নারীদের বলা হয় শয়তানের রূপ। নারীর সংস্পর্শে আসা মানে শয়তানের সংস্পর্শে আসা । আমাদের সমাজে এই কথাগুলো খুবই প্রচলিত। প্রশ্ন হল , নারী পুরুষের শারীরিক গঠন ছাড়া আর কোন পার্থক্য নেই তবুও কেন নারী কে অশুভ , অপয়া এই সব ভ্রান্তির সাথে তুলনা করা হয় । এই ধারনা কোথা থেকে এলো ? কেনই বা নারীকে ডাইনি , ডাকিনী, পিশাচিনী সহ নানা অশুভ শক্তির সাথে তুলনা করা হয় ? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধর্মীয় মিথ গুলোতে।
প্রতিটা ধর্ম গ্রন্থেই পৃথিবীর প্রথম নারী পুরুষের কথা উল্লেখ আছে, নাম এবং স্থানের ভিন্নতা থাকলেও কাহিনী প্রায় একই। ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাস অনুসারে আদম হাওয়া ছিলেন প্রথম সৃষ্ট মানব মানবী। পৃথিবীর এই পথ চলায় নারী পুরুষের ভূমিকা যে সমান সমান একথা বলার অপেক্ষা রাখে না কিন্তু নারী কেই যুগে যুগে অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছে সমাজ এবং ধর্মগ্রন্থগুলো।
ইহুদী ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে ওল্ড টেস্টামেন্ট-এর প্রথম পাঁচটি বই এর একটি জেনেসিস২ থেকে জানা যায়,
ঈশ্বর আদম কে সৃষ্টি করার সাথে সাথে একজন নারীও সৃষ্টি করেছিল । না, সে ইভ নয় , তার নাম ছিল লিলিথ এবং আদমের মত একই উপাদান দিয়ে লিলিথ কেও তৈরি করা হয়েছিল। লিলিথ ছিল আদমের সমকক্ষ এবং তাকে আদমের মত সকল ক্ষমতা দিয়ে আদমের স্ত্রী হিসেবেই ঈশ্বর তৈরি করেছিলেন। কিন্তু লিলিথ আদম কে তার স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেনি। যেহেতু লিলিথ ও আদম একই উপাদান থেকে সৃষ্টি তাই লিলিথ সম-অধিকার চেয়েছিল। সঙ্গমের সময় লিলিথ কিছুতেই নিচে থাকতে চায়নি। আদম বলেছিল, সে-ই শ্রেষ্ঠ তাই সে উপরে থাকবে। আর এতেই দ্বন্দ্বের সূচনা হয়। এর পর স্বর্গ ত্যাগ করে লিলিথ। আদম তখন ঈশ্বর কে অভিযোগ করে যে তার জন্য এমন নারী সৃষ্টি করা হোক যে তার শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নেবে আর লিলিথ কে অভিশপ্ত করা হোক। স্রষ্টা তখন লিলিথ কে স্বর্গে ফিরে যাবার হুকুম দেয় কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই লিলিথ এর আত্মসম্মান বোধে আঘাত লাগায় সে স্বর্গে ফিরতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন ঈশ্বর তাকে অভিশাপ দেয় যে , লিলিথ রোজ শত শয়তান সন্তান দেবে এবং এরা মারা যাবে। সেই সাথে ঈশ্বর লিলিথ কে প্রচণ্ড ক্ষমতাও দেয়, যে তার সৌন্দর্য দিয়ে সে পুরুষ কে বস করতে পারবে সেই সাথে ঐ সব পুরুষের সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে শয়তান জন্ম দেবে। লিলিথ তার স্বীয় মর্যাদা রক্ষায় এই অভিশাপ মেনে নেয় তবুও সে পুরুষের কাছে মাথা নত করেনি।
এই দিকে আদমের দরকার ছিল তার অধীনস্থ অনুগত এবং একান্ত বাধ্য নারী তাই ঈশ্বর আদমের হাড় দিয়েই তৈরি করল ইভ কে এবং ইভ আদমের আনুগত্য মেনে নিলো। অথচ লিলিথ ছিল স্বাধীনতার প্রতীক , সে তার ইচ্ছের মালিক ছিল , তার উপরে কোন পুরুষ কে চাপিয়ে দেয়া সম্ভব নয় বরং সে-ই তার জন্য যোগ্য পুরুষ নির্ধারণ করবে। লিলিথ ছিল প্রথম সাহসী নারী যে পুরুষের দাসত্ব কে অস্বীকার করেছিল। সে ছিল তার যৌনতায় স্বাধীন। তার ইচ্ছে তার চাওয়া ছিল মৌলিক। কিন্তু পুরুষ আদমের প্ররোচনায় তাকে অভিশপ্ত হতে হয়েছিল।
গ্রীক মিথলজী অনুযায়ী লিলিত ছিল প্রচণ্ড সুন্দরী , তার পাখা ছিল , আদমের থেকেও তার রূপ ছিল বেশি। সে কেন-ই বা পুরুষের বশ্যতা মেনে নেবে! তাই সে বিদ্রোহ করেছিল এবং হয়েছিল অভিশপ্ত। এভাবেই নারী কে শুধু পুরুষের দাসত্ব অস্বীকার করায় অশুভ শক্তির প্রতীক করা হয়েছে। ইহুদীর পর খ্রিস্টান ধর্মেও একই ভাবে আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন সম অধিকার চাওয়া নারীদের কে অশুভ , শয়তান , হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। তখন থেকেই পুরুষের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নারী কে বসে রাখতে ডাইনি, পিশাচিনী, অশুভ অলক্ষ্মী এমন ধরনার প্রচলন করেছে পুরুষ।
আজ থেকে বিশ হাজার পছর পর্বে নারী ছিল দেবতা তথা ঈশ্বরের রূপ। তারা মানুষ কে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ-শোক থেকে রক্ষা করত। রাজা রাজ্য রাজদরবার পরিচালিত হত তাদের দিক নির্দেশনায়। এমন কি বাচ্চা জন্মাত তাদেরই হাতে। বিভিন্ন নামে পরিচিত এই দেবীরা ,এদের মধ্যে একজন খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মেসোপটেমিয়ায় ছিল, তার নাম ছিল ইনানা। মিশরে এই দেবীকে বলা হয় আইসেস। এই দেবীদের উপরে মানুষ নির্ভর করত। সেই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে কুর্দি পিস্টেসিস নারীরা আধ্যাত্মিক সাধনা করত। তারা ছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষ, আবহাওয়া সম্পর্কে তাদের গাণিতিক জ্ঞান ছিল নির্ভুল তারা জানত কিভাবে ফসল ফলাতে হয়। তাই তাদের কে জ্ঞানী হিসেবে সম্মান করা হত। কিন্তু এই নারীদের কে পদদলিত করার ষড়যন্ত্র করা শুরু করল পুরুষ রাজারা। তারা প্রচার করতে শুরু করে যে নারীদের দোষেই আজ মানুষ স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এদের অভিশপ্ত প্রচার করে হত্যা এবং দেশ থেকে বিতাড়িত কর হয়।
বাইবেলে উল্লেখ আছে হিব্রু কিং যে তার রাজ্য থেকে উইচদের বিতাড়িত করেছি সেই রাজাই তার শত্রুকে যুদ্ধে পরাজিত করার জন্য এক ডাইনির সহায়তা নিয়েছিল। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, এই রাজা জানতেন সে যুদ্ধে পরাজিত হবে এবং তাকে এক মাত্র জয়ী করতে পারে এই জ্ঞানী নারী। তাই সে তার প্রয়োজনে এই নারীরই দ্বারস্থ হয়েছিল।
১৪০০ সালে সমস্ত ইউরোপে একটা রহস্যময় প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।এই রোগের নাম ছিল ব্ল্যাক ডেথ।ইউরোপে প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিল। সমস্ত ইউরোপে তখন ভীতি ছড়িয়ে পরে আর সেই সময় ধর্ম যাজকরা প্রচার করে এটা শয়তান করছে। আর শয়তানের সেবক সন্দেহ করা হয় অনেক নারীকেই।
১৬০০ সালের দিকে প্রচার করা হয় ডাইনিরা একটা ঝরুর উপড়ে করে আকাশে উরে বেড়ায় এবং সাধারণ মানুষ সেটা বিশ্বাস করত যে ডাইনিরা উড়তে পারে।জার্মান ফিজিশিয়ান ইউহান বেয়ার্স এই অদ্ভুত ধরনার কারণ ব্যাখ্যা করেছিল। সেই সময় দাতুরা নামের একটা ড্রাগের খুব প্রচলন ছিল। এটা নিলে হ্যালুসিনেশন হত। এই ড্রাগের প্রভাবেই এমন ধরনা জন্মেছিল। এখানে খুব ইটারেস্টিং একটা বিষয় হল যাদের কে ডাইনি বলা হত, এরা অনেকেই ছিল সিঙ্গেল মাদার। মানে যখন কোন অবিবাহিত নারী প্রেগন্যান্ট হত সমাজ তাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে হয় সমাজচ্যুত করত অথবা মেরে ফেলত। তার অনাগত সন্তানের পিতা বলা হত শয়তান কে। আর সেই সন্তান জন্মাবার সাথে সাথে মেরে ফেলা হত। এই নারীদের উপড়ে অমানবিক অত্যাচার চালানো হত । অত্যাচারের সময় একটা নিয়ম ছিল, ঐ নারীর চোখের দিকে তাকানো যাবে না। ধর্ম যাজকরা বলত ডাইনীর শক্তি থাকে তার চোখে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা নিরপরাধ মেয়ের চোখে যে যন্ত্রণা ফুটে উঠত সেটা দেখলে মায়া জেগে উঠতে পারে তাই ধর্ম যাজকরা ইচ্ছা করেই এই নিয়ম করেছিল। অনেক সময় এই নারীরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অপরাধ না করেও এর দায় স্বীকার করত, প্রাণ ভিক্ষা চাইত। এতে করে ধর্ম যাজকরা এই নারীদের ডাইনী প্রমাণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে ভয় ঢুকিয়ে দিত। তাই এই নারীদের হত্যা করলেও সমাজে এর কোন প্রতিবাদ হত না।
১৪৮০ থেকে ১৭৫০ সাথে ইউরোপের ধর্ম যাজকরা ডাইনি অপবাদ দিয়ে লক্ষ লক্ষ নারী হত্যা করেছিল। ১৬০০ শতকে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যা হয়েছিল জার্মানির উর্জবার্গে। সেখানকার মেজিস্ট্রেট এর হুকুমে সমস্ত নারীদের ডাইনী আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তারা ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ কে সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
ইউহানাস ভিয়ার ছিলেন একজন ডাচ ফিজিশিয়ান । তিনিই সর্ব প্রথম ডাইনি হত্যার আইনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে ডাইনি অপবাদ দিয়ে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা আসলে ভিন্ন চিন্তার নারী আর কেউ কেউ মানসিক ভাবে অসুস্থ। ১৫৬৩ তে তিনি একটি জার্নাল প্রকাশ করেন যেখানে প্রসিকিউশনের বিরোধিতা করে বক্তব্য তুলে ধরেন এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ অনৈতিক। এর পর সামাজিক ভাবে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আলোড়ন ওঠে যদিও প্রকাশ্যে এই হত্যা বন্ধ হতে ইউরোপের আরও দুশ বছর লেগেছে।
এখনো যে ডাইনী অপবাদ দিয়ে নারী হত্যা হয় না বিষয়টা তা নয়। ওয়াশিংটন পোষ্টে পূজা সিঙ্ঘাল এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ২০০০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ভারতে সরকারি হিসেবে দুহাজার একশত নারীকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের কে সমাজ থেকে ছুঁড়ে ফেলা, তাদের সম্পদ দখল করা, তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠ কে চুপ করিয়ে দেয়া সহ নারীদের পুরুষের অধীনস্থ করার জন্যই অশুভ-শক্তি , শয়তান, হিসেবে উপস্থাপন করে মেরে ফেলা হয়েছে। অনেক সময় সামাজিক রীতিনীতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অপরাধেও ডাইনি আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।এটা আসলে নারীদের উপরে কর্তৃত্ব করার জন্য পুরুষের চাল ছাড়া আর কিছুই না।
এই ডাইনীর ধরনাটাই সম্পূর্ণ ধর্মের সৃষ্ট। স্রষ্টা কে টিকিয়ে রাখতে হলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকে দরকার। আর যেহেতু ধর্মগুলো পুরুষ সহায়ক সেহেতু নারীর কেই ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়েছে ধর্মগুলো। এতে দুটো লাভ , প্রথমত পুরুষের অবাধ্য নারীদের কে শায়েস্তা করা দ্বিতীয়ত ঈশ্বরের ক্ষমতা কে প্রতিষ্ঠিত করা।
বাইবেলে বলা আছে , নারীর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে পাপ এসেছে… তাই এর শাস্তি নারীকে পেতেই হবে… তাদেরকে প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে… তারা যেন হয় অবলা, অনুগত…” আরও বলা আছে , নারী হচ্ছে ফাঁদ, তার হৃদয়ও ফাঁদ, এবং তার হাত হচ্ছে শিকল। যে পুরুষ তার গডকে সন্তুষ্ট করে সে নারীকে এড়িয়ে চলবে, কিন্তু নারী চেষ্টা করবে পুরুষকে ফাঁদে ফেলতে। ( Ecclesiastics 7:26-28) এবং ডাইনী সম্পর্কে বলা আছে । ডাইনীকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।((Exodus 22:18-20)
হিন্দু ধর্মেও সেই একই বিষয় এসেছে, বেদ গ্রন্থে নারীর সংস্পর্শে আসা কে মহাপাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । এমন কি নারীর ব্যাবহার করা জিনিসপত্র , অলঙ্কার পোশাক থেকেও দুরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।(মনুসংহিতা ৮.৩৫৭)
উপযুক্ত কারণ ব্যতীত পরস্ত্রীকে উপহার দেয়া,তার আশেপাশে ঘুরাঘুরি করা,তার বস্ত্র বা অলংকার স্পর্শ পর্যন্ত করার চেষ্টা করলে সে ব্যক্তিকে ব্যভিচারের দায়ে শাস্তি দেয়া কর্তব্য।
আর ইসলাম ধর্মে নারীর শরীরের গন্ধও ভয়ানক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বহুল পরিচিত একটা হদিস হল । রাসুল (সাঃ) বলেছেন- আতর বা সুগন্ধি মেখে কোন মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করে তাহলে সে একজন জিনাকারি মহিলা হিসাবে গণ্য হবে” (আহমাদ ৪/৪১৮, ছহীহুল জামে হাদীছ ১০৫)। এমন কি ইসলামে স্পষ্ট বলা আছে নারীরা কিছু নির্দিষ্ট সম্পর্কের পুরুষ ছাড়া আর কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না। সহজ কথা বোরখা ছাড়া দেখা করতে পারবে না। নারী এতটাই অশুভ যে, কবরস্থানে প্রবেশ করতে পারবে না, ঋতুস্রাবের সময় নামাজ কিংবা কোরআন স্পর্শ করতে পারবে না। এমন কি নারী পুরুষের এক সাথে লেখা পড়ার বিষয়েও বিধি নিষেধ রয়েছে।
মেধায়, বুদ্ধিতে, মননে নারী যতোই এগিয়ে যাক না কেন পুরুষের হাড় দিয়ে নারী তৈরি হওয়ার কাহিনী উল্লেখ করে তাকে মনে করিয়ে দেয়া হয় তুমি অর্ধাঙ্গী । আর যখনই কোন নারী বিদ্রোহ করে তখনই তাকে অশুভ, অপয়া,ব্যভিচারিনী, নষ্টা, ভ্রষ্টা অপবাদ দিয়ে হয় মেরে ফেলা হয়েছে অথবা তার প্রতিবাদের কণ্ঠ রোধ করে তাকে দাসীতে পরিণত করা হয়েছে।
আসসালামু আলাইকুম। প্রথমে বলি আমার ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃস্টিতে দেখবেন। আপনার লেখাটা পরলাম, আর যা বঝলাম,মানে কিছু টা, মানে যা বুঝাতে চাচ্ছেন।হাজার হাজার বছর ধরে,সমাজের কিছু সার্থনেশী মানুষ, বিভিন্ন ধর্মের রেফারেন্স টেনে, নারীদেরকে নির্মম ভাবে নির্যাতন চালিয়েছে।প্রথমেই বলি আমি নারীদের কে সম্মান করি।কিন্তু আমি আপনার যুক্তিতে একমত না।যেমন আমার ধর্মে আপনি মিথ্যাচার করেছেন,ইসলাম ধর্ম। আল্লাহ বলছে তোমরা আমার ইবাদত কর পাক পবিত্র হয়ে। এখানে নারী ও পুরুষ দুজন কেই বলছে।আর আল্লাহ বলেছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।কত সম্মান আল্লাহ দিছে নারীকে।আর আনেক কিছু বলার দরকার ছিল সময়ের জন্য বলতে পারলাম না।
বিভিন্ন ধর্মে নারীর অধিকার নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখলে খুশি হব।
লেখাটি ভালো লাগে নি,,,আপনার আগের লেখাগুলি ভালো ছিলো,,, এই লেখায় প্রচুর তথ্য বিভ্রাট সুস্পষ্ট।
আচ্ছা আপনি এইসব দেবী কাহিনীর অবতারনা করে আসলে নারীর বহুগামিতাকে প্রোমোট করার চেষ্টা করছেন না তো?
একটা লেখা পেলাম http://study.com/academy/lesson/inanna-goddess-descent-myth-summary.html
এখানে একটা প্যারা হল,
তার অনেক প্রেমিক ছিল আর বিশ্বাস ঘাতক প্রেমিক দের শাস্তি দিতেও সে দ্বিধা করত না!!
আর একেই আপনি আদর্শ হিসাবে সামনে এনেছেন আর পরে এর অনুসারীদের শাস্তি দেয়ার জন্য রাজাদের দোষারোপ করেছেন।
আপনার বানী দেখে তো মনে হয় যে আপনি নারী পুরুষের সমানাধিকার না বরং নারীদের কে ইনানার মত বানাতে চাচ্ছেন,চাচ্ছেন যে নারীরা ইনানা বা এই জাতীয় দেবীদের মত হয়ে বহুপুরুষ গমন করবে(একাধিক লাভার মেইন্টেন করবে) আর সেইসব লাভার রা সবাই সেই নারীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে অর্থাৎ নারীদের জন্য ইনফিডেলিটিকে বৈধতা দিতে চাচ্ছেন! আপনার উদ্দেশ্য ভাল নয় বুঝাই যাচ্ছে।
আমাদের নবী (সঃ) বলেছেন, “মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত” সন্তান মানেতো ছেলেকেও বুঝায় । আর ছেলেতো পুরূষ, নবীগণও পুরুষ, মা হলো নারী । তার মানে সব পুরুষের জান্নাত নারীর পদতলে । নারীকে এর চেয়ে বেশী সম্মান বা মর্যাদা কেউ দিতে পারবেকি? তার পরও বেশী সংখ্যায় নারী যদি পাপ করে বেশী সংখ্যায় জাহান্নামী হয় । এতে কার যে কি দোষ বুঝতে পারলামনা ।
হাত তালি পেতে খুব ভাল লাগে তাই না? যা মনে আসছে লিখেই যাচ্ছেন আর কিছু লোক বাহবাও দিচ্ছে ভালই।
হোয়াট দ্য হেল! গ্রীক পুরান পড়েছেন কোনদিন? এখানে আদম আসে কি করে? শিক্ষা দিক্ষা লাভ করে তারপর লেখা লেখি করেন।
রেফারেন্স ছাড়া আজগুবি একটা লেখা,যত্তসব!
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফে?না, লোভী, আত্মঅহংকারী, অপচয়কারী হচ্ছে নারী। আবার এই নারীই মাতা, নারাই ভগ্নি, নারাই পত্নী। আবার পৃথিবীর সর্বপ্রথম যুদ্ধও সংগঠিত হয়েছিল এই নারী নিয়ে। এখনও সকল সমস্যার মূল এই নারী। তাই এই নারীকে নিয়ে যতবেশী টানাটানি, লেখালেখি ততবেশী হেনস্থাও হচ্ছে এই নারী । আবার যারা নারী বাদী, নারী স্বাধীনতা করে দিনরাত চিল্লাচিল্লী করে তারাই এবং তাদের ঘরেই এই নারীরা সবচেয়ে বেশী নির্যাতীত। পৃথিবীর কোন ধর্মেই নারী অবহেলা করা হয়নি। আমরা যারা নারী নারী করে অহেতুক চিল্লাচিল্লী করি তারাই নারীর প্রতি বেশি অবিচার করি। নিজের ঘর ঠিক না করে নিজেকে ঠিক না করে একটু ক্রেডিট, নাম ধাম কামানোর ধান্ধা করে নারী নারী না করে তাদেরকে তাদের মত চলতে দেন না ।
পুরুষের কাছে নারীর শরীর আর নারীর কাছে পুরুষের শরীর ভোগ্য কিংবা উপভোগ্য ! কে, কাকে্, ভোগ করতে পেরেছেন বা কে কার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন অথবা কে কার উপর প্রভাব খাঁটিয়ে বিজিত হয়ে ডমিনেন্ড হয়েছেন সেটাই আসল কথা।
ক্ষমতার দাপট , দাসত্বের শিকলে বন্দি হওয়াটা যুগে যুগে রদ বদল হয়েছে নারী ও পুরুষে পর্জায়ক্রমে। ব র্ত মানে নারীর দূর্ভাগ্য নারী সেই ঢেউ এর পাদদেশে আর পুরুষ শীর্ষে! আর তাই ধর্ম ত্তত্বকে কাজে লাগীয়ে পুরুষ নারীর উপর আজীবন কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চায়! অনেক নারীও জেনে বুঝেই নিজেদের সপে দিয়েছে ও দিচ্ছেন হাতেই!
বেগম রোকেয়া লিখে গেছেন-
ইউরোপ সহ উন্নত বিশ্বে নারীমুক্তি ঘটেছে অনেক আগেই।আমাদের দেশে ধর্মান্ধতার হার অনেক।ধর্মের শোষনের স্বীকার নারীরাই বেশি হয়,ধার্মিকতায়ও নারীরাই এগিয়ে।অথচ ধর্ম সব পুরষ্কার বরাদ্দ রেখেছে পুরুষের জন্য।এই জায়গাতে প্রশ্ন তুলতে হবে নারীদের।ধর্মীয়মত ত্যাগ না করে নারীমুক্তি সম্ভব না।
চমৎকার একটা লেখা।
বাইবেলের কোথায় আছে এই ঘটনা?
রেফারেন্স দেন।
(Ecclesiastics 7:26-28) এবং ((Exodus 22:18-20) পড়ে দেখেন । সব কিছু বলার দায় তো আমার না । নিজেরা কিছু পড়ুন । আমি নিশ্চই আপনাকে জিগ্যেস করে তথ্য নেই নি বরং কষ্ট করে পড়ে জেনেছি । আপনিও সেটা করুন ।
আমি আসলে বাইবেল থেকে লিলিথেরে ঘটনা জানতে চাইছিলাম। লিলিথ ও আদমের ঘটনা বাইবেলের কোথায় আছে?
আপনার দেয়া রেফারেন্সে পাচ্ছি না। একটু মিলিয়ে দেখুন। আমার ভুল হলে বলবেন। আর ভাল হয় যদি আপনি সরাসরি লিঙ্কটা একটু দিতে পারেন।
Ecclesiastics 7:26-28
26
I find more bitter than death the woman who is a snare, whose heart is a trap and whose hands are chains. The man who pleases God will escape her, but the sinner she will ensnare.
27
“Look,” says the Teacher, “this is what I have discovered: “Adding one thing to another to discover the scheme of things-
28
while I was still searching but not finding– I found one upright man among a thousand, but not one upright woman among them all.
Exodus 22:18-20
18
Do not allow a sorceress to live.
19
Anyone who has sexual relations with an animal is to be put to death.
20
Whoever sacrifices to any god other than the LORD must be destroyed.
আগেই আপনার ক্লিয়ার করা উচিৎ ছিল যে আপনি লিলিথের রেফারেন্স চাচ্ছেন ।আমি আপনাকে বাইবেলে ডাইনীদের কোথায় হত্যা করতে বলা হয়েছে তার রেফারেন্স দিয়েছি ।
যাই হোক , এন্সিয়েন্ট মিস্ট্রি নিয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের মতে বাইবেলে প্রচুর পাতা মিসিং আছে যেমন কোন কোন চরিত্রের ধারণা আছে আবার কোন কোন চরিত্রের শুধুই নাম । লিওনার্দো নিময় এই এন্সিয়েন্ট মিস্ট্রি নিয়েই কাজ করেছেন , সেখানে লিলিথ চরিত্রটি আছে এবং তার বর্ণনায় লিলিথের বিতর্কিত চরিত্রের কারণে তাকে পবিত্র গ্রন্থ থেকে বাদ দেয়া হয়। এই বিষয়ে সব চেয়ে ভাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন কার্লো ফ্যানটারন, লিলিথ এসেছে নানা নামে নানা ভাবে , কখনো তাকে রক্ত চোষা বানানো হয়েছে কখনো শিশু হত্যা কারি , কখনো মায়াবিনী । অ্যালান হুম্ম এর জার্নালটাও এখানে রেফারেন্স হিসেবে আনা যায় । এছাড়াও প্রচুর আছে। আগেই বলেছি আমাকে জিগ্যেস না করে প্লিজ পড়ুন । আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়ে সেই সাথে আমি খানিকটা সময় পাব অন্য বিষয় পড়ার । ভাল থাকুন ।
ধরা খেলে বোধ হয় এমনই লাগে তাই না? বাইবেলের কোন পাতা মিসিং অথবা আদৌ মিসিং কিনা সেটা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয়। এখানে আপনি লিখেছেন বিভিন্ন আব্রাহামিক ধর্মের নামে এবং একই সাথে প্যাগান ধর্ম মিশিয়ে খিচুড়ি পাকিয়ে। কাজেই লেখক হিসাবে আপনাকেই জিজ্ঞেস করবে একজন পাঠক আপনাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য,যদি তিনি সেই তথ্য জেনে থাকেন তবু।
যাইহোক আপনার মুলনলেখা থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি,
জেনেসিসের কোন ভার্সে লিলিথের কথা আছে জানালে উপকার হত,একটু পড়ে দেখতাম।
:good: :good: :good:
:good:
নারী যদি শয়তান ই হয় তাহলে তার পেট থেকে আমরা বড় বড় শয়তান রাই জন্ম নিয়েছি এবং মদত দাতারা হচ্ছি আমরা পুরুষরা …
:rose:
কোন কুৎসিত মহিলাকে দেখে যৌন আকর্ষন যাগে না বললেই চলে কিন্তু কোন সুন্দরী মহিলাকে দেখলে যৌন আকর্ষন জাগাটাই স্বাভাবিক, তারমানে এই নয় যে তাকে ধর্ষন করে যৌন আকর্ষন মেটাতে হবে। ধর্ষন করার ইচ্ছা থাকলে একজন বোরকা পড়া মহিলাকেও ধর্ষন করা যায়।
ধর্ষন কাজে লিপ্ত হয় ধর্মান্ধরা, কারন মেয়েদের পাজামার ফিতা দেখলেই তাদের মাথায় কুচিন্তা ঘোরাফেরা করে।
ইসলাম ধর্ম মতে নারীরা একসাথে হতে পারবে বোরকা ছাড়া, তাহলে তো লেসবিয়ানদের সুবিধা বেড়ে গেল যে। এক্ষেত্রে বোরকা পড়ার প্রশঙ্গ নেই।
যখন কোন সমকামী কোন সুন্দর ছেলের দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকায় তখন বোরকা পড়ার প্রসঙ্গ আসে না, কিছুদিন আগে জীবনের গল্প তে এক হিজড়া রেপ হওয়ার ঘটনা শুনেছিলাম কিন্তু এক্ষেত্রেও বোরকা পড়ার প্রসঙ্গ আসে না। কিন্তু কেন??? যত দোষ নন্দ ঘোষ তাই যত দোষ নারীদেরকেই দেওয়া হয়।
লেখাটা ভাল লেগেছে এবং এই লেখাটা পড়ার মাধ্যমেই মুক্তমনায় আমার প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ।লেখাটা সম্পর্কে যদি বলি তাহলে আমার মন্তব্য হবে,প্রাচীন উপকথা গুলো ধর্ম গ্রন্থ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা।উপকথা লোকমুখে প্রচলিত আচার এবং বিশ্বাস।সাধারণত আহলে কিতাব গুলো প্রথমে ছিল অক্ষত ঐশীবাণী,পরে সেগুলো বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে।হিন্দু ধর্মের গ্রন্থগুলো মানুষের তৈরি গ্রন্থ।কুরআন ঐশী গ্রন্থ।মূলত অক্ষত ঐশী গ্রন্থগুলোতে পুরুষকে নারীর উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।আর বাস্তবে পুরুষেরা তাদের শক্তির অবচয় ঘটিয়ে বের করেছেন যে নারী শয়তান।মূলত ঈশ্বরের চেয়ে আমাদের পুরুষ সঙ্গীরা আমাদের নিগৃহীত করেছেন!
বাইবেলের ঠিক কোথায় বলা আছে জানালে কৃতার্থ হতাম,কেননা কেন যেন মনে হচ্ছে লেখাটিকে বেশী অর্থবহ করতে যেয়ে লেখিকা হালকা চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন,যেখানে বাইবেলের নূতন নিয়মে বা মঙ্গল সমাচারে লিখা আছে,
করিন্থিয় ১৫:৩“খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরলেন…”
আমাদের বলতে শুধু নারীদের নিশ্চয় বোঝানো হচ্ছে না…..
চমৎকার লিখেছেন। রাহুল সাংকৃত্যায়ন এর ‘গঙ্গা থেকে ভলগা ‘ বইটি থেকে কিছুটা ধারণা পেয়েছিলাম একসময়ের নারী-কেন্দ্রীক সমাজ এবং সভ্যতার । তা ছাড়া অন্যান্য কিছু বইতে আভাস পেয়েছিলাম বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট -নিউ টেস্টামেন্টের অন্যতম কারন যে নারীর ক্ষমতায়ন ই ছিল। আপনার লেখা থেকে এ বিষয় গুলো আরও পরিস্কার হল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । :
লেখককে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই, একটা বিষয় নিয়ে পাঠকদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে তিনি নারীদের যে অবস্থান তুলে ধরেছেন, তা সত্য হলে অবশ্যই কষ্টকর। (আমি সব ধর্ম সম্পর্কে ভালো পড়াশোনা করিনি বলে, সামান্য সন্দেহ পোষণ করলাম যে, ধর্মগ্রন্থগুলোতে আসলেই নারীদের এতটা খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা।)
তবে, আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, ইসলাম ধর্মে নারীর অবস্থান সম্পর্কে লেখক যে তথ্য দিয়েছেন, তা মিথ্যা কিংবা আংশিক সত্য। হয়তো লেখক ভুল তথ্য পেয়েছেন। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবী রাখে।
এখানে আমি কয়েকটা পয়েন্ট উল্লেখ করছি-
১. নারীর শরীরের গন্ধ নিয়ে যে হাদিসটা উল্লেখ করেছেন, তা কতটুকু সত্য, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকা অস্বাভাবিক নয়। প্রধান হাদিসগ্রন্থ থেকে আপনি রেফারেন্স দেননি। যা দিলেন, তা গৌণ। মনে রাখতে হবে হাদীস সংগ্রহ করা হয়েছে মুহম্মদ (স.) এর মৃত্যুর অন্তত ২০০ বছর পর।
(অবশ্য আপনার দেওয়া রেফারেন্সকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই একজন মন্তব্য করেছেন। ব্যাখ্যা দিয়েছেন।) পবিত্র কুরআনে নারীর অবমাননা আছে কিনা, সেটা বিবেচ্য (আশা করি তা পাবেন না)।
২. ইসলাম ধর্মে মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিবাহ বৈধ নয়) সম্পর্কে বলা হয়েছে। মাহরাম ব্যতিত সবার সামনে নারীকে পর্দা করতে বলা হয়েছে। তাদের সামনে যেতে নিষেধ করা হয়নি। আর সর্ম্পূর্ণ মুখ ঢাকতে হবে- এমন কঠোর মতামত বেশিরভাগ ইসলামী চিন্তাবিদই দেন নি। তারা মুখ খোলা রাখার পক্ষে। সারাবিশ্বের মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলোর নারীরাই তার প্রমাণ।
৩. নারীরা কবরস্থানে প্রবেশ করতে পারবেনা, একথাটি ১০০% ভুল। হ্যা, বলা আছে হায়েজ- ঋতুস্রাবের সময় নারীরা কবরস্থানে যাবে না। (আপনি নিশ্চয়ই মানবেন, আমরা যে প্রস্রাব-পায়খানা করি তা অপবিত্র। এসব পরিষ্কার না করলে শরীর অপবিত্র থাকে। ঋতুস্রাবও তাই। যতক্ষণ তা বাহিরে না আসে, ততক্ষণ নারী কবরস্তানে যেতে বাধা নেই। কিন্তু ঋতুস্রাবের অপবিত্রতা নিয়ে যেতে পারবে না। এমনকি ঋতুস্রাব চলাকালীন স্বামীর সঙ্গে দৈহিক মিলন সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। কেন করা হয়েছে, নারী মাত্রই বাস্তবতা বোঝার কথা। তাছাড়া নারীদের মন সাধারণত নরম। প্রিয়জনের কবরের পাশে গিয়ে অত্যধিক আবেগতাড়িত হয়ে কান্নাকাটি করতে পারে। বিলাপ করে কান্না ইসলামে নিরুৎসাহিত করা হয়। নারীর কবরস্থানে যাওয়া এতটা উৎসাহ দেওয়া হয়না। কিন্তু নিষিদ্ধ নয়।
৪. ইসলাম ধর্ম নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই বিদ্যার্জন আবশ্যিক করেছে। দুনিয়ার জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন উভয় ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। তবে শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতী সম্পর্কে ইসলাম দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আমি নিজে সহ-শিক্ষায় শিক্ষিত। বলতে দ্বিধা নেই অনেক অনাচার হতে দেখেছি।
নারীর ঋতুস্রাব কোন পেশাব পায়খানা নয় । বরং গর্ভ ধারনের সংকেত । প্রতি মাসে নারীরা প্রচণ্ড শারীরিক, মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করে শুধু সন্তান ধারণের জন্য। এই রক্ত অপবিত্র কেন হবে ? আর এই রক্ত কে মল মূত্রের সাথে তুলনা করলে প্রতিটা মানুষের জন্মই অপবিত্র । সেই অর্থে সব মানুষ অপবিত্র মানুষ।
( আপনার উল্লেখিত অন্যান্য প্রসঙ্গগুলো নিয়ে আগেই ফেবুতে কমেন্ট করেছিলাম )
ইসলাম হল সব চেয়ে নতুন ধর্ম । ইহুদী থেকে যেমন খ্রিস্টান ধর্ম আধুনিক ঠিক তেমনি , খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ইসলাম আধুনিক হবে সেটাই তো স্বাভাবিক ।যদিও ইসলাম শেষ ধর্ম নয় এর পরেও ধর্ম এসেছে। এবং সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ তাই সে বিষয়ে লিখছি না। তাই ইহুদী , খ্রিস্টান ধর্মগুলো থেকে ইসলামে মোড়ালিটির কথা অনেক বেশি বলা আছে এবং এটাই স্বাভাবিক। ইসলামের যে নারী পর্দা করে না , তাকে ব্যভিচারীনি বলা হয়েছে । স্বামী যদি স্ত্রীর অবাধ্য হয়, বেপর্দা হয় , তবে তাকে মারার কোন বিধান নেই কিন্তু স্ত্রী হলে তাকে মারা যাবে, এখানে উল্লেখ্য যে স্ত্রীর শরীরে দাগ পড়তে পারবে না। স্ত্রী কে বলা হয়েছে স্বামী কে সব সময় রাজিখুশি রাখতে এবং এটাই জান্নাত পাবার পথ অথচ স্ত্রী কে রাজিখুশি না রাখলে জান্নাত পাওয়া যাবে না, এটা কোথায়ও বলা নেই । স্ত্রী কে কঠোর ভাবে পর্দার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । সুরা নুরে বলা আছে // “তারা স্বীয় রূপ-লাবণ্য ও সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না// ।
নারীদের ঘরের বাইরে বেড় হওয়া প্রসঙ্গে সুরা আজহাব এর আয়াত-৩৩ এ বলা আছে , “আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না।”নারীর গন্ধ সম্পর্কে প্রচুর হাদিস আছে , আশা করি দেখে নেবেন । এর মধ্যে একটা হল , “যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে বাইরে বের হল, অতঃপর কোন জনসমাবেশ দিয়ে অতিক্রম করল, সে নারী ব্যভিচারিণী।” (আহমদ, সহিহ আল-জামে : ২৭০১)। এই হাদিসটি যে জাল নয় একটু খুঁজলেই প্রমাণ পাবেন। আরও আছে নারী কোন কারুকার্য খচিত বোরখাও পরতে পারবে না এবং আজকাল মেয়েরা যে বোরখার সাথে জিন্স পরে সেটাও নিষেধ। এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট হাদিস আছে , “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণকারী নারীর অভিসম্পাত করেছেন।” (বুখারী, ফাতহুল বারি : ১০ : ৩৩২)
নারীদের দেখা করার অনুমতি আছে শুধু তার বাবা , ভাই , সন্তান , স্বামী , ভাই এর সন্তান , বোনের সন্তান এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালকদের সাথে । এই বিষয়ে সুরা আজহাবের আয়াত ৫৯ পড়লেই পাবেন ।
নারী কবরস্থানে প্রবেশ করতে পারবে না,কোন নারী কোন নারীকে/পুরুষ কে কবর দিতে পারে না । যে মেয়েটির মা , বাবা , বোনা , কিংবা পরম আত্মীয় মারা যায় মেয়েটি তাদের কে কবর দিতে পারে না । পুরুষেরাই দেয়। আপনার আশেপাশে কোন নারী কোন মৃত ব্যক্তি কে কবর দিয়েছে এমন দেখেছেন? মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে জিগ্যেস করলেও পাবেন অথবা হাদিস পড়ুন সেখানেও আছে কারণ বিষয়টা আমাদের সমাজে খুবই প্রচলিত বিষয়।
নারীদের ঘরের বাইরে একা বেড় হবার অনুমতি নেই সেখানে নারী চাইলেই তার ইচ্ছা মত লেখাপড়া করতে পারে এটা কিভাবে সম্ভব ? আপনার হাত পা বেঁধে বলা হল সাঁতার কাটুন , অদ্ভুত না ? কোরআনের আয়াত তো দিলামই , এ প্রসঙ্গে হাদিসে কি বলা আছে সেটা দিচ্ছি , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তিনজন মানুষ সম্পর্কে তোমরা আমাকে জিজ্ঞাসা কর না। (অর্থাৎ তারা সবাই ধ্বংস হবে।) যথা : ক. যে ব্যক্তি মুসলমানদের জামাত থেকে বের হয়ে গেল অথবা যে কুরআন অনুযায়ী দেশ পরিচালনকারী শাসকের আনুগত্য ত্যাগ করল, আর সে এ অবস্থায় মারা গেল। খ. যে গোলাম বা দাসী নিজ মনিব থেকে পলায়ন করল এবং এ অবস্থায় সে মারা গেল। গ. যে নারী প্রয়োজন ছাড়া রূপচর্চা করে স্বামীর অবর্তমানে বাইরে বের হল।” ( হাকেম, সহিহ আল-জামে : ৩০৫৮)
স্বামী যদি মনে করে স্ত্রীর শিক্ষার প্রয়োজন নেই তাহলে স্ত্রীর লেখাপড়া শেখার অনুমতি ইসলাম দেয়নি ।
আমি শুধু এই বিষয়গুলোি উল্লেখ করেছি। কোরআনে অনেক কন্ট্রাডিক্টরি বিষয় আছে। একই আয়াত অথচ যার যার সুবিধা অনুযায়ী ব্যাখ্যা করেছে আলেমরা। তাই হাদিস এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ।
প্রতিমাসে নারীদেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় যে ব্লাড নির্গতহয় সেটা নিঃসন্দেহে অপবিত্র এবং অশুচিকর কিন্তু আমার একই বিষয়ে কৌতুহল যে যদি সেই তরল অপবিত্রই হয়, তাহলে মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কেনো এমন অপবিত্র জলবিন্দু থেকে মানুষের জন্ম দিয়েছেন??
মহানবী (স) মেরাজে গিয়ে জাহান্নামের অধিকংাশ মহিলা দেখেছিল।
হাদিছে আছে একজন নারী চার জন পুরুষকে জাহান্নামে নিতে পারে।
আচ্ছা সব ধর্ম কি কিছু সাইকোপাথ দ্বারা সৃষ্ট।
লিলিখ বা ধর্মে নারীর অমর্যাদা বিষয়ে কমবেশি জানা ছিল। এ লেখাটায় তা আরো শানিত হলো। ধন্যবাদ লেখককে :good:
নারীকে ইসলামে সবচাইতে বেশী অধিকার দিয়েছে। ইসালামের পথে আসুন নিজের জীবনকে সুন্দর করুন।
অনেক ভালো লাগল লেখাটা। অনেক কিছু নতুন জানলাম। thanks
:good:
ধর্ম সব করে রব, নারী ঘুমাইলো…
যেহেতু নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটে নাই, তাই আবহমান কাল থেকেই তারা পুরুষের দাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থার মত ধর্মগুলোও ভীষণ পুরুষতান্ত্রিক, তাই বরাবরই তারা পুরুষের শ্রেষ্ঠত্বের ছায়া তলে থাকাকেই জীবনের সার্থকতা বলে মেনে নেয়।
অতীতে যে অন্যায় গুলো হয়েছে, সেগুলো আবার সময়ের সাথে সংশোধন হয়েছে। কিন্ত ধর্মের বানীগুলো সংশোধন করা হয়নি। সেগুলো কে অক্ষত রেখে কিছু মনুষ্য তৈরি আইন আজ নারীর এগিয়ে চলার পাথেয়। তসলিমা নাসরিন ধর্ম সংস্কার করতে হবে একথা বলতে গিয়ে দেশ ছাড়া হয়েছিলেন। কোন একদিন আবার সেই ধর্মীয় বানীগুলো যে জেগে উঠবে না- তা বলা যায় না। তবে নারীর উপর সহিংসতার রুপ পরিবর্তন হয়েছে। যেমন, কোন নারীর শ্লীলতা হানি করতে পারলে একটা পরিবারকে চুপেচাপে এলাকা ছাড়া করা যায়। তাই একজন মেয়ে অনেকগুলো কারনে সহিংসতা র টার্গেট।
খুব ভালো লেখা তবে কিছু বলার আছে :
পরস্ত্রী কে বর্জন করা মানে সমগ্র নারীজাতিকে বর্জন করা নয় | হিন্দু ধর্মের এই উপদেশ তাই খুবই ন্যায্য | পরের বৌকে পটানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ |
নিরপরাধ নারীকে দিনই বা যে কোনো অপবাদে হত্যা করা অবশ্যই অতি নিন্দনীয় কিন্তু সত্যিকারের বদমায়েশ নারীকে দন্ড দেয়া নিন্দনীয় নয় |
যেসব নারী খুব বদ, পুরুষকে ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করে , পুরুষের জীবন বরবাদ করে দেয় মিথ্যা অভিযোগে , লোভের যার কোনো শেষ নেই , এই জাতীয় নারী সত্যি সত্যিই শয়তান এবং অশুচি | এদের বর্জন করাই উচিত |
এই ধরনের নারী আজ অতিমাত্রায় দেখা যায় | এরা বিরল নয় |
@যুক্তিবাদী
পুরুষদের ক্ষেত্রেও তাই হওয়া উচিত।
সব ধর্মেই নারী অচ্ছুৎ। তবুও নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি ধার্মিক হয় কেন? ভিকটিম যখন নিজেই ভিকটিম হতে পারে আনন্দিত ও গর্বিত তখন আর কি করার থাকে?
ধর্মে লেখাপড়ার কোনো বিধি আছে নাকি?
এখানে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি আছে । ধরুন বলা হল আপনি সাতার কাটতে পারবেন কোন বাঁধা নেই কিন্তু আপনার হাত পা সেঁকল দিয়ে বেঁধে দেয়া হল । তখন কিভাবে সাতার কাটবেন । বিষয়টা ঠিক তেমন ।
আপনার লেখা প্রথম পড়লাম। আমি খ্রিস্টান কিংবা ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে জানি না। কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে কিছুটা জানি। আচ্ছা আপু আমরা মশার ভয়ে নিজেকে কেন মশারির মধ্যে কেনো বন্দি করি বলতে পারবেন? কারণ আমরা যখন নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পরি তখনি মশা আমাদের হামলা করে। ঠিক সমাজেও মশার অনুরূপ কিছু পুরুষ আছে যারা দেখতে নিরীহ মনে হলেও সুযোগ পেলে কুকুর হয়ে যায়। মশারী না টানালেও আপনি কয়েল কিংবা অন্য কিছু দিয়ে মশা দমন করতে পারবেন, কিন্তু ঐ ধরনের পুরুষগুলোকে দমন করবেন কিভাবে? তারা অপরাধ করার আগে তো তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন
না।
আপনি সুন্দর কি না, যদি আমি না জানি তাহলে আমি অবশ্যই আপনার প্রতি আকর্ষিত হব না। আর যদি আকর্ষিত না হই তাহলে অবষ্যই আপনাকে নিয়ে খারাপ কিছু ভাববো না। ইসলামে নারীদেরকে পর্দা করতে বলছে একারনেই যে যারা তোমার ক্ষতি করার কথা ভাববে না যেমন বাবা, আপন ভাই, স্বামী, সন্তান আরো কয়েকজন ব্যাতীত অন্য যে কেও তোমাকে নিয়ে খারাপ কিছু ভাবতে পারে, তোমার ক্ষতি করতে পারে, তাই এদের থেকে দূরে থাকো, কারণ কার মনে কি আছে তুমি জানো না। আর যদি কোন নারী এটা না বুঝে বেপর্দা চলাফেরা করে, তার মানে সে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, যেনাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, তাই তাকে যেনাকারী বলা হয়েছে।
আর আপনি শিক্ষার বিষয়টা বলেছেন। আপনার এতোটুকু ধারণা অবষ্যই আছে যে প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে মেয়ে পাশাপাশি থাকলে তারা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং শারীরিক চাহিদা বেরে যায়। তাই ইসলামে এদেরকে আলাদাভাবে শিক্ষা দিতে বলা হয়েছে। ইসলামের কোথাও বলা হয়নি যে মেয়েদেরকে ক্লাস এইট পড়ালেই চলবে আর ছেলেদেরকে PHD করাতে হবে। বলা হয়েছে দোলনা হতে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহন করতে, সেটা ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, প্রযোজ্য মেয়েদের ক্ষেত্রেও….
যদিও লেখার বিষয় মোটেও পর্দা প্রথা কিংবা ইসলাম ছিল না । তবুও আপনার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি ।
আপনি কখনো কি আপনার মা , বোন , খালা, চাচির প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন ? নিশ্চই না । কারণ ছোট বেলা থেকেই আপনাকে শেখানো হয় এই নারীদের উপর আপনি আকর্ষণ বোধ করবেন না । এটা নৈতিকতা । যে কোন নারীর উপর আকর্ষণ বোধ করা আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক কিন্তু আপনি আকর্ষণ বোধ করেন বলেই তাকে ধর্ষণ করতে যাবেন না নিশ্চই , ঠিক যেমন কোন নারী যখন কোন সুপুরুষ কে দেখে তখনও আকর্ষ বোধ করে কিন্তু সে জানে এই পুরুষটিকে ধর্ষণ করা অন্যায় । এটাই মানবিক বোধ। আর যদি বোরখার কথাই বলেন তবে নারীকেই কেন বোরখা পড়তে হবে কেন পুরুষ কে নয় ? বিজ্ঞান বলে নারীর যৌন আকর্ষণ পুরুষের চেয়ে দশগুন বেশি সেক্ষেত্রে তো পুরুষেরই বোরখা পড়া উচিৎ তাই নয় কি ?
@ ফড়িং ক্যামেলিয়া,
তথ্যটা নিয়ে আরেকটু জানতে চাই, রেফারেন্স বা লিংক আছে?
টাইমসে একটা আর্টিকাল পড়েছিলাম বছর দুয়েক আগে। ডাটা সংগ্রহে রাখিনি তাই তারিখটা মনে করতে পারছি না । তবে সেক্স ডিফারেন্স ইন সেক্সচুয়াল ফ্যান্টাসি , সম্ভবত এলিস স্যামন্স এর লেখা , সেখানে যৌন ক্ষেত্রে নারীদের কে পুরুষের তুলনায় ৭ গুন সক্রিয় বলা হয়েছে। খুঁজলে আরও মিলবে।
“বিজ্ঞান বলে নারীর যৌন আকর্ষণ পুরুষের চেয়ে দশগুন”, এটি কোন প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সত্য নয়। নারী-পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষার তুলনা অত্যন্ত জটিল; বিষয়টি কেবল হরমোনের বিভিন্নতার উপরই নির্ভরশীল নয়, এর সাথে আচরণগত বিষয়ও জড়িত। জীবজগতে পুরুষ প্রাণীকেই প্রজননে বেশী সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দেখা যায় এবং এই পর্যবেক্ষণ নারীর যৌন আকর্ষণ/ আকাঙ্ক্ষা পুরুষের চেয়ে বেশী এই দাবীকে সমর্থন করে না।
অসাধারন লেখোনি।
হুম
ভাই, স্বপ্ন আপনি শুধু নারিকেই কেন বোরখায় আটকে রাখবেন! নারীরা কি পুরুষকে আকর্ষণ করে না? পুরুষেরও তো সেই ফরমূলায় বোরখা পরা উচিত! যদি কেবল যুক্তি দেখান তাহলে তা খোরা যুক্তি আর কেবল কোরান হাদিসের আলোকেই যুক্তিহীন ভাবে মেনে নিয়ে বলেন তাহলে অন্য কথা।
আদম বোকাটা বোঝে নি সে কি হারাচ্ছে! লিলিথের কথা ওল্ড টেস্টামেন্টএ আছে, আবার গ্রীক পুরানেও আছে?
লিলিথ চরিত্রটি গ্রীক পুরাণেও আছে তবে নাম ভিন্ন । লামিয়া ডিমন্স নামে পাওয়া যায় ।
আপনি কি জিউসের স্ত্রী/উপ-পত্নী লামিয়ার কথা বলছেন? গ্রীক পুরানে আদমের উল্লেখ বিভ্রান্তি তৈরী করতে পারে।
হ্যাঁ । লামিয়া কে লিলিথ এর একটা রূপ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। কোন কোন গবেষকের মতে লামিয়াই লিলিথ। আবার এমনও বলা হয় ইভ কে প্ররোচিত করা সাপটি ছিল লিলিথ। লিলিথ আসলেই একটা রহস্যময় চরিত্র।
ধন্যবাদ!
“কোন কোন গবেষকের মতে লামিয়াই লিলিথ। আবার এমনও বলা হয় ইভ কে প্ররোচিত করা সাপটি ছিল লিলিথ।”
এ সম্বন্ধে আরো কিছু পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করছি, অনলাইন কোনো রিসোর্স বা লিংক আছে?
এই ধরনের তথ্যবহুল লেখায় রেফারেন্সের সংযুক্তি অতি জরুরী যা লেখার মানকে আরও উন্নত করবে। রেফারেন্স দেয়া থাকলে পাঠক কেবল লেখকের মতামতের উপর নির্ভর না করে নিজেই বিস্তারিত জেনে কোন বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আমার উপরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একটা প্রশ্ন; লামিয়া যদি জিউসের (দেবতা) স্ত্রী হয়, তাহলে “আদমের থেকেও তার রূপ ছিল বেশি” এই তুলনার কি যুক্তি? গ্রীক পুরাণে কোথায় আদম আর লামিয়ার সম্পর্কের উল্লেখ আছে?