ফেলানী খাতুনের হত্যাকারি বি এস এফ জওয়ান অমিয় ঘোষ বেকসুর খালাস। ফেলানীকে কাঁটাতারের বেড়াতে গুলি করা আইনি না বেয়াইনী জানি না-কিন্ত তা অমানবিক। যে কোন সুস্থ মানুষ অমন হত্যাকান্ডের নিন্দা না করলে, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিচারের নামে প্রহসণ প্রসবের কি দরকার ছিল তাও আমার ক্ষুদ্র খোপরির বাইরে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের মানুষ “ভারতের” বিরুদ্ধে ক্রদ্ধ এবং বিক্ষুব্ধ।
আমার লেখার নাভিসূত্র ফেলানী খাতুন না। ফেলানী আমার কাছে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা না -তা ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের ফেলিওর ফলিডল। ছাপ্পান্নটি নদী ভারত থেকে বাংলাদেশ আসে। এগুলি বাংলাদেশের প্রাণ ধমনী। সেখানে জল আসা ক্রমশ বন্ধ হয়ে বাংলাদেশের এক বিস্তীর্ন অঞ্চল আজ কৃষিবন্ধ্যা। বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয়ের দায় ভারত অস্বীকার করতে পারে না । প্রশ্ন হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আদৌ কি কোন ভবিষ্যত আছে?
এই সম্পর্কের ভবিষ্যত ঘুটঘুটে অন্ধকার।
বাংলাদেশ সম্পূর্ন ভারত বেষ্টিত। স্পেস এবং টাইমে। ইতিহাস থেকে ভূগোল -সব কিছুই এক নাড়িতে। ধর্মের ভিত্তিতে হঠাৎ করে একটা আলাদা দেশ তৈরী হল ভারত ভূখন্ডের ভেতরে। ফলে মূল সমস্যা হল এই যে, বাংলাদেশ ভারতের ওপর অনেক ব্যপারে নির্ভরশীল-কিন্ত ভারতের পার্লামেন্টে তাদের কোন ভোট নেই। ভারতের জন্য বাংলাদেশ যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন- সেগুলি ভারতের জনগণ বা রাজনীতিবিদদের বোঝানোর জন্য কেও নেই!! বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের জনগণের অবজ্ঞা এবং নির্লিপ্ততা লজ্জার। আরো দুঃখের এই যে বাংলাদেশের দুই পার্টি এই সমস্যার মূলে যেতে ব্যর্থ।
বি এন পি ক্ষমতায় আসলে, তারা ভারত বিরোধিতা বজায় রাখতে এটাই চেয়ে এসেছে যে ভারত বাংলাদেশের প্রতি নির্লিপ্ত ব্যবহার করুক। তাতে বি এন পির ভোট ব্যাঙ্ক বাড়বে। আর বন্ধুদল আওয়ামী লিগ ক্ষমতায় আসলে ভাবে, দিল্লীর সাথে ভাল সম্পর্ক রাখলেই সব সমস্যার সমাধান হবে!
ভারতের কাছ থেকে দাবী দাওয়া আদায় করতে, আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা কোথায় সে ব্যাপারে আলোকপাত প্রয়োজন। বাংলাদেশে খুব সম্ভবত কোন “ফরেন পলিসি রিসার্চ ইন্সটিউট” নেই। বিদেশনীতির মূল মন্ত্র হচ্ছে, বিদেশী প্রতিবেশী দেশের রাজনীতিতে নিজেদের দেশের প্রভাব রাখা। আমি ওয়াশিংটনে থাকি। এখানে, আমেরিকার প্রতিটি পলিটিক্যাল ইন্সটিউটে গবেষনার বিষয়-কিভাবে বাকী সব দেশের রাজনীতিতে আমেরিকা প্রভাব রাখতে পারে।
বাংলাদেশ ভারত বেষ্টিত। সুতরাং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ কিভাবে ভারতীয় রাজনীতিতে তারা নিজেদের প্রভাব রাখতে পারে। এর জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি কি কি করে? বাংলাদেশের কি করা উচিৎ?
(১) ভারতের গুরুত্বপূর্ন রাজনীতিবিদদের নির্বাচনী তহবিলে টাকা ঢালা-এটা বেয়াইনী-কিন্ত পৃথিবীর সব দেশের গণতন্ত্রে অন্য দেশের টাকা খাটে। বাস্তবতাকে অস্বীকার করা রাজনৈতিক মূর্খতা ।
(২) ভারতের মিডিয়াতে গুরুত্বপূর্ন সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের কিনে নেওয়া। যারা ভারতের জন্য বাংলাদেশের দুর্দশার কথা ঢালাও ভাবে প্রচার করবে। সংবাদপত্র হচ্ছে বুদ্ধিজীবিদের বেশ্যাবৃত্তি।
এবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী দীপুমনির কান্ডকারখানা দেখুন। দীপুমনি পররাষ্ট্রনীতি কি বোঝেন আমি জানি না। উনি অনেক দেশ ঘোরেন শুনেছি। কিন্ত যেটা আমি বুঝিনি-সেটা হচ্ছে উনি এতদিনেও কি করে মমতা ব্যানার্জির সাথে একটাও ঠিক ঠাক বৈঠক করে উঠতে পারলেন না ? ভারতের কাছ থেকে কিছু পেতে গেলে, মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। যেহেতু, প্রতিটা ইস্যুতেই পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থহানির সম্ভাবনা থাকে -মমতা বেঁকে বসলে বাংলাদেশ কিছু পাবে না । এবং যে কারনে কিছু পাচ্ছেও না । তাকে হাত করা দরকার ছিল আগে । এফ ডি আই ইস্যুতে মমতা যখন বেঁকে বসেছিলেন- আমেরিকার স্বার্থ রাখতে হিলারী সরাসরি মমতার কাছে এসেছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সেটাই কাজ।দেশের স্বার্থে অন্যদেশের রাজনীতিবিদদের পটানো।
কিন্ত দিপুমনিকে আমার রাজনৈতিক শিশু বলে মনে হয়েছে। উনি ক্রমাগত মনমোহন এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সাথে দরবার করে সব কিছু ঠিক করতে গেছেন। ভারতের এই কোয়ালিশন এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ঠিক করার ব্যাপারে যাদের ক্ষমতা শুন্য। ভারতের রাজনীতি নিয়ে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সাধারন জ্ঞানটুকু থাকবে না ?
১৯৮৯ সালের পর থেকে ভারতের রাজনীতি মোটেও দিল্লীকেন্দ্রিক না । বিজেপি বা কংগ্রেস কারুর কাছেই ২৭২ টি আসনের মেজরিটি নেই। সবাইকেই আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে চলতে হয়। এটাত সেই ইন্দিরা গান্ধীর সময় না যে উনি ৩৪০ টি আসনের মেজরিটি নিয়ে যা বলবেন তাই হবে। ভারতের রাজনীতিতে যে আঞ্চলিক দলগুলির ২০ টির বেশি আসন তোলার ক্ষমতা আছে-যেমন জয়ললিতা, মমতা, মুলায়েম, নীতিশ কুমার-এদের চটিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজের পায়ে বাংলাদেশের জন্য কুড়ুল মারবেন না । ভারতের রাজনীতি নিয়ে এই টুকু সামান্য জ্ঞান থাকলে দীপুমনি কাজ আদায়ের জন্য দিল্লীতে সময় না কাটিয়ে মমতার পেছনে সময় দিলে তিস্তা চুক্তি থেকে অনেক কিছুই আটকাতো না ।
রাজনীতি বাস্তবতার রণক্ষেত্র। এখানে ইউটোপিয়ান চিন্তার স্থান নেই। বাংলাদেশকে তার স্বার্থ বজায় রাখতে পররাষ্ট্রনীতিতে ইউটোপিয়ান চিন্তা ছেরে ( যে মোনু সিং বলে দিয়েছে তাই কাজ হয়ে যাবে!) , কৌশলী রাজনীতির আশ্রয় নিতে হবে।
এই প্রবন্ধে আমি দীপু মনি নিয়ে যে মূল্যায়ন করেছিলাম, এখন দেখছি হাসিনাও একই মূল্যায়ন করেছেন দীপু মনিকে নিয়ে। এবং তাকে ছেঁটে ফেলেছেন। আনন্দবাজার দীপুমনির অপসরন প্রসঙ্গে লিখেছে
” বাংলাদেশের কূটনৈতিক সূত্রের খবর, দীপু মণির বিরুদ্ধে তাঁর সতীর্থরাই ‘বেশি কথা বলা’র অভিযোগ করতেন। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হাসিনার উপদেষ্টারাও তাঁদের বিদেশমন্ত্রীর ওপর খুশি ছিলেন না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য দীপু মণি কলকাতায় এসে মহাকরণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। অনেকের বদ্ধমূল ধারণা, এই ঘটনার পর থেকেই তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমা চুক্তি নিয়ে বিরোধিতায় অনড় অবস্থান নেন মমতা। ফলে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ঢাকা সফরে গিয়ে হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসার পরেও অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই চুক্তি বাস্তবায়ন করা যায়নি। মমতার সঙ্গে বাদানুবাদকে দীপু মণির সব চেয়ে বড় ‘কূটনৈতিক হঠকারিতা’ বলে মনে করা হয়, যার খেসারত দিতে হয়েছে দেশ ও সরকারকে। নির্বাচনী অন্তর্বর্তী সরকারেই দীপু মণিকে ছেঁটে দিয়েছিলেন হাসিনা। এ বারও বাদ পড়তে হল তাঁকে।”
আপনার লেখা এবং পাঠকদের করা মন্তব্যগুলো এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম । দিপু মনির ব্যাপারে আপনার বিশ্লেষণের সাথে আমি একমত । রাজনীতি এবং কূটনীতিতে কখনো গুডবয় হওয়া যায় না। খুব সত্য কথা । শুধুমাত্র কা্যসিদ্ধির ব্যাপারে মন দেয়া প্রয়োজন যা করতে ভারত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল অন্তত বাংলাদেশের তুলনায় ।
বাংলাদেশীদের ফেসবুকে বলুন আর পথেঘাটে বলুন এইসব ভারতবিদ্বেষী আবেগ নিতান্তই হাস্যকর । অনেকক্ষেত্রে ক্ষতিকর। কিন্তু আপনি যেভাবে শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের অতিরিক্ত আবেগ প্রবণ বলে জেনারেলাইয
করলেন তাতে মনে হয় ভুল আছে । এ আবেগ মোটামুটি সব সমাজেই দেখা যায় । আপনাদের ভারতেও অনেক তীব্র ভাবে দেখা যায় । শুধুমাত্র ইসলাম যেখানে ঢুকেছে সেখানেই বেশী দেখা যায় তাও কিন্তু নয় ……… এটা ঠিক মুসলিমরা এখনো খুব দৃঢ়ভাবে তাদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরে আছে তাই তাদের মধ্যে বিচিত্র সব আবেগের সঞ্চার করা তুলনামুলক সোজা । কিন্তু ভারতীয়দের বিচিত্র জাতীয়তাবাদী আবেগ দেখলেও হাসি পায় । সেটা ভারতীয় ফেসবুক ব্যাবহারকারিদের মদ্ধেও অনেক দেখেছি । বিশেষত ভারত পাকিস্তান ইস্যু গুলোতে । কিংবা যেমন ধরুন ভারতপাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যেসব ভারতীয় সিনেমা হয় সেগুলোও বেশ মজার 🙂 …… সিরিয়াস কাহিনী কিন্তু খুব বিচিত্রভাবে বাস্তবতা বিবর্জিত এবং আবেগপ্রবণ । আরো বিস্ময়কর হল ভারতের জনসাধারণের কাছে খুব জনপ্রিয় ।তাই শুধু মুসলিম নয় যেখানেই ডগম্যাটিক বিলিফ কাজ করে সেখানেই এই আবেগ প্রবেশ করানো সহজ …… যেমনটি খুব গোঁড়া হিন্দুদেরখেত্রেও ঘটে ।
আসলে এই আবেগ সাধারন মানুষের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম ভাবে । স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সবসময় মানুষের মধ্যে এই ধরনের আবেগ সৃষ্টিতে ব্যস্ত …… কারন আধিপত্য বিস্তার করতে হলে বিভাজন তৈরি করাও জরুরি । খুব অল্প কথায় অনেক কিছু বলে ফেলার চেষ্টা করেছি তারপরও আশা করি সারকথা ধরতে পেরেছেন… আমি আবার লিখে মনের ভাব প্রকাশে যথেষ্ট দক্ষ নই ।
কি সব কাদা ছোড়াছুড়ি করেন ? বিতর্ক গুলো গঠনমূলক হলে ভাল লাগে । তথ্যগত দিক গুলিই আলোচনার মুখ্য উপাদান করে আলোচনা করতে গিয়ে কার্যকারণ সম্পর্ক গুলি আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে ।
পশ্চিমবঙ্গের মমতার মমতা নিয়ে কমেন্ট করায় ব্লগে ভারতীয় একজনের সাথে ঝামেলাই হয়েছিল। এই ব্লগটাতেও যদি কমেন্ট আশা করছি।
১. ভারত আর যাই হোক – ফেডারেল রাষ্ট্র থেকে বহু দূরে। ফেডারেল রাষ্ট্র হবার জন্য আগে বৃহৎ ভারতীয় সংবিধানের আমূল পরিবর্তন করতে হবে। সার্বভৌম ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এর অঙ্গরাস্ট্র/ফেডারেটেড স্টেট গুলোর উপর কতগুলো ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এমন ক্ষমতা আছে যেটা অনেক ক্ষেত্রে সার্বভৌম- এককেন্দ্রিক কিংবা কুয়েজি ফেডারেল রাষ্ট্রের, নিজ প্রশাসনিক ডিভিশন বা প্রভিন্সের উপরও নেই।
২. ভারতে যা এখন দেখা যাচ্ছে- তা অনেকটা আভ্যন্তরীণ রাজনীতির ঘোলাটে পরিবেশ।
৩. বাংলাদেশের পররাস্ট্র মন্ত্রক, আরও ভালোভাবে বললে ফরেন সার্ভিস/ক্যাডার (মাইনাস পররাস্ট্র মন্ত্রী) ভালোভাবেই অবহিত ভারতের রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার আচরণে নিজ রাজ্যর প্রতি মায়া প্রকাশ পাচ্ছে তার থেকেও বেশি প্রকাশ পাচ্ছে জনগণের আবেগ কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার বিষয়টি। এটা মমতা আগেও দেখিয়েছেন। মমতাকে এই ছিটমহল বিষয়ে রাজী করানোর অর্থ হল সরাসরি ভারতের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা। কেননা এই বিষয়ে তারা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের সরকার বেশি গুরুত্ব দিয়েছে “আওয়ামীলীগ-কংগ্রেস বিশেষ সম্পর্ক” এর উপর। তাছাড়া- পশ্চিম বঙ্গের প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলে বাংলাদেশের – বিশেষত আওয়ামীলীগের খুব ভালো জানাশোনা আছে। কিন্তু এখানে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেস – জনতা পার্টি – তৃনুমূল কংগ্রেস, এর ত্রিপক্ষীয় রাজনীতি। বাংলাদেশকে উপযুক্ত পাওনা দিয়ে তৃনুমূল কংগ্রেস নিশ্চয়ই নিজ দেশে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া থেকে বিরত থাকবেনা যেখানে তারা আভ্যন্তরীণ আরও অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে, নিজ রাজ্যর দীর্ঘমেয়াদী মঙ্গলের কথা চিন্তা না করেই।
৩. এই ছিটমহলের বিষয়টি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়। এর রেটিফিকেশন সম্ভব না হলে ভারতের উচিত বাংলাদেশের বেরুবারি ফেরত দেওয়া।
@সংবাদিকা,
উদাহরন দিলে ভাল হয়। ভারতীয় সংবিধানে ৩৬৫ নামে একটি কুখ্যাত ধারা ছিল, যাতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে ভেঙে নতুন নির্বাচন দিতে পারত। সেটাত সংশোধনির পরে, এখন প্রায় নেই বললেই চলে।
@বিপ্লব পাল,
আর্টিকেল ৩, ২৫৬, ৩৫৭ – এই তিনটা চোখে পড়ার মত। তাছাড়া আরও কিছু আছে। ভারতীয় অঙ্গরাষ্ট্র গুলোর (সম্ভবত জম্মু-কাশ্মীর ছাড়া) নিজেদের কোন সংবিধানই নেই। ভারতীয় ২৮টি অঙ্গরাষ্ট্র (তেলেঙ্গানা হলে ২৯) গুলোরও অনেক কিছু সংযোজন (practical এবং symbolic দুই ক্ষেত্রেই) করতে হবে – কেন্দ্রের বিয়োজনের সাথে সাথে।
@সংবাদিকা,
রাজ্যের এক্তিয়ারগুলি ভারতীয় সংবিধানেই ঠিক করা আছে। আর রাজ্যের আলাদা আইন আছে। রাজ্যের আইনসভাগুলি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে আলাদা আইন প্রণয়ন করতে পারে।
“পশ্চিম বঙ্গ সম্পূর্ন ভাবেই বাঙালদের দখলে। তবে বাঙালরাই বেশী বাংলাদেশ বিরোধি-কারন তাদের মধ্যে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা বড় বেশী-যেহেতু মার খেয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছে।”-
১০০% ভাগ সত্যি। অবচেতন ভাবে আমিও ও তাদের দলে।
মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য থেকে যা বুজলাম বাংলাদেশের মানুষ অতীব আবেগ তারিত বাস্তবের থেকে শত হস্ত দূরে। একটা কথা কেউ বলছে না, জ্যোতি বাবুর আমলেও (মানে বছর পনেরো আগে) পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি রা বাংলাদেশের ব্যাপারে খুব + ve ছিল, তারা নিজে এটা রুটি খেতে পেলে অন্ধেক টা বাংলাদেশের জন্য রাখার চেষ্টা করত। কিন্তু এখন তারা একটু উদাসীন। এটা কেন হল এটা কেউ বিশ্লেষণ করছে না!!!! এমন কি পশ্চিমবাংলায় ২৫-৩০% মুসলিম ভোটার থাকা সত্তেও!!!!!!
ভারতের সঙ্গে দরকাসাকসি তে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলাদেশের সবথেকে বড় হাতিয়ার হতে পারত, কিন্তু হচ্ছে না কেন?? শুধু মমতাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, তিনি ভোট বঝেন, তিনি যদি দেখেন সাধারণ জনসাধারণ তিস্তা/ ছিটমহল নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না তাঁর কি এসে যায় উপযাজক হয়ে নিজের নাক কাটার।
হাস্যকর এবং অবাস্তব।
দাদা,
জবর কথা কইছেন । আপনি রাজনীতির কিছু নিলজ্জ বাস্তবতা তুলে ধরেছেন । আমি আপনার বক্তব্য এর সাথে একমত । এখানে সন্মানিত অনেক ব্লগারই আপনার মতের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক জোরালো মন্তব্য করেছেন যা অনেক কিছুরই ভাবনা বিকাশে সহায়ক । যদিও আমার সাধারন গিয়ান বা পড়ালেখা দৌড় মসজিদের চৌহদ্দি অব্দি পৌছয় না, তবুও এবিষয়ে অন্যকিছু দিকে আলোকপাতের চেষ্টা করব ।
সম্ভবতঃ ভয়, লোভ, অশিক্ষা এবং দারিদ্রতা (সঙ্গে পশ্চাৎমুখীতা বা মৌলবাদীতা কেও যোগ করা যেতে পারে) একই ঔরসজাত ও সংক্রামক – যমজ । এরা কখনোই একা যায় না এবং সর্বযুগে সর্বত্র বিরাজিত (কম বেশি) ।
প্রলেতারেত অভাগা জনগন এর প্রতিনিধি যখন শ্রেণী সংগ্রাম জয়ী, সামন্ততন্ত্র বা ধনিকতন্ত্রে সেই চরিত্রে আরও বেশি বিকশিত । আর অন্যের দুর্গে আগুন দিয়ে নিজের দুর্গের সুরক্ষার অলৌকিক চিন্তাটা রাজনীতিতে বোধকরি নতুন নয় ।
খুব বেশীদিনের কথা নয়, চল্লিশ-পঞ্চাস বছর হবে যেখানে এই সামগ্রিক অঞ্চলের সাধারন ক্যারেক্টারের একটি অতিদারিদ্রতার সাথে জাতিগত দ্বন্দ্ব যা প্রান্তিক বা সীমান্ত অঞ্চলে বিকাশিত বা ক্রমবর্ধমানতা ছিল ভারতের জন্য একটা বিশাল সমস্যা । আর এটা যে মহাভারতে কুরুক্ষেত্র তৈরি না করলেও বেশ কিছু লাক্ষাগৃহ তৈরি করেছিল তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ খুব কম ( ভারতের বুদ্ধিজীবি তথা আগ্রাসী মিডিয়া এখনও সুযোগ পেলে এবিষয়ে ঢেঁকুর তোলে) ।
অতীত দুঃস্বপ্নে কিছুটা আতঙ্কিত, পুরনো সমস্যা গুলো কিছুটা প্রশমিত, অর্থনীতির বাড়বাড়ন্ত এবং সুপার-পাওয়ার এর সপ্নমত্ত এ সবকিছুর প্রাপ্ত যোগফল হল বাংলাদেশ – ভারত বর্তমান সম্পর্ক । তার সাথে তো অর্থনীতির চরম নির্ভরশীলতার সুত্র আর আমাদের ঐতিহাসিক লেংটি – মালু সম্পর্কের ক্ষেত্র তো উপরি হিসাবে বিদ্যমান । ভারত এখন সামন্ততান্ত্রিঙ্ক বা অন্য অর্থে সাম্রাজ্যবাদী রুপ নিয়েছে রাজনীতির ঐতিহাসিক নিয়ম মেনেই ।
পুরনো বাঙ্গাল – ঘটি সম্পর্কের সূর্য অস্তমিত প্রায়, নব্য জাতীয়তাবাদ (এখানে ভারতীয় ও বাংলাদেশি অর্থে ) যতটা না বাঙ্গাল করে তার বেশি করে কাঙাল । আর কাঙ্গালপনার জন্য আমরা যে কিসের জঙ্গাল টানি তাই নিয়ে তো কত কথা আপনি ছাড়াও এই ব্লগে অনেকে বলেছেন ।
স্নেহের মত ক্ষমতাও নিম্নগামী । যে ভারতের পূর্ব থেকে পশ্চিমে বা উত্তর তথা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর সীমানায় যে আগুন একদা জ্বলেছিল তার কিছুটা তো আঁচ বাংলা বদ্বীপ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া অতিব স্বাভাবিক, না হলে তো সাগর সঙ্গম হবে না । এখানে তো শুধু দাদা নদীর কথা বলেছেন আমি তার প্রবাহের রুপ নিয়ে বলছি । উত্তর জুড়ে যে চীনের ভুমিকেন্দ্রিক আগ্রাসন তা তো বাংলা দিয়ে পার করা ছাড়া আর কোন গতন্তর তো ভারতের আপাতত নেই । স্রোত তো র উপরে থেলা যায় না যে নেপাল বা ভুটানে তুলে দেবেন । তারপরেও যে যৌথ কিন্তু পরস্পরমুখি চেষ্টা ভারত এবং চীন এখনও দৃশ্য বা অদৃশ্য ভাবে চালায় তাতেই তারা চিঁরে-চ্যাপ্টা, এমনকি সেই লাদাখেও তার উপস্থিতি সরব । কাশ্মীর নিয়ে তো এখন আর কিছু না বলাই ভাল । লংকা কাণ্ডের রাম বিজয়ী হলেও হালের হনুমান জন আব্রাহাম সীতা মাতার সতীত্ব নিয়ে আবার যে গীত গাইল (মাদ্রাজ ক্যাফে) তাতে তো দশরথের বংশধর আর অমুখো সহজে যাবে বলে মনে লয় না । পাশে আর একটা লংকা পাওয়া যেত, কিন্তু সাত সুপর্ণলেখার (সেভেন সিস্টার্স) নাক কেটে সেখানে যাবে বলে আশঙ্কা করা বর কঠিন অধিকিন্তু সেখানে সুগ্রীব বা বিভীষণের সঙ্গ লাভের সুযোগ বড়ই কম (বার্মা ) ।
বাকি থাকে হাতের পাঁচ – বাংলাদেশ
‘সেথা যাও সুনিশ্চিত, সেথা সব বাঙ্গাল
মুখ-মুখোশ একাকার, মনুষ্যরুপী কঙ্কাল ।।’
উজানের লোক তো ভাটার মানুষের জল ঘলা করবেই ( ইদানিং শুনছি চীনও নাকি আপনাদের জল ঘোলা করার জন্য ব্রহ্মপুত্রের গতিবিধি লইয়া অপচেষ্টায় লিপ্ত) ।
মূলীয়ও সুত্রে হলেও একদা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, বিনোদন, চিন্তাজীবী বা খেলার মাঠে পূর্ব বাংলার কিছু প্রক্সি খেলোয়াড় ছিল যারা গোল প্রদানে সরাসরি না আসলেও ফাউল ও করত না । কলকাতার মাঠে শুনি এখন নাকি ইস্ট-বেঙ্গলের বড়ই করুন দশা । বল এখন মোহনবাগানের দখলে আর তা পা বদলের সম্ভবনাও খুব কম (যদিও আমি আশাবাদী মানুষ তথাপি সব বাদী বাদ দিলে ভাল হত) ।
এই জায়গায় আমি আপনার সাথে একমত পুরোপুরি –
বল না নিতে পারো কিম্বা গোল না দিতে পারো একটা দুইটা ল্যাং তো মারা যায় নাকি রেফারীর চোখ গলে ! খুব বেশি হলে না হয় হলুদ কার্ড খামু । আমার কথাটা খুব সোজা – আমরা অন্য দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রন না করতে পারি কিন্তু হালকা প্রভাব তো দিতে পারি । সেটাও তো মাত্র শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাজ্যে ! মমতা কে সরাতে না পারি একটু ধাক্কা তো দিতে পারি ! অর্থনীতির চলমান সুত্রের ভাসমান ভোটার তো দুই দিকেই আছে – এটা একটা ওপেন সিক্রেট আর আছে পূর্র্ববঙ্গ-মূলীয়ও সুত্রের সাথে বি -তৃনমূলয় সুত্রের কিছুটা আপেক্ষিক যোগফল ।
আর যাই হোক ইন্ডিয়া এখনও আমেরিকা না, পশ্চিমবাংলা ক্যালেফরনিয়া না কিংবা মমতাও আর্নল্ড সয়ারজনেগার না যে হেঁচকা টানে পড়ে আবার উথে বলবে ” আই অ্যাম ব্যাক”!
আপনার এই কথাতাও দাদা অসাম কইছেন । ফুটে পড়ার পর থেকে এই অর্ধ জীবন গতি পথে যা দেখিলাম তা হল নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বাংলাদেশী বাঙ্গালীর তথা কথিত সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের সাড়ে তিন ভাগই তো ওই পাঁড় থেকে আসা এবং সম্ভবত ও পাড়ের বাণিজ্যের একটা বড় অংশই এপারে সংগঠিত হয় । বেনিয়ার জাত ব্যবসার জন্য কি না করে সব দেশে ?
আর দু চারটে বুদ্ধিজীবি বেশ্যা পোষা তো বাবুবাঙ্গালীর ঔপনেবেশিক চরিত্রেও দেখা যায়।
এখন না পুষলে বাপ-পিতামহের যে আর সন্মান থাকে না !
( তিন পুরুষ পূর্বের যার বংশলতিকার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া অতীবও দুষ্কর তার কাছে কোন রেফারেন্স না চাওয়াই মঙ্গল ) ।
@তুষার,
বেশ মুস্তাফা সিরাজ স্টাইলে লেখেন। তবে এই তথ্যটা ভুল আছে। কোলকাতা মাঠে ইস্টবেঙ্গল এখনো রাজা। বরং মোহন বাগানের দশাই করুন। ইস্ট বেঙ্গল আই লিগে দ্বিতীয় টিম-ফেডারেশন কাপ জিতেছে আগের বার। এবারো ভাল টিম।
পশ্চিম বঙ্গ সম্পূর্ন ভাবেই বাঙালদের দখলে। তবে বাঙালরাই বেশী বাংলাদেশ বিরোধি-কারন তাদের মধ্যে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা বড় বেশী-যেহেতু মার খেয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছে।
@তুষার,
:hahahee: কথাটা কঠিন হলেও বাস্তব!
আমি যা বুঝি তা অতি সহজ। পশ্চিম বাংলার দাদারা বাংলাদেশে বাঙ্গালিদের ব্যাপারে খুব ই স্পর্শকাতর। সুনীল গঙ্গপধ্যায় ত মৃত্যুর মাত্র কিছুদিন আগে বলেই দিয়েছিলেন ” বাংলাদেশের সব দাবী ভারতের মেনে নেয়া উচিৎ”। ৭১ এর নয় মাসের কথা আমরা জানি পশ্চিম বঙ্গে রেল, বাসে “জয় বাংলা পার্টি” বললে টিকিট লাগত না, আর প্রায় এক কোটি শরণার্থী ত ছিলই, বাংলাদেশ ৭১ এর মার্চ থেকে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ভাবে স্বাধীন দেশ ছিল না কিন্তু বাংলাদেশের বাঙালীরা নিজের দেশের মতই পশ্চিম বঙ্গকে ব্যবহার করেছে। এছাড়াও ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্বপাকিস্তান সীমান্ত সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল, কেন?। কারন পশ্চিম বাংলার দাদা রা চায়নি ভারতের সেনাবাহিনী তাদের উপর দিয়ে গিয়ে আমাদের আক্রমন করুক। এ ত ইতিহাস। সবাই জানি। অনলাইনে এখনও প্রচুর পশ্চিম বঙ্গের তৎপরতা দেখা যায় ” দুই বাংলা এক হোক”, আমরা তা চাই না, দরকার ও নেই। কিন্তু দাদা রা আমাদের আপন ভাবে, এই আপন ভাবার লাভটা আমরা ঘড়ে তুলতে পারি না কারন আমরা যতটা না ভারত কে অপছন্দ করি তার চেয়ে বেশী অপছন্দ করি পশ্চিম বঙ্গকে। এর মূল নিহিত আছে অনেক গভীরে। আমাদের ভাষা সান্সক্রিতি এক ই কিন্তু আমরা শত্রুই মনে করি পশ্চিমবঙ্গের বাঙ্গালিদের। এর কারন আমি জানি না। ভাষা , সাংস্ক্রিতি মানুষকে মানুষের কাছে আনে,আমাদের আনে নাই। এ আমাদের দুর্ভাগ্য। দেশ ভাগ হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে,ভাল কথা কিন্তু বাংলাদেশের অংশে যা পড়েছে অর্থনৈতিক ভাবেই তা টিকে থাকার কথা না। ১৬ কোটি মানুষ অথচ প্রাকিতক সম্পদ প্রায় নেই বললেই চলে। এখন ভারত বিদ্বেষ ই আমাদের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা রাগ করে বাড়ি ভাগ করে কোনার অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে অংশ বেছে নিয়েছি ,এখন আলো ঝলমল বড় বাড়ির অংশের মানুষদের গালি দেই ,অথচ বেড়া উঠে গেছে বাড়ির দুই অংশের সীমান্তের অনেক আগেই। বড় বাড়ির মানুষেরা এখন চাইলেও আর ফিরে দেখবে কেন আমরা কেমন আছি?।
@সপ্তক,
আপনার নীচের বক্তব্যের সঙ্গে পুরপুরি একমত নই
আমার ১৯ বছরের প্রবাস জীবনে অনেক ভারতীয় মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তবে আন্তরিকতা হয়েছে শুধুমাত্র পশ্চিম বঙ্গের মানুষের সঙ্গেই। কারন, ভাষার এবং সংস্কৃতির মিল। এটি শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, আমার কিছু পরিচিত লোকের ক্ষেত্রেও দেখেছ।
সাজ্জাদ
@সপ্তক,
অধিকাংশ বাংলাদেশী সম্পূর্ন আবেগ তাড়িত। যুক্তি, বিবেচনা কম। যেসব জায়গায় ইসলাম ঢুকেছে-এটা সেসব জায়গার সমস্যা। সেসব জাতির ধমনীতে আবেগ ঢুকেছে, যুক্তি বেড়িয়ে গেছে। আমার আগে একজন বাংলাদেশী পোষ্ট দিয়েছেন-সেই বালক বুলেট, থুতু বীর্য্য ইত্যাদি সব কিছু দিয়ে ভারতীয়দের জবাব দিতে চান :lotpot:
এই বালক সুলভ মনোভাব বিচ্ছিন্ন না। অধিকাংশ বাংলাদেশী ফেসবুকে একরাশ আবেগ ঢেলে তাদের কাজ শেষ করছেন। কেও সমস্যার গভীরে যেতে চাইছেন না। যেন ভারত একজন ব্যক্তি-ভারতের প্রধানমন্ত্রী চাইলেই বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে !!
বাংলাদেশের রাজনীতি যুক্তরাষ্ট্রঈয় কাঠামোর নয়। সেই জন্যেই হয়ত অধিকাংশ বাংলাদেশী বুঝতে পারছেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যাপারে যেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারতের ব্যাপারে সেভাবে পারেন না-বিশেষত যদি কোন রাজ্য জড়িত থাকে। রাজীব তামিল ভাবাবেগ এড়িয়ে শান্তি সেনা পাঠিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কাতে। ফল?
তামিলনাডুতে কংগ্রেস সব কটি সিট হারিয়েছিল ১৯৮৯ এর নির্বাচনে।
এগুলি হচ্ছে ভারতের রাজনৈতিক বাস্তবতা। ভারত বলে কোন পিতা মাতা নেই। এটা ১৩০ কোটি লোকের দেশ। ২৭ টি রাজ্য। ভারতের সাথে রাজনৈতিক দিক দিয়ে ডিল করতে আমেরিকা পর্যন্ত সফল না এবং শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে প্রচুর আমেরিকান বিনিয়োগকারি ভারত থেকে ইনভেস্টমেন্ট তুলে নিচ্ছেন। কারন ভারতের রাজনীতি তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না। উড়িশ্যাতে পস্কোর ৮ বিলিয়ান ডলারের ইনভেস্টমেন্ট তুলে নিতে বাধ্য হলো গণপ্রতিরোধের জন্য। ভারত সব রাজ্যেই জমি অধিগ্রহণ বিরোধি আন্দোলন চলছে এবং তা যে কোন রাজনীতিবিদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। যে রাজনীতি ওয়াশিংটন ম্যানেজ করতে ব্য্ররথ, তা ঢাকার পক্ষে সহজ হবে, তা মোটেও না।
এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এর মানে গনতন্ত্র কাজ করছে। কাজ করছে বলেই প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা বা বাক্য ভারতে শেষ কথা না। জনগনের প্রতিরোধের জন্যই ভারতের প্রধানমন্ত্রী রিটেলে বিদেশী বিনিয়োগ আইন আনতে ব্য্ররথ হয়েছেন।
সুতরাং ভারতের জনগণকে ডিঙিয়ে শুধু মনু সিং চাইছেন, তাই চুক্তি সাক্ষর হবে এমনটা হবে না। হলে বুঝতাম গণতন্ত্র কাজ করছে না। কিন্ত ভারতে গণতন্ত্র কাজ করছে। আর সেটা কাজ করছে বলেই বাংলাদেশকে ভারতের জনগণের মনে ঢুকতে হবে-সেটার জন্য কি করনীয় আমি আগেই লিখেছি।
আর আমার লেখার উদ্দেশ্য হল ভারতীয় গণতন্ত্রের বাস্তবতাটা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বুঝতে চাইছেন না বা বুঝছেন না।
@বিপ্লব পাল,
ভাল লিখচ্চেন দাদা,একবারেই শরমিলা বসের মত।
মমতা, তেরি কেহকে লুংগা!! :guli:
“রাজনীতি বাস্তবতার রণক্ষেত্র। এখানে ইউটোপিয়ান চিন্তার স্থান নেই। বাংলাদেশকে তার স্বার্থ বজায় রাখতে পররাষ্ট্রনীতিতে ইউটোপিয়ান চিন্তা ছেরে ( যে মোনু সিং বলে দিয়েছে তাই কাজ হয়ে যাবে!) , কৌশলী রাজনীতির আশ্রয় নিতে হবে।” বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ইউটোপিয়ান চিন্তা আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই এটি সেরে দেওয়ার তো কোন প্রশ্ন ওঠে না। আর কৌশলী রাজনীতির আশ্রয় নিতে হলে তো এর জন্য গবেষতনা দরকার যা আমাদের রাজনীতিতে একেবারেই অনুপস্থিত।
মমতা বিষয়ক কিছু বাস্তব কথা ওপরে অনেকেই বলেছেন। উনি অনমনীয়ভবাবে প্রতিবেশী ক্ষুদ্র বাংলাদেশের প্রতি কোনই মমতা দেখাবেন না,পাত্তা দেবেন না নীতি আঁকড়ে থাকলে তাকে কিভাবে আর তুষ্ট করা যাবে কে জানে। দিপুমনি কতটা এফিশিয়েন্ট সে প্রশ্ন বাদ রেখেই বলা যায় যে হয়ত মমতার পদসেবা করা হতে পারে পরবর্তি পদক্ষেপ।
বলতে পারেন যে বাংলাদেশ ভারতের অভ্যন্তরে তাদের লবিষ্ট নিয়োগ করতে ব্যার্থ (সে অভিযোগ অবশ্যই সত্য) হওয়াতেই মমতা এমন নীতি নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে বলতে হয় যে জ্যোতি বাবু অন্তত মুখে মুখে হলেও বাংলাদেশের প্রতি দরদ দেখাতেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় কেন্দ্রের এমন কোন সিদ্ধান্ত তিনি মানবেন না বলে হুমকি দিতেন। সেখানে এখন ঘটনা উলটা, বাংলাদেশ তার ন্যায্য মিনিমাম পাওনা পাবার সম্ভাবনা আছে কেন্দ্রের এমন কোন উদ্যোগও মমতা মানবেন না। আমাদের লবিষ্ট আগে পরে কোনদিনই ভারতে ছিল না।
আমারো অনেক সময় মনে হয়েছে যে বাংলাদেশের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য এর সাথে ভারতের সাধারন মানুষকে না জড়িয়ে কেবল কাগুজে চুক্তির ভরসায় থাকা অর্থহীন। ভারত গনতান্ত্রিক দেশ, মানুষের মতের দাম আছে। মুশকিল হল ভারতের লোকে বাংলাদেশ সম্পর্কে চরমভাবে অজ্ঞ, বাংলার বাইরের লোকে বলতে গেলে কিছুই জানে না, ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে জ্ঞান অনেক সময় হাস্যকর। এটা ঠিক যে দায় যেহেতু আমাদেরই তাই আমাদেরই দায়িত্ব তাদের নিজ দেশের দাদাগিরি, চুক্তি স্বাক্ষর করেও চুক্তির প্রতি কোন রকম সম্মান প্রদর্শন না করে (পদ্মার পানি চুক্তি)গায়ের জোরে যা ইচ্ছে করা এসব নিয়ে ভারতের মিডিয়া, ফোরামে লেখালেখি করা; লবিষ্ট তৈরী করা।
ভারতের জনগনেরও বুঝতে হবে যে বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে ভারত নির্ভর হলেও এভাবে এক তরফা দাদা গিরি করা হতে থাকলে ক্ষুদ্র অসীম শক্তির বাংলাদেশও তাদের নানান ভাবে যন্ত্রনা দিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের ভেতরে ভারত বিরোধী নানান বিচ্ছিন্নতাবাদী/জংগী/সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রতি বাংলাদেশের জনগনের সমর্থন বাড়তে থাকলে তাতে আর বাংলাদেশের জনগনকে কতটা দোষ দেওয়া যাবে সে ভাবনা নিজেদের স্বার্থেই করতে হবে।
তবে বাঘের ঘাড়েও ঘোগ সওয়ার হতে পারে। চীন যে ব্রক্ষ্মপুত্র নদ নিয়ে নানান কুটিল পরিকল্পনা করছে তাতে মনে হয় আমাদের যন্ত্রনা কিছুটা হলেও টের পাবেন। তবে আমি তাতে তেমন আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি না কারন শুধু ভারত নয়, আমরাও ভুগবো।
@আদিল মাহমুদ,
একদম ঠিক কথা। কিন্ত এটা করার কথা কার? মঙ্গল গ্রহের লোকেদের ত না?
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের উচিত ছিল ভারতের মিডিয়াকে হাত করে বাংলাদেশের সমস্যাকে আরো ভাল করে ভারতের মিডিয়াতে ফ্লাশ করা। কোন ভারতীয় সাংবাদিককে আপনারা বাংলাদেশে ডেকে বাংলাদেশের দুর্দশা দেখিয়েছেন? দিল্লীতে ভারতীয় সাংবাদিকদের ৪০% বাঙালী। এন ডি টিভির মালিক প্রণয় রায় বাঙালী।
আপনাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রক বসে বসে ঘুমাবে, আর ভারতের লোক বাংলাদেশের দুঃখ দুর্দশা জেনে যাবে?
আমি এই জন্যেই লিখেছিলাম, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে নুন্যতম রাজনৈতিক ম্যাচুরিটি নেই।
@বিপ্লব পাল,
আপনার এই অভিযোগ যে সত্য সেটা আগেই স্বীকার করেছি। আমাদের মৌলিক সমস্যা এবং বৈশিষ্ট্য হল আমরা অতি আবেগময়, বাস্তব জীবনের প্রকৃত সমস্যাগুলি নিয়া মাথা ঘামানোর চাইতে অনেক সম্য মাথা ঘামাই অগুরুত্বপূর্ন ইস্যুতে।
ভারতের সাথের সমস্যাগুলি নিয়েও আমরা বাস্তবের চোখে সমাধানের উপায় নিয়ে মাথা ঘামাই না। আবেগময় ফেসবুক ষ্ট্যাটাস, ভারতীয়দের ইচ্ছেমত গালিগালাজ (সাথে বোনাস হিসেবে বিশেষ কিছু লোকের আওয়ামী বিদ্বেষ প্রকাশের সুবর্ন সুযোগ), বড়জোর জাতিসঙ্ঘে তোলপাড় তোল, আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা ঠোকো এইই হল দৌড়। জাতিসঙ্ঘ হল ঠূটো জগন্নাথ। আন্তর্জাতিক আদালত শুনলে শ্রদ্ধা আসলেও এরও আসলে কাগুজে রায় দেওয়া ছাড়া সে রায় বাস্তবায়নে পুলিশী কোন ক্ষমতা নেই। আর ভারতের সাথে অন্যতম প্রধান যে সমস্যা আমাদের আছে (পানি সমস্যা) সেটা নিয়ে কিছু পড়াশোনা করে বুঝেছি যে দুই অসম শক্তি যেখানে জড়িত সেখানে আন্তর্জাতিক আইন ফাইন এসব আসলে অর্থহীন। দুই দেশেরই আপোষ মীমাংসায় আসা ছাড়া গতি নেই। বাংলাদেশ সামরিক শক্তি বাড়িয়ে ভারতকে পালটা চোখ রাংগাবে এমন ভাবনা ঘোর উন্মাদেও ভাববে না। নিজ বাড়িতে বসে হাজার আবেগময়ী ভাষন আর গালাগালিতে ভারতের ইয়েও ছিড়বে না, আমার ধারনা আপনাদের রাজনীতিবিদদের হাসির খোরাকই কেবল জোটানো হয়।
কাজেই একমাত্র বাস্তব পথ হল ভারতকে পথে আনা, সেটা একমাত্র সম্ভব ভারতের সাধারন জনতাকে আমাদের সমস্যাগুলি নিয়ে চিন্তা করানো, এমনভাবে উপস্থাপন করা যাতে তাদেরও বিবেকে সাড়া লাগে। ভারতের জনগন দৈত্য দানব এমন কিছু আমি বিশ্বাস করি না। তাদের বিবেক জাগাতে উদ্যমী হতে হবে আমাদেরই।
তবে যত যাইই বলেন, মমতা কেস ভিন্ন।
@আদিল মাহমুদ,
ভাইরে, এইটাই হইল সব কথার আসল কথা। ভারত আসলে শক্তির এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে যে বাংলাদেশের এই জিনিসটা করার ক্ষমতা আসলেই নেই। 🙁
@অর্ফিউস,
এটা ঠিক যে বাংলাদেশ সামারিক শক্তিতে ভারতের কাছে নস্যি।তবে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপার ভিন্ন।বাংলাদেশের মত পাকিস্তান ও মিয়ানমারও সামরিক শক্তিতে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে।পাকিস্তানের কথা বাদ দিই,বার্মার সাথে ভারতের বিস্তৃত সীমান্ত এলাকা আছে,সেখানে কিন্তু বর্ডার কিলিং হয় না।কারণ বিএসএফ জানে সেখানে রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।এটাই বাংলাদেশের সমস্যা।
বিএসএফ যখন হত্যা করার জন্য গুলি ছোড়ে তখন তারা জানে বিজিবির কাছ থেকে তারা পাবে পতাকা বৈঠকের আহবান।
প্রতিটা বর্ডার কিলিং এর পর ভারত যদি দু:খ প্রকাশ না করে,তাহলে বিজিবির কাজ হবে খুব সল্প মাত্রায় ভারতীয় সীমান্তে গুলি ছোড়া এবং ভূলবশত গুলি ছোড়া হয়েছে এই মর্মে পতাকা বৈঠক আহবান করা।
এর মানে কিন্তু এই না যে আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধে জড়াবো।দুই সীমান্ত রক্ষীদের ভিতর মাঝে মধ্যে অল্পবিস্তর গোলাগুলি কোনভাবেই অস্বাভাবিক কিছু না।এটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে।বলা যেতে পারে আমাদের ভৌগলিক পজিশন দুর্বল,ভারত বড় ভাই ইত্যাদি।কিন্তু আমরা যদি সত্যিকার অর্থে বর্ডার কিলিং বন্ধ করতে চাই তাহলে এটাই সহজ এবং বাস্তব সম্মত উপায়।এজন্য ভারতের কাছে কান্নাকাটি করে, তাদেরকে ইচ্ছেমত গালি দিয়ে যে কোন লাভ হবে না ,সেটা ইতিমধ্যে প্রমাণিত।
আর ভারতীয় পণ্য বর্জন একটা উপায় বটে কিন্তু সেটা কোনভাবেই আর সম্ভব না।কেন না, সেটা আমরা সবাই জানি।
শুধুই বিএসএফের দোষ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের উচিত যেকোন ভাবেই ভারতের সাথে গরু ব্যাবসা ল্যিগাল করা,আর বাংলাদেশীদের উচিত বৃথা উন্নত জীবনের আশায় ক্ষণে ক্ষণে সীমান্ত পাড়ি না দেওয়া।
@প্রাক্তান আঁধারে,
আপনি হয়ত দেখে শান্তি পাবেনঃ যদিও অতি বিরল……
BDR tortures, kills BSF officer
তবে বর্ডার কিলিং নিয়ে সব কথার শেষ কথা আপনার কথাতেই আছেঃ
– এটা না করা গেলে আমরা যত যাইই গালাগালি কান্নাকাটি করি মাঝেই মাঝেই এমন ঘতনা দুয়েকটা ঘটবে। ভারত পশ্চীমা কোন দেশ নয় যে এর বাহিনী উন্নত মানবাধিকার কোড মেনে চলে। আমাদের দেশের নিজ বাহিনীই বা নিজ দেশের নাগরিকদের সাথে কতটা মানবাধিকার মেনে আচরন করে? পাহাড়ে আমাদের বাহিনীরগুলির পারফর্ম্যান্স কেমন তা পাহাড়িদের কাছ থেকে আমরা কতটা শুনি?
@আদিল মাহমুদ,
একমত।
আগে এক জায়গায় বলেছি
@প্রাক্তান আঁধারে,
আইডিয়াটা খারাপ না। সেক্ষেত্রে মনে হয় বিজিবি কে আর্মীর অধীনে না রেখে একটা স্বয়ং সম্পুর্ন প্যারামিলিটারী ফোর্সের মর্যাদা দেয়া দরকার;যদিও এইসব আর্মড ফোর্সের কার্যাবলি নিয়ে আমার ভাল ধারনা নেই।
খুবই সম্ভব। হ্যাঁ একটু কঠিন বটে তবে সম্ভব। আপনার স্ত্রী হয়ত পারবেন না,কিন্তু আপনি পারবেন। কেন জানেন? ঠিক যে কারনে আমি পারব, এবং আমার স্ত্রীর পারতে খুব সমস্যা হবে;হয়ত পারবেই না!!
কারন একটাই যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মেয়েরা আজকাল ভারতীয় কসমেটিকের উপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে তারা এটার কোন বিকল্প স্বপনেও ভাবতে পারে না।
টিভি চ্যানেলগুলার কথা না হয় বাদই দিলাম। দেখেন না আমাদের প্রায় সবার পরিবারের মহিলা সদস্যদের জন্য আমরা পুরুষ সদস্য কোনদিন টিভির রিমোট হাতে পাই না ( এতে যে দরকারী সিরিয়াল মিস হয়ে যাবে!!! ) সেক্ষেত্রে এমনকি দরকারী খবর দেখতেও কম্পিউটারে টিভি কার্ড কেনা লাগে। খেলা দেখার ব্যাপারেও ছাড় দিতে রাজি হয় না কেউ তাই না? ভাল করে ভেবে দেখুন তো সমস্যা গুলি আপনার পরিবারেও আছে না? থাকার তো কথা। না থাকলে ভাবব যে আপনি অসাধারন ভাগ্যবান।
@অর্ফিউস,
অবশ্যই আছে এবং আমি ইদানিং টিভি দেখা একরকম ছেড়ে দিয়েছি।
স্ত্রী দের কথা বাদ দেন।সাধারণের কথা ধরেন,প্রথমে খাদ্য দিয়ে শুরু করি পিঁয়াজ,চিনি,বহু রকমের ডাল,আলু,জিরা,হলুদ, মরিচ,ঝাল/লঙ্কা, বরফজাত মাছ(আবাক লাগলেও আসে কিন্তু),আপেল,আঙুর, ন্যাসপতি,চিপস,সফট ডিরিংস আরো আছে, মটর সাইকেল,বাই সাইকেল,প্রাইভেট কার,গাড়ির যন্ত্রাংশ,ছোট থেকে বড় সকল ধরণের ইন্ডাসট্রিয়াল ম্যাটেরিয়াল,সুতা,রঙ আরও আছে
যাবতীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য(অসংখ্য),পুরুষদের সকল ধরণের কসমেটিকস(লেজার,জেল,পারফিউম,আফটার সেভ,সেভ জেল অসংখ্য)
আর নাইবা বললাম।
**আর টাকা (ইদানিং বাংলাদেশী ব্যাবসায়িরা ভারতীয় ব্যাংক থেকে লোন নেন)
সাধরণ মানুষের পক্ষে সম্ভাব বলে তো হচ্ছে না।
@প্রাক্তান আঁধারে,
হুম, লিস্টটা যথেষ্ট বড়।তবু যদি বাংলাদেশে এইগুলার কিছু উৎপাদন করা যায়, এবং চীন কে বিকল্প হিসাবে নেয়া যায় তাহলে হয়ত একেবারে অসম্ভব হবে না। তবে চীন যেহেতু দুই নম্বুরী করে থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা আসলেই কঠিন। তবু ফরমালিন মেশানো জিনিসপত্র খেলে আমাদের যেহেতু সমস্যা হয়না ( বরং ফরমালিন ছাড়া জিনিসেই হয়ত আমাদের অসুখ হবে,হাজার হলেও মানুষ অভ্যাসের দাস 🙂 ), কাজেই নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে মনে হয় না চীনের ভেজাল জিনিস আমাদের বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে। শরীরের নাম নাকি মহাশয়, এইটা আমাদের না দেখলে বুঝার উপায় নাই :-))
আমরাতো চীনের জিনিসও ব্যবহার করছি, করছি না? স্যামসাং এর ২৪ ইঞ্চি যে মনিটর আমরা ব্যবহার করি, সেটা যে কোরিয়া না বরং চীনের দুই নম্বর জিনিস, এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি 😉 এমন জিনিস কিন্তু একেবারে কম নেই কি বলেন আপনি?
দরকার কি? কুল শেভিং ক্রিম কি বাংলাদেশী?অ্যারোমেটিক আফটার শেভ ব্যবহার করুন। সৌখিনতা না থাকল, ডেনিম বা জিলেটের আমেজ না পেলেন, কিন্তু এগুলাতো একেবারে পচে যায় নি কি বলেন?
নাহ মোটেই শক্ত যুক্তি মনে হচ্ছে না এইটা, আগেরগুলার মত।টাকা ধার বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক থেকেই নেয়া যেতে পারে।এমনকি ভারত বর্জন করতে গিয়ে ইসলামী ব্যঙ্কেরও শরনাপন্ন হওয়া যেতে পারে,হাজার হলেও দেশী জিনিস;পিছনে রাজাকার নাকি কোন মৌলবাদীদের ব্যাংক এটা জানার দরকার কি?কমন শ্ত্রু নাকি দুই মেরুকে এক করে দিতে পারে বলেই শুনেছি সেখানে রাজাকারদের সাথে আমাদের সখ্যতা অতি পুরাতন।
@অর্ফিউস,
আপনার আইডিয়া ভালো, কিন্তু এর জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট প্রয়োজন।কারণ we are already trapped.
@প্রাক্তান আঁধারে,
হ্যাঁ এইবার একটা মারাত্বক কথা বলেছেন। ফাঁদ সত্যি আমরা ফাঁদে আটকে আছি। বাংলাদেশের নাগরিকদের হাজার ভাল জিনিস দিয়ে সাধলেও নেবে না।এরা মনে করে যে, যে জিনিসের দাম বেশি, সেইটাই ভাল।সেখানে ভারতের মটরসাইকেল সহ, আরো অনেক জিনিস ( ধরেন কসমেটিকস) এইগুলার মান সত্যি ভাল, আর পাশাপাশি আছেই তো দাম বেশি;বাংলাদেশীদের ভালর প্রকৃত সংজ্ঞা। কাজেই কেনই বা তারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে?
করবে না কারন মুখে দেশপ্রেম আর গালভরা বুলি সর্বস্ব এই জাতি আসলে আত্মপ্রেম আর পরশ্রী কাতরতায় চ্যাম্পিয়ন।
আপনার কি মনে আছে ইলিশ মাছের ইতিকথা? একটা সময়ে যখন নদীর রুইমাছ ছিল ৯০টাকা কেজি, আর অসাধারণ এবং বড় সাইজের ইলিশ গুলার দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি? এই সময় কিন্তু বাঙালী নাক সিটকাতো এই বলে যে, এই বালের ইলিশ মাছ কেডা খায়!! এমনকি ছোটবেলাতে মাঝে মাঝে শখ করে আমার বাবার সাথে কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখতাম যে ইলিশমাছের ব্যবসায়ীরা মাছ নষ্ট হয়ে যাবে এই আশংকায় ৩০ টাকা কেজি দরে ইলিশ ছেড়ে দিত। তখন বাবার চাকরি সুত্রে বরিশালে ছিলাম।
আজ যখন সব ইলিশ ভারতে পাচার হচ্ছে আর ইলিশের দাম বেড়ে গেছে চড়চড় করে, আর যেখানে দাম বেশি মানেই জিনিস ভাল, তাই ছোটছোট ২টা ইলিশ মাছ যা কিনা ২টা মিলে ২কেজির কম হয়, সেই মাছ বাঙালী কিনে খায় ১৫০০ থেকে যত উপরে দাম হয়।কিন্তু এই ইলিশের স্বাদ কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই আরো বড় ইলিশের চেয়ে কম!!
অথচ আজ বাঙালী ইলিশ খেয়ে আভিজাত্য দেখায়, কারন দাম বেশি, তাই টাকা আমি কত খরচ করতে পারি এইবার তার নমুনা দেখ এই ভুয়া সম্মানের জন্যেই টাকা খরচ করে অথচ অর্ধেকের কম দাম হওয়া স্বত্বেও আগে ইলিশ মাছ পচতো।
তাহলে কি প্রমান হল? বাঙ্গালীর কাছে যেখানে জিনিসের মানের চেয়ে দামটাই বেশি, কাজেই যদি ভালদামে খারাপের পরিবর্তে ভাল জিনিস পায়, সেটাই তার গৌরব আর তথাকথিত সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে। তো যে জাতি অপচয়ের মধ্যে গৌরব খোঁজে, সেই জাতির দ্বারা ভাল কিছু আমি আশা করি না। ভাল করে আরেকবার ইলিশের কাহিনীটা পড়ুন, আপনার নিজেরই হয়ত মনে পড়ে যাবে যে এই ইলিশ কিভাবে ক্রেতার অভাবে পচে নষ্ট হত। তো ভালই হইসে ভারতে পাচার হয়ে। এখন ইলিশ হইসে মাছের রাজা, কারন দাম বেশি; স্বাদটা এখানে মুখ্য নয়।
এই জাতীয় মন মানসিকতাকেই মনেহয় ছোটলোকি বলা হয়, যেটা আমাদের ভিতর আছে।
কাজেই স্বাভাবিক ভাবেই কমদামে চিনের অপেক্ষাকৃত খারাপ মটর সাইকেল ডায়াং বা ভিক্টর আর বাঙালী কিনবে কেন, যেখানে তারা কম দামে ভাল ইলিশ মাছই কিনে নি?
আসলে ফাঁদতা এখানেই। আমরা “পরের পিঠা লাগে মিঠা” এই প্রবাদে বিশ্বাসী অবচেতন মনে।
আর ভারতীয়রা মনে হয় ” নিজের ঘোল টক লাগে না” এই বাস্তব প্রবাদে বিশ্বাসী, আর তাই তারা দিন দিন কিভাবে তরতর করে উন্নতি করেছে, আর আমাদের মান ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে।
@অর্ফিউস,
সখ করে কি আর ইসলামী বাদ দিয়ে ভারতী ব্যাংকের কাছে গেছে!? ব্যাবসা কি আর দেশী জিনিস বোঝে!!?
@প্রাক্তান আঁধারে, সেটা তো অবশ্যই, ঐযে আপনি আগের মন্তব্যে বললেন যে , we are already trapped? এইটাই সমস্যা। আর এই ফাঁদটা আমাদের নিজেদের তৈরি করা।মুসলিম বাঙালী সমাজের এই সস্তা উন্নাসিকতার সেন্টিমেন্ট যেটা তাদের ভাল জিনিস চিনাবার বদলে অপচয় করতে শেখায়, এমনকি অপেক্ষাকৃত খারাপ জিনিসও দাম বেশি বলে আভিজাত্যের বড়াই করে কেনে, সেইখানে এই জাতির পরনির্ভরশীল না হয়ে উপায় কি বলেন ? 🙂
@অর্ফিউস, দেখেন যেখানে ভারতীয়রা দেশি পন্য ব্যবহার করবে বলে, ভারতের তৈরি অনেক নিম্ন মানের জিনিসও ভোগ করত।যেখানে সিগারেট খেতে গিয়ে বাংলাদেশীদের বেনসন ,৫৫৫ ,বা গোল্ড লীফ ছাড়া চলত না সেখানে দেখেন এই সিগারেটের মত একটা ক্ষতিকর জিনিসের পিছনেও বাঙালী কত ব্যয় করে। আর ভারতীয়রা খেত কমদামী আর কম মানের চারমিনার, শুধুই দেশী পন্য বলে।
এতে কি এই প্রমান হয় যে ভারতীয়দের পকেটে বাঙ্গালীদের থেকে কম পয়সা থাকতো? না তা নয়।
আসল কারন ঐ একটাই, ভারতীয়দের দেশপ্রেমটা সলিড আর আমাদেরটা শুধু গালভরা বুলি সর্বস্ব আর খরচের ক্ষেত্রে আভিজাত্যের নামে অপচয়।
এস এস সি পরীক্ষার সময় আব্দুল্লাহ নামের এক উপন্যাস আমাদের পাঠ্য ছিল। সেখানেই মুসলিমদের অপচয়ের মাধ্যমে টাকা উড়ানোর সস্তা আভিজাত্যের উল্লেখ আছে, আর পাশাপাশি মিতব্যায়ী ভারতীয় হিন্দুদের ক্রমেই উন্নততর হবার বর্ননাটা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
যদি মমতা গাঁট হয়, ত সেই দাওয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের খোঁজা উচিত ছিল। প্রচুর বাঙালী বুদ্ধিজীবি মমতা বিরোধি- তাদের বাংলাদেশে দাওয়াত দিন। বাংলাদেশে তাদের বই বিক্রির ব্যবস্থা করে দিন-এবং তাদের দিয়ে এটা মিডিয়াতে বলান মমতার জন্য বাংলাদেশের কি বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। যে ক্ষতি বাঙালী জাতিযতাবাদের ও।
এসব কূটনীতির অংশ। কূটনীতি ছারা “মমতাময়ী মমতা” বাংলাদেশের বন্ধু হয়ে উঠবেন-সেটা আকাশকুসুম অবাস্তবতা।
@আদিল মাহমুদ,
হুম! 😉
অন্য ব্লগে আমাদের একজন পরিচিত ব্লগারের একটি মন্তব্য-
@আকাশ মালিক,
কিছুদিন আগে ষ্ট্যাট দেখেছিলাম যা দেখায় গত জোট সরকারের আমলে বর্ডারে কিলিং এই সরকারের আমল থেকে বেশী ছিল। কিন্তু সেসবে তো কিছু যাবে আসবে না, ভারত আওয়ামী সরকারকে বসিয়েছে (মানে হল ভারতের হস্তক্ষেপ ছাড়া গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতত না, বিএনপি/জামাতই জিতে যেত)……তার প্রমানও আছে, সৈয়দ আশরাফ কবে বলেছে বর্ডার কিলিং নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। “আম্রিকান সাম্রাজ্যবাদ” বিরোধী দেশ রক্ষার দফাদার ম্যাডাম যখন ভারত থেকে ফিরে বলে যে পদ্মার পানির কথা উনি বেমালুম ভুলেই গেছিলেন তখন ওনার কোন দোষ হয় না, টিপাইমুখ বাঁধের ভিত্তি যে প্রথম ২০০৬ সালে ম্যাডামের আমলে গাঁড়া হয়েছিল তখন মিডিয়াতেই আসেনি, আমাদের নব্য রাজনৈতিক ফ্যান্টাসি লেখকরাও টের পাননি। এই জাতীয় এনালাইসিস এতদিন ধারনা ছিল কেবল প্রবল ছাগু বা মৌলবাদী ধরনের যায়গায় দেখা যায়, এখন দেখি সে ধারনা বিরাট ভুল ছিল।
যদিও আমি মনে করি না যে সরকার বদল আসলেই বিএসএফের কিলিং রেটে প্রভাব রেখেছে।
ফেলানি নিয়ে নুতন কিছু বলার নেই। বিচার হচ্ছে শুনেই জানতাম এমন কিছুই হবে, বিচার না হলেই ভাল হত। এখানে আইন এবং ন্যূনতম নৈতিকতার সঙ্ঘাতের প্রশ্ন আছে, এর মীমাংসা খুব সহজ নয়। এই প্রশ্নের মুখোমুখি না হওয়াই ভাল ছিল। আপনার বাড়িতে রাতের আঁধারে ক্ষুধার্থ চোর চুরি করতে এসে দেওয়ালে গুলি খেয়ে মরে ঝুলে থাকলে আপনাকে অবশ্যই মানবিকতা/নৈতিকতার চোখে অপরাধী বলাই যায়। কথা হল যে আপনার নামে হত্যার মামলা দিলে কি আপনাকে আদালত অপরাধী রায় দেবে? আমি যে দেশে থাকি সে দেশে দেবে না এটা বলতে পারি। মানবতার চোখে অপরাধী হয়েও আমি আইনের কাছে পার পেতে পারি। ভারতের বিএসএফ এর গুলি করার ব্যাপারে তাদের সার্ভিস বুক কি বলে তা জানি না অবশ্যই, ঠিক কি পরিস্থিতিতে তারা গুলি করতে পারে তা ব্যাখ্যার ওপর এই পার্টিকুলার মামলা নির্ভর করে।
পাপ মনে অযাচিত প্রশ্ন আসে; ফেলানি নিয়ে ফেসবুকে ব্লগে সুশীলরা যত কলম চালিয়েছে তার কত ভাগ আমরা আমাদের নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর নিজেদের উর্দিওয়ালাদের অত্যাচার নিয়ে চালাই? লিমন নামটা মনে পড়ে? একে নিয়ে কয়জনে কয় ষ্ট্যাটাস লেখা লিখেছিল? র্যাবের প্রথম আমলে একটা কেসের কথা শুনেছিলাম মোহাম্মদপুরে এক বিয়ের আসর থেকে এক ১৮ বছরের ছেলেকে পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে তুলে নিয়ে এক বাহিনী হত্যা করেছিল… এই রকম কত কাহিনী আছে কে তার খবর রাখে। যাক, আমাদের মানবিকতাবোধের প্রসংশা করতেই হয়।
@আদিল ভাই,
আমরা তো এমনিতেও ভুগি ওমনিতেও ভুগি। সেখানে ভারত নিজেই একটু ভুগুক না, তাহলে যদি তারা প্রলেতারিয়েতদের কষ্ট একটু আধটু টের পায়, মন্দ কি বলেন?
অনেকেই মমতাকে দোষ দিচ্ছেন। আমি কিন্ত দুবার মিডিয়াতে দেখেছি মমতা বলেছেন বাংলাদেশের তরফ থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হয় নি। মমতা তার ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থ দেখবেন এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং আমি যতটা দেখেছি এবং রাজনীতি বুঝি তাতে দীপু মনির খামতিই আমার চোখে বেশী পড়ছে।
@বিপ্লবদা,
আমি খানিকটা সারপ্রাইজড্, মমতার এই রাজনৈতিক বক্তব্যটিকে আপনি মমতার অনুকূলে বইয়ে দিচ্ছেন, বিপ্লবদা?? এমন তো নয় যে, এই স্রেফ রাজনৈতিক স্টান্টবাজিটি বুঝতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হতে পারে আপনার! তাহলে??
@কাজি মামুন,
রাজনীতিবিদ মাত্রই স্টান্টবাজি করবে-এবং মমতা সেরা অভিনেত্রী।
সুতরাং স্টান্টের জন্য মমতা এটা বলতেই পারেন। ধরে নিলাম তুমিই সত্য।
কিন্ত তাহলে দীপু মনি প্রতিবাদ করলেন না কেন? তার ত বলা উচিত ছিল মমতা সত্য বলছেন না। যেহেতু দীপুমনি কিছু বলেন নি, তাহলে যেকোন ভারতীয় এটাই ধরে নেবে বাংলাদেশ মমতার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক না।
@বিপ্লবদা,
মমতা তার অবস্থানে থেকে যে স্টান্টবাজিটি করেছেন, দীপু তা পারেন না। কারণ তার সামনে মমতা ছাড়াও আছেন সোনিয়া।
মমতা বোঝাতে চান, পানি পেতে চাইলে আমার কাছে আসতে হবে, আমার সঙ্গে বসতে হবে, দরকার হলে কেন্দ্রকে বুইড়া আঙ্গুল দেখাইয়া….
মমতা কেন্দ্রের স্বার্থকে পাশ কাটিয়ে বাংলার স্বার্থের আদান-প্রদান করে নিতে চান দীপুর সাথে।
বুঝুন দীপুর বিপদটা…………….শাখের করাত কাকে বলে……………মমতাকে পুরো অস্বীকার করে দীপু এক পক্ষের হিসেবে চিহ্নিত হতে চান না………দীপু জেনেশুনেই মমতার প্যাচে ধরা দেননি………মমতা চেয়েছিলেন দীপুকে একটি পক্ষে ঠেলে দিতে, দীপু সেই ফাদে ধরা দিয়ে ভাল করতেন কি????
@কাজি মামুন,
এফ ডি আই ইস্যুতে মমতাকে নরম করতে, হিলারী সরাসরি তার কাছে এসেছিলেন। শুধু তাই না, নিউউআর্কের মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে একটি আলোচনাতে উনি মমতার ভূসয়ি প্র সংসা করেছিলেন, ভারত থেকে ফিরে। তিনি সোনিয়াকে নিয়ে কিছু বলেন নি। তাতে কি হিলারীর সাথে সোনিয়ার দূরত্ব বেড়েছে?
প্রতিটা রাজনীতিবিদ অন্যের বাধ্যবাধকতা বোঝে।
দীপুমনি মমতার কাছে গেলে সব থেকে বেশী খুশী হতেন সোনিয়া নিজে। কারন সেক্ষেত্রে চুক্তির পলিটিক্যাল ল্যায়াবিলিটি কংগ্রেসের ঘার থেকে নেমে মমতার ঘারে আসত।
সুতরাং তোমার রাজনৈতিক বিশ্লেষন খুব দুর্বল। আরেকটু ভাবো। একে বলে পলিটিক্যাল গেম সিম্যুলেশন।
@বিপ্লব পাল,
উহু, মমতা সোনিয়ার সতিন নন যে একজনকে বেশি আদর করা হলে অন্যজন মাইন্ড করবেন……….আমি এমনটা বোঝাতে চাইনি…….সোনিয়ার মাইন্ড করার প্রশ্ন উঠবে স্বার্থের সঙ্ঘাত তৈরি হলে………..দেখুন, হিলারির ব্যাপারটি দুজনের স্বার্থকে বিপরীত মেরুতে দাঁড় করিয়ে দেয়নি……
কিন্তু কেন্দ্রকে পাশ কাটিয়ে মমতার সঙ্গে বেশি মমতা বিনিময় কেন্দ্র নিশ্চয়ই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করবে না??? কেন্দ্রের পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও কতগুলি রাজ্য আছে, সেগুলি নিয়ে খেলার মত অনেকগুলি দাবার বড়ি সে যে সাজিয়ে রেখেছে………মমতা একা একা খেলতে যেয়ে পুরো গেমপ্ল্যানটি নস্ট করে দিচ্ছে যে!!!!!!!!!
জানেন, তিস্তা ইস্যুতে কেন্দ্র মমতার উপর বিরক্ত??
@কাজি মামুন,
এর উত্তর দিয়েছি। কেন্দ্র এটা যত তারাতারি নিজের ঘার থেকে নামিয়ে মমতার ঘারে দিতে পারবে, তত তার রাজনৈতিক লাভ। আমি আমার বলছি-এই ইস্যুতে দীপুমনি মমতার সাথে সরাসরি গেলে সব থেকে খুশী বেশী হত সোনিয়া। উত্তর বঙ্গে তাদের ৫ টা সিট। এই দুর্দিনের বাজারে সেটা অনেক। কে হারাতে চাইবে সেই সিট গুলি?
@বিপ্লব পাল,
তাহলে এই সিটগুলির দিকে মমতার চোখ নেই বলছেন??? তাইলে খামোখা এত পানি ঘোলা করা কেন?
দীপুর অপেক্ষা না করে, নিজেই দৌড়ে যেয়ে সোনিয়ার ঘাড় থেকে পলিটিক্যাল লায়াবিলিটি নিজের ঘাড়ে নিলে কি এমুন ক্ষতি ছিল মমতার?? বিপ্লবদা??
সোনিয়ার ঘাড় থেকে নিজের ঘাড়ে লায়াবিলিটি নেবেন মমতা? আপনি দেখছি মমতাকে খাটো করে দেখছেন!!! দেখুন, মমতা কিন্তু সোনিয়ার মত পারিবারিক উত্তরাধিকারের সুত্রে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেননি, সেই মমতা সোনিয়া লায়াবিলিটি আহ্লাদ করে নেবেন, তা বিশ্বাস করতে বলেন??
@কাজি মামুন,
দায়টা উনার না বাংলাদেশের? দায়টা যার, দৌড়টাত তাকেই মারতে হবে 😛
মমতা এই ল্যায়াবিলিটি নেবে না। সেই জন্য যদ্দিন না দীপু তার জন্য এটাকে ল্যায়াবিলিটি হিসাবে না দেখাতে পাচ্ছেন, তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেই জন্য দীপুর উচিত ছিল ল্যায়াবিলিটির জায়গাটা তৈরী করা? কি হতে পারত সেই মিডিয়া গেম প্লয়ান?
[১] মমতার জন্য বাংলাদেশে বাঙালী জাতিয়তাবাদের ক্ষতি, ইসলামিস্টদের বাড়ন্ত। যাতে পশ্চিম বঙ্গ এবং বাঙালীর বিপদ। কারন এদিকেও ৩০% মুসলিম আছে।
[২] বাংলাদেশে ভারত বিরোধি সন্ত্রাসবাদ বাড়বে।
এখন চুক্তিবাতিলে ভারতের বাঙালীরা লাভটাই দেখতে পাচ্ছে । ক্ষতিটা যদি মিডিয়া না দেখায়, সেটা কোনদিন মমতার পলিটিক্যাল ল্যায়াবিলিটি হবে না।
@কাজি মামুন,
তাতে তার কি যায় আসে? কেন্দ্র কি তার বস?? সে কেন্দ্রকে জিতিয়ে এনেছে। তাছারা সোনিয়ার সাথে তার পারিবারিক সম্পর্ক। এর থেকেই বোঝা যায় তোমরা ভারতীয় রাজনীতির বাস্তবতাটা এখনো বুঝতে পারছ না।
@বিপ্লব পাল,
না দাদা এইটা আমি জানি যে কেন্দ্র নাকি প্রাদেশিক সরকারের সিদ্ধান্ত তেমন প্রভাবিত করতে পারে না।যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার এই এক সমস্যা।আচ্ছা ভারতে যদি আমেরিকার মত রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থাকতো, তবু কি মমতার উপরে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রন করতে পারত না?পলিটিক্স আসলেই জটিল জিনিস;বিশেষ করে আমরা যারা বাংলাদেশে বসবাস করে রাজনীতির নোংরা রুপটাই দেখি।
ভারত এর থেকে বেশি ভাল হবারই কথা নিজের জনগণের ব্যাপারে!
@অর্ফিউস,
পারত না। নতুন ইমিগ্রেশন আইন ওবামা টেক্সাস বা আরিজোনাতে চালাতে পারেন নি সফল ভাবে গভর্নরদের বিরোধিতায়। যুক্তরাষ্ট্রইয় কাঠামোতে রাষ্ট্রএর প্রধান ছারাও ক্ষমতার আরো অনেক সেন্টার থাকে। সেগুলি বুঝতে হবে।
@বিপ্লব পাল,
একজন নর্থ ইস্ট নিবাসী ভারতীয় হিসেবে আমার একমাত্র দাবি হল, মমতা ব্যানার্জীর ভোটব্যাংক গরুছাগল ভর্তি পশ্চিমবঙ্গকে এই মুহূর্তে ভারত থেকে আলাদা করে দেওয়া হোক, অবশ্যই উত্তরবঙ্গ বাদ দিয়ে। একমাত্র তাহলেই পশ্চিমবঙ্গ এর আকাটগুলো বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল।
@অজয় রাউত,
আপনার বক্তব্য আপত্তিকর এবং অসভ্যতার পরিচয়।
পৃথিবীর সর্বত্র লোককে বোঝানো হয়, কেও বোঝে না। পশ্চিম বঙ্গেও তাই। মমতার মিডিয়া লোককে বোঝাচ্ছে এতে পশ্চিম বঙ্গের ক্ষতি। এতে পশ্চিম বঙ্গের কি লাভ, সেটা কেও বোঝাচ্ছে না। সেটাই দীপুমনির মন্ত্রকের কাজ ছিল-যে কাজে উনি ব্য্ররথ। আমার প্রবন্ধের বিষয় ও সেটা।
খুবই ন্যায্য কথা বলেছেন।যদিও এক হাতে তালি বাজে না, তবু এই বাজে সম্পর্কের কারনের দোষ প্রায় পুরাটাই ভারতের। ভারতের এই দাদা সুলভ ব্যবহার খুবই অসহ্য হয়ে যাচ্ছে আমাদের মত বাংলাদেশের সাধারন জনতার জন্য।
আচ্ছা বলতে পারেন যে মমতা এতটা বাড় কেন বেরেছেন? শুনেছি আপনাদের ৬টা দেশের মুখ্য মন্ত্রীরা নাকি তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন, শুধু এই মমতা ছাড়া। আচ্ছা পশ্চিম বাংলার অর্থনীতিতেও বাংলাদেশের কিন্তু অনেকটাই অবদান আছে তাই না? বাংলাদেশের অপচিকিৎসার কারনে, অপেক্ষাকৃত কম খরচে অনেক ভাল চিকিৎসা নিতে কতজন বাংলাদেশী, ভারতে যান প্রতি বছর বলেন দেখি?
বাংলাদেশ সরকার আর কিছু না পারুক, যদি কিছু মানবিক সাইডগুলি দেখতে পেত আর এর প্রতিকার করতে পারত, যেমন নাগরিকরা যদি দেশেই সুচিকিৎসা পেতেন, আর ডাক্তারদের অশালীন আচরনের শিকার না হতেন, তবে মনে হয়ে মমতাকে এক হাত দেখে নেয়া যেত।
সাথে সমস্ত ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোকে ব্যান করা যেতে পারে বাংলাদেশে। প্রত্যেক মানুষের উচিত এইরটেলের সিম বন্ধ রাখা, কিন্তু এটা কেউ করবে বলে মনে হয় না।কাজেই ফলাফল লবডঙ্কা।
কাজেই দীপু মনি কে খামোখা দোষ দিয়ে লাভ নেই। কিউবা যদি আমেরিকার মত দেশকে একহাত দেখে নিতে পারে তবে আমরাও ভারতকে দেখে নিতে পারতাম, কারন আমেরিকার তুলনায় ভারত এখন দুগ্ধ্যপোষ্য শিশুর পর্যায়েই পড়ে বলে আমি মনে করি।
অর্থনিতির কলেবর যাই হোক না কেন ভারতেই কি ধনী আর দরিদ্রের বৈষম্য সবথেকে বেশি না?
কাজেই আমার তো মনে হয় যে আমেরিকায় যত লোক আছে, তারচেয়ে বেশি লোক ভারতে কম করে হলেও একবেলা না খেয়ে থাকে।এই লোকদের জন্য কিছু করাই ভারতের জন্য ভাল হবে,পাশের বাড়িতে বি এস এফ নামের পাগলা কুকুর লেলিয়ে দেয়ার চেয়ে।
তবু আপনি ভারতীয় হয়েও মানবতার খাতিরে বাংলাদেশের পক্ষে লিখেছেন বলে আপনাকে ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস, বিপ্লব পাল, বলতে পারেন কেন এই বি এস এফ এর এই মরন বাড়?বি এস এফ কি ভারত সরকারের অধীনস্ত একটা বাহিনী নয়?ভারত সরকারের কোন প্রকার সদিচ্ছা থাকলে কি এই বি এস এফ এমন মরন বাড় বাড়তে পারত?
আর আপনাদের বিচার ব্যবস্থাই বা কেমন যে খুনের দায়ে অপরাধীদের সাজা দেয় বেকসুর খালাস দিয়ে? সেখানে তো ৭১ এর রাজাকারদেরও খালাস পাবার কথা! আপনাদের আদালত এই কাজ করেছে এটাও অনেকটা দুর্বলের প্রতি সবলের মধ্যযুগীয় অবজ্ঞার পেছনে।
ভারত তড়পাচ্ছে বেশি।এটা ভারতের বুঝা উচিত যে তাদের চেয়ে চীন এখনও অনেক শক্তিশালী। ভারত যেমন চারদিকের বাংলাদেশ কে ঘিরে রেখেছে, এভাবে কিন্তু চীন আর পাকিস্তানের সাথে কঠিন মৈত্রী করে, চীন, বার্মা, পাকিস্তান আর এই হরিজন বাংলাদেশ নিলেও কিন্তু একই ভাবে ভারত কে ঘিরে ফেলতে পারে, তাই না? এইটা ভারতের ভাবা উচিত।
@অর্ফিউস,
বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কা ভারতের জন্য স্ট্রাটেজিক থ্রেট না। কারন এদের সাপ্লাই লাইনের পুরোটাই ভারতের সীমানার ওপর দিয়ে। সাপ্লাই লাইন কাটা সহজ। চীনের সাথে সুম্পর্কের কারনে স্ট্রাটেজিক থ্রেট পাকিস্তান, বার্মা এবং নেপাল। যাদের চাইনা সাপ্লাই লাইন কাটা ভারতের পক্ষে সম্ভব না।
তবে চীন ভারত সম্পর্ক খারাপ হবে না, বা বাংলাদেশ ও চীনের কাছ থেকে সাহায্য পাবে না। কারন চীন একটি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র যার সব থেকে বড় বাজার হতে চলেছে ভারত। সাম্প্রতিক কালে যতবার ভারত-চীন সম্পর্কের অবনতি হ য়েছে ব্যবসার কারনে, দুপক্ষ পিছু হটে হ্যান্ডশেক করেছে।
ধর্মান্ধ মুসলিমরা চীন শাসন করে না-চীনের শাসকরা বুদ্ধিমান যারা ব্যবসা বোঝে। চীনের শাসককুল যদ্দিন ব্যবসা বুঝবে, ভারত চীন সম্পর্ক খারাপ হবে না। ভারতের রাজনীতিতে চীন প্রচুর টাকা ঢালে।
দুদেশের সম্পর্ক ভাল হয় বাণিজ্যে। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ভাল করতে গেলে, দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য দরকার।
@বিপ্লব পাল,
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেরও উচিত হবে আরো সামরিক শক্তি বাড়িয়ে ভারতকে একটু খোঁচা দেয়া।আর কত সহ্য করা যায় বলেন?
চীন ধনতান্ত্রিক? আমিতো জানতাম যে সমাজতন্ত্রের আড়ালে মিশ্র অর্থনিতি নিয়েছে চীন। তা চীন কিভাবে ধনতান্ত্রিক একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? আমি আসলেই বুঝিনি ব্যাপারটা!!!!
সত্যি কি ভাল হবে? নাকি মাস্তান দাদা এতে আরো ঘাড়ে চড়ে বসবে?এমনিতেই তো ভারত আমাদের বিশাল বাজার দখল করে আছে, তাই না?
@অর্ফিউস,
চীন ভারত সম্পর্ক নিয়ে গুগলে সার্চ মারো-জেনে যাবে কি হচ্ছে। তোমাদের বাঙালিয়ানার সমস্যা আছে। কিছু না পড়েই হঠাৎ করে আবেগপ্রবণ হয়ে লিখে বস। রাজনীতি চলে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে।
না। এতে বাংলাদেশের ভাল হবে। এই নিয়েও গুগলে অনেক গবেষনা পত্র পাবে। এটা এই জন্য ভাল হবে -তার কারন বাংলাদেশে লোকদের মাইনা ভারতের অর্ধেক। ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু উৎপাদন করে ভারতে বেচা লাফজনক হবে।
ব্যবসা দেশ বোঝে না। সে লাভ বোঝে।
@বিপ্লব পাল,
ঠিক আছে দেখতেসি।তবে তার আগে ধনতান্ত্রিক চীনের ব্যাপারটা সার্চ করে দেখি।আমি এইটা জানতাম না যে চীন ধনতন্ত্রের ধ্বজা ধরছে।
না,নেই। যদি রিসার্চ ইন্সটিউট হয়ও তবে গবেষণার ফলাফল হবে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষপাতদুষ্ট।
আর এখন বেসরকারী পর্যায়ে গবেষণার যে ফলাফল প্রকাশিত হয় তা সরকার(যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন) অবলীলায় নাকচ করে দেয় এবং নিরক্ষর জনগণ এ সবের খবরও পায় না আর সাক্ষর জনগণ এসবের ধার ধারে না।
চিত্রটি হতাশার হলেও এটাই বোধ হয় আমাদের তথাকথিত নিয়তি(?)
@গীতা দাস,
মনে হচ্ছে এটি কোন কমেন্ট নয়। এতি যেন একটি ছোট্ট দর্পনে পুরো বাংলাদেশকেই দেখিয়েছেন। (Y) (F)
প্রথমেই সময়োচিত লেখাটির জন্য ধন্যবাদ, বিপ্লবদা। আরো ধন্যবাদ বরাবরের মতই বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য।
আপনি শুধু দীপুর জ্ঞানশূণ্যতাই টের পেলেন? মমতার অনমনীয়তা টের পেলেন না? সস্তা জনপ্রিয়তার আশায় মমতা যে বাংলাদেশ-ভারতের বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র ছাড় দিতেও রাজী হচ্ছেন না, তার উল্লেখ লেখাটিতে থাকলে ভাল হত না??? মমতাকে যে বাংলাদেশ বন্ধু প্রনব মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমেও নমনীয় করার চেষ্টা করা হয়েছে, তা জানেন?? মমতার যে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি কোন মমতাই নেই, সব মমতা কেবল বাক্সভর্তি ভোটের দিকে, তা নিয়ে সামান্য আলোকপাত করলে কিন্তু ভাল লাগত, বিপ্লবদা!
যাইহোক, আপনি বা আপনার মত অনেকে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, এ জন্য কৃতজ্ঞ, বিপ্লবদা!
@কাজি মামুন,
দ্বিধাহীনভাবে একমত।যেজন্য আমি আর এ নিয়ে লিখিনি।
@কাজি মামুন,
মমতা কেন নিজের ভোট ব্যাঙ্ক হারাবেন? এই ভোট ব্যাঙ্ক তাকে কেও দেয় নি। প্রায় ৩০০০ তৃনমূল পার্টিকর্মীর হত্যা হয়েছে বাম জমানাতে। এখন তিনি কিছুটা নিরাপদ। কিন্ত তার অবস্থান জ্যোতিবাবুর মতন না যে তিস্তা চুক্তিতে উত্তর বঙ্গ ক্রদ্ধ হলে, সেই ড্যামেজ তার পক্ষে সামলানো সম্ভব। উত্তর বঙ্গে তৃণমূল এখনো তৃতীয়।
রাজনীতি মমতার জায়গা না-বাস্তবতার রণক্ষেত্র। এক্ষেত্রে দীপুমনি সেই বাস্তবতাকে অস্বীকার করেছেন। মমতা সেই বাস্তবতাকে স্বীকার করে রাজনীতি করছেন।
@বিপ্লবদা,
এ কোন বাস্তবতা? বাস্তবতা কাকে বলে? তিস্তাতে বাংলাদেশকে তার ন্যায্য হিস্যা প্রদান করে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটা অবাস্তব বিষয় হয়ে দাঁড়াল কবে থেকে, বিপ্লবদা??? জানতে মন চাইছে!
হ্যা, দীপুও রাজনীতি করতে পারতেন, ভারতের সঙ্গে সমস্যাগুলি ঝুলিয়ে রেখে ভারতকে গালমন্দ করে বাংলাদেশের মানুষকে ভারতবিদ্বেষী করে ভোটের বাক্স ভরে নিতে পারতেন, যেমনটা করে থাকেন বিএনপি-জামাত……..
দীপু আসলেই রাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝেন না, বুঝেন খালি ওপারে মমতা, এপারে বিএনপি…………কোন সমস্যার সমাধান নয়, শুধু ঘৃণা উগরে দিয়ে ভোটবাক্স ভর্তিকরনের এহেন রাজনৈতিক বাস্তবতা দীপু সত্যি সত্যি জানেন না……….
@কাজি মামুন,
তিস্তা চুক্তির প্রাকাল্লে, উত্তর বঙ্গের তৃণমূল নেতারা মমতার সাথে দেখা করতে আসেন। তার সাফ বলে দেন মমতা যেন এই চুক্তি না মানেন কারন এই চুক্তির ফলে উত্তর বঙ্গে ক্ষতি হবে-এবং মমতা তাদের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে জানিয়ে দেন তিনি বাংলাদেশ আসছেন না।
এখানে বাস্তবতা হল, তিস্তা চুক্তিতে পশ্চিম বঙ্গের ক্ষতি হতে পারত। মমতা পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী -তিনি পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ আগে দেখবেন এটাই স্বাভাবিক।
দীপুমনির এক্ষেত্রে করনীয় ছিল- তিনটি
(১) পশ্চিম বঙ্গের বুদ্ধিজীবি এবং মিডিয়াকে এ ব্যাপারে হাতে আনা এবং মমতার একশনের জন্য বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গের সিকিউরিটির কি ক্ষতি হতে পারে তাই নিয়ে প্রচার চালানো। পশ্চিম বঙ্গের অনেক বুদ্ধিজীবি মমতা বিরোধি- কবীর সুমন আছেন, সুনীল ছিলেন। সৌমিত্র আছেন। তাদের হাত করার চেষ্টা তিনি বা বাংলাদেশের কোলকাতার হাই কমিশনার করেছেন?
(২) আন্তর্জাতিক এবং ভারতের মিডিয়াতে প্রচার চালানো যে মমতার সিদ্ধন্তের জন্য ভারতের কি ক্ষতি হচ্ছে
(৩) মমতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ বাড়িয়ে তার পক্ষে দাবী কিছুটা মেনে, একটা সমজোতা করা।
আমি দীপুমনির মধ্যে ১-৩ কোন কিছু দেখি নি।
সুতরাং তাকে বাস্তববাদি বলে মনে হয় নি।
@বিপ্লব পাল,
কোথাও ভুল হয়েছে নিশ্চিত…….নইলে আপনি কি জেনেশুনেই লিখেছেন, ”মমতার সিদ্ধন্তের জন্য ভারতের কি ক্ষতি হচ্ছে”….তার প্রচার চালাবেন বাংলাদেশের দীপুমনি? কিছুই ত মাথায় ঢুকতেছে না!!
বুদ্ধিজীবি এবং মিডিয়া পশ্চিমবঙ্গের……তো আপনার কথার উদ্ধৃতি দিয়েই বলা যায় “পশ্চিম বঙ্গের মিডিয়া পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ আগে দেখবেন এটাই স্বাভাবিক।” নয় কি?? অথচ বিপ্লবা আপনার কথাতে মনে হতে পারে, পশ্চিম বঙ্গের মিডিয়াকে হাতে আনা বাংলাদেশের দীপুর ছেলের হাতের মোয়া……………এক সুমন-সুনীল-সৌমিত্র ত্রয়ীকে দিয়েও তাদের হাত করা যেত????? সেই ত্রয়ীর সাথে বিপ্লবদা ধরুন আপ্নাকেও যুক্ত করলেন দীপু, আপনি অন্তর থেকে বলুন ত কতটুকু আশাবাদী আপনি??? ফেলানির মত একটি কিশোরীর বেড়ায় ঝুলানো লাশ আপনাদের বুদ্ধিজীবি বা শিক্ষিত সমাজের সবার ঘুম ভাঙ্গিয়েছে তো??
মমতার পক্ষে কিছু দাবী মেনে নিলে কেন্দ্র খুশী হত??? বাংলাদেশের অন্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলোও তো কিছু দাবী করতে পারে…….মমতার দাবী পূরণ করতে যেয়ে সেভেন সিস্টারের সাথে খেলার মত কয়খানা কার্ড হাতে থাকত দীপুর হাতে??
দীপুর বিপদটা বুঝতে পারছেন তো?? বিপ্লবদা??
@কাজি মামুন,
আরে সেইটাত আসল সমস্যা যে রাজনীতিটাই বাংলাদেশীরা বুঝতে চাইছে না। আবেগ রাজনীতি না।
প্রচার কি আর ওইভাবে চালায়? সম্পাদক আর সাংবাদিকদের কিনে, তাদের কলমে লেখাতে হয় মমতার জন্য ভারতের কত ক্ষতি হচ্ছে।
একদম ভুল ধারনা। সেভেন সিস্টার্সের প্রায় সব রাজ্যে [ত্রিপুরা ছাড়া] কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী। তাদের দিল্লী থেকে নিয়ন্ত্রন করা সোজা। তারা কি কিছু বলেছে?
এটা যদি তিনি না করতে পারেন, তাহলে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে ব্য্ররথ।
মিডিয়া হছে বেশ্যাপল্লী। তাদের দেশ জাতি পার্টি নেই। যেখানে টাকা ফেলবে, তারা সেই ভাবে কথা বলবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সবসময়য় চেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক সরকারের সাথে সুসম্পর্ক ও সহযোগীতার মনোভাব বজায় রাখতে। কিন্তু, এই চাওয়াটা উভয়পক্ষের মনোভাবের মধ্যে নিহিত থাকাটা প্রয়োজন। এক হাতে তালি বাজে না। বামফ্রন্ট সরকারের সময় এই বিষয়ে বাংলাদেশকে ততটা অসুবিধায় পড়তে হয়নি। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জীর অবস্থান ও মনোভাব খুবই প্রতিকুল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বহু চেষ্টার পর একবার মমতা ব্যানার্জীর সাথে আলোচনার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই আলোচনায় মমতা ব্যানার্জী এতোই নেতিবাচক মনোভাব দেখান যে কুটনৈতিক কারনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে প্রেসে বলতে হয়েছে যে, সেটা নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাত ছিল এবং বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে অমিমাংসীত বিষয়গুলো নিয়ে দুজনের মধ্যে কোন আলোচনা হয় নি।
@আবু এম ইউসুফ,
আপনার তথ্যের পক্ষে প্রমান আছে?
আমি ত ভারতের মিডিয়াতে অন্তত দুবার দেখেছি মমতা বলেছেন বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে তার সাথে দেখা করা হয় নি।
আমার দিক দিয়ে যতটুকু তথ্য আছে তাতে এটাই প্রমানিত হয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তার কাছে পৌঁছায় নি।
@বিপ্লব পাল, মিডিয়াতে এসেছে এবং আমি নিজেই ব্যক্তিগতভাবেই পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক গওহর রিজভীকে প্রশ্ন করে জেনেছি, যে নানা উপলক্ষ্যে তাঁরা অন্ততঃ তিনবার মমতা ব্যনার্জীর সাথে সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে কোলকাতায় আলোচনা করার সুযোগ চেয়েছেন এবং তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, কিন্তু প্রতিবার তিনি সেসব প্রচেষ্টার উপর ঠান্ডা জল ঢেলে দিয়েছেন। দেখুন, বাংলাদেশে এর আগে জ্যোতি বসু সফর করেছেন, বাংলাদেশের সাথে গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী যে শুধু দিল্লী সরকারকে বিব্রত করেছেন তা নয়, বাংলাদেশ সরকারকেও বার বার বিব্রত করেছেন। মমতা ব্যানার্জীর অসহযোগীতামূলক মনোভাবের কারনে ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশের সরকার দুই দেশের মধ্যে বিরাজিত সমস্যাসমূহের যৌক্তিক সমাধান ও চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন অন্যান্য প্রাদেশিক সরকারসমূহের সাথে বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনির সাথে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও সফর প্রায়শই হছে এবং নানা বিষয়ে সহযোগীতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই লিঙ্কগুলোর খবর দেখেন-
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=46b631a6ce8e8016e14b0e92761a8b85&nttl=1511201168594
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=fd086dc2f2509fb3d84478a4476b6a26&nttl=107773
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=fd086dc2f2509fb3d84478a4476b6a26&nttl=20120429107773
http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2011/11/111116_mk_dipu_mamata.shtml
বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার সাথে বহুদিনের প্রতিক্ষিত সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং তাঁর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী এই বিষয় দুটি নিয়ে দ্রুত চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সকল কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা মমতা ব্যানার্জী জানেন। তিনি সামান্য ইতিবাচক মনোভাব দেখালে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী কেন, খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোলকাতা ছুটে যেতেন। প্রটোকল নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব বসুর সময় সেরকমটাই হয়েছিল।
@আবু এম ইউসুফ,
আপনি নিজের নিউজ লিংকগুলো পড়ে দেখেছেন? আপনার নিউজ লিংকগুলি যেকোন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকের কাছে, আমার বক্তব্যের সত্যতা প্রমান করবে।
এই খবরটা আমিও দেখেছি আগেই। দীপুমনি ব্যাঙ্গালোর থেকে ঢাকা ফিরছিলেন। মধ্যে খানে একরাত কোলকাতায় কাটাতে হবে। তাই হঠাৎ করে তার মনে হল মমতার সাথে দেখা করতে পারলে ভাল হয়!!
গোটা নিউজে এটাই প্রমানিত হয়!!
এই নিউজ দিয়ে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে না বিরুদ্ধেই যাবে প্রমান।
@বিপ্লব পাল,
এটা কি করে বুঝলেন আপনি? আসল ঘটনা হচ্ছে, সেবার ব্যঙ্গালোরে যাওয়ার আগে থেকেই কোলাকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মমতা ব্যনার্জীর অফিসে যোগাযোগ করে তাঁর (ডঃ দীপু মনির) সাথে মমতা ব্যানার্জীর বৈঠকের ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে অনুকুল সাড়া পাওয়া যায় নি। তারপর যখন ডঃ দীপু মনি ব্যঙ্গালোর যান, তখন শেষ মুহুর্তে তিনি (মমতা ব্যানার্জী) স্বল্প সময়ের জন্য ডঃ দীপু মনিকে সাক্ষাত দিতে সম্মত হন। দেখুন, আমি যদি আন্তরিকভাবে না চাই, চাইলেই কি আপনি আমার বাসায় এসে আমার সাথে আলোচনা করতে পারবেন? পারবেন না। মমতা ব্যনার্জী বাংলাদেশের সরকারের সাথে সেরকম আচরণই করছেন। এটা বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার কুটনীতিক মহলের ব্যক্তিরা খুব ভালো করেই জানেন। শুধু আপনি জানেন না।
@আবু এম ইউসুফ,
যদি আপনার কথা সত্য আমি ধরেই নিই, আমি কাজি মামুনকে তার উত্তর আমি দিয়েছি।
এক্ষেত্রে সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে, ব্যাঁকা পথ, অর্থাৎ গোপনে পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতিতে বাংলাদেশের প্রভাব বাড়াতে হবে। বামপন্থীরা আপনাদের বন্ধু ছিল। সুতরাং তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। পররাষ্ট্রনীতিতে সব কিছু সোজা পথে হয় না।
কিন্ত আমার কাছে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী মমতা মোটেও বাংলাদেশ বিরোধি নন এবং তিনি দীপুমনি বা শেখ হাসিনার সাথে বসতে চান।
@বিপ্লব পাল, ধন্যবাদ, এই বিষয়ে আপনার পরামর্শের জন্য। আপনার জানার জন্য বলছি; যে দুটি বিষয় অর্থাৎ সীমান্ত চুক্তি ও তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি যেহেতু বাংলাদেশের জন্যই বেশী প্রয়োজন তাই, এই দুইটি বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি পর্যায়ে যা কিছু করা প্রয়োজন এবং করা সম্ভব, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব প্রকারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু, যেহেতু এই দুইটি বিষয়কে মমতা ব্যানার্জী সস্তা রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার হাতিয়ার বানিয়েছেন তাই, এই প্রচেষ্টা সহজে ফললাভ করতে পারছে না। তাই, আপনার বা পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য সহানুভুতিশীল ও যৌক্তিক চিন্তার অধিকারী ব্যক্তিদের কাছে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে অপ্রতুল মনে হচ্ছে। এটাই বাস্তব। আপনার প্রাপ্ত খবর সঠিক, অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জী ” বাংলাদেশ বিরোধী” নন। কিন্তু, মমতা ব্যানার্জী প্রাদেশিক রাজনীতিতে রাজনৈতিক ক্ষুদ্র সুবিধা নেয়ার সংকীর্ণ এবং অদুরদর্শী চিন্তায় অতিমাত্রায় ভারাক্রান্ত। এটা যদি চলতে থাকে তবে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের সীমান্তলগ্ন অন্যান্য প্রদেশে সহিংসতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। যেটা নিয়ে সীমান্তলগ্ন ইন্ডিয়ার অন্যান্য প্রদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
@বিপ্লব পাল,
অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি দাদা, আপনি যদি বাংলাদেশী হতেন তাহলে তার কাছে আপনিও যেতেন না। ভোটের রাজনীতি করুন, তার দেশের স্বার্থ দেখুন কোন অসুবিধে নেই, এটাই স্বাভাবিক কিন্তু তিনি আসলেই যে বাংলাদেশ বিদ্বেষী। তাকে বুঝাবে কে?
পানিবণ্টন চুক্তি এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে হতাশা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে, কূটনীতিক দেব মুখার্জি, বীণা সিক্রি ও রজিত মিত্তার (তিনজনই এক সময় ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ছিলেন) এক আলোচনা সভায় তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন এ ভাবে- ‘তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি বাংলাদেশের কাছে আবেগের বিষয়। ভারতের উচিত ছিল সেই আবেগকে সম্মান দেখানো’।
মমতা ব্যানার্জির তীব্র বিরোধিতার কারণে এই দুই চুক্তির ভবিষ্যৎ অন্ধকার এখন। মমতা ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে লেখা এক স্ট্যাটাসে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি তিনি মানবেন না। তিনি মনে করেন, রাজ্যের জমি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র। তাই তিনি কস্মিনকালেও এটা হতে দেবেন না। বিরোধিতা করে যাবেন। তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভালো সম্পর্ক থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে এ প্রস্তাব মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরাপত্তাসহ ভারতের নানা উদ্বেগ দূর করতে গত সাড়ে চার বছর সচেষ্ট থেকেছে বাংলাদেশ। তাই তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে ভারতের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত ছিল। এখন দুই প্রতিবেশী দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দুটিতে অগ্রগতির সম্ভাবনা খুবই কম।
তবে আমি এটাও বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় সরকার আন্তরিকভাবে ইচ্ছে করলে এর সুরাহা করতে পারতো। কিন্তু নির্বাচন সামনে তাই তারাও মমতাকে ক্ষেপাতে চাইবেনা। তাদের দুষ্ট রাজনীতির বলি হচ্ছি আমরা।
@আকাশ মালিক,
দুষ্ট রাজনীতি বলে কিছু নেই। সত্যযুগের রাজনীতির কল্পনা ইউটোপিয়া। রাজনীতি কূটনীতির জায়গা।
উনি কি বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী? তাহলে কিসের জন্য আপনি আশা করেন উনি নিজের রাজ্যের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আসবেন? এগুলো আবেগতাড়িত প্রত্যাশা হচ্ছে না?
কেন্দ্রীয় সরকার মানে কি? তারা কি রাজ্যের থেকে আলাদা? রাজ্য নিয়েই কেন্দ্র। ওসব ছিল ইন্দিরার আমলে। কংগ্রেস ৩০০-৩৫০ সিট পেত। সেই রাজনীতি ভারতে আর নেই। এটি এখন সত্যিকার অর্থে একটি ফেডারেল স্টেট যেখানে স্থানীয় রাজনীতির গুরুত্ব বেশী। যেটি ভারতের জন্য ভীষন ভাবে দরকার ছিল। দুর্বল কেন্দ্র এবং শক্তিশালী রাজ্য। সেটা না হলে ভারতে বিচ্ছিন্নবাদি আন্দোলন আরো বাড়বে। আগামি দিনে সংবিধান পালটিয়ে রাজ্যগুলির হাতে আরো বেশী ক্ষমতা যাবে। কেন্দ্রের হাতে মিলিটারি, ফাইন্যান্স আর পররাষ্ট্র ছারা কিছু থাকবে বলে মনে হয় না।
কেন্দ্র যদি জোর করে পশ্চিম বঙ্গের ওপর সেটা চাপাত, তাহলে সেটা হত পশ্চিম বঙ্গের ওপর দিল্লীর আগ্রাসন। যুক্তরাষ্ট্রঈয় কাঠামোর জন্য, তা হত ক্ষতিকর। কোন ফাংশনাল যুক্তরাষ্ট্রঈয় সরকার তা করতে পারে না।