ভারতীয় পিকে সিনেমায় দেবদেবীকে মানহানী করা হয়েছে এই মর্মে অভিযোগ করে আদালতে গিয়েছিল কিছু দেবদেবী প্রেমি হিন্দু ধার্মীক। ভারতীয় আদালত অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছিলো যে, তারা সিনেমায় মানহানীকর বা আপত্তিকর কিছু দেখতে পাননি। ভারতীয় আদালত সম্ভবত ধর্মীয় অনুভূতি দ্বারা প্রভাবিত হয় না। বা পাবলিক সেন্টিমেন্ট দ্বারাও প্রভাবিত হয় না। পিকে ইস্যুতে অবশ্য পাবলিক সেন্টিমেন্ট সিনেমাটির পক্ষেই ছিল। প্রমাণ স্বরূপ শেষপর্যন্ত ৬০০ কোটি রুপি ব্যবসা করে ফেলেছে ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে কমেডি করা এই সিনেমাটি! তার মানে দর্শকদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগেনি সিনেমাটি দেখে। আমাদের ধর্মীয় মৌলবাদী নেতাদের অভিজ্ঞতা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানী’র পিকের প্রশংসা করাকে বিস্মিত করেছে! ভারতে পিকের মত সিনেমা হিন্দু ধর্মানুভূতিতে কোন রূপ আঘাত লাগার ঘটনা তো ঘটেইনি উল্টো ছবিটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসা সফল ছবির মর্যাদা লাভ করেছে। বাংলাদেশে পিকে’র মত ছবি তৈরি (মুসলিম বিশ্বাস নিয়ে কমেডি) আগামী দুইশো বছরেও সম্ভব হবে না। ইসলাম স্যাটায়ার করার জিনিস না। ইসলাম বাকী দুনিয়াকে নিয়ে স্যাটায়ার করতে পারবে কিন্তু ইসলাম নিয়ে স্যাটায়ার ইসলাম কোনদিন মেনে নিবে না। এসব আমাদের সবারই জানা কথা। আমরা সেভাবেই চলি। আমাদের সিনেমা, নাটক, গল্প, উপন্যাস সব সময় ইসলাম, নবী, সাহাবী ইত্যাদি বিষয়ে ভুলেও “মজা” করার কথা ভাবতেই পারি না। ধর্ম নিয়ে স্যাটায়ার মুসলিম বোধের বাইরে। পুরো বিশ্ব জেনে গেছে ইসলাম নিয়ে স্যাটায়ার মুসলিমদের কতটা ক্ষুব্ধ করে। এর ফল কতটা ভয়াবহন হতে পারে গোটা বিশ্বের অজানা নয়। ইসলাম নিয়ে রশিকতার বদলা নিতে খুন করতে দ্বিধা করে না ইসলাম ও নবী প্রেমি জিহাদীরা। বাকী মুসলিম সমাজ সেই খুনের সমর্থন করতে প্রকাশ্যে দাঁড়ায়। আর আছে কিছু ভদ্রগোছের আধুনিক লেবাসের মুসলিম, তারা “স্যাটায়ার করাও খারাপ হয়েছে, খুন করাটাও খারাপ হয়েছে” বলে ইসলামকেই ডিফেন্স করে। কাজেই আপনাকে মানতেই হবে ইসলাম নিয়ে হাস্যরস করলে তার পরিণতিটা আপনাকে আগেই ভেবে নিতে হবে। আপনি কি দাঙ্গা চান? আপনি কি এই রিস্ক নিবেন যে আপনার ঠাট্টা-তামাশার বলি হোক কিছু নিরহ মানুষ? একটা দাঙ্গায় প্রাণ যাক অগুণতি সাধারণ মানুষের যারা হয়ত নবী মুহাম্মদ সর্বমোট কয়টি বিয়ে করেছেন সেই তথ্যটিই জানেন না! তাই, আমরাও চাই না এই মুহূর্তে “পিকে” তৈরি হোক আমাদের এখানে। ভারতে হিন্দুরা সিনেমা হলে বসে পিকে দেখতে বসে হাসতে হাসতে পপকনের বাটিই উলটে ফেলে দিয়েছে। একবার দেখে বন্ধুকে নিয়ে দু’বার দেখতে গেছে। আমরা আমাদের সিনেমা হলে এরকম কোন স্যাটায়ার তিন ঘন্টা ধরে সহ্য করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মাইনি। পর্দায় আগুন দিয়ে, সিনেমা হলকে পুড়িয়ে, প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতাদেরকে মেরেধরে, ফাঁসি চেয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেই তবে ক্ষ্যান্ত হবো! তাই অনুভূতির জ্বালা আর শান্তির স্বার্থে আমরাও আপাতত চাই না ইসলাম নিয়ে কোন স্যাটায়ার, কমেডি, বিদ্রুপ, ঠাট্টা, রসিকতা হোক…।
কিন্তু নবী জীবনী কি নবীকে নিয়ে স্যাটায়ার? দুনিয়ার সমস্ত ইসলামী স্কলার, যুগ যুগ ধরে অত্যন্ত শ্রদ্ধা আর সম্মানের সঙ্গে যাদের স্মরণ করা হয় নবী জীবনীকার হিসেবে, কুরআনের সঠিক ও সর্বসম্মত ব্যাখ্যাকারী হিসেবে “ইবনে হিশাম”, “ইবনে ইসহাক”, “ইবনে কাথির”…প্রমুখদের কি নবী কুৎসা রটনাকারী বলতে হবে? আজ তাদের লিখিত নবী জীবনের কোন অধ্যায়কে যদি নিজের ভাষা শৈলীতে প্রকাশ করা হয়- কেন তা “নবী অবমাননা” হবে? এতগুলো বছর, এতগুলো যুগ চলে গেলো কখনো কোন ইসলামী স্কলার এই সমস্ত বইগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবী করেননি। মুসলিমদের বইগুলো এড়িয়ে যাবারও আহ্বান জানাননি। বলেননি গ্রন্থগুলো দুর্বল বা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং তারা নিজেরা বার বার নবী মুহাম্মদকে জানতে ইবনে হিশাম, ইবনে ইসহাককে পড়তে পরামর্শ দিয়েছেন। আজ নবী মুহাম্মদকে জানতে আমাদের হাদিস, সিরাত ছাড়া আর কোন উৎস আছে কি? একজন মুসলিম কেমন করে তার প্রিয় নবীজিকে জানার কৌতূহলকে মেটাবে? ইরানী লেখক আলি দস্তির “টুয়েন্টি থ্রি ইয়ারসঃ এ স্টাডি অফ দ্যা প্রফেটিক ক্যারিয়ার অফ মুহাম্মদ” পড়ে যদি আমাদের মনে হয় যে একজন মুসলিম তার নবীকে খারাপ হিসেবে ভাবতে পারে তাহলে ইবনে ইসহাক পড়ে একজন বিশ্বাসী মুসলিমের তার নবী সম্পর্কে কি ধারনা জন্মাবে? আজকের যুগের একজন বোধ সম্পন্ন শিক্ষিত ভদ্র মানবিক মুসলিম তার নবীকে কি চোখে দেখবে?
শুধুমাত্র নিম্নাঙ্গের চুল গজিয়েছে এরকম বালকদেরকে ষড়যন্ত্রকারী আখ্যা দিয়ে হাত পিঠ মুড়া পরিখা খনন করে হত্যা করা হচ্ছে নবীর নেতৃত্বে! রায়ের বাজার বধ্যভূমির ছবি দেখে আমরা শিউরে উঠি। ইবনে ইসহাক বর্ণিত এই নবীজির ছবি কি কিছুতেই “ইহুদীদের হাতে অত্যাচারিত নবী মুহাম্মদকে” মেলানো যায়? আমাদের শেখানো হয়েছে নবী কাফেরদের কাছে মার খেয়ে তাদের জন্যই দোয়া করছেন “প্রভু এরা জানে না এর কি করছে, এদের তুমি ক্ষমতা করো”! আমাদের শেখানো হয়েছে কল্পিত ইহুদী বুড়ির কাঁটা পুঁতে রেখে নবীকে কষ্ট দেয়া আর নবীর সেই বুড়িকে প্রতিশোধ না নিয়ে উল্টো তার সেবা করা! “নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর” আসলেই অস্বস্তিকর। অন্তত মদিনা গমনের পরেরটুকু। বাল্যকাল থেকে দেখা আসা মুহাম্মদ যেন পাল্টে গিয়েছিল আরবদের কাছে! তার প্রমাণ কুরআনের মক্কী আর মাদানী সুরার সুর পাল্টে যাওয়া। কুরআন তাই কোথাও উদার, সহনশীলতার বাণী, আবার সেই একই বিষয়ে প্রতিশোধ, হত্যা, রক্ত, লোভ, লালসা আর লাম্পট্যের ফ্রি লাইসেন্স দেয়ার ঘোষণা!
রোজকার মুসলিমদের ধর্মকর্ম, একজন মুসলিমের লেবাস-ছুরত, চিন্তা-চেতনা সমস্ত কিছু নির্ভর করে হাদিসগ্রন্থগুলোর উপর। প্রত্যহ মুসলিমরা যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে সেই উঠবস, যে নির্দিষ্ট শারীরিক কসরত তার সমস্তটাই হাদিস থেকে, কুরআনে এসবের কোন বর্ণনা নেই। সবচেয়ে সহি আর গ্রহণযোগ্য ইমাম বুখারী সংগ্রহকৃত হাদিসগুলোকে ধরা হয়। সেই ইমাম বুখারীর হাদিস থেকে নবী মুহাম্মদকে একজন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহিৃত করা যা অতি সহজে! দেখতে পাই কেমন করে নবী সাফিয়াকে যুদ্ধে (আসলে আক্রমণ) তার স্বামী-ভাইদের হত্যা করে সেইদিনেই তাকে গণিমতের লুটের মাল হিসেবে বিছানায় তুলে নিয়ে “বাসরঘর” সম্পন্ন করেন! হাজার বছর ধরে ইমাম বুখারীর এইসব সহি হাদিস “নবীর বিরুদ্ধে কুৎসা” রটনা হিসেবে দেখা হয়নি। আজতকও পবিত্র হিসেবে যে সব গ্রন্থ চুম্বিত মুসলিমদের কাছে সেই গ্রন্থেগুলোর সহায়তা নিয়েই লেখা বইকে কেন নিষিদ্ধ করতে হবে “নবীর বিরুদ্ধে অবমাননা” অভিযোগে? আলি দস্তির “টুয়েন্টি থ্রি ইয়ারসঃ এ স্টাডি অফ দ্যা প্রফেটিক ক্যারিয়ার অফ মুহাম্মদ”-এর বঙ্গানুবাদ “নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর” আবুল কাশেম আর সৈকত চৌধুরী অনুবাদ করেছেন। হযরত মুহাম্মদের ঐতিহাসিক কোন ভিত্তি নেই। হাদিস, সিরাত কোনটাই ইতিহাসের বই নয়। কয়েক প্রজন্ম ধরে মুখে মুখে চলে আসা গল্পের মধ্য দিয়েই নবী মুহাম্মদকে জানার একমাত্র উৎস। আলি দস্তির তার উৎস এর বাইরে থেকে গ্রহণ করেনি কারণ সেটা সম্ভব নয়। ইসলামের কোন ইতিহাস নেই বা রাখা হয়নি। আবুল কাশেম আর সৈকত চৌধুরী সেই ইংরেজি বইটিকে শুধুই অনুবাদ করেছেন বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য। রোদেলা প্রকাশনী সেই বইটিকেই প্রকাশ করেছেন পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। নবী মুহাম্মদের জীবনীর উৎস যেখানে সহি হাদিস আর সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত সিরাত গ্রন্থগুলো- সেখানে এসবকে রেফারেন্স করে লিখিত কোন ইংরেজি বইকে অনুবাদ করে ছাপার অপরাধে কেন একজন প্রকাশককে আজ মৃত্যুর ভয়ে আত্মগোপন করে থাকতে হবে? কেন তার প্রকাশনী সংস্থাকে বন্ধ করে দেয়া হবে? কেন পুস্তক প্রকাশনি সমিতি রোদেলা প্রকাশনীকে বহিস্কার করবে? কেন জাতির মননের প্রতীক বাংলা একাডেমি রোদেলা’র স্টলকে বন্ধ করে দিয়ে বইমেলায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করবে? “নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর” বইটি কোন স্যাটায়ার নয়, এটি একটি নবী জীবনী গ্রন্থ। এমনকি এটি কোন উপন্যাস নয়। যীশুকে নিয়ে সারামাগো’র লিখিত “যীশু খ্রিস্টের একান্ত সুসমাচার”-মত কোন কল্পনার আশ্রয়ের কোন সুযোগ এখানে নেই যা একজন উপন্যাসিক ভোগ করে থাকেন। একজন জীবনীকার চান একজন রক্তমাংসের মানুষকে তুলে ধরতে। একজন সৎ জীবনীকার ভক্তি বা বিদ্বেষ থেকে কারুর জীবনী লিখেন না। আলী দস্তির লিখিত নবী জীবনী যদি কারুর কাছে বিদ্বেষময় মনে হয় তাহলে তারা এতদিন হাদিস আর সিরাতগ্রন্থগুলোকে টিকিয়ে রেখেছেন কেন? বাংলা একাডেমি যেহেতু এতবড় নবী কুৎসাপূর্ণ বইকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে তাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করেছে তারা কি এই মেলাতে খুঁজে দেখবে ইবনে হিশাম বা ইবনে ইসহাকের কোন বাংলা অনুবাদ আছে কিনা? বুখারী হাদিস তো অবশ্যই পুরো ভলিউম পাওয়া যাবে। বাংলা একাডেমির তো আজই উচিত খুঁজে খুঁজে সেইসব স্টলগুলোকে বন্ধ করা! ইসলামী ফাউন্ডেশন কি হাদিস গ্রন্থগুলো নিষিদ্ধের কার্যক্রম গ্রহণ করবে? আমরা হাদিস থেকে নবীকে বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়িক, গণহত্যাকারী, আক্রমণকারী হিসেবে দেখালে তার দায় আমাদের নয়- হাদিস গ্রন্থের। নবীকে আমরা জানতে পেরেছি হাদিস আর সিরাত গ্রন্থ থেকে।
মানতে যতই আপত্তি থাকুক তবু এটাই সত্য যে বাংলাদেশে হাটহাজারী ঠিক করে দিবে এখানে কতটুকু বলা যাবে আর কতটুকু বলা যাবে না। রকমারি যখন অভিজিৎ রায়ের বইকে হিযবুর তাহরির এক জঙ্গির হুমকির মুখে তাদের সাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছিল- সেই আত্মসমর্পন থেকে বাংলা একাডেমির আত্মসমর্পন সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। বাংলা একাডেমি যখন ইসলামী অনুভূতিকে ভয় পেয়ে একটি পুরোনো, বহুল পঠিত গ্রন্থকে নিষিদ্ধ করে দেয় তখন বাংলাদেশের তথাকথিত প্রগতিশীল, মননশীল আর সৃজনশীলতার চর্চার কেন্দ্র যে মৌলবাদীদের দয়ায় বেঁচেবর্তে আছে সেটা দিন-দুপুরের মত পরিস্কার হয়ে যায়। এখন বাংলা একাডেমির মনোগ্রামে উপরে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” লিখে নিজেকে সমস্ত রকম ধর্ম বিরোধী জ্ঞান চর্চার বিপক্ষে বলে দাবী করে আগে থেকেই নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারে। গোটা দেশটা যখন হাটহাজারী হয়ে উঠবে তখন প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারবে। রোদেলা প্রকাশনী নিয়ে আর কি কি হবে ভাবতে পারছি না। বেশি দুশ্চিন্তা হচ্ছে প্রকাশককে নিয়ে। ওমর ফারুক লুক্স ভাইয়ের একটা ফেইসবুক পোস্ট পড়েছিলাম। তিনি লিখেছিলেন, ফেইসবুকের প্রথম দিকে তিনি কোন রকম মন্তব্য না জুড়ে শুধুমাত্র হাদিস হুবহু কপি-পেস্ট করেও বিস্তর গালাগালি খেয়েছেন! এই হিসেবে রোদেলা প্রকাশনীর ও দুই অনুবাদক (আবুল কাশেম ও সৈকত চৌধুরী) তো বিরাট অপরাধ করেছেন! এর কাফফারা গালাগালি দিয়ে শেষ হবে আশা করা যায় না। এ যে নবী জীবনী! শুনকে যতই অদ্ভূত লাগুক, একজন মুসলিমকে সবচেয়ে বেশি ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিতে পারে তাদের নবী জীবনীই! প্রকাশক আর অনুবাদকরা ইসলাম নিয়ে স্যাটায়ার করেনি, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেনি- কিন্তু তারচেয়েও ভয়ংকর অপরাধ করেছেন, তারা নবীজির জীবনীর অনুবাদ করেছেন!
সুন্দর লেখা। পড়ে ভালো লাগলো। এতদিন পড়িনি বলেই আফসোস লাগছে।
নাস্তিকরা সেটা জেনে বুঝেই ঝুঁকি নেয়। সে ভাল করেই জানে এর জন্য একদিন না একদিন তাকে চাপাতির তলায় বেঘোরে প্রাণ দিতে হবে। তারপরও যুগে যুগে মানুষ এই ঝুঁকি নিয়েছে। বলি হয়েছে চাপাতির তলায়। এর জন্য কি মুক্তচিন্তার চর্চা করা, নবিকে নিয়ে স্যাটায়ার করা বন্ধ হয়েছে? বরং তুমুল বেগে বৃদ্ধি পেয়েছে এই স্যাটায়ার। আজকে স্কুলগোয়িং কিশোর-কিশোরীরাও নামে বেনামে নবিকে নিয়ে স্যাটায়ার করছে। এগুলো নিঃসন্দেহে তথ্যপ্রযুক্তির অবদান।
এই লেখাটা আগেই চোখে পড়েছিল, কিন্তু বিভিন্ন সমস্যায় মন্তব্য বা লেখাটি নিয়ে আলোচনা করতে পারি নি। আজ মন্তব্য করেই বসলাম। লেখাটি খুব ভাল হয়েছে। লেখককে অনেক ধন্যবাদ।
পড়ে ভালো লাগলো। সহিদুল ইসলাম না কে যেন বেশী চিল্লাচিল্লি করছে উপরে! তিনি কোরান নিয়ে গবেষণা করতে বলছেন, আরো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন কোরানের ভূল দেখানোর জন্য। অবাক হলাম! আজকাল সব সচেতন ব্যক্তিই জানে কোরান ভূলে ভরপুর, এরপর ও কেমনে এমন দাবি করছেন তা জেনে সত্যিই অবাক হলাম। যাইহোক, নিচের লিংকে ৫০+ কোরানের ভূলের উল্লেখ আছে, কোরানের আয়াত নাম্বার সহ। সেগুলোর সব উত্তর দিতে পারলেই কমেন্ট করবেন। না হয় তা আপনার জন্য লজ্জাজনক হতে পারে। লিংক: https://wikiislam.net/wiki/Scientific_Errors_in_the_Quran?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C1511876712
ভাই আপনার দেওয়া লিংকে গিয়ে অযথা সময় নস্ট হলো। কুরআনের বিরুদ্ধে যেসব কথা বলা হয়েছে তার প্রত্যেকটির জবাব ইসলামিক স্কলাররা দিয়েছেন। ভাই ইসলামকে নিয়ে বিচার করতে হলে শুধুমাত্র এইসব Article যথেস্ট নয়। একটু ইসলামীক সোর্সগুলোও ফলো করুন।
যৌক্তিক দাবী…….।
শুনকে যতই অদ্ভূত লাগুক, একজন মুসলিমকে সবচেয়ে বেশি ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিতে পারে তাদের নবী জীবনীই! প্রকাশক আর অনুবাদকরা ইসলাম নিয়ে স্যাটায়ার করেনি, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেনি- কিন্তু তারচেয়েও ভয়ংকর অপরাধ করেছেন, তারা নবীজির জীবনীর অনুবাদ করেছেন!
বইটি নিসিদ্ধ হওয়ার উপযুক্ত কোন কারন দেখাতে পারেনি তথাপি কিছু কাঠমোল্লা দের সন্তুষ্ট করতে বইটি নিসিদ্ধ হল, খুবই আপসোস এর বিসয়। তাছাড়া বইটি মুলত অনুবাদ, এর দারাই বোঝা যায় মুমিন বান্দারা তাদের নিজেদের হাদিস কুরান কেই সমর্থন করেনা।
যাই হক, আমরা কি তবে বঞ্চিত থাকবো বইটির বাংলা অনুবাদ পড়া থেকে, না তা হতে পারেনা। প্লিজ আমাদের জন্য পদফ ভার্সন অনলাইনে দিন যাতে আমরা ডাউনলোড করে পড়তে পারি।
সব ই বুঝলালাম কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই আমার মাথাই আসে না আপনারা ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কাটাছেড়া করতে এত পছন্দ করেন কেন । ভাই এত বুদ্ধি বিবেক সব একদিন বৃথা হয়ে যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ সবচেয়ে উত্তম বিচারক ।
@পীর দেওানবাগী,
নিশ্চয় আল্লাহ সবচেয়ে উত্তম বিচারক ।
দেখুন কোন ধরম্মই বলে না যে খারাপ কাজ করো।
কোন ধরমই বলে না যে যার সাথে ইচ্ছা তার সাথে সেক্স করো।
আল্লাহ কে আপ্নাদের মানতে problem কোথায়?
সব কিসু কি যুক্তি দিয়ে হয়?
যদি হয় তাহলে বলেন ডিম না মুরগি আগে?
@শোভন,
ভাই আপনি নিতান্তই ভদ্রলোক মনে হচ্ছে।
এই রকম একটা ধর্ম দেখান ??
ভাই আপনি যদি ইয়াজিদি গোত্রের হতেন তাহলে আর এই কথা আপনার মুখে থাকত না। বলতে বাধ্য হচ্ছি এইসব ইয়াজিদিদের মতো আপনার মা-বোনের সাথেও কেউ যদি দাসীর মতো আচরণ করত তাহলে বুঝতেন। ক্থায় কথায় ইস্লামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এইসব হচ্ছে বললে কি লাভ!! আপনার ব্যাখ্যা যে ভুল না, আপনি নিশ্চিত ??
জনাব সুষুপ্ত পাঠক এবং যারা এই ব্লগটিকে পড়ছেন,
আশা করি আপনি এক জন মুক্তমনা হিসেবে বাক স্বাধীনতায় যথেষ্ট বিশ্বাস করেন। আপনার লেখাটির কথা প্রসঙ্গে একজন অমুসলিম(হিন্দু) হিসেবে কিছু কথা না বলে থাকতে পারছি না।
প্রথমত, আপনি যে হিন্দি ছবির রেফারেন্স দিয়ে বললেন যে এখানে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করার পরেও হিন্দু কমিউনিটি তেমন কোন সহিংস প্রতিক্রিয়া দেখায় নি, সেটির প্রসঙ্গে ভারতের বিচার বিভাগ তো রায় দিয়েই দিয়েছে যে এই ধরনের কিছু হয়নি। এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে ভারতের বিচার বিভাগ অন্যতম স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।
দ্বিতীয়ত, আপনি ইসলাম ধর্ম বা এই ধর্মের এক জন ধর্মীয় ব্যক্তি সম্পর্কে যেই রেফারেন্স গুলু তুলে ধরলেন, তা আমি এক জন সাধারন হিন্দু হিসেবে মেনে নিতে পারলাম না। প্রতিটি ধর্মের ২ টি দিক থাকে। দিক ২ টি হল ইহলৌকিক এবং পরলৌকিক। এবং প্রতিটি ধর্মের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস বা ইসলামের ভাষায় ঈমান।
যারা আমাদের মতো ধর্মের সাধারন অনুসারী বা অন্য কথায় আপনার মতো মহাপণ্ডিত নাহ, তারা কিন্তু ধর্মটাকে বিশ্বাস থেকেই পালন করে থাকি। ধর্মের এই পরলৌকিক ব্যাপারটির কারনেই কিন্তু আমাদের সামাজিক শৃঙ্খলা অনেকাংশে বজায় থাকে বা অন্য ভাবে বলতে গেলে ধর্মই তা বজায় রাখছে।
একই ভাবে, রাষ্ট্রের কিছু আইন থাকে যাতে এই শান্তি- শৃঙ্খলা বজায় থাকে। আমি বিশ্বাস করি, কোন ধর্ম পণ্ডিতের কোন কিছুর দোহাই দিয়েই অধিকার নেই এই শান্তি- শৃঙ্খলা নষ্ট করার।
এখন আসছি, এই বইটি সম্পর্কে। আপনি বিলক্ষণ জানেন যে মূল বইটি একটি অত্যন্ত বিতর্কিত বই। যদি উক্ত লেখকবৃন্দ শুধু মাত্র নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে অনুবাদ করে থাকতেন, তাহলে উনারা অবশ্যই বিতর্কিত অংশগুলুতে তাদের নিজস্ব অবস্থান ব্যাখ্যার দাবি রাখে, যেটি তারা করেননি। এখন স্বভাবতই এটি সন্দেহ হয় যে, এই অনুবাদ বইটি বর্তমানের অস্বস্তিকর সময়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা মাত্র কিনা।
আপনি বলার চেষ্টা করেছেন, বাংলা একাডেমী এই বইটি নিষিদ্ধ করে ধর্মীয় উগ্রতার কাছে নতি স্বীকার করেছে, কিন্তু ভাই, আমি দেখছি বাংলা একাডেমী আমাদেরকে আরেকটি রামু’র পরিণতি থেকে বাচিয়ে দিলো। আমাদের মুসলিম প্রধান এই বাংলাদেশে, প্রধান ধর্মীয় গোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আপনি বা আমি তথাকথিত বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাবো তা বোধ হয় আশা করা উচিত নাহ। দায়িত্বহীন বাকস্বাধীনতার ফলাফল কত খারাপ সেটা সম্পর্কে আপনি এতটা জানা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনাকে সমর্থন করছেন সেটা এই সাধারন পাঠক বুঝে উঠতে পারেনি। আর যদি আপনার কোন ধর্মীয় উন্মাদনা নতুন করে তৈরির অভিপ্রায় থাকে তাহলে ভিন্ন কথা। (FF)
@বিজয় সাহা,
ইসলামকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য ধন্যবাদ।
@ সুষুপ্ত পাঠক,
৯৫% মুমিন মুসলমানের পাকিস্তান অনেক আগেই হিন্দু ও আহম্মদী মুসলিম শুন্য হয়েছে। অতি অল্প সময়ে খ্রীষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়কে মেরে কেটে সাফ করা হবে। এরপর শুরু হবে আসল খেলা। সুন্নি-সুন্নি বিভক্ত মাহাজাবে লেগে যাবে ঘেউ ঘেউ। বেঁধে যাবে কামড়া মাকড়ি। সন্দেহ আছে?????
আপনি দেখছি মহা পণ্ডিতি করছেন,, আপনি তো মুসলিম নন। তবে মুসলিমদের বিশ্বাসে আঘাত করার বীজ বুনছেন যা মোটেও কাম্য নয়। ইসলামের নবী মহান চরিত্রের অধিকারী এমনটাই কুরআন বলছে। আবার তিনি নিজের কুপ্রবৃত্তি থেকে কিছু করেন নি এটাও কুরআন সাক্ষ্য দেয়। নবী নিষ্কলুষ, তার চরিত্রে কালিমালেপন কেবল অমুসলিমরাই হিজিয়ে বিজিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে করে থাকে। ইসলাম কখনো আগে যুদ্ধে জড়ায় নি বরং সবসময় প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধে জড়িয়েছে। আপনি আমাদের নবী সমন্ধে খুবই মন্দ কথা বলেছেন। আজ অবধি শুনেছেন মুসলিমরা কোন ধর্ম বা তাদের ধর্ম গুরুকে নিয়ে হাসি তামাশা করেছে,? এসব মুক্তবুদ্ধি না বরং কুবুদ্ধি। এসব কুবুদ্ধি ছাড়ুন। কারো ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত করা, ধর্ম সমন্ধে মিথ্যা জাবরকাটা কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী। আর এসব লেখার জবাব উপযুক্ত সময়ে লেখনীর মাধ্যমে আমিও প্ররান করব।
ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং পবিত্র ধর্ম। এ ধর্ম চুলকানি বাদ দেন।
@ বিজয় সাহা,
আমার সেন্দেহ হছ্ছে আপনি ‘বিজয় সাহা’ ছদ্দ আবরণে মুমিন প্রজাতির নেকড়ে না তো? যাক, আমার ভুলও হতে পারে।
“একাডেমী আমাদেরকে আরেকটি রামু’র পরিণতি থেকে বাচিয়ে দিলো। আমাদের মুসলিম প্রধান এই বাংলাদেশে, প্রধান ধর্মীয় গোষ্ঠীর অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আপনি বা আমি তথাকথিত বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাবো তা বোধ হয় আশা করা উচিত নাহ। দায়িত্বহীন বাকস্বাধীনতার ফলাফল কত খারাপ সেটা সম্পর্কে আপনি এতটা জানা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনাকে সমর্থন করছেন সেটা এই সাধারন পাঠক বুঝে উঠতে পারেনি। আর যদি আপনার কোন ধর্মীয় উন্মাদনা নতুন করে তৈরির অভিপ্রায় থাকে তাহলে ভিন্ন কথা।”
দেখুন, আফগানিস্তানে মুমিন তালেবানরা সে দেশে একটি অতি পুরাতন এবং অতি নিরীহ বৌদ্ধ মূর্ত্তিকে সহ্য করতে পারেনি। ডিনামাইট দিয়ে সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি জানিনা, রোদেলা প্রকাশনি টাইপের কোন পুস্তক রচনার কারনে তালেবানরা রামু’র ঘটনার মত হটাৎ বিগড়ে গিয়েছিল কিনা!!
এবার পাকিস্তান প্রসঙ্গে আসা যাক। ৪৭ এর দেশ বিভাগের পর পাকিস্তানে মুস্লিম-হিন্দু দাঙ্গা আর থামিয়ে রাখা যায় নি। মন্দিরের কাসার ঘন্টা, উলি ধ্বনি এবং এমনকি সামান্য পানির ছিটা ও পানের পিক ফেলা কে কেন্দ্র করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুস্লিমরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের মেরে কেটে সাফ করে দেশ ছাড়া করেছে। যে কারনে আজকের পাকিস্তানে হিন্দু নেই বল্লেই চলে। কিন্তু তাতে কি? হিন্দু শুন্য পাকিস্তানে মুমিনরা তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। এবার তারা চড়াও হল সংখ্যালঘু আহম্মদী মুস্লিমদের(ওদের ভাষা কাদিয়ানী) উপর। এ ক্ষেত্রেও মেরে কেটে সাফ করে অমুসলিম ঘোষণা করে তবেই ক্ষান্ত হল। অতপর জারি করা হল ব্লাসফেমি আইন। এতেও পাকিস্তানী মুমিনদের পেট ভরল না। একের পর এক ব্লাসফেমি আইনের আওতায় এখন শুরু হয়েছে খ্রীষ্টান দমন-পিড়ন। নিজেরাই কোরাণ পুড়িয়ে গোপনে গির্জায় রেখে পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে চড়াও হছ্ছে সংখ্যালঘু খ্রীষ্টান পল্লীতে। বহুল আলচিত আসিয়া বিবির কাহিনী কেনা জনে। শুনেছেন নিশ্চয়? মৌলবাদের পিঠ চাপড়ে এখন শুরু হয়েছে তালেবান তোষন। এবার দ্বিগুন উৎসাহে মুমিনরা ঝাপিয়ে পরেছে শিয়া মুসলিমদের উপর। প্রতি জুম্মাবারে শিয়া মসজিদে বোমা বিষ্ফরন এখন অতি মামুলি বিষয়। পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে তাতো নিশ্চিত হয়ে বলা যায় অতি সত্বর পাকিস্তানে খ্রীষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায় হিন্দুদের মতই বিলিন হয়ে যাবে। এরপর শুরু হবে বড় খেলা। সুন্নি-সুন্নি বিভক্ত মাহাজাবে শুরু হবে আসল লড়াই। আমরা সেই দিনটি দেখার অপেক্ষায় আছি। দুধ-কলা দিয়ে ইসলামী কালসাপ লালন পালন করলে পরিনিতী এই হয়।
তো জনাব @ বিজয় সাহা- আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে পাকিস্তানের এই ক্রোনিক্যালে রোদেলা প্রকাশনী টাইপের কোন বেয়াড়া পুস্তক দায়ি কিনা???? গাটর্স থাকলে উত্তর দিন।
@ফুলবানু, ফুলবানু… আপনি ইসলাম না মানলে কারো ক্ষতি হবে না। কেও আপনাকে কিছু বলবেনা। তবে ইসলাম কে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করলে কোনো মুসলমান আপনাকে ছেড়ে কথা বলবে না। আপনি আল্লাহ কে আল্লা বললে আপনার কোনো লাভ হবেনা আর যদি আল্লাহ বলেন তাহলে আপনার কোনো ক্ষতি হবেনা। দয়া করে ইসলাম কে নিয়ে কোনো ধরনের বাজে কমেন্ট করবেন না।
ভুল বানানগুলো যথা সম্ভব সংশোধন করে দেয়া হলো।
মুল লেখকেরর উদ্দেশ্যেঃ
লেখাটি কি আমার মন্তব্যের জবাব কি না বুঝতে পারছি না। যাহোক আপনার পূর্বের লেখা যেমন নিজের ইচ্ছে মত লিখেছেন, বর্তমানেও একই। পিকে সিনেমা না দেখেই যেমন সমালোচনা করে গেছেন, ধর্ম নিয়েও একই আচরন করছেন। তার প্রমান মুক্ত আলোচনা কোন ধর্মে নিষিদ্ধ আছে বলতে পারবেন কি?
হ্যা, প্রত্যেক ধর্মেই প্রথমে আছে ঈমান আনা বা বিশ্বাস স্থাপন করা। অন্ধের মত কি বিশ্বাস করে চুপচাপ বসে থাকতে বলেছে? যদি তাই হয় তবে ঐ সকল ধর্ম গ্রন্থে এর পরবর্তীতে আর এক লাইনও লেখার প্রয়োজন থাকতো না। ঐ খানেই শেষ হয়ে যেত। প্রথমেই বিশ্বাস স্থাপনের কথা বলেই পরবর্তীতে কেন বিশ্বাস করতে হবে তার বিস্তৃত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে এবং বিশ্বাস মজবুত করার জন্য যথেষ্ট উপাদান যুক্ত করা হয়েছে।
“এখানে কোন বিজ্ঞান যুক্তি গ্রহন যোগ্য নয়।” এই উদ্ভট কথা কোন ধর্ম গ্রন্থে পেয়েছেন, তা আমার জানা নেই। আধুনিক বিজ্ঞান যুক্তি ইসলাম ধর্মকে আরও শক্তিশালী করেছে। আপনাকে একটা উদাহরন দিই- অলিতে গলিতে বা পাড়া মহল্লায় কিছু অল্প শিক্ষিত হুজুরেরা ওয়াজে কিয়ামতের ভয়াবহতার বর্নানা করতে গিয়ে প্রায়ই বলেন যে, “কিয়ামতের সময়ে পানিতে আগুন লাগবে।” স্বাভাবিক ভাবে যে কোন মুসলিম শুনলে ভয়ে বিশ্বাস করবে কেননা সে জন্মগত ভাবে মুসলমান। কারও মনে প্রশ্ন জাগলেও ভয়ে প্রশ্ন করবে না। আর অমুসলিমেরাতো ভুয়া কথা বলে উড়িয়েই দিবে। যদিও কেউ উক্ত হুজুরের নিকট জানতে চান, তিনি ধমক দিয়ে থামিয়ে দিবেন কেননা তিনি এর ব্যাখ্যা জানেন না। নিজের অক্ষমতা ঢাকার জন্য ভীতি ঢুকিয়ে দিবেন যেন সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন না করা হয়। এভাবেই ধর্মের প্রতি মানুষের ভীতি জন্মানো হয়েছে।
অথচ দেখুন বিজ্ঞান উক্ত কথাকে কত সুন্দর ভাবে সত্য প্রমান করে- পানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন দ্বারা গঠিত। হাইড্রোজেন নিজে জ্বলে আর অক্সিজেন জ্বলতে সহায়তা করে যা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। কিয়ামতের ভয়াবহতার বর্ননায় বিস্ফোরনের কথা উল্লেখ্য আছে। উক্ত বিস্ফোরনে পানির কনা ভেঙ্গে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে পরিনত হবে এবং হাইড্রোজেন জ্বলতে থাকবে ও অক্সিজেন জ্বলতে সহায়তা করবে।
উক্ত হুজুর যদি এমন ব্যাখ্যা দিতে পারতো, তবে বিশ্বাসের ভিত্তটা মজবুত হতো এবং ধর্মকে নিয়ে ভাবা বা জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পেত। এখন আপনি যদি উক্ত হুজুরের কথা শুনে বা তার সম-পর্যায়ের কোন লেখকের বই পড়ে উক্ত বাণী প্রচার করে থাকেন, তাহলে তো আগের লেখাই পুনরায় সরণ করানো ছাড়া উপায় নেই। যেকোন ধর্ম নিয়ে গবেষনা করার সময় উক্ত ধর্মের মুল ভিত্তি সঠিক ভাবে নির্ধারন পূর্বক গবেষনা করুন।
পরিশেষে আপনাকে আবারও অনুরোধ করবো যেহেতু পিকে সিনেমা নিয়ে নিজস্ব মন্তব্য করেছেন, উক্ত সিনেমাটি একবার মনোযোগ দিয়ে দেখুন। এরপর আপনি আপনার নিজের লেখার অনেক ভুল নিজেই ধরতে পারবেন। সাথে OMG টাও দেখুন, প্রকৃত ধর্ম ও ব্যবসার উদ্দেশ্য মানুষের তৈরী ধর্ম সম্পর্কে ভাল ধারনা জন্মাবে।
@সহিদুল ইসলাম,
ধন্যবাদ, আপনার অক্সিজেন-হাইড্রজেন তত্ব উপভোগ করার মত! আসলেই কোরাণ গ্রন্থ যে বিজ্ঞানের শৈল্পিক কলায় কানায় কানায় ভরপুর তা মুমিনরা বুঝে না!! নাদান মুমিন মুস্লিমরা যদি সব ভয় ভিতির উদ্ধে উঠে বিজ্ঞান মনস্ক অনুসন্ধানী হতেন তা হলে কতই না ভাল হত।
এ প্রসঙ্গে আপনি যথার্থই!! বলেছেন- “আপনাকে একটা উদাহরন দিই- অলিতে গলিতে বা পাড়া মহল্লায় কিছু অল্প শিক্ষিত হুজুরেরা ওয়াজে কিয়ামতের ভয়াবহতার বর্নানা করতে গিয়ে প্রায়ই বলেন যে, “কিয়ামতের সময়ে পানিতে আগুন লাগবে।” স্বাভাবিক ভাবে যে কোন মুসলিম শুনলে ভয়ে বিশ্বাস করবে কেননা সে জন্মগত ভাবে মুসলমান। কারও মনে প্রশ্ন জাগলেও ভয়ে প্রশ্ন করবে না।”
এবার দেখা যাক এ প্রসঙ্গে আপনার আল্লা কি বলেন-
অতি উত্তম বৈজ্ঞানিক(?) পদ্ধতিতে হেরা পর্বতের শিয়ালের গর্তে আল্লা(?) সর্ব প্রথম ওহি নাজিল করে বল্লেন :
১। আলিফ লাম মীম(ছুঁ মন্তর ছুঁ)
২। এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য।
৩। যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে।
৪। এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে।
৫। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।
এবং পরক্ষনেই তিনি(আল্লা?) সিন্দাবাদ দৈত্যের মত হুংকার দিয়ে বল্লেন-
৬। নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।
৭। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
(তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি)- তা হলে আপনি নিজেই বলুন তো, ভয় আসলে কে দেখাচ্ছে? মোল্লা-মৌলবীরা, নাকি আল্লা স্বয়ং??
@ফুলবানু,
[img]http://1.bp.blogspot.com/-f8ZWQdTXr2c/UG3DMckstcI/AAAAAAAACJc/DNkqEFgDFfA/s1600/burqa.jpg[/img]
হায়রে , আমাদের বোধ-বুদ্ধি কবে হবে জানি না। এইসব করে কি মোহাম্মদের ইতিহাস পাল্টানো যাবে ?
আমরা কেন জানি কোন বিষয়কে বুঝেও না বোঝার ভান করি। সে ভান যেমন ধার্মিকরা করেন, তেমনি করে থাকেন মুক্তমনা নামের আড়ালের ব্যক্তিরা। প্রথম দলের কাছে ধর্মের কোন নেতিবাচক দিক নেই, পরের দলের কাছে নেই ধর্মের কোন ইতিবাচক দিক। আসলে এরা উভয়েই বায়াস্ড এবং মনে হয় এডিক্ট।একদলের এডিকশন বিশ্বাসে আরেক দলের এডিকশন যুক্তি এবং বিজ্ঞানে।
এবার আসা যাক আপনার লেখার বিষয়ে-
নবী মুহাম্মদ ভাল ছিলেন বা মন্দ ছিলেন আমি সে বিষয়ে কোন আলোচনায় যাব না। তবে বুখারীর এই সব হাদীসকে কেন নবীজির কুৎসা রটনা হিসাবে দেখা হয়না তার কারণটি আপনি বোঝেন না তা আমার মনে হয় না।ধরে নিচ্ছি বিষয়টি সত্যি আপনার বোধগম্য হয়নি, তাই বুঝার জন্য বাংলাদেশের দণ্ডবিধির “মানহানি”(৪৯৯)র সংজ্ঞাটি দিয়ে আলোচনার সুত্রপাত করছি-
Sec. 499 Defamation: Whoever, by words either spoken or intended to be read, or by sings or by visible representations, makes or publishes any imputation
concerning any person intending to harm or knowing or having reason to believe that such imputation will harm, the reputation of such person, is said, except in the cases hereinafter excepted, to defame that person.
উপরোক্ত সংজ্ঞার আলোকে এটা স্পস্টতঃ প্রতিয়মান হচ্ছে যে একই বক্তব্য কোন্ ক্ষেত্রে আবমাননা কর হবে আর কোন্ ক্ষেত্রে আবমাননা কর হবে না তা নির্ভর করে প্রকাশকের “ইনটেনশনের” উপর।অর্থাৎ মানহনীর বিষয়টি নির্ণয় করতে হলে “প্রকাশনা” এবং “ইনটেনশন” উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।
আমার জানা মতে ইমাম বুখারী প্রায় ছয় লক্ষ হাদীস উল্লেখ করেছেন্। এখন বুখারীর গ্রন্থ থেকে বেছে বেছে শুধু নেতিবাচক হাদীস গুলো নিয়ে যদি আমি কোন বই লিখি তবে আমার উদ্দেশ্যটি কাউকে আর বুঝিয়ে বলতে হবে না। সরকার ইচ্ছা করলে এ ধরণের প্রকাশনা আইনগত ভাবেই বন্ধ করতে পারে।তবে কেউ যদি এ ধরণের প্রকাশনার কারণে প্রকাশককে হুমকি দেয় তবে সেটিও আইনত দণ্ডণীয়।
আসলে শুধু এই একটি ঘটনার দ্বারা কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না।কারণ কয়েক বছর আগে নগ্ন হিন্দু দেবী আঁকার অপরাধে চিত্র শিল্পি মকবুল ফিদা হোসেনকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল।
মুসলমানরা প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়াশীল কিনা?
সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহ বিবেচনা করলে মুসলমানরা অবশ্যই প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়াশীল।কিন্তু মুসলমানরা কতটা প্রতিক্রিয়শীল তা বিবেচনা করতে হলে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন কালও বিবেচনা করা উচিত বলে আমার মনে হয়।খ্রীষ্টানরা তিনশত বছর আগেও প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়াশীল ছিল যেখানে খ্রীষ্ট ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলাম ধর্মের প্রায় ৬০০ বছর আগে।
অর্থাৎ খ্রীষ্টানরা তাদের ধর্ম প্রবর্তিত হওয়ার ১৭০০-১৮০০ বৎসর পরও ছিল প্রতক্রিয়শীল সেখানে মুসলমানদের প্রতিক্রীয়াশীলতার বয়স ১৪০০-১৫০০ বৎসর। এ প্রেক্ষিতে হিন্দু বা বৌদ্ধদের (বৌদ্ধদের আমি অন্যদের চেয়ে কম প্রতিক্রিয়াশীল মনে করি) কথা আর উল্লেখ করলাম না।
ধন্যবাদ।
@নিষিদ্ধ মুক্তমনা,
নবী মুহাম্মদের শুধু গুণাবলীকে আলাদা ভাগা দিয়ে বই রচনা করার অধিকার কারুর থাকলে নবী মুহাম্মদ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ কিনা- সেই বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যায় নবীর করা নেতিবাচক কাজকর্মকে তুলে ধরা কোন অন্যায় নয়। আর “নবী মুহাম্মদের ২৩ বছর” বইতে নবীকে অনেক কাজের জন্য প্রশংসাও করা হয়েছে।
@সুষুপ্ত পাঠক,
অন্যায় এবং ন্যায়ের ধারণাটি রাষ্ট্র/সমাজ/কাল/ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
তবে এ সকল ফ্যাক্টর এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ন্যয় অন্যায়ের ধরণাটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।নবী মুহম্মদকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবা তো রাষ্ট্র বা সমাজের প্রেক্ষিতে অন্যায় নয়, বরং অন্যায় হল তাকে অবমাননা করা।
@নিষিদ্ধ মুক্তমনা,
১। অন্যায় এবং ন্যায়ের ধারণাটি রাষ্ট্র/সমাজ/কাল/ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
সহিহ বলেছেন। কিন্তু সর্বযুগের! সর্বশ্রেষ্ঠ! ইসলাম ধর্মের ন্যায় অন্যায়ের ধারনা এবং নবীর জীবনী কখনো তামাদী হতে পারে না। ইসলামের জের/জবর পরিবর্তন করার এখতিয়ার করো নাই।
২। নবী মুহম্মদকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবা তো রাষ্ট্র বা সমাজের প্রেক্ষিতে অন্যায় নয়, বরং অন্যায় হল তাকে অবমাননা করা।
ব্যাক্তি জীবনে নূরাণী নবী মোহাম্মদ অসহায় অবলা ক্রীতদাসীদের সাথে যৌনফূর্তি (লিভটুগেদার/বিয়ে বহিঃভুত যৌনতা/জেনা) করতেন। এই সহজ সরল সত্য কথাটি বল্লে কি নবীর অবমাননা হবে? উত্তর দিন।
@ফুলবানু,
পরিবর্তন করার এখতিয়ার থাক বা না থাক এই বাংলাদশেই যে ইসলামের কত বিধান পরিবর্তন হয়ে গেছে তা আপনি কেন হয়তো অনেক কাঠমোল্লাই জানেন না।কারণ সে সব পরিবর্তন গুলো গায়ের জোরে করা হয়নি করা হয়েছে কৌশলে।
@ফুলবানু,
আপনার এ বক্তব্য টি বিতর্কিত।তর্কের খাতিরে যদি কথাটি সত্য বলে ধরে নেই তাহলে কি
আপনার নিচের মন্তব্যের কোন যুক্তিকতা থাকে।
দেখুন জের জবর নয় নবীর চরিত্রের এই সত্য (আপনার বক্তব্য) দিকটি মোডিফাই হয়ে তার অনুসারিদের কাছে এমন অবস্থায় এসেছে যে, এটি একটি গর্হীত কাজ এবং নবী এমন কাজ করতে পারেন তা তো তারা বিশ্বাস করেই না বরং এমন কথাকে তারা নবীর জন্য আবমাননাকর মনে করে।
তাহলে বুঝুন তার অনুসারীরা যুগের প্রেক্ষাপটে নবী চরিত্রকে কতটা মোডফাই করে নিয়েছেন। এখন নবীর একজন প্রকৃত অনুসারী নিশ্চয় কোন দাসীর সাথে যৌনাচার করবে না (যেহেতু সে বিশ্বাস করে না যে নবী এমন কাজ করতেন)।
আপনি কোনটিতে খুশি হবেন ১)নবী দাসীদের সাথে যৌনাচার করতেন এ কথা বিশ্বাস না করে তার অনুসারীদের এ কাজ থেকে বিরত থাকা, না ২) নবী এমন কাজ করতেন এ কথা বিশ্বাস করে তার অনুসারীদের এ কাজে লিপ্ত হওয়া।
এখন এ রকম কথা বার বার বলার ফলে আপনি যদি মনে করেন যে নবীর অনুসারীরা সবাই তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে তার দেখানো পথ থেকে সরে আসবে, তবে বোধহয় আপনি ভুল করবেন বরং এ কাজ আসলে অন্যায় নয় ভেবে সে কাজকে অনুসরণ করার সম্ভাবনাই বেশী।
যতই বলা হোক না কেন জ্বের যবর যরিবর্তন করা যাবে না কিন্তু দেশ/কাল/পাত্র ভেদে এ যের যবর ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারণ করে এবং সেই দেশ বা সেই কালের অনুসারীরা যের যবর এর সে অবস্থানটাকেই সঠিক বলে ভেবে থাকে অর্থাৎ মোডিফাইড হয়, আপনার চোখে হয়তো সেটা ধরা পড়ে না।
@ নিষিদ্ধ মুক্তমনা,
১। “তাহলে বুঝুন তার অনুসারীরা যুগের প্রেক্ষাপটে নবী চরিত্রকে কতটা মোডফাই করে নিয়েছেন। এখন নবীর একজন প্রকৃত অনুসারী নিশ্চয় কোন দাসীর সাথে যৌনাচার করবে না (যেহেতু সে বিশ্বাস করে না যে নবী এমন কাজ করতেন)।
কে বলেছে আপনাকে? আইসিস, বোকোহারাম, তালেবান…………………….. মুমিনরা নবীর তরিকা মেনেই অমুসলিম স্কুল বালিকা অপহরণ করে গনিমতের যৌন দাসী হিসেবে বিক্রি করে। সম্প্রতি ইউটিউব ভিডিওতে দেখা গেছে আইসিস মুমিনরা ২৩৫ জন ইয়াজিদী যুদ্ধবন্ধি নারীকে জিহাদী সৈনিকদের মাঝে বিলি বন্টন করে নবীর সুন্নাহ পালন করেছেন। আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে নবী মোহাম্মদ ঠিক এই কাজটি করেছেন। সুতরাং তালেবান, বোকোহারাম, আইসিস বাহিনীর বাগদাদী মুমিনদের তুলনায় আপনি যে নিরেট চেলা টাইপের মুনিন এটা বুঝেন তো?
২। “এখন এ রকম কথা বার বার বলার ফলে আপনি যদি মনে করেন যে নবীর অনুসারীরা সবাই তার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে তার দেখানো পথ থেকে সরে আসবে, তবে বোধহয় আপনি ভুল করবেন বরং এ কাজ আসলে অন্যায় নয় ভেবে সে কাজকে অনুসরণ করার সম্ভাবনাই বেশী।”
দেখুন আল্লার মুমিনদের সুপথে আনার বিন্দু মাত্র আগ্রহ আমার নেই। তবে নবী মোহাম্মদকে খাঁটি দুধের রসোগোল্লা সাজিয়ে ধরা ছোঁয়ার বাইরে শিকায় ঝুলিয়ে রাখার দিন যে আর নেই, সেই সত্যটি কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিতে হবে। ধন্যবাদ।
@নিষিদ্ধ মুক্তমনা,
তা তো বটেই!কিন্তু এই ব্যাপারটা পরিষ্কার না করে নিলে পরের দিকে একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনি যে আইনটি দেখিয়ে একটি বই নিষিদ্ধের সপক্ষে যুক্তি দেখালেন,সেই আইনটিকে আপনি হাস্যকর ভাবে মোডিফাই করে নিজের সুবিধামত চালিয়ে দিচ্ছিন।হতে পারে আপনি ইচ্ছে করেই এটা করেছেন নতুনা এটা আপনার বালখিল্যপনার বহিঃপ্রকাশ।কারণ আপনি ওপরে আইনটার যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেখানে সত্য ও সৎ নৈতিকতার জন্য কোন স্থান রাখা হয়নি।আপনার মোডিফাই করা আইনটির যথাযথভাবে প্রয়োগ করার,ভয়াবহতা সম্পর্কে বোধকরি আপনার নিজেরও কোন ধারণা নেই।একটা উদাহরণ দেওয়া যাক,কিছুদিন আগে বাংলাদেশের হাইকোর্টে জামাত নেতা কামারুজ্জামের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ প্রমাণিত হয় এবং হাইকোর্ট তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনিয়েছে।আদালতে হাজার হাজার পৃষ্ঠার নথি পত্র দিয়ে (** খেয়াল করুন এই নথি পত্র গুলোর প্রায় সবটাই কামারুজ্জামান সম্পর্কে নেতিবাচক কথায় ভরা) প্রমাণ করা হয়েছে কামারুজ্জামান একজন যুদ্ধাঅপরাধী।অর্থৎ ইনটেনশনালি তাকে যুদ্ধাপরাধী প্রমাণ করে তার মানহানী করা হয়েছে ,ঠিক যেমনটা আপনি নেতিবাচক হাদিস নিয়ে বলেছেন।(এখন বুখারীর গ্রন্থ থেকে বেছে বেছে শুধু নেতিবাচক হাদীস গুলো নিয়ে যদি আমি কোন বই লিখি তবে আমার উদ্দেশ্যটি কাউকে আর বুঝিয়ে বলতে হবে না।)।কিন্তু আমি নিশ্চিত কামারুজ্জাম জীবনে কিছু ইতিবাচক কাজও করেছ,তারপরও বেছে বেছে তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা গুলো প্রকাশ করে তার মানহানী করা হয়েছে, এই মর্মে কামারুজ্জামান, আপনার মোডিফাই কৃত দণ্ডবিধিটির আলোকে ক্ষতিপূরুন চেয়ে একটা মামলা ঠুকে দিলেও কারো কিছু করার থাকবে না।কারণ আপনার ব্যাখ্যা করা আইনে বলা আছে, যে কারও বিরুদ্ধে ইনটেনশনালি নেতিবাচক কোন কিছু প্রচার করা দণ্ডণীয়।এখন প্রমাণিত যুদ্ধাপরাধী যদি ৪৯৯ ধারাকে মামাবাড়ি দাবি করে আবদার করে বসে যে তাকে “যুদ্ধাপরাধী” বলে তার মানহানী করা হয়েছে,তখন কি সেটা গ্রহনযোগ্য হবে!!
সম্প্রতি কামারুজ্জামান এই বলে আফসোস করেছে যে, দেশের মানুষের কাছে তাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।আপনার ভাষায় বলা যায়,
“কামারুজ্জামানকে নিরিহ নিপাট ভদ্রলোক ভাবা তো রাষ্ট্র বা সমাজের পেক্ষাপটে অন্যায় নয় বরং অন্যায় হল তাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা।”
আপনাকে কপি করে আরও বলা যায়,
“কামারুজ্জাম ভাল ছিলেন না মন্দ ছিলেন সেই বিষয়ে কোন আলোচনায় আমি যাব না।”
আপনি আপনার সুবিধামত দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধরাকে মোডিফাই করলেও এর কিছু উপধারা আছে।অর্থাৎ কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রচার করলেও তা দণ্ডণীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
প্রকৃত ধারাটি হল..
বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারা অনুসারে যে ব্যক্তি মানহানির উদ্দেশ্যে বা মানহানিকর জেনে বা পাঠের জন্য উদ্দেশ্যমূলক শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান কল্পস্মৃতির সাহায্যে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে এমনভাবে কোনো নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে যে, সেই নিন্দাবাদ উক্ত ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করবে, সেই ব্যক্তি কিছু ব্যতিক্রম অবস্থা ছাড়া উক্ত ব্যক্তির মানহানি করেছে বলে ধরা হবে।আইনে এমন কিছু ব্যতিক্রম অবস্থার বর্ণনা করা হয়েছে, যখন কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির নামে মানহানিকর কিছু বললে, লিখলে বা প্রচার করলেও দন্ডবিধির ৪৯৯ ধারার অধীনে মানহানির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হবে না। যেমন-
(১) জনগণের কল্যাণার্থে কারো প্রতি সত্য দোষারোপ করলে, তাতে মানহানি হবে না।(খেয়াল করুন জনগণের কল্যাণার্থে সত্য দোষারোপ করা যাবে,যেটার উল্লেক আপনি করেননি।আর বইটির প্রকাশক যদি প্রমাণ করে যে উনি উক্ত উদ্দেশ্যেই বইটা প্রকাশ করেছেন,তাহলে এই দণ্ডবিধি অনুসারেই বইটা নিষিদ্ধ করা যাবে না)
(২) জনগণের প্রতি সরকারি কর্মচারীর আচরণ সম্পর্কে সৎ বিশ্বাসে অভিমত প্রকাশ করলে তা মানহানির শামিল হবে না।
(৩) আদালতসমূহের কার্যবিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করা মানহানির অন্তর্ভুক্ত হবে না।
(৪) গণকল্যাণার্থে সতর্কতা প্রদানের উদ্দেশ্যে কারো সম্পর্কে কিছু বলা হলে, সেটিও মানহানি হবে না।(এই ধরাটিও উল্লেকযোগ্য)।
@অতিক্রম,
আমি কি করে আইনটিকে মোডিফাই করে নিজের সুবিধামত চালানোর চেষ্টা করেছি তা ঠিক বুঝতে পারলাম না।আমি মূল আইনের এক্সেপশনের এন্টার প্রেটেশনটি দেইনি এই তো?
আমি এটি ইচ্ছে করেই করিনি কারণ ঐ এক্সেপশনের সুবিধা লেখক পাবেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এর বিন্দু মাত্র সম্ভাবনা নেই।
“জনগণের কল্যাণার্থে” লেখক এ কথা বলতেই পারেন, কিন্তু সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের।এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোন আদালত লেখকের এরকম বক্ত্যব্য গ্রহণ করবেন না তা ৯৯% নয় ১০০% নিশ্চিত।বাংলাদেশের ৯০% জনগণও এ কথা মেনে নেবে না। আপনার যদি এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকে তবে সরকারের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে লেখককে আদালতের দারস্থ হতে পরামর্শ দিন।
পরিশেষে কয়েকটি কথা, যারা এ ধরণের বই লেখেন তাদের উদ্দেশ্য যদি হয় কিছু মানুষের বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া তাহলে তারা ঠিক কাজটিই করেন আর যদি তাদের উদ্দেশ্য হয় সাধারণ মানুষকে ধর্মীয় গোড়ামী থেকে বের করে এনে মুক্তমনের মানুষ করা, তাহলে বলবো তাদের এ কাজটি এ দেশের প্রেক্ষিতে ঠিক নয়।
এক বছর আগের কথা মনে করুন, তখন বিভিন্ন ব্লগের সিংহ ভাগ পোস্ট দখল করে রাখতো ধর্ম/মুহাম্মদের যৌক্তিক অযৌক্তিক সমালোচনা বা ক্ষেত্র বিশেষে খিস্তি খেউড়। এমন এক প্রেক্ষাপটে ৫ মে ২০১৪ আবির্ভাব হলো হেফাজতে ইসলামের, ৭-১০ লক্ষ লোকের সমাবেশ কাঁপিয়ে দিল ধর্ম নিরপেক্ষ (অাংশিক) সরকারের ভিত। সে সময় যদি এ সরকারের পতন হতো তবে বাংলাদেশ হতো পাকিস্তান বা আফগানিস্তান, রক্তের বন্যা বয়ে যেত অনেক মুক্তমনের মানুষের।ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ার পথে ২০১৪ এর চেয়ে আমরা এসব কারণে পিছিয়েছি অনেক।বর্তমানে বাংলাদেশ একটি সঙ্কট কাল পার করছে, চারিদিকে ওৎ পেতে বশে আছে বিভিন্ন উগ্র গোষ্ঠী।কাজেই যে যা লেখেন বা মন্তব্য করেন না কেন বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষিত এবং এর পরিণাম বোঝার চেষ্টা করেই তা করা উচিত।
আঘাত নয়, অবমাননা নয় মানুষকে শিক্ষিত করুন, যুক্তিবাদী করুন আলোকের সন্ধান দিন দেখবেন সে নিজেই ভাল মন্দ চিনে অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসবে।কাউকে আঘাত করা, অপমান করা উগ্রপন্থীদের কাজ, মুক্তমনের মানুষের কাজ নয়।
@নিষিদ্ধ মুক্তমনা,
হেফাজতের উত্থানের কারণ হিসেবে যে ব্লগের কোণায় মোহাম্মদকে নিয়ে লেখালেখিকে দায়ী মনেকরে,তার সাথে কথা বলা সময় নষ্ট।শুধু একটু বলি আপনার মত পিছলামী ও সুশীলতার চরম পর্যায়ে অবস্থানকারী মানুষদের জন্যই জঙ্গীদের এত প্রতিপত্তি।
@অতিক্রম,
যে ব্যক্তি যুক্তি-তর্কের পরিবর্তে মৌলবাদীদের মত ব্যক্তিগত আক্রমন করে সে রকম নিম্ন রুচির মানুষের সাথে যুক্তি-তর্ক করার রুচি আমারও নেই।
‘প্রমাণ স্বরূপ শেষপর্যন্ত ৬০০ কোটি রুপি ব্যবসা করে ফেলেছে ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে কমেডি করা এই সিনেমাটি! তার মানে দর্শকদের ধর্মানুভূতে আঘাত লাগেনি সিনেমাটি দেখে।’
আশ্চার্য লাগলো আপনার লেখা পড়ে। শুরুটা করেছেন পিকে সিনেমা নিয়ে, অথচ সিনেমাটি সম্পর্কে লেখা পড়ে বিন্দু মাত্র বুঝতে সমস্যা হয়নি যে আপনি সিনেমাটি দেখেননি। পত্র-পত্রিকায় পড়ে যতটুকু ধারনা জন্মেছে, তাতেই নিজের ইচ্ছে মত লিখে গেছেন। ঠিক একই ভাবে ইসলাম ধর্মের অনেক বিষয়েও মন্তব্য করেছেন সামান্য ধারনা বা ভ্রান্ত ধারনা থেকে।
পিকে সম্পর্কে আপনার যে বক্তব্য তা পুরোপুরি ভুল। এ সিনেমাটি ধর্মীয় কোন বিশ্বাসকে কমেডি করে তৈরী কোন সিনেমা নয়, বরং ধর্মের নামে প্রচলিত অধর্মীয় প্রথা সমুহ উপস্থাপন, সমাজে এগুলোর প্রভাব এবং এগুলো থেকে মুক্তির উপায় সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পিকে নাম করনের দিকে খেয়াল করুন। চরিত্রটির মাধ্যমে অতি বাস্তব, অতি সত্য বক্তব্য গুলো উপস্থাপিত হয়েছে। আর আমাদের ভ্রান্ত ধর্মীয় বিশ্বাস, ভ্রান্ত সমাজ ব্যবস্থার কাছে চড়ম সত্য কথা গুলো হাস্যকর, মাতাল বা পাগলের বিলাপ হিসেবে চিহিৃত হয়েছে। সিনেমাটিতে প্রকৃতই কোন ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করেনি, তাই বিচক্ষন আদালত এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি নয়, নিতে পারেনি।
আপনার লেখার অনেক অংশেই পবিত্র কোর-আন শরীফ এবং রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে নিয়ে বেশ অবমাননাকর বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে। এ ক্ষেত্র আপনাকে দোষারোপ করে লাভ নেই, দোষ আপনার গবেষনার উৎসের। তসলিমা নাসরিন যেমন ‘মুকসেদুল মুমিনীন’ নামক একখানা বই পড়ে ওটাকেই ইসলাম ধর্মের ভিত্তি হিসেবে মনে করে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে বিদ্রুপ করেছে, ঠিক তেমনি আপনিও ইসলাম ধর্মের মুল ভিত্তি পবিত্র কোর-আন শরীফ বাদ রেখে অন্যান্য বির্তকিত কিছু বই পড়ে ইসলাম ধর্ম এবং রাসুল (সঃ) এর প্রতি আঘাত হেনেছেন। আপনার যদি সত্যিই ইসলাম ধর্ম নিয়ে স্যাটায়ার করার ইচ্ছে থাকে তবে কোর-আন নিয়ে গবেষনা করে ভুল বের করে করুন এবং ইচ্ছে মত স্যাটায়ার করুন, কেউ বাধা দিবে না। তবে ইসলাম বর্হিভুত কোন বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে প্রকৃত ইসলাম কে আঘাত করা ঠিক নয়।
পবিত্র কোর-আন শরীফ আল্লাহ্ প্রদত্ত বানী যা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে প্রকাশ পেয়েছে এবং এত বছর পরও কোন রুপ বিকৃত না হয়েই সংরক্ষিত হয়েছে। আর হাদীস হলো হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিজস্ব বানী ও তাঁর দ্বারা সম্পাদিত কাজ সমুহের বনর্না বলে খ্যাত যা উনার ইন্তেকালের চার শত বছর পর একজন অমুসলিম কর্তৃক সংগ্রহ করা শুরু হয়।
এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন যেেহতু কোর-আন আল্লাহর বানী যা রাসুল (সঃ) এর মুখ দ্বারা উচ্চারিত হয়েছে এবং অনেক কষ্টে অনেকে মুখস্থ করে সংরক্ষন করেছেন যা আজও অবধী অপরিবর্তিত রয়েছে। তাহলে হাদিস কেন ঐ সময় হতেই একই রুপে সংরক্ষিত হয়নি? তাহলে খুব সহজেই দুই খানা কিতাব সংরক্ষিত হতো। হাদিস নিয়ে এত বিতর্ক তৈরী হত না। খলিফা হযরত উসমান (রাঃ) যখন কোর-আন সংরক্ষনের উদ্দোগ নিলেন, তখন কেন উনি বতর্মানে এতই গুরুত্বপূর্ন (শুধু মাত্র বিতর্ক তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ন) হাদিস সংরক্ষনের উদ্দোগ নেননি? তাছাড়া কোর-আনে হাদিসকে গুরুত্ব দিয়ে কোন সুরা বা আয়াত নাজিল হয়নি কেন? অথবা অনেক ক্ষেত্রেই কেন বলা হয়েছ যে ‘সমস্ত মানব জাতির জন্য কেবল এবং কেবল মাত্র এই একখানা কিতাবই যথেষ্ট’? এবং বলা হয়নি কেন কোর-আন শরীফের পাশাপাশি হাদিসও অনুসরন করো? যারা বলেন হাদিস ছাড়া কোর-আন ব্যাখ্যা করা অসম্ভব, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোন বইয়ের সহায়তায় কোর-আন ব্যাখ্যা করেছিলেন?
আপনি আরও বলেছেন ইসলামের ইতিহাসের কোন বই নেই। তাহলে কোর-আন শরীফ কি? এতে কি অতীতের কোন নবী বা রাসুলের বা ইসলামের কোন ইতিহাস খুজে পাওয়া যায় না?
ইসলাম ধর্মকে আঘাত করতে চাইলে শুধু মাত্র কোর-আন শরীফ নিয়ে গবেষনা করে আঘাত করুন বা স্যাটায়ার করুন। কারন এটাই প্রকৃত ইসলাম ধর্মের মুল এবং একমাত্র ভিত্তি।
পরিশেষে পিকে সিনেমায় ‘আচ্ছা’ শব্দটির উচ্চারন ও বাচন ভঙ্গি দ্বারা যা যা প্রকাশ পেয়েছে ঠিক সেই অনুযায়ী কোর-আনের প্রতিটি আরবী শব্দের স্থান ও সময় সাপেক্ষে উচ্চারন ও অর্থ দ্বারা কি কি বোঝানো হয়েছে তা অনুধাবন করেই সমালোচনা করুন।
“কাকে রক্ষা করবে? গাড কে? যে এই পুরো বিশ্বজগত তৈরী করেছেন তাকে? বিশ্বজগতে কোটি কোটি গোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর সেই বিশ্বের, ছোট্র একটা গ্রহের, ছোট্র একটা দেশের, ছোট্র একটা গলিতে বসে, ছোট্র কিছু গোলা নিয়ে তাঁকে রক্ষা করবে তুমি? যে গাড এই বিশ্ব জগত বানিয়েছেন, তিনি নিজেকে রক্ষা করতে জানেন। নিজেদের বাঁনানো গাড কে রক্ষা করা ছাড়ো, তা না হলে তোমাদের ছোড়া গোলায় মানব জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে, রয়ে যাবে শুধুই তাদের ফেলে যাওয়া জুতো।”-পিকে সিনেমার একটা সংলাপ।
যে সিনেমায় এমন সংলাপ আছে জেনেও যদি কেউ মন্তব্য করেন যে সিনেমাটিতে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কমেডি করা হয়েছে, তাহলে তাকে অরিজিনাল পিকেই বলা উচিত। আর যদি না জেনে বলে থাকেন তাহলে অনুরোধ করবো কোন কিছু নিয়ে সমালোচনা করার আগে সেটা সম্পর্কে ভালমত জেনে নিন, অনুমানের উপর ভিত্তি করে আঘাত বা সমালোচনা করা কি উচিত?
@ জনাব সহিদুল ইসলাম,
১। “পবিত্র কোর-আন শরীফ আল্লাহ্ প্রদত্ত বানী যা হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-কে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে প্রকাশ পেয়েছে এবং এত বছর পরও কোন রুপ বিকৃত না হয়েই সংরক্ষিত হয়েছে।”
আপনার কথা শুনে মনে হল, আল্লা নিজেই কোরাণ প্রিন্ট করে মলাট বন্ধি পুস্তক আকারে নবী মোহাম্মদের কাছে পাঠিয়েছেন! অতপর নবী মোহাম্মদ সেটি প্রচার করেছেন এবং লোহার সিন্দুকে সংরক্ষন করেছেন। বিষয়টি কি আদৌ তাই? কিন্তু আমরা জানি নবীর মৃত্যুর প্রায় ১৮ বছর পর খলিফা ওসমান বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুদ্রণ, অর্ধমুদ্রন এবং ওরাল ট্রেডিশনে কোরাণের সূরা/কেরাত সমুহ সংগ্রহ করে কোরাণ মুদ্রনের কাজে হাত দেন। এটি করতে যেয়ে কোরাণের যে সকল সূরা/কেরাত তাদের কাছে অথেন্টিক মনে হয়েছে কেবল সেটই গ্রহন করেন। বাদ/বাকি যেগুলো তাদের কাছে অথেন্টিক মনে হয় নি তা পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। বিষটি কি দাড়ালো? আজকের কোরাণের কোনটি সঠিক আর কোনটি বেঠিক তা আল্লা নির্ধারন করে দেন্নি। রবং ওসমান এবং তার লোকজন করেছেন। সুতরাং আজকের কোরেণে খলিফা ওসমান কি বুঝে কোনটি রেখেছেন আর কোটি পুড়িয়েছেন আল্লাই জানে!!
২। “তসলিমা নাসরিন যেমন ‘মুকসেদুল মুমিনীন’ নামক একখানা বই পড়ে ওটাকেই ইসলাম ধর্মের ভিত্তি হিসেবে মনে করে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে বিদ্রুপ করেছে,”
আপনি কি ভাবে নিশ্চিত হলেন তসলিমা নাসরিন শুধু ‘মুকসেদুল মুমিনীন’ পড়েছেন, কোরাণ পড়েন্নি? উল্টো, আমারতো মনে হয়, তসলিমা নাসরিন আপনাদের অনেকের চেয়ে ঢের ভাল কোরণ বুঝেন এবং পড়েছেন। যে কারণে ইসলাম ধর্মের নারী দমন/পিড়ন/নির্যাতন বিষয়ে তসলিমা নাসরিন আর হাটহাজারীর হজরত মাওলানা আল্লামা শফী হুজুরের কথা হুবহু মিলে যায়। নয় কি??
ধন্যবাদ।
@সহিদুল ইসলাম,
ধর্ম মানে তো একটাই- ইসলাম! তাই না? আর বাকী সব অধর্ম! আর এগুলো থেকে মুক্তি পথ ঐ একটাই- ইসলাম! বাংলার মুমিন আর ছাগুকূলের কাছে তাই পিকে অসাধারণ সিনেমা!
ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করবে কেন ওগুলোতে ধর্মই না। হ্যা, ইসলাম নিয়ে পিকে বা অন্যকোন ছবিতে আঘাত করা হলে সেটা হবে সত্যিকারের ধর্মনুনুভূতিতে আঘাত! আর তার জন্য কল্লা ফেলা দেয়াও হবে জায়েজ!
😥 সমবেদনা আপনার জন্য! মুহাম্মদের ইহুদী বস্তিতে হমলা, কুরাইশ বাণিজ্য কাফেলায় আক্রমন আর কুরানের খুনেই সাফাইকে উল্লেখ করায় মুসলিমদের ধর্মনুনুভূতি আঘাত লাগলে আমার সমবেদনা জানবেন!
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদের পুত্রবধূ জয়নবকে নবীজি বিয়ে করাকে জায়েজ করার জন্য সেই স্ত্রী ব্যতিত কথিত প্রিয় স্ত্রী আয়েশার নাম পর্যন্ত কুরআনে নেই! আয়েশা নামে নবী মুহাম্মদের কোন স্ত্রী আছে কি? থাকলে সেটা আমরা কোথা থেকে জানতে পারবো জনাব? মুহাম্মদের বাবা-মার পরিচয়? খোদ মুহাম্মদ সম্পর্কে কিছু জানা যায় কি? সিরাত গ্রন্থগুলো দোষে-গুণে এক মুহাম্মদকে দেখা যায় এটাই আপনাদের আপত্তি। যদিও দাসী ছহবত সেই যুগে মন্দ কাজ মনে করা হতো না (ইসলাম কায়েমের পর) তাই সিরাত রচনাকারীরা অম্লাণবদনে তা লিখে গেছেন। আজকাল মুহাম্মদের ইজ্জ্ত এমনভাবে পাংচার হয়ে যাচ্ছে হাদিস দ্বারা যে কিছু লোক জুটেছে তারা বুখারী শরীফকেও বাতিল করার পক্ষে। শিয়া ষড়যন্ত্র, ইহুদী ষড়যন্ত্র খোঁজা হচ্ছে। অথচ হাদিস বাদ দিলে ইসলাম অসম্পূর্ণ। কুরআন পড়ে কিছুই বুঝা যাবে না তাফসির না পড়লে। সেই তাফসিরও মুমিন এখন মানতে নারাজ! তাফসির ইবনে কাথির থেকে নবীজিকে যুদ্ধাপরাধী প্রমাণ করা যায় অতি সহজে।
হাদিস সংরক্ষণের গল্প কোত্থেকে জেনেছেন- হাদিস থেকেই তো? সেটা পড়েই সন্দেহ ঢুকেছে মনে। অথচ কুরআনের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন জাগেনি। দুনিয়ার কোন মুসলমান আজ পর্যন্ত নবীর সময়ে পাথরে, পশুর হাড়ে, খেজুর পাতায় ওহির লিপি কোন চিহৃ দেখেছে? দুনিয়ার কোন জাদুঘরে তার অস্তিত্ব আছে? আমি বিভিন্ন ইসলামী গ্রন্থ থেকে দেখাতে পারবো কুরআন বিকৃত একটি গ্রন্থ। আপনি প্রমাণ দেখান কুরআন ইশ্বর প্রেরিত গ্রন্থ-প্রমাণ করুন, আবার বলছি- প্রমাণ করুন! কুরাআনের ভিতর অসংগতি, ভুল, ভ্রান্ত নিয়ে প্রচুর লেখা হয়েছে- এই মুক্তমনাতেই সেরকম অনেক লেখা আছে। এসব খন্ডন করতে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখিনি। খালি ঐ এক রেকর্ড বাজানো ছাড়া- কুরআন এক অবিকৃত গ্রন্থ!
এ্যা! এইডা কি কয়? আমি তো জানতাম কুরআন বিজ্ঞানের বই! এহন শুনি এইটা ইতিহাসেরও বই! আল্লায় তাইলে একজন ঐতিহাসিক?
এই যে লন আঘাত করলাম- কুরআন মুহাম্মদের নিজের বানানো ভুয়া একটা বই। যে-ই বইতে লেখা থাকে আকাশ বানাইছে খুটি ছাড়া, পাহাড় বানাইছে সিদা খাড়ায় থাকার জন্য- সেই বই ঈশ্বরকে গাধাতে রূপান্তর করে ছেড়েছে! আর কুরআন নিয়ে গবেষণা করে আঘাত? আরে কুরআন নিয়ে গবেষণা করে তো ইহুদীনাসারা বিজ্ঞানের সব বড় বড় আবিষ্কার করে ফেলছে- ইসলামকে আঘাত করলো কই?
সবশেষে নবী মুহাম্মদের সহি জীবনীর সন্ধান চাই? গ্রন্থের নাম বলুন। সেখান থেকেই না হয় দয়াল নবীর জীবনী পর্যালচনা করে দেখাবো 🙂
@সুষুপ্ত পাঠক,
একজন খুব ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করল আর আপনি ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন! এটা কি “মুক্তমন” এর পরিচয়!
আমি ভেবেছিলাম, আপনার জবাবের শুরুটাই হবে, পিকে যে আপনি দেখেছেন, তার প্রমাণ দেখিয়ে। আপনি তা তো করলেন ই না, বরং
ধর্ম মানে তো একটাই- ইসলাম! তাই না? আর বাকী সব অধর্ম! আর এগুলো থেকে মুক্তি পথ ঐ একটাই- ইসলাম! বাংলার মুমিন আর ছাগুকূলের কাছে তাই পিকে অসাধারণ সিনেমা!
এই টাইপ একটা অপ্রয়োজনীয় বাক্য নিয়ে এলেন। সহিদুল ইসলাম তার কোন কথায়, এই লাইনগুলো লিখল? আপনি শুধুমাত্র আপনার কথার বিরোধিতা করছে, তার সম্বন্ধেই এমন গণ হারে Perception কেন পুষছেন?
মুক্তমনের লেখক হলে তো আপনাকে আরও তর্কমুখী/তথ্যমুখী হওয়ার কথা, আপনি এমন উত্তেজিত কেন?
আপনি নিজেই একজায়গায় বলছেন, কুরআন উসমান (আঃ) এর লেখা গ্রন্থ, আবার আরেক জায়গায় বলছেন মহানবীর লেখা গ্রন্থ। ( আপনার এই সমস্ত অপ্রাসঙ্গিকতা দেখে আমার Perception হচ্ছে, আপনি সম্ভবত নতুন লেখক, এখনো গুছিয়ে তর্ক করতে শিখেন নি।)
@সহিদুল ইসলাম,ভাই অনেক যুক্তি আর সত্যি আছে আপনার কথাই,ইস্লাম কে কোরআন শরিফ দিয়ে যাচাই করেন সবাই
আজ থেকে শতাব্দী আগে বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায় শ্রীকৃষ্ণের জীবনী নিয়ে এরকম একটা বই লিখেছিলেন (কৃষ্ণচরিত্র) যেখানে তিনি শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে সমস্ত অলৌকিক বিশ্বাস খণ্ডন করে শ্রীকৃষ্ণকে একজন সংস্কারক ও মেধাবী মানুষ হিসেবে প্রতীয়মান করেছেন, ঈশ্বরের কোন অবতার হিসেবে নয়। কই হিন্দুরা তো তার এই বই নিষিদ্ধ করার দাবী করেনি। বরং এই বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ই কিনা উপাধি পেলেন হিন্দু জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে।
বুদ্ধ বেদের বিরুদ্ধে তার ধর্ম প্রচার করেছিলেন, কিন্তু কোন ব্রাহ্মণ বুদ্ধকে কখনও আক্রমণ করেছেন এই ইতিহাস পাওয়া যায় না, বরং ত্রিপিটকের শুরুটাই হয়েছে বুদ্ধের সাথে এক ব্রাহ্মণের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে যেখানে ঐ ব্রাহ্মণ বুদ্ধকে প্রণাম করে তার সাথে কথোপকথনে লিপ্ত হন।
বই মেলায় ” নবী মুহম্মদের ২৩ বছর ” বইটির বেশ বড় আকারের একটি ফেস্টুন চোখে পড়েছিল কিন্তু সময়ের কারণে বইটি আর দেখা হয়ে উঠেনি । রোদেলা প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করায় তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা ছাড়া হয়তো এই মুহূর্তে আর কিছু করার সুযোগ নেই, তাই খুব খারাপ লাগছে । এ ভাবে ধর্মপন্থিরা যা চান তা কি পূর্ণ হবে ? মানুষ কি বইটি পড়ার জন্য খুজে পাবে না !
সুষুপ্ত পাঠক ,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যুক্তিনির্ভর ভাষায় বিষয়টির প্রতিবাদ করার জন্য ।
@চলেপথিক, ধন্যবাদ আপনাকে।
ঐতিহাসিক অপ্রিয় সত্যের বড় বিরম্বনা। অস্বীকার করাও যায় না, আবার মানাও যায় না। চোখ রাঙ্গানি আর আস্ফালন ছাড়া উপায় কি?
ধর্ম, নবীজি এই ব্যাপার গুলোকে বিশ্বাসের এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে , একটা ২০ বছরের তরুণকে যখন আমি বলি , যাদের আপনি এতদিন মা-বাবা ভেবেছিলেন তারা আপনার কেউই নয় । সে যেমন আমার কথা মোটেই বিশ্বাস করবেনা , এক কঠিন মানসিক অসস্তিতায় আটকা পরবে , তেমনি ধরমের ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে লোকের মাঝে এরকম আচরণ দেখা যায়। বলে , মত প্রকাশ না কি সার্বজনীন মানবাধিকার । নিজের মতামত প্রকাশ তো দূরে থাক আরও সেধে পরে মিথ্যার পূজা করতে হয়, চিৎকার দিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে হয় তখন। নিজের মা-বাবাও যখন এই অধিকারটুকু দেয় না। :-Y
লেখাটি আমি উপভোগ করেছি | লেখককে ধন্যবাদ এমন একটি সাহসী অথচ বস্থুনিষ্ট লেখা উপহার দেবার জন্য | ধর্মগুলোর সংকট এখানেই – যেখানে বারবার চেষ্টা করা হয় আড়াল আবডালে মানুষকে রাখা | কারণ সত্যটি প্রকাশ হয়ে গেলে বিশ্বাসের ভিতটি ভেঙ্গে খানখান হয়ে যায় | আর ধর্মের সর্বশেষ আশ্রয় এ জিনিসটিও যদি না থাকে, তবে তা তো কলার খোসা ‘বই আর কিছুই নয় | আড়াল আবডালের দিক থেকে মুসলিমরা রেকর্ড করেছে | ফলে মানুষকে কতল করা ছাড়া তাদের তো কোনো উপায় থাকে না (যুক্তি তাদের কাছে অচল)| আমার বিশ্বাস এদের বিরুদ্ধে ক্রমেই মানুষ সোচ্চার হচ্ছে |
@শিবব্রত নন্দি দুলাল, অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
“অসির চেয়ে মসি বড়” ভাবসম্রসারন পড়েছিলাম।
আর এখন প্রমান পাইলাম।
@দীপন দিপু, ধন্যবাদ।
দাদা, বরাবরই ভালো লিখেন, আজো ভালো লিখেছেন। তবে আজ বোধ হয় খুব তাড়াহুড়ো করে লিখতে হয়েছে; :scratch: অনেকগুলো বানান আর টাইপিং মিস্টেক দেখলাম। :scratch:
@লাবিব ওয়াহিদ,
সত্যিই টাইপো হয়ে গেছে। একটানা লিখে তক্ষুণি পোস্ট করেছি- চেক করা হয়নি। দ্রুত সম্পাদনা করে ঠিক করে দিবো ভাই।
সুষুপ্ত পাঠক ভাই আপনার এই লেখার কিছু অংশ আমি আমার ফেসবুক এর স্ট্যাটাস এ ব্যাবহার করছি। আশা করি আপনি অখুশি হবেন না। লেখা অসাধারন হইছে।
@Niloy, অখুশি হয়নি। ব্যবহার করে ভাল করেছেন। 🙂 ধন্যবাদ।
হাদিস-কোরানেও নবীজি সম্পর্কে অনেক অনেক খারাপ কথা আছে কিন্তু।
@তামান্না ঝুমু, আছে বৈকী! অনেক অনেক! তবে সে যুগে এসবের অনেকগুলোকেই খারাপ মনে করতো না মনে হয়!
@তামান্না ঝুমু, কোর-আনের কোন্ কোন্ সুরা বা আয়াতে আছে একটু দয়া করে উল্লেখ্য করবেন কি?
@তামান্না ঝুমু,
আমি প্রানখুলে গান গাওয়া একজন । আমি ধর্ম নিরপেক্ষ একজন । সব মানুষের সব ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে , কেননা সেটা যার যার নিজস্ব বিশ্বাস । ধর্মহীনতা ও একটি বিশ্বাস । কারও ধর্ম পালন না করা নিজস্ব অধিকার। শিক্ষা আমাদের মনকে করেছে উন্নত , কিন্তু মাঝে মাঝেই আমরা সেই উন্নত স্থান ধেকে বিচ্যুত হয়ে সব ধর্মকে আঘাত করি নিজের ধর্মহীনতার পক্ষ প্রতিষ্ঠা করার জন্য । আমরা কবিগুরু, নজরুল ও অন্যান্য সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী বিশ্ব জ্ঞানীদের চেয়েও নিজেদের ধর্মহীনতার পক্ষে জ্ঞান জাহির করি । এখানেই আমরা ধর্মের লেবাসধারী দুর্জনের কাতারে সামিল হয়ে যাই। মুক্তচিন্তা কখনো অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করতে পারেনা ।
শোকাহত হই যখন এই প্রক্রিয়ার কারনে অভিজিতের মত বিজ্ঞ প্রান ঝরে যায় দানবের আঘাতে – ঝরে যায় রাগীবের মত নক্ষত্র – ক্ষতবিক্ষত হয় মানবতা । ধিক্কার জানাই এই সব দানবীয় হত্যার। উদাহরন যোগ্য শাস্তি কামনা করি । মানুষের জন্য এই পৃথিবী – দানবের নয় ।
আমিও ঠিক একই কথা ভাবছিলাম। এরা পেয়ারা নবীজির জীবনীই নিষিদ্ধ করে দিল। বড়ই দুঃখ পেলাম। 😕
@স্বাক্ষর, ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।