সমান জনপ্রিয় হবার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগন্য। আশির দশকে যখন বাংলাদেশে একটা মাত্র টেলিভিশন ছিল তখন বছরের সেরা অনুষ্ঠান আনন্দমেলাতে অবশ্যম্ভাবীভাবে জাফর ইকবালের গান থাকতো। তাঁর গ্লামারাস উপস্থিতি ছাড়া পূর্ণতাই পেতো না সেই অনুষ্ঠান।
সাত বছর আগে শেষবারের মত দেশে গিয়েছিলাম আমি। হন্যে হয়ে সমস্ত ইস্টার্নপ্লাজা খুঁজে ফিরেছি জাফর ইকবালের গানের সন্ধানে। দোকানিদের মধ্যে কেউ কেউ অবাক হয়ে তাকিয়েছে আমার এরকম আশ্চর্য করা কাণ্ডে। (দেশে কি কেউ আজকাল আর জাফর ইকবালের গান শোনে না নাকি, কে জানে।) আমার এই পাগলামি দেখে আন্নাও একদিন দেখি রেগেমেগে গিয়ে বলছে যে, তোমার রুচির বলিহারি। কী এমন গান যে, এর জন্য সারা বাজার মাথায় তুলতে হবে। আমার রুচির ব্যাপারে ওর শ্রদ্ধাবোধটা একটু কমই সবসময়। 🙁 এই সুযোগে বলে রাখি আমার কষ্টটা বৃথা যায় নি। গুলশানের এক দোকানের মালিকের সাথে খাতির হয়ে গিয়েছিল। তিনি একটা সিডি জোগাড় করে দিয়েছিলেন। এখনও সেটা আমার কাছেই আছে।
চিরতরুণ নায়ক ছিলেন তিনি। অকাল মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল বিয়াল্লিশ বছর। বিয়াল্লিশ বছর বয়সেও সেই বাইশ বছরের তারুণ্য, সৌন্দর্যকে অবিকল ধরে রাখতে পেরেছিলেন তিনি। একসময় যারা তাঁর নায়িকা ছিল তাঁদের ছেলের চরিত্রে দিব্যি অভিনয় করে গেছেন তিনি শেষ জীবনে এসে। তারুণ্যের এমনই একটা প্রতিমুর্তি তিনি ছিলেন যে, তিনি কখনো বুড়ো হতে পারেন, এই ভাবনাটাই কারো মধ্যে কাজ করে নি কখনো। সে কারণে কিনা কে জানে, প্রকৃতি বুড়ো হবার আগেই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পৃথিবী থেকে।
অনিন্দ্যসুন্দর রূপলাবন্যের কারণে তাঁকে রাজপুত্তুর বলে ডাকতো কেউ কেউ। মেয়েদের হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দিতেন বলে রোমিও বলেও ডাকতো কেউ কেউ। মৃত্যুর অনেকগুলো বছর পরে তিনি আজ ভুলে যাওয়া একজন। এমনই হয়, সময় বড় নিষ্ঠুর। পিছনের কোনো কীর্তিকে, কীর্তিমানকে কিংবা কান্তিময়কে মনে রাখতে চায় না সহজে। কলার পাতায় ভাসিয়ে দেয় বিস্মৃতির স্রোতস্বিনীর স্রোতে।
ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা বলা হয় নি। অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধও করেছেন তিনি।
হেঃ হেঃ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে কয়েকদিনের জন্য গেছিলাম, আর অনেক ভালু ভালু লেখা মনে হয় মিসাইছি 🙂 । দেরীতে হইলেও পইড়া নিলাম। আর সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী – গানটারও একটা স্মৃতি রোমন্থন হয়ে গেল।
আচ্ছা ববিতার সাথে জাফর ইকবালের একটা সম্পর্ক ছিলো না? কী যেন শুনছিলাম জাফর ইকবাল মারা যাওয়ার সময়। ফরিদ ভাই যদি এ ব্যাপ্রে একটু আলোকপাত কর্তেন 🙂
ফরিদ,
“অটঃ আমার বাসা থেকে আমি মুক্তমনায় ঢুকতে পারি না। হ্যাক করতে চাওয়ার অপরাধে আমার আইপি সহ ব্যান করেছে মুক্তমনার কর্তা-ব্যক্তিরা। সে কারণে প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মুক্তমনায় আসা হয় না আমার। মাঝেসাঝে এখান ওখান থেকে চুরি করে মুক্তমনায় ঢুকি, কিন্তু মন্তব্য করার সুযোগ থাকে না সবসময়। যার ফলে, অনেকের অনেক মন্তব্যের পাল্টা জবার দেওয়া হয় নি আমার। এর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত আমি।”
আমাকেও ব্যানড করা হয়েছে, কি অপরাধে কে জানে? কিন্তু তুমিও, একজন প্রভাবশালী মডু হওয়া সত্বেও ব্যানড হয়ে গেছ দেখে কিছুটা স্বস্তি (আমি একা না) পেলাম। তুমি হ্যাক করতে চাইছিলা কেন?
নায়ক জাফর ইকবালের বেশির ভাগ ছবিই দেখেছি। তাঁর একদম শেষের দিকে করা ‘প্রেমিক’ মুক্তি পাবার দিনই পরপর দু’বার দেখেছিলাম মনে আছে। রাজ্জাকের ‘বদনাম’ ছবিতে জাফর ইকবালের গাওয়া ‘হয় যদি বদনাম হোক আরো’ গানটাও খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
ফরিদ ভাইয়ের সিনেমা বিষয়ক লেখাগুলো পড়ে বড্ড মিস করি সেইসব দিনগুলি।
@প্রদীপ দেব,
এই সিনেমাটার প্রি-প্রোডাকশন নাম ছিল ডিসকো প্রেমিক। ডিসকো শব্দটা আশির দশকের মাঝামাঝি থে্কে তরুণদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল। সুশীল লোকজনের আবার এই শব্দটা শুনলে খাউজানি শুরু হয়ে যেতো। সিনেমার এমন বিদঘুটে নামে সেন্সরবোর্ডের মাননীয় সদস্যদের তীব্র প্রদাহ সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা ডিসকো শব্দটাকে আটকে দেয়। ছবিটা মুক্তি পায় প্রেমিক নামে। কিন্তু এর মধ্যেই পোস্টার তৈরি হয়ে যাওয়াতে, সেই পোস্টারের ডিসকো শব্দটাকে বড়সড় একটা এক্স চিহ্ন দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছিল। এখনকার ছেলেপেলেরা এই ঘটনা থেকে আশির দশকের সুশীল মানসিকতার একটা চিত্র পাবে বলে আশা করছি।
আমাদের বড় হওয়াটা একই সময়ের জল, জোছনা, রিনিঝিনি হাওয়া আর রোদেলা্ দিনের মিষ্টি আদর গায়ে মেখে। সে কারণেই হয়তো এই অনুভূতি।
অটঃ আমার বাসা থেকে আমি মুক্তমনায় ঢুকতে পারি না। হ্যাক করতে চাওয়ার অপরাধে আমার আইপি সহ ব্যান করেছে মুক্তমনার কর্তা-ব্যক্তিরা। সে কারণে প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মুক্তমনায় আসা হয় না আমার। মাঝেসাঝে এখান ওখান থেকে চুরি করে মুক্তমনায় ঢুকি, কিন্তু মন্তব্য করার সুযোগ থাকে না সবসময়। যার ফলে, অনেকের অনেক মন্তব্যের পাল্টা জবার দেওয়া হয় নি আমার। এর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
রাজপুত্র রে নিয়া লিখা টা খুব ভালু পাইছি । আপনি বড্ড খারাপ লোক। শুধু শুধু আমাদের নস্তালজিয়া তে ভোগান। তাই আপনার আর আন্না ভাবীর লাইগা রইল এক্কান গান।
httpv://www.youtube.com/watch?v=JXVkhgJkFxI&feature=related
হ। শেষ নবীর পরেও শেষ নবী থাকে। 🙂
একেবারে শেষ নবী বানাইয়া দিলেন :)) ।, আরেক জনরেও আমার খারাপ লাগতো না, সালমান শাহ্ ।
হুমায়ুন ফরিদী আমার নিজেরও অসম্ভব প্রিয় একজন অভিনেতা। সেই কিশোর বয়সে একা একা গিয়ে গুলিস্তান সিনেমা হলে দহন দেখেছিলাম শুধুমাত্র হুমায়ুন ফরিদীর কারণেই।
আমাদের সাংস্কৃতিক এবং সাহিত্য ইতিহাসের স্বর্ণপ্রসব সময় হচ্ছে ষাট এবং সত্তরের দশক। এই সময়ে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাঁরা সকলেই এখন প্রৌঢ়, ষাট বা সত্তরোর্ধ। এঁরা এখন দাঁড়িয়ে আছেন মৃত্যুর সীমানার খুব কাছাকাছি। কেউ কেউ এর মধ্যেই বিদায় নিয়েছেনও। বাকিরাও প্রস্তুত। কাজেই, এই ধরণের হৃদয়ভাঙা মৃত্যুর খবর এখন আমাদের নিয়মিত বিরতিতেই শুনতে হবে।
@ফরিদ আহমেদ,
আহা, কিশোর বয়সে স্কুল পালিয়ে আমিও দহন দেখেছিলাম শুধুমাত্র ফরিদীর কারণেই।
প্রতিটি মানুষের স্মৃতি অনন্য, তাকে খাঁটো করা কোনভাবেই ভব্য নয়। আপনার লেখাটা পড়ার আগ থেকেই আমার মন অসম্ভব ভার ভার,কারণ হুমায়ুন ফরিদী। দেখতে রূপবান নন কিন্তু অভিনয়ের যে যাদু তিনি দেখিয়েছেন, তা তো সত্তরটা হুর-পরী পেয়েও ভুলতে পারবো না।
ফরিদ ভাই, আন্নাপারে কইয়েন ওনারে ফায়ার করা হইল, ওনার ছুরিকাঁচির ফাক গইলা যদি এমন রূপবান লেখা দিনের আলো দেইখা ফালায় তাইলে আর ওনারে রাইখা লাভটা কী :-Y
আহারে, ‘রূপবান’, ‘রিক্ত’, ‘অনিন্দ্যসুন্দর’ ‘রূপলাবন্য’ ‘রাজপুত্তুর ‘… যাই কই… জাফর ইকবালের অভিনয় কোনদিনও ভালো লাগতো না, তয় গানগুলা আধুনিক লাগতো দেইখা ভালো পাইতাম, আপ্নে তো দিলেন সেই আধুনিকতায় বাঁশটা মাইরা… গানটা দেওনের জন্য ধন্যবাদ। আপ্নের লেখাটা মুক্তমনায় দেওয়ার পর থেকেই কিন্তু সাইটটা রূপের ধাক্কায় স্লো হয়ে গেসে, কালকে মন্তব্য করতে গিয়াও পারি নাই।
@বন্যা আহমেদ,
সেইডাইতো। নো লে অফ, পুরাই ফায়ার। চটপটে ধরণের তন্বী-তরুণী একজন নতুন গেইটকিপার হায়ার করা ফরজ কাজ এখন। 🙂
আশির দশকের কিশোরী হইয়াও যদি কও যে জাফর ইকবালরে ভালা পাইতানা, তাইলে ক্যামনে কী? তুমিতো পুরাই একখান ব্যাটাছেলে দেখতাছি। :))
কত তরুণীর হৃদয়ের স্পন্দন স্লো করে দিয়েছে জাফর ইকবাল এক সময়। মুক্তমনারও যে এরকম হবে, এতে আর অবাক হবা্র কী আছে।
@ফরিদ আহমেদ,
হ! চাপা পিডানির আর যায়গা পাইলেন না? আপনিই কী লিকছেন দেহেন…
:lotpot: :lotpot:
@টেকি সাফি,
আমার দোষ কী কও? মেয়েদের হৃদয়স্পন্দন বলে কথা। বাড়লে বলে কমছে, কমলে বলে বাড়ছে। স্বয়ং দেবতাদেরই ঝামেলা হয়ে যেতো, আর আমিতো কোন ছার। সাধে কী আর শাস্ত্রে আছে স্ত্রীয়াশ্চরিত্রম দেব ন জানন্তি। 🙁
কই ডুব দিয়া আছিলেন এত দিন কন তো?
আর আফনে মিয়া নায়কই চিনেন না। নায়ক অইল ছাকিব খান। হের একখান ডায়ালোগ হুনেন তাইলেই বুঝবেন হেয় কী জিনিস। চো নায়ক ছাকিব খান তার মায়েরে ফোনে কইতাছেঃ
“মা, আমি কালকেই বুয়েট থেকে এমবিবিএস পাশ করে রাতের ফ্লাইটেই দেশ চলে আসব। ” 🙁
(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ এই কাহিনী মিছা হবার সম্ভাবনা ১০০%)
@সাইফুল ইসলাম,
পঙ্কিল জলাশয়ে। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
পঙ্কিল জলাশয় থেইক্ক্যা আবার যে সেজদা দিয়া উঠলেন এতেই আমরা পুলকিত :))
হায় নষ্টালজিয়া!
ভাল লাগল লেখাটা!
তিনি একটা সিডি জোগাড় করে দিয়েছিলেন। এখনও সেটা আমার কাছেই আছে।
gaan gulo sonar esse hosse.diben ki????
@নিধি,
কীভাবে দেবো? মুক্তমনায় আপলোড করার কোনো ব্যবস্থা নেই যে। 🙁
জাফর ইকবালের একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল, কি যেন, ছেলে বিদেশ থেকে ফিরেছেন, মা বলছে আমার যাদু ফিরে আইছনি।
লেখাটি পড়ে ঐ গানটির কথা মনে পড়ল।
ধন্যবাদ ফরিদ
@গীতা দাস,
“জাফর ইকবালের একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল, কি যেন, ছেলে বিদেশ থেকে ফিরেছেন, মা বলছে আমার যাদু ফিরে আইছনি।”
দিদি ভুল হলে ক্ষমা করবেন, গানটা মনে হয় ফিরোজ শাই এর গাওয়া :-s
@এমরান,
না, গানটা জাফর ইকবালেরই গাওয়া। গীতাদি-ই সঠিক।
@এমরান,
ভুল কি শুদ্ধ সে প্রমাণে যাচ্ছি না।যেতেও পারছি না আপনি নিশ্চয়ই জেনেই সঠিক তথ্য দিয়েছেন আমি তো তাৎক্ষণিকভাবে আমার প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম। ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে তো আমিই ক্ষমা চাইব।
@গীতা দাস,
আপনার তথ্যই সঠিক, এমরানই ভুল করছেন।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি মহাখুশি এই ভেবে যে আমার তাৎক্ষণিক উপলদ্ধি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতগতা করেনি।
ধন্যবাদ ফরিদকে।
অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন! ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
@গরীব মানুষ,
আপনাকেও ধন্যবাদ। বুড়ো হচ্ছিতো। অনেক কিছুই এখন মনে পড়ে যায় হুটহাট। ফেলে আসা কালে সময়ের সাথে সাঁতার কেটেছিতো, আলাদা করে কিছুই চোখে পড়ে নি তখন। এখন যখন ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাই, অনেক কিছুকেই ভিন্ন দেখি। আলাদা মুল্য হয়ে ধরা পড়ে সেগুলো এখন।
ছিল, মেধায় হয়তো নয়, তবে সৌন্দর্যে ছিল। আপনি আমার অলিভিয়ার কথা ভুলে গিয়েছেন দেখছি।
httpv://www.youtube.com/watch?v=v00JkVm6h94&feature=related
ফরিদ ভাই,
আপনি ফিরে এসেছেন দেখেই খুশি লাগছে। এ জন্য আপনাকে (F)
একমত! মারুফ, সম্রাটদের গ্লামার, চেহারা, শরীর না থাকতে পারে, প্রভাবশালী বাবা-চাচা আছে তো। আর এই যুগে এটাই তো সবচেয়ে দামী!
এক তরফা কেন? ববিতা কি তাকে ভালবাসতেন না? এ জুটিটা বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষনীয় কাপল হতে পারত বলে আমার মনে হয়। ফরিদ ভাই, আপনি জাফর ইকবালের ক্ষেত্রে যে কথা বলেছেন, তা ববিতার জন্যও সত্য। এমন ফ্যাশন, গ্লামার ও সৌন্দর্য বাংলাদেশের আর কোন নায়িকার ছিল?
(পুনশ্চঃ জাফর ইকবালের ‘হৃদয়হীনা’ গানটি আমার অলটাইম ফেবারিট)।
এই দেলডারে খামচাখামচি করতে কৈত্থন নস্টালজিয়া লয়া আইলেন রে ভাই
জাফর ইকবালের প্রতি আমার একটা অন্ধশ্রদ্ধাবোধ সব সময়ই ছিল, তিনি শাহনাজ রহমত উল্লাহর ভাই হওয়ার কারণে। আচ্ছা সে সব না পরে আলোচনা হবে আগে বলুন এটা কী?
আমাদের চিত্রজগতের জন্যে এ তো মারাত্বক সুখবর। তো আপনার ছবিটা কই?
বোনের দোষের দায়ভার ভাইয়ের ঘাড়ে চাপবে কেন? জাফর ইকবাল সক্রিয় এবং সশস্ত্র একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
ধর্মে নিষেধ আছে, তাই ফটোক তুলি না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
স্বাধীনতার সৈনিককে হাজারবার সালাম। কেন যে কোথা থেকে কী হয়ে গেল। এমন প্রতিভা, সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে এতো অল্প বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন। সম্ভবত ‘আপন পর’ তার প্রথম ছবি। সে ছবির যে গানটি বাংলার ঘরে ঘরে বেজেছে বহু দিন, তার স্ম্বরণে সে গানটিই শুনা যাক-
httpv://www.youtube.com/watch?v=DgWQl8G5Y00
@ফরিদ আহমেদ,
মুভি দেখাও কিন্তু কবীরা গুনাহের আওতায় পড়ে:razz:
@তামান্না ঝুমু,
কোন কিতাবে লেখা আছে শুনি। মুভিতো মুহাম্মদের সময় ছিলই না। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
গুনাহ হবে যে, এই কারণে হয়ত ছিলনা।
আর মুভিতে বিপরীত লিঙ্গের কারো রূপে অভিভূত হলে ত সেটা মহাকবীরা গুনাহ।
@তামান্না ঝুমু,
আমিতো সমলিঙ্গের রূপে মুগ্ধ। কোন গুনাহ হবে? :-s
@ফরিদ আহমেদ,
😀
@ফরিদ আহমেদ,
সমলিঙ্গের রূপে শুধু মুগ্ধ হলে গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা কম। রূপ-গুণে মুগ্ধ হওয়া ভাল জিনিস। শান্তি-শৃংখলা বাড়ে।
@তামান্না ঝুমু,
হে নবী, আন্না ভাবীরে বাঁচাইতেই হইব। নতুন সুরা নাজিল করেন জলদি। এইসব চলতে দেওয়া যাই না। ফরিদ মিয়া লোক টা বড় খারাপ আছে।
:hahahee:
বড় খারাপ লোক ছিলো, এইটা হইবো শিরোনাম, আমারে নিয়া যখন কেউ শোকগাথা লিখবো (আদৌ যদি কেউ লেখে)এই মুক্তমনায়।
@আকাশ মালিক,
মলাটের ভিত্রে দ্যাহেন, পায়া যাবেন :))
@কাজী রহমান,
হ্যাঁ, সেটা তো মনেই নাই। পরিচালকদের নজরে না পড়লেই হলো, আমরা একজন লেখক হারাতে চাইনা।
@আকাশ মালিক,
হ একটু নায়করেও এট্টু খুটাবান্ধা বাইন্ধা রাহা দরকার, উনার আবার ধুমসিপ্রীতি আছে হুন্সিলাম
@কাজী রহমান,
ধুমসি না, ভরাটপ্রীতি আছে। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
মনে করলাম অভিজিৎ বিশালবক্ষা চান্সটা লইবো, অয় দেহি ঘুমায়। যাউজ্ঞা স্বীকরোক্তি তো নবায়ন করা গেল (D)