আগের পর্ব : ইস্রাফীল হিসুর গুপ্তমনা ব্লগ এবং একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড
“Savage peoples are ruled by passion, civilized peoples by the mind. The difference lies not in the respective natures of savagery and civilization, but in their attendant circumstances, institutions, and so forth. The difference, therefore, does not operate in every sense, but it does in most of them. Even the most civilized peoples, in short, can be fired with passionate hatred for each other.” – Maj Gen. Karl von Clausewitz (1780 – 1831)
মায়ামিতে ছুটিতে আছি । স্বীকার করতে হয় শহরটার প্রতি একরকম মায়া জন্মে গেছে গত কয়েক বছরে। সময় পেলেই ছুটে যাই শহরটায় – সে সময় পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন ! দেশে গেলে যেমন গরম বাতাসের ঝাপটা মনে করিয়ে দেয় যে আমি বাংলাদেশে আছি, মায়ামিতে ঠিক সেটাই ঘটে। কে বলবে যে, সাত সমূদ্র তের নদীর পাড়ে এক দেশে বাংলাদেশী আমেজে আম জাম আর ডাবের পানিতে বাঙালিত্ব উদযাপন করা যায় ? কিউবান কফিতে চুমুক দিয়েই মন দিলাম জামা ইস্ত্রী করায় । আজ অরুণাকে দেখতে যাবো ডিসিতে , ফ্লাইট ছাড়তে এখনও আধা বেলা বাকী ! বার্লিন থেকে অরুণার এবার পোস্টিং হয়েছে ডিসিতে, সেই সাথে পদোন্নতি। এমন সময়ে ফোন এল প্রাইভেট নাম্বারে। কে ?
আমি হিসু ,স্যার !
কি ব্যাপার হিসু ? শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম।
স্যার , আমাকে বাঁচান ! বড় বিপদে আছি ! একেবারে জান নিয়ে টানাটানি ! জলদি আমাকে ফোন করেন।
ঠিক আছে । তুমি রাখো , আমি ফোন করছি। লাইন কেটে দিয়ে ফোন করলাম হিসুর বাড়ীর ফোনে। হিসুর বোন ফোন ধরেই বলল , একটু দাঁড়ান ওকে দিচ্ছি।
চার মাস আগের কথা। আমি তখন ঢাকায় । বিশেষ পরিস্থিতিতে ডিজি সাহেবের ফোন আসে এবং সেই সাথে ঢাকায় তলব। ডিজি সাহেবের সাথে দেখা করার পর বুঝলাম , অবস্থা বেগতিক। মানে সরকারের অবস্থা ! এখানে সরকার বলতে সাধারণ মানুষ যাকে সরকার বলে জানে সেই সরকারের কথাই বলছি। সাধারণ মানুষের কাছে তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই সরকার । আমাদের কাছে বিষয়টা এত সোজা সাপ্টা নয়। সরকার বদলালে নতুন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে, নতুন মন্ত্রীদের চেহারা টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় । আমরা বদলাই না , কারণ সরকার আসলে পেছনে থেকে আমরাই চালাই। আমরা কারা? আমরা দেশের রাজনৈতিক নেতাদের ভাষায় – স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক ! কিছু হাতে গোনা হতাশ মধ্যবিত্ত বাঙালী আমাদের পছন্দ না করলেও , আমরাই বাংলাদেশকে সোমালিয়া কিংবা আাফগানিস্তান হতে দেই নি। গৃহযুদ্ধ আর বিপ্লবী ওয়ারলর্ডদের থেকে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে শক্ত হাতে আগলিয়ে রাখছি এই আমরাই ! পশ্চিমা রাষ্ট্ররা গরীব দেশে গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে পছন্দ করে কারণ তাদের দেশের সুশীল এবং পত্রিকাওয়ালারা অগনতান্ত্রিক সরকারের সাথে মাখামাখি ভাল চোখে দেখে না। ওদের খুশী রাখতে আমাদেরও মাঝে মধ্যে নির্বাচন করে একটি ‘গণতান্ত্রিক’ সরকারকে মঞ্চের সামনে রাখতে হয় যাতে করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কাজকর্ম হালাল উপায়ে চালানো যায়। এখন সেই সরকারের বিপদ মানে আমাদেরও বিপদ ! সরকারকে পেছন থেকে চালালেও বিরোধী দলগুলোর সাথেও আমাদের নিয়মিত লিয়াজোঁ রাখতে হয় যাতে পরবর্তীতে সূযোগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা শান্ত শিষ্ট আচরণ করে। এটা অবশ্য সব সময় সম্ভব হয় না দলগুলোর নেতাদের মধ্যকার মনোমালিন্যের কারনে। আন্দোলন , হরতাল এবং ভাঙচুর তখন হয়ে দাঁড়ায় নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার। আমাদের কাজ এদের শান্ত রাখা কারণ আমাদের কাছেই এরা বিচার নিয়ে আসে । তবে, আমাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সামলানো তেমন কঠিন কাজ নয় কারণ আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই একে অন্যকে প্রয়োজন। তবে, ব্যতিক্রমও আছে। আমাদেরই এক জেনারেল এক সময় বায়না ধরলেন যে , তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন যেটা কারও কাছেই গ্রহনযোগ্য নয়। সে সময় তিনি নিজেই সামনে থেকে একটা রাবারস্ট্যাস্প সরকার চালাচ্ছিলেন। দেশী বিদেশী সব মহলকেই রাগিয়ে দিয়ে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বই বিপন্ন করে তুলেছিলেন। তাকে অনেক বোঝানো হল , কিন্তু তিনি শুনবেন না। অগত্যা রাজনৈতিক দলগুলিকে দিয়ে ঢাকার রাজপথ অচল করিয়ে দেয়া হল। আমাদের তৎকালীন ডিজি সাহেব সেই ক্ষমতালিপ্সু জেনারেলকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে উপর থেকে ঢাকার রাজপথ দেখিয়ে বললেন , স্যার , নিচে দেখুন ! লাখো মানুষ বলছে যে তারা আপনাকে চায় না। তারা আপনার রক্ত চায় ! এখন যদি আপনাকে এই কপ্টার থেকে লাখো মানুষের মিছিলের মাঝে ফেলে দেয়া হয় , তাহলে কি হবে ? সমঝদার এক নায়ক পরিস্থিতি বুঝতে বিলম্ব করেন নি। এক ঘন্টা পরেই মিটিং ডেকে আমাদের জানিয়ে দিলেন যে , তিনি পদত্যাগ করবেন।
“এবারকার সমস্যাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কোন রাজনৈতিক দল নয় , ঢাকার রাজপথে কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ নেমে এসেছে কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়াই। তারা দাবী না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না বলে পণ করেছে। তারা একটি বিশেষ দাবী জানাচ্ছে যা সরকার কেন , বিরোধী দলও মানবে না – আর আমাদের যে এদের নিয়েই কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করা যায় যদি সেই আন্দোলনের নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেই আন্দোলনের কোন নেতাই নেই সেটাকে কি করে নিয়ন্ত্রণ করবে ? ” ডিজি সাহেব আমাদের দিকে লাল চোখে চেয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন । আমি বললাম স্যার , নেতৃত্ব না থাকলে নেতৃত্ব তৈরী করা হবে, দুটি পরস্পর বিরোধী নেতৃত্ব। সাধারণ মানুষ জানবে যে , তাদের নেতারা এতদিন গোপনে থাকলেও এখন সামনে চলে এসেছেন। পত্রিকা সম্পাদকেরা আমাদের সাথে আছেন, সুশীলরা আমাদের সাথে আছেন এবং অন লাইনে প্রতিষ্ঠিত অ্যাক্টিভিস্ট আমাদের পকেটেই আছে।
এদের মধ্য থেকেই আমরা নেহেরু , জিন্নাহ আর সুভাস বোস বের করে আনবো যেখানে হিরোর সাথে সাথে এন্টি হিরোও থাকবে। সেই ক্লাসিক ডিভাইড এন্ড রুল ডক্ট্রিন। ডিজি সাহেবের কাছে প্রস্তাবটা পছন্দ হল। আমাকে বললেন , দেখি তুমি কি করতে পারো ?
হিসুর সাথে কথা বলে যা বুঝলাম তাতে আসলেই ওর জান নিয়ে টানাটানি হওয়ার কথা। নানা মানুষের কাছে বিভিন্ন ছুতোয় পয়সা নিয়ে এখন এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে যে , কিছু ভূল মানুষ ওকে কোপানোর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে। ভুল গাছের সামনে মূত্রত্যাগ করলে বিপদে তো পড়তে হবেই। সত্যি বলতে ব্লগার ইস্রাফিল হিসু আমাদের একটি বড় অ্যাসেট , অনলাইনে ওর লাখ খানেক অনুসারী আছে । অন লাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে ছেলেটা নানা ভাবে বিভিন্ন সময় আমাদের গুরত্বপূর্ণ সাহায্য করেছে । ও না থাকলে কয়েকশ ব্লগারের আসল পরিচয় জানা সম্ভব হতো না। এখন ওর এই বিপদে ওকে ধারালো চাপাতির নিচে ছেড়ে দিতে মন সায় দিচ্ছে না। সবচেয়ে সহজ হবে যদি একে নরওয়েতে পাঠানো যায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে । কিন্তু সেজন্য কাহিনীটিকে আরও পাকাপোক্ত করতে হবে। সরকারী হুমকি না থাকলে রাজনৈতিক আশ্রয় মেলা বেশ কঠিন। ১২১ ধারায় ( রাষ্ট্রদ্রোহিতা) গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া যায় এবং এরপর দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। বলা যাবে , স্থানান্তরের সময় পালিয়ে গেছে। মেজর রফিক কে ফোনে জানিয়ে দিলাম যে , যা যা করার তা করতে হবে।
তিন মাস পরের কথা। ঢাকার রাজপথ শান্ত । মানুষেরা যার যার ঘরে ফিরে গেছে। আন্দোলন বলে কিছু নেই। আমাদের চাপে এখন জাতীয় ঐক্যমতের সরকার দেশ চালাচ্ছে যাতে মোটামুটি সব পক্ষেরই প্রতিনিধিত্ব আছে । ইস্রাফিল হিসুর আর নরওয়ে যাওয়া হয়নি। ওকে বিমানবন্দরে নেয়ার পথে গাড়ীটায় বিস্ফোরণ হয়। হিসু সহ গাড়ীতে আমাদের নিজস্ব চার জন লোকের কেউ বাঁচেনি। সরকারের ভেতরেও আরও সরকার থাকে , পেয়াঁজের খোসার মত। আমি বিমর্ষ , পরাজিত মনটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করি – একটা ব্যক্তিগত ই-মেইল এসেছে বহুদুর থেকে …….।
এজেন্টদের নিজেদের দক্ষতা দেখানোর জন্য আদর্শ পরিস্থিতি।এই মিশনও সফল ছিলো। কিন্তু যখন
এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়,মানে এজেন্ট ব্যার্থ হয়,তখন কি ডিজি সাহেবের সামান্য তিরষ্কার শুনে পার পাওয়া যায় নাকি আরও বেশী কিছু…
@প্রাক্তান আঁধারে,
মিশন ব্যর্থ হয়েছে এটাতো বলিনি ! ‘এজেন্ট’ শব্দটা ইন্টেলিজেন্স পেশায় অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইন্টেলিজেন্স অফিসাররা যাকে রিক্রুট করেন এবং যিনি সেই সংস্হার কোন কর্মচারী নন তাকে ‘এজেন্ট’ বলা হয়ে থাকে। আমাদের হিসু এখানে এজেন্ট যে কি না বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে অথবা তার মতাদর্শের কারনে তার সহযোগী ব্লগারদের তথ্য ইন্টেলিজেন্স মহলে সরবরাহ করেছে এবং নি্র্দেশ মত কাজ করেছে।
যিনি রিক্রুট করেন তিনি হলেন এজেন্ট হ্যান্ডলার । অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পেশার যে কোন অফিসারকেই সাধারণভাবে এজেন্ট বলা হয়। নেইটো জোটের অন্যান্য দেশসহ এবং বিশ্বের অন্যসব এলাকায় উপরের সংজ্ঞাই প্রযোজ্য। পাঠের এবং সুন্দর প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক,
আমিও সেটাও বলেছি মিশন সফল ছিল।কিন্তু এজেন্ট ইসরাফিল কে বাঁচাতে না পারর জন্য আপারেটিভের( সংশপ্তক) কি আফসোস ছাড়া আর কিছুই হয় না?
হ্যা, অপারেটিভ বলা যায় বোধহয়।আর কোন টাফ মিশনে আপারেটিভ ব্যার্থ হলে তখন ডিজি সাহেবেরা কি বলে?(আর একবার কফিতে চুমুক দেওয়ার আগে যদি ছোট করে একটু বলেন।জানতে ইচ্ছে করছে)।
@প্রাক্তান আঁধারে,
কানে কানেই বলি। কাজে ব্যর্থ হওয়ার জন্য আসলে কিছুই হয় না , ব্যর্থতা স্বীকার করার চাইতে এক্সপোনেনশিয়াল ফ্যাক্টরগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়ী করা হয় অথবা ব্যর্থতার তদন্ত করা হয়। তদন্তে নতুন কিছু বেড়িয়ে আসে না। ডিজি সাহেবরা সাধারণত ‘ব্যক্তিগত’ কারনেই কাউকে শুলে চড়ান। একই ভাবে প্রমোশনের সাথে কাজের সম্পর্কের চাইতেও ব্যক্তিগত সম্পর্ককে উনারা বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। If you have personality problem with your superior , he has the personality and you have the problem !!
কেন হবে না ? অনেক কিছুই হয় । এটা নবীনদের ক্ষেত্রে বেশী হয়। অভিজ্ঞতা এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে একটা গুরুত্বপূ্র্ণ বিষয় শেখা হয় – শেষ বলে কিছু নেই , এলেবেলে দর্শনে এটাকে জীবনের অবিনাশিতাবাদ বলতে পারেন। ২য় বিশ্ব যুদ্ধে মিত্রপক্ষের অন্যতম অধিনায়ক জেনারেল ম্যাকার্থারকে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান ব্যক্তিত্বের লড়াইয়ের জের ধরে বরখাস্ত করেছিলেন , কংগ্রেসও সেটা মেনে নিতে পারেনি। কংগ্রেসে বিদায়ী বক্তৃতায় জেনারেল ম্যাকার্থারক সগর্বে বলেছিলেন , “old soldiers never die; they just fade away.”
ইস্রাফিল হিসু কে? আসিফ মহীউদ্দীন, নাকি আমি পিয়াল নাকি ইমরান সরকার? আপনার উর্বর কল্পনা সচল আছে জেনে খুশী হলাম।
এরশাদের বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ ছিলো সাজানো একটি বিষয় আর শাহবাগ ছিলো স্বত:স্ফুর্ত, এই জ্ঞানটি আমার ছিলো না। ধন্যবাদ অজানাকে দূর করার জন্যে।
@সফিক,
এত সব নাম পেলেন কোত্থেকে ভায়া। গল্পের হিসুকে হিসুই থাকতে দিন না। গল্পও থাকলো গল্পে 🙂
এই ‘আমরাদের’ কোয়ালিটি কন্ট্রোলের গ্যারান্টি আছে নাকি? সর্ষেতে কেবা ভূত আর কেইবা সর্ষে!
@কাজী রহমান,
দেখুন এই সামরিক পেশাটি পৃথিবীর প্রাচীনতম দু চারটা পেশাগুলোর অন্যতম। হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তনে টিকে গেছে – সারভাইভাল অব ফিটেস্ট। তাদের সর্ষেতে যদি ভূত থেকেও থাকে তা পাকাপোক্ত ভাবেই জেকে বসেছে। আধুনিক আমলা এবং কর্পোরেট কেরানীরা সেই তুলনায় অনেক নবীন – এই সেই দিনের হবে। এদের সর্ষের ভুত নবীন এবং বিতারণযোগ্য ।
কাজটা কার?
সরকারের ভেতরের সরকারটা আবার কে? বিরোধী দলের এজেন্ট?
@মহন,
একজন ব্যক্তি যখন সরকারী এবং বিরোধী দল উভয়ের চক্ষুশূলে পরিনত হয়, অর্বাচীনের মত প্রতিনিয়ত শত্রু সৃষ্টি করে চলে , তখন তাকে বিপদ থেকে আগলে রাখা খুবই কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত জনপ্রিয়তার নিশ্চয়তা সেখানে যেমন অবশ্যই আছে , তেমনি এর সাথের সমানুপাতিক ঝুঁকিটা কিভাবে অবজ্ঞা করা যায় ? খ্যাতি একই সঙ্গে একটি নেশা এবং মোহ। সব কিছুর মত খ্যাতিরও একটি মূল্য আছে – বিশেষ করে যে খ্যাতি যুদ্ধংদেহী শব্দমালার উপরে দাঁড়িয়ে। :-s
@সংশপ্তক, আপনিও কিন্তু জনপ্রিয়…… :)) :guli:
বেহুদা ভয় খাওয়ান ক্যান পাবলিককে।
@আদিল মাহমুদ,
🙂
@আদিল মাহমুদ,
প্রাণীদের বিবর্তনে ভয় একটি ইতিবাচক ফিটনেস হিসেবে কাজ করে। এই ফিটনেস টিকে থাকার নিমিত্তে প্রাণীদের অভিযোজনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে আসছে। অতএব, ভয়কে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। (@)
ভাই আপনার এই ইস্রাফিল হিসুর গল্প আমি কিছুই বুঝি না। আগেও একবার পড়েছিলাম। ঘটনা একটু ভেঙ্গে বললে ভাল হত। তবে আপনার রানা কে নিয়ে লেখা গল্প দারুন লাগে। 🙂
@অর্ফিউস,
ভেঙে বলতে সমস্যা আছে বলেই তো :-s গল্পাকারে ……..
@সংশপ্তক, ওহ আচ্ছা এইবার বুঝলাম, মানে অনেকটাই বুঝলাম!!!! নেন শেষ বিকালে কফি খান (C)