ভয় হয়, যদি যাই বইমেলায়
হয়ে যাবো অভিজিৎ রায়
কার মুখ দেখে উঠেছি সকালবেলায়
মনে পড়ছে না, দেশ মেতেছে জঘন্য হত্যায়
আজকাল প্রত্যেকে সন্দেহবাতিক
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে কুটিল রাজনীতি
বিভীষিকাময় রাত্রি ও দিন ব্যেপে আছে চারদিক।
মূল্যবোধ বলতে কিছু নেই, গোল্লায় গেছে সম্প্রীতি
একজন অভিজিৎ হত্যা মানে
সমূলে ধ্বংস বিশ্বের নাস্তিক?
আমার উত্থান জনপদে, উঠানে
ঘরে-ঘরে পিদ্দিম জ্বালি, বলি, নাস্তিক্যবাদই জীবন, সঠিক।
.
-দাউদ হায়দার
(১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬)
ফারজানা কবির খান স্নিগ্ধা এবং ওমর ফারুক লুক্স’এর সৌজন্যে।
অভিজিত দাদার জন্যেই আজ র্ধম নামের কালো চশমা খুলে, পৃখিবীর রংটা দেখতে পারতেছি,আজ নাস্তিক হতে পেরে নিজে ধন্য মনে করি। মুক্তিযোদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো যেমন জাতির মেধা শূন্য করা, তেমনি মুক্তমনা লেখকদের হত্যা করাটাও নাস্তিকদের মেধা শূন্য করার সামিল।বিচারহোক সেই হত্যা নামক নীলনকশা কারক ইসলামের হিংস জানুয়ারদের যারা র্ধমের পাগল হয়ে চোখে সরষে ফুল দেখে সেই খেতের মালিক হতে চায়। অভিজিত দাদা সহ রাজীব হায়দার,ওয়াশিকুর রহমান, নিলয় নীল, অনন্ত বিজয় দাশ দাদাকে জানাই পরমশ্রব্ধা।আর ধন্যবাদ জানাই মুক্তমনা লেখকদের যারা পরিশ্রম করে পাঠকদের দিচ্ছেন নতুন লেখা উপহার এবং মুক্তমনার সব লেখা বাংলাদেশের সব পত্রিকায় ছাপা হোক।
বাঃ , তোফা,
কবিতা , কলম চলতে থাকুক। এক অভিজিত গেলে আরো আসবেন।
অসাধারন কবিতা, ধর্মের সমালোচনা করলে আসলেই অভিজিৎ রায় হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, কিন্তু ধর্মও যে সমালোচনার ঊর্ধে নয় এই সহজ কথাটি মানুষ বুঝতে চাই না । আসলে তারা নিজেরাই জানে তাদের বিশ্বাসের ভিতটাই দুর্বল, কিন্তু তারা মানতে চাই না।
মন ছোঁয়া ও চেতনা জাগানিয়া কবিতা। ফারজানা কবির খান স্নিগ্ধা , ওমর ফারুক লুক্স এবং কাজী রহমান — তিনজনকেই ধন্যবাদ।
নাস্তিক্যবাদই জীবন, সঠিক – এক সুগভীর উপলব্ধির অভিব্যক্তি ! রহমান ভাই, অনেক
দিন আপনার লেখা পড়ছি না ।সেই পড়েছি সব ঠিক হয়ে যায়? অভিজিত দাদার স্বপ্ন নিয়ে লিখলে ভালো হয় ।
মন্তব্য…অনেক দিন পর কবির কবিতা পড়লাম। তাকে নিয়মিত ব্লগে লেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় কবি দাউদ হায়দারকে কবিতাটির জন্য। মুক্তমনায় তাঁকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি নিয়মিত লিখতে।