আমার ফেসবুকে পদার্পণ বেশিদিনের নয়। ২০১০ সালের জুলাই মাসের ২৬ তারিখে। এক ধরণের অনীহা ছিলো এই ফেসবুকের যাবতীয় কাজকারবার ঘিরে। ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করা, ‘আজকে দুধের সাথে কলা মিশিয়ে খেয়েছি বলে স্ট্যাটাস দেয়া’, আর বিনা কারণে আরো চোদ্দ-জনের সেই কলা খাওয়া স্ট্যাটাসে লাইক দেয়া – এসবের কোনই অর্থ খুঁজে পাইনি আমি। তারপরেও একসময় ফেসবুকে এলাম। বন্ধুদের পীড়াপীড়িতেই কিছুটা। কিছুটা আবার আগ্রহে। ফেসবুকে নাকি মুক্তমনাদের অনেক পেজ, ফোরাম, গ্রুপ – এগুলো আছে। তা আমিও ঢুকে পড়লাম চুপি চুপি একদিন।
প্রথম কিছুদিন ভাব বুঝতেই সময় লেগেছে। পরে একটা সময় ধাতস্থ হয়ে উঠলাম। দেখলাম, ফেসবুক একটি আজীব জায়গা। ভাল লেখালিখি, খবর এগুলোর হদিস তো পাওয়া যায়ই, এবং সেই সাথে কার ভেতরে যে কী আছে তা ফেসবুকে না থাকলে ঠিকমতো বোঝাই যায় না। কেউ হয়তো নিজের গুঁফো মুখ আড়াল করেছে কোন উদগ্র কামনাময়ী নারীর প্রোফাইল পিকচার দিয়ে, আর সেই ছবি একে ওকে পাঠিয়ে মধুমক্ষিকাদের সুমধুর আমন্ত্রণের হাতছানি। কেউ কেউ আবার ট্র্যাপে পড়ে সেটা গ্রহণ করছে, সেটা আবার জানতে পারছে তার কমন ফেসবুক বন্ধুরা। আবার আরেকদল অনাবৃতবক্ষা কোন নারীর নিউজক্লিপ পড়বে বলে কোন লিঙ্কে যেই ক্লিক করেছে, ওমনি সেই সব ছবি সম্বলিত নিউজ পোস্ট হয়ে যাচ্ছে তার বন্ধুদের ওয়ালে। রাম ধরা খেয়ে তারা তখন চ্যাঁচাচ্ছে – ‘ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ফেলেছে হ্যাকারেরা, আর আমার বন্ধুদের ওয়ালে আজে বাজে ছবি পোস্ট করছে। আপনি এই নিউজটি সবাইকে ছড়িয়ে দিন’। তামসার কোন শেষ নেই।
তা ফেসবুকের তামসা বাড়াতেই আমি একসময় স্ট্যাটাসে কিছু নির্দোষ জোক পোস্ট করতে শুরু করি। প্রথম দিকে ফেসবুকের স্ট্যাটাসের লিমিটেশন ছিলো অনেকটা টুইটারের মতোই। মাত্র ৪২০ অক্ষর। তাই খুব কায়দা করে জোক পোস্ট করতে হত, তা যেন শব্দ-সীমাকে ছাড়িয়ে না যায়। কিন্তু ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে সে সমস্যা আর রইলো না। ফেবুকের স্ট্যাটাসে অক্ষরের সেই ফোর টুয়েন্টি মার্কা লিমিট তুলে দিয়ে ষাট হাজারেরও বেশি অক্ষর সমৃদ্ধ স্ট্যাটাস পোস্ট করার সুযোগ দিয়ে দিল। ষাট হাজার অক্ষর তো অনেক। ছোট খাট জোক তো বটেই পুরো গল্প উপন্যাসই মনে হয় লিখে ফেলা সম্ভব। তাই প্রথম দিকে কিছু জোকের আকার ক্ষুদ্র হলেও, পরের দিকেরগুলো বড়সড়।
জোকের সূচনা হয়েছিলো আমাদের শাফায়েতের একটি নির্দোষ টেকনিক্যাল আপডেটের লেখাকে কেন্দ্র করে, বিশেষ করে তার আপডেট ‘বিটা ভার্শনে রয়েছে’ এই অমিয়-বানী শ্রবণ করার পরে। সেটি ছিলো অগাস্টের ৩১ তারিখ। এরপর পরবর্তী চার মাসে আরো কিছু জোক এসেছে স্ট্যাটাসে। অনেককে নিয়েই নানা পদের রসিকতা হাজির করা হয়েছে। এ-জোকগুলোর কোনটিরই মৌলিকত্ব দাবী আমি করছি না। বিভিন্ন সময় শোনা কিংবা জানা জোকগুলোকেই নানাভাবে মোল্ড করা হয়েছে। কোন কোনটি অবশ্য তাৎক্ষণিক-ভাবেই মাথায় খেলে গেছে, কিন্তু সেগুলো মৌলিক কিনা সে ব্যাপারেও আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই, হতেই পারে পুরনো কোন শোনা কাহিনীই আমার মাথায় জুড়ে বসেছিল। কিন্তু মৌলিক হোক আর না হোক, জোকগুলো যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ভাল লেগেছিল তা স্ট্যাটাসের মিথস্ক্রিয়ায় নানাভাবে বোঝা গেছে।
নববর্ষের দিনে সেই জোকগুলোই তুলে দেয়া হল মুক্তমনার পাঠকদের জন্য।
শুভ নববর্ষ।
ডিসক্লেমার – নীচের এ জোকগুলোতে বর্ণিত সকল চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তির নামের সাথে মিল নেহাতই কাকতালীয় কিংবা ঘটনাচক্রের সমপাতন। 😉
:line:
বিশ্বের খ্যাতিমান প্রোগ্রামার শাফায়েত আশরাফ তাহার ১০০ বৎসর বয়সে ইন্তেকাল করিবার পর পরলোকে সহসা এক ছায়া-সুশীতল বৃক্ষের তলায় নিজেকে আবিষ্কার করিলেন। সারা জীবন নাস্তিকতাবাদ চর্চা এবং পাশাপাশি নাস্তিক মুরতাদ মুক্তমনাদের ওয়েব সাইট ডেভেলপ করিয়া তাহার প্রতীতি হইয়াছিলো যে, পরকাল পরলোক বলিয়া কিছু নাই, ওই সকলই কেবল ছেলে ভুলানো রূপ কথা। তাই হঠাৎ করিয়া এক্ষণে নিজেকে পরকালে বৃক্ষের নীচে আবিষ্কার করিয়া কিঞ্চিত ভ্রু-কুঞ্চিত শাফায়েত।
পরলোক না হয় বুঝা গেল, কিন্তু এই জায়গাটা বেহেস্ত নাকি দোজখ?
তাহার সারা জীবনের শিখা if-else ক্লজের এলগোরিদম প্রয়োগ করিয়া আর নেস্টেড লুপের ভিতর প্রশ্নটিকে অনুপ্রবেশ করাইয়া শাফায়েত নিমেষেই বুঝিয়া লইলো ইহা আর যাহাই হোক দোজখ নহে। কারণ দোজখ হইলে এতক্ষণে তাহার ফুটন্ত কড়াইয়ে উত্তপ্ত হইয়া জীবন এতক্ষণে ঝামা ঝামা হইয়া যাইতো, ছায়া সুশীতল বৃক্ষের নীচে বসিয়া সমীরণ উপভোগ করিবার ফুরসৎটুকু হইতো না। ইহা তাহা হইলে বেহেস্তই হইবে।
পরলোকে নিজেকে দেখিয়া শাফায়েতের ভুরু যতটা কুঞ্চিত হইয়াছিলো প্রথমে, নিজেকে বেহেস্তে আবিষ্কার করিয়া চাহার বদন ততোধিক প্রসন্ন হইয়া উঠিল, হাসি হইলো আকর্ণবিস্তৃত ( )। ইহা মন্দের ভাল হইয়াছে বলিতে হইবে।
কিন্তু হাসি সাময়িক। বেহেস্তে হুর পরী কই? খালি ছায়া সুশীতল বৃক্ষরাজি দেখিয়া কি তাহার মন ভরিবে? ইতি উতি খুঁজিয়া কোথাও কিছু না পাইয়া উঠিবার উপক্রম করিতেই শাফায়েত দেখিলো অনতিদূরে টিলার উপরে স্বয়ং ঈশ্বর বসিয়া আছেন। পদদ্বয় সন্নিবদ্ধ অবস্থায় ঈশ্বর তাহারই দিকে তাকাইয়া রহিয়াছেন।
অবশেষে তাহা হইলে সমাধান পাওয়া গিয়াছে। হুরীর খোঁজ ঈশ্বরই দিতে পারিবেন। আল্লাহ মালিক। গ্রীবা উন্নত করিয়া তাহার নিকটে গিয়া শাফায়েত শুধাইলো –
– এই যে মশাই, শুধু পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে চলবে – এত যে পৃথিবীতে ওহি পয়গম্বর কিতাব সিতাব পাঠায় আর কোরান হাদিসে সত্তুরটা উদ্ভিন্নযৌবনা হুর পরীর কথা একশ জায়গায় ফেনায় ফেনায় বললেন, আমি তো হুরী, মুড়ি, ঘুড়ি কিছুই দেখি না এখানে। হুরীরা সব গেল কই?
ঈশ্বর নিরাসক্ত স্বরে উত্তর দিলেন –
– সিস্টেমটি “beta” পর্যায়ে আছে …
অগাস্ট ৩১, ২০১১
********************************************
ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স সুদূর আফ্রিকান এক আদিম ট্রাইবে প্রকৃতি বিবর্তন এবং সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েছেন, সেখানে তিনি একবছর থাকবেন আর তার নতুন বই লিখবেন ‘আউট অফ আফ্রিকা’ নিয়ে। তিনি আফ্রিকান ট্রাইবের মধ্যে বাস করে তাঁদের সংস্কৃতির অনেক কিছু শিখছেন, আবার তাঁদেরও শেখাচ্ছেন অনেক কিছু – বিশেষত: পশ্চিমা জগতের বিজ্ঞান, কারিগরি, প্রযুক্তির কিছু দিক। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন খবর পাওয়া গেল ট্রাইবের নেতার স্ত্রীর এক সন্তান হয়েছে, কিন্তু গায়ের রঙ ধবধবে সাদা!
ট্রাইবের সবাই হতবাক। প্রফেসরকে আলাদা কয়রে ডেকে নিয়ে ট্রাইবের সর্দার বললেন – ‘হুনেন প্রফেসর সাব, এইখানে আপ্নেই আছেন একমাত্র এইরকম সাদা । আমরা এর আগে কোন সাদা চেহারার মানুষই দেখি নাই। কোইত্থিকা কী হইছে, এইডা বুঝতে জিনিয়াস হওন লাগে না’।
প্রফেসর একটু ভেবে বললেন, ‘না, না চিফ। আপনি ভুল বুঝছেন। প্রকৃতিতে এরকম ঘটনা মাঝে মধ্যেই দেখা যায়। বিজ্ঞানে আমরা এটাকে বলি Albinism। এই যে আপনার উঠানে দেখেন সবগুলা ভেড়া সাদা, খালি একটা ভেড়া কালো রঙের। প্রকৃতিতে এরকম হয় মাঝে সাঝে, আপনি শান্ত হন।
ট্রাইবের সর্দার বেশ কিছুক্ষণ ধরে চুপ থেকে ডকিন্সকে বললেন, ‘শোনেন, আপ্নের লগে একটা ডিলে আসি। আপনে ভেড়া নিয়ে আর কাউরে কিছু কইয়েন না, আমিও সাদা শিশু লইয়া আপনেরে কিছু কমু না!’
********************************************
লাল মিয়ার বড় দুঃখ। তিনি পাসপোর্ট হাতে পাহিয়াছেন। কিন্তু পাসপোর্টে তাহার নাম ভুলক্রমে সোনা মিয়া লেখা হইয়াছে। লাল মিয়া পাসপোর্টের অফিসে সরাসরি হাজির হইলেন। কর্মকর্তা কহিলেন, লাল সাহেব, মৌখিকভাবে তো কিছু হইবে না, আপনি আমাদের বরং একটি চিঠি দিন। লাল মিয়া পরদিন পাসপোর্ট অফিসে চিঠি পাঠাইলেন-
আমি লাল মিয়া, পিতা মৃত কালা মিয়া, … এই মর্মে অভিযোগ জানাইতেছি যে, পাসপোর্টে আমার নাম ভুলভাবে লিখিত হইয়াছে। অধমের নিবেদন এই যে,
আমার নামের স্থলে মিয়ার জায়গায় মিয়া রাখিয়া সোনা কাটিয়া লাল করিয়া দেওয়া হৌক!
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১
********************************************
এটা অবশ্য কোন জোক নয়। তবে বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থা এমনই যে মন্ত্রি-মিনিস্টারদের অনেক উক্তিই ‘জোক’ বলে ভ্রম হতে পারে, যেমনটি হয়েছিলো ১৬ তারিখে প্রকাশিত একটি খবরে।
আজকের বাণী চিরন্তনী!
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহমান ফকির বলেছেন, ‘ধর্মমতে মুসলমানদের কোনো অকালমৃত্যু নেই। তারেক মাসুদ ও মিশুক তাদের জন্য নির্ধারিত সময়েই মারা গেছে। তাদের জন্য দুঃখ লাগতে পারে। তবে এটাই বাস্তব।’
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-09-16/news/186097
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১১
********************************************
এদন উদ্যানে বিবি হাওয়া একাকী ঘুরিতেছিলেন। ঈশ্বরকে বলিলেন,
– ‘প্রভু আমার এক সমস্যা…’
– কি সমস্যা?
– আপনি এই কানন বানাইয়াছেন, সাপ না শয়তান কি বানাইয়াছেন, তথাপি এখানে আমি একা, নিঃসঙ্গ।
প্রভু হাওয়ার দুঃখে ব্যথিত,বললেন,
-ঠিক হায়, তোমার জন্য আমি পুরুষ তৈরি করিব।
– সেটা কি জিনিস?
-সেএক আজব চীজ।তোমার মধুর হাসিতে গলে যাবে, তোমাকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করবে,তোমার জন্য হাসবে, কাঁদবে, তোমাকে মাথায় করে রাখবে …
-বুঝলাম, কিন্তু ভিত্রে নিশ্চয় কুনো ঝামেলা আচে।
– ‘একটাই কণ্ডিশন’, ঈশ্বর বললেন।
-কী?
– তোমার হের মাথায় ঢুকায় দেওন লাগবো যে, হেই বলদডারে আমি তোমার আগে বানাইছি।
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১১
********************************************
ভেবে দেখলাম, আমাদের মহান ঈশ্বর হচ্ছেন নাস্তিকূলশিরোমনি, মানে সবচেয়ে বড় নাস্তিক (উনি বিশ্বাস করেন না যে কোন সৃষ্টিকর্তা তারে বানাইছে), তাই তার দর্শন হওয়া উচিৎ অবিশ্বাসের দর্শন! 🙂
জুলাই ১৫, ২০১১
********************************************
জুকার্নায়েকের বড় আশা ছিল তিনি মৃত্যুর পর বেহেস্ত-বাসী হইবেন। তা আশা করবেনই বা না কেন? এতদিন ধরে আল্লাহর পথে জিহাদ কর্ছিলেন, নানা ভাবে বিবর্তনের বিরুদ্ধে গীবত গাইছেন, বিভিন্ন লেকচারে আল্লা আল্লা আর ইসলাম ইসলাম কইরা ফ্যানা তুইলা ফেলাইলেন, কোরানের মইধ্যে বিজ্ঞান পাইলেন, পৃথিবীর আকার পাইলেন উটের ডিমের লাহান, উনি বেহেস্তবাসী না হইলে হইবো কে?
কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর ঈশ্বর আরেক। কোন এক অজ্ঞাত কারণে ঈশ্বরের শেষ বিচারে জুকার্নায়েকের বেহেস্তে স্থান হইলো না। স্থান হইলো দোজখে। তবে হাজার হলেও তিনি স্বনামখ্যাত জুকার্নায়েক। ঈশ্বর তাকে ডেকে নিয়ে দয়াপরাবশতঃ বললেন, তোমাকে দোজখের বিভিন্ন প্রকৃতি ঘুরাইয়া দেখানো হবে। তোমার যেটা পছন্দ বেছে নেওয়ার তৌফিক দেয়া হইল, জুকার্নায়েকজী!
মন্দের ভাল, কি আর করা। জুকার্নায়েককে প্রথম একটা ঘরে নিয়ে যাওয়া হইল। সেখানে এক পাপিষ্ঠকে উলঙ্গ করে চাবুক কষা হচ্ছে। আর চাবুকের বাড়ি খেয়ে পাপিষ্ঠ ব্যাটা তারস্বরে চ্যাঁচাচ্ছে। জুকার্নায়েক দেখে বললেন, কতক্ষণ এ ব্যাটাকে চাবুক মারা হবে? উত্তর আসলো এক হাজার বছর। এর পর এক ঘণ্টা বিরতি। তারপর আবার … জুকার্নায়েক শুনে বললেন, নাহ এটা আমার জন্য নয়, চলুন অন্য ঘরে যাই।
দ্বিতীয় ঘরে গিয়ে জুকার্নায়েক দেখলেন, সেখানেও এক ব্যক্তিকে ধরে গরম কড়াইয়ে বসিয়ে পোড়ানো হচ্ছে, আর ব্যথার চোটে উহ আহ করছে। জুকার্নায়েক সে ঘর থেকেও বিদায় নিয়ে বললেন, আরো অপশন কী আছে দেখা যাক।
তৃতীয় ঘরে গিয়ে দেখেন এক লোককে উলঙ্গ করে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে, আর এক সুন্দরী তন্বী হাঁটু গেড়ে বসে ভদ্রলোকের ‘উহা’ মুখে নিয়ে মনিকা লিউনস্কির মতন মুখমেহন করে চলেছেন। কিছুক্ষণ টেরা চোখে অবলোকন করে জুকার্নায়েক ভাবলেন, এটা তো মন্দ নয়। নিজেকে চেনবাধা ভদ্রলোকের জায়গায় কল্পনা করে আমোদিত ভাব নিয়ে ঈশ্বরকে বললেন, এই দোজখই আমার পছন্দের।
ঈশ্বর ঘুরে সুন্দরী তন্বীর দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার কাজ শেষ। এখন থেকে জুকার্নায়েক পরবর্তী এক হাজার বছর ধরে এই সার্ভিস দেবেন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১
:line:
আরেকটি বছর চলে গেল। ঘটনাবহুল ২০১১। এ বছরটি আমাদের জন্য যেমন ছিলো আনন্দের, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে বিষাদেরও। অনেক নতুন নতুন ব্লগার এবং লেখকদের পদচারণয় ধন্য হয়েছে মুক্তমনা এ বছর। ব্লগারদের লেখা অবিশ্বাসের দর্শন, পার্থিব, ডারউইন : একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনা, আস্তিকতা-নাস্তিকতার দ্বন্দ্ব এবং অবমুক্ত গদ্যরেখা –এর মতো দুঃসাহসিক বই বেরিয়েছে, পাশাপাশি দ্বিধা, রোদের অসুখ, তখন ও এখন, ইয়ারার তীরে মেলবোর্ন সহ ব্লগারদের নানা অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ নানা গল্প এবং কবিতার বই। নিউজ-মিডিয়ায় মুক্তমনাদের কথা এসেছে, বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন এ বছর অধ্যাপক অজয় রায়; মুক্তমনায় লেখকদের লেখাকে ভিত্তি করে রিপোর্ট লেখা হয়েছে, কিছু কিছু প্রবন্ধ হাজারের উপরে ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে। এগুলো সবই আমাদের জন্য গর্বের। মুক্তমনা আজ কেবল একটি সাইট নয়, সম্মিলিত আন্দোলনের নাম, যে আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে প্রথাবিরোধী স্পর্ধিত তরুণ তরুণেরা। এই অভিযাত্রা টিকে থাকুক।
পাশাপাশি বছরটিকে ঘিরে কিছু বিষাদের ছোঁয়াও আছে। গতবছর আমরা হারিয়েছিলাম বাংলাদেশের কৃতি শিক্ষাবিদ, বিবর্তন শিক্ষার পথিকৃত ড. ম আখতারুজ্জামানকে। ২০১১ এর শেষ দিকে এসে আমরা হারিয়েছি তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীরকে, বছর শেষ হবার কিছুদিন আগে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে, আন্তর্জাতিকভাবে স্টিভ জবস, ডেনিস রিচি এবং শেষমেষ ক্রিস্টোফার হিচেন্সকে। তাঁদের স্মৃতি থাকুক জাগরুক, তাঁদের লেখনী এবং চিন্তাভাবনা হোক আমাদের জন্য অনাবিল প্রেরণার উৎস।
মুক্তমনার সকল লেখক, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
ভাই বলতে খারাপ লাগলেও বলতে হচ্ছে । লাইফে প্রচুর বই পত্র পত্রিকা ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করছি । এখানে একটা জোকস ও মৌলিক না । সবগুলো কিঞ্চিত পরিবর্তিত । লাল সোনার টা সাকা চৌধুরীর বিখ্যাত এক উক্তি থেকে বানানো কৌতুক । ইউটীউবে পাবেন । বাকীগুলাও গুগলে পরিবর্তিত ভাবে পাবেন আপনার আগেই প্রকাশিত করা । ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন
@mahedi,
শুধু ঘাটাঘাটিই করেন, পড়েন না, যদি পড়তেন, তা’হলে এ কথাগুলো নজর এড়াতো না।
ভাই বলতে খারাপ লাগলেও বলতে হচ্ছেঃ
ঘাটাঘাটি একটু কম করে এবার একটু পড়তে চেষ্টা করুন।
এতে করে নিজেও ভাল থাকবেন, অন্যদেরও ভাল থাকতে দেবেন। 🙂
এত মজার জোক্স – অনেক হাসলাম। এত দেরিতে পড়লাম বলে আফসোসও হচ্ছে।
পরিচিত লোকজনদের দেখি ফেইসবুক নিয়ে ফাটাফাটি রকমের ব্যস্ত। আমি নিজে কেনো যেনো কোনো যুত পাই না এতে। একাউন্ট একটা আছে, কিন্তু কোনো এক্টিভিটি নেই।
শুভ নববর্ষ। শ্বেতশুভ্র শুভেচ্ছা সবাইকে।
@ফরিদ আহমেদ,
ফেসবুক লইয়া একটা থ্রিলার লিখা ফালান, যুত আইবো।
@অভিজিৎ, ফরিদ ভাইয়ের ফেসবুক থ্রিলারের অপেক্ষায় রইলাম।
:lotpot: :lotpot: :hahahee: জটিল হইছে!!
তাহলে তো ফ্রি!!
হু হু! কোরআনিক স্টাইল এ জোকস!! বুদ্ধিমানদের জন্যে নিদর্শন আছে!! 😀
পুরা সুন্নতে খাৎনা করিয়ে দিলেন?? :lotpot:
বাংলাদেশের মন্ত্রি-মিনিস্টার
খুব বেশি অভাব তাদের
“মগজ” জিনিষটার!! 😛
কণ্ডিশন ছাড়া একজন ঈশ্বরের খোঁজ করিতেছি…
😀 😀 :hahahee: making some money…
হারাবার পাল্লাটা মনে হয় একটু বেশীই ভারি হয়ে গেছে। আশা করি নতুন বছরে নতুনের জয়গান শুনতে পাবো।
সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা, আশা তার এক মাত্র ভেলা (H)
@অরণ্য,
আপনার মন্তব্য তো ভাই আমার জোকসের চেয়েও সরস!
অভিজিৎ-দা,
আপনার এই জোকসগুলোর বেশিরভাগই আগে পড়েছিলাম; তবু আবারও হাসতে হল এবং সঙ্গে কিঞ্চিত ভাবতেও হল! সাধারণত আমরা যেসব জোকস পড়ে থাকি, তা নিছক হাসির উপকরণ দিয়ে সাজানো থাকে; কিন্তু আপনার জোকসগুলোতে দর্শনও ভালমতোই মুড়ে দেয়া হয়েছে! যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ নিচের জোকসটি:
ফেইসবুকে ঈশ্বরের নাস্তিকতা বিষয়ক একটা জোকস দিয়েছিলেন, যেটা অনায়াসে এই লিস্টে ঢুকে ঢুকতে পারত বলে মনে হয়!
আর হিচেন্সের পাশাপাশি জবস, রিচির নাম আশা করছিলাম, বিশেষ করে, যেহেতু মুক্তমনাতেই এদের নিয়ে অনেক কিছু লেখা হয়েছে!
@কাজি মামুন,
হ্যা ওটার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। যদিও ওটা ঠিক জোক কিনা সন্দেহ আছে আমার। তবুও আপনার সম্মানার্থে ওটাকে জুড়ে দিলাম জুকার্নায়েকের জোকটার ঠিক আগে। আরো খেয়াল করলাম ওটাকে জোক ধরলে ঐটাই আমার প্রথম স্ট্যাটাস-রসিকতা, আর সেটা হয়েছিলো রামগড়ুড়ের ছানাের জোকটারও ঢের আগে –
ভেবে দেখলাম, আমাদের মহান ঈশ্বর হচ্ছেন নাস্তিকূলশিরোমনি, মানে সবচেয়ে বড় নাস্তিক (উনি বিশ্বাস করেন না যে কোন সৃষ্টিকর্তা তারে বানাইছে), তাই তার দর্শন হওয়া উচিৎ অবিশ্বাসের দর্শন! 🙂
খুবই ঠিক কথা। আমার মেমোরি এতই দুর্বল এবং আমি এতোই দায়িত্বজ্ঞানহীন যে শুধু জবস বা রিচি নয়, তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরদের কথাও বলতে ভুলে গেছি। আপনার মন্তব্যের পর জুড়ে দিলাম।
অবশ্য এদের বাইরে আরো অনেকেই তালিকায় থাকতে পারতেন। যেমন, অভিনেত্রী লিজ টেইলর, জেন রাসেল, কিংবা বক্সার জো ফ্রেজিয়ার প্রমুখ।
অবশ্য কুখ্যাতদের তালিকাও কম বড় নয় – গাদ্দাফি, আনোয়ার আল-আলাকি কিংবা ওসামা বিন লাদেন …
শুভ নববর্ষ, আর সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জুকার নায়েক পইড়া হাস্তেয়াছি! হাস্তেয়াছি! :lotpot:
আমি একবার ঠিক করসিলাম ফেসবুকে একটা স্টেটাস দিব, যদি আমার ওয়াল থেকে কোনো উত্তেজনাপুর্বক ছবি যায়, তাহলে বুঝবেন ওটা আমি ক্লিক্ করসি, কারণ আর সবার মতই আমারও কৌতুহল অনেক। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমার ওয়াল থেকে কোনো স্প্যাম যায় নাই! দুঃখজনক, স্প্যামগুলো কেমন করে যেন শুধু মুমীন বান্দাদের-ই ডিটেক্ট করতে পারে! ওনারা আবার কারো ওয়াল এ গিয়ে নিজ দায়িত্বে কু-ছবি গুলো ডিলিট করতে গিয়ে দুষ্টু স্প্যামের শিকার হন্!!!।
রিয়াল লাইফ জোকসের থেকে অনেক হাস্যকর। তাই আমি সর্বদা হাসিখুশি মানুষ। 😀 ধন্যবাদ আরেকটু হাসানোর জন্য।
সবাইকে শুভ নববর্ষ। (D)
রসবোধের অভাব, তাই খুব একটা হাসতে পারি না। অথবা আমার বাস্তবতা আমাকে হাসতে দেয় না। তবুও হাসলাম, খুব করে হেসে একটু অবাক হ’তে হলো।
@স্বপন মাঝি,
হাসতে যে পেরেছেন, সেটাই বড় পাওয়া।
বছররের প্রথম দিনে হাসতে পেরেছেন, পুরো বছরটাই ভাল যাবে নিশ্চয় ! 🙂
বাহ আমাকে নিয়ে জোকসটা দেখি সবার উপরে,তাও আবার প্রোফাইল পিক সহ!! এবারতো অভিদার মত বিখ্যাত হয়ে যাবো দেখছি :)) :)) ।
কিন্তু একি?? জ্বলজ্যান্ত আমি কাল্পনিক হয়ে গেলাম কিভাবে :-[ ।
মুক্তমনার লেখক-পাঠক-সমালোচক সবাইকে happy new year।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ও তোমার নামও রামগড়ুড়ের ছানা নাকি?
জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তির নামের সাথে মিল নেহাতই কাকতালীয় কিংবা ঘটনাচক্রের সমপাতন। :))
তবে গত বছর ফেসবুক নিয়ে মজার জোক্ ছিল এইটা –
ডিজিটাল বুয়া
গৃহকর্ত্রী : তুমি গত তিন দিন কাজে আসোনাই ক্যান??
কাজের বুয়া: আমিতো ফেসবুক এ স্ট্যাটাস দিসিলাম যে আমি বাড়ি যাচ্ছি…।
গৃহকর্ত্রী : ও’মা, তোমার ফেসবুক একাউন্টও আছে নাকি??
কাজের বুয়া: ক্যান, আপনি জানেন না? আপনার সাহেব তো কমেন্টও দিসে – ‘miss u’!!!
🙂
@অভিজিৎ,
:lotpot: এইটা গুল্লি হইসে
@অভিজিৎ,
এই জোকটাই সবচেয়ে জটিল লাগছে অভিদা। একেবারে হাহাপগে। :lotpot: :lotpot: :lotpot: আর ফেসবুকের কথা যদি কন তাইলে আসলে ভাল মন্দ সবই আছে। দিনে রাতে কয়েকশবার কইরা কয়বার টয়লেটে গেছি, কয়বার চুম্মা খাইছি,কি দিয়া ভাত খাইছি এইসব নিয়া ফাউল প্যাঁচাল পাড়ন ভাল্লাগে না। আবার অনেকরে দেখি কি স্ট্যাটাস দিছে তার আগা মাথা কিছুই বুঝি না আর পাব্লিকে লাইকের পর লাইক লাগাইতাছে। তবে এইসব অবশ্য ফেসবুকে আমার এই অ্যাকাউন্টে তেমন হয় না। এই অ্যাকাউন্টে যারা আছেন তারা বেশিরভাগই মুক্তমনের মানুষ। ফাও প্যাঁচাল কম পাড়েন। বরং অনেকের স্ট্যাটাস থেকেই অনেক কিছু শিখছি। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হইল ফেসবুকের জন্যই আমরা মুক্তমনারা একসাথে সবকিছু শেয়ার করতে পারতেছি,নির্ভয়ে নিজের চিন্তাকে প্রকাশ করতে পারতেছি,ধর্মান্ধদের উচিত জবাব দিতে পারতেছি ইত্যাদি। অবশ্য ভুলে গেলে চলবে না যে মুক্তমনাই বাংলাদেশে প্রথম নাস্তিক্যবাদী,প্রগতিশীল প্লাটফর্ম। এখান থেকেই বাঙালী বস্তুবাদী চেতনা নতুন একটা ধারা পেয়েছে।
অভিজিৎ’দা এবং সব মুক্তমনা সদস্যকে জানাচ্ছি শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা।
আমারো জোক লেখার ইচ্ছা হইলো 😀 ঃ
হাতেম আলী মৃত্যু ঘুম হইতে জাগ্রত হইয়া আড়মোড়া ভাঙ্গিয়া ইতি-উতি এদিক সেদিক চাহিতে লাগিল। প্রথমেই মনে হইলো মনকির নকির ত কবরে সাক্ষাৎকার নিলো না ,ঘটনা কি? । ঘটনা যখন হাতেম আলী টের পাইলো তাহার আক্কেল গুড়ুম হইয়া গেলো। প্রথমেই যে ব্যক্তির সাক্ষাৎ পাওয়া গেলো বেটা গেন্ডারি চুষিতে চুষিতে মহা বিরক্তিতে হাতেম আলীর দিকে তাকাইয়া জিজ্ঞাসিলো, কবে আইলেন। হাতেম আলী বিনয়ের সাথে উত্তর দিল,জে এই মাত্র। বেটা প্রায় গর্জন দিয়া উঠিল আর সময় পাইলেন না মরার?। হাতেম আলী ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসিলো, কেন ভাইজান কি হইছে?। বেটা গেন্ডারির ছোবা ঝারিয়া জবাব দিলো, কেডা আসল আর কেডা নকল এখনো ফয়সালা হয় নাই। কিছু না বুঝিয়া হাতেম আলি জিজ্ঞাসু নেত্রে চাহিয়া রহিল। বেটা এইবার একটু নরম হইয়া কহিল, এদিকে আসেন আরাম কইরা বইসা কই ব্যপার কি হইতাছে। হাশরের ময়দান , গাছ পালা থাকার কথা না , কিন্তু একটু সুন্দর গাছের নীচে হাতেম আলীকে লইয়া বেটা বসিয়া পড়িল। যাহা শুনিল তাহাতে হাতেম আলী ভিমড়ি খাইলো। হাশরের ময়দান এর দখল সবাই দাবী করিতেছে। সরবচ্চ দাবী যিশুর,তাহার অনুসারি এখনো বেশী। মুসা কম যায় না মুসার দাবী তাহার অনুসারিরা ই পৃথিবীর মানুষের ভরন পোষণ করে , সব ধনী ইহুদী, মোহাম্মাদ এর কথা , আমি ই শ্রেষ্ঠ আমার দাবী না মানলে জেহাদ। হাতেম আলী চমকিয়া জিজ্ঞাসিল , কাহার বিরুদ্ধে জেহাদ? গেন্ডারিতে কামড় দিয়া বেটা কহিল, কার আবার , ঈশ্বরের বিরুদ্ধে। উম্মত বেশী ত ।
আর
এই দুইটা একদম ফাটাফাটি হইছে-
আর এইটা?
ব্যাটা তোমার আর ভাত খাওয়ার দরকার নাই তুমি এইটা খাও- [img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/JackFruitLeaves01.jpg[/img]
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/imagesCAFXVACQ.jpg[/img]
আমি Perry Bible Fellowship নামের একটা ওয়েবকমিকে অনেকদিন আগে একটা পাইছিলাম এরকমঃ
প্রথম প্যানেলেঃ
আদম ও ইভ জান্নাতুল আদনে সংগমে লিপ্ত।
ইভঃ আদম, আমরা যে এসব নাপাক কাজ করছি, ঈশ্বর কী দেখতে পাচ্ছেন।
দ্বিতীয় প্যানেলেঃ
আদমঃ দেখো ইভ, ঈশ্বর যে কোনো রূপে থাকতে পারেন। হয়ত তিনি এখানেই আছেন। ময়ূরের বেশে, গাছের বেশে। হয়ত মানুষের বেশে।
[সঙ্গম চলছে]
তৃতীয় প্যানেলেঃ
[জান্নাতুল আদনের অন্যত্র আদম একা ঘুরাঘুরি করতেছে]
আদমঃ ইভ, তুমি কোথায়???
ফেইসবুক ঘিরে আউল ফাউল কাজের যেমন অভাব নেই তেমনি পারষ্পরিক সেতু বন্ধন তৈরী করতেও ফেইসবুকের জুড়ি মেলা ভার। ফেইসবুক সত্যি অসাধারণ। আর এই রকম একটা পেজে লেখা আপনার জোকস গুলো সাধারণের মান উতরে গেছে নিঃসন্দেহে।
ফেইসবুকে শেয়ারের কল্যাণেই আজ আমি “মুক্তমনা”য় ঢু মারা শিখেছি। আর “মুক্তমনা”য় ব্লগার হয়ে ওঠার পেছনে সৈকত চৌধুরীর অবদান ও উৎসাহ কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি।
নতুন বছর মুক্তমনা আরো নতুন নতুন শক্তিশালী ব্লগার ও লেখকদের জন্ম দেবে এই প্রত্যাশায়-
সবাই কে ২০১২ এর শুভেচ্ছা
কাও কে জোকার বলা ঠিক না, এত কিছু বুঝে উদ্ধার করে ফালাইতেছেন চারিদিক আর এটা বুঝেন না? খুব এ অপছন্দ করি আমি তাদের যারা মানুষ কে সম্মান দিয়া কথা বলতে পারে না। আর একটু পর এ তো আবার অন্য পোস্ট এ লেখা দেখবনে লিখতেছেন , সবার আগে মানব ধর্ম। মানুষ কে ছাগল , জোকার বলে সন্মধন করা এগুলি এ তার নমুনা? :-Y
@বেয়াদপ পোলা,
আমি কাউরে জোকার বলি নাই। জুকার্নায়েক আমার তৈরি একটা কল্পিত ক্যারেক্টার। আপনার কোন সমস্যা আছে? আপনে নিজের পাতে ঝোল টানেন ক্যান?
আপনার মত পাব্লিকের জন্যই একটা ডিসক্লেইমার দিছিলাম খুব বড় কইরাই –
দ্যাখেন নাই? আমিতো রিচার্ড ডকিন্স্রে নিয়াও জোক কর্ছি। কই সেইটা নিয়া তো ডকিন্স-এর অনুরাগী গো ফাল পাড়তে দেখলাম না। খালি জুকার্নায়েক শুনেই আপনাগো ধর্মানুভূতির শিশ্ন খাড়া হইয়া গেলে আমার কিছু করার নাই। আপনার চিল্লাচিল্লিতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, ধর্মই সকল কৌতুকের উৎস।
@অভিজিৎ,
ঐ শিশ্ন ওনাদের সব সময়ই খাড়া থাকে । খোদ মোহাম্মদেরই সব সময় সেটা খাড়া থাকত আর যে কারনে তার ১৩ বউ ছাড়াও সম সংখ্যক দাসী লাগত। কিন্তু সেটা ওনাদের বললেই ওনারা রেগে আগুন হয়ে যায়।
বেয়াদপ পোলা,
বলতে পারেন একজন নবীর এত জন স্ত্রী ও দাসী লাগে কোন কামে ? আর সে নবী যদি হয় আপনাদের দাবী মতে- দুনিয়ার সবচাইতে শ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ যার জীবন অনুসরণ করা সকল মুমিন বান্দাদের জন্য আবশ্যক? এর চাইতে মহা কৌতুক কি আর আছে? মোহাম্মদ তো বলেছে ৪ টা পর্যন্ত বিয়ে করা যাবে, আপনি যদি ওই ৪টাই বিয়ে করেন, আপনার পাড়া পড়শীরা কি বলবে? লুইচ্চা, বদমাশ ছাড়া আর কিছু বলবে আপনাকে ? সেখানে মোহাম্মদ করেছে ১৩ টা বিয়ে, তখন তাকে কি বলতে হবে ? যদি তার কালে এটা কোন অপরাধ না হয়ে থাকে , বর্তমান কালে তো এটা অপরাধ, তার অর্থ বর্তমান কালের নৈতিক মানদন্ডে মোহাম্মদ অকৃতকার্য হয়েছে, তাহলে তার আদর্শ কেয়ামত পর্যন্ত বলবত থাকে কেমনে ? একবার চিন্তা করেছেন ভাই ?
@বেয়াদপ পোলা,
হাঃ হাঃ আপনি নিজেকেই তো অসম্মান করছেন “বেয়াদপ” বলে! অবশ্য আপনি তো মানবধর্মের অনুসারী না বোধহয়, তাই আপনার পূর্ণ অধিকার আসে নিজেকে অসম্মান করার।
একটা কথা চিন্তায় ফেলে দিলেন, কই পাইলেন মানবধর্মে জোকারকে জোকার বলা যাবে না! মানব ধর্ম মানুষ দিয়ে লিখা, মানবীয় গুনাবলী সম্পন্ন তো, মানুষ আবার চান্স পাইলেই গালি দিতে চায়! আবার ইশ্বরধর্ম “ইশ্বর”-কে দিয়ে লিখা তো, তাই খালি মানুষের কল্লা কাটতে চায়।
আমি যদিও অন্যদের মত আপনাকে আমপাতা দিতে রাজী না, “আমি খুবই অপছন্দ করি তাদের, যারা ছাগলের মত নিরীহ প্রানীকে সম্মান দিয়া কথা বলতে পারে না”।
(Y)
ভাল লাগল!
“২০১২” এর শুভ কামনা সবার জন্য!
জোকগুলো ব্যাপক লেগেছে।:-D 😀 সবচেয়ে দারুন হল জোকারনায়েকের জোক। নতুন বছরের শুভেচ্ছা নেবেন।