এবার এক মজার মঞ্চের কথা বলবো। যেখানে সেই মঞ্চটা, সেই দেশ, সেই শহর ভাল- লোকগুলো আরো ভাল। মজা আসলে মঞ্চের চরিত্রগুলোতে। ধরা যাক টরোন্ট শহরের একটি সুশোভিত ব্লিন্ডিং। যেখানে ততোধিক সুশোভিত একটি মঞ্চ, অথবা পুরা বিল্ডিংটাই একটা রঙ্গমঞ্চ। সেখানে একে একে হাজীর হবেন কুশীলবেরা তাদের একাঙ্কিকা নিয়ে। আর আমি? আমি সামান্য পথিক- ওদের সহযাত্রী। পথে যেতে যেতে সুখ দুঃখের আলাপ হয়- এভাবেই চেনা।
প্রথমেই মঞ্চে যে চরিত্রটিকে দেখা যাবে তার নাম নার্গিস- মোসাম্মাত নার্গিস আক্তার। তিনি সামাজিক, সুভাষিনী, ভদ্র এবং বাঙালী মহলে সমধিক পরিচিত। অনেক দিন ধরে এই শহরে থেকেও যেন তিনি নেই- অস্তিত্বের একাংশ তার অন্য কোথাও পড়ে আছে। আমার মত কাউকে দেখলে সখেদে বলে উঠেন- এইসব কি কোন মানুষ হলো! এক পা এগোলে দুই পা পিছিয়ে যায়। সব আলগা সম্পর্ক। সবাই যার যার কাজ নিয়ে আছে- যেন কত ব্যস্ত! ব্যস্ততা না ছাই। নিজেকে কাবা শরীফ বানিয়ে তার চারদিকে ঘুরে মরে। এর চেয়ে আমার বাংলাদেশ ঢের ভাল। কথা মতো কাজও করেন তিনি। বলা নেই কওয়া নেই হঠাত করে চলে যান দেশে- দেশের টানে। কয়েক দিন যেতে না যেতে মনে তার শীতের বাতাস। আমার মতন কাউকে হয়তো পেয়েও যান কাছে। মনের ঝাল ঝাড়েন তার কাছে। এই মানুষগুলো এমন কেন? শুধু দাও দাও আর চাই চাই। ক্ষুধা তাদের মেটেনা কখনো। আলগা সম্পর্কের হাওয়া সেখানেও। বিরক্তি জেগে উঠে নাকের দুপাশে। এর চেয়ে সেই টরোন্টই ভাল। ফিরে আসেন আবার স্বর্গে। তারপর চলতে থাকে পিংপং বলের খেলা। দেশ আর বিদেশ- একবার এপাশে বল আরেকবার ওপাশে। এইভাবে মোসাম্মত নার্গিস আক্তারের জীবন থেকে ঝরে যেতে থাকে বছর আর সময়ের হিসাব।
নার্গিস আক্তারের পাঠ তো দেখলেন। এবার যিনি মঞ্চে আসছেন তিনি তার ছেলে- আপন ছেলে। ছেলেটা কেমন জানি- এই অভিযোগ তার মা-বাবা দুজনেরই। নিজের সখ-আহ্লাদ কিছু নেই তার- যেন এক আস্ত রোবোট। সেই রোবোটের চাবি আবার তার বৌয়ের হাতে। সপ্তাহের প্রত্যেক শনিবার ঠিক দশটা পনের মিনিটে মা-বাবাকে দেখতে আসে ছেলে একই বিল্ডিংয়ের আরেকটি ফ্লাটে। আধ ঘন্টা থেকে একই ধাচের কয়েকটা মুখস্ত কথা বলে দম করা পুতুলের মতন চলে যায়। এটা একটা মানুষ হলো- হাউশ নেই, মহব্বত নেই। মা বলেন- ছেলে আমার বেয়াদব না, তবে দেখে মনে হয় মৃত আসবাব। কথা সত্য। আর্থার মোটা বেতনের চাকুরে হলে কি হবে, সাংঘাতিক বাধ্যগত ছেলে। ঘরে বাবা-মাকে দেখতে এলে বাবা যদি বলেন- যা আমার জন্যে এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আয়। সঙ্গে সঙ্গে ছেলে ঢুকে পড়বে রান্না ঘরে। পাঁচ মিনিটে চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে, কিন্তু দেখা গেল চায়ে চিনি ঢেলেছে। বাবা খেয়ে বলবেন- তোরে না বললাম চিনি না দিতে। গাধা কোথাকার। ছেলে মুখ কাচুমাচু করে পাশে দাড়িয়ে থাকবে অপরাধীর মতন। কিছুক্ষন যেতে আনা যেতে বাবার কাপ ধরে টানাটানি শুরু করলো ছেলে। বাবা গেলেন রেগে- আমার হাতের কাপ ধরে টানাটানি করছিস কেন, দেখিস না আমার চা খাওয়া প্রায় শেষ? খাওয়া শেষে খালি কাপ নিয়ে আবার চলে যাবে ছেলে রান্নাঘরে। আবার চা বানিয়ে আনবে চিনি ছাড়া। যেন আগের ভুলটা তার এভাবে সংশোধন করা একান্ত জরুরী। বাবা হেসে বলবেন- আর্থার তুই সত্যিই গাধা। এই হচ্ছে নার্গিস আক্তারের একমাত্র ছেলে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে, কিছু সাধ-আহ্লাদ তার আছে। আসলে এসব কিছু তৈরী হয় তার বউয়ের মাথায়- মায়ের দাবী। বছরে একবার গাড়ীটাকে পাল্টানো আর ছুটি পেলে বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে একটা ভাল হোটেলে উঠে পড়া- এই তার সখ। মা বলেন, এটা বউয়ের সখ। মা ছেলের কোন কাজ-কর্মে জীবন্ত মানুষের গন্ধ খুজে পান না। এ কথাও সত্য। ও ভালো কথা, বিশেষ এই চরিত্রটার নামই বলতে ভুলে গেছি। তার শ্রীনাম আর্থার- আর্থার মাহমুদ।
রঙ্গমঞ্চের এবারের চরিত্রটি অন্যরকম- সবার থেকে বেশ আলাদা। তিনি নার্গিস আক্তারের স্বামী এবং অবসরপ্রাপ্ত। এই শহরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। এখন সবকিছু গুটিয়ে নিজের গন্ডিকে আরো বেশী ক্ষুদ্র করে ফেলেছেন। বউকে বলেন- তোমার আত্মীয়-স্বজন অনেক, তুমিই যাও, দাওয়াত খাও। আমার লাগবে না। দূরে দূরে থাকেন অভিমানী ভদ্রলোক। কাজ ছাড়া তিনি থাকতে পারেন না। সামনে যা পান তাই নিয়ে বসে যান। একদিন ঘরে গিয়ে দেখলাম চেয়ার টেবিল খুলে আবার লাগাচ্ছেন। কখনও ব্যাল্কনি আবার কখনও জানালার টবে পুস্প পরিচর্যায়ও পার হয়ে যায় তার অফুরন্ত অবসর। নাতি-পুতিরা বেড়াতে এলে তাদের নিয়ে বসেন কচিত। কারন আছে, তবে তা সুখকর নয়। হয়তো বসলেন বাচ্চাদের নিয়ে। বাচ্চার মা এসে চিলের মতন ছো মেরে নিয়ে গেল বাচ্চাদের। কি সর্বনাশ, সেকেলে বুড়োর কাছে কি শিখবে বাচ্চারা- এমনি এক ভাব মায়ের। ছেলে-বউয়ের এই সব কান্ড কারখানা না বুঝতে পারার মতন বোকা নয় নার্গিস আক্তারের স্বামী আকমল হোসেন। তাই নিরাপদ দুরত্বে থাকেন অভিমানী বুড়ো। স্থানীয় কমিওনিটি সেন্টারে কম্পুটার শেখানোর ওয়ার্কশপ খুলেছে। বুড়োদের অগ্রাধিকার সেখানে। নিঃসঙ্গতার ঘায়ে আকমল সাহেবকে যেতে হয় সেখানে। নার্গিস আক্তারের আত্মীয় স্বজনরাও সেখানে যান- তা দেখে বুড়ো আকমলের যাওয়া বন্ধ। অভিমান কাজ করে সেখানেও। সবাই ছাড়া ছাড়া। অপ্রয়োজনীয়, অতিরিক্ত, অবসরে থাকা বূড়োদের কেউ বন্ধুত্বের উষ্ণতায় বাঁধতে চায় না। তাই দূরে থাকা অভিমান। নিজের ভিতরে আটকে থাকা সেসব কষ্টের কথা কোন ভাবেই প্রকাশ করেন না আকমল হোসেন শরীরিরে বা মুখে। নিজের আনন্দটাকেই বেশী করে প্রকাশ করতে তার ভাল লাগে। তাই টিভি চ্যানেলের কোন ক্রিকেট খেলা দেখা মার যায় না তার। চারের আর ছয়ের মার দেখে উদ্যাম কিশোরের মত চিতকার করে ওঠেন কখনো কখনো টিভির সামনে বসে। তিনি একজন ক্রিকেট প্রেমিক- সত্যিকারের ক্রিকেট প্রেমিক।
অনেক অভিনয়তো দেখলেন। এবার একজন সত্যিকারের কৌতুক অভিনেতার অভিনয় দেখুন। তার আসল নাম আনিছ- মানে আনিছুর রহমান। কিন্তু তার এই পোশাকী নামের আড়ালে আর একটা নাম আছে, যা আমোদপ্রিয় লোকজন আড়ালে আবডালে বলে মজা পায়, আর সেটা হলো- খালুআব্বা। এই নামের শানে নুজুল জানা আমি তো কোন ছার, এখনো কারো পক্ষে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এত কিছু সত্তেও এই শহরে সে একজন বিশুদ্ধ সুখী মানুষ। নিজের পুরান গাড়ীটার বীমা বিষয়ক জটিলতা নিয়ে কয়েক ঘন্টা অনায়াশে আলাপ চালিয়ে যেতে পারেন তিনি। বিদেশে বহুদিন থাকার বিষন্বতা তার দেহে খুজে পাওয়া যাবে না এক বিন্দু। দেশে যাবার কথা উঠলেই বলেন- ওরে বাবা, আমারে কি ভুতে কিলাইছে, ওখানে যেতে কও কেন? অনেক কষ্টে পৈত্রিক এই প্রাণটারে এদেশে এনে ফেলেছি। একথা বলে হো হো করে আমোদের হাসি হেসে উঠেন। দীলে তার অনেক মকছুদ ছিল লুকানো, যেমন- ছেলে মেয়েদের ডিগ্রী, চাকুরী, বিয়ে। এসব মিলেছে এই শহরে। এখন তার হাত-পা ঝাড়া। কিছুই করার নেই আর। পাবারও বা কি আছে? স্বাস্থ্য ভাল আনিছুর রহমানের। মুখ ভর্তি চাপ দাড়ি, তবে পাকা। তাই সেখানে মেহেদীর রঙ লেগেছে। চেহারায় পীর আওলীয়াদের মত একটা নুরানী ভাব জারী থাকে সব সময়। এখনো কাজ করেন, তবে পার্ট-টাইম। বউ তার কাজ করে ফুল-টাইম। বউগত প্রাণ আনিছের- একথা সবাই জানে। দেশ থেকে প্রথম এসে সবচেয়ে বেশী মনযোগ যে দিকে সে দিয়েছিল তা তার বউ। একটু বেশীই করে ফেলেছিল বোধহয়। তা দেখে প্রতিবেশী আত্মীয়রা হেসেই গড়াগড়ি। কৌতুকের একশেষ। অমন একটা বয়সে বউ তার পড়ালেখা করছে, আর আনিছ সাহেব রান্নাঘর থাকে সূচীকর্ম, নিজের চাকুরী থেকে মুদী-সওদা সব সামলাতে গলদঘর্ম। এই দৃশ্য দেখে আত্মীয় বান্ধবেরা আমোদে হেসেই লুটোপুটী। সেসব এখন ইতিহাস। সেই ইতিহাস থেকে বেরিয়ে এসে আনিছ এখন একজন সুখী মানুষ। সম্ভবতঃ আশপাশের সবার চেয়ে সুখীতম একজন। তবে তার খালুআব্বা নামটার রহস্যটা এখনো উন্মোচন করা সম্ভব হয়নি। সেটা করতে পারলে হয়তো আরেকটা কৌতুক হতো।
এবারের চরিত্রটা সংখ্যালঘু হলেও বেশ কমন। সদর্পে তিনি আসছেন এবার মঞ্চে। নাম তার মোসাদ্দেক- মোসাদ্দেক আলী। বিরাট ক্ষমতাধর মানুষ। নিভৃত পল্লী থেকে ধাপে ধাপে সংগ্রাম আর যুদ্ধ করে উঠে এসেছেন- হয়েছেন এম পি। বুক ভরে ঠান্ডা সুবাসীত বাতাস নিয়েছেন জাতীয় সংসদের। সত্যিকারের সৌভাগ্যবান মানুষ তিনি। ব্যবসায়ে সফল শিল্পপতি- তেজারতী আর রাজনীতি সমান ভাবে ধরা দিয়েছে তার হাতে। ক্ষমতা গেছে কিন্তু বিত্ত যায়নি। সেই তিনি আজ আত্মীয় বান্ধবের মাঝে এই রঙ্গমঞ্চে বিত্ত সমাহারে। সবার সঙ্গে কেমন সুন্দর ভাবে মানিয়ে নিয়েছেন। তার সাথে খুব গভীরভাবে না মিশলে শ্রেনী চরিত্রের ধাক্কাটা ঠিক বোঝা যাবে না। ধনী গরীব সব আত্মীয়-বান্ধবের সাথে সমানভাবে মেশবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন সপরিবারে। এখানকার ধরনই এমন। এমন না হলে নির্বাবান্ধব একাকী হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা- এই বোধ তার আছে। বেড়াতে আসতে বললে অতি আন্তরিক মানুষের মত একগাল হেসে বলবেন- তুমি আমাদের কত আপন, তোমার বাড়ীতে না গিয়ে উপায় আছে? কিন্তু সময় হলে দেখা নেই তার। কারন জানতে চাইলে সেই পুরান শরীর আর ব্যাস্ততার দোহাই। শ্রেনী চরিত্রের স্বভাবটা হয়তো এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই এই সুক্ষ ধরা। এই টরন্টো শহরেও তিনি ব্যবসায়ী- স্বার্থক ব্যবসায়ী। সব কাজ নিজ হাতে করেন। আনন্দ পান কি না বলা মুশকিল। রান্নাঘরের ময়লার টোপলাটা হাতে নিয়ে একদিন ফেলতে গিয়ে মনে হয় ধরাই খেলেন আমার কাছে। চকিতে ব্যাগটা লুকিয়ে ফেললেন পিছনে। কেন করলেন তা? লুকিয়ে ফেলতে হয় একথা ভুলেই গিয়েছিলাম প্রায়। পরে বুঝলাম শ্রেনী চরিত্রের গন্ধটা লেগে আছে এখনো। দাবী রেখে, চাপ দিয়ে, শ্রোতাকে ইতর ভেবে কথা বলার অভ্যেসটা এখনো একটু একটু আছে। তবে সেসব ত্যাগ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা ভাল ভাবেই বোঝা যায়। এই দেশে পাকাপাকি থেকে যাবার সম্ভাবনা এবং ইচ্ছা ষোল আনায় আঠের আনা। তবে তা নিজের জন্য নয়- স্ত্রী এবং বংশধরদের জন্য। তিনি টরন্টোর বেগম পাড়ার সাহেব- পরিবার এদেশে রেখে ছয় মাসের বেশী সময় বাংলাদেশের ব্যাবসা দেখাশোনা করেন। বছরের বাকী সময়টা এদেশে এসে পরিবারকে সঙ্গ দেন। তবে, মুখ ফুটে ভুলেও বলেন না- বাংলাদেশের কোন ভবিষ্যত নেই। ভবিষ্যত যদি নাই থাকবে তবে তার ভবিষ্যত কিভাবে রচিত হয়েছে? মাপ করবেন দর্শক, গুরুগম্ভীর এই চরিত্রের সাথে সবার চেনা জানা থাকলেও ততো বেশী আনন্দ আর কৌতুকের খোরাক সে আপনাদের দিতে পারেনি।
মঞ্চের চরিত্র পরিচিতির কাজ আমার প্রায় শেষের পথে। যাবার আগে একটা কথা বলে যেতে চাই, শহরের এই সুন্দর মঞ্চে শুধু যে এমন বারো রং-এর বিচিত্র আল্পনায় আঁকা মানুষ আছে তাই নয়, সারা পৃথিবীটাই এমন একটা আজব রঙ্গমঞ্চ। এবার আমি বিদায় হবো। আপনারা যত পারেন লুটে নিন রঙ্গমঞ্চের আনন্দ।
[ যারা এই আঙ্গিকের লেখার সাথে পরিচিত না তাদের জন্য বলছি। বাংলায় এটাকে আপনি মঞ্চ পরিচিতি বলতে পারেন। এটা একটা বিশেষ ফরম্যাট যেখানে চরিত্রগুলো খুব বেশী ইন্টারাকশানে আসে না। তবে তারা সবাই কোন না কোন ভাবে কানেক্টেড। যেমন, এখানে কমন রঙ্গমঞ্চ। আবার দেখা যাবে প্রথম তিনটি চরিত্রের ভিতরে সম্পর্ক আছে কিন্তু শেষের দুটোর ভিতরে নেই। পাশ্চাত্যে এই ধরনের লেখা প্রচলিত আছে, তবে অনেক না। এই মুহুর্তে লেখকের নাম ঠিক মনে করতে পারছি না, তবে এডগার এলান পো-এর গল্পগুলো দেখতে পারেন। প্রকাশ থাকে যে, হুমায়ুন আহমেদ সাহেব তার আজ রোববার নাটকটা ঠিক এভাবেই শুরু করেছিল। এই মঞ্চ পরিচিতি অংশটা তো আমার দারুন লেগেছিল।]
বস্তুত কোন চরিত্রই আনন্দ আর কৌতুক দিতে পারেনি। 🙁
সবচেয়ে বড় কথা গল্পটা পড়ে আমি কিছু বুঝিনি। 🙁
রঙ্গমঞ্চের দর্শক-শ্রোতা , অভিনেতা , সবাই কিন্তু এক কাতারে দাঁড়িয়ে আছি ! সুতরাং আমরা সবাই রঙ্গমঞ্চের নাটের গুরু।