যে তিনটি অনুভুতি মানুষের জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে থাকে, সেগুলি হলো ভালবাসা, রাগ এবং ঘৃণা। কোন মানুষ কে হত্যা করতে হলে মুলধন হিসেবে যে অনুভুতি লাগে, সেগুলি হচ্ছে রাগ এবং ঘৃণা। মানুষ চিন্তার দিক থেকে জন্মগতভাবে স্বাধীন। যখন কাউকে চিন্তার দিক থেকে সীমাবদ্ধতা তৈরী করে দেওয়া হয়, তখন তার চিন্তা সীমাবদ্ধ না হয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিকৃত হয়ে যায়। সে তার চিন্তাকে শ্রেষ্ট বলে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। কারণ, সে অন্যের মতো হতে পারছে না বলে, সে চায় সবাই তার মতো হয়ে যাক। যখনই সে নিজের মতো করে স্বাধীনভাবে চলতে পারছে না, তখনই তার মধ্যে তৈরী হচ্ছে অন্য মতাবলম্বীদের প্রতি রাগ এবং ঘৃনা। মনের অজান্তেই এই রাগ এবং ঘৃনা বাড়ছেই এবং সে উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে।
সৃষ্টির পরে মানুষ যখন চিন্তা করতে পারলো, তখন থেকেই মানুষের মধ্যে চিন্তার পার্থক্য ছিলো। প্রতিটি মানুষই তার নিজের মতো করে চিন্তা করতো, বলে একজনের চিন্তা অন্য থেকে ভিন্ন ছিলো।
দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যেও মতামতের পার্থক্য থাকে। সবার ভাল লাগা, খারাপ লাগা একরকম না। সবার রুচিও একরকম না। সাধারণত একটি পরিবারে সবার ভাত রান্নার ধরন একরকম না। কেউ একটু শক্ত করে ভাত রান্না করে, কেউ নরম করে রান্না করে। কেউ একটু নরম ভাত পছন্দ করে, কেউ শক্ত ভাত পছন্দ করে। মানুষের রুচি, কাজ, চিন্তার মধ্যে ভিন্নতা থাকবেই। এটা জগতের স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এই স্বাভাবিক নিয়ম, অস্বাভাবিক হয় তখনই, যখন কেউ তার সীমাবদ্ধ চিন্তাধারাকে অন্যের উপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দিতে চায়। আর এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই মূলত প্রাচীনকাল থেকে চিন্তাশীল ব্যক্তিদের হত্যা করে আসছে সীমাবদ্ধ চিন্তার বিকৃত মানুষগুলি। স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের জন্য খৃস্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকে সক্রেটিসের মতো দার্শনিককে হেমলক বিষ পান করিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। বিজ্ঞানী ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। লেনিনের বড় দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছিলো। এরকম শত,হাজার উদাহরণ ইতিহাসে আছে।
স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের জন্য মুক্তচিন্তার মানুষকে হত্যার ধারাবাহিকতা প্রাচীনকাল থেকে আজও অপরিবর্তিত রয়েছে। বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের জন্য লেখক হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে অর্ধমৃত করা হয়। পরে তিনি এই মারা যান। তারপর রাজীব হায়দারকে। সম্প্রতি দেশে তিনজন লেখক ব্লগারকে হত্যা করা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে হত্যা করা হয় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞান লেখক অভিজিত রায়কে। তারপর গত ৩০মার্চ ২০১৫ তারিখে হত্যা করা হয় ব্লগার ওয়াশিকুর বাবুকে। ১২ মে ২০১৫ তারিখে সর্বশেষ হত্যা করা হয় ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে। সাম্প্রতিক এ হত্যাগুলো প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত সকল মুক্তচিন্তক হত্যার ধারাবাহিকতার রেকর্ডকে সম্ভবত ছাড়িয়ে গেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মে পর্যন্ত সময় ছিলো মাত্র পঁচাত্তর দিন। এরকম ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দেশে বছরে হত্যা করা হবে ১৫ জন ব্লগার এবং লেখককে।
পৃথিবীতে যুগে যুগে যত বুদ্ধিজীবি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তার মধ্যে বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবি নিজ দেশের সরকারের কাছে বড় ধরণের সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন। সক্রেটিস ছিলেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আজকের বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরাও সরকারের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছেন। দেশে সরকারের ভাল মন্দ বিচার এবং সমালোচনা করার ক্ষমতা শুধু তাদেরই আছে। এজন্যই হয়তো খুনিদের গ্রেফতার এবং বিচার না করে গত কয়েকদিনে সরকার তার পরিষ্কার অবস্থান বুঝে দিয়েছে। ব্লগার হত্যায় সরকারের লাভ বৈ ক্ষতি হচ্ছেনা।
শিশু যখন কোন কারণে বিশৃঙ্খলা বা বিদ্রোহ করে থাকে তখন অবিভাবকেরা কোন খেলনা দিয়ে খেলার ব্যবস্থা করে শিশুর মনোযোগ ফিরিয়ে দিয়ে তাকে শান্ত করেন। তেমনি জনগণের আন্দোলন এবং বিদ্রোহ থেকে মুক্তির জন্য সরকার ব্লগার হত্যার খেলা দেখাচ্ছে আর আমরা সে খেলা দেখে শান্ত হয়ে আজ বাকরুদ্ধ। পেট্রোল বোমা থেকে মনোযোগ ফেরানোর জন্য চাপাতি কিরিচের চেয়ে উপযুক্ত খেলনা বুঝি দেশে আর কিছু নেই আজ। ম্যাকিয়াবেলী বলেছিলেন, শাসক হবে সিংহের মতো বলবান এবং শিয়ালের মতো ধূর্ত। আমাদের সরকার ম্যাকিয়াবেলীর সূত্র প্রয়োগ করে ধন্য হচ্ছে আর আমরা সরকারের কাছে বারবার বিচার চেয়ে নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি।
৬ অক্টোবর ১৯৮২ সাল। সিলেটের সুবিদবাজারের বনকলাপাড়ার নুরানী-১৩/১২ নং বাসায় জন্মগ্রহণ করেন লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ। তার পিতার নাম রবীন্দ্র কুমার দাশ এবং মাতার নাম পিযুষ রানী দাশ । দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। অপুর্ব সুন্দর একটা ফুটফুটে শিশু যখন বাবা-মায়ের কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলো, তখন বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছিলেন অনন্ত বিজয়। সাধারণ অর্থে অনন্ত বিজয় বলতে বুঝায় সীমাহীন সাফল্য। আর ব্যাখ্যা করে যদি এর বিশেষ অর্থ বুঝানো হয়ে থাকে, তাহলে তার অর্থ দাঁড়ায় চির মুক্তি। বাবা-মা যখন খুব সাধ করে অনন্ত বিজয় নাম রেখেছিলেন, তখন হয়তো একবারও ভাবতে পারেন নি তারা এই নামের মতোই একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সারাটা জীবন যে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে, যে মুক্তির জন্য জীবন দিয়েছে, শত হুমকি পাওয়া সত্তেও যে একবারও মৃত্যুভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চায়নি সে মানুষটিই তো চিরমুক্ত। তার নামই তো হতে পারে অনন্ত বিজয়।
তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় যে মানুষটি টিফিনের টাকা নিয়ে বই কিনতে যেতো, যে মানুষটি সারাটা জীবন বই সংগ্রহ করে নিজের কক্ষটাকে বইয়ের গুদাম বানিয়েছিলো, সে মানুষটির কি জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিলো বই পড়া এবং লেখক হওয়া!
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিভাগে অনার্স, মাস্টার্স পাস করার পর তিনি পূবালী ব্যাংক জাউয়াবাজার শাখায় এসিস্ট্যান্ট ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিজ্ঞান বিষয়ক ছোটকাগজ যুক্তির সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত গ্রন্থসমুহ হলোঃ
১। পার্থিব (সহলেখক – সৈকত চৌধুরী), শুদ্ধস্বর,ঢাকা ২০১১
২। ডারউইনঃ একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনা (সম্পাদিত) অবসর,ঢাকা,২০১১
৩। সোভিয়েত ইউনিয়নে বিজ্ঞান ও বিপ্লবঃ লিসেঙ্কো অধ্যায়, শুদ্ধস্বর,ঢাকা ২০১২
৪। জীববিবর্তন সাধারন পাঠ (মুল- ফ্রান্সিসকো জে.আয়াল, অনুবাদঃ অনন্ত বিজয় দাশ ও সিদ্ধার্থ ধর) চৈতন্য প্রকাশন, সিলেট ২০১৪।
এছাড়াও মুক্তমনা ব্লগে তিনি অসংখ্য প্রবন্ধ লিখেছেন।
ইসলামিক চিন্তাবিদ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে ছিলো তার আন্তরিক সম্পর্ক। বিপদের সময় সকল মানুষের পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দাঁড়াতে কুন্ঠাবোধ করেন নি কখনো। সারাটি জীবন মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেলেও এমন নৃশংস হত্যার শিকার হতে হয় তাকে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শয্যাশায়ী বাবার প্রস্রাব, পায়খানা পরিষ্কার করা ছিলো তার প্রধান কাজ। তারপর বাবার ন্যাপি পরিবর্তন করে বাবাকে গোসল করিয়ে দিয়ে নিজে গোসল করতে যান। এরপর বাবাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে বাবার যাবতীয় কাজ শেষ করে নিজে নাস্তা করে বাবা-মাকে আদর দিয়ে ব্যাংকের উদ্দেশ্যে বের হন। গত ১২ মে ২০১৫ তারিখেও এর কোন ব্যাতিক্রম হয়নি। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ব্যাংকে যাওয়ার সময় বাসার সামনেই হত্যাকারীরা ধাওয়া করে তাকে। জীবন বাঁচানোর জন্য বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করে পাশের নুরানী দিঘির পাড় পর্যন্ত যান। সাতার না জানার কারণেই দিঘিতে ঝাঁপ দিতে পারেন নি। হাত দিয়ে চাপাতি আটকাতে চাইলে খুনিরা চাপাতি দিয়ে তার দুটো হাতই আলাদা করে দেয়। সে কোপে হাতের একটি আঙ্গুলও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একসময় দিঘির পাড়ে একের পর এক চাপাতির কোপে মাথার মগজ বের করে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় খুনিরা। সদা হাস্যজ্জ্বল মানুষটির এমন নির্মম মৃত্যু দেখে কিভাবে মেনে নিতে পারেন শয্যাশায়ী বাকরুদ্ধ বাবা, অসুস্থ মা, পরিবার এবং আপনজনেরা!
কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন, মানুষ মানুষের কাছে সবচেয়ে সমুন্নত জীব। বাংলাদেশে মার্ক্সের এ উক্তি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আজকের বাংলাদেশে মানুষ মানুষের কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব। পিছনদিক থেকে চাপাতি দিয়ে মাথায় আক্রমণ করে মগজ বের করে দেওয়ার মতো বড় অসভ্যতা পৃথিবীতে আর কি হতে পারে!
আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বলেছে, তারা অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিয়েছে। স্রষ্টায় বিশ্বাস করলেও তাদের কথা থেকে বুঝা যায়, স্রষ্টার কাছে কোন ফয়সালা নেই, সকল ফয়সালা তাদের কাছে। তারা চাইলেই কাউকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতে পারে। আর চাইলেই কাউকে জান্নাতে পাঠিয়ে দিতে পারে। তাদের কথা, কাজ এবং বিশ্বাসের মধ্যেও কোন সামঞ্জস্য দেখা যাচ্ছে না। বেওয়ারিশ ইয়াতিম শিশুদের মাদ্রাসা শিক্ষার নামে ব্রেইন ওয়াশ করে এরকম হত্যা শিখানো যেমন দুঃখজনক তেমনি ভয়ংকরও বটে।
আমার স্বাধীন দেশের পুলিশের দায়িত্ব দেখে অনন্ত বিজয় দাশের মতোই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে পুলিশের দায়িত্বটা আসলে কি? অনন্ত বিজয় দাশরা যদি পুলিশের উপর নির্ভর না করে নিজ দায়িত্বে একেকটা কুকুর পুষতেন তাহলে হয়তো নিরাপত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতেন আজও।
আজ সন্দেহ হয়, আমার দেশ কি আসলেই কো্নো দেশ! কোন নির্দিষ্ট ভূখন্ডে নির্দিষ্ট জনসমষ্টি, সরকার এবং সার্বভৌমত্ব থাকলে তাকে রাষ্ট্র বা দেশ বলে। বাংলাদেশের নির্দিষ্ট জনসমষ্টি হলো, আইএস, আলকায়েদা, জামাত-শিবির, হেফাজতে ইসলাম, আওয়ামীলীগ, বিএনপি ইত্যাদি।
বাংলাদেশের সরকারের কাজ হচ্ছে খুনিকে খোঁজা, ধরা না। সরকার অভিজিত হত্যার পর থেকে আজপর্যন্ত খুব দায়িত্বের সাথে সে কাজ করে যাচ্ছে।
সার্বভৌমত্ব বলতে প্রথমেই বুঝায় কোন দেশের নাগরিকের স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার। সম্প্রতি অভিজিত রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয় দাশরা জীবন দিয়ে সে অধিকার ভোগের প্রমাণ দেখিয়েছেন।
এদেশ কি আসলেই কারো দেশ, নাকি স্তান! পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো আরেকটা স্তান বাংলাস্তান!
বাংলাদেশ নিয়ে যারা সুন্দর স্বপ্ন দেখছেন, তারা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ঘুমাচ্ছেন আর স্বপ্ন দেখছেন। আর আমরা যারা ঘুমাতে পারিনা, তারা নিজের মতো করে একেকটা স্ট্যাটাস প্রসব করি। হত্যাকারীদের গালাগাল করি। তারপর আবার ভদ্র হয়ে যাই। আবার ঘুমন্ত মানুষগুলির স্বপ্নে আমরা বিভোর হই। আবার চাপাতির কোপে আরেকটা মগজ ছিটকে দেওয়া হয়। আমরা আবারও স্ট্যাটাস প্রসব করি। কিন্তু মুক্তি দিতে পারিনা অভিজিত আর অনন্তদের। হাজার বছরেও ধরণী প্রসব করতে পারেনা একেকটা অভিজিত আর অনন্ত কে।
আমার স্বাধীন দেশের পুলিশের কর্ম কাণ্ড সবসময় এরকম ছিল বা বা জনগণের বন্ধু ……….
<img style="width:400px" src="
অসাধারণ মেধার অধিকার করেছেন বলে এত সুন্দর ও প্রাণমুগ্দ লেখা লিখেছেন । আপনারা আমাদেরকে পথ চলতে আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত করছেন।
আমরা আছি থাকব।
না, অভিজিত রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়রা অধিকার ভোগ করতে পারেনি । তাদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের অধিকার হরণ করতে গিয়ে ঘাতকরা তাদের জীবন হনন করেছে।
বাংলাদেশ সরকার ভাবছে, দেখি না কী হয় …………পালিয়ে যাবে কোথায়, দেখি না কী করে
দিদি। তোমার কাছ থেকে কিছু শেখার জন্য বন্ধু করলে ধন্য হবো ।
যে সমাজে সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্ব কায়েমের জন্য কিছু অন্ধকারের কীট বিনা বাধায় কিলবিল করার সুযোগ পায়, সেই সমাজে বইপড়া, মুক্তমনা হবার জন্য জীবন দিতে হয়। অভিজিৎ, বাবু, অনন্ত জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন জীবন থেমে থাকে না।
কলম চলবে।
সত্য কথা। আমারা খুবই দুর্ভাগা। আর আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করছি, ঠুকছি মুক্তচিন্তার কাফিনে শেষ পেরাক।
আমার স্বাধীন দেশের পুলিশের দায়িত্ব দেখে অনন্ত বিজয় দাশের মতোই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে পুলিশের দায়িত্বটা আসলে কি? অনন্ত বিজয় দাশরা যদি পুলিশের উপর নির্ভর না করে নিজ দায়িত্বে একেকটা কুকুর পুষতেন তাহলে হয়তো নিরাপত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারতেন আজও।
চমৎকার লেখা! আরোও লিখুন।