কি বলবো তোমায় জানি না
মনের গহীনে অদ্ভুত অনুভুতি
দূরালাপনীতে তোমার ম্রিয়মান কণ্ঠস্বরে
ক্রমান্বয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রা।
মৌচাকে এখন নিরবতা
মক্ষীরা দিয়েছে ধর্মঘট
প্রলেপ দেয়ার মত মধু নেই
তোমার তিক্ত শব্দমালায়।
আমরা প্রেমের যাযাবর
নিখোঁজ পরিত্যক্ত শহরে
সপ্নবাসনা এবং বাস্তবতার
মাঝে ঝুলে থাকা আত্মা।
আমরা প্রেমের যাযাবর
কুয়াশার বুকে অভিজ্ঞ পর্যটক
প্রতীক্ষা করে লাভ নেই
শেকড় আমাদের গজাবে না
আমাদের সামনে বাতাসের হুলিয়া।
আমাদের মনে উকি দেয় একটা
মরূদ্যান এবং একটি রাত্রি
পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে আমরাই ধ্রুব।
তুমি জেনে গেছ এরই মাঝে
আমাদের মন পড়ে থাকে একটি মরূদ্যানে ….
আর অন্য সব জায়গা সবসময়ই অপ্রতুল।
তুমি ইতিমধ্যেই জেনে গেছ …
এটাই সত্য।
পড়লাম।
একটা প্রশ্ন মনে উঁকি। প্রেমের যাযাবর হয়েও কেন প্রতিক্ষা? কেন মনের গহীনে অদ্ভুত অনূভুতি? তবে তো যাযাবরের সংজ্ঞা আমাদের পালটে দিতে হয়।
@ছিন্ন পাতা,
এক যাযাবর নগরীতে বসতি গড়তে চলে যায় তার চির চেনা মরূদ্যানের পরিবেশ পেছনে ফেলে। একটা সময় পর , তার মধ্যে
আত্মোপলব্ধি হয় যে, যাযাবর চিরকাল যাযাবরই থাকে। নগরের কৃত্রিমতায় তার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায়। রূক্ষ মরুর কোমল মরূদ্যানে রহস্যময় শীতল রাত্রি তাকে বারবার হাতছানি দেয়। একদিন সে ঠিকই ফিরে যায় তার চিরচেনা মরূদ্যানে যেখানে আকাশ ভরা শীতল জোছনা আবার তাকে বুকে টেনে নেয়।
@সংশপ্তক,
মরুদ্যান শব্দটির ব্যবহার কবিতায় ও মন্তব্যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে আমরাই ধ্রুব।
লাইনটির সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
শব্দব্যূহ ভেঙে অর্থের দুয়ার কড়া নাড়া হয়ে ওঠে না, তাই মন্তব্যে নীরব এ পাঠক, আপনার এ কবিতা পড়ে, হোচট খেল।
এখানে কাদামাটি-রোদ-জল-বৃষ্টি আর মানুষের আদিম স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভাঙার চমৎকার প্রকাশ দেখে, নিজেই ফিরে গিয়েছি সেই হারানো দিনে। যেদিনগুলোতে ঠিক এ রকম এক অনুভূতিতে মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকতো।
খুব করে নিজেক প্রশ্ন করতাম, কেন এ রকম হয়? মানুষ কি এক চোখে কাটাবে সারাটা জীবন? একবারও কি সে নিজেকে প্রশ্ন করবে না, তোষামোদ করে যারা আসে যায়, তাদের দেবার মত কিছুই থাকে না, যা থাকে তা নেবার। আর স্পষ্টভাষীরা যায় – নির্বাসনে। আমি নিজেও খুব করে দেখেছি, ঠকবাজরাই এগিয়ে, আর অগ্রসর মানুষ থাকে পিছিয়ে। হয়তো অগ্রসর মানুষগুলোর জানা নেই তোষামোদের মহা মন্ত্র। তাই পরাজয়।
@স্বপন মাঝি,
অগ্রসর মানুষেরা ঠকাতে শুরু করলে আবার আনাড়ী ঠকবাজেরা মাঠে মারা যাবে। যে রাঁধতে জানে , সে চুল বাঁধতেও জানে !
@সংশপ্তক,
কৃত্রিম উপায়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মত হয়ে গেল।
@সংশপ্তক,
কৃত্রিম উপায়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের মত হয়ে গেল।
বারবার আমাদের শব্দটা কি ইচ্ছে করে ব্যবহার করেছেন? শুভেচ্ছা –
@আফরোজা আলম,
আমাদের শব্দটার পুনঃ পুনঃ ব্যবহার এখানে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত। ‘বহুবচনকে’ যেন ‘একবচন’ বলে ভুল না করা