আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্বের কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাচল সীমিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে। অস্ট্রেলিয়া শুরু করেছে কিন্তু এটা ফলো করেছে আরো কয়েকটি দেশ। যে নির্ভরযোগ্য ইন্টেলিজেন্স ইনফরমেশনের কথা তারা বলছে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত একটি সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত। যদিও বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে তাদের কাছে এরকম কোন তথ্য নেই, এই সতর্কতার কোন কারণও তারা খুঁজে পাচ্ছেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটিকে দুঃখজনক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। বিএনপিতো উড়িয়েই দিয়েছে জঙ্গিবাদের অস্তিত্বের প্রশ্নটি।
পশ্চিমা বিশ্ব বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে যতোটা উদ্বিগ্ন, পরিস্থিতি সেই মাত্রায় উদ্বেগজনক না হলেও চিন্তার কারণ আছে বৈকি। এটিকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা দেশের জন্য দূরবর্তী লক্ষ্যে ক্ষতিকর হবে বলেই আমার ধারণা। কারণ রাষ্ট্রের কার্যকলাপে বা গৃহীত পদক্ষেপ বিবেচনায় নিলে বুঝা যায়, দেশে গজিয়ে উঠা ধর্মীয় উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্র অপরাধ হিসেবে দেখছে। রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে আমলে নিচ্ছেন। ফলে শাস্তির আওতায় এনে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা দৃশ্যমান। কিন্তু সুদূর ভবিষ্যতে সেটি কার্যকর কোন পদক্ষেপ হিসেবে কাজে নাও লাগতে পারে। কারণ বৈশ্বয়িক টালমাটাল ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের বীজ কিন্তু ১৯৪৭ থেকেই পোঁতা আছে এই মাটিতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্ট অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্নের বিপরীতে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের অঙ্কুরে পানি ঢালার শাসকের অভাবও হয়নি দুঃখিনী বাংলাদেশে। ফলে সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়েই ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের অঙ্কুরোদগম এখানে হয়েছে। বীজতলা ছাড়িয়ে শাখা প্রশাখা ছড়িয়েছে বলেই আজ কাঁটাময় আগ্রাসী রূপ জানান দিচ্ছে সময় বুঝে। রাষ্ট্রকে আগে ডিফাইন করতে হবে নাস্তিক হত্যার নামে দেশে যে চাপাতির খেলা চলছে সেটা কি অপরাধ নাকি রাজনৈতিক সমস্যা। এটাকে অপরাধ হিসেবে দেখলে পুরো চিত্রটা পরিষ্কার হবেনা আবার নেহাত সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নিত করলেও হবে সুদূর প্রসারী ভুল। এটিকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে এবং রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। হেফাজতের মধ্যযুগীয় দাবি দাওয়ার সাথে নেগোসিয়েশানের বদলে প্রকৃত সেক্যুলার রাজনৈতিক ধারাকে শক্তিশালী করতে হবে। মধ্যপন্থী অবস্থান নিয়ে মিটমাটের চেষ্টা আসলে সঠিক পদক্ষেপের বদলে উগ্রপন্থী ধারাকে সুরক্ষা দেবে এবং দেশকে দীর্ঘ মেয়াদে আরো বেশি অস্থিতিশীল করে তুলবে।
বার্নাড লুইস তার দ্যা রুটস অব মুসলিম রেইজ বইতে বলেছেন ‘খৃস্টান প্রধান পশ্চিমে ধর্ম এবং রাজনীতির যে পৃথকীকরণটা ঘটেছে সেটি মুসলিম প্রধান পূর্বে ঘটেনি’। ঘটেনি কারণ রিলিজিয়াস ইস্ট সেক্যুলারিজমের প্রয়োজনীয়তাই খুঁজে পায়নি। যেটিকে স্যামুয়েল হান্টিং-টন বলছেন দুই সভ্যতার দ্বন্দ্ব। তিনি বলছেন ‘দুই সভ্যতার মধ্যে এতো বেশি পার্থক্য বিদ্যমান যে সেটা উভয়ের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে’। যিনি এটিকে ইসলামী মৌলবাদের সমস্যা বলতেও নারাজ, বলছেন ‘ এটি ইসলামী সভ্যতার সমস্যা। যেই ইসলামি সভ্যতা তাদের সংস্কৃতি নিয়ে সুপিরিয়রটি কমপ্লেক্সে ভুগে এবং ক্ষমতা নিয়ে ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভুগে’। যদিও চতুর্থ শতকে যখন ইউরোপকে একক ব্যানারে সংগঠিত হবার ডাক দেয়া হয়েছিলো সেটি ছিলো খ্রিস্টানিটির ব্যানার, সেক্যুলার কোন ব্যানারে নয়। ঈশ্বরের নামে ক্রুসেডকেও জায়েজ করা হয়েছিল। যারা বিধর্মীদের হত্যা করাকে অপরাধ মনে করেনি, মনে করেছিলো অমঙ্গলকে বিনষ্ট করার কাজ। পরবর্তীতে কিন্তু এই পশ্চিমা সভ্যতা স্টেট এবং রিলিজিয়ন বা ধর্ম ও রাজনীতি পৃথক করে ফেলেছে। আবার সেই পশ্চিমা সভ্যতাই সেক্যুলার লাল আতঙ্ককে ঠেকাতে ইসলামী সভ্যতার সবুজ আতঙ্ককে আজকের এই আগ্রাসী স্তরে নিয়ে এসেছে। ক্রীড়নকের ভূমিকা কিংবা সর্বোচ্চ দায় বর্তমান সেক্যুলার ওয়েস্টের আছে বটে কিন্তু রিলিজিয়াস ইস্টের রিলিজিয়াস ইসলাম এবং পলিটিক্যাল ইসলাম সমান্তরালে এগিয়ে নেয়ার ভ্রান্ত নীতিও সমানুপাতিক হারে দায়ী। সেক্যুলার ওয়েস্টের জিও পলিটিক্সের কাছে আদিস্তরের ইসলামকে ধরে রাখার মানসিকতার রিলিজিয়াস ইস্ট ধরা খেয়ে গেছে। ইসলাম প্রবর্তনের শুরুতে নবী মুহাম্মদ শুধুই মানবতাবাদ, একেশ্বরবাদ বা সামাজিক উন্নয়নের কথা বলে ইসলামের প্রচলন করেননি। এর সাথে রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামাজিক ইস্যুকেও সমানভাবে ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নবী মুহাম্মদ একাধারে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক ভূমিকা সামলেছেন। বর্তমান রিলিজিয়াস ইস্টও রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের পৃথকীকরণটা করেনি ঠিকই কিন্তু ম্যান অব পেন এবং মেন অব পাওয়ারের একটা সেপারেশান ঠিকই হয়েছে। কিন্তু ঝামেলাটা হয়েছে মেন অব পেন সবসময়ই মেন অব পাওয়ারের অধীনস্থ থেকেছে। ফলে প্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে, সভ্যতা এগোয়নি। আবার মেন অব পাওয়ার সবসময়ই ধর্মকে প্রয়োজনীয় ভেবেছে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনায় এবং প্রয়োজনানুসারে ব্যবহার করেছে অধীনস্থ মেন অফ পেনের বুলি বের করে নিয়ে। লাল আতঙ্কের সাথে পশ্চিমা সভ্যতার মূল দ্বন্দ্বটা ছিলো অর্থনীতির, বাজারের। সবুজ আতঙ্কের সাথেও দূরবর্তী দ্বন্দ্ব বাজারেরই। এটাকে জায়েজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদ কেন, অন্য কোন বাদও যদি সামনে আনতে হয়ে সেটি পশ্চিমা সভ্যতা সামনে আনবে এবং পূর্ব সেই ফাঁদে জড়াবেই কারণ ইসলামী অর্থনীতি বাজার অর্থনীতিরই আরেক রূপ।
প্রশ্ন হচ্ছে এইসবের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কটা কিসে? প্রথমত বাংলাদেশ মুক্তবাজার অর্থনীতির অংশ। এখানে বাজার চলছে পশ্চিমের প্রেসক্রিপশনে। এই বাজার রক্ষার স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব প্রতিনিয়ত বলে এসেছে বাংলাদেশ একটি মডারেট মুসলিম রাষ্ট্র। সুবোধ এই ‘মডারেট মুসলিম রাষ্ট্র’ পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধারণ করলেও ইদানীং বেশ কিছু ইস্যুতে মতবিরোধ হয়েছে। এছাড়াও ইদানীং কালের অভিজিতসহ অন্যান্য লেখক-ব্লগার-নাস্তিক হত্যাকাণ্ড এবং সেই পরবর্তী রাষ্ট্রের ভূমিকা পশ্চিমা বিশ্ব ভালো ভাবে নেয়নি। বাংলাদেশে মানবাধিকার সংগঠন গুলোকে ভুঁইফোড় সংগঠন হিসেবে মনে করা হলেও বাইরের বিশ্বে এরা বেশ প্রভাবশালী এবং প্রভাবকের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। বাইরের বিশ্ব যেখানে বাক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলছে সেখানে আমাদের রাষ্ট্র বলছে এসব সহ্য করা হবেনা। ৫৭ ধারার প্রয়োগ চলছে নির্বিশেষে। হেফাজতকে তোয়াজ করার রাষ্ট্রীয় কৌশলও দৃশ্যমান। লতিফ সিদ্দিকীর (যতোই তিনি ক্লিন ইমেজের লোক না হোক) ইস্যুটাও বাইরের বিশ্ব দেখেছে বাঁকা চোখে। ফলে মডারেট রাষ্ট্র হিসেবে যে সার্টিফিকেট এরা বাংলাদেশকে দিচ্ছিলো সেটিতে ভাটার টান।
এছাড়াও রাষ্ট্র সামগ্রিক এই বিষয়গুলো কিভাবে মূল্যায়ন করে, কি ধরণের পদক্ষেপ নেয় সেটাও বিবেচ্য রাষ্ট্র সম্পর্কে জাজমেন্টাল হবার ক্ষেত্রে। যেখানে পাকিস্তানে কোন দেশই জাতীয় দল পাঠাতে আগ্রহী নয় সেখানে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট টিম পাঠিয়ে দিয়েছে। এটা কি সিগন্যাল দেয়? বাংলাদেশ কি তবে এই ঝুঁকিতে অভ্যস্ত? কেউ যদি পাকিস্তানের পরিস্থিতি আমলে নেয় তবে সে ঝুঁকি দেখবেই কিন্তু অন্যকেউ আমলে নেবেনা তখনই যখন সে এটিকে গতানুগতিক হিসেবে নেবে বা এই ধরনের পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত হবে। ফলে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নেতিবাচক ধারণা পশ্চিমাদের অস্বাভাবিক নয়। এর বাইরে প্রভাব বিস্তারের আন্তর্জাতিক রাজনীতিতো আছেই। কোন দেশে প্রভাব বিস্তার করতে গেলে সেটিকে হয় জঙ্গিবাদী হিসেবে দেখাতে হবে, নয়তো জঙ্গিবাদের চাষ করতে হবে।
সেজন্যই বলছিলাম বাংলাদেশ যতোদিন রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মকে প্রয়োজনীয় মনে করবে, ততোদিন মৌলবাদী বা জঙ্গিবাদী রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করা যাবেনা। রাষ্ট্র এবং ধর্মের পৃথকীকরণের প্রয়োজনীয়তা, যেটা রিলিজিয়াস ইস্ট প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই অপ্রয়োজনীয় মনে করে এসে বর্তমান জঙ্গিবাদের ঘোর-টোপে আটকে পড়েছে, সেই একই পরিণতি হয়েছে এশিয়া সাবকন্টিন্যান্টের পাকিস্তান-আফগানিস্তানের। সেই পথের পথিক নিশ্চয়ই বাংলাদেশ হতে চায়না। তাই কান পাতার সময় এখনই। হে প্রিয় মৃত্তিকা শুনতে কি পাও?
(লেখাটি অক্টোবর ০৯ তারিখে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়েছে ভিন্ন শিরোনামে)
আশাবাদী আমরা সবাই । সামনে সুদিন আসছে ।
ভ্রান্ত নীতি কার চোখে? কারা এসব রিলিজিয়াস ইসলাম এবং পলিটিক্যাল ইসলামের প্রস্ততকারক? কাদের তৈরী এইসব ভ্রান্তি? এসব বদমাশগুলোর কি আর স্বেচ্ছা ভ্রান্তি হয়? নাগরিক, তা মৌলবাদী, মডারেটদের বা মুর্খ যে’ই হোক, নীতি নির্ধারণ করে কি তারা আদৌ? খেজুর বাগানের ওয়াহাবী সবুজ গুন্ডারা এখনো ওই ওয়েস্টের ছায়াতেই বাদশাহী টিকিয়ে রাখছে। ইস্ট, ইসলাম, সেকুরারিযম, ন্যায় অন্যায় এসবের তোয়াক্কা করে নাকি সউদের গুষ্টি? যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় যাদের লাভ হয় তারা ইস্ট বা ওয়েস্ট নয়, তারা প্রবঞ্চক, রক্তচোষা বদমাশ। সব দেশে সব কালে এদের চরিত্র একই। এরা সবাই ধর্ম নামের ব্রম্মাস্ত্র ব্যবহারে অতিশয় পটু, এদের সাথে নাগরিকের সম্পর্ক শুধু ধর্মান্ধতা, মুর্খতা কিংবা অসহায়ত্বের। ওরা কেউ ধরা খায়নি, এদেরকে ধরা খাওয়ানো হয়েছে; নয় কি? অনেক দিনের সুনির্দিস্ট পরিকল্পনা, শিক্ষা আর কাজ বিনে কিছু হবে কি? নাগরিকের ধর্মান্ধতা, মুর্খতা নিমিষে পাল্টাবার নয়, তাই আজকের শিশুদের নিয়েই কাজ শুরু করাটা খুব জরুরী মনে হয়।
শুভেচ্ছা।
আপনার মতো এই অসুরীয় ক্ষোভ আমারো কাজী ভাই। সব সাপেরই দাঁতে বিষ। মূল ফ্যাক্ট ঐ বাজার। ওটা দখলের জন্যই এতো খেলা। এতো কিসিমের জাতীয়তাবাদ, এতো কিসিমের রাজনীতি।
মধ্যপ্রাচ্যে সুবাতাস আনার চেষ্টা এক নেসার’ই করেছিলেন আমার দৃষ্টিতে। তাকে ঠেকাতে সি আই এ উন্নিশো পঞ্চাশেই কাজে লাগায় কিং ফয়সালের লালসাকে। ইসলামিজমের আজকের এই ভয়ঙ্কর পলিটিক্যাল ইসলামের পথে হাঁটা শুরু সেই থেকে। আমেরিকার লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যের বাজার আর লাল আতঙ্ক ঠেকানো, কিং অব সৌদের লক্ষ্য গদি পাকাপোক্ত করা আর পছন্দের বাজারে কদর বাড়ানো। নাগরিকের কথা থোড়াই কেয়ার করে ক্ষমতার লিপ্সায় উন্মত্ত এই ভন্ডরা।
আমিও আপনার মতো নতুনের দিকে তাকাতে আগ্রহী। আসুক আলো, কাটুক আধাঁর, ফুটুক মুখে হাসি।
অনেক ধন্যবাদ কাজী ভাই।
ধনী আরররা বিত্ত, আমোদ, প্রমোদ আর দীর্ঘ্যকালীন ক্ষমতা রক্ষার জন্য অবিরাম ষড়যন্ত্র করেছে, সুবিধাবাদী অথবা পশ্চিমের সঙ্গে আঁতাত করেছে, জাতিভেদ করে দাগ কেটেছে, নাগরিকের বারোটা বাজিয়ে। পূব পশ্চিম দশদিক প্রায় সকল শাসকদেরও তো সেই একই অবস্থা। এরা তাদের আয়েশী শাসন ক্ষমতা জলাঞ্জলি দেবে না। নাগরিকের অধিকার নাগরিকদেরই আদায় করে নিতে হবে। নাগরিক যদ্দিন না তৃনমূল পর্যায় থেকে, একেবারে প্রাথমিক ভাবনায় চিন্তাশীল না হবে, ততদিন এই চক্র চলতেই থাকবে। আজকেও বেশিরভাগ মা বাবারা তাদের শিশুকে ধর্মান্ধ করে বড় করে। মজার কথা, এইসব মা বাবারাই আবার সেই একই শিশুকে যুক্তিবাদী হতে শেখায় ধর্ম বাদে অন্য সব কিছুতে। নিজেরাই যেখানে এই আচরণ করে তৃপ্ত, নিজেরাই যেখানে মগজধোপা সেখানে আমরা ক’জন কতটুকু শক্তি? তবু, তবুও আপনি আমি আমরা নিজেদের পুড়িয়ে যে টুকু পারি আলো জ্বালতেই থাকব।
ভালো থাকুন দেবু’দা।
<strong>তাই কান পাতার সময় এখনই। হে প্রিয় মৃত্তিকা শুনতে কি পাও?
আপাতত মনে হয় না কেউ শুনতে পাচ্ছে ,তানাহলে তো অভি-অনন্তসহ সকলকে চাপাতি দিয়ে খুন করার পরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় মিছিলের বন্যা বইয়ে দিত…ববং ওই মৃত্রিকার মানুষজন এখন অনন্তকাল স্বর্গে যাবার ও পাবার নেশায় বুদবুদ হয়ে আছে…ধর্মের আফিম এমনই নেশাখোর করেছে জাতিকে কোনকিছুতে আর সঠিক হুসজ্ঞান নাই।
কলম চলুক দূর্বার গতিতে,ছিন্নভিন্ন হউক চিন্তার সকল জড়তা.……..
মৃত্তিকা শুনতে পেলেও তার কিছু করার নেই। ভূখণ্ডের কিছু করার থাকে না। যা করার তাতে বসবাসরত মানুষেরাই করে। একটি ভূখণ্ডকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলে মানুষ। আবার তাকে মানুষের বাসের অযোগ্যও করে মানুষই। নাস্তিক লেখকদের হত্যার উৎসব হচ্ছে বাংলাদেশে। সরকার হত্যাকারীদের চাপাতিতে ধার দিয়ে দিচ্ছে। এখনো বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে কি?