জংগিবাদ বলতে আমরা ঠিক কি বুঝি? কিছু বিচিত্র আরবী নামওয়ালা গোপন সংগঠনের সাথে যুক্ত বিশেষ ধরনের চেহারা এবং লেবাসধারী লোকজন ধর্মীয় জোশে হঠাত হঠাত কিছু চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে কিছু নিরীহ মানুষ মেরে আবারো গর্তে ঢুকে যায় সেসব ঘটনাকে? জংগীবাদের উত্থান রহস্য যাইই হোক এটা তো পরিষ্কার যে তাদের মূল লক্ষ্য সাধারন সন্ত্রাসী দলের মত টাকা পয়সা লুটপাট নয়, তারা একটি বিশেষ ধরনের আদর্শবাদ মাথায় নিয়ে এসব কর্মকান্ড করে আসছে যা গোপন কিছু নয়। তারা বাংলাদেশসহ সমগ্র দুনিয়াব্যাপী ইসলামী শাসন কায়েমের স্বপ্ন দেখে, যার রাজনৈতিক রূপ ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক খিলাফত। টাকা পয়সার লোভে কেউ আত্মঘাতি হয় না, আত্মঘাতি হয় আদর্শগত কারনে। সেই আদর্শ ধর্মের চোখে সহি কিনা সেটা এখানের বিবেচ্য না।
ইসলামী জংগীবাদ সম্পর্কে ন্যূনতম ধারনা আমার ধারনা দেশের শীর্ষ নির্বাহী থেকে শুরু করে সাধারন নাগরিক কারোরই নেই, নইলে এক মুসলমান অপর মুসলমানকে হত্যা করতে পারে না, রোজার মাসে মানুষ মারে কেমন মুসলমান এই ধরনের সারল্যমাখা বিস্ময়সূচক মন্তব্য করতে পারতেন না। জংগী জেহাদীরা যে বা যারাই তাদের ইসলামী আদর্শ ভিত্তিক খিলাফত গঠনের পথে বাধা হিসেবে দেখে তাদের সকলে একই শ্ত্রু হিসেবে গন্য করে। আপনি মুসলমান, এমনকি নিয়মিত নামাজ রোজা করলেও এই কারনে তাদের থেকে ছাড় পাবেন না। সিলেটের জংগী মহিলা এই কারনেই মুসলমান ভাই পরিচয় দেওয়া পুলিশ সদস্যকে সাফ বলে দেয় আপনারা শয়তানের পথে, আমরা আল্লাহর পথে। কারন সে ভালই জানে সেই পুলিশ সদস্য তাদের ধর্মভিত্তিক খিলাফত গঠনের পথে বাধা।
কথা হল একই ধরনের লক্ষ্য নিয়ে যখন নানান প্রকাশ্য সংগঠন অবিরত অব্যাহত গতিতে তাদের ধর্মীয় অধিকার কায়েমের নামে মধ্যযুগীয় নানান কালা কানুন প্রতিষ্ঠার নামে ছোট বড় নানান গোলযোগ করে আসছে, তাদের কি বলা যেতে পারে? ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায় যে ২০০০ সালে ৮ জন মানুষ নিহত হল, কত হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হল সেটাকে কি বলা যেতে পারে? ২০১৩ সালে হেফাজতি উত্থান কেন্দ্র করে কয়জন মানুষ সব পক্ষ মিলিয়ে মারা গেল তার হিসেব আমিও জানি না। এ সবকে কি বলা যেতে পারে? জংগীবাদ নয়, রাজনীতি? কারন এসব যারা ঘটিয়ছিলেন তারা কোন গোপন সংগঠন নয়, আমাদের চোখের সামনেই আছেন, যাদের সমর্থন করে বুলন্দ ঈমানী আওয়াজ আমরা নিজেরাই তুলি? সর্বোপরি প্রথম দলের সাথে আমেরিকা ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের তেল ইত্যাদী নানান বিষয় জুড়ে চটকদার নানান তত্ত্ব দাঁড় করানো যায় যেটা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে করা যায় না সে কারনে? শফি হুজুর আমিনী হজুর সিআইএ ট্রেন্ড শুনতে কেমন যান শোনায়, তাই না? খিলাফত কায়েমের নামে সন্ত্রাস জংগীবাদ কিন্তু মুরতাদ হত্যার প্রকাশ্য ফতোয়া রাজনীতি মাত্র?
আদর্শগত ভাবে এই দুই দলের কি তেমন কোন তফাত আছে? আমি বলব দীর্ঘমেয়াদে এই দ্বিতীয় দল আরো অনেক বেশী বিপদজনক। গোপন দল যাই হোক পুলিশ সেনা দিয়ে দমন করা যায়। এই দল বহু আগেই পুলিশ র্যাব দিয়ে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে, এবং সর্বোপরি তাদের জনসমরথনও প্রবল। এই দল নিয়ন্ত্রন দূরের কথা, আমাদের শিক্ষিত সমাজই বিপুল উদ্যমে গড়ে তোলায় ভূমিকা রেখেছেন, পরিনতি চিন্তা করেননি। এখনো তারা সত্য হজম করতে পারেন না, নিজেদের অনেকভাবে ভুলিয়ে রাখার চিন্তা করেন। এই দ্বিতীয় দল চুড়ান্ত আঘাতের জন্য তৈরী হচ্ছে, তারা রাজনৈতিকভাবে এখন অনেক পরিপক্ক, তারা জানে যে চুড়ান্ত আঘাতের সময় এখনো আসেনি। নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি, এনজিও ঠ্যাংগাও, মূর্তি ভাংগো এসব নানান অজুহাতে তারা মহড়া দিচ্ছে মাত্র। এক তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস নিয়ন্ত্রনের কথা হত, এখন ঊল্টো তারাই সাধারন শিক্ষার সিলেবাস সংশোধনের শক্তি অর্জন করেছেন। অবস্থা এখন এমনই যে এই চক্রকে হুজুর হুজুর করে তেল মারা এবং কলেবর বৃদ্ধিতে সহায়তা ছাড়া উপায়ও নাই। যাদের মানসিক সূস্থতা সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করার অবকাশ আছে তাদেরই মাঝে মাঝে মনে হয় দন্ডমুন্ডের কর্তা।
ধর্মের নামে উগ্রবাদ এবং জংগীবাদ ভিন্ন কিছু নয়, জংগীবাদ ধর্মীয় উগ্রতার পরবর্তি ধাপ মাত্র। যেই দেশে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উতসবে শুভেচ্ছা জানানোর কারনে শয়ে শয়ে গালি খান, সরকারী ব্যাংকের ক্যালেন্ডারে মন্দিরের ছবি দেখে অনুভূতি আহত হওয়ায় ক্যালেন্ডারই ব্দলে ফেলতে হয়, শিক্ষককে প্রকাশ্যে অনুভূতি আহত হবার মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনধি উপস্থিত আম জনতার বিপুল করতালিতে কান ধরে ওঠবস করান সে দেশে উগ্রতার সার্বজনীনতা সম্পর্কে খুব বড় ধরনের সংশয়ের অবকাশ আছে? লক্ষনীয় যে এসব কাজ কারবার যারা করে, তারা তাদের স্বনামেই করে। নাম গোপন করার প্রয়োযনও মনে করে না কারন যে এসবে এক ধরনের সামাজিক স্বীকৃতি আছে। এই ধরনের মানসিকতা আপনি র্যাব সেনা অভিযান দিয়ে দূর করবেন? দেশে বিদেশে নিজের ভাল ক্যারিয়ার, সম্পদ ফেলে জেহাদে শরিক হতে মধ্যপ্রাচ্যে চলে গেছে এমন কত ঘটনা আমাদের মিডিয়াতেই এসেছে। এসব কিসের চালনায় হচ্ছে? আমেরিকানরা বুদ্ধি দিচ্ছে, আরব টাকা দিচ্ছে? ভান করার চেষ্টা করে লাভ নেই, স্বীকার করা ভাল যে জংগীবাদী যে কয়জনই থাকুক, উগ্রবাদী প্রচুর আছে, এবং তাদের শুধু জামাত শিবির লেবেলে আবদ্ধ করা যায় না।
এই মানসিকতা যেখানে দিন দিন বাড়ছে সেখানে জংগীবাদের প্রকোপ বাড়বে না এমন আশা করা যায় কিভাবে? জংগীবাদের কারন কি, কিভাবে বাড়লো তা আলোচনা করতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে। আমি বহুদিন ধরে বিষয়টা নিয়ে মোটামুটি সামান্য গভীরে পড়াশুনা করেছি। সে আলোকে নিঃসংশয়ে বলতে পারি যে আমাদের দেশের এমনকি জংগীবাদের বিরুদ্ধে চরম সোচ্চারদেরও জংগীবাদের স্বরুপ বোঝায় যথেষ্ট ফাঁক আছে। ইসলামী জংগীবাদ আমেরিকা ইসরাইলের কারনে পয়দা হয়নি। আমেরিকা ইসরাইল, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের তেল বা আরবের টাকায় ওয়াহাবিবাদের প্রচারনা জাতীয় আরো বহু ছোট বড় রাজনৈতিক ঘটনা এর প্রকোপ বৃদ্ধিতে ছোটবড় ভূমিকা রেখেছে ঠিকই তবে এসব কোনটাই মূল কারন নয়।
মূল কারন নিহিত আছে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা থেকে ক্রমান্বয়ে সরে আসার প্রবনতার মধ্যে। ৭২ সালেও দেশের বেশীরভাগ মানুষ মুসলমানই ছিল, এখনো তাই আছে। এখন উগ্রতা বাড়ার কারন সিআইএ এসে উগ্রতা শিখিয়ে যাচ্ছে এমন না, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার যা বিপরীত সেই ধর্মীয় উগ্র চেতনা দেশকে গ্রাস করেছে সেখানে। আমি মুসলিম আমার বাপ দাদা টুপি দাঁড়ি নামাজ পড়ে কিন্তু সন্ত্রাস কোনদিন করে নাই কাজেই মুসলমান ইসলামের সাথে জেহাদী সন্ত্রাসের কোন সম্পর্ক নাই থাকতে পারে না এ ধরনের সারল্যমাখা দাবির ব্যাখ্যা এখানেই। এর মানেই নিঃসন্দেহে এমন না যে ইসলামী ধ্যান ধারনা প্রকাশ যেইই করে সেইই জেহাদী হবে। ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার সাথে ধর্মীয় চেতনার সঙ্ঘাতের চুড়ান্ত রূপ এই ইসলামী জেহাদী সন্ত্রাস। এই সঙ্ঘাত প্রতিটা মুসলমান দেশেই দৃশ্যমান, প্রকাশ্য রাজনীতি আছে এমন একটা দেশও নেই যেখানে কোন না কোন ইসলামী জেহাদী দল নেই।
আল কায়েদা, আইসিস এসব বহুল প্রচারিত ব্যাপারে যেভাবে যতটাই হোক আমেরিকার নাম আসে। মুশকিল হল আমেরিকান কোন রকম ইনফ্লুয়েন্স ছাড়াই ইসলামী জংগীবাদের বহু উদাহরন আছে। আগেই বলেছি বিস্তারিত বলার অবকাশ এখানে নেই। আফ্রিকান জেহাদী দল বোকো হারাম কিছু হিসেবে আইসিস থেকেও বেশী মানূষ মেরেছে দেখায়, সেটার সাথে মার্কিন সম্পর্ক, এমনকি আরবের তেল কিভাবে পাওয়া যায়? জেহাদি সন্ত্রাস সাম্প্রতিক সময় বাড়লেও আমরা না জানলেও এটা বহুদিনই চলছে। যেমন, এখন ইউরোপে যে কায়দায় জেহাদী হামলা চলছে সেই রকম হামলার প্রথম উদাহরন সম্ভবন প্রায় ১০০ বছর আগের অষ্ট্রেলিয়ায়, যা Battle of Broken Hill নামে পরিচিত। আইসিস কায়দার উগ্রপন্থী ধর্মরাষ্ট্র আধুনিক বিশ্বে আরো ঘটেছে যার সাথে আমেরিকান/মধ্যপ্রাচ্যের কোন সম্পর্ক নেই। ইন্দোনেশিয়ায় ৫০ এর দশকে হুবহু আইসিসের আদলের শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র দারুল ইসলাম হয়েছিল। দারুল ইসলাম খুব বেশীদিন না চললেও এর সমর্থকতা এখন বিভিন্ন নামে সে অঞ্চলে জেহাদ বা সন্ত্রাস যাইই বলা হোক চালাচ্ছে।
জংগীবাদ থেকে স্থায়ী সমাধান অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা গ্রহন করেছে সেভাবেই হতে হবে, এর সহজ কোন সমাধান নেই। সমগ্র মুসলিম বিশ্বের বাস্তবতা হচ্ছে ঠিক তার উলটো। ধর্মনিরপেক্ষতার যায়গায় ধর্মের মূলে ফেরার প্রবনতা অর্তথাৎ উগ্রতা দিন দিন বাড়ছে। তুরষ্কের মত সেক্যুলার, বাংলাদেশের মত উদার কোন দেশই এর বাইরে নয়। অবস্থা এমনই যে ৭২ সালের সেক্যুলার সংবিধান প্রনেতা আওয়ামী লীগকে ৭২ এর ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের কথা বেমালুম ভুলে কন্টেক্স বিহীন মদিনা সনদ নাটক করতে হয়। কাজেই ধর্মীয় উগ্রতা কাম জেহাদী সন্ত্রাসে বিস্মিত হবার কিছু নেই, বরং এতে অভ্যাস করাই উত্তম, চুড়ান্ত সর্বনাশ যতদিন ঠেকানো যায় সে কামনাই বরং করা উচিত। ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা যতদিন না মানসিকভাবে গ্রহন করা যায় ততদিনই বিশ্বময় কোথাও দারুল ইসলাম, কোথাও আল বদর, কোথাও বোকো হারাম, আল শাবাব, আল কায়েদা, জেএমবি, হিযবুত তাহরির এসব তৈরী হতেই থাকবে। যার যেভাবে খুশী ব্যাখ্যাও করতে পারবেন, আমেরিকা……কলোনিয়ালিজম থেকে কেপ্টাগন কিছুই বাদ থাকবে না। আসলে চয়েসটা সম্পূর্নভাবে মুসলমানদের নিজেদের হাতেই, সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরই।
বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মীয় ভাবে কনজার্ভেটিভ এই দুই ধারার সঙ্ঘাত সামনের দিনগুলিতে আরো বাড়া ছাড়া কমবে না। ছোট উদাহরন দিতে পারি একদিকে দেশে এখন মুসলমানদের ভেতরেও হোলি, থ্যাংক্স গিভিং পালনও শুরু হয়েছে, অন্যদিকে একুশে ফেব্রুয়ারী, পহেলা বৈশাখ বিদাত ঘোষনা দিয়ে বর্জনও শুরু হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এই দুই ধারার শান্তিপূর্ন সহাবস্থান সম্ভব না। সর্বোপরি এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে যা প্রয়োযন অর্থাৎ রাজনৈতিক ঐক্যের তাও এখন সুদুর পরাহত। সরকারী দল এখন মৌলবাদের বিরুদ্ধে নামলে বিরোধী দল ইসলাম গেল বলে হাঁক ছাড়বে। কাজেই সামনের দিনগুলিতে আরো নানান গোলযোগ দেখা যাবে। ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বলা সোজা, মুসলমান দেশগুলিতে তা প্রতিষ্ঠা করা কি রকম কঠিন তার একটি উদাহরন সামনে দেব। আসলে কেউ নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করতে থাকবেন পন করে থাকলে আল্লাহ খোদারও সাধ্য নেই তাদের সাহায্য করার। সর্বনাশ অনিবার্য।
আসলে হচ্ছে কি আমাদের কে অনেক উদার হওয়া উচিত।
প্রিয় মুক্তমনা সম্পাদক,
নীচে আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে করা নিকসন কান্তির মন্তব্যের জবাব পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্যটি প্রকাশ পায় নি (খুব সম্ভব মুছে দেয়া হয়েছে)। আমার মনে হয় না মন্তব্যটিতে এমন কিছু ছিল যা মুক্তমনার নীতির বিরোধী। এও লক্ষ্য করছি যে লগ-ইন করে মন্তব্য করা হলেও সম্প্রতি আমার মন্তব্যগুলো মডারেশনের জন্য অপেক্ষা করছে। মুক্তমনার নীতিমালায় কি কোন নতুন পরিবর্তন এসেছে? কোন কারনে কি আমার সরাসরি মন্তব্য বা লেখা প্রকাশে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে? দয়া করে এসম্পর্কে জানালে খুশী হব।
অনেক ধন্যবাদ,
একজন সহযাত্রী
কোথাও কোন পরিবর্তন হয়নি। আপনাকে সম্পাদকের পক্ষ থেকে ই মেইল করা হয়েছে।
দূর্নীতি দমন আর প্রত্যেকটি বিষয়ে সরকারের স্বচ্ছ্বতা এই ধরনের জংগীবাদ দমনে ভূমিকা পালন করতে পারে।ধর্ম বা ধর্মীয় দর্শন কখনই পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা যাবে না, খুব সীমিত আকারে হলেও তা থাকবে।একটি গোষ্ঠি বা সম্প্রদায় যখন মনে করে তারা নিষ্পেশিত হচ্ছে তখনই এই ধরনের radicalisation সৃষ্টি হয়।কাজেই শুধু মাত্র ধর্মকে মধ্য যুগের বর্বর সৃষ্টিএটা বলেই পিঠ ফিরিয়ে রাখলে হবে না।এই ধরনের radical movement কেন তৈরি হচ্ছে তার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা একান্ত জরুরী। আমরা যে তথাকথিত পশ্চিমা প্রেসক্রিপশন এর আলোকে গনতন্ত্রের গুনগান গাই তার প্রয়োজনীয়তা কিন্তু আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
“থাকবে।একটি গোষ্ঠি বা সম্প্রদায় যখন মনে করে তারা নিষ্পেশিত হচ্ছে তখনই এই ধরনের radicalisation সৃষ্টি হয়”
– খুব ইন্টারেষ্টিং। পশ্চীমা দেশে না হয় মানা গেল মাইনরিটি মুসলমানদের ক্ষমতায় থাকা মেজরিটি সাদা অমুসলমানরা অত্যাচার নিষ্পেষন করছে তাই সেখানে কেউ কেউ জংগীবাদে জড়াচ্ছে। অভিযোগ কতটা খাঁটি সে বিবেচনায় না গিয়ে সম্ভাবনা হিসেবে এটাকে বিবেচনা করা যায়।
কথা হল বাংলাদেশ, তুরষ্ক (সেখানে আবার এখন আধুনিক খলিফা এরদোগান বিপুল জনপ্রিয়তায় ক্ষমতায় আসীন), মিশর, তিউনেশিয়া, আলজেরিয়া, পাক্কিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এসব মুসলমান প্রধান দেশে যেখানে মুসলমানরাই ক্ষমতায় মুসলমানদের অত্যাচার করছে কে? নাকি পশ্চীমাদের অত্যাচার নিষ্পেষনের প্রতিবাদে মুসলমান দেশে মুসলমানরা নিজেদের ভাই ব্রাদারদের মেরে গায়ের ঝাল ঝাড়ছে? সব নিশ্চয়ই আমেরিকার দোষ?
“আমরা যে তথাকথিত পশ্চিমা প্রেসক্রিপশন এর আলোকে গনতন্ত্রের গুনগান গাই তার প্রয়োজনীয়তা কিন্তু আজ প্রশ্নবিদ্ধ”
– খুবই আশা জাগানিয়া মন্তব্য। আশা করি আপনি আমাদের পশ্চীমা গনতন্ত্রের বিপরীতে অধিকতর কার্যকরি কোন ব্যাবস্থা যা বর্তমান যুগে প্রমানিত তেমন কিছুর সন্ধান দেবেন।
ধন্যবাদ।
“আমরা যে তথাকথিত পশ্চিমা প্রেসক্রিপশন এর আলোকে গনতন্ত্রের গুনগান গাই তার প্রয়োজনীয়তা কিন্তু আজ প্রশ্নবিদ্ধ”
গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমার মনে কোন সন্দেহ নেই। পৃথিবীর যেসব দেশে গণতন্ত্র আছে আর যেসব দেশে নেই তাদের উন্নয়নসূচকের তুলনা করলেই তা বোঝা যাবে। কিন্তু আমাদের দেশ কি বর্তমানে গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী? প্রশ্নটি অবশ্যই যৌক্তিক। আমরা স্বাধীনতার পর দেশের ইসলামীকরণ দেখেছি যার ধারাবাহিকতায় আজকে দেশে ভয়াবহ জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। এই অবস্থায় কেবল গণতন্ত্র-রক্ষার খাতিরে বিএনপি-জামাতকে ক্ষমতায় আনলে এই অবস্থার আরও অবনতি হবে। দেশের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনের সমালোচনা করে মুক্তমনায় একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে গণতন্ত্র রক্ষার চেয়ে দেশ রক্ষা করাটাই এখন বেশী জরুরী। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, তারপরেও একক রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে লীগের বিকল্প দেশে নেই। যতদিন দেশে একটি বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তি তৈরী না হচ্ছে, ততদিন এভাবে চলাটাই মন্দের ভাল বলে মনে হয়।
আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে একটাকে যখন মন্দের ভাল বলা হয় তখন বিষয়টা এরকম দাঁড়ায়- একটা ট্রাক আসছে এবং একটা বাস আসছে; আপনি কোনটার নিচে পড়তে চান? তো উত্তরদাতা অ-নে-ক পরিসংখ্যান ঘেঁটে সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি বাসের নিচেই পড়তে চান। কারন কোন একটার নিচে তো তাকে পড়তেই হবে। দুটোই এভয়েড করার চেষ্টা তো কোন প্র্যাকটিকাল চিন্তা না। বাসের নিচে পড়া খুবই প্র্যাকটিকাল চিন্তা। হা কপাল!
এই যে মন্দের ভালো বেছে নেয়ার পদ্ধতি অর্থাৎ ভোটাভুটি- সেটাকে রীতিমত আঁটঘাট বেঁধে ধ্বংস করেছে কে? আওয়ামী লীগ। লীগের বিকল্প শক্তি তৈরীতে সবচেয়ে বড় বাধা কে? লীগ। এদেশ গণতন্ত্রের জন্য উপযোগী না। ভাল কথা। তো উপযোগী করতে হলে, মানুষকে গণতন্ত্রমনা করে তুলতে হলে সবচেয়ে বেশি জরুরী কী? শিক্ষা। নট সার্টিফিকেট; শিক্ষা। সেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিখুঁতভাবে নষ্ট করেছে কে? আওয়ামী লীগ। একটা দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চেয়েও বড় হতাশাজনক হল সে দেশটার আবার উঠে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যাওয়া। প্রতিটা ইভিল-ফোর্সকে তুষ্ট রেখে সেই ধ্বংসের কাজটা সবচেয়ে অর্গানাইজডভাবে করতে পারছে কে? আওয়ামী লীগ। তারপরও তারা মন্দের ভাল! এবং আমরা মন্দের ভালতেই খুশি!
স্বপ্ন দেখতে গিয়েও যদি ‘ভাল’ না দেখে ‘মন্দের ভাল’ দেখি, তবে বোধহয় আমরা আওয়ামী লীগই ডিজার্ভ করি।
নিকসন কান্তি, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য! আপনি যদি আমার অতীতের পোষ্ট/মন্তব্যগুলো পড়েন তাহলে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি সম্পর্কে আমার অবস্থান পরিস্কার হয়ে যাবে। আমি বলছি না আওয়ামী লীগ অগণতান্ত্রিকভাবেই চিরকাল ক্ষমতায় থেকে যাক, আমার মন্তব্য কেবল সাম্প্রতিক সময়ের জন্য। বিএনপি এখন একটি মুখ-থুবড়ে পড়া দল, যাদের ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া দেশের জন্য কোন ভবিষ্যত পরিকল্পনা নেই; তারা এখনও জামাতের সঙ্গ ছাড়তে পারছে না এবং বিএনপির বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব আধুনিক বাংলাদেশের জন্য অযোগ্য। সত্তরের দশকের তুলনায় দেশে ইসলামী মৌলবাদের শিকড় এখন অনেক গভীরে। এই অবস্থায় বিএনপি-জামাতের হাতে ক্ষমতা গেলে কি হবে তা সহজেই অনুমেয়। অন্যদিকে জামাত-প্রসঙ্গ ছাড়া আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যে পার্থক্য ‘বাস’ আর ‘ট্রাকে’ চাপা পড়ে মৃত্যুর মতই হাতে গোনা। আপনার মন্তব্যে উল্লেখ করা আওয়ামী লীগের ত্রুটিগুলো মেনে নিলেও বলতে হয় যে দুঃখজনকভাবে মন্দের ভাল ছাড়া আমাদের হাতে এখনই কোন বিকল্প নেই। যেহেতু আমার কাছে নেতা বা দলের চেয়ে দেশ আর মানুষ অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ তাই এই অবস্থায় আমি মোটেও খুশী নই।
স্বপ্ন দেখতে চাই, অনেক কিছু পাওয়ার স্বপ্ন; কিন্তু বাস্তবতাকেও তো অগ্রাহ্য করা যায় না। তবে এই অবস্থায় বিকল্প কি তা নিয়ে এই ফোরামে আলোচনা হওয়া উচিত।
ভাল বলেছেন। আসলেই আমরা অনেকেই নেকড়ে এবং হায়েনা থেকে যে যার বিবেচনামত কম হিংস্র নেকড়ে বেছে নেই, কিন্তু নেকড়ে হায়েনার বংশ কিভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায় তা চিন্তা করি না। ফলশ্রুতিতে দেশে সূস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরী হওয়ার আশা সুদুর পরাহত।
আওয়ামী লীগই শিক্ষা ব্যাবস্থা ধ্বংস করেছে কিনা এই প্রশ্ন পাশ কাটিয়ে আমার ধারনা হল যে এই দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা শিক্ষার যা প্রকৃত লক্ষ্য হওয়ার কথা; অর্থাৎ স্বাধীন চিন্তাবিবেচনা শক্তি সম্পন্ন মানুষ তৈরী করা তাতে সম্পুর্ন ব্যার্থ। এটা শুধু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি আমল হিসেবে হয়েছে মনে হয় না। আমাদের আর্থ সামাজিক পরিবেশেই এমন কিছু এলিমেন্ট আছে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ডিগ্রী বা উপার্জন ক্ষমতা অর্জনের সীল ছাড়া তেমন কিছু দিতে পারছে না। উচ্চশিক্ষিত মানুষের মাথায়ও দেখি ষড়যন্ত্র ছাড়া তেমন কিছু খেলে না। জংগীবাদ নিয়েই চিন্তা করেন, একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি খোলা ময়দানে দাঁড়িয়ে কেপ্টাগন তত্ত্বের মত উদ্ভট হাস্যকর তত্ত্ব দিনে দুপুরে দিতে পারেন।
আওয়ামী লীগের সমস্যা অনেক, কিন্তু এখনই আওয়ামী লীগের বিকল্প শক্তি হিসাবে দাঁড়ানোর মত কোন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে নেই। বোধগম্য কারনেই আওয়ামী লীগ চাইছে না দেশে এমন কোন বিকল্প শক্তি তৈরী হোক।
অনেকদিন পর আপনার সাথে কথা হল।
গনতন্ত্র আমাদের দেশে ব্যার্থ চলে না হেনতেন এর জবাবে সম্ভবত বলা যায় যে গরুর গাড়ির চালকের জেট প্লেন চালিয়ে জেট প্লেনের সুবিধে পেতে হলে আগে জেট প্লেন চালানোর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। গরুর গাড়ি চালানোর বিদ্যা নিয়ে জেট প্লেনের ককপিটে বসলে অবশ্যই বিপর্যয় অবশ্যই হবে এবং গাড়োয়ান দোষটা প্লেনেরই দেবে। গনতন্ত্র সফল করে তার সুফল পেতে যে মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি থাকা দরকার তা বাংলাদেশীদের নেই, তাই গনতন্ত্র এখানে অর্ধশতাব্দীরও ব্যাসই সময় ধরে কায়েমের জন্য নানান আন্দোলন করে কায়েম করার পরও কাংখিত সুফল আনেনি। ভারতেও সুফল এনেছে, কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তানে আসেনি।
দেশে বর্তমান অবস্থায় আমার কাছে আওয়ামী লীগের নানান দূর্নাম দূর্বলতা সত্ত্বেও বিএনপিকে তার চাইতে যোগ্য এমনকি সমমাত্রাও মনে হয় না। বিশেষ করে দুই নেত্রীর তূলনা করলে এখন হাসিনার বিপরীতে খালেদাকে এক পাল্লায় মাপার মতও মনে হয় না। বিএনপি বস্তুত দল হিসেবে নয়, এন্টি আওয়ামী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টিকে আছে এবং থাকবে। দলগত ভাবে এর ডিগ্রেডেশন হয়েছে চরম। দেশের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে যে আওয়ামী সরকারের ওপর লোকে বিরক্ত বা খুশী না থাকলেও এর বিপরীতে বিএনপিকে আনার জন্য আন্দোলন হরতাল এসব কেউই চায় না। সামনের ভোট কেমন হবে জানা কথা, কাজেই সামনে বেশ কিছুদিনই আওয়ামী শাসন চল্বে যতদিন না বিশেষ কিছু যায়গা সন্তুষ্ট থাকে।
আমরা হয়ত আমাদের পছন্দের দল ক্ষমতায় থাকছে খুশী হতে পারি। অন্যদিকের চিত্র হল দীর্ঘমেয়াদে এটা অত্যন্ত বিপদজনক। গনতন্ত্রের বলতে গেলে কবর হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগের যোগ্য বিরোধী দল দেশে নেই। সূস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ বলতে যা বোঝায় তা আর কবে হয় তাতে সন্দেহ আছে। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনা শতায়ু হন দোয়া করা ছাড়া তেমন কিছু করার দেখি না।
অনেকদিন পর কথা হচ্ছে!
আসলেই একদলীয় শাসনে সাময়িক অর্জন লক্ষ্য করা গেলেও তা কখনই দীর্ঘমেয়াদে কাম্য নয়। চার্চিল একবার হাউস অব কমন্সে বলেছিলেন “democracy is the worst form of government except all those other forms that have been tried from time to time.”। একটি জাতির পরিণত হতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। এজন্যই দেশের স্বার্থেই একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা দরকার। সেটি হতে পারে একবারে নতুন কোন দল কিংবা কোন মিরাকল টাইপের ঘটনায় (?) নতুন প্রাণশক্তি পাওয়া আজকের মরতে বসা বিএনপি।
একমত যে বর্তমানের বিএনপি দল হিসাবে বাংলাদেশ কে নেতৃত্ব দিতে অপারগ। দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা একান্তই জরুরী; হাল ধরতে হবে জিয়া পরিবারের বাইরের কারও। দেশে গণতন্ত্র নেই বলে হা-হুতাশ করবে আর দল চলবে একনায়কীয় কায়দায়, এমন নিয়ম আর কতদিন! জামাত বর্জন আর অতীতের অপশাসনের ধারা থেকে বের হয়ে আসতে দলটি কি করবে তা নিয়ে জনগনকে সুস্পষ্ট ধারনা দিতে হবে। সেই সাথে ভবিষ্যতের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়ে দলটির চিন্তাভাবনাও জনগনকে জানাতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন মানুষ আর চায় না, তাই দলটিকে তৃণমূল পর্যায়ে জনগনের জন্য কাজ করেই ক্ষমতায় আসার সুস্থ প্রতিযোগীতা গড়ে তুলতে হবে। একটু এদিক-ওদিক করে আওয়ামী লীগসহ দেশের যেকোন রাজনৈতিক দলের জন্যই কথাগুলো প্রযোজ্য।
লাভ কী? যে কম বোঝে তাকে বোঝানো যায়, যে বোঝে না তাকেও বোঝানো যায়, কিন্তু যে ‘বুঝবো না’ বলে প্রতিজ্ঞা করে বসে আছে তাকে কি করে বোঝাবেন! চেষ্টা তো অনেক করা হল। অনেকভাবেও করা হল- যুক্তি দিয়ে, ঠাট্টা করে, স্যাটায়ার করে, গালিগালাজ করে… কোনভাবেই তো তাদের কানের পোকা নড়ানো গেল না। এখন বাকি আছে চুপচাপ থেকে ইসলাম পুরোপুরি কায়েম হতে দেয়া। আসুক শরীয়া। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ধর্ম-পুলিশের চেকপোস্ট বসে যাক। তারপর কোন এক ২৬শে মার্চে ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ গুনগুন করার অপরাধে যখন রাস্তায় ফেলে দোররা মারবে তখন দেখি কে বলতে আসে- ইহা সহী ইসলাম নয়।
শুনেছি নিজের ভাল পাগলেও বোঝে। বাঙালী কি পাগলেরও অধম!
“এখন বাকি আছে চুপচাপ থেকে ইসলাম পুরোপুরি কায়েম হতে দেয়া। আসুক শরীয়া। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ধর্ম-পুলিশের চেকপোস্ট বসে যাক। ”
– আসলেই তেমন কিছু ছাড়া ধর্মজ্বরের কবল থেকে মুক্তি সম্ভব না। ধর্মজ্বরের থেকেও বেশী হল ভন্ডামি এবং লোক দেখানো ধার্মিক সাজার অন্ধ প্রবনতা। ধর্ম নিয়ে যেসব শিক্ষিত লোকে হাঁক ছাড়ে তাদেরও বেশীরভাগ ভেতরে ভেতরে পূর্ন ইসলাম কায়েম হওয়া ভয় পায়। তারা ভালই জানে পূর্ন ইসলাম কায়েম হওয়া মানে কি। কিন্তু এমন একটা ভাব করে যে ইসলাম বিহীন জীবন অচল। তাদের ধারনা এভাবেই দুই দিক সমান তাকে পাল্লা দিয়ে আজীবন চলে যাবে, আধুনিক কায়দায় জীবন যাপন করবে, ইসলামের গুনগান গেয়ে পরকালের নেকি কামাবে এবং সামাজিক ষ্ট্যাটাসও বজায় রাখবে। এভাবে খুব বেশীদিন যাবে না, চুড়ান্ত একটি অবস্থানের দিকে এক সময় পৌছাতেই হবে। শুধু সময়ের ব্যাপার।