jagadish-page-036

১৮৮৭ সালের ২৭ জানুয়ারি জগদীশচন্দ্রের বিয়ে হয় তাঁর বাবার বন্ধু দুর্গামোহন দাসের দ্বিতীয় কন্যা অবলা দাসের সাথে। বিয়ের পর অবলা দাস স্বামীর পদবী ব্যবহার করে হয়ে যান অবলা বসু।

তৎকালীন অখন্ড বাংলার সমাজ-উন্নয়নে দুর্গামোহন দাসের অবদান ছিল ব্যাপক। বিক্রমপুরের সন্তান দুর্গামোহন বরিশালের ইংরেজি স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বৃত্তি নিয়ে কলকাতার হিন্দু কলেজে পড়েন। সেখান থেকে আবার ঢাকা কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করেন। ভগবানচন্দ্রের সাথে বন্ধুত্ব তখন থেকেই। ঢাকা কলেজ থেকে পাস করে কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তে আসেন স্কলারশিপ নিয়ে। ততদিনে তাঁর বিয়ে হয়েছে ব্রহ্মময়ী দেবীর সাথে। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় ইতিহাসের প্রফেসর কাউয়েল সাহেবের সংস্পর্শে এসে খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন দুর্গামোহন। এমনই সে আকর্ষণ যে সস্ত্রীক খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত খ্রিস্টান হওয়া হয়নি তাদের। তখন তাঁরা ব্রাহ্মধর্মের প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন।

পড়াশোনা শেষ করে কলকাতা হাইকোর্টের একজন নামকরা অ্যাডভোকেট হন দুর্গামোহন দাস। ক্রমে ব্রাহ্মসমাজের নেতৃত্ব দেন তিনি। ব্রাহ্মসমাজের উপাসনাকে কেন্দ্র করে দুর্গামোহন দাস নারীজাগরণের আন্দোলন নিয়ে এসেছিলেন। ব্রাহ্মসমাজের দুই প্রধান নেতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কেশবচন্দ্র সেন। তাঁরা কেউই ব্রাহ্মমন্দিরে উপাসনার সময় পুরুষদের সাথে নারীদের উপাসনা করার অধিকার দেননি। কিন্তু দুর্গামোহন দাস ব্রাহ্মমন্দিরে উপাসনার সময় সর্বপ্রথম নিজের স্ত্রী ও তিন মেয়েকে সাথে নিয়ে উপাসনা করেন।

ব্রাহ্মসমাজের সবচেয়ে বড় সমাজ-কল্যাণমূলক কাজ ছিল বিধবা-বিবাহ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিধবা-বিবাহ প্রচলনের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিলেন দুর্গামোহন দাস। তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর বুড়ো বয়সে তাঁর বাবা কাশীশ্বর দাস দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের কয়েক বছর পরেই তাঁর বাবা মারা যান। অতি অল্পবয়সী বিধবা বিমাতার বিয়ের ব্যবস্থা করেন দুর্গামোহন দাস। তাঁর এই কাজের জন্য সমাজের অনেকেই ছি ছি করতে থাকেন। আদালতে যাবার পথে অনেক লোক দুর্গামোহনের গায়ে ঢিল ছুঁড়ে মেরেছে, থু থু দিয়েছে। তাঁর আদালতের ব্যাপক পসারও সংকুচিত হয়ে যায় এ কারণে। কিন্তু ভ্রুক্ষেপ করেননি দুর্গামোহন। শুধু তাই নয় – দুই পুত্র ও তিন কন্যা রেখে স্ত্রী ব্রহ্মময়ীর মৃত্যু হলে দুর্গামোহন অতুলপ্রসাদ সেনের বিধবা মাকে বিয়ে করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

দুইপুত্র ও তিন কন্যাকে উপযুক্ত শিক্ষা ও আদর্শে মানুষ করেছিলেন দুর্গামোহন দাস। তাঁর বড় ছেলে সতীশরঞ্জন দাস (এস আর দাস) বড় লাটের শাসন পরিষদের সদস্য ছিলেন। ছোট ছেলে জ্যোতিষরঞ্জন দাসও বিখ্যাত মানুষ ছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন দুর্গামোহন দাসের ভাইয়ের ছেলে। দুর্গামোহন দাসের তিন কন্যা। বড় মেয়ে সরলা দাসের সাথে বিয়ে হয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রথম বাঙালি অধ্যক্ষ ডক্টর প্রসন্ন কুমার রায়ের সাথে। পরে প্রসন্ন কুমারের ছোট ভাই দ্বারকানাথ রায়ের সাথে বিয়ে হয়েছে দুর্গামোহনের ছোট মেয়ের। সরলা খুব ভালো ছাত্রী ছিলেন। কিন্তু প্রবেশিকা পরীক্ষার আগে বিয়ে হয়ে যাওয়াতে আর পড়াশোনা হয়নি। কিন্তু তিনি বিয়ের পর স্বামীর উৎসাহে সারাজীবন মেয়েদের শিক্ষাবিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ছিলেন ব্রহ্মবালিকা শিক্ষালয়ের প্রথম মহিলা সেক্রেটারি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং নিখিল ভারত মহিলা সম্মেলনের সভানেত্রী। তিনি কলকাতায় গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

দুর্গামোহনের দ্বিতীয় কন্যা অবলা দাসের জন্ম বরিশালে, ১৮৬৪ সালের ৮ আগস্ট। দুর্দান্ত ভালো ছাত্রী অবলা বেথুন স্কুল থেকে এফ এ পাস করে বাংলা সরকারের শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন। ১৮৮০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন অবলা। তাঁর সঙ্গে মোট পাঁচ জন মেয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে তিন জন ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু কলকাতায় তখনো মেয়েদের ডাক্তারি পড়ার অনুমতি ছিল না। মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজে মেয়েদের পড়াশোনায় কোন বাধা ছিল না। অবলা মাদ্রাজ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা শুরু করলেন। অবলা ছিলেন বাঙালি মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেডিকেল শিক্ষার্থী। মাদ্রাজে মেয়েদের হোস্টেল ছিল না। মিস্টার জেনসেনের বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন অবলা।

জগদীশচন্দ্রের সাথে যখন বিয়ে হয় তখন তিনি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। কিন্তু বিয়ের পর তিনি তাঁর পড়াশোনা ছেড়ে দেন। এতে জগদীশচন্দ্রের কোন হাত ছিল কিনা তা জানা যায়নি। শুধু জানা যায় বিয়ের পর অবলা স্বামীর সহধর্মিনী হতে গিয়ে ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিয়ে সংসারের হাল ধরলেন।

অবলা জানেন তাঁর স্বামী কলেজ থেকে বেতন নিচ্ছেন না দু’বছর হয়ে গেলো। সংসার চালাতে হলে খরচ কমাতে হবে। অবলার বাবার আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। কিন্তু তিনি জানেন জগদীশচন্দ্র আত্মনির্ভরশীল এবং ভীষণ আত্মসম্মানী। দুর্গামোহনও চাইলেন অবলা যেন তার স্বামীর সাথে প্রথম থেকেই স্বাধীনভাবে ঘরসংসার শুরু করতে পারে। কলকাতার বাসা ছেড়ে দিয়ে তাঁরা চন্দননগরে নদীর ধারে একটা বাড়ি ভাড়া নেন।

গঙ্গার তীরে নতুন বাসা জগদীশচন্দ্র ও অবলার। নতুন সংসার। গঙ্গার অপর তীরে নৈহাটি। প্রতিদিন জগদীশচন্দ্র নৌকা করে নৈহাটি পার হয়ে ট্রেন ধরে শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে হেঁটে কলেজে যান। আবার সেভাবেই ফিরে আসেন। নৌকাভাড়া বাঁচানো এবং স্বামীকে আরো বেশি সঙ্গদানের জন্য অবলা একটা নৌকা ভাড়া করলেন মাস চুক্তিতে। তারপর প্রতিদিন সকালে জগদীশচন্দ্র নৌকা বেয়ে নদী পার হয়ে নৈহাটি স্টেশনে আসেন। অবলাও যান তাঁর সাথে। জগদীশচন্দ্র নৈহাটি থেকে ট্রেনে চড়ে শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে হেঁটে হেঁটে কলেজে যান। অবলা নৌকা বেয়ে বাড়ি চলে আসেন। বিকেলে আবার নৌকা নিয়ে নৈহাটি থেকে স্বামীকে আনতে যান। ফেরার পথে নৌকা চালান জগদীশ।

এভাবে চললো মাস ছয়েক। ইতোমধ্যে জগদীশের মা-বাবাও চলে এসেছেন তাঁদের বাসায়। কলেজে সপ্তাহে ছাব্বিশ ঘন্টা ক্লাস নিতে হতো জগদীশচন্দ্রকে। তার ওপর যাওয়া আসার এত ধকল আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিলো না তাঁর পক্ষে। কলকাতায় ফিরে এলেন তাঁরা। উঠলেন মেছুয়াবাজার স্ট্রিটে জগদীশচন্দ্রের ছোটবোন সুবর্ণপ্রভা’র স্বামী মোহিনীমোহন বসুর বাড়ির আঙিনায় একটি একতলা বাড়িতে। বাড়িটি এখনকার রাজাবাজারের চার মাথার কাছে। কাছাকাছি তখন বিখ্যাত সব মানুষদের বাস। সামান্য দক্ষিণে কেশবচন্দ্র সেনের বাড়ি। উত্তর-পশ্চিমে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাড়ি, কাছেই রাজা রামমোহনের বাগানবাড়ি, একই রাস্তায় তারক নাথ পালিতের বাগান-বাড়িটিও।

এদিকে অধ্যাপক হিসেবে জগদীশচন্দ্রের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ১৮৮৮ সালে তাঁকে স্থায়ীপদে নিয়োগ দেয়া হয় এবং আগের তিন বছরের পুরো বেতন এক সাথে দেয়া হয়। পরিবারের আর্থিক সমস্যা মিটে গেলো। জগদীশচন্দ্র বাবার ঋণের যেটুকু বাকি ছিল তা একেবারে মিটিয়ে দিলেন। ভগবানচন্দ্র পুত্রের কল্যাণে ঋণমুক্ত হয়ে সুখী হলেন। ১৮৯২ সালে জগদীশচন্দ্রের বাবা ভগবানচন্দ্রের মৃত্যু হয়। তার দু’বছর পর মারা যান মা বামাসুন্দরী।

১৮৮৮ সালে এডিনবরা ইউনিভার্সিটি থেকে রসায়নে ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি নিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন প্রফুল্লচন্দ্র রায়। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম আধুনিক রসায়নবিদ। কিন্তু ব্রিটিশ ভারতের শিক্ষাবিভাগে ঢোকার সুযোগ হলো না প্রফুল্লচন্দ্রের। কোথাও কোন চাকরি পেলেন না তিনি। জগদীশচন্দ্র চাকরি পেয়েছিলেন সুপারিশের জোরে। সেই জোর প্রফুল্লচন্দ্রের ছিল না। বেকার অবস্থায় প্রায়ই জগদীশচন্দ্রের বাড়িতে আসতেন প্রফুল্লচন্দ্র।

কিন্তু কিছুটা খামখেয়ালি এবং বেশ আত্মকেন্দ্রিক ছিলেন জগদীশচন্দ্র। নিজের আত্মসম্মানের প্রতি অতিরিক্ত স্পর্শকাতর ছিলেন তিনি। ১৮৮৮ সালে যখন নিজের বেতন পুরোপুরি পেয়ে গেলেন এবং নিজের চাকরি স্থায়ী হয়ে গেলো তখন থেকে ইংরেজ সরকারের ব্যবস্থার প্রতি তাঁর আর কোন অভিযোগ ছিল না অনেক বছর। প্রফুল্লচন্দ্র রায় যে অনেক বছর চাকরি পাননি তাতেও জগদীশচন্দ্রের কিছু যায় আসেনি। পরে প্রফুল্লচন্দ্র প্রাদেশিক সরকারের অধীনে চাকরি নিয়ে জগদীশচন্দ্রের চেয়ে অনেক কম বেতনে চাকরি করেছেন প্রেসিডেন্সি কলেজেই।

জগদীশের সংসারের ভার পুরোটাই স্ত্রী অবলা বসুর হাতে। অবলাও স্বামী-অন্ত প্রাণ। স্বামীর সুখ-দুঃখের একান্ত সঙ্গী অবলা সংসারে স্বামীর সেবায় নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। এ প্রসঙ্গে গবেষক শোভনা নন্দীর ভাষায়:

“গৃহ পরিবারে তিনি ছিলেন বাংলার মেয়ে, বাংলার বধূ, ছায়ার মত পতির অনুগামিনী, আদর্শ সহধর্মিণী এবং সহকর্মিণী। কী একনিষ্ঠ পতিসেবাই না দেখেছি। নিত্য কত সভাসমিতি, কত লাটবেলাটের দরবারে নিমন্ত্রণ, কিন্তু যত জরুরিই হোক না, রাত আটটার মধ্যে বাড়ি ফেরা চাই। সে সময়টা ছিল আচার্যের খাওয়ার সময়। স্বামীর সব কাজটুকু নিজে হাতে না করলে তৃপ্তি কোথায়।”

১৮৮৮ সালেই জগদীশচন্দ্র মহেন্দ্রলাল সরকারের অ্যাসোসিয়েশানে লেকচার দেয়া ছেড়ে দেন। প্রেসিডেন্সিতে পড়ানোর বাইরের সময়টা নিজের খুশিমতো কাটান। ব্রাহ্মসমাজে যাতায়াতও নিয়মিত নয়। তবুও মাঝে মাঝে যান অবলা বসুর তাগিদে। অবলা ঘরের কাজ সামলে সামাজিক উন্নয়নমূলক অনেক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জগদীশচন্দ্র বেড়াতে পছন্দ করতেন। বিয়ের এক বছর পরেই কলেজ থেকে পুরো বেতন পেতে শুরু করার পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলার শখও ছিল তাঁর। ফটোগ্রাফির শখের চর্চা পরবর্তীতে গভীর বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসায় পরিণত হয়েছিল। পরে তিনি এ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লেখেন এবং ইংল্যান্ডের ফটোগ্রাফিক সোসাইটিতে বক্তৃতা দেন।

যন্ত্রপাতি তৈরি ও নিয়ন্ত্রণে অদ্ভুত দক্ষতা ছিল জগদীশচন্দ্রের। বিদেশ থেকে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের যে শিক্ষা তিনি নিয়ে এসেছিলেন তা হাতেকলমে শেখাচ্ছেন প্রেসিডেন্সি কলেজে। প্রফেসর র্যািলের প্রদর্শন-মূলক শিক্ষার প্রয়োগ করে ছাত্রদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন জগদীশচন্দ্র। পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্বের ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখানোর জন্য তিনি অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করেন নিজের হাতে। পরবর্তীতে নিজের মৌলিক গবেষণায় সেসব খুব কাজে লাগে।

প্রেসিডেন্সি কলেজে তখন এডিসনের প্রথম মডেলের একটি ফনোগ্রাফ কেনা হয়েছে। জগদীশচন্দ্র সেই যন্ত্র নিয়ে শব্দ রেকর্ড করার নানারকম পরীক্ষা করতে শুরু করলেন। ব্রাহ্মসমাজে গাওয়া বেশ কিছু গান তিনি একবার রেকর্ড করেন এই ফনোগ্রাফে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গাওয়া গানও নাকি তিনি রেকর্ড করেছিলেন – অথচ তখনো তিনি রবীন্দ্রনাথকে চিনতেন না।

সূত্র:
১। প্রদীপ দেব, জগদীশচন্দ্র বসু: বিশ্বের প্রথম জীবপদার্থবিজ্ঞানী, মীরা প্রকাশন, ঢাকা, ২০১৬।
২। বারিদবরণ ঘোষ, জগদীশচন্দ্র ও অবলা বসু, (ব্যক্ত অব্যক্ত জগদীশচন্দ্র বসু সংকলনে প্রকাশিত), পৃ: ২৪০, অনুষ্টুপ, কলকাতা, ২০১১।