মারিয়া আল-কিবতিয়া ছিলেন একজন মিশরীয় কপ্টিক খ্রিস্টান দাসী, যাকে মুহাম্মাদের নিকট বাইজান্টাইন সাম্রাজ্জের অধিনস্ত সম্রাট মুকাউইস উপহার হিসাবে প্রদান করেন। মারিয়ার গর্ভে ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মাদ নামে মুহাম্মাদ একটি সন্তানের জন্ম দেন, যে কিনা শিশুকালেই মারা যায়। ইব্রাহিমকে জন্ম দেয়ার পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পাঁচ বছর তিনি দাসত্ব থেকে মুক্ত ছিলেন। ইবনে কায়িম আল-যাওজিয়া সহ আরও বহু সূত্র দাবি করে যে, তিনি মুহাম্মাদের একজন উপপত্নী ছিলেন, অর্থাৎ তিনি মুহাম্মাদের কৃতদাসী ছিলেন, কিন্তু স্ত্রী নয়। এর কারণ ইসলামী আইন মুসলিম পুরুষদেরকে দেনমোহর প্রদানকৃত বিবাহিত নিজ স্ত্রী এবং নিজ অধিকৃত দাসীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক করার অনুমতি দেয়ায় তিনি দাসী হয়েও মুহাম্মাদ এর স্ত্রীগণের পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্য ছিলেন। ইবনে ইসহাক রচিত মুহাম্মাদ এর জীবনী হতে সম্পাদিত ইবনে হিশামের সংকলনে তাকে মুহাম্মাদ স্ত্রীগণের তালিকায় উল্লেখ করা হয় নি।
অন্যদিকে, মুকাউইস সম্পর্কে জানা যায় তিনি ছিলেন তৎকালীন বাইযান্টাইন সাম্রাজ্যের অধীন মিশরের একজন শাসনকর্তা। ইবনে ইসহাক এবং অন্যান্য ইসলামী স্কলারদের মতে, ৬২৮-৬২৯ খ্রীস্টাব্দে মোহাম্মদ মদীনার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্যগুলোর শাসকগনের কাছে দূত মারফৎ পত্র প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে মুকাউইসও একজন। মুকাউসের কাছে পত্র প্রেরণের জন্য পাঠানো হয় হাতিব ইবনে আবি বালতাহকে। মুকাউইস মোহাম্মদের পত্রটি তাঁর রাজ কোষাগারে সংরক্ষণ করেন। তিনি মোহাম্মদের নবুয়তকে অস্বীকার করেন, তবে মোহাম্মদকে একজন শাসক হিসেবে সম্মান প্রদর্শনে কার্পন্য করেননি।
মুকাউস মোহাম্মদের পত্রের উত্তরে লিখেন, “ আমি আপনার পত্র পেয়েছি, আমি জানি যে একজন নবী আসার সময় এখনও হয়নি এবং এই নবী সিরিয়ার জন্ম নেবেন। আমি আপনার দূতকে সম্মানের সাথে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। উপহার স্বরুপ দুজন দাসী আপনাকে প্রেরণ করছি। এই দাসীরা খুবই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যা। এদের সাথে আপনার জন্য কিছু কাপড় ও একটি ঘোড়া (দুলদুল) পাঠাচ্ছি। আপনার উপর ঈশ্বরের কৃপা বর্ষিত হোক”।
মুকাউসের প্রেরনকৃত দাসী দুইজন ছিলেন পরস্পরের সহোদর। মোহাম্মদ মারিয়াকে নিজের জন্য রেখে দেন আর বোন শিরিনকে দিয়ে দেন সাহাবী হাসান বিন তাবিথের কাছে। কথিত আছে, যেহেতু ইসলাম ও তৎকালীন সমাজে দুই বোনকে একসাথে শয্যাসংগি করাটা বৈধ ছিল না, তাই মোহাম্মদ শুধু মারিয়াকেই নিজের কাছে রাখতে সংক্ষম হন।
মারিয়াকে মোহাম্মদ বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলো কি না, না কি শুধু দাসী হিসেবে রেখেছিলো সে বিতর্কে যাচ্ছি না। যদিও নির্ভরযোগ্য দলিলে মোহাম্মদের স্ত্রীদের তালিকায় মারিয়ার নাম পাওয়া যায় না। প্রশ্ন হলো, মারিয়াকে পেয়ে মোহাম্মদ কি মিশর আক্রমণের কথা, মিশরে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা ভূলে যান? না কি পুনরায় আক্রমণ করে সেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন? এ সম্পর্কিত কোন দলিল ইতিহাসে পাওয়া যায় না। বরং সহীহ মুসলিম, বুক নং ৩১, হাদীস নং- ৬১৭৪ থেকে জানা যায়, মোহাম্মদ মিশরের অধিবাসীদের সাথে ভাল ব্যবহার করার জন্য তার সাহাবীদেরকে উপদেশ প্রদান করেন।
একজন মারিয়া মোহাম্মদের ইসলাম প্রতিষ্ঠার মিশনকে, আল্লাহ প্রদত্ত পবিত্র দায়িত্বকে দমিয়ে রাখতে পেরেছিলেন কিভাবে? ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেয়ে মারিয়াই কি মোহাম্মদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে?
উপরন্তু, মিশরে ইসলামের ইতিহাস পড়তে গেলে যা জানা যায় তা হলো ৬৩৯-৬৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সেখানে ইসলামের সূত্রপাত এবং তা খোলাফায়ে রাশেদার আমল থেকে। এর আগে ইসলাম মিশরে প্রবেশ করেছিল কি না, কিংবা কিভাবে প্রবেশ করেছিল তা এখনও অস্পষ্টই রয়ে গেছে।
অথচ, সেই ৬২৮ খ্রীস্টাব্দেই মুকাউসকে ইসলাম গ্রহন করার জন্য দূত প্রেরণ করেন মোহাম্মদ। যে মোহাম্মদ সারা পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত হয়েছিলেন, সেই মোহাম্মদ একজন দাসী, একটি ঘোড়া আর কিছু উপহার পেয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মিশনকে মিশরে স্থগিত রাখেন, ব্যপারটা ভাবনার নয় কি?
মোহাম্মদকে তথা ইসলাম প্রতিষ্ঠার মিশনকে একজন নারী আর কিছু উপহারের বিনিময়ে দমিয়ে রাখা যায়, মুকাউস ও মোহাম্মদের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন উপসংহার টানাটা অযৌক্তিক হবে কি?
নবীর নিকট তিনটি জিনিস প্রিয়। নামাজ, নারী ও সুগন্ধি।
চমৎকার
অন্তরে সার্বক্ষনিক যা বাসনা, লোকাচারে তাই নিষিদ্ধ।
“মোহাম্মদকে তথা ইসলাম প্রতিষ্ঠার মিশনকে একজন নারী আর কিছু উপহারের বিনিময়ে দমিয়ে রাখা যায়, মুকাউস ও মোহাম্মদের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন উপসংহার টানাটা অযৌক্তিক হবে কি?”
অযৌক্তিক হবে না বলে মনে হয়। মোহাম্মদের নারীর প্রতি কতখানি আসক্তি ছিল, তা তার স্রীর সংখ্যা ও উপপত্নীর সংখ্যা দেখলে বুঝা যায়। প্রথমে তার থেকে বয়সে অনেক বড় খাদিজাকে বিবাহ করে, কারন তার অর্থ সম্পদ বলে কিছু ছিলনা। এই খাদিজাতে মোহাম্মদ তুষ্ঠ হতে পারেনি। তারপর প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার স্রীর সংখ্যা ও উপপত্নীর সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকে। মোহাম্মদের নারীর প্রতি আসক্তি ছিল এবং তার বহু স্রী ও উপপত্নী থাকার দ্রুন, ধর্মে এক পুরুষ বহু নারী রাখার নিয়ম চালু হয়। এতে পুরুষ শাসিত সমাজে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে যায়। ইসলাম ধর্মের প্রধান ও গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হল লুন্ঠন ও নারী সম্ভোগ।
:yes:
আপনাকে এখানটায় দেখে ভালো লাগছে। স্বাগতম।
ধইন্যা।
তাইতো মনে হচ্ছে।
ভাই, এমন প্রশ্ন করেন কেন? আম্নে কি নাস্তিক?
অসাধারণ
ধইন্যা।
:yahoo:
উপহার হিসেবে কোঁকড়া চুলের মারিয়াকে নবীজির খুব মনে ধরেছিল। তাই তিনি মিশর দখলের কথা ভুলে গিয়েছিলেন।
মুক্তমনায় স্বাগতম :rose: :rose:
🙂
এতিহাস ভাল করে পরুন।
আরেক্টি কথা হলঃ নবিজি কে পেরন করা হয়েছিল আল্লাহর দাওাত পউছে দেওার জন্য। আল্লাহ নবি(স) কে যা নির্দেশ দিতেন তিনি তাই করতেন। নিবিজি(স) কে দাওয়াত দেয়ার জন্য পেরন করা হয়েছিল। কুরআন এ আল্লাহ বলেছেন হেদায়াত দেওার মালিক আল্লাহ। তাই নিবিজি ইসলাম এর দাওয়াত পৌঁছান। ঐ রাজার কাছে। ঐ রাজার ইসলাম গ্রহন নিয়ে মত পার্থক্য আছে। যাইহোক সেদিকে যাচ্ছিনা। আর যেখানে নবিজি কে ইসলাম প্রচার এর জন্য প্রেরন করা হয়েছে সেখানে একজন নারীর জন্য ইসলাম প্রচার ছেরে নারীর দিকে আকৃষ্ট হওয়ারর কথা বলা নিছক বুকামি ছাড়া আর কিছুই না।
মারিয়া কিবতিয়া(রা) দাসী ছিলেন না স্ত্রী ছিলেন এই নিতে মুসলিম ও অমুসলিম দের মদ্ধে মত পার্থক্য আছে। এই নিয়ে গভীর জ্ঞান না থাকলে যে কেও ভুল বুজতে পারে এটাই স্বাভাবিক। নবিজির পছন্দের মদ্দে একটি হচ্ছে নারি। তবে এখানে নারীদের সম্মান অরথে বজানু হয়েছে।
ধন্যবাদ সুন্দর লিখার জন্য
স্বাগতম।
শুদ্ধ ইতিহাস থেকে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় মিশরে নবী মোহাম্মদ ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে যেতে পারেননি। খলিফা উমর মিশর জয় করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সূত্রপাত করেন।
ইসলাম ধর্মে নারীভোগ ও লুণ্ঠন একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এজন্য কোরানে অনেক আয়াত সন্নিবেশিত করা হয়েছে। বলা যায়, পবিত্র ইসলাম শত্রুর সম্পদ লুণ্ঠন ও নারীদের দাসী বানিয়ে ভোগের বস্তুতে পরিণত করার মত অসংখ্য অপবিত্র কাজ করা হয়েছে ধর্মের নামে।
মোহাম্মদ নারীর কাছে কাবু ছিলেন। এটা উনি বুঝেছিলেন বলেই তো মুসলিমদেরকে বেহেশতের সুন্দরী নারীর লোভ দেখানো হয়। এ নারীদের লোভ দেখিয়েই ইসলাম ধর্মকে টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা। ইউ টিউওবে দেখলাম এক ওয়াজ। এ ধর্মীয় বয়ান না নারীর রূপ বর্ণনা তা প্রথমে বুঝতেই পারিনি। বেহেশতে গেলে যে নারী পাবে সে নারী ডিমের কুসুমের মতো নরম। তার গালে নিজের চেহারা দেখা যাবে। জান্নাতের নারীরা দেখতে কেমন হবে ? লিখে খুঁজলেই ইউ টিউবে পাবেন। আমি একজনের ফেইজ বুক এ দেখলাম।
মোটেও না । বরংচ এটাই ঠিক । কিন্তু এইসব সহজ বিষয়গুলো মানুষের মতন দেখতে মুসলমানগন বুঝবে না কিংবা মানবে না, সঠিক রেফারেন্স দেবার পরও ।