মহাশূন্যের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন পাগুলে সার্চ দিয়ে
আমার স্ত্রী বেশ আঁতকে ওঠা কণ্ঠে বললো-
দু’হাজার সালেও নারীরা গর্ভে সন্তান ধারণ করতো।
উত্তর আকাশ থেকে দক্ষিণের মেঘ ঘরে নিতে নিতে,
আমি তখন মধ্যাকাশের শূন্য বাড়ির আঙিনায় বসে,
দীর্ঘকালীন সন্ধ্যার পানীয় পান করছিলাম।
অদূরে দুইখণ্ড মেঘ ধরে ভেসে বেড়াচ্ছে, দুটি শিশু।
অটোটিউবে জন্মানো শিশু দুটির নাম পিং আর পং,
রিমোট টিপে দিতেই ওরা মহাশূন্যে দুলতে লাগলো,
তিন হাজার সালের এই পৃথিবীর কোনো মাটি নেই-
বিশেষ প্রযুক্তিতে সমস্ত মানুষ এখন শূন্যচারী।
কেমন জানি শিরশিরে অনুভবে, পা হতে চায় ভারী।
মাটির পৃথিবী বাসযোগ্যতা হারাবার পর,
মানুষের শরীরেও মাটির অভাব, বিভিন্ন
উপাদানে নির্মিত বিশেষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
করোটির নির্যাস জন্ম থেকেই প্রাজ্ঞ
আর বিজ্ঞ করে উৎপাদন করে মানুষ।
পিংপং প্রাচীন পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞান ধারণ করেই জন্মেছে।
স্বয়ংক্রিয় চার্জিং মেশিনে কেবল্ সংযুক্ত করতে করতে
পিং কে বললাম- বাবা প্রাচীন মানুষের প্রিয় খাবার কি ছিলো?
পং দুষ্টু হেসে বললো- ভাত মাংস আর গরম পানীয়।
প্রশ্ন করলাম- প্রাচীন মানুষের কি দেখতে ভালো লাগতো?
পিং বললো- স্বপ্ন নামের একটা ব্যাপার ছিলো, মরীচিকা।
মানুষের পরম ভালোবাসা কি ছিলো?
কেমন বিস্ময় নিয়ে পিংপং বললো- শিশু আর ফুল।
আবার প্রশ্ন করলাম- মানুষ কেনো তার ভূমি হারালো?
পিংপং বেশ গম্ভীর হয়ে গেলো,
সবজান্তা এই এক মাসের শিশুদ্বয়ের মুখে যেন
সমস্ত মহাশূন্যের বিষণ্ণতা এসে ভর করলো।
ওরা জানালো- প্রাচীন মানুষ
ধর্ম নামের একধরণের অলীক মতবাদে জড়িয়ে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে একের পর এক জনপদ।
সকল মানুষ পান করেছিলো বিশ্বাস নামের মদ।
.
লিখেছেন: কালের লিখন
অনেক ভালো লেখা!
ক্ষমতার লোভে পৃথিবী ধংশ হবে। অতীতে আমরা কি দেখি? ধর্ম, বিশ্বাস বা যেকোন মতাদর্শ ক্ষমতার কাছে গিয়ে বিলিন হয়ে গেছে। ধর্ম, বিশ্বাস বা যেকোন মতাদর্শ মানুষ বা রাষ্টকে সাময়িক সমস্যায় ফেলে। আর ক্ষমতার লোভ পৃথিবীতে ধংশের দিকে ঠেলে দেয়। ক্ষমতালোভীরা ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আর ক্ষমতায় গিয়ে তারা ধর্মকে তারা ভুলে যায়। পৃথিবীতে যত ভয়ংকর আবিষ্কার হয়েছে তা ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, বরং ক্ষমতার শিখরে পৌছাবার জ্ন্য। আমরা কি কোন ধার্মিক লোককে দেখি যে ভয়ংকর আবিষ্কার করেছে ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য.. হা দেখি ধার্মিক নামদারি ক্ষমতার লোভী কিছু মানুষের কাছে।
অপূর্ব কবি বন্ধু।
হাজার বছর পরের কবিতা
যদি হতে পারে মহাশূন্যচারী
জীবনের আলোয় প্রোজ্জ্বল,
আমি প্রীত হই;
কালের দহনে আমিও ছিলেম
পূর্ব জনমে।
প্রিয় কালের লিখন, আপনার কবিতাটি চমৎকার হয়েছে।
বাহ্।
আরো ভালো লাগতো নামটা যদি হত ‘সকল মানুষ পান করেছিলো বিশ্বাস নামের মদ‘।
মুক্তমনা’য় স্বাগতম।
অনেক ধন্যবাদ। ভালোবাসা নিবেন।