লেখকঃ রিয়ানা তৃনা
হিজাব আর বোরখা নিয়ে আমার যথেষ্ট পরিমানে আগ্রহ এবং কৌতূহল আছে। মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর পাচ্ছি না। মেয়ে মানুষ গুলো প্রকৃত কারনে কেন হিজাব পরে আমার জানা নাই। তবে লোকমুখে যা শুনে আসছি তার অর্থ বা ব্যাখ্যা ঠিক এই রকম।
যেমন, হিজাব করা হয় মাথার চুল ঢেকে রাখার জন্য। পর পুরুষ বা বেগানা কোন পুরুষ যেন মাথার চুল দেখতে না পায় তাই হিজাব করে মাথার চুল ঢেকে রাখা হয়। কারন চুল বের হয়ে থাকলে পুরুষ মানুষ এর কাম বাসনার উদয় হতে পারে এবং মেয়েদের দৃশ্যমান কেশবিন্যাসের কারনে শরীরে কাম উত্তেজনা দৃশ্যমান হতে পারে।
এখন আমার প্রশ্ন হল, একজন মানুষ এর সম্পূর্ণ শরীরের কোন অংশটি সবচেয়ে বেশী আকর্ষণীয়? আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন আমি অবশ্যই মুখমণ্ডলের কথা সবার আগে বলবো। কারন মানব শরীরে বা প্রথম দর্শনে সবার নজর মুখমণ্ডলের দিকেই সরাসরি চলে যায়। মুখশ্রী ভাল হলেই তাকে আমরা বলি অনিন্দ্য সুন্দর, মায়াময়, মোহনীয় , সুদর্শন অথবা সুশ্রী। মুখমণ্ডলের পর আসে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অথবা কেশ। তাহলে মুখমণ্ডলের চেয়ে কেশবিন্যাসের আকর্ষণ ক্ষমতা কি সবচেয়ে বেশী?
মুখমণ্ডলটি খোলা রেখে হিজাব করার মানে টা আমার ঠিক বোধগম্য নয়। আসল আকর্ষণীয় অংশটি খোলা রেখে কেশবিন্যাস ঢাকতে হিজাবের ফ্যাশনটা আজকাল বড় বেশী চোখে লাগে। তাহলে মুখমণ্ডল খোলা রেখে পাহাড় সমান উঁচু হিজাবি নারীরা আসলেই কি পুরুষদের লোভনীয় কামাত্ত দৃষ্টি থেকে মুক্ত? আপনি কি বলেন?
আমি বলি, কখনই না। বরং আজকালকার হিজাবি মেয়েদের ফ্যাশন দেখে নিজেই রীতিমত থতমত খাই। ইয়া বড় বড় উটের পিঠের কুঁজোর মতো মাথাটাকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে। মুখ ভর্তি অতিরঞ্জিত মেকআপ দিয়ে রাঙিয়ে রাখে। আবেদনময়ি চোখের সাজে ইয়া লম্বা করে কাজল টানে। ঠোঁটে সলিড রঙের কড়া লিপস্টিক অথবা গ্লসি বোল্ড ঠোঁট নিয়ে ঠাটিয়ে চলে। আর পরনে ফিটিংস লম্বা আলখাল্লা। দেখেলেই মনে হয় আবেদনময়ী নারী তার সাজসজ্জা দিয়ে বোঝাতে চাইছেন তোমরা সকলে আমাকে দেখ। প্রানভরে দেখ। আমি সুন্দর করে সেজেছি তাই দেখ। কিন্তু আমি হিজাব করেছি। হিজাবের সহি সম্মানার্থে আমাকে ভদ্রভাবে দেখ। খারাপ নজরে দেখ না। খারাপ নজর দিও না কারন আমি ইসলামের বিধান অনুযায়ী হিজাব করেছি এবং পুরো শরীর বোরখা (ফিটিংস আলখাল্লা) দিয়ে ঢেকেছি। আমাকে দেখে কাম রসে ভিজে যেও না।
আচ্ছা বলুনতো, বোরখা কেমন হউয়া উচিৎ? আঁটসাঁট নাকি ঢিলেঢালা? যেন শরীরের শেপ বোঝা না যায় সেরকম। তাহলে এই হিজাবি অতিরঞ্জিত মেকআপ দিয়ে রাঙ্গানো মেয়েরা আঁটসাঁট বোরখা কেন পরে? এটা কি শরিয়ত মতো নিয়ম মেনে পরা হচ্ছে? ইসলাম কি বলে? এইরকম করে কি ইসলাম নারীদের চলার অনুমতি দিয়েছে? যদি দিয়ে থাকে অনুরোধ করি রেফারেন্স সহ বইটির নাম জানাবেন।
আর যদি এমন কোন নিয়ম না থেকে থাকে তাহলে আপনারা এই রকম ইসলাম অবমাননাকারি নারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনি বাবস্থা নিচ্ছেন না কেন? কেন তাদেরকে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার জন্য গ্রেফতার করছেন না? নাকি এই জন্য করছেন না যে, তারা আপনাদের চলার পথের আনন্দের খোঁড়াক। রাস্তাঘাটে , কলেজ, ইউনিভারসিটিতে, কর্মক্ষেত্রে ননস্টপ বিনোদন আর যৌন আকাঙ্ক্ষা নিবারনের খোঁড়াক। সাময়িক কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী বিনা মূল্যে লোভনীয় আইটেম গার্ল, যা যখন তখন দেখে তৃপ্ত হয়া যায়। বিকৃত পৈশাচিক আনন্দ পাওয়া যায়।
একটা কথা বলুনতো , যদি ধর্ম পালন করতেই হয় তাহলে তা যথার্থ ভাবে পালন করা উচিৎ কিনা বলুন? আর যদি পালন না করা যায় নিয়মকে এভাবে বিকৃত করে পালন করা কোন ভাবেই উচিৎ নয়। কারন এভাবে মতভেদ সৃষ্টি হয়। ধর্ম হয় প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্বাসে পরে ছেদ। ভিত্তি হয় নড়বড়ে। কি লাভ এই ভণ্ডামি করে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কি লাভ এই বিকৃত ফ্যাশন করে? এর চেয়ে হিজাব আর বোরখা না পরেই মনের মতো পোশাক পড়ুন। যেমন ইচ্ছে পোশাক পড়ুন। আপনার ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়ান। আপনার ইচ্ছেমত সাজুন। মনের মাধুরি মিশিয়ে সাজুন। নিজেকে সুন্দর করে সাজান। কেউ কিছু বলবে না। শুধু মাত্র ধর্মের নামে ভণ্ডামি করবেন না। নিজেদের মান টুকু নষ্ট করবেন না।
আমি নারী জাতিকে কখনও অসম্মান করিনা। ওটা আমার এখতিয়ারে পরে না। আমি জানার জন্য জিজ্ঞেস করি মাত্র। আমরাও ফ্যাশন করি। দেশের বাহিরে থাকার সুবাদে পোশাকের স্বাধীনতা বাংলাদেশের চেয়ে বহু গুন বেশী। সেটাও যেমন দেখেছি আবার এখানে হিজাব/ বোরখা ধারীদের ফ্যাশন এর স্টাইল ও অন্যরকম বা চোখে লাগার মতো। আমি তো আর মধ্যা বয়স্কা নই, ফ্যাশন সম্পর্কে যথেষ্ট ধারনা রাখি/করি।
আমার মোদ্দা কথা হল আপনি যা খুশি পড়ুন যা ইচ্ছা পড়ুন কোন আপত্তি নেই। আপত্তি হল যখন হিজাব/ বোরখা ধারীদের কারো সাথে কথা বলি বা ইসলাম সম্পর্কে এই এরাই যখন অনেক বড় বড় বয়ান দেন বা তাদের বাবা মাকে উগ্র পন্থি হতে শুনি/দেখি সেখানেই সমস্যা।
শাফিয়া আন নুর
নামটি তো বেশ ইসলামিকই মনে হচ্ছে, কিন্তু আর যাই হোক ইসলামের নামে নাস্তিকতা খুব ভালোই করছেন,।
এগুলো করার আগে ইসলামিক নামটা বদলে নিয়েন,
এই কথাগুলো আপনার ব্যক্তিত্বের স্বার্থেই বলছি।
আপনার ইসলামের বিধিনিষেধ মানতে মনে চায়না,হতে পারেন আপনি নাস্তিক, আপনার বাকস্বাধীনতা আছে,। কিন্তু যে মুসলিম, সেওতো একজন মানুষ তার ও তো একটা স্বাধীনতা বলতে কিছু আছে, সে যদি ইসলাম মানতে চায়,তাহলে তাতে আপনার সমস্যা কোথায়, ? আপনি তার স্বাধীনতায় উস্কানী দেবার কে?মানুস্ব আদর্শ তো আপনাকে এই অনুমতি দেয়না।
মেয়েদের হিজাব মানে শুধু মাথা ঢাকা না। মুখের সামনে নাক পর্যন্ত ঢাকতে বলা হয়েছে। আর বাহিরে বেশি সেজে বের হতে বলে নাই।
আপনি যেসব বললেন কোথায় লেখা আছে এমন সব কথা, কোরানে নাকি হাদিসে? তথ্যসূত্র দেন তো একটু প্লিজ।
প্রথমেই বলছি লেখাটা ভাল লাগেনি। উপরে উদ্ধৃত অংশের মধ্য দিয়ে লেখক কি শরিয়ত সম্মত উপায়ে বোরখা পরার দাবী জানাচ্ছেন ? কেউ যদি লেখকের ভাষায় শরিয়ত সম্মত উপায়ে বোরখা না পরে তবে ৫৭ ধারায় তার শাস্তি দাবী করা খুবই হাস্যকর। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি একজন নারী কি পোশাক পড়বে সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি চাইলে তার সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে পারেন আবার চাইলে তার শরীরের কিছু অংশ অনাবৃত রাখতে পারেন ( এটা নির্ভর করে তিনি কোন সংস্কৃতিতে বসবাস করছেন তার উপর) । টাইট বা ফ্যাশনবল বোরখা না ঢিলেঢালা বোরখা এটা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাও সম্পূর্ণ রুপে তার। আমি কিংবা আপনি কেউই এনিয়ে কোন কথা বলার অধিকার রাখি না। আমার আপত্তি আসবে তখন যখন তাকে ধর্মের নামে বোরখা পরতে বাধ্য করা হয় অর্থাৎ পোশাক নির্বাচনে সে যখন তার নিজের নিজের স্বাধীনতার প্রকাশ ঘটাতে পারে না তখন। সাধারনত অধিকাংশ মেয়ের বোরখা জীবন শুরু হয় ক্লাস সেভেন, এইট থেকে। এই বয়সী অধিকাংশ মেয়ের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ থাকে না, তাদের মতকে গুরুত্ব না দিয়ে তাদের উপর বোরখা চাপিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে এরা যখন উচ্চ শিক্ষিত হয় তখনও বোরখা ছাড়তে পারে না কারণ ততদিনে ধর্মের ভাইরাস আর পুরুষ নির্ধারিত নারীর মানদণ্ড তাদের মস্তিষ্কে শক্ত ভাবে বাসা বেঁধে ফেলে।
উপরে মন্তব্যকারীদের একজন বোরখা পরিহিতাদের শ্রেনীবিভাগ করেছেন। তার সঙ্গে একমত। কালচার কোন ষ্ট্যাটিক বিষয় না , প্রতিনিয়ত এটার পরিবর্তন ঘটে । এক শ্রেনীর বোরখাধারী প্রতিনিয়ত সংঘটিত হওয়া এই কালাচারাল চেইঞ্জকে অগ্রাহ্য করে ধর্মকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চান। প্রচলিত আধুনিক সংস্কৃতির চেয়ে মধ্যযুগীয় আরব সংস্কৃতিই তাদের কাছে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠে। বাঙ্গালী পরিচয়ের চেয়েও তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় মুসলমান পরিচয়। আবার এক শ্রেনীর ধার্মিকেরা ধর্ম পালনের প্রক্রিয়াকেই প্রতিনিয়ত চেইঞ্জ হওয়া এই কালচারের সঙ্গে মানানসই করে তোলেন। টাইট জিন্সের সাথে হিজাব সেটারই একটা প্রতীকী রুপ বলতে পারেন। হাই প্রোফাইল শপিং মল গুলোতে আজকাল হিজাবী মা আর তার জিন্স টপ পড়া আল্টা মর্ডান মেয়েকে একসাথে শপিং করতে দেখা যায়। আমি তো গত পহেলা ফাল্গুনে ঢাকার রাস্তায় বাসন্তী হিজাবেরও প্রচলন দেখেছি। এটাই হছে কালচার আর রিলিজিওনের এক ধরনের কোঅর্ডিনেশন। ধর্মের বিনাশ যেহেতু রাতারাতি সম্ভব নয় , কালচার আর রিলিজিওনের এই কোঅর্ডিনেশনটা তাই বর্তমানে সমাজের জন্যই দরকারী।
হিজাব নিয়ে বিতর্কের কোন কারণ দেখিনা ।দেশে প্রচলিত আইন মেনে চল্লেই আর কোন সমস্যা থাকেনা।
এই পোষ্টখানা হিজাব নিয়ে। দেশের এখানে দেশের আইন ফাইন টানছেন কেন? হিজাব তো আইনি কিছু নয় ! গঠনমূলক কোন আলোচনা করতে চাইলে আপনার কথা পরিস্কার করে বলুন।
সৌরভ, প্রথমত আমার এই লেখাটি আইন ভিত্তিক হয়। দ্বিতীয়ত, হিজাব / বোরখা নিয়ে আপনি কেন বিতর্কের কারন দেখেন না , একটু বিস্তারিত ভাবে বলুন। তৃতীয়ত, হিজাব/ বোরখা নিয়ে দেশে প্রচলিত কোন আইন আছে কি? আমার জানা মতে নেই। তাহলে কেন অযথা আইন মেনে চলার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কেন? ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলুন।
লেখককে ধন্যবাদ পোস্টটি করার জন্য। কে কি ধর্ম পালন করলো, কি করলো না, তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই, বরং তাকে তার ধর্ম মেনে চলার জন্য যথেষ্ট সাধুবাদ জানাই, ঠিক সে রকমই আমিও আশা করি, আমাকেও আমার মতো করে, আমার মতাদর্শে চলতে দেওয়া হোক।
একজন নারী হিজাব করবেন কি করবেন না, তা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু তখনই খারাপ লাগে যখন দেখি হিজাবকে একটা ফ্যাশন-এর পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে হিজাব করেন, কেউ কেউ এত আঁটোসাটো বোরখা পরেন যে, দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গের আকার ফুটে উঠে। বলাবাহুল্য, এর দ্বারা বোরকার উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। কিন্তু ওঁরাই আবার বিভিন্ন সভা, সেমিনারে ধর্মের নামে নানান বুলি আওড়ান। বোরখা পরিধানে অন্যদের উৎসাহিত করে থাকেন।
কোন এক ইসলামী লেখায় পড়েছিলাম, “যারা এত মিহি কাপড় পরে যে, শরীর দেখা যায় কিংবা সংক্ষিপ্ত পোষাক পরিধান করে, যা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আবৃত করে না তারাই হচ্ছে ‘পোষাক পরিহিতা নগ্ন নারী।”
তো, এই ধরনের পোশাক আর এই মডার্ন যুগের বোরখাধারীদের মধ্যে অন্তত আমি কোন পার্থক্য দেখতে পাইনা। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অবজারভেশন, কোন নারীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নয়।
হিজাবে দেশ ছেয়ে গেছে দেশ। স্বাধীনতার পর আমাদের পোশাকে আশাকে অনেক পরিবর্তনই এসেছে। পুরুষ মহিলা উভয় ক্ষেত্রেই। পুরষদের পোশাক নিয়ে খুব উচ্চবাচ্য করেন না কেউ, সেখানেও বলার কিছু আছে যদিও।
আশির দশকের আগে, বিবাহিত মহিলারা ক্বদাচিত সেলোয়ার কামিজ পরতেন। প্রথম যখন দেখলাম, কেমন অস্বাভাবিক লাগতো। দশ বছরের মধ্যেই অভ্যস্ত হয়ে গেলাম বলা যায়। শাড়ীর বদলে সেলওয়ার কামিজের অনেক যুক্তি ছিল। রাস্তাঘাটে কাজে কর্মে অনেক বাস্তব সম্মত। আমার এক নিকটাত্মীয়া সবসময় শাড়ী পরতে পছন্দ করলেও বিমানে উঠার সময় সেলোয়ার কামিজ পরতেন (আগে লম্বা সিড়ি দিয়ে বিমানে উঠতে হত, দুহাতে ব্যাগ ধরে টারমাকের বাতেসে শাড়ী সামলানো আসলেই সমস্যা ছিল)। আস্তে আস্তে অনেক মা খালাও সালওয়ার কামিজ ধরলেন। এতে শাড়ীর মর্যাদা যে খুব ক্ষুন্ন হল তা বলা যাবে না, বরঞ্চ শাড়ী আরো বিশেষত্ব পেল, যা দৈনন্দিন ব্যবহারের পোশাকের চেয়ে বিশেষ উপলক্ষের জন্য অনন্যা হয়ে উঠলো।
এরপর এল হিজাব (নব্বইয়ের দশকের পর, কিম্বা ২০০০ সনের পর!)। এবারের যুক্তি, ইসলামের বিধান। ইসলামের বিধান মতে নারী অঙ্গের কোন কোন অংশ জনসন্মুখে প্রদর্শন অমার্জনীয় অপরাধ, তা মোটামুটি সবারই জানা আছে। আমাদের মাতা মাতামহীদের আমলে তারা শাড়ী দিয়েই তা সামাল দিয়েছেন, নিঁখুত ভাবে, এবং সুচারু ভাবে। তাঁদের সেই প্রয়াসে তাঁদের অবগুন্ঠনের সাথে ছিল তাঁদের অন্তরের সৎ সূচিতার মিশ্রণ, ভন্ডামী বা উকিল-যুক্তি ছিল অনুপস্থিত। রক্ষণশীল, মধ্যমপন্থী সবাই ছিল সন্তুষ্ট, নিদেন পক্ষে আপত্তির কিছু দেখেনি। কিন্তু এই হিজাব এনেছে নানা প্রশ্ন?
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হলো, এটা কি ধর্মের নামে অনাবশ্যক আরবী সংস্কৃতির আগ্রাসণ নয়। বস্তুত কিছু মানুষ আরবী সষ্কৃতি আমদানিতে এক ধরণের তৃপ্তি পান, সেটা ধর্মের সাথে সম্পর্ক থাক আর না থাক। বারবি পুতুলের মত সেজে হিজাবী চুড়া বাঁধেন, সেটা যে ইসলামী নয় সেটা জানলেও, যেহেতু আরবী জিনিষ, ইনারা সস্নেহে অনুমোদন দেন। এই উগ্র আধুনিকা হিজাবীদের ব্যাক্তিগত জীবনে, এবং ইনাদের ভ্রাতা, বা স্বামীগণ সবাই আদৌ ইসলামী জীবণধারায় বিশ্বাসী কি না, প্রচুর সন্দেহ রয়েছে। এই ফ্যাসন-উন্মাদ নারীদের আমার আত্মজাতবিস্মৃত একধরনের ক্ষুদ্র মানের জীব বলে মনে হয়।
আরেকদল নারী দেখা যায়, প্রকৃত পক্ষেই তাহারা ইসলামের অনুশাসন জ্ঞানে আল্লহর ভয়েই হিজাব পরেন। ইনারা রূপচর্চা এবং প্রদর্শন উভয় ক্ষেত্রেই সংযত। বস্তুত ইনারাও নিজস্ব জাত এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে বিভ্রান্ত। মুসলমান না বাঙ্গালী, কোনটা কি তফাত করতে পারেন না, আগ্রহীও নন। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী হলেও জ্ঞান বিজ্ঞানের মননে ইস্তফা দিয়ে বসে আছেন। ধর্ম ভয় ইনাদের এসব নিয়ে ভাবতেও বিরত রাখে। এদের সহধর্মীরা প্রায়শঃই ইংরেজী কেতায় ভূষিত থাকেন, ধর্মাচরণে মধ্যম পন্থী ।
শেষোক্ত দলে আছেন চরমপন্থীরা। বাঙ্গলার কোন কিছুই তাদের সহ্য হয় না। সব কিছুতেই হিন্দুয়ানি দেখেন। আরবী, নয় পাকিস্তানী হলে স্বস্তি পান। ধর্মই সবকিছু, এবং মুসলমানদের জাতি শুধু মুসলমান। সমস্ত পৃথিবীকে মুসলান বানানোর স্বপ্ন দেখেন, এবং তাদের প্রতিটি কাজে কর্মে সেই চিন্তার প্রতিফলন ঘটান। বলা বাহুল্য যে ইনারা শুধু নিজেরাই হিজাব ধরেন নি, অন্যদের হিজাবি বানানোর জন্যও সচেষ্ট। ইনাদের সহধর্মীরাও খুবই সক্রিয় ধার্মিক। ইনারা ধর্ম পালনই নয় শুধু, তা প্রচার এবং প্রয়োগে ভীষণ তৎপর এবং আপোষহীন।
ফ্যাশন আসে ফ্যাশন যায়। এ নিয়ে অল্পবিস্তর চাঞ্চল্য হয় সমাজে, কেঊ উদ্বিগ্ন হয় না। হিজাব নিয়ে উদ্বেগের কারন হচ্ছে, এটা কোন ফ্যাশন হাঊসের বানিজ্যিক প্রয়াস নয়, এটা মৌলবাদের একটা অংশ, যা আজ সারা বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে। এটার পেছনে সেই বিশেষ ধার্মিকরা আছেন, যাদেরকে খুশী করা আল্লহকে খুশী করার চাইতে অনেক অনেক কঠিন!
আপনাকে ধন্যবাদ
“আত্মজাতবিস্মৃত একধরনের ক্ষুদ্র মানের জীব আত্মজাতবিস্মৃত একধরনের ক্ষুদ্র মানের জীব”- ভালো বলেছেন। আরবিয় সংস্কৃতির এদেশিয় এজেন্টদের সম্পর্কে এটাই মূল কথা।
শাফিয়া, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেক ভাল লিখেছেন। আমার লেখায় নতুন এক মাত্রা যোগ করেছেন। হিজাব আর বোরখা আজকাল চোখে মুখে বিরক্তির রেশ টেনে আনে। চোখের সামনে পরিচিতদের অস্বাভাবিক ভাবে বদলে যেতে দেখে নিদারুন মনকষ্টে ভুগি প্রায়ই। হাশিখুশি মুখগুলোকে ইচ্ছাকৃত/ অনিচ্ছাকৃত ভাবে অপরের ইচ্ছা আর পরিবারের ভণ্ড গোঁড়ামি রীতিনীতির সামনে হেরে যেতে দেখি। এসকল মানুষের ভণ্ডামির শেষ হোক এটাই কাম্য। মৌলবাদের বিনাশ হোক। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এটাই কাম্য। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি। ভাল থাকবেন।
একদম সঠিক জবাব দিয়েছেন , আমার মনে হয় এগুলো নারীজাতিকে পিছিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট । মানুষ আগে না ধর্ম আগে এটাই বোধহয় মানুষ ভুলতে বসেছে ।
লেখাটি পড়ে বুঝলাম না লেখক কি মুখ ঢেকে ঢিলাঢালা বোরখা বা হিজাব পরাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছেন কি না !
কিউরিয়াস মাইন্ড ননকিউরিয়াস হয়ে গেছে। ঘটনাটা বুঝলাম না 🙁
গীতা দাস, আমি কখনই বোরখা বা হিজাব পড়াকে পরোক্ষ ভাবে সমর্থন করি নি।ধর্মকে ব্যাবহার করে ধর্ম রক্ষার নামে ভাল সাজার ঢাল হিসেবে, ধর্ম নিয়ে তামাশা /ব্যাবসা করা কেই বুঝিয়েছি। মানুষ মুক্তচিন্তা করুক। মুক্ত মনের হোক। সত্য সামনে আসুক। ভণ্ডামির বিনাশ হোক। এটাই চাই।
কাজী রহমানদার সাথে সম্পূর্ণ একমত। ধর্মে বিশ্বাসী নারীগণ নিজেদেরকে অপরের কামনার বস্তু ভেবে যদি নিজেরাই নিজেদেরকে পরিপূর্ণ মানুষ না ভাবতে পারেন, সেখানে তাদের বোধোদয় ঘটানো খুব কঠিন বৈকি!
উপরন্তু শুধু মাথার চুল ঢেকে শরীরের বাকী সবকিছু উৎকটভাবে প্রদর্শন করা ত ভন্ডামিরই নামান্তর, যা বর্তমানে হিজাবী নারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান।
ভন্ডামির কি আর এক দুইটা নমুনা; অনেক অনেক আছে। নারী যদি ধর্ম নির্দেশে হিজাব নেকাব মানে, তা’হলে ধর্মের অন্য নির্দেশ না মানাও প্রবল ভন্ডামি। আর ধর্মের এটা মানবে সেটা মানবে না; ধর্ম বলে ‘তা হবে না, তা হবে না’ 🙂 । সুতরাং সবটাই ভন্ডামি। মোদ্দা কথা হোল, এরা মজার খেলাচ্ছলে লালা শফির পা’জামায় ফিতায় ঝুলে পড়ছে। আসল মজা টের পাবে যখন তেতুল শফি’দের মার শুরু হবে। তখন অনেক দেরী হয়ে যাবে।
কাজী রহমান, আপনার কি মনে হচ্ছে না যে আজকার হিজাব আর বোরখা ধারিদের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে? ২০১০ এর পর থেকেই এর চলন বেড়ে গেছে। তেতুল শফিদের মতো লোকেরা বহু আগে থেকেই দেশকে শরিয়া আইন দ্বারা চালনার নিল নকশা করে যাচ্ছে। আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ছি কিন্তু বুকে পিঠে মাথায় কাগজে কলমে সাম্প্রদায়িকতাকে আকড়ে ধরছি।
🙂 তো আপনার কেন মনে হলো যে আমার মনে হচ্ছে আজকাল হিজাব আর বোরখাধারীদের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যায়নি?
আমি আপনার মন্তব্যের রেশ ধরে করেছি। আপনিও ঠিক সেটাই করেছেন। মতামত জানতে চাইলাম মাত্র। 🙂
হিজাব আর বোরখাধারীদের সংখ্যা নিয়ে আমি কিছু বলিনি। আপনি বলেছেন। আপনার মতামত আপনারই যেন থাকে সেজন্যই উদ্ধৃতি দিয়ে তার উত্তর দেওয়া হয়েছে।
আপনার কথা অন্যের মুখে ঠুসে দেওয়াটা কি ঠিক?
আপনি লেখাটি শুরুই করেছেন লোকমুখে যা শুনে এসেছেন সেসবের কিছু অর্থ তৈরী করে আবার সেই সবেরই ব্যাক্ষ্যা করবার অভিপ্রায়ে। মানে শোনা কথা নিয়ে আরো কথা শোনাতে, তাই না? আপনার ওই রকম ব্যপারের পরও লেখাটি এখানে দেখছি। এ ধরনের লেখা তো এখানে দেখা যায় না। তবু ধরে নিচ্ছি কোন কারণে আপনাকে লিখতে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। একই কারণে হয়তো অন্যান্য সহৃদয় মন্তব্যকারী যারা, তারাও আপনাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। আশা করছি লিখবার বা মন্তব্য করবার আগে আপনি ভেবেচিন্তে দ্বায়িত্ব নিয়ে লিখবেন। শুভ ইচ্ছে আর মুক্তমন নিয়ে যারা লেখেন তাদেরকে তো এখানে সবসময়েই ভালো অবস্থানে দেখেছি।
🙂 আমি আপনার আগের করা মন্তব্য গুলো দেখে এবং এর রেশ ধরেই এই পার্টিকুলার বিষয়ে বর্তমানের দেশের অবস্থার প্রেক্ষাপট থেকেই শুধু মতামত জানার জন্যই জিজ্ঞেস করেছিলাম এর বেশি কিছু নয়। হয়তবা কমেন্ট করার সময় এমন কোন এক চিন্তা এসেছিল। হয়তবা ব্যাপারটি আপনার ভাল লাগে নি।সবার সবকিছু ভাল নাও লাগতে পারে। সেটা ঠিক আছে, সমস্যা নেই। 🙂 কিন্তু আমার মনের ভাবনা অন্যের মুখ থেকে শোনার অভিপ্রায় নিয়ে আমি এরকম কিছু বলিনি আপনাকে। আপনি যদি এমন ভেবে থাকেন তাহলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
লেখাটি নিয়ে কিছু ব্যাপার আপনাকে একটু পরিষ্কার করে বলা দরকার। আমি কারো মুখ থেকে কিছু শুনে সেটা ধরে নিয়ে এই লেখাটি লিখিনি।
ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলছি,
অনেক বোরখা এবং হিজাবধারী নারী দেরকে অনেক বিকৃত ভাবে চলতে দেখেছি। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সময়ে আমি, ধর্মীয় কনফারেন্স গুলোতে ঢালাও ভাবে বিকৃত মনোভাব সম্পর্কিত আলোচনাও শুনেছি। আবার তারাই যখন ভিতরে ভাব- গম্ভীর বক্তব্য দিয়ে বের হয়ে এসেই মাইক্রো মিনি পড়ে ক্লাবিং বা নাইট আউট এ চলে যায়, ওখানেই বুঝতে অসুবিধা হয় কোনটা সঠিক আর কোনটা সঠিক নয়। এ নিয়ে আমি বিতর্কে যাব না আপনার সঙ্গে। মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না যখন এরাই নাস্তিক/ অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন বা অন্য মানুষদের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন।
আমি প্রবাসী, যে দেশে আছি, এখানে পোশাকের যেমন অনেক বেশি স্বাধীনতা তেমনি এই দেশের ইসলামী সম্প্রদায়ের বিশাল একটা ভাগ কিন্তু ধর্ম/পোশাকের ব্যাপারে অনেক বেশি কট্টরপন্থী/ মৌলবাদী ধারনা পোষণ করেন। পরিচিত এদের মধ্যে অনেক পরিবারের সদস্যদের কে দেখা যায় এরকম হিজাবধারী যারা সভা সেমিনারে কট্টর বক্তব্য রাখেন কিন্তু আবার এরাই যখন অশালীন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন যা সহজ ভাবে একটা সাধারণ মানুষ কে যথেষ্ট পরিমানে বিভ্রান্ত করে। কিন্তু যারা আবার শ্বেতবর্ণের নাগরিক আছেন পরিচিত বন্ধু বর্গ তাদের কাছে যেমন আমার এই কিউরিয়াস মাইন্ড এর মত প্রশ্ন গুলো উঠে আসে বা আমাকে জিজ্ঞেস করে তখন চুপ করে থাকা ছাড়া/ ফ্যাশন বলে এড়িয়ে যাওয়া/ জানিনা বলতে হয়। আমরা না হয় বাঙ্গালী মানুষ যা বুঝাবেন তাই বুঝব কিন্তু সবাইকে তো আর বাঙ্গালী ভেবে বোঝানো যায় না।
এরকম অবস্থায় আমার মনে জাগা সংশয় ও প্রশ্ন গুলো কে আমি, আপনার মনে করা, লোকমুখে শোনা কথা এবং সেসবের কিছু অর্থ তৈরী করে আবার সেই সবেরই ব্যাক্ষ্যা করবার অভিপ্রায় আরও কথা শোনাতে চাইছি না।
আমি আগেই বলেছিলাম সবার সব কিছু ভাল নাও লাগতে পারে। দেখুন, আমি গঠন মুলক সমালোচনায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। গঠনমুলক সমালোচনা সানন্দে গ্রহন করব। কোন মানুষই নিখুঁত হয় না। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। মুক্তমনা পরিবার যদি মনে করে লেখাটা আপত্তিকর অথবা মান সম্পন্ন নয় তাহলে তারা এ বিষয়ে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন। এতে আমার কোন আপত্তি নেই। 🙂
আপনাকে আর একটা বিষয়ে বলতে চাই। প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা। তাদের সবার একটা আলাদা সত্ত্বা থাকে। 🙂 হয়ত আপনি, শুভ ইচ্ছে আর মুক্তমন নিয়ে যারা লেখেন তাদেরকে এখানে সবসময়েই ভালো অবস্থানে দেখে থাকতে পারেন অথবা তারা আপনার চেনা মানুষগুলোর কেউ হবেন। কিন্তু যারা অচেনা! তারাও তো অন্যরকম হতে পারে! 🙂
প্রত্যাশা করবো, অচেনা মানুষগুলকে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান বিচার করবেন না। ভাল থাকবেন। আপনার এবং আপনার ভাল লেখার প্রতি শুভকামনা রইল। 🙂
কোন অসুবিধে নেই। লিখতে থাকুন, মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য দিন এবং নিরাপদে থাকুন।
ধন্যবাদ , খুব উপকার করেছেন এই ব্যাপারটি সামনে এনে। হিজাব , বোরখা কোনো পোষাক নয় , এক বাজে বোঝা বা অভিশাপ মাত্র।
৬০ ৭০ এর দশকের কাবুল , আফগানিস্থানের মেয়েরা (যখন এই দেশগুলি উন্নত হচ্ছিল) তখন রিতিমত আধুনিক পোশাকে চলাফেরা করত, ইউনিভারসিটি জেট, গবেষণা করত (নারী পুরুষ এক সাথে)। লিঙ্কঃ–
http://dangerousminds.net/comments/it_didnt_always_suck_to_be_a_woman_in_afghanistan
আর আজকের এই তালিবান এবং তার পরের জুগের টা সবাই জানেন। এই বিষয় টি আনার জন্য ধন্যবাদ। আরেকটা অনুরোধ
মেয়েদের পোশাক বিধির বাজে নিয়মের বিরুদ্ধে কিছু লিখুন, যেমন বিয়ে হয়ে গেলে একটি মেয়ে আর western outfits পরতে পারে না ইত্যাদি।
ইন্দ্রনীল, ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ বোরখা হিজাব কে আজকাল পর্দা করা না বলে ফ্যাশন বলা যায়। আর আপনার করা অনুরোধটা মাথায় রইল। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ের পরে মেয়েরা নিজের সত্ত্বাকেই হারিয়ে ফেলে, অন্যকে খুশি করতে নিজেকেই বদলে ফেলে। এই বিষয় নিয়ে অবশ্যই লিখবো। ভাল থাকবেন।
দেরিতে হলেও রিপ্লাই পেয়েছি , তাই ধন্যবাদ
আন্তরিক দুঃখিত, এখন থেকে চেষ্টা করবো যেন আর দেরি না হয়। 🙂
বোরখা জিনিসটাই তো দরকার নেই। একান্তই যদি দরকার হয় তবে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মন যাদের বিকৃত; ঢিলেঢালা, তারা তাদের মনকে বরং বোরখা পরাক।
ওই ধর্মে মেয়েরা নিত্য ব্যবহার্য্য সামগ্রী; ঘোড়া, বাড়িঘরের মত। ওতে মেয়েদের সম্মান দেওয়া হয়নি। ওই মেয়েরা নিজেরাই যদি প্রতিরোধ প্রতিবাদের বদলে ধর্মের লেবাসে কোন বিকৃতি গ্রহন করে, চর্চা করে, নিজকে মানুষ পর্যায় থেকে ঘোড়া টোড়ার মত নামিয়ে এনে পুলকিত হয় তো কি বলবেন? নিজেকে যিনি সম্মান করেন না তাকে আত্মসম্মান সচেতন করে তোলা কষ্টকর কাজ। আপনি এমন কষ্টকর কাজে অংশ নিয়েছেন; লিখেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে ধর্ম আর হিজাব বোরখা নিয়ে এত বারাবারি রকমের তামাশা দেখতে হয় সেই আক্ষেপ থেকেই এই লেখার উৎপত্তি। হিজাব আর বোরখা যে আজকাল ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে সেটাই তারা মানতে নারাজ।