আমাদের কৈশোরে ইংরেজি রচনার একটি কমন রচনা ছিল ‘এ জার্নি বাই ট্রেন’। সব রচনা বইতেই প্রায় একই রকমের বর্ণনা ছিল কিছুটা অদল বদল করে কিন্তু আজ আমি এমন একটি ট্রেন জার্নির বিবরণ শুনাব যা আপনি ইতোপূর্বে কখনও শুনেননি এমন কি সভ্য এই পৃথিবীর কেউ কখনও শুনেছি কি না সে বিষয়েও আমার সন্দেহ রয়েছে। নিশ্চয় সেই জার্নির বিবরণ শুনতে আপনি এখন কিছুটা উৎসাহী হয়ে উঠছেন। না, জার্নির বিবরণ দেয়ার আগে একটা ধাঁধাঁ বলে নিই দেখি উত্তর দিতে পারেন কিনা। মনে করুন কাঠের চৌকোনা একটি বাক্স তাতে প্রথমে বনেতের কাপড় দিয়ে মুড়ানো হল,তার উপর মোমের প্রলেপ দেয়া কাপড় মুড়িয়ে সেলাই করা হল, তার উপরে খারোয়ার কাপড় দিয়ে সেলাই করা হল, অতপর বোম্বাইয়া চাদর দিয়ে সেলাই করা হল এবং সর্বশেষে চট মুড়িয়ে সেলাই করা হল এবার আপনাকে বলতে হবে সেই বাক্সের ভেতরের পণ্যটির নাম কি ? ভেবে দেখুন কী এমন পণ্য যাকে প্যাক করতে এই কয়েক প্রস্থ কাপড় দিয়ে সেলাই করে তাকে নিরাপদ করতে হল? ভাবছেন কিন্তু হিসেব মেলাতে পারছেন না ? একটা হিন্টস দেই তাহলে, এই প্যাকিং ক্রিয়ার বর্ণনাটি আমি কিছু ভাষাগত পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়ার ‘অবরোধবাসিনী’ থেকে হুবহু ধার করেছি।( রোকেয়া সাধুভাষায় লিখেছেন আমি তাকে চলতি ভাষায় রূপান্তর করেছি) এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন ভেতরের পণ্যটি কি ? হাঁ, ঠিক ধরেছেন, ভেতরের সেই পণ্যটির নাম হল ‘নারী’ আর কাঠের বাক্সটির নাম পালকি। এটি কলকাতার কোনো এক অভিজাত মুসলমান পরিবারের পর্দানশীন নারীদের ট্রেনে কোথাও গমনের বিবরণ। পাল্কিতে বিছানা পেতে নারীকে সেই খাঁচায় ভরে হাতে তালপাতার একটি হাতপাখা, এক কূজা পানি এবং একটি গ্লাশ ধরিয়ে দিয়ে পালকির দরজা বন্ধ করা হত। তারপর বাড়ির চাকর দিয়ে প্যাকিং এর কাজ সম্পন্ন করা হত এবং কর্তা স্বয়ং দাঁড়িয়ে থেকে তা তদারকি করতেন। এই প্যাকিং পর্ব চলত ঘন্টা চারেক ব্যাপি। অতঃপর বেহারাগণ সেই প্যাক করা পালকি বহন করে ট্রেনের ব্যাকভ্যানে তুলে দিত। এই অত্যাশ্চার্য ট্রেন জার্নি শেষে পালকিটি গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার পর বেহারাগণ সরে পড়ত তারপর বাড়ির কোনো অভিভাবকের সামনে একে একে সবগুলি পর্দার সেলাই খুলে সর্বশেষ বনেতের কাপড়ের সেলাই কাটার পূর্বে চাকর সেখান থেকে সরে যেত অতঃপর কর্তা স্বয়ং সেই শেষ পর্দাটি অপসারণ করে পাল্কির দরজা খুলে বাড়ির অন্যান্যদের সহায়তায় মুমূর্ষ বন্দিনীকে অজ্ঞান অবস্থায় পালকি থেকে বের করে আনতেন। তারপর মাথায় গোলাপজল এবং বরফ দিয়ে মুখে চামচ দিয়ে পানি খাইয়ে চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে মাথায় বাতাস করে দুই বা ততোধিক ঘন্টা সুশ্রুষার পর তাদের হুঁশ ফিরত।
বেগম রোকেয়ার অবরোধ-বাসিনী’ গ্রন্থে পর্দানশীন নারীদের আরও কিছু ট্রেন জার্নির বিবরণ রয়েছে যা থেকে মাত্র একটি রোমহর্ষক ঘটনার কথা উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গ শেষ করছি। ঘটনাটি বিহারের। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকা ভাল যে বেগম রোকেয়ার স্বামী শাখাওয়াত হোসেন ছিলেন বিহারের অধিবাসী। তো বেগম রোকেয়ার এক দূর সম্পর্কের মামীশাশুড়ী ট্রেনে ভাগলপুর থেকে পাটনা যাচ্ছিলেন। সঙ্গে একমাত্র পরিচারিকা। কিউল স্টেশনে ট্রেন পরিবর্তনের সময় ভদ্রমহিলা শরীরের বিশাল বোরখায় প্যাচ খেয়ে রেললাইন এবং প্ল্যাটফরমের মাঝখানে পড়ে গেলেন। সাথে সাথেই কয়েকজন কুলি তাকে ধরে তুলতে এগিয়ে আসল কিন্তু পরিচারিকা বাঁধা দিয়ে বলল- খবরদার, কেউ বিবি সাহেবার গায়ে হাত দিবানা। পরিচারিকা একা একা অনেকক্ষণ চেষ্টা করল সেই ভারী দেহ প্ল্যাটফরমে ওঠাতে কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠলনা। প্রায় আধঘন্টা অপেক্ষার পর ট্রেন ছেড়ে দিল এবং শত শত লোকের চোখের সামনেই ভদ্রমহিলার উপর দিয়েই ট্রেনটি চলে গেল।
এবার আপনি নিজেকে প্রথম ঘটনায় বর্ণিত সেই বন্দিনী নারী হিসেবে কল্পনা করে দেখুনতো কেমন উপভোগ্য ট্রেন জার্নি ছিল সেটি? অথবা কল্পনা করুন দ্বিতীয় কাহিনীর সেই হতভাগিনী নারীর কথা, পর পুরুষের কামুক স্পর্শ নয় নিতান্তই মানবিক স্পর্শ এড়াতে জীবনটাকেই আহুতি দিতে হল ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে? আপনি একজন নারী হিসেবে কল্পনা করুন, পারবেন এমন মৃত্যুকে মেনে নিতে? বলুন আভিজাত্য আর পর্দার নামে নারীর উপর আবরণ আর আভরণের যে পাহাড় চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল তা কি আপনি সুস্থ মাথায় সমর্থন করতে পারেন ? নারীকে এই অমানবিক অবরোধ অবস্থা থেকে মুক্ত করাই ছিল বেগম রোকেয়ার জীবনভর সংগ্রামের লক্ষ্য। এজন্য সমাজ পুরুষ এবং ধর্মকে তীব্র ভাষায় তিনি আক্রমন করেছেন। বেগম রোকেয়া থেকে হালের তসলিমা নাসরিন পর্যন্ত সকল নারী অধিকার নেত্রীদের কঠোর সংগ্রাম ও প্রচেষ্টার ফলে নারী অনেকটাই দিনের আলো দেখতে শুরু করেছিল। ভেঙ্গে ফেলেছিল সেই দাসত্বের কারাগার কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে মুসলমান নারীদের মাঝে যে অদ্ভুত হিজাব আর বোরখা প্রবনতা শুরু হয়েছে তা তাদেরকে আবার সেই অবরোধ শৃঙ্খলের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে হয়। অনেক নারীর মাঝে প্রথমে এটি ফ্যাশন হিসেবে শুরু হলেও তা ধীরে ধীরে তাদের জন্য অবশ্য করণীয় হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। এটি এমন এক পোশাক যাকে তুলনা করা যায় মাছ ধরার লোঙ্গা বা রোঙ্গার সাথে। রোঙ্গাতে মাছ অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে কিন্তু বের হওয়ার পথটি একেবারেই রুদ্ধ। শখ বা কৌতুক করে একবার এতে শরীর গলিয়েছেন তো তো মরেছেন।
খাঁচা ভেঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া পাখি কখনো আর খাঁচার ছায়া মাড়াতেও সাহস করেনা কিন্তু খাঁচামুক্ত নারীর কেন আবার খাঁচার দিকেই প্রত্যাবর্তন ঘটছে তা নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মানিয়ে নেয়া বা কোনো পরিবেশের সাথে নিজকে একেবারেই সম্পৃক্ত করে ফেলাও একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। ১৮৬৫ সালে ত্রয়োদশ এমেন্ডমেন্টে যখন আমেরিকায় দাসপ্রথা বিলুপ্ত করা হয় তখন এমন কিছু হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে যা্র সাথে বঙ্গীয় রমনীকুলের অবরোধজীবনে প্রত্যাবর্তনের সাথে তুলনা করা যায় । দীর্ঘকালের দাসত্বের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে যখন মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গরা উল্গাস প্রকাশ করছে তখন অনেক কৃতদাস তার শ্বেতাঙ্গ মালিকের পা জড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদে বলেছে-মাস্টার, আমি লিবার্টি চাইনা, তোমাদের দাস হয়েই বেঁচে থাকতে চাই। মুক্ত হয়ে আমি কোথায় যাব, কী করব ? এ যেন রবীন্দ্রনাথের ‘দুই পাখি’ কবিতার খাঁচাবন্দী পাখির সেই অসহায় উক্তি- “হায় মোর শক্তি নাহি উড়িবার। এটাকে অনেকটা অভ্যেসের বিবর্তনও বলা যায়।
অবরোধের দিকে প্রত্যাবর্তিত নারীদেরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। এর একটি অংশ পূর্বোল্লেখিত শখের বশে এই ফাঁদে পা দিয়েছে কিন্তু বৃহৎ অংশটি পুরুষ শাসিত সমাজের ভ্রুকুটিতে বাধ্য হয়ে গাঢ় কাপড়ে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছে। চোখের সামনেই মুক্তভাবে চলাফেরা করা নারীগণ বাস লঞ্চ ট্রেন সর্বত্র পোষাকের কারণে নানাভাবে লাঞ্চিত হচ্ছেন। নষ্ট দৃষ্টি অভদ্র আচরণ ইতরসুলভ ভাষা এমনকি শারিরীক ভাবে লাঞ্চনার ঘটনাও এখন নিয়মিত ঘটছে। এসব অসভ্যতার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাষ্ট্র যে বিশাল পুলিশ বাহিনী পুষছে মাঝে মাঝে এরা নিজেরাই এইসব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ধর্মান্ধ পুরুষদের অবাঞ্চিত শব্দাঘাতে ভিন্নধর্মী নারীরাও সমানে ভিক্টিম হচ্ছেন। আমারতো মনে হয় এ দেশে ভিন্নধর্মের নারীরা আছেন বলেই কিছু মুসলমান নারী এখনও মুক্তভাবে চলাচল করতে সাহস পান তা না হলে বৃহৎ অংশের মত তারাও এতদিনে এই চলমান ট্রেন্টের ভেতর নিজেদেরকে গুটিয়ে নিতেন। আরেকধরণের নারী আছে সংখ্যায় এরা অল্প হলেও প্রবল শক্তিশালী। এরা নিজেরাই শুধু পর্দাতে বন্দী হয়ে থাকতে চায়না সকল নারীকেই তাদের অনুগামী করতে চায়। এরা প্রথমে মৌখিকভাবে নসিহত করে তা না মানলে এরা বল প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করেনা। আর বল প্রয়োগ করতে গিয়ে এরা পাশে পায় শক্তিশালী পুরুষ সমাজকে। অতি সম্প্রতি নরসিংদি রেল স্টেশনে পোষাকের কারণে যে নারীকে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয় সেই ঘটনাটিও ঘটিয়েছেন তেমনি একজন নারী। আর সেই নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে সকল পুরুষ। একা এক নারীর পক্ষে এক ধর্মান্ধ খ্যাপা মহিলা এবং বিকারগ্রস্ত একপাল পুরুষের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার অবকাশ কি আছে এই সমাজে ? যে নারীগুলি স্বেচ্ছাসেবিকা হয়ে স্বজাতীয় নারীকে পর্দাতে আবৃত করতে চাইছে এরা হল পুরুষের প্রতিনিধিত্ব করা নারী রাজাকার বিশেষ। এদেরকে মানুষের পোষা হাতির সাথেও তুলনা করা যায়। পোষা হাতি যখন বিশাল গাছের গুড়িকে কাধে নিয়ে চরাই উৎরাই করে তখন অনতিদূরে তার স্বজাতীয় মুক্ত হাতিদের কলরব শুনে হিংসায় তার শরীর জ্বলে যায়। মুক্ত হাতিদের উদ্দেশ্যে তখন বলে-রাখ, সুযোগ পেয়ে যাই তখন তোদের কাধেও আমার মত বিশাল গাছের গুড়ি চাপাব। বাস্তবে করেও তাই। মানুষরূপী লোভী অমানুষদের ফাঁদে পড়ে যখন মুক্ত হাতির দল খ্যাদায় আটকা পড়ে তখন প্রথমে এরা খ্যাদা ভেঙ্গে বের হবার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে কিন্তু শত চেষ্টা করেও যখন খ্যাদা ভাঙ্গতে পারেনা তখন ক্ষোভে হতাশায় এরা অনশন শুরু করে। না খেয়ে খেয়ে যখন হাতির দল ক্লান্ত হতে হতে মূমুর্ষের পর্যায়ে চলে যায় তখনই প্রতারক মানুষগুলি তাদের পোষা হাতিটিকে খ্যাদায় ঢুকিয়ে দেয়। পোষা হাতি তখন মূমুর্ষ হাতিদেরকে বুঝায়- বশ্যতা মেনে নাও। মুক্তির আর কোনো পথ নেই। ক্লান্ত বিধ্বস্ত হাতির দল শেষ পর্যন্ত ক্ষুধার কাছে পরাস্থ হয়ে অনশন ভাঙ্গে। তারপর মাথা নিচু করে একে একে খ্যাদার দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসে মানুষের বন্দীত্ব স্বীকার করে নিয়ে।
নরসিংদির ঘটনায় হাইকোর্টের যে মহামহিম লাঞ্চিতা নারীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন ‘সভ্য সমাজে এমন পোষাক পরে কি স্টেশনে যাওয়া যায় , তিনিও মুলত সেই পুরুষদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন যারা নারীকে ভোগ্যপণ্যের চেয়ে বেশি মূল্য দিতে চায়না। নরসিংদির ঘটনাতেই আমরা চারটি পক্ষকে স্পষ্ট দেখতে পাই। এক, স্বাধীনচেতা মুক্ত নারী, দুই পুরুষের পক্ষধারী নারী রাজাকার, তিন কর্তৃত্বপরায়ন বিকারগ্রস্ত পুরুষ সম্প্রদায় এবং চার, এই বিকারগ্রস্তদের অবিভাবক বা নেতা। এই নেতাটি শুধু বিকারগ্রস্তদের নেতা হলে কথা ছিলনা কারণ এই নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়েই এই দানবেরা বেড়ে ওঠে কিন্তু এই নেতাগুলি যদি জাতীর শেষ ভরসাস্থলের নির্মল জায়গাটিতেও চড়ে বসে এ সমাজ অসভ্য দানবের সমাজ হতে বেশিদিন লাগবেনা। এই ভরসার জায়গাটি আছে ভেবে সমাজ একটুখানি স্বস্থির সাথে বাঁচার আশা করে। বলা যায় একে একে যখন সকল দেউটি নিভে যায় তখন এটিই হয়ে দাঁড়ায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। কিন্তু সর্ষেতে ভুতের মত যদি এখানেও আসীন হয়ে যায় খলনায়ক তখন নারীর স্বাধীনতা ব্যাপারটি হয়ে দাঁড়াবে উষর মরুতে শীতল জলে সাঁতার কাটার মত অসম্ভব বিলাসী এক স্বপ্ন। এই একাবিংশ শতকে এসে চরম বাস্তবতার খড়গের নিচে দাঁড়িয়ে যখন আমরা উপলব্ধি করতে শিখছি নারী পুরুষের মিলিত বুদ্ধি শ্রম মেধা ব্যতিত মানুষের অস্থিত্ব রক্ষা এক অতিকাল্পনিক ব্যাপার, যখন নারী নেতৃত্বের আসনে বসে দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করছে, প্লেন চালাচ্ছে, মহাশূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে তখন আমাদের কিছুতেই কাম্য হতে পারেনা পুরুষ শাসিত মধ্যযুগীয় স্বৈরসমাজের পুনরাবৃত্তির, কামনা করতে পারিনা নারীর জন্য বেগম রোকেয়া যুগের অমানবিক সেই ট্রেন জার্নির। কাজেই দেশ ও জাতির শেষ ভরসাস্থলের সকল আসন থেকে এই একদেশদর্শী একচোখা উনমানুষদের অপসারণের বিকল্প আর কিছু নেই।
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। লেখনীও অনেক ভালো হয়েছে।
” অতি সম্প্রতি ( টঙ্গি ) রেল স্টেশনে পোষাকের কারণে যে নারীকে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয় সেই ঘটনাটিও ঘটিয়েছেন তেমনি একজন নারী। আর সেই নারীর পাশে দাঁড়িয়েছে সকল পুরুষ। ”
তবে আপনার লেখাতে বলেছেন পোষাকের কারণে যে নারী হেনস্থা হয়েছেন। সে ঘটনাটি ঘটেছে #টঙ্গী রেল স্টেশনে। কিন্তু আমি যতদূর জানি, ঘটনাটি নরসিংদী স্টেশনে ঘটেছে।
ভুলবশতঃ নরসিংদির জায়গায় টঙ্গি হয়ে গেছে, সংশোধন করে নিয়েছি।ধন্যবাদ।
সময়োপযোগী একটি প্রতিবেদন উপহার দেওয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
কিছুদিন আগে ভারতের কর্নাটকে হিজাব বিতর্কে একদল মানুষ প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমে পড়েছিলো এই দাবিতে যে ঐ মেয়েগুলোকে নিজের পছন্দ (her choice) অনুযায়ী পোষাক পরার অধিকার দিতে হবে। ঐ স্থান গন পরিসর (public place) ছিল না। তুবুও তারা তাদের দাবিতে অনড় আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের কিছু মৌলবাদী মানুষও ছিল।
এদিকে বাংলাদেশে সেই মানুষগুলোই অন্যের পোষাক পরার অধিকার হরনের দাবিতে পথে নেমে প্রতিবাদ আন্দোলনের সামিল হচ্ছে।
এর অর্থ হল তারা পছন্দ অনুযায়ী পোষাক বলতে শুধুই নিজেদের পছন্দটাই বোঝে। অর্থাৎ her choice মানে হল my choice.। দ্বিচারিতার একটা সীমা থাকা দরকার।
বাস্তব কি?