বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান জানা মানুষ অনেকেই আছেন। লেখায় দক্ষ আছেন অসংখ্য মানুষ। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের সংখ্যা কম হলেও বিরল নয়। কিন্তু একইসাথে লেখায় দক্ষ, বিজ্ঞান জানা আর বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ খুবই বিরল। অভিজিৎ রায় ছিলেন এই তিন উপাদানের এক আশ্চর্য সমন্বয়। নিজস্ব লেখার পাশাপাশি, অভিজিৎ রায় ছিলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও পাঠকদের মুক্তচিন্তা প্রকাশের অন্যতম সংগঠক। নিজে যেমন লিখেছেন, তেমনি পাঠকদের মাঝেও ঘটিয়েছেন মুক্তচিন্তার সূচনা, লেখকদের দিয়েছেন অনুপ্রেরণা আর পথনির্দেশনা…
জানা অজানা অসংখ্য মানুষের সাথে যেমন ছিল তার যোগাযোগ, তেমনি তার সম্পর্কে রয়েছে অসংখ্য মানুষের স্মৃতি, বিশ্লেষণ কিংবা পর্যালোচনা। তার সম্পর্কে কারো অভিজ্ঞতা সরাসরি, কারো অভিজ্ঞতা লেখার মাধ্যমে আর কারো অভিজ্ঞতা বিতর্কে-বিশ্লেষণে-পঠনে…
তাই ২৬ শে ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ দিবসে আমাদের উদাত্ত আহ্বান- লিখুন: অভিজিৎ রায়ের বই, তার কাজ, তার স্মৃতি নিয়ে। লিখুন ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ নিয়ে; যেদিন ধর্মান্ধদের চাপাতির নীচে মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলাদেশের আলোকিত সন্তান ড. অভিজিৎ রায়…
যারা মুক্তমনায় নিবন্ধন করেন নি, তারা লেখা পাঠান [email protected] এই ঠিকানায়।
অভিজিৎ দিবসে দেশে বিদেশে আয়োজন
অভিজিৎ রায়ের স্মরণে মুক্তমনা ও শুদ্ধস্বরের হেগ, নেদারল্যান্ডসে বইমেলা এবং আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন
রাকিবুল হাসানের- আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে আলোর মুখ দেখতে চলেছে রাকিবুল হাসানের ‘আলো হাতে আঁধারের যাত্রী’ চলচ্চিত্র।
শাহবাগে গণ-জাগরণ মঞ্চের অভিজিৎ রায় স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও আলোর মিছিল
কর্মসূচী:
অভিজিৎ রায়ের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
দুপুর ২:৩০ মিনিট
অভিজিৎ চত্বর, টিএসসি।
“মুক্তচিন্তায় আঘাত, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ; আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা
বিকাল ৪:০০ টা
প্রজন্ম চত্বর, শাহবাগ।
সন্ধ্যায় প্রজন্ম চত্বর থেকে অভিজিৎ চত্বর অভিমুখে আলোর মিছিল ও অভিজিৎ রায় স্মরণে আলোক প্রজ্বলন।
টরোন্টোতে অভিজিৎ রায় দিবস উপলক্ষে নিহত বাংলাদেশি লেখক, ব্লগার, প্রকাশকদের স্মরণ এবং আলোচনা সভা
মুক্তমনা ও সেন্টার ফর ইনকোয়ারি, কানাডার উদ্যোগে ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ তারিখে টরোন্টোতে অভিজিৎ রায় দিবস উপলক্ষে অভিজিৎ রায় সহ মৌলবাদী জঙ্গিদের হাতে নিহত ব্লগার, লেখক, প্রকাশকদের শ্রদ্ধায় আয়োজন করা হয়েছে আলোকিত বিশ্ব গঠনে বিজ্ঞান, যুক্তি ও মানবতার গুরুত্ব নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি মুক্তমনা বাংলা ও ইংরেজি ব্লগে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য এখানে এবং ফেসবুক ইভেন্ট পেইজে চোখ রাখুন।
কথাটি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ৷আমি তখন এপলো হসপিটেলে চিকিৎসাদিন ছিলাম ৷বই মেলা থেকে সদ্যপ্রকাশিত অবিশ্বাসের দর্শন বইটি সংগ্রহ করে পড়া কালিন সময়ে বইটা দুই সিটের মধ্যের টেবিলে রেখেছি মাত্র ৷ দেখলাম পাশের সিটের রোগী বইটি কিছুক্ষণ নাড়াছাড়া করেনিচে ফেলেদিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন ৷ আমি মনে করলাম অসাবধানতার জন্য হয়ত বইটি নীচে পড়ে গেছে ৷ আমি বইটি তুলে বাকি অংশটা পড়তে আরম্ভ করলাম ৷ ঐদিনই ঐ রোগী এই রুমটি পরিবর্তন করেন এবং রুমের সবাইকে বলে যান যে , এই রকম বই যে রুমে থাকবে সে রুমে নাকি ফেরেশতাহ প্রবেশ করবে না ইত্যাদি…..ব্যাপারটি আমি অভিজিৎ দা কে একটি ইমেল করে জানিয়েছিলাম ৷ কয়েকদিন পরে ইমেলের উত্তর আসে দুঃখ প্রকাশ করে উত্তরটা দেরীতে পাঠানোর জন্য ৷ কারণ তিনি বন্যাদি সহ নাকি বাহিরে হলিডেতে ছিলেন ৷ তাই বার বার এরজন্য তার মেইলে দেরির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলন ৷ অভিজিৎদা এই রকম একজন ভাল মানুষও ছিলেন ৷ বাংলাদেশের মানুষের মানুষিকতা ৫ বছর আগেই যে রকম ছিল তার কোনো পরিবর্তন তো হচ্ছেই না ৷দিন দিন আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছে ৷ অভিজিৎ দা ব্যক্তি হিসেবে যে কত ভালো মানুষ ছিলেন তা বুঝাতেই এই লেখাটা লেখা হলো ৷ ধন্যবাদ ৷
তাঁর কাজ প্রেরণা হয়ে থাকবে। প্রতি প্রজন্মের মানুষ নিজেদের প্রয়োজনেই খুঁজে নেবেন তাঁকে।
অন্ধকার বাংলার ঘরে ঘরে, এমন কি যারা অভিদাকে খুন করেছে তাদের ঘরেও জন্ম নিক অভিজিৎ রায়, আলো হয়ে, আলোর দিশারী হয়ে।
অভিজিৎ চেতনার ম্রত্যূ নেই।
জানি না আমার এই মন্তব্য প্রাসংগিক হবে কি না। অভিজিতদা হত্যার পর বিভিন্ন কারনে যাদের ব্যান করা হয়েছিল তাদের আইডিগুলো খুলে দেয়া হোক। তারাও যেন স্মৃতিচারন করে লেখে সে অনুরোধ জানানো হোক। কেউ যেন কষ্ট নিয়ে এই প্ল্যাটফরম ছেড়ে না যায়।
সবাই ফিরে আসুক এই কামনা করি।
অভিজিৎ রা হারলে শুধু বাংলাদেশ নয় , হারবে মানবতা।
ভাল লাগল , খুব ভাল লাগল। :good:
আমরা অভিজিৎ দা হতে পারবো না, কিন্তু সবাই মিলে চেষ্টা করলে হয়তো হতে পারবো অভিজিৎ দা। বাঁচিয়ে রাখি আমাদের চিন্তায়,মননে,সৃষ্টিশীলতা এবং কর্মে।