২০শে অগাস্ট, ১৯৭১।
মশরুর বিমান ঘাটি, পাকিস্তান।
সকাল প্রায় এগারোটা। টি-৩৩ বিমান নিয়ে আকাশে উড়বার কথা পাইলট অফিসার রশীদ মিনহাজের। মিনহাজের বিমানের সাংকেতিক নাম ব্লু-বার্ড ১৬৬। পাইলট অফিসার মিনহাজ যথারীতি কন্ট্রোল টাওয়ারের কাছে অনুমতি চাইলো। ব্লু-বার্ডকে নিয়ে আকাশে উড়তে চায় সে।। কন্ট্রোল টাওয়ারও কোনো গড়িমসি না করেই স্ট্যান্ডার্ড ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিলো ব্লু বার্ডকে।
ব্লু বার্ডকে নিয়ে ২৭ নম্বর রানওয়েতে ঢোকার জন্য প্রস্তুত হলো মিনহাজ। ৪ নং ট্যাক্সি ট্রাক ধরে এগিয়ে সে। সামনেই একটা টিলা। এটি কিছুটা আড়াল করে রেখেছে ট্যাক্সি ট্রাককে কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে। ওখানেই একটা গাড়িতে বসে ওৎ পেতে ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান। তীব্র গতিতে নিজের গাড়ি চালিয়ে তিনি ছুটে গেলেন ৪ নম্বর ট্যাক্সি ট্রাকের দিকে। মিনহাজকে বিমান থামানোর জন্য সংকেত দিলেন তিনি। এই ফ্লাইটের সেফটি অফিসার তিনি। কন্ট্রোল টাওয়ারের অনুমতি থাকার পরেও সেফটি অফিসারের সংকেত পেলে বিমান থামানো অনেকটা বাধ্যতামূলক। মতিউর ভাব করলেন যেনো জরুরি কিছু বলার আছে তাঁর মিনহাজকে। বিমান থামায় মিনহাজ। তারপর কথা শোনার জন্য বিমানের ক্যানোপি খোলে সে। এই সুযোগে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিমানের ককপিটে উঠে পড়েন মতিউর। শক্তি প্রয়োগ এবং ক্লোরোফর্মের সাহায্যে কাবু করে ফেলেন মিনহাজকে। এর আগেই অবশ্য তিনি গাড়িটাকে এমনভাবে ট্যাক্সি ট্রাকের উপর রেখেছেন যাতে করে অন্য কোনো টি-৩৩ তাকে ধাওয়া করতে না পারে।
ট্যাক্সি ট্রাকের মাঝপথে বিমান থামতে দেখে নাক গলায় কন্ট্রোল টাওয়ার। জানতে চায় কোনো অসুবিধা আছে কি না। ব্লু বার্ড থেকে কোনো উত্তর আসে না। এর পরিবর্তে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ব্লু বার্ড এগিয়ে যায় রানওয়ের দিকে। ঠিক একটু আগেই একটা বিমান নেমেছে রানওয়েতে। ফলে, রানওয়ে তখন খালি। এই সুবর্ণ সুযোগে ব্লু বার্ডকে নিয়ে শা করে আকাশে উঠে যান মতিউর রহমান।
অবিচলিত কণ্ঠে তিনি কন্ট্রোল টাওয়ারে খবর পাঠালেন। ব্লু বার্ড ছিনতাই হয়ে গিয়েছে। কন্ট্রোল টাওয়ার তখনো হতভম্ভ, হতচকিত। বললো, ‘নিশ্চিত করে জানাও।’
বেতার সেটে মতিউর রহমানের পরিষ্কার কণ্ঠ ভেসে এলো, ‘নিশ্চিত।’
রাডারে যাতে ধরা না পড়ে সে কারণে খুব নিচু দিয়ে, একেবারে মাটির গা ঘেষে ব্লু বার্ডকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মতিউর রহমান। পিছনে ফেলে আসা স্ত্রী এবং দুই শিশু কন্যা নয়, তাঁর দু’চোখে ভাসছে সামনে পড়ে থাকা স্বপ্নের স্বাধীন দেশ। এই বিমান নিয়ে পৌঁছে যাবেন তিনি ভারতে। তারপর এটা দিয়ে আকাশপথে যুদ্ধ হবে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সাথে।
কন্ট্রোল টাওয়ারে তখন হুলুস্থূল পড়ে গেছে। অল্পক্ষণের মধ্যেই দু’টো এফ-৮৬ জঙ্গী বিমান উঠে পড়ে আকাশে। আশে পাশের সব বিমান ঘাটির রাডারগুলো সচল হয়ে ওঠে। চিরুনি তালাশ শুরু হয়ে যায়।
এর মধ্যে বিমানের মাঝে শুরু হয় আরেক নাটক। হঠাৎ করেই জ্ঞান ফিরে পায় মিনহাজ। একটু ধাতস্থ হতেই টের পেয়ে যায় মতিউর রহমানের উপরে। দুই দেশের দুই বীর যোদ্ধা নিজ নিজ দেশের জন্য আকাশে শুরু করে আকাশযুদ্ধের এক অসামান্য ক্লাসিক লড়াই। একজন এটিকে ছিনতাই করে নিয়ে যেতে চান তাঁর দেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য। অন্যজন তার দেশের বিমানকে রক্ষার করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। এ যেনো হেক্টর আর একিলিসের মরণপণ লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিতেছিলো একিলিস। কিন্তু, এই বাস্তব লড়াইয়ে জয় হয় না কারো, পরাজয়ও ঘটে না কারো। অসমসাহসী দুই বীরের দাপাদাপি সইতে পারে না ব্লু বার্ড। দুজনকে নিয়েই ধ্বংস হয়ে যায় সে।
সারাদিন অনেক চেষ্টা করেও ব্লু বার্ডের হদিস পাওয়া যায় না। বিকালের দিকে খবর পাওয়া গেল যে, থাট্টার অদূরে ব্লু বার্ডের বিধ্বস্ত শরীর পড়ে আছে। এর দুই বৈমানিকই নিহত।
মতিউর রহমানকে মশরুর বিমান ঘাটির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে কবর দেওয়া হয়। গাদ্দার বলে তাঁর জানাজা পড়ানো হয় না। কোনো রকম ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দেশের জন্য জীবন দেওয়া, বাংলাদেশের এক অকুতোভয় শ্রেষ্ঠ বীর পড়ে থাকে অনাদরে আর অবহেলায়, ভিন্ন এক দেশের মাটিতে ভিনজাতীয়দের ঘৃণার পাত্র হয়ে।
এতো গেলো ভিনদেশি মানুষদের কথা। এরা লিপ্ত ছিলো আমাদের সাথে এক অন্যায় যুদ্ধে। এদের প্রতিক্রিয়া কী হবে সেটা বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু, আমাদের সুমহান দেশরক্ষক রাজাকাররা, যারা আমাদেরই মাটির সন্তান। মাটির সন্তান, কিন্তু মাটি বা মানুষের প্রতি ছিলো না কোনো মায়া-মমতা, ভালবাসা। এর বিপরীতে প্রবল আক্রোশ অনুভব করতো স্বজাতির বিরুদ্ধেই। বিজাতীয় প্রভুদের মনোরঞ্জনের জন্য নিজের দেশের মানুষের রক্তে হোলি খেলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে নি তারা। তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিলো? এর জন্য অবশ্য খুব বেশি অনুমান করতে হয় না।
বাঙালি মতিউর রহমান নয়, বরং পাকিস্তানি মিনহাজের বীরত্বে গর্ববোধ করেছে তারা। ৩০ শে আগস্ট দৈনিক সংগ্রাম ‘আমরা গর্বিত’ নামে সম্পাদকীয় ছাপে। সেই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়ঃ
“পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পাইলট অফিসার রশীদ মিনহাজ জাতীর জন্য নিজের জীবন কোরবানী দিয়ে দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধের এক অত্যুজ্জ্বল নিদর্শন আমাদের সামনে রেখে গেলেন। পাকিস্তান সরকার সাহসিকতার জন্য পাকিস্তানের সর্বোচ্চ খেতাবে নিশানে হায়দার দিয়ে মরহুম মিনহাজকে সম্মানিত করছে। মরহুম মিনহাজের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কাহিনী যখন আমরা শুনেছি তখন আমাদের বুক গর্বে আনন্দে ভরে উঠেছে।”
রশীদ মিনহাজ যে একজন বীর, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই রাজাকার সাহেবদের রশীদ মিনহাজের বীরত্বে গর্ব হয়, কিন্তু একজন বাঙালি বীর যে তাঁর দেশের মুক্তির জন্য একটা আস্ত যুদ্ধ বিমান ছিনতাই করে লড়াইয়ে নামতে চায়, তাকে নিয়ে কোনো গর্ববোধ করে না।
গর্ববোধ তো অনেক দূরের কথা, তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলতেও বিন্দুমাত্র বাধে না তাদের। ১লা সেপ্টেম্বর একটা লেখা ছাপা হয় দৈনিক সংগ্রামে। এর শিরোনাম ছিলো ‘শহীদ মিনহাজের জীবনের শেষ কয়েকটি মুহুর্ত’। এই লেখায় বলা হয়ঃ
“আমাকে হাইজ্যাক করা হচ্ছে – এই ছিল তার শেষ কথা যা টেপ রেকর্ডে ধরা পড়েছে। এই কণ্ঠস্বর ছিল পরিষ্কার ও জোরালো এবং কথাটি তিন বার উচ্চারণ করা হয়েছে। প্রথমবার ছিল অনুমান করার মত। ঠিক যখন বিশ্বাসঘাতক ফ্লাইট লেঃ মতিউর রহমান তাকে ক্লোরফর্ম দিয়ে কাবু করার চেষ্টা করেছিল। এই উচ্চারণ শুনে মনে হয় তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যখন তার কাছে দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, তার ইন্সট্রাক্টর বিমানটিকে ভারতে নিয়ে যাবেই তখন তিনি শেষ বারের মত প্রাণপন চেষ্টা করে বিমানটিকে দুর্ঘটনাকবলিত করেন। এইভাবে তিনি দেশ ও নিজ কর্তব্যের প্রতি চুড়ান্ত আত্মত্যাগ করে গেলেন।”
শুধু সংগ্রামই নয়, ইসলামি ছাত্র সংঘের প্রধান মতিউর রহমান নিজামীও মিনহাজের জন্য শোকার্ত হয়ে ওঠে। মিনহাজ তার কাছে মহান দেশ্রেমিক আর অন্যদিকে মতিউর রহমান ভারতের হানাদার এজেন্ট। মিনহাজের বাবার কাছে শোকবার্তা পাঠায় নিজামী। দৈনিক সংগ্রাম সেপ্টেম্বরের চার তারিখে পত্রিকায় এটি তুলে আনে। শিরোনাম ছিলো, “মিনহাজের পিতার নিকট ছাত্রসংঘ প্রধানের তারবার্তা”। সেখানে বলা হয়ঃ
“পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি জনাব মতিউর রহমান নিজামী শহীদ রশীদ মিনহাজের পিতার নিকট এক তারবার্তা প্রেরণ করেছেন।
পাকিস্তানী ছাত্র সমাজ তার পুত্রের মহান আত্মত্যাগে গর্বিত। ভারতীয় হানাদার ও এজেন্টদের মোকাবেলায় মহা্ন মিনহাজের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা অক্ষুণ্ণ রাখতে তারা বদ্ধ পরিকর।”
এই রাজাকারটাকে ফাঁসিতে না ঝুলালে, কাকে ঝুলাতে হবে বলেন?
যুদ্ধপরাধীদের মৃত্যূদন্ড কার্যকর করার পর কোথায় কবর দেয়া হবে এটা নিয়ে অনেকে ফেসবুক টুইটারে অনেক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, কেউ বলছে রাজাকারের জন্য এই দেশের মাটি নয়, কেউ বলছে লাশ বঙ্গোপসাগরে ফেলে দাও।আমি বলি কি এই দেশেই ওদের কবর হওয়া দরকার।ওদের জন্য বরাদ্দ করা হোক আলাদা কবরস্থান। নাম দেয়া হোক রাজাকার-আলবদর গাদ্দার কবরস্থান। আর কবরের দেয়ালে লেখা থাকবে ” এটা একজন রাজাকারের কবর-৭১ সালে এর দ্বারা অসংখ্য মানুষ খুন ও ধর্ষিত হয়েছে। এর প্রতি জানাই থুথু সহকারে চির ঘৃনা”।
আর এভাবেই পরবর্তি প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে গাদ্দারদের পরিচয়।
ফেইজ বুকে পড়েছি। লেখাটি মুক্ত-মনায় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এসব লেখা অধিক প্রচার বাঞ্ছণীয়।
দীর্ঘ দিন ধরে সমগ্র বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে রাজনীতি সচেতন বাংলাদেশী যে যেখান আছে সবার মুখেই বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে একটা কথা আছে যে আমাদের দেশের তথা কথিত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতিক দল তথা বর্তমান শাষক গোষ্টীর সাথে আমাদের স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে একটা গোপন আতাত হয়ছে । যে কন মূল্যেই বর্তমান শাষক গোষ্টী তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি কে রাজনীতিক ভাবে সঙ্গী হীন তথা পংগু করার জন্য যা যা করা তাই করতে প্রস্তত এবং বর্তমান শাষক গোষ্টীর সর্ব শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি কে ধ্বংশ করতে মরিয়া । আবশ্য শাষক গোষ্টীর ভিতর বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংশের মনো ভাব বাংলাদেশে নতুন কিছু নয় আমাদের সৃষ্টি লগ্ন তথা স্বাধীনার পর থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংশের মনো ভাব শাষক গোষ্টীর ভিতর কাজ করে আসছে । জাসদ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম বিরোধী দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিভাবে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংশ করা যায় সেই লক্ষে তৎকালীন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিক জাসদের উপর যত ধরনের দমন পীড়ন আছে কোন টা থেকেই জাসদকে রেহায় দেয় নি ।১৯৭২-১৯৭৫ সালে বিরোধী দলের ২০ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে । তার ই ফলশ্রুতিতে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বর্তমান প্রধান মন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন শাষক দল বিএনপি গ্রেনেট হামলা করিয়ে ছিল কিন্তু সৌভাগ্য ক্রমে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে যান । আর সেই প্রতিশোধ পূরনের জন্য শেখ হাসিনা ও ক্ষমতা গ্রহন করে বিএনপি ও তার দোসরদের বারোটা বাজাতে আদা-জল খেয়ে নেমেছে ।ইতোমধ্যে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে ঘড় সংসার সব কিছু ছাড়া করেছেন খালেদা জিয়া ও তার পরিবার সহ তার নেতা কর্মীরা আজ ঘড় ছাড়া দেশ ছাড়া । যাই হউক এতো গেল আমাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কিছু নমুনা । জামাত-ই-ইসলামি র সাথে বর্তমান বর্তমান শাষক গোষ্টীর আতাত বেশ কিছুদিন যাবত ই স্পষ্ট যার ফলশ্রুতিতে সৃষ্টি হয়ে ছিল গনজাগরন মঞ্চের । জামাত নেতা কাদের মোল্লার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ই তা প্রমানে যথেষ্ট । স্বাভাবত প্রশ্ন আসতে পারে তা হলে কেন পরবর্তীতে কাদের মোল্লাকে যাবৎ জীবন সাজা থেকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলো এবং কেনই বা অতি দ্রুত কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড ও কার্যকর করা হলো ঠিক তদ্রুপ প্রশ্ন হলো কেনই বা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদন্ডাদেশের পর ও উচ্চাদালত আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিলেন । যদি ও আমরা বলবো সবই আদালতের রায় যা মানা সকল নাগরিকের কর্তব্য । আদালতের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল হয়েই প্রশ্ন গুলি আমার মনের ভিতর ঘুরপাক খায় । আমাদের দেশের বিচার বিভাগ কত টুকু স্বাধীন তা নিয়ে আজ ও অনেকের মনে প্রশ্ন ঠিক এই প্রশ্নটা আমার মনে ও ঘুর পাক খায় যে আদৌ কি আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন ? কাদের মোল্লা ও সাঈদীর উত্তরে আসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সাঈদীর রায়ের পর দেশব্যাপী জামাত-শিবির ও সাঈদীর অজস্র ভক্তরা দেশব্যাপী যে নাড়কীয় তান্ডব করে দেশ কে ধ্বংশে দ্বার প্রন্তে নিয়ে গিয়ে ছিল । আর বহিবিশ্ব সাঈদিকে ধর্মীয় গুরু বা ধর্মপ্রচারক হিসেবে প্রচার করে একটা সংকট সৃষ্টি করেছিল সে সব দিকে লক্ষ রেখেই সাঈদীর রায় সম্ভবত উচ্চ আদালাতে গিয়ে পরিবর্তন হয়েছে । যদিও আমি ধর্ম ও ধর্মনিয়ে রাজীতিকদের সম্পুর্ণ বিপক্ষে তার পর ও আমদের দেশে ধর্ম নিয়ে ই মূলত রাজনীতি পরিচালিত হয় সে দিক থেকে আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক ইসলাম ধর্মের অনুষারী হওয়ায় জামাত-ই-ইসলাম শত অপকর্মের পর রাজনৈতিক ভাবে শক্ত অবস্হানে আছে কিন্তু আমাদের মাহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সমস্ত অপকর্ম তাদের ক্ষমতার সিংহাসনে পৌছার মূলবাধা তাই জামাত-ই-ইসলামির নতুন প্রজন্ম চাচ্ছে যে ভাবেই হউক মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সমস্ত অপকর্মের দায় থেকে মুক্তি পেয়ে মানুষের নিছক ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রীয় শাষন ক্ষমতা গ্রহন করা আর তার জন্য মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সমস্ত অপকর্মে অভিযুক্তদে হাত থেকে জামাত-ই-ইসলাম কে মুক্ত করা সেই দিক থেকে জামাতের নতুন প্রজন্মের নেতারা বর্তমান শষক গোষ্টির সাথে একটা সূক্ষ্ণ আতাতের মাধ্যমে তাদের বর্তমান রাজনীতি পরিচালনা করছে । জামাত-ই-ইসলাম বলতেই দেশের মানুষ বোঝে একটি হিংস্র রাজনৈতিক দল আর সে হিংস্র রাজনৈতিক দল তাদের দলের কর্ণধারদের মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর ইত্যাদির পরে ও হরতাল ডেকে ঘরে বসে হাঁসের মাংস দিয়ে ভূনা খিচুরি খবে এটা কারোই বোধ গম্যনয় । আর জামাত-ই-ইসলামের বিগত বেশ কয়েকটা হরতালে ঘরে বসে হাঁসের মাংস দিয়ে ভূনা খিচুরি খাওয়ার যে প্রবনতা সেই সাথে তাদের আধ্যাতিক গুরু যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ট হয়ে আমৃত্যু কারা ভোগকারি গোলাম আযমের মৃত্যুর পর গোলাম আযমের লাশের প্রতি সরকারে যে সম্মান বোধ এবং গোলাম আযমের পরিবারের পক্ষ থেকেপ্রধান মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা বর্তমান সরকারের সাথে তাদের সু-সম্পর্কের ই বহিঃপ্রকাশ ।
এই লাইনটি লেখাটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ, চিরায়ত সাহিত্যমূল্যের অতি আবশ্যক শর্ত হল, চরিত্র চিত্রনে বিশ্বস্ত থাকতে হবে, আবেগের ঘনঘটা যেন ছিনতাই না করতে পারে চরিত্রটিকে। মিনহাজ বেশীরভাগ লেখাতেই নরকের কীট হিসেবে বিশ্লেষিত হয়ে থাকবেন সম্ভবত; কিন্তু আপনার নির্মোহ বর্ননা মতিউরকে বিন্দুমাত্র খাটো তো করেইনি, বরং আখ্যানটির বিশ্বস্ততা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
সেই।
ভাবতে আশ্চর্য লাগে, সেই সংগ্রাম এখনো প্রকাশিত হয় এইদেশে, সেই ইসলামি ছাত্র সংঘ এখনো রাজনীতি করে এইদেশে অন্য ছাতার তলে! যদি ওরাই জয়ী হত একাত্তরে, তাহলে কোন মুক্তিযোদ্ধা কি এইভাবে টিকে থাকতে পারত? প্রকাশিত হত কি স্বাধীনার স্বপক্ষে থাকা কোন পত্রিকা?
এই প্রশ্ন কাকে করলেন, ফরিদ ভাই? দেশ নব্য রাজাকারে ছেয়ে গেছে, চিন্তাই করতে পারবেন, কি বিপুল বিষ্পোরন ঘটেছে রাজাকার-পপুলেশনের, তো সেই রাজাকার বা রাজাকার উত্তরসূরীদের কাছে উত্তর হলঃ না। আজ বাংলাদেশের হাটে-ঘাটে-সড়কে হাটাহাটি করলে এমনটাই শুনতে পাবেন, আপনি।
আধুনিক, প্রগতিশীল, এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষেরা আজ আশ্রয় নিয়েছে ভার্চুয়াল জগতের সীমিত পরিসরে, মাঠ-ঘাট-বাট পুরো দখলে নিয়েছে বিরুদ্ধ শক্তি।
@ফরিদ আহমেদ
মানুষরূপী এই সব বদ্গুলার নামের আগেপরে হায় কেন? শিরোনাম নিদেন পক্ষে ‘বদ নিজামী, বদের ধাড়ি’ হওয়া দরকার।
@কাজী রহমান,
শিরোনাম কোমল হয়েছে, এই অভিযোগ ফেসবুকেও পেয়েছি। একটু আক্ষেপের সুর রয়েছে শিরোনামে স্বীকার করছি। এনিওয়ে, আপনি যখন বললেনই, দিচ্ছি শিরোনাম পরিবর্তন করে। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
এবার ভালো হয়েছে। এদের বসবাস দুর্গন্ধময় বর্জের গর্তে। সভ্য সাধারণ মানুষের আশেপাশে এদের জন্য কোন জায়গা থাকতে পারে না।
(FF)
মতিউর রহমান নিজামী, রায়: মৃত্যুদন্ড। ফাঁসি। ফাঁসি না দিয়ে ওটাকে আমরণ মানুষ খেকো ক্ষুধার্ত বাঘের খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হোক।
বরাহপুত্র কামরুজ্জামান, রায়: মৃত্যুদন্ড। অপিলেও রায় মৃত্যুদন্ড। ফাঁসি না দিয়ে একই দিনে ওটাকেও আমরণ মানুষ খেকো ক্ষুধার্ত বাঘের খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হোক।
ভাই………আমারে ঝুলান……………………আমাদের রাজনীতিবিদ রা দেশ প্রামিক এর চেয়ে রাজাকার দের বেশী পসন্দ করে……………………৩০ লক্ষ শহীদ এর চেয়ে তাদের কাছে ক্ষমতা বড় ।