“ছুরিকাঁচি”

ছুরিকাঁচি দিয়ে যখন কাটা হয় দেশ,
তখন দাগ পড়ে মানুষের সামাজিক মানচিত্রে!,
আলাদা হয় জীবন, আলাদা হয় ঘরের চাল,
হেঁসেলঘরের রান্নাবাটি খেলায় পড়ে আড়ি!
যখন ধর্ম, বুকের ভেতরে ঢেঁকী পাড় দেয়,
তখন হৃদপিণ্ড থেমে যায় প্রেমিক প্রেমিকাদের,
ভিটে গিলে খায় কূটনৈতিক অজগর,
কাঁধে দেনার বোঝা নিয়ে কবিতা লিখিয়ে হয় নব্য যুবকেরা,

ছুরিকাঁচি দিয়ে যখন কাটা হয় মানচিত্র,
তখন কার্লমার্ক্স টঙের দোকানে টোস্ট বিস্কুট দিয়ে চা খায়!
একটা বাটারবনের দাম দু টাকা কেন হবে তাই হয় চিন্তিত!
একটা লাল রঙের গাভীর ওলানেও দাঁড়ায় ভাগ বাটোয়ারা;
———বাছুরটির দিকে ফিরেও চায় না কেউ!
তাঁর ছটফটে খুরের নিচে মুচকী হাসে ভুখন্ড!
যখন রাজনীতি নকশীকাঁথার ফোঁড়ে বিদীর্ণ করে চষা ক্ষেত!
তখন ডাস্টবিনে খেলা করে কুকুর, কাক আর মানুষ!
চোখে জল নিয়ে পটুয়া হয় হাজার হাজার জয়নুলের দল!
তখনকার ভাতের মাড় এখন নীলাভ রেস্তোরাঁয়
———————মহাদেশীয় পেঁয়াজের সুরুয়া!

ছুরিকাঁচি দিয়ে যখন কাটা হয় পতাকা,
———————-তখন কারো ধুতি হয় লুঙ্গী,
দণ্ডকারণ্যে বসে অনেকগুলো পুজো মন্ডপ!
এমনকি মহাকাশটাও হয় দেওয়ানী মামলার দলিল!
—–মালিকানা জাহির করে বর্ষাকালের ব্যাঙ!
দর্জীর দল ভুল কাপড়ে সেলাই করে পতাকার বর্ডার!
গাছগুলোও হয়ে প্রতিবেশী,
—তাঁদের হাতে ওঠে বন্দুক,
অর্ধশতাব্দী ধরে মার্চপাস্ট করে চলে সৈনিকের মত!

হ্যাঁ…… যখন ছুরিকাঁচি দিয়ে কাটা হয় মানুষ! …………
তখন তুমি আর আমি একেবারেই আলাদা মানুষ হয়ে যাই!
যাই কি?

====================================

“চক্র”

আগুনের স্রোতে নেমে গেছে নরনারীরা,
যেন সহসা গলে গেলো নির্বিবাদী ইতিহাস,
ঈশ্বরের হাতে তখনো ছিলো না আঙুল,
এই কমলালেবু পৃথিবীতে খোসা ছাড়িয়ে
বেরিয়ে পড়েছে ব্যাদান ক্ষত,
শুকিয়ে গেছে কতো কর্ষিত ভূমি! জন্মেনি ফসল,
মাঠে ফেরেনি বৃষ্টি ভেজা কৃষকের দল,
ঈশ্বরের গলায় তখনো ছিলো না ওঙ্কার;

ঘন পত্র পল্লবে গড়িয়ে পড়েছে নগণ্য কীটের দল,
পাতা খেয়ে ফেরে বিষন্ন রেশমের গুটি,
প্রাসাদে জ্বলেছে সুরম্য বালিকার চুল,
যাদের বেনীতে ঝুলে আছে আগামী দিনের অগনিত শিশু,
তখনো ঈশ্বরের চোখে ছিলো পট্টি বাঁধা সংস্কার;

মরে যায় আঁতুড়ঘর,
শুকনো পাতা উড়ে যায় পোয়াতী নারীর রূপ ধরে,
বসন্ত আসে , বসন্ত বাপের বাড়ী যায় ,
—————–শরতের কালো রাত্তিরে
গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসে কৌলিন্যের মত পাপ;
ঈশ্বর তখনো বুঝে দেখেননি ঋতুচক্র,
ঈশ্বর নুলো, ঈশ্বর বেহিসেবী পথিক,
ঈশ্বর অন্ধত্বের যুগে হাতরে ফেরা নিঃসঙ্গ ভিখিরি,
ঈশ্বর জানেন না!
ঈশ্বরের বুকে জন্মেনি কোন মানুষ!

=========================

“ইঙ্গিত”

এতোবার করে ধরতে গিয়েই তো যুদ্ধ হলো,
লাল পাজামায় তখন লুকানো বসন্তের ডাক,
কুকুরছানাটির ল্যাজে বাঁধা ম্যাচের কাঠিটিও
যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছিলো, ঠ্যার ঠ্যার করে
নীলচে মাজলে বাজনা শুরু হলে—
যুবতী পাখীগুলো বিছানা ছাড়ে,
আড়মোড়া ভাঙার বদলে ঠোঁটে নিয়ে যায় জল,
শিকার ছেড়ে বাইরে আসে খোকা বাঘের দঙ্গল,
এই এতোবার ছুঁতে গিয়েই তো শুরু হলো দ্বৈরথ,
গেলো হিমাংশু, গেলো অংশুমান, এদিকে তেমন আসেনি
আকরাম কিংবা লতিফার ঝুমুর ওড়না,

এতবার কাঁধে পালকী বয়েই সন্ধির ইচ্ছে আর হলো না,
ও বউয়ের নতুন যৌবন, ও বরের ছিলা টান টান উত্তেজনা ফিকে হলে—
সাতচল্লিশবার পাক খেয়ে বিয়ে হয়, শশুর হয় তালই
আর তালইয়ের পাকা বুকে ধান ভানে সেপাই বুলবুলি,

চুমুক দিয়ে নদী শুষে ফেলি,
থকথকে কাদায় ঘুমিয়ে মরে শুশুক,
একটা বিধর্মীর পাছাতে লাথি দিয়ে— খুশিতে—
জ্বলজ্বলে চোখে মার্জার কিনে ফেলে কেতাবীদের দল,

এতোবার ঘণ্টা বাজবে বলেই তো যুদ্ধ শুরু হলো,
নোংরা ভাষণে জিভ গলে গলে জলে ভিজে গেলো—
ভিজে বিধর্মী নারীর কোল,
অথচ, গন্ধে রন্ধ্রে সন্ধায় কিংবা নদীতে নারীরা নারীই,
নারীরা উত্তরে হাওয়ায় একইরকমভাবে উড়িয়ে দেয় চুল;

=============================================

“ডাঙায় বকুল রাত্তিরে শিশির খোঁজে”

অস্পষ্ট ক্ষোভে পথচলে হাঁসুরে মানুষ, ঝোপঝাড়ে লাগে আলকুশি ফুলের মধু, নিভে যাওয়া আকাশ নেমে আসে মাটিতে জাগে
যাযাবর হাওয়া—

এর মাঝেই ফুল তুলেছিলো নরম নারীর পুতুল, যে পথ খোয়া ধরে ধরে হেঁটে গেছে আগামীকাল তক, সে পথেই হাঁসডানায় মানুষের নির্বংশ হওয়া,

কবি ঘুমাচ্ছে শিশির চুষে খাওয়া ধরণীতলে, মিছে মিছি বসে থাকে দু শতাব্দীর বটের ধ্যান, জল ছুঁয়ে চলে মিষ্টি পাকুড় পাতা, এখানেই আমাদের আসা যাওয়া—

যেতে চাই কিংবা যেতে গেলেই আঁচলে গিঁট খুলে— হলুদ আদর শীতল চিতই পিঠে, খেজুর রসে ভিজে গেলো গাছের জিভ— গাছের হয়নি পাওয়া;

মানুষ পিঠ পাতে, বুক পাতে, পাতে তলপেটের লুকানো রিরংসা, মানুষের কাছে হাঁসের কথা, হাঁসের পেটে মানুষের ব্যথা— মানুষ ভোলে গান গাওয়া;

ধরে থাকো এই হাত,
যে হাতে দীঘল মাঠের মিঠে কড়া সবুজ খেলা করে,
ধরে থাকো এই হাত,
যে হাতে উঠে আসে দৈনন্দিন মৃত্যুর চিঠি খাম ভরে—
ধরে থাকো এই হাত,
যে হাতে রাত্রি ভর করে, মরেছে যে সকাল সকাল ভোরে—

উঠে এসো বাসে, ট্রেনে— গগনপটে বিহারী ডানার সাথী,
উঠে এসো বাদাম খুলেছে ডাঙায়, ছেড়ে গেছে নৌকার
বিঘ্ন বাঁধা আর সারথী–,
ছেড়ে দিও ঘরের পেছন দিকের দুয়ার,
———– উঠে এসো নিরব বকুল ফুল—
ভুলে যেও পাঁকের বুকে ঐ ছোট্ট ঘাসের দুল,
আমাদের জীবনে হয়েছিলো নিজস্ব কিছু ভুল—

টেনে দিও পর্দা– জেনে নিও এখানেই বেঁচে থাকি—
এখানেই বেঁচে থাকি—বুঝে নিও—
ডাঙায় বকুল রাত্তিরে শিশির খোঁজে—
বুকের খাঁজে শেষ পুরুষের নাক গুঁজে;

=============================================

“১৫ ফেব্রুয়ারি”

বারবার রাত্রির জল জমেছে বিছানা জুড়ে,
নাগরিক নক্ষত্রের খসে পড়া
বারংবার দিঘীগুলো শুকিয়ে গেছে, শেষবার তাকিয়ে থাকা আমের বোল—
কিশোরী কোঁচরে নরম শিউলী মালা,
সোঁদা মাটির পথ, গহীন সমান্তরাল নির্লিপ্ততা—
বুকে হেঁটে ফেরে অজগরের হিসহিস, কিংবা একটি মায়া হরিণ—
দুটি নিঃসঙ্গ ধনেশ, বারবার—
আকাশের মুখে চুমু খায়, আর দিগন্তে ঘিরে ধরে সমস্ত চরাচর,

হেঁটে আসা লাল ময়ূরের পেখম, হেঁটে আসা দুটো বিচ্ছিন্ন মহাদেশ,
মহাসাগরের জলে নাইতে গেলে—
মণিমুক্তো খুলে ফেলে দেয় সকল ঝিনুক,
আবার অথবা বারবার— কাঁধে চাদর, কাঁথা মুড়ে থাকা ছয় ছয়টি ঘণ্টা,
দুটি কবুতরের ময়াল ভালোবাসায় নগরী থেমে যায়,
দুটি অস্পষ্ট চড়ুইয়ের ডানায় থামে – আগামীকাল, গতকাল কিংবা
আজকের প্রতিটি ঘণ্টা;

প্রত্যেকবার রৌদ্র ছুঁয়ে লুকিয়ে গেছি প্রাচীন গুহাবাসীর মত,
এই বাংলাদেশে— এই শহরে গোপন দরজা খুলে তাকিয়ে দেখা দিনরাত্রি
সফল চাকুরের মত মাসাকাবারি বছর গোনে,
সিঁড়িতে গড়িয়ে পড়া মৌসুমি বাতাস, শুনেছি—
কেঁপে ওঠে মানুষের হৃৎপিণ্ড, কেঁপে ওঠে একাবিংশ শতাব্দী;

======================================================

“জন্ম দৃশ্য”

নারী, তুই শঙ্খযোনী পুড়িয়ে নিস
দূর আনন্দের পূর্বাভাস, আকাশ বাতাস
আর দীর্ঘশ্বাসের বছরগুলোয় গর্ভবতী ফুলের চাষ!
নারী, সংগমে তোর বেঁচে থাকে–
জরায়ু জুড়ে– লালচে মোরগ ফুলের আভাস!

=====================================================

“ দায় ”

কোথাও জ্বোনাকীগুলো বলে যায়নি বসন্তের কথা,
যেনো শুধুই বসন্তের দায়—
হাতে ধরে থাকা রাত্রি
সুড়ুৎ করে চড়ুই দিনের শেষে মানুষ
হলদে আলোতে হয় খুন—

শুধুই বসন্তের দায়
রূপালী নূপুরে মাঘের আঁচল ধরে ফাগুন,
দুটো পলাশের ডালে রক্তারক্তি করে টিয়া,
কলকী বুড়োরা ধিঙ্গি মেয়ের পায়ের কথা বলে,
অথচ—
বসন্তের দায় নিয়ে বাংলাদেশ জেগে ওঠে,
বসন্তের দায় নিয়ে কয়েদী শেকল ভাঙে প্রাচীন শিমুল;

=====================================================

“ঢাকা সিরিজ”

এই ঢাকা শহরে, ব্যাবাক মানুষ চৌক্ষু উল্ডায়া পইড়া থাকে,
চৌক্ষের মাথা খাইছে শকুন আর শালিকও, চাইয়া দেহি—
থুত্থুইরা বুড়া বাংলা এ্যাকাডেমি জব্বর নাইচ লইয়া আইছে,
চড়কগাছের ঘুরান্টিতে এইহানেই বই খুইল্যা দেহায় অন্তর্বাস;

আমি রেলগাড়ির লাহান ঠ্যারঠ্যারাইয়া চলি, হেলনে আমার
ল্যাঞ্জা দোলে— কোন দ্যাশের বান্দররে তুই?— ম্যালা প্রশ্নের পরে
আমি দুইল্যা উঠি— য্যান বালিহাঁস— আহে অক্ষর,
আহে পঙক্তির পর পঙক্তি, আহো মানুষ— সাদা কাগজে
পিপড়ার ডিমে তা দেও— দেও, দিতে থাহো, দিতে থাহো ওম—

একদিন সারি বাইন্ধ্যা কবিতা বাইর হইবো— একদিন সাড়ি বাইন্ধ্যা
গোরস্থানে মুর্দা খাড়ায়া যাইবো— অবাক চৌক্ষে দেখবো, কব্বরের
জায়গায় নাই, এই ঢাকা শহরে ব্যাবাক মানুষ মুর্দার লাহান হাঁটে,
এই ঢাকা শহরে পর্দা সরাইয়া ঘরে ঢোকে আউলা মাথার বালিহাঁস—

====================================================

“যে জন্মে”

যে জন্মে চক্ষু ছিলো না, ছিলো না লড়াইয়ের আহ্বান, সে জন্মেই—
মাঝরাত্তিরে নিভানো হ্যারিকেন, সিলিং এ আঁকেনি নিঃশব্দ ছবি,
নেচে নেচে বেড়িয়েছে ছায়াদের ছবি—তবু আমি জন্মাতে চাইনি,

অবধারিত প্রজন্মের টানে তবু—এখানেই জন্মেছিলাম অক্ষর কাঁধে,
জোয়াল টেনে টেনে লাঙ্গলের ফলার মত— বিঁধে গেছি,
বুকে বেঁধে রাখা “আমার বই” ছিঁড়ে খেয়েছি রঙিন তাতানো গুড়,

সেখানেই—
সাঁই সাঁই করে উড়ে গেছে গতিময় শৈশব— আর আইস্ক্রীম;
ছিলো না পোষ্য আকাশ, ছিলো রঙ বদলে আকাশের ঘোড়দৌড়—
ছিলো না বংশবদ বাতাসের লাগাম—আগুন ছিলো আগুনের বুক জুড়ে;

আমি জন্মাতেই চাইনি মহারাজ! গলায় ঝুলছে শতাব্দী ধরে পাকানো দড়ি,
হাতে পড়েছে রাজকন্যার আঁচল, তবু আমি জন্মাতে চাই নি—
সুরকী খসে পড়েছে হাসপাতালের ঘরগুলোয়,তবু জন্মাতে চাই নি

রেলের রাস্তায় গলা দিয়ে শুয়ে ছিলো যে কয়েক হাজার তরুণী,
লাইন ধরে শুয়ে থাকায় এতো এতো ক্লান্তি ছিলো তাঁদের চোখে—
তবু সেই ক্লান্তি মোছাতেও আমি জন্মাতে চাই নি;

আমি জন্মাতেই চাইনি বন্ধু,
আমার না জন্মানোতেই ফুলগুলোতে সুন্দর সকাল,
ইস্কুলের বেঞ্চিতে বসে খেতো আরো দু একশ চড়ুই,
আমি সত্যিই জন্মাতে চাইনি—

=====================================================

“পাতা বাহারের রঙ”

যদি দেখো আমি খরচের খাতায় উঠে গেলাম,
—– তবে বিসর্গ দিয়ে শেষ করে দিও;
আমাদের অলিগলি সব ধুসর চোখা বুড়োদের—
মাঝরাত্তিরের প্যাঁচা; প্রতিটা জানালায় জন্ম ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে,
যেনো বোতলে পুরে রাখা পাতাবাহার,

আমি খরচ হয়ে গেলাম ফার্মগেটের ভীরের মাঝে,
আমাকে খরচ করে ফেলছে টেলিভিশন থেকে খেলার মাঠ,
যদি দেখো কারো লাল রঙের খাতায় নামের পাশে বিপ্রতীপ কোণ,
তবে চন্দ্রবিন্দুতে শেষে করে দিও;

যদিও, আগুনে চন্দ্রবিন্দু হয় না,
তাপে দাবদাহের মত বিসর্গের ধবনি ওঠেনা
আকাশে আর হাওয়া ওঙ্কার দিয়ে, যদি দেখো
সুবেহ সাদিকে নড়ে ওঠে নিঃসঙ্গ কড়িকাঠ
তবে যোগ্যতমের “য” ফলা দিয়ে শেষ করে দিও;

আমি যোগ্য ছিলাম চিলের মত,
যোগ্য ছিলাম ভিখিরির মত প্রতিটা ওভার ব্রিজের ওপরে,
অযোগ্য ছিলাম না খেলার মাঠে ঘাসগুলোর কাছেও,
তবু, যদি দেখো আমি মহানগরে নিতান্ত অপরিচিত—
সিদ্ধার্থ’র মত এগিয়ে গেলাম লক্ষকোটি পাপী হাতের মুঠোয়—
তবে খণ্ড “ৎ” এর মত শেষ করো দুফলা আঘাতে;

===========================================

“এখানে অন্তত ঈশ্বর নেই”

যদি বলি ঈশ্বর কেঁদে উঠেছিলো বিবর্ণ নারীর চোখে,
তবে কেঁপে উঠবে পৃথিবীর সকল ধর্মান্ধ উপাসনালয়;
যেখানে ঈশ্বর খোঁড়ায়— যেখানে ঈশ্বর দেয় হামাগুড়ি,
সেখানেই দুগ্ধপোষ্যরা, সেখানেই মধুচক্রের মাসীরা
উঠে আসে পিঁপড়ের মিছিলে আগামীর সঞ্চয় হাতে—

যদি বলি ছিঁড়ে ফেলো লেফাফায় মোড়া মিথ্যে,
তবে ঘুরে গেলো নতুন কণে দেখা আলো,
অন্য কোনো ধরণীর শীর্ষসুখে নারীরা গর্ভে নেবে নারীর বীজ,
সেখানেই ঈশ্বর হাসে, সেখানেই ঈশ্বর— নির্মম লড়াকু খুনি,

এসো খুনি হও, এসো জীবনের জন্যে খুনি হও—
এসো মৃৎপাত্রে ঢালো মানুষের স্বাধীনতা, এখানে
ঈশ্বর বলে— এসো পোড়াও, খাও, বলাৎকারে ছিঁড়ে ফেলো পবিত্র যোনিদ্বার;
এখানেই আমি নিরাকার কিংবা সাকার ছন্দে—
চেয়ে নেবো তোমার প্রার্থনা কিংবা নৈবেদ্যর সর্বশেষ শস্যদানা;
======================================