স্থান কাল পরিবেশের ভিন্নতা থাকলেও অসুস্থতার কোন ভিন্নতা নেই। শুধু বাংলাদেশেই নয় এই অসুস্থ মানুষগুলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এরা মগজে এক প্রকার ভাইরাস নিয়ে চলাফেরা করে। এই ভাইরাস কয়েক হাজার বছর ধরে মানুষের মগজ থেকে মগজে বংশবৃদ্ধি করে যাচ্ছে। আর মস্তিষ্কের মধ্যে প্রতিনিয়ত উৎপাদন করে যাচ্ছে ঘৃণা ও হত্যার উন্মাদনা। তাই সারা বিশ্বে এদের চরিত্রও একি রকম।
আজকে ঘুম থেকে উঠেই ফারাবী নামক এক অসুস্থ, মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষের ফতোয়া শুনলাম। তিনি মূলত ইসলামিক লেখা লিখে থাকেন। এই অসুস্থ মানুষটার সাথে একবার দেখাও হয়েছিল। তিনি তখন ওয়াদা করেছেন; তিনি আর কোন মেয়েকে ফেসবুকে জ্বালাবেন না, কাউকে টিজিং করবেন না। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই আগের মত মেয়েদের জ্বালাতন, বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে হত্যার ফতোয়া জারি, বিভিন্ন মানুষের মা-বোন নিয়ে গালাগালি এমনকি হিন্দু মেয়েদের গনিমতের মাল হিসেবে আখ্যায়িত করে অনবরত স্ট্যাটাস দিতে থাকেন। সাক্ষাতে অবশ্য ফারাবী বলেছে- তার আইডিটি সে একা চালায় না। কয়েকজনের কাছে তার পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে তারাও প্রয়োজনবোধে তার আইডিটি ব্যবহার করে। অবশ্য দু-একজনের নামও বলেছে তিনি।
শাহবাগ আন্দোলনের সময় ধর্মান্ধ উন্মাদদের হাতে নিহত হন রাজিব হায়দার। তখন ফারাবী স্ট্যাটাস দেয়-রাজিব হায়দারের জানাজা যে হুজুর পড়াবে, সেই হুজুরকেও হত্যা করা হবে। ফারাবী জেল থেকে বের হয়ে পারভেজ আলম কে হত্যা করার জন্য স্ট্যাটাস দেন। মজার বিষয় হল পারভেজ ভাই এই অসুস্থ ফারাবীর মুক্তির কথা বলেছিলেন। পাগল জেল থেকে ছাড়ালে কী পরিণতি নয় তা মনে হয় এবার পারভেজ ভাই বুজেছেন। কারণ পাগল শুধু পারভেজ ভাইকে কামড়াতে চায় নি আরও অনেককে প্রতিনিয়ত কামড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকে ব্লগারদের গ্রেফতারে সাথে ফারাবীর গ্রেফতার গুলিয়ে ফেলেন। মনে রাখা উচিত, ফারাবীকে হত্যার হুমকির জন্য গ্রেফতার হয়। লেখালেখি জন্য নয় বরং হত্যার হুমকির জন্য গ্রেফতার হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক আমলের সময় ভাস্কর্য ভাঙ্গার মুমিনদের মধ্যে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন। ফারাবী পূর্বে হিজবুত তাহরী করত জেল থেকে ছাড়া পেয়ে চরমোনাই পীরের গ্রুপে যোগ দেয়। হত্যার হুমকির আগেও হিজবুত তাহরী হিসেবে একাধিকবার গ্রেফতার হয়।
ফেসবুক ও ব্লগের বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ ফারাবী সাহেব এখন বেশ জনপ্রিয়। এই লাইনের লোকজন অবশ্য এই ব-দ্বীপে ভালই জনপ্রিয়তা পায়। তার একেকটা স্ট্যাটাসে দুই তিন হাজার লাইক পড়ে। এমনকি হত্যার হুমকি দেওয়া স্ট্যাটাসগুলোতে একই হাল। হত্যার ফতোয়া নামক স্ট্যাটাসগুলোতে ফেসবুকের কথিত বড় বড় বুদ্ধিজীবীদের লাইক থাকে। তার মধ্যে একজন হলেন বিএনপি ও জামাত-পন্থী লেখক ওহাইদুজ্জামান অন্যতম। তিনি নাকি আবার শিক্ষক। তার খোমা অবশ্য বিভিন্ন টক শো’তে টকমারানীদের সাথে দেখা যায়। শুধু তিনিই নন, একসময় নাস্তিকদের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেকে ফারাবীর কোলে গড়াগড়ি খেয়েছেন। অনেকে ফারাবীকে ব্লো জব দিয়ে এখন মুখ ধুয়ে ফেলেছেন।
ফারাবী অনেকদিন ধরেই অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্ট্যাটাস, ব্লগ লিখে যাচ্ছেন। অভিজিৎ রায়ের বিপক্ষে অনবরত লেগে থাকার মূল কারণ অভিজিৎ রায়ের অসাধারণ সব বই ও ব্লগিং। বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অভিজিৎ রায় খুব জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তার মূল কারণ সর্ব সাধারণের জন্য তাঁর বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখা, যুক্তিবাদী ব্যাখ্যা ও সহজবোধ্য গদ্য। বিজ্ঞানের জটিল বিষয়কে সহজভাষায় সহজবোধ্যভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরাই অভিজিৎ রায়ের মূল বৈশিষ্ট্য। অভিজিৎ রায় নিজের দর্শন শুধু লেখালেখিতেই সীমাবদ্ধ করে রাখেননি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও এর বাহিরে নয়। নিজের কথাই বলি ভার্সিটিতে যখন প্রথম ভর্তি হই; অভিজিৎ রায়ের কতো ব্লগ ও বই পড়ে যে রাত কাটিয়ে দিতাম তার অন্ত নেই। এরকম আরও অসংখ্য মানুষ আছে যারা অভিজিৎ রায়ের সকল পড়ে থাকেন। আমার এক ছোট বোন অবিশ্বাসের দর্শন বইটি পড়েছিল চুরি করে। কারণ বাপ-মা দেখলে পড়তে দেবে না তাই চুরি করে পড়তে হয়েছে। শুদ্ধস্বরে সবচেয়ে বিক্রিত বইগুলোর একটি অভিজিৎ রায় ও রায়হান আবীর-এর অবিশ্বাসের দর্শন।
এবছর অভিজিৎ রায়-এর নতুন বই-বিশ্বাসের ভাইরাস। এই বইটি মস্তিষ্কে টিকা-রূপে কাজ করে। রকমারিতে বিক্রিত বইগুলোর প্রথম সারিতে ছিল বইটি। বইটির জনপ্রিয়তাই এতো ফতোয়ার মূল কারণ। কারণ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বইটি স্বাভাবিকভাবে নেবে না এটাই স্বাভাবিক। প্রগতিশীল বেশধারী লোকজন ’বিবি থেকে বেগম’ বইটি প্রকাশের বিরোধিতার করেছিলেন সে ক্ষেত্রে অভিজিৎ রায়ের বইগুলো ফারাবী টাইপ মানুষের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সেটাই স্বাভাবিক। তবে এসব হত্যার ফতোয়া কিংবা বইয়ের বিরোধিতা এটাই প্রমাণ করে বইগুলোয় কতোটা শক্তি আছে। কতোটা শক্তি থাকলে মানুষের মনের অন্ধকার দ্বারটি খুলে ফেলতে পারে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বুয়েট নয় অভিজিৎ রায়ের বইগুলো ছড়িয়ে আছে সারা দেশে। সারা দেশের অসংখ্য পাঠকের ধর্মান্ধতা আজো দূর করে যাচ্ছে অভিজিৎ রায়ের লেখাগুলো। তাই ফারাবীর ফতোয়ায় ছেঁচড়া জঙ্গির হুমকিতে রকমারির মতন বই বিক্রয় সাইট থেকে অভিজিৎ রায়, হুমায়ুন আজাদের বই সরিয়ে ফেললেও জ্ঞান পিপাষু পাঠক কষ্ট করে হলেও অভিজিৎ দার বইগুলো সংগ্রহ করবে। বিশ্বাসের ভাইরাসের টিকা যেহেতু বাজারে এসেছে সেহেতু সমগ্র-জাতিকে একদিন এই ভাইরাস গ্রহণ করতে হবে তা নিজেদের প্রয়োজনেই। এই দেশ থেকে তসলিমা নাসরিনকে বিতাড়িত করা হয়েছে, দাউদ হায়দারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। কারো লেখা অন্যকারো পছন্দ হতে নাই পারে। পছন্দ না করার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু কাউকে লেখার কারণে একমাত্র বর্বর রাষ্ট্রেই বের হয়ে যেতে হয়। সেই কলঙ্কের কালি আমরা স্বাধীনতার কয়েক বছরের মধ্যেই নিজেদের গালে মেখে ছিলাম। সর্বশেষ হুমায়ুন আজাদকে হত্যা চেষ্টা। আজ হয়তো ফারাবী নামক অসুস্থ ব্যক্তি স্ট্যাটাস দিয়েছে কিন্তু গত বছর তো ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালানো লোকজন সাধারণ ব্লগারদের ফাঁসি চেয়ে বসল।
ভাবতে অবাক লাগে, ১৫০ বছর আগে মাইকেল মধু সূদন দত্ত মেঘনাদ বধ লিখেছেন, কয়েক বছর আগে ড্যান ব্রাউন দি দ্যা ভিঞ্চি কোড লিখেছেন। ধর্মীয় গণ্ডী থেকে চিন্তা করলে মানব ইতিহাসে এগুলো সবচেয়ে বড় ধর্মাবমাননা সাহিত্য। যারা পড়েছেন তারা অবশ্যই মেনে নেবেন এগুলোর তুলনায় একশ ভাগের একভাগ আমাদের সমাজে লেখা সম্ভব নয়। সালমান রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস না পড়েই ধর্মাবমাননার জন্য এই দেশে নিষিদ্ধ। অথচ সাহিত্য কখনো মানুষকে ঘৃণা শেখায় না, হত্যা করতে উদ্বুদ্ধ করে না তারপরও ধর্মীয় সমাজ এগুলো সহ্য করে না। এই সমাজে প্রকাশ্যে হত্যা করার কথা বলতে পারবেন, ধর্ষণ করতে পারবেন, দুর্নীতি লুট সবই করতে পারবেন। ধর্মের নামে ব্যবসা, হত্যা, অত্যাচার, বাজারে মজমা জমিয়ে রসালাপ করে অন্য ধর্ম সম্পর্কে গিবত করতে পারবেন কিন্তু এগুলোর বিপক্ষে বলা যাবে না। ধর্ম সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করা যাবে না শুধু অন্ধের মতন অনুসরণ করে যেতে হবে। এরপরও কিছু মানুষ সময়ের বিপক্ষে হাঁটতে চায়। বিপরীত স্রোতে লড়ে যায়। এসব মানুষদের শক্তিশালী লেখনীর উজ্জ্বল তেজ ধর্মান্ধদের চোখ ঝলসিয়ে দেয়। অভিজিৎ রায়ের বইয়ের বিরোধিতা করে কোন লাভ নেই বরং আপনাদের প্রকৃত চেহারা সারা পৃথিবীর কাছে ফুটে উঠছে। আপনাদের চরিত্র যতো স্পষ্ট হবে ততই আপনাদের ঘৃণা করতে সুবিধে হবে। আর বেশি দিন বাকী নেই যেদিন অভিজিৎ রায়ের বিশ্বাসের এন্টিভাইরাস আপনাদেরও নিতে হবে। সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই; বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়। আপনারা এলরেডি বাজারের পচা ফল। দুর্গন্ধ অনেক ছড়িয়েছেন এখন শুধু পোকা ফোটা বাকি!!!
***শিরোনামটি- দাদার একটি বইয়ের নাম অনুসারেই দিলাম।
[img]https://fbcdn-sphotos-c-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/t1.0-9/1947448_10203560447474546_3769012731479887244_n.jpg[/img] :lotpot:
এই উগ্রবাদী ফারাবীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। এই রকম লোক মানুষের মানবাধিকার আর মুক্তচিন্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। সে, নিজেই আসলে ‘ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের একটা ভাইরাস’।
আশা করি, এই উগ্রবাদির একদিন বোধদয় হবে যে, সে কি করছে—
ধন্যবাদ সুব্রত শুভ সত্যি কথাগুলো সহজভাবে বলার জন্য। রকমারি ডট কম আসলেই মেরুদন্ডহীনতার কাজ করেছে – নাকি তাদের আদর্শও ফারাবীর আদর্শের অনুরূপ? ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ এখন আধুনিক বিজ্ঞান-মনস্ক মুক্তমনার ক্লাসিক। এই বইগুলোকে একটা অনলাইন সাইট থেকে সরিয়ে দিলেই থামিয়ে দেয়া যাবে? ফারাবীদের মত লোকরা তা মনে করতে পারে। কিন্তু আলোকের অভিযাত্রীরা থামতে জানে না।
যে কোনো বড় প্রতিষ্ঠানকেই এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। ফেসবুক, অ্যামাজন, ইউটিউব দ্রষ্টব্য। রকমারি এতবড় কিছু না হলেও তাদের আজ বাদে কাল ফারাবিদের সম্মুখীন হতেই হতো। কিন্তু ফারাবির চোখ রাঙানি দেখে রকমারি যে কাজটি করেছে তা কোনো ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। ঘরে ঘরে বই পৌছে দেবার কাজ বলে উদ্যোগটার প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি ছিলো। এ কারণেই ভাবছিলাম, কিছুক্ষণ দেখি তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে কি না এবং ভুল স্বীকার পূর্বক অভিজিৎ দার বই গুলো ভিরিয়ে আনে কি না। কিন্তু নীতিমালা বিষয়ে তাদের প্রাথমিক বিবৃতি হতাশ করেছে। সম্ভবত বিজ্ঞান ও মুক্তচিন্তার বই তাদের স্টোরে রাখার মত নৈতিক শক্তি তাদের আর হয়ে উঠবে না।
সুব্রত শুভ, মুক্তচিন্তা নিয়ে লেখালিখি করতে গিয়ে রাষ্ট্র কর্ত্রিক হয়রানির শিকার হয়েও আপনি আজ কিবোর্ট তুলে নিলেন হাতে। দঢ়ৃতার এই দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা। (F)
আর অভিজিৎ দার বই যারা পড়েন তারা খুঁজে খুঁজে নিয়েই পড়বেন। রকমারি বা অন্য কেউ সেই বই তাদের অনলাইন স্টোরে রাখতে পারলো কি না, সেটা বরং এইসব ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নৈতিকতার একটা মানদন্ড হয়ে রইবে।
ধন্যবাদ সুব্রত শুভ, লেখাটার জন্য। ফারাবী-রকমারি ঘটনার পরই আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ফেসবুকে।
এখানে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রকমারি দেখলাম প্রেস রিলিজের মতো কিছু একটা দিয়েছে (এখানে)।
সেটি পড়লে মনে হয় তারা প্রথমেই খুব সন্তর্পণে ‘কিছু মহলের’ উপর দোষ চাপিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে চেয়েছেন, তারা বলেছেন,
এখানে প্রশ্ন হল রকমারির ‘ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে কিছু মহল’ কারা? নিশ্চয় ফেসবুকে গড়ে উঠা অনলাইন এক্টিভিস্টরা যারা রকমারির হর্তাকর্তা এবং পরিচালকদের অপেশাদার এবং দায়িত্বহীন কাজকর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে রকমারি বর্জনের ডাক দিয়েছেন, তারা? যে প্রতিষ্ঠান ফারাবী নামক মুখচেনা লম্পট এবং ফতোয়াবাজের মুখের কথায় কোন কিছু আগাপাশতলা বিচার বিবেচনা না করে বিজ্ঞানমনস্ক বইপত্র উঠিয়ে নেয়, অথচ যাদের সাইটে শোভা পায় গোলাম আযম, মওদুদী, দেলওয়ার হোসেন সাইদীর বই? এই একবিংশ শতাব্দীতে বসে তারা অনলাইনে বিক্রি করছেন, ‘পৃথিবী নয় সূর্য ঘোরে’র মত অবৈজ্ঞানিক বই, কিংবা ‘আদি ও আসল সোলেমানী তাবিজের কিতাব’ জাতীয় গ্রন্থ। অথচ আধুনিক বিজ্ঞানী এবং দার্শনিকদের জার্নাল,আর বইয়ের রেফারেন্স দেয়া গবেষণা-গ্রন্থ তাদের করে বিবিধ সমস্যা। এই দ্বিমুখী নীতি কেন?
তারা বলেছেন –
রকমারি ডট কম একটি অনলাইন বুকস্টোর হয় তবে তাদের সেই মোতাবেক ‘পেশাদার মনোভাব’ নিয়ে থাকাই বাঞ্ছনীয় ছিল না? তাহলে কোথাকার কোন ফারাবির পেইজে গিয়ে হাতজোড় করে নাকি ক্রন্দন করা কেন? কোন বিচারবিবেচনা না করেই বই উঠিয়ে নেয়া? যে বইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়নি, যে বই রাষ্ট্র বা সরকার নিষিদ্ধ করেনি, যে বই নিজগুণেই পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে, সেটা এক ফতোয়াবাজের চোখ রাঙানিতে সরিয়ে ফেলতে হবে কেন? রকমারির কি বলা উচিত ছিল না যে, “যে কোন বইয়ের বিষয়বস্তু সংক্রান্ত সকল দায় দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লেখকের, তা প্রকাশ করার দায়িত্ব নেন প্রকাশক এবং পাঠকরাই নির্বাচন করেন তাঁরা কোন বই পড়বেন”। তা তারা করেননি, বরং নিজেদের নীতি নিজেরাই লঙ্ঘন করে বইকে ‘আউট অব প্রিন্ট’ বানিয়ে দিয়েছেন। অপেশাদার মনোভাবে নেগেটিভ ট্যাগিং দিতে উৎসাহিত করেছেন, এমনকি এও বলেছেন যে বইগুলো একেবারে ‘সরিয়ে ফেলার প্ল্যান আছে’। এটা কি নিজেদের নীতির বরখেলাফ নয়?
তারা আরো বলেছেন –
আমার যে বইগুলো ফারাবী নামক এক মানসিক রোগীর চোখ রাঙানিতে তারা সরিয়ে নিয়েছেন, তার কোনটাই রাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ না, সরকার কর্তৃক অবৈধ নয়, তাহলে সেটা সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ কি? আর অন্য দিকে মওদুদীর বই তো রাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ অনেক আগে থেকেই। অথচ সে সমস্ত বই রকমারি বিক্রি করছেন। বিক্রি করছেন গোলাম আযম, সাইদীর বই। এমনকি ‘কেন জিহাদ করবো?’ কিংবা ‘দাওয়াত ও জিহাদ’ এর মত উগ্র ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ বইপত্র তারা বিক্রি করে যাচ্ছেন কোন অসুবিধা ছাড়াই।
তারা আরো লিখেছেন –
যে বই পাঠকেরা পছন্দ করেছে এবং সেটা যদি সরকার বা রাষ্ট্রকর্তৃক ব্যান করা না হয়ে থাকে তবে, সেটা স্বয়ংক্রিয় এলগরিদম এর গুণে হোক, কিংবা হোক পাঠক চাহিদায় হোম পেইজে চলে এলে জোর খাটিয়ে সরিয়ে দিতে হবে কেন? এক্ষেত্রে উপর থেকে জোর না খাটিয়ে পাঠকদের ইচ্ছা এবং অভিরুচির উপর আস্থা রাখাই কি বরং যৌক্তিক নয়? আমার ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বইটি কাটতির কারণে হোমপেইজে চলে আসার পর কারো ফোন পেয়ে হোম পেইজ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তা রকমারির কর্ণধার সোহাগ ফারাবীর পেইজে গিয়ে নিজেই স্বীকার করেছেন। অথচ ধর্মীয় বই কিংবা উগ্রভাবধারার কোন বইয়ের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি, হচ্ছে না। রকমারির নীতিই তার কাজের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।
আমরা রকমারির এহেন অপমৃত্যু কামনা করিনি। সত্যি কথা বলতে কি রকমারিকে নিয়ে আমাদের বড় কোন সমস্যাও ছিল না প্রথমদিকে। বহু পাঠকই উল্লেখ করেছেন যে তারা রকমারির সার্ভিস নিয়ে বরং খুশিই ছিলেন। অথচ ফারাবীর সামান্য একটা ফেসবুক বার্তা যেটাকে গুরুত্ব দেবারও কিছু ছিল না, সেটাতে গিয়ে হাত কচলে ক্ষমা চেয়েছেন, এবং সমস্ত নীতি-নৈতিকতা-পলিসি জলাঞ্জলি দিয়ে কোন ধরণের অনুসন্ধান না করেই বইগুলোকে ‘আউট অব প্রিন্ট’ বানিয়ে দিয়েছেন। তারা ফারাবীকে বলতে পারতেন যে, বইয়ের যে অংশে আপত্তিজনক অংশ আছে তা তাদের দেখাতে, এবং সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন তারা। কিংবা বলতে পারতেন, ‘যে বই রাষ্ট্র এবং সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নয়, সে বই কারো মুখের কথায় আমরা সাইট থেকে সরিয়ে দিতে পারি না’ । কোন অনুসন্ধান ছাড়াই, কোন যুক্তিনিষ্ঠ প্ল্যান প্রোগ্রাম এবং পলিসি ছাড়াই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বই উঠিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিলেন। এটা কোন ধরণের ভাল ব্যাবসায়িক নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ব্যবসা করতে হলে নিজস্ব বিশ্বাসকে এর বাইরে রাখাই বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে আমাজন ডট কম একটি ভাল উদাহরণ তো ছিলই তাদের সামনে। আমাজনে যারা চান তারা যেমন ধর্মীয় বইপত্র কিনতে পারেন, তেমনি কেউ চাইলে রিচার্ড ডকিন্স, স্যাম হ্যারিস, ক্রিস্টোফার হিচেন্সদের মতো নাস্তিকদের বইপত্রও কিনতে পারেন বিনা বাধায়। কেউ হুমকি দিলেই আমাজন রিচার্ড ডিকিন্সের বই সরিয়ে নেয় না। রকমারির সেই স্ট্যাণ্ড এ অবিচল থাকা উচিৎ ছিল। আর উচিৎ ছিল ফারাবীর মতো মৃত্যু-হুমকি দাতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের। ভাইরাসকে জিইয়ে রেখে সাইটকে ‘পবিত্র পানি’ দিয়ে ‘পাক-গোছল’ দিলে তো আর সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা সমাধান করতে চাইলে সমস্যার উৎসটা নির্ধারণ করা জরুরী।
[আবারো ধন্যবাদ শুভকে লেখাটির জন্য। শুভর নিজের উপরেই বিপদ কম নয়। তারপরও বিবেকের তাগিদ থেকে তিনি এ লেখাটি লিখেছেন, ধন্যবাদ দিলেও ছোট করা হবে। আর ফারাবিকে নিয়ে কি বলব, একে নিয়ে বলতেও রুচিতে বাধে। সে কিভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করত, কিভাবে টাকা চেত তার কিছু নমুনা নিঝুমের এই পোস্টের কমেন্টগুলোতে পাওয়া যাবে।]
@অভিজিৎ,
ফারাবী কোন বিষয় না কিন্তু রকমারী যা করল তা খুব লজ্জার এবং হাস্যকর।
@সুব্রত শুভ,
একমত। ফারাবীদের চেয়ে কিন্তু রকমারী রা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করতে পারে।
আর আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের এক যাত্রী নয়, শুভ, তার সহযাত্রী শত শত।
@অভিজিৎ,
ফেসবুক-এর যে লিংকগুলো দেওয়া আছে, সেইগুলোতে গিয়ে উন্মাদের প্রলাপ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের মন্তব্য আকারে লাফালাফি পড়ে মজাই লাগছিল | হিন্দুদের গালাগালি, নাস্তিকদের মুন্ডুপাত এবং মুক্তমনার বাপ-বাপান্ত শাপ-শাপান্ত চলছিল| তার সাথে অভিজিত রায়কে মারার হুঙ্কার| এর মধ্যে একটা জিনিস দেখে চমকে উঠলাম এবং শিরদাড়া দিয়ে আতঙ্কের স্রোত বয়ে গেল|
আমি অবিলম্বে মুক্তমনার কর্তৃপক্ষ এবং অভিজিত রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই বিষয়টাতে| ফারাবী নামক উন্মাদটি শুধু মাত্র অভিজিত রায়-এর হত্যার হুমকি-ই দেয়নি, তার সাথে ওনার পরিবারের ছবি দিয়েছে চিন্হিতকরনের জন্যে| এই ছবিতে ওনার স্ত্রী বন্যা আহমেদ এবং কন্যাও উপস্থিত| তিনি যে লুইজিয়ানা প্রদেশে থাকেন সেই কথাও জানানো হয়েছে| অনুরোধ করছি এইটাকে যেন হালকাভাবে না নেওয়া হয়| অবিলম্বে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এই পোস্ট, ছবি এবং পাগলটাকে যেন ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়| সেই সঙ্গে অভিজিত রায়কে অনুরোধ করব যা যা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব, তা নিতে!
ধর্মীয় উন্মাদনায় নিরীহ লোককে আক্রমেনের উদাহরণ ভুরি ভুরি| এত শত পাগলের মন্তব্যের মাঝে হয়ত এইটা আপনাদের চোখ এড়িয়ে গেছে| কেউ হয়ত খেয়াল করেননি| কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে|
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2014/03/3-21-2014-1-57-38-PM.gif[/img]
@অনামী, এই মন্তব্য থেকেও ছবিটি সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
তসলিমা নাসরিনকে তো সরকার এই দেশে অবৈধ ঘোষনা করেনি। তারপরেও সে এই দেশে কেন আসতে পারেনা? একই কারনে রকমারির মালিকও ভয় পেয়েছেন। রাষ্ট্রই যেখানে ভয় পায়, সেখানে রকমারি সাহসী হয় কিভাবে?
ফারাবীর মানসিক অসুস্থতার উৎসটাকেও চিহ্নিত করা দরকার।
আর এজন্যই দরকার সৌন্দর্যের মুখোশটাকে ছিড়ে ভিতরের দূর্গন্ধময় পচাঁ গলা দূষিত ভাইরাসের খনিকে বাইরে এনে প্রকাশ করা।
ধুমপানের বিরুদ্ধে একটা কথা আছে- বিড়ি খাবি খা মরে যাবি যা। সেরকম, বলতে হয়- যদি বিশ্বাস করতে হয় তাহলে আসল সত্য জেনে তারপরে বিশ্বাস কর। তখন আলোকিত মানুষ হ নাহলে অন্ধ হয়ে নিজে মর, অন্যকে মারিসনা, অন্যকে গু খেতে বলিস না।
‘‘অবিশ্বাসের দর্শন“ বইতে অভিজিৎ রায় প্যারাসাইট আক্রান্ত হওয়ার যে উপমা দিয়েছেন তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত ফারাবী নামক বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যক্তিটি। এই ব্যক্তির হুমকিতে নাকি রকমারি ডট কম অভিজিতেরে সকল বই সরিয়ে ফেলছে! কিন্তু এসব করে নিজেদের আর রক্ষা করতে পারবেনা ফারাবী আর তাদের সংগঠনগুলো। তাদের দোকান আস্তে আস্তে গোটাতে হবেই।
ফারাবী আক্ষরিক অর্থেই মানসিক রোগী তাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু রকমারির মালিক এটা কি করলো? একটা ফ্যানাটিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে উনি আইনের সাহায্য না নিয়ে বই গুলো সরিয়ে ফেললেন! রকমারি থেকে কিছু বই কেনার প্ল্যান করছিলাম তাদের উদ্যোগ সমর্থন করার জন্য, এখন আর সে প্রশ্নই আসেনা। এই সিদ্ধান্তের কারণে রকমারি ভালো সংখ্যক ক্রেতা হারাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
ফারাবীর এক স্ট্যাটাসে রকমারির মালিক এভাবে হেগে মুতে দেবে ভাবতেও পারিনি। তেতুল হুজুর কইলে তো মনে হয় হার্টফেল করে মারা যেত নিশ্চিত।
@রামগড়ুড়ের ছানা, রকমারির মালিকপক্ষের কাছ থেকে আরও সাহসী ভুমিকা আশা করেছিলাম। কিন্তু, তারা নত হলো। তারা যা করেছে করেছে…কিন্তু আশা করি ভবিষ্যতে তারা আরও সাহসী ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানের ডিজিটাল আল্লা ফারাবি।
@তামান্না ঝুমু, ভালো বলেছেন 😛
আমি শুধু বুঝতে পারিনা মুমিনদের ঈমান কি এতই দুর্বল যে অভিজিৎ দার ১-২ টি বইয়ে সেই ঈমান ধূলিসাৎ হয়ে যাবে??? তবে তো সেই ঈমান থাকার চাইতে না থাকাই ভালো তাইনা ???
তবে কি তারা স্বীকার করে নিচ্ছে কোরআনের সেই আয়াত ভুল যেখানে বলা হয়েছে কোরআনের তুল্য লেখা কেউ লিখতে পারেনা; কোরআনের চাইতে সুমধুর কিছু নেই ??? মুমিনরা তো নিয়মিত কোরআন পড়েন; মুখস্ত পর্যন্ত রাখেন অল্প বিস্তর। সেই কোরআনের সুমধুর বানীর চাইতে কি তবে অভিজিৎ দার বই বেশী উন্নত লেগেছে তাদের কাছে???
তবে তো ফারাবিরা নিশ্চিত ভাবে কোরআন অস্বীকার করছে ঠিক না ???
যে বই কোরআনের উপরে অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে অবশ্যই সেই বই যুক্তি মতে কোরআনের ঊর্ধ্বে ঠিক কি না ???
ফারাবিকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম ফেবু ম্যাসেজে
যদিও কেবল মজা করে প্রশ্নটা করেছিলাম কিন্তু ম্যাসেজে খালি Seen লেখা উঠেছিলো কোন রিপ্লাই পাইনি।
আমার কি মনেহয় জানেন ???
ফারাবির মস্তিস্কের কার্যকারণ নিয়ে “বিশ্বাসের ভাইরাস” লেখার দরুন তিনি কিছুটা কষ্ট পেয়েছেন। তিনি মনেহয় তার মস্তিস্ক নিয়ে বই লেখার জন্য অভিজিৎদার কাছে রয়ালিটি চাচ্ছেন। আমরা তো সবাই জানি তিনি ভিক্ষা করে খাদ্য সংগ্রহ করেন। আল্লারে তার ফেসবুকের দোকানে বেচে মনেহয় তেমন টাকা পয়সা হয়না। তাই কিছু বাড়তি টাকার সম্ভাবনা পেয়ে তিনি এমন করছেন।
হাজার হাজার বই বিক্রি করে নাস্তিকরা কুটি কুটি ডলার কামাই করছেন আর ফারাবি বসে বসে আঙ্গুল চুষছেন এটা তার সহ্য হচ্ছে না। আল্লার কাছেও বিচার দিতে পারছেন না কারন তিনি নিজেও ভালোই জানেন ভগবানেশ্বরাল্লা বলে কিছু নেই।
অসুস্থ মানুষটাকে আর না পচিয়ে আসুন আমরা তাকে কিছু বই গিফট দেই (তবে সেই বই যে তিনি নীলক্ষেতে বিক্রি করে দিয়ে নীল ছবির বই কিনে নিয়ে আসবেন না সেই গ্যারান্টি আমি দিতে পারছি না)।
কারন অন্য সব গোঁড়া আস্তিকের মতন তিনিও যে উক্ত বইগুলোর একটা পাতাও পড়েননি সেটা আমার মতন সবাই নিশ্চিত। টাকা দিয়ে বিজ্ঞান, আলো আর সত্যের বই কেনা যে তাদের কাছে টাকা নষ্ট এবং বিজ্ঞান এবং যুক্তির বই যে তাদের কাছে কুফরি কিতাব সেটা তো সে নিজেই অনেকবার বলেছেন তার স্ট্যাটাসে।
যে দেশে ওয়াজের মতন অসভ্য কথা অসভ্য জিনিস মাইক লাগিয়ে প্রচার হয় কিন্তু সেখানের গালিগালাজ কারো কাছে অসভ্য লাগেনা সেই দেশে মুক্ত চিন্তার বই যে অসভ্য বলে মনে হবে সেটা কিন্তু অনেকাংশে স্বাভাবিক।
জাকির নায়েকের বই যেখানে হট কেক সেখানে বিজ্ঞানের বই আজাইরা হবে সেটাই কিন্তু স্বাভাবিক।
রকমারি কি বিক্রি করবে কি বিক্রি করবেনা সেটা একান্তই তাদের বিষয়। কিন্তু কোন অপশক্তির কলকাঠি নাড়ানো সহ্য করা হবে কেন???
কোন একটা বই কারো কাছে অপছন্দের হলে সেটাকে কি মার্কেট থেকে হুমকি দিয়ে সরিয়ে নিতে হবে???
যারা দুর্বল তারাই অস্রের ভয় দেখায়। কারন তারা জানে তারা ভুল; ভয় দেখানো ছাড়া আর কোন রাস্তা তাদের নেই। ধর্মগ্রন্থ আর ভগবানেশ্বরাল্লাহর মিথ্যাচার আমরা যুক্তি প্রমান দিয়েই উড়িয়ে দিতে পারি।
আমাদের যুক্তির শক্তি ফারাবিদের তলোয়ারের শক্তির চাইতে ধের বেশী।
সত্যকে হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা যায়না; সত্যের জয় হবেই 🙂
গেট ওয়েল সুন ফারাবি 🙂
@এম এস নিলয়,
এখন মাথার উপর কেস ঝুলে আছে। অনেক কথাই বলতে চেয়েও বলতে পারি নাই। আকারে ইঙ্গিতে বলতে হয়েছে। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কথাগুলো লিখতে চাইলেও বর্তমানে হাত বাঁধা। 🙁
@এম এস নিলয়,