প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ব্যক্তিজীবনে কেমন মানুষ ছিলেন তা অনুসন্ধান করা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। আমার শুধু কৌতূহল তিনি তার স্বল্পকালীন সময়ে কী এমন কাজ করলেন যেজন্য তার মৃত্যুশোক আন্দোলিত করে গেল গোটা দেশকে। কদিন ধরে ফেসবুক খুলেই দেখতে পেয়েছি প্রয়াত মেয়রকে নিয়ে অসংখ্য অসংখ্য ষ্ট্যাটাস। প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও একই অবস্থা। মনে পড়েনা নিকট অতীতে কোনো রাজনৈতিক পদধারীর মৃত্যুতে এমনটি হয়েছে। আরও অভূতপূর্ব ঘটনা হলো তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামীলীগ বিএনপি একসাথে শোক প্রকাশ করেছে। এটি এক বিরল ঘটনা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাদ দিন রাজনীতির ঊর্ধ্বে যাদের স্থান সেই বরেণ্য কবি সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতেও দেখেছি খন্ডিত শোক প্রকাশের সংকীর্ণতা। একদল শোক প্রকাশ করলে অন্য দল চুপ থেকেছে যেন কিছুই ঘটেনি এমনি ভাব। কোন একজন কবি সাহিত্যিক কবে কখন তাদের কোনো লেখায় কোন নেতার প্রশংসা করেছেন বা কিঞ্চিত সমালোচনা করেছেন সেই লেখা বা বক্তব্যকে মাপকাঠি বিবেচনা করে তার বলয় চিহ্নিত করে খন্ডিত করা হয় তার আদর্শিক স্বত্বাকে। নিজেকে বলয়ভুক্ত না করতে পেরে কেউ কেউকে তো চরম অবজ্ঞা নিয়েই বিদায় নিতে হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বনামধন্য সাহিত্যিক ও পন্ডিতের কথা জানি তাঁর মৃত্যুর পর রাষ্ট্রের উপর কাঠামো থেকে কোনো শোক প্রকাশ দূরে থাক একজন টিভি অভিনেতা ছাড়া কেউ তার মৃতদেহটিও দেখতে যায়নি। তাঁর লেখা আমাদের এখনও সাহস ও প্রেরণা দেয় কিন্তু জীবদ্দশায় গোত্রভুক্ত হতে পারেননি বলে রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্রাত্য হিসেবেই তাঁকে বিদায় নিতে হয়।
সে যাই হোক বহুদিন পর দুই প্রতিপক্ষ শিবির সম্মিলিত শোক প্রকাশের মাধ্যমে আমাদেরকে এই বার্তাই দিলেন- সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব পেতে হলে রাজনীতির লেবাসমুক্ত তূলনামুলক নিরপেক্ষ চিন্তার সাহসী এবং মননশীল ব্যক্তিত্বকে খুঁজে বের করে তাদের কাঁধে দায়িত্ব এবং হাতে শক্তি দিতে হবে। প্রয়াত আনিসুল হক তাঁর স্বল্পকালীন শাসনামলে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন নেতা হতে গেলে বা সাধারণ মানুষের ভালবাসা পেতে হলে একেবারে তৃণমূল থেকে রাজনীতি শিখে আসতে হবে, রাজনীতির নাম নিয়ে ধাপে ধাপে পেশীশক্তির প্রদর্শণ চাদাবাজি এবং লুণ্ঠনের মাধ্যমে শরীরে জননেতার তকমা লাগাতে হবে সে ধারণা সঠিক নয়।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতাদের দিকে তাকিয়ে আমরা আশার আলোতো দেখিই না বরং হতাশ হই। দেখি চালচুলোহীন একটি মানুষ ম্যাজিকের মতো দ্রুততায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তার আচার আচরণে মধ্যযুগীয় সামন্তপ্রভুর বা বর্তমান সময়ের গডফাদারের ভূত এসে ভর করছে। তার চরিত্রে জন-নিপীড়নের আলামত যতই স্পষ্ট হচ্ছে ততই জননেতার পদবীটা নামের সাথে ভারি হয়ে বসে যাচ্ছে। এই বসানোর কাজটি অবশ্য তাদের মুরিদরাই করে থাকে আর জনগণকে তা মানতে বাধ্য করে। কিন্তু মন থেকে কি জনগণ এদেরকে জননেতা মনে করে ? জনগণ একদলের লাথি খেতে খেতে শত্রুর শত্রুকে ক্ষমতায় বসায় তাদের পাছায় ঝাড়া লাথিগুলিকে ফিরিয়ে দিতে। লাথির বদলে লাথি ফিরিয়ে দেয়ার শক্তি জনগণের পায়েও যথেষ্ট পরিমাণে আছে তা সত্তেও তারা এ কাজটি নিজেরা করতে পারেনা তাদের পরস্পর বিচ্ছিন্নতার কারণে। কোটি কোটি টন জলকণা যখন বিচ্ছিন্নভাবে আকাশে ঘুরে বেড়ায় তখন এগুলি স্রেফ জলীয়বাষ্প কিন্তু যখন এরা পরস্পর যুক্ত হয়ে মেঘে রূপান্তরিত হয় তখনই তা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে সেই বৃষ্টি পৃথিবীতে অনেক প্লাবন মহাপ্লাবন ঘটায়। দেখার বিষয় আমাদের সমাজের বিচ্ছিন্ন মানুষগুলি নিজে থেকেই যূথবদ্ধ হয় কি না নাকি কোনো এক শক্তি এসে তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে ভূমিকা রাখে। কারণ বাংলাদেশে একটি প্রবল গণ-জাগরণের প্রয়োজন এখন অনস্বীকার্য। এভাবে একটা সমাজ কতদিন চলতে পারে? পৃথিবী এখন পূঁজিবাদের একচ্ছত্র অধিকারে। বাংলাদেশ যেহেতু কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় সুতরাং এখানেও পূঁজিবাদের বিকাশ ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীব্যাপিই গণ-মানুষ শোষিত হচ্ছে আর কিছু মানুষ বিত্তের পাহাড় গড়ছে। কিন্তু পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষের কিছু কমন সম্পত্তি থাকে যা রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষিত। বাংলাদেশই সম্ভবতঃ একমাত্র দেশ যেখানে জনগণের এই কমন সম্পত্তিকে রাষ্ট্র প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহায়তায় কিছু ক্ষমতাবান মানুষের হাতে তুলে দেয়। শোষিত বঞ্চিত অসহায় জনগণ চেয়ে চেয়ে দেখে তার অরণ্য গিলে খাচ্ছে একদল বনখেকো দানব তার নদী বিল জলাশয় চলে যাচ্ছে কিছু ভূমিরাক্ষসের পেঠে তার সবুজ মখমলের মতো মাঠগুলি হারিয়ে যাচ্ছে। সে হাড়ভাঙ্গা মেহনত করে দুটাকা সঞ্চয় করে ঘরে রাখতে পারেনা সন্ত্রাসীরা লুটে নেবে ব্যাংকে রাখতে পারেনা ব্যাংকটিই একদিন লোপাট হয়ে যাবে এই আশংকায়। এমন এক টুকরা মাটি নেই যেখানে দাঁড়িয়ে সে স্বাভাবিক মৃত্যুর অভয় পাবে। কেউ জানেনা কখন সে একদল অদৃশ্য গেস্টাপো দ্বারা স্রেফ হাওয়া হয়ে যাবে। কেউ বলতে পারেনা সেই গায়েব হয়ে যাওয়া মানুষটি আর কোনোদিন ফিরে আসবে কি না। যারা ফিরে আসে তারা আসে মুক হয়ে তারা বলতে পারেনা কে কখন তাদের অপহরন করেছিল কোন অজ্ঞাতস্থানে দিনের পর দিন তাদের অদৃশ্য করে রাখা হয়েছিল। বছরের পর বছর দুই দল পালাক্রমে একই রঙ্গমঞ্চে একই চিত্রনাট্য প্রদর্শণ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে গজিয়ে উঠা সকল অপশক্তি এই নষ্ট শাসনেরই ফসল।
একাত্তরের শেষদিকে পরাজয় আসন্ন জেনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আমাদের বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছিল জাতিকে মেধাহীন করার লক্ষ্যে যাতে দেশ স্বাধীন হলেও একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ে। স্বাধীন বাংলাদেশেও মেধাহীন আগামী প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে হাত দেয়া হয়েছে আমাদের শিক্ষায়। আমাদের রাজনৈতিক কর্তারা বুঝে গেছেন দেশের দরীদ্র কৃষক শ্রমিক শ্রমশক্তি আর উদ্যক্তারা মিলে দেশকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যেখান থেকে মুখ থুবড়ে পড়ার আর আশংকা নেই কিন্তু এই সোনা-ফলানো জমিদারীকে দীর্ঘকাল ধরে রাখতে হলে আগামী প্রজন্মকে নেশাগ্রস্ত এবং নির্বোধ করে রাখতে হবে। এদেরকে উচ্চতর ডিগ্রীর মুফত সার্টিফিকেট দেয়া হবে কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হবেনা। এদেরকে অন্ধ স্তবগানে আসক্ত করা হবে কিন্তু অন্বেষা থেকে বিরত রাখা হবে এদেরকে ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি শিক্ষা দেয়া হবেনা তবে ডিজিটাল পৃথিবীর মায়াবী ইন্দ্রজালে ছেড়ে দেয়া হবে। শিকড়বিহীন সংস্কৃতিবিহীন বাউন্ডুলে প্রজন্ম ডিজিটালের হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকবে। কেউ সেখান থেকে অবাধ যৌনাচার শিখবে এবং সর্বত্র তার প্রয়োগ করবে, কেউ আন্তর্জাতিক জঙ্গিচক্রের সাথে সম্পৃক্ত হবে তাহলেই শাসকগণ এদের নিয়ে ইচ্ছেমতো চোর পুলিশ খেলার মওকা পাবে। মানুষের চোখে যথেচ্ছ ধুলি ছিটাতে পারবে সে সাথে তাদের শাসনও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে। সিলেবাস থেকে শুরু করে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সেই নীল নকশার আলামতসমূহ স্পষ্ট লক্ষণীয়। যে পশুরা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল তাদের পার্শ্বচরদের দ্বারা সিলেবাসের পাঠ্য অপাঠ্য নির্বাচন করা তারপর পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁস করে দেয়ার অর্থই হলো একটি বোধপ্রতিবন্ধী জেনারেশন গড়ে তোলা।
কিন্তু এসব নীলনকশা ছলচাতুরি জনগণ ভালই বুঝতে পারে। গণ-মানুষের উপলব্ধিটা সেই বিচ্ছিন্নভাবে ঘুরে বেড়ানো জলীয় বাষ্পের পর্যায়ে আছে বলে তার সামর্থটা দৃশ্যমান নয়। তবে আনিসুল হকের মৃত্যু পরবর্তি প্রতিক্রিয়ায় জনগণের মাঝে সেই শক্তি যে সুপ্ত আছে এবং তা ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে তার কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে। নইলে ঢাকা উত্তর বা ঢাকা দক্ষিণের একজন মেয়রের কার্যক্রমে কী এসে যায় পঞ্চগড় বা সাতক্ষিরা বা সুনামগঞ্জের একজন অধিবাসীর? দূর্নীতির অভয়ারণ্যে একজন আনিসুল হকের ক্রমোত্তরণ যে শতভাগ সোজাপথে হয়েছে সেটা হলফ করে বলা যাবেনা খুঁজলে হয়তো পেশাধার রাজনীতিবিদদের মতোই তার জীবন পরিক্রমায়ও অনেক স্খলন ও নেতিবাচক উপাদান খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু জনগণ তা খুঁজতে আগ্রহী নয়। কেননা পেশাধার রাজনৈতিক মহামানব বা মানবীদের শাসনচক্রে তারা এতই ত্যক্ত বিরক্ত যে রাজনীতির চিরায়ত চিত্রের একটু ব্যতিক্রম দেখেই তাদের আবেগ বাঁধভাঙ্গা হয়ে উঠেছে। এই আবেগই হলো মানুষের ঘুমিয়ে থাকা চেতনা।
এবার আসুন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তা করি। আচ্ছা ধরুন আনিসুল হককে যদি তাঁর ব্যবসায়িক অবস্থান থেকে তুলে না আনা হতো তবে কি জনগণ এই ব্যতিক্রমের স্বাদ পেত ? পেতনা। হয়তো চিরাচরিত মতে একজন হাজী সেলিম বা এই জাতীয় কেউ তার স্থলাভিষিক্ত হতেন আর আনিসুল হক একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী এবং প্রাক্তন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই বিদায় নিতেন তাঁর মৃত্যু নিয়ে এতো প্রতিক্রিয়া হতনা সুতরাং এখানে ‘পিক’ করার একটা বিশাল তাৎপর্য আছে। আর এই পিক করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই ধন্যবাদের দাবিদার। কিন্তু তাঁকে আমরা সে ধন্যবাদ দেবনা কেউ রাজনৈতিক মতভিন্নতা তথা সংকীর্ণতার কারণে আর কেউ স্বার্থের কারণে। আমরা জানি আনিসুল হককে তুলে আনতে গিয়ে দলের ভেতর থেকেই শেখ হাসিনাকে প্রবল বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়েছিল। তাঁর অনমনীয়তার কারণেই শেয পর্যন্ত দল ঢেঁকি গিলতে বাধ্য হয়েছিল। এই ধন্যবাদের উপর যদি একটি হাঁ না ভোট হয় হাঁ শোচনীয়ভাবে হেরে যাবে। কেন ? কারণ এখানে দুই দলের সমর্থকরাই ‘না’ এর পক্ষে ভোট দেবে। যদি হাঁ জয়যুক্ত হয়ে যায় আর সেই জয়ের সুবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে দুই নেত্রী আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এরকম আনিসুল হকদের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তবে অনেক পেশাধারেরই যে ভাত মরে যাবে। তখন ওবায়দুল কাদিরের ‘হাইব্রিডতত্ত্ব’ দুই দলের ভেতরে আরেক দফা সংস্কারের প্রধান শ্লোগান হয়ে উঠবে।
তবে ওবায়দুল কাদেররা নিশ্চিত থাকতে পারেন নেত্রীগণ বাইরের দিকে খুব একটা মনযোগ দেবেননা। কারণ নেত্রী ছাড়া যেমন নেতা উপনেতা পাতিনেতা ক্যাডার কর্মী সবই বাতিল কানা পয়সা তেমনি এদের ছাড়া নেত্রীগণও জিরো সুতরাং পারস্পরিক স্বার্থেই তাদের বন্ধনটুকু অটুট থাকবে। শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত রুচিবোধ উন্নত বিধায় তিনি মাঝে মাঝে কিছু এক্সপেরিমেন্ট করেন। এই এক্সপেরিমেন্টের ফসল হলেন প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আনিসুল হক প্রমূখ। যদিও এসব খেয়ালের শেষটি বড়ই তিক্ততাপূর্ণ। শেখ হাসিনা হয়তো এই এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে দূর্নীতিবাজ দলীয় নেতা এবং স্ব-ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের স্বচ্ছ আয়নার সামনে দাঁড় করাতে চান যাতে তারা নিজ চেহারাটি ভাল করে দেখে নিতে পারেন। কিন্তু বারবার তিনি এটা করবেননা। রাজনীতিতে নিতান্তই একজন অর্বাচিন এবং বহিরাগতের জনপ্রিয়তা তাঁকেও ছাড়িয়ে যাক এটা নিশ্চয়ই তিনি দেখতে চাইবেননা তা তিনি যত বিশাল হৃদয়ের অধিকারীই হন না কেন।
আমাদের চিরচেনা রাজনীতির খোলসের বাইরে যে শ্রেয়তর মানুষগুলি যাদের সামর্থ আছে মানুষকে তাদের স্বপ্নের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার যারা সমাজকে এই পঁচে যাওয়া রাজনীতির পূঁতিগন্ধময় অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারেন তারা কি শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার দৈব চয়নের অপেক্ষা্তেই থাকবেন নাকি তারা নিজ থেকেই জেগে উঠবেন নাকি জনগণই সংঘবদ্ধ হয়ে এ কালের গোপাল’দের ধরে এনে নিজ নিজ চেয়ারে বসাবে অথবা এসবের কিছুই হবেনা সেই সত্য ন্যায় আর বিবেকের ধারক ও বাহকেরা উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে রাখা অদ্ভুত ভাষ্কর্য হয়েই থাকবেন তা সময়ই ভাল বলতে পারবে।
Leave A Comment