তিনি কখনো কোন রাস্তাঘাট পাহারা দেন না, রাস্তাঘাটে চাপাতি খুন, ত্যানার কি?
তিনি মুক্তমনা মানুষ ফানুস পাহারা দেন না, এ’রা মরলে বলেন ত্যানার কি?
তিনি কারো বেডরুম পাহারা দেন না, সেখানে কেউ জবাই হয়ে গেলে, ত্যানার কি?
তিনি কারো কার্য্যালয় কিন্তু পাহারা দেন না, সেখানে কারো গর্দান গেলে, ত্যানার কি?
তিনি তো পাহারা দেন না সারাদেশ, দেশে নাগরিক গনখুন, বলেন ত্যানার কি?
তিনি অন্তর্জাল পাহারা দেন না, কারে সাতান্ন ধারায় ধরল, মারল, ত্যানার কি?
তিনি কি সংস্কৃতির দারোয়ান? হোক বাংলাস্থান আরবীস্থান, আফগান, ত্যানার কি?
তিনি মহাবিদ্যান, শান্তির ধর্মের দেশে কে পাঠায় সৌদি বান্দি জানেন, ত্যানার কি?
তিনি দিনভর কেন কি যেন চিবোন, জানেনা, আঁতাতে আঁতাতে পোক্ত ক্ষমতা পান,
তিনি সবজান্তা গো, মহাজ্ঞানী, গদ্দীনশিন, ক্ষমতা এবং হেফাজতই শুধু চান,
তিনি তদন্ত বিনে পিরালীতে বলেন খুনির নাম, বলেন বিরোধী দলের কাম।
তিনি পীর কাদিয়ানী শিয়া হিন্দু পাহাড়ী কিংবা নাগরিক পাহারা কভু নাহি দ্যান,
তিনি সেই কুতকুত খেলা ছেড়েছুড়ে, মহানন্দে ঘুরেফিরে শুধু বেহাই বেহাই গান,
তিনি দুষ্টু দুষ্টু ছেলেপুলে পোষেন, কারা যেন দেশে শিশু মারে লাত মেরে, দু-উষ্টু,
তিনি ছেলেপুলেদের দুষ্টামি ও দ্যাখেন, মন্দির ভাস্কর্য ভাঙা সকল কেষ্টু বিষ্টু।
তিনি তো সরল, গির্জার দ্বাররক্ষী নাকি? পাদ্রী বিদেশী মরলে মরুক, ত্যানার কি?
তিনি কি এত সস্তা নাকি, চামচা কুলের আম্মু? মন্ত্রী ও দল পচা-ইলে, ত্যানার কি?
তিনি কি চাপাতির দোকান? জবাই টবাই এসব তথ্য তাহার কাজ? ত্যানার কি?
তিনি, কি যন্ত্রনা। কুমির বোকার কয়টি ছানা, তথ্য তাহার জানা, ধুরো, ত্যানার কি?
কাজী রহমান এই লেখাটি আমাকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে।
এই লেখার জন্য আপনার নাম লিষ্টে ঢুকবেনাতো? আপনার লেখায় তেনার অনেক কিছুই হতে পারে ভাই। তবে আপনার কবিতা লেখের হাত আছে, বুঝা যায়। চালিয়ে যান, যদি বুদ্ধুগুলির বুদ্ধি খোলে।
ত্যানার শুধুমাত্র একখানা কুমির ছানা থাকলেই হল, ওটাকে বারবার দেখাবে আর ফায়দা লুটবে। নাগরিকের কি হবে, কার নাম লিস্টে উঠলো আর কে মরলো ত্যানার কিচ্ছু আসে যায় না। মানুষ এখন ধীরে ধীরে ব্যপার বুঝে যাচ্ছে ত্যানাকে আর বিশ্বাস করা যায় না। ভন্ডামির দিন শেষ হল বলে।
গরু গাধা অনেক আছে, তেনার কথায় বিশ্বাস করে ও রাখে আর বিড়ালের ভাগ্যে যদি শিক্কে ছিড়ে। কিছু মোষ আছে যাদের দিয়ে কাজ করায় আর নিজের জন্য স্লোগান দেওয়ায়।
আপনার সামাজিক চেতনা নিয়ে বলছি না, সেটাতো স্বচ্ছতায় ঝকঝক করছে; আপনার কাব্যগুণ নিয়ে বলছি, তা খুবই সবল। কবি হিসাবে লোকজন আপনাকে আরো জানুক এই ইচ্ছা।
🙂
তিনি তো কখনো ইসলামী আঁধার দেখেননি , পৃথিবীতে এই আঁধার নেমে এলে ত্যানার কি ? ত্যানার কি ?
দামী কথা
নাম তার শেখ হাসিনা, লোকে বলে জাতির আপা।
অন্যের দোষ খুঁজেন সবতাতেই নিজের সব দেন ধামাচাপা।।
৫৭ ধারায় মারবে কিন্তু; আমাদের ওপর ওরা মহা ক্ষ্যপা 🙂
তেন্যার নাম কেয়া-মাল,কামাল, আইনের ভক্ষক
কথায় কথায় বলেন হাসিনা আপা আমার জান,তিনি জানেন আমি কি মাল।
ওহ হো রে ভাই বলছেন কি ইনিই সেই ভ্যজাল ?
বিচ্ছিন্ন যিনি? দিনরাত যে শুধুই পাড়েন ফাল?
হিটলারী গোঁফ? এটুসখানি ব্যাঁকা তাহার গাল?
দালাল মার্কা এই লোকটাই হাম্বা-ক ক্যা মাল?
ছ্যাঁদা নৌকায় নাগরিকদের করবেন পার খাল?
এই লোকটার ভেতর বাহির সকল হয়তো জাল?
ছদ্মবেশী চামচা লোভী করে বৃথাই যে গোল তাল।
কবিতা চাপাতি হয়ে ত্যানাদের আঘাত করুক :good:
নিশ্চয়; বটে নিশ্চয়, আজই যেন সেইদিন নিজ থেকে শুরু হয়।
বাংলাদেশের পুলিশ এবং আইন প্রয়োগকারী দলবল কেন নিহত মুক্ত মনের মানুষদের খুনিদের খুজতে অযথা সময় অপচয় করবে? এই কাজে কোন উপরি টাকাটা, রুই মাছটা, খাটি ঘিয়ের জারটা, বিলাতি মদের বোতলটার আশা গুড়ে বালি.
আহা কি যে বলেন, ওরা তো নিস্পাপ; একটু দুষ্টামি হয়েছে মাত্র। এ তো সময়ের দোষ। ওদের বস মহামান্য মহাজ্ঞানী কামেল মন্ত্রিসাব (দুঃ) কি বলেন জানেন তো? দুই পুলিশ খুন হয়েছে কারণ ওরা কিঞ্চিৎ অসতর্ক ছিল। সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর খুনিরা তো ঢাকঢোল বাজিয়ে সতর্ক করতে করতে আসেনি, পুলিশের দোষ দ্যান কেন খামোখা। খুনিরা আওয়াজ করে বলে কয়ে আসবে, না’হলে কি হয় নাকি?
বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নাই। শুধু মানুষ জবাই করার জন্য ইসলামিস্ট আছে।
ইসলামিস্ট কারা। বুঝায়া বলো। বুঝি নাই :unsure:
আমার সংযোজন :
তিনি তো অন্তর্জাল পাহারা দেন না , ৫৭ ধারায় ধরে নিয়ে গেলে ত্যানার কি ? ত্যানার কি ?
হাহ হা দারুন বলেছেন। আপনার দেওয়া লাইনটা যোগ করে দিতেই হবে :good:
যে কেউ এই রকম লাইন দিতে পারেন। দেখা যাক ত্যানারে কে কত ত্যানা ত্যানা করতে পারে। ত্যানা হলেই জুড়ে দেবো 🙂 অনেক ধন্যবাদ
আমার মনের কথা ভাষা পেয়েছে এই কবিতায়। ধন্যবাদ কবি!
এখানটায় ফিরে আপনাদের দেখলেই মন ভরে যায়; নতুনরাও হয়ত বল পায়। এখনই সময় যে ভাই।
এ সময়ে এমন বারুদ কবিতাই আরো বেশি বেশী বের হয়ে আসুক আপনার কলম থেকে……
আর সকল আম জনতাকে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য দেশের ও বিদেশের প্রগতিশীল লেখক,বুদ্ধিজীবি,কবি, নাট্যকারসহ সকল ছাত্র-জনতা ও বিবেকবান মানুষ যে যেখানে আছেন রাস্তায় নেমে আসুন।প্রতিবাদে এবং প্রতিবাদে প্রতিবাদমূখর হই আর খুনিদের প্রছন্ন সহযোগি এ সরকারকে বাধ্য করি খুনিদের ধরা এবং বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করানো, এ দ্বীপ্ত শপথ নেই। আজ সময় হয়েছে রুখে দাঁড়ানোর , তানাহলে আমাদের পুরো জাতিকে অনেক বড় খেশারত দিতে হবে যদিও ইতিমধ্যে আমরা দেশের সবচাইতে বড় রত্নদের হারিয়েছি।
জয় বাংলা।
<strong>কলম চলুক দূর্বার গতিতে,ছিন্নভিন্ন হউক সকল চিন্তার জড়তা.……………………………..
আপনার মন্তব্যখানি সবাই পড়ুক এবং জরুরী ভিত্তিতে কিছু করবার দ্বায়িত্ব পালন করুক।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সায়ন কায়ন।
চরম দুঃসময়ে দুঃসাহসিক কবিতা।
ধন্যবাদ সৈয়দ জাহেদ হোসেন। মুক্তমনার ব্লগার’রা এখনো দু’হাত খুলে; মন খুলে লেখা দেয়নি। এখনি সময়।