বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানী সৈন্যরা গণহত্যা চালাচ্ছিল ঠিক সে সময় পাকিস্তান সরকার এই যুদ্ধকে জিহাদ হিসেবে প্রচার করে অর্থ সংগ্রহ, গণহত্যা করার স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে থাকে। যুদ্ধকালীন তারা জিহাদের নামে অর্থ সরবরাহ করে। ইসলামের নামে তারা জনগণ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। এছাড়া রাজাকার শর্ষিণার পীর হিন্দু নারীদের গনিমতের মাল উল্লেখ করে তাদের ধষর্ণ করার ফতোয়া দেয়। তাই পাকিস্তানী ও তাদের দালালরা বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে যে ইসলামের নামে চালিয়েছিল তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
১৯৭১ সালের ২৫ জুন, মুজিব নগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক টেংকু আব্দুর রহমানের নিকট একটি টেলিগ্রাম পাঠিয়ে অতিসত্বর বাংলাদেশের গণহত্যা বন্ধের পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান। টেলিগ্রামটি সৌদি বাদশা শেখ সাব্বান এবং শেখ বিন বাজসহ সকল সেক্রেটারিয়েট সদস্যদের কাছে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও সৈয়দ ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করতে অনুরোধ করেন এবং খুন, নির্যাতন, মসজিদ ধ্বংস, ইমামদের হত্যা, এবং পবিত্র কোরান পোড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। টেলিগ্রামে পাকিস্তান আর্মিদের ধ্বংসযজ্ঞের বিবরণ দিলেন-পশ্চিম পাকিস্তান মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধে লিপ্ত, যদিও তারা তাদের অপরাধ পবিত্র ইসলামের নামে আড়াল করতে চাচ্ছে।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইসলামী সম্মেলনে প্রদত্ত টেলিগ্রাম
পাকিস্তান ৭১-এর যুদ্ধকে জিহাদ হিসেবে প্রচার করেছিল। যুদ্ধকালীন তারা জিহাদের নামে অর্থ সরবরাহ করে। ইসলামের নামে তারা জনগণ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। এছাড়া রাজাকার শর্ষিণার পীর হিন্দু নারীদের গনিমতের মাল উল্লেখ করে তাদের ধষর্ণ করার ফতোয়া দেয়। তাই পাকিস্তানী ও তাদের দালালরা বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে যে ইসলামের নামে চালিয়েছিল তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
১৯৭১ সালের ২৫ জুন, মুজিব নগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক টেংকু আব্দুর রহমানের নিকট একটি টেলিগ্রাম পাঠিয়ে অতিসত্বর বাংলাদেশের গণহত্যা বন্ধের পদক্ষেপ নিতে আহবান জানান।
টেলিগ্রামটি সৌদি বাদশা শেখ সাব্বান এবং শেখ বিন বাজসহ সকল সেক্রেটারিয়েট সদস্যদের কাছে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়াও সৈয়দ ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করতে অনুরোধ করেন এবং খুন, নির্যাতন, মসজিদ ধ্বংস, ইমামদের হত্যা, এবং পবিত্র কোরান পোড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। টেলিগ্রামে পাকিস্তান আর্মিদের ধ্বংসযজ্ঞের বিবরণ দিলেন-পশ্চিম পাকিস্তান মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধে লিপ্ত, যদিও তারা তাদের অপরাধ পবিত্র ইসলামের নামে আড়াল করতে চাচ্ছে।
(বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র: তৃতীয় খন্ড)
একাত্তরের যুদ্ধকে জিহাদ উল্লেখ করে তারা পত্রিকায় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেয়। ১৯৭১ সালের ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল এসব বিজ্ঞাপন। পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় সর্ব প্রথম এই বিজ্ঞাপনগুলো প্রকাশ করে। ‘৭১ এর নৃশংসতাকে ‘জিহাদ’ বানিয়ে সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের জিহাদের কিছু ছবি সংরক্ষণে থাকলেও বাংলা ট্রিবিউন এর সংবাদটির মাধ্যমে আরও কিছু ছবি পাওয়া গেল। নিউজটি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় মুক্তমনায় প্রকাশ করলাম।
৭১ সালে ইয়াহিয়া খান নিজের ভাষণেও জিহাদের কথা উল্লেখ করেন। ভিডিওটির লিংক-এখানে
ইহা সহীহ্ জিহাদ নহে!! :scratch:
তথ্যসূত্র : একটু কষ্ট করে সকল সহীহ্ হাদিস ও কোরাণের একমাত্র নির্ভরযোগ্য অনুবাদ খুঁজে দেখুন। :unsure:
:good:
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে জিহাদই কিন্তু।
জিহাদ সবসময় একটা রাজনৈতিক শব্দ। ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার। কিছু দিন আগে সৌদি আরব ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে জিহাদ বলেছিল।